সূরা : সূরা আল হাশর
سَبَّحَ لِلّٰهِ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ۚ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
আকাশসমূহে ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, সবই আল্লাহর জন্য পবিত্র মহিমা ঘোষণা করছে। আর তিনি মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।
سَبَّحَ لِلّٰهِ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ۚ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
আকাশসমূহে ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, সবই আল্লাহর জন্য পবিত্র মহিমা ঘোষণা করছে। আর তিনি মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।
هُوَ الَّذِيْۤ اَخْرَجَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ اَهْلِ الْكِتٰبِ مِنْ دِيَارِهِمْ لِاَوَّلِ الْحَشْرِ ؕؔ مَا ظَنَنْتُمْ اَنْ يَّخْرُجُوْا وَظَنُّوْۤا اَنَّهُمْ مَّانِعَتُهُمْ حُصُوْنُهُمْ مِّنَ اللّٰهِ فَاَتٰىهُمُ اللّٰهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوْا وَقَذَفَ فِيْ قُلُوْبِهِمُ الرُّعْبَ يُخْرِبُوْنَ بُيُوْتَهُمْ بِاَيْدِيْهِمْ وَاَيْدِي الْمُؤْمِنِيْنَ فَاعْتَبِرُوْا يٰۤاُولِي الْاَبْصَارِ
তিনিই তো সেই মহান, যিনি আল কিতাবের ধারকদের মধ্যে যারা কাফির, তাদেরকে প্রথমবারে এক সাথে তাদের ঘরবাড়িগুলো হতে বের করে দিলেন। তোমরা কিন্তু কল্পনাও করতে পারোনি যে, তারা বেরিয়ে আসবে। আর তারাও তো ভেবেছিলো যে, আল্লাহর কবল হতে তাদের দূর্গগুলোই তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি তাদের কাছে এমন দিক দিয়ে আসলো, যা তারা ভাবতেও পারেনি। তাদের অন্তর সমূহের মধ্যে ভয়-ভীতি সঞ্চার করা হয়। তাদের নিজেদের হাতে আর মু'মিনদের (নিরাপত্তার দাবীদারদের) হাতেও তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করতে লাগে। অতএব হে দৃষ্টিবান লোকেরা তোমরা এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো।’
وَلَوْلَاۤ اَنْ كَتَبَ اللّٰهُ عَلَيْهِمُ الْجَلَآءَ لَعَذَّبَهُمْ فِي الدُّنْيَا ؕ وَلَهُمْ فِي الْاٰخِرَةِ عَذَابُ النَّارِ
আর আল্লাহ যদি তাদের জন্য নির্বাসন না লিখতেন ! তাহলে তাদেরকে এই দুনিয়াতেই শাস্তি দিতেন। আর তাদের জন্য তো রয়েছে পরকালে আগুনের শাস্তি।
ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ شَآقُّوا اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ ۚ وَمَنْ يُّشَآقِّ اللّٰهَ فَاِنَّ اللّٰهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ
এটা এজন্য যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে বিরোধিতা করেছে। আর যদি কেউ আল্লাহর সাথে বিরুদ্ধাচারণ করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহও কঠোর শাস্তি দানকারী।
مَا قَطَعْتُمْ مِّنْ لِّيْنَةٍ اَوْ تَرَكْتُمُوْهَا قَآئِمَةً عَلٰۤي اُصُوْلِهَا فَبِاِذْنِ اللّٰهِ وَلِيُخْزِيَ الْفٰسِقِيْنَ
তোমরা যে সব নরমপনা শেষ করে অথবা বাদ দিয়ে প্রকৃত মূলের উপর মজবুতভাবে কায়েম হও, তা'তো শুধু আল্লাহর অনুমতিক্রমে করো। আর অমান্যকারী-ফাসিকদের লাঞ্ছিত করার জন্যে।
وَمَاۤ اَفَآءَ اللّٰهُ عَلٰي رَسُوْلِهٖ مِنْهُمْ فَمَاۤ اَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَّلَا رِكَابٍ وَّلٰكِنَّ اللّٰهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهٗ عَلٰي مَنْ يَّشَآءُ ؕ وَاللّٰهُ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
আল্লাহ তাঁর রাসূলকে তাদের কাছ থেকে ফায় হিসেবে যা কিছু দিয়েছেন, এজন্য তোমরা তো আর ঘোড়া দৌড়াও নি, আর না উট হাঁকিয়েছো ! অথচ আল্লাহ তাঁর রাসূলদেরকে যার উপর ইচ্ছা করেন আধিপত্য দেন। আর আল্লাহ প্রত্যেকটি জিনিসের উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।
مَاۤ اَفَآءَ اللّٰهُ عَلٰي رَسُوْلِهٖ مِنْ اَهْلِ الْقُرٰي فَلِلّٰهِ وَلِلرَّسُوْلِ وَلِذِي الْقُرْبٰي وَالْيَتٰمٰي وَالْمَسٰكِيْنِ وَابْنِ السَّبِيْلِ ۙ كَيْ لَا يَكُوْنَ دُوْلَةًۢ بَيْنَ الْاَغْنِيَآءِ مِنْكُمْ ؕ وَمَاۤ اٰتٰىكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَهٰىكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا ۚ وَاتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ ۘ
আল্লাহ জনপদবাসীদের কাছ থেকে তাঁর রাসূলকে ফায় হিসেবে যাকিছু দিয়েছেন, তা আল্লাহ ও রাসূল এবং নিকট আত্মীয় স্বজন, ইয়াতীম, গৃহহীন ও পথের সন্ধানীদের জন্যে। এটি এজন্যে যে, যাতে ধনসম্পদ তোমাদের মধ্যে ধনীদের মাঝেই আবর্তিত না হয়। আর (মাল বন্টনের সময়) রাসূল তোমাদেরকে যতোটুকু দান করেন, তখন তোমরা ততটুকুই নিবে এবং যা থেকে তোমাদের নিষেধ করেন, তা থেকে তোমরা বিরত থাক। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।
*59(7) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(58,59)...।
لِلْفُقَرَآءِ الْمُهٰجِرِيْنَ الَّذِيْنَ اُخْرِجُوْا مِنْ دِيَارِهِمْ وَاَمْوَالِهِمْ يَبْتَغُوْنَ فَضْلًا مِّنَ اللّٰهِ وَرِضْوَانًا وَّيَنْصُرُوْنَ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ ؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الصّٰدِقُوْنَ ۚ
وَالَّذِيْنَ تَبَوَّؤُ الدَّارَ وَالْاِيْمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ يُحِبُّوْنَ مَنْ هَاجَرَ اِلَيْهِمْ وَلَا يَجِدُوْنَ فِيْ صُدُوْرِهِمْ حَاجَةً مِّمَّاۤ اُوْتُوْا وَيُؤْثِرُوْنَ عَلٰۤي اَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ ؕ۟ وَمَنْ يُّوْقَ شُحَّ نَفْسِهٖ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ۚ
আর যারা তাদের পূর্বে থেকেই বাড়িঘর ও ঈমানের ব্যাপারে কিছুটা স্থায়ীত্ব লাভ করেছে, তাদের কাছে যারা হিজরত করে আসছে তাদেরকে এরা খুব ভালোবাসে আর মুহাজিররা যা কিছু পেয়ে থাকে তাতে তাদের মনে কিছুমাত্র ঈর্ষার সঞ্চার হয় না। নিজেদের তুলনায় তাদেরকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে, যদিও তাদের অভাব অনাটন থাকে। আসলে যারা তাদের নিজেদেরকে কৃপণতা থেকে রক্ষা করবে তারাই তো সফলকাম হবে।
وَالَّذِيْنَ جَآءُوْ مِنْۢ بَعْدِهِمْ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِاِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِيْمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِيْ قُلُوْبِنَا غِلًّا لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّكَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ
আর যারা তাদের পরে আসবে, আর বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের সেই সব ভাই-বোনদেরকেও, যারা আমাদের পূর্বেই ঈমান এনে চলে গেছে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের অন্তরগুলোর মধ্যে কোনো রকম হিংসা বিদ্বেষ সৃষ্টি হতে দিবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক ! নিশ্চয়ই আপনিই পরম দয়ালু,মেহেরবান।
اَلَمْ تَرَ اِلَي الَّذِيْنَ نَافَقُوْا يَقُوْلُوْنَ لِاِخْوَانِهِمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ اَهْلِ الْكِتٰبِ لَئِنْ اُخْرِجْتُمْ لَنَخْرُجَنَّ مَعَكُمْ وَلَا نُطِيْعُ فِيْكُمْ اَحَدًا اَبَدًا ۙ وَّاِنْ قُوْتِلْتُمْ لَنَنْصُرَنَّكُمْ ؕ وَاللّٰهُ يَشْهَدُ اِنَّهُمْ لَكٰذِبُوْنَ
তুমি কি তাদেরকে দেখো নি ? যারা দু'মুখো মুনাফিক ! তারা কিন্তু আল কিতাবের ধারক (মুসলমানদের) মধ্যে যারা কাফির ভাই-বোন রয়েছে তাদেরকে বলে, যদি তোমাদেরকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়, তাহলে আমরাও তোমাদের সাথেই বেরিয়ে যাবো। আর তোমাদের ব্যাপারে কখনো অন্য কারোর কথা মানবো না। আর তোমরা যদি (মু'মিনদের) কাউকে কতল তথা অপমান করো তাহলে অবশ্যই আমরা তোমাদের সাহায্য করবো। আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন, নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
لَئِنْ اُخْرِجُوْا لَا يَخْرُجُوْنَ مَعَهُمْ ۚ وَلَئِنْ قُوْتِلُوْا لَا يَنْصُرُوْنَهُمْ ۚ وَلَئِنْ نَّصَرُوْهُمْ لَيُوَلُّنَّ الْاَدْبَارَ ۟ ثُمَّ لَا يُنْصَرُوْنَ
অবশ্যই তারা যদি বহিষ্কৃত হয়, তাহলে মুনাফিক্বরা তাদের সাথে কখনোই বেরিয়ে যাবে না। আর যদি তাদের সাথে কতলের মাধ্যমে অপমানের কোন কিছু আয়োজন করা হয়, তাহলে তারা এদের সাহায্য করবে না। আর অবশ্যই যদি তারা তাদের কিছু সাহায্য করেও, তবুও পিঠ ফিরিয়ে পালাবে। এরপর তারা কোনো সাহায্যই পাবে না।
لَاَنْتُمْ اَشَدُّ رَهْبَةً فِيْ صُدُوْرِهِمْ مِّنَ اللّٰهِ ؕ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ
প্রকৃতপক্ষে তাদের অন্তরের মধ্যে আল্লাহর চেয়েও তোমাদের ভয় অনেক বেশি। এটা একারণে যে, তারা এমন একজাতি, যারা কিছুই বুঝে না।
لَا يُقَاتِلُوْنَكُمْ جَمِيْعًا اِلَّا فِيْ قُرًي مُّحَصَّنَةٍ اَوْ مِنْ وَّرَآءِ جُدُرٍ ؕ بَاْسُهُمْ بَيْنَهُمْ شَدِيْدٌ ؕ تَحْسَبُهُمْ جَمِيْعًا وَّقُلُوْبُهُمْ شَتّٰي ؕ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْقِلُوْنَ ۚ
তারা সবাই একত্রে তোমাদের সাথে কতল করবে না। তবে দুর্গ পরিবেষ্টিত জনপদের মধ্যে অথবা প্রাচীর সমূহের পিছনে হতে। যদিও তাদের মধ্যে প্রবল বিরুদ্ধতা হয়ে থাকে। তুমি হয়তো তাদেরকে খুব ঐক্যবদ্ধ বলে মনে করছো ! কিন্তু তাদের অন্তরগুলো দ্বিধাবিভক্ত। এটা একারণে যে, তারা এমন একজাতি, যাদের জ্ঞান বলতে কিছুই নেই!
كَمَثَلِ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ قَرِيْبًا ذَاقُوْا وَبَالَ اَمْرِهِمْ ۚ وَلَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ ۚ
তাদের অবস্থা তো ঠিক তেমনই, কিছুকাল পূর্বেই যারা তাদের কাজের কুফলের স্বাদ চেখে নিয়েছে। আসলে তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি।
كَمَثَلِ الشَّيْطٰنِ اِذْ قَالَ لِلْاِنْسَانِ اكْفُرْ ۚ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ اِنِّيْ بَرِيْٓءٌ مِّنْكَ اِنِّيْۤ اَخَافُ اللّٰهَ رَبَّ الْعٰلَمِيْنَ
তাদের দৃষ্টান্ত তো ঠিক শয়তানের মতোই। যখন সে মানুষকে বলে, তুমি (আয়াত) অমান্য করে যাও। অতঃপর সে যখন অমান্য করে কাফিরে পরিণত হয়, তখন শয়তান বলে, নিশ্চয়ই আমি তোমার থেকে দায়িত্বমুক্ত। নিশ্চয়ই আমি সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।
فَكَانَ عَاقِبَتَهُمَاۤ اَنَّهُمَا فِي النَّارِ خَالِدَيْنِ فِيْهَا ؕ وَذٰلِكَ جَزٰٓؤُا الظّٰلِمِيْنَ
অতঃপর তাদের পরিণাম এই দাঁড়াবে, তাদের দু'জনেই চিরস্থায়ী আগুনে পৌঁছে যাবে। তারা দু'জন সেখানেই চিরকাল বাস করবে। এটাই তো যালিমদের প্রতিদান।
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَلْتَنْظُرْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ لِغَدٍ ۚ وَاتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِيْرٌۢ بِمَا تَعْمَلُوْنَ
হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকেরই লক্ষ্য করা উচিত, আগামী কালের জন্য সে কি আগে পাঠিয়েছে ? তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব খবরই রাখেন, তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো।
وَلَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ نَسُوا اللّٰهَ فَاَنْسٰهُمْ اَنْفُسَهُمْ ؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ
তোমরা তাদের মতো হইয়ো না, যারা আল্লাহকে ভুলে গিয়েছে। তা-ই তিনিও তাদেরকে আত্মা দিশাহারা করে দিয়েছেন। এরাই তো অমান্যকারী-ফাসিক।
لَا يَسْتَوِيْۤ اَصْحٰبُ النَّارِ وَاَصْحٰبُ الْجَنَّةِ ؕ اَصْحٰبُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَآئِزُوْنَ
আগুনের অধিবাসী আর জান্নাতের অধিবাসী, এরা কখনোই সমান নয়। জান্নাতের অধিবাসীরাই তো সফলকাম।
لَوْ اَنْزَلْنَا هٰذَا الْقُرْاٰنَ عَلٰي جَبَلٍ لَّرَاَيْتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللّٰهِ ؕ وَتِلْكَ الْاَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ
আমি যদি এই কোরআন একটি পর্বতের উপরে অবতীর্ণ করতাম, তাহলে অবশ্যই তুমি দেখতে পেতে, আল্লাহর ভয়ে তা ফেটে দুভাগে বিভক্ত হয়ে যেতো। মানুষের জন্য এই উদাহরণ উপস্থাপন করলাম, যেনো তারা চিন্তা-ভাবনা করে ।
هُوَ اللّٰهُ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ عٰلِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۚ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ
তিনিই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো সত্যিকারের বিধানদাতা নেই। তিনি গোপন ও প্রকাশ্য সব কিছুই জানেন। তিনিই পরম করুণাময়,অসীম দয়ালু।
هُوَ اللّٰهُ الَّذِيْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ اَلْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلٰمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ؕ سُبْحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ
তিনিই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো সত্যিকারের বিধানদাতা নেই। তিনি বাদশাহ, অতিব পবিত্র ও পূর্ণ শান্তিদাতা, পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদানকারী, যাবতীয় বিকৃতি ও অনিষ্ট হ'তে রক্ষাকারী, মহা-সম্মানিত, কঠোরতা আরোপকারী, অহংকারের একমাত্র অধিকারী। মানুষেরা যা কিছু শরীক করে যাচ্ছে, সে সব থেকে আল্লাহ পবিত্র মহান।
هُوَ اللّٰهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰي ؕ يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۚ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
তিনিই আল্লাহ, যিনি সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা তথা নিত্য নতুনের সূচনাকারী, আকার আকৃতি দানকারী, তাঁর জন্যই উত্তম নামসমূহ রয়েছে, আকাশে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর গৌরব বর্ণনা করছে। আর তিনি মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।