সূরা : সুরা তাওবা

بَرَآءَةٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ


আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ হতে সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষনা করা হচ্ছে তাদের প্রতি মুশরিকদের মধ্য হতে যাদের সাথে তোমরা চুক্তি করেছো।

সূরা : সুরা তাওবা

فَسِيحُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِى ٱللَّهِۙ وَأَنَّ ٱللَّهَ مُخْزِى ٱلْكَٰفِرِينَ


অতএব তোমরা দেশের মধ্যে চার মাস কাল চলাচল করো। আর তোমরা জেনে রাখো যে, তোমরা আল্লাহকে অক্ষম করতে পারবে না। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ‌ কাফিরদেরকে লাঞ্ছিত করবেন।

সূরা : সুরা তাওবা

وَأَذَٰنٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلنَّاسِ يَوْمَ ٱلْحَجِّ ٱلْأَكْبَرِ أَنَّ ٱللَّهَ بَرِىٓءٌ مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَۙ وَرَسُولُهُۥۚ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْۖ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِى ٱللَّهِۗ وَبَشِّرِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ হতে মহান হজ্জের দিন জনসাধারণের প্রতি সাধারণ ঘোষণা যে, আল্লাহ অংশীবাদী মুশরিকদের থেকে দায়মুক্ত এবং তাঁর রাসুলও দায়মুক্ত ! অতএব তোমরা যদি তাওবা/ছারান্ডার কর, তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম ! আর যদি তোমরা ফিরে যাও, তবে তোমরা জেনে রাখো যে, তোমরা আল্লাহকে অক্ষমকারী নও। আর যারা অস্বীকার করেছে, তুমি তাদেরকে নিদারুণ শাস্তির সুসংবাদ দাও।

সূরা : সুরা তাওবা

إِلَّا ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ ثُمَّ لَمْ يَنقُصُوكُمْ شَيْـًٔا وَلَمْ يُظَٰهِرُوا۟ عَلَيْكُمْ أَحَدًا فَأَتِمُّوٓا۟ إِلَيْهِمْ عَهْدَهُمْ إِلَىٰ مُدَّتِهِمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ

তবে মুশরিকদের মধ্য হতে যাদের সাথে তোমরা চুক্তি করেছো, এরপর তারাও তোমাদের সাথে চুক্তি রক্ষায় কোনো ত্রুটি করেনা, কিংবা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করেনা। তা'হলে তাদের সাথে তাদের চুক্তি পুর্ণ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহৎব্যক্তিদেরকেই ভালো বাসেন।

সূরা : সুরা তাওবা

فَإِذَا ٱنسَلَخَ ٱلْأَشْهُرُ ٱلْحُرُمُ فَٱقْتُلُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَٱحْصُرُوهُمْ وَٱقْعُدُوا۟ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍۚ فَإِن تَابُوا۟ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّوا۟ سَبِيلَهُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

অতঃপর যখন সম্মানিত/নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা অংশীবাদীদেরকে যেখানে পাবে কতল (আয়াতের মাধ্যমে অপমান করে ব্যক্তিত্ব হত্যা) করবে। (ক্ষমতা থাকলে) তাদেরকে গ্রেফতার করে অবরোধ করবে। আর প্রত্যেকটি ঘাটিতে ওঁৎ পেতে সুযোগের অপেক্ষা করবে। তবে যদি তারা তাওবা করে, যথাযথভাবে দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা করে এবং (শান্তি চুক্তি বহাল রাখতে) সাহায্য করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা তাওবা

وَإِنْ أَحَدٌ مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ ٱسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّىٰ يَسْمَعَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ أَبْلِغْهُ مَأْمَنَهُۥۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْلَمُونَ

অংশীবাদী মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আল্লাহর বাণী (কোরআন) শুনার জন্যে আশ্রয় দিবে। এরপরে তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিবে। এটা এজন্যে যে তারা এমন সম্প্রদায়, যারা কিছুই জানে না।

সূরা : সুরা তাওবা

كَيْفَ يَكُونُ لِلْمُشْرِكِينَ عَهْدٌ عِندَ ٱللَّهِ وَعِندَ رَسُولِهِۦٓ إِلَّا ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّمْ عِندَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِۖ فَمَا ٱسْتَقَٰمُوا۟ لَكُمْ فَٱسْتَقِيمُوا۟ لَهُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ


আল্লাহর কাছে ও তাঁর রাসূলের কাছে অংশীবাদী-মুশরিকদের জন্যে চুক্তি কেমন করে বহাল থাকবে ? কিন্তু মাসজিদুল হারামের কাছে বসে যাদের সাথে তোমাদের চুক্তি সম্পাদন করা হয়, তাদের কথা ভিন্ন। তাই তারা যদি তোমাদের সাথে (চুক্তিতে) স্থির থাকে, তাহলে তোমরাও তাদের সাথে স্থির থাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহৎব্যক্তিদেরকেই ভালো বাসেন।

সূরা : সুরা তাওবা

كَيْفَ وَإِن يَظْهَرُوا۟ عَلَيْكُمْ لَا يَرْقُبُوا۟ فِيكُمْ إِلًّا وَلَا ذِمَّةًۚ يُرْضُونَكُم بِأَفْوَٰهِهِمْ وَتَأْبَىٰ قُلُوبُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ فَٰسِقُونَ


কেমন করে (চুক্তি বহাল) থাকবে ? তারা যদি তোমাদের উপরে প্রাধান্য লাভে সক্ষম হয়, তাহলে তোমাদের ব্যাপারে আত্মীয় কিংবা কোনো প্রতিশ্রুতির কথায় কিছুমাত্র গুরুত্ব দিবে না। তারা শুধু মুখের কথায় তোমাদেরকে খুশী করতে চায়। আসলে তাদের অন্তর তাতে মোটেই রাজী নয়। কেননা তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই অমান্যকারী-ফাসিক্ব।

সূরা : সুরা তাওবা

ٱشْتَرَوْا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا فَصَدُّوا۟ عَن سَبِيلِهِۦٓۚ إِنَّهُمْ سَآءَ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ


তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ সামান্য কিছুর বিনিময়ে হাত বদল করে। অতঃপর তারা লোকদেরকে তাঁর (কোরআনের) পথ হতে বাঁধা দেয়। নিশ্চয়ই তাদের কাজ কর্ম অতি নিকৃষ্ট।

সূরা : সুরা তাওবা

لَا يَرْقُبُونَ فِى مُؤْمِنٍ إِلًّا وَلَا ذِمَّةًۚ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُعْتَدُونَ


এরা কোনো মু'মিনদের ব্যাপারে আত্মীয়তা কিংবা প্রতিশ্রুতির উপরে কখনো গুরুত্ব দিবে না। কেননা এরা তো বড়ই সীমালংঘনকারী।

সূরা : সুরা তাওবা

فَإِن تَابُوا۟ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَإِخْوَٰنُكُمْ فِى ٱلدِّينِۗ وَنُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ


অতঃপর যদি তারা তওবা তথা সারান্ডার করে, আর দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা করে এবং সাহায্য প্রদান করে, তবে তারাও তোমাদের ফায়সালার ভিত্তিতে ভাই-বোন রূপে গণ্য হবে। আর আমি আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করছি এমন সম্প্রদায়ের জন্যে যারা জ্ঞান রাখে।

সূরা : সুরা তাওবা

وَإِن نَّكَثُوٓا۟ أَيْمَٰنَهُم مِّنۢ بَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوا۟ فِى دِينِكُمْ فَقَٰتِلُوٓا۟ أَئِمَّةَ ٱلْكُفْرِۙ إِنَّهُمْ لَآ أَيْمَٰنَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنتَهُونَ


আর তারা যদি নিজেদের প্রতিজ্ঞা ভংগ করে, চুক্তি সম্পাদনের পরেও, আর তোমাদের জীবন ব্যবস্থা ইসলামের উপরে দোষ চাপাতে চায়, তাহলে অবিশ্বাসের প্রধানদেরকে কতল (আয়াতের দলিল দ্বারা অপমান) করবে। কারণ তাদের প্রতিজ্ঞা বলবৎ থাকেনি, এরূপ আচরণে সম্ভবতঃ তারা বিরত হবে।

সূরা : সুরা তাওবা

أَلَا تُقَٰتِلُونَ قَوْمًا نَّكَثُوٓا۟ أَيْمَٰنَهُمْ وَهَمُّوا۟ بِإِخْرَاجِ ٱلرَّسُولِ وَهُم بَدَءُوكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍۚ أَتَخْشَوْنَهُمْۚ فَٱللَّهُ أَحَقُّ أَن تَخْشَوْهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ


তোমরা সেই সম্প্রদায়ের লোকদেরকে কেনো কতল (আয়াতের দলিল দ্বারা অপমান) করবে না ? যারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্ঘ করে, তাছাড়া রাসূলকে বের করার ব্যাপারে তৎপর হয়। তারাই তোমাদের উপরে প্রথমে বাড়াবাড়ি করে। তোমরা কি তাদেরকে ভয় করছো ? অথচ আল্লাহই তো অধিক অধিকারী যে, তোমরা তাঁকে ভয় করবে। যদি তোমরা মু'মিন হয়েই থাকো।

সূরা : সুরা তাওবা

قَٰتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ ٱللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ


তাদেরকে তোমরা (কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে) কতল করো। আল্লাহ‌ তোমাদের হাতেই তাদেরকে শায়েস্তা করবেন, তাদেরকে লাঞ্ছিত করে তাদের উপরে জয়লাভে সাহায্য করবেন। আর মু'মিন সম্প্রদায়ের অন্তরসমূহকে আরোগ্য দান করবেন।

সূরা : সুরা তাওবা

وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْۗ وَيَتُوبُ ٱللَّهُ عَلَىٰ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ


আর তাদের অন্তরের ক্ষোভ (জ্বালা) দূর করবেন। আর আল্লাহ তাদের প্রতিই ক্ষমাপরবশ হবেন যারা ক্ষমার উপযুক্ত। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা তাওবা

أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تُتْرَكُوا۟ وَلَمَّا يَعْلَمِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ جَٰهَدُوا۟ مِنكُمْ وَلَمْ يَتَّخِذُوا۟ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَا رَسُولِهِۦ وَلَا ٱلْمُؤْمِنِينَ وَلِيجَةًۚ وَٱللَّهُ خَبِيرٌۢ بِمَا تَعْمَلُونَ


মূলত আল্লাহর আনুগত্য করার জায়গাসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ (পরিচালনা) করা তাদেরই কাজ, যারা আল্লাহর উপরে আর পরকালের দিন সম্পর্কে বিস্বাস রাখে, যথাযথভাবে দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং সাহায্য প্রদান করে, তাছাড়া আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে তারা ভয় করে না। সুতরাং এদের সম্পর্কেই তো আশা করা যায় যে, এরা সত্য সঠিক পথের অনুগামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

সূরা : সুরা তাওবা

مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِينَ أَن يَعْمُرُوا۟ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ شَٰهِدِينَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِم بِٱلْكُفْرِۚ أُو۟لَٰٓئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَٰلُهُمْ وَفِى ٱلنَّارِ هُمْ خَٰلِدُونَ


এ কাজ তো অংশীবাদী মুশরিকদের পক্ষে মোটেই শোভা পায় না যে, তারা আল্লাহর আনুগত্য করার জায়গা সমূহকে রক্ষণাবেক্ষণ (পরিচালনা) করবে, যখন তারা তাদের নিজেদের উপর কুফুরী সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়। এদেরই সব কাজকর্ম বিফল হবে। আর আগুনের মধ্যে তারা চিরস্থায়ী হবে।

সূরা : সুরা তাওবা

إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَأَقَامَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَى ٱلزَّكَوٰةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا ٱللَّهَۖ فَعَسَىٰٓ أُو۟لَٰٓئِكَ أَن يَكُونُوا۟ مِنَ ٱلْمُهْتَدِينَ

মূলত আল্লাহর আনুগত্য করার জায়গাসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ (পরিচালনা) করা তাদেরই কাজ, যারা আল্লাহর উপরে আর পরকালের দিন সম্পর্কে বিস্বাস রাখে। যথাযথভাবে দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করে এবং সাহায্য প্রদান করে, তাছাড়া আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে তারা ভয় করে না। সুতরাং এদের সম্পর্কেই তো আশা করা যায় যে, এরা সত্য সঠিক পথের অনুগামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

সূরা : সুরা তাওবা

أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ ٱلْحَآجِّ وَعِمَارَةَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ كَمَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَجَٰهَدَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِۚ لَا يَسْتَوُۥنَ عِندَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِين


তোমরা কি হাজীদের পানি পান করানো, আর মাসজিদুল হারাম রক্ষণাবেক্ষণ করার কাজ ঠিক তেমনই মনে করেছ ? যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের দিনের উপর ঈমান এনেছে, আর যারা আল্লাহর(কোরআনের) পথে উৎকৃষ্টতমকর্ম করছে, আল্লাহর কাছে এরা সমান নয়। আল্লাহ সীমালঙ্গনকারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।

সূরা : সুরা তাওবা

ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ ٱللَّهِۚ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَآئِزُونَ


যারা ঈমান এনে স্থানান্তর হবে ও নিজেদের ধন-সম্পদ ও প্রাণ দিয়ে আল্লাহর কোরআনের পথে  উৎকৃষ্টতমকর্ম করবে, তারা আল্লাহর কাছে অতি বড় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত আর তারাই তো সফলকাম।

সূরা : সুরা তাওবা

يُبَشِّرُهُمْ رَبُّهُم بِرَحْمَةٍ مِّنْهُ وَرِضْوَٰنٍ وَجَنَّٰتٍ لَّهُمْ فِيهَا نَعِيمٌ مُّقِيمٌ


তাদেরকেই তো তাদের প্রতিপালক নিজে সুসংবাদ দিচ্ছেন, তাঁর পক্ষ হতে দয়া ও সন্তুষ্টির এবং জান্নাতসমূহের, যার মধ্যে রয়েছে তাদের জন্যে  চিরস্থায়ী সুখ।

সূরা : সুরা তাওবা

خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥٓ أَجْرٌ عَظِيمٌ


সেখানে তারা চিরকাল বাস করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তাদের জন্যে বিরাট পুরস্কার রয়েছে।

সূরা : সুরা তাওবা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوٓا۟ ءَابَآءَكُمْ وَإِخْوَٰنَكُمْ أَوْلِيَآءَ إِنِ ٱسْتَحَبُّوا۟ ٱلْكُفْرَ عَلَى ٱلْإِيمَٰنِۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা তোমাদের বাপ-দাদাদেরকে ও আপন ভাই-বোনদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমানের তুলনায় কুফুরীকেই অধিক ভালোবাসে। আর তোমাদের মধ্য হতে যারা তাদেরকে ভালোবাসবে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। 

সূরা : সুরা তাওবা

قُلْ إِن كَانَ ءَابَآؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَٰنُكُمْ وَأَزْوَٰجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَٰلٌ ٱقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَٰرَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَٰكِنُ تَرْضَوْنَهَآ أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَجِهَادٍ فِى سَبِيلِهِۦ فَتَرَبَّصُوا۟ حَتَّىٰ يَأْتِىَ ٱللَّهُ بِأَمْرِهِۦۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْفَٰسِقِينَ


তুমি বলে দাও ! তোমাদের বাপ-দাদা তোমাদের সন্তান তোমাদের ভাই-বোন, তোমাদের স্ত্রীরা, তোমাদের স্বজনগোষ্ঠি ও ধন সম্পদ, যা তোমরা অর্জন করেছো, আর যে ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা দেখা দেয়ার মতো ভয় রয়েছে, আর যে সব ঘরবাড়ী তোমরা খুবই পছন্দ করে থাকো, এসব যদি তোমাদের কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আর আল্লাহর পথে উৎকৃষ্টতমকর্ম করা হতে অধিক প্রিয় হয়ে থাকে, তবে তোমরা অপেক্ষা করো, যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসেন। আর আল্লাহ অমান্যকারী-ফাসিক সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।

সূরা : সুরা তাওবা

لَقَدْ نَصَرَكُمُ ٱللَّهُ فِى مَوَاطِنَ كَثِيرَةٍۙ وَيَوْمَ حُنَيْنٍۙ إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنكُمْ شَيْـًٔا وَضَاقَتْ عَلَيْكُمُ ٱلْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُم مُّدْبِرِينَ


নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে অনেক জায়গাতেই জয়লাভে সাহায্য করেন। আর সেই খুশীর দিনেও। যখন নিজেদের বিপুল সংখ্যা শক্তি দেখে তোমরা গর্ববোধ করো। অতঃপর তা তোমাদের কিছুমাত্র কাজে আসে না। তোমাদের জন্য পৃথিবী সংকুচিত হয়ে যায়, বিপুল বিস্তার থাকা সত্বেও। এরপরে তোমরা পিঠ প্রদর্শনকারী হয়ে পালানোর আয়োজন করো।

সূরা : সুরা তাওবা

ثُمَّ أَنزَلَ ٱللَّهُ سَكِينَتَهُۥ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ وَعَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ وَأَنزَلَ جُنُودًا لَّمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ۚ وَذَٰلِكَ جَزَآءُ ٱلْكَٰفِرِينَ

এরপর আল্লাহ যখন তাঁর প্রশান্তি অবতীর্ণ করেন তাঁর রাসূলের উপরে ও মুমিনদের উপরে। আর এমন সৈন্য বাহিনী অবতীর্ণ করেন যা তোমরা চোখে দেখতে পাওনা, আর শাস্তি দেন তাদেরকে যারা অস্বীকার করে। আর এটা কাফিরদের কর্মফল ।

সূরা : সুরা তাওবা

ثُمَّ يَتُوبُ ٱللَّهُ مِنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ عَلَىٰ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


অতঃপর যে তাওবার মাধ্যমে ফেরত আসে আল্লাহ এমন উপযুক্ত ব্যক্তির তাওবা কবুল করেন। আসলে আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা তাওবা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِنَّمَا ٱلْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا۟ ٱلْمَسْجِدَ ٱلْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَٰذَاۚ وَإِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيكُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦٓ إِن شَآءَۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

হে যারা ঈমান এনেছ ! অংশীবাদী মুশরিকরা অপবিত্র-নাপাক। সুতরাং তারা যেনো মাসজিদুল হারামের কাছেও না আসে, এই ঘোষনা কালের পরে। আর তোমরা যদি অভাব অনাটনের আশংকায় ভীত হয়ে থাকো, তাহলে আল্লাহ শীঘ্রই তোমাদেরকে নিজের অনুগ্রহে সম্পদশালী করে দিবেন, অবশ্য তিনি যদি ইচ্ছা করেন। আর নিশ্চয় আল্লাহ হলেন মহা জ্ঞানী, মহা বৈজ্ঞানিক।*

*9(28),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(126),14(37),28(57)...।
অপবিত্রতার ব্যাপারে 9(95,125),10(100),33(33)...।

সূরা : সুরা তাওবা

قَٰتِلُوا۟ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلْحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعْطُوا۟ ٱلْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَٰغِرُونَ


তোমরা তাদের বিরুদ্ধে (আয়াতের মাধ্যমে) লড়াই কর, যারা আল্লাহ ও পরকালের উপর ঈমান আনে না। আর নিষিদ্ধ মনে করে না, যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নিষিদ্ধ করেছেন। আর যাদেরকে আল কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্য হতে যারা সত্যের ফায়সালার আনুগত্য করে না ! যতক্ষণ না তারা ছোট হয়ে নিজেদের হাত দিয়ে জিযিয়া দেয়।

সূরা : সুরা তাওবা

وَقَالَتِ ٱلْيَهُودُ عُزَيْرٌ ٱبْنُ ٱللَّهِ وَقَالَتِ ٱلنَّصَٰرَى ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ ٱللَّهِۖ ذَٰلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَٰهِهِمْۖ يُضَٰهِـُٔونَ قَوْلَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِن قَبْلُۚ قَٰتَلَهُمُ ٱللَّهُۚ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ


আবার ইহুদীরা বলে, উজায়ের (ব্যবিলনের ষাড়) আল্লাহর পুত্র ! আর খৃষ্টান-নাসারাগণ বলে মাসীহ হচ্ছে আল্লাহর পুত্র ! এসব হলো ওদের উদ্ভট কথা-বার্তা, যা ওদের মুখেই শোনা যায়। এরাও তো পূর্বেকার দিনের কাফিরদের মতোই কথা-বার্তা শুরু করেছে। আল্লাহ ওদেরকে ধ্বংস (কতল) করবেন, পালিয়ে ওরা যাবে কোথায় ?

সূরা : সুরা তাওবা

ٱتَّخَذُوٓا۟ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَٰنَهُمْ أَرْبَابًا مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَٱلْمَسِيحَ ٱبْنَ مَرْيَمَ وَمَآ أُمِرُوٓا۟ إِلَّا لِيَعْبُدُوٓا۟ إِلَٰهًا وَٰحِدًاۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ سُبْحَٰنَهُۥ عَمَّا يُشْرِكُونَ

তারা তো আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের আহ্'বার (যারা ধর্ম গুরু ও লেবাজধারী হুজুর সাজে) ও রুহবানদেরকে (সন্ত্রাসী মুল্লাদেরকে) প্রতিপালকের আসনে বসিয়ে রেখেছে। তাছাড়া মারইয়ামের পুত্র মাসীহকেও। অথচ তাদেরকে তো শুধু এই আদেশ দেওয়া হয়েছে, যেনো তারা একই আইন দাতার দাসত্ব করে। তিনি ছাড়া আর কোনো সত্যিকারের আইন দাতা নেই। মানুষেরা যা কিছু শরীক করছে, সে সব থেকে তিনি পবিত্র মহান।

সূরা : সুরা তাওবা

يُرِيدُونَ أَن يُطْفِـُٔوا۟ نُورَ ٱللَّهِ بِأَفْوَٰهِهِمْ وَيَأْبَى ٱللَّهُ إِلَّآ أَن يُتِمَّ نُورَهُۥ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْكَٰفِرُونَ

এসব নেতারা চায় নিজেদের বক্তৃতার জোরে আল্লাহর (কোরআনের) আলো নিভিয়ে ফেলতে ! কিন্তু আল্লাহ তার বিপরীত করেন। যেনো আল্লাহর নূর পরিপূর্ণরূপে বিকাশ লাভ করে। যদিও কাফিররা অপছন্দ করে

সূরা : সুরা তাওবা

هُوَ ٱلَّذِىٓ أَرْسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلْهُدَىٰ وَدِينِ ٱلْحَقِّ لِيُظْهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُشْرِكُونَ


তিনিই(আল্লহ)তাঁর রাসূলকে সঠিক পথ-নির্দেশ ও সত্য সঠিক জীবন ব্যবস্থা নিয়ে পাঠিয়েছেন। যেনো সব (বানোয়াট) ধর্মের উপরে এর প্রাধান্য বিস্তারে সক্ষম হয়। যদিও মুশরিকরা অপছন্দ করে। 

সূরা : সুরা তাওবা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِنَّ كَثِيرًا مِّنَ ٱلْأَحْبَارِ وَٱلرُّهْبَانِ لَيَأْكُلُونَ أَمْوَٰلَ ٱلنَّاسِ بِٱلْبَٰطِلِ وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۗ وَٱلَّذِينَ يَكْنِزُونَ ٱلذَّهَبَ وَٱلْفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ


হে যারা ঈমান এনেছ! নিশ্চয়ই লেবাজধারী ধর্মগুরু ও আতঙ্কসৃষ্টিকারী মুল্লাদের মধ্য হতে অধিকাংশরাই মানুষের ধনসম্পদ অন্যায় ভাবে খায়, আর তারা আল্লাহর কোরআনের পথ হতে বাঁধা দেয় এবং যারা সোনা ও রূপা জমা করে রাখে এবং তারা তা আল্লাহর কোরআনের পথে ব্যায় করে না, তাই তুমি তাদেরকে অতি কষ্টদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও।

সূরা : সুরা তাওবা

يَوْمَ يُحْمَىٰ عَلَيْهَا فِى نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَىٰ بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْۖ هَٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنفُسِكُمْ فَذُوقُوا۟ مَا كُنتُمْ تَكْنِزُونَ

সেদিন জাহান্নামের আগুনে সে সব গরম করে, তাই দিয়ে তাদের কপাল, পাঁজর, আর পিঠে দাগ দেওয়া হবে। (বলা হবে) তোমরা যা কিছু নিজেদের জন্যই জমা করেছিলে, এসব তো সেই জিনিস। অতএব তোমরা যা কিছু জমা করেছো, এখন তার স্বাদ চেখে নাও।

সূরা : সুরা তাওবা

إِنَّ عِدَّةَ ٱلشُّهُورِ عِندَ ٱللَّهِ ٱثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِى كِتَٰبِ ٱللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ مِنْهَآ أَرْبَعَةٌ حُرُمٌۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلْقَيِّمُۚ فَلَا تَظْلِمُوا۟ فِيهِنَّ أَنفُسَكُمْۚ وَقَٰتِلُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ كَآفَّةً كَمَا يُقَٰتِلُونَكُمْ كَآفَّةًۚ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلْمُتَّقِينَ

নিশ্চয় মাসসমূহের গণনা আল্লাহর কাছে বার মাস আল্লাহর কিতাবে, (সেদিন থেকে) যেদিন তিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তার মধ্যে চারটি হচ্ছে সম্মানিত মাস। এটাই হচ্ছে সুপ্রতিষ্ঠিত জীবন ব্যবস্থা। সুতরাং তোমরা তার মধ্যে নিজেদের উপরে অবিচার করো না। তোমরা অংশীবাদী-মুশরিকদেরকে পূর্ণভাবে (আয়াত দ্বারা) কতল কর। ঠিক তারা যেমন তোমাদেরকে সর্বাত্মকভাবে (তাদের বানানো আইন দ্বারা) কতল করে। আর তোমরা জেনে রাখ যে, আল্লাহ মহৎব্যক্তিদের সাথেই থাকেন।

সূরা : সুরা তাওবা

إِنَّمَا ٱلنَّسِىٓءُ زِيَادَةٌ فِى ٱلْكُفْرِۖ يُضَلُّ بِهِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ يُحِلُّونَهُۥ عَامًا وَيُحَرِّمُونَهُۥ عَامًا لِّيُوَاطِـُٔوا۟ عِدَّةَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ فَيُحِلُّوا۟ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُۚ زُيِّنَ لَهُمْ سُوٓءُ أَعْمَٰلِهِمْۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْكَٰفِرِينَ

এ ব্যাপারে আগুপিছু করায় অবাধ্যতাই বাড়বে। এভাবেই তো কাফিরগুলো পথভ্রষ্ট হয়েছে। কারণ তারা কোনো বছর এই নিষিদ্ধ মাসগুলোকে হালাল বলে গণ্য করে, আবার কোনো বছর হারাম বলে মেনে নেয়, যেনো তারা পবিত্র মাসের সংখ্যা পুরা করতে সক্ষম হয়। এভাবে তারা আল্লাহর বিষয়কে হালাল করে নিচ্ছে। নিজেদের অপকর্মগুলো ওদের কাছে বড়ই সুন্দর মনোরম বলে মনে হয়। আর আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।

সূরা : সুরা তাওবা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ ٱنفِرُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱثَّاقَلْتُمْ إِلَى ٱلْأَرْضِۚ أَرَضِيتُم بِٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا مِنَ ٱلْءَاخِرَةِۚ فَمَا مَتَٰعُ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا فِى ٱلْءَاخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমাদের কি হয়েছে ? তোমাদেরকে যখন বলা হয়, তোমরা সবাই আল্লাহর (কোরআন শিক্ষার) পথে বের হও। তখন যেনো তোমরা সবাই দুনিয়ামুখী হয়ে জমিনী পেশাকে আঁকড়ে ধরো। তবে কি তোমরা পরকালের পরিবর্তে পার্থিব জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে ? অথচ পরকালের তুলনায় পার্থিব জীবনের ভোগ সামগ্রী বড়ই নগণ্য সম্পদ ব্যতীত কিছুই নয়।

সূরা : সুরা তাওবা

إِلَّا تَنفِرُوا۟ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْـًٔاۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

তোমরা যদি বের না হও, তাহলে তিনি তোমাদেরকে বড়ই কষ্টদায়ক শাস্তি দিবেন। আর তিনি তোমাদের বদলে অন্য কোনো জাতিকে নিয়ে আসবেন। আর তোমরা তাঁর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহই সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। 

সূরা : সুরা তাওবা

إِلَّا تَنصُرُوهُ فَقَدْ نَصَرَهُ ٱللَّهُ إِذْ أَخْرَجَهُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ثَانِىَ ٱثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِى ٱلْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَٰحِبِهِۦ لَا تَحْزَنْ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَنَاۖ فَأَنزَلَ ٱللَّهُ سَكِينَتَهُۥ عَلَيْهِ وَأَيَّدَهُۥ بِجُنُودٍ لَّمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلسُّفْلَىٰۗ وَكَلِمَةُ ٱللَّهِ هِىَ ٱلْعُلْيَاۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

তোমরা যদি রাসুলকে সাহায্য না করো, তাহলে আল্লাহ তাকে তখনও সাহায্য করেছেন। যখন কাফিররা তাকে নির্বাসিত করতে চেয়েছিলো। যখন দু'জন লোকের মধ্যে তৃতীয় জন আল্লাহ থাকেন। যখন তারা দু'জন (নির্জনে) গুহার মধ্যে থাকে। তখন তার সংগীকে সে বলে তুমি চিন্তিত হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সাথেই রয়েছেন। তারপরে আল্লাহ তার জন্যে নিজের কাছ থেকে সান্তনা দান করেন। তাকে এমন সৈন্য বাহিনী দিয়ে সাহায্য করেন, যা তোমরা দেখতে পাও না। এভাবে আল্লাহ কাফিরদের বাণী (শানে নুজুল, ওহীয়ে গাইরে মাতলু) হেয় প্রমাণ করেন। আর আল্লাহর বাণীসমূহ শ্রেষ্ঠ বলে প্রমাণিত হয়। আর আল্লাহই মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।*

*9(40)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(81)।

সূরা : সুরা তাওবা

ٱنفِرُوا۟ خِفَافًا وَثِقَالًا وَجَٰهِدُوا۟ بِأَمْوَٰلِكُمْ وَأَنفُسِكُمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ


তোমরা বেরিয়ে পড়ো অল্পব্যস্ত সময়ে ও অতিব্যস্ততার কালে, আর আল্লাহর পথে (কোরআন জেনে নিজ ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য) তোমাদের ধন-সম্পদ জান-প্রাণ দিয়ে উৎকৃষ্টতমকর্ম করো। এতেই তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। যদি তোমরা জানতে।

সূরা : সুরা তাওবা

لَوْ كَانَ عَرَضًا قَرِيبًا وَسَفَرًا قَاصِدًا لَّٱتَّبَعُوكَ وَلَٰكِنۢ بَعُدَتْ عَلَيْهِمُ ٱلشُّقَّةُۚ وَسَيَحْلِفُونَ بِٱللَّهِ لَوِ ٱسْتَطَعْنَا لَخَرَجْنَا مَعَكُمْ يُهْلِكُونَ أَنفُسَهُمْ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُمْ لَكَٰذِبُونَ


যদি সহজে কিছু পাওয়ার আশা থাকে। আর সফর যদি সুগম হয়, তাহলে তারা তোমার কথা মানবে। কিন্তু পথের দুরত্বই যে তাদের কাছে কঠিন বলে মনে হয়। তারা শীঘ্রই আল্লাহর নামে কসম খেয়ে বলবে আমাদের যদি সামর্থ থাকতো, তাহলে আমরা অবশ্যই তোমাদের সাথে বের হতাম। আসলে তারা তাদের নিজেদেকে ধ্বংস করেছে। আল্লাহ জানেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

সূরা : সুরা তাওবা

عَفَا ٱللَّهُ عَنكَ لِمَ أَذِنتَ لَهُمْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكَ ٱلَّذِينَ صَدَقُوا۟ وَتَعْلَمَ ٱلْكَٰذِبِينَ


আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করেছেন। কে সত্যবাদী আর কেই বা মিথ্যাবাদী যতক্ষণ তোমার সামনে স্পষ্ট না হবে, ততক্ষণ তুমি কেনো তাদেরকে অনুমতি দিতে চাও ?

সূরা : সুরা তাওবা

لَا يَسْتَـْٔذِنُكَ ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ أَن يُجَٰهِدُوا۟ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِٱلْمُتَّقِينَ

যারা আল্লাহর উপরে আর পরকালের দিন সম্পর্কে ঈমান আনে, তারা কিন্তু তাদের ধন-সম্পদ ও জান-প্রাণ দিয়ে উৎকৃষ্টতমকর্ম করে। তারা কিন্তু অব্যহতি পাওয়ার জন্য তোমার কাছে অনুমতি চায় না। আর আল্লাহ তো মহৎব্যক্তিদের সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন।

সূরা : সুরা তাওবা

إِنَّمَا يَسْتَـْٔذِنُكَ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَٱرْتَابَتْ قُلُوبُهُمْ فَهُمْ فِى رَيْبِهِمْ يَتَرَدَّدُونَ


একমাত্র তারাই তোমার কাছে অনুমতি চাইবে, যারা আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের উপর বিস্বাস রাখে না। তাদের মনগুলো তো দ্বিধা সন্দেহের মধ্যে পড়ে রয়েছে। তাই তারা নিজেদের সন্দেহ নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে।

সূরা : সুরা তাওবা

وَلَوْ أَرَادُوا۟ ٱلْخُرُوجَ لَأَعَدُّوا۟ لَهُۥ عُدَّةً وَلَٰكِن كَرِهَ ٱللَّهُ ٱنۢبِعَاثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيلَ ٱقْعُدُوا۟ مَعَ ٱلْقَٰعِدِينَ


আর তারা যদি বের হওয়ার জন্য ইচ্ছা করতোই, তাহলে অবশ্যই তারা সেজন্য প্রস্তুতি নিতো। কিন্তু আল্লাহ তাদের অভিযাত্রা অপছন্দ করেছেন। ফলে তিনি তাদেরকে বিরত রাখেন। আর তাদেরকে বলা হয় যারা (হাত পা গুটিয়ে) বসে থাকে তোমরাও তাদের সাথে বসে থাকো।

সূরা : সুরা তাওবা

لَوْ خَرَجُوا۟ فِيكُم مَّا زَادُوكُمْ إِلَّا خَبَالًا وَلَأَوْضَعُوا۟ خِلَٰلَكُمْ يَبْغُونَكُمُ ٱلْفِتْنَةَ وَفِيكُمْ سَمَّٰعُونَ لَهُمْۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِٱلظَّٰلِمِينَ

তারা যদি তোমাদের সাথে বেরিয়ে আসে, তাহলে তারা শুধু ক্ষতি বৃদ্ধি করবে। শুধু তা নয় বরং তোমাদের মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টির জন্য খুবই তৎপর হয়ে উঠবে। আর তোমাদের মধ্যে তাদের কিছু লোক গুপ্তচর রয়েছে। আর আল্লাহ  সীমালঙ্ঘনকারীদের সম্পর্কে খুব জানেন।*

*9(47) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(118)...।

সূরা : সুরা তাওবা

لَقَدِ ٱبْتَغَوُا۟ ٱلْفِتْنَةَ مِن قَبْلُ وَقَلَّبُوا۟ لَكَ ٱلْأُمُورَ حَتَّىٰ جَآءَ ٱلْحَقُّ وَظَهَرَ أَمْرُ ٱللَّهِ وَهُمْ كَٰرِهُونَ


তারা তো এর পূর্বেও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে অনেক চেষ্টাই করেছে। তোমার কাজ-কর্মে অনেক উল্টা-পাল্টা করেছে। অবশেষে সত্য আগমনে আল্লাহর বিধান সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আর তারা বিরক্তি নিয়েই থাকে।

সূরা : সুরা তাওবা

وَمِنْهُم مَّن يَقُولُ ٱئْذَن لِّى وَلَا تَفْتِنِّىٓۚ أَلَا فِى ٱلْفِتْنَةِ سَقَطُوا۟ۗ وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيطَةٌۢ بِٱلْكَٰفِرِينَ

তাদের মধ্যে এমন লোক রয়েছে, যে বলে আমাকে অনুমতি দিন, আর আমাকে বিপর্যয়ে ফেলবেন না। সাবধান (শুনে রাখো), তারা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে রয়েছে। আর একথাও সত্য যে, জাহান্নাম অবশ্যই কাফিরদেরকে ঘিরে ধরবে।

সূরা : সুরা তাওবা

إِن تُصِبْكَ حَسَنَةٌ تَسُؤْهُمْۖ وَإِن تُصِبْكَ مُصِيبَةٌ يَقُولُوا۟ قَدْ أَخَذْنَآ أَمْرَنَا مِن قَبْلُ وَيَتَوَلَّوا۟ وَّهُمْ فَرِحُونَ

তোমার যদি কোনো কল্যাণ হয়, তবে তাদের কাছে সেটা খুবই খারাপ লাগে। কিন্তু তোমার যদি বিপদ ঘটে তখন তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা তো পূর্ব থেকেই আমাদের কাজ সামলে নিয়ে সাবধানে ছিলাম। আর তারা ফিরে যায় এ অবস্থায় যে তারা উৎফুল্ল।

সূরা : সুরা তাওবা

قُل لَّن يُصِيبَنَآ إِلَّا مَا كَتَبَ ٱللَّهُ لَنَا هُوَ مَوْلَىٰنَاۚ وَعَلَى ٱللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ ٱلْمُؤْمِنُونَ

তুমি বলে দাও ! আল্লাহ যা কিছু আমাদের জন্য নির্ধারিত করে লিখে দিয়েছেন তা ছাড়া কোন বিপদ আমাদের কাছে কখনও পৌঁছুবে না। আল্লাহ হলেন আমাদের মাওলা। আর মু'মিনদের আল্লাহর উপর নির্ভর করা উচিৎ।

সূরা : সুরা তাওবা

قُلْ هَلْ تَرَبَّصُونَ بِنَآ إِلَّآ إِحْدَى ٱلْحُسْنَيَيْنِۖ وَنَحْنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمْ أَن يُصِيبَكُمُ ٱللَّهُ بِعَذَابٍ مِّنْ عِندِهِۦٓ أَوْ بِأَيْدِينَاۖ فَتَرَبَّصُوٓا۟ إِنَّا مَعَكُم مُّتَرَبِّصُونَ


তুমি বলে দাও ! তোমরা তো আমাদের জন্যে দুটি কল্যাণের মধ্যে একটির জন্যই অপেক্ষা করছো। কিন্তু আমরাও তোমাদের জন্যে অপেক্ষা করছি। আল্লাহ তাঁর নিজের নিকট হতে অথবা আমাদের হাত দিয়ে তোমাদেরকে শাস্তি পৌঁছাবেন। তাই তোমরা অপেক্ষাই করতে থাকো। নিশ্চয়ই আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম।

সূরা : সুরা তাওবা

قُلْ أَنفِقُوا۟ طَوْعًا أَوْ كَرْهًا لَّن يُتَقَبَّلَ مِنكُمْۖ إِنَّكُمْ كُنتُمْ قَوْمًا فَٰسِقِينَ


তুমি বলে দাও ! তোমরা ব্যায় করো ইচ্ছায়, অথবা অনিচ্ছায়, তা তোমাদের হতে কখনও গ্রহণ করা হবে না। নিশ্চয়ই তোমরা হলে অমান্যকারী-ফাসিক সম্প্রদায়।

সূরা : সুরা তাওবা

وَمَا مَنَعَهُمْ أَن تُقْبَلَ مِنْهُمْ نَفَقَٰتُهُمْ إِلَّآ أَنَّهُمْ كَفَرُوا۟ بِٱللَّهِ وَبِرَسُولِهِۦ وَلَا يَأْتُونَ ٱلصَّلَوٰةَ إِلَّا وَهُمْ كُسَالَىٰ وَلَا يُنفِقُونَ إِلَّا وَهُمْ كَٰرِهُونَ

তাদের থেকে তাদের অর্থ সাহায্য গ্রহণ না করার মূলে এ ছাড়া আর কোনো কারণ নেই যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর অবিস্বাস করেছে, তাছাড়া দায়িত্ব পালনে একদম অলসের মতোই। আর তারা যা কিছু ব্যয় করে, তাও অনিচ্ছুক অবস্থায় করে।*

*9(54),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(28)...।

সূরা : সুরা তাওবা

فَلَا تُعْجِبْكَ أَمْوَٰلُهُمْ وَلَآ أَوْلَٰدُهُمْۚ إِنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُعَذِّبَهُم بِهَا فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَتَزْهَقَ أَنفُسُهُمْ وَهُمْ كَٰفِرُونَ


সুতরাং তাদের ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি যেন তোমাকে বিস্মিত না করে। আর আল্লাহ চান তাদেরকে এই প্রার্থিব জীবনেও সে সব দ্বারা শাস্তি দিতে, আর কুফুরির অবস্থাতেই যেন তাদের আত্মা চলে যায়।

সূরা : সুরা তাওবা

وَيَحْلِفُونَ بِٱللَّهِ إِنَّهُمْ لَمِنكُمْ وَمَا هُم مِّنكُمْ وَلَٰكِنَّهُمْ قَوْمٌ يَفْرَقُونَ


এবং তারা আল্লাহর শপথ খেয়ে বলবে, নিশ্চয়ই তারা তোমাদের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আসলে তারা তোমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। কিন্তু তারা এমন সম্প্রদায় যারা ভয় করে।

সূরা : সুরা তাওবা

لَوْ يَجِدُونَ مَلْجَـًٔا أَوْ مَغَٰرَٰتٍ أَوْ مُدَّخَلًا لَّوَلَّوْا۟ إِلَيْهِ وَهُمْ يَجْمَحُونَ


যদি তারা কোন আশ্রয়স্থল, বা কোন গুহা অথবা লুকিয়ে থাকার কোন প্রবেশস্থল পেত, তবে তারা সেদিকেই দৌড়ে পালিয়ে যেত। 

সূরা : সুরা তাওবা

وَمِنْهُم مَّن يَلْمِزُكَ فِى ٱلصَّدَقَٰتِ فَإِنْ أُعْطُوا۟ مِنْهَا رَضُوا۟ وَإِن لَّمْ يُعْطَوْا۟ مِنْهَآ إِذَا هُمْ يَسْخَطُونَ

মানুষের মধ্যে যারা খুশিমনে দানের ব্যাপারে তোমাকে দোষারোপ করে, তাদেরকে যদি তা থেকে কিছুটা দেয়া হয়, তাহলে তারা খুবই খুশি হয়। আর তাদেরকে যদি কিছুই না দেয়া হয়, তাহলে তারা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়।

সূরা : সুরা তাওবা

وَلَوْ أَنَّهُمْ رَضُوا۟ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَقَالُوا۟ حَسْبُنَا ٱللَّهُ سَيُؤْتِينَا ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ وَرَسُولُهُۥٓ إِنَّآ إِلَى ٱللَّهِ رَٰغِبُونَ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাদেরকে যা কিছু দিয়েছেন, তাতেই যদি তারা সন্তুষ্ট থাকে, আর যদি বলে, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট। শীঘ্রই নিজের দান সামগ্রী থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদেরকে প্রদান করবেন। নিশ্চয় আমরা তো আল্লাহর দিকেই রুজু রয়েছি।

সূরা : সুরা তাওবা

إِنَّمَا ٱلصَّدَقَٰتُ لِلْفُقَرَآءِ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَٱلْعَٰمِلِينَ عَلَيْهَا وَٱلْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِى ٱلرِّقَابِ وَٱلْغَٰرِمِينَ وَفِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِۖ فَرِيضَةً مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

প্রকৃতপক্ষে খুশি মনে মাল প্রদান কেবলমাত্র ফকিরদের, গৃহহীনদের, আর এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্যে। এছাড়া যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয়, তাদের জন্যে, বন্দীদশা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্যে, ঋণগ্রস্তদের জন্যে, কোরআন প্রতিষ্ঠার খাতিরে ও কোরআনের পথের পথিকদের জন্যে। এ হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরজ। আসলে আল্লাহই তো মহা জ্ঞানী, মহা বৈজ্ঞানিক।*

*9(60),নং আয়াতের الموءلفة /মুওয়াল্লিফাহ(চিত্তাকর্ষণ করার) শব্দের ব্যাখ্যায় 8(72),9(6),90(17)...। যারা দ্বীনের ব্যাপারে সাহায্য চায়,তাদেরকে বোঝানো হয়েছে। 

সূরা : সুরা তাওবা

وَمِنْهُمُ ٱلَّذِينَ يُؤْذُونَ ٱلنَّبِىَّ وَيَقُولُونَ هُوَ أُذُنٌۚ قُلْ أُذُنُ خَيْرٍ لَّكُمْ يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَيُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِينَ وَرَحْمَةٌ لِّلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مِنكُمْۚ وَٱلَّذِينَ يُؤْذُونَ رَسُولَ ٱللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


আর মানুষের মধ্য হতে যারা নবীকে কষ্ট দেয় এবং বলে, সে তো কান কথা শুনে। তুমি বলে দাও, কান কথা শুনা তোমাদের জন্য উত্তম। সে আল্লাহর উপর ঈমান রাখে এবং মুমিনদের বিশ্বাস করে, আর তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার তাদের জন্য সে দয়া এবং যারা আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়, তাদের জন্য রয়েছে নিদারুণ শাস্তি।

সূরা : সুরা তাওবা

يَحْلِفُونَ بِٱللَّهِ لَكُمْ لِيُرْضُوكُمْ وَٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَحَقُّ أَن يُرْضُوهُ إِن كَانُوا۟ مُؤْمِنِينَ


তারা তোমাদের সামনে আল্লাহর নামে কসম খেয়ে তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করতে চায়। অথচ সন্তুষ্ট করার জন্য আল্লহ্ ও তাঁর রাসূলই তো সব চেয়ে বেশী হকদার। অবশ্য তারা যদি প্রকৃত মুমিন হয়েই থাকে।

সূরা : সুরা তাওবা

أَلَمْ يَعْلَمُوٓا۟ أَنَّهُۥ مَن يُحَادِدِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَأَنَّ لَهُۥ نَارَ جَهَنَّمَ خَٰلِدًا فِيهَاۚ ذَٰلِكَ ٱلْخِزْىُ ٱلْعَظِيمُ


তারা কি জানে না ? যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলের বিরোধীতা করবে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে, আর চিরকাল সেখানেই থাকবে। এটা চরম অপমান।

সূরা : সুরা তাওবা

يَحْذَرُ ٱلْمُنَٰفِقُونَ أَن تُنَزَّلَ عَلَيْهِمْ سُورَةٌ تُنَبِّئُهُم بِمَا فِى قُلُوبِهِمْۚ قُلِ ٱسْتَهْزِءُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ مُخْرِجٌ مَّا تَحْذَرُونَ


মুনাফিক্ব-কপট বক্তিরা ভয় করে, যেনো তাদের সম্পর্কে এমন কোনো সুরা অবতীর্ণ না হয়, যা তাদের অন্তরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিষয়গুলো (মুসলিমদেরকে) জানিয়ে দিবে। তুমি বলে দাও ! তোমরা ঠাট্টা করতে থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিবেন, যা নিয়ে তোমরা ভয় করছো।

সূরা : সুরা তাওবা

وَلَئِن سَأَلْتَهُمْ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُۚ قُلْ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمْ تَسْتَهْزِءُونَ

আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো, তাহলে তারা অবশ্যই বলবে, প্রকৃতপক্ষে আমরা তো আমোদ ফুর্তি ও খেলাধুলাই করছি। তুমি বলে দাও ! আল্লাহ ও তাঁর আয়াতসমূহ আর তাঁর রাসূলকে নিয়েই কি তোমরা উপহাস করছো ?

সূরা : সুরা তাওবা

لَا تَعْتَذِرُوا۟ قَدْ كَفَرْتُم بَعْدَ إِيمَٰنِكُمْۚ إِن نَّعْفُ عَن طَآئِفَةٍ مِّنكُمْ نُعَذِّبْ طَآئِفَةًۢ بِأَنَّهُمْ كَانُوا۟ مُجْرِمِينَ


এখন আর তোমরা কোনো ওজর পেশ করো না। তোমরা তো নিজেদের ঈমান আনার কথা প্রচার করার পরেও অবাধ্যতাই  প্রকাশ করেছো। তোমাদের মধ্যে কিছু লোককে যদি ছেড়েও দিই, তবুও কিছু লোককে অবশ্যই শাস্তি দেয়া হবে। কারণ তারা তো ভয়ানক অপরাধী।

সূরা : সুরা তাওবা

ٱلْمُنَٰفِقُونَ وَٱلْمُنَٰفِقَٰتُ بَعْضُهُم مِّنۢ بَعْضٍۚ يَأْمُرُونَ بِٱلْمُنكَرِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمَعْرُوفِ وَيَقْبِضُونَ أَيْدِيَهُمْۚ نَسُوا۟ ٱللَّهَ فَنَسِيَهُمْۗ إِنَّ ٱلْمُنَٰفِقِينَ هُمُ ٱلْفَٰسِقُونَ


মুনাফিক-কপট পুরুষ ও নারী এরা একে অন্যের অংশ। তারা অন্যায় কাজের ব্যাপারে নির্দেশ দেয়। আর সুপরিচিত বিধি (কিতাব) হতে নিষেধ করে। আর নিজেদের হাতগুলোকে (প্রতিপালকের বিধান মতে খরচ না করে) গুটিয়ে রাখে। তারা যে আল্লাহকেই ভুলে থাকে। তাই আল্লাহ তাদেরকেও ভুলে থাকেন। নিশ্চয় মুনাফিকরাই অমান্যকারী-ফাসিক।

সূরা : সুরা তাওবা

وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلْمُنَٰفِقِينَ وَٱلْمُنَٰفِقَٰتِ وَٱلْكُفَّارَ نَارَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ هِىَ حَسْبُهُمْۚ وَلَعَنَهُمُ ٱللَّهُۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ مُّقِيمٌ

আল্লাহ কপট পুরুষ, কপট নারী ও কাফিরদের সাথে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাহান্নামের আগুনের, সেখানেই তারা চিরস্থায়ী হবে,তা তাদের জন্য যথেষ্ঠ। আল্লাহ তাদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন। আর তাদের জন্য চিরস্থায়ী শাস্তি রয়েছে।

সূরা : সুরা তাওবা

كَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ كَانُوٓا۟ أَشَدَّ مِنكُمْ قُوَّةً وَأَكْثَرَ أَمْوَٰلًا وَأَوْلَٰدًا فَٱسْتَمْتَعُوا۟ بِخَلَٰقِهِمْ فَٱسْتَمْتَعْتُم بِخَلَٰقِكُمْ كَمَا ٱسْتَمْتَعَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُم بِخَلَٰقِهِمْ وَخُضْتُمْ كَٱلَّذِى خَاضُوٓا۟ۚ أُو۟لَٰٓئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَٰلُهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ


তাদের মতোই যারা তোমাদের পূর্বে শক্তি সামর্থ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির দিক থেকে তোমাদের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ছিলো। সুতরাং তারা নিজেদের অংশ খুব করে উপভোগ করেছে। অতএব তোমরাও নিজেদের অংশ খুব করে উপভোগ করে নাও। যেমন তোমাদের পূর্বের লোকেরা নিজেদের অংশ খুব করে উপভোগ করেছে। তোমরা তো দেখছি তাদের মতোই অপকর্মে ডুবেই রইলে, যেমন পূর্বের লোকেরা ডুবে ছিল। এরাই তো সেই দল, দুনিয়া আখিরাতে যাদের কাজ কর্ম নষ্ট হয়েছে। এরাই তো বড়ই ক্ষতিগ্রস্থ দল।

সূরা : সুরা তাওবা

أَلَمْ يَأْتِهِمْ نَبَأُ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ قَوْمِ نُوحٍ وَعَادٍ وَثَمُودَ وَقَوْمِ إِبْرَٰهِيمَ وَأَصْحَٰبِ مَدْيَنَ وَٱلْمُؤْتَفِكَٰتِۚ أَتَتْهُمْ رُسُلُهُم بِٱلْبَيِّنَٰتِۖ فَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلَٰكِن كَانُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ


তাদের কাছে কি তাদের সংবাদ আসে নি ? যারা তাদের পূর্বে ছিলো যেমন নূহের জাতি, আদ, ছামূদ ও ইবরাহীমের জাতি, আর মাদইয়ানের অধিবাসী ও বিধস্ত নগরের। তাদের কাছে তাদের রাসূলরা সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছে। অতএব আল্লাহ এমন নন যে, তাদের উপরে অবিচার করবেন ? কিন্তু তারা তো নিজেদের উপরে নিজেরাই অবিচার করেছে।

সূরা : সুরা তাওবা

وَٱلْمُؤْمِنُونَ وَٱلْمُؤْمِنَٰتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍۚ يَأْمُرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤْتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَيُطِيعُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ أُو۟لَٰٓئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ ٱللَّهُۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ


আর মু'মিন পুরুষ ও মু'মিনা নারী পরস্পর একে অন্যের বন্ধু। তারা  সুপরিচিত বিধির (কিতাবের) সাথে নির্দেশ দেয়, আর অন্যায় কাজ হতে (নিজেকে ও অন্যদেরকে) ফিরিয়ে রাখে। আর দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা করে, সাহায্য প্রদান করে, আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলের আনুগত্য করে। এরাই তো সেই দল, যাদেরকে আল্লাহ শীঘ্রই অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা তাওবা

وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلْمُؤْمِنِينَ وَٱلْمُؤْمِنَٰتِ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا وَمَسَٰكِنَ طَيِّبَةً فِى جَنَّٰتِ عَدْنٍۚ وَرِضْوَٰنٌ مِّنَ ٱللَّهِ أَكْبَرُۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ


আল্লাহ মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীদেরকে  জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যার নীচ হতে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে, সেখানেই তারা চিরস্থায়ী হবে। আর (প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন) চিরস্থায়ী জান্নাতের বড়ই সুন্দর বসবাসস্থানের। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি, যা সব চাইতে বড় ও মহান, এটাই সেই মহা সাফল্য।

সূরা : সুরা তাওবা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ جَٰهِدِ ٱلْكُفَّارَ وَٱلْمُنَٰفِقِينَ وَٱغْلُظْ عَلَيْهِمْۚ وَمَأْوَىٰهُمْ جَهَنَّمُۖ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ


হে নবী, কাফির ও মুনাফিক্ব-কপট লোকদের বিরূদ্ধে উৎকৃষ্টতমকর্ম কর, আর তাদের প্রতি কঠোর হও। তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। আর তা তো অতি নিকৃষ্ট বাসস্থান।

সূরা : সুরা তাওবা

يَحْلِفُونَ بِٱللَّهِ مَا قَالُوا۟ وَلَقَدْ قَالُوا۟ كَلِمَةَ ٱلْكُفْرِ وَكَفَرُوا۟ بَعْدَ إِسْلَٰمِهِمْ وَهَمُّوا۟ بِمَا لَمْ يَنَالُوا۟ۚ وَمَا نَقَمُوٓا۟ إِلَّآ أَنْ أَغْنَىٰهُمُ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ مِن فَضْلِهِۦۚ فَإِن يَتُوبُوا۟ يَكُ خَيْرًا لَّهُمْۖ وَإِن يَتَوَلَّوْا۟ يُعَذِّبْهُمُ ٱللَّهُ عَذَابًا أَلِيمًا فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِۚ وَمَا لَهُمْ فِى ٱلْأَرْضِ مِن وَلِىٍّ وَلَا نَصِيرٍ

তারা আল্লাহর কসম খেয়ে বলে, আমরা তেমন কোন কথা বলিনি। অথচ তারা অবিশ্বাসের কথা বলে, আর নিজেদের ইসলাম গ্রহণের পরেও তারা অবিশ্বাস করেছে। আর তারা এমন কাজের সংকল্প নিয়েছে, যা তাদের আয়ত্বের মধ্যে পৌঁছায় নি। এভাবেই তারা প্রতিদান দিচ্ছে। কারণ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তাদেরকে নিজ দান সামগ্রীর সাহায্যে বিত্তশালী করে দিয়েছেন। অতএব তারা যদি তাওবা করে, তা হবে তাদের জন্যে উত্তম। আর যদি তারা ফিরে যায়, তাহলে আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া এবং পরকালে অতি কষ্টদায়ক শাস্তি দিবেন। আর পৃথিবীতে তাদের কোনো অলি থাকবে না, আর তাদেরকে কোন ধরনের সাহায্যও করা হবে না।*

*9(74),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(54),47(38)...।

সূরা : সুরা তাওবা

وَمِنْهُم مَّنْ عَٰهَدَ ٱللَّهَ لَئِنْ ءَاتَىٰنَا مِن فَضْلِهِۦ لَنَصَّدَّقَنَّ وَلَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ


তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে, যারা আল্লাহর সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় এই শর্তে, আল্লাহ যদি আমাদেরকে নিজ দান সামগ্রী প্রদান করেন, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই বেশী পরিমাণ খুশিমনে দান করবো। আর আমরাও সংশোধনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো। 

সূরা : সুরা তাওবা

فَلَمَّآ ءَاتَىٰهُم مِّن فَضْلِهِۦ بَخِلُوا۟ بِهِۦ وَتَوَلَّوا۟ وَّهُم مُّعْرِضُونَ


অতঃপর যখন তাঁর কাছ থেকে দান সামগ্রী তাদেরকে দেওয়া হয়, তখন কিন্তু তারা তা নিয়ে কৃপনতা করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর এমতাবস্থায় তারা বিরুদ্ধভাবাপন্ন হয়ে যায়।

সূরা : সুরা তাওবা

فَأَعْقَبَهُمْ نِفَاقًا فِى قُلُوبِهِمْ إِلَىٰ يَوْمِ يَلْقَوْنَهُۥ بِمَآ أَخْلَفُوا۟ ٱللَّهَ مَا وَعَدُوهُ وَبِمَا كَانُوا۟ يَكْذِبُونَ


পরিণামে তাদের অন্তরের মধ্যে মুনাফেকী সৃষ্টি হয়ে থাকে, তাঁর সাথে সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত। কারণ তারা তো আল্লাহর সাথে যে প্রতিশ্রুতি দেয় তারই ভঙ্গ করে থাকে। আর যা নিয়ে তারা মিথ্যা বলে।

সূরা : সুরা তাওবা

أَلَمْ يَعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ سِرَّهُمْ وَنَجْوَىٰهُمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ عَلَّٰمُ ٱلْغُيُوبِ


তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তাদের গোপন কথা ও গোপন পরামর্শ সবই জানেন? নিশ্চয়ই আল্লাহ গোপন বিষয়গুলো খুব ভালো করেই জানেন।

সূরা : সুরা তাওবা

ٱلَّذِينَ يَلْمِزُونَ ٱلْمُطَّوِّعِينَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ فِى ٱلصَّدَقَٰتِ وَٱلَّذِينَ لَا يَجِدُونَ إِلَّا جُهْدَهُمْ فَيَسْخَرُونَ مِنْهُمْۙ سَخِرَ ٱللَّهُ مِنْهُمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


যারা দোষারোপ করে মুমিনদের মধ্য হতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে দানকারীদেরকে, যারা খুশিমনে দান করে। আর যারা নিজেদের পরিশ্রম ছাড়া কিছুই পায় না। তাই তারা তাদের সম্পর্কে ঠাট্টা করে। আল্লাহ তাদের ব্যাপারে (বিদ্রুপকারীদেরকে) ঠাট্টা করেন এবং তাদের জন্যে রয়েছে নিদারুণ শাস্তি।

সূরা : সুরা তাওবা

ٱسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لَا تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِن تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَن يَغْفِرَ ٱللَّهُ لَهُمْۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَفَرُوا۟ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْفَٰسِقِينَ

তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করো, অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করো, এমনকি তুমি যদি তাদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমা প্রার্থনা করো তবুও আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। এটা এজন্যেই যে তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অবিস্বাস করেছে। আর আল্লাহ অমান্যকারী-ফাসিক সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।*

*9(80) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 63(1-6)...।


সূরা : সুরা তাওবা

فَرِحَ ٱلْمُخَلَّفُونَ بِمَقْعَدِهِمْ خِلَٰفَ رَسُولِ ٱللَّهِ وَكَرِهُوٓا۟ أَن يُجَٰهِدُوا۟ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَقَالُوا۟ لَا تَنفِرُوا۟ فِى ٱلْحَرِّۗ قُلْ نَارُ جَهَنَّمَ أَشَدُّ حَرًّاۚ لَّوْ كَانُوا۟ يَفْقَهُونَ


পিছনে যারা পড়ে থাকে, তারা তো খুব আনন্দ করে। কারণ তারা তো আল্লাহর রাসূলের পিছনে এমনি বসে থাকতে চায়। তাদের ধন-সম্পদ ও তাদের প্রাণ দিয়ে আল্লাহর (কোরআনের)পথে উৎকৃষ্টতমকর্ম করাটা তারা অপছন্দ করে। তারা বলে, (দেশের পরিস্থিতির) গরমের মধ্যে তোমরা বের হয়ো না। তুমি বলে দাও ! জাহান্নামের আগুন তো অনেক বেশী গরম। যদি তারা বুঝতেই পারতো !

সূরা : সুরা তাওবা

فَلْيَضْحَكُوا۟ قَلِيلًا وَلْيَبْكُوا۟ كَثِيرًا جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ


অতএব এখন তারা কিছুটা হেসে নিক, তাদের তো অনেক বেশী কাঁদতে হবে। সেই সব কাজের প্রতিফল হিসেবে তারা যা কিছু করেছে।

সূরা : সুরা তাওবা

فَإِن رَّجَعَكَ ٱللَّهُ إِلَىٰ طَآئِفَةٍ مِّنْهُمْ فَٱسْتَـْٔذَنُوكَ لِلْخُرُوجِ فَقُل لَّن تَخْرُجُوا۟ مَعِىَ أَبَدًا وَلَن تُقَٰتِلُوا۟ مَعِىَ عَدُوًّاۖ إِنَّكُمْ رَضِيتُم بِٱلْقُعُودِ أَوَّلَ مَرَّةٍ فَٱقْعُدُوا۟ مَعَ ٱلْخَٰلِفِينَ

অতঃপর যদি আল্লাহ তোমাকে তাদের মধ্য হতে কোনো দলের কাছে ফিরিয়ে আনেন, তখন যদি তারা বের হওয়ার জন্য তোমার কাছে অনুমতি চায়, তাহলে তুমি বলে দাও ! তোমরা কিছুতেই আমার সাথে বের হবে না, কখনও না। আর কখনও তোমরা আমার সাথে কোনো শত্রুর বিরুদ্ধে (আয়াত দ্বারা) কতল করবে না। নিশ্চয়ই তোমরাই প্রথম বার বসে থাকার বিষয়কে পছন্দ করেছো। অতএব তোমরা বসে থাকা লোকদের সাথে এখনো বসে থাকো।

সূরা : সুরা তাওবা

وَلَا تُصَلِّ عَلَىٰٓ أَحَدٍ مِّنْهُم مَّاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَىٰ قَبْرِهِۦٓۖ إِنَّهُمْ كَفَرُوا۟ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَمَاتُوا۟ وَهُمْ فَٰسِقُونَ


তাদের মধ্য থেকে কেউ মরে গেলে তুমি তার (ক্ষমার) জন্যে কখনও দায়িত্ব পালন করবে না এবং তার কবরের পাশে মোটেই দাঁড়াবে না। তারা তো আল্লাহ‌ ও তাঁর  রাসূলের সাথে কুফুরী করেছে,এবং তারা অমান্যকারী-ফাসিক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

সূরা : সুরা তাওবা

وَلَا تُعْجِبْكَ أَمْوَٰلُهُمْ وَأَوْلَٰدُهُمْۚ إِنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُعَذِّبَهُم بِهَا فِى ٱلدُّنْيَا وَتَزْهَقَ أَنفُسُهُمْ وَهُمْ كَٰفِرُونَ


তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি যেনো তোমাকে বিষ্মিত না করে। কারণ আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া  এই সবের মাধ্যমেই শাস্তি দিতে চান। আর তাদের আত্মা যেনো অবিশ্বাসী অবস্থায় চলে যায়।

সূরা : সুরা তাওবা

وَإِذَآ أُنزِلَتْ سُورَةٌ أَنْ ءَامِنُوا۟ بِٱللَّهِ وَجَٰهِدُوا۟ مَعَ رَسُولِهِ ٱسْتَـْٔذَنَكَ أُو۟لُوا۟ ٱلطَّوْلِ مِنْهُمْ وَقَالُوا۟ ذَرْنَا نَكُن مَّعَ ٱلْقَٰعِدِينَ


আর যখন কোনো সুরা অবতীর্ণ করা হয় যে, তোমরা আল্লাহর উপর ঈমান আনো, আর তাঁর রাসূলের সাথে সঙ্গী হয়ে উৎকৃষ্টতমকর্ম করো। তখন তাদের মধ্য থেকে শক্তি-সামর্থ্য সম্পন্ন ব্যক্তিরা তোমার কাছে অব্যাহতি চায়। আর তারা বলে, আমাদেরকে ছেড়ে দাও, আমরা বসে থাকা লোকদের সাথে বসে থাকবো।

সূরা : সুরা তাওবা

رَضُوا۟ بِأَن يَكُونُوا۟ مَعَ ٱلْخَوَالِفِ وَطُبِعَ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَفْقَهُونَ


(যারা সঙ্গী-সাথী হতে চায় না) তারা তাদের সঙ্গে অবস্থান করাটা পছন্দ করে। তাদের অন্তরের উপর শীল করা হয়েছে। তাই তারা সঠিক বুঝ অর্জন করতে পারেনা।

সূরা : সুরা তাওবা

لَٰكِنِ ٱلرَّسُولُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥ جَٰهَدُوا۟ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْۚ وَأُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلْخَيْرَٰتُۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ


কিন্তু রাসূল ও যারা ঈমান এনে তার সাথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও প্রাণ দিয়ে উৎকৃষ্টতমকর্ম করে, ঐসব লোকদের জন্যই তো রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। আর ঐসব লোকেরাই সফলকাম।

সূরা : সুরা তাওবা

أَعَدَّ ٱللَّهُ لَهُمْ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ ذَٰلِكَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ


আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন, যার নীচ থেকে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে। তার মধ্যে তারা চিরস্থায়ী হবে। এটাই মহা সাফল্য।

সূরা : সুরা তাওবা

وَجَآءَ ٱلْمُعَذِّرُونَ مِنَ ٱلْأَعْرَابِ لِيُؤْذَنَ لَهُمْ وَقَعَدَ ٱلَّذِينَ كَذَبُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥۚ سَيُصِيبُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


আরববাসীদের মধ্য হতে কিছু অজুহাত পেশকারী লোক আসে, যেনো তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়।
এভাবে এসব লোক (দায়িত্ব পালন না করে) বসে থাকে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (ঈমানের ওয়াদায়) মিথ্যা বলে, সীঘ্রই তাদের নিদারুণ শাস্তি পৌঁছবে, যারা তাদের মধ্য হতে অস্বীকার করেছে। 

সূরা : সুরা তাওবা

لَّيْسَ عَلَى ٱلضُّعَفَآءِ وَلَا عَلَى ٱلْمَرْضَىٰ وَلَا عَلَى ٱلَّذِينَ لَا يَجِدُونَ مَا يُنفِقُونَ حَرَجٌ إِذَا نَصَحُوا۟ لِلَّهِ وَرَسُولِهِۦۚ مَا عَلَى ٱلْمُحْسِنِينَ مِن سَبِيلٍۚ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

যারা দূর্বল, অসুস্থ আর ব্যয় করার মতো যাদের কিছুই নেই, তাদের কোনো দোষ হবে না। যখন তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যে কল্যাণ কামনা করে, সৎকর্মশীলদের উপরে কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা তাওবা

وَلَا عَلَى ٱلَّذِينَ إِذَا مَآ أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَآ أَجِدُ مَآ أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّوا۟ وَّأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ ٱلدَّمْعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُوا۟ مَا يُنفِقُون


আর তাদের উপরে কোনো অভিযোগ নেই, তারা যখন তোমার কাছে বাহন চায়, যেনো তুমি তাদের জন্যে বাহনের ব্যবস্থা করো। আর তুমি বলো আমার কাছে তো বাহনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায় তারা যখন ফিরে যায়, তখন শোকে তাদের চোখগুলো থেকে পানি ঝরতে থাকে। তাদের এই শোকের কারণ হচ্ছে এই যে, তারা খরচ করতে পারবে এমন কিছুই তারা পায় না।

সূরা : সুরা তাওবা

إِنَّمَا ٱلسَّبِيلُ عَلَى ٱلَّذِينَ يَسْتَـْٔذِنُونَكَ وَهُمْ أَغْنِيَآءُۚ رَضُوا۟ بِأَن يَكُونُوا۟ مَعَ ٱلْخَوَالِفِ وَطَبَعَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

প্রকৃতপক্ষে অভিযোগ তো তাদের উপরেই, যারা বিত্তশালী হওয়া সত্বেও অনুমতি চায়। তারা পিছনে যারা বসে থাকে তাদের সাথে বসে থাকতে পছন্দ করে। আল্লাহ তাদের অন্তরগুলোর উপরে সীলমোহর করে দিয়েছেন। তাই তারা কিছুই জানতে পারে না।

সূরা : সুরা তাওবা

يَعْتَذِرُونَ إِلَيْكُمْ إِذَا رَجَعْتُمْ إِلَيْهِمْۚ قُل لَّا تَعْتَذِرُوا۟ لَن نُّؤْمِنَ لَكُمْ قَدْ نَبَّأَنَا ٱللَّهُ مِنْ أَخْبَارِكُمْۚ وَسَيَرَى ٱللَّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُۥ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَىٰ عَٰلِمِ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

তোমাদের কাছে তারা অজুহাত পেশ করবে তোমরা যখন তাদের নিকট ফিরে যাবে। তুমি বলে দাও ! তোমরা অজুহাত পেশ করো না। তোমাদেরকে আমরা কখনও বিশ্বাস করবো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদেরকে তোমাদের সম্পর্কে খবর জানিয়ে দিয়েছেন। আর সীঘ্রেই আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম দেখবেন ও তাঁর  রাসূলও। এরপরে তোমরা দৃশ্যের ও অদৃশ্যের সব কিছুর জ্ঞানীর দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে ঐ বিষয়ে জানিয়ে দিবেন, তোমরা যা কিছু করেছ।

সূরা : সুরা তাওবা

سَيَحْلِفُونَ بِٱللَّهِ لَكُمْ إِذَا ٱنقَلَبْتُمْ إِلَيْهِمْ لِتُعْرِضُوا۟ عَنْهُمْۖ فَأَعْرِضُوا۟ عَنْهُمْۖ إِنَّهُمْ رِجْسٌۖ وَمَأْوَىٰهُمْ جَهَنَّمُ جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ


শীঘ্রই তারা তোমাদের সামনে আল্লাহর নামে শপথ করে বলতে থাকবে, তোমরা যখন তাদের কাছে ফিরে যাবে। যেন তোমরা তাদের ব্যাপারে উপেক্ষা করো। তাই তোমরা তাদের ব্যপারে উপেক্ষা করো। নিশ্চয়ই তারা অপবিত্র, আর তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম, তারা যা কামাই করেছে তারই প্রতিফল হিসেবে।

সূরা : সুরা তাওবা

يَحْلِفُونَ لَكُمْ لِتَرْضَوْا۟ عَنْهُمْۖ فَإِن تَرْضَوْا۟ عَنْهُمْ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يَرْضَىٰ عَنِ ٱلْقَوْمِ ٱلْفَٰسِقِينَ

তোমাদের সামনে তারা শপথ করে বলবে। যেন তোমরা তাদের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হয়ে যাও। অতঃপর তোমরা যদি তাদের ব্যপারে সন্তুষ্ট হও, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ কিছুতেই অমান্যকারী-ফাসিক সম্প্রদায়ের হতে সন্তুষ্ট হবেন না। 

সূরা : সুরা তাওবা

ٱلْأَعْرَابُ أَشَدُّ كُفْرًا وَنِفَاقًا وَأَجْدَرُ أَلَّا يَعْلَمُوا۟ حُدُودَ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ عَلَىٰ رَسُولِهِۦۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

আরববাসীরা অবিশ্বাসে ও কপটতায় বড়ই কঠোরতর এবং তারা সে সব সীমারেখার নিয়ম-কানুন সম্পর্কে কিছুই জানবে না, আল্লাহ যা কিছু তাঁর রাসূলের উপর অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহা বৈজ্ঞানিক।*

9(97,98,101),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়, 43(31)

সূরা : সুরা তাওবা

وَمِنَ ٱلْأَعْرَابِ مَن يَتَّخِذُ مَا يُنفِقُ مَغْرَمًا وَيَتَرَبَّصُ بِكُمُ ٱلدَّوَآئِرَۚ عَلَيْهِمْ دَآئِرَةُ ٱلسَّوْءِۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

আরববাসীদের মধ্যে কিছু লোক এমনও রয়েছে তারা যা কিছু খরচ করে, সেটাকে তারা জরিমানা মনে করে। আর তোমাদের জন্য বিপর্যয়ের অপেক্ষা করে। অথচ নিদারুণ বিপর্যয় তো তাদের উপরেই এসে পড়বে। আল্লাহ সবই শোনেন, সবই জানেন।

সূরা : সুরা তাওবা

وَمِنَ ٱلْأَعْرَابِ مَن يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَيَتَّخِذُ مَا يُنفِقُ قُرُبَٰتٍ عِندَ ٱللَّهِ وَصَلَوَٰتِ ٱلرَّسُولِۚ أَلَآ إِنَّهَا قُرْبَةٌ لَّهُمْۚ سَيُدْخِلُهُمُ ٱللَّهُ فِى رَحْمَتِهِۦٓۗ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


আরববাসীদের মধ্য হতে এমন লোকও রয়েছে, যারা আল্লাহ ও পরকালের দিনের উপর বিশ্বাস করে। আর তারা যা কিছু ব্যায় করে, তা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ ও  রাসূলের দায়িত্ব পালনের উপায় (হিসেবে) মনে করে। তোমরা জেনে রাখো, নিশ্চয়ই তা তাদের জন্য আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উপায়। শীঘ্রই আল্লাহ তাদেরকে তাঁর দয়ায় প্রবেশ করাবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু । 

সূরা : সুরা তাওবা

وَٱلسَّٰبِقُونَ ٱلْأَوَّلُونَ مِنَ ٱلْمُهَٰجِرِينَ وَٱلْأَنصَارِ وَٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُم بِإِحْسَٰنٍ رَّضِىَ ٱللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا۟ عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّٰتٍ تَجْرِى تَحْتَهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًاۚ ذَٰلِكَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ


মুহাজির ও আনসারদের মধ্য হতে যারা প্রথম অগ্রগামী, আর যারা তাদেরকে সততার সাথে অনুসরণ করে, আল্লাহ তাদের উপরে সন্তুষ্ট হন, আর তারাও তাঁর উপরে খুশি থাকে। তাদের জন্যই তো তিনি জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন, যার নিচে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে তারা চিরকাল বাস করবে। এটাই মহা সফলতা।

সূরা : সুরা তাওবা

وَمِمَّنْ حَوْلَكُم مِّنَ ٱلْأَعْرَابِ مُنَٰفِقُونَۖ وَمِنْ أَهْلِ ٱلْمَدِينَةِۖ مَرَدُوا۟ عَلَى ٱلنِّفَاقِ لَا تَعْلَمُهُمْۖ نَحْنُ نَعْلَمُهُمْۚ سَنُعَذِّبُهُم مَّرَّتَيْنِ ثُمَّ يُرَدُّونَ إِلَىٰ عَذَابٍ عَظِيمٍ


তোমাদের আশপাশে আরববাসীদের মধ্যে যারা রয়েছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক্ব-কপট। মদীনা শহরের অধিবাসীদের মধ্যেও কিছু লোক তেমনই রয়েছে। তারা কপটতার ক্ষেত্রে চরমে পৌঁছে গেছে। তুমি তাদেরকে  জানো না, আমি তাদেরকে জানি। শীঘ্রই আমি তাদেরকে দু'বার শাস্তি দিবো। এরপর তাদেরকে  ফিরিয়ে নেওয়া হবে কঠোর শাস্তির দিকে। 

সূরা : সুরা তাওবা

وَءَاخَرُونَ ٱعْتَرَفُوا۟ بِذُنُوبِهِمْ خَلَطُوا۟ عَمَلًا صَٰلِحًا وَءَاخَرَ سَيِّئًا عَسَى ٱللَّهُ أَن يَتُوبَ عَلَيْهِمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

আরও কিছু লোক রয়েছে, যারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে, যারা কিছু সংশোধনের কাজ আর কিছু খারাপ কাজ একসাথে মিশিয়ে তালগোল পাকিয়েছে। আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা তাওবা

خُذْ مِنْ أَمْوَٰلِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْۖ إِنَّ صَلَوٰتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

তুমি তাদের ধনসম্পদ হতে খুশি মনের দান গ্রহণ করে তা দিয়ে তাদেরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধি করবে, আর তুমি তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করবে। নিশ্চয়ই তোমার দায়িত্ব পালন তাদের জন্যে প্রশান্তিকর। আল্লাহ সব শোনেন, সবই জানেন।*

*9(103),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 29(45),14(1),65(11),5(67),24(54)...।

সূরা : সুরা তাওবা

أَلَمْ يَعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ هُوَ يَقْبَلُ ٱلتَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِۦ وَيَأْخُذُ ٱلصَّدَقَٰتِ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ


তারা কি জানে না ? যে, আল্লাহ তিনিই (যিনি) তাঁর দাসদের হতে তাওবা গ্রহণ করেন আর খুশি মনের দান গ্রহণ করে থাকেন। আর একথাও যে তিনিই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ।

সূরা : সুরা তাওবা

وَقُلِ ٱعْمَلُوا۟ فَسَيَرَى ٱللَّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُۥ وَٱلْمُؤْمِنُونَۖ وَسَتُرَدُّونَ إِلَىٰ عَٰلِمِ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

তুমি একথাও বলে দাও, তোমরা কাজ করে যাও। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আর মুমিনগণ শীঘ্রই তোমাদের কাজকর্ম দেখে নিবেন। অচিরেই তোমাদেরকে তাঁর দিকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে যিনি দৃশ্য ও অদৃশ্য সম্পর্কে খুব জানেন। অতঃপর তোমাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে ঐসব বিষয়ে, যা কিছু তোমরা করতে। *

*9(102-105),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(143),25(70-74),27(11),2(159-162),8(38,39),5(93),9(93)...।

সূরা : সুরা তাওবা

وَءَاخَرُونَ مُرْجَوْنَ لِأَمْرِ ٱللَّهِ إِمَّا يُعَذِّبُهُمْ وَإِمَّا يَتُوبُ عَلَيْهِمْۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ


আবার কিছু লোক এমনও রয়েছে, যাদের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মুলতবী রাখা হয়েছে। তাদেরকে হয় শাস্তি দেওয়া হবে, নয়তো ক্ষমা করা হবে। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা তাওবা

وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُوا۟ مَسْجِدًا ضِرَارًا وَكُفْرًا وَتَفْرِيقًۢا بَيْنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ وَإِرْصَادًا لِّمَنْ حَارَبَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ مِن قَبْلُۚ وَلَيَحْلِفُنَّ إِنْ أَرَدْنَآ إِلَّا ٱلْحُسْنَىٰۖ وَٱللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَٰذِبُونَ


আর যারা ক্ষতি সাধন,সত্যপ্রত্যাখ্যান, বিশ্বাসীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি এবং আগের থেকেই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে তাদের গোপন ঘাঁটীস্বরূপ মাসজিদ নির্মাণ করেছে। তারা অবশ্যই শপথ করবে, আমরা উত্তম কামনা ব্যতীত এটি করিনি', আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, অবশ্যই তারা মিথ্যবাদী। 

সূরা : সুরা তাওবা

لَا تَقُمْ فِيهِ أَبَدًاۚ لَّمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى ٱلتَّقْوَىٰ مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَن تَقُومَ فِيهِۚ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَن يَتَطَهَّرُوا۟ۚ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلْمُطَّهِّرِينَ


তুমি তার মধ্যে কখনও দাঁড়াবে না। অবশ্যই যে মাসজিদের ভিত্তি তাকওয়ার উপর প্রথম দিন হতে স্থাপিত হয়েছে, তোমার দাঁড়ানোর জন্য সেটাই যে অধিকযোগ্য। সেখানে এমন লোক আছে। যারা পছন্দ করে যে, তারা ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকেই ভালোবাসেন।

সূরা : সুরা তাওবা

أَفَمَنْ أَسَّسَ بُنْيَٰنَهُۥ عَلَىٰ تَقْوَىٰ مِنَ ٱللَّهِ وَرِضْوَٰنٍ خَيْرٌ أَم مَّنْ أَسَّسَ بُنْيَٰنَهُۥ عَلَىٰ شَفَا جُرُفٍ هَارٍ فَٱنْهَارَ بِهِۦ فِى نَارِ جَهَنَّمَۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِينَ

তবে কি যে ব্যক্তি নিজ ইমারতের বুনিয়াদ (স্থাপনার ভিত্তি) আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাকওয়ার উপর স্থাপিত করবে তাই কি উত্তম ? না যে ব্যক্তি নিজ ইমারতের বুনিয়াদ নদীর ভাংগা তীরে স্থাপিত করবে তা ? আর তা নিয়ে সে জাহান্নামের আগুনে পড়বে সেইটা উৎকৃষ্ট? আল্লাহ তো সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।*

*9(109)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 10(87),33(33,34),24(36)।


সূরা : সুরা তাওবা

لَا يَزَالُ بُنْيَٰنُهُمُ ٱلَّذِى بَنَوْا۟ رِيبَةً فِى قُلُوبِهِمْ إِلَّآ أَن تَقَطَّعَ قُلُوبُهُمْۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ


তাদের এই ইমারতগুলোর ভিত্তি সর্বদা অন্তরে দ্বিধা সৃষ্টি করতে থাকবে। যে পর্যন্ত না তাদের অন্তর (বিবেক বুদ্ধি) ছিন্ন-বিছিন্ন হয়ে যায় । আর আল্লাহ সব কিছু জানেন, মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা তাওবা

إِنَّ ٱللَّهَ ٱشْتَرَىٰ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَٰلَهُم بِأَنَّ لَهُمُ ٱلْجَنَّةَۚ يُقَٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِى ٱلتَّوْرَىٰةِ وَٱلْإِنجِيلِ وَٱلْقُرْءَانِۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِۦ مِنَ ٱللَّهِۚ فَٱسْتَبْشِرُوا۟ بِبَيْعِكُمُ ٱلَّذِى بَايَعْتُم بِهِۦۚ وَذَٰلِكَ هُوَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ

নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের হতে তাদের জীবন ও তাদের ধনসম্পদকে কিনে নিয়েছেন যে বিনিময়ে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা আল্লাহর (কোরআনের) পথে কতল করে। অতঃপর তারা নিজ ব্যক্তিত্বকে মারে ও নিহত হয়। এ সম্পর্কে বিশেষ আইনে, বিশেষ সুসংবাদে ও বিশেষ পঠিত কোরআনে সত্য প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আর কে আল্লাহর চেয়ে তার প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে অধিক পালনকারী হতে পারে ? অতএব তোমরা খুশি হও,  বেচা কেনা নিয়ে যা তোমরা তাঁর সাথে বেচা কেনা করেছ এবং এটাই সেই মহা সফলতা। 

*9(111),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(54,207)+17(33),10(32,108),2(146,147,149),9(48),/2(154),(169),28(15),9(30),51(10),63(4),74(19,20),80(17),85(4),62(6)...।
এবং شري/اشتري/শব্দের ব্যাখ্যায় 2(206,207)...।

সূরা : সুরা তাওবা

ٱلتَّٰٓئِبُونَ ٱلْعَٰبِدُونَ ٱلْحَٰمِدُونَ ٱلسَّٰٓئِحُونَ ٱلرَّٰكِعُونَ ٱلسَّٰجِدُونَ ٱلْءَامِرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَٱلنَّاهُونَ عَنِ ٱلْمُنكَرِ وَٱلْحَٰفِظُونَ لِحُدُودِ ٱللَّهِۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ

যারা তাওবা করে, দাসত্ব করে, প্রশংসা করে, উপবাস থাকে, সহযোগিতা করে, পরম আনুগত্য করে, সুপরিচিত বিধির সহিত নির্দেশ দান করে, মন্দ কাজ হতে নিষেধ করে, আর আল্লাহর নির্ধারিত সীমা-রেখার হেফাজত করে। তাই তুমি এসকল মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও।

সূরা : সুরা তাওবা

مَا كَانَ لِلنَّبِىِّ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَن يَسْتَغْفِرُوا۟ لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوٓا۟ أُو۟لِى قُرْبَىٰ مِنۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَٰبُ ٱلْجَحِيمِ

যারা তাওবা করে, দাসত্ব করে, প্রশংসা করে, উপবাস থাকে, সহযোগিতা করে, পরম আনুগত্য করে, সুপরিচিত বিধির সহিত নির্দেশ দান করে, মন্দ কাজ হতে নিষেধ করে, আর আল্লাহর নির্ধারিত সীমা-রেখার হেফাজত করে। তাই তুমি এসকল মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও।

সূরা : সুরা তাওবা

وَمَا كَانَ ٱسْتِغْفَارُ إِبْرَٰهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَن مَّوْعِدَةٍ وَعَدَهَآ إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُۥٓ أَنَّهُۥ عَدُوٌّ لِّلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُۚ إِنَّ إِبْرَٰهِيمَ لَأَوَّٰهٌ حَلِيمٌ


আর ইবরাহীমের ক্ষমা প্রার্থনা তার পিতার জন্য, সে তো শুধু পিতার সাথে তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো সেই কারণেই। কিন্তু যখন পরে তার কাছে প্রকাশ হল যে, তার পিতা তো আল্লাহর শত্রু। তখন ইবরাহীম তার পিতা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে। নিশ্চয়ই ইবরাহীম কোমল হৃদয়ের ও সহনশীল মানুষ।

সূরা : সুরা তাওবা

وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِلَّ قَوْمًۢا بَعْدَ إِذْ هَدَىٰهُمْ حَتَّىٰ يُبَيِّنَ لَهُم مَّا يَتَّقُونَۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ

আল্লাহ তো এমন ধারা মোটেই করেন না, কোনো সম্প্রদায়কে সঠিক পথের সন্ধান বলে না দিয়ে যে সব বিষয় থেকে তারা বিরত থাকবে, তা সুস্পষ্টরূপে বুঝিয়ে দেবার আগেই পথভ্রষ্ট করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে খুব অবহিত।

সূরা : সুরা তাওবা

إِنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۖ يُحْىِۦ وَيُمِيتُۚ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّ وَلَا نَصِيرٍ


নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁরই জন্য আকাশসমূহের ও পৃথিবীর আধিপত্য। তিনি জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু ঘটান। আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ তোমাদের জন্য অলি ও সাহায্যকারী নেই।

সূরা : সুরা তাওবা

لَّقَد تَّابَ ٱللَّهُ عَلَى ٱلنَّبِىِّ وَٱلْمُهَٰجِرِينَ وَٱلْأَنصَارِ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُ فِى سَاعَةِ ٱلْعُسْرَةِ مِنۢ بَعْدِ مَا كَادَ يَزِيغُ قُلُوبُ فَرِيقٍ مِّنْهُمْ ثُمَّ تَابَ عَلَيْهِمْۚ إِنَّهُۥ بِهِمْ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ


নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর প্রতি লক্ষ্য করেন। আর হিজরতকারী মুহাজির ও সাহায্যকারী আনসারগণের প্রতিও, যারা কঠিন সময়ের মধ্যে তাকে (নবীকে) অনুসরন করে। তাদের মধ্য থেকে একদলের অন্তরসমূহ বাঁকা হওয়ার উপক্রম হবার পর। এরপর আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনি তাদের সাথে বড়ই স্নেহশীল, পরম দয়ালু। 

সূরা : সুরা তাওবা

وَعَلَى ٱلثَّلَٰثَةِ ٱلَّذِينَ خُلِّفُوا۟ حَتَّىٰٓ إِذَا ضَاقَتْ عَلَيْهِمُ ٱلْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ وَضَاقَتْ عَلَيْهِمْ أَنفُسُهُمْ وَظَنُّوٓا۟ أَن لَّا مَلْجَأَ مِنَ ٱللَّهِ إِلَّآ إِلَيْهِ ثُمَّ تَابَ عَلَيْهِمْ لِيَتُوبُوٓا۟ۚ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ


আর তিন শ্রেণীর প্রতিষ্ঠিত লোকদের জন্যে পৃথিবী প্রশস্ত হওয়া সত্বেও তাদের জন্যে সংকীর্ণ হয়ে থাকে। জীবনও তাদের জন্যে ভারী হয়ে যায়। অবশেষে তারা ভাবতে থাকে, একমাত্র আল্লাহর নিকট ব্যতীত আর কোন বাঁচার আশ্রয় কেন্দ্র নেই। এরপর আল্লাহ তাদের প্রতি দৃষ্টি দেন, যেনো তারা তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসতে পারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু ।

সূরা : সুরা তাওবা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَكُونُوا۟ مَعَ ٱلصَّٰدِقِينَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর সত্যবাদীদের সাথে থাকো।

সূরা : সুরা তাওবা

مَا كَانَ لِأَهْلِ ٱلْمَدِينَةِ وَمَنْ حَوْلَهُم مِّنَ ٱلْأَعْرَابِ أَن يَتَخَلَّفُوا۟ عَن رَّسُولِ ٱللَّهِ وَلَا يَرْغَبُوا۟ بِأَنفُسِهِمْ عَن نَّفْسِهِۦۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ لَا يُصِيبُهُمْ ظَمَأٌ وَلَا نَصَبٌ وَلَا مَخْمَصَةٌ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَطَـُٔونَ مَوْطِئًا يَغِيظُ ٱلْكُفَّارَ وَلَا يَنَالُونَ مِنْ عَدُوٍّ نَّيْلًا إِلَّا كُتِبَ لَهُم بِهِۦ عَمَلٌ صَٰلِحٌۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ ٱلْمُحْسِنِينَ

মদিনার অধিবাসীদের জন্যে ও যারা তাদের চার পাশে থাকে আরববাসীদের পক্ষে এটা শোভা পায় না যে, তারা আল্লাহর রাসূলের সহগামী হওয়া থেকে পিছনে রয়ে যাবে। আর রাসুলের প্রাণের চেয়ে তাদের নিজেদের জীবনের ব্যপারে তারা বেশী প্রিয় মনে করবে। এটা এজন্যে যে, তাদের কাছে আল্লাহর (কোরআনের) পথে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা পৌঁছে এবং তারা এমন পদক্ষেপ নেয়, যা কাফিরদের রাগান্বিত করে। তাদের এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শত্রুদের নিকট হতে কিছু প্রাপ্ত হওয়াটা সংশোধনের কাজ হিসেবে লিখিত হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের প্রতিফল নষ্ট করেন না।*

*9(120),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 48(29)...।
এবং নবীর ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে 33(6)...।

সূরা : সুরা তাওবা

وَلَا يُنفِقُونَ نَفَقَةً صَغِيرَةً وَلَا كَبِيرَةً وَلَا يَقْطَعُونَ وَادِيًا إِلَّا كُتِبَ لَهُمْ لِيَجْزِيَهُمُ ٱللَّهُ أَحْسَنَ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

মদিনার অধিবাসীদের জন্যে ও যারা তাদের চার পাশে থাকে আরববাসীদের পক্ষে এটা শোভা পায় না যে, তারা আল্লাহর রাসূলের সহগামী হওয়া থেকে পিছনে রয়ে যাবে। আর রাসুলের প্রাণের চেয়ে তাদের নিজেদের জীবনের ব্যপারে তারা বেশী প্রিয় মনে করবে। এটা এজন্যে যে, তাদের কাছে আল্লাহর (কোরআনের) পথে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা পৌঁছে এবং তারা এমন পদক্ষেপ নেয়, যা কাফিরদের রাগান্বিত করে। তাদের এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শত্রুদের নিকট হতে কিছু প্রাপ্ত হওয়াটা সংশোধনের কাজ হিসেবে লিখিত হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের প্রতিফল নষ্ট করেন না।*

*9(120),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 48(29)...।
এবং নবীর ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে 33(6)...।

সূরা : সুরা তাওবা

وَمَا كَانَ ٱلْمُؤْمِنُونَ لِيَنفِرُوا۟ كَآفَّةًۚ فَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَآئِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا۟ فِى ٱلدِّينِ وَلِيُنذِرُوا۟ قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوٓا۟ إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ


আর মুমিনদের জন্যে সঙ্গত নয় যে, তারা সবাই একযোগে বের হবে। আর কেন তাদের প্রত্যেকেটি দলের মধ্য হতে একটি অংশ বের হয় না, যেন তারা দীনের ব্যাপার গভীর জ্ঞান অনুশীলন করতে পারে এবং যেন তারা তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করে যখন তারা তাদের দিকে ফিরে যাবে, যাতে এভাবে তারা ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে সতর্ক থাকে। 

সূরা : সুরা তাওবা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ قَٰتِلُوا۟ ٱلَّذِينَ يَلُونَكُم مِّنَ ٱلْكُفَّارِ وَلْيَجِدُوا۟ فِيكُمْ غِلْظَةًۚ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلْمُتَّقِينَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমাদের কাছাকাছি যে সব কাফিররা রয়েছে, তাদের (ব্যক্তিত্বের চাহিদাকে আয়াত দ্বারা) হত্যা করতে থাকবে, যেন তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়। তোমরা জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ মহৎব্যক্তিদের সাথেই রয়েছেন।

সূরা : সুরা তাওবা

وَإِذَا مَآ أُنزِلَتْ سُورَةٌ فَمِنْهُم مَّن يَقُولُ أَيُّكُمْ زَادَتْهُ هَٰذِهِۦٓ إِيمَٰنًاۚ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ فَزَادَتْهُمْ إِيمَٰنًا وَهُمْ يَسْتَبْشِرُونَ

যখন কোনো সুরা অবতীর্ণ হয়, তখন তাদের মধ্যে এমন কিছু লোক দেখা যায়, যারা বলে, এতে তোমাদের মধ্যে কার কতখানি ঈমান বেড়েছে ? আসলে যারা ঈমানদার, তাদের ঈমান কিন্তু অনেক গুন বেড়ে যায়। আর তারা এজন্য আনন্দিত হয়।

সূরা : সুরা তাওবা

وَأَمَّا ٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَتْهُمْ رِجْسًا إِلَىٰ رِجْسِهِمْ وَمَاتُوا۟ وَهُمْ كَٰفِرُونَ


আর যাদের অন্তরসমূহের মধ্যে রোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে কিন্তু আবর্জনার উপরে আরো আবর্জনা ফেলার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তারা কাফির অবস্থাতেই মরবে।

সূরা : সুরা তাওবা

أَوَلَا يَرَوْنَ أَنَّهُمْ يُفْتَنُونَ فِى كُلِّ عَامٍ مَّرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ لَا يَتُوبُونَ وَلَا هُمْ يَذَّكَّرُونَ


তারা কি দেখে না যে, প্রত্যেক বছর একবার কিংবা দু'বার করে তাদেরকে বিপদগ্রস্ত করা হয় ? এরপরেও তারা তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসে না, আর তারা শিক্ষাও নেয় না।

সূরা : সুরা তাওবা

وَإِذَا مَآ أُنزِلَتْ سُورَةٌ نَّظَرَ بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ هَلْ يَرَىٰكُم مِّنْ أَحَدٍ ثُمَّ ٱنصَرَفُوا۟ۚ صَرَفَ ٱللَّهُ قُلُوبَهُم بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُونَ


আর যখনই কোন সূরা অবতীর্ণ করা হয়, তখন তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে। (এবং বলে) ‘তোমাদেরকে কেউ একজন কি দেখেছে’? এরপর তারা চুপিসারে সরে পড়ে। আল্লাহই তাদের অন্তরগুলোকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারণ তারা এমন সম্প্রদায়,যারা কিছুই বুঝে না।

সূরা : সুরা তাওবা

لَقَدْ جَآءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِٱلْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ

তোমাদের কাছে তোমাদের নিজেদের মধ্য হতে একজন রাসূল এসেছে, যার রয়েছে বিশেষ সম্মান। তোমাদের দুঃখ কষ্ট দেখে সে রাসূল বিচলিত হয়, তোমাদের কল্যাণ কামনায় বড়ই আগ্রহশীল। মু'মিনদের সাথে স্নেহশীল ও বড়ই দয়ালু।

সূরা : সুরা তাওবা

فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَقُلْ حَسْبِىَ ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُۖ وَهُوَ رَبُّ ٱلْعَرْشِ ٱلْعَظِيمِ

অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে তুমি বলে দাও ! আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের আইনদাতা নেই। আমি তাঁরই উপর নির্ভর করেছি। আর তিনিই মহান সংসদের অধিপতি।