সূরা : আল ইমরান

الٓمٓ

আলিফ লাম মিম।

সূরা : আল ইমরান

ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّومُ


আল্লাহ এমন সত্তা, তিনি ছাড়া কোন সত্যিকরের বিধান দাতা নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরপ্রতিষ্ঠিত (সর্বসত্তার ধারক)।

সূরা : আল ইমরান

نَزَّلَ عَلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنزَلَ ٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَ


তিনি তোমার উপর সত্যসহ আল কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। সত্যায়নকারী তার, যা তাদের দুই হাতের মাঝে আছে। আর তিনি অবতীর্ণ করেছেন বিশেষ আইন ও বিশেষ সুসংবাদ। 

সূরা : আল ইমরান

مِن قَبْلُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَأَنزَلَ ٱلْفُرْقَانَۗ إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ ذُو ٱنتِقَامٍ


পূর্ব থেকেই মানুষের জন্য সঠিক পথপ্রদর্শক হিসাবে। আর তিনি সত্য মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী ফুরকান অবতীর্ণ করেছেন। নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। আর আল্লাহ মহা সম্মানী ও কঠিন প্রতিশোধ গ্রহণকারী।

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَخْفَىٰ عَلَيْهِ شَىْءٌ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَا فِى ٱلسَّمَآءِ


নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন সত্তা, তাঁর কাছে পৃথিবীর মধ্যে কিংবা আকাশের মধ্যে কোন কিছুই গোপন থাকে না। 

সূরা : আল ইমরান

هُوَ ٱلَّذِى يُصَوِّرُكُمْ فِى ٱلْأَرْحَامِ كَيْفَ يَشَآءُۚ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ


তিনি সেই সত্তা, যিনি জরায়ুর মধ্যে তোমাদের আকার আকৃতি গঠন করেন, যেভাবে তিনি চান, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন আইনদাতা নেই; তিনি হলেন মহা সন্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : আল ইমরান

هُوَ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ عَلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ مِنْهُ ءَايَٰتٌ مُّحْكَمَٰتٌ هُنَّ أُمُّ ٱلْكِتَٰبِ وَأُخَرُ مُتَشَٰبِهَٰتٌۖ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَٰبَهَ مِنْهُ ٱبْتِغَآءَ ٱلْفِتْنَةِ وَٱبْتِغَآءَ تَأْوِيلِهِۦۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُۥٓ إِلَّا ٱللَّهُۗ وَٱلرَّٰسِخُونَ فِى ٱلْعِلْمِ يَقُولُونَ ءَامَنَّا بِهِۦ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَاۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّآ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ

তিনিই‌ তোমার উপর আল কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তার একাংশ হচ্ছে মুহকামাত (আদেশ নিষেধ সূচক হুকুমের আয়াত), আর তা-ই হচ্ছে আল কিতাবের মা তথা মূল অংশ। আর অপর অংশ হচ্ছে, সাদৃস্যপূর্ণ (একে অপরের সাথে মিলেমিশে থাকা আয়াত)। সুতরাং যাদের মনে কুটিলতা রয়েছে, তারাই সাদৃস্যপূর্ণ অংশ নিয়ে মেতে উঠে ব্যাখ্যার (ফিতনা ফ্যাসাদ ও সে সবের তাফসীর এবং শানে নুযূলের) খোঁজে। অথচ সে সবের বিবরণ কেবলমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। যারা জ্ঞানের ব্যাপারে সুগভীর তারা বলে, আমরা এসবের উপর বিশ্বাস করে নিয়েছি। সবই আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে এসেছে।বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের ছাড়া (এসব থেকে) কেউ শিক্ষা নেয় না।* 

*3(7)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(43)...।
আর متشبهات/"মুতাশাবিহাত" শব্দের ব্যাখ্যায় 39(23),2(25),6(99,141)...।
সুস্পষ্ট আয়াত সম্পর্কে 2(118,187,219,221,242,266),3(103,118),5(75,89),6(105),24(18,58,59,61),57(17)...।

সূরা : আল ইমরান

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةًۚ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْوَهَّابُ


হে আমাদের প্রতিপালক! সঠিক পথ দেখানোর পরে আমাদের অন্তরগুলো আপনি বাঁকা করবেন না। আর আপনার নিকট থেকে আমাদের জন্য দয়া দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা । 

সূরা : আল ইমরান

رَبَّنَآ إِنَّكَ جَامِعُ ٱلنَّاسِ لِيَوْمٍ لَّا رَيْبَ فِيهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُخْلِفُ ٱلْمِيعَادَ


হে আমাদের প্রতিপালক ! নিশ্চয়ই আপনি মানুষকে একদিন সমবেত করবেন, যে ‍দিনের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَن تُغْنِىَ عَنْهُمْ أَمْوَٰلُهُمْ وَلَآ أَوْلَٰدُهُم مِّنَ ٱللَّهِ شَيْـًٔاۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمْ وَقُودُ ٱلنَّارِ


নিশ্চয়ই যারা অস্বীকার করেছে, তাদের জন্য তাদের ধনসম্পদ, সন্তানাদি আল্লাহর কাছে কিছুমাত্র উপকার দিবে না। আর এরাই হবে আগুনের ইন্ধন। 

সূরা : আল ইমরান

كَدَأْبِ ءَالِ فِرْعَوْنَ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْۚ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا فَأَخَذَهُمُ ٱللَّهُ بِذُنُوبِهِمْۗ وَٱللَّهُ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ


ঠিক যেমন ফিরআউনে সম্প্রদায় এবং তাদের পূর্বেও যারা আমার আয়াগুলোকে অস্বীকার করেছে। তাদেরকে আল্লাহ পাকড়াও করেছেন তাদেরই পাপের কারণে। আল্লাহ বড়ই কঠোর শাস্তি দানকারী।

সূরা : আল ইমরান

قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَتُغْلَبُونَ وَتُحْشَرُونَ إِلَىٰ جَهَنَّمَۚ وَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ

তুমি বলে দাও ! তোমরা যারা অস্বীকার করে যাচ্ছ-শীঘ্রই তোমরা পরাজিত হবে এবং জাহান্নামের দিকে তোমাদেরকে একত্র করা হবে। আর তা অতিনিকৃষ্ট আবাস্থল।

সূরা : আল ইমরান

قَدْ كَانَ لَكُمْ ءَايَةٌ فِى فِئَتَيْنِ ٱلْتَقَتَاۖ فِئَةٌ تُقَٰتِلُ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَأُخْرَىٰ كَافِرَةٌ يَرَوْنَهُم مِّثْلَيْهِمْ رَأْىَ ٱلْعَيْنِۚ وَٱللَّهُ يُؤَيِّدُ بِنَصْرِهِۦ مَن يَشَآءُۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّأُو۟لِى ٱلْأَبْصَٰرِ


নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য একটি নিদর্শন রয়েছে সেই দু'টো দলের বিবরণে, যারা পরস্পর সম্মুখীন হয়। একদল তো আল্লাহর (কোরআনের) পথে অপমান হয়, অন্য দলটি কাফির হয়। তারা নিজেদের তুলনায় মুমিনদেরকে দ্বিগুণ বেশি দেখে, শুধু চোখের নজরেই। যে উপযুক্ত আল্লাহ‌ তাঁর সাহায্য দিয়ে তাকে শক্তিশালী করেন। নিশ্চয় এর মধ্যে অন্তরদৃষ্টি সম্পন্ন লোকদের জন্য শিক্ষা রয়েছে।

সূরা : আল ইমরান

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ ٱلشَّهَوَٰتِ مِنَ ٱلنِّسَآءِ وَٱلْبَنِينَ وَٱلْقَنَٰطِيرِ ٱلْمُقَنطَرَةِ مِنَ ٱلذَّهَبِ وَٱلْفِضَّةِ وَٱلْخَيْلِ ٱلْمُسَوَّمَةِ وَٱلْأَنْعَٰمِ وَٱلْحَرْثِۗ ذَٰلِكَ مَتَٰعُ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَاۖ وَٱللَّهُ عِندَهُۥ حُسْنُ ٱلْمَـَٔابِ

লোকদের জন্য মনোরম করা হয়েছে কামনার আসক্তি হিসাবে নারীদের থেকে, সন্তানদের থেকে, সোনা ও রূপার থেকে, চিহ্নিত যানবাহন থেকে, গবাদিপশু ও ক্ষেতখামার থেকে। এসব দুনিয়ার জীবনের ভোগসামগ্রী। কিন্তু আল্লাহ (এমন সত্তা) যার কাছে রয়েছে উত্তম আশ্রয়স্থল।

সূরা : আল ইমরান

قُلْ أَؤُنَبِّئُكُم بِخَيْرٍ مِّن ذَٰلِكُمْۚ لِلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّٰتٌ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَٰجٌ مُّطَهَّرَةٌ وَرِضْوَٰنٌ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ بَصِيرٌۢ بِٱلْعِبَادِ

তুমি বলো, আমি কি তোমাদেরকে এসব অপেক্ষা উত্তম জিনিসের সংবাদ দেব? যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে রয়েছে-জান্নাতের বাগিচাসমূহ। যার পাদদেশ হতে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে-সেখানে তারা চিরকাল বাস করবে। পবিত্র সঙ্গীগণ এবং আল্লাহর পক্ষ হতে সন্তুষ্টি থাকবে। আর আল্লাহ দাসদের উপর খুব দৃষ্টি রাখেন।

সূরা : আল ইমরান

ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَآ إِنَّنَآ ءَامَنَّا فَٱغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ


যারা বলছে হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা তো ঈমান এনেছি। অতএব আমাদের পাপগুলো ক্ষমা করুন। এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে বাঁচান। 

সূরা : আল ইমরান

ٱلصَّٰبِرِينَ وَٱلصَّٰدِقِينَ وَٱلْقَٰنِتِينَ وَٱلْمُنفِقِينَ وَٱلْمُسْتَغْفِرِينَ بِٱلْأَسْحَارِ


তারাই ধৈর্যশীল, সত্যবাদী-সত্যপন্থী, বিনীত-অনুগত, (আল্লাহর নির্দেশিত পথে) ব্যায়কারী আর রাতের শেষপ্রান্তে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। 

সূরা : আল ইমরান

شَهِدَ ٱللَّهُ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ وَأُو۟لُوا۟ ٱلْعِلْمِ قَآئِمًۢا بِٱلْقِسْطِۚ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ


আল্লাহ নিজেই সাক্ষী দিচ্ছেন যে, একমাত্র তিনি ছাড়া কোন সত্যিকারের বিধান দাতা নেই। আর মালা-ইকা ও জ্ঞানীগণও যারা ন্যায় নীতিতে প্রতিষ্ঠিত, তিনি ছাড়া কোনও বিধান দাতা নেই, আর তিনিই হলেন মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلْإِسْلَٰمُۗ وَمَا ٱخْتَلَفَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ إِلَّا مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ ٱلْعِلْمُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْۗ وَمَن يَكْفُرْ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَرِيعُ ٱلْحِسَابِ

নিশ্চয় আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য জীবন ব্যবস্থা হচ্ছে একমাত্র ইসলাম/আত্মসমর্পণ করা। যাদের কাছে বিশেষ কিতাবটি রয়েছে তারা জেনে শুনে শুধু নিজেদের মধ্যে জিদ ও হিংসার কারণেই বিরোধীতা করে, তারা ছাড়া অন্য কেউ বিরোধীতা করে না। আর যে কেউ আল্লাহর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের হতে অতি তাড়াতাড়ি হিসাব নিবেন।*

*3(19),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(213),11(117-120),42(14),40(34,35),45(17)...।

সূরা : আল ইমরান

فَإِنْ حَآجُّوكَ فَقُلْ أَسْلَمْتُ وَجْهِىَ لِلَّهِ وَمَنِ ٱتَّبَعَنِۗ وَقُل لِّلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْأُمِّيِّۦنَ ءَأَسْلَمْتُمْۚ فَإِنْ أَسْلَمُوا۟ فَقَدِ ٱهْتَدَوا۟ۖ وَّإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ ٱلْبَلَٰغُۗ وَٱللَّهُ بَصِيرٌۢ بِٱلْعِبَادِ

এখন যদি তারা তোমার সাথে বিতর্ক করে, তবে তুমি বলো, ‘আমি আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করেছি এবং যারা আমার অনুসরণ করেছে তারাও’। আর যাদেরকে আল কিতাব দেয়া হয়েছে তাদেরকে এবং উম্মিদেরকে বল, ‘তোমরা কি আত্মসমর্পণ করেছো’? অতএব তারা যদি আত্মসমর্পণ করে থাকে, তবে নিশ্চয়ই তারা সঠিক পথ পাবে। আর তারা যদি মূখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তোমার দায়িত্ব শুধু দাওয়াত পৌঁছানো। আর আল্লাহ দাসদের উপর খুব দৃষ্টি রাখছেন।*

*3(20),নং আয়াতের আরবী اميي/ "উম্মি" শব্দের দ্বারা তাদেরকে বুঝানো হয়েছে, যারা শুধু মাতৃ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত আল-কিতাবের জ্ঞান রাখেন না। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَيَقْتُلُونَ ٱلنَّبِيِّۦنَ بِغَيْرِ حَقٍّ وَيَقْتُلُونَ ٱلَّذِينَ يَأْمُرُونَ بِٱلْقِسْطِ مِنَ ٱلنَّاسِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ

নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে এবং অন্যায়ভাবে নবীদেরকে অপমান করে, আর মানুষের মধ্য থেকে যারা ন্যায়-পরায়ণতার নির্দেশ দেয় তাদেরকে অপমান করে, তুমি তাদেরকে বড় যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও।

সূরা : আল ইমরান

أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ حَبِطَتْ أَعْمَٰلُهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِ وَمَا لَهُم مِّن نَّٰصِرِينَ


এরাই তো সেই দল দুনিয়া এবং আখিরাতে যাদের সব কাজ নিষ্ফল হয়েছে, তাদের সাহায্যকারী কেউ নেই। 

সূরা : আল ইমরান

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ نَصِيبًا مِّنَ ٱلْكِتَٰبِ يُدْعَوْنَ إِلَىٰ كِتَٰبِ ٱللَّهِ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ يَتَوَلَّىٰ فَرِيقٌ مِّنْهُمْ وَهُم مُّعْرِضُونَ


তুমি কি মানুষকে দেখ না ? যাদেরকে আল কিতাবের থেকে কিছু অংশ দেয়া হয়েছে-যা তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের দিকে আহ্বান জানাচ্ছে, যেন তাদের মধ্যে মীমাংসা করা যায়। এরপর তাদের মধ্য হতে একদল (লাহয়াল হাদিস ও ফেকাহর কিতাবের) দিকে ফিরে যায়, আর তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।

সূরা : আল ইমরান

ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا۟ لَن تَمَسَّنَا ٱلنَّارُ إِلَّآ أَيَّامًا مَّعْدُودَٰتٍۖ وَغَرَّهُمْ فِى دِينِهِم مَّا كَانُوا۟ يَفْتَرُونَ


এটা এজন্য যে, তারা বলে, কক্ষনো আগুন আমাদেরকে স্পর্শ করবে না, তবে (যদি করেও) সীমিত কয়েক দিন মাত্র। তাই তাদের নিজেদের উদ্ভাবন করা জীবন ব্যবস্থা তাদেরকে ধোঁকা দিয়েছে। 

সূরা : আল ইমরান

فَكَيْفَ إِذَا جَمَعْنَٰهُمْ لِيَوْمٍ لَّا رَيْبَ فِيهِ وَوُفِّيَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ

সেদিনের অবস্থা কেমন হবে ? তাদেরকে যেদিন একত্র করা হবে যার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই, আর প্রত্যেক ব্যক্তিকেই তার কৃতকর্মের প্রতিদান পূর্ণভাবে দেয়া হবে, যে যা কামাই করেছে; তাদেরকে জুলুম করা হবে না।

সূরা : আল ইমরান

قُلِ ٱللَّهُمَّ مَٰلِكَ ٱلْمُلْكِ تُؤْتِى ٱلْمُلْكَ مَن تَشَآءُ وَتَنزِعُ ٱلْمُلْكَ مِمَّن تَشَآءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَآءُۖ بِيَدِكَ ٱلْخَيْرُۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ


তুমি বল, হে আল্লাহ ! সব রাজ্যের মালিক তো আপনিই। যে উপযুক্ত তাকে আপনি শাসন ক্ষমতা প্রদান করেন, আর যে অনুপযুক্ত তার থেকে শাসন ক্ষমতা আপনি কেড়ে নেন। এবং উপযুক্ত ব্যক্তিকে আপনি সম্মান প্রদান করেন আর অনুপযুক্ত ব্যক্তিকে আপনি অপমান করেন। আপনার হাতেই তো সব রকমের কল্যাণ রয়েছে। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছুরই উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। 

সূরা : আল ইমরান

تُولِجُ ٱلَّيْلَ فِى ٱلنَّهَارِ وَتُولِجُ ٱلنَّهَارَ فِى ٱلَّيْلِۖ وَتُخْرِجُ ٱلْحَىَّ مِنَ ٱلْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ ٱلْمَيِّتَ مِنَ ٱلْحَىِّۖ وَتَرْزُقُ مَن تَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ


আপনিই তো রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান, আর দিনকে রাতের মধ্যে, আর মৃতদের মধ্য হতে জীবিতদেরকে, আর জীবিতদের মধ্য হতে মৃতদেরকে বের করেন। যে উপযুক্ত আল্লাহ তাকে বেহিসাব জীবিকা/জ্ঞান দান করেন।

সূরা : আল ইমরান

لَّا يَتَّخِذِ ٱلْمُؤْمِنُونَ ٱلْكَٰفِرِينَ أَوْلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلْمُؤْمِنِينَۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ ٱللَّهِ فِى شَىْءٍ إِلَّآ أَن تَتَّقُوا۟ مِنْهُمْ تُقَىٰةًۗ وَيُحَذِّرُكُمُ ٱللَّهُ نَفْسَهُۥۗ وَإِلَى ٱللَّهِ ٱلْمَصِيرُ


মুমিনরা মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করবে না,। যে ব্যক্তি এমন কাজ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোনো সম্পর্ক থাকবে না। তবে তোমরা তাদের থেকে আত্মরক্ষা করলে, আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে সেটা ভিন্ন কথা। আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের সম্পর্কেই সাবধান করেছেন। আর আল্লাহর দিকেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।

সূরা : আল ইমরান

قُلْ إِن تُخْفُوا۟ مَا فِى صُدُورِكُمْ أَوْ تُبْدُوهُ يَعْلَمْهُ ٱللَّهُۗ وَيَعْلَمُ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ


তুমি বলে দাও, তোমাদের মনের মধ্যে যা আছে তা যদি গোপন অথবা প্রকাশ কর আল্লাহ তা জানেন। আকাশসমূহে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, তা আল্লাহ জানেন। আসলে আল্লাহ সব কিছুরই উপর ক্ষমতাবান।

সূরা : আল ইমরান

يَوْمَ تَجِدُ كُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ مِنْ خَيْرٍ مُّحْضَرًا وَمَا عَمِلَتْ مِن سُوٓءٍ تَوَدُّ لَوْ أَنَّ بَيْنَهَا وَبَيْنَهُۥٓ أَمَدًۢا بَعِيدًاۗ وَيُحَذِّرُكُمُ ٱللَّهُ نَفْسَهُۥۗ وَٱللَّهُ رَءُوفٌۢ بِٱلْعِبَادِ

যেদিন সবাই নিজেদের ভালো কাজ সামনে দেখতে পাবে। যা মন্দ করেছে তাও, সেদিন কামনা করবে সেই মন্দ কাজ ও তার মধ্যে যেন বহুদূর ব্যবধান হয়। আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের সম্পর্কে সাবধান করেছেন। আর আল্লাহ দাসদের উপর দয়াশীল।

সূরা : আল ইমরান

قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِى يُحْبِبْكُمُ ٱللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

তুমি বল, তোমরা যদি আল্লাহ‌কে ভালবেসে থাক, তবে তোমরা আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং মাফ করবেন তোমাদের গুনাহ সমূহ। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, মেহেরবান।*

*3(31),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,4(64,80),25(33),42(51,52),..।

সূরা : আল ইমরান

قُلْ أَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَۖ فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلْكَٰفِرِينَ


তুমি বলে দাও, তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর। তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদেরকে ভালোবাসেন না। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰٓ ءَادَمَ وَنُوحًا وَءَالَ إِبْرَٰهِيمَ وَءَالَ عِمْرَٰنَ عَلَى ٱلْعَٰلَمِينَ

নিশ্চয় আল্লাহ আদম, নূহ, ইবরাহীম ও ইমরানের বংশধরদেরকে সারা দুনিয়ার লোকদের উপর মনোনীত করেছেন।*

*3(33) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 35(32),37(112,113),57(26),29(27),6(87)...।

সূরা : আল ইমরান

ذُرِّيَّةًۢ بَعْضُهَا مِنۢ بَعْضٍۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

তারা একে অন্যের থেকে সন্তানসন্ততি এবং আল্লাহ সবকিছুই শোনেন, সবকিছুই জানেন।*

*3(33,34) আয়াতের ব্যাখ্যায় 57(26), 4(163),6(84)...।
যেখানে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, দাঊদ, সুলাইমান, আইয়ুব, ইউসুফ, মুসা ও হারুন নুহের বংশধর। 
আর অন্য দিকে বলা হয়েছে ইউসুফ ইয়াকুবের সন্তান, আর ইয়াকুব ইব্রাহিমের নাতি।

সূরা : আল ইমরান

إِذْ قَالَتِ ٱمْرَأَتُ عِمْرَٰنَ رَبِّ إِنِّى نَذَرْتُ لَكَ مَا فِى بَطْنِى مُحَرَّرًا فَتَقَبَّلْ مِنِّىٓۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ

যখন ইমরানের স্ত্রী বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমার গর্ভে যা আছে, নিশ্চয় আমি তা আপনার কাজের জন্য উৎসর্গ করে দিলাম। অতএব আপনি আমার থেকে তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুই শুনেন ও জানেন।

সূরা : আল ইমরান

فَلَمَّا وَضَعَتْهَا قَالَتْ رَبِّ اِنِّيْ وَضَعْتُهَاۤ اُنْثٰي ؕ وَاللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا وَضَعَتْ ؕ وَلَيْسَ الذَّكَرُ كَالْاُنْثٰي ۚ وَاِنِّيْ سَمَّيْتُهَا مَرْيَمَ وَاِنِّيْۤ اُعِيْذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطٰنِ الرَّجِيْمِ


অতঃপর যখন সে তাকে প্রসব করে, তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক, নিশ্চয় আমি তা প্রসব করেছি কন্যারূপে’। অথচ আল্লাহ খুব ভালো জানেন ঐ সম্পর্কে যা সে প্রসব করেছে। ‘আর ছেলে মেয়ের মতো নয় এবং নিশ্চয় আমি তার নাম রেখেছি মারইয়াম (একমূখী)। আর নিশ্চয় আমি তাকে ও তার বংশধরদেরকে আপনার আশ্রয়ে দিচ্ছি’ অভিশপ্ত শয়তান হতে।

সূরা : আল ইমরান

فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنۢبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّاۖ كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا ٱلْمِحْرَابَ وَجَدَ عِندَهَا رِزْقًاۖ قَالَ يَٰمَرْيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَٰذَاۖ قَالَتْ هُوَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِۖ إِنَّ ٱللَّهَ يَرْزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ

অতঃপর তার প্রতিপালক তাকে উত্তমরূপে কবুল করেছেন। আর তাকে উত্তমরূপে গড়ে তুলেছেন। আর তার তত্বাবাধায়ক বানালেন জাকারিয়্যাকে। যখনই জাকারিয়্যা তার কাছে তার কক্ষে প্রবেশ করত, তখন তার নিকট জীবিকা (জ্ঞানের কথা) পেয়ে সে বলত, হে মারইয়াম এসব তোমার কাছে কোথা থেকে আসে ? মারইয়াম বলে, এসব আল্লাহর কাছ থেকেই আসে। নিশ্চয়ই আল্লাহ যে উপযুক্ত তাকে বেহিসাব জীবিকা/জ্ঞান দান করেন।*

*3(37) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 66(12)

সূরা : আল ইমরান

هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُۥۖ قَالَ رَبِّ هَبْ لِى مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةًۖ إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ


সেখানেই জাকারিয়্যা তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলে, হে আমার প্রতিপালক ! আপনার নিকট থেকে আমাকেও পবিত্র সৎ বংশধর দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। 

সূরা : আল ইমরান

فَنَادَتْهُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ وَهُوَ قَآئِمٌ يُصَلِّى فِى ٱلْمِحْرَابِ أَنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكَ بِيَحْيَىٰ مُصَدِّقًۢا بِكَلِمَةٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَسَيِّدًا وَحَصُورًا وَنَبِيًّا مِّنَ ٱلصَّٰلِحِينَ


অতঃপর মালা-ইকারা তাকে ডেকে বলে, সে যখন তার কক্ষে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় থাকে যে, আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহইয়া সম্পর্কে, সে আল্লাহর পক্ষ থেকে বাণীর সত্যায়নকারী এবং নেতারূপে গণ্য হবে এবং অসৎকাজের বাধা প্রদানকারী এবং সংশোধনকারী নবীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। 

সূরা : আল ইমরান

قَالَ رَبِّ أَنَّىٰ يَكُونُ لِى غُلَٰمٌ وَقَدْ بَلَغَنِىَ ٱلْكِبَرُ وَٱمْرَأَتِى عَاقِرٌۖ قَالَ كَذَٰلِكَ ٱللَّهُ يَفْعَلُ مَا يَشَآءُ


সে বলে, হে আমার প্রতিপালক ! কিরূপে আমার ছেলে হবে ? আমার তো বার্ধক্য পৌঁছে গেছে, আর আমার স্ত্রীও বন্ধ্যা, তিনি বলেন, (সমাজে যেভাবে হয়) এভাবেই আল্লাহ যা ইচ্ছা তা করেন। 

সূরা : আল ইমরান

قَالَ رَبِّ ٱجْعَل لِّىٓ ءَايَةًۖ قَالَ ءَايَتُكَ أَلَّا تُكَلِّمَ ٱلنَّاسَ ثَلَٰثَةَ أَيَّامٍ إِلَّا رَمْزًاۗ وَٱذْكُر رَّبَّكَ كَثِيرًا وَسَبِّحْ بِٱلْعَشِىِّ وَٱلْإِبْكَٰرِ

সে বলে, হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে কোনো নিদর্শন বলে দিবেন ? তিনি বলেন, তোমার নিদর্শন এই যে তুমি তিন দিন মানুষের সাথে ইঙ্গিত ছাড়া কথা বলবে না। তোমার প্রতিপালকের স্মরণ খুব বেশী পরিমাণ করতে থাকবে। এবং প্রভাতে ও সন্ধ্যার সময় তুমি পবিত্রতা ঘোষণা করতে থাকবে।*

*3(41),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 19(11),।

সূরা : আল ইমরান

وَإِذْ قَالَتِ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَٰمَرْيَمُ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰكِ وَطَهَّرَكِ وَٱصْطَفَىٰكِ عَلَىٰ نِسَآءِ ٱلْعَٰلَمِينَ


এবং মালা-ইকারা যখন বলে, হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে মনোনীত করেছেন, পবিত্র করেছেন, সারা বিশ্বের নারীদের উপর তোমাকে মনোনীত করেছেন। 

সূরা : আল ইমরান

يَٰمَرْيَمُ ٱقْنُتِى لِرَبِّكِ وَٱسْجُدِى وَٱرْكَعِى مَعَ ٱلرَّٰكِعِين


হে মারইয়াম ! তোমার প্রতিপালকের (আদেশ নিষেধ পালনের ক্ষেত্রে) অনুগত হও, ও পরম আনুগত্য করো এবং সহযোগিতাকারীদের সাথে সহযোগিতা করো। 

সূরা : আল ইমরান

ذَٰلِكَ مِنْ أَنۢبَآءِ ٱلْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَۚ وَمَا كُنتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلَٰمَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ

এটা গায়েবের খবরাদির থেকে, যা তোমার প্রতি ওহী করছি। তুমি তো আর তাদের কাছে ছিলে না, যখন তাদের মধ্যেকার কোন নেতা কলম চালিয়ে বলেছিল যে, কার তত্ত্ববধানে মারইয়ামের লালন পালন হবে ? আর না তুমি তাদের বাদানুবাদের সময় উপস্থিত ছিলে

সূরা : আল ইমরান

إِذْ قَالَتِ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَٰمَرْيَمُ إِنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٍ مِّنْهُ ٱسْمُهُ ٱلْمَسِيحُ عِيسَى ٱبْنُ مَرْيَمَ وَجِيهًا فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِ وَمِنَ ٱلْمُقَرَّبِينَ

মালা-ইকারা যখন বলে, হে মারইয়াম ! নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে তাঁর পক্ষ হতে একটি কালিমার সাথে সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হবে মারইয়াম পুত্র ঈসা মাসিহ, দুনিয়া ও পরকালে মহা সম্মানের অধিকারী এবং সান্নিধ্যপ্রাপ্তদের মধ্যে গণ্য হবে।

সূরা : আল ইমরান

وَيُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَّمِنَ الصّٰلِحِيْنَ


আর সে মানুষের সাথে কথা বলবে দোলনায় ও পরিণত বয়সে এবং সে হবে সংশোধন কারীদের একজন। 

সূরা : আল ইমরান

قَالَتْ رَبِّ أَنَّىٰ يَكُونُ لِى وَلَدٌ وَلَمْ يَمْسَسْنِى بَشَرٌۖ قَالَ كَذَٰلِكِ ٱللَّهُ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُۚ إِذَا قَضَىٰٓ أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ

মারইয়াম বলে, হে আমার প্রতিপালক ! কেমন করে আমার ছেলে হবে ? অথচ কোন পুরুষ মানুষ আমাকে স্পর্শ করে নাই। তিনি বলেন, এভাবেই আল্লাহ সৃষ্টি করবেন, যেভাবে তিনি সৃষ্টি করে থাকেন। যখন তিনি কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নেন তখন শুধু বলেন - 'কুন' (হও) আর তা হয়ে যায়। 

সূরা : আল ইমরান

وَيُعَلِّمُهُ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَ

আর ঈসরাঈলের সন্তানদের প্রতি রাসূল করে পাঠাবেন। সে বলবে, নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে একটি নিদর্শন সহকারে তোমাদের কাছে এসেছি।
তা এই যে আমি তোমাদের জন্যে মাটির (উপাদান) থেকে উড়ন্ত পাখীর আকৃতির মতো বানাবো, অতঃপর আমি যখন তার মধ্যে ফুক (স্টার্ট) দেব। তখন তা আল্লাহর হুকুমে উড়তে থাকবে। আর আমি আল্লাহর হুকুমে জন্মান্ধকে, কুষ্ঠ ব্যধিগ্রস্তকে সুস্থ করবো এবং মৃতকে জীবিত করবো। তোমরা যা কিছু খাবে আর যা তোমাদের ঘরগুলোতে মওজুদ রাখবে, তা আমি বলে দেব। নিশ্চয়ই এর মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যদি তোমরা মু'মিন হয়েই থাক।*

*3(49),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(110)।

সূরা : আল ইমরান

وَرَسُولًا إِلَىٰ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ أَنِّى قَدْ جِئْتُكُم بِـَٔايَةٍ مِّن رَّبِّكُمْۖ أَنِّىٓ أَخْلُقُ لَكُم مِّنَ ٱلطِّينِ كَهَيْـَٔةِ ٱلطَّيْرِ فَأَنفُخُ فِيهِ فَيَكُونُ طَيْرًۢا بِإِذْنِ ٱللَّهِۖ وَأُبْرِئُ ٱلْأَكْمَهَ وَٱلْأَبْرَصَ وَأُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰ بِإِذْنِ ٱللَّهِۖ وَأُنَبِّئُكُم بِمَا تَأْكُلُونَ وَمَا تَدَّخِرُونَ فِى بُيُوتِكُمْۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لَّكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

আর ঈসরাঈলের সন্তানদের প্রতি রাসূল করে পাঠাবেন। সে বলবে, নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে একটি নিদর্শন সহকারে তোমাদের কাছে এসেছি। তা এই যে আমি তোমাদের জন্যে মাটির (উপাদান) থেকে উড়ন্ত পাখীর আকৃতির মতো বানাবো, অতঃপর আমি যখন তার মধ্যে ফুক (স্টার্ট) দেব। তখন তা আল্লাহর হুকুমে উড়তে থাকবে। আর আমি আল্লাহর হুকুমে জন্মান্ধকে, কুষ্ঠ ব্যধিগ্রস্তকে সুস্থ করবো এবং মৃতকে জীবিত করবো। তোমরা যা কিছু খাবে আর যা তোমাদের ঘরগুলোতে মওজুদ রাখবে, তা আমি বলে দেব। নিশ্চয়ই এর মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যদি তোমরা মু'মিন হয়েই থাক।

সূরা : আল ইমরান

وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَىَّ مِنَ ٱلتَّوْرَىٰةِ وَلِأُحِلَّ لَكُم بَعْضَ ٱلَّذِى حُرِّمَ عَلَيْكُمْۚ وَجِئْتُكُم بِـَٔايَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ


আর আমার আগমন, আমার দুই হাতের মধ্যে বিশেষ আইন থেকে যা কিছু রয়েছে তার সত্যায়ন করার জন্য। আর যেসব জিনিসকে তোমাদের মধ্যকার লোকেরা (ফতোয়াবাজরা) হারাম করে রেখেছে, সেসব হালাল করার জন্য তোমাদের কাছে আমি এসেছি, তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে আয়াতের সহিত। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য করো। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱللَّهَ رَبِّى وَرَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُۗ هَٰذَا صِرَٰطٌ مُّسْتَقِيمٌ

নিশ্চয় আল্লাহ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদের প্রতিপালক ! অতএব তোমরা তাঁরই দাসত্ব কর, এটাই হচ্ছে সুপ্রতিষ্ঠিত পথ !

সূরা : আল ইমরান

فَلَمَّآ أَحَسَّ عِيسَىٰ مِنْهُمُ ٱلْكُفْرَ قَالَ مَنْ أَنصَارِىٓ إِلَى ٱللَّهِۖ قَالَ ٱلْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنصَارُ ٱللَّهِ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَٱشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ

অতঃপর ঈসা যখন তাদের থেকে অবাধ্যতার অনুভব করে, তখন সে বলে কে আছ ! আল্লাহর দিকে আমার সাহায্যকারী ? সাথীরা বলে আমরাই তো আল্লাহর (রাসূলের) সাহায্যকারী, আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি, আপনি সাক্ষী থাকুন আমরা আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম।*

*3(52) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(12),7(157),48(9),3(81)...।

সূরা : আল ইমরান

رَبَّنَآ ءَامَنَّا بِمَآ أَنزَلْتَ وَٱتَّبَعْنَا ٱلرَّسُولَ فَٱكْتُبْنَا مَعَ ٱلشَّٰهِدِينَ


হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি যা অবতীর্ণ করেছেন, আমরা ঐ বিষয়ে ঈমান এনেছি, আর রাসূলের অনুসরণ করেছি। অতএব আমাদের (নাম) সাক্ষ্যদাতাদের সাথে লিখে নিন।

সূরা : আল ইমরান

وَمَكَرُوا۟ وَمَكَرَ ٱللَّهُۖ وَٱللَّهُ خَيْرُ ٱلْمَٰكِرِينَ


আর তারা যড়যন্ত্র করে আর আল্লাহ কৌশল করেন। আসলে আল্লাহ সব ষড়যন্ত্রকারীদের উত্তম (কৌশলী)। 

সূরা : আল ইমরান

إِذْ قَالَ ٱللَّهُ يَٰعِيسَىٰٓ إِنِّى مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَىَّ وَمُطَهِّرُكَ مِنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَجَاعِلُ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوكَ فَوْقَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِۖ ثُمَّ إِلَىَّ مَرْجِعُكُمْ فَأَحْكُمُ بَيْنَكُمْ فِيمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ

আল্লাহ যখন বললেন হে ঈসা ! নিশ্চয়ই আমি তোমাকে ওফাত (মৃত্যু) দিব। আর আমার কাছে  তোমাকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করব, এবং কাফিরদের থেকে আমি তোমাকে পবিত্র করব, যারা তোমার অনুসরণ করবে তাদেরকে আমি কেয়ামতের দিন পর্যন্ত কাফিরদের উপর বিজয়ী রাখব। এরপর আমারই কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে। অতঃপর আমিই তোমাদের মাঝে ঐ ব্যাপারে ফায়সালা করবো যেসব বিষয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে। *

*3(55),নং আয়াতের وفي/'অফা'শব্দের ব্যাখ্যায় 6(61),39(42),
এবং رفع/'রফা' শব্দের ব্যাখ্যায় 2(253),6(83),7(176),19(56,57),35(10),43(32),49(2),58(11),94(4),40(15)।

সূরা : আল ইমরান

فَأَمَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَأُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِ وَمَا لَهُم مِّن نَّٰصِرِينَ


তাই যারা অমান্য করবে তাদেরকে আমি দুনিয়া ও পরকালে বড়ই কঠোর শাস্তি দিবো, তাদের সাহায্যকারী কেউ থাকবে না। 

সূরা : আল ইমরান

وَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلظَّٰلِمِينَ


আর যারা ঈমান আনবে ও সংশোধনের কাজ করবে, তখন তিনি তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দিবেন। জালিমদেরকে আল্লাহ ভাল বাসেন না।

সূরা : আল ইমরান

ذَٰلِكَ نَتْلُوهُ عَلَيْكَ مِنَ ٱلْءَايَٰتِ وَٱلذِّكْرِ ٱلْحَكِيمِ

এটি আমি তোমার কাছে তিলাওয়াত করছি, আয়াতসমূহ ও বিজ্ঞানময় উপদেশ থেকে।

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ مَثَلَ عِيسَىٰ عِندَ ٱللَّهِ كَمَثَلِ ءَادَمَۖ خَلَقَهُۥ مِن تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ


নিশ্চয় আল্লাহর নিকট ঈসার উদাহরণ (আদম) একটি মানুষের উদাহরণের মতো। তাকে তিনি মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি তাকে বলেন হয়ে যাও, তখনই সে হয়ে যায়।

সূরা : আল ইমরান

ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلَا تَكُن مِّنَ ٱلْمُمْتَرِينَ


মহা সত্য তা তো তোমার প্রতিপালকের কাছ থেকেই এসেছে। সুতরাং তুমি সন্দেহপোষণ কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।

সূরা : আল ইমরান

فَمَنْ حَآجَّكَ فِيهِ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَكَ مِنَ ٱلْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا۟ نَدْعُ أَبْنَآءَنَا وَأَبْنَآءَكُمْ وَنِسَآءَنَا وَنِسَآءَكُمْ وَأَنفُسَنَا وَأَنفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَل لَّعْنَتَ ٱللَّهِ عَلَى ٱلْكَٰذِبِينَ

অতঃপর যে কেউ তোমার সাথে এ ব্যাপারে বিতর্ক করবে - সঠিক জ্ঞান তোমার কাছে পোঁছানোর পরেও; তাহলে তুমি বলবে, আসো আমরা ডেকে নেই আমাদের ছেলেদেরকে ও তোমাদের ছেলেদেরকে। আর আমাদের নারীদেরকে ও তোমাদের নারীদেরকে এবং আমাদের নিজেদেকরে এবং তোমাদের নিজিদেরকে, এরপর আমরা বিনীতভাবে আবেদন করি, অতঃপর আমরা সবাই মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ দিই। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ ٱلْقَصَصُ ٱلْحَقُّۚ وَمَا مِنْ إِلَٰهٍ إِلَّا ٱللَّهُۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ


নিশ্চয় এটি সেই সত্য বিবরণ। আর আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকারের আইন দাতা নেই এবং নিশ্চয় আল্লাহ, তিনিই হলেন মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : আল ইমরান

فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِٱلْمُفْسِدِينَ

এর পরেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (জেনে রাখ) নিশ্চয়ই আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : আল ইমরান

قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ تَعَالَوْا۟ إِلَىٰ كَلِمَةٍ سَوَآءٍۭ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا ٱللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِۦ شَيْـًٔا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِّن دُونِ ٱللَّهِۚ فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَقُولُوا۟ ٱشْهَدُوا۟ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ

বল, ‘হে আল কিতাবধারীগণ, তোমরা এমন একটি বাণীর দিকে আস, যা আমাদের ও তোমাদের মাঝে সমান যে, আমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো দাসত্ব করবো না। আর তাঁর কিতাবের সাথে কোন কিছুকে শরীক করবো না এবং আমাদের কেউ কাউকে আল্লাহ ছাড়া প্রতিপালক হিসাবে গ্রহণ করবে না’। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমরা বল, ‘তোমরা সাক্ষী থাক যে, নিশ্চয় আমরা আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম’।*

*3(64) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 25(2),67(1)...।

সূরা : আল ইমরান

َٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ لِمَ تُحَآجُّونَ فِىٓ إِبْرَٰهِيمَ وَمَآ أُنزِلَتِ ٱلتَّوْرَىٰةُ وَٱلْإِنجِيلُ إِلَّا مِنۢ بَعْدِهِۦٓۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ


হে আল কিতাবধারীগণ ! তোমরা ইবরাহীমের ব্যাপারে কেন বিতর্ক করছ? বিশেষ আইন ও বিশেষ সুসংবাদ  তো তার পর থেকেই  অবতীর্ণ হয়েছে, তবুও কি তোমরা বুঝবে না ? 

সূরা : আল ইমরান

هَٰٓأَنتُمْ هَٰٓؤُلَآءِ حَٰجَجْتُمْ فِيمَا لَكُم بِهِۦ عِلْمٌ فَلِمَ تُحَآجُّونَ فِيمَا لَيْسَ لَكُم بِهِۦ عِلْمٌۚ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تعلمون

হ্যাঁ তোমরা কোরআন সম্পর্কে কিছু জানা থাকলে প্রমাণ পেশ করতে পারো, কিন্তু যে সম্বন্ধে কোরআনের কিছুই জানা নেই, সে ব্যাপারে কেন বিতর্ক করছ ? আল্লাহ সব জানেন তোমরা তো কিছুই জান না।*

*3(66),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 17(36)...।

সূরা : আল ইমরান

مَا كَانَ إِبْرَٰهِيمُ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَٰكِن كَانَ حَنِيفًا مُّسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ


ইবরাহীম ইহুদী কিংবা নাসারা নয়; কিন্তু সে তো একনিষ্ঠ আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম। সে তো আর মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ أَوْلَى ٱلنَّاسِ بِإِبْرَٰهِيمَ لَلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُ وَهَٰذَا ٱلنَّبِىُّ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ۗ وَٱللَّهُ وَلِىُّ ٱلْمُؤْمِنِينَ


নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ইবরাহীমের সাথে তাদেরই মিল আছে, যারা তাকে অনুসরণ করে। এবং এই নবীও আর যারা ঈমান এনেছে তারাও। অবশ্যই আল্লাহ ঈমানদারদের অলি।

সূরা : আল ইমরান

وَدَّت طَّآئِفَةٌ مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ لَوْ يُضِلُّونَكُمْ وَمَا يُضِلُّونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ


আল কিতাবধারীদের মধ্য হতে একদল চায় তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবে। কিন্তু তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে পথভ্রষ্ট করছে না। অথচ সে কথা তারা উপলব্ধি করে না। 

সূরা : আল ইমরান

يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ لِمَ تَكْفُرُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَأَنتُمْ تَشْهَدُونَ


হে আল কিতাবধারীগণ ! কেন আল্লাহর আয়াতগুলোকে তোমরা অস্বীকার করছ ? অথচ তোমরাই সাক্ষী দিচ্ছ। 

সূরা : আল ইমরান

يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ لِمَ تَلْبِسُونَ ٱلْحَقَّ بِٱلْبَٰطِلِ وَتَكْتُمُونَ ٱلْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ


হে আল কিতাবধারীগণ ! কেন সত্যকে (কোরআনকে) অসত্যের (হাদিসের) সাথে মিলাও ? আর তোমরা সত্যকে গোপন করে যাচ্ছো, অথচ তোমরা ভালোভাবেই জানো।

সূরা : আল ইমরান

وَقَالَت طَّآئِفَةٌ مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ ءَامِنُوا۟ بِٱلَّذِىٓ أُنزِلَ عَلَى ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَجْهَ ٱلنَّهَارِ وَٱكْفُرُوٓا۟ ءَاخِرَهُۥ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ


আর আল কিতাবধারীদের মধ্যে হতে একদল বলে, তোমরা মুমিনদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তার উপরে দিনের শুরুতে ঈমান আন, আর দিন শেষে সবাই অস্বীকার করো । তখন সম্ভবত তারা ফিরে আসবে। 

সূরা : আল ইমরান

وَلَا تُؤْمِنُوٓا۟ إِلَّا لِمَن تَبِعَ دِينَكُمْ قُلْ إِنَّ ٱلْهُدَىٰ هُدَى ٱللَّهِ أَن يُؤْتَىٰٓ أَحَدٌ مِّثْلَ مَآ أُوتِيتُمْ أَوْ يُحَآجُّوكُمْ عِندَ رَبِّكُمْۗ قُلْ إِنَّ ٱلْفَضْلَ بِيَدِ ٱللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ

যে তোমাদের জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করে চলে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করবে না। তুমি বলো, নিশ্চয়ই আল্লাহর নির্দেশিত পথই প্রকৃত সঠিক পথ। এটি যে কাউকে দেয়া হবে যেরূপ তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে। নইলে তারা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে তোমাদের সাথে বিতর্ক করবে। তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই সব অনুগ্রহ তো আল্লাহর হাতেই রয়েছে, যে কেউ উপযুক্ত তাকেই তিনি দান করেন। আল্লাহ বিশাল ব্যাপ্তির অধিকারী তিনি সব জানেন। 

সূরা : আল ইমরান

يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِۦ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ ذُو ٱلْفَضْلِ ٱلْعَظِيمِ


যে কেউ উপযুক্ত , তিনি তাঁর অনুগ্রহ দ্বারা একান্ত করে নেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহের অধিকারী।

সূরা : আল ইমরান

وَمِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ مَنْ إِن تَأْمَنْهُ بِقِنطَارٍ يُؤَدِّهِۦٓ إِلَيْكَ وَمِنْهُم مَّنْ إِن تَأْمَنْهُ بِدِينَارٍ لَّا يُؤَدِّهِۦٓ إِلَيْكَ إِلَّا مَا دُمْتَ عَلَيْهِ قَآئِمًاۗ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا۟ لَيْسَ عَلَيْنَا فِى ٱلْأُمِّيِّۦنَ سَبِيلٌ وَيَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ

আল কিতাবধারীদের মধ্যে এমনও লোক রয়েছে যে, যদি তাকে ধন সম্পদের স্তুপ আমানত দাও তোমার নিকট তা ফেরত দিবে। আবার তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যে, যদি তাকে একটি দিনারও আমানত দাও,  তা আর তোমার নিকট ফেরত দিবে না। যতক্ষন না তুমি তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকবে। এটা এজন্যে যে,  তারা বলে, যারা উম্মি তাদের ব্যাপারে আমাদের উপরে কোনো অভিযোগ নেই। তারা আল্লাহর উপরে মিথ্যা বলে, অথচ তারা ভালোভাবে জানে। *

*3(75),নং আয়াতের  امي ,শব্দের ব্যাখ্যায় 2(78)।
আর এখানে سبيل/"সাবি-লুন" শব্দের ব্যাখ্যায় 9(91,93)...।

সূরা : আল ইমরান

بَلَىٰ مَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِۦ وَٱتَّقَىٰ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَّقِينَ


হ্যাঁ বরং যে কেউ নিজের ওয়াদা পূর্ণ করবে ও নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকবে, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকা লোকদেরকেই ভালবাসেন। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ ٱللَّهِ وَأَيْمَٰنِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلًا أُو۟لَٰٓئِكَ لَا خَلَٰقَ لَهُمْ فِى ٱلْءَاخِرَةِ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ ٱللَّهُ وَلَا يَنظُرُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


যারা আল্লাহর সাথে তাদের কৃত প্রতিশ্রুতি আর তাদের শপথ সমূহকে সামান্য মূল্যে বিক্রি করে ফেলে, পরকালে তাদের জন্যে কোন অংশ থাকবে না। আল্লাহ তাদের সাথে কথাও বলবেন না, আর কিয়ামতের দিন তাদের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকাবেন না। তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না। তাদের জন্য রয়েছে অতি কষ্টদায়ক শাস্তি।

সূরা : আল ইমরান

وَإِنَّ مِنْهُمْ لَفَرِيقًا يَلْوُۥنَ أَلْسِنَتَهُم بِٱلْكِتَٰبِ لِتَحْسَبُوهُ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَمَا هُوَ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِ وَمَا هُوَ مِنْ عِندِ ٱللَّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ وَهُمْ يَعْلَمُونَ


তাদের মধ্যে একদল মানুষ আল কিতাব সম্পর্কে এমনভাবে কথা বলে, যেন সেটাকে তোমরা আল কিতাবের অংশ বলে মনে কর, অথচ তা আল-কিতাবের অংশ নয়। তারা বলে, তা (হাদিস, তাফসির ও ফিকাহ) আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছে। অথচ তা আল্লাহর কাছ থেকে আসেনি। তারা জেনে শুনেই আল্লাহর উপরে মিথ্যা চাপিয়ে যায়। 

সূরা : আল ইমরান

مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُؤْتِيَهُ ٱللَّهُ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحُكْمَ وَٱلنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُوا۟ عِبَادًا لِّى مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَٰكِن كُونُوا۟ رَبَّٰنِيِّۦنَ بِمَا كُنتُمْ تُعَلِّمُونَ ٱلْكِتَٰبَ وَبِمَا كُنتُمْ تَدْرُسُونَ

কোন মানুষের পক্ষে এ শোভনীয় নয় যে, আল্লাহ তাকে বিশেষ কিতাব, রাজত্ব করার অধিকার ও নবুওয়াত দান করবেন। এরপর সে মানুষকে বলবে তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে আমার দাস হয়ে যাও। বরং সে বলবে, তোমরা রাব্বানী/আল্লাহ ওয়ালা হয়ে যাও। যেহেতু তোমরা আল কিতাব শিখিয়ে থাক এবং তোমরা নিজেরাও অধ্যায়ন করে থাক।*

*3(79)নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,3(161,146), 5(44,63)...।
আর নবুওয়াতের ব্যপারে 6(89),29(27),45(16),57(26)...।

সূরা : আল ইমরান

وَلَا يَأْمُرَكُمْ أَن تَتَّخِذُوا۟ ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ وَٱلنَّبِيِّۦنَ أَرْبَابًاۗ أَيَأْمُرُكُم بِٱلْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنتُم مُّسْلِمُونَ

তোমাদেরকে তারা একথাও বলবে না,যে তোমরা মালা-ইকাদের ও নবীদেরকে প্রতিপালক হিসাবে গ্রহণ কর। আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম হওয়ার পরেও কি তোমাদেরকে তারা এসব কুফরীর জন্যে নির্দেশ দিবে (তা কি সম্ভব) ?

সূরা : আল ইমরান

وَإِذْ أَخَذَ ٱللَّهُ مِيثَٰقَ ٱلنَّبِيِّۦنَ لَمَآ ءَاتَيْتُكُم مِّن كِتَٰبٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَآءَكُمْ رَسُولٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِۦ وَلَتَنصُرُنَّهُۥۚ قَالَ ءَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَىٰ ذَٰلِكُمْ إِصْرِىۖ قَالُوٓا۟ أَقْرَرْنَاۚ قَالَ فَٱشْهَدُوا۟ وَأَنَا۠ مَعَكُم مِّنَ ٱلشَّٰهِدِينَ

আল্লাহ যখন নবীদের কাছ থেকে এই অঙ্গীকার নিলেন, আমি যা কিছু তোমাদেরকে দিয়েছি একটি কিতাব ও বিজ্ঞান থেকে, এরপর যখন কোনও রাসূল আসবে, তোমাদের কাছে যা (অর্থাৎ যে কিতাবটি) রয়েছে তারই সত্যয়নকারী হিসাবে, তখন তার উপরে তোমরা ঈমান আনবে ও তাকে সাহায্য করবে। সে বলবে, তোমরা কি স্বীকার করেছ ? এ ছাড়া আমার কাছ থেকে এই অঙ্গীকার কি তোমরা মেনে নিয়েছ ? তারা বলবে, আমরা মেনে নিয়েছি, সে বলবে, তাহলে তোমরা সাক্ষী থাক, আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষীদাতাদের অন্তর্ভুক্ত রইলাম।*

*3(81),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,33(7),3(53,81,84,193),57(8),5(12,15),48(8-10)।

সূরা : আল ইমরান

فَمَن تَوَلَّىٰ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَٰسِقُونَ

সুতরাং এরপর যারা ফিরে যাবে, তারাই তো ফাসিক-নাফরমান।

সূরা : আল ইমরান

أَفَغَيْرَ دِينِ ٱللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُۥٓ أَسْلَمَ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ

তাহলে কি তারা আল্লাহর জীবন ব্যবস্থা ব্যতীত অন্য জীবন ব্যবস্থা সন্ধান করছে? অথচ আসমান সমূহ ও যমীনের মধ্যে যা কিছু আছে তা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ করেছে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এবং তাঁরই দিকে তাদের প্রত্যাবর্তন করা হবে।

সূরা : আল ইমরান

قُلْ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ عَلَىٰٓ إِبْرَٰهِيمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ


বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে আমাদের উপর, আর যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের বংশধরদের উপর। আর যা কিছু দেয়া হয়েছে মূসা, ঈসাকে ও অন্যান্য নবীদেরকে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে, আমরা তাদের মধ্য হতে কারো মাঝে পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই প্রতি আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম। 

সূরা : আল ইমরান

وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ ٱلْإِسْلَٰمِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِى ٱلْءَاخِرَةِ مِنَ ٱلْخَٰسِرِينَ


যে কেউ ইসলাম তথা আত্মসমর্পণ করা ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা সন্ধান করবে, তার থেকে তা কখনও গ্রহণ করা হবে না। আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত  হবে। 

সূরা : আল ইমরান

كَيْفَ يَهْدِى ٱللَّهُ قَوْمًا كَفَرُوا۟ بَعْدَ إِيمَٰنِهِمْ وَشَهِدُوٓا۟ أَنَّ ٱلرَّسُولَ حَقٌّ وَجَآءَهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُۚ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِينَ

আল্লাহ কিরূপে এমন সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখাবেন ? যারা ঈমান আনার পর কুফুরী করেছে, তারা সাক্ষ্য দিয়েছে যে এই রাসূল সত্য, তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে। আর আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না। 

সূরা : আল ইমরান

أُو۟لَٰٓئِكَ جَزَآؤُهُمْ أَنَّ عَلَيْهِمْ لَعْنَةَ ٱللَّهِ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةِ وَٱلنَّاسِ أَجْمَعِينَ

এদের উপযুক্ত প্রতিফল হচ্ছে এদের উপর আল্লাহর, মালা-ইকাদের এবং সমগ্র মানব জাতির অভিশাপ।

সূরা : আল ইমরান

خَٰلِدِينَ فِيهَا لَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ ٱلْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنظَرُونَ


তারা তার মধ্যে চিরস্থায়ী হবে। তাদের থেকে শাস্তি হালকা করা হবে না, তাদেরকে অবকাশও দেয়া হবে না। 

সূরা : আল ইমরান

إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُوا۟ مِنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ وَأَصْلَحُوا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


তবে যারা এর পরে তওবার মাধ্যমে ফিরে এসেছে, নিজেদেরকে সংশোধন করে নিয়েছে, তাদের কথা ভিন্ন। তখন নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, মেহেরবান। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بَعْدَ إِيمَٰنِهِمْ ثُمَّ ٱزْدَادُوا۟ كُفْرًا لَّن تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلضَّآلُّونَ


নিশ্চয় যারা তাদের ঈমান আনার পরে অস্বীকার করেছে, এরপর তারা কুফরী বৃদ্ধি করেছে, তাদের তাওবা কক্ষণো কবুল করা হবে না। এরাই তো পথভ্রষ্ট। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَمَاتُوا۟ وَهُمْ كُفَّارٌ فَلَن يُقْبَلَ مِنْ أَحَدِهِم مِّلْءُ ٱلْأَرْضِ ذَهَبًا وَلَوِ ٱفْتَدَىٰ بِهِۦٓۗ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ وَمَا لَهُم مِّن نَّٰصِرِينَ


নিশ্চয় যারা কুফুরী করেছে, আর কাফির অবস্থায় মরে গেছে, তারা যদি বিনিময়ে দুনিয়ার সমান ওজনের স্বর্ণ ফিদিয়া দিতে চায়, তাদের কাছ থেকে এমন বিনিময় কক্ষনো গ্রহণ করা হবে না। এরাই তো সেই দল যাদের জন্য রয়েছে অতি কষ্টদায়ক শাস্তি। এবং তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী থাকবে না।

সূরা : আল ইমরান

لَن تَنَالُوا۟ ٱلْبِرَّ حَتَّىٰ تُنفِقُوا۟ مِمَّا تُحِبُّونَۚ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِن شَىْءٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌ


তোমরা কখনো কল্যাণ অর্জন করতে পারবে না, যতক্ষণ না ব্যয় করবে তা থেকে, যা তোমরা ভালবাস। আর যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : আল ইমরান

كُلُّ ٱلطَّعَامِ كَانَ حِلًّا لِّبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ إِلَّا مَا حَرَّمَ إِسْرَٰٓءِيلُ عَلَىٰ نَفْسِهِۦ مِن قَبْلِ أَن تُنَزَّلَ ٱلتَّوْرَىٰةُۗ قُلْ فَأْتُوا۟ بِٱلتَّوْرَىٰةِ فَٱتْلُوهَآ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

ইসরাঈলের সন্তানদের জন্য সব খাদ্যদ্রব্য বৈধ করা হয়েছে। কিন্তু ইসরাঈল (মুফ্তী-ফতোয়াবাজরা) বিশেষ আইন অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেই নিজেদের পক্ষ হতে হারাম ফতোয়া লাগায়। তুমি বলে দাও, তোমরা বিশেষ আইনগ্রন্থ এনে পাঠ করে দেখতে পার, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।

সূরা : আল ইমরান

فَمَنِ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ مِنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُون


অতএব যারা এর পরেও আল্লাহর উপরে মিথ্যা আরোপ করবে, তারা অবশ্যই জালিম। 

সূরা : আল ইমরান

قُلْ صَدَقَ ٱللَّهُۗ فَٱتَّبِعُوا۟ مِلَّةَ إِبْرَٰهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ

তুমি বলো, ‘আল্লাহ সত্য বলেছেন। সুতরাং তোমরা ইবরাহীমের পথপন্থার অনুসরণ কর একমুখী হয়ে। আর সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়।*

*3(85),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(130),6(83-90,161-163)।

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِى بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَٰلَمِينَ

নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য তৈরী করা হয়েছে, তা ক্রন্দনরত এলাকার সহিত। যা কল্যাণময় ও পথপ্রদর্শনের কেন্দ্র বিশ্ববাসীদের জন্য।*

*3(96),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(107,108),11(73),17(1),5(97)...।
এবং 3(96),নং আয়াতে থাকা আরবী "بكت"/"বাক্কা" শব্দটির ব্যাখ্যায় 9(82),12(16),17(109),19(58),44(29),53(43,60)...।

সূরা : আল ইমরান

فِيهِ ءَايَٰتٌۢ بَيِّنَٰتٌ مَّقَامُ إِبْرَٰهِيمَۖ وَمَن دَخَلَهُۥ كَانَ ءَامِنًاۗ وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلْبَيْتِ مَنِ ٱسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًاۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَنِىٌّ عَنِ ٱلْعَٰلَمِينَ


তার মধ্যে রয়েছে সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ, ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর স্থান, যে কেউ তাতে প্রবেশ করবে, সেই নিরাপদ হবে। এবং মানুষের উপরে আল্লাহর জন্য এখানে আসার সামর্থ যার রয়েছে, সে যেন বিশেষ ঘরের হজ্জ করে। আর যদি কেউ অস্বীকার করে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন।

সূরা : আল ইমরান

قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ لِمَ تَكْفُرُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ شَهِيدٌ عَلَىٰ مَا تَعْمَلُونَ


তুমি বলে দাও , ‘হে কিতাবধারীগণ, তোমরা কেন আল্লাহর আয়াত সমূহকে অস্বীকার করছ ? আর আল্লাহ সাক্ষী তোমরা যা কাজ করছ তার উপর।

সূরা : আল ইমরান

قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ لِمَ تَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ مَنْ ءَامَنَ تَبْغُونَهَا عِوَجًا وَأَنتُمْ شُهَدَآءُۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ


তুমি বলে দাও, হে আল কিতাবধারীগণ ! তোমরা কেন তাকে আল্লাহর পথ (কোরআন) থেকে সরিয়ে রাখছ ? যে তাতে ঈমান এনেছে। তোমরা তো বাকা-বক্র পথই খুজে বেড়াচ্ছ। আর তোমরাও তো সাক্ষী দিচ্ছ। তোমরা যা কাজ করছ আল্লাহ সে বিষয়ে বেখবর নন

সূরা : আল ইমরান

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِن تُطِيعُوا۟ فَرِيقًا مِّنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ يَرُدُّوكُم بَعْدَ إِيمَٰنِكُمْ كَٰفِرِينَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যদি কিতাবধারীদের মধ্য হতে তাদের কোনও দলের আনুগত্য কর-যাদেরকে আল কিতাব দান করা হয়েছে, তাহলে তারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পরে কাফিরদের দলে ফিরিয়ে নিবে।

সূরা : আল ইমরান

وَكَيْفَ تَكْفُرُونَ وَأَنتُمْ تُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ ءَايَٰتُ ٱللَّهِ وَفِيكُمْ رَسُولُهُۥۗ وَمَن يَعْتَصِم بِٱللَّهِ فَقَدْ هُدِىَ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ


আর কিভাবে তোমরা অস্বীকার কর, অথচ তোমাদের নিকট আল্লাহর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হচ্ছে এবং তোমাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছে তাঁর রাসূল। আর যে কেউ আল্লাহর (রুজ্জুকে) দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে তাহলে নিশ্চয় সে সুপ্রতিষ্ঠিত পথের দিকে পরিচালিত হবে।

সূরা : আল ইমরান

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর যথোপযুক্ত ভয়। আর তোমরা আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম হওয়া ছাড়া মৃত্যু বরণ করো না।

সূরা : আল ইমরান

وَٱعْتَصِمُوا۟ بِحَبْلِ ٱللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا۟ۚ وَٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَآءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِۦٓ إِخْوَٰنًا وَكُنتُمْ عَلَىٰ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ ٱلنَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَاۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمْ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ

আর তোমরা সবাই আল্লাহর রজ্জকেু (কোরআনকে) একত্রে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর, তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেয়োনা, তোমরা স্মরণ কর, আল্লাহ যে অনুগ্রহ তোমাদেরকে দান করেছেন, যখন একে অন্যের শত্রু ছিলে, কিন্তু আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি স্থাপন করেছেন, অতপর আল্লাহর অনুগ্রহের ফলে একে অন্যের ভাইরূপে গণ্য হয়েছো, অথচ তোমরা অগ্নিকুণ্ডের কিনারায় দাঁড়িয়েছিলে। তিনি তোমাদেরকে তা থেকে উদ্ধার করেছেন। এভাবে আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ তোমাদের জন্য বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। যাতে তোমরা সঠিক পথ পাও।

সূরা : আল ইমরান

وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى ٱلْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمُنكَرِۚ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ

আর তোমাদের মধ্যে এমন একদল থাকবে যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে ডাকবে আর সুপরিচিত বিধির সাথে নির্দেশ দিবে, আর মন্দকাজ থেকে (নিজেকে ও অন্যদেরকে) ফিরিয়ে রাখবে, আর ঐসব লোকেরাই সফলকাম।*

*3(104),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(146),6(20),29(45)।

সূরা : আল ইমরান

وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ تَفَرَّقُوا۟ وَٱخْتَلَفُوا۟ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُۚ وَأُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ


আর তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা বিছিন্ন হয়েছে এবং মতবিরোধ করেছে, সুস্পষ্ট নিদর্শন তাদের কাছে আসার পরেও। ঐসব লোক তো তারাই, যাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। 

সূরা : আল ইমরান

يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌۚ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ٱسْوَدَّتْ وُجُوهُهُمْ أَكَفَرْتُم بَعْدَ إِيمَٰنِكُمْ فَذُوقُوا۟ ٱلْعَذَابَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ


একদিন কিছু লোকের চেহারা উজ্জ্বল হবে, আর কিছু লোকের চেহারা কালো মলিন হয়ে যাবে। যাদের চেহারা মলিন হবে, তাদেরকে বলা হবে ! তোমরা কি ঈমান আনার পরেও বেঈমানী করেছ ? তাই তোমরা শাস্তির স্বাদ গ্রহণ কর, একারণে যে তোমরা বেইমানী করতে। 

সূরা : আল ইমরান

وَأَمَّا ٱلَّذِينَ ٱبْيَضَّتْ وُجُوهُهُمْ فَفِى رَحْمَةِ ٱللَّهِ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ


যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের মধ্যে আশ্রয় পাবে। চিরকাল তারা তার মধ্যেই থাকবে। 

সূরা : আল ইমরান

تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِٱلْحَقِّۗ وَمَا ٱللَّهُ يُرِيدُ ظُلْمًا لِّلْعَٰلَمِينَ


যাদের চেহারা উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের মধ্যে আশ্রয় পাবে। চিরকাল তারা তার মধ্যেই থাকবে। 

সূরা : আল ইমরান

وَلِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۚ وَإِلَى ٱللَّهِ تُرْجَعُ ٱلْأُمُورُ


আর আসমানসমূহ ও যমীনে যা রয়েছে, তা আল্লাহর জন্যই এবং আল্লাহর দিকেই সকল বিষয় প্রত্যাবর্তিত হবে।

সূরা : আল ইমরান

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِۗ وَلَوْ ءَامَنَ أَهْلُ ٱلْكِتَٰبِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمۚ مِّنْهُمُ ٱلْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ ٱلْفَٰسِقُونَ

 


তোমরা হলে সর্বোউত্তম জাতি, তোমাদেরকে মানবজাতির কল্যাণের জন্যে বের করা হয়েছে। তোমরা সুপরিচিত বিধির সাথে নির্দেশ দিবে, আর অসৎকাজ হতে (নিজেকে ও অন্যদেরকে) ফিরিয়ে রাখবে, আর তোমরা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখবে। আল কিতাবধারীরা যদি ঈমান আনে, তাহলে অবশ্যই তাদেরই কল্যাণ হবে। তাদের মধ্যে কিছু লোক ঈমানদার আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই অমান্যকারী-ফাসিক। 

সূরা : আল ইমরান

لَن يَضُرُّوكُمْ إِلَّآ أَذًىۖ وَإِن يُقَٰتِلُوكُمْ يُوَلُّوكُمُ ٱلْأَدْبَارَ ثُمَّ لَا يُنصَرُونَ

তারা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না কষ্ট দেয়া ছাড়া। আর যদি তারা তোমাদেরকে কতলের মাধ্যমে অসম্মান করেও, তবে তারা তোমাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পালাবে, এরপর তাদের সাহায্যও করা হবে না।

সূরা : আল ইমরান

ضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ ٱلذِّلَّةُ أَيْنَ مَا ثُقِفُوٓا۟ إِلَّا بِحَبْلٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَحَبْلٍ مِّنَ ٱلنَّاسِ وَبَآءُو بِغَضَبٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ ٱلْمَسْكَنَةُۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا۟ يَكْفُرُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَيَقْتُلُونَ ٱلْأَنۢبِيَآءَ بِغَيْرِ حَقٍّۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَوا۟ وَّكَانُوا۟ يَعْتَدُونَ

তাদের উপরে লাঞ্জনা ও অপমানের মার পড়বে, যেখানেই তাদেরকে পাওয়া যাবে, তবে আল্লাহর রজ্জুর সাথে অথবা মানুষের রজ্জুর কথা আলাদা। তারা আল্লাহর থেকে গজব কামাই করছে, তাদের উপরে অভাব চাপানো হয়েছে, কেননা তারা আল্লাহর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে, এবং নবীদেরকে অহেতুক অসম্মান করে, তারা যে অন্যায় ও বাড়াবাড়ি করে, এটা তারই প্রতিফল।

সূরা : আল ইমরান

لَيْسُوا۟ سَوَآءًۗ مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ أُمَّةٌ قَآئِمَةٌ يَتْلُونَ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ ءَانَآءَ ٱلَّيْلِ وَهُمْ يَسْجُدُونَ

তারা সবাই সমান নয়। আল কিতাবধারীদের মধ্য হতে একদল সত্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে। তারা রাতের বেলায় আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে, এবং তারা পরম আনুগত্য করে থাকে।*

3(113),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়, 25(64),39(9)...।

সূরা : আল ইমরান

يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَيَأْمُرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمُنكَرِ وَيُسَٰرِعُونَ فِى ٱلْخَيْرَٰتِ وَأُو۟لَٰٓئِكَ مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ

যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনে, পরকালে বিশ্বাস করে, সুপরিচিত কিতাবের সাথে নির্দেশ দেয়, আর অসৎকাজ থেকে (নিজেকে ও অন্যদেরকে) ফিরিয়ে রাখে, আর কল্যাণকর কাজগুলোর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করে, তারাই তো সংশোধনকারী লোকদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা : আল ইমরান

وَمَا يَفْعَلُوا۟ مِنْ خَيْرٍ فَلَن يُكْفَرُوهُۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِٱلْمُتَّقِينَ


আর তারা যে ভাল কাজ করে, তা কক্ষনো অস্বীকার করা হবে না। আর আল্লাহ মহৎব্যক্তিদের সম্পর্কে অধিক ভালো জানেন।

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَن تُغْنِىَ عَنْهُمْ أَمْوَٰلُهُمْ وَلَآ أَوْلَٰدُهُم مِّنَ ٱللَّهِ شَيْـًٔاۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۚ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ


নিশ্চয় কাফিরদের ধন দৌলত, সন্তান সন্ততি এ সবের কিছুই আল্লাহর সামনে তাদের কোন কাজে আসবে না। আর এরাই তো আগুনের অধিবাসী, তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে।

সূরা : আল ইমরান

مَثَلُ مَا يُنفِقُونَ فِى هَٰذِهِ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا كَمَثَلِ رِيحٍ فِيهَا صِرٌّ أَصَابَتْ حَرْثَ قَوْمٍ ظَلَمُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ فَأَهْلَكَتْهُۚ وَمَا ظَلَمَهُمُ ٱللَّهُ وَلَٰكِنْ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ


তারা দুনিয়ার জীবনে যা ব্যয় করে, তার উদাহরণ সেই বাতাসের ন্যায়, যাতে রয়েছে প্রচন্ড ঠান্ডা, যা পৌঁছে এমন লোকদের শস্যক্ষেতে, যারা তাদের নিজেদের উপর যুলম করেছে। অতঃপর তা শস্যক্ষেতকে ধ্বংস করে দেয়। আর আল্লাহ তাদের উপর যুলম করেননি, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের উপর যুলম করে।

সূরা : আল ইমরান

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوا۟ بِطَانَةً مِّن دُونِكُمْ لَا يَأْلُونَكُمْ خَبَالًا وَدُّوا۟ مَا عَنِتُّمْ قَدْ بَدَتِ ٱلْبَغْضَآءُ مِنْ أَفْوَٰهِهِمْ وَمَا تُخْفِى صُدُورُهُمْ أَكْبَرُۚ قَدْ بَيَّنَّا لَكُمُ ٱلْءَايَٰتِۖ إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা নিজেদের লোকজন ছাড়া কারোর কাছে গোপন তথ্য প্রকাশ করবে না। এরা তোমাদের ক্ষতি করতে চেষ্টার ত্রুটি করবে না।  তোমরা যত বেশী কষ্ট পাবে, ততই তাদের আনন্দ হবে। তাদের মুখ থেকে তারা তোমাদের শত্রুতা করছে। তাদের অন্তরে যা রয়েছে তা তো অনেক বেশী। অবশ্যই আয়াতগুলো পরিস্কার করে তোমাদের জন্য বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, যদি তোমরা বুদ্ধিমান হয়েই থাকো।

সূরা : আল ইমরান

هَٰٓأَنتُمْ أُو۟لَآءِ تُحِبُّونَهُمْ وَلَا يُحِبُّونَكُمْ وَتُؤْمِنُونَ بِٱلْكِتَٰبِ كُلِّهِۦ وَإِذَا لَقُوكُمْ قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَوْا۟ عَضُّوا۟ عَلَيْكُمُ ٱلْأَنَامِلَ مِنَ ٱلْغَيْظِۚ قُلْ مُوتُوا۟ بِغَيْظِكُمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ

শোন ! তোমরাই তাদেরকে ভালবাসো। কিন্তু তারা তোমাদেরকে ভালবাসে না। তোমরা তো আল কিতাবের সবগুলো (আয়াতের) উপরেই বিশ্বাস রাখো। তারা যখন তোমাদের সাথে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে ! আমরাও ঈমান এনেছি। আর যখন তারা একান্তে মিলে, তখন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে তাদের আঙ্গুলগুলোকে আক্রোশের কারণে কামড়ায়। তুমি বলে দাও, তোমরা তোমাদের আক্রোশে মরে যাও। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের অন্তরসমূহের অবস্থা সম্পর্কে খুব জানেন।*

*3118,119) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(85)...।

সূরা : আল ইমরান

إِن تَمْسَسْكُمْ حَسَنَةٌ تَسُؤْهُمْ وَإِن تُصِبْكُمْ سَيِّئَةٌ يَفْرَحُوا۟ بِهَاۖ وَإِن تَصْبِرُوا۟ وَتَتَّقُوا۟ لَا يَضُرُّكُمْ كَيْدُهُمْ شَيْـًٔاۗ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌ

যদি তোমাদের কোনো কল্যাণ স্পর্শ করে, তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর যদি তোমাদের কোন অকল্যাণ পৌঁছে, তাতে তারা খুব আনন্দ করে ! আর তোমরা যদি ধৈর্য ধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তাহলে তাদের চক্রান্ত তোমাদের কিছুমাত্রই ক্ষতি করতে পারবে না। তারা যা কাজ করছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ ঐ বিষয়ে বেষ্টন করে আছেন।*

*3(120),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(50), 30(33),39(8,49),

সূরা : আল ইমরান

وَإِذْ غَدَوْتَ مِنْ أَهْلِكَ تُبَوِّئُ ٱلْمُؤْمِنِينَ مَقَٰعِدَ لِلْقِتَالِۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

তুমি সকাল বেলা যখন ঘর থেকে বেরিয়ে যাও পরিবারের কাছ থেকে, মুমিনদেরকে কিতালের/জন্য (কোরআনের সঠিক বিদ্যা অর্জন করানোর জন্য) সঠিক স্থানে বসানোর ব্যপারে। তখন আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন।

সূরা : আল ইমরান

إِذْ هَمَّت طَّآئِفَتَانِ مِنكُمْ أَن تَفْشَلَا وَٱللَّهُ وَلِيُّهُمَاۗ وَعَلَى ٱللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ ٱلْمُؤْمِنُونَ


তোমাদের মধ্যে দুইদল যখন সাহস হারানোর উপক্রম হয়, তখন কিন্তু আল্লাহ তাদের সাহায্যকারী হিসেবে থাকেন। আল্লাহর উপরেই মুমিনদের নির্ভর করা উচিত। 

সূরা : আল ইমরান

وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ ٱللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنتُمْ أَذِلَّةٌۖ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে পূর্ণচন্দ্রের দ্বারা সাহায্য করেন, আর তোমরা কিন্তু বড়ই দুর্বল থাক, তাই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আশা করা যায় তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।*

*3(123) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(11)...।

সূরা : আল ইমরান

إِذْ تَقُولُ لِلْمُؤْمِنِينَ أَلَن يَكْفِيَكُمْ أَن يُمِدَّكُمْ رَبُّكُم بِثَلَٰثَةِ ءَالَٰفٍ مِّنَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ مُنزَلِينَ


তুমি যখন মুমিনদেরকে বলো, তোমাদের জন্য একি যথেষ্ট নয়? তোমাদের প্রতিপালকই তোমাদেরকে সাহায্য করবেন তিন হাজারের সাথে। মালা-ইকাদের থেকে অবতীর্ণ করে। 

সূরা : আল ইমরান

بَلَىٰٓۚ إِن تَصْبِرُوا۟ وَتَتَّقُوا۟ وَيَأْتُوكُم مِّن فَوْرِهِمْ هَٰذَا يُمْدِدْكُمْ رَبُّكُم بِخَمْسَةِ ءَالَٰفٍ مِّنَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ مُسَوِّمِينَ

হ্যাঁ, নিশ্চয়ই ! তা কেন হবে না ? তোমরা যদি ধৈর্য ধারণ কর, আর আল্লাহকে ভয় কর , তাহলে তোমাদের কাছে তারা হঠাৎ এসে যাবে। এভাবে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে সাহায্য করবেন। পাঁচ হাজার চিহ্ন যুক্ত মালা-ইকাদের দিয়ে।*

*3(24-126),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 41(30-33)...।

সূরা : আল ইমরান

وَمَا جَعَلَهُ ٱللَّهُ إِلَّا بُشْرَىٰ لَكُمْ وَلِتَطْمَئِنَّ قُلُوبُكُم بِهِۦۗ وَمَا ٱلنَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ ٱلْعَزِيزِ ٱلْحَكِيمِ


আল্লাহ তোমাদেরকে এই সাহায্য এজন্য করবেন যেন সুসংবাদ পেয়ে তোমাদের অন্তগুলো স্থির হয়। সাহায্য তা তো আল্লাহ ছাড়া আর কারোর কাছ থেকে আসে না। আল্লাহ হলেন মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক৷ 

সূরা : আল ইমরান

لِيَقْطَعَ طَرَفًا مِّنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ أَوْ يَكْبِتَهُمْ فَيَنقَلِبُوا۟ خَآئِبِينَ


এভাবে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত একদলকে নিশ্চিহ্ন করবেন, অথবা অপদস্থ করবেন, যেন তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়।

সূরা : আল ইমরান

لَيْسَ لَكَ مِنَ ٱلْأَمْرِ شَىْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَٰلِمُونَ


এ বিষয়ে তোমার জন্য কোন কিছুরই এখতিয়ার  নেই। হয়তো তিনি তাদেরকে মাফ করবেন, অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন। কেননা নিশ্চয়ই তারা জালিম। 

সূরা : আল ইমরান

وَلِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۚ يَغْفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


আসমান সমূহ ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর জন্য। যে ক্ষমার উপযুক্ত তাকে আল্লাহ ক্ষমা করেন, আর শাস্তির উপযুক্তকে শাস্তি প্রদান করেন। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, মেহেরবান। 

সূরা : আল ইমরান

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَأْكُلُوا۟ ٱلرِّبَوٰٓا۟ أَضْعَٰفًا مُّضَٰعَفَةًۖ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা বিশেষ বাড়তি (মাল) খাবে না বহুগুণ বৃদ্ধি করে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও। 

সূরা : আল ইমরান

وَٱتَّقُوا۟ ٱلنَّارَ ٱلَّتِىٓ أُعِدَّتْ لِلْكَٰفِرِينَ


আর তোমরা সেই আগুন থেকে বেঁচে থাকো, যা কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

সূরা : আল ইমরান

وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ


আর তোমরা আল্লহর আনুগত্য কর, আর তাঁর রাসূলের, আশা করা যায় তোমাদেরকে দয়া করা হবে। 

সূরা : আল ইমরান

وَسَارِعُوٓا۟ إِلَىٰ مَغْفِرَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا ٱلسَّمَٰوَٰتُ وَٱلْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ


তোমরা প্রতিযোগিতা কর, তোমাদের প্রতিপালকের  দিকে ক্ষমা লাভের জন্য আর জান্নাতের জন্য যার সীমানা হচ্ছে আসমানসমূহ ও যমীনের সমান। মহৎব্যক্তিদের জন্য তা প্রস্তুত করা হয়েছে। 

সূরা : আল ইমরান

ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ فِى ٱلسَّرَّآءِ وَٱلضَّرَّآءِ وَٱلْكَٰظِمِينَ ٱلْغَيْظَ وَٱلْعَافِينَ عَنِ ٱلنَّاسِۗ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلْمُحْسِنِينَ


যারা স্বচ্ছল অবস্থায় এবং কষ্টে তথা দূরাবস্থায় ব্যায় করে এবং নিজেদের রাগ দমন করে, লোকজনকে মাফ করে দেয়। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন। 

সূরা : আল ইমরান

وَٱلَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا۟ فَٰحِشَةً أَوْ ظَلَمُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ ذَكَرُوا۟ ٱللَّهَ فَٱسْتَغْفَرُوا۟ لِذُنُوبِهِمْ وَمَن يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ إِلَّا ٱللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا۟ عَلَىٰ مَا فَعَلُوا۟ وَهُمْ يَعْلَمُونَ

যারা কখনও অশ্লীলতা অথবা নিজেদের উপরে জুলুম করে বসে তখন যদি আল্লাহকে স্মরণ করে তাদের পাপের জন্য ক্ষমা চায়, তাহলে আল্লাহ ছাড়া কেই বা আছে, যে পাপ ক্ষমা করবেন? তারাই তো জেনে শুনে অন্যায় কাজ নিয়ে বাড়া বাড়ি করে না।

সূরা : আল ইমরান

أُو۟لَٰٓئِكَ جَزَآؤُهُم مَّغْفِرَةٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَجَنَّٰتٌ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ وَنِعْمَ أَجْرُ ٱلْعَٰمِلِينَ

এরাই সেই দল, যাদের প্রতিদান হিসাবে তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে ক্ষমা আর জান্নাতসমূহ রয়েছে। যার তলদেশ থেকে ঝর্ণা সমূহ প্রবাহিত হচ্ছে, তার মধ্যে তারা চিরস্থায়ী হবে। আর যারা সৎকর্ম করছে, তাদের জন্য উত্তম পুরস্কারই রয়েছে। 

সূরা : আল ইমরান

قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِكُمْ سُنَنٌ فَسِيرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ فَٱنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلْمُكَذِّبِينَ


নিশ্চয় তোমাদের পূর্বে বহুযোগ/রীতি-নীতি অতীত হয়েছে; তাই তোমরা পৃথিবীর মধ্যে ভ্রমণ কর,। অতঃপর দেখ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের পরিণতি কেমন হয়েছে ! 

সূরা : আল ইমরান

هَٰذَا بَيَانٌ لِّلنَّاسِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةٌ لِّلْمُتَّقِينَ


এই (কোরআন) মানুষের জন্য সুস্পষ্ট বাণী ও পথনির্দেশিকা এবং উপদেশ মহৎব্যক্তিদের জন্য। 

সূরা : আল ইমরান

وَلَا تَهِنُوا۟ وَلَا تَحْزَنُوا۟ وَأَنتُمُ ٱلْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ


তোমরা মন ভাঙ্গা হয়ো না, চিন্তা কর না, তোমরাই তো সমুন্নত বিজয়ী হবে, যদি ঈমানদার হয়েই থাক। 

সূরা : আল ইমরান

إِن يَمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ ٱلْقَوْمَ قَرْحٌ مِّثْلُهُۥۚ وَتِلْكَ ٱلْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ ٱلنَّاسِ وَلِيَعْلَمَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَيَتَّخِذَ مِنكُمْ شُهَدَآءَۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلظَّٰلِمِينَ

যদি তোমাদেরকে সুদিন-দূর্দিন স্পর্শ করে থাকে তবে নিশ্চয় এর মতো তাদেরকেও সুদিন -দূর্দিন স্পর্শ করে থাকে। এই দিনগুলো লোকদের মাঝে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। যেন আল্লাহ প্রকাশ করতে পারেন তাদেরকে যারা প্রকৃত ঈমান এনেছে আর তোমাদের মাঝে কতককে (সত্যের সাক্ষ্য) সহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ জালিমদেরকে ভালোবাসেন না। 

সূরা : আল ইমরান

وَلِيُمَحِّصَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَيَمْحَقَ ٱلْكَٰفِرِينَ

ঈমানদারগণকে আল্লাহ ছেঁটে বাছাই করতে চান, আর কাফিরগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে চান।

সূরা : আল ইমরান

أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ وَلَمَّا يَعْلَمِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ جَٰهَدُوا۟ مِنكُمْ وَيَعْلَمَ ٱلصَّٰبِرِينَ

তোমরা কি ধারণা করেছো যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে ? অথচ এখনও আল্লাহ তাদেরকে প্রকাশ করেননি যারা তোমাদের মধ্যে উৎকৃষ্টতমকর্ম করেছে ও কারা ধৈর্যশীল।*

*3(142) আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(214), 3(140,166,167),5(94),12(52),29(3,11),57(25)...।

সূরা : আল ইমরান

وَلَقَدْ كُنتُمْ تَمَنَّوْنَ ٱلْمَوْتَ مِن قَبْلِ أَن تَلْقَوْهُ فَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ وَأَنتُمْ تَنظُرُونَ


আর তোমরা তো মৃত্যু আসার পূর্বেই মরতে চাও; অতঃপর তোমরা এখন তো তা দেখে নিলে, যেজন্য অপেক্ষা করছিলে

সূরা : আল ইমরান

وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ ٱلرُّسُلُۚ أَفَإِي۟ن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ ٱنقَلَبْتُمْ عَلَىٰٓ أَعْقَٰبِكُمْۚ وَمَن يَنقَلِبْ عَلَىٰ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ ٱللَّهَ شَيْـًٔاۗ وَسَيَجْزِى ٱللَّهُ ٱلشَّٰكِرِينَ

আর মুহাম্মাদ হলো একজন বিশেষ বার্তাবাহক, এছাড়া অন্য কিছুই নয়, নিশ্চয়ই তার পূর্বে অনেক বার্তাবাহক অতীত হয়েছে। তাই সে যদি মৃত্যুবরণ করে, অথবা নিহত হয়, তাহলে তোমরা কি তোমাদের গোড়ালির উপর (পিছন দিকে) ফিরে যাবে ? যদি কেউ তার দুই গোড়ালির উপর (অর্থাৎ পিছন দিকে) ফিরে যায়, তাহলে তাতে আল্লাহর কিছুমাত্র ক্ষতি হবে না। আর আল্লাহ শোকরকারীদের শীঘ্রই পুরষ্কার দিবেন। 

সূরা : আল ইমরান

وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ ٱللَّهِ كِتَٰبًا مُّؤَجَّلًاۗ وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ ٱلدُّنْيَا نُؤْتِهِۦ مِنْهَا وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ ٱلْءَاخِرَةِ نُؤْتِهِۦ مِنْهَاۚ وَسَنَجْزِى ٱلشَّٰكِرِينَ

আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনও প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে না, কারণ আয়ুর মেয়াদ নির্দিষ্ট করে লিখে দেয়া হয়েছে। আর যে কেউ দুনিয়ার প্রতিদান চায়, আমি তাকে দুনিয়ার অংশ দিয়ে থাকি। যে ব্যক্তি পরকালের কল্যাণ চায়, আমি তাকে পরকালের অংশ দিবো। আর কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী দাসদেরকে অতি শীঘ্রই প্রতিফল দান করব।

সূরা : আল ইমরান

وَكَأَيِّن مِّن نَّبِىٍّ قَٰتَلَ مَعَهُۥ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا۟ لِمَآ أَصَابَهُمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا۟ وَمَا ٱسْتَكَانُوا۟ۗ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلصَّٰبِرِينَ


এবং নবীদের থেকে সবাই ও তাদের অগণিত রব্বানী সঙ্গী সাথীরা কতল করে তথা আল্লাহর শিখানো বিদ্যা অর্জন করে নিজেদের ব্যক্তিত্বকে দমন করে। তাইতো তারা নিরাশ হয়নি, আল্লাহর কোরআনের জন্য বিপদ এসেছে, তাতে তারা দুর্বলও হয় নি, তারা নতও হয় নি। আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদেরকে খুবই ভালবাসেন। 

সূরা : আল ইমরান

وَمَا كَانَ قَوْلَهُمْ إِلَّآ أَن قَالُوا۟ رَبَّنَا ٱغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِىٓ أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ


এছাড়া কোনো কথা তাদের মুখে থাকে না, তারা শুধু  বলে হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদের কাজে যে সব বাড়াবাড়ি হয়েছে তা ক্ষমা করুন, আপনি আমাদের পা দৃঢ় করুন, আর কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।

সূরা : আল ইমরান

فَـَٔاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ ثَوَابَ ٱلدُّنْيَا وَحُسْنَ ثَوَابِ ٱلْءَاخِرَةِۗ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلْمُحْسِنِينَ


সুতরাং আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়াতে প্রতিদান দিবেন, আর পরকালেও উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে পছন্দ করেন।

সূরা : আল ইমরান

بَلِ ٱللَّهُ مَوْلَىٰكُمْۖ وَهُوَ خَيْرُ ٱلنَّٰصِرِينَ


বরং আল্লাহ তোমাদের মাওলা (বন্ধু), এবং তিনি সর্বোত্তম সাহায্যকারী।

সূরা : আল ইমরান

سَنُلْقِى فِى قُلُوبِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلرُّعْبَ بِمَآ أَشْرَكُوا۟ بِٱللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِۦ سُلْطَٰنًاۖ وَمَأْوَىٰهُمُ ٱلنَّارُۚ وَبِئْسَ مَثْوَى ٱلظَّٰلِمِينَ


শীঘ্রই আমি কাফিরদের অন্তরগুলোর মধ্যে ভীতি সঞ্চার করবো। এ কারণে যে তারা আল্লাহর সাথে শরীক করেছে, যে ব্যাপারে তিনি কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি। আর তাদের আশ্রয়স্থল হল আগুন এবং যালিমদের ঠিকানা কতই না নিকৃষ্ট!

সূরা : আল ইমরান

وَلَقَدْ صَدَقَكُمُ ٱللَّهُ وَعْدَهُۥٓ إِذْ تَحُسُّونَهُم بِإِذْنِهِۦۖ حَتَّىٰٓ إِذَا فَشِلْتُمْ وَتَنَٰزَعْتُمْ فِى ٱلْأَمْرِ وَعَصَيْتُم مِّنۢ بَعْدِ مَآ أَرَىٰكُم مَّا تُحِبُّونَۚ مِنكُم مَّن يُرِيدُ ٱلدُّنْيَا وَمِنكُم مَّن يُرِيدُ ٱلْءَاخِرَةَۚ ثُمَّ صَرَفَكُمْ عَنْهُمْ لِيَبْتَلِيَكُمْۖ وَلَقَدْ عَفَا عَنكُمْۗ وَٱللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ


আর নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদা তোমাদের কাছে সত্য প্রমাণ করে দেখিয়ে থাকেন। তোমরা যখন তাদেরকে দুর্বল (নির্মূল) কর তাঁর অনুমতি দ্বারা। এমনকি যখন তোমরা ভীত হয়ে যাও, আর আল্লাহর নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি কর, আর অবাধ্য হও, তোমাদের খুশিমত জিনিস দেখানোর পরেও। তোমাদের মধ্যে কেউ দুনিয়ার আশা করে, কেউ তোমাদের মধ্যে পরকাল চায়। এরপর তোমাদেরকে কাফিরদের কাছ থেকে সরিয়ে নেন যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করা যেতে পারে। আর অবশ্যই তোমাদেরকে ক্ষমা করা হবে। আর ঈমানদারদের উপরে আল্লাহ বড়ই অনুগ্রহশীল।

সূরা : আল ইমরান

إِذْ تُصْعِدُونَ وَلَا تَلْوُۥنَ عَلَىٰٓ أَحَدٍ وَٱلرَّسُولُ يَدْعُوكُمْ فِىٓ أُخْرَىٰكُمْ فَأَثَٰبَكُمْ غَمًّۢا بِغَمٍّ لِّكَيْلَا تَحْزَنُوا۟ عَلَىٰ مَا فَاتَكُمْ وَلَا مَآ أَصَٰبَكُمْۗ وَٱللَّهُ خَبِيرٌۢ بِمَا تَعْمَلُونَ


যখন তোমরা অগ্রগামী হও আর পিছনে ফিরে কারো দিকে তাকাও না। অথচ বিশেষ রাসূল তোমাদেরকে পেছন থেকে ডাকে, তারপর তিনি তোমাদেরকে শোকের পর শোক পৌঁছান, যেন তোমরা যা হারিয়েছ কিংবা যে বিপদে পড়েছ সে জন্য যেন বিষণ্ণ না হও। আর তোমরা যা করো আল্লাহ সে সবের খবর রাখেন। 

সূরা : আল ইমরান

ثُمَّ أَنزَلَ عَلَيْكُم مِّنۢ بَعْدِ ٱلْغَمِّ أَمَنَةً نُّعَاسًا يَغْشَىٰ طَآئِفَةً مِّنكُمْۖ وَطَآئِفَةٌ قَدْ أَهَمَّتْهُمْ أَنفُسُهُمْ يَظُنُّونَ بِٱللَّهِ غَيْرَ ٱلْحَقِّ ظَنَّ ٱلْجَٰهِلِيَّةِۖ يَقُولُونَ هَل لَّنَا مِنَ ٱلْأَمْرِ مِن شَىْءٍۗ قُلْ إِنَّ ٱلْأَمْرَ كُلَّهُۥ لِلَّهِۗ يُخْفُونَ فِىٓ أَنفُسِهِم مَّا لَا يُبْدُونَ لَكَۖ يَقُولُونَ لَوْ كَانَ لَنَا مِنَ ٱلْأَمْرِ شَىْءٌ مَّا قُتِلْنَا هَٰهُنَاۗ قُل لَّوْ كُنتُمْ فِى بُيُوتِكُمْ لَبَرَزَ ٱلَّذِينَ كُتِبَ عَلَيْهِمُ ٱلْقَتْلُ إِلَىٰ مَضَاجِعِهِمْۖ وَلِيَبْتَلِىَ ٱللَّهُ مَا فِى صُدُورِكُمْ وَلِيُمَحِّصَ مَا فِى قُلُوبِكُمْۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ


এরপর দুঃচিন্তার পরে আবার তোমাদের উপরে প্রশান্তি পাঠানো হয় তন্দ্রারূপে। তোমাদের মধ্যে একদল শান্তির ঘুমে ঘুমায়। আর এক শ্রেণীর লোকেরা যারা নিজেদের ব্যক্তিত্বের কাছে হেরে থাকে, তারা আল্লাহ সম্পর্কে অবান্তর কল্পনা ছড়িয়ে বেড়ায়, ঠিক অশিক্ষিতদের মতই। তারা বলে, আমাদের হাতে কি কোন কিছুরই অধিকার নেই ! তুমি বলে দাও, নিশ্চয় যাবতীয় আদেশ করার অধিকার একমাত্র আল্লাহর জন্যই রয়েছে। তারা তাই গোপন করছে, নিজেদের মনে যা রয়েছে, তোমার কাছে তা প্রকাশ করছে না। তারা বলে, আমাদের যদি কোনো কিছু করার অধিকার থাকতই, তাহলে আর আমরা এই স্থানে এভাবে কতল তথা অপমান হতাম না। তুমি বলে দাও, তোমরা যদি নিজেদের ঘরের মধ্যেও অবস্থান করো তবুও কতল যাদের জন্য লিখে দেওয়া হয়েছে, তারা নিজেদের ঘুমানোর স্থানেও তা পাবে। আর তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে, আল্লাহ তা পরীক্ষা করতে চান। আর তোমাদের মনের মধ্যে যা কিছু রয়েছে সে সব তিনি পরিস্কার করতে চান। আর আল্লাহ অন্তরের গোপন অবস্থা সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱلَّذِينَ تَوَلَّوْا۟ مِنكُمْ يَوْمَ ٱلْتَقَى ٱلْجَمْعَانِ إِنَّمَا ٱسْتَزَلَّهُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ بِبَعْضِ مَا كَسَبُوا۟ۖ وَلَقَدْ عَفَا ٱللَّهُ عَنْهُمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ

নিশ্চয় যারা তোমাদের মধ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে চলে যায় যেদিন দুটি দল (ধনী-গরীব) একত্রিত হয়। মূলতঃ শয়তান তাদেরকে বিচ্যুত করে, তাদেরই উপার্জনের কারণে, আর অবশ্যই আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, বড়ই সহনশীল।

সূরা : আল ইমরান

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَقَالُوا۟ لِإِخْوَٰنِهِمْ إِذَا ضَرَبُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ أَوْ كَانُوا۟ غُزًّى لَّوْ كَانُوا۟ عِندَنَا مَا مَاتُوا۟ وَمَا قُتِلُوا۟ لِيَجْعَلَ ٱللَّهُ ذَٰلِكَ حَسْرَةً فِى قُلُوبِهِمْۗ وَٱللَّهُ يُحْىِۦ وَيُمِيتُۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

ওহে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা তাদের মত হয়োনা, যারা কুফুরী করেছে। তাদের ভাইয়েরা যখন  দেশবিদেশে ভ্রমণে বের হয়, অথবা অশান্তি ঘটানোর জন্যে বেরিয়ে পড়ে, তখন বলে, তারা যদি আমাদের কাছেই থাকত, তাহলে তারা মরতো না, কিংবা অপমানিত হত না। আল্লাহ এভাবেই তাদের অন্তরগুলো মধ্যে মনস্তাপের কারণ সৃষ্টি করেন। আসলে আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তোমরা যা কিছু করছ, আল্লাহ ঐ বিষয়ে ভালোভাবেই দেখছেন।

সূরা : আল ইমরান

وَلَئِن قُتِلْتُمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ أَوْ مُتُّمْ لَمَغْفِرَةٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَحْمَةٌ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ

আর তোমরা যদি আল্লাহর কোরআনের পথে অপমানিত হও, অথবা মরে যাও, তাহলে অবশ্যই তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা ও অনুগ্রহ রয়েছে। যা মানুষেরা জমা করে, তার চেয়ে আল্লাহর অনুগ্রহ বেশী ভালো। 

সূরা : আল ইমরান

وَلَئِن مُّتُّمْ أَوْ قُتِلْتُمْ لَإِلَى ٱللَّهِ تُحْشَرُونَ


তোমরা যদি মারা যাও অথবা অপমানিত হও, তবে তোমাদেরকে আল্লাহর কাছেই একত্রিত করা হবে।

সূরা : আল ইমরান

فَبِمَا رَحْمَةٍ مِّنَ ٱللَّهِ لِنتَ لَهُمْۖ وَلَوْ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ ٱلْقَلْبِ لَٱنفَضُّوا۟ مِنْ حَوْلِكَۖ فَٱعْفُ عَنْهُمْ وَٱسْتَغْفِرْ لَهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِى ٱلْأَمْرِۖ فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُتَوَكِّلِينَ

বস্তুত আল্লাহর পক্ষ হতে অনুগ্রহের কারণে তুমি তাদের জন্য নরম হয়েছ। আর তুমি যদি উগ্র স্বভাব, পাশান হৃদয়ের হও, তাহলে অবশ্যই তারা তোমার চতুর্দিক হতে দুরেই সরে যাবে, অতএব তুমি তাদেরকে মাফ করে দাও এবং তাদের জন্য তুমি ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাক, আর কাজের ক্ষেত্রে তাদের সাথে পরামর্শ কর। অতঃপর যখন দৃঢ় সংকল্প করবে তখন আল্লাহর উপরেই ভরসা করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন ভরসাকারীদেরকে খুব ভালবাসেন।*

*3(159) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 42(38),33(36)...।

সূরা : আল ইমরান

إِن يَنصُرْكُمُ ٱللَّهُ فَلَا غَالِبَ لَكُمْۖ وَإِن يَخْذُلْكُمْ فَمَن ذَا ٱلَّذِى يَنصُرُكُم مِّنۢ بَعْدِهِۦۗ وَعَلَى ٱللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ ٱلْمُؤْمِنُونَ

আল্লাহ যদি তোমাদের সাহায্য করেন তবে তোমাদের উপর কেউ বিজয়ী হবে না। আর আল্লাহ যদি তোমাদেরকে ত্যাগ করেন, তবে এমন কে আছে যে, এর পরে তোমাদের সাহায্য করতে পারবে? ঈমানদারদের তো আল্লাহরই উপর ভরসা করা উচিত।

সূরা : আল ইমরান

وَمَا كَانَ لِنَبِىٍّ أَن يَغُلَّۚ وَمَن يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۚ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ


কোনও নবীর কাজ এ নয় যে, সে কোনো কিছু খিয়ানত করবে। যে কেউ কোন কিছু খেয়ানত করবে, সে তো কিয়ামতের দিন খেয়ানত করা সব জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে বাধ্য হবে। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকে পুরাপুরি দেয়া হবে, যা কিছু সে অর্জন করেছে। তাদের উপরে কোনো জুলুম করা হবে না।

সূরা : আল ইমরান

أَفَمَنِ ٱتَّبَعَ رِضْوَٰنَ ٱللَّهِ كَمَنۢ بَآءَ بِسَخَطٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَمَأْوَىٰهُ جَهَنَّمُۚ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ


যে কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে , সে কি তার মতো যে আল্লাহর অসন্তুষ্টির দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়েছে ? তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। আর তা অতি খারাপ গন্তব্যস্থান। 

সূরা : আল ইমরান

هُمْ دَرَجَٰتٌ عِندَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ بَصِيرٌۢ بِمَا يَعْمَلُونَ


আল্লাহর নিকট মানুষের জন্যে ভিন্ন ভিন্ন স্তর রয়েছে, তারা যা করছে আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব দেখছেন। 

সূরা : আল ইমরান

لَقَدْ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ يَتْلُوا۟ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتِهِۦ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا۟ مِن قَبْلُ لَفِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ

নিশ্চয়ই মুমিনদের উপরে আল্লাহ এভাবে অনুগ্রহ করেছেন, তাদের নিজেদের মধ্য হতে তাদেরই জন্য রাসূল প্রেরণ করেছেন। সে তাদের কাছে তাঁর আয়াতগুলো পাঠ করে শোনাচ্ছে, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করছে, এবং তাদেরকে আল কিতাব ও বিজ্ঞান শেখাচ্ছে। যদিও ইতিপূর্বে তারা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যেই ছিল।

সূরা : আল ইমরান

أَوَلَمَّآ أَصَٰبَتْكُم مُّصِيبَةٌ قَدْ أَصَبْتُم مِّثْلَيْهَا قُلْتُمْ أَنَّىٰ هَٰذَاۖ قُلْ هُوَ مِنْ عِندِ أَنفُسِكُمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ


তোমরা যখন এমন এক বিপদে পড় যেটা সত্যিই দ্বিগুণ আকারে দেখা দেয়, তোমরা তখন বলতে থাক, আমাদের উপর এই বিপদ কিভাবে এলো ? তুমি বলে দাও, এ তো তোমাদের নিজেদের কর্ম থেকেই এসেছে। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। 

সূরা : আল ইমরান

وَمَآ أَصَٰبَكُمْ يَوْمَ ٱلْتَقَى ٱلْجَمْعَانِ فَبِإِذْنِ ٱللَّهِ وَلِيَعْلَمَ ٱلْمُؤْمِنِينَ


আর দুটি দল (ধনী-গরীব) একত্রিত হওয়ার দিনে তোমাদের কাছে যা পৌঁছে, সেটি আসে আল্লাহর অনুমতি ক্রমে। এবং যাতে তিনি মু'মিনদেরকে জেনে নেন।

সূরা : আল ইমরান

وَلِيَعْلَمَ ٱلَّذِينَ نَافَقُوا۟ۚ وَقِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا۟ قَٰتِلُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ أَوِ ٱدْفَعُوا۟ۖ قَالُوا۟ لَوْ نَعْلَمُ قِتَالًا لَّٱتَّبَعْنَٰكُمْۗ هُمْ لِلْكُفْرِ يَوْمَئِذٍ أَقْرَبُ مِنْهُمْ لِلْإِيمَٰنِۚ يَقُولُونَ بِأَفْوَٰهِهِم مَّا لَيْسَ فِى قُلُوبِهِمْۗ وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يَكْتُمُونَ


আর যারা মুনাফেকী করে, তাদেরকেও যেন জানা যায়। আর মানুষকে যখন বলা হয় এসো তোমরা, আল্লাহর কুরআনের পথে অপমান সহ্য করি কিংবা (নিজেদেরকে কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ থেকে) প্রতিরক্ষা করি। তারা বলে আমরা যদি কিতালের মাধ্যমে সঠিক বিদ্যা জানতামই, তাহলে নিশ্চয় তোমাদের অনুসরণ করতাম। সেদিন তারা ঈমানের তুলনায় কুফরীর নিকটতর হয়ে যায়। এরা নিজেদের মুখে এমন সব কথা বলে, যা তাদের মনের কোথাও নেই। আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব জানেন, যা তারা গোপন করেছে।

সূরা : আল ইমরান

ٱلَّذِينَ قَالُوا۟ لِإِخْوَٰنِهِمْ وَقَعَدُوا۟ لَوْ أَطَاعُونَا مَا قُتِلُوا۟ۗ قُلْ فَٱدْرَءُوا۟ عَنْ أَنفُسِكُمُ ٱلْمَوْتَ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ


যারা নিজেরা বসে থাকে, তারা তাদের ভাইদের সম্পর্কে বলে, যদি তারা আমাদের কথা মত চলত, তাহলে আর তারা অপমান হতো না। তুমি বলে দাও, তোমাদের মৃত্যুর সময় তোমরা নিজেদের কাছ থেকে মৃত্যুকে সরিয়ে রেখো তো ! যদি তোমারা সত্যবাদী হয়েই থাক।

সূরা : আল ইমরান

وَلَا تَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ قُتِلُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ أَمْوَٰتًۢاۚ بَلْ أَحْيَآءٌ عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ

যারা আল্লাহর কোরআনের পথে কতলের মাধ্যমে অপমান সহ্য করে, তাদের ব্যাপারে ভাববে না যে, তারা শেষ হয়ে গেছে। বরং তারা তাদের প্রতিপালকের কাছে জীবিত, তাদেরকে রিজ্ক দেয়া হয়। *

 3(169) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 27(80)...।

সূরা : আল ইমরান

فَرِحِينَ بِمَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ وَيَسْتَبْشِرُونَ بِٱلَّذِينَ لَمْ يَلْحَقُوا۟ بِهِم مِّنْ خَلْفِهِمْ أَلَّا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ


আল্লাহ তাদেরকে যা কিছু তাঁর পক্ষ থেকে দান-সামগ্রী দিয়েছেন, তা নিয়ে তারা খুশী হবে। আর তাদের পিছনে রয়ে যাওয়া লোকদের থেকে যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি, তাদের ব্যাপারে তারা আনন্দিত হবে যে, তাদের জন্য কোন ভয় নেই, আর তারা দুঃখিত হবে না। 

সূরা : আল ইমরান

يَسْتَبْشِرُونَ بِنِعْمَةٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَفَضْلٍ وَأَنَّ ٱللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ ٱلْمُؤْمِنِينَ


তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সাহায্য সামগ্রী লাভের কারণে আনন্দিত হবে। আর আল্লাহ ঈমানদারদের পুরুস্কার নষ্ট করেন না।

সূরা : আল ইমরান

ٱلَّذِينَ ٱسْتَجَابُوا۟ لِلَّهِ وَٱلرَّسُولِ مِنۢ بَعْدِ مَآ أَصَابَهُمُ ٱلْقَرْحُۚ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا۟ مِنْهُمْ وَٱتَّقَوْا۟ أَجْرٌ عَظِيمٌ


তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সাহায্য সামগ্রী লাভের কারণে আনন্দিত হবে। আর আল্লাহ ঈমানদারদের পুরুস্কার নষ্ট করেন না।

সূরা : আল ইমরান

ٱلَّذِينَ قَالَ لَهُمُ ٱلنَّاسُ إِنَّ ٱلنَّاسَ قَدْ جَمَعُوا۟ لَكُمْ فَٱخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَٰنًا وَقَالُوا۟ حَسْبُنَا ٱللَّهُ وَنِعْمَ ٱلْوَكِيلُ

যারা মুমিন মানুষদেরকে বলে, নিশ্চয় লোকেরা তোমাদের পাকড়াও করার জন্য জমা হচ্ছে, তাই তাদেরকে তোমরা ভয় কর, কিন্তু এতে মুমিনদের ঈমান আরও বেড়ে যায়। তারা বলে, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম উকিল।

সূরা : আল ইমরান

فَٱنقَلَبُوا۟ بِنِعْمَةٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَفَضْلٍ لَّمْ يَمْسَسْهُمْ سُوٓءٌ وَٱتَّبَعُوا۟ رِضْوَٰنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَظِيمٍ


ফলে তারা আল্লাহ থেকে অবদান ও অনুগ্রহ সাথে নিয়ে ফিরে আসে। তাদের কোনও অকল্যাণ স্পর্শ করে না। তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে। আর আল্লাহ একটি মহা অনুগ্রহশীল।

সূরা : আল ইমরান

إِنَّمَا ذَٰلِكُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ يُخَوِّفُ أَوْلِيَآءَهُۥ فَلَا تَخَافُوهُمْ وَخَافُونِ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ



মূলতঃ এই শয়তানই তোমাদেরকে তার বন্ধুদের ভয় দেখায়। অতএব তোমরা তাদেরকে ভয় করবে না। বরং আমাকেই ভয় করবে। যদি তোমরা সত্যিকার মুমিন হয়েই থাক। 

সূরা : আল ইমরান

وَلَا يَحْزُنكَ ٱلَّذِينَ يُسَٰرِعُونَ فِى ٱلْكُفْرِۚ إِنَّهُمْ لَن يَضُرُّوا۟ ٱللَّهَ شَيْـًٔاۗ يُرِيدُ ٱللَّهُ أَلَّا يَجْعَلَ لَهُمْ حَظًّا فِى ٱلْءَاخِرَةِۖ وَلَهُمْ

আর যারা কুফরীর মধ্যে তৎপর হয়েছে, তাদের আচরণ যেন তোমাকে চিন্তিত না করে। তারা কক্ষনো আল্লাহর কিছুমাত্রও ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ চান যে, তাদের জন্যে পরকালে কোনও অংশ রাখবেন না। তাদের জন্য রয়েছে বড় কঠিন শাস্তি। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ ٱلَّذِينَ ٱشْتَرَوُا۟ ٱلْكُفْرَ بِٱلْإِيمَٰنِ لَن يَضُرُّوا۟ ٱللَّهَ شَيْـًٔا وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


নিশ্চয় যারা ঈমানের বদলে কুফরীকে ক্রয় করবে, তারা কক্ষনো আল্লাহর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না, তাদের জন্য রয়েছে বড়ই কষ্টদায়ক শাস্তি।

সূরা : আল ইমরান

وَلَا يَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ أَنَّمَا نُمْلِى لَهُمْ خَيْرٌ لِّأَنفُسِهِمْۚ إِنَّمَا نُمْلِى لَهُمْ لِيَزْدَادُوٓا۟ إِثْمًاۚ وَلَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ

আর যারা কুফুরী করেছে তারা যেন একথা মনে না করে, তাদেরকে যে আমি ঢিল দিচ্ছি , তা তাদের জন্য ভালো ! তাদেরকে এজন্য ঢিল দেওয়া হচ্ছে যেন তারা পাপ বৃদ্ধি করে। আসলে তাদের জন্য রয়েছে বড় অপমানকর শাস্তি।

সূরা : আল ইমরান

مَّا كَانَ ٱللَّهُ لِيَذَرَ ٱلْمُؤْمِنِينَ عَلَىٰ مَآ أَنتُمْ عَلَيْهِ حَتَّىٰ يَمِيزَ ٱلْخَبِيثَ مِنَ ٱلطَّيِّبِۗ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُطْلِعَكُمْ عَلَى ٱلْغَيْبِ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَجْتَبِى مِن رُّسُلِهِۦ مَن يَشَآءُۖ فَـَٔامِنُوا۟ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦۚ وَإِن تُؤْمِنُوا۟ وَتَتَّقُوا۟ فَلَكُمْ أَجْرٌ عَظِيمٌ

মুমিনরা যে অবস্থায় রয়েছে, আল্লাহ সেভাবেই তাদেরকে ফেলে রাখবেন না। যতক্ষন পবিত্র এবং অপবিত্রের মধ্যে পার্থক্য না করা হবে। আল্লাহ তোমাদেরকে অদৃশ্য বিষয়গুলোর সব খবর দিবেন না ! কিন্তু আল্লাহ তাঁর রাসূলদের মধ্য হতে যাকে চান বাছাই করে নেন। তাই তোমরা আল্লাহর উপরে এবং তাঁর রাসূলদের উপরে ঈমান আন, আর যদি তোমরা ঈমান আন ও সততা অবলম্বন করে চলো, তবে তোমাদের জন্য রয়েছে বিরাট পুরুস্কার।*

*3(179),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 7(188),10(49),12(3)।
আর পবিত্র অপবিত্রতার প্রার্থক্যর ব্যপারে 8(37)...।

সূরা : আল ইমরান

وَلَا يَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ هُوَ خَيْرًا لَّهُمۖ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَّهُمْۖ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا۟ بِهِۦ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۗ وَلِلَّهِ مِيرَٰثُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

আল্লাহ যা কিছু অনুগ্রহ করেছেন তা তাদের জন্য মহা কল্যাণকর, তা নিয়ে যারা কৃপনতা করে, তারা যেন মনে না করে যে, একাজটা তাদের জন্য কল্যাণকর, বরং তাদের জন্য অকল্যাণকর। তারা যা নিয়ে কৃপণতা করছে কিয়ামতের দিন অবশ্যই তা দিয়ে তাদের গলায় বেড়ি পরানো হবে। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সত্বাধিকার একমাত্র আল্লাহরই জন্য। আল্লাহ সে সম্পর্কে খুব খবর রাখছেন, তোমরা যেসব কাজ করছ।

সূরা : আল ইমরান

لَّقَدْ سَمِعَ ٱللَّهُ قَوْلَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ فَقِيرٌ وَنَحْنُ أَغْنِيَآءُۘ سَنَكْتُبُ مَا قَالُوا۟ وَقَتْلَهُمُ ٱلْأَنۢبِيَآءَ بِغَيْرِ حَقٍّ وَنَقُولُ ذُوقُوا۟ عَذَابَ ٱلْحَرِيقِ

নিশ্চয় আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন, যারা বলছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ দরিদ্র এবং আমরা ধনী’। অচিরেই আমি লিখে রাখব তারা যা বলছে এবং নবীদেরকে তাদের অন্যায়ভাবে অপমানিত করার বিষয়টিও এবং আমি বলব, ‘তোমরা দহনের স্বাদ চেখে নাও’।

সূরা : আল ইমরান

ذَٰلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيكُمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ لَيْسَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيدِ


এটা তাই, যা তোমরা নিজ হাতে আগাম পাঠিয়েছ। আর একথাও সত্য যে আল্লাহ দাসদের উপর জুলুমকারী নন।

সূরা : আল ইমরান

ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ عَهِدَ إِلَيْنَآ أَلَّا نُؤْمِنَ لِرَسُولٍ حَتَّىٰ يَأْتِيَنَا بِقُرْبَانٍ تَأْكُلُهُ ٱلنَّارُۗ قُلْ قَدْ جَآءَكُمْ رُسُلٌ مِّن قَبْلِى بِٱلْبَيِّنَٰتِ وَبِٱلَّذِى قُلْتُمْ فَلِمَ قَتَلْتُمُوهُمْ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

যারা বলছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন- আমরা যেনো এমন কোন রাসূলের উপর ঈমান না আনি, যতক্ষন আমাদের দেওয়া কোরবানিকে অদৃশ্যের আগুনে খেয়ে না ফেলবে। তুমি বলে দাও, আমার পূর্বেও তো তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ সহকারে রাসূলগণ এসেছে। আর ঐ বিষয়ে যা তোমরা বলছ। তবুও কেন তোমরা তাদেরকে কতলের মাধ্যমে অপমান করেছো ? যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক !

সূরা : আল ইমরান

فَإِن كَذَّبُوكَ فَقَدْ كُذِّبَ رُسُلٌ مِّن قَبْلِكَ جَآءُو بِٱلْبَيِّنَٰتِ وَٱلزُّبُرِ وَٱلْكِتَٰبِ ٱلْمُنِيرِ


এর পরেও যদি তারা তোমাকে মিথ্যাবাদী বলে, তবে (এটা নতুন কিছু নয়) নিশ্চয়ই তোমার পূর্বেও তো রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছে, অথচ তারা সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ আর (6236,টি আয়াতের) টুকরাসমূহ ও উজ্জ্বল আলোকময় আল কিতাব সাথে নিয়ে এসেছিল। 

সূরা : আল ইমরান

كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ ٱلْمَوْتِۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۖ فَمَن زُحْزِحَ عَنِ ٱلنَّارِ وَأُدْخِلَ ٱلْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَۗ وَمَا ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَآ إِلَّا مَتَٰعُ ٱلْغُرُورِ


প্রত্যেকটি প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।আর অবশ্যই কিয়ামতের দিনে তোমাদেরকে পরিপুর্ণ ভাবে পুরস্কার দেয়া হবে। অতঃপর যাকে আগুন থেকে রক্ষা করা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই তো সফলকাম হবে। এই পার্থিব জীবন ধোঁকার সামগ্রী ছাড়া আর তো কিছুই নয়।

সূরা : আল ইমরান

لَتُبْلَوُنَّ فِىٓ أَمْوَٰلِكُمْ وَأَنفُسِكُمْ وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ مِن قَبْلِكُمْ وَمِنَ ٱلَّذِينَ أَشْرَكُوٓا۟ أَذًى كَثِيرًاۚ وَإِن تَصْبِرُوا۟ وَتَتَّقُوا۟ فَإِنَّ ذَٰلِكَ مِنْ عَزْمِ ٱلْأُمُور


অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হবে তোমাদের ধন-সম্পদ ও জানসমূহের মধ্য দিয়ে। অনেক নিন্দা অপবাদ তাদের কাছ থেকে শুনবে, যারা তোমাদের থেকে পূর্বে আল কিতাব পেয়েছে, আর যারা মুশরিক হয়েছে তাদের কাছ থেকেও অনেক কষ্ট পাবে। তাই যদি ধৈর্যধারণ করতে পার, আর তাকওয়া অবলম্বন করতে পার, তবে নিশ্চয়ই এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ। 

সূরা : আল ইমরান

وَإِذْ أَخَذَ ٱللَّهُ مِيثَٰقَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ لَتُبَيِّنُنَّهُۥ لِلنَّاسِ وَلَا تَكْتُمُونَهُۥ فَنَبَذُوهُ وَرَآءَ ظُهُورِهِمْ وَٱشْتَرَوْا۟ بِهِۦ ثَمَنًا قَلِيلًاۖ فَبِئْسَ مَا يَشْتَرُونَ


আর আল্লাহ যখন আল কিতাবধারীদের থেকে এই প্রতিশ্রুতি নিলেন তোমরা মানুষের কাছে তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করবে, আর তোমরা তা গোপন করবে না। কিন্তু তারা তাদের পিঠের পিছনে তা ফেলে রাখে, আর নগণ্য মূল্যের বিনিময়ে তা বিক্রি করে। অতএব কতো নিকৃষ্ট, যা তারা ক্রয় করে।

সূরা : আল ইমরান

لَا تَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ يَفْرَحُونَ بِمَآ أَتَوا۟ وَّيُحِبُّونَ أَن يُحْمَدُوا۟ بِمَا لَمْ يَفْعَلُوا۟ فَلَا تَحْسَبَنَّهُم بِمَفَازَةٍ مِّنَ ٱلْعَذَابِۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


তারা নিজেদের কাজকর্ম সম্পর্কে খুবই খুশী হয়, আর যে কাজ তারা করেনি সে জন্যেও লোকের কাছে প্রশংসিত (মোহাম্মদ) হতে চায়। তাদের সম্পর্কে একথা মনে করা মোটেই উচিত নয় যে, তারা শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যাবে। তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি।

সূরা : আল ইমরান

وَلِلَّهِ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ


আর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহর জন্য। আর আল্লাহ সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। 

সূরা : আল ইমরান

إِنَّ فِى خَلْقِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَٱخْتِلَٰفِ ٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ لَءَايَٰتٍ لِّأُو۟لِى ٱلْأَلْبَٰبِ


নিশ্চয় আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টির এবং রাত ‍ও দিনের আবর্তনের মধ্যে বুদ্ধিমানদের জন্য অবশ্যই অনেক নিদর্শণ রয়েছে। 

সূরা : আল ইমরান

ٱلَّذِينَ يَذْكُرُونَ ٱللَّهَ قِيَٰمًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِى خَلْقِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَٰطِلًا سُبْحَٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ


যারা দাঁড়িয়ে ও বসে আর তাদের পার্শ্বসমূহের উপর শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে, তারা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা গবেষণা করে, তারা বলে হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি এসব অযথা সৃষ্টি করেননি। আপনি তো পবিত্র মহান। সুতরাং আগুনের শাস্তি থেকে আমাদের বাঁচান। 

সূরা : আল ইমরান

رَبَّنَآ إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ ٱلنَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُۥۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ


হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি যাকে আগুনে নিক্ষেপ করেছেন, তাহলে নিশ্চয়ই সেই তো অপদস্থ হয়েছে। জালিমদের জন্য তো কোনও সাহায্যকারী নেই। 

সূরা : আল ইমরান

رَّبَّنَآ إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِى لِلْإِيمَٰنِ أَنْ ءَامِنُوا۟ بِرَبِّكُمْ فَـَٔامَنَّاۚ رَبَّنَا فَٱغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّـَٔاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ ٱلْأَبْرَار

ِহে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা শুনেছি, একজন আহবানকারী (রাসুল) ঈমান আনার জন্যে ডেকে বলছে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আন। ফলে আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক। এখন আপনি আমাদের অপরাধগুলো মাফ করুন, আমাদের দোষ ত্রুটি দূর করে দিন, আর পূণ্যবান লোকদের সাথেই আমাদের (হিসাব) পূর্ণ করুন।*

*3(193) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 57(7,8),...।

সূরা : আল ইমরান

رَبَّنَا وَءَاتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ ٱلْمِيعَادَ

হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদেরকে তাই দান করুন আপনার সকল রাসূলদের মাধ্যমে যে ওয়াদা আমাদের সাথে করেছেন, আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে অপমান করবেন না। নিশ্চয়ই আপনি ওয়াদার খেলাফ করেন না।

সূরা : আল ইমরান

فَٱسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّى لَآ أُضِيعُ عَمَلَ عَٰمِلٍ مِّنكُم مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰۖ بَعْضُكُم مِّنۢ بَعْضٍۖ فَٱلَّذِينَ هَاجَرُوا۟ وَأُخْرِجُوا۟ مِن دِيَٰرِهِمْ وَأُوذُوا۟ فِى سَبِيلِى وَقَٰتَلُوا۟ وَقُتِلُوا۟ لَأُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّـَٔاتِهِمْ وَلَأُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ ثَوَابًا مِّنْ عِندِ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عِندَهُۥ حُسْنُ ٱلثَّواب

অতঃপর তাদেরই প্রতিপালক, তাদের ডাকে সাড়া দেন। এ বলে যে, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নারী অথবা পুরুষের মধ্যে কারোর কোন কাজকে নষ্ট করব না। তোমাদের মধ্যে তোমরা একে অপরের অংশ। যারা হিজরত করেছে, বাড়িঘর থেকে যাদেরকে তাড়ানো হয়েছে, আর আমার (কোরআনের) পথে যারা নির্যাতিত হয়েছে, যারা কতলের মাধ্যমে অপমানিত হয়েছে ও অপমান সহ্য করেছে, অবশ্যই আমি তাদের দোষ ত্রুটি দূর করে দিব, তাদেরকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করাব যার নীচ থেকে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে, আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিফল হিসেবে। আর আল্লাহ এমন যে, তাঁরই কাছে রয়েছে উত্তম প্রতিফল। 

সূরা : আল ইমরান

لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فِى ٱلْبِلَٰدِ


শহর এলাকায় কাফিরদের চলাফেরা যেন কোনও রকম তোমাকে ধোঁকা না দেয়। 

সূরা : আল ইমরান

مَتَٰعٌ قَلِيلٌ ثُمَّ مَأْوَىٰهُمْ جَهَنَّمُۚ وَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ


তাদের এই সুযোগ সুবিধা মাত্র অল্প কয়েক দিনের জন্য, এরপর তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম, আর তা অতি নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল । 

সূরা : আল ইমরান

لَٰكِنِ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ رَبَّهُمْ لَهُمْ جَنَّٰتٌ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا نُزُلًا مِّنْ عِندِ ٱللَّهِۗ وَمَا عِندَ ٱللَّهِ خَيْرٌ لِّلْأَبْرَارِ


কিন্তু যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত সমূহ, যার পাদদেশ থেকে ঝর্ণাধারা সমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। তার মধ্যে তারা চিরস্থায়ী হবে, আল্লাহর নিকট হতে মেহমানদারী পাবে। আর আল্লাহর কাছে যা কিছু রয়েছে নেককার লোকদের জন্যে তাই উত্তম।

সূরা : আল ইমরান

وَإِنَّ مِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ لَمَن يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْكُمْ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِمْ خَٰشِعِينَ لِلَّهِ لَا يَشْتَرُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًاۗ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ سَرِيعُ ٱلْحِسَاب


আর নিশ্চয় আল কিতাবধারীদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যে, অবশ্যই তারা আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়ে আল্লাহর উপর ঈমান আনে, আর তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, এবং তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে , সে সবের উপরেও। তারা আল্লাহর আয়াতগুলোকে স্বল্প মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করে না। এরাই তো সেই দল যাদের প্রতিফল তাদের প্রতিপালকের কাছে রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

সূরা : আল ইমরান

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱصْبِرُوا۟ وَصَابِرُوا۟ وَرَابِطُوا۟ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা ধৈর্য্য ধর এবং ধৈর্য্যে দৃঢ় থাকো আর নিজেরা মিলেমিশে থাক। আর আল্লাহকে ভয় করে চলো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে।