সূরা : সূরা আন নাজম
وَالنَّجْمِ اِذَا هَوٰي ۙ
তারকাও প্রমাণ, যখন তা অস্তমিত হয় !
*53(1) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 81(15-20)...।
وَالنَّجْمِ اِذَا هَوٰي ۙ
তারকাও প্রমাণ, যখন তা অস্তমিত হয় !
*53(1) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 81(15-20)...।
مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوٰي ۚ
তোমাদের সঙ্গী সে পথভ্রষ্ট হয়নি, আর সে বিপথগামীও হয়নি !
اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْيٌ يُّوْحٰي ۙ
তা তো কোরআন ব্যতীত নয়, যা কিছু ওহী করা হয়।
*53(4) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 6(19),10(37,38)...।
عَلَّمَهٗ شَدِيْدُ الْقُوٰي ۙ
তাকে তো শিক্ষা দিয়েছেন প্রবল শক্তিধর রাহমান।
*53(5)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 55(1-4),75(16-19),96(1-5)...।
ذُوْ مِرَّةٍ ؕ فَاسْتَوٰي ۙ
সে তো মনুষত্বের উচ্চ শিখরে পৌঁছে আছে ও অতি শক্তি রাখে।
فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ اَوْ اَدْنٰي ۚ
ধনুকের দুই জ্যায়ের পরিমাণ ব্যবধানে কিংবা তার চেয়েও কাছে।
فَاَوْحٰۤي اِلٰي عَبْدِهٖ مَاۤ اَوْحٰي ؕ
অতঃপর তিনি তাঁর দাসের কাছে যে ওহী পৌঁছানোর, সে ওহী পৌঁছিয়ে থাকেন।
مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَاٰي
সে যা কিছু দেখে, তার অন্তর সে সবকে মিথ্যা বলে না।
اَفَتُمٰرُوْنَهٗ عَلٰي مَا يَرٰي
তার উপর সে যা কিছু দেখে, তা নিয়ে কি তোমরা এখন তার সাথে তর্ক করবে ?
مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَمَا طَغٰي
তার দৃষ্টি , না তো আর কোনো দিকে নিবিষ্ট হবে, আর না সীমাও ছাড়িয়ে যাবে।
لَقَدْ رَاٰي مِنْ اٰيٰتِ رَبِّهِ الْكُبْرٰي
নিশ্চয়ই সে তার প্রতিপালকের কতো অসংখ্য বড় বড় নিদর্শন দেখেছে।
اَفَرَءَيْتُمُ اللّٰتَ وَالْعُزّٰي ۙ
তোমরা কি আহ যদি,ও মান সম্মানকে নিয়ে চিন্তা করেছো ?
وَمَنٰوةَ الثَّالِثَةَ الْاُخْرٰي
এবং তিন নম্বরে অন্যান্য আশা আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ে ?
اَلَكُمُ الذَّكَرُ وَلَهُ الْاُنْثٰي
তোমাদের জন্যে কি পুত্রসন্তান চাও আর তাঁর জন্যে কন্যাসন্তান নির্ধারণ করো?
اِنْ هِيَ اِلَّاۤ اَسْمَآءٌ سَمَّيْتُمُوْهَاۤ اَنْتُمْ وَاٰبَآؤُكُمْ مَّاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ بِهَا مِنْ سُلْطٰنٍ ؕ اِنْ يَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ وَمَا تَهْوَي الْاَنْفُسُ ۚ وَلَقَدْ جَآءَهُمْ مِّنْ رَّبِّهِمُ الْهُدٰي ؕ
এগুলো তো শুধু কতিপয় নাম, যা তোমরা আর তোমাদের বাপ দাদারা দিয়েছো। এ ব্যাপারে আল্লাহ তো কোনো প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। তারা তো শুধু নিজেদের প্রবৃত্তিসমূহ ও অনুমানকে অনুসরণ করে যাচ্ছে। অথচ মানুষের কাছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সঠিক পথ নির্দেশ এসেছে।
وَكَمْ مِّنْ مَّلَكٍ فِي السَّمٰوٰتِ لَا تُغْنِيْ شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ اَنْ يَّاْذَنَ اللّٰهُ لِمَنْ يَّشَآءُ وَيَرْضٰي
এবং আকাশের মধ্যে কতোই না (মালাক) শক্তি রয়েছে, যাদের সুপারিশ কিছুই কাজে আসবে না। তবে আল্লাহ উপযুক্তদেরকে অনুমতি দিবেন, সে কথা ভিন্ন। আর তা পছন্দ করা হবে।
اِنَّ الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ لَيُسَمُّوْنَ الْمَلٰٓئِكَةَ تَسْمِيَةَ الْاُنْثٰي
নিশ্চয় যারা পরকালের উপর ঈমান আনে না, তারাই মালা-ইকাদেরকে নারীবাচক নামে নামকরণ করে থাকে।
وَمَا لَهُمْ بِهٖ مِنْ عِلْمٍ ؕ اِنْ يَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ ۚ وَاِنَّ الظَّنَّ لَا يُغْنِيْ مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا ۚ
অথচ এ সম্বন্ধে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে যাচ্ছে। আর অনুমান কোনো দিন বাস্তবের মোকাবিলায় কিছুমাত্র কাজে আসে না।
فَاَعْرِضْ عَنْ مَّنْ تَوَلّٰي ۙ عَنْ ذِكْرِنَا وَلَمْ يُرِدْ اِلَّا الْحَيٰوةَ الدُّنْيَا ؕ
অতএব যে কেউ আমার স্মরণ কোরআন হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে, তুমিও তাদেরকে এড়িয়ে চলবে। আর যে ব্যক্তি কেবল পার্থিব জীবন ছাড়া আর কিছু চায় না, তাকেও।
ذٰلِكَ مَبْلَغُهُمْ مِّنَ الْعِلْمِ ؕ اِنَّ رَبَّكَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيْلِهٖ ۙ وَهُوَ اَعْلَمُ بِمَنِ اهْتَدٰي
তাদের জ্ঞান বুদ্ধির চরম সীমা তো এখানেই শেষ। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক সে লোককেও খুব ভালো করেই জানেন, যে তাঁর কোরআনের পথ হতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। আর যে ব্যক্তি সঠিক পথে এগিয়ে আসে তাকেও তিনি খুব ভালো করেই জানেন।
وَلِلّٰهِ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ۙ لِيَجْزِيَ الَّذِيْنَ اَسَآءُوْا بِمَا عَمِلُوْا وَيَجْزِيَ الَّذِيْنَ اَحْسَنُوْا بِالْحُسْنٰي ۚ
আকাশে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সবই তো আল্লাহরই মালিকানায়। যেনো তিনি উপযুক্ত প্রতিফল দিতে পারেন, যারা মন্দকর্মে লিপ্ত রয়েছে। আর যারা সর্বোত্তম কাজ সুন্দরভাবে করেছে তাদেরকে উত্তম প্রতিফল দিতে পারেন।
اَلَّذِيْنَ يَجْتَنِبُوْنَ كَبٰٓئِرَ الْاِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ اِلَّا اللَّمَمَ ؕ اِنَّ رَبَّكَ وَاسِعُ الْمَغْفِرَةِ ؕ هُوَ اَعْلَمُ بِكُمْ اِذْ اَنْشَاَكُمْ مِّنَ الْاَرْضِ وَاِذْ اَنْتُمْ اَجِنَّةٌ فِيْ بُطُوْنِ اُمَّهٰتِكُمْ ۚ فَلَا تُزَكُّوْۤا اَنْفُسَكُمْ ؕ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقٰي
যারা ছোটো খাটো অপরাধ ছাড়া বড় বড় পাপ ও অশ্লীল কাজসমূহ হতে বিরত থাকে। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক সে ক্ষেত্রে ক্ষমায় ব্যাপক বিশাল। তিনি তো তোমাদের ব্যাপারে খুব জানেন, যখন তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর যখন তোমরা তোমাদের মাতৃগর্ভে ভ্রুণ অবস্থায় (জ্বীন) ছিলে। তাই তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে পবিত্র বলে বড়াই করো না। কে সংযমী হয়েছে, তিনি তার সম্বন্ধে খুব জানেন।
وَاَعْطٰي قَلِيْلًا وَّاَكْدٰي
এবং সামান্য কিছুটা (অর্থ) দেয়, আর হাত গুটিয়ে রাখে।
اَعِنْدَهٗ عِلْمُ الْغَيْبِ فَهُوَ يَرٰي
তার কাছে কি কোনো অদৃশ্যের জ্ঞান আছে, সে তাকে (প্রকৃত সত্যকে) দেখেছে ?
اَمْ لَمْ يُنَبَّاْ بِمَا فِيْ صُحُفِ مُوْسٰي ۙ
মূসার পৃষ্ঠাসমূহের মধ্যে যা আছে, তাকে কি সে সম্বন্ধে অবহিত করা হয় নি ?
وَاِبْرٰهِيْمَ الَّذِيْ وَفّٰۤي ۙ
এবং ইবরাহীমের পৃষ্ঠাসমূহ সম্বন্ধেও, যে পূর্ণ করেছে তার দায়িত্ব।
اَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰي ۙ
তা এই যে, কোনো বহনকারী অন্যের পাপের বোঝা বহন করবে না।
وَاَنْ لَّيْسَ لِلْاِنْسَانِ اِلَّا مَا سَعٰي ۙ
এবং এও যে, মানুষের জন্য ততটুকুই রয়েছে, যতটুকু সে চেষ্টা করে, তাছাড়া সে কিছুই পাবে না।
وَاَنَّ سَعْيَهٗ سَوْفَ يُرٰي ۪
আর এও যে, তার প্রচেষ্টার ফল শীঘ্রই তাকে দেখানো হবে।
وَاَنَّ اِلٰي رَبِّكَ الْمُنْتَهٰي ۙ
এবং এও যে, অবশেষে তোমার প্রতিপালকের কাছেই হবে সবকিছুর সমাপ্তি।
وَاَنَّهٗ خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْاُنْثٰي ۙ
এবং এও যে, তিনিই নর ও নারী এই দুই শ্রেণী জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন।
وَاَنَّ عَلَيْهِ النَّشْاَةَ الْاُخْرٰي ۙ
এবং এও যে, পুনরায় সৃষ্টির দায়িত্ব তাঁর উপরই রয়েছে ।
وَاَنَّهٗ هُوَ اَغْنٰي وَاَقْنٰي ۙ
এবং এও যে, তিনিই অভাব দূর করেন ও সম্পদ দান করেন।
وَاَنَّهٗ هُوَ رَبُّ الشِّعْرٰي ۙ
এবং এও যে, তিনিই সঠিক বিবেচনা দান করার প্রতিপালক ।
وَاَنَّهٗۤ اَهْلَكَ عَادَۨ االْاُوْلٰي ۙ
এবং এও যে, তিনিই প্রথম আ'দকে ধ্বংস করেছেন।
وَثَمُوْدَا۠ فَمَاۤ اَبْقٰي ۙ
এবং সামুদকেও (ধ্বংস করে দিয়েছেন), তিনি কাউকে অবশিষ্ট রাখেন নি।
وَقَوْمَ نُوْحٍ مِّنْ قَبْلُ ؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا هُمْ اَظْلَمَ وَاَطْغٰي ؕ
এবং তাদের পূর্বে নূহের জাতিকেও। নিশ্চয় তারা ছিলো বড়ই সীমালঙ্ঘনকারী এবং অতি অবাধ্য।
وَالْمُؤْتَفِكَةَ اَهْوٰي ۙ
এবং উল্টে দেয়া জনবসতিসমূহকেও সূন্যে তুলে নিক্ষেপ করেছিলেন।
فَبِاَيِّ اٰلَآءِ رَبِّكَ تَتَمَارٰي
অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে ?
هٰذَا نَذِيْرٌ مِّنَ النُّذُرِ الْاُوْلٰي
অতীতের আসা সতর্ককারীদের মতোই এই রাসূলও একজন সতর্ককারী।
لَيْسَ لَهَا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ كَاشِفَةٌ ؕ
আল্লাহ ছাড়া আর কেউ সে জিনিস ফিরিয়ে রাখার মতো নেই।
اَفَمِنْ هٰذَا الْحَدِيْثِ تَعْجَبُوْنَ ۙ
তবে কি তোমরা এই (কোরআন আকারের) হাদিসটির ব্যাপারে অবাক হচ্ছো ?
وَتَضْحَكُوْنَ وَلَا تَبْكُوْنَ ۙ
এবং তোমরা এখন হাসি ঠাট্টা করছো। আর তোমরা কাঁদছো না ?
فَاسْجُدُوْا لِلّٰهِ وَاعْبُدُوْا ٛ
অতএব তোমরা আল্লাহর জন্যে পরম আনুগত্য করো এবং তাঁরই দাসত্ব করো।