সূরা : সুরা মারয়াম

كٓهٰيٰعٓصٓ ۟ۚ


কাফ হা-ইয়া-আঈন-'স-দ।

সূরা : সুরা মারয়াম

ذِكْرُ رَحْمَتِ رَبِّكَ عَبْدَهٗ زَكَرِيَّا ۖۚ


তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ যা তাঁর দাস যাকারিয়্যার প্রতি করেছিলেন।

সূরা : সুরা মারয়াম

اِذْ نَادٰي رَبَّهٗ نِدَآءً خَفِيًّا


যখন সে তার প্রতিপালককে নিভৃতে ডাকে। 

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَ رَبِّ اِنِّيْ وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّيْ وَاشْتَعَلَ الرَّاْسُ شَيْبًا وَّلَمْ اَكُنْۢ بِدُعَآئِكَ رَبِّ شَقِيًّا


সে বলে, হে আমার প্রতিপালক ! আমার হাড়গুলো দূর্বল হয়ে গেছে। আর বার্ধক্যের তাপ মাথা দিয়ে বের হতে লেগেছে। হে আমার প্রতিপালক, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করে কখনও ব্যর্থকাম হইনি।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاِنِّيْ خِفْتُ الْمَوَالِيَ مِنْ وَّرَآءِيْ وَكَانَتِ امْرَاَتِيْ عَاقِرًا فَهَبْ لِيْ مِنْ لَّدُنْكَ وَلِيًّا ۙ


আর নিশ্চয়ই আমি আমার পর স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে ভয় করছি। আর আমার স্ত্রী হচ্ছে বন্ধ্যা ! অতএব আপনি আপনার নিকট থেকেই একজন উত্তারাধীকারী দান করুন'। 

সূরা : সুরা মারয়াম

يَّرِثُنِيْ وَيَرِثُ مِنْ اٰلِ يَعْقُوْبَ ۖ وَاجْعَلْهُ رَبِّ رَضِيًّا


সে আমার উত্বারাধীকারী হবে এবং ইয়াকুবের বংশের উত্তারাধিকারী হবে। হে আমার প্রতিপালক ! তাকে সন্তোষজনক বানিয়ে দিন।

সূরা : সুরা মারয়াম

يٰزَكَرِيَّاۤ اِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلٰمِ اسْمُهٗ يَحْيٰي ۙ لَمْ نَجْعَلْ لَّهٗ مِنْ قَبْلُ سَمِيًّا



যাকারিয়্যা বলে, হে আমার প্রতিপালক ! কেমন করে আমার পুত্র হবে ? আমার স্ত্রী তো হলো বন্ধ্যা। আর আমিও তো বার্ধক্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। 

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَ رَبِّ اَنّٰي يَكُوْنُ لِيْ غُلٰمٌ وَّكَانَتِ امْرَاَتِيْ عَاقِرًا وَّقَدْ بَلَغْتُ مِنَ الْكِبَرِ عِتِيًّا


যাকারিয়্যা বলে, হে আমার প্রতিপালক ! কেমন করে আমার পুত্র হবে ? আমার স্ত্রী তো হলো বন্ধ্যা। আর আমিও তো বার্ধক্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। 

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَ كَذٰلِكَ ۚ قَالَ رَبُّكَ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَّقَدْ خَلَقْتُكَ مِنْ قَبْلُ وَلَمْ تَكُ شَيْئًا

তিনি‌ বলেন,  এভাবেই হবে (যেভাবে সমাজে হয়)। তোমার প্রতিপালক বলেন, এটা আমার জন্য খুবই সহজসাধ্য। আর নিশ্চয়ই আমি এর পূর্বে তোমাকেও সৃষ্টি করেছি, যখন তুমি কিছুই ছিলে না।*

*19(8,9) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 21(90)...।

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَ رَبِّ اجْعَلْ لِّيْۤ اٰيَةً ؕ قَالَ اٰيَتُكَ اَلَّا تُكَلِّمَ النَّاسَ ثَلٰثَ لَيَالٍ سَوِيًّا

যাকারিয়্যা বলে, হে আমার প্রতিপালক ! আপনি আমার জন্যে একটি নিদর্শন ঠিক করে দিন। আল্লাহ বলেন, তোমার জন্যে নিদর্শন হচ্ছে এই যে, তুমি মানুষের সাথে সুস্থ অবস্থায় ক্রমাগত তিন রাত কোনো কথা বলতে পারবে না।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَخَرَجَ عَلٰي قَوْمِهٖ مِنَ الْمِحْرَابِ فَاَوْحٰۤي اِلَيْهِمْ اَنْ سَبِّحُوْا بُكْرَةً وَّعَشِيًّا


অতঃপর সে কক্ষ থেকে বেরিয়ে তার জাতির লোকদের নিকট আসে, তারপর সে তাদের দিকে ওহী করে বলে যে, তোমরা সবাই সকাল ও সন্ধ্যা রাতে পবিত্রতা ঘোষনা করো।

সূরা : সুরা মারয়াম

يٰيَحْيٰي خُذِ الْكِتٰبَ بِقُوَّةٍ ؕ وَاٰتَيْنٰهُ الْحُكْمَ صَبِيًّا ۙ


(বড় হলে তাকে বলা হলো) হে ইয়াহইয়া ! তুমি আল কিতাবকে দৃঢ়তা সহ গ্রহণ কর। আর আমি তাকে বাল্য অবস্থায় (ফায়সালার হুকুম দেওয়ার) নেতৃত্ব দান করি।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَّحَنَانًا مِّنْ لَّدُنَّا وَزَكٰوةً ؕ وَكَانَ تَقِيًّا


আর আমারই নিকট থেকে তাকে হৃদয়ের কোমলতা ও পবিত্রতাও দান করি। আর সে হয় অত্যান্ত মহৎ।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَّبَرًّۢا بِوَالِدَيْهِ وَلَمْ يَكُنْ جَبَّارًا عَصِيًّا


সে তার মা-বাপের বড়ই অনুগত। আর সে স্বৈরাচারী, অবাধ্য হয় না। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَسَلٰمٌ عَلَيْهِ يَوْمَ وُلِدَ وَيَوْمَ يَمُوْتُ وَيَوْمَ يُبْعَثُ حَيًّا


আর তার উপর শান্তি, যেদিন সে জন্ম লাভ করে এবং যেদিন সে মরবে এবং যেদিন তাকে জীবিত অবস্থায় উঠানো হবে।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاذْكُرْ فِي الْكِتٰبِ مَرْيَمَ ۘ اِذِ انْتَبَذَتْ مِنْ اَهْلِهَا مَكَانًا شَرْقِيًّا


আর স্মরণ কর এই আল কিতাবের মধ্যে মারইয়ামকে,যা তার সম্পর্কে বলা হয়েছে। যখন সে তার পরিবার থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকের কোন এক স্থানে থাকতে লাগে।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَاتَّخَذَتْ مِنْ دُوْنِهِمْ حِجَابًا ۪۟ فَاَرْسَلْنَاۤ اِلَيْهَا رُوْحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا


অতঃপর সে যখন লোকজনের দিক হতে একেবারে পর্দার আড়ালে থাকে। তখন আমি তার প্রতি আমারই রূহ প্রেরণ করি। অতঃপর সেই রূহ মারইয়ামের বিবেচনায় একজন পূর্ণাঙ্গ বাশার মানুষের অনুরূপ হয়।

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَتْ اِنِّيْۤ اَعُوْذُ بِالرَّحْمٰنِ مِنْكَ اِنْ كُنْتَ تَقِيًّا


মারইয়াম বলে, আমি দয়াময়ের কাছে তোমার থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। যেন তুমি মহৎব্যক্তি হও।

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَ اِنَّمَاۤ اَنَا رَسُوْلُ رَبِّكِ ۖ لِاَهَبَ لَكِ غُلٰمًا زَكِيًّا


সে (কামিল মানুষটি) বলতে লাগে, প্রকৃতপক্ষে আমি তো তোমার প্রতিপালকের একজন প্রেরিত রাসূল ! যেন আমি তোমাকে একজন পবিত্র পুত্র সন্তান দান করি।

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَتْ اَنّٰي يَكُوْنُ لِيْ غُلٰمٌ وَّلَمْ يَمْسَسْنِيْ بَشَرٌ وَّلَمْ اَكُ بَغِيًّا

সে বলে, এভাবেই হবে (যেভাবে সমাজে হয়)। তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এ কাজটি আমার জন্যে খুবই সহজ। যেনো আমি তা বানাই মানুষের জন্য একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ। এ কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে গেছে। 

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَ كَذٰلِكِ ۚ قَالَ رَبُّكِ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ ۚ وَلِنَجْعَلَهٗۤ اٰيَةً لِّلنَّاسِ وَرَحْمَةً مِّنَّا ۚ وَكَانَ اَمْرًا مَّقْضِيًّا

সে (কামিল মানুষটি) বলে, সমাজে যেভাবে হয় সেভাবেই হবে। তোমার প্রতিপালক বলেছেন,এ কাজটি আমার জন্য খুবই সহজ। আর আমি তাকে মানুষদের জন্য একটি নিদর্শন বানাতে চাই, আমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অনুগ্রহ হিসেবে। এ কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে গেছে।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَحَمَلَتْهُ فَانْتَبَذَتْ بِهٖ مَكَانًا قَصِيًّا


অতঃপর মারইয়াম তাকে (রাসূল থেকে) গর্ভ ধারণ করে। তারপর সে তা নিয়ে পৃথক হয়ে দূরবর্তী একটি স্থানে চলে যায়।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَاَجَآءَهَا الْمَخَاضُ اِلٰي جِذْعِ النَّخْلَةِ ۚ قَالَتْ يٰلَيْتَنِيْ مِتُّ قَبْلَ هٰذَا وَكُنْتُ نَسْيًا مَّنْسِيًّا

অতঃপর প্রসববেদনা তাকে খেজুর গাছের কান্ডের কাছে নিয়ে আসে। মারইয়াম তখন বলতে লাগে হায় আমার আফসোস! আমি যদি এর পূর্বেই মরে যেতাম! আমার কথা যদি সবাই একেবারে ভুলেই যেতো! হায়! এমন যদি সম্ভব হতো

সূরা : সুরা মারয়াম

فَنَادٰىهَا مِنْ تَحْتِهَاۤ اَلَّا تَحْزَنِيْ قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا


অতঃপর তাকে নিচ হ'তে ডাক দিয়ে বলা হয়, তুমি চিন্তা করো না। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক, তোমার নিচে এক ঝর্ণা সৃষ্টি করেছেন। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَهُزِّيْۤ اِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسٰقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا


আর তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কান্ডে নাড়া দাও। তা থেকে পাকা খেজুর তোমার উপর ঝরে পড়বে।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَكُلِيْ وَاشْرَبِيْ وَقَرِّيْ عَيْنًا ۚ فَاِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ اَحَدًا ۙ فَقُوْلِيْۤ اِنِّيْ نَذَرْتُ لِلرَّحْمٰنِ صَوْمًا فَلَنْ اُكَلِّمَ الْيَوْمَ اِنْسِيًّا ۚ

সুতরাং তুমি খাও ও পান করো আর তোমার চোখকে জুড়াও। অতঃপর যদি তুমি মানুষের মধ্য হ'তে কাউকে দেখো, তখন তুমি বলবে, নিশ্চয়ই আমি দয়াময়ের জন্যে সাওম (রোজা) মানত করেছি। অতএব আজ আমি কোনও মানুষের সাথে কথা বলবো না। 

সূরা : সুরা মারয়াম

فَاَتَتْ بِهٖ قَوْمَهَا تَحْمِلُهٗ ؕ قَالُوْا يٰمَرْيَمُ لَقَدْ جِئْتِ شَيْئًا فَرِيًّا


অতঃপর সে তাকে সাথে বহন করে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে আসে। তারা বলে, হে মারইয়াম ! নিশ্চয়ই তুমি জঘন্য কিছু নিয়ে এসেছো।

সূরা : সুরা মারয়াম

يٰۤاُخْتَ هٰرُوْنَ مَا كَانَ اَبُوْكِ امْرَاَ سَوْءٍ وَّمَا كَانَتْ اُمُّكِ بَغِيًّا ۖۚ


হে হারুনের বোন ! তোমার পিতা তো আর খারাপ লোক না, আর তোমার মা তো অসতী না।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَاَشَارَتْ اِلَيْهِ ؕ قَالُوْا كَيْفَ نُكَلِّمُ مَنْ كَانَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا


তখন সে তার নিজ সন্তানের দিকে ইশারা করে। তারা বলে, আমরা তার সাথে কথা বলবো কিভাবে ? যে এখনো ছোট্ট শিশু দোলনার মধ্যে আছে। 

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَ اِنِّيْ عَبْدُ اللّٰهِ ۟ؕ اٰتٰنِيَ الْكِتٰبَ وَجَعَلَنِيْ نَبِيًّا


তখন শিশু ঈসা বলে উঠে, নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর দাস। তিনি‌ আমাকে আল কিতাব দিয়ছেন। আর আমাকে নবীও বানিয়েছেন। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَّجَعَلَنِيْ مُبٰرَكًا اَيْنَ مَا كُنْتُ ۪ وَاَوْصٰنِيْ بِالصَّلٰوةِ وَالزَّكٰوةِ مَا دُمْتُ حَيًّا ۪ۖ


আর আল্লাহ‌ আমাকে কল্যাণময় করেছেন। আমি যেখানে থাকি না কেন, আমাকে দায়িত্ব পালন ও সাহায্য প্রদানের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন, যত দিন পর্যন্ত আমি জীবিত থাকবো। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَّبَرًّۢا بِوَالِدَتِيْ ۫ وَلَمْ يَجْعَلْنِيْ جَبَّارًا شَقِيًّا


আর আমাকে মায়ের অনুগত করেছেন। আমাকে তো স্বেচ্ছাচারী, অবাধ্য হিসেবে বানানো হয়নি।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَالسَّلٰمُ عَلَيَّ يَوْمَ وُلِدْتُّ وَيَوْمَ اَمُوْتُ وَيَوْمَ اُبْعَثُ حَيًّا


আমার উপর শান্তি যেদিন আমি জন্ম লাভ করেছি, যেদিন আমি মরবো, আর যেদিন আমাকে জীবিত অবস্থায় উঠানো হবে। 

সূরা : সুরা মারয়াম

ذٰلِكَ عِيْسَي ابْنُ مَرْيَمَ ۚ قَوْلَ الْحَقِّ الَّذِيْ فِيْهِ يَمْتَرُوْنَ


এই হলো মারইয়ামের পুত্র ঈসা। এটা চুড়ান্ত সত্য কথা, যে বিষয়ে লোকেরা সন্দেহ করছে।

সূরা : সুরা মারয়াম

এটাই হচ্ছে মারইয়ামের পুত্র ঈসা। এটা চুড়ান্ত সত্য কথা, যে বিষয়ে লোকেরা সন্দেহ করছে।

 

আল্লাহর জন্য এ কাজ নয় যে, তিনি কাউকে সন্তানরূপে গ্রহণ করবেন। তিনি পবিত্র মহান। তিনি যখন কোনো কাজের বিষয় স্থির করেন, তখন শুধুমাত্র বলেন, হওয়া দরকার অতঃপর তা হতে থাকে। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاِنَّ اللّٰهَ رَبِّيْ وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوْهُ ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ



আর আল্লাহই তো আমার ও তোমাদের প্রতিপালক। সুতরাং তোমরা তাঁরই দাসত্ব করো। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত পথ।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَاخْتَلَفَ الْاَحْزَابُ مِنْۢ بَيْنِهِمْ ۚ فَوَيْلٌ لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ مَّشْهَدِ يَوْمٍ عَظِيْمٍ


এরপরেও মানুষের মাঝে থেকে বিভিন্ন দল মনগড়া পথ অনুসরণ করছে। সুতরাং যারা অস্বীকার করেছে তাদের জন্যে সেই কঠিন দিনের সাক্ষাতকালে ধ্বংস অনিবার্য।

সূরা : সুরা মারয়াম

اَسْمِعْ بِهِمْ وَاَبْصِرْ ۙ يَوْمَ يَاْتُوْنَنَا لٰكِنِ الظّٰلِمُوْنَ الْيَوْمَ فِيْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍ


আর তারা কতোই না স্পষ্ট কথা শুনবে ও কতোই না জিনিস দেখবে, যেদিন তারা আমার কাছে আসবে। কিন্তু সীমালঙ্ঘনকারীরা তো আজ সুস্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যেই রয়েছে।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاَنْذِرْهُمْ يَوْمَ الْحَسْرَةِ اِذْ قُضِيَ الْاَمْرُ ۘ وَهُمْ فِيْ غَفْلَةٍ وَّهُمْ لَا يُؤْمِنُوْنَ



তাদেরকে তুমি সতর্ক করো, সেই পরিতাপের দিন সম্পর্কে। যখন সব বিষয়ের সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। আর তারা বিভোর উদাসীনতার মধ্যেই রয়ে গেলো। আর তারা কিছুতেই ঈমান আনছে না। 

সূরা : সুরা মারয়াম

اِنَّا نَحْنُ نَرِثُ الْاَرْضَ وَمَنْ عَلَيْهَا وَاِلَيْنَا يُرْجَعُوْنَ



নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবো। আর তার উপরে যা কিছু রয়েছে, সেসব তো আমার দিকেই ফিরিয়ে আনা হবে। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاذْكُرْ فِي الْكِتٰبِ اِبْرٰهِيْمَ ؕ اِنَّهٗ كَانَ صِدِّيْقًا نَّبِيًّا


আর স্মরণ করো এই আল কিতাবের মধ্যে ইবরাহীমকে, যা তার সম্পর্কে বলা হয়েছে। নিশ্চয়ই সে হলো সত্যনিষ্ঠ নবী। 

সূরা : সুরা মারয়াম

اِذْ قَالَ لِاَبِيْهِ يٰۤاَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لَا يَسْمَعُ وَلَا يُبْصِرُ وَلَا يُغْنِيْ عَنْكَ شَيْئًا


ইবরাহীম যখন তার বাপকে বলে, হে আমার পিতা ! কেনো আপনি এমন জিনিসকে পূজা করছেন? যা কিছুই শোনে না, কিছুই দেখে ন, আর আপনার জন্যে কিছুই কাজে আসে না।

সূরা : সুরা মারয়াম

يٰۤاَبَتِ اِنِّيْ قَدْ جَآءَنِيْ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ يَاْتِكَ فَاتَّبِعْنِيْۤ اَهْدِكَ صِرَاطًا سَوِيًّا


হে আমার পিতা ! নিশ্চয়ই আমার কাছে এমন কিছু বিশেষ জ্ঞান এসেছে, যা আপনার কাছে আসেনি। সুতরাং আমার অনুসরণ করুন। আমিই আপনাকে সরল সঠিক পথ দেখাবো।

সূরা : সুরা মারয়াম

يٰۤاَبَتِ لَا تَعْبُدِ الشَّيْطٰنَ ؕ اِنَّ الشَّيْطٰنَ كَانَ لِلرَّحْمٰنِ عَصِيًّا




হে আমার পিতা ! আপনি শয়তানের দাসত্ব করবেন না। নিশ্চয় শয়তান হলো দয়াময়ের অবাধ্য। 

সূরা : সুরা মারয়াম

يٰۤاَبَتِ اِنِّيْۤ اَخَافُ اَنْ يَّمَسَّكَ عَذَابٌ مِّنَ الرَّحْمٰنِ فَتَكُوْنَ لِلشَّيْطٰنِ وَلِيًّا


হে আমার পিতা ! নিশ্চয়ই আমি ভয় করছি যে, দয়াময়ের পক্ষ থেকে আপনাকে শাস্তি স্পর্শ করবে। অতঃপর আপনি হবেন শয়তানের জন্যে বন্ধু। 

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَ اَرَاغِبٌ اَنْتَ عَنْ اٰلِهَتِيْ يٰۤـاِبْرٰهِيْمُ ۚ لَئِنْ لَّمْ تَنْتَهِ لَاَرْجُمَنَّكَ وَاهْجُرْنِيْ مَلِيًّا


সে বলে, তুমি কি তাহলে আমার দেব-দেবীগুলো হ'তে বিমুখ? হে ইবরাহীম ! তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাকে পাথর মেরে হত্যা করবো। চিরতরে আমাকে ছেড়ে চলে যাও। 

সূরা : সুরা মারয়াম

قَالَ سَلٰمٌ عَلَيْكَ ۚ سَاَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّيْ ؕ اِنَّهٗ كَانَ بِيْ حَفِيًّا


ইবরাহীম বলে, সালামুন আলাইকা (আপনার উপর শান্তি)। অচিরেই আমি আপনার জন্যে আমার প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাইবো। নিশ্চয়ই তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহশীল,।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاَعْتَزِلُكُمْ وَمَا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَاَدْعُوْا رَبِّيْ ۫ۖ عَسٰۤي اَلَّاۤ اَكُوْنَ بِدُعَآءِ رَبِّيْ شَقِيًّا

আর আল্লাহ ছাড়া আপনারা যাদেরকে ডাকছেন, আমি তাদের এবং আপনাদের থেকে পৃথক হচ্ছি। আর আমি আমারই প্রতিপালককে ডেকে যাবো। আশা করি যে, আমার প্রতিপালককে ডেকে আমি ব্যর্থকাম হবো না।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَلَمَّا اعْتَزَلَهُمْ وَمَا يَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۙ وَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ وَيَعْقُوْبَ ؕ وَكُلًّا جَعَلْنَا نَبِيًّا


অতঃপর ইবরাহীম যখন তাদের এবং তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের পূজা করতো তাদের কাছ থেকে পৃথক হয়, তখন আমি তাকে ইসহাক ও ইয়াকুবকে দান করি। আর তাদের প্রত্যেককে আমি নবী বানাই। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَوَهَبْنَا لَهُمْ مِّنْ رَّحْمَتِنَا وَجَعَلْنَا لَهُمْ لِسَانَ صِدْقٍ عَلِيًّا



আর তাদের জন্যে আমি দান করি আমার অনুগ্রহ থেকে এবং তাদের জন্যে সত্য সঠিক সুউচ্চ বাণী ঘোষনা করি।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاذْكُرْ فِي الْكِتٰبِ مُوْسٰۤي ۫ اِنَّهٗ كَانَ مُخْلَصًا وَّكَانَ رَسُوْلًا نَّبِيًّا


আর স্মরণ কর এই আল কিতাবের মধ্যে মুসাকে, যা তার সম্পর্কে বলা হয়েছে। নিশ্চয় সে হলো বিশুদ্ধচিত্ত এবং সে হলো রাসূল নবী।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَنَادَيْنٰهُ مِنْ جَانِبِ الطُّوْرِ الْاَيْمَنِ وَقَرَّبْنٰهُ نَجِيًّا


আমি মূসাকে ডাক দিয়েছি তুর/উঁচু পাহাড়ের ডান দিক থেকে। আর আমি তাকে খুব কাছেই টেনেছি অন্তরঙ্গ আলাপের জন্যে।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَوَهَبْنَا لَهٗ مِنْ رَّحْمَتِنَاۤ اَخَاهُ هٰرُوْنَ نَبِيًّا


আর আমি আমার অনুগ্রহে তার জন্যে তারই ভাই হারুনকে নবী বানাই।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاذْكُرْ فِي الْكِتٰبِ اِسْمٰعِيْلَ ۫ اِنَّهٗ كَانَ صَادِقَ الْوَعْدِ وَكَانَ رَسُوْلًا نَّبِيًّا ۚ



এবং স্মরণ কর এই আল কিতাবের মধ্যে ইসমাঈলকে, যা তার সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। নিশ্চয়ই সে হলো প্রতিশ্রুতির সত্যতা রক্ষাকারী এবং রাসূল,নবী।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَكَانَ يَاْمُرُ اَهْلَهٗ بِالصَّلٰوةِ وَالزَّكٰوةِ ۪ وَكَانَ عِنْدَ رَبِّهٖ مَرْضِيًّا


আর সে তার নিজ পরিজনবর্গকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন ও সাহায্য প্রদানের ব্যাপারে নির্দেশ দেয়। আর সে হয় তার প্রতিপালকের কাছে প্রিয়পাত্র। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاذْكُرْ فِي الْكِتٰبِ اِدْرِيْسَ ۫ اِنَّهٗ كَانَ صِدِّيْقًا نَّبِيًّا ۙ


আর স্মরণ কর এই আল কিতাবের মধ্যে ইদরীসকে, যা তার সম্পর্কে বলা হচ্ছে। নিশ্চয়ই সে সত্যনিষ্ঠ নবী। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَّرَفَعْنٰهُ مَكَانًا عَلِيًّا


আর আমিই তাকে উচ্চতর স্থানে উন্নীত করেছি। 

সূরা : সুরা মারয়াম

اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ اَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ مِّنَ النَّبِيّٖنَ مِنْ ذُرِّيَّةِ اٰدَمَ وَمِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوْحٍ ۫ وَّمِنْ ذُرِّيَّةِ اِبْرٰهِيْمَ وَاِسْرَآءِيْلَ ۫ وَمِمَّنْ هَدَيْنَا وَاجْتَبَيْنَا ؕ اِذَا تُتْلٰي عَلَيْهِمْ اٰيٰتُ الرَّحْمٰنِ خَرُّوْا سُجَّدًا وَّبُكِيًّا ٛ

আদমের বংশ হতে এরাই তো হলো ঐসব লোক, যাদেরকে আল্লাহ অনুগ্রহ হিসেবে নবীদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। আর যাদেরকে আমি নূহের সাথে আরোহণ করিয়েছি। আর ইবরাহীম ও ঈসরাঈলের বংশধর ! তাদের মধ্যে যাদেরকে আমি হিদায়াত দান করেছি আর যাদেরকে আমি মনোনীত করেছি, তাদের কাছে যখন দয়াময়ের আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন তারা পরম আনুগত্য প্রকাশে লুটিয়ে পড়ে ও ক্রন্দন করে।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَخَلَفَ مِنْۢ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ اَضَاعُوا الصَّلٰوةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوٰتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا ۙ

তাদের পর থেকে তাদের জায়গায় এমন বংশধর আসে, যারা দায়িত্ব পালন নষ্ট করে এবং অনুসরণ করে কুপ্রবৃত্তির (লোভ-লালসার)। সুতরাং শীঘ্রই তারা কুকর্মের শাস্তির সম্মুখীন হবে।*

*19(59),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 7(169,170)...।
59 নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 10(73)...।

সূরা : সুরা মারয়াম

اِلَّا مَنْ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَاُولٰٓئِكَ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُوْنَ شَيْئًا ۙ


কিন্তু যারা তাওবা করেছে, ঈমান এনেছে, আর সংশোধনের কাজ করেছে, ঐসব লোকই জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর তাদের সাথে কিছুমাত্র অন্যায় করা হবে না। 

সূরা : সুরা মারয়াম

جَنّٰتِ عَدْنِ الَّتِيْ وَعَدَ الرَّحْمٰنُ عِبَادَهٗ بِالْغَيْبِ ؕ اِنَّهٗ كَانَ وَعْدُهٗ مَاْتِيًّا


চিরস্থায়ী জান্নাত,দয়াময় যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁর দাসদেরকে গোপনভাবে। নিশ্চয়ই তিনি এমন যে, তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যম্ভাবী। 

সূরা : সুরা মারয়াম

لَا يَسْمَعُوْنَ فِيْهَا لَغْوًا اِلَّا سَلٰمًا ؕ وَلَهُمْ رِزْقُهُمْ فِيْهَا بُكْرَةً وَّعَشِيًّا


সেখানে তারা 'শান্তি' ছাড়া কোনও নিরর্থক কথা শুনবে না। এবং সেখানে তাদের জন্যে থাকবে সকাল ও সন্ধ্যা রাতে তাদের জীবিকা।

সূরা : সুরা মারয়াম

تِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِيْ نُوْرِثُ مِنْ عِبَادِنَا مَنْ كَانَ تَقِيًّا


এই সেই জান্নাত, আমারই দাসদেরকে আমি যার উত্তারাধিকারী বানাব- যারা হবে মহৎলোক।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَمَا نَتَنَزَّلُ اِلَّا بِاَمْرِ رَبِّكَ ۚ لَهٗ مَا بَيْنَ اَيْدِيْنَا وَمَا خَلْفَنَا وَمَا بَيْنَ ذٰلِكَ ۚ وَمَا كَانَ رَبُّكَ نَسِيًّا ۚ

আর যা কিছু অবতীর্ণ করা হয় তা কিন্তু তোমার প্রতিপালকের নির্দেশক্রমে হয়। যা কিছু আমাদের হাতের সামনে রয়েছে, আর যা কিছু রয়েছে আমাদের পিছনে এবং যা কিছু রয়েছে এর মাঝে, সব তাঁরই মালিকানাধীন। আর তোমার প্রতিপালক তো ভুলে যান না।

সূরা : সুরা মারয়াম

رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا فَاعْبُدْهُ وَاصْطَبِرْ لِعِبَادَتِهٖ ؕ هَلْ تَعْلَمُ لَهٗ سَمِيًّا

 তিনি হলেন আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর প্রতিপালক। আর এ দু'য়ের মাঝখানে যা কিছু রয়েছে সে সবেরও। সুতরাং তাঁরই দাসত্ব করো। তাঁর দাসত্বের উপরে ধৈর্যরে সাথে কায়েম থাকবে। তুমি কি তাঁর সমমান গুণসম্পন্ন অন্য কাউকে জানো? 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَيَقُوْلُ الْاِنْسَانُ ءَاِذَا مَا مِتُّ لَسَوْفَ اُخْرَجُ حَيًّا


মানুষ বলে, আমি যখন মরে যাবো, তারপরেও কি আমাকে জীবিত অবস্থায় বের করা হবে?

সূরা : সুরা মারয়াম

اَوَلَا يَذْكُرُ الْاِنْسَانُ اَنَّا خَلَقْنٰهُ مِنْ قَبْلُ وَلَمْ يَكُ شَيْئًا


মানুষ কি এ কথাটিও স্মরণ করে না যে, আমি ইতিপূর্বে তাকে সৃষ্টি করেছি , যখন সে কিছুই ছিলো না।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَوَرَبِّكَ لَنَحْشُرَنَّهُمْ وَالشَّيٰطِيْنَ ثُمَّ لَنُحْضِرَنَّهُمْ حَوْلَ جَهَنَّمَ جِثِيًّا ۚ


সুতরাং তোমার প্রতিপালকের শপথ ! অবশ্যই আমি তাদেরকে জড়ো করবো, আর শয়তানদেরকেও। এরপর অবশ্যই তাদেরকে আমি জাহান্নামের চারদিকে নতজানু অবস্থায় উপস্থিত করবো।

সূরা : সুরা মারয়াম

ثُمَّ لَنَنْزِعَنَّ مِنْ كُلِّ شِيْعَةٍ اَيُّهُمْ اَشَدُّ عَلَي الرَّحْمٰنِ عِتِيًّا ۚ


এরপরে আমি প্রত্যেকটি দলের মধ্য হতে তাদেরকে টেনে বের করবো, যারা দয়াময়ের প্রতি সর্বাধিক অবাধ্য ছিলো।

সূরা : সুরা মারয়াম

ثُمَّ لَنَحْنُ اَعْلَمُ بِالَّذِيْنَ هُمْ اَوْلٰي بِهَا صِلِيًّا


আমি অবশ্যই তাদের সম্পর্কে খুব ভালো জানি, যারা তাতে প্রবেশের জন্যে অধিকতর যোগ্য। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاِنْ مِّنْكُمْ اِلَّا وَارِدُهَا ۚ كَانَ عَلٰي رَبِّكَ حَتْمًا مَّقْضِيًّا ۚ


তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, তা অতিক্রমকারী হবে না। এটি তোমার প্রতিপালকের কাছে চুড়ান্ত অনিবার্য। 

সূরা : সুরা মারয়াম

ثُمَّ نُنَجِّي الَّذِيْنَ اتَّقَوْا وَّنَذَرُ الظّٰلِمِيْنَ فِيْهَا جِثِيًّا


এরপরে আমিই তাদেরকে উদ্ধার করবো, যারা সততা অবলম্বন করেছে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে নতজানু অবস্থায় তার মধ্যে ছেড়ে দিবো। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاِذَا تُتْلٰي عَلَيْهِمْ اٰيٰتُنَا بَيِّنٰتٍ قَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا ۙ اَيُّ الْفَرِيْقَيْنِ خَيْرٌ مَّقَامًا وَّاَحْسَنُ نَدِيًّا


আর যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পড়ে শোনানো হয়, তখন কাফিররা ঈমানদারদেরকে বলে, দু'দলের কোনটি মর্যাদায় উত্তম ও সমাজ হিসেবে শ্রেষ্ঠতর (জাগজমকপূর্ণ)? 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَكَمْ اَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْنٍ هُمْ اَحْسَنُ اَثَاثًا وَّرِءْيًا


তাদের পূর্বেকার শতাব্দীতে কত অসংখ্য দলকে আমি ধ্বংস করেছি, যারা তাদের চেয়েও সাজ-সরঞ্জামে ও বাহ্যদৃষ্টিতে অনেক সুন্দর ছিলো।

সূরা : সুরা মারয়াম

قُلْ مَنْ كَانَ فِي الضَّلٰلَةِ فَلْيَمْدُدْ لَهُ الرَّحْمٰنُ مَدًّا ۚ حَتّٰۤي اِذَا رَاَوْا مَا يُوْعَدُوْنَ اِمَّا الْعَذَابَ وَاِمَّا السَّاعَةَ ؕ فَسَيَعْلَمُوْنَ مَنْ هُوَ شَرٌّ مَّكَانًا وَّاَضْعَفُ جُنْدًا

তুমি বলে দাও, যে বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে, তাকে দয়াময় অনেক লম্বা অবকাশ দিবেন। শেষ পর্যন্ত সে নিজেই দেখতে পাবে যে প্রতিশ্রুতি তাদের দেওয়া হয়েছিলো, হয় কোনও শাস্তি আর না হয় বিশেষ সময়। তখন অচিরেই তারা জানতে পারবে কে মর্যাদায় বেশী নিকৃষ্ট ও দলবলে দূর্বলতর।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَيَزِيْدُ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اهْتَدَوْا هُدًي ؕ وَالْبٰقِيٰتُ الصّٰلِحٰتُ خَيْرٌ عِنْدَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَّخَيْرٌ مَّرَدًّا


আর যারা সঠিক পথে চলে আল্লাহ তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দেন, আর স্থায়ী সংশোধনের কাজসমূহ তোমার প্রতিপালকের কাছে পুরস্কার প্রাপ্তির দিক দিয়ে উত্তম এবং প্রতিদান হিসেবেও উত্তম।

সূরা : সুরা মারয়াম

اَفَرَءَيْتَ الَّذِيْ كَفَرَ بِاٰيٰتِنَا وَقَالَ لَاُوْتَيَنَّ مَالًا وَّوَلَدًا ؕ


তুমি কি তাকে দেখেছো ? যে আমার আয়াতগুলোর সঙ্গে অমান্য করে। আর বলে,অবশ্যই আমাকে ধন-সম্পদ ও সন্তান দেওয়া হবেই। 
 

সূরা : সুরা মারয়াম

اَطَّلَعَ الْغَيْبَ اَمِ اتَّخَذَ عِنْدَ الرَّحْمٰنِ عَهْدًا ۙ


সে কি উঁকি মেরে অদৃশ্য সম্পর্কে অবহিত হয়েছে, অথবা দয়াময়ের নিকট থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে ? 

সূরা : সুরা মারয়াম

كَلَّا ؕ سَنَكْتُبُ مَا يَقُوْلُ وَنَمُدُّ لَهٗ مِنَ الْعَذَابِ مَدًّا ۙ


কখনও না। অচিরেই আমি লিখে রাখছি, যা কিছু সে বলছে। আর তাকে আমি শাস্তির পথেই লম্বা অবকাশ দিবো।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَّنَرِثُهٗ مَا يَقُوْلُ وَيَاْتِيْنَا فَرْدًا


সে যা কিছু বলছে, আমি তার অধিকারী হবো। আর আমার কাছে তো সে একাকী ফিরে আসবে। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَاتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اٰلِهَةً لِّيَكُوْنُوْا لَهُمْ عِزًّا ۙ


আর তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে আলিহাহ (একাধিক বিধান দাতা) হিসেবে গ্রহণ করেছে, যেনো তারা তাদের জন্যে সহায়ক(শক্তি) হয়। 

সূরা : সুরা মারয়াম

كَلَّا ؕ سَيَكْفُرُوْنَ بِعِبَادَتِهِمْ وَيَكُوْنُوْنَ عَلَيْهِمْ ضِدًّا


কখনও না । তারা অচিরেই তাদের দাসত্ব সম্পর্কে অস্বীকার করবে। আর তারা (তাদের দাবীর) ব্যাপারে উল্টো বিরোধী হয়ে যাবে।

সূরা : সুরা মারয়াম

اَلَمْ تَرَ اَنَّـاۤ اَرْسَلْنَا الشَّيٰطِيْنَ عَلَي الْكٰفِرِيْنَ تَؤُزُّهُمْ اَزًّا ۙ

তোমরা কি লক্ষ্য কর নি যে, আমি শয়তানদেরকে কাফিরদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওরাই তো তাদেরকে বেশী বেশী উদ্বুদ্ধ করে।*

*19(83), নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 26(221-225)...।

সূরা : সুরা মারয়াম

فَلَا تَعْجَلْ عَلَيْهِمْ ؕ اِنَّمَا نَعُدُّ لَهُمْ عَدًّا ۚ


অতএব তাদের ব্যাপারে তুমি তাড়াতাড়ি করো না। মূলতঃ আমি তাদের জন্যে নির্ধারিত কাল যথাযথভাবে গণনা করছি।

সূরা : সুরা মারয়াম

يَوْمَ نَحْشُرُ الْمُتَّقِيْنَ اِلَي الرَّحْمٰنِ وَفْدًا ۙ


যেদিন আমি মহৎব্যক্তিদেরকে সমবেত করব, দয়াময়ের কাছে অতিথি হিসেবে। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَّنَسُوْقُ الْمُجْرِمِيْنَ اِلٰي جَهَنَّمَ وِرْدًا ۘ



আর অপরাধীগুলোকে যেদিন হাঁকিয়ে নিয়ে যাব জাহান্নামের দিকে তৃষ্ণার্ত অবস্থায়।

সূরা : সুরা মারয়াম

لَا يَمْلِكُوْنَ الشَّفَاعَةَ اِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِنْدَ الرَّحْمٰنِ عَهْدًا ۘ


তারা কেউ সুপারিশ করার সক্ষম হবে না। তবে সে ছাড়া যে দয়াময়ের নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহন করে নিয়েছে,। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمٰنُ وَلَدًا ؕ



আর তারা (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানরা) বলছে দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। 

সূরা : সুরা মারয়াম

لَقَدْ جِئْتُمْ شَيْئًا اِدًّا ۙ


নিশ্চয়ই তোমরা কিছু জঘন্য কথায় জড়িয়ে পড়ছো।

সূরা : সুরা মারয়াম

تَكَادُ السَّمٰوٰتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْهُ وَتَنْشَقُّ الْاَرْضُ وَتَخِرُّ الْجِبَالُ هَدًّا ۙ


যে কারণে হয়তো এক্ষুনি আকাশমন্ডলী বিদীর্ণ হয়ে পড়বে এবং পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হয়ে যাবে এবং  পাহাড়সমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পতিত হবে। 

সূরা : সুরা মারয়াম

اَنْ دَعَوْا لِلرَّحْمٰنِ وَلَدًا ۚ


(এ কারণে) যে তারা দয়াময়ের জন্যে পুত্র আছে বলে দাবী করছে।

সূরা : সুরা মারয়াম

وَمَا يَنْۢبَغِيْ لِلرَّحْمٰنِ اَنْ يَّتَّخِذَ وَلَدًا ؕ


অথচ দয়াময়ের জন্যে শোভা পায় না যে, তিনি পুত্র গ্রহণ করবেন। 

সূরা : সুরা মারয়াম

اِنْ كُلُّ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ اِلَّاۤ اٰتِي الرَّحْمٰنِ عَبْدًا ؕ


আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর কোথাও এমন কেউ নেই, যে দয়াময়ের কাছে দাস হিসেবে উপস্থিত হবে না। 

সূরা : সুরা মারয়াম

لَقَدْ اَحْصٰهُمْ وَعَدَّهُمْ عَدًّا ؕ


নিশ্চয়ই তিনি তাদেরকে ঘিরে রেখেছেন এবং যথাযথভাবে তাদেরকে গণনা করে গুনে রেখেছেন। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَكُلُّهُمْ اٰتِيْهِ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ فَرْدًا


আর তাদের প্রত্যেকেই তাঁর কাছে কিয়ামতের দিনে একাকী অবস্থায় আসবে।

সূরা : সুরা মারয়াম

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَيَجْعَلُ لَهُمُ الرَّحْمٰنُ وُدًّا


নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে আর সংশোধনের কাজ করেছে, অচিরেই দয়াময় তাদের জন্যে (মানুষের মনে) ভালোবাসা সৃষ্টি করবেন । 

সূরা : সুরা মারয়াম

فَاِنَّمَا يَسَّرْنٰهُ بِلِسَانِكَ لِتُبَشِّرَ بِهِ الْمُتَّقِيْنَ وَتُنْذِرَ بِهٖ قَوْمًا لُّدًّا

সুতরাং প্রকৃতপক্ষে আমি এই কোরআনকে তোমার নিজ ভাষার মাধ্যমে সহজ করে দিয়েছি, যেন এর দ্বারা তুমি মহৎব্যক্তিদেরকে সুসংবাদ পৌঁছে দিতে পার, আর তুমি তর্কপ্রিয় লোকদেরকে সতর্ক করে দিতে পার। 

সূরা : সুরা মারয়াম

وَكَمْ اَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْنٍ ؕ هَلْ تُحِسُّ مِنْهُمْ مِّنْ اَحَدٍ اَوْ تَسْمَعُ لَهُمْ رِكْزًا


আমি তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠী ধ্বংস করেছি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, তুমি কি তাদের মধ্য হ'তে কোন একজনের চিহ্ন অনুভব করতে পাও, অথবা তাদের থেকে কোন ক্ষীণ শব্দও শুনতে পাও?