সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ اَوْلِيَآءَ تُلْقُوْنَ اِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَآءَكُمْ مِّنَ الْحَقِّ ۚ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَاِيَّاكُمْ اَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ رَبِّكُمْ ؕ اِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَآءَ مَرْضَاتِيْ ۖ تُسِرُّوْنَ اِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ ۖ وَاَنَا اَعْلَمُ بِمَاۤ اَخْفَيْتُمْ وَمَاۤ اَعْلَنْتُمْ ؕ وَمَنْ يَّفْعَلْهُ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِيْلِ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে ভালোবাসা প্রদর্শন করো না। অথচ তোমাদের কাছে মহাসত্য কোরআন থেকে যা কিছু এসেছে, তারা তা অস্বীকার করেছে। তারা রাসূলকে বহিষ্কার করতে চায় এবং তোমাদেরকেও, একারণে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপরে ঈমান এনেছ। যদি তোমরা আমার (কোরআনের) পথে উৎকৃষ্টতমকর্মে ও আমার সন্তুষ্টি সন্ধানে বের হয়ে থাকো (তাহলে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না)। অথচ তোমরা তাদের সাথেই গোপনে বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপ আলোচনা করে যাচ্ছ। আসলে আমি খুব জানি, তোমরা যা কিছু গোপন করো, আর যা কিছু প্রকাশ করে থাক। তোমাদের মধ্যে যে কেউ এমন করবে, তা'হলে নিশ্চয় সে সরল পথ থেকে বিভ্রান্ত হয়ে যাবে।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

اِنْ يَّثْقَفُوْكُمْ يَكُوْنُوْا لَكُمْ اَعْدَآءً وَّيَبْسُطُوْۤا اِلَيْكُمْ اَيْدِيَهُمْ وَاَلْسِنَتَهُمْ بِالسُّوْٓءِ وَوَدُّوْا لَوْ تَكْفُرُوْنَ ؕ

যদি তারা তোমাদের কাবু করতে পারে তাহলে তারা তোমাদের জন্যে শুধু শত্রুতা করতে থাকবে এবং তাদের হাত ও তাদের জবান মন্দের সাথে তোমাদের দিকে সম্প্রসারিত করবে। আর তাদের কামনা হচ্ছে, যাতে তোমরা কাফির হয়ে যাও।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

لَنْ تَنْفَعَكُمْ اَرْحَامُكُمْ وَلَاۤ اَوْلَادُكُمْ ۚۛ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۚۛ يَفْصِلُ بَيْنَكُمْ ؕ وَاللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ

তোমাদের আত্মীয়তা, সন্তান-সন্ততি, কিয়ামতের দিনে কখনো তোমাদের উপকারে আসবে না। তিনি তোমাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিবেন। আর আল্লাহ তা দেখছেন, তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

قَدْ كَانَتْ لَكُمْ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِيْۤ اِبْرٰهِيْمَ وَالَّذِيْنَ مَعَهٗ ۚ اِذْ قَالُوْا لِقَوْمِهِمْ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنْكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۫ كَفَرْنَا بِكُمْ وَبَدَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَالْبَغْضَآءُ اَبَدًا حَتّٰي تُؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ وَحْدَهٗۤ اِلَّا قَوْلَ اِبْرٰهِيْمَ لِاَبِيْهِ لَاَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ وَمَاۤ اَمْلِكُ لَكَ مِنَ اللّٰهِ مِنْ شَيْءٍ ؕ رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَاِلَيْكَ اَنَبْنَا وَاِلَيْكَ الْمَصِيْرُ

নিশ্চয় ইবরাহীমের মধ্যে এবং তার সঙ্গী-সাথী যারা রয়েছে (নবী ও রাসূলগণ), তাদের মধ্যেও তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে। তারা যখন তাদের জাতিকে বলে, আমরা তোমাদের থেকে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যে সব (পীর ও মোল্লাদের) দাসত্ব করে যাচ্ছো, সে সবের থেকে সম্পর্কমুক্ত। আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করছি। আমাদের ও তোমাদের মাঝে চিরদিনের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষ প্রকাশ হয়ে থাকবে। যতক্ষণ তোমরা আল্লাহর তাঁর একত্ববাদের উপর ঈমান না আনবে। তবে ইবরাহীমের কথা, তার বাপের সাথে এই যে, আমি আপনার জন্য অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা করবো। তবে আপনার জন্য আল্লাহর কাছে আমার কিছুমাত্র ক্ষমতা নেই। হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনার উপরেই আমরা ভরসা করেছি, আপনারই অভিমুখী হয়েছি, আর আপনার কাছেই ফিরে যাবো।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদেরকে আপনি কাফিরদের নির্যাতনের পাত্র বানাবেন না। আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন, হে আমাদের প্রতিপালক ! নিশ্চয় আপনিই মহা-সম্মানিত, মহা-বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْهِمْ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُوا اللّٰهَ وَالْيَوْمَ الْاٰخِرَ ؕ وَمَنْ يَّتَوَلَّ فَاِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيْدُ

নিশ্চয় তাদের মধ্যেও তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে, যারা নিজেদের জন্যে আল্লাহ ও শেষ দিনের আকাঙ্খা রাখে ! আর যদি কেউ মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ একমাত্র ধনী ও সকল প্রশংসার অধিকারী।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

عَسَي اللّٰهُ اَنْ يَّجْعَلَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ الَّذِيْنَ عَادَيْتُمْ مِّنْهُمْ مَّوَدَّةً ؕ وَاللّٰهُ قَدِيْرٌ ؕ وَاللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

সম্ভবত আল্লাহ তোমাদের সাথে যাদের শত্রুতা রয়েছে তাদের সাথে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দিবেন। আসলে আল্লাহই পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন এবং আল্লাহই ক্ষমাশীল, মেহেরবান।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

لَا يَنْهٰىكُمُ اللّٰهُ عَنِ الَّذِيْنَ لَمْ يُقَاتِلُوْكُمْ فِي الدِّيْنِ وَلَمْ يُخْرِجُوْكُمْ مِّنْ دِيَارِكُمْ اَنْ تَبَرُّوْهُمْ وَتُقْسِطُوْۤا اِلَيْهِمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِيْنَ

আল্লাহ তাদের সাথে তোমাদেরকে সদ্ব্যবহার ও ন্যায় বিচার করতে নিষেধ করেননি, যারা তোমাদেরকে দ্বীনের ব্যাপারে কতল (অপমান) করেনি, আর তোমাদেরকে বাড়িঘর থেকে বহিষ্কার করে দেয়নি, নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায় বিচারকারীদেরকেই ভালোবাসেন।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

اِنَّمَا يَنْهٰىكُمُ اللّٰهُ عَنِ الَّذِيْنَ قٰتَلُوْكُمْ فِي الدِّيْنِ وَاَخْرَجُوْكُمْ مِّنْ دِيَارِكُمْ وَظٰهَرُوْا عَلٰۤي اِخْرَاجِكُمْ اَنْ تَوَلَّوْهُمْ ۚ وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ

আল্লাহ শুধু তাদের সাথেই বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে ধ্বংসাত্মক কাজ করে। আর তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর ত্যাগে বাধ্য করে, আর যারা তোমাদের বহিষ্কারে সাহায্য করে। আর যে কেউ তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তারাই হবে অত্যাচারী-যালিম।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا جَآءَكُمُ الْمُؤْمِنٰتُ مُهٰجِرٰتٍ فَامْتَحِنُوْهُنَّ ؕ اَللّٰهُ اَعْلَمُ بِاِيْمَانِهِنَّ ۚ فَاِنْ عَلِمْتُمُوْهُنَّ مُؤْمِنٰتٍ فَلَا تَرْجِعُوْهُنَّ اِلَي الْكُفَّارِ ؕ لَا هُنَّ حِلٌّ لَّهُمْ وَلَا هُمْ يَحِلُّوْنَ لَهُنَّ ؕ وَاٰتُوْهُمْ مَّاۤ اَنْفَقُوْا ؕ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ اَنْ تَنْكِحُوْهُنَّ اِذَاۤ اٰتَيْتُمُوْهُنَّ اُجُوْرَهُنَّ ؕ وَلَا تُمْسِكُوْا بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ وَسْـَٔلُوْا مَاۤ اَنْفَقْتُمْ وَلْيَسْـَٔلُوْا مَاۤ اَنْفَقُوْا ؕ ذٰلِكُمْ حُكْمُ اللّٰهِ ؕ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ ؕ وَاللّٰهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ

হে যারা ঈমান এনেছ ! যখন তোমাদের কাছে কোনো মুমিন মহিলারা মুহাজির হয়ে আসবে, তখন তোমরা তাদেরকে পরীক্ষা করে নিবে। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে খুব জানেন। অতঃপর যদি তোমরা জানতে পারো যে তারা মুমিন নারী, তখন তাদেরকে কাফিরদের কাছে ফেরৎ পাঠাবে না। এরা তাদের জন্যে হালাল নয়, আর তারাও এদের জন্যে হালাল নয়। আর তারা যা কিছু খরচ করেছে, তাদেরকে তা দিয়ে দিবে। আর তাদেরকে বিয়ে করায় তোমাদের কোনো গুনাহ নেই, যখন তোমরা তাদের মোহর আদায় করে দিবে। তোমরা কাফির স্ত্রীদের সাথে বিবাহ বন্ধন ধরে রেখো না। তোমরা যাকিছু খরচ করেছো, তা চেয়ে নাও। আর তারাও যা কিছু খরচ করেছে, তাও তারা চেয়ে নিবে। এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ নির্দেশ, তিনি তোমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিচ্ছেন। নিশ্চয় আল্লাহ‌ মহাজ্ঞানী, মহা-বৈজ্ঞানিক।

*60(10) নং আয়াতে থাকা হিজরত কারীদের ব্যপারে 3(195)...।


সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

وَاِنْ فَاتَكُمْ شَيْءٌ مِّنْ اَزْوَاجِكُمْ اِلَي الْكُفَّارِ فَعَاقَبْتُمْ فَاٰتُوا الَّذِيْنَ ذَهَبَتْ اَزْوَاجُهُمْ مِّثْلَ مَاۤ اَنْفَقُوْا ؕ وَاتَّقُوا اللّٰهَ الَّذِيْۤ اَنْتُمْ بِهٖ مُؤْمِنُوْنَ

তোমাদের (স্বামী-স্ত্রীর) জোড়াদের মধ্যে যদি কেউ কাফিরদের দিকে রয়ে যায়, তাহলে তোমরা যখন সুযোগ পাবে তখন যাদের (স্বামী কিংবা স্ত্রী) জোড়া হাতছাড়া হয়েছে, তাদেরকে সেই পরিমাণ অর্থ দিয়ে দাও, যা তারা খরচ করেছিল। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার উপর তোমরা বিস্বাসী।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ اِذَا جَآءَكَ الْمُؤْمِنٰتُ يُبَايِعْنَكَ عَلٰۤي اَنْ لَّا يُشْرِكْنَ بِاللّٰهِ شَيْئًا وَّلَا يَسْرِقْنَ وَلَا يَزْنِيْنَ وَلَا يَقْتُلْنَ اَوْلَادَهُنَّ وَلَا يَاْتِيْنَ بِبُهْتَانٍ يَّفْتَرِيْنَهٗ بَيْنَ اَيْدِيْهِنَّ وَاَرْجُلِهِنَّ وَلَا يَعْصِيْنَكَ فِيْ مَعْرُوْفٍ فَبَايِعْهُنَّ وَاسْتَغْفِرْ لَهُنَّ اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

হে নবী ! তোমার কাছে যখন কোনো মুমিন নারী আসবে, আর তোমার কাছে বয়াত তথা আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করবে, এ কথার উপর যে আল্লাহর সাথে কোনকিছু শরীক করবে না, চুরিও করবে না আর ব্যভিচারেও লিপ্ত হবে না। আর নিজ সন্তানদেরকে (কোরআনের বিদ্যা না শিখিয়ে) হত্যা করবে না। আর তারা অভিযুক্ত সন্তান বয়ে বেড়াবে না, যা তারা নিজের হাত ও পা দু'টোর মাঝখানে বানিয়ে নিবে। আর সুপরিচিত বিধানের কোনো হুকুম পালনে তারা তোমার অবাধ্য হবে না, তাহলে তুমি তাদের বয়াত গ্রহণ করে নাও। আর তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকো। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, মেহেরবান।

সূরা : সূরা আল মুমতাহিনা

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَوَلَّوْا قَوْمًا غَضِبَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ قَدْ يَئِسُوْا مِنَ الْاٰخِرَةِ كَمَا يَئِسَ الْكُفَّارُ مِنْ اَصْحٰبِ الْقُبُوْرِ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা এমন লোকদের সংগে বন্ধুত্ব করবে না, যাদের উপরে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন, তারা তো পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে আছে, যেমন কাফিররা কবর বাসীদের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে আছে।