আয়াতসমূহ

সূরা : সুরা রা'দ

قُلْ مَن رَّبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ قُلِ ٱللَّهُۚ قُلْ أَفَٱتَّخَذْتُم مِّن دُونِهِۦٓ أَوْلِيَآءَ لَا يَمْلِكُونَ لِأَنفُسِهِمْ نَفْعًا وَلَا ضَرًّاۚ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى ٱلْأَعْمَىٰ وَٱلْبَصِيرُ أَمْ هَلْ تَسْتَوِى ٱلظُّلُمَٰتُ وَٱلنُّورُۗ أَمْ جَعَلُوا۟ لِلَّهِ شُرَكَآءَ خَلَقُوا۟ كَخَلْقِهِۦ فَتَشَٰبَهَ ٱلْخَلْقُ عَلَيْهِمْۚ قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَىْءٍ وَهُوَ ٱلْوَٰحِدُ ٱلْقَهَّٰرُ

তুমি জিজ্ঞাসা করো, আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর প্রতিপালক কে ? তুমি বলো, আল্লাহ। তুমি ঘোষনা করে দাও ! তাহলে তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন লোকগুলোকে আউলিয়া হিসেবে কেনো গ্রহণ করেছো? যারা তাদের নিজেদের জন্যে উপকার কিংবা ক্ষতি করার মতো কোন ক্ষমতারই মালিক নয়। তুমি জিজ্ঞাসা করো, অন্ধ আর যে ব্যক্তি চোখে দেখতে পায়, এরা কি কখনো সমান হতে পারে ? কিংবা আলো ও অন্ধকার কি সমান হতে পারে ? তারা যাদেরকে আল্লাহর সাথে শরীক নির্ধারণ করে, তারা কি আল্লাহর মতো কিছু সৃষ্টি করেছে ? যার ফলে তাদের সৃষ্টি এদের কাছে একইরূপ বলে মনে হচ্ছে। তুমি বলে দাও ! আল্লাহই একমাত্র সব সৃষ্টি করেছেন। তিনি হলেন একক ও মহাপরাক্রমশালী।

সূরা : সুরা হুদ

وَأُتْبِعُوا۟ فِى هَٰذِهِ ٱلدُّنْيَا لَعْنَةً وَيَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۗ أَلَآ إِنَّ عَادًا كَفَرُوا۟ رَبَّهُمْۗ أَلَا بُعْدًا لِّعَادٍ قَوْمِ هُودٍ

ফলে এই পৃথিবীর মধ্যে অভিশাপ ওদের পেছনে লেগেই রয়েছে, আর কিয়ামতের দিনেও থাকবে। জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আ'দ জাতি তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করেছে। সাবধান ! তোমরা জেনে রাখ ! হুদ জাতি- আ'দ জাতির জন্যে ধ্বংসই রয়েছে।

সূরা : সূরা আন নাস

مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ

গোপন ও প্রকাশ্য থেকে

সূরা : সূরা আন নাস

الَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ ۙ

<p>যে মানুষের অন্তরের মধ্যে কু-মন্ত্রণা দেয়।</p><p>*114(5)নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,7(20),20(120),50(16)...।</p>

সূরা : সূরা আন নাস

مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ۙ الْخَنَّاسِ ۪ۙ

পিছন থেকে বাধা প্রদান কারীর কু-মন্ত্রণার অনিষ্ট হতে।

সূরা : সূরা আন নাস

اِلٰهِ النَّاسِ ۙ

মানুষের আইন দাতার।

সূরা : সূরা আন নাস

مَلِكِ النَّاسِ ۙ

মানুষের মহা অধিপতির।

সূরা : সূরা আন নাস

قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ۙ

তুমি বলো ! আমি আশ্রয় চাই মানুষের প্রতিপালকের নিকট।

সূরা : সূরা আল ফালাক

وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ

এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে, যখন সে হিংসা করে'।

সূরা : সূরা আল ফালাক

وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِي الْعُقَدِ ۙ

এবং মতবাদের গিটগুলোতে ফুঁক দানকারীদের অনিষ্ট হতে।

সূরা : সূরা আল ফালাক

وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ۙ

আর অন্ধকারের অনিষ্ট হতে, যখন তা গভীর হয়।

সূরা : সূরা আল ফালাক

مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ۙ

তার অনিষ্ট হতে,যা তিনি সৃষ্টি করেছেন।

সূরা : সূরা আল ফালাক

قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ۙ

তুমি বলো ! আমি আশ্রয় চাই প্রভাতের প্রতিপালকের নিকট।

সূরা : সূরা ইখলাস

وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ

এবং নাই কেউই তাঁর সমতূল্য/সমান।

সূরা : সূরা ইখলাস

لَمْ يَلِدْ ۙ وَلَمْ يُوْلَدْ ۙ

তিনি কাউকে জন্ম দেন নি, এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি ।

সূরা : সূরা ইখলাস

اَللّٰهُ الصَّمَدُ ۚ

আল্লাহ অমুখাপেক্ষী/আল্লাহ সর্ববিষয়ের নির্ভরস্থল।

সূরা : সূরা ইখলাস

قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ۚ

তুমি বল, তিনিই আল্লাহ এক-অদ্বিতীয়।

সূরা : সূরা লাহাব

فِيْ جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَّسَدٍ

তার অহংকারের গর্দানে থাকবে, পাকানো দড়ি।

সূরা : সূরা লাহাব

وَّامْرَاَتُهٗ ؕ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ ۚ

এবং তার স্ত্রীও, যে কাঠের বহনকারিণী।

সূরা : সূরা লাহাব

سَيَصْلٰي نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ ۚۖ

শীঘ্রই সে প্রবেশ করবে জলন্ত আগুনে।

সূরা : সূরা লাহাব

مَاۤ اَغْنٰي عَنْهُ مَالُهٗ وَمَا كَسَبَ ؕ

তার ধন-সম্পদ এবং যা সে উপার্জন করেছে। সে সব তার কোনো কাজেই আসবে না।

সূরা : সূরা লাহাব

تَبَّتْ يَدَاۤ اَبِيْ لَهَبٍ وَّتَبَّ ؕ

<p>ধ্বংস হবে আগুনের পিতার ক্ষমতার হাত এবং সে নিজেও। (যে মানুষের মধ্যে ক্ষমতার বলে বিপর্যয় সৃষ্টি করে)</p><p>*111(1) নং&nbsp; আয়াতের আরবী&nbsp; لهب/" লাহাব" শব্দটির ব্যাখ্যায় 77(31)...।</p>

সূরা : সূরা আন নাছর

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ؕؔ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا

তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসার সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করতে থাকবে। আর তাঁর নিকট ক্ষমা চাইবে। নিশ্চয়ই তিনি হলেন ক্ষমাপরবশ।

সূরা : সূরা আন নাছর

وَرَاَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُوْنَ فِيْ دِيْنِ اللّٰهِ اَفْوَاجًا ۙ

আর মানুষকে আল্লাহর মনোনীত জীবন ব্যবস্থার মধ্যে দলে দলে প্রবেশ করতে দেখবে,

সূরা : সূরা আন নাছর

اِذَا جَآءَ نَصْرُ اللّٰهِ وَالْفَتْحُ ۙ

যখন আল্লাহর সাহায্য এবং বিজয় আসবে,

সূরা : সূরা আল কাফিরূন

لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ

তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্ম কর্ম রয়েছে, আর আমার জন্যও তো একটি জীবন ব্যবস্থা রয়েছে।

সূরা : সূরা আল কাফিরূন

وَلَاۤ اَنْتُمْ عٰبِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ

এবং তোমরাও দাসত্বকারী হবে না তার, যার দাসত্ব আমি করছি।

সূরা : সূরা আল কাফিরূন

وَلَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ ۙ

এবং আমি দাসত্বকারী হব না তাদের, যাদের দাসত্ব তোমরা করছ।

সূরা : সূরা আল কাফিরূন

وَلَاۤ اَنْتُمْ عٰبِدُوْنَ مَاۤ اَعْبُدُ ۚ

এবং তোমরাও তাঁর দাসত্বকারী নও, যাঁর দাসত্ব আমি করছি।

সূরা : সূরা আল কাফিরূন

لَاۤ اَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ ۙ

<p>আমি তাদের দাসত্ব করি না, যাদের দাসত্ব তোমরা করছ।</p><p>*50(2)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 39(71)...।</p>

সূরা : সূরা আল কাফিরূন

قُلْ يٰۤاَيُّهَا الْكٰفِرُوْنَ ۙ

তুমি বলে দাও ! হে কাফিরগণ।

সূরা : সূরা আল কাউছার

اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْاَبْتَرُ

নিশ্চয়ই যারা তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে তারাই নির্বংশ থাকবে।

সূরা : সূরা আল কাউছার

فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ ؕ

<p>সুতরাং তুমি শুধু তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে দায়িত্ব পালন কর এবং ত্যাগ স্বীকার কর।</p><p>*108(2)নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,6(162,163)...।</p>

সূরা : সূরা আল কাউছার

اِنَّاۤ اَعْطَيْنٰكَ الْكَوْثَرَ ؕ

নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মহা কল্যাণ দান করেছি।

সূরা : সূরা আল মাউন

وَيَمْنَعُوْنَ الْمَاعُوْنَ

<p>আর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র দিয়ে (প্রয়োজনের সময়) সাহায্য করে না।</p><p>*ماعون/" মাউন"</p><p>সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় তিন জিনিস।&nbsp;</p><p>যথা:-&nbsp;</p><p>(1) অন্ন,</p><p>(2)বস্র,</p><p>(3)বাসস্থান,</p>

সূরা : সূরা আল মাউন

الَّذِيْنَ هُمْ يُرَآءُوْنَ ۙ

যাদের বৈশিষ্ট্য হল,তারা লোক দেখানোর জন্য কাজ করে।

সূরা : সূরা আল মাউন

الَّذِيْنَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُوْنَ ۙ

<p>যারা তাদের নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে উদাসীন।</p><p>*107(5)নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,74(40-49)...।</p>

সূরা : সূরা আল মাউন

فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّيْنَ ۙ

অতএব ধ্বংস, ঐসব দায়িত্ব পালন কারীদের জন্য।

সূরা : সূরা আল মাউন

وَلَا يَحُضُّ عَلٰي طَعَامِ الْمِسْكِيْنِ ؕ

এবং অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানের ব্যাপারে উৎসাহিত করে না।

সূরা : সূরা আল মাউন

فَذٰلِكَ الَّذِيْ يَدُعُّ الْيَتِيْمَ ۙ

সে তো সে-ই যে বেসাহারাদেরকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

সূরা : সূরা আল মাউন

اَرَءَيْتَ الَّذِيْ يُكَذِّبُ بِالدِّيْنِ ؕ

তুমি কি তাকে দেখেছ, যে বিচারের দিনকে মিথ্যা অভিহিত করে?

সূরা : সূরা কুরাঈশ

الَّذِيْۤ اَطْعَمَهُمْ مِّنْ جُوْعٍ ۙ وَّاٰمَنَهُمْ مِّنْ خَوْفٍ

যিনি তাদের ক্ষুধায় খাবার দেন এবং তাদেরকে ভয় থেকে নিরাপত্তা দান করেন।

সূরা : সূরা কুরাঈশ

فَلْيَعْبُدُوْا رَبَّ هٰذَا الْبَيْتِ ۙ

অতএব তাদের উচিত এই বিশেষ ঘরের মহান প্রতিপালকের দাসত্ব করা।

সূরা : সূরা কুরাঈশ

اٖلٰفِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَآءِ وَالصَّيْفِ ۚ

শীত ও গ্রীষ্মের দিনে যারা এই আসক্তিতে ভ্রমণ করে থাকে।

সূরা : সূরা কুরাঈশ

لِاِيْلٰفِ قُرَيْشٍ ۙ

আমদানী রফতানীকারকদের আসক্তি।

সূরা : সূরা আল ফীল

فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّاْكُوْلٍ

অতঃপর তিনি তাদেরকে খাওয়া/বক্ষিত ভুসির মত করে দেন।

সূরা : সূরা আল ফীল

تَرْمِيْهِمْ بِحِجَارَةٍ مِّنْ سِجِّيْلٍ ۪ۙ

পোড়া মাটির কংকর থেকে তাদের উপর নিক্ষেপ করে।

সূরা : সূরা আল ফীল

وَّاَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا اَبَابِيْلَ ۙ

এবং তাদের উপরে অশুভ হাওয়া পাঠিয়েছেন।

সূরা : সূরা আল ফীল

اَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِيْ تَضْلِيْلٍ ۙ

তাদের ষড়যন্ত্র কি ব্যার্থতায় পরিণত করে রাখেন নি ?

সূরা : সূরা আল ফীল

اَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِاَصْحٰبِ الْفِيْلِ ؕ

তুমি কি দেখ নি তোমার প্রতিপালক বদ-শক্তি ধারণকারীদের সাথে কেমন করেছেন ?