সূরা : সূরা যুখরুফ
حٰمٓ ۚۛ
হা'মী-ম।
اِنَّا جَعَلْنٰهُ قُرْءٰنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُوْنَ ۚ
নিশ্চয়ই আমি একে আরবী কোরআন (সহজ পাঠ্য) বানিয়েছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
اِنَّا جَعَلْنٰهُ قُرْءٰنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُوْنَ ۚ নি
শ্চয়ই আমি একে আরবী কোরআন (সহজ পাঠ্য) বানিয়েছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
اَفَنَضْرِبُ عَنْكُمُ الذِّكْرَ صَفْحًا اَنْ كُنْتُمْ قَوْمًا مُّسْرِفِيْنَ
তবে আমি কি তোমাদের কাছ থেকে উপদেশপূর্ণ পৃষ্ঠাসমূহ প্রত্যাহার করে নিব? এজন্যে যে, তোমরা অসংযমী সম্প্রদায়ে পরিণত হচ্ছ।
وَكَمْ اَرْسَلْنَا مِنْ نَّبِيٍّ فِي الْاَوَّلِيْنَ
আর পূর্ববর্তীদের মধ্যে আমি একের পর এক নবীদের থেকে পাঠিয়েছি
وَمَا يَاْتِيْهِمْ مِّنْ نَّبِيٍّ اِلَّا كَانُوْا بِهٖ يَسْتَهْزِءُوْنَ
আর তাদের কাছে এমন কোনো নবী আসেনি যার সাথে তারা ঠাট্রা-বিদ্রুপ করেনি।
فَاَهْلَكْنَاۤ اَشَدَّ مِنْهُمْ بَطْشًا وَّمَضٰي مَثَلُ الْاَوَّلِيْنَ
তাই আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যারা এদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিতে প্রবল ছিল। আর পূর্ববর্তীদের অনুরূপ দৃষ্টান্ত অতীত হয়ে গেছে।
وَلَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ لَيَقُوْلُنَّ خَلَقَهُنَّ الْعَزِيْزُ الْعَلِيْمُ ۙ
আর তুমি যদি তাদেরকে প্রশ্ন কর, আকাশ ও পৃথিবী কে সৃষ্টি করেছেন ? তবে তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো মহা-সম্মানিত ও মহাজ্ঞানী (আল্লাহই) সৃষ্টি করেছেন।
الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ مَهْدًا وَّجَعَلَ لَكُمْ فِيْهَا سُبُلًا لَّعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَ ۚ
যিনি তোমাদের জন্যে জমিকে শয্যা স্বরূপ বানিয়েছেন। আর তার মধ্যে তোমাদের জন্যেই পথ সমূহ বানিয়ে দিয়েছেন। যাতে তোমরা গন্তব্যস্থলের পথ পেতে পার।
وَالَّذِيْ نَزَّلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءًۢ بِقَدَرٍ ۚ فَاَنْشَرْنَا بِهٖ بَلْدَةً مَّيْتًا ۚ كَذٰلِكَ تُخْرَجُوْنَ
আর যিনি আকাশ থেকে পরিমিত ভাবে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর আমি তা দিয়ে মৃত নিষ্প্রাণ ভূমিকে জীবিত করি। এভাবেই তোমাদেরকে বের করা হবে।
وَالَّذِيْ خَلَقَ الْاَزْوَاجَ كُلَّهَا وَجَعَلَ لَكُمْ مِّنَ الْفُلْكِ وَالْاَنْعَامِ مَا تَرْكَبُوْنَ ۙ
আর যিনি প্রত্যেকটি জিনিসকে তার জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্যে কিছু নৌযান ও চতুষ্পদ জন্তু, যার উপর তোমরা চড়তে পারো।
لِتَسْتَوٗا عَلٰي ظُهُوْرِهٖ ثُمَّ تَذْكُرُوْا نِعْمَةَ رَبِّكُمْ اِذَا اسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُوْلُوْا سُبْحٰنَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَ
যেনো তোমরা সে সবের পিঠের উপরে স্থির হয়ে বসতে পারো। এরপর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো। আর যখন তোমরা সে সবের উপর চড়ে বসবে তখন তোমরা বলবে, পবিত্র মহান সেই আল্লাহ, যিনি আমাদের জন্যে এসবকে বশ করে দিয়েছেন। অথচ আমরা তো এমন নই যে এসব বশীভূত করতে পারতাম।
وَاِنَّاۤ اِلٰي رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ
আর নিশ্চয়ই আমরা আমাদের প্রতিপালকের দিকেই তো ফিরে যাবো।
وَجَعَلُوْا لَهٗ مِنْ عِبَادِهٖ جُزْءًا ؕ اِنَّ الْاِنْسَانَ لَكَفُوْرٌ مُّبِيْنٌ ؕ
আর এ সত্বেও তারা তাঁর দাসদের মধ্য হ'তে কতককে তাঁর অংশ (শরীক) সাব্যস্ত করেছে। নিশ্চয়ই মানুষ স্পষ্টই অকতৃজ্ঞ।
اَمِ اتَّخَذَ مِمَّا يَخْلُقُ بَنٰتٍ وَّاَصْفٰكُمْ بِالْبَنِيْنَ
তবে কি তিনি নিজের সৃষ্টির মধ্য হতে কন্যা সন্তানকেই গ্রহণ করেছেন ? আর তোমাদের কি পুত্রদের জন্যেই নির্ধারণ করেছেন ?
وَاِذَا بُشِّرَ اَحَدُهُمْ بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمٰنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهٗ مُسْوَدًّا وَّهُوَ كَظِيْمٌ
অথচ যখন তাদের মধ্যে কাউকে তেমন (কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার) সুসংবাদ দেওয়া হয়, যা সে দয়াময়ের জন্যে দৃষ্টান্ত হিসাবে পেশ করে রেখেছে, তখন কিন্তু তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায়। এ অবস্থায় সে দুঃচিন্তাগ্রস্তও হয়ে যায়।
اَوَمَنْ يُّنَشَّؤُا فِي الْحِلْيَةِ وَهُوَ فِي الْخِصَامِ غَيْرُ مُبِيْنٍ
তবে কি, যে কেউ সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে লালিত-পালিত হয়েছে, সে কি ঝগড়া করতে অপারগ হবে?
وَجَعَلُوا الْمَلٰٓئِكَةَ الَّذِيْنَ هُمْ عِبٰدُ الرَّحْمٰنِ اِنَاثًا ؕ اَشَهِدُوْا خَلْقَهُمْ ؕ سَتُكْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَيُسْـَٔلُوْنَ
মানুষেরা তো মালা-ইকাদেরকে নারীরূপে গণ্য করেছে, অথচ তারা কিন্তু দয়াময়ের দাস ! তারা কি তাদের সৃষ্টি করার সময় উপস্থিত ছিলো ? তাদের এসব সাক্ষ্য অচিরেই লিখে রাখা হবে। আর তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে।
وَقَالُوْا لَوْ شَآءَ الرَّحْمٰنُ مَا عَبَدْنٰهُمْ ؕ مَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ اِنْ هُمْ اِلَّا يَخْرُصُوْنَ ؕ
আর অংশীবাদীরা তো এ কথাও বলে, দয়াময় যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে আর আমরা তাদের দাসত্ব করতাম না। এ সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। তারা শুধু আন্দাজ অনুমান করেই কথা বলছে।
اَمْ اٰتَيْنٰهُمْ كِتٰبًا مِّنْ قَبْلِهٖ فَهُمْ بِهٖ مُسْتَمْسِكُوْنَ
তবে আমি কি তাদেরকে এই কোরআনের পূর্বে কোনো লিখিত কিতাব দিয়েছি, অতঃপর তারা তা দৃঢ়ভাবে ধারণ করে আছে?
بَلْ قَالُوْۤا اِنَّا وَجَدْنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤي اُمَّةٍ وَّاِنَّا عَلٰۤي اٰثٰرِهِمْ مُّهْتَدُوْنَ
বরং তারা তো এই কথাই বলে, নিশ্চয়ই আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে এই মতাদর্শের উপর পেয়েছি আর নিশ্চয়ই আমরা তাদের পদাঙ্কসমূহের অনুসরণে সঠিকপথ প্রাপ্ত হবো।
وَكَذٰلِكَ مَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ فِيْ قَرْيَةٍ مِّنْ نَّذِيْرٍ اِلَّا قَالَ مُتْرَفُوْهَاۤ ۙ اِنَّا وَجَدْنَاۤ اٰبَآءَنَا عَلٰۤي اُمَّةٍ وَّاِنَّا عَلٰۤي اٰثٰرِهِمْ مُّقْتَدُوْنَ
আর এভাবে আমি তোমার পূর্বে কোনো জনপদে এমন কোনো রাসূলকে পাঠাইনি, যেখানকার বিত্তশালী লোকেরা (রাসুলের সাথে) একথা বলেনি, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে এই মতাদর্শের উপর পেয়েছি আর নিশ্চয়ই আমরা তাদের পদাঙ্কসমূহের অনুসরণকারী ।
قٰلَ اَوَلَوْ جِئْتُكُمْ بِاَهْدٰي مِمَّا وَجَدْتُّمْ عَلَيْهِ اٰبَآءَكُمْ ؕ قَالُوْۤا اِنَّا بِمَاۤ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ كٰفِرُوْنَ
তখন সে (রাসূল) বলে, তোমরা যে তোমাদের বাপ-দাদাদের পথ পেয়ে সেই পথেই চলছো, দেখোতো তাদের চেয়ে অধিক সঠিক ও নির্ভূল পথ নিয়ে আমি এসেছি। তখন তারা বলে, যা নিয়ে তোমরা প্রেরিত হয়েছো, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِيْنَ তখন সে (রাসূল) বলে, তোমরা যে তোমাদের বাপ-দাদাদের পথ পেয়ে সেই পথেই চলছো, দেখোতো তাদের
চেয়ে অধিক সঠিক ও নির্ভূল পথ নিয়ে আমি এসেছি। তখন তারা বলে, যা নিয়ে তোমরা প্রেরিত হয়েছো, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
وَاِذْ قَالَ اِبْرٰهِيْمُ لِاَبِيْهِ وَقَوْمِهٖۤ اِنَّنِيْ بَرَآءٌ مِّمَّا تَعْبُدُوْنَ ۙ
আর যখন ইবরাহীম তার পিতাকে ও তার জাতিকে বলে, নিশ্চয়ই আমি তা হ'তে সম্পর্কমুক্ত, যার পূজা তোমরা করছো।
اِلَّا الَّذِيْ فَطَرَنِيْ فَاِنَّهٗ سَيَهْدِيْنِ
কিন্তু আমি দাসত্ব করি তার, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং নিশ্চয়ই তিনি আমাকে পথ দেখাবেন।
وَجَعَلَهَا كَلِمَةًۢ بَاقِيَةً فِيْ عَقِبِهٖ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُوْنَ
আর ইবরাহীম তার পরবর্তীদের কাছে একটি চিরন্তন বাণী (কুরআন আকারে) রেখে গেছে, যেনো তারা ফিরে আসে।
৪৩(২৮) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় ২(১২৯)...।
بَلْ مَتَّعْتُ هٰۤؤُلَآءِ وَاٰبَآءَهُمْ حَتّٰي جَآءَهُمُ الْحَقُّ وَرَسُوْلٌ مُّبِيْنٌ
বরং আমিই তাদেরকে ও তাদের বাপ-দাদাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ ভোগের সুযোগ দিয়েছি। এমন কি তাদের কাছে প্রকৃত সত্য (কুরআন) আর সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী রাসূল এসেছে।
وَلَمَّا جَآءَهُمُ الْحَقُّ قَالُوْا هٰذَا سِحْرٌ وَّاِنَّا بِهٖ كٰفِرُوْنَ
আর যখনই তাদের কাছে একমাত্র সত্য/কুরআন পৌঁছে, তখন তারা বলে, এটি যাদু। আর নিশ্চয়ই আমরা এ জিনিস মানবো না।
وَقَالُوْا لَوْلَا نُزِّلَ هٰذَا الْقُرْاٰنُ عَلٰي رَجُلٍ مِّنَ الْقَرْيَتَيْنِ عَظِيْمٍ
আর মানুষেরা বলে, এই কুরআন সেই বিশেষ (মক্কা ও মদীনার) দু'টো জনপদের মধ্য হ'তে কোনো এক মহান ব্যক্তির উপর কেনো অবতীর্ণ হয় না?
*43(31) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 68(4)...।
اَهُمْ يَقْسِمُوْنَ رَحْمَتَ رَبِّكَ ؕ نَحْنُ قَسَمْنَا بَيْنَهُمْ مَّعِيْشَتَهُمْ فِي الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَرَفَعْنَا بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجٰتٍ لِّيَتَّخِذَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا سُخْرِيًّا ؕ وَرَحْمَتُ رَبِّكَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُوْنَ
এরা কি তোমার প্রতিপালকের দয়া বন্টন করে ফেলতে চায় ? আমি পার্থিব জীবনের মধ্যে তাদের মাঝে জীবিকা বন্টন করে দিই এবং তাদের কাউকে কারোও উপর মর্যাদায় উন্নত করি, যেনো তাদের একে অপরকে সেবকরূপে গ্রহণ করতে পারে। আর তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ তা হ'তে অনেক উত্তম যা তারা জমা করে যাচ্ছে।
وَلَوْلَاۤ اَنْ يَّكُوْنَ النَّاسُ اُمَّةً وَّاحِدَةً لَّجَعَلْنَا لِمَنْ يَّكْفُرُ بِالرَّحْمٰنِ لِبُيُوْتِهِمْ سُقُفًا مِّنْ فِضَّةٍ وَّمَعَارِجَ عَلَيْهَا يَظْهَرُوْنَ ۙ
আর যদি তেমন কোনো কথা স্থির করা না হতো যে, সব মানুষ একই মতাবলম্বী অনুসরণ করবে। তাহলে যারা দয়াময়কে অস্বীকার করছে, তাদের ঘরগুলোর ছাদ রূপা দিয়ে তৈরী করে দিতাম। আর যে সব সিঁড়ি বেয়ে তারা উপরে উঠে তাও।
وَلِبُيُوْتِهِمْ اَبْوَابًا وَّسُرُرًا عَلَيْهَا يَتَّكِـُٔوْنَ ۙ
আর তাদের ঘরগুলোর দরজাসমূহ আর পালঙ্কসমূহকেও। যার উপরে তারা তাকিয়া লাগিয়ে হেলান দিয়ে বসে থাকে তাও।
وَزُخْرُفًا ؕ وَاِنْ كُلُّ ذٰلِكَ لَمَّا مَتَاعُ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ؕ وَالْاٰخِرَةُ عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُتَّقِيْنَ
আর অলংকারের সাথে সাজ সজ্জা করে দিতাম। এসব জিনিস তো কিছুই নয়, শুধু পার্থিব জীবনের ভোগ সম্পদ ব্যতীত। আর পরকাল তো তোমার প্রতিপালকের কাছে মহৎব্যক্তিদের জন্যেই।
وَمَنْ يَّعْشُ عَنْ ذِكْرِ الرَّحْمٰنِ نُقَيِّضْ لَهٗ شَيْطٰنًا فَهُوَ لَهٗ قَرِيْنٌ
আর যে ব্যক্তি দয়াময়ের বিশেষ স্মরণ (কুরআন) থেকে বিমুখ হয়, আমি তার জন্যে শয়তান মানুষকে নিয়োজিত করে থাকি। তখন সে হয় তার জন্যে সঙ্গী।
وَاِنَّهُمْ لَيَصُدُّوْنَهُمْ عَنِ السَّبِيْلِ وَيَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ مُّهْتَدُوْنَ আ
র নিশ্চয় তারা মানুষদেরকে আল্লাহর (কোরআনের) পথে বাধা দেয়। আর মানুষ মনে করে যে তারা সঠিক পথেই রয়েছে।
حَتّٰۤي اِذَا جَآءَنَا قَالَ يٰلَيْتَ بَيْنِيْ وَبَيْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ الْقَرِيْنُ
এমন কি যখন তাদের মধ্যে কেউ আমার কাছে আসবে তখন বলবে, হায় ! যদি আমার ও তোমার মাঝে পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্ব থাকতো ! অতএব কত নিকৃষ্ট সঙ্গী শয়তান মানুষ!
وَلَنْ يَّنْفَعَكُمُ الْيَوْمَ اِذْ ظَّلَمْتُمْ اَنَّكُمْ فِي الْعَذَابِ مُشْتَرِكُوْنَ
আজ (তোমাদের এই অনুতাপ) তোমাদের কোনো উপকারেই দিবে না, কারণ তোমরা সীমালঙ্ঘন করেছো। আর এও যে, তোমরা শাস্তির মধ্যে সমঅংশ গ্রহণ করবে।
اَفَاَنْتَ تُسْمِعُ الصُّمَّ اَوْ تَهْدِي الْعُمْيَ وَمَنْ كَانَ فِيْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍ
তবে কি তুমি বধিরকে কোনো কথা শুনাতে পারবে অথবা কোনো অন্ধকে পথ দেখাতে পারবে এবং তাকে যে ব্যক্তি সুস্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে?
فَاِمَّا نَذْهَبَنَّ بِكَ فَاِنَّا مِنْهُمْ مُّنْتَقِمُوْنَ ۙ
সুতরাং আমি যদি তোমাকে উঠিয়ে নিই, তবুও নিশ্চয়ই আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবো।
اَوْ نُرِيَنَّكَ الَّذِيْ وَعَدْنٰهُمْ فَاِنَّا عَلَيْهِمْ مُّقْتَدِرُوْنَ
অথবা আমি তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা যদি তোমাকে দেখিয়ে দিই, তবুও নিশ্চয়ই তাদের উপরে আমার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে।
فَاسْتَمْسِكْ بِالَّذِيْۤ اُوْحِيَ اِلَيْكَ ۚ اِنَّكَ عَلٰي صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ
অতএব তুমি (কোরআনকেই) শক্তভাবে আঁকড়ে ধর, যা তোমার প্রতি ওহী করা হয়েছে। নিশ্চয়ই তুমি সুপ্রতিষ্ঠিত পথের উপরই রয়েছ।
وَاِنَّهٗ لَذِكْرٌ لَّكَ وَلِقَوْمِكَ ۚ وَسَوْفَ تُسْـَٔلُوْنَ
নিশ্চয় এ কুরআন তোমার জন্যে এবং তোমার জাতির জন্যে সংবিধান। আর শীঘ্রই তোমাদেরকে (এই কোরআন সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করা হবে।
*43(44), নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 27(83,84),7(6),39(71),67(7-10)...।
وَسْـَٔلْ مَنْ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رُّسُلِنَاۤ اَجَعَلْنَا مِنْ دُوْنِ الرَّحْمٰنِ اٰلِـهَةً يُّعْبَدُوْنَ
আর তুমি তাদের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখো, আমার রাসূলদের মধ্য হতে যাদেরকে আমি তোমার পূর্বে পাঠিয়েছি, আমি কি দয়াময় ব্যতীত অন্য কোনো বিধানদাতাকে নির্ধারণ করে দিয়েছি ? যার দাসত্ব করা যাবে ?
وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا مُوْسٰي بِاٰيٰتِنَاۤ اِلٰي فِرْعَوْنَ وَمَلَا۠ئِهٖ فَقَالَ اِنِّيْ رَسُوْلُ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ
আর নিশ্চয়ই আমি মূসাকে আমার আয়াতসমূহ সহ ফিরআউন ও তার পরিষদবর্গের (মৌলভী হুজুরদের) কাছে পাঠিয়েছি। সুতরাং মূসা বলে, নিশ্চয়ই আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের রাসূল।
فَلَمَّا جَآءَهُمْ بِاٰيٰتِنَاۤ اِذَا هُمْ مِّنْهَا يَضْحَكُوْنَ
অতঃপর মূসা যখন আমার আয়াতসমূহ সহ তাদের কাছে আসে, তখন তারা তা নিয়ে হাসি ঠাট্টা শুরু করে দেয়।
وَمَا نُرِيْهِمْ مِّنْ اٰيَةٍ اِلَّا هِيَ اَكْبَرُ مِنْ اُخْتِهَا ۫ وَاَخَذْنٰهُمْ بِالْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُوْنَ
আর আমি তাদেরকে যখন আয়াত থেকে দেখাই, তা কিন্তু অন্য আয়াতের তুলনায় বড়ই উৎকৃষ্ট হয়। আর আমি তাদেরকে শাস্তির মাধ্যমে পাকড়াও করি, যাতে তারা ফিরে আসে।
وَقَالُوْا يٰۤاَيُّهَ السّٰحِرُ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَ ۚ اِنَّنَا لَمُهْتَدُوْنَ
অথচ তারা বলে, হে যাদুকর (মুসা) ! আমাদের জন্যে আপনার প্রতিপালকের কাছে এ ব্যাপারে প্রার্থনা করুন, যেজন্যে তিনি আপনার সাথে অঙ্গীকার করেছেন। তাহলে আমরা অবশ্যই সঠিক পথে এসে পড়বো।
فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ الْعَذَابَ اِذَا هُمْ يَنْكُثُوْنَ
কিন্তু আমি যখন তাদের উপর থেকে শাস্তি দূর করে দিই, তখন তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে।
وَنَادٰي فِرْعَوْنُ فِيْ قَوْمِهٖ قَالَ يٰقَوْمِ اَلَيْسَ لِيْ مُلْكُ مِصْرَ وَهٰذِهِ الْاَنْهٰرُ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِيْ ۚ اَفَلَا تُبْصِرُوْنَ ؕ
আর ফিরআউন তার জাতির লোকজনের মধ্যে একদিন ঘোষণা দিয়ে বলে, (মিসরের) রাজধানী শহরের রাজত্ব কি আমার নয়? আর এই যে নদীগুলো দেখছো, যা আমার নিচ থেকে বয়ে যাচ্ছে, তবে তোমরা কি দেখতে পাও না !
اَمْ اَنَا خَيْرٌ مِّنْ هٰذَا الَّذِيْ هُوَ مَهِيْنٌ ۙ وَّلَا يَكَادُ يُبِيْنُ
অথবা আমি কি এই মুসার চেয়ে উত্তম নয়? যে হীন এবং স্পষ্ট বর্ণনা করতে পারে না।
فَلَوْلَاۤ اُلْقِيَ عَلَيْهِ اَسْوِرَةٌ مِّنْ ذَهَبٍ اَوْ جَآءَ مَعَهُ الْمَلٰٓئِكَةُ مُقْتَرِنِيْنَ
তাই যদি না হবে, তাহলে কেনো তাকে সোনার তৈরী বালা দেওয়া হলো না ? অথবা মালা-ইকারা তার সাথে দল বেঁধে কেনো আসছে না?
فَاسْتَخَفَّ قَوْمَهٗ فَاَطَاعُوْهُ ؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِيْنَ
মোট কথা এভাবে সে তার জাতিকে বোকা বানায়। তখন তারাও তাকে মেনে নেয়। নিশ্চয়ই তারা সত্যত্যাগী সম্প্রদায় ।
فَلَمَّاۤ اٰسَفُوْنَا انْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَاَغْرَقْنٰهُمْ اَجْمَعِيْنَ ۙ
অতঃপর তারা যখন আমাকে বিরক্ত করে ফেলে, তখন আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিই। আর আমি তাদের সকলকেই ডুবিয়ে দিই।
فَجَعَلْنٰهُمْ سَلَفًا وَّمَثَلًا لِّلْاٰخِرِيْنَ
এরপর আমি তাদেরকে অতীতের ইতিহাস ও শিক্ষার দৃষ্টান্ত বানিয়ে পরবর্তীদের জন্যে রেখে দিয়েছি।
وَلَمَّا ضُرِبَ ابْنُ مَرْيَمَ مَثَلًا اِذَا قَوْمُكَ مِنْهُ يَصِدُّوْنَ
আর যখন মারইয়ামের পুত্রকে একটি দৃষ্টান্তরূপে পেশ করা হয়, তখন কিন্তু তোমার জাতি হৈ চৈ শুরু করে দেয়।
وَقَالُوْۤاءَ اٰلِهَتُنَا خَيْرٌ اَمْ هُوَ ؕ مَا ضَرَبُوْهُ لَكَ اِلَّا جَدَلًا ؕ بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُوْنَ
আর তারা বলতে লাগে, আমাদের ইলা-হ-দেবতারা কি উত্তম, না কি সে? তারা যে একথা তোমাকে বলে তার মূল উদ্দেশ্য শুধু ঝগড়া করা ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং তারা ঝগড়াটে সম্প্রদায়।
اِنْ هُوَ اِلَّا عَبْدٌ اَنْعَمْنَا عَلَيْهِ وَجَعَلْنٰهُ مَثَلًا لِّبَنِيْۤ اِسْرَآءِيْلَ ؕ
সে তো একজন দাস ব্যতীত অন্য কিছু নয়। আমিই তার উপর অনুগ্রহ করেছি। আর তাকে আমি ইসরাঈল সন্তানদের জন্যে আদর্শস্বরূপ বানিয়েছি।
وَلَوْ نَشَآءُ لَجَعَلْنَا مِنْكُمْ مَّلٰٓئِكَةً فِي الْاَرْضِ يَخْلُفُوْنَ
আর আমি যদি ইচ্ছা করতাম তোমাদের জায়গায় শক্তিধর মালা-ইকাদেরকে পৃথিবীতে উত্তারাধিকারী বানাতাম।
وَاِنَّهٗ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَاتَّبِعُوْنِ ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ
আর নিশ্চয় তিনিই (আল্লাহ) একমাত্র বিশেষ সময়ের জ্ঞান রাখেন। সুতরাং তোমরা কিয়ামত সম্বন্ধে সন্দেহ করো না। আর তোমরা আমাকেই অনুসরণ কর। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত পথ।
*43(61) আয়াতের ব্যাখ্যায় 31(34)...।
وَلَا يَصُدَّنَّكُمُ الشَّيْطٰنُ ۚ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ
আর শয়তান যেনো তোমাদেরকে বাধা দিতে না পারে। নিশ্চয়ই সে তোমাদের জন্যে প্রকাশ্য শত্রু।
وَلَمَّا جَآءَ عِيْسٰي بِالْبَيِّنٰتِ قَالَ قَدْ جِئْتُكُمْ بِالْحِكْمَةِ وَلِاُبَيِّنَ لَكُمْ بَعْضَ الَّذِيْ تَخْتَلِفُوْنَ فِيْهِ ۚ فَاتَّقُوا اللّٰهَ وَاَطِيْعُوْنِ
আর যখন ঈসা সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসে, তখন সে বলে, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের কাছে বিজ্ঞান নিয়ে এসেছি এবং এসেছি তোমরা যেসব বিষয় নিয়ে মতবিরোধ করছো তা সুস্পষ্ট করার জন্যে। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো’।
اِنَّ اللّٰهَ هُوَ رَبِّيْ وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوْهُ ؕ هٰذَا صِرَاطٌ مُّسْتَقِيْمٌ
নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার প্রতিপালক , আর তোমাদেরও প্রতিপালক। অতএব তাঁর দাসত্ব করো, এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত পথ।হ আমার প্রতিপালক , আর তোমাদেরও প্রতিপালক।
فَاخْتَلَفَ الْاَحْزَابُ مِنْۢ بَيْنِهِمْ ۚ فَوَيْلٌ لِّلَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مِنْ عَذَابِ يَوْمٍ اَلِيْمٍ
অতঃপর মানুষেরা মতবিরোধ করে তাদের মাঝে বিভিন্ন দল মতবাদ বানিয়ে নিয়েছে। সুতরাং নিদারুণ শাস্তির দিনে দুর্ভোগ তাদের জন্যে তারা সীমালঙ্ঘন করেছে।
هَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا السَّاعَةَ اَنْ تَاْتِيَهُمْ بَغْتَةً وَّهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ
তারা কি বিশেষ সময় (কিয়ামতের) জন্যেই অপেক্ষা করছে? তা অবশ্য তাদের উপর হঠাৎ করেই আসবে কিন্তু তারা তা টেরও পাবে না।
اَلْاَخِلَّآءُ يَوْمَئِذٍۭ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ اِلَّا الْمُتَّقِيْنَ ؕ
সেদিন বন্ধুরা তাদের একে অপরের জন্যে শত্রু হয়ে যাবে, তবে মহৎ ব্যক্তিদের ছাড়া।
يٰعِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ وَلَاۤ اَنْتُمْ تَحْزَنُوْنَ ۚ
(বলা হবে) হে আমার দাসেরা! আজ তোমাদের উপর কোনো ভয় নেই, আর তোমরা চিন্তা করবে না।
اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِاٰيٰتِنَا وَكَانُوْا مُسْلِمِيْنَ ۚ
যারা আমার আয়াতগুলোর উপরে ঈমান এনেছো, আর আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম হিসেবেই ছিলে।
اُدْخُلُوا الْجَنَّةَ اَنْتُمْ وَاَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُوْنَ
তোমরা আর তোমাদের জোড়া সবাই আনন্দের সাথে জান্নাতে প্রবেশ করো।
يُطَافُ عَلَيْهِمْ بِصِحَافٍ مِّنْ ذَهَبٍ وَّاَكْوَابٍ ۚ وَفِيْهَا مَا تَشْتَهِيْهِ الْاَنْفُسُ وَتَلَذُّ الْاَعْيُنُ ۚ وَاَنْتُمْ فِيْهَا خٰلِدُوْنَ ۚ ।
তাদের কাছে স্বর্ণের তৈরী থালাসমূহ ও স্বর্ণের তৈরী পানপাত্রসমূহ পরিবেশন করা হবে। আর তার মধ্যে থাকবে যা তাদের মন চাইবে, আর তা দেখে তাদের চোখগুলো তৃপ্ত হবে। আর (বলা হবে) তোমরা এখানে চিরকাল বাস করো
وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِيْۤ اُوْرِثْتُمُوْهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ
এই সেই জান্নাত, তোমাদেরকে যার উত্তরাধিকারী করা হয়েছে, তোমরা যা করেছো তারই বিনিময়ে।
لَكُمْ فِيْهَا فَاكِهَةٌ كَثِيْرَةٌ مِّنْهَا تَاْكُلُوْنَ
সেখানে তোমাদের জন্যে প্রচুর ফলমূল থাকবে, যা থেকে তোমরা খাবে।
اِنَّ الْمُجْرِمِيْنَ فِيْ عَذَابِ جَهَنَّمَ خٰلِدُوْنَ ۚۖ
আর অপরাধীরা জাহান্নামের শাস্তিতে চিরকাল ভুগতে থাকবে।
لَا يُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَهُمْ فِيْهِ مُبْلِسُوْنَ ۚ
তাদের উপর থেকে শাস্তি হালকা করা হবে না। আর সেখানে তারা হতাশ হয়ে পড়ে থাকবে।
وَمَا ظَلَمْنٰهُمْ وَلٰكِنْ كَانُوْا هُمُ الظّٰلِمِيْنَ
আমি তো আর তাদের উপরে অত্যাচার করিনি। কিন্তু তারা নিজেরাই তো নিজেদের উপর অত্যাচারী ছিলো।
وَنَادَوْا يٰمٰلِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ ؕ قَالَ اِنَّكُمْ مّٰكِثُوْنَ
তারা আরোও আর্তনাদ করে বলবে, হে মালিক (জাহান্নামের প্রহরী) তোমার প্রতিপালককে বলো, আমাদেরকে শেষ করে দিক ! সে বলবে, ‘নিশ্চয় তোমরা (এভাবেই) অবস্থানকারী’।
لَقَدْ جِئْنٰكُمْ بِالْحَقِّ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كٰرِهُوْنَ
নিশ্চয়ই আমি তোমাদের কাছে সত্য নিয়েই এসেছিলাম। কিন্তু তোমাদের বেশীর ভাগই তো সত্যের প্রতি ঘৃণা পোষণ করতে।
اَمْ اَبْرَمُوْۤا اَمْرًا فَاِنَّا مُبْرِمُوْنَ ۚ
হ্যাঁ, তবে কি তারা কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত করে নিয়েছে ? তবে নিশ্চয়ই আমিও তাদের ব্যাপারে এক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
اَمْ يَحْسَبُوْنَ اَنَّا لَا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَنَجْوٰىهُمْ ؕ بَلٰي وَرُسُلُنَا لَدَيْهِمْ يَكْتُبُوْنَ
তারা মনে করেছে নাকি যে আমি তাদের গোপন কথাবার্তা ও গোপন পরামর্শ শুনতে পাই না ? হ্যাঁ, আমি সবই শুনতে পাই। আমার রাসূলেরা তো তাদের কাছে রয়েছে, তারা লিখছে।
قُلْ اِنْ كَانَ لِلرَّحْمٰنِ وَلَدٌ ۖ فَاَنَا اَوَّلُ الْعٰبِدِيْنَ
তুমি বলো, যদি দয়াময়ের জন্যে কোন সন্তান থাকতো, তবে আমি দাসত্বকারীদের মধ্যে প্রথম হতাম।
سُبْحٰنَ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُوْنَ
তিনিই হলেন আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিপালক, বিশেষ সংসদের প্রতিপালকও তিনি। তারা যা আরোপ করছে তা হতে তিনি পবিত্র মহান।
فَذَرْهُمْ يَخُوْضُوْا وَيَلْعَبُوْا حَتّٰي يُلٰقُوْا يَوْمَهُمُ الَّذِيْ يُوْعَدُوْنَ
সুতরাং তুমি তাদেরকে ছেড়ে দাও। তারা বাকবিতন্ডা ও খেল-তামাশা করতে থাকুক, যতক্ষণ না তারা সেই দিনটির সাক্ষাত পায়, যার প্রতিশ্রুতি তাদের দেওয়া হয়েছে।
وَهُوَ الَّذِيْ فِي السَّمَآءِ اِلٰهٌ وَّفِي الْاَرْضِ اِلٰهٌ ؕ وَهُوَ الْحَكِيْمُ الْعَلِيْمُ
আর তিনিই (আল্লাহ) যিনি আকাশের বিধানদাতা ও পৃথিবীর বিধানদাতা। আর তিনিই মহা-বৈজ্ঞানিক ও মহাজ্ঞানী।
وَتَبٰرَكَ الَّذِيْ لَهٗ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۚ وَعِنْدَهٗ عِلْمُ السَّاعَةِ ۚ وَاِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ
আর তিনি তো বিপুল মর্যাদার অধিকারী, যার জন্যে আকাশের ও পৃথিবীর আর এ দু'য়ের মাঝখানে যা কিছু রয়েছে সে সবের আধিপত্য। আর তাঁর নিকট বিশেষ সময় (কিয়ামতের) জ্ঞান রয়েছে। আর তাঁরই দিকে তোমাদের সবাইকে ফিরে যেতে হবে।
وَلَا يَمْلِكُ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهِ الشَّفَاعَةَ اِلَّا مَنْ شَهِدَ بِالْحَقِّ وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ
আর তাঁকে বাদ দিয়ে মানুষেরা যাদেরকে ডাকছে, তারা সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখে না। তবে কি যারা সত্যের সাক্ষ্য দেয়, আর তারা জেনে শুনে তা মেনে নিয়েছে।
وَلَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَهُمْ لَيَقُوْلُنَّ اللّٰهُ فَاَنّٰي يُؤْفَكُوْنَ ۙ
আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছেন? তখন তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। তাহলে তারা কোথায় ফিরে যাচ্ছে ?
وَقِيْلِهٖ يٰرَبِّ اِنَّ هٰۤؤُلَآءِ قَوْمٌ لَّا يُؤْمِنُوْنَ ۘ
আর তাঁর রাসূলের কথা, হে আমার প্রতিপালক ! এরা তো এমন সম্প্রদায়, যারা ঈমান আনতে চায় না।
فَاصْفَحْ عَنْهُمْ وَقُلْ سَلٰمٌ ؕ فَسَوْفَ يَعْلَمُوْنَ
সুতরাং তুমি তাদেরকে এড়িয়ে চলো এবং বলো, ‘সালাম’; অতঃপর তারা শীঘ্রই জানতে পারবে