সূরা : সুরা ফাতির

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ فَاطِرِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ جَاعِلِ الْمَلٰٓئِكَةِ رُسُلًا اُولِيْۤ اَجْنِحَةٍ مَّثْنٰي وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ ؕ يَزِيْدُ فِي الْخَلْقِ مَا يَشَآءُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্ঠা, মালা-ইকাদেরকে বাণীবাহক রূপে নিয়োগ করে রেখেছেন, যাদের দু'টি, তিনটি ও চারটি করে ডানা রয়েছে, সৃষ্টির মধ্যে তিনি নিজ ইচ্ছে মতো বাড়িয়ে দেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুরই উপরে পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

*35(1),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 27(20-28),

সূরা : সুরা ফাতির

مَا يَفْتَحِ اللّٰهُ لِلنَّاسِ مِنْ رَّحْمَةٍ فَلَا مُمْسِكَ لَهَا ۚ وَمَا يُمْسِكْ ۙ فَلَا مُرْسِلَ لَهٗ مِنْۢ بَعْدِهٖ ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

আল্লাহ মানুষের জন্যে তাঁর অনুগ্রহের ভান্ডার হ'তে যা কিছু খুলে দেন, তা ফিরিয়ে রাখার মতো কেউ নেই, আর যা আটকে রাখেন, তা পাঠিয়ে দেয়ার মতো কেউ নেই, একমাত্র আল্লাহ‌ ছাড়া। তিনি‌ হলেন মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা ফাতির

يٰۤاَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوْا نِعْمَتَ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ ؕ هَلْ مِنْ خَالِقٍ غَيْرُ اللّٰهِ يَرْزُقُكُمْ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ ؕ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۫ۖ فَاَنّٰي تُؤْفَكُوْنَ

হে মানব সম্প্রদায় ! তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো। আল্লাহ ব্যতীত কোনো সৃষ্টিকর্তা আছে কি ? যে তোমাদেরকে আকাশ ও পৃথিবী হ'তে জীবিকা দিবে? তিনি‌ ছাড়া কোনো সত্যিকারের বিধান দাতা নেই। তা'হলে তোমরা কেমন করে ফিরে যাচ্ছো ?

সূরা : সুরা ফাতির

وَاِنْ يُّكَذِّبُوْكَ فَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِّنْ قَبْلِكَ ؕ وَاِلَي اللّٰهِ تُرْجَعُ الْاُمُوْرُ

তারা যদি তোমাকে মিথ্যারোপ করে, তাহলে তোমার পূর্বেকার রাসূলদেরকেও তো মিথ্যারোপ করা হয়েছে। আসলে সব বিষয় আল্লাহর দিকেই ফিরিয়ে আনা হয়।

সূরা : সুরা ফাতির

يٰۤاَيُّهَا النَّاسُ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا ٝ وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ بِاللّٰهِ الْغَرُوْرُ

হে মানব সম্প্রদায় ! নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য ! সুতরাং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে যেন ধোকা না দেয়। আর আল্লাহর নামে যেন সেই ধোঁকাবাজ (পীর, মৌলোভীরা) তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয়।

সূরা : সুরা ফাতির

اِنَّ الشَّيْطٰنَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوْهُ عَدُوًّا ؕ اِنَّمَا يَدْعُوْا حِزْبَهٗ لِيَكُوْنُوْا مِنْ اَصْحٰبِ السَّعِيْرِ ؕ

নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের জন্যে শত্রু। সুতরাং তোমরা তাকে শত্রু হিসেবেই গ্রহণ করবে। সে তো তার দলবলকে ডাকতে থাকে, যেন তারা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়।

সূরা : সুরা ফাতির

اَلَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيْدٌ ؕ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّاَجْرٌ كَبِيْرٌ

যারা কাফির হয়েছে, তাদের সবার জন্যেই তো কঠোর শাস্তি রয়েছে। আর যারা ঈমান এনে সংশোধনের কাজ করেছে, তাদের সবার জন্যে ক্ষমা ও বড় পুরুস্কার রয়েছে।

সূরা : সুরা ফাতির

اَفَمَنْ زُيِّنَ لَهٗ سُوْٓءُ عَمَلِهٖ فَرَاٰهُ حَسَنًا ؕ فَاِنَّ اللّٰهَ يُضِلُّ مَنْ يَّشَآءُ وَيَهْدِيْ مَنْ يَّشَآءُ ۫ۖ فَلَا تَذْهَبْ نَفْسُكَ عَلَيْهِمْ حَسَرٰتٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌۢ بِمَا يَصْنَعُوْنَ

যে লোকের জন্যে তার কাজ কর্মের খারাপ দিকটাই সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে রাখা হয়েছে, আর সে নিজেও তা সুন্দর দেখেছে। অতঃপর যে খুশী আল্লাহ থেকে বিভ্রান্ত থাকুক আর যে খুশী সঠিক পথে চলুক। সুতরাং তাদের জন্যে আফসোস করতে করতে তোমার জীবনটাকে শেষ করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ খুব জানেন, তারা যা কিছু করে যাচ্ছে।

সূরা : সুরা ফাতির

وَاللّٰهُ الَّذِيْۤ اَرْسَلَ الرِّيٰحَ فَتُثِيْرُ سَحَابًا فَسُقْنٰهُ اِلٰي بَلَدٍ مَّيِّتٍ فَاَحْيَيْنَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ؕ كَذٰلِكَ النُّشُوْرُ

আর তিনিই আল্লাহ, যিনি বাতাস পাঠান, অতঃপর তিনি মেঘমালা সঞ্চালন করেন। তারপরে সেই মেঘমালাকে মৃত নির্জীব ভূখন্ডের দিকে পরিচালনা করেন। অতঃপর তা দিয়ে মাটিকে তার মৃত্যুর পরে জীবিত করেন। এভাবেই তো পুনরুত্থান ঘটবে।

সূরা : সুরা ফাতির

مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْعِزَّةَ فَلِلّٰهِ الْعِزَّةُ جَمِيْعًا ؕ اِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهٗ ؕ وَالَّذِيْنَ يَمْكُرُوْنَ السَّيِّاٰتِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيْدٌ ؕ وَمَكْرُ اُولٰٓئِكَ هُوَ يَبُوْرُ

যে কেউ সন্মান পেতে চায় (তবে সে জেনে রাখুক) সব সম্মান তো শুধু আল্লাহর জন্যেই ! তাঁরই দিকে উঠে ভালো কথা, আর সংশোধনের কাজ তা উন্নীত করে। আর যারা মন্দ কাজের জন্য ষড়যন্ত্র করে তাদের জন্যে কঠোর শাস্তি রয়েছে। আর তাদের ষড়যন্ত্র তো ব্যর্থ হবে।

সূরা : সুরা ফাতির

وَاللّٰهُ خَلَقَكُمْ مِّنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُّطْفَةٍ ثُمَّ جَعَلَكُمْ اَزْوَاجًا ؕ وَمَا تَحْمِلُ مِنْ اُنْثٰي وَلَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلْمِهٖ ؕ وَمَا يُعَمَّرُ مِنْ مُّعَمَّرٍ وَّلَا يُنْقَصُ مِنْ عُمُرِهٖۤ اِلَّا فِيْ كِتٰبٍ ؕ اِنَّ ذٰلِكَ عَلَي اللّٰهِ يَسِيْرٌ

আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, এরপর শুক্র থেকে, এরপর তোমাদেরকে যুগল দম্পতি হিসেবে গড়ে তুলেছেন। নারীদের মধ্যে কেউ কিছু গর্ভে ধারণ করতে কিংবা প্রসব করতে পারে না, আল্লাহর‌ অজান্তে। আর বয়স্কলোকের মধ্যে কেউ দীর্ঘায়ু লাভ করতে পারে না, আবার কারোর আয়ু থেকে কিছুমাত্র কমিয়ে দেওয়া হয় না, যা এই লিখিত কিতাবে রয়েছে (তাই হবে)। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহর জন্যে খুবই সহজ কাজ।

সূরা : সুরা ফাতির

وَمَا يَسْتَوِي الْبَحْرٰنِ ۖ هٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ سَآئِغٌ شَرَابُهٗ وَهٰذَا مِلْحٌ اُجَاجٌ ؕ وَمِنْ كُلٍّ تَاْكُلُوْنَ لَحْمًا طَرِيًّا وَّتَسْتَخْرِجُوْنَ حِلْيَةً تَلْبَسُوْنَهَا ۚ وَتَرَي الْفُلْكَ فِيْهِ مَوَاخِرَ لِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِهٖ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ

আর দুটো সাগরের স্রোত কখনো বরাবর হিসেবে গণ্য হতে পারে না। এই একটি মিঠা পানির স্রোত যা পিপাসা দূর করে দেয়। আর অপরটি হলো ক্ষার বিস্বাদ-কটু। কিন্তু এই দুটো বিপরীত মুখী স্রোত হতে তোমরা টাটকা গোশ্ত খেয়ে থাকো। তা থেকে বের করে নিয়ে এসো অলংকার যা তোমরা পরিধান করে থাকো। আর তুমি দেখতে পাবে, জাহাজগুলো কিভাবে পানির বুক চীরে এগিয়ে যাচ্ছে, যাতে তোমরা তাঁর দান সামগ্রী খুঁজতে পারো এবং তোমরা যাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো।

সূরা : সুরা ফাতির

يُوْلِجُ الَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُوْلِجُ النَّهَارَ فِي الَّيْلِ ۙ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ ۫ۖ كُلٌّ يَّجْرِيْ لِاَجَلٍ مُّسَمًّي ؕ ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمْ لَهُ الْمُلْكُ ؕ وَالَّذِيْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖ مَا يَمْلِكُوْنَ مِنْ قِطْمِيْرٍ ؕ

তিনি রাতকে দিনের মধ্যে আর দিনকে রাতের মধ্যে মিশিয়ে দেন। আর তিনিই সূর্য ও চাঁদকে কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত সবাই চলমান রয়েছে, সেই আল্লাহই তোমাদের প্রতিপালক,সার্বভৌমত্ব তাঁরই ‌। আর তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে যাদেরকে (মৃত বুজুর্গ পীরদেরকে) ডেকে যাচ্ছো, তারা তো একটা খেজুরের আঁটির পর্দারও মালিক নয়।

সূরা : সুরা ফাতির

اِنْ تَدْعُوْهُمْ لَا يَسْمَعُوْا دُعَآءَكُمْ ۚ وَلَوْ سَمِعُوْا مَا اسْتَجَابُوْا لَكُمْ ؕ وَيَوْمَ الْقِيٰمَةِ يَكْفُرُوْنَ بِشِرْكِكُمْ ؕ وَلَا يُنَبِّئُكَ مِثْلُ خَبِيْرٍ তোমরা যদি তাদেরকে ডাকতেই থাকো, তাহলে তারা কিছুই শুনতে পাবে না, তোমাদের ডাক চিৎকার। আর যদি তারা কিছু শুনেও, তবুও তোমাদের জন্যে সাড়া দিতে পারবে না। আর কিয়ামতের দিন তারা তোমাদের শিরিকী কাজ-কর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করবে। আর কেউ তোমাদেরকে সর্বজ্ঞ আল্লাহর ন্যায় অবহিত করতে পারবে না।

তোমরা যদি তাদেরকে ডাকতেই থাকো, তাহলে তারা কিছুই শুনতে পাবে না, তোমাদের ডাক চিৎকার। আর যদি তারা কিছু শুনেও, তবুও তোমাদের জন্যে সাড়া দিতে পারবে না। আর কিয়ামতের দিন তারা তোমাদের শিরিকী কাজ-কর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করবে। আর কেউ তোমাদেরকে সর্বজ্ঞ আল্লাহর ন্যায় অবহিত করতে পারবে না।

সূরা : সুরা ফাতির

يٰۤاَيُّهَا النَّاسُ اَنْتُمُ الْفُقَرَآءُ اِلَي اللّٰهِ ۚ وَاللّٰهُ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيْدُ

হে মানব সম্প্রদায়! তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে ফকির, কিন্তু আল্লাহ হলেন এমন যে, তিনিই অভাবমুক্ত ও প্রশংসিত।

সূরা : সুরা ফাতির

اِنْ يَّشَاْ يُذْهِبْكُمْ وَيَاْتِ بِخَلْقٍ جَدِيْدٍ ۚ

তিনি‌ যদি ইচ্ছা করেন, তাহলে তোমাদেরকে নিয়ে যাবেন, আর নতুন এক সৃষ্টি নিয়ে আসবেন।

সূরা : সুরা ফাতির

وَمَا ذٰلِكَ عَلَي اللّٰهِ بِعَزِيْزٍ

আর এই কাজটি আল্লাহর জন্যে কিছুমাত্র কঠিন নয়।

সূরা : সুরা ফাতির

وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰي ؕ وَاِنْ تَدْعُ مُثْقَلَةٌ اِلٰي حِمْلِهَا لَا يُحْمَلْ مِنْهُ شَيْءٌ وَّلَوْ كَانَ ذَا قُرْبٰي ؕ اِنَّمَا تُنْذِرُ الَّذِيْنَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ ؕ وَمَنْ تَزَكّٰي فَاِنَّمَا يَتَزَكّٰي لِنَفْسِهٖ ؕ وَاِلَي اللّٰهِ الْمَصِيْرُ

আর কেউ কারোর বোঝা বহন করবে না। যদি নিজের বোঝা হালকা করার জন্যে কাউকে ডাকেও, তবুও সে তার কিছুমাত্র বোঝা বহন করতে রাজী হবে না, হোক না সে অত্যন্ত ঘনিষ্ট আত্মীয়। তুমি তাদের জন্যই সতর্ককারী, যারা তাদের প্রতিপালককে চাক্ষুসভাবে না দেখেও ভয় করে চলে, আর দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করে। আর যে কেউ পরিশুদ্ধি অর্জন করবে, সে তো শুধু তার নিজের জন্যই পরিশুদ্ধি অর্জন করবে। আসলে আল্লাহর দিকেই তো সবাইকে ফিরে যেতে হবে।

সূরা : সুরা ফাতির

وَمَا يَسْتَوِي الْاَعْمٰي وَالْبَصِيْر

অন্ধ ও দৃষ্টিমান ব্যক্তি সমান নয়।

সূরা : সুরা ফাতির

وَلَا الظُّلُمٰتُ وَلَا النُّوْرُ ۙ

অন্ধকার ও আলো এক নয়।

সূরা : সুরা ফাতির

وَلَا الظِّلُّ وَلَا الْحَرُوْرُ ۚ

ছায়া আর গরম রৌদ্র মোটেই এক নয়।

সূরা : সুরা ফাতির

وَمَا يَسْتَوِي الْاَحْيَآءُ وَلَا الْاَمْوَاتُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ يُسْمِعُ مَنْ يَّشَآءُ ۚ وَمَاۤ اَنْتَ بِمُسْمِعٍ مَّنْ فِي الْقُبُوْرِ

জীবিত আর মৃত মোটেই সমান নয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ শুনিয়ে থাকেন যে কেউ (শুনতে) চায়। কিন্তু যে ব্যক্তি কবরের মধ্যে রয়েছে, তাকে তো আর তুমি শুনাতে পারবে না।

সূরা : সুরা ফাতির

اِنْ اَنْتَ اِلَّا نَذِيْرٌ

তুমি তো শুধু সতর্ককারী বৈ-তো-নও।

সূরা : সুরা ফাতির

اِنَّاۤ اَرْسَلْنٰكَ بِالْحَقِّ بَشِيْرًا وَّنَذِيْرًا ؕ وَاِنْ مِّنْ اُمَّةٍ اِلَّا خَلَا فِيْهَا نَذِيْرٌ

নিশ্চয় আমি তোমাকে সত্যসহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি। আর এমন কোনো জাতি নেই, যাদের মধ্যে কোনো সতর্ককারী আসেনি।

সূরা : সুরা ফাতির

وَاِنْ يُّكَذِّبُوْكَ فَقَدْ كَذَّبَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ۚ جَآءَتْهُمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَيِّنٰتِ وَبِالزُّبُرِ وَبِالْكِتٰبِ الْمُنِيْرِ

আর তারা যদি তোমাকে মিথ্যারোপ করে, তবে তাদের পূর্বে যারা এসেছে তাদেরকেও মিথ্যারোপ করা হয়েছে। তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণাদি এবং (6236, টি আয়াতের) টুকরা সমূহ ও উজ্জল আলোকময় আল কিতাব নিয়ে এসেছিল।

সূরা : সুরা ফাতির

ثُمَّ اَخَذْتُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فَكَيْفَ كَانَ نَكِيْرِ

এরপরে আমিই তাদেরকে পাকড়াও করেছি। যারা অস্বীকার করেছিলো। অতঃপর (দেখো) আমার শাস্তি কেমন দাঁড়ালো?

সূরা : সুরা ফাতির

اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ اَنْزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً ۚ فَاَخْرَجْنَا بِهٖ ثَمَرٰتٍ مُّخْتَلِفًا اَلْوَانُهَا ؕ وَمِنَ الْجِبَالِ جُدَدٌۢ بِيْضٌ وَّحُمْرٌ مُّخْتَلِفٌ اَلْوَانُهَا وَغَرَابِيْبُ سُوْدٌ

তুমি কি দেখোনি যে, আল্লাহই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দিয়ে আমি নানান রঙের ফলমূল উৎপন্ন করে থাকি। আর পাহাড়ের নানান জায়গায় এমন সব ঘাঁটি রয়েছে, যা সাদা ও লাল, নানা রঙের আর নিকষ কালো।

সূরা : সুরা ফাতির

وَمِنَ النَّاسِ وَالدَّوَآبِّ وَالْاَنْعَامِ مُخْتَلِفٌ اَلْوَانُهٗ كَذٰلِكَ ؕ اِنَّمَا يَخْشَي اللّٰهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمٰٓؤُا ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِيْزٌ غَفُوْرٌ

আর মানুষ, কীট, পতঙ্গ ও পশুদের মধ্যেও তেমনই নানান রঙের দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে তারাই ভয় করে চলে, তাঁর দাসদের মধ্য হ'তে যারা বিশেষ জ্ঞান রাখে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা সম্মানী ও পরম ক্ষমাশীল।

সূরা : সুরা ফাতির

اِنَّ الَّذِيْنَ يَتْلُوْنَ كِتٰبَ اللّٰهِ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاَنْفَقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ سِرًّا وَّعَلَانِيَةً يَّرْجُوْنَ تِجَارَةً لَّنْ تَبُوْرَ ۙ

নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, আর যথাযথভাবে দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করে, আর আমি যে জীবিকা তাদেরকে দিয়েছি তা হ'তে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই তো এমন ব্যবসার আশা করতে পারে,যা কখনও ব্যর্থ হবে না।

সূরা : সুরা ফাতির

لِيُوَفِّيَهُمْ اُجُوْرَهُمْ وَيَزِيْدَهُمْ مِّنْ فَضْلِهٖ ؕ اِنَّهٗ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ

(আল্লাহ) যেনো তাদের প্রতিফল পুর্ণমাত্রায় দান করেন, আর তাঁর দান সামগ্রী থেকে আরও বেশী বাড়িয়ে দেন। নিশ্চয়ই তিনি হলেন বড়ই ক্ষমাশীল ও গুনগ্রাহী।

সূরা : সুরা ফাতির

وَالَّذِيْۤ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ مِنَ الْكِتٰبِ هُوَ الْحَقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِعِبَادِهٖ لَخَبِيْرٌۢ بَصِيْرٌ

আর আমি আল কিতাব থেকে যা কিছু তোমার প্রতি ওহী করি, তাই সত্য। সামনে যা রয়েছে তার সত্যতা প্রমাণ করছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর দাসদের সব খবরই রাখেন এবং সব কিছু দেখছেন।

সূরা : সুরা ফাতির

ثُمَّ اَوْرَثْنَا الْكِتٰبَ الَّذِيْنَ اصْطَفَيْنَا مِنْ عِبَادِنَا ۚ فَمِنْهُمْ ظَالِمٌ لِّنَفْسِهٖ ۚ وَمِنْهُمْ مُّقْتَصِدٌ ۚ وَمِنْهُمْ سَابِقٌۢ بِالْخَيْرٰتِ بِاِذْنِ اللّٰهِ ؕ ذٰلِكَ هُوَ الْفَضْلُ الْكَبِيْرُ ؕ

এরপরে আমি তাদেরকে এই আল কিতাবের উত্তরাধিকারী বানিয়েছি, যাদেরকে আমি আমার দাসদের মধ্য হ'তে মনোনীত করেছি। অতঃপর তাদের মধ্য হতে কেউ তার নিজের প্রতি হয় অত্যাচারী। আবার তাদের মধ্যে রয়েছে কেউ মধ্যপন্থী। আবার তাদের মধ্যে কেউ রয়েছে আল্লাহর অনুমতিক্রমে কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। এটাই সেই মহা অনুগ্রহ।

*35(32) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(121)...।

সূরা : সুরা ফাতির

جَنّٰتُ عَدْنٍ يَّدْخُلُوْنَهَا يُحَلَّوْنَ فِيْهَا مِنْ اَسَاوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَّلُؤْلُؤًا ۚ وَلِبَاسُهُمْ فِيْهَا حَرِيْرٌ

জান্নাতের চিরস্থায়ী বাসস্থান, যেখানে তারা প্রবেশ করবে। সেখানে তাদের স্বর্ণ ও মুক্তা দিয়ে তৈরী বলয় পরানো হবে। আর তাদের পোষাক হবে রেশমের।

সূরা : সুরা ফাতির

وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْۤ اَذْهَبَ عَنَّا الْحَزَنَ ؕ اِنَّ رَبَّنَا لَغَفُوْرٌ شَكُوْرُۨ ۙ

আর তারা বলবে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি আমাদের কাছ থেকে দুচিন্তা দূর করেছেন। নিশ্চয়ই আমাদের প্রতিপালক ক্ষমাশীল ও গুনগ্রাহী।

সূরা : সুরা ফাতির

الَّذِيْۤ اَحَلَّنَا دَارَ الْمُقَامَةِ مِنْ فَضْلِهٖ ۚ لَا يَمَسُّنَا فِيْهَا نَصَبٌ وَّلَا يَمَسُّنَا فِيْهَا لُغُوْبٌ

যিনি তাঁর অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাদেরকে বাস করার জন্যে স্থায়ী নিবাসে স্হান দিয়েছেন। এখন আর কষ্ট-ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না, আর ক্লান্তিও আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না।

সূরা : সুরা ফাতির

وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَهُمْ نَارُ جَهَنَّمَ ۚ لَا يُقْضٰي عَلَيْهِمْ فَيَمُوْتُوْا وَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمْ مِّنْ عَذَابِهَا ؕ كَذٰلِكَ نَجْزِيْ كُلَّ كَفُوْرٍ ۚ

আর যারা কাফির হয়েছে, তাদের জন্যে তো জাহান্নামের আগুন রয়েছে। তাদের প্রতি এমন কোনো ফায়সালা দেয়া হবে না, যে তারা মরবে। আর সেখানকার শাস্তি তাদের জন্যে কিছুমাত্র কম করা হবে না। এরূপেই আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞ কাফিরকে প্রতিফল দিবো।

সূরা : সুরা ফাতির

وَهُمْ يَصْطَرِخُوْنَ فِيْهَا ۚ رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِيْ كُنَّا نَعْمَلُ ؕ اَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَّا يَتَذَكَّرُ فِيْهِ مَنْ تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ النَّذِيْرُ ؕ فَذُوْقُوْا فَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ نَّصِيْرٍ

সেখানে তারা চিৎকার করতে থাকবে, বলবে হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদেরকে বের করুন, যেনো আমরা সংশোধনের কাজ করতে পারি, তেমন কাজ নয় যা আমরা (দুনিয়াতে) করেছিলাম। (বলা হবে) আমি কি তোমাদেরকে এতটা আয়ু দান করিনি ? যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করে উপদেশ মতে চলতে পারতে। আর তোমাদের কাছে তো সতর্ককারীও এসেছে। সুতরাং তোমরা স্বাদ নাও, কিন্তু সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নাই।

সূরা : সুরা ফাতির

اِنَّ اللّٰهَ عٰلِمُ غَيْبِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ اِنَّهٗ عَلِيْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ

নিশ্চয়ই আল্লাহ আকাশের ও পৃথিবীর গোপন রহস্যের বিষয় সম্পর্কে জানেন। তিনি অন্তরসমূহের অবস্থা সম্পর্কেও খুব ভালো করেই জানেন।

সূরা : সুরা ফাতির

هُوَ الَّذِيْ جَعَلَكُمْ خَلٰٓئِفَ فِي الْاَرْضِ ؕ فَمَنْ كَفَرَ فَعَلَيْهِ كُفْرُهٗ ؕ وَلَا يَزِيْدُ الْكٰفِرِيْنَ كُفْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ اِلَّا مَقْتًا ۚ وَلَا يَزِيْدُ الْكٰفِرِيْنَ كُفْرُهُمْ اِلَّا خَسَارًا

তিনিই তোমাদেরকে এই পৃথিবীতে একের পর এক ক্ষমতা প্রয়োগকারীর মর্যাদার আসন দান করেছেন। অতঃপর যে কেউ অবিশ্বাস করবে, তখন তার অবিশ্বাসের শাস্তি তার নিজের উপরেই পড়বে। আসলে কাফিরদের অবাধ্যতার ফলে তাদের কুফরী ছাড়া আর কিছু বেড়ে যায় না, শুধু তাদের প্রতিপালকের ‍নিকট অসন্তোষ ছাড়া। কাফিরদের অবাধ্যতা শুধু তাদের ক্ষয়-ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করে না।

সূরা : সুরা ফাতির

قُلْ اَرَءَيْتُمْ شُرَكَآءَكُمُ الَّذِيْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ اَرُوْنِيْ مَاذَا خَلَقُوْا مِنَ الْاَرْضِ اَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِي السَّمٰوٰتِ ۚ اَمْ اٰتَيْنٰهُمْ كِتٰبًا فَهُمْ عَلٰي بَيِّنَتٍ مِّنْهُ ۚ بَلْ اِنْ يَّعِدُ الظّٰلِمُوْنَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا اِلَّا غُرُوْرًا

তুমি বল, ‘তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডেকে থাকো, সেই শরীকদের কথা ভেবে দেখেছ কি? আমাকে দেখাও তারা পৃথিবীর কী সৃষ্টি করেছে? অথবা আসমানসমূহের মধ্যে কি তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে? অথবা আমি কি তাদেরকে কোন কিতাব দিয়েছি (এই আল কিতাব বাদে), যার কোন সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর তারা আছে’? বরং সীমালঙ্ঘনকারীরা একে অপরকে কেবল ধোঁকার প্রতিশ্রুতিই দিয়ে থাকে।

সূরা : সুরা ফাতির

اِنَّ اللّٰهَ يُمْسِكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ اَنْ تَزُوْلَا ۚ وَلَئِنْ زَالَتَاۤ اِنْ اَمْسَكَهُمَا مِنْ اَحَدٍ مِّنْۢ بَعْدِهٖ ؕ اِنَّهٗ كَانَ حَلِيْمًا غَفُوْرًا

নিশ্চয়ই আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছেন, যেন কক্ষচ্যুত না হয়। কিন্তু যদি তা কক্ষচ্যুত হয়, তাহলে আল্লাহ‌ ছাড়া আর তো কেউ এমন নেই, যে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। নিশ্চয়ই তিনি হলেন বড়ই সহনশীল, ক্ষমাশীল।

সূরা : সুরা ফাতির

وَاَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَيْمَانِهِمْ لَئِنْ جَآءَهُمْ نَذِيْرٌ لَّيَكُوْنُنَّ اَهْدٰي مِنْ اِحْدَي الْاُمَمِ ۚ فَلَمَّا جَآءَهُمْ نَذِيْرٌ مَّا زَادَهُمْ اِلَّا نُفُوْرَۨا ۙ

তারা সবাই আল্লাহর কসম খেয়ে তাদের নিজেদের শপথ পাকাপোক্ত করেছিলো যে, তাদের কাছে যদি কোনো সতর্ককারী এসে পড়ে, তাহলে তারা প্রত্যেকটি সম্প্রদায়ের তুলনায় সত্য সঠিক পথে অনেক বেশি এগিয়ে যাবে। কিন্তু তাদের কাছে যখন সতর্ককারী আসে তখন তাদের বেয়াড়াপনা-বিমূখতা ছাড়া আর কিছুই বাড়ে না।

সূরা : সুরা ফাতির

اسْتِكْـبَارًا فِي الْاَرْضِ وَمَكْرَ السَّيِّيَٴ ؕ وَلَا يَحِيْقُ الْمَكْرُ السَّيِّيٴُ اِلَّا بِاَهْلِهٖ ؕ فَهَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا سُنَّتَ الْاَوَّلِيْنَ ۚ فَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَبْدِيْلًا ۚ وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّتِ اللّٰهِ تَحْوِيْلًا

পৃথিবীর মধ্যে অহংকার করে বেড়ানো আর অপকর্মের মতলবে ষড়যন্ত্র চালবাজী ছড়ানো, খারাপ ষড়যন্ত্রের চাল উল্টা তার ঘাড়েই শুধু চাপবে, যে ষড়যন্ত্র করছে, আর কারোর উপরে নয়। তবুও তারা আগেকার লোকদের রীতি নীতির জন্যই অপেক্ষা করছে। সুতরাং আল্লাহর সুন্নাতের ক্ষেত্রে তুমি কোনো পরিবর্তন পাবে না, আর তুমি কখনও আল্লাহর সুন্নাতে ব্যতিক্রমও দেখতে পাবে না।

সূরা : সুরা ফাতির

اَوَلَمْ يَسِيْرُوْا فِي الْاَرْضِ فَيَنْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَكَانُوْۤا اَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةً ؕ وَمَا كَانَ اللّٰهُ لِيُعْجِزَهٗ مِنْ شَيْءٍ فِي السَّمٰوٰتِ وَلَا فِي الْاَرْضِ ؕ اِنَّهٗ كَانَ عَلِيْمًا قَدِيْرًا

তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না ! যাতে তারা দেখতে পাবে তাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদের পরিণাম কি দাঁড়িয়েছে, তারা তো তাদের চাইতে বেশি শক্তিশালী ছিলো। আল্লাহ তো এমন নন যে, আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর মধ্যে কোথাও তাঁকে কোনো বিষয়ে কিছুমাত্র কাবু করা যেতে পারে। নিশ্চয়ই তিনি হলেন মহাজ্ঞানী ও পূর্ণ ক্ষমতাবান।

সূরা : সুরা ফাতির

وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللّٰهُ النَّاسَ بِمَا كَسَبُوْا مَا تَرَكَ عَلٰي ظَهْرِهَا مِنْ دَآبَّةٍ وَّلٰكِنْ يُّؤَخِّرُهُمْ اِلٰۤي اَجَلٍ مُّسَمًّي ۚ فَاِذَا جَآءَ اَجَلُهُمْ فَاِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِعِبَادِهٖ بَصِيْرًا

আর আল্লাহ যদি মানুষকে তার কর্মের জন্যে পাকড়াও করেন, তাহলে জীবন্ত প্রাণীদের মধ্যে দুনিয়ার বুকে একটিও বাদ দিবেন না। তবে কি তিনি‌ সুনির্দিষ্ট একটি মেয়াদ পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে থাকেন। অবশেষে তাদের ওয়াদা যখন এসে পড়বে, তখন একমাত্র আল্লাহই তাঁর দাসদের সবাইকে নজরে রাখবেন।