সূরা : সূরা আল বাক্বারা

الٓمٓ

আলিফ লাম মিম

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ذَٰلِكَ ٱلْكِتَٰبُ لَا رَيْبَۛ فِيهِۛ هُدًى لِّلْمُتَّقِين

এটা সেই মহাগ্রন্থ (কোরআন) যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই; মহৎব্যক্তিদের জন্য সঠিক পথ নির্দেশক।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱلْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ يُنفِقُونَ

যারা অদৃশ্যের উপর বিশ্বাস করে, আর যথাযথভাবে দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করে, আর আমি যে জীবিকা তাদের দিয়েছি তা হতে ব্যায় করে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ وَبِٱلْءَاخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ

আর যারা বিশ্বাস করে ঐ বিষয়ে, যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করা হয় এবং যা কিছু তোমার থেকে পূর্বে অবতীর্ণ করা হয়েছে। আর যারা পরকালের উপর দৃঢ়বিশ্বাস রাখে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ُو۟لَٰٓئِكَ عَلَىٰ هُدًى مِّن رَّبِّهِمْۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ

তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত সঠিক পথের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَوَآءٌ عَلَيْهِمْ ءَأَنذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ

নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করেছে, তাদেরকে তুমি সতর্ক কর অথবা না কর; তাদের জন্য উভয়েই সমান, তারা ঈমান আনবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

خَتَمَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَعَلَىٰ سَمْعِهِمْۖ وَعَلَىٰٓ أَبْصَٰرِهِمْ غِشَٰوَةٌۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ

তাদের অন্তরের উপর এবং তাদের শ্রবণশক্তির উপর আল্লাহ সীল মেরে দিয়েছেন। তাদের দৃষ্টিশক্তির উপর আবরণ রয়েছে এবং তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ

আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ তারা মুমিন না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يُخَٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ

তারা আল্লাহকে প্রতারিত করতে চায়, আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকেও। কিন্তু তারা তাদের নিজেদেরকে ছাড়া কাউকেও প্রতারিত করছে না। আসলে তারা তা অনুভব করতে পারছে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ فَزَادَهُمُ ٱللَّهُ مَرَضًاۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌۢ بِمَا كَانُوا۟ يَكْذِبُونَ

তাদের অন্তর সমূহের মধ্যে রোগ রয়েছে। তাই আল্লাহ তাদের রোগ (আরও) বৃদ্ধি করে দিয়েছেন আর তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। এজন্যে যে, তারা মিথ্যাবাদী।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا تُفْسِدُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا نَحْنُ مُصْلِحُونَ

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না, তারা বলে, মূলতঃ আমরা তো সংশোধনকারী।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

َلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلْمُفْسِدُونَ وَلَٰكِن لَّا يَشْعُرُونَ

সাবধান ! নিশ্চয় তারাই বিপর্যয় সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তারা তা অনুভব করতে পারে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ ءَامِنُوا۟ كَمَآ ءَامَنَ ٱلنَّاسُ قَالُوٓا۟ أَنُؤْمِنُ كَمَآ ءَامَنَ ٱلسُّفَهَآءُۗ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلسُّفَهَآءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা ঈমান আন, যেমন (মু'মিন) মানুষেরা ঈমান এনেছে, তারা বলে, আমরা কি ঈমান আনবো যেমন ঈমান এনেছ বোকারা? সাবধান ! আসলে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা জানে না। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا لَقُوا۟ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَوْا۟ إِلَىٰ شَيَٰطِينِهِمْ قَالُوٓا۟ إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِءُونَ

আর যখন তারা ঈমানদারদের সাথে মিলিত হয়,  'তখন বলে, আমরাও ঈমান এনেছি। আর যখন তারা তাদের শয়তান বন্ধুদের সাথে মিলে, তখন বলে, নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের সাথেই আছি। আসলে আমরা (মু'মিনদের সাথে) ঠাট্টা-তামাশা করে থাকি।*

*2(14),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(53)।
8(48),41(26)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

اَللّٰهُ يَسْتَهْزِئُ بِهِمْ وَيَمُدُّهُمْ فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ

আল্লাহ তাদের সাথে উপহাস করেন এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতার মধ্যে ঢিলদেন, যেন তারা উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ٱشْتَرَوُا۟ ٱلضَّلَٰلَةَ بِٱلْهُدَىٰ فَمَا رَبِحَت تِّجَٰرَتُهُمْ وَمَا كَانُوا۟ مُهْتَدِينَ

তারাই ঐসব লোক, যারা সঠিক পথের বিনিময়ে ভ্রান্তপথ ক্রয় করেছে। সুতরাং তারা এ ব্যবসায় লাভবান হতে পারবে না, আর তারা সঠিক পথও লাভ করতে পারবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَارًا ۚ فَلَمَّاۤ اَضَآءَتْ مَا حَوْلَهٗ ذَهَبَ اللّٰهُ بِنُوْرِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِيْ ظُلُمٰتٍ لَّا يُبْصِرُوْنَ

তাদের উপমা ঐ ব্যক্তির মত, যে আগুন জ্বালালো। অতঃপর যখন আগুন তার চারপাশ আলোকিত করলো, আল্লাহ তাদের আলো নিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকার সমূহের মধ্যে ছেড়ে দিলেন,  ফলে তারা কিছুই দেখতে পায় না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

صُمٌّۢ بُكْمٌ عُمْىٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ

তারা বধির, বোবা, অন্ধ সুতরাং তারা ফিরে আসবেনা। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَوْ كَصَيِّبٍ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ فِيهِ ظُلُمَٰتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَٰبِعَهُمْ فِىٓ ءَاذَانِهِم مِّنَ ٱلصَّوَٰعِقِ حَذَرَ ٱلْمَوْتِۚ وَٱللَّهُ مُحِيطٌۢ بِٱلْكَٰفِرِينَ

অথবা আকাশ থেকে বৃষ্টিপাতের মতো, যার মধ্যে রয়েছে অন্ধকার; গর্জন ও বিদ্যুৎচমক; তারা বজ্রধ্বনির গর্জনে মৃত্যুর ভয়ে তাদের আংগুলগুলোকে তাদের কানগুলোর মধ্যে রাখে। আর আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَكَادُ ٱلْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَٰرَهُمْۖ كُلَّمَآ أَضَآءَ لَهُم مَّشَوْا۟ فِيهِ وَإِذَآ أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُوا۟ۚ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَٰرِهِمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

বিদ্যুৎচমক তাদের দৃষ্টিসমূহ প্রায় কেড়ে নেয়। যখনই তাদের জন্যে আলোকিত হয়, তারা তারমধ্যে চলতে থাকে। এবং যখন তাদের উপর অন্ধকার হয়, তখন তারা দাঁড়িয়ে যায়। আর আল্লাহ যদি চান, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি এবং তাদের দর্শনশক্তি অবশ্যই নিয়ে নিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর পূৰ্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱعْبُدُوا۟ رَبَّكُمُ ٱلَّذِى خَلَقَكُمْ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

হে মানুষ, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের দাসত্ব করো, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের থেকে পূর্বে যারা ছিল তাদেরও স্রষ্টা, যেনো তোমরা (পাপ হতে) বেঁচে চলতে পারো।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ فِرَٰشًا وَٱلسَّمَآءَ بِنَآءً وَأَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَأَخْرَجَ بِهِۦ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ رِزْقًا لَّكُمْۖ فَلَا تَجْعَلُوا۟ لِلَّهِ أَندَادًا وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ

যিনি এ পৃথিবীকে তোমাদের জন্য বিছানা ও আকাশকে কারিগর রূপে বানিয়েছেন এবং আকাশ থেকে পানী বর্ষণ করে থাকেন। এরপর তা দ্বারা নানা ধরণের ফল-মূল উৎপাদন করেন তোমাদের জীবিকা হিসাবে। অতএব জেনে বুঝে তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে সমতুল্য দাঁড় করিও না।*

*ছাদের আরবী 16(26),21(32),43(33),52(5)।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِن كُنتُمْ فِى رَيْبٍ مِّمَّا نَزَّلْنَا عَلَىٰ عَبْدِنَا فَأْتُوا۟ بِسُورَةٍ مِّن مِّثْلِهِۦ وَٱدْعُوا۟ شُهَدَآءَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

আর যদি তোমরা সন্দেহের মধ্যে থাক, যা হতে আমি আমার দাসের প্রতি অবতীর্ণ করি, তবে তোমরা তার মতো একটি সুরা নিয়ে আস। আর তোমরা তোমাদের সকল সাক্ষীদেরকে ডাকো, আল্লাহকে বাদ দিয়ে', যদি তোমরা সত্যবাদী হও।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا۟ وَلَن تَفْعَلُوا۟ فَٱتَّقُوا۟ ٱلنَّارَ ٱلَّتِى وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلْحِجَارَةُۖ أُعِدَّتْ لِلْكَٰفِرِينَ

আর তুমি তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, যারা ঈমান আনবে ও সংশোধনের কাজ করবে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। যার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ঝর্ণাধারা। যখনই তাদেরকে সেই জান্নাতের ফল খেতে দেওয়া হবে, তারা বলবে, এটা তাই, যা পূর্বে আমাদেরকে জীবিকা দেওয়া হয়েছিল। আর তাদেরকে (তা থেকে) যা দেওয়া হবে পরস্পরে সদৃশ হবে। এবং তাদের জন্য তার মধ্যে থাকবে বিপরীত লিঙ্গের পবিত্র জুড়া, এবং সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَبَشِّرِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ أَنَّ لَهُمْ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُۖ كُلَّمَا رُزِقُوا۟ مِنْهَا مِن ثَمَرَةٍ رِّزْقًاۙ قَالُوا۟ هَٰذَا ٱلَّذِى رُزِقْنَا مِن قَبْلُۖ وَأُتُوا۟ بِهِۦ مُتَشَٰبِهًاۖ وَلَهُمْ فِيهَآ أَزْوَٰجٌ مُّطَهَّرَةٌۖ وَهُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

আর তুমি সুসংবাদ দাও, তাদেরকে যারা ঈমান আনবে ও সংশোধনের কাজ করবে তাদের জন্য জান্নাত রয়েছে। যার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ঝর্ণাধারা। যখনই তাদেরকে সেই জান্নাতের ফল খেতে দেওয়া হবে, তারা বলবে, এটা তাই, যা পূর্বে আমাদেরকে রিযক দেওয়া হয়েছিল। আর তাদেরকে (তা থেকে) যা দেওয়া হবে পরস্পরে সদৃশ হবে। এবং তাদের জন্য তার মধ্যে থাকবে বিপরীত লিঙ্গের পবিত্র জুড়া, এবং সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَسْتَحْىِۦٓ أَن يَضْرِبَ مَثَلًا مَّا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَاۚ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْۖ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَيَقُولُونَ مَاذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلاًۘ يُضِلُّ بِهِۦ كَثِيرًا وَيَهْدِى بِهِۦ كَثِيرًاۚ وَمَا يُضِلُّ بِهِۦٓ إِلَّا ٱلْفَٰسِقِينَ

নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা তার চেয়ে ক্ষুদ্রতর কিছুর উপমা দিতে লজ্জাবোধ করেন না। যা হোক যারা ঈমান এনেছে তারা জানে যে, সত্য একমাত্র তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে এসেছে। আর যারা অবিশ্বাস করেছে তারা বলে, এই উপমা দিয়ে আল্লাহ‌ কি চেয়েছেন? এর দ্বারা অনেকে বিপদগামী হয়। আবার অনেকে এর দ্বারা সঠিক পথও পায়। আর এর দ্বারা অমান্যকারী ফাসিক্ব লোকেরা ছাড়া অন্য কেউ বিপথগামী হয় না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِينَ يَنقُضُونَ عَهْدَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مِيثَٰقِهِۦ وَيَقْطَعُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيُفْسِدُونَ فِى ٱلْأَرْضِۚ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ

যারা আল্লাহর সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার পরে, আর আল্লাহ কোরআনের মাধ্যমে যে সব দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্নভিন্ন করে নষ্ট করে দেয় এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِٱللَّهِ وَكُنتُمْ أَمْوَٰتًا فَأَحْيَٰكُمْۖ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

কিরূপে তোমরা আল্লাহর প্রতি অবিস্বাস করছ ? অথচ তোমরা ছিলে মৃত অবস্থায়, পরে তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেছেন। এরপর তোমাদেরকে মৃত্যু দিবেন,এরপর তোমাদেরকে পুনরায় জীবিত করবেন। এরপরে তাঁর দিকেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

هُوَ ٱلَّذِى خَلَقَ لَكُم مَّا فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ ٱسْتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ فَسَوَّىٰهُنَّ سَبْعَ سَمَٰوَٰتٍۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ

এবং তিনিই পৃথিবীতে সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন । এরপর আল্লাহ লক্ষ্য করেছেন আকাশের দিকে। অতঃপর সম্পূর্ণ করেছেন সাত আকাশ। আর তিনিই একমাত্র সব জিনিস সম্পর্কে জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَٰٓئِكَةِ إِنِّى جَاعِلٌ فِى ٱلْأَرْضِ خَلِيفَةًۖ قَالُوٓا۟ أَتَجْعَلُ فِيهَا مَن يُفْسِدُ فِيهَا وَيَسْفِكُ ٱلدِّمَآءَ وَنَحْنُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَۖ قَالَ إِنِّىٓ أَعْلَمُ مَا لَا تَعْلَمُونَ

আর যখন তোমার প্রতিপালক মালা-ইকাদের বললেন, নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীতে খলিফা নিযুক্ত করতে যাচ্ছি। তারা বলল, আপনি কি সেখানে এমন কাউকে নিয়োগ করতে যাচ্ছেন, যে সেখানে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে, আর রক্ত ঝরাবে? আর আমরা আপনার প্রশংসার সাথে চলছি ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমি খুব জানি যা তোমরা জান না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَعَلَّمَ ءَادَمَ ٱلْأَسْمَآءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ فَقَالَ أَنۢبِـُٔونِى بِأَسْمَآءِ هَٰٓؤُلَآءِ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

আর তিনি আদমকে (মানুষকে) যাবতীয় নামসমূহ শিখালেন, এরপর সেগুলো মালা-ইকাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। এরপর বললেন তোমরা আমাকে এসবের নাম সম্পর্কে অবহিত কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قَالُوا۟ سُبْحَٰنَكَ لَا عِلْمَ لَنَآ إِلَّا مَا عَلَّمْتَنَآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْعَلِيمُ ٱلْحَكِيمُ

তারা বলল, আপনি পবিত্র মহান ; আমাদের কোন জ্ঞান নেই; আপনি যা শিখিয়েছেন তা ছাড়া। নিশ্চয়ই আপনিই মহাজ্ঞানী ও মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قَالَ يَٰٓـَٔادَمُ أَنۢبِئْهُم بِأَسْمَآئِهِمْۖ فَلَمَّآ أَنۢبَأَهُم بِأَسْمَآئِهِمْ قَالَ أَلَمْ أَقُل لَّكُمْ إِنِّىٓ أَعْلَمُ غَيْبَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَأَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ

তিনি বললেন, হে আদম ! তুমি তাদেরকে অবহিত কর তাদের নাম গুলো সম্পর্কে, অতঃপর যখন সে  নামগুলো সম্পর্কে তাদের অবহিত করলো, তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল করেই জানি ? এবং সে সব বিষয়ও জানি যা তোমরা প্রকাশ কর ও যা গোপন কর।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَٰٓئِكَةِ ٱسْجُدُوا۟ لِءَادَمَ فَسَجَدُوٓا۟ إِلَّآ إِبْلِيسَ أَبَىٰ وَٱسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ ٱلْكَٰفِرِينَ

আর যখন আমি মালা-ইকাদেরকে  বলি, তোমরা আদমের জন্যে পরম আনুগত্য করবে। কিন্তু ইবলীশ ব্যতীত সবাই পরম আনুগত্য প্রকাশ করে । সে অমান্য করে এবং অহংকার করে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।*

*2(34) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 18(50)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقُلْنَا يَٰٓـَٔادَمُ ٱسْكُنْ أَنتَ وَزَوْجُكَ ٱلْجَنَّةَ وَكُلَا مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَٰذِهِ ٱلشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ


আর আমি বললাম হে আদম, তুমি ও তোমার স্ত্রী, (দুনিয়ার) জান্নাতে বসবাস করতে থাক, এবং সেখান থেকে যা ইচ্ছা তোমরা দুজনে স্বাচ্ছন্দে আহার করতে পার। আর এই অভিশপ্ত গাছের নিকটে যাবেনা না; তা'হলে তোমরা সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।*

*2(35) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 17(60)...।


সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَأَزَلَّهُمَا ٱلشَّيْطَٰنُ عَنْهَا فَأَخْرَجَهُمَا مِمَّا كَانَا فِيهِۖ وَقُلْنَا ٱهْبِطُوا۟ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّۖ وَلَكُمْ فِى ٱلْأَرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَٰعٌ إِلَىٰ حِينٍ

এরপর শয়তান তাদেরকে তা হতে পদস্খলন ঘটাল। অতঃপর সেখান থেকে তাদের দুজনকে বের করে নিল, যেখানে তারা ছিল। এবং আমি বললাম, তোমরা সবাই নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু হবে। এবং পৃথিবীতে তোমাদের জন্য কিছু কালের অবস্থান ও জীবন সামগ্রী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَتَلَقَّىٰٓ ءَادَمُ مِن رَّبِّهِۦ كَلِمَٰتٍ فَتَابَ عَلَيْهِۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ

অতঃপর আদম তার প্রতিপালকের নিকট হতে বাণীসমূহ শিখে নেয়, ফলে তিনি তার প্রতি ক্ষমাপরবশ হলেন। নিশ্চয় তিনি বড় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قُلْنَا ٱهْبِطُوا۟ مِنْهَا جَمِيعًاۖ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّى هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَاىَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

আমি বললাম, তোমরা সবাই এখান থেকে নেমে যাও। অতঃপর যখন আমার পক্ষ হতে তোমাদের কাছে সঠিক পথ নির্দেশনা আসবে, তখন যারা আমার পথ নির্দেশনা অনুসরণ করে চলবে, তখন তাদের জন্য কোন ভয় থাকবে না, আর তারা দুঃখিতও হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَكَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَآ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

আর যারা অবিশ্বাস করবে ও আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করবে , তারাই আগুনের অধিবাসী হবে। তারাই তার মধ্যে চিরকাল থাকবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتِىَ ٱلَّتِىٓ أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَوْفُوا۟ بِعَهْدِىٓ أُوفِ بِعَهْدِكُمْ وَإِيَّٰىَ فَٱرْهَبُونِ

হে ইসরাঈলের সন্তান! তোমরা আমার অনুগ্রহকে স্মরণ কর, যে অনুগ্রহ আমি তোমাদের উপরে করেছি। তোমরা আমার কাছে কৃত প্রতিশ্রুতিকে পূর্ণ কর; আমিও তোমাদের কাছে কৃত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করবো। এবং শুধু তোমরা আমাকেই ভয় করে চল।*

*2(40) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(12),9(111)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَءَامِنُوا۟ بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا۟ أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦۖ وَلَا تَشْتَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِى ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيَّٰىَ فَٱتَّقُونِ

আর তোমরা ঈমান আন ঐ বিষয়ে যা আমি অবতীর্ণ করেছি, তোমাদের কাছে যা আছে তার সত্যায়নকারী। আর তোমরা এর সাথে প্রথম কাফির হয়ো না। আর আমার আয়াতের বিনিময় নগণ্য কিছু নিও না। আর শুধু আমাকেই ভয় কর।*

*2(41), নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 4(137),63(3)

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَا تَلْبِسُوا۟ ٱلْحَقَّ بِٱلْبَٰطِلِ وَتَكْتُمُوا۟ ٱلْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ

আর তোমরা সত্যকে অসত্যের সাথে মিশ্রিত করো না, এবং সত্যকে লুকাবে না, এমতাবস্থায় যে তোমরা জান। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرْكَعُوا۟ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ

আর তোমরা যথাযথভাবে দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করবে ও সাহায্য প্রদান করবে, আর সহযোগিতা কারীদের সাথে সহযোগিতা করবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَتَأْمُرُونَ ٱلنَّاسَ بِٱلْبِرِّ وَتَنسَوْنَ أَنفُسَكُمْ وَأَنتُمْ تَتْلُونَ ٱلْكِتَٰبَۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ

তোমরা কি মানুষদের সৎকাজের নির্দেশ দিচ্ছ ও নিজেদের ক্ষেত্রে ভুলে যাচ্ছ? অথচ তোমরা আল কিতাব তেলাওত করে থাক, তবে কি তোমরা বুঝ না?

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱسْتَعِينُوا۟ بِٱلصَّبْرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى ٱلْخَٰشِعِينَ

আর তোমরা ধৈর্যের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সাহায্য চাইবে, আর নিশ্চয়ই তা বড়ই কঠিন, তবে বিনীত ব্যাক্তিদের উপর কঠিন নয়।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَٰقُوا۟ رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَٰجِعُونَ

যারা মনে করে যে, তাদের প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ হবেই। আর নিশ্চয়ই তাদেরকে তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتِىَ ٱلَّتِىٓ أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَنِّى فَضَّلْتُكُمْ عَلَى ٱلْعَٰلَمِينَ

হে ইসরাঈলের সন্তানগণ, তোমরা আমার অনুগ্রহকে স্মরণ কর, যে অনুগ্রহ আমি তোমাদের উপর করেছি এবং নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱتَّقُوا۟ يَوْمًا لَّا تَجْزِى نَفْسٌ عَن نَّفْسٍ شَيْـًٔا وَلَا يُقْبَلُ مِنْهَا شَفَٰعَةٌ وَلَا يُؤْخَذُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ

এবং তোমরা সে সময়কে ভয় কর, যখন কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির কিছুই মাত্র কাজে আসবে না। এবং তার পক্ষে কোন সুপারিশও গ্রহণ করা হবে না এবং কারোর কাছ থেকে বিনিময়ও নেয়া হবে না ও তাদের সাহায্য করাও হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ نَجَّيْنَٰكُم مِّنْ ءَالِ فِرْعَوْنَ يَسُومُونَكُمْ سُوٓءَ ٱلْعَذَابِ يُذَبِّحُونَ أَبْنَآءَكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَآءَكُمْۚ وَفِى ذَٰلِكُم بَلَآءٌ مِّن رَّبِّكُمْ عَظِيمٌ

আর যখন তোমাদেরকে আমিই মুক্তি দিয়ে থাকি ফিরাউনের সম্প্রদায়ের লোকদের হতে, তারা তোমাদেরকে নিকৃষ্ট যন্ত্রণা দেয়, তোমাদের ছেলে সন্তানদেরকে জবাই করে এবং তোমাদের কন্যা সন্তানদের জীবিত রাখে (কাজ করানোর জন্যে)। এর মধ্যে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে কঠিন পরীক্ষা রয়েছে। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ فَرَقْنَا بِكُمُ ٱلْبَحْرَ فَأَنجَيْنَٰكُمْ وَأَغْرَقْنَآ ءَالَ فِرْعَوْنَ وَأَنتُمْ تَنظُرُونَ

আর যখন আমি তোমাদের জন্য সাগরকে বিভক্ত করে তোমাদেরকে উদ্ধার করেছি এবং ফিরাঊনের সম্প্রদায়কে ডুবিয়ে দিয়েছি, আর এমতাবস্থায় তোমরা তা দেখতে পাচ্ছ।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ وَٰعَدْنَا مُوسَىٰٓ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثُمَّ ٱتَّخَذْتُمُ ٱلْعِجْلَ مِنۢ بَعْدِهِۦ وَأَنتُمْ ظَٰلِمُونَ

এবং যখন মূসা আমার সাথে চল্লিশ রাতের ওয়াদা করে, এরপর তার যাওয়ার পর থেকে তাড়াতাড়ি করার কারণে তোমরা সীমাঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ثُمَّ عَفَوْنَا عَنكُم مِّنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

অতঃপর তোমাদেরকে আমি এর পরেও ক্ষমা করে দিয়েছি, যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ ءَاتَيْنَا مُوسَى ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْفُرْقَانَ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ

এবং আমি মূসাকে আল কিতাব ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী ফোরক্বান দিয়েছি, যেন তোমরা সঠিক পথ প্রাপ্ত হও।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِۦ يَٰقَوْمِ إِنَّكُمْ ظَلَمْتُمْ أَنفُسَكُم بِٱتِّخَاذِكُمُ ٱلْعِجْلَ فَتُوبُوٓا۟ إِلَىٰ بَارِئِكُمْ فَٱقْتُلُوٓا۟ أَنفُسَكُمْ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ عِندَ بَارِئِكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ

আর যখন মূসা তার জাতির উদ্দেশ্যে বলে, হে আমার জাতি ! নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছ তাড়াতাড়ি করতে যেয়ে। সুতরাং তোমরা তোমাদের সৃষ্টিকর্তার দিকে ফিরে আস এবং তোমাদের কুপ্রবৃত্তির ব্যক্তিত্বকে হত্যা কর, এটাই তোমাদের জন্যে তোমাদের স্রষ্টার কাছে উত্তম। তাহলে তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হবেন। নিশ্চয়ই তিনি অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।*

*2(54)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 4(29),28(15)
9(111)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قُلْتُمْ يَٰمُوسَىٰ لَن نُّؤْمِنَ لَكَ حَتَّىٰ نَرَى ٱللَّهَ جَهْرَةً فَأَخَذَتْكُمُ ٱلصَّٰعِقَةُ وَأَنتُمْ تَنظُرُونَ

এবং যখন তোমরা বললে, হে মূসা, আমরা কখনও তোমার প্রতি বিশ্বাস করব না, যতক্ষন পর্যন্ত আমরা প্রকাশ্যভাবে আল্লাহকে না দেখব। ফলে বজ্রপাত তোমাদেরকে ঘিরে ধরে; আর তোমরা তা দেখেও নিয়েছ।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ثُمَّ بَعَثْنَٰكُم مِّنۢ بَعْدِ مَوْتِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

এরপর তোমাদের মৃত জীবনের পর পুনর্জীবিত করা হয়েছে। যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَظَلَّلْنَا عَلَيْكُمُ ٱلْغَمَامَ وَأَنزَلْنَا عَلَيْكُمُ ٱلْمَنَّ وَٱلسَّلْوَىٰۖ كُلُوا۟ مِن طَيِّبَٰتِ مَا رَزَقْنَٰكُمْۖ وَمَا ظَلَمُونَا وَلَٰكِن كَانُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ

আর আমি তোমাদের উপর মেঘের ছায়া দান করেছি। এবং তোমাদের উপর আমি অনুগ্রহ ও নিরাপত্তা দান করেছি, পবিত্র বস্তু থেকে যা আমি রিযিক দিয়েছি তোমরা তা খাও। আর তারা আমার  উপর কোন জুলুম করতে পারে না; কিন্তু তারা নিজেদেরই (উপর) জুলুম করে থাকে।*

*2(57),নং আয়াতের المن/মান্না শব্দের ব্যাখ্যায় 12(90) নং আয়াত, সেখানে من/মান্না শব্দটি রয়েছে...। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قُلْنَا ٱدْخُلُوا۟ هَٰذِهِ ٱلْقَرْيَةَ فَكُلُوا۟ مِنْهَا حَيْثُ شِئْتُمْ رَغَدًا وَٱدْخُلُوا۟ ٱلْبَابَ سُجَّدًا وَقُولُوا۟ حِطَّةٌ نَّغْفِرْ لَكُمْ خَطَٰيَٰكُمْۚ وَسَنَزِيدُ ٱلْمُحْسِنِينَ

এবং যখন আমি বললাম, তোমরা এই নগরীতে প্রবেশ কর, তারপর খাও তা হতে যেভাবে তোমরা চাও স্বানন্দে। আর আনুগত্য সহকারে দ্বারে প্রবেশ করবে এবং বলবে হিত্তাতুন/ক্ষমা চাই। আমি তোমাদের ত্রুটি গুলোকে ক্ষমা করে দিব। এবং অচিরেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে বাড়িয়ে দিব।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَبَدَّلَ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ قَوْلًا غَيْرَ ٱلَّذِى قِيلَ لَهُمْ فَأَنزَلْنَا عَلَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ رِجْزًا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ بِمَا كَانُوا۟ يَفْسُقُونَ

কিন্তু যারা সীমালঙ্ঘন করেছে,তারা কথাকে অন্য কিছু দিয়ে পরিবর্তন করে দেয়, যাকিছু তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছে তা থেকে। তাই আমি যারা সীমালঙ্ঘন করেছে তাদের উপর আকাশ থেকে শাস্তি অবতীর্ণ করি ; নির্দেশ অমান্য করার কারণে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذِ ٱسْتَسْقَىٰ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِۦ فَقُلْنَا ٱضْرِب بِّعَصَاكَ ٱلْحَجَرَۖ فَٱنفَجَرَتْ مِنْهُ ٱثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًاۖ قَدْ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٍ مَّشْرَبَهُمْۖ كُلُوا۟ وَٱشْرَبُوا۟ مِن رِّزْقِ ٱللَّهِ وَلَا تَعْثَوْا۟ فِى ٱلْأَرْضِ مُفْسِدين

আর যখন তোমরা বললে যে, হে মূসা ! আমরা কখনও একই রকম খাদ্যে ধৈর্য ধরতে পারব না। সুতরাং তুমি আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলো, যেন আমাদের জন্য তিনি বের করে দেন যেসব জিনিস মাটি থেকে উৎপন্ন হয়, তরকারী এবং (ভূমি জাত দ্রব্য শাক-সব্জী) ,গম (বা রসুন), মসুর ডাল এবং পেয়াজ। সে বলল, তোমরা উত্তম জিনিসের পরিবর্তে নগণ্য জিনিস বদল করতে চাও? তাহলে তোমরা কোন এক শহরে নেমে যাও, নিশ্চয়ই সেখানে তা সব পাবে, যা তোমরা চেয়েছ। এবং তাদের উপর আপতিত হলো অপমান ও অভাব অনটন। আর আল্লাহর পক্ষ হতে গজবের সাথে তারা ঘুরতে লাগল। এটা একারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতগুলোর প্রতি অবিশ্বাস করে ও অন্যায়ভাবে নবীদেরকে অপমান করে বেড়ায়। এটা একারণে যে, তারা অবাধ্যতা করেছিলো, আর তারা সীমা লংঘনকারী।*

*(2(61),5(70)

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قُلْتُمْ يَٰمُوسَىٰ لَن نَّصْبِرَ عَلَىٰ طَعَامٍ وَٰحِدٍ فَٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ يُخْرِجْ لَنَا مِمَّا تُنۢبِتُ ٱلْأَرْضُ مِنۢ بَقْلِهَا وَقِثَّآئِهَا وَفُومِهَا وَعَدَسِهَا وَبَصَلِهَاۖ قَالَ أَتَسْتَبْدِلُونَ ٱلَّذِى هُوَ أَدْنَىٰ بِٱلَّذِى هُوَ خَيْرٌۚ ٱهْبِطُوا۟ مِصْرًا فَإِنَّ لَكُم مَّا سَأَلْتُمْۗ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ ٱلذِّلَّةُ وَٱلْمَسْكَنَةُ وَبَآءُو بِغَضَبٍ مِّنَ ٱللَّهِۗ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا۟ يَكْفُرُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَيَقْتُلُونَ ٱلنَّبِيِّۦنَ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّۗ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَوا۟ وَّكَانُوا۟ يَعْتَدُونَ

আর যখন তোমরা বললে যে, হে মূসা ! আমরা কখনও একই রকম খাদ্যে ধৈর্য ধরতে পারব না। সুতরাং তুমি আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলো, যেন আমাদের জন্য তিনি বের করে দেন যেসব জিনিস মাটি থেকে উৎপন্ন হয়, তরকারী এবং (ভূমি জাত দ্রব্য শাক-সব্জী) ,গম (বা রসুন), মসুর ডাল এবং পেয়াজ। সে বলল, তোমরা উত্তম জিনিসের পরিবর্তে নগণ্য জিনিস বদল করতে চাও? তাহলে তোমরা কোন এক শহরে নেমে যাও, নিশ্চয়ই সেখানে তা সব পাবে, যা তোমরা চেয়েছ। এবং তাদের উপর আপতিত হলো অপমান ও অভাব অনটন। আর আল্লাহর পক্ষ হতে গজবের সাথে তারা ঘুরতে লাগল। এটা একারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতগুলোর প্রতি অবিশ্বাস করে ও অন্যায়ভাবে নবীদেরকে অপমান করে বেড়ায়। এটা একারণে যে, তারা অবাধ্যতা করেছিলো, আর তারা সীমা লংঘনকারী।*

*(2(61),5(70)

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَٱلَّذِينَ هَادُوا۟ وَٱلنَّصَٰرَىٰ وَٱلصَّٰبِـِٔينَ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُون

নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ,আর যারা সঠিক পথে চলার দাবীদার আর যারা সাহায্যকরার দাবীদার  এবং মূর্তি পূজক-সাবেয়ী;(এদের মধ্য থেকে) যে কেউ ঈমান আনবে আল্লাহ ও শেষ বিচার দিনের উপর, আর সংশোধনের কাজ করবে,তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে প্রতিদান রয়েছে, অতঃপর তাদের কোন ভয় থাকবে না,আর তারা দুঃখিতও হবে না।*

*2(62),নং আয়াতের هادوا শব্দের ব্যাখ্যায় 2(135),।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَٰقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ ٱلطُّورَ خُذُوا۟ مَآ ءَاتَيْنَٰكُم بِقُوَّةٍ وَٱذْكُرُوا۟ مَا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

এবং যখন আমি তোমাদের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করলাম ও তোমাদের আচার আচরণকে মর্যাদায় উঁচু করলাম, এবং বললাম তোমরা শক্তভাবে গ্রহণ কর, যা আমি তোমাদের দিয়েছি আর তার মধ্যে যা রয়েছে তোমরা তা স্মরণ রেখো, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পার।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ثُمَّ تَوَلَّيْتُم مِّنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَۖ فَلَوْلَا فَضْلُ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُۥ لَكُنتُم مِّنَ ٱلْخَٰسِرِينَ

এবং যখন আমি তোমাদের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করলাম ও তোমাদের আচার আচরণকে মর্যাদায় উঁচু করলাম, এবং বললাম তোমরা শক্তভাবে গ্রহণ কর, যা আমি তোমাদের দিয়েছি আর তার মধ্যে যা রয়েছে তোমরা তা স্মরণ রেখো, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পার।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ ٱلَّذِينَ ٱعْتَدَوْا۟ مِنكُمْ فِى ٱلسَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُوا۟ قِرَدَةً خَٰسِـِٔينَ

এবং নিশ্চয়ই তোমরা তাদেরকে জান যারা বিশ্রামের দিনে সীমালংঘন করে, তখনই তো আমি তাদেরকে বলে দিয়েছি তোমরা ঘৃণিত বানরে পরিনত হবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَجَعَلْنَٰهَا نَكَٰلًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ

এরপর আমি এটাকে শিক্ষামূলক বানিয়েছি যারা বর্তমানে আছে ও যারা এর পরে আসবে তাদের জন্য, আর মহৎব্যক্তিদের জন্য বানিয়েছি উপদেশ।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِۦٓ إِنَّ ٱللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تَذْبَحُوا۟ بَقَرَةًۖ قَالُوٓا۟ أَتَتَّخِذُنَا هُزُوًاۖ قَالَ أَعُوذُ بِٱللَّهِ أَنْ أَكُونَ مِنَ ٱلْجَٰهِلِينَ

আর যখন মূসা তার জাতিকে বলল,নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা একটি গাভীকে জবাই কর। তারা বলল, তুমি কি আমাদেরকে বিদ্রুপের বস্তু হিসাবে গ্রহণ করেছ। মূসা বলল, মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قَالُوا۟ ٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِىَۚ قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ لَّا فَارِضٌ وَلَا بِكْرٌ عَوَانٌۢ بَيْنَ ذَٰلِكَۖ فَٱفْعَلُوا۟ مَا تُؤْمَرُونَ

তারা বলল, তুমি তোমার প্রতিপালককে আমাদের জন্য ডেকে বল, তিনি যেন আমাদেরকে বলে দেন সেটা কেমন  হবে, সে বলল, নিশ্চয়ই তিনি সে সম্পর্কে বলেছেন যে, সেটি হচ্ছে একটি গাই-গরু, যা বুড়োও নয় আর বাচ্চাও নয়, এর মাঝামাঝি মধ্যম বয়সের। অতএব তোমরা করে ফেল যার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قَالُوا۟ ٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا لَوْنُهَاۚ قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ صَفْرَآءُ فَاقِعٌ لَّوْنُهَا تَسُرُّ ٱلنَّٰظِرِينَ

তারা বলল, তুমি তোমার প্রতিপালককে আমাদের জন্য ডেকে বল, তার রং সম্পর্কে, তিনি যেন আমাদেরকে বর্ণনা করে দেন। সে বলল, নিশ্চয়ই যে গাভী সম্পর্কে তিনি বলেছেন তার রং নিশ্চয় গাঢ় হলুদ হবে। দর্শকরা তার রং দেখে যেন আনন্দ পায়।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قَالُوا۟ ٱدْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِىَ إِنَّ ٱلْبَقَرَ تَشَٰبَهَ عَلَيْنَا وَإِنَّآ إِن شَآءَ ٱللَّهُ لَمُهْتَدُونَ

(মূসা বলল) নিশ্চয়ই সে সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে, সে গাভীটি জমি চাষ কিংবা ফসল ক্ষেতে পানি সেচের কাজে লাগানো হয়নি, ত্রুটিহীন তার মধ্যে কোন খুঁত থাকবে না, তারা বলল, এখন তুমি সত্য সঠিক তথ্য নিয়ে এসেছ। অতঃপর তারা সেটাকে জবাই করল; আর তারা আসলে তা করতে আগ্রহী ছিল না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ لَّا ذَلُولٌ تُثِيرُ ٱلْأَرْضَ وَلَا تَسْقِى ٱلْحَرْثَ مُسَلَّمَةٌ لَّا شِيَةَ فِيهَاۚ قَالُوا۟ ٱلْـَٰٔنَ جِئْتَ بِٱلْحَقِّۚ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُوا۟ يَفْعَلُونَ

(মূসা বলল) নিশ্চয়ই সে সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে, সে গাভীটি জমি চাষ কিংবা ফসল ক্ষেতে পানি সেচের কাজে লাগানো হয়নি, ত্রুটিহীন তার মধ্যে কোন খুঁত থাকবে না, তারা বলল, এখন তুমি সত্য সঠিক তথ্য নিয়ে এসেছ। অতঃপর তারা সেটাকে জবাই করল; আর তারা আসলে তা করতে আগ্রহী ছিল না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قَتَلْتُمْ نَفْسًا فَٱدَّٰرَْٰٔتُمْ فِيهَاۖ وَٱللَّهُ مُخْرِجٌ مَّا كُنتُمْ تَكْتُمُونَ

আর যখন কতলের(আল-কোরআন প্রচার করার ক্ষেত্রে কথা কাটাকাটির)মাধ্যমে তোমাদের কাউকে মেরে ফেলা হয় এবং নিজেদের মধ্যে অহেতুক কাউকে দোষারোপ করতে লাগ তখন তোমরা যা গোপন কর, আল্লাহ তা ব্যক্ত করতে চান।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَقُلْنَا ٱضْرِبُوهُ بِبَعْضِهَاۚ كَذَٰلِكَ يُحْىِ ٱللَّهُ ٱلْمَوْتَىٰ وَيُرِيكُمْ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ

অতঃপর  আমি বললাম, তোমরা ঘটনার সব কিছুর বিষয়ে তদন্ত করবে। এভাবেই আল্লাহ মৃতকে জীবিত করেন। আর আল্লাহ তাঁর নিদর্শনগুলো তোমাদেরকে দেখিয়ে থাকেন, যাতে তোমরা বুঝতে পার।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُم مِّنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ فَهِىَ كَٱلْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةًۚ وَإِنَّ مِنَ ٱلْحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنْهُ ٱلْأَنْهَٰرُۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ ٱلْمَآءُۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ ٱللَّهِۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ

পরে তোমাদের অন্তরগুলো এর পর থেকে কঠিন হয়ে যায়, পাথরের মত অথবা তার চেয়েও অধিকতর কঠিন। আর নিশ্চয়ই কিছু পাথর এমনও আছে যা ফেটে তা থেকে ঝরণাধারা বের হয়। আর নিশ্চয়ই তার কিছু এমনও আছে যা ফেটে যায় অতঃপর তা থেকে পানি বের হয়। আর নিশ্চয়ই তার কিছু এমনও আছে যা আল্লাহর ভয়ের কারণে ধসে পড়ে। আর আল্লাহ সে সম্পর্কে বেখবর নন; যা তোমরা করছ।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَفَتَطْمَعُونَ أَن يُؤْمِنُوا۟ لَكُمْ وَقَدْ كَانَ فَرِيقٌ مِّنْهُمْ يَسْمَعُونَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُۥ مِنۢ بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ

পরে তোমাদের অন্তরগুলো এর পর থেকে কঠিন হয়ে যায়, পাথরের মত অথবা তার চেয়েও অধিকতর কঠিন। আর নিশ্চয়ই কিছু পাথর এমনও আছে যা ফেটে তা থেকে ঝরণাধারা বের হয়। আর নিশ্চয়ই তার কিছু এমনও আছে যা ফেটে যায় অতঃপর তা থেকে পানি বের হয়। আর নিশ্চয়ই তার কিছু এমনও আছে যা আল্লাহর ভয়ের কারণে ধসে পড়ে। আর আল্লাহ সে সম্পর্কে বেখবর নন; যা তোমরা করছ।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا لَقُوا۟ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَا بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ قَالُوٓا۟ أَتُحَدِّثُونَهُم بِمَا فَتَحَ ٱللَّهُ عَلَيْكُمْ لِيُحَآجُّوكُم بِهِۦ عِندَ رَبِّكُمْۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ

আর যখন বিশ্বাসীদের সাথে সাক্ষাৎ করে, তখন তারা বলে আমরা ঈমান এনেছি। আর যখন গোপনে তারা একে অপরের সাথে সাক্ষাত করে তখন বলে, তোমরা কি তাদেরকে বলে দাও ঐ বিষয়ে যা তোমাদের কাছে আল্লাহ প্রকাশ করেছেন? তা দিয়ে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে তোমাদের প্রতিপালকের কাছে প্রমাণ পেশ করবে। তবে কি তোমরা বুঝ না?

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَوَلَا يَعْلَمُونَ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ

তারা কি জানে না যে, আল্লাহ জানেন যা কিছু তারা গোপন করছে ও যা কিছু তারা প্রকাশ করছে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمِنْهُمْ أُمِّيُّونَ لَا يَعْلَمُونَ ٱلْكِتَٰبَ إِلَّآ أَمَانِىَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ

আর তাদের মধ্যে অনেকেই উম্মি রয়েছে, তারা আল কিতাবের জ্ঞান রাখে না, কিন্তু মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া। আর তাদের কাছে অমূলক ধারণা ছাড়া কিছুই নেই।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَوَيْلٌ لِّلَّذِيْنَ يَكْتُبُوْنَ الْكِتٰبَ بِاَيْدِيْهِمْ ثُمَّ يَقُوْلُوْنَ هٰذَا مِنْ عِنْدِ اللّٰهِ لِيَشْتَرُوْا بِهٖ ثَمَنًا قَلِيْلًا ؕ فَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا كَتَبَتْ اَيْدِيْهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُوْنَ

অতএব ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাত দিয়ে কিতাব লিখে। পরে বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা সামান্য মূল্যে বিক্রি করতে পারে। অতএব তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالُوا۟ لَن تَمَسَّنَا ٱلنَّارُ إِلَّآ أَيَّامًا مَّعْدُودَةًۚ قُلْ أَتَّخَذْتُمْ عِندَ ٱللَّهِ عَهْدًا فَلَن يُخْلِفَ ٱللَّهُ عَهْدَهُۥٓۖ أَمْ تَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ

অতএব ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাত দিয়ে কিতাব লিখে। পরে বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা সামান্য মূল্যে বিক্রি করতে পারে। অতএব তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

بَلَىٰ مَن كَسَبَ سَيِّئَةً وَأَحَٰطَتْ بِهِۦ خَطِيٓـَٔتُهُۥ فَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

বরং সত্য হল, যে কেউ পাপ উপার্জন করবে তাহলে তাকে তার পাপে ঘিরে ধরবে, ফলে ঐসব লোকই আগুনের অধিবাসী হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلْجَنَّةِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

আর যারা ঈমান আনবে ও সংশোধনের কাজ করবে এরাই জান্নাতের অধিবাসী হবে, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَٰقَ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ لَا تَعْبُدُونَ إِلَّا ٱللَّهَ وَبِٱلْوَٰلِدَيْنِ إِحْسَانًا وَذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَقُولُوا۟ لِلنَّاسِ حُسْنًا وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ إِلَّا قَلِيلًا مِّنكُمْ وَأَنتُم مُّعْرِضُونَ

আর যখন আমি ইসরাঈল সন্তানদের থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছি, তোমরা আল্লাহ‌ ব্যতীত অন্য কারোর দাসত্ব করবে না। আর পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজন আর ইয়াতীম এবং গৃহহীনদের কল্যাণের ব্যবস্থা করবে, আর মানুষের সাথে ভালভাবে কথা বলবে, আর যথাযথভাবে দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা করবে ও সাহায্য প্রদান করবে। এরপরেও তোমাদের মধ্য থেকে স্বল্প সংখ্যক লোক ছাড়া তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে; এবং তোমরা আজও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَٰقَكُمْ لَا تَسْفِكُونَ دِمَآءَكُمْ وَلَا تُخْرِجُونَ أَنفُسَكُم مِّن دِيَٰرِكُمْ ثُمَّ أَقْرَرْتُمْ وَأَنتُمْ تَشْهَدُونَ

আর আমি যখন তোমাদের প্রতিশ্রুতি নিলাম যে,তোমরা তোমাদের রক্ত ঝরাবে না,আর তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে ঘর থেকে বের করে দিবে না, এরপর তোমরা স্বীকার করে নিলে, আর তোমরাই সাক্ষ্য দিচ্ছ।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ثُمَّ أَنتُمْ هَٰٓؤُلَآءِ تَقْتُلُونَ أَنفُسَكُمْ وَتُخْرِجُونَ فَرِيقًا مِّنكُم مِّن دِيَٰرِهِمْ تَظَٰهَرُونَ عَلَيْهِم بِٱلْإِثْمِ وَٱلْعُدْوَٰنِ وَإِن يَأْتُوكُمْ أُسَٰرَىٰ تُفَٰدُوهُمْ وَهُوَ مُحَرَّمٌ عَلَيْكُمْ إِخْرَاجُهُمْۚ أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ ٱلْكِتَٰبِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍۚ فَمَا جَزَآءُ مَن يَفْعَلُ ذَٰلِكَ مِنكُمْ إِلَّا خِزْىٌ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَاۖ وَيَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ يُرَدُّونَ إِلَىٰٓ أَشَدِّ ٱلْعَذَابِۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ

আবার তোমরাই ঐসব লোক,যারা নিজেদেরকে হত্যা করছ, আর তোমরা তোমাদের মধ্য থেকে এক দলকে তাদের ঘরগুলো থেকে বের করে দিচ্ছ। তোমরা তাদের উপর পাপ কর্মের সাথে বিদ্রোহ প্রকাশ করে যাচ্ছ। আর যদি তোমাদের কাছে তারা বন্দী হয়ে আসে, তাহলে তোমরা প্রতিদানের মাধ্যমে মুক্তিপণ নিয়ে থাকো। অথচ তাদেরকে বের করে দেওয়া তোমাদের উপর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তোমরা কি আল কিতাবের কিছু অংশের সাথে বিশ্বাস করছ? আর কিছু অংশের সাথে অস্বীকার করে যাচ্ছ? তাহলে তোমাদের মধ্য থেকে যারা এমন করবে, তাদের প্রতিফল এছাড়া আর কি হতে পারে যে, পার্থিব জীবনে রয়েছে অপমান এবং কিয়ামতের দিন তাদেরকে নিক্ষিপ্ত করা হবে কঠোর শাস্তির দিকে এবং আল্লাহ উদাসীন নন ঐ বিষয়ে যা কিছু তোমরা করছ।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ٱشْتَرَوُا۟ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا بِٱلْءَاخِرَةِۖ فَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ ٱلْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ

ঐসব লোক তারাই যারা পার্থিব জীবনকে পরকালের পরিবর্তে কিনে নিয়েছে। ফলে তাদের থেকে শাস্তি হালকা করা হবে না এবং তাদের কোন সাহায্যও করা হবে ন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَقَدْ ءَاتَيْنَا مُوسَى ٱلْكِتَٰبَ وَقَفَّيْنَا مِنۢ بَعْدِهِۦ بِٱلرُّسُلِۖ وَءَاتَيْنَا عِيسَى ٱبْنَ مَرْيَمَ ٱلْبَيِّنَٰتِ وَأَيَّدْنَٰهُ بِرُوحِ ٱلْقُدُسِۗ أَفَكُلَّمَا جَآءَكُمْ رَسُولٌۢ بِمَا لَا تَهْوَىٰٓ أَنفُسُكُمُ ٱسْتَكْبَرْتُمْ فَفَرِيقًا كَذَّبْتُمْ وَفَرِيقًا تَقْتُلُونَ

এবং নিশ্চয়ই আমি মূসাকে আল কিতাব দিয়েছি, এবং তার পর থেকে কপর্যায়ক্রমে আমি রাসূলদের পাঠাই, এবং আমি দিয়েছি মারইয়ামের পুত্র ঈসাকে স্পষ্ট নিদর্শন সমূহ। আর তাকে আমি শক্তিশালী করেছি পবিত্র রূহের মাধ্যমে। তবে কি যখনই কোন রাসূল তা নিয়ে তোমাদের কাছে আসে; যা তোমাদের মন পছন্দ করে না, তোমরা অহংকার করে থাকো। অতঃপর তোমরা একদলকে অস্বীকার কর, আর একদলকে তোমরা অপমান কর।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالُوا۟ قُلُوبُنَا غُلْفٌۢۚ بَل لَّعَنَهُمُ ٱللَّهُ بِكُفْرِهِمْ فَقَلِيلًا مَّا يُؤْمِنُونَ

এবং তারা বলে,আমাদের অন্তর আচ্ছাদিত হয়ে আছে বরং তাদের কুফরী করার কারণে আল্লাহ‌ তাদের প্রতি অভিশাপ দিয়েছেন। তাই খুব কম লোকই ঈমান আনবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَمَّا جَآءَهُمْ كِتٰبٌ مِّنْ عِنْدِ اللّٰهِ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَهُمْ ۙ وَكَانُوْا مِنْ قَبْلُ يَسْتَفْتِحُوْنَ عَلَي الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ۚۖ فَلَمَّا جَآءَهُمْ مَّا عَرَفُوْا كَفَرُوْا بِهٖ ۫ فَلَعْنَةُ اللّٰهِ عَلَي الْكٰفِرِيْنَ

এবং নিশ্চয়ই আমি মূসাকে আল কিতাব দিয়েছি, এবং তার পর থেকে কপর্যায়ক্রমে আমি রাসূলদের পাঠাই, এবং আমি দিয়েছি মারইয়ামের পুত্র ঈসাকে স্পষ্ট নিদর্শন সমূহ। আর তাকে আমি শক্তিশালী করেছি পবিত্র রূহের মাধ্যমে। তবে কি যখনই কোন রাসূল তা নিয়ে তোমাদের কাছে আসে; যা তোমাদের মন পছন্দ করে না, তোমরা অহংকার করে থাকো। অতঃপর তোমরা একদলকে অস্বীকার কর, আর একদলকে তোমরা অপমান কর।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

بِئْسَمَا ٱشْتَرَوْا۟ بِهِۦٓ أَنفُسَهُمْ أَن يَكْفُرُوا۟ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بَغْيًا أَن يُنَزِّلَ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦۖ فَبَآءُو بِغَضَبٍ عَلَىٰ غَضَبٍۚ وَلِلْكَٰفِرِينَ عَذَابٌ مُّهِينٌ

বড়ই নিকৃষ্ট ব্যাপার তারা নিজেদেরকে এর সাথে যা বিক্রি করেছে, যে জিদের কারণে অবিশ্বাস করে যাচ্ছে, যা আল্লাহ‌ অবতীর্ণ করেছেন তার সাথে, আল্লাহর দাসদের মধ্য থেকে যে কেউ চায় তার প্রতি আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহ থেকে অবতীর্ণ করে থাকেন। আর মানুষেরা গজবের উপর গজব কামাই করে যাচ্ছে, আর অবিশ্বাসীদের জন্য অপমানকর শাস্তি রয়েছে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ ءَامِنُوا۟ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ قَالُوا۟ نُؤْمِنُ بِمَآ أُنزِلَ عَلَيْنَا وَيَكْفُرُونَ بِمَا وَرَآءَهُۥ وَهُوَ ٱلْحَقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَهُمْۗ قُلْ فَلِمَ تَقْتُلُونَ أَنۢبِيَآءَ ٱللَّهِ مِن قَبْلُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা ঈমান আনো ঐ বিষয়ের প্রতি যা আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন, তারা বলে, আমরা বিশ্বাস করি ঐ বিষয়ে যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে। আর তারা তা ব্যতীত অন্য সবকে অস্বীকার করে যাচ্ছে , অথচ সেটাই সত্য, তাদের সাথে যা আছে তার সত্যায়নকারী। তুমি বলে দাও, তাহলে তোমরা যদি বিশ্বাসী হয়ে থাক, তাহলে কেন পূর্ব থেকেই আল্লাহর নবীদেরকে অপমান করে যাচ্ছ?

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَقَدْ جَآءَكُم مُّوسَىٰ بِٱلْبَيِّنَٰتِ ثُمَّ ٱتَّخَذْتُمُ ٱلْعِجْلَ مِنۢ بَعْدِهِۦ وَأَنتُمْ ظَٰلِمُونَ

আর নিশ্চয় মূসা তোমাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শন সমূহ নিয়ে এসেছে। এরপর তোমরা তাড়াতাড়ি করাকে গ্রহণ করেছো, তারপর থেকেই তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী হয়ে গেলে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَٰقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ ٱلطُّورَ خُذُوا۟ مَآ ءَاتَيْنَٰكُم بِقُوَّةٍ وَٱسْمَعُوا۟ۖ قَالُوا۟ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَأُشْرِبُوا۟ فِى قُلُوبِهِمُ ٱلْعِجْلَ بِكُفْرِهِمْۚ قُلْ بِئْسَمَا يَأْمُرُكُم بِهِۦٓ إِيمَٰنُكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

এবং আমিই যখন তোমাদের থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করলাম, এবং তোমাদের আচরণকে মর্যাদায় উঁচু করলাম। তোমরা ঐ জিনিসকে শক্তভাবে ধর, যা আমি তোমাদেরকে দিয়েছি এবং তোমরা শোন। তারা বলল, আমরা শুনেছি ও অমান্য করছি। আর তাদের অন্তরের মধ্যে তাড়াতাড়ি করাই গেঁথে গিয়েছে তাদের অবিশ্বাসের কারণে। তুমি বলে দাও, যদি তোমরা মুমিন হওয়ার দাবী কর, তাহলে এই কুরআনের সাথে অন্য যা কিছু মানার নির্দেশ তোমাদের ঈমান দিচ্ছে তা যে কতই না নিকৃষ্ট।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قُلْ إِن كَانَتْ لَكُمُ ٱلدَّارُ ٱلْءَاخِرَةُ عِندَ ٱللَّهِ خَالِصَةً مِّن دُونِ ٱلنَّاسِ فَتَمَنَّوُا۟ ٱلْمَوْتَ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

তুমি বলে দাও, যদি পরকালের বাসস্থান আল্লাহর কাছে একমাত্র তোমাদের জন্য হয়ে থাকে, অন্য লোকদের বাদ দিয়ে, তাহলে মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَن يَتَمَنَّوْهُ أَبَدًۢا بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِٱلظَّٰلِمِينَ

আর কখনও তা তারা কামনা করবে না, এ কারণে, যা তাদের হাত আগে পাঠিয়েছে, আর আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের খুব সম্পর্কে জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَتَجِدَنَّهُمْ أَحْرَصَ ٱلنَّاسِ عَلَىٰ حَيَوٰةٍ وَمِنَ ٱلَّذِينَ أَشْرَكُوا۟ۚ يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ يُعَمَّرُ أَلْفَ سَنَةٍ وَمَا هُوَ بِمُزَحْزِحِهِۦ مِنَ ٱلْعَذَابِ أَن يُعَمَّرَۗ وَٱللَّهُ بَصِيرٌۢ بِمَا يَعْمَلُونَ

আর অবশ্যই তুমি মানুষের মধ্যে তাদেরকে বেশি দিন বেঁচে থাকার প্রতি লোভী পাবে, যারা মুশরীক তাদের চেয়েও। তাদের প্রত্যেকে কামনা করে যদি তাদেরকে এক হাজার বছর আয়ু দেওয়া হতো। অথচ তা (অর্থাৎ দীর্ঘায়ু) তাদেরকে শাস্তি থেকে টলাতে পারবে না, যদিও আয়ু দেওয়া হয়। আর আল্লাহ খুব দেখছেন ঐসব বিষয়ে যা তারা করে যাচ্ছে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قُلْ مَن كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيلَ فَإِنَّهُۥ نَزَّلَهُۥ عَلَىٰ قَلْبِكَ بِإِذْنِ ٱللَّهِ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَبُشْرَىٰ لِلْمُؤْمِنِينَ

তুমি বলো, কে জিবরীলের জন্য শত্রু হচ্ছে?  কেননা নিশ্চয়ই সে তোমার অন্তরের উপর আল্লাহ‌র অনুমতি নিয়ে অবতীর্ণ হয়ে থাকে, তার সত্যানয় করে, যা তার সামনে হাতের মাঝে আছে এবং সঠিক পথ প্রদর্শক ও সুসংবাদ মুমিনীনদের জন্য।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

مَن كَانَ عَدُوًّا لِّلَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَرُسُلِهِۦ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَىٰلَ فَإِنَّ ٱللَّهَ عَدُوٌّ لِّلْكَٰفِرِينَ

যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর মালা-ইকা এবং আল্লাহর রাসূলগণ ও জিবরীল এবং মিকালের শত্রু হবে, ফলে নিশ্চয়ই আল্লাহ‌ সেইসব কাফিরদের শত্রু হবেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَقَدْ أَنزَلْنَآ إِلَيْكَ ءَايَٰتٍۭ بَيِّنَٰتٍۖ وَمَا يَكْفُرُ بِهَآ إِلَّا ٱلْفَٰسِقُونَ

আর নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ। এবং অমান্যকারী-ফাসিক্বগণ ছাড়া এর প্রতি কেউ অবিশ্বাস করে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَوَكُلَّمَا عَٰهَدُوا۟ عَهْدًا نَّبَذَهُۥ فَرِيقٌ مِّنْهُمۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ

তবে কি, যখনই তারা কোন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের মধ্যে থেকে একদল সে প্রতিশ্রুতিকে ছুঁড়ে মেরেছে। বরং তাদের অধিকাংশরাই বিশ্বাস করে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَمَّا جَآءَهُمْ رَسُولٌ مِّنْ عِندِ ٱللَّهِ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَهُمْ نَبَذَ فَرِيقٌ مِّنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ كِتَٰبَ ٱللَّهِ وَرَآءَ ظُهُورِهِمْ كَأَنَّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

এবং যখনই তাদের কাছে আল্লাহর কাছ থেকে কোন একজন রাসূল আসে, তার সত্যায়ন করার জন্য যা তাদের সাথে আছে , যাদেরকে আল কিতাব দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে একদল আল্লাহ‌র কিতাব তাদের পিঠের পিছনে ফেলে দেয়, মনে হয় যেন তারা জানেই না । 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱتَّبَعُوا۟ مَا تَتْلُوا۟ ٱلشَّيَٰطِينُ عَلَىٰ مُلْكِ سُلَيْمَٰنَۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَٰنُ وَلَٰكِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ كَفَرُوا۟ يُعَلِّمُونَ ٱلنَّاسَ ٱلسِّحْرَ وَمَآ أُنزِلَ عَلَى ٱلْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَٰرُوتَ وَمَٰرُوتَۚ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَآ إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِۦ بَيْنَ ٱلْمَرْءِ وَزَوْجِهِۦۚ وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِۦ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ ٱللَّهِۚ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنفَعُهُمْۚ وَلَقَدْ عَلِمُوا۟ لَمَنِ ٱشْتَرَىٰهُ مَا لَهُۥ فِى ٱلْءَاخِرَةِ مِنْ خَلَٰقٍۚ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا۟ بِهِۦٓ أَنفُسَهُمْۚ لَوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ

আর (ধর্মের সাধারণ) মানুষেরা অনুসরণ করে সুলাইমানের রাজত্বে যা শয়তান লোকেরা আবৃত্তি করে অথচ সুলাইমান কুফুরী করে না, কিন্তু মানুষ শয়তানরা কুফুরী করে এবং জনগণকে যাদুবিদ্যা শিক্ষা দেয়। আর অবতীর্ণ করা হয়নি ব্যবিলের সাথে সম্পৃক্ত হারুত ও মারুত দুজন মালাকাইনের (সরদারের) উপর, আর তারা দুজন জনগণ থেকে একজনকে কিছু শিক্ষা দিলে বলে যে, আমরা দুজন পরিক্ষা মাত্র। তাই তুমি গোপন করবে না। অতঃপর (ধর্মের সাধারণ) মানুষেরা হারুত মারুত থেকে যা বিচ্ছেদ ঘটায় স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে তা শিখে নেয়। আর তারা এর সাথে কারোর কোন ক্ষতি করতে পারে না, কিন্তু আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। আর তারা শিখে যাচ্ছে যা তাদের কোন উপকার হচ্ছে না ক্ষতি ছাড়া। আর ভালরূপেই তারা জানে, যে কেউ তা (হাদিস ফেক্বাহের তথা জাদুর পুস্তক) কিনবে, তার জন্য পরকালের মধ্যে কোন অংশ থাকবে না। আর নিশ্চয় তাদের জন্য বড়ই মন্দ, যা এর সাথে তারা নিজেদেরকে বিক্রি করেছে, যদি তারা একটু জানত। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَوْ أَنَّهُمْ ءَامَنُوا۟ وَٱتَّقَوْا۟ لَمَثُوبَةٌ مِّنْ عِندِ ٱللَّهِ خَيْرٌۖ لَّوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা এ কথা বলো না (রায়েনা) আমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হোক, বরং বল (উনজুরনা) আমাদেরকে লক্ষ্য করা হোক, আর তোমরা শুনে রাখো, কাফিরদের জন্য নিদারুণ শাস্তি  রয়েছে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَقُولُوا۟ رَٰعِنَا وَقُولُوا۟ ٱنظُرْنَا وَٱسْمَعُوا۟ۗ وَلِلْكَٰفِرِينَ عَذَابٌ أَلِيم

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা এ কথা বলো না (রায়েনা) আমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হোক, বরং বল (উনজুরনা) আমাদেরকে লক্ষ্য করা হোক, শুনে রাখ যে, কাফিরদের জন্য নিদারুণ শাস্তি রয়েছে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

مَّا يَوَدُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ وَلَا ٱلْمُشْرِكِينَ أَن يُنَزَّلَ عَلَيْكُم مِّنْ خَيْرٍ مِّن رَّبِّكُمْۗ وَٱللَّهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِۦ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ ذُو ٱلْفَضْلِ ٱلْعَظِيمِ

আল কিতাবধারীদের মধ্য হতে যারা কুফুরী করেছে, আর মুশরিকদের মধ্য হতে তারা কেউ চায় না যে, তোমাদের উপর তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। যে উপযুক্ত তাকে তিনি নিজ দয়া দিয়ে মনোনীত করেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহের অধিকারী।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

مَا نَنسَخْ مِنْ ءَايَةٍ أَوْ نُنسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَآ أَوْ مِثْلِهَآۗ أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

আমি কোনো আয়াত রহিত করি না, কিংবা আমি তা ভুলিয়ে দিই না, আমি তার চেয়ে উত্তমের সাথে অথবা তার অনুরূপ আনি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।*

*2(106),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 16(101),43(48),87(6,7)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۗ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّ وَلَا نَصِيرٍ

তুমি কি জান না ? 'আল্লাহ এমন যে, আকাশ ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব' তাঁরই জন্যে। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের জন্য কোন অলি নেই, আর না কোনো সাহায্যকারী রয়েছে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَمْ تُرِيدُونَ أَن تَسْـَٔلُوا۟ رَسُولَكُمْ كَمَا سُئِلَ مُوسَىٰ مِن قَبْلُۗ وَمَن يَتَبَدَّلِ ٱلْكُفْرَ بِٱلْإِيمَٰنِ فَقَدْ ضَلَّ سَوَآءَ ٱلسَّبِيلِ

তোমরা কি চাও? যে, রাসূলকে তেমন ধারা প্রশ্নই করবে,এর পূর্বে মূসা'র কাছে যেমন প্রশ্ন করা হয়েছে। যে কেউ বিশ্বাসের সাথে অবিশ্বাসের বিনিময় করবে; নিশ্চয় সে সরল সোজা পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ لَوْ يَرُدُّونَكُم مِّنۢ بَعْدِ إِيمَٰنِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِندِ أَنفُسِهِم مِّنۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ ٱلْحَقُّۖ فَٱعْفُوا۟ وَٱصْفَحُوا۟ حَتَّىٰ يَأْتِىَ ٱللَّهُ بِأَمْرِهِۦٓۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

আল কিতাবদারীদের অনেকেই সত্য প্রকাশের পরও শুধু হিংসার দরূন এই চেষ্টা করে, যাতে বিস্বাসী হওয়ার পরও তোমাদেরকে অবিশ্বাসী হিসাবেই ফিরিয়ে নিতে পারে। কিন্তু তোমরা তাদেরকে ক্ষমা কর, এড়িয়ে চল যতক্ষন আল্লাহ কোন আদেশ না পাঠান। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَۚ وَمَا تُقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُم مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِندَ ٱللَّهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

আর তোমরা যথাযথভাবে দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা কর, আর সাহায্য প্রদান কর, আর ভাল কাজ যতটুকু তোমরা নিজেদের জন্য আগে পাঠাবে, তা তোমরা আল্লাহর নিকটেই পাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ‌ ঐ ব্যপারে খুব দেখছেন তোমরা যা কিছু করছো।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالُوا۟ لَن يَدْخُلَ ٱلْجَنَّةَ إِلَّا مَن كَانَ هُودًا أَوْ نَصَٰرَىٰۗ تِلْكَ أَمَانِيُّهُمْۗ قُلْ هَاتُوا۟ بُرْهَٰنَكُمْ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِين

এবং তারা বলে ইহুদী কিংবা নাসারা ব্যতীত আর কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। এসব তাদের আজগুবি কল্পনা মাত্র। তুমি বলে দাও, তোমরা তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আস, যদি সত্যবাদী হয়েই থাক।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

بَلَىٰ مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُۥ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَهُۥٓ أَجْرُهُۥ عِندَ رَبِّهِۦ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

তবে হ্যাঁ, যে ব্যক্তি তার সত্তাকে আল্লাহর জন্য সঁপে দিবে এবং সে সুন্দর কর্মও করে থাকবে; তবে তার জন্য তারই প্রতিপালকের কাছে তার প্রতিফল রয়েছে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তা করবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالَتِ ٱلْيَهُودُ لَيْسَتِ ٱلنَّصَٰرَىٰ عَلَىٰ شَىْءٍ وَقَالَتِ ٱلنَّصَٰرَىٰ لَيْسَتِ ٱلْيَهُودُ عَلَىٰ شَىْءٍ وَهُمْ يَتْلُونَ ٱلْكِتَٰبَۗ كَذَٰلِكَ قَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ مِثْلَ قَوْلِهِمْۚ فَٱللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ فِيمَا كَانُوا۟ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ

এবং ইহুদীরা বলে, 'নাসারাদের কোন ভিত্তি নেই' এবং নাসারারা বলে, 'ইহুদীদের কোন ভিত্তি নেই' অথচ তারা সবাই আল কিতাব পাঠ করে, এমন কথা নির্বোধরাও বলে, এদেরই কথার মত। অতএব আল্লাহ কিয়ামতের দিন এদের বিরোধ সমূহের ফায়সালা করবেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن مَّنَعَ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ أَن يُذْكَرَ فِيهَا ٱسْمُهُۥ وَسَعَىٰ فِى خَرَابِهَآۚ أُو۟لَٰٓئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَن يَدْخُلُوهَآ إِلَّا خَآئِفِينَۚ لَهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا خِزْىٌ وَلَهُمْ فِى ٱلْءَاخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

এবং কে আছে তার চেয়ে বড় সীমালঙ্ঘনকারী, যে আল্লাহর‌ পরম আনুগত্যের স্থানে তাঁর নাম স্মরণে বাধা দেয়, আর সে তার ধ্বংসের ব্যপারে চেষ্টা করে। এসব লোকের সেখানে প্রবেশের অধিকার নেই, তবে তাদের ভয় পাওয়ার কথা আলাদা। এ পৃথিবীর মধ্যে তাদের জন্য রয়েছে চরম লাঞ্ছনা আর পরকালেও রয়েছে কঠিন শাস্তি।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلِلَّهِ ٱلْمَشْرِقُ وَٱلْمَغْرِبُۚ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا۟ فَثَمَّ وَجْهُ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ


পূর্ব-পশ্চিম তো আল্লাহরই; অতএব যেদিকেই তোমরা  মুখ ফিরাবে সেদিকেই আল্লাহর চেহারা রয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ বিশাল ব্যাপ্তির একমাত্র অধিকারী, সবকিছু জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالُوا۟ ٱتَّخَذَ ٱللَّهُ وَلَدًاۗ سُبْحَٰنَهُۥۖ بَل لَّهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۖ كُلٌّ لَّهُۥ قَٰنِتُونَ



আর তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি পবিত্র মহান। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে একমাত্র আল্লাহরই। সবকিছু তাঁরই অনুগত।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

بَدِيعُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۖ وَإِذَا قَضَىٰٓ أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ


আল্লাহ হলেন আকাশসমূহ ও পৃথিবীর উদ্ভাবক। আল্লাহ যখন কোন কিছুর ইচ্ছা করেন সে জন্য শুধুমাত্র বলেন 'হও', আর তা বাস্তবে পরিনত হতে চলে যায়।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ لَوْلَا يُكَلِّمُنَا ٱللَّهُ أَوْ تَأْتِينَآ ءَايَةٌۗ كَذَٰلِكَ قَالَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِم مِّثْلَ قَوْلِهِمْۘ تَشَٰبَهَتْ قُلُوبُهُمْۗ قَدْ بَيَّنَّا ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ


আর যারা কিছু জানেনা তারা বলে 'আল্লাহ কেন আমাদের সাথে কথা বলেন না! অথবা আমাদের কাছে কেন কোনো নিদর্শন আসেনা না? এভাবেই তাদের থেকে পূর্বে একদল লোক তাদের কথার অনুরূপ বলে আসছে। তাদের অন্তরসমূহ একই রকম। নিশ্চয়ই আমি সুস্পষ্টভাবে আয়াতসমূহ বর্ণনা করেছি সেই সম্প্রদায়ের জন্যে, যারা দৃঢ় বিশ্বাস করে

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّآ أَرْسَلْنَٰكَ بِٱلْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًاۖ وَلَا تُسْـَٔلُ عَنْ أَصْحَٰبِ ٱلْجَحِيمِ


নিশ্চয় আমি তোমাকে সত্যের মহান পয়গাম দিয়ে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি। জাহান্নামের অধিবাসীদের সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَن تَرْضَىٰ عَنكَ ٱلْيَهُودُ وَلَا ٱلنَّصَٰرَىٰ حَتَّىٰ تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْۗ قُلْ إِنَّ هُدَى ٱللَّهِ هُوَ ٱلْهُدَىٰۗ وَلَئِنِ ٱتَّبَعْتَ أَهْوَآءَهُم بَعْدَ ٱلَّذِى جَآءَكَ مِنَ ٱلْعِلْمِۙ مَا لَكَ مِنَ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّ وَلَا نَصِيرٍ


ইহুদী ও নাসারারা তোমার উপরে কিছুতেই সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষন তাদের পথপন্থা তুমি মেনে না নেবে। তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহর নির্দেশিত পথই হচ্ছে একমাত্র সঠিক পথ। তুমি যদি তাদের খেয়াল-খুশীর মোতাবেক কাজ কর, তোমার কাছে সঠিক জ্ঞান থেকে যে সব তথ্য এসেছে,তারপরও। তাহলে আল্লাহর পক্ষ হতে তোমাকে বাঁচাতে কোন অলি ও সাহায্যকারী পাবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَٰهُمُ ٱلْكِتَٰبَ يَتْلُونَهُۥ حَقَّ تِلَاوَتِهِۦٓ أُو۟لَٰٓئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِۦۗ وَمَن يَكْفُرْ بِهِۦ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ


যাদেরকে আল কিতাব দান করা হয়েছে, তা যারা সঠিকভাবে পাঠ করে, তারাই এর উপরে ঈমান আনে; আর যারা এ কাজে অস্বীকার করেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ দল।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتِىَ ٱلَّتِىٓ أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَنِّى فَضَّلْتُكُمْ عَلَى ٱلْعَٰلَمِينَ


হে ইসরাঈল সন্তানগণ! আমার অনুগ্রহের কথা তোমরা স্মরণ কর, যা আমিই তোমাদেরকে দিয়েছি, নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে সারা বিশ্বের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱتَّقُوا۟ يَوْمًا لَّا تَجْزِى نَفْسٌ عَن نَّفْسٍ شَيْـًٔا وَلَا يُقْبَلُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلَا تَنفَعُهَا شَفَٰعَةٌ وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ

তোমরা সেই দিনকে ভয় কর, যেদিন কেউ কারোর কোনও কাজে আসবে না। কারো কাছ থেকে বিনিময়ে কোন জিনিষ গ্রহণ করা হবে না। কারোর সুপারিশ কোনও উপকারে আসবে না, তাদের কোন সাহায্যও করা হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذِ ٱبْتَلَىٰٓ إِبْرَٰهِۦمَ رَبُّهُۥ بِكَلِمَٰتٍ فَأَتَمَّهُنَّۖ قَالَ إِنِّى جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًاۖ قَالَ وَمِن ذُرِّيَّتِىۖ قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِى ٱلظَّٰلِمِينَ


আর যখন ইব্রাহিমকে তার প্রতিপালক বাণীসমূহের দ্বারা পরীক্ষা করলেন। অতঃপর সে সেগুলো পূর্ণ করল, তিনি বললেন, তোমাকে আমি মানুষের জন্য নেতা হিসেবে নিয়োগ করেছি। সে বলে, আমার বংশধরদের থেকেও। আল্লাহ বললেন, সীমালংঘনকারীদের জন্য আমার প্রতিশ্রুতি প্রযোজ্য হবে না

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ جَعَلْنَا ٱلْبَيْتَ مَثَابَةً لِّلنَّاسِ وَأَمْنًا وَٱتَّخِذُوا۟ مِن مَّقَامِ إِبْرَٰهِۦمَ مُصَلًّىۖ وَعَهِدْنَآ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِۦمَ وَإِسْمَٰعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِىَ لِلطَّآئِفِينَ وَٱلْعَٰكِفِينَ وَٱلرُّكَّعِ ٱلسُّجُودِ

আর যখন, আমি বিশেষ ঘরকে মানুষের জন্য মিলন কেন্দ্র ও শান্তির জায়গা হিসেবে বানালাম, আর (নির্দেশ দিলাম) তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকেই দায়িত্ব পালনের জায়গা হিসেবে গ্রহণ কর। আর আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলের প্রতি আদেশ দিয়েছি যেন তারা আমার ঘরকে যাতায়াত কারী, এতে বসে ধ্যানকারী,সহযোগিতা ও পরম আনুগত্য কারীদের জন্য পবিত্র রাখে *

*2(125),নং আয়াতের ব্যাখ্যা 22(26),9(28)56(79)।
আর এখানে নিরাপদ ঘর বলতে মাসজিদুল হারামকে বুঝানো হয়েছে এব্যাপারে 5(97),29(67)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ رَبِّ ٱجْعَلْ هَٰذَا بَلَدًا ءَامِنًا وَٱرْزُقْ أَهْلَهُۥ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ مَنْ ءَامَنَ مِنْهُم بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِۖ قَالَ وَمَن كَفَرَ فَأُمَتِّعُهُۥ قَلِيلًا ثُمَّ أَضْطَرُّهُۥٓ إِلَىٰ عَذَابِ ٱلنَّارِۖ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ

আর যখন ইবরাহীম বলে,হে আমার প্রতিপালক! এই নগরকে আপনি নিরাপদ বানান, আর এর অধিবাসীদেরকে জীবিকা হিসাবে সব রকমের ফলমুল থেকে দান করুন, তাদের মধ্য থেকে যে কেউ আল্লাহ ও আখেরাতের দিনের উপর ঈমান আনবে,। আল্লাহ বললেন, 'আর যে কেউ অবিশ্বাস করবে, তাকেও আমি কিছুদিন উপভোগ করাবো। এরপর আগুনের শাস্তিতে ভুগতে তাকে আমি বাধ্য করবো। আর তা হচ্ছে অতি নিকৃষ্ট স্থান।*

*2(126),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 14(37),9(28),28(57),22(25)।
এবং কাবায় শুধু ফল-মূল দ্বারা রিযিক পৌঁছানো হয়না, সাথে আল্লাহ মোমিনদে দ্বারা ঘটে যাওয়া ভূল কর্মের জরিমানার মাধ্যমে হাদিয়া স্বরূপ জীবজন্তও পাঠিয়ে থাকেন, এব্যাপারে 2(196),5(1,2,94-97)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَٰهِۦمُ ٱلْقَوَاعِدَ مِنَ ٱلْبَيْتِ وَإِسْمَٰعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّميع العليم

 ইবরাহীম ও ইসমাঈল যখন বিশেষ ঘর থেকে (ইসলামের) কায়দা কানুন মানুষের জন্য তুলে ধরতে লাগল, তখন বলছিলো যে, হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের এই প্রচেষ্টা আপনি গ্রহণ করুন। আপনিই তো সব কিছু ভাল করেই শুনেন ও জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

رَبَّنَا وَٱجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَآ أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের দু'জনকে আপনার অনুগত-মুসলিম বানান ও আমাদের বংশধরদের মধ্যে আপনার অনুগত- মুসলিম হিসাবে একটিদল তৈরী করুন। আর আমাদেরকে দাসত্বের নিয়মনীতি দেখিয়ে দিন ও আমাদের উপর ক্ষমাশীল হন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

رَبَّنَا وَٱبْعَثْ فِيهِمْ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُوا۟ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْۚ إِنَّكَ أَنتَ ٱلْعَزِيزُ ٱلحكيم


হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মধ্য হতে তাদেরই একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যেন তাদেরকে আপনার আয়াতসমূহ পড়ে শুনাতে পারে, তাদেরকে আল কিতাব ও বিজ্ঞান শিখাতে পারে এবং পরিশুদ্ধ করতে পারে, নিশ্চয় আপনি মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمَن يَرْغَبُ عَن مِّلَّةِ إِبْرَٰهِۦمَ إِلَّا مَن سَفِهَ نَفْسَهُۥۚ وَلَقَدِ ٱصْطَفَيْنَٰهُ فِى ٱلدُّنْيَاۖ وَإِنَّهُۥ فِى ٱلْءَاخِرَةِ لَمِنَ ٱلصَّٰلِحين


এমন কে আছে? যে নাকি ইবরাহীমের পথপন্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে? তবে যে নিজেকে নির্বোধ বানিয়েছে, তার কথা আলাদা। নিশ্চয় আমি তাকে দুনিয়াতে নেতারূপে মনোনীত করেছি। আর নিশ্চয়ই সে পরকালেও সংশোধনকারীদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِذْ قَالَ لَهُۥ رَبُّهُۥٓ أَسْلِمْۖ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ


তার প্রতিপালক যখন বললেন, তুমি আত্মসমর্পণ কর। ইবরাহীম বলে, আমি জগতসমূহের প্রতিপালকের কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَوَصَّىٰ بِهَآ إِبْرَٰهِۦمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَٰبَنِىَّ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰ لَكُمُ ٱلدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتم مسلمون


এ সম্বন্ধে ইবরাহীম তার সন্তানদেরকে জোর নির্দেশ দিয়েছে এবং ইয়াকুবও, হে পুত্রগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য' জীবন ব্যবস্থা মনোনীত করেছেন, সুতরাং তোমরা আত্মসমর্পণকারী হওয়া ছাড়া অন্য কোনও অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে না। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَمْ كُنتُمْ شُهَدَآءَ إِذْ حَضَرَ يَعْقُوبَ ٱلْمَوْتُ إِذْ قَالَ لِبَنِيهِ مَا تَعْبُدُونَ مِنۢ بَعْدِى قَالُوا۟ نَعْبُدُ إِلَٰهَكَ وَإِلَٰهَ ءَابَآئِكَ إِبْرَٰهِۦمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ إِلَٰهًا وَٰحِدًا وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ

ইয়াকুবের মৃত্যু যখন ঘনিয়ে এল, তখন তোমরা কি সেখানে উপস্থিত ছিলে? যখন সে তার সন্তানদেরকে বলেছিল আমার মৃত্যুর পরে তোমরা কার দাসত্ব করবে? তারা বলেছিল, আপনার ও আপনার পূর্ব পুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের যে এক আইনদাতা রয়েছেন, আমরা তাঁরই দাসত্ব করবো। কেননা, আমরা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণকারী।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْۖ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْۖ وَلَا تُسْـَٔلُونَ عَمَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ


সেই জাতি নিশ্চয়ই বিগত হয়েছে। তাদের জন্য আছে, যা তারা অর্জন করেছে, আর তোমাদের জন্য আছে, যা তোমরা অর্জন করেছো। আর তাদের কাজ সম্পর্কে তোমাদের কোনো প্রশ্ন করা হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالُوا۟ كُونُوا۟ هُودًا أَوْ نَصَٰرَىٰ تَهْتَدُوا۟ۗ قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَٰهِۦمَ حَنِيفًاۖ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ


এবং তারা বলে তোমরা ইহুদী কিংবা নাসারা হয়ে যাও তাহলে সঠিক পথ পেয়ে যাবে । তুমি বলে দাও, বরং আমরা একমুখী হয়ে ইব্রাহিমের পথপন্থার অনুসরণ করব' এবং সে অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত না। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قُولُوٓا۟ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِۦمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِىَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ

তোমাদের সকলকে ঘোষণা করতে হবে, আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি আর যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়াকুব এবং তাদের বংশধরদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে, আর মূসা ও ঈসাকে যা কিছু দেওয়া হয়েছে, আর সকল নবীদেরকে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা কিছু দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্য হতে কারো মাঝে আমরা কোন পার্থক্য করি না (সুন্নাত তথা নিয়ম-নীতির ক্ষেত্রে)। আর আমরা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম হয়েছি)।

2(136) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 17(78),33(38,62),35(43),48(23)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَإِنْ ءَامَنُوا۟ بِمِثْلِ مَآ ءَامَنتُم بِهِۦ فَقَدِ ٱهْتَدَوا۟ۖ وَّإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّمَا هُمْ فِى شِقَاقٍۖ فَسَيَكْفِيكَهُمُ ٱللَّهُۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ


অতএব যদি তারা তোমাদের অনুরূপ ঈমান আনে, তবে নিশ্চয়ই তারাও সঠিক পথ পাবে। আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে প্রকৃতপক্ষে তারা বিরোধের মধ্যে লিপ্ত রয়েছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি সবকিছু শোনেন, সব কিছুই জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

صِبْغَةَ ٱللَّهِۖ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ ٱللَّهِ صِبْغَةًۖ وَنَحْنُ لَهُۥ عَٰبِدُونَ


আল্লাহর আইন এ ছাড়া আর কার আইন আল্লাহর চেয়ে বেশী সুন্দর হতে পারে? আর আমরা শুধু তাঁরই দাসত্বকারী।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قُلْ أَتُحَآجُّونَنَا فِى ٱللَّهِ وَهُوَ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ وَلَنَآ أَعْمَٰلُنَا وَلَكُمْ أَعْمَٰلُكُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُخْلِصُونَ


তুমি বলে দাও, তোমরা কি আল্লাহর ব্যাপারে আমাদের সাথে তর্ক করবে ? অথচ তিনি আমাদের প্রতিপালক, আর তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কাজের জন্য আমরা দায়ী, তোমাদের কাজের জন্য তোমরাই দায়ী। আমরা শুধু তাঁরই জন্য একনিষ্ঠভাবে (দাসত্বকারী)।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَمْ تَقُولُونَ إِنَّ إِبْرَٰهِۦمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطَ كَانُوا۟ هُودًا أَوْ نَصَٰرَىٰۗ قُلْ ءَأَنتُمْ أَعْلَمُ أَمِ ٱللَّهُۗ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن كَتَمَ شَهَٰدَةً عِندَهُۥ مِنَ ٱللَّهِۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ


তোমরা কি এও বলতে চাও, নিশ্চয়ই ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তাদের বংশধর সবাই ইহুদী অথবা নাসারা ছিল? তুমি বলে দাও, তোমরাই কি বেশি জান ? না আল্লাহ (বেশি জানেন) ? তার চেয়ে বড় সীমালঙ্ঘনকারী আর কে হতে পারে ? যার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে আর তা সে গোপন করে। তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ উদাসীন নন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْۖ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْۖ وَلَا تُسْـَٔلُونَ عَمَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ


সেই জাতি নিশ্চয়ই বিগত হয়েছে। তাদের জন্য আছে, যা তারা অর্জন করেছে ,আর তোমাদের জন্য আছে, যা তোমরা অর্জন করেছো। আর তাদের কাজ সম্পর্কে তোমাদের কোনো প্রশ্ন করা হবে না। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

سَيَقُولُ ٱلسُّفَهَآءُ مِنَ ٱلنَّاسِ مَا وَلَّىٰهُمْ عَن قِبْلَتِهِمُ ٱلَّتِى كَانُوا۟ عَلَيْهَاۚ قُل لِّلَّهِ ٱلْمَشْرِقُ وَٱلْمَغْرِبُۚ يَهْدِى مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ

অচিরেই মানুষের মধ্য থেকে নির্বোধরা বলবে, তাদেরকে তাদের ক্বিবলা থেকে কিসে ফিরিয়ে দিল ? যার উপর তারা ছিল। বলে দাও, পূর্ব পশ্চিম তো আল্লাহরই জন্য। যে কেউ চায় তাকে তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত পথের দিকে পরিচালিত করেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَٰكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِّتَكُونُوا۟ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًاۗ وَمَا جَعَلْنَا ٱلْقِبْلَةَ ٱلَّتِى كُنتَ عَلَيْهَآ إِلَّا لِنَعْلَمَ مَن يَتَّبِعُ ٱلرَّسُولَ مِمَّن يَنقَلِبُ عَلَىٰ عَقِبَيْهِۚ وَإِن كَانَتْ لَكَبِيرَةً إِلَّا عَلَى ٱلَّذِينَ هَدَى ٱللَّهُۗ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَٰنَكُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِٱلنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَّحِيمٌ

আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যমপন্থি উম্মত বানিয়েছি, যাতে তোমরা মানব জাতির উপর সাক্ষী হতে পার, আর বিশেষ রাসূল তোমাদের প্রতি সাক্ষী হবে। আগে তুমি যে ক্বিবলার উপর ছিলে, সেটাকে আমি বানাইনি। তবে এখন রাসূলের অনুসারী কে হবে তা জানা দরকার, আর যে তার দুই গোড়ালির উপর (অর্থাৎ উল্টোদিকে) ফিরে যাবে তাকেও। আর যদিও তা হয় মেনে চলা অবশ্যই কঠিন', তবে তাদের উপর কঠিন নয়, যাদেরকে আল্লাহ সঠিক পথ দেখিয়েছেন। আর আল্লাহ এরূপ নন যে তোমাদের ঈমান নষ্ট করবেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের সাথে বড়ই স্নেহশীল, পরম দয়ালু।*

*2(143) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 57(25), 5(12)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِى ٱلسَّمَآءِۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَىٰهَاۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا۟ وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُۥۗ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ

অবশ্যই আমি দেখছি, তুমি বারবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছ; তাই আমি তোমাকে এমন ক্বিবলার দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছি, যা তুমি পছন্দ কর। অতএব এখন তোমার  মুখ মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও। আর তোমরা যেখানেই থাকবে তোমাদের মুখ সেদিকেই ফিরাবে। আর নিশ্চয়ই যাদেরকে আল কিতাব দেয়া হয়েছে, তারা অবশ্যই জানে যে, তা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে মহা সত্য। আর আল্লাহ সে সম্বন্ধে উদাসীন নন যা তারা করে যাচ্ছে।*

*2(144) আয়াতের ব্যাখ্যায় 6(75-80)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَئِنْ أَتَيْتَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ بِكُلِّ ءَايَةٍ مَّا تَبِعُوا۟ قِبْلَتَكَۚ وَمَآ أَنتَ بِتَابِعٍ قِبْلَتَهُمْۚ وَمَا بَعْضُهُم بِتَابِعٍ قِبْلَةَ بَعْضٍۚ وَلَئِنِ ٱتَّبَعْتَ أَهْوَآءَهُم مِّنۢ بَعْدِ مَا جَآءَكَ مِنَ ٱلْعِلْمِۙ إِنَّكَ إِذًا لَّمِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ


আর তুমি যদি প্রত্যেকটি আয়াত তাদের কাছে নিয়ে আসো, যাদেরকে আল কিতাব দেওয়া হয়েছে, তবুও তারা তোমার ক্বিবলার অনুসরণ করবে না। আর তুমিও তাদের ক্বিবলার অনুসরণ করবে না। আর তাদের মধ্যে অনেকেই একে অন্যের ক্বিবলাকে মানতে রাজী হয় না। আর তুমি যদি তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ কর, তোমার কাছে বিশেষ জ্ঞান থেকে যা কিছু এসেছে তারপর, তাহলে নিশ্চয়ই তুমি সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।  

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَٰهُمُ ٱلْكِتَٰبَ يَعْرِفُونَهُۥ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَآءَهُمْۖ وَإِنَّ فَرِيقًا مِّنْهُمْ لَيَكْتُمُونَ ٱلْحَقَّ وَهُمْ يَعْلَمُونَ

যাদেরকে আমি আল কিতাব দিয়েছি, তারা তাকে তাদের নিজেদের সন্তানদের মতই চিনে। নিশ্চয় তাদের একদল জেনে শুনে সত্যকে গোপন করে যাচ্ছে।*

*2(146) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(89),6(20)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكَۖ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلْمُمْتَرِينَ


প্রকৃত সত্য তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকেই এসেছে, সুতরাং তুমি সন্দেহ পোষণকারীর অন্তর্ভূক্ত হয়ো না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَاۖ فَٱسْتَبِقُوا۟ ٱلْخَيْرَٰتِۚ أَيْنَ مَا تَكُونُوا۟ يَأْتِ بِكُمُ ٱللَّهُ جَمِيعًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ


প্রত্যেকের জন্য একটি দিক/লক্ষ্য রয়েছে, সে তার দিকে মুখ ফিরায়, তাই তোমরা কল্যাণকর্মে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তোমাদের সকলকেই আল্লাহ একত্র করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِۖ وَإِنَّهُۥ لَلْحَقُّ مِن رَّبِّكَۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ


যেখান থেকেই তুমি বের হবে তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকেই ফিরাবে; আর নিশ্চয়ই তা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে সত্য। তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ উদাসীন নন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِن تُطِيعُوا۟ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ يَرُدُّوكُمْ عَلَىٰٓ أَعْقَٰبِكُمْ فَتَنقَلِبُوا۟ خَٰسِرِين


যেখান থেকেই তুমি বের হবে তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকেই ফিরাবে; আর নিশ্চয়ই তা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে সত্য। তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ উদাসীন নন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا۟ وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُۥ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَيْكُمْ حُجَّةٌ إِلَّا ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنْهُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَٱخْشَوْنِى وَلِأُتِمَّ نِعْمَتِى عَلَيْكُمْ وَلَعَلَّكم تهتدون

তুমি যেখান থেকেই বের হবে তোমার চেহারা মাসজিদে হারামের দিকেই ফিরাবে। তোমরা যেখানেই থাকনা কেন, তোমাদের চেহারা সেদিকেই ফিরাবে। যাতে তোমাদের সাথে লোকদের কোনও তর্কের অবকাশ না থাকে। তবে তাদের মধ্যে যারা সীমালঙ্ঘনকারী, তাদের কথা ভিন্ন। তাদেরকে তোমরা ভয় করবে না। আমাকেই ভয় করে চল, যেন আমার অনুগ্রহ তোমাদের উপর পরিপূর্ণরূপে দান করতে পারি। আশা করা যায় তোমরা সঠিক পথে চলবে

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

كَمَآ أَرْسَلْنَا فِيكُمْ رَسُولًا مِّنكُمْ يَتْلُوا۟ عَلَيْكُمْ ءَايَٰتِنَا وَيُزَكِّيكُمْ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَيُعَلِّمُكُم مَّا لَمْ تَكُونُوا۟ تَعْلَمُونَ

যেমন আমি তোমাদের মধ্যে একজন রাসূল পাঠিয়েছি তোমাদেরই মধ্য থেকে, সে তোমাদেরকে আমার আয়াতসমূহ পড়ে শুনাচ্ছে, তোমাদেরকে পরিশুদ্ধ করছে এবং তোমাদেরকে আল কিতাব ও বিজ্ঞান শিখাচ্ছে, আর তোমরা যা জানতে না, তা তোমাদেরকে শিখাচ্ছে।*

*হিকমা/" حكمة" শব্দের ব্যাখ্যায় 17(39)...।

উপস্থিত জীবিত চলমান রাসুলদের ব্যাপারে, 2(129,151,152),3(81,101,164),5(15,19),6(130),7(35),10(47),13(7),14(4),20(134),23(32,51),25(41),28(47,59),42(51),49(7),62(2),65(11),75(15),98(2,3)...।
43(45),58(12),4(64),নং আয়াত মতে রাসুল যদি উপস্থিত নাই থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা করবেন কি করে? 
রাসুল না পাঠানোর দাবীদারদের সম্পর্কে, 40(34)...।

এবং উপস্থিত নবীদের ব্যাপারে,3(68,79-81),5(20),45(16),

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَٱذْكُرُونِىٓ أَذْكُرْكُمْ وَٱشْكُرُوا۟ لِى وَلَا تَكْفُرُونِ


সুতরাং তোমরা আমাকেই স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আমারই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, তোমরা অকৃতজ্ঞ হয়ো না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱسْتَعِينُوا۟ بِٱلصَّبْرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা ধৈর্যের সহিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই থাকেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَا تَقُولُوا۟ لِمَن يُقْتَلُ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ أَمْوَٰتٌۢۚ بَلْ أَحْيَآءٌ وَلَٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ


যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত; কিন্তু তোমরা অনুভব করতে পার না।*

*2(154) আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(169)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَىْءٍ مِّنَ ٱلْخَوْفِ وَٱلْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ ٱلْأَمْوَٰلِ وَٱلْأَنفُسِ وَٱلثَّمَرَٰتِۗ وَبَشِّرِ ٱلصَّٰبِرِينَ


আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, জান-মাল ও ফসলের ক্ষতি দিয়ে, ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَٰبَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوٓا۟ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّآ إِلَيْهِ رَٰجِعُونَ


যারা কোন বিপদ এলে বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্যই আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أُو۟لَٰٓئِكَ عَلَيْهِمْ صَلَوَٰتٌ مِّن رَّبِّهِمْ وَرَحْمَةٌۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُهْتَدُونَ


তাদের উপরেই তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে দায়িত্ব পালন এবং দয়া করা হয় (বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য) আর তারাই সঠিক পথ প্রাপ্ত।*

*2(157)আয়াতের ব্যাখ্যা 30(47),5(67,105),5(16),6(12,34,54),7(196),12(110),24(55),33(43,56),40(51),57(9),14(1),58(21),65(11),75(16-19)।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلْمَرْوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ فَمَنْ حَجَّ ٱلْبَيْتَ أَوِ ٱعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَاۚ وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ ٱللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ


নিশ্চয়ই ছাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত; সুতরাং যে লোক’ বিশেষ ঘরের হজ্জ কিংবা উমরাহ করবে, তার জন্যে এ দু'য়ের মাঝে যাতায়াত করায় কোনো পাপ নেই। আর যে কেউ স্বেচ্ছায় কল্যাণ কাজ করবে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ (তার) মূল্যদানকারী, খুব জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَآ أَنزَلْنَا مِنَ ٱلْبَيِّنَٰتِ وَٱلْهُدَىٰ مِنۢ بَعْدِ مَا بَيَّنَّٰهُ لِلنَّاسِ فِى ٱلْكِتَٰبِۙ أُو۟لَٰٓئِكَ يَلْعَنُهُمُ ٱللَّهُ وَيَلْعَنُهُمُ ٱللَّٰعِنُونَ


নিশ্চয় যারা আমার প্রেরিত সুস্পষ্ট নিদর্শনাদি এবং পথনির্দেশ থেকে গোপন করে, যা আমি মানুষের জন্য আল কিতাবের মধ্যে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি । এতদ্বসত্বেও (যারা মানবে না) তাদের উপরেই আল্লাহ অভিশাপ দিচ্ছেন এবং প্রত্যেকটি মানুষই অভিশাপ দেয়।*

*2(159) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(187)...

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُوا۟ وَأَصْلَحُوا۟ وَبَيَّنُوا۟ فَأُو۟لَٰٓئِكَ أَتُوبُ عَلَيْهِمْۚ وَأَنَا ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ


নিশ্চয় যারা আমার প্রেরিত সুস্পষ্ট নিদর্শনাদি এবং পথনির্দেশ থেকে গোপন করে, যা আমি মানুষের জন্য আল কিতাবের মধ্যে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি । এতদ্বসত্বেও (যারা মানবে না) তাদের উপরেই আল্লাহ অভিশাপ দিচ্ছেন এবং প্রত্যেকটি মানুষই অভিশাপ দেয়।*

*2(159) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(187)...

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَمَاتُوا۟ وَهُمْ كُفَّارٌ أُو۟لَٰٓئِكَ عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ ٱللَّهِ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةِ وَٱلنَّاسِ أَجْمَعِينَ


নিশ্চয় যারা অবিশ্বাসী,আর অবিশ্বাসী অবস্থায় মরে যায়, তাদের উপর আল্লাহ ও মালা-ইকাদের এবং সকল মানুষের অভিশাপ থাকে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

خَٰلِدِينَ فِيهَاۖ لَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ ٱلْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنظَرُونَ


তারা তার মধ্যে চিরস্থায়ী হবে, তাদের থেকে শাস্তি কমানো হবে না। তাদেরকে অবকাশও দেওয়া হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَٰحِدٌۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلرَّحْمَٰنُ ٱلرَّحِيمُ


এবং তোমাদের আইনদাতা তো এক আইনদাতা, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন আইনদাতা নেই; তিনিই করুণাময়, পরম দয়ালু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ فِى خَلْقِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَٱخْتِلَٰفِ ٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ وَٱلْفُلْكِ ٱلَّتِى تَجْرِى فِى ٱلْبَحْرِ بِمَا يَنفَعُ ٱلنَّاسَ وَمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مِن مَّآءٍ فَأَحْيَا بِهِ ٱلْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَبَثَّ فِيهَا مِن كُلِّ دَآبَّةٍ وَتَصْرِيفِ ٱلرِّيَٰحِ وَٱلسَّحَابِ ٱلْمُسَخَّرِ بَيْنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلْأَرْضِ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ

নিশ্চয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করায়, আর দিন ও রাতের আবর্তনে আর (সমুদ্রে) পানির উপরে ভাসমান জলযান যা মানুষের উপকারী জিনিস নিয়ে ভেসে বেড়ায়, আর আকাশ থেকে যে পানি আল্লাহ বর্ষণ করেন, তা দিয়ে মরা জমিনকে জীবিত করে তোলেন, আর তাতে যে চলমান জীব ছড়িয়ে রেখেছেন, বায়ুর গতি পরিবর্তনে, আর মেঘমালা যা আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে ভাসমান রাখা হয়েছে, এসব নিদর্শন এমন সম্প্রদায়ের জন্যই, যারা জ্ঞান রাখে

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ ٱللَّهِۖ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَشَدُّ حُبًّا لِّلَّهِۗ وَلَوْ يَرَى ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓا۟ إِذْ يَرَوْنَ ٱلْعَذَابَ أَنَّ ٱلْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعَذَابِ


এবং মানুষের মধ্যে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকেও আল্লাহর সমতুল্যরূপে গ্রহণ করে তারা ঠিক আল্লাহর মতই তাদেরকে ভালবাসে। কিন্তু যারা ঈমানদার, তারা আল্লাহ‌কেই সবার চেয়ে বেশি ভালবাসে। হায়! জালিমরা যদি ভেবে দেখত যখন তারা শাস্তি সামনেই দেখতে পাবে, বলবে শক্তি সবটুকু আল্লাহরই। এবং এও যে আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِذْ تَبَرَّأَ ٱلَّذِينَ ٱتُّبِعُوا۟ مِنَ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوا۟ وَرَأَوُا۟ ٱلْعَذَابَ وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ ٱلْأَسْبَابُ


যাদেরকে অনুসরণ করা হতো, তাদের থেকে অনুসারীরা যখন অব্যাহতি নিবে আর শাস্তিকে সামনে দেখবে, তখন তাদের সাথে সকল উপায় উপকরণ সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالَ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوا۟ لَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَتَبَرَّأَ مِنْهُمْ كَمَا تَبَرَّءُوا۟ مِنَّاۗ كَذَٰلِكَ يُرِيهِمُ ٱللَّهُ أَعْمَٰلَهُمْ حَسَرَٰتٍ عَلَيْهِمْۖ وَمَا هُم بِخَٰرِجِينَ مِنَ ٱلنَّارِ


আর অনুসরণকারীরা বলবে হায়! আমরা যদি ফিরে যেতে পারতাম; তাহলে আমরাও ঠিক এমনি তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতাম; ঠিক যেমন আজ তারা আমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এমন করেই আল্লাহ তাদের কাজ কর্মগুলো তাদের দেখাবেন। যাতে, তারা মানসিক যন্ত্রনা ভোগ করে, আগুন থেকে তারা কোন দিন বের হতে পারবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ كُلُوا۟ مِمَّا فِى ٱلْأَرْضِ حَلَٰلًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا۟ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيْطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ


হে মানুষ ! পৃথিবীর মধ্যে হালাল পবিত্র যা রয়েছে তোমরা তা হতে আহার কর। শয়তানের পদাঙ্কগুলোর অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের জন্যে প্রকাশ্য শত্রু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّمَا يَأْمُرُكُم بِٱلسُّوٓءِ وَٱلْفَحْشَآءِ وَأَن تَقُولُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ


মূলতঃ শয়তান তোমাদেরকে মন্দ ও অশ্লীল কাজের প্রতি নির্দেশ দেয় এবং তোমরা যেন আল্লাহর সম্বন্ধে এমন কথা বলে বেড়াও, যা তোমরা জান না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ ٱتَّبِعُوا۟ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ قَالُوا۟ بَلْ نَتَّبِعُ مَآ أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ ءَابَآءَنَآۗ أَوَلَوْ كَانَ ءَابَآؤُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ شَيْـًٔا وَلَا يَهْتَدُونَ

আর তাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ  করেছেন,তাই তোমরা অনুসরণ করো। তখন তারা বলে বরং আমরা তো আমাদের বাপ-দাদাদের অনুসরণ করবো। এমন কি, তাদের বাপ-দাদারা নির্বোধ হলেও! আর সঠিক পথে না চলে থাকলেও।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمَثَلُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ كَمَثَلِ ٱلَّذِى يَنْعِقُ بِمَا لَا يَسْمَعُ إِلَّا دُعَآءً وَنِدَآءًۚ صُمٌّۢ بُكْمٌ عُمْىٌ فَهُمْ لَا يَعْقِلُونَ


কাফিরদের উপমা ঠিক এরূপ, যেমন কেউ চিৎকার ও হাঁকডাক শব্দ ছাড়া আর কিছুই বুঝতে পারে না, এমন জন্তুর পেছনেই ধাওয়া করেছে। তারা বধির, বোবা, অন্ধ। তাই তারা কোনো কথাই বুঝতে পারে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُلُوا۟ مِن طَيِّبَٰتِ مَا رَزَقْنَٰكُمْ وَٱشْكُرُوا۟ لِلَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ !  তোমরা পবিত্র জিনিসগুলো হতে খাও, যা আমি তোমাদেরকে জীবিকা হিসাবে দিয়েছি। আর আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, যদি তোমরা শুধু তাঁরই দাসত্ব করার দাবি রাখো। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةَ وَٱلدَّمَ وَلَحْمَ ٱلْخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ بِهِۦ لِغَيْرِ ٱللَّهِۖ فَمَنِ ٱضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

মূলতঃ তিনি তোমাদের উপর স্বইচ্ছায় মরা জন্তু, যে কোন রক্ত, শুকরের মাংস এবং যা কিছু আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে মানত/ উৎসর্গ করা হয়েছে, এসব হারাম করেছেন। যদি কেউ নিরুপায় হয়ে যায়, লোভী কিংবা সীমা লংঘনকারী না হয়ে কিছু খেয়ে ফেলে (জান বাঁচানোর জন্য), তবে তার কোন পাপ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।*

*2(173) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(275),5(72),6(119,143,144,150,151),7(32,33,50),9(29,37),16(115),17(33),25(68),27(91),

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَيَشْتَرُونَ بِهِۦ ثَمَنًا قَلِيلًاۙ أُو۟لَٰٓئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِى بُطُونِهِمْ إِلَّا ٱلنَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ ٱللَّهُ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


নিশ্চয় যারা গোপন করে তা, যা আল্লাহ আল কিতাব থেকে অবতীর্ণ করেন, আর তা নগণ্য মূল্যে বিক্রি করে। এরাই তো নিজেদের পেটে আগুন ছাড়া আর কিছুই ভরে না, খায় না। আল্লাহ এদের সাথে কিয়ামতের দিন কোন কথাই বলবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না। তাদের জন্য রয়েছে নিদারুণ শাস্তি। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ٱشْتَرَوُا۟ ٱلضَّلَٰلَةَ بِٱلْهُدَىٰ وَٱلْعَذَابَ بِٱلْمَغْفِرَةِۚ فَمَآ أَصْبَرَهُمْ عَلَى ٱلنَّارِ


এরাই তো সেই দল যারা সঠিক পথের বদলে ভ্রান্ত পথ ক্রয় করেছে আর ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি। তারা আগুনের উপর কতই না ধৈর্যশীল। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ نَزَّلَ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّۗ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ ٱخْتَلَفُوا۟ فِى ٱلْكِتَٰبِ لَفِى شِقَاقٍۭ بَعِيدٍ

এটা এজন্য যে, আল্লাহ সত্য সহকারে আল কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং নিশ্চয়ই যারা এই আল কিতাবের মধ্যে মতভেদ করেছে তারা নিজেদের জিদের কারণেই তো অনেক দূরে সরে গেছে।*

*2(176) নং আয়াতের ব্যআখ্যআয় 11(117-120), 40(34,35)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لَّيْسَ ٱلْبِرَّ أَن تُوَلُّوا۟ وُجُوهَكُمْ قِبَلَ ٱلْمَشْرِقِ وَٱلْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ ٱلْبِرَّ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةِ وَٱلْكِتَٰبِ وَٱلنَّبِيِّۦنَ وَءَاتَى ٱلْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِۦ ذَوِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينَ وَٱبْنَ ٱلسَّبِيلِ وَٱلسَّآئِلِينَ وَفِى ٱلرِّقَابِ وَأَقَامَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَى ٱلزَّكَوٰةَ وَٱلْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَٰهَدُوا۟ۖ وَٱلصَّٰبِرِينَ فِى ٱلْبَأْسَآءِ وَٱلضَّرَّآءِ وَحِينَ ٱلْبَأْسِۗ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ صَدَقُوا۟ۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُتَّقُونَ

পূণ্যের কাজ এটা নয় যে, তোমরা তোমাদের মুখ পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে ফিরাবে', প্রকৃত পক্ষে পূণ্যের আসল কাজ হল; যে আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয় এবং মালা-ইকা আর আল কিতাব ও সকল নবীদের উপর ঈমান আনে। আর তাঁরই ভালোবাসার কারণে আত্মীয়স্বজন, ইয়াতিম, গৃহহীন, আর সঠিক পথের সন্ধানকারী, সাহায্যপ্রার্থী ও দাস মুক্তির জন্য সম্পদ দান করে। আর যথাযথভাবে দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা করে, সাহায্য প্রদান করে, প্রতিশ্রুতি ঠিকমত পালন করে, আর অর্থসংকটে, রোগব্যাধিতে ও দুঃখ ক্লেশের সময় যারা ধৈর্য ধারণ করে এরাই তারা যারা সত্যবাদী এবং মহৎ।*

*2(177),নং আয়াতের, ابن سبيل ,শব্দের  ব্যাখ্যায় 4(75,98,99)।
এবং ওয়াদা সম্পর্কে 17(34),33(15)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِصَاصُ فِى ٱلْقَتْلَىۖ ٱلْحُرُّ بِٱلْحُرِّ وَٱلْعَبْدُ بِٱلْعَبْدِ وَٱلْأُنثَىٰ بِٱلْأُنثَىٰۚ فَمَنْ عُفِىَ لَهُۥ مِنْ أَخِيهِ شَىْءٌ فَٱتِّبَاعٌۢ بِٱلْمَعْرُوفِ وَأَدَآءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَٰنٍۗ ذَٰلِكَ تَخْفِيفٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَرَحْمَةٌۗ فَمَنِ ٱعْتَدَىٰ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَلَهُۥ عَذَابٌ أَلِيمٌ

পক্ষ থেকে যদি কিছু ক্ষমা করা হয়-তাহলে নিয়ম অনুসারে দাবী পূরণ করা উচিত (অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ধন-সম্পদের মাধ্যমে বিনিময় গ্রহণ করে হত্যার বদলে হত্যার শাস্তিকে ক্ষমা করে দেওয়া)। আর তা যথারীতি আদায় করা দরকার। এ হচ্ছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ভার লাঘব ও অনুগ্রহ। অতঃপর যে ব্যক্তি এর পরেও সীমালঙ্ঘন করবে, তার জন্য আছে অতি কষ্টদায়ক শাস্তি।*

*2(178),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 4(92),5(45)।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَكُمْ فِى ٱلْقِصَاصِ حَيَوٰةٌ يَٰٓأُو۟لِى ٱلْأَلْبَٰبِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ


আর তোমাদের জন্যে বদলার ব্যবস্থার (কিসাসের) মধ্যেই জীবন নিহিত রয়েছে, হে বুদ্ধিমান লোকেরা, আশা করা যায় তোমরা সাবধান হয়ে চলবে। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

كُتِبَ عَلَيْكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ ٱلْمَوْتُ إِن تَرَكَ خَيْرًا ٱلْوَصِيَّةُ لِلْوَٰلِدَيْنِ وَٱلْأَقْرَبِينَ بِٱلْمَعْرُوفِۖ حَقًّا عَلَى ٱلْمُتَّقِينَ


তোমাদের উপর লিখে দেয়া হয়েছে, যখন তোমাদের মধ্যে কারোও মৃত্যু ঘনিয়ে আসবে আর যদি তার ধনসম্পত্তি থাকে, তবে তার পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনের জন্য সুপরিচিত নিয়ম অনুসারে জোর নির্দেশ করতে হবে। এটি মহৎব্যক্তিদের উপর দায়িত্ব।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَمَنۢ بَدَّلَهُۥ بَعْدَمَا سَمِعَهُۥ فَإِنَّمَآ إِثْمُهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ يُبَدِّلُونَهُۥٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ


যদি কেউ ওছিয়ত শোনার পরও তা বদলে দেয়, তবে মূলতঃ এই রদবদলের জন্য পাপ তারই হবে যে রদবদল করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَمَنْ خَافَ مِن مُّوصٍ جَنَفًا أَوْ إِثْمًا فَأَصْلَحَ بَيْنَهُمْ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ।


তবে যদি কেউ ওছিয়াতকারীর পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্ব কিংবা পাপের ভয় করে, তারপর যে ব্যক্তি তাদের মাঝে সংশোধন করে দিবে, এতে তার কোন অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

َٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমাদের উপর সিয়াম তথা (খাদ্য-আহার, পানীয়, ও যৌনসম্ভোগ করা থেকে) বিরত থাকা লিখে দেওয়া হয়েছে, ঠিক যেমন তোমাদের থেকে পূর্বেকার লোকদের জন্য লিখে দেওয়া হয়েছিল, আশা করা যায় তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَيَّامًا مَّعْدُودَٰتٍۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَۚ وَعَلَى ٱلَّذِينَ يُطِيقُونَهُۥ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُۥۚ وَأَن تَصُومُوا۟ خَيْرٌ لَّكُمْۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ


নির্দিষ্ট সংখ্যক দিনগুলোতে। তবে তোমাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ থাকে কিংবা ভ্রমনে থাকে, তবে অন্যান্য দিনগুলোতে সংখ্যা পূরণ করবে। যারা দূর্বল কিংবা চির রোগী তাদের জন্য ফিদিয়া হচ্ছে একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করা। অতঃপর যদি কেউ স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত কোনো কল্যাণকাজ করে, তাহলে তা তার জন্যই কল্যাণকর হবে। কিন্তু সাওম পালনই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

شَهْرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِىٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلْقُرْءَانُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَٰتٍ مِّنَ ٱلْهُدَىٰ وَٱلْفُرْقَانِۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَۗ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا۟ ٱلْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا۟ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

রমাদান মাস, যাতে আল কুরআন অবতীর্ণ করা হয়। যা মানুষের জন্য পথ নির্দেশনা, সঠিক পথের সুস্পষ্ট নিদর্শন আর সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এই বিশেষ মাসটির সাক্ষাৎ পাবে, সে যেনো তাতে (খাদ্য আহার, পানীয় ও যৌনসম্ভোগ করা থেকে) বিরত থাকে। আর যে কেউ অসুস্থ হবে, অথবা ভ্রমনে থাকবে তবে অন্যান্য দিনগুলোতে সংখ্যা পূর্ণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্যে সহজ চান; তিনি তোমাদের জন্যে কঠোরতা চান না। তোমরা যেন সংখ্যা পুর্ণ কর। আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন এজন্য তোমরা যেন আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এবং আশা করা যায় তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।*

*2(185) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 29(45)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِى عَنِّى فَإِنِّى قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعْوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِۖ فَلْيَسْتَجِيبُوا۟ لِى وَلْيُؤْمِنُوا۟ بِى لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ


 

আর যখন আমার দাসেরা আমার সম্পর্কে তোমাকে প্রশ্ন করে তখন বলো, নিশ্চয়ই আমি নিকটেই থাকি। প্রার্থনাকারীর ডাকে আমি সাড়া দিয়ে থাকি, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার উপর যেন ঈমান আনে,। হয়তো তারা সত্যের সন্ধান পাবে। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ ٱلصِّيَامِ ٱلرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَآئِكُمْۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّۗ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْۖ فَٱلْـَٰٔنَ بَٰشِرُوهُنَّ وَٱبْتَغُوا۟ مَا كَتَبَ ٱللَّهُ لَكُمْۚ وَكُلُوا۟ وَٱشْرَبُوا۟ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلْخَيْطُ ٱلْأَبْيَضُ مِنَ ٱلْخَيْطِ ٱلْأَسْوَدِ مِنَ ٱلْفَجْرِۖ ثُمَّ أَتِمُّوا۟ ٱلصِّيَامَ إِلَى ٱلَّيْلِۚ وَلَا تُبَٰشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَٰكِفُونَ فِى ٱلْمَسَٰجِدِۗ تِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَاۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে বিরত থাকার (দিনগুলোর) রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে রফাস তথা যৌন সম্ভোগের প্রস্তুতিমূলক আচরণ করা। তারা তোমাদের প্রতিরক্ষা আর তোমরাও তাদের প্রতিরক্ষা। তোমরা যে তোমাদের নিজেদের সাথে প্রতারণা কর, আল্লাহ তা জানেন। অতঃপর তিনি তোমাদের উপর লক্ষ্য করেছেন, আর তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। অতএব এখন তোমরা তাদেরকে সুসংবাদ দাও। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন তোমরা তা অনুসন্ধান কর। আর তোমরা খাও ও পান কর, যতক্ষন না ভোরের সাদা রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর তোমরা রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মাসজিদে’ (আল্লাহর) ধ্যানেরত অবস্থায় স্ত্রীদেরকে সুসংবাদ দিবে না, এই হচ্ছে আল্লাহর সীমারেখা। তাই তোমরা তাদের নিকটে যাবে না; এভাবেই আল্লাহ তাঁর আয়াতগুলো মানুষের জন্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, আশা করা যায় তারা তাকওয়া অবলম্বন করবে।*

*2(187) নং আয়াতের نساء/"নিসা" শব্দটির 2(222,223,226,231,232,236),4(4,15,43),5(6),65(1)...।


সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَا تَأْكُلُوٓا۟ أَمْوَٰلَكُم بَيْنَكُم بِٱلْبَٰطِلِ وَتُدْلُوا۟ بِهَآ إِلَى ٱلْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا۟ فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَٰلِ ٱلنَّاسِ بِٱلْإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ


তোমরা জেনে শুনে একে অন্যের মাল অন্যায়ভাবে খেয়ো না, আর বিচারকদের কাছে তা পৌঁছে দিও না। যাতে মানুষের সম্পত্তির কোন অংশ পাপের মাধ্যমে জেনে বুঝে খেয়ে ফেলতে পার।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْأَهِلَّةِۖ قُلْ هِىَ مَوَٰقِيتُ لِلنَّاسِ وَٱلْحَجِّۗ وَلَيْسَ ٱلْبِرُّ بِأَن تَأْتُوا۟ ٱلْبُيُوتَ مِن ظُهُورِهَا وَلَٰكِنَّ ٱلْبِرَّ مَنِ ٱتَّقَىٰۗ وَأْتُوا۟ ٱلْبُيُوتَ مِنْ أَبْوَٰبِهَاۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ


তোমার কাছে তারা চাঁদ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলে, তুমি বলে দিবে, তা হচ্ছে মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্জের তারিখ ঠিক করার উপায়। তোমরা তোমাদের ঘরগুলোতে পিছনের দিক দিয়ে প্রবেশ করাকে পূন্যের কাজ মনে কর না, কিন্তু পূন্যের আসল কাজ হল তাকওয়া অবলম্বন করা। আর তোমরা ঘরগুলোতে তার সম্মুখ দরজা দিয়েই ভিতরে আসবে এবং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَٰتِلُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يُقَٰتِلُونَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوٓا۟ۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلْمُعْتَدِين

َতোমরা আল্লাহর পথে (আয়াতের দলিল দ্বারা অপমানের মাধ্যমে) কতল করবে আর যারা তোমাদেরকে (অপমানের মাধ্যমে) কতল করছে তাদেরকেও অপমান করবে। কিন্তু সীমালঙ্ঘন করবে না। নিশ্চয় আল্লাহ‌ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ وَأَخْرِجُوهُم مِّنْ حَيْثُ أَخْرَجُوكُمْۚ وَٱلْفِتْنَةُ أَشَدُّ مِنَ ٱلْقَتْلِۚ وَلَا تُقَٰتِلُوهُمْ عِندَ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ حَتَّىٰ يُقَٰتِلُوكُمْ فِيهِۖ فَإِن قَٰتَلُوكُمْ فَٱقْتُلُوهُمْۗ كَذَٰلِكَ جَزَآءُ ٱلْكَٰفِرِينَ

যেখানে পাও তোমরা তাদেরকে (আয়াতের মাধ্যমে) তাদের ব্যক্তিত্বকে হত্যা করবে, তাদেরকে বহিষ্কার করবে ঠিক যেভাবে তারা তোমাদেরকে বহিষ্কার করে। ফিতনা কতলের (অপমানের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব হত্যা করার) চেয়ে অনেক বেশি গুরতর। মাসজিদুল হারামের নিকট তাদেরকে তোমরা কতল (অপমান) করবে না, যতক্ষন তারা তোমাদেরকে সেখানে কতল (অপমান) না করবে। যদি তারা তোমাদেরকে কতল করে, তাহলে তোমরাও তাদেরকে কতল করবে, এভাবেই আল্লাহ কাফিরদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَإِنِ ٱنتَهَوْا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


অতঃপর যদি তারা বিরত হয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَٰتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِۖ فَإِنِ ٱنتَهَوْا۟ فَلَا عُدْوَٰنَ إِلَّا عَلَى ٱلظَّٰالمين

ফিতনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর দ্বীন/ফায়সালা আল্লাহর জন্য প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তাদেকরে তোমরা (আয়াতের মাধ্যমে) কতল করতে থাকবে। অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে সীমালঙ্ঘনকারীদের ছাড়া অন্যের উপর বাড়াবাড়ি করার সুযোগ নেই।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلشَّهْرُ ٱلْحَرَامُ بِٱلشَّهْرِ ٱلْحَرَامِ وَٱلْحُرُمَٰتُ قِصَاصٌۚ فَمَنِ ٱعْتَدَىٰ عَلَيْكُمْ فَٱعْتَدُوا۟ عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا ٱعْتَدَىٰ عَلَيْكُمْۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلْمُتَّقِينَ


পবিত্র মাসকে যারা সম্মান করবে তাদের জন্যই পবিত্র মাসের সাথেই পবিত্র মাস রয়েছে। এভাবে সবার জন্য সম্মান ও বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই কেউ যখন বাড়াবাড়ি করে, তোমরাও তাদের সাথে তেমন ব্যবহার করবে, তারা তোমাদের সাথে ঠিক যতখানি করেছে। আর আল্লাহকে ভয় কর, তোমরা সবাই জেনে রাখ যে, আল্লাহ মহৎব্যক্তিদের সাথেই রয়েছেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَأَنفِقُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا تُلْقُوا۟ بِأَيْدِيكُمْ إِلَى ٱلتَّهْلُكَةِۛ وَأَحْسِنُوٓا۟ۛ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُحْسِنِينَ


আর তোমরা আল্লাহর (কোরআনের) পথে খরচ কর এবং তোমরা নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ কর না। তোমরা সৎকর্ম কর। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে ভালোবাসেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَأَتِمُّوا۟ ٱلْحَجَّ وَٱلْعُمْرَةَ لِلَّهِۚ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا ٱسْتَيْسَرَ مِنَ ٱلْهَدْىِۖ وَلَا تَحْلِقُوا۟ رُءُوسَكُمْ حَتَّىٰ يَبْلُغَ ٱلْهَدْىُ مَحِلَّهُۥۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ بِهِۦٓ أَذًى مِّن رَّأْسِهِۦ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍۚ فَإِذَآ أَمِنتُمْ فَمَن تَمَتَّعَ بِٱلْعُمْرَةِ إِلَى ٱلْحَجِّ فَمَا ٱسْتَيْسَرَ مِنَ ٱلْهَدْىِۚ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَٰثَةِ أَيَّامٍ فِى ٱلْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْۗ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌۗ ذَٰلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُۥ حَاضِرِى ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ

আর তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ ও উমরাহ পূর্ণ কর। অতঃপর তোমরা যদি বাঁধা প্রাপ্ত হও, তবে সহজলভ্য হাদিয়া দিবে, আর তোমরা তোমাদের মাথা মুন্ডন করবে না। যতক্ষন হাদিয়া তার বৈধস্থানে পৌঁছে না যায়। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ থাকে, কিংবা মাথায় অসুবিধা থাকে, তাহলে সিয়াম অথবা সাদাকা কিংবা কোরবানী দিয়ে’ ফিদিয়া’ আদায় করবে। পরে যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন উমরাহ থেকে হজ্জ পর্যন্ত সাধ্যমত হাদিয়া দিয়ে উপকৃত হও। কিন্তু তা যদি কেউ না পারে তাহলে হজ্জের সময় তিন দিন সিয়াম পালন করবে, আর ফিরবার পর সাত দিন সিয়াম পালন করবে; এভাবে দশটি পুরা হবে। যাদের পরিবার মাসজিদে হারামে নেই, এ ব্যবস্থা তাদের জন্যই। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ আল্লাহ কঠিন শাস্তি দানকারী।*

*2(196),নং আয়াতের ,الحج/হজ্জ শব্দের ব্যাখ্যায়ভ,2(189),28(27),3(97)।
এবং العمرة/ উমরা শব্দের ব্যাখ্যায়,35(11,37)2(96),15(72),26(18),28(45)।
আর হাদিয়া শব্দের ব্যাখ্যায় 27(35,36)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَٰتٌۚ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ ٱلْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِى ٱلْحَجِّۗ وَمَا تَفْعَلُوا۟ مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ ٱللَّهُۗ وَتَزَوَّدُوا۟ فَإِنَّ خَيْرَ ٱلزَّادِ ٱلتَّقْوَىٰۚ وَٱتَّقُونِ يَٰٓأُو۟لِى ٱلْأَلْبَٰبِ

হজ্জের কয়েকটি মাস (রমাদান, শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ্জ) সবাই জানে। তাই যে কেউ এই মাসগুলোতে হজ্জ করাকে স্থির করে নেয়, তাহলে যৌন সম্ভোগের প্রস্তুতিমূলক আচরণ ও অন্যায় আচরণ থেকে সে বিরত থাকবে। হজ্জের সময় কলহ-বিবাদ করবে না। তোমরা যা কিছু কল্যাণ কাজ কর, আল্লাহ তা জানেন। আর তোমরা পাথেয় সাথে নিবে। সেরা পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া। আর আমাকেই ভয় কর, হে বুদ্ধিমান লোকেরা !*

*2(197),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(194)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَبْتَغُوا۟ فَضْلًا مِّن رَّبِّكُمْۚ فَإِذَآ أَفَضْتُم مِّنْ عَرَفَٰتٍ فَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ عِندَ ٱلْمَشْعَرِ ٱلْحَرَامِۖ وَٱذْكُرُوهُ كَمَا هَدَىٰكُمْ وَإِن كُنتُم مِّن قَبْلِهِۦ لَمِنَ ٱلضَّآلِّينَ


তোমাদের কোন পাপ হবে না, যদি তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাহায্য-সামগ্রী সন্ধান কর। তোমরা যখন আরাফাতে একে অপরের পরিচয় লাভ করে সারবে, তখন মাশআরুল হারামের কাছে এলে আল্লাহর কথা স্মরণ করবে। আল্লাহ‌কে স্মরণ রাখবে ঠিক যেমন তোমাদেরকে বলা হয়েছে। তোমরা তো এর পূর্বে বিভ্রান্তদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ثُمَّ أَفِيضُوا۟ مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ ٱلنَّاسُ وَٱسْتَغْفِرُوا۟ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رحيم


এরপর তোমরা ফিরে আসবে, মানুষ যেখান থেকে যেভাবে ফিরে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَإِذَا قَضَيْتُم مَّنَٰسِكَكُمْ فَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ كَذِكْرِكُمْ ءَابَآءَكُمْ أَوْ أَشَدَّ ذِكْرًاۗ فَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِى ٱلدُّنْيَا وَمَا لَهُۥ فِى ٱلْءَاخِرَةِ مِنْ خَلَٰقٍ

অতঃপর যখন তোমরা হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করবে,তখন তোমরা আল্লাহকে এমন ভাবে জিকির তথা স্মরণ করবে, যেমন তোমরা তোমাদের নিজেদের বাপ-দাদাদের কথা জিকির তথা স্মরণ করে থাক, বরং তার চেয়ে বেশি পরিমাণ (আল্লাহকে) মনে রাখবে আর মানুষের মধ্যে যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক ; আপনি আমাদেরকে এই দুনিয়ার মধ্যে সব কিছু দিয়ে দেন, বস্তুতঃ পরকালে তাদের কোন অংশ থাকবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمِنْهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِى ٱلدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِى ٱلْءَاخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ

তাদের মধ্যে কিছু মানুষ (এমনও আছে) যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক ! এ দুনিয়াতে আমাদেরকে যাবতীয় কল্যাণ দান করুন আর পরকালে আমাদেরকে মহা কল্যাণ দান করবেন এবং আগুনের শাস্তি থেকে আমাদেরকে বাঁচাবেন।*

*2(201)নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,3(145),7(256),16(41),42(20,23)..।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ نَصِيبٌ مِّمَّا كَسَبُوا۟ۚ وَٱللَّهُ سَرِيعُ ٱلْحِسَاب


এরাই তো সেই দল যাদের জন্য থাকবে (উভয় স্থানে) অংশ, তা থেকে যা তারা অর্জন করবে এবং আল্লাহ অতি দ্রুত হিসাব নিয়ে থাকেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ فِىٓ أَيَّامٍ مَّعْدُودَٰتٍۚ فَمَن تَعَجَّلَ فِى يَوْمَيْنِ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِۚ لِمَنِ ٱتَّقَىٰۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ


তোমরা আল্লাহকে নির্দিষ্ট সময়/দিনগুলোর মধ্যে বেশি স্মরণ করবে, অতঃপর যে ব্যক্তি তাড়াতাড়ি করে দুইদিনের মধ্যেই ফিরে চলে আসবে তবে তার উপর কোন পাপ নেই। আর যে কেউ দেরী করে ফিরবে, তাতেও তার উপর কোন পাপ নেই। এসব তার জন্যই যে তাকওয়া অবলম্বন করতে চায়। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। এবং তোমরা সবাই জেনে রাখ যে, তোমাদেরকে তাঁরই কাছে একত্র করা হবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يُعْجِبُكَ قَوْلُهُۥ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَيُشْهِدُ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا فِى قَلْبِهِۦ وَهُوَ أَلَدُّ ٱلْخِصَامِ

এবং মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যে,  পার্থিব জীবনের মধ্যে তার কথাবার্তা তোমাকে মুগ্ধ করবে, সে তার অন্তরের মধ্যে যা রয়েছে এর উপর আল্লাহকে সাক্ষী রাখে। আসলে সে সাংঘাতিক ঝগড়াটে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا تَوَلَّىٰ سَعَىٰ فِى ٱلْأَرْضِ لِيُفْسِدَ فِيهَا وَيُهْلِكَ ٱلْحَرْثَ وَٱلنَّسْلَۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلْفَسَادَ


আবার যখন সে কর্তৃত্ব পায় তখন সে দেশের মধ্যে  চেষ্টা করে তাতে বিপর্যয় সৃষ্টির জন্যে, শস্যক্ষেত ও বংশ ধ্বংস করতে। আর আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا قِيلَ لَهُ ٱتَّقِ ٱللَّهَ أَخَذَتْهُ ٱلْعِزَّةُ بِٱلْإِثْمِۚ فَحَسْبُهُۥ جَهَنَّمُۚ وَلَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ


আর যখন তাকে বলা হয়, তুমি আল্লাহকে ভয় কর।তখন তাকে তার মর্যাদা সন্মান পাপের সাথে ধরে রাখে। তাই তার জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট। আর তা অবশ্যই অতি নিকৃষ্ট আবাস।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشْرِى نَفْسَهُ ٱبْتِغَآءَ مَرْضَاتِ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ رَءُوفٌۢ بِٱلْعِبَادِ


মানুষের মধ্য হতে এমনও রয়েছে যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে সে তার নিজেকে বিক্রি করে দেয়। এ ধরনের দাসদের সাথে আল্লাহ খুবই দয়ালু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱدْخُلُوا۟ فِى ٱلسِّلْمِ كَآفَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا۟ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيْطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা সবাই ইসলামের মধ্যে সম্পূর্ভাবে প্রবেশ কর। আর শয়তানের পদাঙ্কগুলো অনুসরণ করবে না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের জন্যে প্রকাশ্য শত্রু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَإِن زَلَلْتُم مِّنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْكُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُ فَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ


অতঃপর যদি তোমরা পদস্খলন কর তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন আসার পর থেকে, তবে তোমরা জেনে রাখো যে, আল্লাহ মহাসম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّآ أَن يَأْتِيَهُمُ ٱللَّهُ فِى ظُلَلٍ مِّنَ ٱلْغَمَامِ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ وَقُضِىَ ٱلْأَمْرُۚ وَإِلَى ٱللَّهِ تُرْجَعُ ٱلْأُمُورُ


তারা কি এজন্যেই অপেক্ষা করছে যে, মেঘের ছায়ায় আল্লাহ ও মালা-ইকারা তাদের কাছে আসবেন, আর সব কাজের মীমাংসা হয়ে যাবে, অথচ সব ব্যাপার আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তিত হয়।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

سَلْ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ كَمْ ءَاتَيْنَٰهُم مِّنْ ءَايَةٍۭ بَيِّنَةٍۗ وَمَن يُبَدِّلْ نِعْمَةَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ


ইসরাঈল সন্তানদেরকে জিজ্ঞাসা কর আমি তাদেরকে কত স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছি। যদি কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ কাছে পেয়েও তা পরিবর্তন করে, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ (অন্যায়ের) শাস্তিদানে কঠোর।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا وَيَسْخَرُونَ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۘ وَٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ فَوْقَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۗ وَٱللَّهُ يَرْزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيْرِحساب


যারা অবিশ্বাস করেছে, পার্থিব জীবনকে তাদের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে। তাই যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে তারা বিদ্রুপ করে। অথচ তাকওয়া অবলম্বন কারীরা কিয়ামতের দিনে তাদের উপর প্রাধান্য লাভ করবে। যে উপযুক্ত আল্লাহ তাকে অপরিমিত জীবিকা দান করেন

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

كَانَ ٱلنَّاسُ أُمَّةً وَٰحِدَةً فَبَعَثَ ٱللَّهُ ٱلنَّبِيِّۦنَ مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَأَنزَلَ مَعَهُمُ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ لِيَحْكُمَ بَيْنَ ٱلنَّاسِ فِيمَا ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِۚ وَمَا ٱخْتَلَفَ فِيهِ إِلَّا ٱلَّذِينَ أُوتُوهُ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْۖ فَهَدَى ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لِمَا ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِ مِنَ ٱلْحَقِّ بِإِذْنِهِۦۗ وَٱللَّهُ يَهْدِى مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ


সব মানুষ একই জাতি ছিল, পরে মানুষের মাঝে যে সব বিষয়ে মতভেদ দেখা দেয়, সে সবের মীমাংসার জন্যেই আমি সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী হিসেবে নবীদেরকে পাঠিয়ে থাকি এবং তাদের সকলের সাথে সত্যসহ আল কিতাবও অবতীর্ণ করেছি। কিন্তু তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো আসার পর থেকে তাদের মধ্যে যারা জিদের উপরে থাকে তারা ব্যতীত আর কেউ এতে মতবিরোধ করে না। অতঃপর মুমিনদেরকে আল্লাহর অনুমতির মাধ্যমে সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়া হয়, যে বিষয়ে তারা মতভেদ করে থাকে, আর যে কেউ চায় আল্লাহ তাকে সুপ্রতিষ্ঠিত পথের দিকে পরিচালিত করেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ ٱلَّذِينَ خَلَوْا۟ مِن قَبْلِكُمۖ مَّسَّتْهُمُ ٱلْبَأْسَآءُ وَٱلضَّرَّآءُ وَزُلْزِلُوا۟ حَتَّىٰ يَقُولَ ٱلرَّسُولُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥ مَتَىٰ نَصْرُ ٱللَّهِۗ أَلَآ إِنَّ نَصْرَ ٱللَّهِ قَرِيبٌ

তোমরা কি মনে করেছ যে? তোমরা এমনিতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে ? অথচ ঐ অবস্থা এখনো তোমরা দেখনি, তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকে সে সব কঠিন বিপদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। দুর্যোগ তাদেরকে অস্থির করে তুলেছে, এমনকি রাসূল ও তার সাথে যে সব মুমিন লোক ছিল তারা বলে উঠতো আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? জেনে রাখ,  নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য খুব নিকটে।*

2(214) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 6(42,63)7(55,56,94,206),23(76)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَسْـَٔلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَۖ قُلْ مَآ أَنفَقْتُم مِّنْ خَيْرٍ فَلِلْوَٰلِدَيْنِ وَٱلْأَقْرَبِينَ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِۗ وَمَا تَفْعَلُوا۟ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌ

তারা তোমাকে প্রশ্ন করে, কার কার প্রতি খরচ করবে? তুমি বলে দাও ! তোমরা ভালো কিছু থেকে যা খরচ করবে তা পিতা-মাতা, আত্বীয়-স্বজন, ইয়াতীম, গৃহহীন ও সত্য সন্ধানীদের জন্য। তোমরা যা কিছু কল্যাণ কাজ থেকে কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা খুব ভালো করেই জানেন।*

*2(215)নং আয়াতের  ابن سبيل শব্দের ব্যাখ্যায়,4(75,98,99)।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْۖ وَعَسَىٰٓ أَن تَكْرَهُوا۟ شَيْـًٔا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْۖ وَعَسَىٰٓ أَن تُحِبُّوا۟ شَيْـًٔا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلمون


তোমাদের উপর কিতাল (কোরআনের সত্য বিদ্যা অর্জন করে নিজেদের কু-রিপুকে হত্যা করা) লিখে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তোমাদের কাছে তা পছন্দ নয়। তবে তোমরা হয়ত কোনও জিনিস অপছন্দ করবে, অথচ তাই যে তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আবার কোন জিনিস হয়ত তোমরা খুবই পছন্দ করবে অথচ তাই তোমাদের জন্য অকল্যাণকছর, আল্লাহই খুব ভালো জানেন, তোমরা কিছুই জান না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلشَّهْرِ ٱلْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِۖ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌۖ وَصَدٌّ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَكُفْرٌۢ بِهِۦ وَٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِۦ مِنْهُ أَكْبَرُ عِندَ ٱللَّهِۚ وَٱلْفِتْنَةُ أَكْبَرُ مِنَ ٱلْقَتْلِۗ وَلَا يَزَالُونَ يُقَٰتِلُونَكُمْ حَتَّىٰ يَرُدُّوكُمْ عَن دِينِكُمْ إِنِ ٱسْتَطَٰعُوا۟ۚ وَمَن يَرْتَدِدْ مِنكُمْ عَن دِينِهِۦ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُو۟لَٰٓئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَٰلُهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ


তারা তোমাকে পবিত্র মাসের মধ্যে কিতালের (কোরআনের সত্য বিদ্যা অর্জন করে নিজের কুরিপুকে হত্যা করার) ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে বলে দিবে, এই সময়ে কিতাল (কোরআনের সত্য বিদ্যা অর্জন করাও) বিরাট ব্যাপার। কিন্তু আল্লাহর কোরআনের পথে বাধা দেওয়া ও তার প্রতি অস্বীকার করা এবং মাসজিদুল হারামে যেতে বাধা দেওয়া ,আর তার বাসিন্দাদেরকেও সেখান থেকে বের করে দেওয়া আল্লাহর কাছে অনেক বড় ব্যাপার। বিপর্যয় সৃষ্টি করা, কাউকে কতল (অপমানের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব হত্যা) করার চেয়েও বড় অন্যায়। তারা থামবে না (সর্বদাই) তোমাদের বিরুদ্ধে কতল (অপমান) করতে থাকবে, তারা যতক্ষণ তোমাদের দ্বীন থেকে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নিতে না পারবে, যদি তাদের সাধ্যে কুলোয়। আর যে কেউ তোমাদের মধ্যথেকে তাঁর জীবন ব্যবস্থা হতে ফিরে যাবে, তাহলে সে কাফির অবস্থায় মারা যাবে। ঐসব লোকদের সব কাজ-কর্ম দুনিয়া ও পরকালে নষ্ট হয়ে যাবে। আর ঐসব লোকেরাই তো আগুনের অধিবাসী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَٱلَّذِينَ هَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ أُو۟لَٰٓئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَتَ ٱللَّهِۚ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


নিশ্চয় যারা ঈমানদার আনে ও স্থানান্তর হয়, আর আল্লাহর পথে উৎকৃষ্টতম কর্ম করে, ঐসব লোকেরাই আল্লাহর দয়ার আশা করে। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْخَمْرِ وَٱلْمَيْسِرِۖ قُلْ فِيهِمَآ إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَٰفِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَآ أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَاۗ وَيَسْـَٔلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ قُلِ ٱلْعَفْوَۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ

তারা তোমার কাছে নেশাকর বস্তু ও মেহনত ছাড়া অর্জনকৃত মাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তুমি বলবে, এ দু'টির মধ্যে রয়েছে বড় পাপ। আর মানুষের জন্যে এতে কিছু উপকারও রয়েছে। কিন্তু উপকারের তুলনায় এতে ক্ষতি অনেক বেশি। আর তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে কতটুকু খরচ করতে হবে, তুমি বলে দিবে, যা ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য (নির্ধারিত)। এভাবেই আল্লাহ নিজের আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে তোমাদেরকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, আশা করা যায় তোমরা চিন্তা-ভাবনা করবে। *

*2(219), নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 7 (199),4(64), 9(103,104)....

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِۗ وَيَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْيَتَٰمَىٰۖ قُلْ إِصْلَاحٌ لَّهُمْ خَيْرٌۖ وَإِن تُخَالِطُوهُمْ فَإِخْوَٰنُكُمْۚ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ ٱلْمُفْسِدَ مِنَ ٱلْمُصْلِحِۚ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَأَعْنَتَكُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

ইহকাল ও পরকালের সম্পর্কে, আর এতীমদের সম্পর্কে তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করলে, তুমি বলে দিবে, তাদের জন্যে সংশোধনের ব্যবস্থা করাই উত্তম। তাদেরকে যদি নিজেদের সাথে সংযোগ করে নাও, তা'হলে তারা তোমাদের ভাই বলে গণ্য হবে। আল্লাহ সংশোধনকারীদের হতে অনিষ্টকারীদেরকে (পৃথক করতে) ভালো করেই জানেন। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে কষ্টে ফেলতে পারতেন। নিশ্চয় আল্লাহ মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَا تَنكِحُوا۟ ٱلْمُشْرِكَٰتِ حَتَّىٰ يُؤْمِنَّۚ وَلَأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْۗ وَلَا تُنكِحُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤْمِنُوا۟ۚ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْۗ أُو۟لَٰٓئِكَ يَدْعُونَ إِلَى ٱلنَّارِۖ وَٱللَّهُ يَدْعُوٓا۟ إِلَى ٱلْجَنَّةِ وَٱلْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِۦۖ وَيُبَيِّنُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ

তোমরা মুশরিক মেয়েদেরকে বিয়ে করবে না, যতক্ষন না  তারা ঈমান আনবে, একজন মুমিন কৃতদাসী নারী (কাজের মেয়ে) মুশরিক নারী থেকে  উত্তম, যদিও তারা তোমাদেরকে মুগ্ধ করে, মুশরিক পুরুষদের কেউ ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা বিয়ে কর না। মুমিন কৃতদাস মুশরিক ব্যক্তির চাইতেও উত্তম, যদিও তারা তোমাদেরকে মুগ্ধ করে। তারা তোমাদেরকে আগুনের দিকেই ডাকছে, আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর অনুমতি মাধ্যমে জান্নাত ও ক্ষমার দিকেই ডাকছেন। মানুষের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করছেন, আশা করা যায় তারা শিক্ষা গ্রহন করবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَيَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلْمَحِيضِۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَٱعْتَزِلُوا۟ ٱلنِّسَآءَ فِى ٱلْمَحِيضِۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلْمُتَطَهِّرِينَ

তারা তোমাকে রজঃস্রাব সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তুমি বলে দিবে ! তা অশুচি/কষ্টদায়ক। তাই তোমরা রজঃস্রাব কালে স্ত্রীদের থেকে দুরে থাকবে। পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের নিকটে যেয়ো না। অতঃপর তারা যখন পবিত্র হবে (উত্তমরূপে গোসল করে) তখন তোমরা আল্লাহ যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, ঠিক সে পথেই/সেই ভাবেই তাদের কাছে আসবে। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে ভালো বাসেন। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا۟ حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْۖ وَقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُمْۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُم مُّلَٰقُوهُۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ

তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্যে সশ্যক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের সশ্যক্ষেত্রে যাও, যেভাবে তোমরা চাও। আর তোমরা তোমাদের নিজেদের জন্যে আগে পাঠাও। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা জেনে রাখো যে, তোমরা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে। মুমিনদেরকে তুমি সুসংবাদ দাও।*

*2(223) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 42(20)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَا تَجْعَلُوا۟ ٱللَّهَ عُرْضَةً لِّأَيْمَٰنِكُمْ أَن تَبَرُّوا۟ وَتَتَّقُوا۟ وَتُصْلِحُوا۟ بَيْنَ ٱلنَّاسِۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

তোমরা’ কসম’ দিয়ে এমন সব কাজে আল্লাহকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার কর না। তাই তোমরা পূন্যের কাজ, আত্মসংযম ও মানুষের মাঝে সংশোধনের কাজ করতে থাকো। আর আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لَّا يُؤَاخِذُكُمُ ٱللَّهُ بِٱللَّغْوِ فِىٓ أَيْمَٰنِكُمْ وَلَٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا كَسَبَتْ قُلُوبُكُمْۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

আল্লাহ তোমাদেরকে অর্থহীন শপথগলোর জন্যে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু তিনি তোমাদের অন্তরগুলোর (দৃঢ়) সংকল্পের জন্য গুরুত্ব দেন। আর আল্লাহ বড় ক্ষমাশীল, সহনশীল।*

*2(225) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(89)।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لِّلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِن نِّسَآئِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍۖ فَإِن فَآءُو فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


যারা তাদের নিজেদের স্ত্রীদের হতে সম্পর্ক না রাখার শপথ করবে তারা চারমাস অপেক্ষা (চিন্তাচর্চা) করবে। অতঃপর যদি তারা ফিরে আসে/মিলে যায় তাহলে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِنْ عَزَمُوا۟ ٱلطَّلَٰقَ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

আর যদি আলাদা হয়ে যাওয়ার ইচ্ছাই তাদের থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুই শোনেন ও জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱلْمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٍۚ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ فِىٓ أَرْحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤْمِنَّ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِۚ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِى ذَٰلِكَ إِنْ أَرَادُوٓا۟ إِصْلَٰحًاۚ وَلَهُنَّ مِثْلُ ٱلَّذِى عَلَيْهِنَّ بِٱلْمَعْرُوفِۚ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

যাদেরকে তালাক/আলাদা করে দেওয়া হবে শয়ন কক্ষ হতে। তারা তাদের নিজেদের জন্যে তিন রজঃস্রাব কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, আল্লাহ তাদের গর্ভাশয়ে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, তা গোপন করা তাদের জন্য মোটেই বৈধ নয়। যদি তারা আল্লাহ ও পরকাল সম্পর্কে বিশ্বাসী হয়ে থাকে। তাদের স্বামীদের এ অধিকার রয়েছে সংশোধনের ইচ্ছা থাকলে ফিরিয়ে আনতে পারবে, আর মেয়েদেরও ঠিক তেমন অধিকার রয়েছে, যেমন তাদের উপর অধিকার কায়েম করা হয়েছে। সুপরিচিত বিধি মোতাবেক পুরুষদের জন্য নারীদের উপর মর্যাদা আছে, আসলে আল্লাহ মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلطَّلَٰقُ مَرَّتَانِۖ فَإِمْسَاكٌۢ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌۢ بِإِحْسَٰنٍۗ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا۟ مِمَّآ ءَاتَيْتُمُوهُنَّ شَيْـًٔا إِلَّآ أَن يَخَافَآ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا ٱفْتَدَتْ بِهِۦۗ تِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَاۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ ٱللَّهِ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ

তালাক দু'বার। অতঃপর সুপরিচিত বিধিমতে তাকে কাছে রাখা যাবে কিংবা ভদ্রভাবে মুক্তি/বিদায় দেওয়া যাবে। তোমাদের জন্য এ বৈধ নয়, তাদেরকে তোমরা যা দিয়েছ তা থেকে কিছু রাখবে। তবে স্বামী-স্ত্রী দু'জনেরই যদি এমন আশংকা হয় তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, সে কথা ভিন্ন। যদি এমন আশংকা থাকে (অর্থাৎ তোমরা যদি আশংকা কর) যে, তারা দু'জনে আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, সে ক্ষেত্রে যদি স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে নিষ্কৃতি চায় (অর্থাৎ যদি তালাক নিতে চায়), তাহলে তাদের পাপ হবে না। এই হচ্ছে আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা তা লংঘন কর না। যে কেউ আল্লাহর  সীমারেখা লংঘন করবে তারাই অত্যাচারী হবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُۥ مِنۢ بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُۥۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَآ أَن يَتَرَاجَعَآ إِن ظَنَّآ أَن يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِۗ وَتِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

অতঃপর উক্ত স্ত্রীকে যদি সে তালাক্ব দেয় তবে যতক্ষণ না ঐ স্ত্রী অন্য স্বামীকে বিবাহ করছে তার জন্য সে বৈধ হবেনা। অতঃপর ঐ দ্বিতীয় স্বামী যদি তাকে তালাক্ব দেয়, তবে তাদের পুণরাই পরস্পরের কাছে (বিবাহের মাধ্যমে)  ফিরে আসা কারো কোনো পাপ নেই, যদি তারা দুজনেই মনে করে যে তারা আল্লাহ‌র সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে। এ সব আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা,জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ এগুলি স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا طَلَّقْتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍۚ وَلَا تُمْسِكُوهُنَّ ضِرَارًا لِّتَعْتَدُوا۟ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُۥۚ وَلَا تَتَّخِذُوٓا۟ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ هُزُوًاۚ وَٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمَآ أَنزَلَ عَلَيْكُم مِّنَ ٱلْكِتَٰبِ وَٱلْحِكْمَةِ يَعِظُكُم بِهِۦۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ

তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিবে (অর্থাৎ শয়ন কক্ষ হতে আলাদা করে দিবে) অতঃপর তারা তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদে পৌঁছে যাবে , তখন তাদেরকে সুপরিচিত নিয়ম অনুসারে কাছেই রাখতে পারবে, অথবা সুপরিচিত নিয়ম অনুসারে তাদেরকে মুক্তি/বিদায় দিতে পারবে। কষ্ট দেওয়ার জন্য আটকে রাখবে না, যাতে তোমরা জুলুম-অত্যাচার করতে পারবে। যে কেউ এমন করবে, তাহলে সে তো তার নিজের উপরেই অবিচার করবে। আর তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে ঠাট্টাতামাশার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা স্মরণ করো তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহকে , যা তোমাদের উপর আল কিতাব ও বিজ্ঞান থেকে অবতীর্ণ করেছেন। এ সবের মাধ্যমে তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখো যে, আল্লাহ সব কিছুর সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذَا طَلَّقْتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَن يَنكِحْنَ أَزْوَٰجَهُنَّ إِذَا تَرَٰضَوْا۟ بَيْنَهُم بِٱلْمَعْرُوفِۗ ذَٰلِكَ يُوعَظُ بِهِۦ مَن كَانَ مِنكُمْ يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِۗ ذَٰلِكُمْ أَزْكَىٰ لَكُمْ وَأَطْهَرُۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক্ব দিবে (অর্থাৎ শয়ন কক্ষ হতে আলাদা করে দিবে), অতঃপর তারা তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদে পৌঁছে যাবে, তখন যদি তারা তাদের স্বামীকে (আবার) বিয়ে করতে চায় নিজেরা যথারীতি একমত হয়ে, তাহলে বাধা দিবে না। এটা উপদেশ তার প্রতি দেয়া হচ্ছে, যে তোমাদের মধ্যে আল্লাহ ও পরকালের উপরে ঈমান এনে থাকে। এটাই হচ্ছে তোমাদের জন্য শুদ্ধতম পন্থা ও পবিত্রতা লাভের উপায়। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জান না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱلْوَٰلِدَٰتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَٰدَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِۖ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ ٱلرَّضَاعَةَۚ وَعَلَى ٱلْمَوْلُودِ لَهُۥ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِٱلْمَعْرُوفِۚ لَا تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلَّا وُسْعَهَاۚ لَا تُضَآرَّ وَٰلِدَةٌۢ بِوَلَدِهَا وَلَا مَوْلُودٌ لَّهُۥ بِوَلَدِهِۦۚ وَعَلَى ٱلْوَارِثِ مِثْلُ ذَٰلِكَۗ فَإِنْ أَرَادَا فِصَالًا عَن تَرَاضٍ مِّنْهُمَا وَتَشَاوُرٍ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَاۗ وَإِنْ أَرَدتُّمْ أَن تَسْتَرْضِعُوٓا۟ أَوْلَٰدَكُمْ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِذَا سَلَّمْتُم مَّآ ءَاتَيْتُم بِٱلْمَعْرُوفِۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পুরা দু'বছর স্তন্য পান করাবে এটা তারই জন্যে, যে স্তন্যদানের সময় পুরা করতে চায়। সন্তানের পিতার কর্তব্য ‘সুপরিচিত নিয়ম মোতাবেক খাওয়া পরার ব্যবস্থা করা’। সাধ্য শক্তির বেশী কাউকে যেন কষ্ট দেয়া না হয়। শিশু সন্তানের জন্য যেমন মাকে তেমনি পিতাকেও কষ্ট দেয়া উচিত নয়। উত্তরাধিকারীর জন্যও একই ব্যবস্থা। অতঃপর যদি দু'জনেই তাদের পরস্পর সম্মতির মাধ্যমে উভয় পক্ষের পরামর্শের ভিত্তিতে দুধ ছাড়াতে চায় তাহলে তাতে দুজনের কোন পাপ হবে না। আর যদি তোমরা চাও যে, তোমরা কোনো ধাত্রী দিয়ে তোমাদের সন্তানদের দুধ পান করাবে, তাহলে তোমাদের উপর কোন পাপ হবে না, যদি তোমরা সুপরিচিত বিধি অনুসারে তাদেরকে যা দেওয়ার তা অর্পণ কর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখো যে, তোমরা যা কিছু করছ, আল্লাহ ঐ বিষয়ে সবকিছু দেখছেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًاۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِىٓ أَنفُسِهِنَّ بِٱلْمَعْرُوفِۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ


তোমাদের মধ্য থেকে যারা স্ত্রীকে রেখে মারা যায়, সে সব স্ত্রীরা নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখবে। অতঃপর যখন তারা নির্দিষ্ট মেয়াদে পৌঁছে যাবে, তখন সুপরিচিত নিয়ম অনুসারে নিজেদের জন্য ব্যবস্থা করায় কোন পাপ নেই। তোমরা যা কাজ কর আল্লাহ ঐ বিষয়ে সব কিছুরই খবর রাখেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا عَرَّضْتُم بِهِۦ مِنْ خِطْبَةِ ٱلنِّسَآءِ أَوْ أَكْنَنتُمْ فِىٓ أَنفُسِكُمْۚ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمْ سَتَذْكُرُونَهُنَّ وَلَٰكِن لَّا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّآ أَن تَقُولُوا۟ قَوْلًا مَّعْرُوفًاۚ وَلَا تَعْزِمُوا۟ عُقْدَةَ ٱلنِّكَاحِ حَتَّىٰ يَبْلُغَ ٱلْكِتَٰبُ أَجَلَهُۥۚ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِىٓ أَنفُسِكُمْ فَٱحْذَرُوهُۚ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٌ

এই সব (বিধবা) নারীদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব সম্পর্কে ইঙ্গিত করা কিংবা তেমন আশা পোষণ করায় পাপ নেই। আল্লাহ জানেন তোমরা তাদের বিষয়ে আলোচনা করবে। কিন্তু তাদের কাছে গোপনে বিয়ের অঙ্গীকার করবে না। তবে সুপরিচিত নিয়ম অনুসারে কথা বলতে পারবে। তোমরা বিয়ে সম্পর্কে পাকাপাকি কোনও সংকল্প করবে না, যতক্ষন না তার নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যাবে আল কিতাব মতে। তোমরা জেনে রেখ যে, তোমাদের মনের মধ্যে যা রয়েছে, আল্লাহ তা ভালো করেই জানেন। অতএব তোমরা তাঁকেই ভয় কর এবং জেনে রেখ যে, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, সহনশীল।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لَّا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن طَلَّقْتُمُ ٱلنِّسَآءَ مَا لَمْ تَمَسُّوهُنَّ أَوْ تَفْرِضُوا۟ لَهُنَّ فَرِيضَةًۚ وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى ٱلْمُوسِعِ قَدَرُهُۥ وَعَلَى ٱلْمُقْتِرِ قَدَرُهُۥ مَتَٰعًۢا بِٱلْمَعْرُوفِۖ حَقًّا عَلَى ٱلْمُحْسِنِينَ

তোমাদের উপর কোন পাপ নেই যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক্ব/বিদায় দাও এমন অবস্থায় যে, তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করনি অথবা তাদের জন্যে কোন মোহর ধার্য করো নাই। তবে তাদেরকে কিছু খরচপত্র দিয়ে দিবে, সংগতিসম্পন্ন ব্যক্তির উপর তার সাধ্যমত এবং ভিত্তহীনের উপর তার সাধ্যমত। সুপরিচিত নিয়ম অনুসারে খরচপত্র দেয়া সৎকর্মশীল লোকদের উপর এটি দায়িত্ব/কর্তব্য।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِن طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِن قَبْلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّآ أَن يَعْفُونَ أَوْ يَعْفُوَا۟ ٱلَّذِى بِيَدِهِۦ عُقْدَةُ ٱلنِّكَاحِۚ وَأَن تَعْفُوٓا۟ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰۚ وَلَا تَنسَوُا۟ ٱلْفَضْلَ بَيْنَكُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

তোমরা যদি তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বেই তালাক্ব দিয়ে দাও আর যদি মোহর’ ঠিক করে থাক-তাহলে নির্দিষ্ট মোহরের অর্ধেক পরিমাণ আদায় করবে। তবে যদি তারা ক্ষমা করে, কিংবা যার উপর বিয়ের ব্যাপার সোপর্দ করা হয়েছে, সে যদি ক্ষমা করে সে কথা আলাদা। এ ক্ষেত্রে ক্ষমা করে দেওয়াই তাকওয়ার অতি নিকটতর। নিজেদের মধ্যে আদান প্রদানের কথা তোমরা ভুলে থেকো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব দেখেন, তোমরা যা কাজ কর।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

حَٰفِظُوا۟ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلْوُسْطَىٰ وَقُومُوا۟ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ

তোমরা সব দায়িত্ব গুলোর প্রতি যত্নবান হবে ও দায়িত্ব পালনে উত্তমপন্থা অবলম্বন করবে এবং আল্লাহর জন্য একান্ত বিনীতভাবে দাঁড়াবে।*

*2(238)নং আয়াতের আরবী  وسطي/"উসতা" শব্দের ব্যাখ্যায় 68(28)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًاۖ فَإِذَآ أَمِنتُمْ فَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُم مَّا لَمْ تَكُونُوا۟ تَعْلَمُونَ


যদি তোমরা ভয় কর, তবে হেঁটে চলা অবস্থায় বা আরোহী অবস্থায়,অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ করবে যেভাবে তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, যা তোমরা জানতে না। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَٰجًا وَصِيَّةً لِّأَزْوَٰجِهِم مَّتَٰعًا إِلَى ٱلْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍۚ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِى مَا فَعَلْنَ فِىٓ أَنفُسِهِنَّ مِن مَّعْرُوفٍۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

\আর তোমাদের মধ্য হতে যারা মারা যায় এবং স্ত্রীদেরকে রেখে যায়, তাদের উচিৎ তাদের স্ত্রীদের জন্য জোর নির্দেশ করা, যেন তাদেরকে এক হাওল তথা চার মাস দশ দিন পর্যন্ত ভরণ পোষণ দেওয়া হয়, কোন অবস্থাতেই ঘর থেকে চলে যাবার ব্যাপারে তাদেরকে যেন বাধ্য করা না হয়। তারা যদি নিজেরাই বেরিয়ে যায়, নিজেদের জন্য নিয়ম অনুসারে যদি কোনো সুব্যবস্থা করে নেয়, তবে তাতে তোমাদের কোনো পাপ হবে না। আর আল্লাহ‌ হলেন মহা-সম্মানিত ও মহা-বৈজ্ঞানিক।*


*2(240) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(234)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلِلْمُطَلَّقَٰتِ مَتَٰعٌۢ بِٱلْمَعْرُوفِۖ حَقًّا عَلَى ٱلْمُتَّقِينَ

তালাক্ব প্রাপ্তা স্ত্রীদের, সুপরিচিত নিয়ম মোতাবেক ভরন পোষণ দেওয়াই হচ্ছে মহৎব্যক্তিদের উপর দায়িত্ব।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمْ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ

এভাবে আল্লাহ তাঁর আয়াত সমূহ বিস্তারিতভাবে তোমাদের জন্য বর্ণনা করেন, যেন তোমরা বুঝতে পার।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ خَرَجُوا۟ مِن دِيَٰرِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ ٱلْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ ٱللَّهُ مُوتُوا۟ ثُمَّ أَحْيَٰهُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى ٱلنَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ


তুমি কি তাদেরকে দেখনি? যারা নিজেদের বাড়ীঘর থেকে মৃত্যুর ভয়ে বেরিয়ে পড়েছে তারা হাজার হাজার মানুষ। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে বলছেন তোমরা মরে গেছ, এরপর তিনি আবার তাদেরকে বাঁচার সুযোগ করে দেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানব জাতির প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল। কিন্ত অধিকাংশ মানুষ তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَٰتِلُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

তোমরা আল্লাহর (কোরআনের) পথে কতল হবে, আর জেনে রাখ, আল্লাহ‌ সব কিছুই শোনেন, সব কিছুই জানেন।*

*2(244),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(111)।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

مَّن ذَا ٱلَّذِى يُقْرِضُ ٱللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَٰعِفَهُۥ لَهُۥٓ أَضْعَافًا كَثِيرَةًۚ وَٱللَّهُ يَقْبِضُ وَيَبْصُۜطُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ


যে কেউ আল্লাহকে উত্তমভাবে কর্জ দান করবে, আল্লাহ সে জন্য তাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দিবেন। সংকুচিত ও সম্প্রসারিত আল্লাহই করেন। এবং তোমাদের সবাইকে তাঁরই দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلْمَلَإِ مِنۢ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ مِنۢ بَعْدِ مُوسَىٰٓ إِذْ قَالُوا۟ لِنَبِىٍّ لَّهُمُ ٱبْعَثْ لَنَا مَلِكًا نُّقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِۖ قَالَ هَلْ عَسَيْتُمْ إِن كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِتَالُ أَلَّا تُقَٰتِلُوا۟ۖ قَالُوا۟ وَمَا لَنَآ أَلَّا نُقَٰتِلَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَقَدْ أُخْرِجْنَا مِن دِيَٰرِنَا وَأَبْنَآئِنَاۖ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ ٱلْقِتَالُ تَوَلَّوْا۟ إِلَّا قَلِيلًا مِّنْهُمْۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌۢ بِٱلظَّٰلِمِينَ

তুমি কি মুসার পর থেকে ইসরাঈল সন্তানদের প্রধান মৌলভীদের দেখনি ? যখন তারা তাদের নবীর কাছে বলে যে, আমাদের জন্য একজন রাজা নিযুক্ত করুন আমরা আল্লাহর পথে কিতাল করব (কোরআনের সত্য বিদ্যা অর্জন করে নিজেদের কূরিপুকে হত্যা করব)। নবীর কথা হলো তাতো হচ্ছে না, কারণ তোমাদের উপর কিতাল লিখে দেওয়া সত্বেও তোমরা কিতাল অর্জন করছো না। মৌলভীদের কথা হলো, কেন আমরা কিতাল অর্জন করিনা ! আমরা তো আমাদের সন্তান সন্ততি ও ঘরবাড়ী ছেড়ে এসেছি। অতঃপর তাদের প্রতি কিতাল লিখে দেওয়া সত্বেও মৌলভীদের স্বল্প সংখ্যক বাদে সবাই (শুধু কোরআন শিক্ষা হতে) পিঠ ফিরিয়ে চলে যায়। আল্লাহ‌ সীমালঙ্ঘনকারীদের সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ ٱللَّهَ قَدْ بَعَثَ لَكُمْ طَالُوتَ مَلِكًاۚ قَالُوٓا۟ أَنَّىٰ يَكُونُ لَهُ ٱلْمُلْكُ عَلَيْنَا وَنَحْنُ أَحَقُّ بِٱلْمُلْكِ مِنْهُ وَلَمْ يُؤْتَ سَعَةً مِّنَ ٱلْمَالِۚ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصْطَفَىٰهُ عَلَيْكُمْ وَزَادَهُۥ بَسْطَةً فِى ٱلْعِلْمِ وَٱلْجِسْمِۖ وَٱللَّهُ يُؤْتِى مُلْكَهُۥ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ

নবী যখন তাদেরকে বলে আল্লাহ তোমাদের জন্য রাজা হিসাবে তালূতকে পাঠিয়েছেন। তারা বলে, আমাদের উপর রাজত্বের অধিকার সে পাবে কিভাবে ? তার চেয়ে বরং আমরাই তো রাজত্ব করার জন্য বেশী উপযুক্ত। তাছাড়া তাকে তো তেমন বেশী ধন সম্পদ দেয়া হয়নি। নবীর কথা হল আল্লাহ তোমাদের তুলনায় যে উপযুক্ত তাকেই নিযুক্ত করেছেন। তাকে জ্ঞানের মধ্যে ও শারীরিক শক্তিতে প্রসারতা বেশী দিয়েছেন। যে উপযুক্ত আল্লাহ তাকে রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ বিশাল ব্যাপ্তির অধিকারী ও মহাজ্ঞানী।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَقَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ إِنَّ ءَايَةَ مُلْكِهِۦٓ أَن يَأْتِيَكُمُ ٱلتَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِّمَّا تَرَكَ ءَالُ مُوسَىٰ وَءَالُ هَٰرُونَ تَحْمِلُهُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لَّكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ


তাদের নবী তাদেরকে বলে, নিশ্চয়ই তার রাজত্বের নিদর্শন হবে এই যে, তোমাদের কাছে সেই সিন্ধুক আসবে, যার মধ্যে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে রয়েছে প্রশান্তি এবং যা মূসা ও হারুনের বংশধরেরা রেখে গেছে তার অবশিষ্ট, যা বহন করে চলচে মালা-ইকারা। নিশ্চয়ই এর মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ নিদর্শন, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِٱلْجُنُودِ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ مُبْتَلِيكُم بِنَهَرٍ فَمَن شَرِبَ مِنْهُ فَلَيْسَ مِنِّى وَمَن لَّمْ يَطْعَمْهُ فَإِنَّهُۥ مِنِّىٓ إِلَّا مَنِ ٱغْتَرَفَ غُرْفَةًۢ بِيَدِهِۦۚ فَشَرِبُوا۟ مِنْهُ إِلَّا قَلِيلًا مِّنْهُمْۚ فَلَمَّا جَاوَزَهُۥ هُوَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥ قَالُوا۟ لَا طَاقَةَ لَنَا ٱلْيَوْمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦۚ قَالَ ٱلَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَٰقُوا۟ ٱللَّهِ كَم مِّن فِئَةٍ قَلِيلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِيرَةًۢ بِإِذْنِ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ

অতঃপর যখন তালুত সৈন্যদের নিয়ে রওনা হয়, তখন বলে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে একটি নদী দিয়ে পরীক্ষা করবেন। অতঃপর যে কেউ তা থেকে পান করবে,সে আমার দলের নয়। আর যে ব্যক্তি তার স্বাদ নেবে না, তবে নিশ্চয়ই সে আমার দলর্ভুক্ত থাকবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তার হাত দিয়ে এক আঁজলা ভরে নেবে (সেটা ভিন্ন কথা)। অতঃপর তাদের মধ্য হতে সল্প সংখ্যক লোক ছাড়া আর সবাই পান করতে লেগে যায়। অতঃপর সে এবং তার সাথে যারা ঈমান এনেছিলো তারা যখন তা অতিক্রম করে যায় তখন তারা বলে,আজকে তো আর জালূত ও তার দল বলের সাথে কিছু করার মত আমাদের কাছে শক্তি আছে বলে মনে হচ্ছে না। যাদের ধারণা ছিল আল্লাহর নিকটে তো জবাব দিতে হবে, তারা বলতে লাগে, কত অসংখ্য ছোট ছোট দল আল্লাহর অনুমতিক্রমেই তো বিরাট বড় দলের উপরে জয়ী হয়ে থাকে। আর আল্লাহ‌ ধৈর্যশীলদের সাথেই থাকেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَلَمَّا بَرَزُوا۟ لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦ قَالُوا۟ رَبَّنَآ أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ

যখন তারা জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর সম্মুখীন হয় তখন তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দিন। আমাদের পাগুলোকে দৃঢ় করুন এবং কাফির জাতির বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَهَزَمُوهُم بِإِذْنِ ٱللَّهِ وَقَتَلَ دَاوُۥدُ جَالُوتَ وَءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ٱلْمُلْكَ وَٱلْحِكْمَةَ وَعَلَّمَهُۥ مِمَّا يَشَآءُۗ وَلَوْلَا دَفْعُ ٱللَّهِ ٱلنَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّفَسَدَتِ ٱلْأَرْضُ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ ذُو فَضْلٍ عَلَى ٱلْعَٰلَمين


আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা জালূতের দলবলকে ক্বাতাল/পরাস্ত করে। পরে দাউদ জালূতকে উচিত শিক্ষা দেয় কতলের মাধ্যমে। আল্লাহ তাকে রাজত্ব ও জ্ঞান-শক্তি দেন, তার যা শিক্ষার আশা ছিলো তাও শেখান। আল্লাহ যদি এক দলকে দিয়ে অপর দলকে শায়েস্তা না করেন, তাহলে গোটা পৃথিবী অশান্তিতে ভরে যাবে। কিন্তু আল্লাহ বিশ্বজগতের উপর অনুগ্রহশীল। 

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِٱلْحَقِّۚ وَإِنَّكَ لَمِنَ ٱلْمُرْسَلِينَ


এগুলো আল্লাহর আয়াত সমূহ, যা তোমার কাছে যথাযথভাবে পড়ে শুনানো হচ্ছে, নিশ্চয়ই তুমিও বিশেষ বার্তা বাহকদের মধ্যে একজন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

تِلْكَ ٱلرُّسُلُ فَضَّلْنَا بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍۘ مِّنْهُم مَّن كَلَّمَ ٱللَّهُۖ وَرَفَعَ بَعْضَهُمْ دَرَجَٰتٍۚ وَءَاتَيْنَا عِيسَى ٱبْنَ مَرْيَمَ ٱلْبَيِّنَٰتِ وَأَيَّدْنَٰهُ بِرُوحِ ٱلْقُدُسِۗ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَا ٱقْتَتَلَ ٱلَّذِينَ مِنۢ بَعْدِهِم مِّنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُ وَلَٰكِنِ ٱخْتَلَفُوا۟ فَمِنْهُم مَّنْ ءَامَنَ وَمِنْهُم مَّن كَفَرَۚ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَا ٱقْتَتَلُوا۟ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ

এরাই হচ্ছে রাসূলগণ যাদেরকে একে অন্যের উপরে আমি মর্যাদা দিয়েছি, তাদের মধ্য হতে কারও সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন এবং তাদের কাউকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। মারইয়ামের পুত্র ঈসাকে সুস্পষ্ট প্রমাণ সমূহ দান করেছি, আর তাকে আমি পবিত্র রূহু দিয়ে শক্তিশালী করেছি। আল্লাহ কখনো ইচ্ছা করেন না, মানুষের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন আসার পরেও মানুষেরা নিজেদের মধ্যে কতলের মাধ্যমে খুনাখুনি করুক। কিন্তু তারা বিরোধে মেতে উঠে। মানুষের মধ্যে কেউ ঈমান আনে আবার কেউ কুফরী করে। আল্লাহ কখনো চান না, মানুষেরা নিজেদের মধ্যে কতলের মাধ্যমে খুনাখুনি করতে থাকুক। কিন্তু আল্লাহর যা ইচ্ছা মানুষ তা করেনা।*

*2(253) মর্যাদার ব্যাপারে 17(55)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَنفِقُوا۟ مِمَّا رَزَقْنَٰكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِىَ يَوْمٌ لَّا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خُلَّةٌ وَلَا شَفَٰعَةٌۗ وَٱلْكَٰفِرُونَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ

\হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা ব্যায় কর আমি যে জীবিকা দান করেছি, তা থেকে। সেই দিনটি আসার পূর্বেই, যেদিন আর বেচা কেনা চলবে না, বন্ধুত্ব থাকবে না, কোন সুপারিশ চলবে না। কাফিররাই সীমালঙ্ঘনকারী হয়ে থাকে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلْحَىُّ ٱلْقَيُّومُۚ لَا تَأْخُذُهُۥ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌۚ لَّهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۗ مَن ذَا ٱلَّذِى يَشْفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذْنِهِۦۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهِۦٓ إِلَّا بِمَا شَآءَۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَۖ وَلَا يَـُٔودُهُۥ حِفْظُهُمَاۚ وَهُوَ ٱلْعَلِىُّ ٱلْعَظِيمُ

আল্লাহ ! তিনি ছাড়া অন্য কোন বিধান দাতা নেই। তিনি চিরঞ্জীব, রক্ষাকর্তা। তন্দ্রা ও ঘুম তাকে স্পর্শ করেনা। আকাশ ও পৃথিবীর সবকিছুই একমাত্র তাঁর। এমন কে আছে, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে ? যা কিছু প্রকাশ্য আর যা কিছু এখনও জানা যায়নি, সবই তিনি জানেন। আল্লাহর জ্ঞান ভাণ্ডারে শামিল কোনও বিষয়ের সব কিছু জানা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন, সে কথা ভিন্ন। তাঁর আসন আকাশ ও পৃথিবীর সব জায়গায় ঘিরে রয়েছে। এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ করা তাঁর পক্ষে মোটেই কঠিন নয়। কেননা তিনিই সর্বোচ্চ মহান।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لَآ إِكْرَاهَ فِى ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشْدُ مِنَ ٱلْغَىِّۚ فَمَن يَكْفُرْ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسْتَمْسَكَ بِٱلْعُرْوَةِ ٱلْوُثْقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ

দ্বীন গ্রহণে (অর্থাৎ ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় কোনও) বলপ্রয়োগ নেই। নিশ্চয় সঠিক পথ ভ্রান্ত পথ থেকে সুস্পষ্টরূপে আলাদা করে বলে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যে কেউ তাগুতকে (কোরআন বহির্ভূত যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায় উপকরকে) অস্বীকার করবে ও ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, তাহলে নিশ্চয়ই সে সুদৃঢ় রশি ধারণ করে, যা কখনো ছিন্ন হবে না। আল্লাহ সব শোনেন ও সব জানেন।*

*2(256),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,10(90),11(28),4(175),31(22,23),5(54),9(74), 18(29),74(55,56)73(19),76(29)81(27-29)...।
এবং কাউকে জুর জবরদস্তি কুফুরী করার জন্য বাধ্য করিলে তার ব্যপারে 7(88),16(106),24(33),20(73)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱللَّهُ وَلِىُّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ يُخْرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ أَوْلِيَآؤُهُمُ ٱلطَّٰغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ ٱلنُّورِ إِلَى ٱلظُّلُمَٰتِۗ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

যারা ইমান আনে তাদের অলি আল্লাহ , তাদেরকে তিনি অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন। আর যারা অস্বীকার করে, তাদের আউলিয়া হচ্ছে তাগুত (শয়তান)। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকেই নিয়ে যায়। এরাই আগুনের অধিবাসী, তার মধ্যে তারা চিরস্থায়ী হবে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِى حَآجَّ إِبْرَٰهِۦمَ فِى رَبِّهِۦٓ أَنْ ءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ٱلْمُلْكَ إِذْ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ رَبِّىَ ٱلَّذِى يُحْىِۦ وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا۠ أُحْىِۦ وَأُمِيتُۖ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَأْتِى بِٱلشَّمْسِ مِنَ ٱلْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ ٱلْمَغْرِبِ فَبُهِتَ ٱلَّذِى كَفَرَۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِينَ

তুমি কি সেই ব্যক্তিকে দেখ নি, যে লোকটা ইবরাহীমের সাথে তার প্রতিপালকের সম্বন্ধে বিতর্ক করে, এজন্য যে আল্লাহ তাকে রাজ্য দান করেছেন। ইবরাহীম যখন বলে, আমার প্রতিপালক হচ্ছেন ঐ সত্তা, যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে লোকটি বলে, আমিও তো জীবন দান করি ও মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহীম বলে নিশ্চয়ই আল্লাহ পূর্ব দিক হতে সূর্যকে নিয়ে আনেন, তাহলে তুমি পশ্চিম দিক হতে এনে দেখাও; তখন হতবুদ্ধি হয় সেই কাফির। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَوْ كَٱلَّذِى مَرَّ عَلَىٰ قَرْيَةٍ وَهِىَ خَاوِيَةٌ عَلَىٰ عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّىٰ يُحْىِۦ هَٰذِهِ ٱللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَاۖ فَأَمَاتَهُ ٱللَّهُ مِا۟ئَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهُۥۖ قَالَ كَمْ لَبِثْتَۖ قَالَ لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍۖ قَالَ بَل لَّبِثْتَ مِا۟ئَةَ عَامٍ فَٱنظُرْ إِلَىٰ طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ يَتَسَنَّهْۖ وَٱنظُرْ إِلَىٰ حِمَارِكَ وَلِنَجْعَلَكَ ءَايَةً لِّلنَّاسِۖ وَٱنظُرْ إِلَى ٱلْعِظَامِ كَيْفَ نُنشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًاۚ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُۥ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

অথবা ঐ লোকের দৃষ্টান্ত যে এমন এক জনপদ পেরিয়ে যাচ্ছিল, যেখানের বাড়ীঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। লোকটি বলে, আল্লাহ কিরূপে এই বস্তি শেষ হওয়ার পর পুনরায় আবাদ করবেন ? এরপর আল্লাহ তাকে একশ' বছর ধরে মরা অবস্থায় রাখার পর জীবিত করেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় এভাবে ক'দিন কেটেছে ? সে বলে এক দিন কিংবা তার চাইতেও কম সময়। তিনি বলেন, না তুমি একশ' বছর কাটিয়েছো। তুমি দেখ খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় বস্তু অবিকৃত আছে। আর তুমি তোমার গাধার প্রতি লক্ষ্য করো, এভাবে তোমাকে লোকজনের জন্য প্রমাণ হিসেবে রেখেছি। আর হাড়গুলোর দিকে লক্ষ্য করো। কিভাবে সংযোজিত করে তাতে গোশত দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। তাকে যখন এসব বিস্তারিত ভাবে বলা হয়, তখন সে বলে, আমি বিশ্বাস করি, ‘একমাত্র আল্লাহই সব কিছুরই উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ رَبِّ أَرِنِى كَيْفَ تُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰۖ قَالَ أَوَلَمْ تُؤْمِنۖ قَالَ بَلَىٰ وَلَٰكِن لِّيَطْمَئِنَّ قَلْبِىۖ قَالَ فَخُذْ أَرْبَعَةً مِّنَ ٱلطَّيْرِ فَصُرْهُنَّ إِلَيْكَ ثُمَّ ٱجْعَلْ عَلَىٰ كُلِّ جَبَلٍ مِّنْهُنَّ جُزْءًا ثُمَّ ٱدْعُهُنَّ يَأْتِينَكَ سَعْيًاۚ وَٱعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ عزيز حكيم

ইবরাহীম যখন বলে, হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে একটু দেখান, কিভাবে আপনি মৃতদেরকে জীবিত করেন ! তিনি বলেন, তুমি কি বিশ্বাস করো না ? সে বলে, হ্যাঁ অবশ্যই, কিন্তু আমার মনের প্রশান্তির জন্য। তখন আল্লাহ বলেন, তাহলে তুমি পাখিদের থেকে চারটি ধর। তারপর তোমার প্রতি তাদের পোষ মানাও। এরপর তাদেরকে একেকটি পাহাড়ে আলাদা করে রেখে দাও। এরপর তাদেরকে ডাক দাও। দেখবে, তারা তোমার কাছেই দৌড়ে আসবে। তুমি জেনে রাখো যে, আল্লাহ মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

مَّثَلُ ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنۢبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِى كُلِّ سُنۢبُلَةٍ مِّا۟ئَةُ حَبَّةٍۗ وَٱللَّهُ يُضَٰعِفُ لِمَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ

যারা আল্লাহর পথে (কোরআনের খাতিরে তাদের) ধন সম্পত্তি খরচ করে তা যেনো একটি বীজ যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। আর প্রত্যেক শীষে একশ' করে দানা; আল্লাহ তাকে খুব বেশী দান করেন যে উপযুক্ত। আল্লাহ বিরাট ব্যপ্তির অধিকারী ও মহাজ্ঞানী।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ثُمَّ لَا يُتْبِعُونَ مَآ أَنفَقُوا۟ مَنًّا وَلَآ أَذًىۙ لَّهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يحزنون

যারা তাদের নিজেদের ধন সম্পত্তি আল্লাহর কোরআনের পথে ব্যয় করে, এরপর তারা যা ব্যয় করে তার পিছনে লেগে থাকে না, অনুগ্রহ করার খোটা দেয় না এবং কষ্টও দেয় না; তাদের জন্য তাদেরই প্রতিপালকের কাছে পুরস্কার রয়েছে। তাদের কোন ভয় নেই, আর তারা দুঃখিত হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

قَوْلٌ مَّعْرُوفٌ وَمَغْفِرَةٌ خَيْرٌ مِّن صَدَقَةٍ يَتْبَعُهَآ أَذًىۗ وَٱللَّهُ غَنِىٌّ حَلِيمٌ


ভাল কথা আর ক্ষমা, এমন দানের চেয়ে অনেক উত্তম যার পিছনে কষ্ট আসে। আল্লাহ অভাবমুক্ত ও পরম সহনশীল।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تُبْطِلُوا۟ صَدَقَٰتِكُم بِٱلْمَنِّ وَٱلْأَذَىٰ كَٱلَّذِى يُنفِقُ مَالَهُۥ رِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِۖ فَمَثَلُهُۥ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُۥ وَابِلٌ فَتَرَكَهُۥ صَلْدًاۖ لَّا يَقْدِرُونَ عَلَىٰ شَىْءٍ مِّمَّا كَسَبُوا۟ۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْكَٰفِرِينَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা তোমাদের খুশিমনের দান সমূহ অনুগ্রহ করার খোটা ও কষ্ট দিয়ে নষ্ট করো না। সেই ব্যক্তির মতই, যে শুধু লোক দেখানোর জন্য ধন সম্পত্তি ব্যায় করে। আল্লাহ এবং পরকালের দিনের প্রতি বিশ্বাস করে না। সুতরাং তার উপমা ঠিক একটি মসৃণ পাথরের মতই, যার উপর রয়েছে মাটি। অতঃপর তাতে প্রবল বৃষ্টি বর্ষিত হলেই, তা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। এরা নিজেদের কামাই থেকে কিছুই ভোগ করতে পারেনা। আর আল্লাহ অবিশ্বাসী কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمَثَلُ ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمُ ٱبْتِغَآءَ مَرْضَاتِ ٱللَّهِ وَتَثْبِيتًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ كَمَثَلِ جَنَّةٍۭ بِرَبْوَةٍ أَصَابَهَا وَابِلٌ فَـَٔاتَتْ أُكُلَهَا ضِعْفَيْنِ فَإِن لَّمْ يُصِبْهَا وَابِلٌ فَطَلٌّۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি সন্ধানে নিষ্ঠার সাথে তাদের ধন সম্পগুলো ব্যায় করে, তাদের উপমা যেমন উঁচু ভূমিতে একটি বাগিচার মতই। প্রবল বৃষ্টির ফলে দ্বিগুণ ফসল জন্মায়। যদি প্রবল বৃষ্টি নাও হয়, সাধারণ বৃষ্টিধারাও সেখানে যথেষ্ট। তোমরা যা কাজ করছো আল্লাহ ঐ বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

أَيَوَدُّ أَحَدُكُمْ أَن تَكُونَ لَهُۥ جَنَّةٌ مِّن نَّخِيلٍ وَأَعْنَابٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ لَهُۥ فِيهَا مِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ وَأَصَابَهُ ٱلْكِبَرُ وَلَهُۥ ذُرِّيَّةٌ ضُعَفَآءُ فَأَصَابَهَآ إِعْصَارٌ فِيهِ نَارٌ فَٱحْتَرَقَتْۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّكُمْ تَتَفَكَّرُونَ

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি সন্ধানে নিষ্ঠার সাথে তাদের ধন সম্পগুলো ব্যায় করে, তাদের উপমা যেমন উঁচু ভূমিতে একটি বাগিচার মতই। প্রবল বৃষ্টির ফলে দ্বিগুণ ফসল জন্মায়। যদি প্রবল বৃষ্টি নাও হয়, সাধারণ বৃষ্টিধারাও সেখানে যথেষ্ট। তোমরা যা কাজ করছো আল্লাহ ঐ বিষয়ে সম্যক দ্রষ্টা।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَنفِقُوا۟ مِن طَيِّبَٰتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّآ أَخْرَجْنَا لَكُم مِّنَ ٱلْأَرْضِۖ وَلَا تَيَمَّمُوا۟ ٱلْخَبِيثَ مِنْهُ تُنفِقُونَ وَلَسْتُم بِـَٔاخِذِيهِ إِلَّآ أَن تُغْمِضُوا۟ فِيهِۚ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ غَنِىٌّ حَمِيدٌ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যা অর্জন করেছ তা হতে পবিত্র জিনিসগুলোই ব্যয় করবে। আর তা হতেও যা কিছু আমি তোমাদের জন্য জমি থেকে বের করেছি। তোমরা তা থেকে নিকৃষ্ট বস্তুগুলোকে ব্যয় করার সংকল্প করবে না। তোমরাও যা নিতে কখনো রাজী হবেনা, চোখ বন্ধ করা ছাড়া। তোমরা জেনে রেখো যে, আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রসংশিত।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلشَّيْطَٰنُ يَعِدُكُمُ ٱلْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُم بِٱلْفَحْشَآءِۖ وَٱللَّهُ يَعِدُكُم مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَفَضْلًاۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ


শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্রতার ভয় দেখায়। আর অশ্লীলতার নির্দেশ দেয়। আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ হতে ক্ষমা ও সাহায্য সামগ্রীর প্রতিশ্রুতি দেন, আর আল্লাহ বিশাল ব্যাপ্তির অধিকারী ও মহা জ্ঞানী।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يُؤْتِى ٱلْحِكْمَةَ مَن يَشَآءُۚ وَمَن يُؤْتَ ٱلْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِىَ خَيْرًا كَثِيرًاۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّآ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ


যে কেউ উপযুক্ত আল্লাহ তাকে বিজ্ঞান দান করেন। আর যাকে বিজ্ঞান দান করা হয়, তবে নিশ্চয়ই সে তো প্রভূত কল্যাণের অধিকারী হয়ে যায়। উপদেশ তারাই গ্রহন করে, যারা বোধশক্তি সম্পন্ন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَمَآ أَنفَقْتُم مِّن نَّفَقَةٍ أَوْ نَذَرْتُم مِّن نَّذْرٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُهُۥۗ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ


তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে অথবা খরচ করার মানত (অঙ্গীকার) করবে, আল্লাহ তা জানেন। কেউ সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য সাহায্যকারী হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِن تُبْدُوا۟ ٱلصَّدَقَٰتِ فَنِعِمَّا هِىَۖ وَإِن تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا ٱلْفُقَرَآءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْۚ وَيُكَفِّرُ عَنكُم مِّن سَيِّـَٔاتِكُمْۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ


তোমরা যদি প্রকাশ্যে খুশিমনে দান কর, তবে তা উত্তম, আর যদি তোমরা তা গোপনে করো এবং তা ফকিরদের দাও, তবে তা তোমাদের জন্য আরও ভালো। তিনি তোমাদের থেকে তোমাদের পাপগুলো দূর করবেন। তোমরা যে সব কাজ করছ আল্লাহ ঐ সব বিষয়ে খুব খবর রাখছেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لَّيْسَ عَلَيْكَ هُدَىٰهُمْ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يَهْدِى مَن يَشَآءُۗ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِنْ خَيْرٍ فَلِأَنفُسِكُمْۚ وَمَا تُنفِقُونَ إِلَّا ٱبْتِغَآءَ وَجْهِ ٱللَّهِۚ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لَا تُظْلَمُونَ


তাদের সঠিক পথ গ্রহণের দায়িত্ব তোমার উপর নয়; বরং যে কেউ চায় আল্লাহ তাকে সঠিক পথ দেখান। তোমরা যা কিছু ব্যয় করছ তা তোমাদের নিজেদের জন্যই। তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্যে ব্যয় করবে না। তোমরা যা কিছু ভালো জিনিস থেকে খরচ করবে তোমাদেরকে তা পুরাপুরি ফিরিয়ে দেয়া হবে। তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لِلْفُقَرَآءِ ٱلَّذِينَ أُحْصِرُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ لَا يَسْتَطِيعُونَ ضَرْبًا فِى ٱلْأَرْضِ يَحْسَبُهُمُ ٱلْجَاهِلُ أَغْنِيَآءَ مِنَ ٱلتَّعَفُّفِ تَعْرِفُهُم بِسِيمَٰهُمْ لَا يَسْـَٔلُونَ ٱلنَّاسَ إِلْحَافًاۗ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌ

(খুশি মনের দান) এমন ফকিরদের জন্যে যারা আল্লাহর কোরআনের পথে ব্যস্ততার কারণে আটকে পড়েছে, তারা পৃথিবীর মধ্যে (উপার্জনের জন্যে) ঘোরাফেরা করতে পারে না। না চাওয়ার কারণে অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তুমি তাদেরকে চিনতে পারবে তাদের লক্ষণ দিয়ে। তারা মানুষের কাছে নাচুড় হয়ে চায় না। আর তোমরা যা উত্তম সম্পদ হতে ব্যয় কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে খুব অবহিত।*

*2(273),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(122),7(46,48),47(30),48(29),9(111),5(68)।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُم بِٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ سِرًّا وَعَلَانِيَةً فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ


যারা দিনে কিংবা রাতের বেলা নিজেদের ধন সম্পত্তি গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে খরচ করে তাদের জন্য পুরস্কার রয়েছে তাদেরই প্রতিপালকের কাছে। তাদের কোন ভয় নেই, তারা দুঃখিত হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ٱلَّذِينَ يَأْكُلُونَ ٱلرِّبَوٰا۟ لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ ٱلَّذِى يَتَخَبَّطُهُ ٱلشَّيْطَٰنُ مِنَ ٱلْمَسِّۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا ٱلْبَيْعُ مِثْلُ ٱلرِّبَوٰا۟ۗ وَأَحَلَّ ٱللَّهُ ٱلْبَيْعَ وَحَرَّمَ ٱلرِّبَوٰا۟ۚ فَمَن جَآءَهُۥ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِۦ فَٱنتَهَىٰ فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۖ وَمَنْ عَادَ فَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

যারা বিশেষ বাড়তি (মালের অংশ তথা খুমুস) খায়, তারা সেই ব্যক্তির মত ডন্ডায়মান হবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে দিয়েছে। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা তো বাড়তির মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনাকে হালাল করেছেন এবং বিশেষ বাড়তি (মাল ভক্ষণ করাকে) হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর অধিকারভুক্ত। আর যে পুনরাবৃত্তি করবে,তাহলে ঐসবলোকই আগুনের অধিবাসী হবে। তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে।*

*2(275)নং আয়াতের الربوا শব্দের ব্যাখ্যায় 2(276) 30(39),16(92)....।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَمْحَقُ ٱللَّهُ ٱلرِّبَوٰا۟ وَيُرْبِى ٱلصَّدَقَٰتِۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ


আল্লাহ বাড়তিকে মিটিয়ে দেন এবং খুশি মনের দানকে বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ কোন অতি কুফরকারী পাপীকে ভালবাসেন না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনবে ও সংশোধনের কাজ করবে আর যথাযথভাবে দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা করবে এবং সাহায্য প্রদান করবে, তাহলে তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট পুরুষ্কার রয়েছে। তাদের কোন ভয় থাকবে না এবং তারা কোন দুঃখিত হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَذَرُوا۟ مَا بَقِىَ مِنَ ٱلرِّبَوٰٓا۟ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং বিশেষ বাড়তি (মালের অংশ তথা খুমুস) হতে যা বকেয়া আছে, তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

فَإِن لَّمْ تَفْعَلُوا۟ فَأْذَنُوا۟ بِحَرْبٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦۖ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُءُوسُ أَمْوَٰلِكُمْ لَا تَظْلِمُونَ وَلَا تُظْلَمُونَ

অতঃপর যদি তোমরা তা না কর, তবে তোমরা শুনে রাখো, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা রয়েছে, আর যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমাদের সম্পদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা অবিচার করবে না এবং তোমাদের (উপর) অবিচার করা হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِن كَانَ ذُو عُسْرَةٍ فَنَظِرَةٌ إِلَىٰ مَيْسَرَةٍۚ وَأَن تَصَدَّقُوا۟ خَيْرٌ لَّكُمْۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ


যদি কেউ অভাবগ্রস্থ হয়ে যায়, তাহলে তার অবস্থা স্বচ্ছল না হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দিবে। আর যদি তোমরা খুশি মনে দান করে দাও তাহলে তা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَٱتَّقُوا۟ يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى ٱللَّهِۖ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ



আর সেই দিনকে ভয় কর যেদিন তোমরা সবাই আল্লহর দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। এরপর যে যা অর্জন করেছে তার অর্জনের ফল পুরাপুরি প্রদান করা হবে। কারোর প্রতি কোনরূপ অবিচার করা হবে না।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا تَدَايَنتُم بِدَيْنٍ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّى فَٱكْتُبُوهُۚ وَلْيَكْتُب بَّيْنَكُمْ كَاتِبٌۢ بِٱلْعَدْلِۚ وَلَا يَأْبَ كَاتِبٌ أَن يَكْتُبَ كَمَا عَلَّمَهُ ٱللَّهُۚ فَلْيَكْتُبْ وَلْيُمْلِلِ ٱلَّذِى عَلَيْهِ ٱلْحَقُّ وَلْيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥ وَلَا يَبْخَسْ مِنْهُ شَيْـًٔاۚ فَإِن كَانَ ٱلَّذِى عَلَيْهِ ٱلْحَقُّ سَفِيهًا أَوْ ضَعِيفًا أَوْ لَا يَسْتَطِيعُ أَن يُمِلَّ هُوَ فَلْيُمْلِلْ وَلِيُّهُۥ بِٱلْعَدْلِۚ وَٱسْتَشْهِدُوا۟ شَهِيدَيْنِ مِن رِّجَالِكُمْۖ فَإِن لَّمْ يَكُونَا رَجُلَيْنِ فَرَجُلٌ وَٱمْرَأَتَانِ مِمَّن تَرْضَوْنَ مِنَ ٱلشُّهَدَآءِ أَن تَضِلَّ إِحْدَىٰهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَىٰهُمَا ٱلْأُخْرَىٰۚ وَلَا يَأْبَ ٱلشُّهَدَآءُ إِذَا مَا دُعُوا۟ۚ وَلَا تَسْـَٔمُوٓا۟ أَن تَكْتُبُوهُ صَغِيرًا أَوْ كَبِيرًا إِلَىٰٓ أَجَلِهِۦۚ ذَٰلِكُمْ أَقْسَطُ عِندَ ٱللَّهِ وَأَقْوَمُ لِلشَّهَٰدَةِ وَأَدْنَىٰٓ أَلَّا تَرْتَابُوٓا۟ۖ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً حَاضِرَةً تُدِيرُونَهَا بَيْنَكُمْ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَلَّا تَكْتُبُوهَاۗ وَأَشْهِدُوٓا۟ إِذَا تَبَايَعْتُمْۚ وَلَا يُضَآرَّ كَاتِبٌ وَلَا شَهِيدٌۚ وَإِن تَفْعَلُوا۟ فَإِنَّهُۥ فُسُوقٌۢ بِكُمْۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۖ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱللَّهُۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيم

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যখন নির্দিষ্ট মেয়াদে পরস্পরে ৠণের আদান-প্রদান করবে, তখন তা লিখে রাখবে। তোমাদের মধ্যে তা ঠিকমত লিখে নেয়া দরকার ! লিখতে যে পারে সে যেন লিখতে অস্বীকার না করে। কারণ, আল্লাহ তাকে লেখা শিখিয়েছেন। যার উপর দেনা রয়েছে, তাকেই লেখাতে হবে। আল্লাহকে ভয় করা উচিত, যিনি তার প্রতিপালক। তাতে যেন তিল মাত্র কমতি না করা হয়। দেনাদার ব্যক্তি যদি নির্বোধ কিংবা দুর্বল হয়, সে যদি নিজে লিখবার ব্যবস্থা করতে না পারে, তবে তার অভিভাবকের উচিত ঠিকমত লিখিয়ে দেয়া। নিজেদের মধ্যে দু'জন পুরুষকে সাক্ষী করে নিবে। যদি দু'জন পুরুষ সাক্ষীর জন্য না পাওয়া যায়, তাহলে একজন পুরুষ আর তোমাদের মর্জি মোতাবেক দু'জন স্ত্রী লোককে সাক্ষী করে নিবে। যদি তাদের মধ্যে কেউ ভুলে যায় তাহলে অপর স্ত্রীলোকটি যেন স্মরণ করিয়ে দিতে পারে। সাক্ষ্য দিবার জন্য ডাকলে যেন অস্বীকার করা না হয়। লেন দেন ছোট বড় যাই হোক নির্দিষ্ট মেয়াদসহ লিখতে আলসেমী কর না। ন্যায়বিচার ঠিক রাখার জন্য আল্লাহর কাছে এই ব্যবস্থা রয়েছে। সাক্ষ্য সঠিকভাবে বহাল রাখার জন্য, এই ব্যবস্থাই উত্তম। তোমরা যেন কোন রকম সন্দেহের মধ্যে না পড়। তবে বেচা-কেনা ও নিজেদের মধ্যে নগদ লেন দেনের সময়ে না লিখলেও কোন দোষ নেই। তবে বেচা-কেনার সময়ে শুধু সাক্ষী ঠিক করে নিলেও চলবে। আর কোনো লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না, তাই যদি তোমরা কর, তাতে তোমাদের পাপ হবে। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তোমাদেরকে শিখাচ্ছেন। আর আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে খুব অবহিত।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

وَإِن كُنتُمْ عَلَىٰ سَفَرٍ وَلَمْ تَجِدُوا۟ كَاتِبًا فَرِهَٰنٌ مَّقْبُوضَةٌۖ فَإِنْ أَمِنَ بَعْضُكُم بَعْضًا فَلْيُؤَدِّ ٱلَّذِى ٱؤْتُمِنَ أَمَٰنَتَهُۥ وَلْيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥۗ وَلَا تَكْتُمُوا۟ ٱلشَّهَٰدَةَۚ وَمَن يَكْتُمْهَا فَإِنَّهُۥٓ ءَاثِمٌ قَلْبُهُۥۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ

তোমরা যদি সফরে থাক, আর যদি কোন লেখক না পাও তাহলে বন্ধক রাখার মত জিনিস যেন দখলে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদি একে অন্যের উপরে বিশ্বাস থাকে তাহলে যাকে বিশ্বাস করা হল, তার উচিত অন্যের হক/প্রাপ্য ফিরিয়ে দেয়া, আর তারই প্রতিপালককে ভয় করা। তোমরা সাক্ষ্য গোপন করবে না। যে কেউ সাক্ষ্য গোপন করবে, তার মন পাপী হবে। তোমরা যা কাজ করছ আল্লাহ সে বিষয়ে খুব অবহিত।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لِّلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۗ وَإِن تُبْدُوا۟ مَا فِىٓ أَنفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُم بِهِ ٱللَّهُۖ فَيَغْفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

আল্লাহর জন্যই আকাশ ও পৃথিবীর সব কিছু। আর তোমরা যদি মনের কথা প্রকাশ কর অথবা গোপন কর আল্লাহ সে সবের হিসাব তোমাদের কাছ থেকে নিবেন। অতঃপর যে ক্ষমার উপযুক্ত তাকে তিনি ক্ষমা করবেন ও যে শাস্তির উপযুক্ত তিনি তাকে শাস্তি দিবেন। আল্লাহ সব কিছুরই উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَاۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ

রাসূল ঈমান এনেছে ঐ বিষয়ে যা কিছু তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে, আর মুমিনরাও, এদের সবাই ঈমান এনেছে আল্লাহ, মালা-ইকা ও তাঁর (১১৪ টি লিখিত) অধ্যায়গুলোর উপরে এবং তাঁর সকল রাসূলদের উপরে। (তারা বলে) আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্য হতে কারো মাঝে পার্থক্য করি না, তারা আরও বলে, আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের প্রতিপালক!  আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই, আর আপনার কাছেই তো ফিরে যেতে হবে।*

*2(285)নং আয়াতের كتبه শব্দের ব্যাখ্যায় 2(85),3(119),66(12),98(2,3),।

এবং লিখিত শব্দটির ব্যাখ্যায় 21(10,104),3(145),4(103,153),6(7),17(13,93),24(33),35(40),39(23),43(21),46(30),78(29),83(9)...।
সকল রাসুলদের অনুসরণের ব্যপারে 14(44),4(64,65,80),42(51,52)...।

সূরা : সূরা আল বাক্বারা

لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِن نَّسِينَآ أَوْ أَخْطَأْنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ وَٱعْفُ عَنَّا وَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَآۚ أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ

আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্বভার দেন না। সে যা (পূণ্য)  অর্জন করে তা তারই জন্যে এবং সে  যা (পাপ) অর্জন করে তা তারই উপরে বর্তাবে। হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা যদি ভুলে যাই অথবা আমরা ভুল করি, সে জন্য আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের উপর অর্পণ করা দায়িত্বকে যেন আমরা বোঝা মনে না করি, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীগণেরা করেছে। হে আমাদের প্রতিপালক ! এমন ভার যেন আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয় , যা বহন করার শক্তি আমাদের কাছে নেই। আমাদের ত্রুটি মোচে দিন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, এবং আমাদেরকে দয়া করুন। আপনিই আমাদের মাওলা, তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।