সূরা : সুরা আনকাবুত
الٓـمّٓ ۚ
আলিফ লাম মীম।
اَحَسِبَ النَّاسُ اَنْ يُّتْرَكُوْۤا اَنْ يَّقُوْلُوْۤا اٰمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُوْنَ
মানুষ কি মনে করে যে তাদেরকে এমনিতেই ছেড়ে দেওয়া হবে, এ কথায় যে তারা বলবে, আমরা ঈমান এনেছি। আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?
وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمَنَّ اللّٰهُ الَّذِيْنَ صَدَقُوْا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكٰذِبِيْنَ
আর নিশ্চয়ই এদের পূর্বে যারা ছিলো, তাদেরকেও আমি পরীক্ষা করেছি। অতএব আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই জেনে নিবেন, কারা (ঈমানের দাবীতে) সত্য বলেছে। আর অবশ্যই জেনে নিবেন মিথ্যাচারীদেরকেও।
اَمْ حَسِبَ الَّذِيْنَ يَعْمَلُوْنَ السَّيِّاٰتِ اَنْ يَّسْبِقُوْنَا ؕ سَآءَ مَا يَحْكُمُوْنَ
যারা মন্দকর্ম করে যাচ্ছে তারা মনে করেছে নাকি যে, তারা আমার নাগালের বাইরে থাকবে? কতো খারাপ, যা তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে !
مَنْ كَانَ يَرْجُوْا لِقَآءَ اللّٰهِ فَاِنَّ اَجَلَ اللّٰهِ لَاٰتٍ ؕ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
যে কেউ আল্লাহর সাক্ষাত কামনা করে, তবে নিশ্চয়ই (সে জেনে রাখুক) অবশ্যই আল্লাহর নির্ধারিত সময় আসবে। আর তিনি সবকিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন।
وَمَنْ جَاهَدَ فَاِنَّمَا يُجَاهِدُ لِنَفْسِهٖ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَغَنِيٌّ عَنِ الْعٰلَمِيْنَ
যে কেউ উৎকৃষ্টতমকর্ম করে, তবে সে শুধুমাত্র তার নিজের জন্যই উৎকৃষ্টতমকর্ম করে। নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্ববাসী হ'তে অমুখাপেক্ষী।
وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَنُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّاٰتِهِمْ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ اَحْسَنَ الَّذِيْ كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ
যারা ঈমান এনে সংশোধনের কাজ করে, অবশ্যই আমি তাদের হ'তে তাদের দোষগুলো মিটিয়ে দিবো। আর তারা যেসব সৎকাজ করেছে, সেজন্যে অবশ্যই আমি তাদেরকে অতি উত্তম প্রতিফল দান করবো।
وَوَصَّيْنَا الْاِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْنًا ؕ وَاِنْ جَاهَدٰكَ لِتُشْرِكَ بِيْ مَا لَيْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ؕ اِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَاُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ
আমি মানুষকে জোর নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করতে। কিন্তু তারা যদি তোমাকে চাপ দেয়, আমার সাথে শরীক করতে (অর্থাৎ কোরআন বহির্ভূত বিধি-বিধান মানতে), যে সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই। তাহলে তাদের কথা তুমি মানবে না। আমার কাছেই তোমাদের সবাইকে ফিরে আসতে হবে। তখন আমি তোমাদেরকে ঐ বিষয়ে জানিয়ে দিবো, তোমরা যা কিছু কাজ-কর্ম করে যাচ্ছো।
وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَنُدْخِلَنَّهُمْ فِي الصّٰلِحِيْنَ
আর যারা ঈমান এনে সংশোধনের কাজ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে সংশোধনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করব।
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّقُوْلُ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ فَاِذَاۤ اُوْذِيَ فِي اللّٰهِ جَعَلَ فِتْنَةَ النَّاسِ كَعَذَابِ اللّٰهِ ؕ وَلَئِنْ جَآءَ نَصْرٌ مِّنْ رَّبِّكَ لَيَقُوْلُنَّ اِنَّا كُنَّا مَعَكُمْ ؕ اَوَلَيْسَ اللّٰهُ بِاَعْلَمَ بِمَا فِيْ صُدُوْرِ الْعٰلَمِيْنَ
মানুষের মধ্যে কেউ কেউ বলে, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি। অতঃপর যখনই তারা আল্লাহর পথে নির্যাতিত হয়, তখন তারা মানুষের দেওয়া পীড়নকে আল্লাহর শাস্তির মতোই গণ্য করে। আর অবশ্যই যদি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হ'তে কোনো সাহায্য আসে, তখন তারা বলতে থাকে, নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের সাথেই আছি ,বিশ্ববাসীর অন্তরসমূহের মধ্যে যা কিছু রয়েছে আল্লাহ কি ঐ বিষয়ে খুব অবহিত নন ?
وَلَيَعْلَمَنَّ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَلَيَعْلَمَنَّ الْمُنٰفِقِيْنَ
আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে (পরীক্ষার মাধ্যমে) জেনে নিবেন, কারা ঈমান এনে বাস্তব ময়দানে রয়েছে। আর অবশ্যই বাস্তবে জেনে নিবেন কপট-মুনাফিক্বদেরকেও।
وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّبِعُوْا سَبِيْلَنَا وَلْنَحْمِلْ خَطٰيٰكُمْ ؕ وَمَا هُمْ بِحٰمِلِيْنَ مِنْ خَطٰيٰهُمْ مِّنْ شَيْءٍ ؕ اِنَّهُمْ لَكٰذِبُوْنَ
কাফিররা মু'মিনদেরকে বলে, তোমরা আমাদের পথকে অনুসরণ করো, আমরা অবশ্যই তোমাদের ত্রুটিগুলির (পাপরাশির) বোঝা বহন করবো। আসলে তারা তাদের ত্রুটিগুলির বোঝা হ'তে কিছুই বহন করবে না। নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
وَلَيَحْمِلُنَّ اَثْقَالَهُمْ وَاَثْقَالًا مَّعَ اَثْقَالِهِمْ ۫ وَلَيُسْـَٔلُنَّ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ عَمَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ
আর অবশ্যই তারা তাদের নিজেদের বোঝাসমূহ বহন করবেই এবং অন্য আরও অনেক বোঝা তাদের বোঝাসমূহের সাথে বহন করবে। অবশ্যই কিয়ামতের দিনে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তারা যেসব মিথ্যা রচনা করে যাচ্ছে।
وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا اِلٰي قَوْمِهٖ فَلَبِثَ فِيْهِمْ اَلْفَ سَنَةٍ اِلَّا خَمْسِيْنَ عَامًا ؕ فَاَخَذَهُمُ الطُّوْفَانُ وَهُمْ ظٰلِمُوْنَ
আর নিশ্চয়ই আমি নূহকে তার জাতির প্রতি পাঠিয়েছি। তারা সেখানে পঞ্চাশ কম এক হাজার বছর ধরে বসবাস করতো। অতঃপর তাদেরকে প্লাবন এসে গ্রাস করে, এ অবস্থায় যে তারা ছিলো সীমালঙ্ঘনকারী।
فَاَنْجَيْنٰهُ وَاَصْحٰبَ السَّفِيْنَةِ وَجَعَلْنٰهَاۤ اٰيَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ
অতঃপর আমি তাকে এবং নৌকার সাথীদেরকে রক্ষা করি। আর সেই ঘটনাকে আমি বিশ্ববাসীদের জন্যে একটি নিদর্শন বানিয়েছি।
وَاِبْرٰهِيْمَ اِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَاتَّقُوْهُ ؕ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ
আর ইবরাহীম যখন তার জাতির উদ্দেশ্যে বলে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব করো, আর তাঁকেই ভয় কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম। যদি তোমরা জানতে।
اِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا وَّتَخْلُقُوْنَ اِفْكًا ؕ اِنَّ الَّذِيْنَ تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَا يَمْلِكُوْنَ لَكُمْ رِزْقًا فَابْتَغُوْا عِنْدَ اللّٰهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوْهُ وَاشْكُرُوْا لَهٗ ؕ اِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ
তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে মূর্তিগুলোর পূজা করছো এবং মিথ্যা কথাবার্তা বানিয়ে যাচ্ছো? অবশ্যই তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের পূজা করে যাচ্ছো, তারা কিন্তু তোমাদের জন্যে জীবিকা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। সুতরাং তোমরা আল্লাহর নিকট জীবিকা চাও, আর তোমরা তাঁরই দাসত্ব করো এবং তাঁরই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। তোমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাবে।
وَاِنْ تُكَذِّبُوْا فَقَدْ كَذَّبَ اُمَمٌ مِّنْ قَبْلِكُمْ ؕ وَمَا عَلَي الرَّسُوْلِ اِلَّا الْبَلٰغُ الْمُبِيْنُ
আর যদি তোমরা মিথ্যারোপ করো, তবে তোমাদের পূর্বেও তো অনেক জাতি মিথ্যারোপ করেছে। কিন্তু রাসূলের উপর দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্টভাবে পয়গাম পৌঁছে দেওয়া ছাড়া কিছুই না।
اَوَلَمْ يَرَوْا كَيْفَ يُبْدِئُ اللّٰهُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُهٗ ؕ اِنَّ ذٰلِكَ عَلَي اللّٰهِ يَسِيْرٌ
মানুষেরা কি দেখে না, আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টির সূচনা করে থাকেন, এরপর তিনিই সেই সৃষ্টির পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহর জন্যে খুবই সহজ।
قُلْ سِيْرُوْا فِي الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا كَيْفَ بَدَاَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللّٰهُ يُنْشِيٴُ النَّشْاَةَ الْاٰخِرَةَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ۚ
তুমি বলে দাও, তোমরা দেশ ভ্রমণ করো। অতঃপর লক্ষ্য করো, তিনি কিভাবে সৃষ্টির সূচনা করেছেন। এরপর আল্লাহই তো শেষ বারের মতো পুনরুত্থিত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।
يُعَذِّبُ مَنْ يَّشَآءُ وَيَرْحَمُ مَنْ يَّشَآءُ ۚ وَاِلَيْهِ تُقْلَبُوْنَ
যে শাস্তির উপযুক্ত তাকে শাস্তি দিবেন, আর যে অনুগ্রহ পাওয়ার উপযুক্ত তাকে অনুগ্রহ করবেন। আর তোমরা সবাই তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।
وَمَاۤ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِيْنَ فِي الْاَرْضِ وَلَا فِي السَّمَآءِ ۫ وَمَا لَكُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلَا نَصِيْرٍ
তোমরা তো আর এই পৃথিবীতে কিংবা আকাশের কোথাও আল্লাহকে অক্ষম করতে পারবে না। আল্লাহ ছাড়া তোমাদের জন্যে কোন অলি ও সাহায্যকারী নেই।
وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِاٰيٰتِ اللّٰهِ وَلِقَآئِهٖۤ اُولٰٓئِكَ يَئِسُوْا مِنْ رَّحْمَتِيْ وَاُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ
আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ ও তাঁর সাথে সাক্ষাতকার সম্পর্কে অস্বীকার করেছে, আর তারাই তো আমার অনুগ্রহ হ'তে নিরাশ হয়েছে। আর তাদের জন্যই রয়েছে নিদারুণ শাস্তি।
فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهٖۤ اِلَّاۤ اَنْ قَالُوا اقْتُلُوْهُ اَوْ حَرِّقُوْهُ فَاَنْجٰىهُ اللّٰهُ مِنَ النَّارِ ؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ
অতঃপর তার জাতির কাছে আর কোনো জবাব থাকে না, একথা বলা ছাড়া, “তাকে তোমরা হত্যা করো, অথবা তাকে আগুনে পোড়াও। অতঃপর আল্লাহ তাকে আগুন হ'তে রক্ষা করেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই সম্প্রদায়ের জন্যে যারা ঈমান আনে।
وَقَالَ اِنَّمَا اتَّخَذْتُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا ۙ مَّوَدَّةَ بَيْنِكُمْ فِي الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ۚ ثُمَّ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ يَكْفُرُ بَعْضُكُمْ بِبَعْضٍ وَّيَلْعَنُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا ۫ وَّمَاْوٰىكُمُ النَّارُ وَمَا لَكُمْ مِّنْ نّٰصِرِيْنَ ۙ
আর ইবরাহীম বলে, এই পার্থিব জীবনে তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমাদের নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব রক্ষার উপায় হিসাবে, যেসব ( মূর্তি, দেবালয়,) তীর্থস্থান নির্বাচন করেছো ! এরপর কিয়ামতের দিন কিন্তু তোমরা একে অন্যকে অস্বীকার করবে, নিজেদের মধ্যে তোমরা একে অন্যকে অভিশাপ দিতে থাকবে। আর তোমাদের বাসস্থান ! তা তো আগুন। আর তোমাদের জন্যে কোনো সাহায্যকারী থাকবে না।*
*29(25),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 43(67,68),2(177),8(34),13(35),25(15),39(33)...।
فَاٰمَنَ لَهٗ لُوْطٌ ۘ وَقَالَ اِنِّيْ مُهَاجِرٌ اِلٰي رَبِّيْ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
তখন ইবরাহীমের প্রতি লূত ঈমান আনে। আর ইবরাহীম বলে, নিশ্চয়ই আমি আমার প্রতিপালকের দিকে হিজরত করছি। নিশ্চয় তিনি মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।
وَوَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ وَيَعْقُوْبَ وَجَعَلْنَا فِيْ ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتٰبَ وَاٰتَيْنٰهُ اَجْرَهٗ فِي الدُّنْيَا ۚ وَاِنَّهٗ فِي الْاٰخِرَةِ لَمِنَ الصّٰلِحِيْنَ
আর আমি ইবরাহীমকে দান করেছি ইসহাক ও ইয়াকুবকে । আর তার বংশধরদেরকে নবুওয়াত ও আল কিতাব দান করেছি। তাকে এই দুনিয়াতেও প্রতিফল দান করেছি। আর নিশ্চয় সে পরকালে সংশোধন কারীদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
وَلُوْطًا اِذْ قَالَ لِقَوْمِهٖۤ اِنَّكُمْ لَتَاْتُوْنَ الْفَاحِشَةَ ۫ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ اَحَدٍ مِّنَ الْعٰلَمِيْنَ
আর লূত যখন তার জাতির উদ্দেশ্যে বলে, নিশ্চয়ই তোমরা বড়ই অশ্লীল কাজ করছো। যা বিশ্ববাসীদের মধ্যে তোমাদের পূর্বে কোন একজন তা করেনি।
اَئِنَّكُمْ لَتَاْتُوْنَ الرِّجَالَ وَتَقْطَعُوْنَ السَّبِيْلَ ۙ وَتَاْتُوْنَ فِيْ نَادِيْكُمُ الْمُنْكَرَ ؕ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهٖۤ اِلَّاۤ اَنْ قَالُوا ائْتِنَا بِعَذَابِ اللّٰهِ اِنْ كُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِيْنَ
তোমরা কি পুরুষের পিছনেই ধাওয়া করতে থাকবে ? আর তোমরা কেবল ডাকাতিই করে যাবে? আর তোমরা নিজেরা ঘৃন্য কর্মের জন্য মজলিস সাজিয়ে থাকো। অতঃপর তার জাতির এছাড়া কোনো জবাব ছিলো না যে, তারা বলে আমাদের কাছে আল্লাহর শাস্তি নিয়ে আসো ! যদি তুমি সত্যবাদী হয়েই থাকো।
قَالَ رَبِّ انْصُرْنِيْ عَلَي الْقَوْمِ الْمُفْسِدِيْنَ
লূত বলে, হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে আপনি সাহায্য করুন, এই বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে।
وَلَمَّا جَآءَتْ رُسُلُنَاۤ اِبْرٰهِيْمَ بِالْبُشْرٰي ۙ قَالُوْۤا اِنَّا مُهْلِكُوْۤا اَهْلِ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ ۚ اِنَّ اَهْلَهَا كَانُوْا ظٰلِمِيْنَ ۚۖ
তারপরে আমার রাসূলগণ (মালা-ইকাগণ) যখন সুসংবাদ নিয়ে ইবরাহীমের কাছে আসে, তারা তখন বলে, নিশ্চয়ই আমরা এই জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করে দিবো। নিশ্চয়ই এর অধিবাসীরা বড়ই সীমালঙ্ঘনকারী।
قَالَ اِنَّ فِيْهَا لُوْطًا ؕ قَالُوْا نَحْنُ اَعْلَمُ بِمَنْ فِيْهَا ٝ۫ لَنُنَجِّيَنَّهٗ وَاَهْلَهٗۤ اِلَّا امْرَاَتَهٗ ۫ كَانَتْ مِنَ الْغٰبِرِيْنَ
ইবরাহীম বলে, নিশ্চয়ই সেখানে লূত রয়েছে। তারা বলে, আমরা খুব ভালো জানি সেখানে কে আছে। আমরা তাকে আর তার পরিবারের লোকজনকে অবশ্যই রক্ষা করবো। তবে তার স্ত্রীকে বাদ দিয়ে। সে তো পিছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
وَلَمَّاۤ اَنْ جَآءَتْ رُسُلُنَا لُوْطًا سِيْٓءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَّقَالُوْا لَا تَخَفْ وَلَا تَحْزَنْ ۟ اِنَّا مُنَجُّوْكَ وَاَهْلَكَ اِلَّا امْرَاَتَكَ كَانَتْ مِنَ الْغٰبِرِيْنَ
আর যখন আমার রাসূলগণ (মালা-ইকাগণ) লূতের কাছে আসে, তাদেরকে দেখে অসন্তুষ্ট হয়, মনে মনে অপ্রস্তুত হয়। আর তারা বলে, তুমি ভয় করবে না এবং দুঃচিন্তাও করবে না। আমরা তোমাকে আর তোমার পরিবারের লোকজনকে অবশ্যই রক্ষা করবো। তবে তোমার স্ত্রীকে বাদ দিয়ে। সে তো পিছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভূক্ত।
اِنَّا مُنْزِلُوْنَ عَلٰۤي اَهْلِ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ رِجْزًا مِّنَ السَّمَآءِ بِمَا كَانُوْا يَفْسُقُوْنَ
নিশ্চয়ই আমরা এই জনপদবাসীদের উপর আকাশ হ'তে আবর্জনার শাস্তি অবতরণকারী, একারণে যে তারা বড়ই অমান্যকারী-পাপাচারী হয়ে পড়েছে।
وَلَقَدْ تَّرَكْنَا مِنْهَاۤ اٰيَةًۢ بَيِّنَةً لِّقَوْمٍ يَّعْقِلُوْنَ
আর আমি অবশ্যই তা হ'তে একটি পরিস্কার নিদর্শন রেখে দিয়েছি, এমন সম্প্রদায়ের জন্যে যারা বিবেক কাজে লাগায়।
وَاِلٰي مَدْيَنَ اَخَاهُمْ شُعَيْبًا ۙ فَقَالَ يٰقَوْمِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَارْجُوا الْيَوْمَ الْاٰخِرَ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْاَرْضِ مُفْسِدِيْنَ
আর মাদয়ানবাসীদের প্রতি তাদের ভাই শুয়াইবকে পাঠিয়েছি। অতঃপর সে বলে, হে আমার জাতি ! তোমরা আল্লাহর দাসত্ব করো, আর শেষ দিনের ভালো আশা রাখো। আর পৃথিবীর মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী হয়ে বাড়াবাড়ি করো না।
فَكَذَّبُوْهُ فَاَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ فَاَصْبَحُوْا فِيْ دَارِهِمْ جٰثِمِيْنَ ۫
অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে। তখন তাদেরকে ভূমিকম্প এসে গ্রাস করে। আর তারা সকাল বেলা নিজেদের বাড়ী ঘরের মধ্যেই উপুড় হয়ে পড়ে থাকে।
وَعَادًا وَّثَمُوْدَا۠ وَقَدْ تَّبَيَّنَ لَكُمْ مِّنْ مَّسٰكِنِهِمْ ۟ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطٰنُ اَعْمَالَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ السَّبِيْلِ وَكَانُوْا مُسْتَبْصِرِيْنَ ۙ
আর আ'দ ও ছামূদকেও ধ্বংস করে দিয়েছি। আর নিশ্চয় তাদের ঘরবাড়িসমূহ হ'তে তোমাদের জন্যে তাদের ধ্বংস সুস্পষ্ট হয়েছে। শয়তান লোকেরা তাদের নিকট তাদের কাজগুলোকেও সাজিয়ে দেখায়, অতঃপর তাদেরকে (কুরআনের) সঠিক পথ হ'তে বাধা দেয়। অথচ তারা কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন বিচক্ষণ ছিলো।
وَقَارُوْنَ وَفِرْعَوْنَ وَهَامٰنَ ۟ وَلَقَدْ جَآءَهُمْ مُّوْسٰي بِالْبَيِّنٰتِ فَاسْتَكْبَرُوْا فِي الْاَرْضِ وَمَا كَانُوْا سٰبِقِيْنَ ۚۖ
আর পূঁজীবাদী কারূন, এবং ফিরআউন ও মন্ত্রীপরিষদ হামান, নিশ্চয়ই তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে মূসা আসে। কিন্তু তারা দেশের মধ্যে ক্ষমতার গর্বে মেতে উঠে। অথচ তারা তো আর অগ্রে (পালিয়ে) যাবার মতো ক্ষমতাও রাখে না।
فَكُلًّا اَخَذْنَا بِذَنْۢبِهٖ ۚ فَمِنْهُمْ مَّنْ اَرْسَلْنَا عَلَيْهِ حَاصِبًا ۚ وَمِنْهُمْ مَّنْ اَخَذَتْهُ الصَّيْحَةُ ۚ وَمِنْهُمْ مَّنْ خَسَفْنَا بِهِ الْاَرْضَ ۚ وَمِنْهُمْ مَّنْ اَغْرَقْنَا ۚ وَمَا كَانَ اللّٰهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلٰكِنْ كَانُوْۤا اَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُوْنَ
শেষ পর্যন্ত আমি তাদের প্রত্যেককে তাদের পাপের কারণে পাকড়াও করি। তাদের মধ্যে কেউ এমন, যার উপরে পাথর বর্ষণকারী ঝাঞ্ঝা পাঠাই। তাদের মধ্যে কেউ এমন, যাকে ভীষণ গর্জন এসে পাকড়াও করে। তাদের মধ্যে কেউ এমন যাকে আমি মাটিতে ধ্বসিয়ে দিই। তাদের মধ্যে কেউ এমন যাকে আমি (পানিতে) ডুবিয়ে দিই। আল্লাহ তো এমন নন যে, তিনি তাদের প্রতি অন্যায় করবেন ! কিন্তু তারা নিজেরাই তো নিজেদের উপর অন্যায় করে থাকে।
مَثَلُ الَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْلِيَآءَ كَمَثَلِ الْعَنْكَبُوْتِ ۖۚ اِتَّخَذَتْ بَيْتًا ؕ وَاِنَّ اَوْهَنَ الْبُيُوْتِ لَبَيْتُ الْعَنْكَبُوْتِ ۘ لَوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ
যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে তাদের আউলিয়া হিসেবে মেনে নেয়, তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে মাকড়শার ন্যায়। যে তার নিজের জন্যে ঘর বানায়। অথচ সব চাইতে দুর্বলতম ঘর হচ্ছে মাকড়শার ঘর, তারা যদি জানতেই পারতো !
اِنَّ اللّٰهَ يَعْلَمُ مَا يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖ مِنْ شَيْءٍ ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيم
নিশ্চয়ই আল্লাহ জানেন, তাঁকে বাদ দিয়ে তারা যাদেরকে ডাকছে। অথচ তিনি হলেন মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।
وَتِلْكَ الْاَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ ۚ وَمَا يَعْقِلُهَاۤ اِلَّا الْعٰلِمُوْنَ
এসব দৃষ্টান্তসমূহ আমি মানুষের জন্যই পেশ করেছি। কিন্তু তা জ্ঞানীরা ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না।
خَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ بِالْحَقِّ ؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لِّلْمُؤْمِنِيْنَ
আল্লাহ এই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যথাযথ ভাবেই সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে মুমিনদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
اُتْلُ مَاۤ اُوْحِيَ اِلَيْكَ مِنَ الْكِتٰبِ وَاَقِمِ الصَّلٰوةَ ؕ اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰي عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ ؕ وَلَذِكْرُ اللّٰهِ اَكْبَرُ ؕ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُوْنَ
তুমি তেলাওয়াত করবে আল কিতাব থেকে, তোমার কাছে যা ওহী করা হবে। আর যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। নিশ্চয় দায়িত্ব পালনে অশ্লীলতা ও খারাপ কাজ হ'তে ফিরিয়ে রাখবে। আর অবশ্যই আল্লাহর সংবিধানই সর্বশ্রেষ্ঠ। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা যা কিছু রচনা করছো।
*29(45),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 10(61)...।
وَلَا تُجَادِلُوْۤا اَهْلَ الْكِتٰبِ اِلَّا بِالَّتِيْ هِيَ اَحْسَنُ ۖ اِلَّا الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مِنْهُمْ وَقُوْلُوْۤا اٰمَنَّا بِالَّذِيْۤ اُنْزِلَ اِلَيْنَا وَاُنْزِلَ اِلَيْكُمْ وَاِلٰـهُنَا وَاِلٰـهُكُمْ وَاحِدٌ وَّنَحْنُ لَهٗ مُسْلِمُوْن
আর তোমরা আল কিতাবের ধারক (মুসলমানদের) সাথে অতি উত্তম পন্থা ছাড়া বিতর্ক করো না। তবে তাদের মধ্যে ওরা ছাড়া, যারা সীমালঙ্ঘন করেছে। আর তোমরা বলো, ‘আমরা ঈমান এনেছি ঐ বিষয়ে যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং আমাদের আইনদাতা ও তোমাদের আইনদাতা তো একই। আর আমরা তাঁরই নিকট আত্মসমর্পণকারী’(মুসলিম)।
وَكَذٰلِكَ اَنْزَلْنَاۤ اِلَيْكَ الْكِتٰبَ ؕ فَالَّذِيْنَ اٰتَيْنٰهُمُ الْكِتٰبَ يُؤْمِنُوْنَ بِهٖ ۚ وَمِنْ هٰۤؤُلَآءِ مَنْ يُّؤْمِنُ بِهٖ ؕ وَمَا يَجْحَدُ بِاٰيٰتِنَاۤ اِلَّا الْكٰفِرُوْنَ
এভাবেই আমি তোমার প্রতি আল কিতাব অবতীর্ণ করেছি, তাই যাদেরকে আমি আল কিতাব দান করেছি তারাই এর উপর ঈমান এনে থাকে। আর এদেরও (আরবদেরও) মধ্য হ'তে কেউ কেউ এর উপর ঈমান এনে থাকে। আমার আয়াতসমূহ নিয়ে কাফিররা ছাড়া অন্য কেউ ঝগড়া করে না।
وَمَا كُنْتَ تَتْلُوْا مِنْ قَبْلِهٖ مِنْ كِتٰبٍ وَّلَا تَخُطُّهٗ بِيَمِيْنِكَ اِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُوْنَ
আর এর পূর্বে তুমি ডান হাত দিয়ে না কিছু লিখেছো, আর না তুমি কোনো আইনের কিতাব থেকে পড়েছো, (যদি এমন হতো) তা'হলে অবশ্যই এই অসত্যপন্হীরা সন্দেহ করতো।
بَلْ هُوَ اٰيٰتٌۢ بَيِّنٰتٌ فِيْ صُدُوْرِ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ ؕ وَمَا يَجْحَدُ بِاٰيٰتِنَاۤ اِلَّا الظّٰلِمُوْنَ
বরং এই (কুরআন) তাদের জন্যই সুস্পষ্ট নিদর্শন, যাদেরকে অন্তরসমূহের মধ্যে জ্ঞান দেয়া হয়েছে। আসলে সীমালঙ্ঘকারীরা ছাড়া আমার আয়াতসমূহ নিয়ে অন্য কেউ ঝগড়া করে না।
وَقَالُوْا لَوْلَاۤ اُنْزِلَ عَلَيْهِ اٰيٰتٌ مِّنْ رَّبِّهٖ ؕ قُلْ اِنَّمَا الْاٰيٰتُ عِنْدَ اللّٰهِ ؕ وَاِنَّمَاۤ اَنَا نَذِيْرٌ مُّبِيْنٌ
তারা বলছে, কেনো তার উপর (নতুন করে) কোনো আয়াত অবতীর্ন হয় না, তারই প্রতিপালকের পক্ষ হ'তে? তুমি বলে দাও, আয়াতসমূহ তো কেবল আল্লাহর নিকটে রয়েছে। আমি তো মাত্র একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
*29(50),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 7(203),10(15,20),23(68),17(77),33(38),
16(25),8(31),16(24),23(83),25(5),27(68),46(17),68(15),83(13)...।
اَوَلَمْ يَكْفِهِمْ اَنَّاۤ اَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتٰبَ يُتْلٰي عَلَيْهِمْ ؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَرَحْمَةً وَّذِكْرٰي لِقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ
এটা কি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয়? যে, আমি তোমার উপর আল কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যা তাদের কাছে তিলাওয়াত করে শোনানো হয়। নিশ্চয় এর মধ্যে রয়েছে অনুগ্রহ ও উপদেশ, সেই সম্প্রদায়ের জন্যে যারা ঈমান আনে।
قُلْ كَفٰي بِاللّٰهِ بَيْنِيْ وَبَيْنَكُمْ شَهِيْدًا ۚ يَعْلَمُ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِالْبَاطِلِ وَكَفَرُوْا بِاللّٰهِ ۙ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ
তুমি বলে দাও, আল্লাহই তো যথেষ্ট, আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে। তিনিই তো জানেন আকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে। আসলে যারা অসত্যের প্রতি বিশ্বাস করেছে, আর আল্লাহর প্রতি অস্বীকার করছে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্থ দল।
وَيَسْتَعْجِلُوْنَكَ بِالْعَذَابِ ؕ وَلَوْلَاۤ اَجَلٌ مُّسَمًّي لَّجَآءَهُمُ الْعَذَابُ ؕ وَلَيَاْتِيَنَّهُمْ بَغْتَةً وَّهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ
আর মানুষেরা তোমার নিকট দাবী করে শাস্তির বিষয়টি এগিয়ে আনতে। অথচ যদি কোনো নির্ধারিত সময় না-ই থাকতো ! তাহলে তাদের উপর শাস্তি এসেই পড়তো, তবে তা তাদের উপরে হঠাৎকরেই আসবে, এঅবস্হায় যে তারা টেরও পাবে না।
يَسْتَعْجِلُوْنَكَ بِالْعَذَابِ ؕ وَاِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيْطَةٌۢ بِالْكٰفِرِيْنَ ۙ
তারা তোমার কাছে দাবী করে শাস্তির বিষয়টি এগিয়ে আনতে, অথচ নিশ্চয়ই জাহান্নাম কাফিরদেরকেই ঘিরে ধরবে।
يَوْمَ يَغْشٰهُمُ الْعَذَابُ مِنْ فَوْقِهِمْ وَمِنْ تَحْتِ اَرْجُلِهِمْ وَيَقُوْلُ ذُوْقُوْا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ
শাস্তি সেদিন তাদেরকে ঢেকে ফেলবে, তাদের উপর থেকে, তাদের পায়ের নীচ থেকে, আর তখন শাস্তি প্রদানকারী বলবেন, এখন তোমরা স্বাদ চেখে নাও, যা কিছু কাজ তোমরা করতে।
يٰعِبَادِيَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّ اَرْضِيْ وَاسِعَةٌ فَاِيَّايَ فَاعْبُدُوْنِ
হে আমার দাসগণ যারা ঈমান এনেছ, নিশ্চয় আমার পৃথিবী খুবই প্রশস্ত, সুতরাং তোমরা শুধু আমারই দাসত্ব করো।
كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ ۟ ثُمَّ اِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ
প্রত্যেকটি প্রাণই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণকারী। এরপর তোমরা আমার দিকেই ফিরে আসবে।
وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَنُبَوِّئَنَّهُمْ مِّنَ الْجَنَّةِ غُرَفًا تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا ؕ نِعْمَ اَجْرُ الْعٰمِلِيْنَ ۖ
যারা ঈমান এনে সংশোধনের কাজ করেছে, তাদেরকে অবশ্যই আমি জান্নাতের সুউচ্চ প্রাসাদসমূহে জায়গা করে দিবো। যার নিচ থেকে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। তারা তার মধ্যে চিরস্থায়ী হবে। সৎকর্মশীলদের জন্যে উত্তম প্রতিদান হিসাবে।
الَّذِيْنَ صَبَرُوْا وَعَلٰي رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ
যারা ধৈর্য ধারণ করে, আর তাদের প্রতিপালকের উপরেই নির্ভর করে চলে।
وَكَاَيِّنْ مِّنْ دَآبَّةٍ لَّا تَحْمِلُ رِزْقَهَا ۖ اَللّٰهُ يَرْزُقُهَا وَاِيَّاكُمْ ۫ۖ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
আর কতো অসংখ্য জীব রয়েছে, যারা তাদের নিজেদের জীবিকা বয়ে বেড়ায় না। আল্লাহ তো তাদেরকে জীবিকা দান করেন। আর তোমাদেরকেও। আসলে তিনি সবকিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন।
وَلَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لَيَقُوْلُنَّ اللّٰهُ ۚ فَاَنّٰي يُؤْفَكُوْنَ
তুমি যদি তাদের (কাফিরদেরকে) জিজ্ঞাসা করো, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন? সূর্য ও চাঁদকে কেই বা নিয়ন্ত্রণ করছেন ? তাহলে অবশ্যই তারা বলবে, 'আল্লাহ,। তাহলে কোথা হ'তে তাদেরকে ফিরানো হচ্ছে?
اَللّٰهُ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَيَقْدِرُ لَهٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ
আল্লাহই তো জীবনের উপকরণ প্রশস্ত করে দেন তাঁর দাসদের মধ্যে উপযুক্তদের জন্যে, আর তা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুরই সম্পর্কে খুব অবহিত রয়েছেন।
وَلَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ نَّزَّلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَحْيَا بِهِ الْاَرْضَ مِنْۢ بَعْدِ مَوْتِهَا لَيَقُوْلُنَّ اللّٰهُ ؕ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ ؕ بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُوْنَ
আর তুমি যদি তাদের জিজ্ঞাসা করো, আকাশ হ'তে কে পানি বর্ষণ করেন ? আর তা দিয়ে মৃত জমিনকে কে জীবিত করে তোলেন ? তবে তারা অবশ্যই বলবে, 'আল্লাহ,। তুমি বলো, সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই। কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক কিছুই অনুধাবন করে না।
وَمَا هٰذِهِ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَاۤ اِلَّا لَهْوٌ وَّلَعِبٌ ؕ وَاِنَّ الدَّارَ الْاٰخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ ۘ لَوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ
(কুরআন অমান্যকারীরা বলে) এই পার্থিব জীবন, আমোদ ফুর্তি ও খেলাধুলা বৈ-তো-নয় ! আসলে পরকালের বাসঘরই তো প্রকৃত জীবন। তারা যদি জানতেই পারতো !
فَاِذَا رَكِبُوْا فِي الْفُلْكِ دَعَوُا اللّٰهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ ۚ فَلَمَّا نَجّٰهُمْ اِلَي الْبَرِّ اِذَا هُمْ يُشْرِكُوْنَ ۙ
অতঃপর তারা যখন জলযানে আরোহণ করে (বিপদে পড়ে), তখন কিন্তু তারা আল্লাহকে বিশুদ্ধচিত্তে ডাকতে থাকে তাঁরই জন্যে আনুগত্য নির্দিষ্ট করে। অতঃপর যখন আমি তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি, তখনই তারা শিরিক করতে লেগে যায়।
لِيَكْفُرُوْا بِمَاۤ اٰتَيْنٰهُمْ ۚۙ وَلِيَتَمَتَّعُوْا ٝ فَسَوْفَ يَعْلَمُوْنَ
যাতে তারা অস্বীকার করতে পারে ঐ বিষয়ের প্রতি যা আমি তাদেরকে দান করেছি এবং যাতে তারা ভোগবিলাসে মত্ত থাকে। তবে শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।