সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اَلَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَصَدُّوْا عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ اَضَلَّ اَعْمَالَهُمْ

যারা অস্বীকার করেছে, আল্লাহর কোরআনের পথ হতে (লোকদেরকে) বাঁধা দিয়েছে, তিনি তাদের কর্মসমূহ ব্যর্থ করে দিবেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

َالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَاٰمَنُوْا بِمَا نُزِّلَ عَلٰي مُحَمَّدٍ وَّهُوَ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّهِمْ ۙ كَفَّرَ عَنْهُمْ سَيِّاٰتِهِمْ وَاَصْلَحَ بَالَهُمْ

আর যারা ঈমান এনেছে এবং সংশোধনের কাজ করেছে, আর মোহাম্মদের উপর (কোরআন থেকে) যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়, সে সবের প্রতি যারা ঈমান আনবে, আর তা তাদেরই প্রতিপালকের পক্ষ হতে সত্য। আল্লাহ তাদের থেকে তাদের ত্রুটিসমূহ মিটিয়ে দিবেন, আর তাদের অবস্থা শুধরে দিবেন

47(2) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(113,114)...।

আর সংশোধন এর পদ্ধতির ব্যাপারে 9(120)...।

প্রশংসিত হওয়ার ব্যাপারে 17(79)...।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

ذٰلِكَ بِاَنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوا اتَّبَعُوا الْبَاطِلَ وَاَنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّبَعُوا الْحَقَّ مِنْ رَّبِّهِمْ ؕ كَذٰلِكَ يَضْرِبُ اللّٰهُ لِلنَّاسِ اَمْثَالَهُمْ

এটা এ কারণে যে, যারা অস্বীকার করে তারা তো মিথ্যাকেই মেনে নিয়েছে, আর যারা ঈমান এনেছে, তারা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে আগত সত্য (কোরআনকে) মেনে নিয়েছে। এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্যে তাদের দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করছেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

فَاِذَا لَقِيْتُمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فَضَرْبَ الرِّقَابِ ؕ حَتّٰۤي اِذَاۤ اَثْخَنْتُمُوْهُمْ فَشُدُّوا الْوَثَاقَ ۙ فَاِمَّا مَنًّۢا بَعْدُ وَاِمَّا فِدَآءً حَتّٰي تَضَعَ الْحَرْبُ اَوْزَارَهَا ۚ۟ۛ ذٰؔلِكَ ؕۛ وَلَوْ يَشَآءُ اللّٰهُ لَانْتَصَرَ مِنْهُمْ وَلٰكِنْ لِّيَبْلُوَا۠ بَعْضَكُمْ بِبَعْضٍ ؕ وَالَّذِيْنَ قُتِلُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ فَلَنْ يُّضِلَّ اَعْمَالَهُمْ

অতঃপর যখন তোমাদের সাথে কাফিরদের মোকাবিলা হবে, তখন (প্রথম কাজ) তাদের প্রমাণ পেশের অপেক্ষা করা। এমন কি যখন তোমরা তাদেরকে সম্পূর্ণভাবে পরাজয় করবে, তখন শক্তভাবে তাদের প্রতিশ্রুতি নিবে। অতঃপর হয় তাদেরকে অনুকম্পা করবে নাহয় মুক্তিপণ নিবে। যতক্ষণ না তারা যুদ্ধের সরঞ্জামসমূহ সংবরণ করবে। এই নির্দেশ অবশ্যই মানতে হবে। আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তাদের উপরে প্রতিশোধ নিতেন। কিন্তু তিনি‌ চান, তোমাদের মধ্যে একে অন্যের মাধ্যমে তোমাদের পরীক্ষা নিতে। আর যারা আল্লাহর কোরআনের পথে নিহত হবে, সেক্ষেত্রে তিনি কখনও তাদের কর্মসমূহকে নিষ্ফল করবেন না।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

سَيَهْدِيْهِمْ وَيُصْلِحُ بَالَهُمْ ۚ

তিনি অচিরেই তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন। আর তাদের অবস্থা সংশোধন করে দিবেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

وَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ عَرَّفَهَا لَهُمْ

আর তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পরিচয় তিনি তাদেরকে জানিয়েছেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنْ تَنْصُرُوا اللّٰهَ يَنْصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ اَقْدَامَكُمْ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যদি আল্লাহর সাহায্য চাও তাহলে আল্লাহও তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা গুলোকে সুদৃঢ় করে দিবেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا فَتَعْسًا لَّهُمْ وَاَضَلَّ اَعْمَالَهُمْ

আর যারা অস্বীকার করবে, সেক্ষেত্রে তাদের জন্যে রয়েছে দূর্গতি, আর তিনি তাদের কর্মসমূহকে পন্ড করে দিবেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ كَرِهُوْا مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ فَاَحْبَطَ اَعْمَالَهُمْ

এটা এ কারণে যে, আল্লাহ যা কিছু অবতীর্ণ করেছেন, তা তারা অপছন্দ করেছে । তাই তিনি তাদের কর্মসমূহকে নষ্ট করে দিবেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اَفَلَمْ يَسِيْرُوْا فِي الْاَرْضِ فَيَنْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ؕ دَمَّرَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ ۫ وَلِلْكٰفِرِيْنَ اَمْثَالُهَا

তবে কি তারা পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না ! তাহলে তারা দেখতে পাবে তাদের পূর্বেকার লোকগুলোর পরিণাম কি দাঁড়িয়েছে ? আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আর কাফিরদের জন্যে রয়েছে তাদের অনুরূপ পরিণতি।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

ذٰلِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ مَوْلَي الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَاَنَّ الْكٰفِرِيْنَ لَا مَوْلٰي لَهُمْ

এটা এ জন্যে যে, যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের অলি, আর একথাও (পরিস্কার) যে কাফিরদের জন্যে কোনো অলি নেই।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اِنَّ اللّٰهَ يُدْخِلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ؕ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا يَتَمَتَّعُوْنَ وَيَاْكُلُوْنَ كَمَا تَاْكُلُ الْاَنْعَامُ وَالنَّارُ مَثْوًي لَّهُمْ

নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং সংশোধনের কাজ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যার নীচ থেকে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে। আর যারা অস্বীকার করেছে, তারা তো ভোগ বিলাস করছে ও খাচ্ছে যেমন চতুষ্পদ জন্তুরা খায়। আর আগুনই তাদের জন্যে বাসস্থান।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

وَكَاَيِّنْ مِّنْ قَرْيَةٍ هِيَ اَشَدُّ قُوَّةً مِّنْ قَرْيَتِكَ الَّتِيْۤ اَخْرَجَتْكَ ۚ اَهْلَكْنٰهُمْ فَلَا نَاصِرَ لَهُمْ

আর তোমার জনপদ যা থেকে তারা তোমাকে বের করে দিয়েছে তার তুলনায় শক্তিতে অধিকতর মজবুত অনেক জনপদ ছিল, আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী ছিল না।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اَفَمَنْ كَانَ عَلٰي بَيِّنَةٍ مِّنْ رَّبِّهٖ كَمَنْ زُيِّنَ لَهٗ سُوْٓءُ عَمَلِهٖ وَاتَّبَعُوْۤا اَهْوَآءَهُمْ

তবে কি যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে আগত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর থাকে, সে ব্যক্তি কি তার মতো ? যার কাছে তার খারাপ কাজকে খুব সুন্দর বলে মনে হয়, আর যারা তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করে।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

مَثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِيْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَ ؕ فِيْهَاۤ اَنْهٰرٌ مِّنْ مَّآءٍ غَيْرِ اٰسِنٍ ۚ وَاَنْهٰرٌ مِّنْ لَّبَنٍ لَّمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهٗ ۚ وَاَنْهٰرٌ مِّنْ خَمْرٍ لَّذَّةٍ لِّلشّٰرِبِيْنَ ۚ وَاَنْهٰرٌ مِّنْ عَسَلٍ مُّصَفًّي ؕ وَلَهُمْ فِيْهَا مِنْ كُلِّ الثَّمَرٰتِ وَمَغْفِرَةٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ ؕ كَمَنْ هُوَ خَالِدٌ فِي النَّارِ وَسُقُوْا مَآءً حَمِيْمًا فَقَطَّعَ اَمْعَآءَهُمْ

জান্নাতের একটি দৃষ্টান্ত, মহৎব্যক্তিদের যে জন্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে (রং গন্ধ) অপরিবর্তনীয় পানির ঝর্ণাসমহূ, দুধের ঝর্ণাধারা, যার স্বাদ সম্পূর্ণ অবিকৃত থাকবে এবং এমন শরাবের ঝর্ণাসমূহ যা পানকারীদের জন্যে খুবই সুস্বাদু হবে, আর পরিশোধিত পরিচ্ছন্ন মধুর ঝর্ণাসমূহ থাকবে, আর তাদের জন্যে সেখানে সব ধরনের ফল-মূল থাকবে। আর থাকবে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে ক্ষমা। এসবের অধিকারীরা কি তাদের মতো হবে? যারা চিরকাল আগুনের মধ্যে থাকবে এবং তাদেরকে ফুটন্ত পানি পান করানো হবে, আর সেই পানি তাদের নাড়িভুঁড়ি ছিন্নবিছিন্ন করে দিবে।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّسْتَمِعُ اِلَيْكَ ۚ حَتّٰۤي اِذَا خَرَجُوْا مِنْ عِنْدِكَ قَالُوْا لِلَّذِيْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ مَاذَا قَالَ اٰنِفًا ۟ اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ طَبَعَ اللّٰهُ عَلٰي قُلُوْبِهِمْ وَاتَّبَعُوْۤا اَهْوَآءَهُمْ

আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছে, যারা তোমার দিকে মনোযোগ দিয়ে শুনে। অবশেষে যখন তারা তোমার কাছ থেকে বেরিয়ে যায়, তখন পন্ডিতরা বলে (যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে), এই মাত্র সে কি বললো? তারাই ঐসব লোক যাদের অন্তর গুলোর উপর আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন, তাই তারা তাদের নিজেদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করে থাকে।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

وَالَّذِيْنَ اهْتَدَوْا زَادَهُمْ هُدًي وَّاٰتٰهُمْ تَقْوٰىهُمْ

যারা সঠিক পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তাদেরকে সঠিক পথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দেন, আর তাদেরকে দান করেন তাদের তাকওয়া।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

فَهَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا السَّاعَةَ اَنْ تَاْتِيَهُمْ بَغْتَةً ۚ فَقَدْ جَآءَ اَشْرَاطُهَا ۚ فَاَنّٰي لَهُمْ اِذَا جَآءَتْهُمْ ذِكْرٰىهُمْ

তবে কি তারা সবাই বিশেষ সময় (কিয়ামতের) জন্যেই অপেক্ষা করছে, যে হঠাৎ করে তাদের কাছে এসে পড়বে ! নিশ্চয়ই তার লক্ষণসমূহ তো এসেই পড়েছে। অতএব কেমন করে তাদের উপদেশ গ্রহণ করা সম্ভব হবে, যখন কিয়ামত এসেই পড়বে?

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

فَاعْلَمْ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْۢبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنٰتِ ؕ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَمَثْوٰىكُمْ

অতএব জেনে রাখো যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকারের বিধানদাতা নেই। তোমার পাপের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকো, আর মুমিন পুরুষ ও মু'মিন নারীদের পক্ষ হতেও। আল্লাহ তোমাদের চলাফেরা ও বসবাসের জায়গা সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

وَيَقُوْلُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَوْلَا نُزِّلَتْ سُوْرَةٌ ۚ فَاِذَاۤ اُنْزِلَتْ سُوْرَةٌ مُّحْكَمَةٌ وَّذُكِرَ فِيْهَا الْقِتَالُ ۙ رَاَيْتَ الَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ يَّنْظُرُوْنَ اِلَيْكَ نَظَرَ الْمَغْشِيِّ عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِ ؕ فَاَوْلٰي لَهُمْ ۚ

আর যারা ঈমান এনেছে, তারা বলছে, কোনো একটি সূরা কেনো (কিতালের আদেশ দিয়ে) অবতীর্ণ করা হয়নি ? অতঃপর যখনই সুস্পষ্ট আদেশসহ কোনো সূরা অবতীর্ণ হয়, আর তার মধ্যে কিতাল (কোরআনের সত্য বিদ্যা অর্জন করে নিজের কু-রিপু হত্যা করা) এর কথা উল্লেখ থাকে, তখন তুমি দেখতে পাবে, যাদের অন্তরে রোগ রয়েছে, তারা তোমার দিকে এমন দৃষ্টিতে তাকাবে, ঠিক যেমন কারোর উপর মৃত্যু ছেয়ে গেলে যে অবস্থা দাঁড়ায়। সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্যে।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

طَاعَةٌ وَّقَوْلٌ مَّعْرُوْفٌ ۟ فَاِذَا عَزَمَ الْاَمْرُ ۟ فَلَوْ صَدَقُوا اللّٰهَ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ ۚ

আনুগত্য ও সুপরিচিত ন্যায়সংগত কথাই তো উত্তম। কিন্তু যখন সব কাজের ব্যবস্থা চূড়ান্ত হয়ে যায়, তখন যদি তারা আল্লাহকে (দেওয়া ওয়াদা) সত্য প্রমাণ করে, তাহলে অবশ্যই তাদের জন্যে ভালো হবে।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

فَهَلْ عَسَيْتُمْ اِنْ تَوَلَّيْتُمْ اَنْ تُفْسِدُوْا فِي الْاَرْضِ وَتُقَطِّعُوْۤا اَرْحَامَكُمْ

তোমাদের দিক থেকে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে, যদি তোমরা দেশের শাসনকর্তা বনে যাও, তাহলে তোমরা দেশের মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের আত্মীয়তার বন্ধনসমূহকে ছিন্ন করবে।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فَاَصَمَّهُمْ وَاَعْمٰۤي اَبْصَارَهُمْ

এরাই ঐসব লোক, যাদেরকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন, এরপর তাদেরকে বধির করে দিয়েছেন, আর তাদের (অন্তর) দৃষ্টিশক্তিকে অন্ধ করে দিয়েছেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْاٰنَ اَمْ عَلٰي قُلُوْبٍ اَقْفَالُهَا

তবে কি তারা কোরআন সম্বন্ধে চিন্তা গবেষণা করবে না ? নাকি তাদের অন্তরগুলোর উপর তালা পড়েছে ?

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اِنَّ الَّذِيْنَ ارْتَدُّوْا عَلٰۤي اَدْبَارِهِمْ مِّنْۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدَي ۙ الشَّيْطٰنُ سَوَّلَ لَهُمْ ؕ وَاَمْلٰي لَهُمْ 25

নিশ্চয়ই যারা তাদের পিছনের দিকে ফিরে যায়, সঠিক পথ কোনটা পরিস্কারভাবে জানার পরেও। শয়তান তাদের কাজকে শোভন করে দেখায় এবং তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয়।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْا لِلَّذِيْنَ كَرِهُوْا مَا نَزَّلَ اللّٰهُ سَنُطِيْعُكُمْ فِيْ بَعْضِ الْاَمْرِ ۚۖ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ اِسْرَارَهُمْ

এটা এ কারণে যে, তারা এমন ধরনের লোক, যারা আল্লাহর অবতীর্ণ করা বিধানকে অপছন্দ করে, তাদের কাছে বলে, অচিরেই আমরা কিছু ক্ষেত্রে তোমাদের আনুগত্য করবো। অথচ আল্লাহ তাদের গোপন অভিসন্ধি সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

فَكَيْفَ اِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلٰٓئِكَةُ يَضْرِبُوْنَ وُجُوْهَهُمْ وَاَدْبَارَهُمْ

অতঃপর তাদের অবস্থা কেমন দাঁড়াবে, যখন ভূপৃষ্ঠের মালা-ইকারা (তাপ, চাপ, ধাক্কা এবং অন্যান্য) শক্তি তাদের ওফাতের মাধ্যমে জান কবজ করবে, তখন তাদের চেহারা ও পিঠের উপরে সমানে আঘাত করতে থাকবে।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

ذٰلِكَ بِاَنَّهُمُ اتَّبَعُوْا مَاۤ اَسْخَطَ اللّٰهَ وَكَرِهُوْا رِضْوَانَهٗ فَاَحْبَطَ اَعْمَالَهُمْ

এটা এ কারণে যে, তারা সেই (মানব রচিত হাদিস, ফেক্কার) অনুসরণ করেছে, যা আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করেছে। আর তারা তাঁর সন্তুষ্টি লাভের পথকে অপছন্দ করতো। ফলে তিনি তাদের কর্মসমূহকে নষ্ট করে দিয়েছেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اَمْ حَسِبَ الَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ اَنْ لَّنْ يُّخْرِجَ اللّٰهُ اَضْغَانَهُمْ

যাদের অন্তরসমূহের মধ্যে রোগ রয়েছে তারা মনে করেছে নাকি যে, আল্লাহ কখনো তাদের মানসিক বিদ্বেষগুলোর কথা প্রকাশ করবেন না

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

وَلَوْ نَشَآءُ لَاَرَيْنٰكَهُمْ فَلَعَرَفْتَهُمْ بِسِيْمٰهُمْ ؕ وَلَتَعْرِفَنَّهُمْ فِيْ لَحْنِ الْقَوْلِ ؕ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ اَعْمَالَكُمْ

আর আমি যদি ইচ্ছে করি, অবশ্যই আমি তাদের দেখাতে পারি। তখন তুমি তাদের লক্ষণগুলো দ্বারা চিনতেই পারবে। আর অবশ্যই তুমি তাদেরকে চিনবে তাদের কথা বলার ভংগিতে। আর আল্লাহ তোমাদের কর্মসমূহ সম্পর্কে ভালো করেই জানেন।

*47(30) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 17(64)...।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ حَتّٰي نَعْلَمَ الْمُجٰهِدِيْنَ مِنْكُمْ وَالصّٰبِرِيْنَ ۙ وَنَبْلُوَا۠ اَخْبَارَكُمْ

আমি অবশ্যই তোমাদের সবাইকে পরীক্ষা করবো যাতে আমি তোমাদের মধ্যে যারা উৎকৃষ্টতম কর্মকারী ও ধৈর্যশীল রয়েছে তাদেরকে প্রকাশ করতে পারি। আর তোমাদের কথা ও কাজ সম্পর্কেও পরিক্ষা করবো।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَصَدُّوْا عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ وَشَآقُّوا الرَّسُوْلَ مِنْۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدٰي ۙ لَنْ يَّضُرُّوا اللّٰهَ شَيْئًا ؕ وَسَيُحْبِطُ اَعْمَالَهُمْ

নিশ্চয় যারা অস্বীকার করেছে ও আল্লাহর (কুরআনের) পথ হতে লোকদেরকে বাঁধা দিয়েছে, তাদের কাছে সৎপথ সুস্পষ্ট হওয়ার পরেও রাসূলের বিরোধিতা করেছে, তারা কখনও আল্লাহর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর অচিরেই তিনি তাদের কর্মসমূহ বিনষ্ট করে দিবেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اَطِيْعُوا اللّٰهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَلَا تُبْطِلُوْۤا اَعْمَالَكُمْ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, আর রাসূলের আনুগত্য করো, আর তোমরা তোমাদের কর্মসমূহকে বিনষ্ট করো না।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَصَدُّوْا عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ثُمَّ مَاتُوْا وَهُمْ كُفَّارٌ فَلَنْ يَّغْفِرَ اللّٰهُ لَهُمْ

নিশ্চয়ই যারা অস্বীকার করেছে ও আল্লাহর (কুরআনের) পথ হতে বাঁধা দিয়েছে। তারপর তারা মারা গেছে এমতাবস্থায় যে তারা ছিলো কাফির, ফলে আল্লাহ তাদেরকে কখনও ক্ষমা করবেন না।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

فَلَا تَهِنُوْا وَتَدْعُوْۤا اِلَي السَّلْمِ ۖ وَاَنْتُمُ الْاَعْلَوْنَ ۖ وَاللّٰهُ مَعَكُمْ وَلَنْ يَّتِرَكُمْ اَعْمَالَكُمْ

অতএব তোমরা সাহস হারিয়ো না, আর তাদেরকে আত্মসমর্পণের দিকে আহ্বান করো। তোমরাই তো জয়ী হবে। আর আল্লাহ তোমাদের সাথেই রয়েছেন। আর তিনি‌ কখনও তোমাদের কাজ কর্মের গুরুত্ব কিছুতেই কমিয়ে দিবেন না।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اِنَّمَا الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَّلَهْوٌ ؕ وَاِنْ تُؤْمِنُوْا وَتَتَّقُوْا يُؤْتِكُمْ اُجُوْرَكُمْ وَلَا يَسْـَٔلْكُمْ اَمْوَالَكُمْ

প্রকৃতপক্ষে পার্থিব জীবন তো খেলা ও তামাশা মাত্র। কিন্তু তোমরা যদি ঈমান আনো, আর (আল্লাহকে) ভয় করে চলো, তাহলে তিনি তোমাদেরকে ন্যায্য কর্মফল দান করবেন। আর তিনি তোমাদের থেকে তোমাদের ধন-সম্পদ চাইবেন না।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

اِنْ يَّسْـَٔلْكُمُوْهَا فَيُحْفِكُمْ تَبْخَلُوْا وَيُخْرِجْ اَضْغَانَكُمْ তিনি যদি তোমাদের থেকে তা-ই চাইতেন, অতঃপর তোমাদেরকে চাপ দিতেন, তাহলে তোমরা কৃপণতা করতে। আর তিনি তোমাদের গোপন ত্রুটিকে প্রকাশ করে দিবেন।

তিনি যদি তোমাদের থেকে তা-ই চাইতেন, অতঃপর তোমাদেরকে চাপ দিতেন, তাহলে তোমরা কৃপণতা করতে। আর তিনি তোমাদের গোপন ত্রুটিকে প্রকাশ করে দিবেন।

সূরা : সূরা মুহাম্মাদ

هٰۤاَنْتُمْ هٰۤؤُلَآءِ تُدْعَوْنَ لِتُنْفِقُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۚ فَمِنْكُمْ مَّنْ يَّبْخَلُ ۚ وَمَنْ يَّبْخَلْ فَاِنَّمَا يَبْخَلُ عَنْ نَّفْسِهٖ ؕ وَاللّٰهُ الْغَنِيُّ وَاَنْتُمُ الْفُقَرَآءُ ۚ وَاِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ ۙ ثُمَّ لَا يَكُوْنُوْۤا اَمْثَالَكُمْ

হায়! তোমরাই তো ঐসব লোক যাদেরকে আহ্বান করা হচ্ছে, যেন তোমরা আল্লাহর কোরআনের পথে খরচ কর। তখন তোমাদের মধ্য হতে কেউ কেউ কৃপনতা করছে, অথচ যে কেউ কৃপণতা করে প্রকৃতপক্ষে সে তো তার নিজের প্রতিই কৃপণতা করে। আল্লাহ অভাবমুক্ত-ধনী, আর তোমরাই অভাবগ্রস্ত-ফক্বীর। আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের ব্যতীত অন্য এক জাতিকে পরিবর্তন করে আনবেন। এরপর তারা তোমাদের মতো হবে না।

*47(38),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(54),8(38),5(93), 9(39),3(176)...।

এবং শয়তানের ওয়াদা সম্পর্কে 2(268),17(64),14(22)...।

আল্লাহর ওয়াদা সম্পর্কে 5(12) ,9(111)...।

মুমিনদের ওয়াদা সম্পর্কে 33(23)...।


অন্তরে মুনাফিক্বী সৃষ্টির কারণ 22(53), 9(76,77,111)...।