সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ اتَّقِ اللّٰهَ وَلَا تُطِعِ الْكٰفِرِيْنَ وَالْمُنٰفِقِيْنَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَلِيْمًا حَكِيْمًا ۙ

হে নবী ! তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং কাফির ও কপট ব্যক্তিদের আনুগত্য করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন মহা-জ্ঞানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা আহযাব

وَّاتَّبِعْ مَا يُوْحٰۤي اِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرًا ۙ

তুমি তাই অনুসরণ কর, যাকিছু তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে (কুরআন থেকে) ওহী করা হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে খুব খবর রাখেন।

সূরা : সুরা আহযাব

وَّتَوَكَّلْ عَلَي اللّٰهِ ؕ وَكَفٰي بِاللّٰهِ وَكِيْلًا

আর তুমি আল্লাহর উপরে নির্ভর কর ! আসলে উকিল হিসেবে আল্লাহই তো যথেষ্ট।

সূরা : সুরা আহযাব

مَا جَعَلَ اللّٰهُ لِرَجُلٍ مِّنْ قَلْبَيْنِ فِيْ جَوْفِهٖ ۚ وَمَا جَعَلَ اَزْوَاجَكُمُ الّٰٓيِٴْ تُظٰهِرُوْنَ مِنْهُنَّ اُمَّهٰتِكُمْ ۚ وَمَا جَعَلَ اَدْعِيَآءَكُمْ اَبْنَآءَكُمْ ؕ ذٰلِكُمْ قَوْلُكُمْ بِاَفْوَاهِكُمْ ؕ وَاللّٰهُ يَقُوْلُ الْحَقَّ وَهُوَ يَهْدِي السَّبِيْلَ

আল্লাহ কোনো মানুষের অভ্যন্তরে দুটো হৃদয় সৃষ্টি করেন নি। আর তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদেরকে (মা ডেকে কিংবা মায়ের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে তুলনা করে) জিহার কর, সেই স্ত্রীদেরকে তোমাদের মুখের কথায় তোমাদের মা বানিয়ে ফেলেননি। আর তোমাদের মুখডাকা পুত্রদেরকে তোমাদের প্রকৃত পুত্র বানিয়ে দেন নি। এইগুলো তো তোমাদের মুখ দিয়ে বলা কথা। আসলে আল্লাহই সত্য কথা বলছেন। আর তিনিই সঠিক পথে পরিচালনা করেন।

*33(4) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 33(37), 58(2,3)...।

সূরা : সুরা আহযাব

اُدْعُوْهُمْ لِاٰبَآئِهِمْ هُوَ اَقْسَطُ عِنْدَ اللّٰهِ ۚ فَاِنْ لَّمْ تَعْلَمُوْۤا اٰبَآءَهُمْ فَاِخْوَانُكُمْ فِي الدِّيْنِ وَمَوَالِيْكُمْ ؕ وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيْمَاۤ اَخْطَاْتُمْ بِهٖ ۙ وَلٰكِنْ مَّا تَعَمَّدَتْ قُلُوْبُكُمْ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا

তোমরা তাদের বাপ-দাদাদের সম্পর্ক নিয়ে তাদেরকে ডাকবে। আল্লাহর কাছে এটাই হচ্ছে অধিক ন্যায়সঙ্গত। অতঃপর যদি তোমরা তাদের বাপ-দাদাদের পরিচয় না জেনে থাকো, তবে তারা তোমাদের জীবন ব্যবস্থার ভিত্তিতে ভাই ও তোমাদের বন্ধু। আর এতে যদি তোমাদের কোনো ভূল-ত্রুটি হয়ে যায়, তবে তাতে তোমাদের কোনো পাপ হবে না। কিন্তু তোমাদের অন্তর যা ইচ্ছাকৃতভাবে করবে, তাতে পাপ হবে। আর আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা আহযাব

اَلنَّبِيُّ اَوْلٰي بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهٗۤ اُمَّهٰتُهُمْ ؕ وَاُولُوا الْاَرْحَامِ بَعْضُهُمْ اَوْلٰي بِبَعْضٍ فِيْ كِتٰبِ اللّٰهِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُهٰجِرِيْنَ اِلَّاۤ اَنْ تَفْعَلُوْۤا اِلٰۤي اَوْلِيٰٓئِكُمْ مَّعْرُوْفًا ؕ كَانَ ذٰلِكَ فِي الْكِتٰبِ مَسْطُوْرًا

মু'মিনদের কাছে নবীর মর্যাদা তাদের নিজেদের জীবনের চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, অধিক ঘনিষ্ঠ। আর তার স্ত্রীগণ তাদের মাতাস্বরূপ। আর আত্মীয়-স্বজন (মু'মিন হলে) আল্লাহর লিখিত কিতাব অনুসারে একে অন্যের সাথে অধিক ঘনিষ্ঠ, (সাধারণ) মু'মিন ও মুহাজিরদের তুলনায়। তবে কি, তোমরা যদি নিজেদের বন্ধুদের সাথে সুপরিচিত নিয়ম অনুসারে কিছু সমাদর করতে চাও, তা করতে পার। এ কথা আল কিতাবের মধ্যে লিখিত আছে ।

সূরা : সুরা আহযাব

وَاِذْ اَخَذْنَا مِنَ النَّبِيّٖنَ مِيْثَاقَهُمْ وَمِنْكَ وَمِنْ نُّوْحٍ وَّاِبْرٰهِيْمَ وَمُوْسٰي وَعِيْسَي ابْنِ مَرْيَمَ ۪ وَاَخَذْنَا مِنْهُمْ مِّيْثَاقًا غَلِيْظًا ۙ

আর আমি যখন নবীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছি। আর তোমার কাছ থেকেও নেয়া হচ্ছে। আর নূহ, ইবরাহীম, মূসা, আর মারইয়ামের পুত্র ঈসার কাছ থেকেও। আসলে তাদের সবার কাছ থেকেই পাকাপোক্ত প্রতিশ্রুতি নিয়েছি।

*33(7) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(67),7(169),2(63,83,84,85),3(187)...।

সূরা : সুরা আহযাব

لِّيَسْـَٔلَ الصّٰدِقِيْنَ عَنْ صِدْقِهِمْ ۚ وَاَعَدَّ لِلْكٰفِرِيْنَ عَذَابًا اَلِيْمًا

যেনো সেই সব সত্য সত্যবাদীদের কাছ থেকে সত্য-পরায়ণতার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারি। আর আয়াত গোপনকারী কাফিরদের জন্যে নিদারুণ শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اذْكُرُوْا نِعْمَةَ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ اِذْ جَآءَتْكُمْ جُنُوْدٌ فَاَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيْحًا وَّجُنُوْدًا لَّمْ تَرَوْهَا ؕ وَكَانَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرًا ۚ

হে যারা ঈমান এনেছো ! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যখন তোমাদের উপরে শত্রু সৈন্যবাহিনী চড়াও হয়ে আসে। তখন আমিই তো প্রবল ঝড় পাঠিয়ে দিই এবং এমন সৈন্যবাহিনী পাঠাই যা তোমরা চোখে দেখতে পাও না। আল্লাহ তো দেখেন, তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো।

সূরা : সুরা আহযাব

اِذْ جَآءُوْكُمْ مِّنْ فَوْقِكُمْ وَمِنْ اَسْفَلَ مِنْكُمْ وَاِذْ زَاغَتِ الْاَبْصَارُ وَبَلَغَتِ الْقُلُوْبُ الْحَنَاجِرَ وَتَظُنُّوْنَ بِاللّٰهِ الظُّنُوْنَا

তারা যখন তোমাদের উপরে চড়াও হয়ে আসে উপর থেকে, তোমাদের নীচের দিক থেকে, আর যখন তোমাদের চোখ বিষ্ফোরিত অবস্থায় থাকে। আর যখন তোমাদের প্রাণ কন্ঠপর্যন্ত পৌঁছে যায়। আর তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে নানাবিদ ধারণা করো।

সূরা : সুরা আহযাব

هُنَالِكَ ابْتُلِيَ الْمُؤْمِنُوْنَ وَزُلْزِلُوْا زِلْزَالًا شَدِيْدًا

তখনই কিন্তু মুমিনদেরকে পরীক্ষা করা হয়। আর তারা ভীষণভাবে প্রকম্পিত হয়।

সূরা : সুরা আহযাব

وَاِذْ يَقُوْلُ الْمُنٰفِقُوْنَ وَالَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ مَّا وَعَدَنَا اللّٰهُ وَرَسُوْلُهٗۤ اِلَّا غُرُوْرًا

আর যখন কপট ব্যক্তিরা আর যাদের মনে রোগ রয়েছে তারা বলতে লাগে আমাদের সাথে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না !

সূরা : সুরা আহযাব

وَاِذْ قَالَتْ طَّآئِفَةٌ مِّنْهُمْ يٰۤاَهْلَ يَثْرِبَ لَا مُقَامَ لَكُمْ فَارْجِعُوْا ۚ وَيَسْتَاْذِنُ فَرِيْقٌ مِّنْهُمُ النَّبِيَّ يَقُوْلُوْنَ اِنَّ بُيُوْتَنَا عَوْرَةٌ ؕۛ وَمَا هِيَ بِعَوْرَةٍ ۚۛ اِنْ يُّرِيْدُوْنَ اِلَّا فِرَارًا

আর যখন তাদের মধ্য হ'তে একদল লোক বলে, হে বেকুফের দল (ইয়া আহলাল ইয়াসরিব)। তোমাদের জন্যে এখানে দাঁড়াবার স্থান নেই। সুতরাং তোমরা ফিরে যাও। আর তাদের মধ্য হ'তে একদল লোক নবীর কাছ থেকে অনুমতি চায়। তারা বলে, নিশ্চয়ই আমাদের বাড়ীঘর অরক্ষিত, আসলে তা অরক্ষিত নয়। বরং এরা শুধু পালিয়ে যেতে চায়।

সূরা : সুরা আহযাব

وَلَوْ دُخِلَتْ عَلَيْهِمْ مِّنْ اَقْطَارِهَا ثُمَّ سُئِلُوا الْفِتْنَةَ لَاٰتَوْهَا وَمَا تَلَبَّثُوْا بِهَاۤ اِلَّا يَسِيْرًا

অথচ তাদের মধ্যে যদি কেউ সেই নগরীর চারদিক হতে এসে প্রবেশ করে, এরপরে যদি তাদেরকে ফিতনা ফ্যাসাদের জন্যে বলা হয়, তাহলে সে কথা মেনে নিবে। আর তখন তারা নিজেদের ঘরে খুব কমই থাকবে।

সূরা : সুরা আহযাব

وَلَقَدْ كَانُوْا عَاهَدُوا اللّٰهَ مِنْ قَبْلُ لَا يُوَلُّوْنَ الْاَدْبَارَ ؕ وَكَانَ عَهْدُ اللّٰهِ مَسْـُٔوْلًا

আর নিশ্চয়ই এরাই তো আগে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছে যে তারা পিঠ ফিরাবে না। আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গিকার সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে।

সূরা : সুরা আহযাব

قُلْ لَّنْ يَّنْفَعَكُمُ الْفِرَارُ اِنْ فَرَرْتُمْ مِّنَ الْمَوْتِ اَوِ الْقَتْلِ وَاِذًا لَّا تُمَتَّعُوْنَ اِلَّا قَلِيْلًا

মাদের ভোগ করতুমি বলে দাও ! পালিয়ে যাওয়া কখনও তোমাদের কোনো উপকার দিবে না। যদিও তোমরা মৃত্যু অথবা (আয়াতের মাধ্যমে লড়াই করা) হ'তে পালাও, তখন অতি সামান্য ছাড়া তোতে দেওয়া হবে না।

সূরা : সুরা আহযাব

قُلْ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَعْصِمُكُمْ مِّنَ اللّٰهِ اِنْ اَرَادَ بِكُمْ سُوْٓءًا اَوْ اَرَادَ بِكُمْ رَحْمَةً ؕ وَلَا يَجِدُوْنَ لَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَلِيًّا وَّلَا نَصِيْرًا

তুমি বলো, এমন কে আছে যে তোমাদেরকে আল্লাহ হ'তে রক্ষা করবে? তিনি যদি তোমাদের সাথে অমঙ্গলের ইচ্ছে করেন অথবা তিনি যদি ইচ্ছে করেন তোমাদের সাথে অনুগ্রহের তবে কে তা বন্ধ করতে পারবে? তারা তাদের জন্যে আল্লাহ ছাড়া কোনো অলি ও সাহায্যকারী পাবে না।

সূরা : সুরা আহযাব

قَدْ يَعْلَمُ اللّٰهُ الْمُعَوِّقِيْنَ مِنْكُمْ وَالْقَآئِلِيْنَ لِاِخْوَانِهِمْ هَلُمَّ اِلَيْنَا ۚ وَلَا يَاْتُوْنَ الْبَاْسَ اِلَّا قَلِيْلًا ۙ

আল্লাহ তাদেরকে খুব জানেন, তোমাদের মধ্যে যারা (কুরআনের পথে) বাঁধা সৃষ্টি করে, আর যারা তাদের ভাইদের উদ্দেশ্যে বলে, তোমরা আমাদের দিকে চলে এসো। আর যারা অর্থসংকটের সময়ে অল্পক্ষণ ছাড়া থাকে না।

সূরা : সুরা আহযাব

اَشِحَّةً عَلَيْكُمْ ۚۖ فَاِذَا جَآءَ الْخَوْفُ رَاَيْتَهُمْ يَنْظُرُوْنَ اِلَيْكَ تَدُوْرُ اَعْيُنُهُمْ كَالَّذِيْ يُغْشٰي عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِ ۚ فَاِذَا ذَهَبَ الْخَوْفُ سَلَقُوْكُمْ بِاَلْسِنَةٍ حِدَادٍ اَشِحَّةً عَلَي الْخَيْرِ ؕ اُولٰٓئِكَ لَمْ يُؤْمِنُوْا فَاَحْبَطَ اللّٰهُ اَعْمَالَهُمْ ؕ وَكَانَ ذٰلِكَ عَلَي اللّٰهِ يَسِيْرًا

তোমাদের (সাহায্য ও বিজয় কামনার) ব্যাপারে তারা বড়ই কৃপণ ! অতঃপর যখন ভয়-বিপদ আসে তখন তাদেরকে তুমি দেখতে পাবে, তারা তোমাকে এমনভাবে দেখবে, যাদের চোখ কেবল ঘুরপাক খাবে। ঠিক যেমন মরণের সময়ে অজ্ঞান অবস্থায় ঘটতে থাকে। কিন্তু যখন ভয়-বিপদ চলে যায়, তখন কিন্তু তারা তোমাকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় দোষারোপ করতে থাকে, ধন-সম্পদ সম্পর্কে লোভাতুর মনে। এরা তো আর ঈমান আনেনি, তাই আল্লাহ তাদের কর্মসমূহ নষ্ট করে দেন। আসলে আল্লাহর পক্ষে এটা খুবই সহজ।

সূরা : সুরা আহযাব

يَحْسَبُوْنَ الْاَحْزَابَ لَمْ يَذْهَبُوْا ۚ وَاِنْ يَّاْتِ الْاَحْزَابُ يَوَدُّوْا لَوْ اَنَّهُمْ بَادُوْنَ فِي الْاَعْرَابِ يَسْاَلُوْنَ عَنْ اَنْۢبَآئِكُمْ ؕ وَلَوْ كَانُوْا فِيْكُمْ مَّا قٰتَلُوْۤا اِلَّا قَلِيْلًا

তারা মনে করে এই আক্রমণকারী দলসমূহ চলে যায় নি। আবার যদি এই বাহিনী এসেই পড়ে, তাহলে এরাই আশা করবে, যাতে এরা আরবের বিশেষ নেতাদের মধ্যে চলে যেতে পারে। আর তোমাদের খোঁজ খবর নিতে থাকবে। তারা যদি তোমাদের মধ্যে থাকে তবুও তারা কতলে খুব কম অংশ নিবে।

সূরা : সুরা আহযাব

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللّٰهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُوا اللّٰهَ وَالْيَوْمَ الْاٰخِرَ وَذَكَرَ اللّٰهَ كَثِيْرًا ؕ

তোমাদের জন্যে অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে, অবশ্য তার জন্যে যে আল্লাহর ও শেষ দিনের আশা রাখে, আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।

সূরা : সুরা আহযাব

وَلَمَّا رَاَ الْمُؤْمِنُوْنَ الْاَحْزَابَ ۙ قَالُوْا هٰذَا مَا وَعَدَنَا اللّٰهُ وَرَسُوْلُهٗ وَصَدَقَ اللّٰهُ وَرَسُوْلُهٗ ۫ وَمَا زَادَهُمْ اِلَّاۤ اِيْمَانًا وَّتَسْلِيْمًا ؕ

আর মু'মিনরা যখন শত্রু দলগুলোকে দেখতে পায়, তখন তারা বলে, এটি তো সেই অঙ্গীকার আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা আমাদের সাথে করেছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তো সত্য কথাই বলেছেন। এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পণই বৃদ্ধি পায়।

সূরা : সুরা আহযাব

مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ رِجَالٌ صَدَقُوْا مَا عَاهَدُوا اللّٰهَ عَلَيْهِ ۚ فَمِنْهُمْ مَّنْ قَضٰي نَحْبَهٗ وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّنْتَظِرُ ۫ۖ وَمَا بَدَّلُوْا تَبْدِيْلًا ۙ

অবশ্য মু'মিনদের মধ্যে কিছু লোক এমনও রয়েছে, আল্লাহর সাথে তারা যে অঙ্গীকার করেছে তা সত্য প্রমাণ করেছে। তাদের মধ্যে কিছু লোক নিজেদের মানতের ফায়সালা পুরা করেছে, আর কিছু লোক আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছে। তারা কোন পরিবর্তন করেনি।

সূরা : সুরা আহযাব

لِّيَجْزِيَ اللّٰهُ الصّٰدِقِيْنَ بِصِدْقِهِمْ وَيُعَذِّبَ الْمُنٰفِقِيْنَ اِنْ شَآءَ اَوْ يَتُوْبَ عَلَيْهِمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا ۚ

(এটা শুধু এজন্যে) যেন আল্লাহ সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদীতার কারণে পুরস্কার দান করতে পারেন, আর কপট ব্যক্তিদেরকে শাস্তি দিতে পারেন, অথবা তাদেরকে তাওবার সুযোগ দান করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা আহযাব

وَرَدَّ اللّٰهُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوْا خَيْرًا ؕ وَكَفَي اللّٰهُ الْمُؤْمِنِيْنَ الْقِتَالَ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ قَوِيًّا عَزِيْزًا ۚ

আল্লাহ কাফিরগুলোকে তাদের ক্রোধের বোঝাসহ ফিরিয়ে দিবেন। তাদের কোনো কল্যাণ হবে না। কিতাল (কুরআনের সত্য বিদ্যা অর্জন করে, নিজের কূ-রিপুকে হত্যা) করার ব্যাপারে মুমিনদের জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ তো বড়ই শক্তিশালী ও মহা সম্মানী।

সূরা : সুরা আহযাব

وَاَنْزَلَ الَّذِيْنَ ظَاهَرُوْهُمْ مِّنْ اَهْلِ الْكِتٰبِ مِنْ صَيَاصِيْهِمْ وَقَذَفَ فِيْ قُلُوْبِهِمُ الرُّعْبَ فَرِيْقًا تَقْتُلُوْنَ وَتَاْسِرُوْنَ فَرِيْقًا ۚ

আহলে কিতাব (মুসলমানদের) মধ্যে যারা তাদের সাহায্য করে, আল্লাহ‌ তাদেরকে তাদের দূরসমূহ্গ হ'তে নামিয়ে দেন। তাদের অন্তরসমূহে তোমাদের প্রতি ভীতি সঞ্চার করে দেন। তাদের একদল তো কতল হয়ে (মারা পড়ে)। আরেক দল বন্দী হয়ে থাকে।

সূরা : সুরা আহযাব

وَاَوْرَثَكُمْ اَرْضَهُمْ وَدِيَارَهُمْ وَاَمْوَالَهُمْ وَاَرْضًا لَّمْ تَطَـُٔوْهَا ؕ وَكَانَ اللّٰهُ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرًا

আর তোমাদেরকে আল্লাহ‌ উত্তরাধিকারী করবেন তাদের জমি-জমা, তাদের বাড়ীঘর, তাদের ধনসম্পদ এমন কি সে সব জমি-জমার উপরে যেখানে তোমরা পৌঁছাওনি। আর আল্লাহই তো সকল বিষয়ের উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِّاَزْوَاجِكَ اِنْ كُنْـتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيٰوةَ الدُّنْيَا وَزِيْنَتَهَا فَتَعَالَيْنَ اُمَتِّعْكُنَّ وَاُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيْلًا

হে নবী ! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে বলে দাও, তোমরা যদি পার্থিব জীবন আর তার সুখ সম্পদই পেতে চাও, তাহলে এসো, কিছুটা ভোগ সামগ্রী দিয়ে খুব সুন্দরভাবেই বিদায় করে দিই।

সূরা : সুরা আহযাব

وَاِنْ كُنْـتُنَّ تُرِدْنَ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ وَالدَّارَ الْاٰخِرَةَ فَاِنَّ اللّٰهَ اَعَدَّ لِلْمُحْسِنٰتِ مِنْكُنَّ اَجْرًا عَظِيْمًا

আর তোমরা যদি, আল্লাহ‌ এবং তাঁর রাসূলকে আর পরকালের বাসঘর পেতে চাও, তাহলে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল রয়েছে তাদের জন্যে আল্লাহ মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰنِسَآءَ النَّبِيِّ مَنْ يَّاْتِ مِنْكُنَّ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ يُّضٰعَفْ لَهَا الْعَذَابُ ضِعْفَيْنِ ؕ وَكَانَ ذٰلِكَ عَلَي اللّٰهِ يَسِيْرًا

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমাদের মধ্য হ'তে যে কেউ প্রকাশ্য অশ্লীলকাজে লিপ্ত হবে, তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেওয়া হবে। আর এটা আল্লাহর জন্যে খুবই সহজ।

সূরা : সুরা আহযাব

وَمَنْ يَّقْنُتْ مِنْكُنَّ لِلّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتَعْمَلْ صَالِحًا نُّؤْتِهَاۤ اَجْرَهَا مَرَّتَيْنِ ۙ وَاَعْتَدْنَا لَهَا رِزْقًا كَرِيْمًا

আর তোমাদের মধ্য হ'তে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত হবে, আর সংশোধনের কাজ করবে, আমি তাকে দ্বিগুণ পুরস্কার দিবো। আর তার জন্যে সম্মানজনক জীবিকা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰنِسَآءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ اِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِيْ فِيْ قَلْبِهٖ مَرَضٌ وَّقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوْفًا ۚ

হে নবীর স্ত্রীগণ ! তোমরা তো সাধারণ নারীদের মতো নও। তোমরা যদি ভয় কর, তাহলে (পর পুরুষের সাথে) কোমল-চাপা স্বরে কথা বলো না, যার মনে ব্যাধি রয়েছে সে যেনো প্রলুব্ধ-লোভাতুর না হয়। তোমরা সুপরিচিত বিধি অনুসারে কথা বলবে।

সূরা : সুরা আহযাব

وَقَرْنَ فِيْ بُيُوْتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْاُوْلٰي وَاَقِمْنَ الصَّلٰوةَ وَاٰتِيْنَ الزَّكٰوةَ وَاَطِعْنَ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ ؕ اِنَّمَا يُرِيْدُ اللّٰهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيْرًا ۚ

আর তোমরা তোমাদের নিজেদের ঘরবাড়িতেই অবস্থান করবে। আর প্রাচীন অজ্ঞযুগের মত সৌন্দর্য দেখিয়ে ফিরো না। আর তোমরা দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করো, সাহায্য প্রদান করো, আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করো। হে বিশেষ ঘরের অধিকারীরা ! আল্লাহ তো কেবল চান, তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে, আর তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।

*33(33) আয়াতের ব্যাখ্যায় 22(25)...

সূরা : সুরা আহযাব

وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلٰي فِيْ بُيُوْتِكُنَّ مِنْ اٰيٰتِ اللّٰهِ وَالْحِكْمَةِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ لَطِيْفًا خَبِيْرًا

আর স্মরণ রাখবে যা তোমাদের ঘরগুলোর মধ্যে আল্লাহর আয়াত এবং বিজ্ঞান থেকে তিলাওয়াত করা হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন সূক্ষ্মদর্শী, খুব অবহিত।

*33(34),নং আয়াতের "الحكمة" শব্দের ব্যাখ্যায় 31(12), 36(2),27(6),2(231),16(125),17(39),43(63),2(269)...।

সূরা : সুরা আহযাব

اِنَّ الْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمٰتِ وَالْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنٰتِ وَالْقٰنِتِيْنَ وَالْقٰنِتٰتِ وَالصّٰدِقِيْنَ وَالصّٰدِقٰتِ وَالصّٰبِرِيْنَ وَالصّٰبِرٰتِ وَالْخٰشِعِيْنَ وَالْخٰشِعٰتِ وَالْمُتَصَدِّقِيْنَ وَالْمُتَصَدِّقٰتِ وَالصَّآئِمِيْنَ وَالصّٰٓئِمٰتِ وَالْحٰفِظِيْنَ فُرُوْجَهُمْ وَالْحٰفِظٰتِ وَالذّٰكِرِيْنَ اللّٰهَ كَثِيْرًا وَّالذّٰكِرٰتِ ۙ اَعَدَّ اللّٰهُ لَهُمْ مَّغْفِرَةً وَّاَجْرًا عَظِيْمًا

নিশ্চয়ই আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম পুরুষ ও নারী, মুমিন পুরুষ ও নারী, বিনীত পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও নারী, যত্নশীল পুরুষ ও নারী, দান-খয়রাতকারী পুরুষ ও নারী, সাওম পালনকারী পুরুষ ও নারী, নিজেদের লজ্জাস্থানগুলোর সংরক্ষককারী পুরুষ ও নারী, আর আল্লাহকে অধিকমাত্রায় স্মরণকারী পুরুষ ও নারী। আল্লাহ এদের সকলের জন্যে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন ।

সূরা : সুরা আহযাব

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّلَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَي اللّٰهُ وَرَسُوْلُهٗۤ اَمْرًا اَنْ يَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْ ؕ وَمَنْ يَّعْصِ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِيْنًا ؕ

কোনো মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীর জন্যে এমন অধিকার নেই, যখন কোনো বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যে সিদ্ধান্ত দিবেন, তাদের সেই বিষয়ে কোনো (পরিবর্তনের) অধিকার থাকবে। আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করবে, তবে নিশ্চয় সে স্পষ্ট বিভ্রান্তীর মধ্যেই পড়ে থাকবে।

*33(36), নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 28(68), 4(65)...।

সূরা : সুরা আহযাব

وَاِذْ تَقُوْلُ لِلَّذِيْۤ اَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَيْهِ وَاَنْعَمْتَ عَلَيْهِ اَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ وَاتَّقِ اللّٰهَ وَتُخْفِيْ فِيْ نَفْسِكَ مَا اللّٰهُ مُبْدِيْهِ وَتَخْشَي النَّاسَ ۚ وَاللّٰهُ اَحَقُّ اَنْ تَخْشٰهُ ؕ فَلَمَّا قَضٰي زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنٰكَهَا لِكَيْ لَا يَكُوْنَ عَلَي الْمُؤْمِنِيْنَ حَرَجٌ فِيْۤ اَزْوَاجِ اَدْعِيَآئِهِمْ اِذَا قَضَوْا مِنْهُنَّ وَطَرًا ؕ وَكَانَ اَمْرُ اللّٰهِ مَفْعُوْلًا

তুমি যখন সেই ব্যক্তির উদ্দেশ্যে বলেছিলে, যার উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন আর তুমিও তার উপর অনুগ্রহ করেছো, তুমি তোমার স্ত্রীকে নিজের কাছেই রেখে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর। তুমি কিন্তু গোপন রেখে যাচ্ছিলে তোমার মনের মধ্যে, আল্লাহ যা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। তুমি মানুষকে ভয় করছিলে, অথচ আল্লাহই অধিকযোগ্য যে, তুমি তাঁকে ভয় করবে। অতঃপর যখন বাড়াবাড়ি করতে যেয়ে সেই স্ত্রীর সাথে সেই লোকটি সম্পর্ক শেষ করে, তখন আমি তাকে তোমার সাথে বিবাহ করিয়ে দিই। আর এতে মুমিনদের জন্যে কোনো দোষ নেই, যদি তারা তাদের মুখডাক পুত্রদের স্ত্রীদেরকে দাম্পত্য সূত্রে আবদ্ধ করে, যখন তারা তাদের স্ত্রীদের থেকে (তালাক্ব দেওয়ার) প্রয়োজন শেষ করে। আর অবশ্যই আল্লাহর আদেশ তো কার্যকর হয়ে থাকে।

সূরা : সুরা আহযাব

مَا كَانَ عَلَي النَّبِيِّ مِنْ حَرَجٍ فِيْمَا فَرَضَ اللّٰهُ لَهٗ ؕ سُنَّةَ اللّٰهِ فِي الَّذِيْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ ؕ وَكَانَ اَمْرُ اللّٰهِ قَدَرًا مَّقْدُوْرَۨا ۫ۙ

নবীর উপরে এতে কোনো রকম দোষারোপ হবে না, আল্লাহ তার জন্যে যা ফরজ করে দিয়েছেন। এটিই আল্লাহর সুন্নাত তথা রীতি-নীতি ছিলো তাদের ক্ষেত্রেও যারা পূর্বে অতিত হয়েছে। আসলে আল্লাহর বিধানই তো কার্যকরী হবে।

সূরা : সুরা আহযাব

الَّذِيْنَ يُبَلِّغُوْنَ رِسٰلٰتِ اللّٰهِ وَيَخْشَوْنَهٗ وَلَا يَخْشَوْنَ اَحَدًا اِلَّا اللّٰهَ ؕ وَكَفٰي بِاللّٰهِ حَسِيْبًا

(এ তো তাদের জন্যেই) যারা আল্লাহর রিসালাত প্রচার করে থাকে, আর তাঁকে ভয় করে চলে, আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। আসলে হিসাব গ্রহণকারীরূপে আল্লাহই যথেষ্ট।

সূরা : সুরা আহযাব

مَا كَانَ مُحَمَّدٌ اَبَاۤ اَحَدٍ مِّنْ رِّجَالِكُمْ وَلٰكِنْ رَّسُوْلَ اللّٰهِ وَخَاتَمَ النَّبِيّٖنَ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمًا

(আল্লাহর রিচালাত প্রচারক) মোহাম্মদ তোমাদের মধ্যেকার কোনো ব্যক্তির বাপ-দাদা নয়। কিন্তু সে আল্লাহর রাসূল ও সকল বিশেষ সংবাদদাতাদের সত্যায়নকারী (শীলমোহর)। আর আল্লাহ তো সব কিছুর সম্পর্কে জানেন।

*33(40),নং আয়াতের "رجل" শব্দের ব্যাখ্যায় 33(4),7(46,48),9(108),16(43),21(7),22(27),...।

এবং সকল নবীদের সত্যতার সম্পর্কে 37(37),39(33)...।


সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اذْكُرُوا اللّٰهَ ذِكْرًا كَثِيْرًا ۙ

হে যারা ঈমান এনেছো ! তোমরা সবাই আল্লাহকে খুব বেশি পরিমাণ স্মরণ করতে থাকো।

সূরা : সুরা আহযাব

وَّسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا

সকালে ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করতে থাকো।

সূরা : সুরা আহযাব

هُوَ الَّذِيْ يُصَلِّيْ عَلَيْكُمْ وَمَلٰٓئِكَتُهٗ لِيُخْرِجَكُمْ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَي النُّوْرِ ؕ وَكَانَ بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَحِيْمًا

তিনিই তোমাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং তাঁর মালা-ইকারাও, তোমাদেরকে অন্ধকার হ'তে আলোকে বের করে আনার জন্যে; আর তিনি হলেন মুমিনদের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল।

সূরা : সুরা আহযাব

تَحِيَّتُهُمْ يَوْمَ يَلْقَوْنَهٗ سَلٰمٌ ۖۚ وَاَعَدَّ لَهُمْ اَجْرًا كَرِيْمًا

যেদিন তারা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে সেদিন তাদের অনন্ত জীবন শুরু হবে সালাম দিয়ে’। আর তিনি তাদের জন্যে প্রস্তুত করে রেখেছেন সম্মানজনক কর্মফল।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ اِنَّاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا ۙ

হে নবী, নিশ্চয়ই আমি তোমাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা, ও সতর্ককারী হিসেবেই পাঠিয়েছি।

সূরা : সুরা আহযাব

وَّدَاعِيًا اِلَي اللّٰهِ بِاِذْنِهٖ وَسِرَاجًا مُّنِيْرًا

আর আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহবানকারী ও আলোকদীপ্ত প্রদীপ হিসেবে।

সূরা : সুরা আহযাব

وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِيْنَ بِاَنَّ لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ فَضْلًا كَبِيْرًا

আর মুমিনদেরকে সুসংবাদ পৌঁছে দাও যে, তাদের জন্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপুল সাহায্য সামগ্রী রয়েছে।

সূরা : সুরা আহযাব

وَلَا تُطِعِ الْكٰفِرِيْنَ وَالْمُنٰفِقِيْنَ وَدَعْ اَذٰىهُمْ وَتَوَكَّلْ عَلَي اللّٰهِ ؕ وَكَفٰي بِاللّٰهِ وَكِيْلًا

আর তুমি কোনো কাফির ও কপট ব্যক্তিদের আনুগত্য করবে না। তাদের পক্ষ থেকে যে কষ্ট পৌঁছায় সে সব তুমি ভুলে যাও। আর আল্লাহর উপরেই নির্ভর করো। উকিল হিসেবে তো আল্লাহই যথেষ্ট।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا نَكَحْتُمُ الْمُؤْمِنٰتِ ثُمَّ طَلَّقْتُمُوْهُنَّ مِنْ قَبْلِ اَنْ تَمَسُّوْهُنَّ فَمَا لَكُمْ عَلَيْهِنَّ مِنْ عِدَّةٍ تَعْتَدُّوْنَهَا ۚ فَمَتِّعُوْهُنَّ وَسَرِّحُوْهُنَّ سَرَاحًا جَمِيْلًا

হে যারা ঈমান এনেছো ! তোমরা যখন কোনো মু'মিন নারীকে বিয়ে করে স্পর্শ করার পূর্বেই তালাকের মাধ্যমে বিদায় দিবে, তখন আর তাদেরকে ইদ্দত পালন করতে হবে না, যা তোমরা গণনা করে থাকবে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে কিছু ভোগ্যসামগ্রী দিয়ে সুন্দরভাবেই বিদায় করে দাও।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ اِنَّاۤ اَحْلَلْنَا لَكَ اَزْوَاجَكَ الّٰتِيْۤ اٰتَيْتَ اُجُوْرَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِيْنُكَ مِمَّاۤ اَفَآءَ اللّٰهُ عَلَيْكَ وَبَنٰتِ عَمِّكَ وَبَنٰتِ عَمّٰتِكَ وَبَنٰتِ خَالِكَ وَبَنٰتِ خٰلٰتِكَ الّٰتِيْ هَاجَرْنَ مَعَكَ ۫ وَامْرَاَةً مُّؤْمِنَةً اِنْ وَّهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ اِنْ اَرَادَ النَّبِيُّ اَنْ يَّسْتَنْكِحَهَا خَالِصَةً لَّكَ مِنْ دُوْنِ الْمُؤْمِنِيْنَ ؕ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَيْهِمْ فِيْۤ اَزْوَاجِهِمْ وَمَا مَلَكَتْ اَيْمَانُهُمْ لِكَيْلَا يَكُوْنَ عَلَيْكَ حَرَجٌ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا

হে নবী ! আমি তোমার জন্যে এই স্ত্রীদেরকে হালাল করে দিয়েছি, যাদেরকে তাদের প্রাপ্য মোহর আদায় করে দিয়েছো, আর যারা তোমার ডান হাতের দখলে রয়েছে, যা কিছু ফায় তথা কষ্ট-ক্লেশ ছাড়া আল্লাহ তোমাকে দিয়েছেন, আর তোমার চাচার মেয়ে, ফুফুর মেয়ে, মামার মেয়ে, খালার মেয়েদেরকেও যারা তোমার সাথে (কুরআনের পথে) হিজরত করেছে, আর মুমিন নারীদের মধ্যে যদি কেউ নবীর জন্যে তার নিজেকে নিবেদন করে আর নবীও যদি তাকে বিয়ে করতে চায়, এটা বিশেষ করে শুধু তোমার জন্যেই, সাধারণভাবে অন্য সব মুমিনদের জন্যে নয়। নিশ্চয় আমি সে সব বিধান সম্পর্কে জানি, আমি তাদের জন্যে যা ফরজ করেছি, তাদের স্ত্রীদের ব্যাপারে যারা অঙ্গীকার সূত্রে তাদের ডান হাতের দখলে রয়েছে, তাদের ব্যাপারেও। যেনো তোমার উপর কোনো অসুবিধা না হয়। আসলে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা আহযাব

تُرْجِيْ مَنْ تَشَآءُ مِنْهُنَّ وَتُــْٔوِيْۤ اِلَيْكَ مَنْ تَشَآءُ ؕ وَمَنِ ابْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكَ ؕ ذٰلِكَ اَدْنٰۤي اَنْ تَقَرَّ اَعْيُنُهُنَّ وَلَا يَحْزَنَّ وَيَرْضَيْنَ بِمَاۤ اٰتَيْتَهُنَّ كُلُّهُنَّ ؕ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مَا فِيْ قُلُوْبِكُمْ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ عَلِيْمًا حَلِيْمًا

তাদের মধ্য হ'তে তুমি যাকে চাও দূরে রাখতে পারো, আর যাকে তুমি চাও তোমার কাছে স্থান দিতে পারো। আর যাদেরকে তুমি দূরে রেখেছো তাদের মধ্য থেকে যদি কাউকে তুমি কামনা করো, এক্ষেত্রে তোমার উপর কোনো দোষ হবে না। আশা করা যায় এভাবে তাদের চোখ ঠান্ডা থাকবে, তারা দুঃখ-কষ্ট পাবে না। আর তুমি যা কিছু দিবে তাতেই তারা সবাই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরসমূহে যা কিছু রয়েছে, আল্লাহ তা ভালোকরেই জানেন। আর আল্লাহ‌ হলেন মহা-জ্ঞানী, পরম সহনশীল।

সূরা : সুরা আহযাব

لَا يَحِلُّ لَكَ النِّسَآءُ مِنْۢ بَعْدُ وَلَاۤ اَنْ تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ اَزْوَاجٍ وَّلَوْ اَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ اِلَّا مَا مَلَكَتْ يَمِيْنُكَ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ رَّقِيْبًا

তোমার জন্যে এছাড়া আর কোনো নারী হালাল নয়। আর তোমার জন্যে এ মোটেই সংগত নয় যে এসব স্ত্রীদের বদলে অন্যদেরকে স্ত্রী হিসেবে রাখবে, যদিও তাদের রূপ-সৌন্দর্য তোমাকে মুগ্ধ করে থাকে, তবে অঙ্গিকার সূত্রে যারা তোমার ডান হাতের দখলে রয়েছে, তাদের কথা আলাদা। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরে সজাগ দৃষ্টিবান।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَدْخُلُوْا بُيُوْتَ النَّبِيِّ اِلَّاۤ اَنْ يُّؤْذَنَ لَكُمْ اِلٰي طَعَامٍ غَيْرَ نٰظِرِيْنَ اِنٰىهُ ۙ وَلٰكِنْ اِذَا دُعِيْتُمْ فَادْخُلُوْا فَاِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوْا وَلَا مُسْتَاْنِسِيْنَ لِحَدِيْثٍ ؕ اِنَّ ذٰلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ فَيَسْتَحْيٖ مِنْكُمْ ۫ وَاللّٰهُ لَا يَسْتَحْيٖ مِنَ الْحَقِّ ؕ وَاِذَا سَاَلْتُمُوْهُنَّ مَتَاعًا فَسْـَٔلُوْهُنَّ مِنْ وَّرَآءِ حِجَابٍ ؕ ذٰلِكُمْ اَطْهَرُ لِقُلُوْبِكُمْ وَقُلُوْبِهِنَّ ؕ وَمَا كَانَ لَكُمْ اَنْ تُؤْذُوْا رَسُوْلَ اللّٰهِ وَلَاۤ اَنْ تَنْكِحُوْۤا اَزْوَاجَهٗ مِنْۢ بَعْدِهٖۤ اَبَدًا ؕ اِنَّ ذٰلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللّٰهِ عَظِيْمًا

হে যারা ঈমান এনেছো ! তোমরা নবীর ঘরসগুলোতে প্রবেশ করবে না। তবে তোমাদেরকে যদি খাওয়ার জন্যে অনুমতি দেওয়া হয়, সেটি ভিন্ন কথা। কিন্তু সেজন্যে তৈরীর অপেক্ষায় সেখানেই বসে থেকো না। কিন্তু যখন তোমাদেরকে ডাকা হবে তখনই প্রবেশ করবে। অতঃপর যখন তোমরা খাওয়া শেষ করবে তখনই তোমরা সেখান থেকে উঠে চলে আসবে, সেখানে বসে কথা-বার্তার মধ্যে মেতে যেয়ো না। নিশ্চয়ই তোমাদের সেই বসে থাকাটা হলো এমন যে তা নবীকে কষ্ট দেয়। সে তোমাদের হ'তে সংকোচ বোধ করে', অথচ আল্লাহ সত্য কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন না। আর যখন তোমরা তাদের কাছে কোনো জিনিস চাইবে তখন পর্দার পিছন হতে চাইবে। এটাই তোমাদের অন্তরসমূহের জন্যে ও তাদের অন্তরসমূহের জন্য পবিত্রতর। তোমাদের জন্যে সঙ্গত নয় যে, তোমরা আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দিবে। আর এও সঙ্গত নয় যে, তার পরে তার স্ত্রীদেরকে তোমরা বিয়ে করবে কোনো দিন। নিশ্চয়ই এটি আল্লাহর কাছে গুরুতর অপরাধ।

সূরা : সুরা আহযাব

اِنْ تُبْدُوْا شَيْئًا اَوْ تُخْفُوْهُ فَاِنَّ اللّٰهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمًا

তোমরা যদি কোনো বিষয় প্রকাশ কর, অথবা তা গোপন কর, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর সম্পর্কে মহা-জ্ঞানী।

সূরা : সুরা আহযাব

لَا جُنَاحَ عَلَيْهِنَّ فِيْۤ اٰبَآئِهِنَّ وَلَاۤ اَبْنَآئِهِنَّ وَلَاۤ اِخْوَانِهِنَّ وَلَاۤ اَبْنَآءِ اِخْوَانِهِنَّ وَلَاۤ اَبْنَآءِ اَخَوٰتِهِنَّ وَلَا نِسَآئِهِنَّ وَلَا مَا مَلَكَتْ اَيْمَانُهُنَّ ۚ وَاتَّقِيْنَ اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدًا

নবীর স্ত্রীদের জন্যে নিজেদের বাপ-দাদা, নিজেদের পুত্র, নিজেদের ভাই, নিজেদের ভাতিজা, নিজেদের ভাগিনাদের আর সেই নারীরা ও অঙ্গীকার সূত্রে অধিকারভুক্ত সেবক-সেবিকাদের ব্যাপারে হিজাব না করাতে (অর্থাৎ দেখা -সাক্ষাৎ করাতে) কোনো অপরাধ হবে না। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর‌। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর উপর সাক্ষী রয়েছেন।

সূরা : সুরা আহযাব

اِنَّ اللّٰهَ وَمَلٰٓئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَي النَّبِيِّ ؕ يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর মালা-ইকারা নবীর প্রতি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরাও তার প্রতি দায়িত্ব পালন কর এবং পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করো।

*33(56),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(12),7(157),48(9), 4(65),33(22)...।


সূরা : সুরা আহযাব

اِنَّ الَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُّهِيْنًا

নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়ে থাকে আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও পরকালে অভিশাপ দিয়ে থাকেন, আর তাদের জন্যে প্রস্তুত করে রেখেছেন অপমানকর শাস্তি।

*33(57),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(61),72(23)...।

সূরা : সুরা আহযাব

وَالَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنٰتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوْا فَقَدِ احْتَمَلُوْا بُهْتَانًا وَّاِثْمًا مُّبِيْنًا

আর যারা মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীদেরকে বিনা দোষে কষ্ট দেয়, তাহ'লে নিশ্চয়ই তারাও অপরাধ ও সুস্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করবে।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِّاَزْوَاجِكَ وَبَنٰتِكَ وَنِسَآءِ الْمُؤْمِنِيْنَ يُدْنِيْنَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيْبِهِنَّ ؕ ذٰلِكَ اَدْنٰۤي اَنْ يُّعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا

হে নবী, তোমার স্ত্রী, কন্যা আর মু'মিনদের স্ত্রীদেরকে বলে দাও, যেন তারা নিজেদের চাদর টেনে নেয় (জালবার/গাউন পরিধান করে), যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায়, তাহলে আর তাদেরকে কষ্ট দেওয়া হবে না। আল্লাহ তো বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা আহযাব

لَئِنْ لَّمْ يَنْتَهِ الْمُنٰفِقُوْنَ وَالَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ وَّالْمُرْجِفُوْنَ فِي الْمَدِيْنَةِ لَنُغْرِيَنَّكَ بِهِمْ ثُمَّ لَا يُجَاوِرُوْنَكَ فِيْهَاۤ اِلَّا قَلِيْلًا ۖۛۚ

এই সব কপটব্যক্তিরা আর যাদের অন্তরসমূহের মধ্যে রোগ রয়েছে, আর মদিনা শহরের মধ্যে যারা গুজব রটিয়ে বেড়ায় তারা যদি বিরত না হয়, তাহলে অবশ্যই আমি তাদের উপরে তোমাকে প্রবল করবো। এরপরে তাদের মধ্যে খুব কম লোকই তোমার কাছে থাকতে পারবে।

সূরা : সুরা আহযাব

مَّلْعُوْنِيْنَ ۚۛ اَيْنَمَا ثُقِفُوْۤا اُخِذُوْا وَقُتِّلُوْا تَقْتِيْلًا

তারাও তো অভিশপ্ত অবস্থায়। তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, তাদেরকে ধরা হবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হবে।

সূরা : সুরা আহযাব

سُنَّةَ اللّٰهِ فِي الَّذِيْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلُ ۚ وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّةِ اللّٰهِ تَبْدِيْلًا

পূর্বে যারা অতীত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিলো আল্লাহর সুন্নাত তথা রীতি-নীতি। আল্লাহর রীতি-নীতিতে তুমি কখনও কোনো পরিবর্তন পাবে না।

সূরা : সুরা আহযাব

يَسْـَٔلُكَ النَّاسُ عَنِ السَّاعَةِ ؕ قُلْ اِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللّٰهِ ؕ وَمَا يُدْرِيْكَ لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُوْنُ قَرِيْبًا

মানুষ তোমার কাছে বিশেষ সময় (কিয়ামত) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। তুমি বলে দাও, তার জ্ঞান তো কেবল আল্লাহর কাছেই রয়েছে, তুমি সে সম্পর্কে কি আর জানো। সম্ভবত বিশেষ সময় খুব নিকটে।

সূরা : সুরা আহযাব

اِنَّ اللّٰهَ لَعَنَ الْكٰفِرِيْنَ وَاَعَدَّ لَهُمْ سَعِيْرًا ۙ

নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদেরকে অভিশপ্ত করে রেখেছেন, আর তাদের জন্যে জ্বলন্ত আগুন প্রস্তুত করে রেখেছেন।

সূরা : সুরা আহযাব

خٰلِدِيْنَ فِيْهَاۤ اَبَدًا ۚ لَا يَجِدُوْنَ وَلِيًّا وَّلَا نَصِيْرًا ۚ

সেখানেই তারা চিরকাল থাকতে বাধ্য হবে। তারা কোনো অলি ও সাহায্যকারী পাবে না।

সূরা : সুরা আহযাব

يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوْهُهُمْ فِي النَّارِ يَقُوْلُوْنَ يٰلَيْتَنَاۤ اَطَعْنَا اللّٰهَ وَاَطَعْنَا الرَّسُوْلَا

যেদিন আগুনের মধ্যে তাদের চেহারা ওলট পালট করা হবে, সেদিন তারা বলবে, হায়! আমরা যদি আল্লাহর অনুগত্য করতাম, আর আমরা যদি রাসূলের আনুগত্য করতাম !

সূরা : সুরা আহযাব

وَقَالُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّاۤ اَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَآءَنَا فَاَضَلُّوْنَا السَّبِيْلَا

তারা একথাও বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা তো আমাদের নেতাদের ও বড়বড় মোল্লা মুফ্তিদের আনুগত্য করেছি। তখন তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে।

সূরা : সুরা আহযাব

رَبَّنَاۤ اٰتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيْرًا

হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি তাদেরকে দ্বিগুন শাস্তি দিন। আর তাদেরকে চরম অভিশাপ দিন।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ اٰذَوْا مُوْسٰي فَبَرَّاَهُ اللّٰهُ مِمَّا قَالُوْا ؕ وَكَانَ عِنْدَ اللّٰهِ وَجِيْهًا ؕ

হে যারা ঈমান এনেছো ! তোমরা তাদের মতো হয়ো না, যারা মূসাকে কষ্ট দিয়েছিলো। অতঃপর আল্লাহ মূসাকে তাদের অভিযোগ থেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন। আর সে তো আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান।

সূরা : সুরা আহযাব

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَقُوْلُوْا قَوْلًا سَدِيْدًا ۙ

হে যারা ঈমান এনেছো ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আর সঠিক কথাই বল।

সূরা : সুরা আহযাব

يُّصْلِحْ لَكُمْ اَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ ؕ وَمَنْ يُّطِعِ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمًا

(তাহলে) আল্লাহ‌ তোমাদের কর্মসমূহকে সংশোধন করে দিবেন এবং তোমাদের পাপগুলোকে ক্ষমা করে দিবেন। আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, তাহ'লে নিশ্চয়ই সে মহা সাফল্যে পৌঁছাবে।

সূরা : সুরা আহযাব

اِنَّا عَرَضْنَا الْاَمَانَةَ عَلَي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَالْجِبَالِ فَاَبَيْنَ اَنْ يَّحْمِلْنَهَا وَاَشْفَقْنَ مِنْهَا وَحَمَلَهَا الْاِنْسَانُ ؕ اِنَّهٗ كَانَ ظَلُوْمًا جَهُوْلًا ۙ

নিশ্চয়ই আমি এ-আমানত (কুরআন) আকাশমসমূহ এবং পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে পেশ করেছি। কিন্তু তারা এই বিরাট দায়িত্ব বহন করতে অস্বীকার করে, তারা তা নিতে ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু মানুষ সেই বোঝা বহন করে। নিশ্চয়ই সে (কোরআনের প্রকৃত জ্ঞান অর্জন না করার কারণে) বড়ই সীমালঙ্ঘনকারী ও অজ্ঞ থাকে।

সূরা : সুরা আহযাব

لِّيُعَذِّبَ اللّٰهُ الْمُنٰفِقِيْنَ وَالْمُنٰفِقٰتِ وَالْمُشْرِكِيْنَ وَالْمُشْرِكٰتِ وَيَتُوْبَ اللّٰهُ عَلَي الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنٰتِ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا

পরিনাম এই যে, কপট পূরুষ ও কপট নারীদেরকে এবং মুশরিক পুরুষ ও মুশরিক নারীদেরকে আল্লাহ শাস্তি দিবেন। আর মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীদেরকে ক্ষমা করবেন। আসলে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।