সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

يٰۤاَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ ۙ

হে কম্বল ব্যবহারকারী !

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

قُمِ الَّيْلَ اِلَّا قَلِيْلًا ۙ

রাতের বেলা (কোরআন গবেষণার জন্য ঘুম থেকে) জেগে উঠো, কিছু অংশ ব্যতীত !

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

نِّصْفَهٗۤ اَوِ انْقُصْ مِنْهُ قَلِيْلًا ۙ

তার অর্ধেক কিংবা তার থেকে কম।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

اَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْاٰنَ تَرْتِيْلًا ؕ

অথবা তার উপর একটু বাড়াও। আর কোরআন আবৃত্তি করো ধীরে ধীরে ধারাবাহিক ভাবে।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

اِنَّا سَنُلْقِيْ عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيْلًا ।

নিশ্চয় আমি শীঘ্রই তোমার উপর গুরুত্বপূর্ণ বাণী অর্পণ করবো

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

اِنَّ نَاشِئَةَ الَّيْلِ هِيَ اَشَدُّ وَطْاً وَّاَقْوَمُ قِيْلًا ؕ

নিশ্চয় রাত্রীকালের শয্যা ত্যাগ তা প্রবৃত্তি দলনে এবং সঠিকভাবে বাক্য স্ফুরণে প্রবলতর।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

اِنَّ لَكَ فِي النَّهَارِ سَبْحًا طَوِيْلًا ؕ

নিশ্চয় তোমার জন্যে দিনের বেলায় রয়েছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلْ اِلَيْهِ تَبْتِيْلًا ؕ

আর তুমি তোমার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করতে থাকো, আর একাগ্রচিত্তে তাঁর দিকে খুব নিমগ্ন হও।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكِيْلًا তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিপালক, তিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের আইনদাতা নেই। সুতরাং তাঁকেই তুমি উকিলরূপে গ্রহণ কর।

তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিপালক, তিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের আইনদাতা নেই। সুতরাং তাঁকেই তুমি উকিলরূপে গ্রহণ কর।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

وَاصْبِرْ عَلٰي مَا يَقُوْلُوْنَ وَاهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيْلًا

আর তারা যা বলছে, তার উপর তুমি ধৈর্য ধারণ করো। আর অত্যন্ত সুন্দরভাবে তাদেরকে এড়িয়ে চলো।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

وَذَرْنِيْ وَالْمُكَذِّبِيْنَ اُولِي النَّعْمَةِ وَمَهِّلْهُمْ قَلِيْلًا

আর আমার কাছে ছেড়ে দাও , আর বিলাস সামগ্রীর অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে। আর তাদেরকে সামান্য অবকাশ দাও।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

اِنَّ لَدَيْنَاۤ اَنْكَالًا وَّجَحِيْمًا ۙ

নিশ্চয় আমার কাছে পায়ের বেড়ী ও সংকীর্ণ জায়গা রয়েছে।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

وَّطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَّعَذَابًا اَلِيْمًا

(আর রয়েছে) গলায় আটকে যাওয়া খাদ্য আর কষ্টকর শাস্তি।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

يَوْمَ تَرْجُفُ الْاَرْضُ وَالْجِبَالُ وَكَانَتِ الْجِبَالُ كَثِيْبًا مَّهِيْلًا

যেদিন এই যমীন ও পাহাড়সমূহ কাঁপতে থাকবে। আর পাহাড়গুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়া ধুলার স্তূপে পরিণত হবে।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

اِنَّاۤ اَرْسَلْنَاۤ اِلَيْكُمْ رَسُوْلًا ۙ شَاهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَاۤ اَرْسَلْنَاۤ اِلٰي فِرْعَوْنَ رَسُوْلًا ؕ

নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছি, তোমাদের জন্য সাক্ষ্য দাতা রূপে। ঠিক যেমন ফিরআউনের প্রতি রাসূল পাঠিয়েছি।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

فَعَصٰي فِرْعَوْنُ الرَّسُوْلَ فَاَخَذْنٰهُ اَخْذًا وَّبِيْلًا

কিন্তু ফিরআউন রাসূলকে অমান্য করে, তাই আমি তাকে কঠিন দূর্যোগের মাধ্যমে শক্তভাবে পাকড়াও করি।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

فَكَيْفَ تَتَّقُوْنَ اِنْ كَفَرْتُمْ يَوْمًا يَّجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِيْبَۨا ۖ

অতএব তোমরা যদি অস্বীকার করো, তাহলে সেদিন তোমরা কিভাবে রক্ষা পাবে, যে দিনটি বালকদেরকে বৃদ্ধ বানিয়ে দিবে।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

السَّمَآءُ مُنْفَطِرٌۢ بِهٖ ؕ كَانَ وَعْدُهٗ مَفْعُوْلًا যার কারণে আসমান বিদীর্ণ হয়ে যাবে। আর তাঁর ওয়াদা বাস্তবায়িত হবে।

যার কারণে আসমান বিদীর্ণ হয়ে যাবে। আর তাঁর ওয়াদা বাস্তবায়িত হবে।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

اِنَّ هٰذِهٖ تَذْكِرَةٌ ۚ فَمَنْ شَآءَ اتَّخَذَ اِلٰي رَبِّهٖ سَبِيْلًا

নিশ্চয় এই (কোরআন) হচ্ছে উপদেশ। অতএব যে চাইবে সে তার প্রতিপালকের দিকে পথ ধরবে।

সূরা : সূরা আল মুযযামমিল

اِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ اَنَّكَ تَقُوْمُ اَدْنٰي مِنْ ثُلُثَيِ الَّيْلِ وَنِصْفَهٗ وَثُلُثَهٗ وَطَآئِفَةٌ مِّنَ الَّذِيْنَ مَعَكَ ؕ وَاللّٰهُ يُقَدِّرُ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ ؕ عَلِمَ اَنْ لَّنْ تُحْصُوْهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ فَاقْرَءُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْاٰنِ ؕ عَلِمَ اَنْ سَيَكُوْنُ مِنْكُمْ مَّرْضٰي ۙ وَاٰخَرُوْنَ يَضْرِبُوْنَ فِي الْاَرْضِ يَبْتَغُوْنَ مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ ۙ وَاٰخَرُوْنَ يُقَاتِلُوْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۫ۖ فَاقْرَءُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ ۙ وَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَاَقْرِضُوا اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًا ؕ وَمَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللّٰهِ هُوَ خَيْرًا وَّاَعْظَمَ اَجْرًا ؕ وَاسْتَغْفِرُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক জানেন, তুমি তিন ভাগের দু'ভাগের কাছাকাছি কিংবা অর্ধেক রাতে, অথবা তিন ভাগের এক ভাগ থাকতে জেগে ওঠ। আর তোমার সঙ্গী-সাথীদের থেকেও একদল তেমনই তোমার সাথে থাকে। আল্লাহ রাত ও দিনকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি জানেন যে, তোমরা তা হিসাব রাখতে পারবে না। তাই তিনি‌ তোমাদের উপর ক্ষমাপরবশ হলেন। অতএব কোরআন থেকে যতটুকু সহজসাধ্য হয় ততটুকু তোমরা পাঠ করতে থাকো। তিনি‌ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ রোগী হবে। আর কেউ কেউ আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য সামগ্রীর লাভের আশায় পৃথিবীর মধ্যে ভ্রমণ করবে। আর অন্য অনেক লোক কতলের মাধ্যমে অপমানিত হবে আল্লাহর (কুরআনের) পথের পথিক হয়ে। সুতরাং যতটুকু সহজ হয়, কোরআন থেকে তোমরা ততটুকু পাঠ করতে থাকো। আর যথাযথভাবে দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করো, আর সাহায্য প্রদান করো। আর আল্লাহকে উত্তম ৠণ দাও। আর তোমরা যে সব ভালো কাজ নিজেদের জন্য আগে পাঠাবে, আল্লাহর কাছে তাই উত্তম। আর প্রতিফল হিসেবেও তা বিপুল মর্যাদাসম্পন্নই পাবে। আল্লাহর কাছে তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকো, নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, অত্যান্ত মেহেরবান।

*73(20) আয়াতে থাকা আরবী "تقوم"/ "তাক্বু-মু" শব্দের ব্যাখ্যায় 52(48)...।

এবং রাত জাগরণের ব্যাপারে 3(113),13(33),25(64),39(9),51(17,18,19),73(2,6)...।