সূরা : সূরা কলম
نٓ وَالْقَلَمِ وَمَا يَسْطُرُوْنَ ۙ
নূন (কালির দোয়াত) এবং কলমে প্রমাণ করে, আর যাকিছু তারা লিখছে তাও প্রমাণ করে।
نٓ وَالْقَلَمِ وَمَا يَسْطُرُوْنَ ۙ
নূন (কালির দোয়াত) এবং কলমে প্রমাণ করে, আর যাকিছু তারা লিখছে তাও প্রমাণ করে।
مَاۤ اَنْتَ بِنِعْمَةِ رَبِّكَ بِمَجْنُوْنٍ ۚ
তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে পাগল নও।
وَاِنَّ لَكَ لَاَجْرًا غَيْرَ مَمْنُوْنٍ ۚ
আর নিশ্চয় তোমার জন্য এমন পুরস্কার রয়েছে, যা কোন দিন শেষ হবে না।
اِنَّ رَبَّكَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيْلِهٖ ۪ وَهُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِيْنَ
নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকই সব জানেন, কে তাঁর কোরআনের পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে ? আর তিনি সঠিক পথ প্রাপ্তদের সম্পর্কেও সব জানেন।
وَدُّوْا لَوْ تُدْهِنُ فَيُدْهِنُوْنَ
তারা কামনা করে, তুমি যদি কিছুটা ঝুঁকে যাও তবে তারা ঝুকাতেই থাকবে।
وَلَا تُطِعْ كُلَّ حَلَّافٍ مَّهِيْنٍ ۙ
আর তুমি প্রত্যেক অত্যাধিক শপথকারী ও গুরুত্বহীন ব্যক্তির অনুসরণ করবে না।
مَّنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ اَثِيْمٍ ۙ
কল্যাণকর কাজে বাধাদানকারী ও সীমালংঘনকারী পাপীষ্ঠ।
اَنْ كَانَ ذَا مَالٍ وَّبَنِيْنَ ؕ
এ কারণে যে, সে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির অধিকারী।
اِذَا تُتْلٰي عَلَيْهِ اٰيٰتُنَا قَالَ اَسَاطِيْرُ الْاَوَّلِيْنَ
যখনই তার নিকট আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়, তখনই সে বলে, এসব আগেরকার লোকদের গল্প-কাহিনীসমূহ।
اِنَّا بَلَوْنٰهُمْ كَمَا بَلَوْنَاۤ اَصْحٰبَ الْجَنَّةِ ۚ اِذْ اَقْسَمُوْا لَيَصْرِمُنَّهَا مُصْبِحِيْنَ ۙ
আমি তাদেরকে ঠিক সেভাবে পরীক্ষায় ফেলেছি, যেমন সেই জান্নাতের (বাগানের) মালিকের পরীক্ষা নিয়েছি। যখন তারা কসম খেয়ে বলে, খুব সকাল বেলাই আমরা সেখানকার ফল-মূল পেড়ে নিব।
*69(17) নং আয়াতে থাকা আরবী "آرجاءي "/ "আরজা-য়ি" শব্দের ব্যাখ্যায় 26(36)...।
আর "ثمنية"শব্দটির ব্যাখ্যায় 12(20)...।
فَطَافَ عَلَيْهَا طَآئِفٌ مِّنْ رَّبِّكَ وَهُمْ نَآئِمُوْنَ
অতএব তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে রাতের বেলা এক যাতায়াতকারী এসে সেখানে ঘুরে যায়। আর তখন তারা সবাই ছিল ঘুমন্ত অবস্থায়।
اَنِ اغْدُوْا عَلٰي حَرْثِكُمْ اِنْ كُنْتُمْ صٰرِمِيْنَ
তারা বলতে লাগে, তোমাদের ক্ষেত-খামারে খুব ভোরেই পৌঁছাবে। যদি তোমরা ফসল কাটতে চাও।
فَانْطَلَقُوْا وَهُمْ يَتَخَافَتُوْنَ ۙ
অতঃপর তারা পরস্পরে নিচু স্বরে কথা বলতে বলতে চলে।
اَنْ لَّا يَدْخُلَنَّهَا الْيَوْمَ عَلَيْكُمْ مِّسْكِيْنٌ ۙ
যে, আজকে আর তোমাদের কাছে কোন ভিখারী প্রবেশ করতে পারবে না।
وَّغَدَوْا عَلٰي حَرْدٍ قٰدِرِيْنَ
আর তারা খুব সকালেই আয়োজন করে ফসল কাটতে বেরিয়ে পড়ে।
فَلَمَّا رَاَوْهَا قَالُوْۤا اِنَّا لَضَآلُّوْنَ ۙ
কিন্তু যখন তারা সেই বাগিচা দেখতে পায়। তখন বলতে লাগে নিশ্চয়ই আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছি।
قَالَ اَوْسَطُهُمْ اَلَمْ اَقُلْ لَّكُمْ لَوْلَا تُسَبِّحُوْنَ
তখন তাদের মধ্যেকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিটি বলে, আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই, তোমরা কেনো পবিত্র মহিমা ঘোষণা করছো না ?
قَالُوْا سُبْحٰنَ رَبِّنَاۤ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِيْنَ
তারা সবাই বলতে লাগে, আমাদের প্রতিপালকই পবিত্র মহান। নিশ্চয়ই আমরাই জালিম।
فَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰي بَعْضٍ يَّتَلَاوَمُوْنَ
তারপর তারা মুখোমুখি হয়ে তারা তাদের একে অপরের উপর দোষারোপ করতে লাগে।
قَالُوْا يٰوَيْلَنَاۤ اِنَّا كُنَّا طٰغِيْنَ
তারা সবাই বলতে লাগে, হায় আফসোস ! নিশ্চতভাবে আমরাই সীমালংঘনকারী।
عَسٰي رَبُّنَاۤ اَنْ يُّبْدِلَنَا خَيْرًا مِّنْهَاۤ اِنَّاۤ اِلٰي رَبِّنَا رٰغِبُوْنَ সম্ভবত আমাদের প্রতিপালক এর বদলে, এর চেয়ে উত্তম কিছু আমাদেরকে দান করবেন। আমরা সবাই আমাদের প্রতিপালকের দিকে অবশ্যই অভিমুখী হলাম।
সম্ভবত আমাদের প্রতিপালক এর বদলে, এর চেয়ে উত্তম কিছু আমাদেরকে দান করবেন। আমরা সবাই আমাদের প্রতিপালকের দিকে অবশ্যই অভিমুখী হলাম।
كَذٰلِكَ الْعَذَابُ ؕ وَلَعَذَابُ الْاٰخِرَةِ اَكْبَرُ ۘ لَوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ
এভাবেই শাস্তি এসে থাকে। আর পরকালের শাস্তি এর চেয়েও অনেক বড়। হায় ! যদি তারা জানতে পারতো !
اِنَّ لِلْمُتَّقِيْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنّٰتِ النَّعِيْمِ
নিশ্চয়ই মহৎব্যক্তিদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে নিয়ামতে ভরা জান্নাত রয়েছে।
اَفَنَجْعَلُ الْمُسْلِمِيْنَ كَالْمُجْرِمِيْنَ ؕ
তবে আমি কি আত্মসমর্পণকারী-মুসলিমদেরকে ঠিক অপরাধীদের মতোই বানিয়ে রাখব ?
اَمْ لَكُمْ كِتٰبٌ فِيْهِ تَدْرُسُوْنَ ۙ
না, তোমাদের কাছে (কোরআন ছাড়া) অন্য কোনো কিতাব রয়েছে ? যার মধ্যে তোমরা এসব পড়ছো ?
اِنَّ لَكُمْ فِيْهِ لَمَا تَخَيَّرُوْنَ ۚ
যে, তোমরা যা কিছু পছন্দ করবে,পরকালে তাই তোমরা পাবে।
اَمْ لَكُمْ اَيْمَانٌ عَلَيْنَا بَالِغَةٌ اِلٰي يَوْمِ الْقِيٰمَةِ ۙ اِنَّ لَكُمْ لَمَا تَحْكُمُوْنَ ۚ
না, তোমরা আমার কাছ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছো ? যা কিয়ামতের দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যাতে তোমরা যা কিছু আদেশ দিবে, তাই তোমাদের জন্য হাজির করা হবে !
سَلْهُمْ اَيُّهُمْ بِذٰلِكَ زَعِيْمٌ ۚۛ
তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো, তাদের মধ্যে কেই বা এর দায়িত্ব নিয়েছে ?
َمْ لَهُمْ شُرَكَآءُ ۚۛ فَلْيَاْتُوْا بِشُرَكَآئِهِمْ اِنْ كَانُوْا صٰدِقِيْنَ
না, তাদের জন্যে আরো কোনো শরীক রয়েছে ? যদি তারা সত্যবাদী হয়েই থাকে, তাহলে তাদের সেই সব শরীকদেরকে এনে উপস্থিত করুক।
يَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَّيُدْعَوْنَ اِلَي السُّجُوْدِ فَلَا يَسْتَطِيْعُوْنَ ۙ
যেদিন পায়ের গোড়ালি উন্মোচন করা হবে, আর তাদেরকে পরম আনুগত্য করার জন্যে ডাকা হবে, তখন কিন্তু তারা আনুগত্য করতে সক্ষম হবে না।
*68(42)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 75(29),84(21),18(49),39(69),17(13,14,71,72),20(124,125)...।
خَاشِعَةً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ ؕ وَقَدْ كَانُوْا يُدْعَوْنَ اِلَي السُّجُوْدِ وَهُمْ سٰلِمُوْنَ
তাদের দৃষ্টিগুলো নীচের দিকে ঝুঁকে থাকবে, তাদের উপরে অপমানের গ্লানি ছেয়ে থাকবে। অথচ আগে যখন তাদেরকে পরম আনুগত্য করার জন্যে ডাকা হতো, তখন কিন্তু তারা নিরাপদে ছিলো।
فَذَرْنِيْ وَمَنْ يُّكَذِّبُ بِهٰذَا الْحَدِيْثِ ؕ سَنَسْتَدْرِجُهُمْ مِّنْ حَيْثُ لَا يَعْلَمُوْنَ ۙ
তাহলে এই (কোরআন আকারে) হাদিসকে যারা মিথ্যা জেনেছে, তাদের সাথে আমাকে একটু বুঝে নিতে দাও। আমি তাদেরকে ক্রমে ক্রমে এমনভাবে পাকড়াও করবো, তারা জানতেও পারবে না।
وَاُمْلِيْ لَهُمْ ؕ اِنَّ كَيْدِيْ مَتِيْنٌ
আমি তাদেরকে অবকাশ দিয়ে যাচ্ছি। আমার কৌশল বড়ই মজবুত।
اَمْ تَسْـَٔلُهُمْ اَجْرًا فَهُمْ مِّنْ مَّغْرَمٍ مُّثْقَلُوْنَ ۚ
তুমি কি তাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চাচ্ছো ? যাতে তাদের উপর জরিমানার বোঝা চেপেছে !
اَمْ عِنْدَهُمُ الْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُوْنَ
না তাদের কাছে গায়েবের কোনো জ্ঞান আসছে, যা তারা লিখে যাচ্ছে !
فَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تَكُنْ كَصَاحِبِ الْحُوْتِ ۘ اِذْ نَادٰي وَهُوَ مَكْظُوْمٌ ؕ
তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায় ধৈর্য ধারণ করো। তুমি মৎস্য সহচরের মতো হবে না, সে যখন আল্লাহকে ডাকছিলো, তখন কিন্তু ক্ষোভ অস্থির অবস্থায় ছিলো।
لَوْلَاۤ اَنْ تَدٰرَكَهٗ نِعْمَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ لَنُبِذَ بِالْعَرَآءِ وَهُوَ مَذْمُوْمٌ
যদি তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ না-ই হতো, তাহলে তাকে অনাবাদী প্রান্তরে ফেলে রাখা হতো। আর এভাবে সে দুর্গতির চরমে পৌঁছে যেতো।
فَاجْتَبٰهُ رَبُّهٗ فَجَعَلَهٗ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ
অতঃপর তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন, আর তাকে সংশোধনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করেন।
وَاِنْ يَّكَادُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَيُزْلِقُوْنَكَ بِاَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكْرَ وَيَقُوْلُوْنَ اِنَّهٗ لَمَجْنُوْنٌ ۘ
আর যেনো মনে হয় কাফিররা তোমাকে তাদের দৃষ্টিগুলো দিয়ে বিচ্যুত করে ফেলবে। তারা যখন উপদেশবাণী (বিশ্ব-সংবিধান কোরআন) শুনতে পায়, তখন তারা বলে, এ তো অবশ্যই এক পাগল !
وَمَا هُوَ اِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعٰلَمِيْنَ
অথচ এই কোরআন সারা বিশ্ববাসীদের জন্য সংবিধান ।