সূরা : সুরা ফুরক্বান
تَبٰرَكَ الَّذِيْ نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلٰي عَبْدِهٖ لِيَكُوْنَ لِلْعٰلَمِيْنَ نَذِيْرَا ۙ
তিনি অতীব কল্যাণময় যিনি সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী-ফুরকান তাঁরই দাসের উপর অবতীর্ণ করেছেন, যেন সে বিশ্ববাসীর জন্যে সতর্ককারী হয়।
تَبٰرَكَ الَّذِيْ نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلٰي عَبْدِهٖ لِيَكُوْنَ لِلْعٰلَمِيْنَ نَذِيْرَا ۙ
তিনি অতীব কল্যাণময় যিনি সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী-ফুরকান তাঁরই দাসের উপর অবতীর্ণ করেছেন, যেন সে বিশ্ববাসীর জন্যে সতর্ককারী হয়।
الَّذِيْ لَهٗ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَلَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَّلَمْ يَكُنْ لَّهٗ شَرِيْكٌ فِي الْمُلْكِ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ فَقَدَّرَهٗ تَقْدِيْرًا
যিনি এমন সত্তা যে, তাঁরই জন্যে আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর আধিপত্য, তিনি তো কাউকে সন্তানরূপে গ্রহণ করেননি। আর নিজ রাজ্য পরিচালনার ব্যাপারেও কাউকে শরীক করেন নি। আল্লাহ তো প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করে আকার-আকৃতি ও পরিমাণ সঠিকভাবে স্থির করে দিয়েছেন।
وَاتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اٰلِهَةً لَّا يَخْلُقُوْنَ شَيْئًا وَّهُمْ يُخْلَقُوْنَ وَلَا يَمْلِكُوْنَ لِاَنْفُسِهِمْ ضَرًّا وَّلَا نَفْعًا وَّلَا يَمْلِكُوْنَ مَوْتًا وَّلَا حَيٰوةً وَّلَا نُشُوْرًا
আর তারা তাঁর পরিবর্তে অন্যদেরকে আইনদাতারূপে গ্রহণ করেছে, যারা কোন কিছুই সৃষ্টি করে না। অথচ তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তারা তাদের নিজেদের জন্যেও কোন ক্ষতি ও উপকারের ক্ষমতা রাখে না এবং তারা ক্ষমতা রাখে না মৃত্যুর, আর না জীবনের, আর না পুনরুত্থানের।
وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْۤا اِنْ هٰذَاۤ اِلَّاۤ اِفْكُۨ افْتَرٰىهُ وَاَعَانَهٗ عَلَيْهِ قَوْمٌ اٰخَرُوْنَ ۚۛ فَقَدْ جَآءُوْ ظُلْمًا وَّزُوْرًا ۚۛ
আর কাফিররা বলে, এসব মনগড়া জিনিস বৈ-তো-নয়, যা সে রচনা করেছে। আর এক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করেছে, অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা। এভাবেই তারা মিথ্যায় ও সীমালঙ্ঘনে এসেছে।
وَقَالُوْۤا اَسَاطِيْرُ الْاَوَّلِيْنَ اكْتَتَبَهَا فَهِيَ تُمْلٰي عَلَيْهِ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا
তারা বলে, এই কোরআন পূর্ব কালের উপকথার সমাহার, যা সে লিখে নিয়েছে। অতঃপর তা তার নিকট সকাল ও সন্ধ্যায় তিলাওয়াত করা হয়।
قُلْ اَنْزَلَهُ الَّذِيْ يَعْلَمُ السِّرَّ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ اِنَّهٗ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا
তুমি বলে দাও ! এই কুরআন তো এমন সত্তা অবতীর্ণ করেছেন, যিনি আকাশমন্ডলীর ও পৃথিবীর সমুদয় গোপন রহস্যই জানেন। নিশ্চয়ই তিনি হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
وَقَالُوْا مَالِ هٰذَا الرَّسُوْلِ يَاْكُلُ الطَّعَامَ وَيَمْشِيْ فِي الْاَسْوَاقِ ؕ لَوْلَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُوْنَ مَعَهٗ نَذِيْرًا ۙ
আর তারা বলে, এ কেমন রাসূল ! সে খাবার খায়, আবার হাট বাজারসমূহে চলাফেরা করে। কেন তার কাছে কোন মালাক-বিশেষ শক্তিধর সর্দার অবতীর্ণ করা হয় না ? যে তার সাথে ভীতি প্রদর্শনকারী হতো।
اَوْ يُلْقٰۤي اِلَيْهِ كَنْزٌ اَوْ تَكُوْنُ لَهٗ جَنَّةٌ يَّاْكُلُ مِنْهَا ؕ وَقَالَ الظّٰلِمُوْنَ اِنْ تَتَّبِعُوْنَ اِلَّا رَجُلًا مَّسْحُوْرًا
অথবা তার কাছে কোন ধন ভান্ডার নেই কেন ? অথবা তার জন্য একটি (দুনিয়ার) জান্নাত-বাগান থাকবে, তা হ'তে সে খাওয়া দাওয়া করবে। আর সীমালঙ্গনকারীরা (রাসূলের ব্যাপারে) বলে, তোমরা শুধু এক যাদুগ্রস্থ ব্যাক্তিরই অনুসরণ করে যাচ্ছ !
اُنْظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوْا لَكَ الْاَمْثَالَ فَضَلُّوْا فَلَا يَسْتَطِيْعُوْنَ سَبِيْلًا
লক্ষ্য কর, তোমার জন্যে তারা কেমন উপমাসমূহ পেশ করছে ! এভাবে তারাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। অতএব তারা কিছুতেই সঠিক পথ খুঁজে পাবে না।
تَبٰرَكَ الَّذِيْۤ اِنْ شَآءَ جَعَلَ لَكَ خَيْرًا مِّنْ ذٰلِكَ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۙ وَيَجْعَلْ لَّكَ قُصُوْرًا
অতীব কল্যাণময় সেই সত্ত্বা, যিনি ইচ্ছা করলে তোমার জন্যে এর চেয়েও আরও অনেক উত্তম জান্নাত-বাগান তৈরী করে দিতে পারেন, যার নীচ থেকে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে এবং তোমার জন্যে তৈরী করে দিতে পারেন অনেক প্রাসাদ।
بَلْ كَذَّبُوْا بِالسَّاعَةِ ۟ وَاَعْتَدْنَا لِمَنْ كَذَّبَ بِالسَّاعَةِ سَعِيْرًا ۚ
বরং তারা যে বিশেষ সময় (কিয়ামতকে) অস্বীকার করেছে, যারা বিশেষ সময়ের ব্যাপারকে অস্বীকার করে, তাদের জন্যেই তো আমি জলন্ত আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি।
اِذَا رَاَتْهُمْ مِّنْ مَّكَانٍۭ بَعِيْدٍ سَمِعُوْا لَهَا تَغَيُّظًا وَّزَفِيْرًا
তারা যখন দূর দূরান্ত থেকেই তা দেখতে পাবে, তখন তারা ক্রোধের গর্জন ও চিৎকার শুনতে পাবে।
وَاِذَاۤ اُلْقُوْا مِنْهَا مَكَانًا ضَيِّقًا مُّقَرَّنِيْنَ دَعَوْا هُنَالِكَ ثُبُوْرًا ؕ
তাদেরকে একসাথে কয়েক জনকে শিকল বাঁধা অবস্থায় সংকীর্ণ এক জায়গায় নিক্ষেপ করা হবে, তখন কিন্তু তারা সেখানে মৃত্যু কামনা করবে।
لَا تَدْعُوا الْيَوْمَ ثُبُوْرًا وَّاحِدًا وَّادْعُوْا ثُبُوْرًا كَثِيْرًا
(বলা হবে) আজকে তোমরা মাত্র একবার মরতে চেয়োনা। বরং অনেকবার মৃত্যু কামনা করো।
قُلْ اَذٰلِكَ خَيْرٌ اَمْ جَنَّةُ الْخُلْدِ الَّتِيْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَ ؕ كَانَتْ لَهُمْ جَزَآءً وَّمَصِيْرًا
তুমি বল ! এটাই কি উত্তম? না, চিরস্থায়ী জান্নাত যার প্রতিশ্রুতি মহৎব্যক্তিদেরকে দেওয়া হয়েছে। সেটা হবে তাদের জন্যে পুরস্কার লাভের ও প্রত্যাবর্তনস্থল।
لَهُمْ فِيْهَا مَا يَشَآءُوْنَ خٰلِدِيْنَ ؕ كَانَ عَلٰي رَبِّكَ وَعْدًا مَّسْـُٔوْلًا
তাদের জন্যই সেখানে চিরস্থায়ীভাবেই সব কিছু থাকবে- যা কিছু তারা চাইবে। তোমার প্রতিপালকের উপর এই প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পালনীয়।
وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ وَمَا يَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَيَقُوْلُ ءَاَنْتُمْ اَضْلَلْتُمْ عِبَادِيْ هٰۤؤُلَآءِ اَمْ هُمْ ضَلُّوا السَّبِيْلَ ؕ
আর যেদিন তাদেরকে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের দাসত্ব তারা করতো তাদের সবাইকে তিনি একত্র করবেন। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করবেন, তোমরাই কি আমার এসব দাসদেরকে বিভ্রান্ত করেছো ? না, তারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট হয়েছিলো ?
قَالُوْا سُبْحٰنَكَ مَا كَانَ يَنْۢبَغِيْ لَنَاۤ اَنْ نَّتَّخِذَ مِنْ دُوْنِكَ مِنْ اَوْلِيَآءَ وَلٰكِنْ مَّتَّعْتَهُمْ وَاٰبَآءَهُمْ حَتّٰي نَسُوا الذِّكْرَ ۚ وَكَانُوْا قَوْمًۢا بُوْرًا
তারা বলবে আপনি পবিত্র মহান, এ কাজ তো আমাদের সাধ্যে ছিলো না যে, আপনাকে বাদ দিয়ে আর কাউকে আমরা আউলিয়া হিসেবে গ্রহণ করবো। কিন্তু আপনিই তো তাদেরকে সুখ সম্পদ দান করেছিলেন, আর তাদের বাপ-দাদাদেরকেও, এমন কি আপনার বিশেষ স্মরণ (কুরআনকে) তারা ভুলে গিয়েছিলো। আসলে তারা ধ্বংস হবার যোগ্য জাতিই ছিলো।
فَقَدْ كَذَّبُوْكُمْ بِمَا تَقُوْلُوْنَ ۙ فَمَا تَسْتَطِيْعُوْنَ صَرْفًا وَّلَا نَصْرًا ۚ وَمَنْ يَّظْلِمْ مِّنْكُمْ نُذِقْهُ عَذَابًا كَبِيْرًا
তখন নিশ্চয়ই তারাই তোমাদেরকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে যা তোমরা বলতে। সুতরাং তারা এখন শাস্তি ফিরাতে পারবে না, আর কোন সাহায্য করতেও পারবে না ! আর তোমাদের মধ্য হ'তে যে কেউ সসীমালঙ্ঘন করবে, তাকেই তো আমি গুরুতর শাস্তি আস্বাদন করাবো।
وَمَاۤ اَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ الْمُرْسَلِيْنَ اِلَّاۤ اِنَّهُمْ لَيَاْكُلُوْنَ الطَّعَامَ وَيَمْشُوْنَ فِي الْاَسْوَاقِ ؕ وَجَعَلْنَا بَعْضَكُمْ لِبَعْضٍ فِتْنَةً ؕ اَتَصْبِرُوْنَ ۚ وَكَانَ رَبُّكَ بَصِيْرًا
তোমার পূর্বে যত রাসূল আমি পাঠিয়েছি, তাদের সবাই খাবার খেতো, বাজারে (সওদাপাতি করার জন্যে) যাতায়াত করতো। আমিই তো তোমাদেরকে একে অন্যের পরীক্ষার জন্যে নিযুক্ত করে রেখেছি, দেখা যাক, তোমরা ধৈর্য ধারণ করতে পারো কি না ? আর তোমার প্রতিপালক হলেন এমন যে, তিনি সবকিছু দেখেন।
وَقَالَ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَآءَنَا لَوْلَاۤ اُنْزِلَ عَلَيْنَا الْمَلٰٓئِكَةُ اَوْ نَرٰي رَبَّنَا ؕ لَقَدِ اسْتَكْبَرُوْا فِيْۤ اَنْفُسِهِمْ وَعَتَوْ عُتُوًّا كَبِيْرًا
যারা আমার সাথে সাক্ষাত লাভের আশা করে না, তারা বলে কেনো আমাদের কাছে মালা-ইকাদের অবতীর্ণ করা হয় না ? অথবা কেনো আমরা আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাই না? আসলে তারা তাদের মনের মধ্যে অহঙ্কার পোষণ করে আসছে। আর তারা অবাধ্য হয়েছ, গুরুতর অবাধ্য।
يَوْمَ يَرَوْنَ الْمَلٰٓئِكَةَ لَا بُشْرٰي يَوْمَئِذٍ لِّلْمُجْرِمِيْنَ وَيَقُوْلُوْنَ حِجْرًا مَّحْجُوْرًا
যেদিন তারা (ভূ-পৃষ্ঠের শক্তিসমূহ) মালায়িকাদেরকে দেখতেই পাবে, সেদিন তো অপরাধীদের জন্যে কোনো সুসংবাদ থাকবে না। আর তারা কেবল বলতে থাকবে, হায় ! যদি কিছু দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যেতো।
وَقَدِمْنَاۤ اِلٰي مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا
আর তারা যে কাজ করেছে আমি সেদিকে অগ্রসর হব। অতঃপর আমি তাদেরকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবো।
اَصْحٰبُ الْجَنَّةِ يَوْمَئِذٍ خَيْرٌ مُّسْتَقَرًّا وَّاَحْسَنُ مَقِيْلًا
জান্নাতের অধিবাসীদের জন্যে সেদিনকার ঠিকানা বড়ই মঙ্গলময় এবং দুপুর বেলায় বিশ্রামের জন্যে তা যে কতো সুন্দর জায়গা।
وَيَوْمَ تَشَقَّقُ السَّمَآءُ بِالْغَمَامِ وَنُزِّلَ الْمَلٰٓئِكَةُ تَنْزِيْلًا
আর যেদিন মেঘ সহ আকাশ বিদীর্ণ হবে, আর শক্তিধর মালা-ইকাদের ক্রমাগতভাবে অবতরণ করানো হবে।
اَلْمُلْكُ يَوْمَئِذِ الْحَقُّ لِلرَّحْمٰنِ ؕ وَكَانَ يَوْمًا عَلَي الْكٰفِرِيْنَ عَسِيْرًا
সেদিনকার প্রকৃত কর্তৃত্ব হবে দয়াময়ের জন্যে। আর সেই দিনটি হবে কাফিরদের জন্যে কঠিন।
وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰي يَدَيْهِ يَقُوْلُ يٰلَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُوْلِ سَبِيْلًا
আর সেদিন সীমালঙ্গনকারীরা তার নিজের হাত দু'টো কামড়াতে থাকবে। আর বলবে, হায় আমার দুর্ভোগ ! আমি যদি রাসূলের সাথে পথ ধরতাম !
يٰوَيْلَتٰي لَيْتَنِيْ لَمْ اَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيْلًا
'হায় আমার দুর্ভোগ ! যদি অমুকলোককে (বানোয়াট মিথ্যা হাদিস, ফেকাহ, ফাজায়েল, উসুল, বালাগাত ও তরীকা লেখকদেরকে ও সেসবের শিক্ষা দানকারী ও বক্তা-হুজুদেরকে) বন্ধু হিসেবে গ্রহণ নাই করতাম !*
*25(27,28), নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 33(66-68),34(38)67(7-10),14(22,44),15(2)...।
لَقَدْ اَضَلَّنِيْ عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ اِذْ جَآءَنِيْ ؕ وَكَانَ الشَّيْطٰنُ لِلْاِنْسَانِ خَذُوْلًا
নিশ্চয়ই সে আমাকে বিশেষ স্মরণ (কুরআন) হ'তে বিভ্রান্ত করেছে, আমার কাছে তা আসার পরেও। আর শয়তান হলো মানুষের জন্যে চরম প্রতারক।
وَقَالَ الرَّسُوْلُ يٰرَبِّ اِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوْا هٰذَا الْقُرْاٰنَ مَهْجُوْرًا
আর রাসূল বলবে, হে আমার প্রতিপালক ! নিশ্চয়ই আমার জাতি এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে।
*25(30),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 70(36-40),43(88)...।
وَكَذٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا مِّنَ الْمُجْرِمِيْنَ ؕ وَكَفٰي بِرَبِّكَ هَادِيًا وَّنَصِيْرًا
এভাবেই তো আমি প্রত্যেকটি নবীর বিরুদ্ধে অপরাধীদের থেকে শত্রুতা করতে দেখতে পাই। আসলে তোমার প্রতিপালকই তো পথ প্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট।
وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوْلَا نُزِّلَ عَلَيْهِ الْقُرْاٰنُ جُمْلَةً وَّاحِدَةً ۚۛ كَذٰلِكَ ۚۛ لِنُثَبِّتَ بِهٖ فُؤَادَكَ وَرَتَّلْنٰهُ تَرْتِيْلًا
অথচ কাফিররা বলে, তার কাছে সমগ্র কোরআন কেনো একবারে অবতীর্ণ করা হলো না ? কিন্তু এভাবেই যেনো এই কোরআন দ্বারা তোমার অন্তরকে দৃঢ়-মজবুত করতে পারি। আর আমি তা সাজিয়েছি ধারাবাহিক ভাবে।
وَلَا يَاْتُوْنَكَ بِمَثَلٍ اِلَّا جِئْنٰكَ بِالْحَقِّ وَاَحْسَنَ تَفْسِيْرًا ؕ
আর তারা তোমার কাছে যত ধরনের উদাহরণ নিয়ে আসুক না কেনো, আমি সঠিকভাবে সমাধান তোমার কাছে নিয়ে এসে থাকি, আর অতি উত্তম তাফসির-ব্যাখ্যা প্রদান করে থাকি।*
*25(33) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(7),7(52,53)...।
اَلَّذِيْنَ يُحْشَرُوْنَ عَلٰي وُجُوْهِهِمْ اِلٰي جَهَنَّمَ ۙ اُولٰٓئِكَ شَرٌّ مَّكَانًا وَّاَضَلُّ سَبِيْلًا যাদেরকে মুখের উপর ভর দেয়া অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্র করা হবে। এরাই মর্যাদায় অধিক নিকৃষ্ট এবং চুড়ান্তভাবে পথভ্রষ্ট হয়েছে।
যাদেরকে মুখের উপর ভর দেয়া অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্র করা হবে। এরাই মর্যাদায় অধিক নিকৃষ্ট এবং চুড়ান্তভাবে পথভ্রষ্ট হয়েছে।
وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسَي الْكِتٰبَ وَجَعَلْنَا مَعَهٗۤ اَخَاهُ هٰرُوْنَ وَزِيْرًا ۚۖ
নিশ্চয়ই আমি মূসাকে আল কিতাব দান করেছি, আর তার সাথে তারই ভাই হারুনকে সাহায্যকারী-উজির হিসেবে নিযুক্ত করেছি।
فَقُلْنَا اذْهَبَاۤ اِلَي الْقَوْمِ الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَا ؕ فَدَمَّرْنٰهُمْ تَدْمِيْرًا ؕ
অতঃপর আমি বলেছি, তোমরা দু'জন সেই জাতির কাছে যাও, যারা আমার আয়াত সমূহের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। ফলে আমি তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছি।
وَقَوْمَ نُوْحٍ لَّمَّا كَذَّبُوا الرُّسُلَ اَغْرَقْنٰهُمْ وَجَعَلْنٰهُمْ لِلنَّاسِ اٰيَةً ؕ وَاَعْتَدْنَا لِلظّٰلِمِيْنَ عَذَابًا اَلِيْمًا ۚۖ
আর নূহের জাতিকে, যখন তারা রাসূলদেরকে অস্বীকার করে। আমি তাদেরকে ডুবিয়ে দিই। আর তাদেরকে মানুষের জন্যে নিদর্শন বানিয়ে দিই। আর আমি প্রস্তুত করে রেখেছি সীমালঙ্গনকারীদের জন্যে নিদারুণ শাস্তি।
وَّعَادًا وَّثَمُوْدَا۠ وَاَصْحٰبَ الرَّسِّ وَقُرُوْنًۢا بَيْنَ ذٰلِكَ كَثِيْرًا
আর 'আ'দ, ও সামূদ, এবং রাস্ (রাশিয়ার) অধিবাসী আর এসবের পরে আরো অসংখ্য শতাব্দীর পর শতাব্দীর জনপদকে ধ্বংস করে দিয়েছি।
وَكُلًّا ضَرَبْنَا لَهُ الْاَمْثَالَ ۫ وَكُلًّا تَبَّرْنَا تَتْبِيْرًا
আমি তাদের প্রত্যেকের জন্য দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি এবং প্রত্যেককে আমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছি।
وَلَقَدْ اَتَوْا عَلَي الْقَرْيَةِ الَّتِيْۤ اُمْطِرَتْ مَطَرَ السَّوْءِ ؕ اَفَلَمْ يَكُوْنُوْا يَرَوْنَهَا ۚ بَلْ كَانُوْا لَا يَرْجُوْنَ نُشُوْرًا এরা তো সেই জনপদের উপর দিয়ে আসা যাওয়া করে। যার উপর নিকৃষ্ট রকমের বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিল। তারা কি তা দেখতে পায়নি ? বরং তারা পুনরুত্থানের আশা করে না।
এরা তো সেই জনপদের উপর দিয়ে আসা যাওয়া করে। যার উপর নিকৃষ্ট রকমের বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিল। তারা কি তা দেখতে পায়নি ? বরং তারা পুনরুত্থানের আশা করে না।
وَاِذَا رَاَوْكَ اِنْ يَّتَّخِذُوْنَكَ اِلَّا هُزُوًا ؕ اَهٰذَا الَّذِيْ بَعَثَ اللّٰهُ رَسُوْلًا
আর তারা তোমাকে যেখানেই দেখতে পায়, তখন তো তোমাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ ছাড়া আর কোনো কাজই তারা করে না, আর বলে এই কি সেই লোকটি, আল্লাহ যাকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন ?
اِنْ كَادَ لَيُضِلُّنَا عَنْ اٰلِهَتِنَا لَوْلَاۤ اَنْ صَبَرْنَا عَلَيْهَا ؕ وَسَوْفَ يَعْلَمُوْنَ حِيْنَ يَرَوْنَ الْعَذَابَ مَنْ اَضَلُّ سَبِيْلًا
সে তো আমাদেরকে আমাদের দেবতাগুলো হ'তে বিভ্রান্ত করে দিতো। যদি আমরা তাদের উপর ধৈর্য ধরে না থাকতাম। শীঘ্রই তারা জানতে পারবে, যখন তারা নিজেদের চোখেই শাস্তি দেখতে পাবে, কে চুড়ান্তরূপে পথ ভ্রষ্ট হয়েছে সত্য পথ হতে।
اَرَءَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰـهَهٗ هَوٰىهُ ؕ اَفَاَنْتَ تَكُوْنُ عَلَيْهِ وَكِيْلًا ۙ
তুমি ভেবে দেখেছো ! যে নিজের বাসনা লালসাকে ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে, তুমি কি তার কোনো উকালতি করতে সক্ষম হবে ?
اَمْ تَحْسَبُ اَنَّ اَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُوْنَ اَوْ يَعْقِلُوْنَ ؕ اِنْ هُمْ اِلَّا كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ سَبِيْلًا
তুমি কি মনে করো যে, তাদের অধিকাংশ লোক শূনতে পায় অথবা বুঝতে পারে ? আসলে তারা তো চতুষ্পদ পশুর মতোই। বরং তারা অনেক বেশী পথভ্রষ্ট।
اَلَمْ تَرَ اِلٰي رَبِّكَ كَيْفَ مَدَّ الظِّلَّ ۚ وَلَوْ شَآءَ لَجَعَلَهٗ سَاكِنًا ۚ ثُمَّ جَعَلْنَا الشَّمْسَ عَلَيْهِ دَلِيْلًا ۙ
তুমি কি তোমার প্রতিপালকের দিকে লক্ষ্য করে দেখো না ? যে তিনি কেমন করে ছায়াকে কতো দীর্ঘ করেছেন ! আর তিনি যদি চাইতেন, তাহলে অবশ্যই সেটাকে স্থির করতে পারতেন। এরপর সূর্যকে আমি দলিল হিসেবে (সেটার পথ) নিযুক্ত করে রেখেছি।
ثُمَّ قَبَضْنٰهُ اِلَيْنَا قَبْضًا يَّسِيْرًا
এরপরে ধীরে ধীরে আমি সেটাকে আমার দিকে গুটিয়ে নিবো।
وَهُوَ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الَّيْلَ لِبَاسًا وَّالنَّوْمَ سُبَاتًا وَّجَعَلَ النَّهَارَ نُشُوْرًا
আর তিনিই (আল্লাহ),যিনি তোমাদের জন্যে রাতকে বানিয়ে দিয়েছেন আবরণ-চাদর হিসেবে, আর নিদ্রা তৈরী করে দিয়েছেন, বিশ্রামের জন্য। আর দিন তৈরী করেছেন, উঠে চলাফেরা করার জন্যে।
وَهُوَ الَّذِيْۤ اَرْسَلَ الرِّيٰحَ بُشْرًۢا بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهٖ ۚ وَاَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً طَهُوْرًا ۙ
তিনিই (আল্লাহ),যিনি এমন বাতাসকে প্রেরণ করে থাকেন, যা সুখবর নিয়ে আসে, তাঁর অনুগ্রহের পূর্বাভাস হিসেবে। আসলে আমিই তো আকাশ হ'তে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করে থাকি, পবিত্রতা অর্জনের জন্যে।
لِّنُحْيِۦَ بِهٖ بَلْدَةً مَّيْتًا وَّنُسْقِيَهٗ مِمَّا خَلَقْنَاۤ اَنْعَامًا وَّاَنَاسِيَّ كَثِيْرًا
তা দ্বারা মৃত জনপদকে জীবিত ও তরুতাজা করে তুলবো সেজন্যে। আর তা আমি পান করাই, আমি যাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছি, জীবজন্তু আর বহু মানুষ।
وَلَقَدْ صَرَّفْنٰهُ بَيْنَهُمْ لِيَذَّكَّرُوْا ۫ۖ فَاَبٰۤي اَكْثَرُ النَّاسِ اِلَّا كُفُوْرًا
নিশ্চয়ই আমি তা তাদের মধ্যে অনেক ভাগে ভাগ করে দিয়েছি, যেনো তারা স্মরণ রাখতে পারে। কিন্তু মানুষের মধ্যে অধিকাংশরাই অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করে।
وَلَوْ شِئْنَا لَبَعَثْنَا فِيْ كُلِّ قَرْيَةٍ نَّذِيْرًا ۫ۖ
প্রত্যেকটি জনপদে একজন সতর্ককারী উঠে দাঁড়াবে এটাই তো আমার ইচ্ছা।
*25(51),আয়াতের ব্যাখ্যায়,5(19,20),33(1,6,28,45,50,59),3(64),8(64,65,70),9(73),60(12),65(1),66(1,3,9)...।
فَلَا تُطِعِ الْكٰفِرِيْنَ وَجَاهِدْهُمْ بِهٖ جِهَادًا كَبِيْرًا
সুতরাং তুমি অবিশ্বাসীদের আনুগত্য করবে না এবং তুমি কুরআনের সহযোগে তাদের সঙ্গে অতি উৎকৃষ্টতমকর্ম চালিয়ে যাবে।
وَهُوَ الَّذِيْ مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَّهٰذَا مِلْحٌ اُجَاجٌ ۚ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَّحِجْرًا مَّحْجُوْرًا
আর তিনিই দু'টো সাগর একসাথেই চালু করে রেখেছেন, একটি সুস্বাদু পিপাসা দূরকারী, আর অপরটি যে বড়ই লোনা ও কষায় ক্ষারীয়। অথচ এ দু'য়ের মাঝখানে প্রতিবন্ধক হিসেবে পর্দা রেখে দিয়েছি।
وَهُوَ الَّذِيْ خَلَقَ مِنَ الْمَآءِ بَشَرًا فَجَعَلَهٗ نَسَبًا وَّصِهْرًا ؕ وَكَانَ رَبُّكَ قَدِيْرًا
আর তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তার জন্যে বংশগত সম্পর্ক ও শ্বশুরালয় তৈরী করে দিয়েছেন। আসলে তোমার প্রতিপালক সবকিছুই করতে পারেন।
وَيَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا يَنْفَعُهُمْ وَلَا يَضُرُّهُمْ ؕ وَكَانَ الْكَافِرُ عَلٰي رَبِّهٖ ظَهِيْرًا
অথচ অংশীবাদীরা তো আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের দাসত্ব করছে, যা তাদের কোনো উপকার বা কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারে না। আসলে কাফিররাই তো তাদের প্রতিপালকের দিকে পিঠ ফিরিয়ে রয়েছে।
وَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا مُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا
আমি তো তোমাকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী ব্যতীত অন্য কিছুর জন্যে পাঠাইনি।
قُلْ مَاۤ اَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ اَجْرٍ اِلَّا مَنْ شَآءَ اَنْ يَّتَّخِذَ اِلٰي رَبِّهٖ سَبِيْلًا
তুমি বলে দাও ! আমি তো আর এজন্যে তোমাদের কাছ থেকে কিছুমাত্র প্রতিদান পেতে চাইনা। তবে তোমাদের মধ্যে যার ইচ্ছা হয় তার প্রতিপালকের পথেই এগিয়ে আসুক।
وَتَوَكَّلْ عَلَي الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَمُوْتُ وَسَبِّحْ بِحَمْدِهٖ ؕ وَكَفٰي بِهٖ بِذُنُوْبِ عِبَادِهٖ خَبِيْرَا ۚۛۙ
আর তুমি নির্ভর করো সেই চিরঞ্জীব মহান আল্লাহর উপরে, যার মৃত্যু নেই। আর পবিত্রতা ঘোষনা করো তাঁর প্রশংসাসহ। আসলে তিনিই তো তাঁর দাসদের যাবতীয় (দুশ্চিন্তার) পাপ সম্পর্কে খবর রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট।
الَّذِيْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِيْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰي عَلَي الْعَرْشِ ۚۛ اَلرَّحْمٰنُ فَسْـَٔلْ بِهٖ خَبِيْرًا
যিনি আকামন্ডলী ও পৃথিবী আর উভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে সে সবকে ছয়টি কালে সৃষ্টি করেছেন, এরপর সে সবকে একটি পরিচালনা কেন্দ্রের সাথে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন। তিনি অশেষ দয়াবান। সুতরাং তাঁর সম্পর্কে যে ব্যক্তি জ্ঞাত রয়েছে তারই কাছে খোঁজ নাও।
وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ اسْجُدُوْا لِلرَّحْمٰنِ قَالُوْا وَمَا الرَّحْمٰنُ اَنَسْجُدُ لِمَا تَاْمُرُنَا وَزَادَهُمْ نُفُوْرًا ٛ আর তাদেরকে যখন বলা হয়, তোমরা দয়াময়ের জন্যে পরম আনুগত্য করো, তখন তারা বলে দয়াময় আবার কে ? আমরা কি তাকে মান্য করবো যার প্রতি আমাদেরকে তুমি নির্দেশ দিবে? এভাবে তাদের বিমুখতা বেড়ে যায়।
আর তাদেরকে যখন বলা হয়, তোমরা দয়াময়ের জন্যে পরম আনুগত্য করো, তখন তারা বলে দয়াময় আবার কে ? আমরা কি তাকে মান্য করবো যার প্রতি আমাদেরকে তুমি নির্দেশ দিবে? এভাবে তাদের বিমুখতা বেড়ে যায়।
تَبٰرَكَ الَّذِيْ جَعَلَ فِي السَّمَآءِ بُرُوْجًا وَّجَعَلَ فِيْهَا سِرٰجًا وَّقَمَرًا مُّنِيْرًا
কল্যাণময় সে সত্তা যিনি আকাশের মধ্যে মহাশূন্যে কক্ষপথ বানিয়েছেন। আর তার মধ্যে প্রদীপ ও আলো বিকিরণকারী চাঁদ স্থাপন করেছেন।
وَهُوَ الَّذِيْ جَعَلَ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ خِلْفَةً لِّمَنْ اَرَادَ اَنْ يَّذَّكَّرَ اَوْ اَرَادَ شُكُوْرًا
আর তিনিই রাত ও দিনকে পরস্পরের অনুগামী বানিয়েছেন, এ নিদর্শন তারই জন্যে, যে উপদেশ গ্রহণ করতে চায়, অথবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চায়।
وَعِبَادُ الرَّحْمٰنِ الَّذِيْنَ يَمْشُوْنَ عَلَي الْاَرْضِ هَوْنًا وَّاِذَا خَاطَبَهُمُ الْجٰهِلُوْنَ قَالُوْا سَلٰمًا
আর দয়াময়ের বিশেষ দাসগণ তো তারাই, যারা যমীনের উপর নম্রভাবে চলাফেরা করে। আর অশিক্ষিত মূর্খরা যখন তাদের সামনে কিছু বলে, তখন তারা বলে (তোমাদেরকে) 'সালাম'।
وَالَّذِيْنَ يَبِيْتُوْنَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَّقِيَامًا
আর তারা তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে পরম আনুগত্য করে ও জাগ্রত অবস্থায় রাত অতিবাহিত করে।
25(64),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়, 39(9),3(113),13(33),51(17,18,19)...।
وَالَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ اِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا ۖ
আর যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদের হ'তে জাহান্নামের শাস্তিকে দূরে সরিয়ে দিন। নিশ্চয়ই সেখানের শাস্তি হলো প্রাণান্তকর-ধ্বংস (গরম)।
اِنَّهَا سَآءَتْ مُسْتَقَرًّا وَّمُقَامًا
নিশ্চয়ই তা বড়ই নিকৃষ্ট বিশ্রামাস্থল ও বাসস্থান।
وَالَّذِيْنَ اِذَاۤ اَنْفَقُوْا لَمْ يُسْرِفُوْا وَلَمْ يَقْتُرُوْا وَكَانَ بَيْنَ ذٰلِكَ قَوَامًا
আর তারা এমন যে, যখন তারা ব্যায় করে তখন তারা অপব্যয় করে না এবং কৃপনতাও করেনা। বরং তারা এই দুই'য়ের মাঝে দন্ডয়মান থাকে।
وَالَّذِيْنَ لَا يَدْعُوْنَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ وَلَا يَقْتُلُوْنَ النَّفْسَ الَّتِيْ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُوْنَ ۚ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ يَلْقَ اَثَامًا ۙ
وَالَّذِيْنَ لَا يَدْعُوْنَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ وَلَا يَقْتُلُوْنَ النَّفْسَ الَّتِيْ حَرَّمَ اللّٰهُ اِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُوْنَ ۚ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ يَلْقَ اَثَامًا ۙ
يُّضٰعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ وَيَخْلُدْ فِيْهٖ مُهَانًا ۖ
তার শাস্তি দ্বিগুন হবে কিয়ামতের দিনে। আর সেখানে সে চরম হীন অবস্থায় চিরকাল বাস করতে বাধ্য হবে।
اِلَّا مَنْ تَابَ وَاٰمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَاُولٰٓئِكَ يُبَدِّلُ اللّٰهُ سَيِّاٰتِهِمْ حَسَنٰتٍ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا
তবে যে ব্যক্তি তাওবা করে ফিরে এসেছে আর ঈমান এনে সংশোধনের কাজ করেছে, এরাই তো সেই দল, যাদের অন্যায়কে আল্লাহ ভালোয় পরিবর্তন করে দিবেন। আসলে আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
وَمَنْ تَابَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَاِنَّهٗ يَتُوْبُ اِلَي اللّٰهِ مَتَابًا
আর যে কেউ তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসে আর সংশোধনের কাজ করে, তবে নিশ্চয়ই সে আল্লাহর দিকেই অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসে।
وَالَّذِيْنَ لَا يَشْهَدُوْنَ الزُّوْرَ ۙ وَاِذَا مَرُّوْا بِاللَّغْوِ مَرُّوْا كِرَامًا
যারা মিথ্যা অপকর্মে শরীক হয় না, আর যদিও কোনো খেলাধুলা বাজে কাজ কর্মের মধ্যে এসে পড়ে তাহলে অত্যন্ত ভদ্রভাবে এড়িয়ে চলে যায়।
وَالَّذِيْنَ اِذَا ذُكِّرُوْا بِاٰيٰتِ رَبِّهِمْ لَمْ يَخِرُّوْا عَلَيْهَا صُمًّا وَّعُمْيَانًا
আর যখন তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, তখন সে ব্যাপারে তারা বধির অন্ধে পরিণত হয় না।
وَالَّذِيْنَ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ اِمَامًا
আর যারা বলে থাকে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদের জোড়া, স্বামী-স্ত্রী এবং বংশধরদেরকে দিয়ে আমাদের চোখের শীতলতা দান করুন। আর তাদেরকে মহৎব্যক্তিদের নেতা বানিয়ে দিন।
اُولٰٓئِكَ يُجْزَوْنَ الْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوْا وَيُلَقَّوْنَ فِيْهَا تَحِيَّةً وَّسَلٰمًا ۙ
তারাই তো সেই দল যাদের প্রতিদান হিসেবে বালাখানা (সুউচ্চ কক্ষ) দান করা হবে, কারণ তারা ধৈর্য ধারণ করেছিলো। আর তারা সেখানে শান্তি ও চিরস্থায়ী জীবন লাভ করবে।
خٰلِدِيْنَ فِيْهَا ؕ حَسُنَتْ مُسْتَقَرًّا وَّمُقَامًا
সেখানেই তারা চিরকাল বাস করবে। বিশ্রাম ও থাকার জায়গা হিসেবে তা কতোই সুন্দর।
قُلْ مَا يَعْبَؤُا بِكُمْ رَبِّيْ لَوْلَا دُعَآؤُكُمْ ۚ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُوْنُ لِزَامًا
তুমি বলে দাও ! আমার প্রতিপালক তোমাদের কোনো পরোয়াই করবেন না, যদি তোমরা তাঁকে না ডাকো। তোমরা তো অস্বীকার করেই যাচ্ছো। ফলে শীঘ্রই বিপর্যয় এসে পড়বে।