সূরা : সুরা আনফাল

يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْأَنفَالِۖ قُلِ ٱلْأَنفَالُ لِلَّهِ وَٱلرَّسُولِۖ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَصْلِحُوا۟ ذَاتَ بَيْنِكُمْۖ وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

তোমাকে তারা জিজ্ঞাসা করে অতিরিক্ত বিশেষ মাল সম্পর্কে। তুমি বলে দাও, অতিরিক্ত বিশেষ মাল তো আল্লাহ ও রাসূলের জন্যই। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেকার অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর তোমরা  আল্লাহর আনুগত্য কর এবং তাঁর রাসূলেরও। যদি তোমরা প্রকৃত মুমিন হয়েই থাকো।

সূরা : সুরা আনফাল

إِنَّمَا ٱلْمُؤْمِنُونَ ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتُهُۥ زَادَتْهُمْ إِيمَٰنًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ

প্রকৃতপক্ষে মুমিন তো তারাই, যখন আল্লাহর স্মরণ করা হয়, তখন তাদের হৃদয় প্রকম্পিত হয়। আর যখন তাঁর আয়াতসমূহ পড়ে শোনানো হয়, তখন তাদের বিস্বাস বেড়ে যায়। আর তাদের প্রতিপালকের উপরেই তারা নির্ভর করে।

সূরা : সুরা আনফাল

ٱلَّذِينَ يُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ يُنفِقُونَ


আর যারা দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করে, আর আমি যে জীবিকা তাদেরকে দিই, তা হতে যারা ব্যয় করে।

সূরা : সুরা আনফাল

أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُؤْمِنُونَ حَقًّاۚ لَّهُمْ دَرَجَٰتٌ عِندَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ


ঐসব লোকই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্যে রয়েছে তাদের প্রতিপালকের কাছে বড়ই মর্যাদাসমূহ, ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।

সূরা : সুরা আনফাল

كَمَآ أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنۢ بَيْتِكَ بِٱلْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِّنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ لَكَٰرِهُونَ


যখন তোমাকে তোমার প্রতিপালক তোমার ঘর থেকে সত্যের সাথে বের করে আনেন, তখন নিশ্চয়ই মু'মিনদের একটি দল তা অপছন্দ করে।

সূরা : সুরা আনফাল

يُجَٰدِلُونَكَ فِى ٱلْحَقِّ بَعْدَمَا تَبَيَّنَ كَأَنَّمَا يُسَاقُونَ إِلَى ٱلْمَوْتِ وَهُمْ يَنظُرُونَ


َতারা তোমার সাথে সত্যের ব্যাপারে তর্ক করছে তা স্পষ্ট হওয়ার পরেও। যেনো তারা প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে, আর এ অবস্থায় তারা যেনো মৃত্যুকেই প্রত্যক্ষ করছে! 

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِذْ يَعِدُكُمُ ٱللَّهُ إِحْدَى ٱلطَّآئِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ ٱلشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ وَيُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُحِقَّ ٱلْحَقَّ بِكَلِمَٰتِهِۦ وَيَقْطَعَ دَابِرَ ٱلْكَٰفِرِينَ


আল্লাহ যখন তোমাদের প্রতিশ্রুতি দেন। দুটো দলের মধ্যে একটি তোমার কাছে পরাভূত হবে। তোমরা চেয়ে থাক, যে কাফেলাটি সম্পূর্ণ নিঃস্ব নিরাপদ সেইটাই তোমাদের হাতে আসুক। আর আল্লাহ ইচ্ছা করেন তাঁর (কোরআনের) বাণীসমূহ দিয়ে সত্যকে সত্যে পরিণত করবেন ও অবিস্বাসীদের মূল কেটে দিবেন।

সূরা : সুরা আনফাল

لِيُحِقَّ ٱلْحَقَّ وَيُبْطِلَ ٱلْبَٰطِلَ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُجْرِمُونَ


যেনো সত্যের মৌলিকতা আর মিথ্যার অসারতা প্রমাণ হয়। যদিও অপরাধীরা তা অপছন্দ করে। 

সূরা : সুরা আনফাল

إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَٱسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّى مُمِدُّكُم بِأَلْفٍ مِّنَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ مُرْدِفِينَ


তোমরা যখন তোমাদের প্রতিপালকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর, তখন তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। নিশ্চয়ই আমি মালা-ইকাদের মধ্য হতে এক হাজার দিয়ে তোমাদের সাহায্য করি। যারা তোমাদের সাহায্যের জন্য ধারাবাহিকভাবে আসতে থাকে।

সূরা : সুরা আনফাল

وَمَا جَعَلَهُ ٱللَّهُ إِلَّا بُشْرَىٰ وَلِتَطْمَئِنَّ بِهِۦ قُلُوبُكُمْۚ وَمَا ٱلنَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِندِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

এই সাহায্যের কথা শুধু সান্তনাদায়ক সুসংবাদ হিসেবেই আল্লাহ ঘোষনা করেছেন। যেনো তোমাদের মন তাতে সুস্থির হয়। সাহায্য তো শুধু আল্লাহর নিকট থেকেই আসে। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা আনফাল

إِذْ يُغَشِّيكُمُ ٱلنُّعَاسَ أَمَنَةً مِّنْهُ وَيُنَزِّلُ عَلَيْكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً لِّيُطَهِّرَكُم بِهِۦ وَيُذْهِبَ عَنكُمْ رِجْزَ ٱلشَّيْطَٰنِ وَلِيَرْبِطَ عَلَىٰ قُلُوبِكُمْ وَيُثَبِّتَ بِهِ ٱلْأَقْدَامَ


আল্লাহ যখন তোমাদের শান্তি ও বিশ্রামের জন্য নিজের কাছ থেকে ঘুমের চাদর জড়িয়ে দেন, আর আকাশ থেকে পানি অবতীর্ণ করেন যেনো তা দিয়ে তোমাদেরকে পবিত্র করেন। আর শয়তানের অপবিত্রতা তোমাদের থেকে দূর করেন। আর তোমাদের মনোবল যাতে মজবুত হয়, আর এর সাথে যেনো তোমাদের দৃঢ়তা বেড়ে যায়।

সূরা : সুরা আনফাল

إِذْ يُوحِى رَبُّكَ إِلَى ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ أَنِّى مَعَكُمْ فَثَبِّتُوا۟ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ۚ سَأُلْقِى فِى قُلُوبِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلرُّعْبَ فَٱضْرِبُوا۟ فَوْقَ ٱلْأَعْنَاقِ وَٱضْرِبُوا۟ مِنْهُمْ كُلَّ بَنَانٍ


যখন তোমার প্রতিপালক মালা-ইকাদের প্রতি ওহী করেন ! যে আমি তোমাদের সাথে আছি। সুতরাং তোমরা অবিচল রাখো তাদেরকে যারা ঈমান এনেছে। অচিরেই আমি তাদের অন্তরসমূহের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিবো যারা অস্বীকার করেছে। অতএব তোমরা তাদের কুবুদ্বিকে শেষ করে দাও এবং শেষ করে দাও তাদের প্রত্যেকের আঙ্গুলের ইশারাকেও।

সূরা : সুরা আনফাল

ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ شَآقُّوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥۚ وَمَن يُشَاقِقِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ


এটা এ জন্যই যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলের বিরোধিতা করে। যদি কেউ আল্লাহ ও রাসূলের বিরোধিতা করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা।

সূরা : সুরা আনফাল

ذَٰلِكُمْ فَذُوقُوهُ وَأَنَّ لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابَ ٱلنَّارِ


এটাই তোমাদের (শাস্তি), তাই তোমরা তা আস্বাদন করো! আর নিশ্চয়ই কাফিরদের জন্য রয়েছে আগুনের শাস্তি।

সূরা : সুরা আনফাল

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا لَقِيتُمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ زَحْفًا فَلَا تُوَلُّوهُمُ ٱلْأَدْبَارَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যখন কাফিরদের কোনো জামাতের সম্মুখিন হবে, তখন তোমরা কিছুতেই তাদের সামনে নিজেদের পিঠ ফেরাবে না।

সূরা : সুরা আনফাল

وَمَن يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُۥٓ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَىٰ فِئَةٍ فَقَدْ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَمَأْوَىٰهُ جَهَنَّمُۖ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ


কিন্তু যদি কেউ কিতালের মাধ্যমে সঠিক বিদ্যা অর্জনের জন্য পিছনে সরে যায়, শত্রুকে ঘায়েল করার কৌশল হিসেবে কিংবা নিজ দলে শামিল হওয়ার জন্যে চেষ্টা করে। এছাড়া যে কেউ পিঠ ফেরাবে, সে তো আল্লাহর গজব নিয়েই ফিরবে। তার ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। তা তো বড়ই নিকৃষ্ট বাসস্থান।

সূরা : সুরা আনফাল

فَلَمْ تَقْتُلُوهُمْ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ قَتَلَهُمْۚ وَمَا رَمَيْتَ إِذْ رَمَيْتَ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ رَمَىٰۚ وَلِيُبْلِىَ ٱلْمُؤْمِنِينَ مِنْهُ بَلَآءً حَسَنًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

আসলে তোমরা তো আর তাদেরকে অপমান করো না। বরং আল্লাহই তাদেরকে অপমান করে থাকেন। তুমি যখন নিক্ষেপ করো, তা তো আর তুমি নিক্ষেপ করোনা, বরং আল্লাহই তা নিক্ষেপ করে থাকেন। আল্লাহ এভাবে মু'মিনদেরকে খুব উত্তমরূপে পরীক্ষা করে নিতে চান। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুই শোনেন, সব কিছুই জানেন।*

*8(17) আয়াতের ব্যাখ্যায় 18(56),21(18),34(48,53)...।

সূরা : সুরা আনফাল

ذَٰلِكُمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ مُوهِنُ كَيْدِ ٱلْكَٰفِرِينَ


এতে কোনো রকম অনিশ্চয়তা নেই যে, কাফিরদের ষড়যন্ত্র কৌশল দূর্বল, আল্লাহ এ কথাই প্রমাণ করতে চান।

সূরা : সুরা আনফাল

إِن تَسْتَفْتِحُوا۟ فَقَدْ جَآءَكُمُ ٱلْفَتْحُۖ وَإِن تَنتَهُوا۟ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْۖ وَإِن تَعُودُوا۟ نَعُدْ وَلَن تُغْنِىَ عَنكُمْ فِئَتُكُمْ شَيْـًٔا وَلَوْ كَثُرَتْ وَأَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلْمُؤْمِنِينَ


إِن تَسْتَفْتِحُوا۟ فَقَدْ جَآءَكُمُ ٱلْفَتْحُۖ وَإِن تَنتَهُوا۟ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْۖ وَإِن تَعُودُوا۟ نَعُدْ وَلَن تُغْنِىَ عَنكُمْ فِئَتُكُمْ شَيْـًٔا وَلَوْ كَثُرَتْ وَأَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلْمُؤْمِنِينَ 
তোমরা যদি বিজয় লাভ করতে চাও, তাহলে তোমাদের কাছে সাফল্য এসে গেছে। আসলে তোমরা যদি নিজেদের অপকর্মগুলোকে বাদ দাও, তাতে তোমাদেরই মঙ্গল হবে। কিন্তু তোমরা যদি আবার নাফরমানী করতে লেগে যাও, তাহলে আমিও তোমাদেরকে আমার শাস্তি দিবো। তোমাদের জনশক্তি যতো বেশী হোক না কেনো ? তাতে তোমাদের কোনও উপকার হবে না।  আর জেনে রাখো যে, আল্লাহ ম'মিনদের সাথেই থাকেন। 

সূরা : সুরা আনফাল

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَوَلَّوْا۟ عَنْهُ وَأَنتُمْ تَسْمَعُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত্য কর। আর তোমরা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, যখন তোমরা শুনছ।

সূরা : সুরা আনফাল

وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ قَالُوا۟ سَمِعْنَا وَهُمْ لَا يَسْمَعُونَ


তোমরা তাদের মতো হয়ো না - যারা বলে, আমরা শুনেছি; অথচ তারা কিছুই শুনে না !

সূরা : সুরা আনফাল

إِنَّ شَرَّ ٱلدَّوَآبِّ عِندَ ٱللَّهِ ٱلصُّمُّ ٱلْبُكْمُ ٱلَّذِينَ لَا يَعْقِلُونَ


নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে জীবগুলোর মধ্যে নিকৃষ্ট হচ্ছে বোবা, বধির, যারা বুদ্ধি কাজে লাগায় না।

সূরা : সুরা আনফাল

وَلَوْ عَلِمَ ٱللَّهُ فِيهِمْ خَيْرًا لَّأَسْمَعَهُمْۖ وَلَوْ أَسْمَعَهُمْ لَتَوَلَّوا۟ وَّهُم مُّعْرِضُونَ


আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে কোনো কল্যাণ দেখতে পেতেন, তাহলে তাদেরকে শোনার মতো তাওফীক অবশ্যই দিতেন। তাদেরকে এখনও যদি শোনানো হয়, তাহলে তারা মুখ ফিরিয়ে পালিয়ে যাবে।

সূরা : সুরা আনফাল

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱسْتَجِيبُوا۟ لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْۖ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَحُولُ بَيْنَ ٱلْمَرْءِ وَقَلْبِهِۦ وَأَنَّهُۥٓ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দিবে। তোমাদেরকে যখন এমন কাজে ডাকা হবে, যাতে তোমরা জীবনের অধিকারী হতে পারবে। তোমরা জেনে রাখো আল্লাহ ব্যক্তি ও তার অন্তরের মাঝে সর্বদা জাগ্রত ( হুলুল) হয়ে থাকেন। আর এ কথাও যে, তাঁরই দিকে তোমাদের সবাইকে একত্র করা হবে।

সূরা : সুরা আনফাল

وَٱتَّقُوا۟ فِتْنَةً لَّا تُصِيبَنَّ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنكُمْ خَآصَّةًۖ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ

তোমরা সবাই সেই ফিতনা ফ্যাসাদ থেকে নিজেদের বাচিয়ে রাখো - যা শুধু তোমাদের মধ্যে যারা অত্যাচারী কেবল তাদেরকেই ক্লিষ্ট করবে না। তোমরা জেনে রাখো যে, আল্লাহ বড়ই কঠোর শাস্তি দানকারী।

সূরা : সুরা আনফাল

وَٱذْكُرُوٓا۟ إِذْ أَنتُمْ قَلِيلٌ مُّسْتَضْعَفُونَ فِى ٱلْأَرْضِ تَخَافُونَ أَن يَتَخَطَّفَكُمُ ٱلنَّاسُ فَـَٔاوَىٰكُمْ وَأَيَّدَكُم بِنَصْرِهِۦ وَرَزَقَكُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ



তোমরা স্মরণ করে দেখো, তোমরা সংখ্যায় অনেক কম ছিলে, আর পৃথিবীতে দূর্বল বলেই গণ্য হতে। আর তোমরা আশংকা করতে, হয়তো লোকজন তোমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। তখন তিনি তোমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন, তিনি নিজের সাহায্য দিয়ে শক্তিশালী করেছেন। আর পবিত্র জিনিস জীবিকা হিসেবে দান করেছেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

সূরা : সুরা আনফাল

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَخُونُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ وَتَخُونُوٓا۟ أَمَٰنَٰتِكُمْ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করো না। আর তোমাদের নিজেদের মধ্যেকার আমানত সমূহের খিয়ানত করো না, এমতাবস্থায় যে তোমরা জানো।

সূরা : সুরা আনফাল

وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّمَآ أَمْوَٰلُكُمْ وَأَوْلَٰدُكُمْ فِتْنَةٌ وَأَنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥٓ أَجْرٌ عَظِيمٌ


আর তোমরা জেনে রাখবে, প্রকৃতপক্ষে তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি হচ্ছে পরীক্ষা মাত্র। আর আল্লাহর কাছে মহা পুরস্কার রয়েছে।

সূরা : সুরা আনফাল

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِن تَتَّقُوا۟ ٱللَّهَ يَجْعَل لَّكُمْ فُرْقَانًا وَيُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّـَٔاتِكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْۗ وَٱللَّهُ ذُو ٱلْفَضْلِ ٱلْعَظِيمِ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে তিনিই তোমাদের ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য করার ক্ষমতা দিবেন। তোমাদের পাপগুলো মোচন করে দিবেন। তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَۚ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ ٱللَّهُۖ وَٱللَّهُ خَيْرُ ٱلْمَٰكِرِينَ

আর কাফিরগুলো যখন তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, যেনো তোমাকে তারা বন্দী (গ্রেফতার) করতে পারে কিংবা তোমাকে কতল (অপমান, গুম, খুন, হত্যা) করতে পারে অথবা তোমাকে নির্বাসিত করতে পারে। এক দিকে তারা ষড়যন্ত্র করে। আর অপরদিকে আল্লাহও পরিকল্পনা করে থাকেন। আসলে আল্লাহ হচ্ছেন পপরিকল্পনাকারীদের মধ্যে উত্তম।*

*8(30) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 40(5),6(163),12(102),13(42),16(26,27),27(70),35(10),40(45),71(21,22)...।

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتُنَا قَالُوا۟ قَدْ سَمِعْنَا لَوْ نَشَآءُ لَقُلْنَا مِثْلَ هَٰذَآۙ إِنْ هَٰذَآ إِلَّآ أَسَٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ

আর তাদের নিকট যখন আমার আয়াতগুলো তিলাওয়াত করা হয়, তখন তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা শুনলাম। যদি ইচ্ছে করি, তাহলে অবশ্যই আমরাও এই আয়াতগুলোর মত বলতে পারি। এটা পূর্ববর্তী কালের লোকদের কাহিনী ছাড়া কিছুই না !

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِذْ قَالُوا۟ ٱللَّهُمَّ إِن كَانَ هَٰذَا هُوَ ٱلْحَقَّ مِنْ عِندِكَ فَأَمْطِرْ عَلَيْنَا حِجَارَةً مِّنَ ٱلسَّمَآءِ أَوِ ٱئْتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ

আর তারা যখন বলে, হে আল্লাহ ! এই কোরআন যদি সত্যই আপনার নিকট হতেই এসে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ হতে পাথর (শিল বৃষ্টি) বর্ষন করুন। অথবা আমাদের উপরে অন্য কোনও নিদারুণ শাস্তি নিয়ে আসুন।

সূরা : সুরা আনফাল

وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنتَ فِيهِمْۚ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ



অথচ আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিতে চান না। যখন তুমি তাদের মধ্যে উপস্থিত আছো। আর আল্লাহ তো এমন নন যে, তারা ক্ষমা চাইতে থাকবে, আর আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন !

সূরা : সুরা আনফাল

وَمَا لَهُمْ أَلَّا يُعَذِّبَهُمُ ٱللَّهُ وَهُمْ يَصُدُّونَ عَنِ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ وَمَا كَانُوٓا۟ أَوْلِيَآءَهُۥٓۚ إِنْ أَوْلِيَآؤُهُۥٓ إِلَّا ٱلْمُتَّقُونَ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ


এখন তাদেরকে আল্লাহ শাস্তি দিবেন না, তেমন কি কারণ থাকতে পারে ? যখন তারা মাসজিদুল হারাম থেকে বাধা প্রদান করে। তারা তো সেই মাসজিদের তত্ত্বাবধায়কও নয় ! তার তত্ত্বাবধায়ক মহৎব্যক্তিগণ ছাড়া আর অন্য কেউ তো হতে পারে না। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোকেরা কিছুই জানে না।

সূরা : সুরা আনফাল

وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمْ عِنْدَ الْبَيْتِ اِلَّا مُكَآءً وَّتَصْدِيَةً ؕ فَذُوْقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُوْنَ

আর বিশেষ ঘরের কাছে তাদের দায়িত্ব পালন শিষ ও স্বরে মনোযোগ দেওয়া ছাড়া আর তো কিছুই না। অতএব তোমরা শাস্তির স্বাদ নিতে থাকো। এ কারণে যে তোমরা অবিশ্বাস করতে।*

*8(35) নং আয়াতে থাকা আরবী " تصدية"/"তাসদিয়াতান" শব্দের ব্যাখ্যায় 80(6)...।

সূরা : সুরা আনফাল

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمْ لِيَصُدُّوا۟ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۚ فَسَيُنفِقُونَهَا ثُمَّ تَكُونُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُونَۗ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِلَىٰ جَهَنَّمَ يُحْشَرُونَ


নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করেছে, তারা তো আল্লাহর (কোরআনের) পথে বাঁধা সৃষ্টির জন্যই তাদের ধন সম্পদ ব্যয় করে থাকে। অতঃপর অচিরেই তারা তা খরচ করতে থাকবে। এরপর অবশ্য এটাই তাদের জন্য আফসোসের কারণ হবে। এরপর তারাই পরাজিত হবে। আর যারা অস্বীকার করেছে তাদেরকে জাহান্নামে একত্র করা হবে।

সূরা : সুরা আনফাল

لِيَمِيزَ ٱللَّهُ ٱلْخَبِيثَ مِنَ ٱلطَّيِّبِ وَيَجْعَلَ ٱلْخَبِيثَ بَعْضَهُۥ عَلَىٰ بَعْضٍ فَيَرْكُمَهُۥ جَمِيعًا فَيَجْعَلَهُۥ فِى جَهَنَّمَۚ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ

যেনো আল্লাহ অপবিত্রদেরকে পবিত্রদের মধ্য হতে পৃথক করে দেন। আর অপবিত্রদেরকে একটার উপরে আরেকটাকে রেখে স্তুপাকার করে সবাইকে জাহান্নামের বাসিন্দারূপে গণ্য করতে পারেন। আসলে এরাই তো ক্ষতিগ্রস্থ দল।

সূরা : সুরা আনফাল

قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِن يَنتَهُوا۟ يُغْفَرْ لَهُم مَّا قَدْ سَلَفَ وَإِن يَعُودُوا۟ فَقَدْ مَضَتْ سُنَّتُ ٱلْأَوَّلِينَ


তুমি কাফিরদেরকে বলে দাও ! তারা যদি বিরত হয়, তাহলে তাদের অতীতের পাপ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। কিন্তু যদি তারা পুনরাবৃত্তি করে, তবে তারা যে পূর্ববর্তী লোকগুলোর রীতিনীতিতে এগিয়ে যায়।

সূরা : সুরা আনফাল

وَقَٰتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ كُلُّهُۥ لِلَّهِۚ فَإِنِ ٱنتَهَوْا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ بَصِيرٌ


আর তাদেরকে তোমরা কতল করো (কোরআনের সুশিক্ষা দিয়ে তাদের কু-রিপুকে হত্যা করো) যেনো কোনও রকম ফিতনা ফ্যাসাদ বিশৃংখলার অস্তিত্ব না থাকে। আর যতক্ষণ জীবন ব্যবস্থা শুধু আল্লাহর জন্যই সুনির্দিষ্ট করা না হয়। অতঃপর তারা যদি বিরত হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ঐ বিষয়ে দেখছেন, যা কাজ-কর্ম তারা করছে। 

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِن تَوَلَّوْا۟ فَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ مَوْلَىٰكُمْۚ نِعْمَ ٱلْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ ٱلنَّصِيرُ


আর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রাখো যে, আল্লাহই তোমাদের বন্ধু। তিনি হলেন উত্তম বন্ধু ও উত্তম সাহায্যকারী।

সূরা : সুরা আনফাল

وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّمَا غَنِمْتُم مِّن شَىْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُۥ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِ إِن كُنتُمْ ءَامَنتُم بِٱللَّهِ وَمَآ أَنزَلْنَا عَلَىٰ عَبْدِنَا يَوْمَ ٱلْفُرْقَانِ يَوْمَ ٱلْتَقَى ٱلْجَمْعَانِۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

এবং তোমরা জেনে রাখবে, যে কোনো বস্তু থেকে লাভ হিসেবে তোমরা যা কিছু পাবে, তা থেকে পাঁচ ভাগের এক ভাগ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যে, তার নৈকট্য সম্পন্নদের জন্যে, ইয়াতীম, গৃহহীন ও পথ সন্ধানীর জন্যে, যদি তোমরা আল্লাহর উপরে ঈমান এনেই থাকো, আর আমি আমার দাসের কাছে যা কিছু পার্থক্যের দিনে দিয়ে থাকি, যে ‍দিন দুটি দল (ধনী-গরীব) একত্রে মিলিত হয়। আসলে আল্লাহ সব কিছুরই উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।*

*8(41),নং আয়াতের يوم التقي الجمعان বাক্যের  মাধ্যমে দুটি দল ধনী ও গরীবকে বুঝানো হয়েছে।

সূরা : সুরা আনফাল

إِذْ أَنتُم بِٱلْعُدْوَةِ ٱلدُّنْيَا وَهُم بِٱلْعُدْوَةِ ٱلْقُصْوَىٰ وَٱلرَّكْبُ أَسْفَلَ مِنكُمْۚ وَلَوْ تَوَاعَدتُّمْ لَٱخْتَلَفْتُمْ فِى ٱلْمِيعَٰدِۙ وَلَٰكِن لِّيَقْضِىَ ٱللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا لِّيَهْلِكَ مَنْ هَلَكَ عَنۢ بَيِّنَةٍ وَيَحْيَىٰ مَنْ حَىَّ عَنۢ بَيِّنَةٍۗ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَسَمِيعٌ عَلِيمٌ

যখন তোমরা থাকো নিজেদের এলাকার কাছে। আবার তারা থাকে দুরের অপর এলাকাতে। আর কাফেলা তোমাদের নীচের দিকে থাকে। তোমরা যদি কোনও কথা ঠিক করতে চাও, তাহলে মেয়াদ (সংখ্যা) ঠিক করার ব্যাপার নিয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। আল্লাহ কিন্তু সে বিধান সম্পাদনের সংকল্প করে থাকেন। যে কেউ ধ্বংস হতে চায়, সে স্পষ্ট প্রমাণের সাথে ধ্বংস হোক। আর যে বেঁচে থাকতে চায়, সেও স্পষ্ট প্রমাণের সাথে বেঁচে থাকুক। আসলে আল্লাহই সব কিছু শোনেন ও জানেন।

সূরা : সুরা আনফাল

إِذْ يُرِيكَهُمُ ٱللَّهُ فِى مَنَامِكَ قَلِيلًاۖ وَلَوْ أَرَىٰكَهُمْ كَثِيرًا لَّفَشِلْتُمْ وَلَتَنَٰزَعْتُمْ فِى ٱلْأَمْرِ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ سَلَّمَۗ إِنَّهُۥ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ


আল্লাহ যখন তোমাদেরকে খেয়ালের (সপ্নের) মধ্যে তাদেরকে সংখ্যয় খুবই কম করে দেখালেন (তাও যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য)। তাদের সংখ্যা যদি তোমাদেরকে বেশি করে দেখাতেন, তাহলে তোমরা মনোবল হারিয়ে বসতে, আর এ বিধান নিয়ে তোমাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিতো। কিন্তু আল্লাহ নিরাপদে রক্ষা করেন। নিশ্চয়ই তিনি অন্তরসমূহের অবস্থার কথা খুব ভালো করেই জানেন।

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِذْ يُرِيكُمُوهُمْ إِذِ ٱلْتَقَيْتُمْ فِىٓ أَعْيُنِكُمْ قَلِيلًا وَيُقَلِّلُكُمْ فِىٓ أَعْيُنِهِمْ لِيَقْضِىَ ٱللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًاۗ وَإِلَى ٱللَّهِ تُرْجَعُ ٱلْأُمُورُ

আর তোমরা যখন পরস্পর সম্মুখীন হও, তখন কিন্তু তোমাদের চোখে তাদেরকে আল্লাহ সংখ্যায় কম করে দেখান, এবং তোমাদেরকেও তাদের চোখে অল্প করে দেখান। যেন আল্লাহর বিধান সম্পন্ন হয়। আসলে আল্লাহর দিকেই সবকিছু প্রত্যাবর্তন করে।

সূরা : সুরা আনফাল

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَٱثْبُتُوا۟ وَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যখন কোনো (আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বীরোধী) দলের সম্মুখীন হবে, তখন তোমরা মজবুত থাকবে, আর আল্লাহর স্মরণ খুব বেশি পরিমাণ করবে। যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।

সূরা : সুরা আনফাল

وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَنَٰزَعُوا۟ فَتَفْشَلُوا۟ وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْۖ وَٱصْبِرُوٓا۟ۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ

তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করো, নিজেদের মধ্যে বিবাদ করো না। তাহলে তোমরা সাহস হারাবে। তোমাদের শক্তি চলে যাবে। তাই  তোমরা ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই থাকেন।

সূরা : সুরা আনফাল

وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ خَرَجُوا۟ مِن دِيَٰرِهِم بَطَرًا وَرِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۚ وَٱللَّهُ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌ


তোমরা মোটেই তাদের মতো হয়ো না, যারা নিজেদের বাড়ীঘর থেকে গর্বের সাথে আর লোকজনকে দাপট দেখানোর জন্য বের হয়। তারা তো লোকজনকে আল্লাহর (কোরআনের) পথে এগোতে বাঁধা দেয়। আর আল্লাহ ঐ বিষয়ে পরিবেষ্টন করে আছেন, যে সব কাজ-কর্ম তারা করছে।

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِذْ زَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ أَعْمَٰلَهُمْ وَقَالَ لَا غَالِبَ لَكُمُ ٱلْيَوْمَ مِنَ ٱلنَّاسِ وَإِنِّى جَارٌ لَّكُمْۖ فَلَمَّا تَرَآءَتِ ٱلْفِئَتَانِ نَكَصَ عَلَىٰ عَقِبَيْهِ وَقَالَ إِنِّى بَرِىٓءٌ مِّنكُمْ إِنِّىٓ أَرَىٰ مَا لَا تَرَوْنَ إِنِّىٓ أَخَافُ ٱللَّهَۚ وَٱللَّهُ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ


আর শয়তান তাদের কাজকর্মগুলোকে সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে দেখায়। আর বলে, মানুষদের মধ্য থেকে আজকে তো আর কেউ এমন নেই যে, তোমাদের উপরে জয়লাভ করতে পারবে; আর নিশ্চয়ই আমি তোমাদের প্রতিবেশী /সাথী। অতঃপর যখন দেখতে পায় দু'দল মোকাবেলার জন্য সামনা সামনি দাঁড়িয়ে রয়েছে, তখন কিন্তু সে তার দু'গোড়ালির (অর্থাৎ  পিছন দিকে) সরে পড়ে, আর বলে, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের থেকে দায়িত্বমুক্ত। আমি যা দেখছি তোমরা কিন্তু তা দেখতে পাচ্ছো না। আমি তো আল্লাহকে ভয় করি। আর আল্লাহ দন্ডদানে কঠোর।

সূরা : সুরা আনফাল

إِذْ يَقُولُ ٱلْمُنَٰفِقُونَ وَٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ غَرَّ هَٰٓؤُلَآءِ دِينُهُمْۗ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِ فَإِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

যখন মুনাফিক্বক-কপটরা আর যাদের মনের মধ্যে রোগ রয়েছে তারা বলে, এদেরকে এদের জীবন ব্যবস্থা ধোঁকা দিয়ে রেখেছে। অথচ যে ব্যক্তি আল্লাহর উপরে নির্ভর করে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা আনফাল

وَلَوْ تَرَىٰٓ إِذْ يَتَوَفَّى ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ۙ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَٰرَهُمْ وَذُوقُوا۟ عَذَابَ ٱلْحَرِيقِ


আর তুমি যদি দেখতে, যখন কাফিরদের মৃত্যু ঘটে, তখন মালা-ইকারা (ভূ-পৃষ্ঠের শক্তি সমূহ) তাদের চেহারায় ও পিঠে আঘাত হানতে থাকে, আর বলে, তোমরা দহনের শাস্তির স্বাদ চেখে নাও।

সূরা : সুরা আনফাল

ذَٰلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيكُمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ لَيْسَ بِظَلَّٰمٍ لِّلْعَبِيدِ


এটা তো সেই শাস্তি যা তোমাদের হাতগুলো আগে পাঠিয়েছে, এ হচ্ছে তারই পরিণাম। আর এ কথাও সত্য যে, আল্লাহ তাঁর দাসদেরর প্রতি মোটেই অত্যাচারী নন।

সূরা : সুরা আনফাল

كَدَأْبِ ءَالِ فِرْعَوْنَۙ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْۚ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ فَأَخَذَهُمُ ٱللَّهُ بِذُنُوبِهِمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ قَوِىٌّ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ

তাদের অবস্থা তো ফিরাউনের বংশধর ও তাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদের মতোই, তারা আল্লাহর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে। তাই আল্লাহ তাদেরকে তাদের পাপগুলোর কারণে পাকড়াও করেন। নিশ্চয় আল্লাহ বিপুল শক্তির অধিকারী ও দন্ডদানে কঠোর।

সূরা : সুরা আনফাল

ذٰلِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ لَمْ يَكُ مُغَيِّرًا نِّعْمَةً اَنْعَمَهَا عَلٰي قَوْمٍ حَتّٰي يُغَيِّرُوْا مَا بِاَنْفُسِهِمْ ۙ وَاَنَّ اللّٰهَ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ ۙ

এটি এ জন্য যে, আল্লাহ তাঁর কোন অনুগ্রহের পরিবর্তনকারী নন, যা তিনি কোন সম্প্রদায়ের উপর দান করেছেন, যতক্ষণ না তারা পরিবর্তন করে তাদের নিজদের মধ্যে যা আছে। আর নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু জানেন।

সূরা : সুরা আনফাল

كَدَأْبِ ءَالِ فِرْعَوْنَۙ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْۚ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِ رَبِّهِمْ فَأَهْلَكْنَٰهُم بِذُنُوبِهِمْ وَأَغْرَقْنَآ ءَالَ فِرْعَوْنَۚ وَكُلٌّ كَانُوا۟ ظَٰلِمِينَ


তাদের স্বভাব ফিরাউনের বংশধর ও তাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদের মতোই, যারা তাদের প্রতিপালকের আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে। তাই আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিই,তাদেরই পাপ সমূহের কারণে। আর ফিরআউনের বংশধরদেরকে ডুবিয়ে দিই, আর তারা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী।

সূরা : সুরা আনফাল

إِنَّ شَرَّ ٱلدَّوَآبِّ عِندَ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ


নিশ্চয়ই বিচরণশীল জীবদের মধ্যে তারাই আল্লাহর কাছে নিকৃষ্ট, যারা সত্যের অস্বীকার করে। অতঃপর তারা কিছুতেই ঈমান আনে না। 

সূরা : সুরা আনফাল

ٱلَّذِينَ عَٰهَدتَّ مِنْهُمْ ثُمَّ يَنقُضُونَ عَهْدَهُمْ فِى كُلِّ مَرَّةٍ وَهُمْ لَا يَتَّقُونَ


তাদের মধ্য হতে যাদের সাথে তুমি সন্ধিচুক্তি করেছো। এরপর তারা প্রত্যেক বারই তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে থাকে। আসলে তারা মোটেই ভয় করে না।

সূরা : সুরা আনফাল

فَإِمَّا تَثْقَفَنَّهُمْ فِى ٱلْحَرْبِ فَشَرِّدْ بِهِم مَّنْ خَلْفَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ


অতঃপর যদি কখনো তোমরা যুদ্ধরত রিবাখোর লোকদেরকে) আয়ত্তে পাও, তাহলে তাদেরকে এমন ভাবে বিচ্ছিন্ন করবে, যারা তাদের পিছনে রয়েছে, যাতে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে।

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِمَّا تَخَافَنَّ مِن قَوْمٍ خِيَانَةً فَٱنۢبِذْ إِلَيْهِمْ عَلَىٰ سَوَآءٍۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلْخَآئِنِينَ


তুমি যদি কোনো জাতি হতে বিশ্বাস ভঙ্গের আশঙ্কা কর, তবে তুমি তাদের সন্ধিচুক্তি তাদের দিকে একই ভাবে নিক্ষেপ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বাস ভঙ্গকারীদেরকে ভালোবাসেন না।

সূরা : সুরা আনফাল

وَلَا يَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَبَقُوٓا۟ۚ إِنَّهُمْ لَا يُعْجِزُونَ


আর কাফিররা যেনো আদৌ মনে না করে যে, তারা আগে চলে গিয়েছে (বেঁচে গেছে)। নিশ্চয়ই তারা (আল্লাহকে) অক্ষম করতে পারবে না।

সূরা : সুরা আনফাল

وَأَعِدُّوا۟ لَهُم مَّا ٱسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ ٱلْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِۦ عَدُوَّ ٱللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَءَاخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ ٱللَّهُ يَعْلَمُهُمْۚ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِن شَىْءٍ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لَا تُظْلَمُونَ

আর তাদেরকে কোরআন দিয়ে ভয় দেখানোর জন্য তোমরা যতটা পারো প্রস্তুত থাকবে সব সামর্থ্য শক্তির সাথে, জরুরী সাজ-সরঞ্জাম আর চিহ্নিত যানবাহন নিয়ে। এভাবে আল্লাহর শত্রুকে এবং তোমাদের শত্রুকে আর এছাড়াও অন্যান্য যারা রয়েছে। তাদেরকে তোমরা জানোনা, আল্লাহ তাদেরকে জানেন। আর তোমরা আল্লাহ‌র (কোরআনের) পথে যা কিছু খরচ করবে, তার বিনিময়ে তোমাদেরকে অবশ্যই পুরোপুরি দেয়া হবে। আর তোমাদের উপরে কিছুমাত্র অন্যায় করা হবে না।

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِن جَنَحُوا۟ لِلسَّلْمِ فَٱجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ


আর তারা যদি সন্ধি ও শান্তির জন্য ঝুঁকে পড়ে, তাহলে তুমিও সেজন্যে ঝুকে পড়বে। আর আল্লাহর উপরেই নির্ভর করবে। নিশ্চয়ই তিনি সবকিছু শোনেন ও সবকিছু জানেন।

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِن يُرِيدُوٓا۟ أَن يَخْدَعُوكَ فَإِنَّ حَسْبَكَ ٱللَّهُۚ هُوَ ٱلَّذِىٓ أَيَّدَكَ بِنَصْرِهِۦ وَبِٱلْمُؤْمِنِينَ


আর তারা যদি চায় যে, তোমাকে ধোকা দিবে, তবে আল্লাহই তোমার জন্যে যথেষ্ট। তিনিই তোমাকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর নিজ সাহায্য ও মুমিনদের দিয়ে।

সূরা : সুরা আনফাল

وَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْۚ لَوْ أَنفَقْتَ مَا فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا مَّآ أَلَّفْتَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ أَلَّفَ بَيْنَهُمْۚ إِنَّهُۥ عَزِيزٌ حَكِيمٌ


আর তাদের মনে ঐক্যমত সৃষ্টি করে দিয়েছেন। অথচ তুমি এই পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে সে সবের বিনিময়েও তাদের মধ্যে ঐক্যমত স্থাপন করতে পারবে না। আল্লাহই তাদের মধ্যে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করেছেন। নিশ্চয়ই তিনি মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : সুরা আনফাল

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ حَسْبُكَ ٱللَّهُ وَمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ


হে নবী ! তোমার জন্যে আল্লাহই তো যথেষ্ট। আর মুমিনদের মধ্যে হ'তে যারা তোমার অনুসরণ করে তাদের জন্যও।

সূরা : সুরা আনফাল

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ حَرِّضِ ٱلْمُؤْمِنِينَ عَلَى ٱلْقِتَالِۚ إِن يَكُن مِّنكُمْ عِشْرُونَ صَٰبِرُونَ يَغْلِبُوا۟ مِا۟ئَتَيْنِۚ وَإِن يَكُن مِّنكُم مِّا۟ئَةٌ يَغْلِبُوٓا۟ أَلْفًا مِّنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُونَ

হে নবী ! মুমিনদেরকে কিতালের (কোরআনের সঠিক শিক্ষা অর্জন করে নিজের কুপ্রবৃত্তি হত্যা করার) জন্যে উৎসাহ দিতে থাকো। যদি তোমাদের মধ্যে বিশ জন ধৈর্যশীল লোক থাকে, তাহলে তারা দু'শো জন লোককে কাবু করতে পারবে। আর যদি তোমাদের মধ্যে একশো জন লোক তেমন থাকে, তাহলে কাফিরদের মধ্যে একহাজার লোককে পরাস্ত করতে সক্ষম হবে। একারণে যে তারা এমন সম্প্রদায় যারা কিছুই বুঝে না।*

*8(65),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 26(214)...।


সূরা : সুরা আনফাল

ٱلْـَٰٔنَ خَفَّفَ ٱللَّهُ عَنكُمْ وَعَلِمَ أَنَّ فِيكُمْ ضَعْفًاۚ فَإِن يَكُن مِّنكُم مِّا۟ئَةٌ صَابِرَةٌ يَغْلِبُوا۟ مِا۟ئَتَيْنِۚ وَإِن يَكُن مِّنكُمْ أَلْفٌ يَغْلِبُوٓا۟ أَلْفَيْنِ بِإِذْنِ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ


আল্লাহ এখনই তোমাদের বোঝা হালকা করে দিবেন। আর তোমাদের মধ্যে যে দূর্বলতা রয়েছে তাও তিনি জানেন। তাইতো তোমাদের মধ্যে যদি ধৈর্য্যশীল একশ জন লোক থাকে, তাহলে দুইশ জনকে পরাস্ত করতে পারবে আর তোমাদের মধ্যে যদি এক হাজার লোক থাকে, তাহলে আল্লাহর হুকুমে তারা দু'হাজার লোককে পরাস্ত করতে পারবে। আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই থাকেন।

সূরা : সুরা আনফাল

مَا كَانَ لِنَبِىٍّ أَن يَكُونَ لَهُۥٓ أَسْرَىٰ حَتَّىٰ يُثْخِنَ فِى ٱلْأَرْضِۚ تُرِيدُونَ عَرَضَ ٱلدُّنْيَا وَٱللَّهُ يُرِيدُ ٱلْءَاخِرَةَۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

নবীর জন্য এ শোভা নয় যে, নবীর কাছে কোন চলমান কয়েদী থাকবে যতক্ষণ শত্রুদের উপর জয় লাভ না করবে পৃথিবীর মধ্য। তোমরা দুনিয়ার সম্পদ কামনা করো। আর আল্লাহ পরকাল চান। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : সুরা আনফাল

لَّوْلَا كِتَٰبٌ مِّنَ ٱللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَآ أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ

যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে লিখিত কিতাব না থাকতো, যা পূর্বে থেকেই চলে আসছে, তাহলে তোমরা যা গ্রহণ করেছো সেজন্য তোমাদেরকে শাস্তি স্পর্শ করতো।

সূরা : সুরা আনফাল

فَكُلُوا۟ مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَٰلًا طَيِّبًاۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


অতএব তোমরা যে লাভ পেয়েছ, তা থেকে হালাল পবিত্র হিসেবে খাও, আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু। 

সূরা : সুরা আনফাল

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ قُل لِّمَن فِىٓ أَيْدِيكُم مِّنَ ٱلْأَسْرَىٰٓ إِن يَعْلَمِ ٱللَّهُ فِى قُلُوبِكُمْ خَيْرًا يُؤْتِكُمْ خَيْرًا مِّمَّآ أُخِذَ مِنكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


হে বিশেষ সংবাদদাতা নবী, তুমি তাদেরকে বলে দাও, যে সকল চলমান কয়েদী তোমাদের আয়ত্বে রয়েছে। আল্লাহ যদি তোমাদের অন্তরের মধ্যে কোনও রকম কল্যাণের চিন্তা আছে বলে জানেন, তবে তার চাইতে উত্তম জিনিস তোমাদেরকে দান করবেন। যা তোমাদের থেকে নেওয়া হয়েছে। আর তোমাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ তো বড়ই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু"।

সূরা : সুরা আনফাল

وَإِن يُرِيدُوا۟ خِيَانَتَكَ فَقَدْ خَانُوا۟ ٱللَّهَ مِن قَبْلُ فَأَمْكَنَ مِنْهُمْۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ


আর তারা যদি তোমার সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করতে চায়, তাহলে তারা তো এর পূর্বে থেকেই আল্লাহর সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। অতঃপর আল্লাহ তোমাকে তাদের চেয়ে শক্তিশালী করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ তো সব কিছুই জানেন, মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা আনফাল

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ ءَاوَوا۟ وَّنَصَرُوٓا۟ أُو۟لَٰٓئِكَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍۚ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَلَمْ يُهَاجِرُوا۟ مَا لَكُم مِّن وَلَٰيَتِهِم مِّن شَىْءٍ حَتَّىٰ يُهَاجِرُوا۟ۚ وَإِنِ ٱسْتَنصَرُوكُمْ فِى ٱلدِّينِ فَعَلَيْكُمُ ٱلنَّصْرُ إِلَّا عَلَىٰ قَوْمٍۭ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُم مِّيثَٰقٌۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

নিশ্চয় যারা ঈমান আনবে, স্থানান্তর হবে, আর তাদের জান মাল দিয়ে আল্লাহর (কোরআনের) পথে উৎকৃষ্টতমকর্ম করবে,আর যারা আশ্রয় দান করবে ও সাহায্য করবে, তারাও তো একে অন্যের বন্ধু। আর যারা ঈমান আনবে কিন্তু স্থানান্তর হবেনা, তাদের সাথে তোমাদের কোন রকম বন্ধুত্বের যোগসম্পর্ক নেই, যতক্ষণ না তারা হিজরত করবে। তবে তারা যদি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের কাছে সাহায্য চায়, তাহলে অবশ্যই তোমরা তাদেরকে সাহায্য করবে। কিন্তু যাদের সাথে তোমাদের সন্ধিচুক্তি রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নয়। তোমরা যা কিছু করো, আল্লাহ সে সব দেখেন।*

*8(72),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,28(17,85,86),5(45),2(89),4(150-152),25(55),48(15),4(94),9(58),2(270-273),5(54,55),66(9),48(29),2(193),58(22),60(1),9(23),15(88),26(215,216)...।
রাসুল মু'মিনদের প্রতি দয়ালু হওয়ার ব্যাপারে 9(128),15(88),26(215)...।
কাফিরদের প্রতি কঠোর হহওয়ার ব্যপারে 9(73,123),25(55),28(17,86),66(9),5(54),48(29),6(66)...।
কাফির, মুনাফিক্ব ও মিথ্যাবাদীদের আনুগত্য না করার ব্যাপারে 25(52),33(1,48),68(8)
ফাসিক্বদের দান গ্রহনের ব্যাপারে 9(28,52-54,98),4(89),5(47)...।
সাদাকা বন্টনের পূর্বে যাচাই করার ব্যাপারে 4(94),9(58),48(15,16)...।
জালিমদের সাহায্যের ব্যাপারে 2(270),3(192),5(45),6(33),29(49)...।
মু'মিনরা কেবল আল্লাহর পথে সাহায্য করবে এব্যাপারে 3(52,53),49(14,15),9(111),61(14)...।
8(72),নং আয়াতের دين/দ্বীন শব্দের ব্যাখ্যায়  9(1-12),98(5)...।
কাফিরদের সাহায্যের ব্যাপারে 28(85,86),4(89),60(1),29(47),31(32),5(44)...।
দানের জন্য আফসোস করতে হবে 8(36)...।
অবাদ্য মুনাফিক্ব সাথীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে 4(61-63,81),6(35,106),47(38),51(51-55),53(29,30)...।

সূরা : সুরা আনফাল

وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍۚ إِلَّا تَفْعَلُوهُ تَكُن فِتْنَةٌ فِى ٱلْأَرْضِ وَفَسَادٌ كَبِيرٌ


আর যারা অবিস্বাস করেছে, তারাও তো নিজেদের মধ্যে একে অন্যের বন্ধু। সুতরাং তোমরা যদি তা না করো, তবে পৃথিবীর মধ্যে ফিতনা ও বড় বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।

সূরা : সুরা আনফাল

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ ءَاوَوا۟ وَّنَصَرُوٓا۟ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُؤْمِنُونَ حَقًّاۚ لَّهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ

আর যারা ঈমান আনবে, স্থানান্তর হবে, আর  আল্লাহর পথে উৎকৃষ্টতমকর্ম করবে, আর যারা আশ্রয় দান করবে ও সাহায্য করবে, তারাই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্যই রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকার ব্যবস্থা।

সূরা : সুরা আনফাল

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مِنۢ بَعْدُ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ مَعَكُمْ فَأُو۟لَٰٓئِكَ مِنكُمْۚ وَأُو۟لُوا۟ ٱلْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَىٰ بِبَعْضٍ فِى كِتَٰبِ ٱللَّهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌۢ


আর যারা ঈমান আনবে পরে স্থানান্তর হবে, আর তোমাদের সাথে শরীক হয়ে উৎকৃষ্টতমকর্ম করবে, তারাও তোমাদের অন্তর্ভূক্ত। আর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন একে অন্যের বন্ধু, তা আল্লাহর লিখিত কিতাব অনুযায়ী। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুরই সম্পর্কে জানেন।