সূরা : সুরা রা'দ

الٓمٓرۚ تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱلْكِتَٰبِۗ وَٱلَّذِىٓ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ ٱلْحَقُّ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يُؤْمِنُونَ


আলিফ লা-ম মী-ম রা! এগুলো সেই আল কিতাবের আয়াতসমূহ। আর তোমার প্রতি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা সত্য। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনে না। 

সূরা : সুরা রা'দ

ٱللَّهُ ٱلَّذِى رَفَعَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَاۖ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِۖ وَسَخَّرَ ٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَۖ كُلٌّ يَجْرِى لِأَجَلٍ مُّسَمًّىۚ يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَ يُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّكُم بِلِقَآءِ رَبِّكُمْ تُوقِنُونَ


তিনিই আল্লাহ, যিনি কোন খুঁটি ছাড়া আকাশমন্ডলীকে উপরে স্থাপন করেছেন যা তোমরা দেখছো। এরপর আল্লাহ পরিচালনার একটি কেন্দ্র তৈরী করেছেন। সূর্য ও চাঁদকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট গতিতে একটি সময়ের জন্যে চলছে। তিনিই সকল বিষয় পরিচালনা করেন, আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতকার সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাসী হতে পারো।

সূরা : সুরা রা'দ

وَهُوَ ٱلَّذِى مَدَّ ٱلْأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَٰسِىَ وَأَنْهَٰرًاۖ وَمِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ ٱثْنَيْنِۖ يُغْشِى ٱلَّيْلَ ٱلنَّهَارَۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ


তিনিই তো জমিনকে বিস্তৃত করেছেন। আর তাতে সুদৃঢ় পর্বতমালা ও নদ-নদী সৃষ্টি করেছেন। আর তাতে সব রকমের ফল দুটো করে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। তিনিই তো রাত দিয়ে দিনকে ঢেকে রাখেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ঐ লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে, যারা চিন্তা-ভাবনা করে।

সূরা : সুরা রা'দ

وَفِى ٱلْأَرْضِ قِطَعٌ مُّتَجَٰوِرَٰتٌ وَجَنَّٰتٌ مِّنْ أَعْنَٰبٍ وَزَرْعٌ وَنَخِيلٌ صِنْوَانٌ وَغَيْرُ صِنْوَانٍ يُسْقَىٰ بِمَآءٍ وَٰحِدٍ وَنُفَضِّلُ بَعْضَهَا عَلَىٰ بَعْضٍ فِى ٱلْأُكُلِۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ


আর ক্ষেত খামারের কত অসংখ্য টুকরা রয়েছে, একটার সাথে আরেকটার কাছাকাছি মিলানো অবস্থায়। আর তাতে আংগুরের জান্নাত-বাগান, ফসল ক্ষেত, আর খেজুর গাছ, যার কোনোটাতে গোছা (ছড়া) নেই আবার কোনোটাতে একটিমাত্র গোছা রয়েছে। কিন্তু এসবে একই পানি সেচ করা হয়। অথচ আমিই খাবারের (স্বাদের) মধ্যে একটিকে অন্য আরেকটির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে থাকি। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ঐসব লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে, যারা বুঝে।

সূরা : সুরা রা'দ

وَإِن تَعْجَبْ فَعَجَبٌ قَوْلُهُمْ أَءِذَا كُنَّا تُرَٰبًا أَءِنَّا لَفِى خَلْقٍ جَدِيدٍۗ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِرَبِّهِمْۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ ٱلْأَغْلَٰلُ فِىٓ أَعْنَاقِهِمْۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ


আর তুমি যদি বিষ্মিত হতে চাও, তাহলে তাদের এ কথাই তো কতো বিষ্ময়কর! তারা বলে আমরা যখন মাটি হয়ে যাবো, তখন নাকি আবার (নতুন করে) আমাদেরকে সৃষ্টি করা হবে ? ঐসব লোক তো তারাই, যারা তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করেছে। তাদের গলায় শিকল পরানো হবে। তারাই তো আগুনের অধিবাসী। সেখানেই তারা চিরকাল থাকবে।

সূরা : সুরা রা'দ

وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِٱلسَّيِّئَةِ قَبْلَ ٱلْحَسَنَةِ وَقَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِمُ ٱلْمَثُلَٰتُۗ وَإِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ لِّلنَّاسِ عَلَىٰ ظُلْمِهِمْۖ وَإِنَّ رَبَّكَ لَشَدِيدُ ٱلْعِقَابِ


আর তারা তোমার কাছে ভালোর পূর্বেই মন্দের ব্যপারে তাড়াহুড়ো করছে। অথচ তাদের আগেও কতবার শিক্ষামূলক দৃষ্টান্তসমূহ গত হয়েছে। আসলে তোমার প্রতিপালক মানুষের জন্যে বড়ই ক্ষমাশীল, তাদের সীমালংঘন করা সত্বেও। তবে নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক শাস্তিদানে কঠোর। 

সূরা : সুরা রা'দ

وَيَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْلَآ أُنزِلَ عَلَيْهِ ءَايَةٌ مِّن رَّبِّهِۦٓۗ إِنَّمَآ أَنتَ مُنذِرٌۖ وَلِكُلِّ قَوْمٍ هَادٍ

আর যারা অস্বীকার করেছে, তারা বলে! তার উপর কোনো আয়াত তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কেন অবতীর্ণ করা হয় না ? তুমি কেবল একজন সতর্ককারী। আর প্রত্যেক জাতির জন্যই তো পথ প্রদর্শণকারী রয়েছে।

সূরা : সুরা রা'দ

ٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنثَىٰ وَمَا تَغِيضُ ٱلْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُۖ وَكُلُّ شَىْءٍ عِندَهُۥ بِمِقْدَارٍ


আল্লাহ জানেন প্রত্যেকটি নারী গর্ভে যা ধারণ করে থাকে, আর যা গর্ভাশয়ে কমে ও বাড়ে। আর তাঁর কাছে প্রত্যেকটি বস্তুর একটা পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে।

সূরা : সুরা রা'দ

عَٰلِمُ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ ٱلْكَبِيرُ ٱلْمُتَعَالِ


একমাত্র তিনিই অদৃশ্য ও প্রকাশ্য সব কিছুই জানেন। তিনিই সর্বোচ্চ মহান।

সূরা : সুরা রা'দ

سَوَآءٌ مِّنكُم مَّنْ أَسَرَّ ٱلْقَوْلَ وَمَن جَهَرَ بِهِۦ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍۭ بِٱلَّيْلِ وَسَارِبٌۢ بِٱلنَّهَارِ


তোমাদের মধ্যে যদি কেউ চুপিসারে কোনো কথা বলে, কিংবা চিৎকার করে বলে অথবা যদি কেউ রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে থাকে কিংবা দিনের বেলা কোথাও যায়, সবই সমান।

সূরা : সুরা রা'দ

لَهُۥ مُعَقِّبَٰتٌ مِّنۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِۦ يَحْفَظُونَهُۥ مِنْ أَمْرِ ٱللَّهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا۟ مَا بِأَنفُسِهِمْۗ وَإِذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِقَوْمٍ سُوٓءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُۥۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِۦ مِن وَالٍ



তার জন্যে সামনে ও পিছনে পাহারাদার নিযুক্ত রয়েছে আল্লাহর আদেশেই তারা তাকে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষন তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন না করে। আল্লাহ যখন কোনো জাতির জন্যে অশুভ কিছুর ইচ্ছা করেন, তখন তা ফিরিয়ে রাখার মতো কেউ নেই। আর তাদের জন্যে তিনি ছাড়া কোনো অলি নেই।

সূরা : সুরা রা'দ

هُوَ ٱلَّذِى يُرِيكُمُ ٱلْبَرْقَ خَوْفًا وَطَمَعًا وَيُنشِئُ ٱلسَّحَابَ ٱلثِّقَالَ


তিনিই তো তোমাদেরকে বিদ্যুৎ দেখিয়ে থাকেন, ভীতি ও আশা সঞ্চারের জন্যে। আর তিনিই (পানিভরা) ঘন মেঘ সৃষ্টি করেন।

সূরা : সুরা রা'দ

وَيُسَبِّحُ ٱلرَّعْدُ بِحَمْدِهِۦ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِۦ وَيُرْسِلُ ٱلصَّوَٰعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَن يَشَآءُ وَهُمْ يُجَٰدِلُونَ فِى ٱللَّهِ وَهُوَ شَدِيدُ ٱلْمِحَالِ


বজ্রধ্বনি তাঁর প্রসংশার সাথে ও মালা-ইকারাও তাঁর ভয়ে চলতে থাকে। আর তিনিই তো ঘর্জনকারী বজ্রসমূহ পাঠিয়ে থাকেন। অতঃপর যেখানে দরকার হয়, সেখানে তা পাঠানো হয়। তবুও তারা আল্লাহ সম্বন্ধে বাক-বিতন্ডাই করে। আসলে তিনি হলেন শক্তিতে প্রবল, শাস্তিতে কঠোর।

সূরা : সুরা রা'দ

لَهُۥ دَعْوَةُ ٱلْحَقِّۖ وَٱلَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِهِۦ لَا يَسْتَجِيبُونَ لَهُم بِشَىْءٍ إِلَّا كَبَٰسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى ٱلْمَآءِ لِيَبْلُغَ فَاهُ وَمَا هُوَ بِبَٰلِغِهِۦۚ وَمَا دُعَآءُ ٱلْكَٰفِرِينَ إِلَّا فِى ضَلَٰلٍ


তাঁর কাছে সবকিছুর জন্য আহ্বান করা একমাত্র সত্য। কিন্তু যারা তাঁকে বাদ দিয়ে যাদেরকে (বানোয়াট পীর ও আওলিয়াদেরকে) ডেকে থাকে, তারা ওদের কোনো বিষয়ে সাড়া দেয় না। কিন্তু তাদের অবস্থা ঠিক সেই লোকটির মতোই, যে হাত দু'টো বাড়িয়ে দেয়, আর ভাবে এতেই পানি তার মুখ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। কিন্তু তা কোনো দিন তার কাছে পৌঁছাবে না। আর কাফিরদের ডাক, ভ্রান্তি ছাড়া কিছুই নয়।

সূরা : সুরা রা'দ

وَلِلَّهِ يَسْجُدُ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَظِلَٰلُهُم بِٱلْغُدُوِّ وَٱلْءَاصَالِ


আর আল্লাহর জন্যে পরম আনুগত্য প্রকাশ করে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু আছে, আর তাদের ছায়াগুলোও ইচ্ছায় এবং অনিচ্ছায়, সকাল ও সন্ধ্যায়। 

সূরা : সুরা রা'দ

قُلْ مَن رَّبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ قُلِ ٱللَّهُۚ قُلْ أَفَٱتَّخَذْتُم مِّن دُونِهِۦٓ أَوْلِيَآءَ لَا يَمْلِكُونَ لِأَنفُسِهِمْ نَفْعًا وَلَا ضَرًّاۚ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى ٱلْأَعْمَىٰ وَٱلْبَصِيرُ أَمْ هَلْ تَسْتَوِى ٱلظُّلُمَٰتُ وَٱلنُّورُۗ أَمْ جَعَلُوا۟ لِلَّهِ شُرَكَآءَ خَلَقُوا۟ كَخَلْقِهِۦ فَتَشَٰبَهَ ٱلْخَلْقُ عَلَيْهِمْۚ قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَىْءٍ وَهُوَ ٱلْوَٰحِدُ ٱلْقَهَّٰرُ

তুমি জিজ্ঞাসা করো, আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর প্রতিপালক কে ? তুমি বলো, আল্লাহ। তুমি ঘোষনা করে দাও ! তাহলে তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন লোকগুলোকে আউলিয়া হিসেবে কেনো গ্রহণ করেছো? যারা তাদের নিজেদের জন্যে উপকার কিংবা ক্ষতি করার মতো কোন ক্ষমতারই মালিক নয়। তুমি জিজ্ঞাসা করো, অন্ধ আর যে ব্যক্তি চোখে দেখতে পায়, এরা কি কখনো সমান হতে পারে ? কিংবা আলো ও অন্ধকার কি সমান হতে পারে ? তারা যাদেরকে আল্লাহর সাথে শরীক নির্ধারণ করে, তারা কি আল্লাহর মতো কিছু সৃষ্টি করেছে ? যার ফলে তাদের সৃষ্টি এদের কাছে একইরূপ বলে মনে হচ্ছে। তুমি বলে দাও ! আল্লাহই একমাত্র সব সৃষ্টি করেছেন। তিনি হলেন একক ও মহাপরাক্রমশালী।

সূরা : সুরা রা'দ

أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَسَالَتْ أَوْدِيَةٌۢ بِقَدَرِهَا فَٱحْتَمَلَ ٱلسَّيْلُ زَبَدًا رَّابِيًاۚ وَمِمَّا يُوقِدُونَ عَلَيْهِ فِى ٱلنَّارِ ٱبْتِغَآءَ حِلْيَةٍ أَوْ مَتَٰعٍ زَبَدٌ مِّثْلُهُۥۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ ٱللَّهُ ٱلْحَقَّ وَٱلْبَٰطِلَۚ فَأَمَّا ٱلزَّبَدُ فَيَذْهَبُ جُفَآءًۖ وَأَمَّا مَا يَنفَعُ ٱلنَّاسَ فَيَمْكُثُ فِى ٱلْأَرْضِۚ كَذَٰلِكَ يَضْرِبُ ٱللَّهُ ٱلْأَمْثَالَ

আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, ফলে উপত্যকাসমূহ (নদী নালা) তার পরিমাণে প্লাবিত হয়। অতঃপর প্লাবন উপরিভাগে ফেনা বহন করে (নদী-নালাসমূহে ফেনা উঠে)। ঠিক যেমন অলংকার  কিংবা অন্য কোনও তৈজসপত্র বানানোর জন্যে যে জিনিস আগুনের তাপে গলানো হয়, আর তাতে ফেনা-আবর্জনা উঠে। এভাবেই আল্লাহ সত্য ও অসত্যের উপমা দেন। অতঃপর ফেনা-আবর্জনা এভাবে অকেজো হয়ে চলে যায়। আর যা মানুষের উপকারে আসবে, তা জমিনের মধ্যে থেকে যায়।এভাবেই আল্লাহ দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করে থাকেন।

সূরা : সুরা রা'দ

لِلَّذِينَ ٱسْتَجَابُوا۟ لِرَبِّهِمُ ٱلْحُسْنَىٰۚ وَٱلَّذِينَ لَمْ يَسْتَجِيبُوا۟ لَهُۥ لَوْ أَنَّ لَهُم مَّا فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا وَمِثْلَهُۥ مَعَهُۥ لَٱفْتَدَوْا۟ بِهِۦٓۚ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ سُوٓءُ ٱلْحِسَابِ وَمَأْوَىٰهُمْ جَهَنَّمُۖ وَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ


কল্যাণ তাদের জন্যই নির্ধারিত রয়েছে, যারা তাদের প্রতিপালকের কথায় সাড়া দেয়। আর যারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয় না, তারা যদি পৃথিবীতে যত ধনভান্ডার রয়েছে সে সবের মালিকও হয়ে যায়, আর সেই সাথে আরো ততটা ধনসম্পদ যোগ করে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে খরচ করে, তবুও এরাই তো সেই দল যাদের হিসাব নিকাশ মন্দ হবে। আর তাদের আবাস হবে জাহান্নাম। আর আশ্রয়স্থল হিসেবে তা অতি নিকৃষ্ট।

সূরা : সুরা রা'দ

أَفَمَن يَعْلَمُ أَنَّمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ ٱلْحَقُّ كَمَنْ هُوَ أَعْمَىٰٓۚ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ


তবে কি যে ব্যক্তি জানে যে, তোমার প্রতি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে তা সত্য। সে কি ঐ ব্যক্তির মতো, যে অন্ধ ? প্রকৃতপক্ষে বিবেকসম্পন্ন লোকেরাই তো শিক্ষা গ্রহণ করে।

সূরা : সুরা রা'দ

ٱلَّذِينَ يُوفُونَ بِعَهْدِ ٱللَّهِ وَلَا يَنقُضُونَ ٱلْمِيثَٰقَ

তারা আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ করে। আর কোনো প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে না।

সূরা : সুরা রা'দ

وَٱلَّذِينَ يَصِلُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ وَيَخَافُونَ سُوٓءَ ٱلْحِسَابِ


আল্লাহ কোরআনের মাধ্যমে যেসব দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন, সে সব দায়িত্ব তারা পালন করে এবং তারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে চলে, আর মন্দ হিসাবের আশঙ্কা করে।

সূরা : সুরা রা'দ

وَٱلَّذِينَ صَبَرُوا۟ ٱبْتِغَآءَ وَجْهِ رَبِّهِمْ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنفَقُوا۟ مِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً وَيَدْرَءُونَ بِٱلْحَسَنَةِ ٱلسَّيِّئَةَ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ عُقْبَى ٱلدَّارِ

আর যারা তাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভের জন্যে ধৈর্য ধারণ করে। দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা করে, আর আমার দেওয়া জীবিকা থেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে ব্যয় করে। আর ভালো দিয়ে মন্দকে প্রতিরোধ করে। ঐসব লোক তো তারাই, যাদের জন্যে রয়েছে পরকালের বাসঘর।

সূরা : সুরা রা'দ

جَنَّٰتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا وَمَن صَلَحَ مِنْ ءَابَآئِهِمْ وَأَزْوَٰجِهِمْ وَذُرِّيَّٰتِهِمْۖ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِم مِّن كُلِّ بَابٍ

চিরস্থায়ী জান্নাতসমূহ। তাতে তারা প্রবেশ করবে। আর তাদের বাপ-দাদা, তাদের পতি-পত্নী ও তাদের সন্তান-সন্ততিদের মধ্য হতে যারা সংশোধন হবে তারাও। আর মালা-ইকারা তাদের কাছে প্রবেশ করবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে।

সূরা : সুরা রা'দ

سَلَٰمٌ عَلَيْكُم بِمَا صَبَرْتُمْۚ فَنِعْمَ عُقْبَى ٱلدَّارِ


(আর বলবে) সালামুন আলাইকুম (তোমাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক)। এ কারণে যে তোমরা ধৈর্য ধরেছিলে, অতএব কতইনা উত্তম পরকালের বাসঘর।

সূরা : সুরা রা'দ

وَٱلَّذِينَ يَنقُضُونَ عَهْدَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مِيثَٰقِهِۦ وَيَقْطَعُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيُفْسِدُونَ فِى ٱلْأَرْضِۙ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱللَّعْنَةُ وَلَهُمْ سُوٓءُ ٱلدَّارِ


আর যারা আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার পরে, আর আল্লাহ কোরআনের মাধ্যমে যে সব দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্নভিন্ন করে নষ্ট করে দেয় এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, এদের উপরে অভিশাপ রয়েছে। আর তাদের জন্যে রয়েছে আখেরাতের নিকৃষ্ট বাসঘর।

সূরা : সুরা রা'দ

ٱللَّهُ يَبْسُطُ ٱلرِّزْقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقْدِرُۚ وَفَرِحُوا۟ بِٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَمَا ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا فِى ٱلْءَاخِرَةِ إِلَّا مَتَٰعٌ

উপযুক্ত লোকদের জন্যে আল্লাহ জীবন উপকরণ বর্ধিত করেন ও সংকুচিত করেন। তাই তারা পার্থিব জীবন নিয়েই আনন্দে দিশাহারা হয়ে আছে। অথচ পার্থিব জীবন পরকালের তুলনায় (ক্ষণস্থায়ী) সামান্য ভোগের সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়?

সূরা : সুরা রা'দ

وَيَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْلَآ أُنزِلَ عَلَيْهِ ءَايَةٌ مِّن رَّبِّهِۦۗ قُلْ إِنَّ ٱللَّهَ يُضِلُّ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِىٓ إِلَيْهِ مَنْ أَنَابَ

যারা অস্বীকার করেছে, তারা বলে, কেনো তার প্রতিপালকের কাছ থেকে তার উপর একটি নিদর্শন অবতীর্ণ করা হয় না ? বলো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকেই পথভ্রষ্ট করেন যে তার উপযুক্ত। আর যে কেউ তাঁর দিকে মুখ ফিরায়, তাকেই তিনি পথ দেখান।

সূরা : সুরা রা'দ

ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ ٱللَّهِۗ أَلَا بِذِكْرِ ٱللَّهِ تَطْمَئِنُّ ٱلْقُلُوبُ


যারা ঈমান এনেছে, তাদের অন্তরগুলো আল্লাহর স্মরণ-কোরআনের মাধ্যমে শান্তি লাভ করে। জেনে রাখ ! আল্লাহর স্মরণ-কোরআন দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি লাভ করে।

সূরা : সুরা রা'দ

ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ طُوبَىٰ لَهُمْ وَحُسْنُ مَـَٔابٍ


যারা ঈমান এনেছে এবং সংশোধনের কাজ করেছে, তাদের জন্যই রয়েছে সুসংবাদ ও উত্তম পরিণাম।

সূরা : সুরা রা'দ

كَذَٰلِكَ أَرْسَلْنَٰكَ فِىٓ أُمَّةٍ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهَآ أُمَمٌ لِّتَتْلُوَا۟ عَلَيْهِمُ ٱلَّذِىٓ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ وَهُمْ يَكْفُرُونَ بِٱلرَّحْمَٰنِۚ قُلْ هُوَ رَبِّى لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ مَتَابِ

এভাবেই আমি তোমাকে একটি জাতির মধ্যে রাসুলরূপে পাঠিয়েছি, ঠিক যেভাবে এর পূর্বে সকল জাতির মধ্যে পাঠিয়েছিলাম। যাতে তুমিও তাদের কাছে পাঠ কর, যা আমি তোমার প্রতি ওহী করেছি। এঅবস্তায়ও তারা পরম দয়াময়কে অস্বীকার করছে। তুমি বলে দাও ! তিনিই তো আমার প্রতিপালক। তিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের আইনদাতা নেই। আর আমি তাঁরই উপর নির্ভর করছি এবং তাঁরই দিকে আমার প্রত্যাবর্তন।

সূরা : সুরা রা'দ

وَلَوْ أَنَّ قُرْءَانًا سُيِّرَتْ بِهِ ٱلْجِبَالُ أَوْ قُطِّعَتْ بِهِ ٱلْأَرْضُ أَوْ كُلِّمَ بِهِ ٱلْمَوْتَىٰۗ بَل لِّلَّهِ ٱلْأَمْرُ جَمِيعًاۗ أَفَلَمْ يَا۟يْـَٔسِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَن لَّوْ يَشَآءُ ٱللَّهُ لَهَدَى ٱلنَّاسَ جَمِيعًاۗ وَلَا يَزَالُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ تُصِيبُهُم بِمَا صَنَعُوا۟ قَارِعَةٌ أَوْ تَحُلُّ قَرِيبًا مِّن دَارِهِمْ حَتَّىٰ يَأْتِىَ وَعْدُ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُخْلِفُ ٱلْمِيعَادَ


এ কোরআন এমন নয় যে, এর দ্বারা পাহাড়সমূহকে চলমান করা হবে, কিংবা এর দ্বারা জমিনকে টুকরো টুকরো করা হবে, অথবা মৃত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলা যাবে। বরং সমস্ত নির্দেশ তো আল্লাহর জন্যে। যারা ঈমান এনেছে, তারা কি নিশ্চিন্ত নয়? আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে সকল মানুষকেই সঠিক পথ দেখাতেন। যারা অস্বীকার করেছে, তাদের উপরে কিংবা তাদের ঘরের নিকটে সর্বদাই বিপদ-আপদ, বালা-মুছিবত আসতেই থাকবে। তারা যেসব কাজকর্ম করে যাচ্ছে তারই কারণে। এমনি করে আল্লাহর অঙ্গীকার এসে পড়বে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না।

সূরা : সুরা রা'দ

وَلَقَدِ ٱسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّن قَبْلِكَ فَأَمْلَيْتُ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ثُمَّ أَخَذْتُهُمْۖ فَكَيْفَ كَانَ عِقَاب

নিশ্চয়ই তোমার পূর্বেও রাসূলদের সাথে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা হয়েছে, আর আমিও তাদেরকে অবকাশ দিয়েছি, যারা অস্বীকার করেছিলো। এরপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি। অতঃপর দেখ কেমন আমার শাস্তি?

সূরা : সুরা রা'দ

أَفَمَنْ هُوَ قَآئِمٌ عَلَىٰ كُلِّ نَفْسٍۭ بِمَا كَسَبَتْۗ وَجَعَلُوا۟ لِلَّهِ شُرَكَآءَ قُلْ سَمُّوهُمْۚ أَمْ تُنَبِّـُٔونَهُۥ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِى ٱلْأَرْضِ أَم بِظَٰهِرٍ مِّنَ ٱلْقَوْلِۗ بَلْ زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مَكْرُهُمْ وَصُدُّوا۟ عَنِ ٱلسَّبِيلِۗ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِنْ هَادٍ


যে আল্লাহ প্রত্যেকটি জীবের কাজকর্মের ফলাফল নিয়ে দাঁড়িয়ে (প্রস্তুত) রয়েছেন, এ অবস্থায়ও তারা আল্লাহর জন্যে বহু শরীক বানিয়ে নিয়েছে। তুমি তাদেরকে বলে দাও ! তোমরা সে সবের নাম বলো। তোমরা কি তাঁকে এমন জিনিসের সংবাদ দিচ্ছো যা পৃথিবীতে কোথাও সেটা আল্লাহ দেখতে পান না? না, তোমাদের শুধু ভাসাভাসা কথাই। আসলে কাফিরদের কাছে তাদের ছলনা বড়ই সুন্দর মনে হয়। এভাবে তাদেরকে (কোরআনের) পথ থেকে ফিরিয়ে রাখা হয়েছে। যে আল্লাহ থেকে পথভ্রষ্ট হয়, তাকে পথ দেখানোর মতো কেউ নেই।

সূরা : সুরা রা'দ

لَّهُمْ عَذَابٌ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَاۖ وَلَعَذَابُ ٱلْءَاخِرَةِ أَشَقُّۖ وَمَا لَهُم مِّنَ ٱللَّهِ مِن وَاقٍ


তাদের জন্যে রয়েছে পার্থিব জীবনে শাস্তি। আর অবশ্যই আখিরাতের শাস্তি তো আরোও কঠোরতর। আল্লাহর কবল থেকে তাদেরকে রক্ষা করার মতো কেউ নেই।

সূরা : সুরা রা'দ

مَّثَلُ ٱلْجَنَّةِ ٱلَّتِى وُعِدَ ٱلْمُتَّقُونَۖ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُۖ أُكُلُهَا دَآئِمٌ وَظِلُّهَاۚ تِلْكَ عُقْبَى ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوا۟ۖ وَّعُقْبَى ٱلْكَٰفِرِينَ ٱلنَّارُ

জান্নাতের দৃষ্টান্ত, মহৎব্যক্তিদের জন্যে যার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার নিচ থেকে ঝর্ণাসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। তার ফলসমূহ চিরস্থায়ী এবং তার ছায়াও অবিনশ্বর । এসব শুভ পরিণাম তাদের, যারা (আল্লাহকে) ভয় করে। আর কাফিরদের পরিণাম হচ্ছে আগুন।

সূরা : সুরা রা'দ

وَٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَٰهُمُ ٱلْكِتَٰبَ يَفْرَحُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَۖ وَمِنَ ٱلْأَحْزَابِ مَن يُنكِرُ بَعْضَهُۥۚ قُلْ إِنَّمَآ أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ ٱللَّهَ وَلَآ أُشْرِكَ بِهِۦٓۚ إِلَيْهِ أَدْعُوا۟ وَإِلَيْهِ مَـَٔابِ


যাদেরকে আমি আল কিতাব দিয়েছি, তারা আনন্দ করে তোমার কাছে যা অবতীর্ণ করা হয় তা নিয়ে। আবার কিন্তু বিভিন্ন দলের কেউ কেউ তার কিছু অংশ অস্বীকার করে। তুমি বলে দাও! আমাকে তো এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেনো আমি আল্লাহরই দাসত্ব করি এবং তাঁর কোরআনের‌ সাথে কিছুই শরীক না করি। আমি তাঁরই দিকে ডাকি এবং তাঁরই দিকে আমার গন্তব্যস্থান।

সূরা : সুরা রা'দ

وَكَذَٰلِكَ أَنزَلْنَٰهُ حُكْمًا عَرَبِيًّاۚ وَلَئِنِ ٱتَّبَعْتَ أَهْوَآءَهُم بَعْدَمَا جَآءَكَ مِنَ ٱلْعِلْمِ مَا لَكَ مِنَ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّ وَلَا وَاقٍ

এভাবেই আমি কোরআনকে আরবীয়্যান ভাষায় হাকিম হিসেবে অবতীর্ণ করেছি। এখন তুমি যদি তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করো, তোমার কাছে  যে তথ্য-জ্ঞান এসেছে তার পরেও, তাহলে তোমার জন্যে আল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো অলি ও রক্ষাকারী  নেই।

সূরা : সুরা রা'দ

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّن قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَٰجًا وَذُرِّيَّةًۚ وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ أَن يَأْتِىَ بِـَٔايَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ ٱللَّهِۗ لِكُلِّ أَجَلٍ كِتَابٌ

এভাবেই আমি কোরআনকে আরবীয়্যান ভাষায় হাকিম হিসেবে অবতীর্ণ করেছি। এখন তুমি যদি তাদের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করো, তোমার কাছে  যে তথ্য-জ্ঞান এসেছে তার পরেও, তাহলে তোমার জন্যে আল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো অলি ও রক্ষাকারী  নেই।

সূরা : সুরা রা'দ

يَمْحُوا۟ ٱللَّهُ مَا يَشَآءُ وَيُثْبِتُۖ وَعِندَهُۥٓ أُمُّ ٱلْكِتَٰبِ


আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন, তা নিচিন্হ করেন, আর (যা চান) প্রতিষ্ঠিত করেন । এবং তাঁর কাছেই রয়েছে আল কিতাবের মূল।

সূরা : সুরা রা'দ

وَإِن مَّا نُرِيَنَّكَ بَعْضَ ٱلَّذِى نَعِدُهُمْ أَوْ نَتَوَفَّيَنَّكَ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ ٱلْبَلَٰغُ وَعَلَيْنَا ٱلْحِسَابُ

আর যে প্রতিশ্রুতি আমি তাদেরকে দিচ্ছি,তার মধ্যে কিছুটা যদি তোমাকে দেখিয়ে দিই, অথবা যদি তোমার মৃত্যু ঘটিয়ে দিই (তাতে কিছুই আসে যায় না) , প্রকৃতপক্ষে তোমার দায়িত্ব তো শুধু প্রচার করা আর আমার দায়িত্ব হলো হিসাব নেওয়া।

সূরা : সুরা রা'দ

أَوَلَمْ يَرَوْا۟ أَنَّا نَأْتِى ٱلْأَرْضَ نَنقُصُهَا مِنْ أَطْرَافِهَاۚ وَٱللَّهُ يَحْكُمُ لَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِۦۚ وَهُوَ سَرِيعُ ٱلْحِسَابِ


ِতারা কি দেখেনা? আমি তার চারপাশ হতে যমীনকে সংকোচিত করে নিয়ে আসছি। আর আল্লাহই আদেশ করেন। তাঁর আদেশ প্রতিহত করার মতো কেউ নেই। কেননা আল্লাহ‌ খুবই তাড়াতাড়ি হিসাব নিবেন।

সূরা : সুরা রা'দ

وَقَدْ مَكَرَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَلِلَّهِ ٱلْمَكْرُ جَمِيعًاۖ يَعْلَمُ مَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍۗ وَسَيَعْلَمُ ٱلْكُفَّٰرُ لِمَنْ عُقْبَى ٱلدَّارِ

তাদের পূর্বে যারা ছিলো, তারাও অনেক চক্রান্ত করেছে। আসলে সমস্ত চক্রান্ত তো আল্লাহর অধিনে। প্রত্যেকটি ব্যক্তি যা কিছু অর্জন করে তিনি‌ তা ভালো করেই জানেন। আর শীঘ্রই কাফিররা জানতে পারবে, পরকালের (শুভ পরিণতির) ঘর কাদের জন্যে।

সূরা : সুরা রা'দ

وَيَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَسْتَ مُرْسَلًاۚ قُلْ كَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدًۢا بَيْنِى وَبَيْنَكُمْ وَمَنْ عِندَهُۥ عِلْمُ ٱلْكِتَٰبِ


আর যারা অস্বীকার করেছে তারাই বলবে তুমি রাসূল নও ! তুমি বলে দাও ! আমার ও তোমাদের মাঝে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। আর যার কাছে আল কিতাবের জ্ঞান রয়েছে সেও।