সূরা : সুরা লোকমান
الٓـمّٓ ۚ
আলিফ লাম মীম।
الَّذِيْنَ يُقِيْمُوْنَ الصَّلٰوةَ وَيُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَهُمْ بِالْاٰخِرَةِ هُمْ يُوْقِنُوْنَ ؕ
যারা দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করে, এবং সাহায্য প্রদান করে , আর যারা পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস করে।
اُولٰٓئِكَ عَلٰي هُدًي مِّنْ رَّبِّهِمْ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ
এরাই তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে নির্দেশিত পথের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, আর এরাই সফলকাম।
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّشْتَرِيْ لَهْوَ الْحَدِيْثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ ۖ وَّيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ؕ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ
আর মানুষের মধ্যে এমনও রয়েছে, যারা লাহওয়াল হাদীস (মানব রচিত বেকার হাদীস) কিনে বেড়ায়, যেনো কিছু না জেনেই তারা আল্লাহর পথ (কুরআন) থেকে বিভ্রান্ত করতে পারে। আর সেটাকেই তারা বিদ্রূপরুপে গ্রহণ করে। তারাই তো সেই দল, যাদের জন্যে বড়ই অপমানকর শাস্তি রয়েছে।
وَاِذَا تُتْلٰي عَلَيْهِ اٰيٰتُنَا وَلّٰي مُسْتَكْبِرًا كَاَنْ لَّمْ يَسْمَعْهَا كَاَنَّ فِيْۤ اُذُنَيْهِ وَقْرًا ۚ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ
আর যখন তার নিকট আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়, তখন সে অহঙ্কারী হিসেবে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেনো সে তা শুনতে পায়নি। যেনো তার দু'কানের মধ্যে বধিরতা রয়েছে। অতএব তাকে নিদারুণ শাস্তির ব্যপারে সুসংবাদ দাও !
اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ جَنّٰتُ النَّعِيْمِ ۙ
নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনে সংশোধনের কাজ করে, তাদের জন্যই তো নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতসমূহ রয়েছে।
خٰلِدِيْنَ فِيْهَا ؕ وَعْدَ اللّٰهِ حَقًّا ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
সেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে থাকবে। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। এবং তিনি হলেন মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।
خَلَقَ السَّمٰوٰتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا وَاَلْقٰي فِي الْاَرْضِ رَوَاسِيَ اَنْ تَمِيْدَ بِكُمْ وَبَثَّ فِيْهَا مِنْ كُلِّ دَآبَّةٍ ؕ وَاَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَنْۢبَتْنَا فِيْهَا مِنْ كُلِّ زَوْجٍ كَرِيْمٍ
তিনিই আকাশনসমূহকে কোনো খুঁটি ছাড়া সৃষ্টি করেছেন, তা তোমরা দেখছো। আর পৃথিবীতে পর্বতমালা স্থাপন করেছেন , যেনো তোমাদেরকে নিয়ে ঢলে না যায়। আর তাতে সব রকমের জীব জন্তু ছড়িয়ে রেখেছেন। আর আমিই তো আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, আর তা দিয়ে জোড়া জোড়া প্রত্যেক প্রকারের জিনিস উত্তমভাবে উৎপন্ন করে থাকি।
هٰذَا خَلْقُ اللّٰهِ فَاَرُوْنِيْ مَاذَا خَلَقَ الَّذِيْنَ مِنْ دُوْنِهٖ ؕ بَلِ الظّٰلِمُوْنَ فِيْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍ
এটা আল্লাহর সৃষ্টি। এখন আমাকে তোমরা দেখাও, আল্লাহকে ছাড়া আর কেউ কি-ই বা সৃষ্টি করেছে? আসলে সীমালঙ্ঘনকারীরাই তো সুস্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে ।
وَلَقَدْ اٰتَيْنَا لُقْمٰنَ الْحِكْمَةَ اَنِ اشْكُرْ لِلّٰهِ ؕ وَمَنْ يَّشْكُرْ فَاِنَّمَا يَشْكُرُ لِنَفْسِهٖ ۚ وَمَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِيٌّ حَمِيْدٌ
নিশ্চয়ই আমি লুকমানকে বিজ্ঞান দান করেছি, যে তুমি আল্লাহরই জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। যে কেউ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে, তখন মূলতঃ সে তার নিজের জন্যেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। আর যদি কেউ অকৃতজ্ঞ হয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ সুমহান ধনী ও সকল প্রশংসার একমাত্র অধিকারী।
وَاِذْ قَالَ لُقْمٰنُ لِابْنِهٖ وَهُوَ يَعِظُهٗ يٰبُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللّٰهِ ؕؔ اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيْمٌ
আর লুকমান যখন তার পুত্রকে উপদেশ হিসেবে বলে, হে আমার প্রিয় পুত্র ! তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না। নিশ্চয়ই শিরিক করা হলো চরম সীমালঙ্ঘন।
*31(13),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 4(48,116),2(257),14(1),33(43)...।
وَوَصَّيْنَا الْاِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ ۚ حَمَلَتْهُ اُمُّهٗ وَهْنًا عَلٰي وَهْنٍ وَّفِصٰلُهٗ فِيْ عَامَيْنِ اَنِ اشْكُرْ لِيْ وَلِوَالِدَيْكَ ؕ اِلَيَّ الْمَصِيْرُ
আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহারের জন্যে জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে (পেটে) বহন করেছে। আর দু'বছরে তাকে দুধ ছাড়িয়েছে। সুতরাং আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, আর মা-বাপের প্রতিও। অবশেষে আমারই দিকে ফিরে আসতে হবে।
وَاِنْ جَاهَدٰكَ عَلٰۤي اَنْ تُشْرِكَ بِيْ مَا لَيْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌ ۙ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوْفًا ۫ وَّاتَّبِعْ سَبِيْلَ مَنْ اَنَابَ اِلَيَّ ۚ ثُمَّ اِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَاُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ
এবং যদি তারা দু'জনে তোমাকে এর উপর চাপ দেয়, যে আমার সাথে এমন কিছু শিরক্ করবে, যে সম্পর্কে তোমার কাছে কোন জ্ঞান নেই। তবে তাদের সে কথা তুমি মানবে না। তবে তাদের উভয়ের সাথে সুপরিচিত নিয়ম-নীতি অনুসারে দুনিয়ার মধ্যে তুমি বসবাস করবে। এবং অনুসরণ করবে তার পথ, যে আমার অভিমুখী হয়েছে। এরপর তোমাদের সবাইকে আমারই দিকে ফিরে আসতে হবে। তখন আমিই তোমাদেরকে জানিয়ে দেব ঐ সব বিষয়ে, যা তোমরা করে যাচ্ছো।
يٰبُنَيَّ اِنَّهَاۤ اِنْ تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُنْ فِيْ صَخْرَةٍ اَوْ فِي السَّمٰوٰتِ اَوْ فِي الْاَرْضِ يَاْتِ بِهَا اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَطِيْفٌ خَبِيْرٌ
হে আমার পুত্র ! নিশ্চয়ই তা (পাপ-পূণ্য) যদি সরিষার দানার পরিমাণও হয়, অতঃপর তা হয় কোনো শীলাখন্ডের মধ্যে, অথবা আকাশসমূহ, অথবা জমিনের মধ্যে, আল্লাহ তাকে নিয়ে আসবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, খুব খবর রাখেন।
يٰبُنَيَّ اَقِمِ الصَّلٰوةَ وَاْمُرْ بِالْمَعْرُوْفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَاصْبِرْ عَلٰي مَاۤ اَصَابَكَ ؕ اِنَّ ذٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ ۚ
হে আমার পুত্র ! যথাযথভাবে দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করবে। সুপরিচিত (কিতাব) অনুযায়ী নির্দেশ দিবে, আর অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে, এবং তুমি ধৈর্য ধারণ করবে, ঐ বিষয়ে যা তোমার উপর আপতিত হবে, নিশ্চয়ই এটা দৃঢ় সংকল্পের (সাহসী) কাজসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْاَرْضِ مَرَحًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُوْرٍ ۚ
আর তোমার গাল মানুষের থেকে ফিরিয়ে নিয়ো না। আর জমিনের উপরে দেমাক করে চলো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো উদ্ধত অহংকারীকে ভালোবাসেন না।
وَاقْصِدْ فِيْ مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ ؕ اِنَّ اَنْكَرَ الْاَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيْرِ
আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবে, গলার আওয়াজ তোমার নীচু করবে। নিশ্চয়ই স্বরসমূহের মধ্যে অধিক শ্রুতিকটু আওয়াজ হচ্ছে গাধার আওয়াজ।
اَلَمْ تَرَوْا اَنَّ اللّٰهَ سَخَّرَ لَكُمْ مَّا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ وَاَسْبَغَ عَلَيْكُمْ نِعَمَهٗ ظَاهِرَةً وَّبَاطِنَةً ؕ وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُّجَادِلُ فِي اللّٰهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَّلَا هُدًي وَّلَا كِتٰبٍ مُّنِيْرٍ
তুমি কি দেখো না ! আল্লাহ তোমাদের জন্যেই তো সবকিছুকে কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে। আর তোমাদের উপর তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব রকমের অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করে দিয়েছেন। আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে, যে আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক করতে লেগে যায়, অথচ তাদের কোনো সঠিক জ্ঞান নেই, কোনো অভিজ্ঞতা নেই, আর আলোকময় কোনো কিতাবও নেই।
وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ اتَّبِعُوْا مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ قَالُوْا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطٰنُ يَدْعُوْهُمْ اِلٰي عَذَابِ السَّعِيْرِ
আর তাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ যা কিছু অবতীর্ণ করেছেন তোমরা তাই অনুসরণ করো। তারা বলে, আমরা বরং অনুসরণ করবো, যে পথে আমরা আমাদের বাপ দাদদেরকে চলতে দেখেছি। যদিও শয়তান তাদেরকে জ্বলন্ত আগুনের শাস্তির দিকেই ডেকে আসছে তবুও।
وَمَنْ يُّسْلِمْ وَجْهَهٗۤ اِلَي اللّٰهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقٰي ؕ وَاِلَي اللّٰهِ عَاقِبَةُ الْاُمُوْرِ
আর যে কেউ আত্মসমর্পণ করে আল্লাহর দিকে তার লক্ষ্যকে ঝুঁকিয়ে দিয়েছে, আর সে সৎকর্মপরায়ণও বটে। তবে নিশ্চয়ই সে তার হাতলকে শক্ত করে নিয়ে ধরেছে। অবশ্য সব ব্যাপারের পরিণাম আল্লাহর কাছেই রয়েছে।
وَمَنْ كَفَرَ فَلَا يَحْزُنْكَ كُفْرُهٗ ؕ اِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ فَنُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوْا ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ
আর যদি কেউ অবিশ্বাস করে, তার এই অবিশ্বাসের কারণে তুমি চিন্তিত হবে না। তাদের সবাইকে তো আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন আমি তাদেরকে ঐ সব বিষয়ে জানিয়ে দিবো, যা কিছু তারা করেছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন।
نُمَتِّعُهُمْ قَلِيْلًا ثُمَّ نَضْطَرُّهُمْ اِلٰي عَذَابٍ غَلِيْظٍ
আমি তাদেরকে অল্পকাল ভোগ করতে দিবো, এরপর আমি তাদেরকে কঠিন শাস্তির দিকে প্রবেশ করতে বাধ্য করবো।
وَلَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ لَيَقُوْلُنَّ اللّٰهُ ؕ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ ؕ بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ
তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন ? তখন তারা এ কথাই বলবে, আল্লাহই। তুমি বলো, ‘আলহামদু লিল্লাহ’- সকল প্রশংসা শুধু আল্লাহর জন্যেই। বরং তাদের অধিকাংশ লোক কিছইু জানে না।
لِلّٰهِ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيْدُ
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, তা আল্লাহরই জন্যে। নিশ্চয়ই আল্লাহই অভাবমুক্ত,প্রশংসিত।
وَلَوْ اَنَّمَا فِي الْاَرْضِ مِنْ شَجَرَةٍ اَقْلَامٌ وَّالْبَحْرُ يَمُدُّهٗ مِنْۢ بَعْدِهٖ سَبْعَةُ اَبْحُرٍ مَّا نَفِدَتْ كَلِمٰتُ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ
সারা পৃথিবীর মধ্যে যত গাছ রয়েছে, তা যদি কলমে পরিণত হয়। আর সমুদ্র যদি তার কালি হয়, তাহলে সাত সাগর এলেও আল্লাহর কথাগুলো শেষ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।
مَا خَلْقُكُمْ وَلَا بَعْثُكُمْ اِلَّا كَنَفْسٍ وَّاحِدَةٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَمِيْعٌۢ بَصِيْرٌ
তোমাদের সবাইকে সৃষ্টি করা, আবার তোমাদেরকে তুলে আনা তো এমনই যেনো মাত্র একটি জীবন-কোষ সৃষ্টির ব্যাপার। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবই দেখেন।
اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ يُوْلِجُ الَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُوْلِجُ النَّهَارَ فِي الَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ ۫ كُلٌّ يَّجْرِيْۤ اِلٰۤي اَجَلٍ مُّسَمًّي وَّاَنَّ اللّٰهَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ
তুমি কি দেখো নি যে, আল্লাহ রাতকে দিনের মধ্যে আর দিনকে রাতের মধ্যে মিশিয়ে দেন। আর তিনি সূর্য ও চাঁদকে কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত প্রত্যেকটি জিনিস চলমান থাকবে। আর আল্লাহ সে সবের খবর রাখেন, তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো।
ذٰلِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْحَقُّ وَاَنَّ مَا يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهِ الْبَاطِلُ ۙ وَاَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيْرُ
এগুলো প্রমাণ করে যে, তিনিই আল্লাহ সত্য। আর এও যে তারা তাঁকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকছে (পীর-আওলীয়া) তা সবই অসত্য। আর নিশ্চয়ই আল্লাহই হলেন সমুন্নত, সমুহান।
اَلَمْ تَرَ اَنَّ الْفُلْكَ تَجْرِيْ فِي الْبَحْرِ بِنِعْمَتِ اللّٰهِ لِيُرِيَكُمْ مِّنْ اٰيٰتِهٖ ؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ
তুমি কি দেখো না ? জলযানগুলো আল্লাহর অনুগ্রহের সাহায্যে সাগরে ভেসে চলে, যেনো তোমাদেরকে তাঁর কিছু নিদর্শনাবলী দেখাতে পারেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে প্রত্যেকটি ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ লোকের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
وَاِذَا غَشِيَهُمْ مَّوْجٌ كَالظُّلَلِ دَعَوُا اللّٰهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ ۚ فَلَمَّا نَجّٰهُمْ اِلَي الْبَرِّ فَمِنْهُمْ مُّقْتَصِدٌ ؕ وَمَا يَجْحَدُ بِاٰيٰتِنَاۤ اِلَّا كُلُّ خَتَّارٍ كَفُوْرٍ
আর যখন তাদেরকে চাঁদোয়ার মতো ঢেউ এসে ঢেকে ফেলে, তখন তারা আল্লাহকেই ডাকতে থাকে একান্ত নিষ্ঠার সাথে, তাঁরই অনুগত হয়ে। অতঃপর যখন তাদেরকে তিনি উদ্ধার করে স্থলের দিকে পৌঁছে দেন, তখন তাদের মধ্যে কিছু লোক মধ্যম নীতি গ্রহণ করে থাকে। অবশ্যই আমার আয়াতসমূহ নিয়ে বিস্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ ঝগড়া করে না।
يٰۤاَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمْ وَاخْشَوْا يَوْمًا لَّا يَجْزِيْ وَالِدٌ عَنْ وَّلَدِهٖ ۫ وَلَا مَوْلُوْدٌ هُوَ جَازٍ عَنْ وَّالِدِهٖ شَيْئًا ؕ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا ٝ وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ بِاللّٰهِ الْغَرُوْرُ
হে মানুষ ! তোমরা সবাই তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। আর সেইদিন সম্পর্কে ভয় কর, যেদিন কোনো পিতা তার সন্তানের উপকারে আসবে না, আর কোনো সন্তানই তার পিতার জায়গায় কোনো উপকার করতে পারবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। সুতরাং এই পার্থিব জীবন তোমাদেরকে যেন ধোঁকায় ফেলতে না পারে। আর আল্লাহর ব্যাপারেও যেন কোনো ধোঁকাবাজ (শয়তান মানুষ) তোমাদেরকে ধোঁকা না দেয়।
اِنَّ اللّٰهَ عِنْدَهٗ عِلْمُ السَّاعَةِ ۚ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ ۚ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْاَرْحَامِ ؕ وَمَا تَدْرِيْ نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا ؕ وَمَا تَدْرِيْ نَفْسٌۢ بِاَيِّ اَرْضٍ تَمُوْتُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ
নিশ্চয়ই আল্লাহ (এমন সত্ত্বা) বিশেষ সময়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে। আর তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করে থাকেন। আর তিনি জানেন যা কিছু জরায়ুসমূহের মধ্যে রয়েছে। কোনো প্রাণীই জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে, আর কোনো প্রাণীই একথা জানে না, সে কোন দেশে কোথায় মরবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুই জানেন, সব কিছুর খবর রাখেন।
*31(34) আয়াতের আরবী "غدا"/ "গাদান" শব্দের ব্যাখ্যায় 59(18)...।
কিয়ামত সম্পর্কে 20(15),33(63),79(42-44)...।