সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

اِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِيْنًا ۙ

নিশ্চয়ই আমি তোমাকে সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

لِّيَغْفِرَ لَكَ اللّٰهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْۢبِكَ وَمَا تَاَخَّرَ وَيُتِمَّ نِعْمَتَهٗ عَلَيْكَ وَيَهْدِيَكَ صِرَاطًا مُّسْتَقِيْمًا ۙ

যেন তোমাকে আল্লাহ ক্ষমা করতে পারেন, তোমার পূর্বের ও পরের সব পাপ। আর তোমার উপরে তাঁর অনুগ্রহ সম্পূর্ণরূপে দান করতে পারেন, আর তোমাকে সুপ্রতিষ্ঠিত পথে পরিচালনা করতে পারেন।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَّيَنْصُرَكَ اللّٰهُ نَصْرًا عَزِيْزًا

আর আল্লাহ তোমাকে ভরপুর সাহায্য করবেন, যাতে তুমি পরিপূর্ণ সাফল্য ও সম্মান লাভ করতে পারো।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

هُوَ الَّذِيْۤ اَنْزَلَ السَّكِيْنَةَ فِيْ قُلُوْبِ الْمُؤْمِنِيْنَ لِيَزْدَادُوْۤا اِيْمَانًا مَّعَ اِيْمَانِهِمْ ؕ وَلِلّٰهِ جُنُوْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ عَلِيْمًا حَكِيْمًا ۙ

তিনিই (আল্লাহ), যিনি মু'মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন, যাতে পূর্বের ঈমানের সাথে তাদের ঈমান আরও বেড়ে যায়। আকাশের ও পৃথিবীর সব সৈন্যসমূহ আল্লাহরই জন্য। আসলে আল্লাহ হলেন মহাজ্ঞানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

لِّيُدْخِلَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنٰتِ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا وَيُكَفِّرَ عَنْهُمْ سَيِّاٰتِهِمْ ؕ وَكَانَ ذٰلِكَ عِنْدَ اللّٰهِ فَوْزًا عَظِيْمًا ۙ

তিনি মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাতে চান, যার নীচ থেকে ঝর্ণাধারা সমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর তাদের থেকে যাবতীয় দোষত্রুটি সমূহকে দূর করবেন। আর এটাই হচ্ছে আল্লাহর নিকট এক মহা সাফল্য।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَّيُعَذِّبَ الْمُنٰفِقِيْنَ وَالْمُنٰفِقٰتِ وَالْمُشْرِكِيْنَ وَالْمُشْرِكٰتِ الظَّآنِّيْنَ بِاللّٰهِ ظَنَّ السَّوْءِ ؕ عَلَيْهِمْ دَآئِرَةُ السَّوْءِ ۚ وَغَضِبَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ وَلَعَنَهُمْ وَاَعَدَّ لَهُمْ جَهَنَّمَ ؕ وَسَآءَتْ مَصِيْرًا

আর তিনি কপট পুরুষ ও কপট নারী আর অংশীবাদী পুরুষ ও অংশীবাদী নারীদেরকে শাস্তি দিবেন, যারা আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ/ভ্রান্ত ধারণা করে যাচ্ছে, তাদের উপরে দূর্গতি অবশ্যই আসবে। আর আল্লাহ তাদের উপরে রুষ্ট হবেন, তাদেরকে অভিশাপ দিবেন, আর তিনি তাদের জন্যে জাহান্নাম প্রস্তুত করে রেখেছেন, আর তা অতি নিকৃষ্ট ঠিকানা।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَلِلّٰهِ جُنُوْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ عَزِيْزًا حَكِيْمًا

আকাশের ও পৃথিবীর সব সৈন্যবাহিনী আল্লাহরই। আসলে আল্লাহ হলেন মহা-সম্মানিত ও মহা-বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

اِنَّاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا ۙ

নিশ্চয়ই আমি তোমাকে সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা আর সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

لِّتُؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ ؕ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا

যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনো, তাকে সাহায্য করো ও সম্মান করো এবং সকালে ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করতে থাকো।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

اِنَّ الَّذِيْنَ يُبَايِعُوْنَكَ اِنَّمَا يُبَايِعُوْنَ اللّٰهَ ؕ يَدُ اللّٰهِ فَوْقَ اَيْدِيْهِمْ ۚ فَمَنْ نَّكَثَ فَاِنَّمَا يَنْكُثُ عَلٰي نَفْسِهٖ ۚ وَمَنْ اَوْفٰي بِمَا عٰهَدَ عَلَيْهُ اللّٰهَ فَسَيُؤْتِيْهِ اَجْرًا عَظِيْمًا

নিশ্চয় যারা তোমার কাছে বাই'য়াত তথা আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করে, প্রকৃতপক্ষে তারা আল্লাহর কাছেই আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করে; আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর; সুতরাং যে কেউ তার ওয়াদা ভঙ্গ করবে তার ওয়াদা ভঙ্গের পরিণাম তারই উপর বর্তাবে। আর যে আল্লাহকে দেওয়া ওয়াদা পূর্ণ করবে শীঘ্রই তিনি তাকে মহা পুরস্কার দেবেন।

*48(10) নং আয়াতের ব্যাখ্যায়। 9(75-78,100),56(10),59(8),9(111),14(47)...।

এবং ওয়াদা পূর্ণ করার ব্যাপারে 33(15,23)...।


সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

سَيَقُوْلُ لَكَ الْمُخَلَّفُوْنَ مِنَ الْاَعْرَابِ شَغَلَتْنَاۤ اَمْوَالُنَا وَاَهْلُوْنَا فَاسْتَغْفِرْ لَنَا ۚ يَقُوْلُوْنَ بِاَلْسِنَتِهِمْ مَّا لَيْسَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ ؕ قُلْ فَمَنْ يَّمْلِكُ لَكُمْ مِّنَ اللّٰهِ شَيْئًا اِنْ اَرَادَ بِكُمْ ضَرًّا اَوْ اَرَادَ بِكُمْ نَفْعًا ؕ بَلْ كَانَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرًا

আরববাসীদের মধ্যহতে পিছনে থেকে যাওয়া লোকেরা শীঘ্রই তোমাকে বলবে, আমাদের ধনসম্পদ ও পরিবার পরিজন নিয়ে ঝামেলার কারণেই আমরা অবকাশ করতে পারি না। তাই আপনি আমাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তারা তাদের জিহ্বা দিয়ে এমন কথা বলবে, যা তাদের অন্তরের মধ্যে নেই। তুমি বলো, তবে কে আল্লাহর মোকাবিলায় তোমাদেরকে বাঁচানোর জন্যে কিছুমাত্র ক্ষমতা রাখতে পারে ? যদি তিনি তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে ইচ্ছে করেন অথবা উপকার করতে ইচ্ছে করেন। বরং আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব জানেন তোমরা যা কাজকর্ম করছো।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

بَلْ ظَنَنْتُمْ اَنْ لَّنْ يَّنْقَلِبَ الرَّسُوْلُ وَالْمُؤْمِنُوْنَ اِلٰۤي اَهْلِيْهِمْ اَبَدًا وَّزُيِّنَ ذٰلِكَ فِيْ قُلُوْبِكُمْ وَظَنَنْتُمْ ظَنَّ السَّوْءِ ۚۖ وَكُنْتُمْ قَوْمًۢا بُوْرًا

বরং তোমরা তো ধারণা করে থাকো যে, রাসূল ও মু'মিনরা কখনও তাদের পরিবারের কাছে ফিরে আসবে না। আর এটা তোমাদের অন্তরের মধ্যে খুব ভালোই লাগে। কিন্তু তোমরা যে একটা খারাপ/ভূল ধারণা নিয়ে মেতে উঠো। আর তোমরাই তো ধ্বংস হবার মতো সম্প্রদায়ে পরিণত হবে।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَمَنْ لَّمْ يُؤْمِنْۢ بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ فَاِنَّاۤ اَعْتَدْنَا لِلْكٰفِرِيْنَ سَعِيْرًا

আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপরে ঈমান আনবে না, নিশ্চয় আমি কাফিরদের জন্য জ্বলন্ত আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَلِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ يَغْفِرُ لِمَنْ يَّشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَّشَآءُ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا

আকাশের ও পৃথিবীর আধিপত্য শুধু আল্লাহরই জন্য। তিনি ক্ষমার উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকে‌ ক্ষমা করে দেন, আর শাস্তির উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকে শাস্তি দেন। আসলে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, দয়ালু।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

سَيَقُوْلُ الْمُخَلَّفُوْنَ اِذَا انْطَلَقْتُمْ اِلٰي مَغَانِمَ لِتَاْخُذُوْهَا ذَرُوْنَا نَتَّبِعْكُمْ ۚ يُرِيْدُوْنَ اَنْ يُّبَدِّلُوْا كَلٰمَ اللّٰهِ ؕ قُلْ لَّنْ تَتَّبِعُوْنَا كَذٰلِكُمْ قَالَ اللّٰهُ مِنْ قَبْلُ ۚ فَسَيَقُوْلُوْنَ بَلْ تَحْسُدُوْنَنَا ؕ بَلْ كَانُوْا لَا يَفْقَهُوْنَ اِلَّا قَلِيْلًا

তোমরা যখন লাভের জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য যাবে তখন পিছনে থেকে যাওয়া লোকেরা শীঘ্রই বলবে, আমাদেরকে তা (লাভের মাল) গ্রহণ করার জন্যে যেতে দাও, আমরা তোমাদের অনুসরণ অরবো। তারা চায় যে, আল্লাহর বাণী পরিবর্তন করে দেওয়া হোক। তুমি বল, না, তোমরা আমাদের সাথে যেতে পারবে না। একথা আল্লাহ পূর্বেই তো বলে দিয়েছেন। তখন কিন্তু তারা (মুমিনদেরকে) বলবে, বরং তোমরাই তো আমাদের সাথে হিংসা করছো। আসলে তারা হলো এমন লোক যে, তারা অতি সামান্যই বুঝে।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

قُلْ لِّلْمُخَلَّفِيْنَ مِنَ الْاَعْرَابِ سَتُدْعَوْنَ اِلٰي قَوْمٍ اُولِيْ بَاْسٍ شَدِيْدٍ تُقَاتِلُوْنَهُمْ اَوْ يُسْلِمُوْنَ ۚ فَاِنْ تُطِيْعُوْا يُؤْتِكُمُ اللّٰهُ اَجْرًا حَسَنًا ۚ وَاِنْ تَتَوَلَّوْا كَمَا تَوَلَّيْتُمْ مِّنْ قَبْلُ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا اَلِيْمًا

আরববাসীদের মধ্য হতে পিছনে থেকে যাওয়া লোকদেরকে বলে দাও শীঘ্রই তোমাদেরকে এমন এক জাতির দিকে ডাকা হবে, যারা কঠিন যুদ্ধবাজ, হয় তাদেরকে কতলের মাধ্যমে বশ্যতা স্বীকার করাবে, অথবা তারা আত্মসমর্পণ করবে। অতঃপর তোমরা যদি আনুগত্য কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দিবেন। আর যদি তোমরা পিছনে ফিরে যাও, যেমন ইতিপূর্বে তোমরা পিছনে ফিরেছো, তাহলে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন।

*(40(16),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 49(14,15)...

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

لَيْسَ عَلَي الْاَعْمٰي حَرَجٌ وَّلَا عَلَي الْاَعْرَجِ حَرَجٌ وَّلَا عَلَي الْمَرِيْضِ حَرَجٌ ؕ وَمَنْ يُّطِعِ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ يُدْخِلْهُ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۚ وَمَنْ يَّتَوَلَّ يُعَذِّبْهُ عَذَابًا اَلِيْمًا

অন্ধের জন্যে কোনো অপরাধ নেই এবং পঙ্গুর জন্যেও কোনো অপরাধ নেই, আর অপরাধ নেই কোনো রোগীর জন্যে। কিন্তু যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, তাকেই তো জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার নীচ থেকে ঝর্ণাধারা সমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। আর যে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিবে, তাকেই তো যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেওয়া হবে।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

لَقَدْ رَضِيَ اللّٰهُ عَنِ الْمُؤْمِنِيْنَ اِذْ يُبَايِعُوْنَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِيْ قُلُوْبِهِمْ فَاَنْزَلَ السَّكِيْنَةَ عَلَيْهِمْ وَاَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيْبًا ۙ

নিশ্চয়ই আল্লাহ মু'মিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন, যখন তারা তোমার কাছে গাছের নিচে বাই'য়াত গ্রহণ করে। তাদের অন্তরের মধ্যে যা কিছু থাকে তাও তিনি জানেন। সুতরাং তিনি তাদের প্রতি প্রশান্তি দান করবেন। আর তাদেরকে শীঘ্রই একটি নিকটবর্তী বিজয় দান করবেন

*48(18)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 14(24-26)...।

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টির 9(61-63)...।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَّمَغَانِمَ كَثِيْرَةً يَّاْخُذُوْنَهَا ؕ وَكَانَ اللّٰهُ عَزِيْزًا حَكِيْمًا

এছাড়া আরো বিপুল পরিমাণ লাভের সম্পদসমূহ যা তারা গ্রহণ করবে। আর আল্লাহ হলেন মহা-সম্মানিত ও মহা-বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَعَدَكُمُ اللّٰهُ مَغَانِمَ كَثِيْرَةً تَاْخُذُوْنَهَا فَعَجَّلَ لَكُمْ هٰذِهٖ وَكَفَّ اَيْدِيَ النَّاسِ عَنْكُمْ ۚ وَلِتَكُوْنَ اٰيَةً لِّلْمُؤْمِنِيْنَ وَيَهْدِيَكُمْ صِرَاطًا مُّسْتَقِيْمًا ۙ

আল্লাহ তোমাদেরকে বিপুল পরিমাণ লাভের সম্পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা তোমরা গ্রহণ করবে। আপাতত তোমাদেরকে এতটুকু দিচ্ছেন। আর মানুষের হাত তোমাদের উপর থেকে ফিরিয়ে রেখেছেন। যেন এটি মু'মিনদের জন্যে একটি নিদর্শন হয়। আর তিনি তোমাদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত পথ দেখিয়ে থাকেন।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَّاُخْرٰي لَمْ تَقْدِرُوْا عَلَيْهَا قَدْ اَحَاطَ اللّٰهُ بِهَا ؕ وَكَانَ اللّٰهُ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرًا

আরও একটি সাফল্য, যার উপর তোমার এখনও সক্ষম হওনি, আল্লাহ তা নিজেই পরিবেষ্ঠন করে রেখেছেন। আর আল্লাহ সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَلَوْ قٰتَلَكُمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوَلَّوُا الْاَدْبَارَ ثُمَّ لَا يَجِدُوْنَ وَلِيًّا وَّلَا نَصِيْرًا

আর যারা অস্বীকার করেছে তারা যদি তোমাদেরকে কতলের মাধ্যমে হত্যা করে, তাহলে তারা অবশ্যই পিঠ ফিরিয়ে পালিয়ে যাবে। এরপর তারা কোনো অলি কিংবা সাহায্যকারী হিসেবে কাউকে পাবে না।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

سُنَّةَ اللّٰهِ الَّتِيْ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلُ ۚۖ وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّةِ اللّٰهِ تَبْدِيْلًا এটি আল্লাহর সুন্নাত-নিয়ম, যা পূর্ব থেকেই কার্যকরী রয়েছে। আর তুমি কখনও আল্লাহর নিয়মে কোনো পরিবর্তন পাবে না।

এটি আল্লাহর সুন্নাত-নিয়ম, যা পূর্ব থেকেই কার্যকরী রয়েছে। আর তুমি কখনও আল্লাহর নিয়মে কোনো পরিবর্তন পাবে না।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

وَهُوَ الَّذِيْ كَفَّ اَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَاَيْدِيَكُمْ عَنْهُمْ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْۢ بَعْدِ اَنْ اَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرًا

আর তিনিই তাদের হাতগুলো তোমাদের উপর হতে, আর তোমাদের হাতগুলো তাদের উপর হতে (পৃথিবীর কেন্দ্র) মক্কার পেটেই ফিরিয়ে রাখেন। তাদের উপরে তোমাদেরকে বিজয় দান করার পর থেকে। আর আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব দেখছেন। তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

هُمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا وَصَدُّوْكُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْهَدْيَ مَعْكُوْفًا اَنْ يَّبْلُغَ مَحِلَّهٗ ؕ وَلَوْلَا رِجَالٌ مُّؤْمِنُوْنَ وَنِسَآءٌ مُّؤْمِنٰتٌ لَّمْ تَعْلَمُوْهُمْ اَنْ تَطَـُٔوْهُمْ فَتُصِيْبَكُمْ مِّنْهُمْ مَّعَرَّةٌۢ بِغَيْرِ عِلْمٍ ۚ لِيُدْخِلَ اللّٰهُ فِيْ رَحْمَتِهٖ مَنْ يَّشَآءُ ۚ لَوْ تَزَيَّلُوْا لَعَذَّبْنَا الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْهُمْ عَذَابًا اَلِيْمًا

এরাই তো সেই দল, যারা কুফুরী করেছে, আর তোমাদেরকে মাসজিদে হারামে যেতে বাধা দিচ্ছে, আর হাদিয়া জিনিসগুলি তার বৈধ স্থানে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। আর যদি এমন কিছু মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীরা না থাকত, যাদের সম্পর্কে তোমরা কিছুই জান না, তাদের জন্য যদি পিষে যাবার মতো আশঙ্কা না থাকত, তাহলে তাদের কারণে তোমাদের উপরে সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারেই অনিষ্ট ঘটে যেত। আল্লাহ উপযুক্তদেরকে তাঁর অনুগ্রহে প্রবেশ করান। আর যদি তারা সরে যায়, তাহলে তাদের মধ্যে যারা কাফির হবে তাদেরকে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

اِذْ جَعَلَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِيْ قُلُوْبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَاَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَهٗ عَلٰي رَسُوْلِهٖ وَعَلَي الْمُؤْمِنِيْنَ وَاَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوٰي وَكَانُوْۤا اَحَقَّ بِهَا وَاَهْلَهَا ؕ وَكَانَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمًا

আর কাফিরগুলো যখন তাদের অন্তরে অহমিকার স্থান দেয়। তাও আবার অহমিকা অজ্ঞতার। তাই আল্লাহ স্বয়ং তাঁর কাছ থেকে মানসিক প্রশান্তি অবতীর্ণ করেন তাঁর রাসূল ও মু'মিনদের উপর। আর তাদেরকে তাকওয়ার বাণীর উপরেই মজবুতভাবে কায়েম রাখেন। কারণ, তারাই এর অধিক যোগ্য ও তার উপযুক্ত। আর আল্লাহই তো সবকিছু সম্পর্কে একমাত্র মহাজ্ঞানী।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

لَقَدْ صَدَقَ اللّٰهُ رَسُوْلَهُ الرُّءْيَا بِالْحَقِّ ۚ لَتَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ اٰمِنِيْنَ ۙ مُحَلِّقِيْنَ رُءُوْسَكُمْ وَمُقَصِّرِيْنَ ۙ لَا تَخَافُوْنَ ؕ فَعَلِمَ مَا لَمْ تَعْلَمُوْا فَجَعَلَ مِنْ دُوْنِ ذٰلِكَ فَتْحًا قَرِيْبًا

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর রাসূলের স্বপ্নকে সঠিকভাবে সত্যে পরিণত করেন। তোমরা আল্লাহর ইচ্ছায় নিরাপদে তোমাদের মাথা মুন্ডন করে এবং চুল ছেঁটে নির্ভয়ে আল-মাসজিদুল হারামে অবশ্যই প্রবেশ করবে। অতঃপর আল্লাহ জানেন যা তোমরা জানতে না। তাই তিনি এ ছাড়াও আরো একটি নিকটবর্তী বিজয় দান করবেন।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

هُوَ الَّذِيْۤ اَرْسَلَ رَسُوْلَهٗ بِالْهُدٰي وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهٗ عَلَي الدِّيْنِ كُلِّهٖ ؕ وَكَفٰي بِاللّٰهِ شَهِيْدًا ؕ

তিনিই তাঁর রাসূলকে সত্য সঠিক জীবন ব্যবস্থার দিক নির্দেশনা দিয়ে পাঠিয়েছেন, যেনো সেই জীবন ব্যবস্থা অন্যান্য সকল (ধর্মব্যবসায়ী পন্ডিত ও মোল্লাদের ব্যক্তিগত ভাবে বানানো) ধর্মের উপর বিজয় লাভ করতে পারেন। আর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই তো যথেষ্ট।

সূরা : সূরা আল ফাতাহ্‌

مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللّٰهِ ؕ وَالَّذِيْنَ مَعَهٗۤ اَشِدَّآءُ عَلَي الْكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيْنَهُمْ تَرٰىهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَّبْتَغُوْنَ فَضْلًا مِّنَ اللّٰهِ وَرِضْوَانًا ۫ سِيْمَاهُمْ فِيْ وُجُوْهِهِمْ مِّنْ اَثَرِ السُّجُوْدِ ؕ ذٰلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرٰىةِ ۚۖۛ وَمَثَلُهُمْ فِي الْاِنْجِيْلِ ۚ۟ۛ كَزَرْعٍ اَخْرَجَ شَطْـَٔهٗ فَاٰزَرَهٗ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوٰي عَلٰي سُوْقِهٖ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيْظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ ؕ وَعَدَ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ مِنْهُمْ مَّغْفِرَةً وَّاَجْرًا عَظِيْمًا

প্রশংসিত (মোহাম্মদ) আল্লাহর রাসূল, আর তার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। আর তারা আল্লাহর সাহায্য-সামগ্রী ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদের পরস্পর সহযোগিতা ও চরম আনুগত্য করতে দেখবে। তাদের মুখমণ্ডলে "পরম আনুগত্যের" চিহ্ন থাকবে, বিশেষ আইনে তাদের বর্ণনা এরূপই এবং বিশেষ সুসংবাদেও। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা হতে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর এ শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কাণ্ডের উপর দৃঢ়ভাবে দাড়ায়, যা চাষীদেরকে আনন্দ দেয়। এভাবে তিনি বিশ্বাসীদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তরজালা সৃষ্টি করেন। আর আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদের সাথে, যারা তাদের মধ্যে ঈমান আনবে আর সংশোধনের কাজ করবে। তাদের জন্যেই তো ক্ষমা ও মহা পুরস্কার রয়েছে।