সূরা : সুরা নুর

سُوْرَةٌ اَنْزَلْنٰهَا وَفَرَضْنٰهَا وَاَنْزَلْنَا فِيْهَاۤ اٰيٰتٍۭ بَيِّنٰتٍ لَّعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ

এটি একটি সূরা, যা আমি অবতীর্ণ করেছি এবং এটাকে আমি ফরজ করেছি। আর আমি এতে অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করতে পার।

সূরা : সুরা নুর

اَلزَّانِيَةُ وَالزَّانِيْ فَاجْلِدُوْا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ ۪ وَّلَا تَاْخُذْكُمْ بِهِمَا رَاْفَةٌ فِيْ دِيْنِ اللّٰهِ اِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ ۚ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَآئِفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِيْنَ

ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী এদের প্রত্যেককে তোমরা একশোটি করে দোররা মারবে। আর তোমরা যেন তাদের দু'জনের উপরে আল্লাহর বিধান সম্পর্কে কিছুমাত্র সদয়ভাব পোষণ না কর, যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাসী হয়েই থাক। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।

সূরা : সুরা নুর

اَلزَّانِيْ لَا يَنْكِحُ اِلَّا زَانِيَةً اَوْ مُشْرِكَةً ۫ وَّالزَّانِيَةُ لَا يَنْكِحُهَاۤ اِلَّا زَانٍ اَوْ مُشْرِكٌ ۚ وَحُرِّمَ ذٰلِكَ عَلَي الْمُؤْمِنِيْنَ

ব্যভিচারী পুরুষ শুধু ব্যভিচারিণী কিংবা কোনো মুশরিক নারীকে বিয়ে করবে। আর ব্যভিচারিণী শুধু ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষকেই বিয়ে করবে। মুমিনদের জন্যে এদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সূরা : সুরা নুর

وَالَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْمُحْصَنٰتِ ثُمَّ لَمْ يَاْتُوْا بِاَرْبَعَةِ شُهَدَآءَ فَاجْلِدُوْهُمْ ثَمٰنِيْنَ جَلْدَةً وَّلَا تَقْبَلُوْا لَهُمْ شَهَادَةً اَبَدًا ۚ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ ۙ

আর যারা নিজ সতীত্ব রক্ষায় বিশেষ যত্নবর্তীদের উপরে মিথ্যা অপবাদ দিবে, এরপর চার জন সাক্ষী নিয়ে আসতে পারবে না, তাহলে তোমরা তাদেরকে আশিটি দোররা মারবে। আর তাদের সাক্ষ্য কোনও দিন তোমরা গ্রহণ করবে না। আসলে তারাই তো অমান্যকারী-ফাসিক লোক।

সূরা : সুরা নুর

اِلَّا الَّذِيْنَ تَابُوْا مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِكَ وَاَصْلَحُوْا ۚ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

তবে যারা এরপরে তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসে, আর নিজেক সংশোধন করে নেয়। তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নুর

وَالَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ اَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُمْ شُهَدَآءُ اِلَّاۤ اَنْفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ اَحَدِهِمْ اَرْبَعُ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ اِنَّهٗ لَمِنَ الصّٰدِقِيْنَ

আর যারা তাদের নিজেদের জোড়া, স্বামী-স্ত্রীর উপরে অপবাদ আরোপ করে, আর তারা নিজেরা ছাড়া তাদের কাছে আর কোন সাক্ষী থাকে না, সেক্ষেত্রে তাদের একজন চারবার সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহর শপথ, সে নিশ্চয়ই সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা : সুরা নুর

وَالْخَامِسَةُ اَنَّ لَعْنَتَ اللّٰهِ عَلَيْهِ اِنْ كَانَ مِنَ الْكٰذِبِيْنَ

আর পঞ্চম বারে বলবে, তার উপরে আল্লাহর অভিশাপ পড়বে, যদি সে মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভূক্ত হয়।

সূরা : সুরা নুর

وَيَدْرَؤُا عَنْهَا الْعَذَابَ اَنْ تَشْهَدَ اَرْبَعَ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ اِنَّهٗ لَمِنَ الْكٰذِبِيْنَ

আর অভিযুক্ত ব্যক্তি শাস্তি থেকে রেহাই পাবে, সে যদি চারবার বলে আল্লাহর শপথ, নিশ্চয়ই সে লোকটি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা : সুরা নুর

وَالْخَامِسَةَ اَنَّ غَضَبَ اللّٰهِ عَلَيْهَاۤ اِنْ كَانَ مِنَ الصّٰدِقِيْنَ

আর পঞ্চম বারে বলবে, সে লোকটি যদি সত্যবাদী হয়ে থাকে, তবে তার নিজের উপরেই আল্লাহর গজব পড়বে।

সূরা : সুরা নুর

وَلَوْلَا فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهٗ وَاَنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ حَكِيْمٌ

আর আল্লাহর দান-সামগ্রী ও দয়া যদি তোমাদের উপরে না-ই থাকত, তাহলে কত কিছুই যে ঘটত ! আসলে আল্লাহই যে তাওবাহ গ্রহণকারী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা নুর

اِنَّ الَّذِيْنَ جَآءُوْ بِالْاِفْكِ عُصْبَةٌ مِّنْكُمْ ؕ لَا تَحْسَبُوْهُ شَرًّا لَّكُمْ ؕ بَلْ هُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ؕ لِكُلِّ امْرِيًٴ مِّنْهُمْ مَّا اكْتَسَبَ مِنَ الْاِثْمِ ۚ وَالَّذِيْ تَوَلّٰي كِبْرَهٗ مِنْهُمْ لَهٗ عَذَابٌ عَظِيْمٌ

নিশ্চয় যারা এই মিথ্যা অপবাদ রচনা নিয়ে এসেছে, তোমাদের মধ্যকার একটি দল নিজেদের জন্যে, তোমরা সেটাকে খারাপ মনে করো না। বরং সেটা তোমাদের জন্যে মঙ্গলজনক। প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্যে তাতে অংশ থাকবে, যতোটা পাপ হ'তে সে অর্জন করবে। আর মানুষের মধ্য হ'তে যে ব্যক্তি এব্যাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করবে, তার জন্যে থাকবে মহাশাস্তি।

সূরা : সুরা নুর

لَوْلَاۤ اِذْ سَمِعْتُمُوْهُ ظَنَّ الْمُؤْمِنُوْنَ وَالْمُؤْمِنٰتُ بِاَنْفُسِهِمْ خَيْرًا ۙ وَّقَالُوْا هٰذَاۤ اِفْكٌ مُّبِيْنٌ

তোমরা যখন তা শুনতে পাও, তখন কেনো তোমরা একথা বলো না যে, ঈমানদার পুরুষ ও নারীরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের উপরে ভালো ধারণাই পোষণ করে। আর তারা বলে এটা তো সুস্পষ্ট মিথ্যা অপবাদ।

সূরা : সুরা নুর

لَوْلَا جَآءُوْ عَلَيْهِ بِاَرْبَعَةِ شُهَدَآءَ ۚ فَاِذْ لَمْ يَاْتُوْا بِالشُّهَدَآءِ فَاُولٰٓئِكَ عِنْدَ اللّٰهِ هُمُ الْكٰذِبُوْنَ

কেনো তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে আসে না ? যখন তারা কোনও সাক্ষী পেশ করতে পারছে না। তা'হলে তারাই তো আল্লাহর নিকটে মিথ্যাবাদী।

সূরা : সুরা নুর

وَلَوْلَا فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهٗ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ لَمَسَّكُمْ فِيْ مَاۤ اَفَضْتُمْ فِيْهِ عَذَابٌ عَظِيْمٌ ۚ

আর যদি তোমাদের উপরে আল্লাহর ফজল (দান-সামগ্রী) ও দয়া না-ই থাকতো, দুনিয়াতে ও পরকালেও, তাহলে তোমাদের উপরে কঠিন শাস্তি এসে পড়তো, যা নিয়ে তোমরা আলোচনায় মশগুল থাকো।

সূরা : সুরা নুর

اِذْ تَلَقَّوْنَهٗ بِاَلْسِنَتِكُمْ وَتَقُوْلُوْنَ بِاَفْوَاهِكُمْ مَّا لَيْسَ لَكُمْ بِهٖ عِلْمٌ وَّتَحْسَبُوْنَهٗ هَيِّنًا ۖ وَّهُوَ عِنْدَ اللّٰهِ عَظِيْمٌ

তোমরা যখন তা তোমাদের জিহ্বার ডগায় করে বয়ে বেড়াতে থাকো। আর তোমরা খেয়াল খুশী অনুসারে বলতে থাকো, যে বিষয়ে তোমরা কিছুই জানো না। আর তোমাদের কাছে এটা খুবই মামুলী ব্যাপার মনে হয়, অথচ আল্লাহর নিকটে এটা বড়ই গুরুতর বিষয়।

সূরা : সুরা নুর

وَلَوْلَاۤ اِذْ سَمِعْتُمُوْهُ قُلْتُمْ مَّا يَكُوْنُ لَنَاۤ اَنْ نَّتَكَلَّمَ بِهٰذَا ۖ سُبْحٰنَكَ هٰذَا بُهْتَانٌ عَظِيْمٌ

তোমরা যখন একথা শ্রবণ করো, তখন কেনো তোমরা বলোনা ? এমন কথা মুখে আনাও যে আমাদের পক্ষে উচিত নয়। (হে আল্লাহ) আপনি পবিত্র মহান, এটাতো গুরুতর অপবাদ।

সূরা : সুরা নুর

يَعِظُكُمُ اللّٰهُ اَنْ تَعُوْدُوْا لِمِثْلِهٖۤ اَبَدًا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ ۚ

আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, যেনো আর কখনো এমন কাজ তোমরা না করো, যদি মুমিন হয়েই থাকো।

সূরা : সুরা নুর

وَيُبَيِّنُ اللّٰهُ لَكُمُ الْاٰيٰتِ ؕ وَاللّٰهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ

তোমাদের জন্যেই তো আল্লাহ আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। আসলে আল্লাহ হলেন মহাজ্ঞানী ও মহা-বৈজ্ঞানীক।

সূরা : সুরা নুর

اِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ اَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ ۙ فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ ؕ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ وَاَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ

যারা মুমিনদের সমাজ জীবনে নির্লজ্জ কাজ কর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে বিশেষ তৎপর হয়, তাদের জন্যে পার্থিব জীবনে আর পরকালে বড়ই নিদারুণ শাস্তি থাকবে। আর আল্লাহ জানেন, কিন্তু তোমরা জানো না।

সূরা : সুরা নুর

وَلَوْلَا فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهٗ وَاَنَّ اللّٰهَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ

তোমাদের উপরে যদি আল্লাহর ফজল ও দয়া না-ই থাকতো (তবে নিকৃষ্ট পরিণাম হতো) কিন্তু আল্লাহ যে বড়ই দয়াবান, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নুর

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوٰتِ الشَّيْطٰنِ ؕ وَمَنْ يَّتَّبِعْ خُطُوٰتِ الشَّيْطٰنِ فَاِنَّهٗ يَاْمُرُ بِالْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ ؕ وَلَوْلَا فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهٗ مَا زَكٰي مِنْكُمْ مِّنْ اَحَدٍ اَبَدًا ۙ وَّلٰكِنَّ اللّٰهَ يُزَكِّيْ مَنْ يَّشَآءُ ؕ وَاللّٰهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা শয়তানের-কুপ্রবৃত্তির পদাঙ্ক অনুসরণ করবে না। আর যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তাহলে নিশ্চয়ই সে নির্লজ্জতা ও মন্দকাজের প্রতি নির্দেশ দিতেই থাকবে। তোমাদের উপরে যদি আল্লাহর ফজল ও তাঁর দয়া না থাকতো, তাহলে তোমাদের মধ্যে কোন একজন কখনও পবিত্র হতে পারতো না। কিন্তু আল্লাহ পবিত্র করে দেন তাকে, যে কেউ পবিত্র হতে চায়। আল্লাহই তো সব কিছু শোনেন ও জানেন।

সূরা : সুরা নুর

وَلَا يَاْتَلِ اُولُوا الْفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ اَنْ يُّؤْتُوْۤا اُولِي الْقُرْبٰي وَالْمَسٰكِيْنَ وَالْمُهٰجِرِيْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۪ۖ وَلْيَعْفُوْا وَلْيَصْفَحُوْا ؕ اَلَا تُحِبُّوْنَ اَنْ يَّغْفِرَ اللّٰهُ لَكُمْ ؕ وَاللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

তোমাদের মধ্যে যারা সম্ভ্রান্ত ও মর্যাদাসম্পন্ন আর বিত্তশালী, তারা যেন এমন শপথ না করে যে, আত্মীয় স্বজন, গৃহহীন ও আল্লাহর কুরআনের জন্যে হিজরতকারীদের কিছুই দিবে না। তারা যেন ক্ষমা করে দেয় এবং তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করে। তোমরা কি পছন্দ করো না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন? আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নুর

اِنَّ الَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْمُحْصَنٰتِ الْغٰفِلٰتِ الْمُؤْمِنٰتِ لُعِنُوْا فِي الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ ۪ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ ۙ

নিশ্চয় যারা পবিত্র স্বভাবের মুমিন নারীদের অসতর্কতার অবকাশে তাদের নামে অপবাদ আরোপ করবে, দুনিয়া ও পরকালে তাদের উপরে চরম অভিশাপ, আর তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে।

সূরা : সুরা নুর

يَّوْمَ تَشْهَدُ عَلَيْهِمْ اَلْسِنَتُهُمْ وَاَيْدِيْهِمْ وَاَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

সেদিন তাদের জিহ্বাগুলো, তাদের হাতগুলো, তাদের পা গুলো, তারা যা কিছু কাজ করেছে সে সব তাদের বিরুদ্ধেই সাক্ষ্য দিবে।

সূরা : সুরা নুর

يَوْمَئِذٍ يُّوَفِّيْهِمُ اللّٰهُ دِيْنَهُمُ الْحَقَّ وَيَعْلَمُوْنَ اَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْحَقُّ الْمُبِيْنُ

যেদিন আল্লাহ তাদেরকে পরিপূর্ণ ন্যায্য ফায়সালা দিবেন, যা তাদের প্রাপ্য। আর তারাও সেদিন জানতে পারবে যে, আল্লাহই সেই সুস্পষ্ট সত্যের প্রকাশক।

সূরা : সুরা নুর

اَلْخَبِيْثٰتُ لِلْخَبِيْثِيْنَ وَالْخَبِيْثُوْنَ لِلْخَبِيْثٰتِ ۚ وَالطَّيِّبٰتُ لِلطَّيِّبِيْنَ وَالطَّيِّبُوْنَ لِلطَّيِّبٰتِ ۚ اُولٰٓئِكَ مُبَرَّءُوْنَ مِمَّا يَقُوْلُوْنَ ؕ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّرِزْقٌ كَرِيْم

দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্যে। আর সচ্চরিত্রা নারীরা সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষরা সচ্চরিত্রা নারীদের জন্যে; লোকেরা যা বলে, তারা তা হ'তে মুক্ত। তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানিত জীবিকা।

সূরা : সুরা নুর

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَدْخُلُوْا بُيُوْتًا غَيْرَ بُيُوْتِكُمْ حَتّٰي تَسْتَاْنِسُوْا وَتُسَلِّمُوْا عَلٰۤي اَهْلِهَا ؕ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা তোমাদের নিজেদের ঘরগুলো ছাড়া অন্যদের ঘরগুলোতে প্রবেশ করো না, যতক্ষন না তোমরা অনুমতি পাবে এবং (প্রবেশের ক্ষেত্রে) গৃহবাসীদের সালাম তথা আনুগত্য করবে। এতেই তোমাদের জন্য মঙ্গল নিহিত রয়েছে, আশা করা যায় তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে।

সূরা : সুরা নুর

فَاِنْ لَّمْ تَجِدُوْا فِيْهَاۤ اَحَدًا فَلَا تَدْخُلُوْهَا حَتّٰي يُؤْذَنَ لَكُمْ ۚ وَاِنْ قِيْلَ لَكُمُ ارْجِعُوْا فَارْجِعُوْا هُوَ اَزْكٰي لَكُمْ ؕ وَاللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ عَلِيْمٌ

তবে সেখানে যদি তোমরা কাউকে না পাও, তাহলে তোমরা তাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষন তোমাদের জন্যে অনুমতি দেওয়া না হয়। যদি তোমাদেরকে বলা হয় যে, ফিরে যাও। তাহলে তোমরা অবশ্যই ফিরে আসবে। এতেই তোমাদের জন্যে পবিত্রতা নিহিত রয়েছে। আর আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : সুরা নুর

لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ اَنْ تَدْخُلُوْا بُيُوْتًا غَيْرَ مَسْكُوْنَةٍ فِيْهَا مَتَاعٌ لَّكُمْ ؕ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُوْنَ وَمَا تَكْتُمُوْنَ

যে ঘরে কেউ বাস করে না, আর সেখানে তোমাদের জন্যে কোনো ভোগসামগ্রী দ্রব্য রয়েছে, সেখানে প্রবেশ করলে তোমাদের কোন পাপ হবে না। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা যা কিছু প্রকাশ কর এবং যা কিছু গোপন কর।

সূরা : সুরা নুর

قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ اَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ؕ ذٰلِكَ اَزْكٰي لَهُمْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِيْرٌۢ بِمَا يَصْنَعُوْنَ

তুমি মুমিনদেরকে বলে দাও ! তারা যেনো তাদের (যৌন চাহিদার) দৃষ্টিগুলোকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান সমূহকে সংরক্ষণ করে। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতার ব্যবস্থা। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব জানেন, তারা যা কিছু করে যাচ্ছে।

সূরা : সুরা নুর

وَقُلْ لِّلْمُؤْمِنٰتِ يَغْضُضْنَ مِنْ اَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ اِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰي جُيُوْبِهِنَّ ۪ وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ اِلَّا لِبُعُوْلَتِهِنَّ اَوْ اٰبَآئِهِنَّ اَوْ اٰبَآءِ بُعُوْلَتِهِنَّ اَوْ اَبْنَآئِهِنَّ اَوْ اَبْنَآءِ بُعُوْلَتِهِنَّ اَوْ اِخْوَانِهِنَّ اَوْ بَنِيْۤ اِخْوَانِهِنَّ اَوْ بَنِيْۤ اَخَوٰتِهِنَّ اَوْ نِسَآئِهِنَّ اَوْ مَا مَلَكَتْ اَيْمَانُهُنَّ اَوِ التّٰبِعِيْنَ غَيْرِ اُولِي الْاِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفْلِ الَّذِيْنَ لَمْ يَظْهَرُوْا عَلٰي عَوْرٰتِ النِّسَآءِ ۪ وَلَا يَضْرِبْنَ بِاَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِيْنَ مِنْ زِيْنَتِهِنَّ ؕ وَتُوْبُوْۤا اِلَي اللّٰهِ جَمِيْعًا اَيُّهَ الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ

আর মুমিন নারীদেরকে তুমি বলে দাও! যেন তারা তাদের (যৌন চাহিদার) দৃষ্টিসমূহ সংযত রাখে। আর তাদের লজ্জাস্থান সমূহকে সংরক্ষণ করতে থাকে, আর নিজেদের সৌন্দর্য যেন প্রকাশ না করে, তবে কিনা যতটুকু প্রকাশ্য অবস্থায় থাকে (হাত, মূখ,পা) তা বাদে। আর নারীদের উপমা, তাদের বুকের পকেটের উপরে (পুরুষদের জন্যে) খুমুর তথা মানসিক নেশার বস্তু রয়েছে। (তাই নারীরা তাদের ওড়না দিয়ে নিজেদের বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখবে) আর নারীরা নিজেদের সৌন্দর্য মোটেই প্রকাশ করবে না, তবে নিজ স্বামী, বাপ-দাদা অথবা নিজ স্বামীর পিতা, নিজেদের সন্তান, নিজ স্বামীর সন্তান, নিজেদের ভাই কিংবা নিজ ভাতিজা ও ভাগ্নে অথবা ঘনিষ্ট মেয়েদের সামনে, কিংবা অধিকারভুক্ত কাজের সহযোগিতাকারীনি নারীদের সামনে, অথবা যৌন কামনা মুক্ত পুরুষদের সামনে কিংবা ছোট ছেলে, যারা এখনো নারীদের দৈহিক রহস্য সম্পর্কে কিছুই জানে না, এদের ব্যতীত। আর নারীরা এমনভাবে নিজেদের পা ফেলবে না, যাতে তাদের গোপন অলংকারাদির কথা অনুভব করা যাবে। হে মুমিনগণ ! সবাই তোমরা একত্রে আল্লাহর দিকে তাওবাহর মাধ্যমে ফিরে এসো, যেন তোমরা সাফল্য লাভে সক্ষম হও। *


*24(31),নং আয়াতের, خمر/খুমুর শব্দের ব্যাখ্যায় 

2(219),5(90,91),12(36,41),47(15)...।

সূরা : সুরা নুর

وَاَنْكِحُوا الْاَيَامٰي مِنْكُمْ وَالصّٰلِحِيْنَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَاِمَآئِكُمْ ؕ اِنْ يَّكُوْنُوْا فُقَرَآءَ يُغْنِهِمُ اللّٰهُ مِنْ فَضْلِهٖ ؕ وَاللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ

আর তোমাদের মধ্যে যারা আয়া-মা তথা স্ত্রী ছাড়া পুরুষ ও স্বামী ছাড়া নারী রয়েছে, তাদেরকে বিয়ে দিয়ে দাও। এবং কাজের ছেলে মেয়েদের মধ্যে যারা সংশোধনের কাজ করে চলে তাদেরকেও। যদিও তারা গরীব হোক না কেনো, আল্লাহ তাঁর সাহায্য সম্পদ দিয়ে তাদেরকে ধনী বানিয়ে দিবেন। আসলে আল্লাহই প্রাচুর্যময়, মহাজ্ঞানী।

সূরা : সুরা নুর

وَلْيَسْتَعْفِفِ الَّذِيْنَ لَا يَجِدُوْنَ نِكَاحًا حَتّٰي يُغْنِيَهُمُ اللّٰهُ مِنْ فَضْلِهٖ ؕ وَالَّذِيْنَ يَبْتَغُوْنَ الْكِتٰبَ مِمَّا مَلَكَتْ اَيْمَانُكُمْ فَكَاتِبُوْهُمْ اِنْ عَلِمْتُمْ فِيْهِمْ خَيْرًا ۖ وَّاٰتُوْهُمْ مِّنْ مَّالِ اللّٰهِ الَّذِيْۤ اٰتٰىكُمْ ؕ وَلَا تُكْرِهُوْا فَتَيٰتِكُمْ عَلَي الْبِغَآءِ اِنْ اَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِّتَبْتَغُوْا عَرَضَ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ؕ وَمَنْ يُّكْرِهْهُّنَّ فَاِنَّ اللّٰهَ مِنْۢ بَعْدِ اِكْرَاهِهِنَّ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

আর যারা সংযমী হয়েছে, বিয়ের খরচ পত্রের ব্যবস্থা করতে পারে না, যতক্ষন না আল্লাহ তাদেরকে তাঁর সাহায্য সামগ্রী মাধ্যমে সামর্থবান করেন, আর যারা তোমাদের ডান হাতের দখলে রয়েছে, তারা যদি মাল সম্পদ আদায়ের শর্তে মুক্তিপত্র লিখিয়ে নিতে চায়, তাহলে তোমরা তাদেরকে লিখে দাও, যদি তোমরা বুঝতে পারো যে এতে তাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তাদেরকে তোমরা সেই ধন-সম্পদ হ'তে কিছু দিয়ে দাও, আল্লাহ যা তোমাদেরকে দান করেছেন। আর তোমরা বিদ্রোহ করে (ধর্ষণের জন্য) জোর চালাবে না, পার্থিব আনন্দ লাভের জন্যে, তোমাদের কাজের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যারা সতীত্ব রক্ষা করতে চায়। এর পরেও, যে কেউ তাদের উপরে জোর জবরদস্তি (ধর্ষণ) করবে, তাদের উপর এই জোর চালানোর পর, অবশ্যই আল্লাহ (মাজলুমের উপর) বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নুর

وَلَقَدْ اَنْزَلْنَاۤ اِلَيْكُمْ اٰيٰتٍ مُّبَيِّنٰتٍ وَّمَثَلًا مِّنَ الَّذِيْنَ خَلَوْا مِنْ قَبْلِكُمْ وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِيْنَ

আর নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি, আর যারা তোমাদের পূর্বে চলে গেছে তাদের দৃষ্টান্তও উল্লেখ করেছি, আর মহৎব্যক্তিদের জন্যে ওয়াজ করেছি।

সূরা : সুরা নুর

اَللّٰهُ نُوْرُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ مَثَلُ نُوْرِهٖ كَمِشْكٰوةٍ فِيْهَا مِصْبَاحٌ ؕ اَلْمِصْبَاحُ فِيْ زُجَاجَةٍ ؕ اَلزُّجَاجَةُ كَاَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُّوْقَدُ مِنْ شَجَرَةٍ مُّبٰرَكَةٍ زَيْتُوْنَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَّلَا غَرْبِيَّةٍ ۙ يَّكَادُ زَيْتُهَا يُضِيْٓءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ؕ نُوْرٌ عَلٰي نُوْرٍ ؕ يَهْدِي اللّٰهُ لِنُوْرِهٖ مَنْ يَّشَآءُ ؕ وَيَضْرِبُ اللّٰهُ الْاَمْثَالَ لِلنَّاسِ ؕ وَاللّٰهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ ۙ

আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে আলো প্রদান করেন। এই আলোর দৃষ্টান্ত হলো, ঠিক যেমন একটি তাকের উপরে একটি প্রদীপ জ্বলছে। আর সেই প্রদীপটি একটি কাঁচের চিমনীর মধ্যে রয়েছে। আর তা যেনো একটি উজ্জ্বল তারকা। তাতে একটি পবিত্র গাছের তৈল জ্বলতে থাকে, তা হচ্ছে ঝায়তুন। প্রদীপটি শুধু যে পূর্ব দিকে কিংবা পশ্চিম দিকে আলো দেয় তা নয়, এখনই তাতে আলো জ্বলবে কিন্তু তা এতো চমকপ্রদ যে, তা স্পর্শ করা অসম্ভব। আলোর উপরে আলো জ্বলছে। আল্লাহ তাকেই তাঁর আলোর দিকে পথ দেখিয়ে থাকেন, যে উপযুক্ত। আল্লাহ মানুষের জন্যে সঠিক দৃষ্টান্তসমূহকে পেশ করেছেন। আর আল্লাহ প্রত্যেকটি জিনিস ও বিষয় বস্তু সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : সুরা নুর

فِيْ بُيُوْتٍ اَذِنَ اللّٰهُ اَنْ تُرْفَعَ وَيُذْكَرَ فِيْهَا اسْمُهٗ ۙ يُسَبِّحُ لَهٗ فِيْهَا بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ ۙ

যেসব ঘরগুলোর মধ্যে আল্লাহর নির্দেশ জারী থাকে, সেখানে এ প্রদীপের আলো পড়ে। তাই সকাল ও সন্ধ্যায় সেখানে তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করনার্থে সমুন্নত থাকে।

সূরা : সুরা নুর

رِجَالٌ ۙ لَّا تُلْهِيْهِمْ تِجَارَةٌ وَّلَا بَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِ وَاِقَامِ الصَّلٰوةِ وَاِيْتَآءِ الزَّكٰوةِ ۪ۙ يَخَافُوْنَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيْهِ الْقُلُوْبُ وَالْاَبْصَارُ ۙ

তারা এমন লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বানিজ্য এবং বেচাকেনার কাজ আল্লাহর স্মরণ-কুরআন হতে আর দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা ও সাহায্য প্রদান করা হতে বিরত রাখে না। তারা সেই দিন সম্পর্কে খুবই ভয় করে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে।

সূরা : সুরা নুর

لِيَجْزِيَهُمُ اللّٰهُ اَحْسَنَ مَا عَمِلُوْا وَيَزِيْدَهُمْ مِّنْ فَضْلِهٖ ؕ وَاللّٰهُ يَرْزُقُ مَنْ يَّشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ

যেনো আল্লাহ তাদেরকে পুরো প্রতিফল দান করতে পারেন, যারা উত্তম কাজ করেছে। আর আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহ থেকে আরো কিছু বাড়িয়ে দিবেন ! আল্লাহ উপযুক্তদেরকে কোনো হিসাব ছাড়াই জীবিকা দান করেন।

সূরা : সুরা নুর

وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْۤا اَعْمَالُهُمْ كَسَرَابٍۭ بِقِيْعَةٍ يَّحْسَبُهُ الظَّمْاٰنُ مَآءً ؕ حَتّٰۤي اِذَا جَآءَهٗ لَمْ يَجِدْهُ شَيْئًا وَّوَجَدَ اللّٰهَ عِنْدَهٗ فَوَفّٰىهُ حِسَابَهٗ ؕ وَاللّٰهُ سَرِيْعُ الْحِسَابِ ۙ

আর যারা অবাধ্য কাফির, তাদের কাজকর্ম যেনো মরুভূমির মরিচিকার মতো, যা দেখে পিপাসার্ত লোক পানি বলেই মনে করে। অথচ সে যদি তার কাছেও পৌঁছায়, তবুও সেখানে কিছুই পাবে না। অবশ্য আল্লাহকেই সে নিজের কাছে পায়। আর আল্লাহ‌ তাকে তার হিসাব পুরোপুরি দিবেন। আর আল্লাহ শীঘ্রই হিসাব নিবেন।

সূরা : সুরা নুর

اَوْ كَظُلُمٰتٍ فِيْ بَحْرٍ لُّجِّيٍّ يَّغْشٰهُ مَوْجٌ مِّنْ فَوْقِهٖ مَوْجٌ مِّنْ فَوْقِهٖ سَحَابٌ ؕ ظُلُمٰتٌۢ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ ؕ اِذَاۤ اَخْرَجَ يَدَهٗ لَمْ يَكَدْ يَرٰىهَا ؕ وَمَنْ لَّمْ يَجْعَلِ اللّٰهُ لَهٗ نُوْرًا فَمَا لَهٗ مِنْ نُّوْرٍ

অথবা অন্ধকারপুঞ্জের মতো গভীর সমুদ্রের মধ্যে উত্তাল তরঙ্গমালা, একটার উপর আরেকটা তরঙ্গ ধেয়ে আসছে, তার উপরে ঘন কালো মেঘ একটার উপর দিয়ে আরেকটা ছুটে বেড়াচ্ছে। তখন যদি সে নিজের হাত বের করে তবে সে তাও দেখতে পাবে না। আসলে যে কেউ এমন হবে, যার জন্যে আল্লাহ আলো দান করেন নি, তার জন্যে কোন আলো নেই।

সূরা : সুরা নুর

اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ يُسَبِّحُ لَهٗ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَالطَّيْرُ صٰٓفّٰتٍ ؕ كُلٌّ قَدْ عَلِمَ صَلَاتَهٗ وَتَسْبِيْحَهٗ ؕ وَاللّٰهُ عَلِيْمٌۢ بِمَا يَفْعَلُوْنَ

তুমি কি দেখোনি ! যে, আল্লাহই সেই মহান, তাঁরই জন্যে সাঁতার কাটছে আকাশমন্ডলি এবং পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে। আর ডানা মেলে চলছে উড়ন্ত পাখিরাও, প্রত্যেকে নিজ নিজ চলার পন্থা ও দায়িত্ব পালনের পদ্ধতি সম্পর্কে জানে। আর আল্লাহ খুব জানেন ঐ বিষয়ে যা কিছু তারা করছে।

সূরা : সুরা নুর

وَلِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۚ وَاِلَي اللّٰهِ الْمَصِيْرُ

আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর আধিপত্য শুধু আল্লাহর জন্যই। আর আল্লাহর দিকেই তো ফিরে যেতে হবে।

সূরা : সুরা নুর

اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ يُزْجِيْ سَحَابًا ثُمَّ يُؤَلِّفُ بَيْنَهٗ ثُمَّ يَجْعَلُهٗ رُكَامًا فَتَرَي الْوَدْقَ يَخْرُجُ مِنْ خِلٰلِهٖ ۚ وَيُنَزِّلُ مِنَ السَّمَآءِ مِنْ جِبَالٍ فِيْهَا مِنْۢ بَرَدٍ فَيُصِيْبُ بِهٖ مَنْ يَّشَآءُ وَيَصْرِفُهٗ عَنْ مَّنْ يَّشَآءُ ؕ يَكَادُ سَنَا بَرْقِهٖ يَذْهَبُ بِالْاَبْصَارِ ؕ

তুমি কি দেখোনি ? যে, আল্লাহ কিভাবে মেঘমালাকে হাঁকিয়ে নিয়ে আসেন, এরপর সেগুলোকে মিলিয়ে দেন, আবার সেগুলোকে তিনি থরে থরে সাজিয়ে রাখেন। অতঃপর তুমি দেখতে পাচ্ছো সেই বাদলধারার মাঝখান থেকে বৃষ্টিধারা ঝরছে। আর আল্লাহ‌ই তো আকাশ থেকে কুয়াশার পাহাড় বর্ষণ করেন। যে উপযুক্ত, আল্লাহ‌ তা দিয়ে তাকে ঘিরে ধরেন। আর যে বাঁচার উপযুক্ত তাকে রেহাই দান করেন। তার বিদ্যুৎ ঝলক এমনই তীব্র ও উজ্জ্বল যেন মনে হয় এই বুঝি দৃষ্টিশক্তিকে কেড়ে নিয়ে যাবে।

সূরা : সুরা নুর

يُقَلِّبُ اللّٰهُ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ ؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّاُولِي الْاَبْصَارِ

আল্লাহই তো রাত ও দিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকেন। নিশ্চয়ই এতে দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য চিন্তার বিষয় নিহিত রয়েছে।

সূরা : সুরা নুর

وَاللّٰهُ خَلَقَ كُلَّ دَآبَّةٍ مِّنْ مَّآءٍ ۚ فَمِنْهُمْ مَّنْ يَّمْشِيْ عَلٰي بَطْنِهٖ ۚ وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّمْشِيْ عَلٰي رِجْلَيْنِ ۚ وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّمْشِيْ عَلٰۤي اَرْبَعٍ ؕ يَخْلُقُ اللّٰهُ مَا يَشَآءُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

আর আল্লাহই প্রত্যেকটি চলমান জীবকে (জিন-ইনসানকেও) পানি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সেগুলোর মধ্যে কতক পেটের উপর ভর করে চলে, আবার তাদের মধ্যে কতগুলো দু'পায়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করে, আবার কতগুলো তাদের মধ্যে চারপেয় জন্তু রয়েছে। আল্লাহই সৃষ্টি করেন যেমন আল্লাহর ইচ্ছা হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : সুরা নুর

لَقَدْ اَنْزَلْنَاۤ اٰيٰتٍ مُّبَيِّنٰتٍ ؕ وَاللّٰهُ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَآءُ اِلٰي صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ

নিশ্চয়ই আমি আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে অবতীর্ণ করেছি। আসলে আল্লাহ তাকেই সুপ্রতিষ্ঠিত পথের দিকে পরিচালিত করেন, যে উপযুক্ত।

সূরা : সুরা নুর

وَيَقُوْلُوْنَ اٰمَنَّا بِاللّٰهِ وَبِالرَّسُوْلِ وَاَطَعْنَا ثُمَّ يَتَوَلّٰي فَرِيْقٌ مِّنْهُمْ مِّنْۢ بَعْدِ ذٰلِكَ ؕ وَمَاۤ اُولٰٓئِكَ بِالْمُؤْمِنِيْنَ

আর মানুষেরা বলে বেড়ায়, আল্লাহ ও রাসূলের উপর ঈমান এনেছি, আর আমরা আনুগত্য করেছি। কিন্তু তাদের মধ্য হ'তে এক দল লোক এর পরেও মুখ ফিরিয়ে নেয়। আসলে তারা ঈমানদার নয়।

সূরা : সুরা নুর

وَاِذَا دُعُوْۤا اِلَي اللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ اِذَا فَرِيْقٌ مِّنْهُمْ مُّعْرِضُوْنَ

আর যখন তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে আসতে বলা হয়, তাদের মধ্যকার বিতর্ক মিমাংসা করে দেবার জন্যে। তখনও কিন্তু তাদের মধ্য হ'তে একটি দল মুখ ফিরিয়ে নেয়।

সূরা : সুরা নুর

وَاِنْ يَّكُنْ لَّهُمُ الْحَقُّ يَاْتُوْۤا اِلَيْهِ مُذْعِنِيْنَ ؕ

আর যদি তারা মনে করে তাদের দাবীই সত্য, তখন কিন্তু তারা তার কাছে বড়ই বিনীত হয়ে উপস্থিত হবে।

সূরা : সুরা নুর

اَفِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ اَمِ ارْتَابُوْۤا اَمْ يَخَافُوْنَ اَنْ يَّحِيْفَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ وَرَسُوْلُهٗ ؕ بَلْ اُولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ

তাদের অন্তরে কি রোগ হয়েছে, না তারা ধোকায় পড়ে বিভ্রান্ত হয়েছে, না, তারা এই ভয় করছে; আল্লাহ তাদের উপরে অন্যায় করবেন, আর তাঁর রাসূলও তাই করবেন। বরং তারাই অপরাধী সীমালঙ্ঘনকারী।

সূরা : সুরা নুর

اِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِيْنَ اِذَا دُعُوْۤا اِلَي اللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ اَنْ يَّقُوْلُوْا سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا ؕ وَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ

কিন্তু মুমিনদের কথা তো শুধু এই থাকে, যখন তাদেরকে আল্লাহর ও তাঁর রাসূলের দিকে ডাকা হয়, তাদের মাঝে মীমাংসা করার জন্যে, তখন তারা বলে, আমরা শুনেছি ও আমরা মেনেও নিয়েছি। আসলে তারাই সফলকাম হবে।

সূরা : সুরা নুর

وَمَنْ يُّطِعِ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَخْشَ اللّٰهَ وَيَتَّقْهِ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفَآئِزُوْنَ

আর যে কেউ আল্লাহ‌ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, এছাড়া, সে যদি আল্লাহকে ভয় করে, আর (তাঁর শাস্তি হতে) সাবধান থাকে, তাহলে তারাই হবে সফলকাম মানুষ।

সূরা : সুরা নুর

وَاَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَيْمَانِهِمْ لَئِنْ اَمَرْتَهُمْ لَيَخْرُجُنَّ ؕ قُلْ لَّا تُقْسِمُوْا ۚ طَاعَةٌ مَّعْرُوْفَةٌ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِيْرٌۢ بِمَا تَعْمَلُوْنَ

আর যারা নিজেদের দৃঢ়তা দেখানোর জন্য আল্লাহর নামে শপথ করে বলে যে, যদি তাদেরকে বের হতে হুকুম দেওয়া হয় তাহলে তারা বের হবে। তুমি বলে দাও ! শপথ খাওয়ার দরকার নেই। বরঞ্চ সুপরিচিত বিধির (কিতাবের) কাজে বেরিয়ে সঙ্গ দাও। তোমরা যা কিছু করবে আল্লাহ নিশ্চয়ই তার খবর রাখবেন।

সূরা : সুরা নুর

قُلْ اَطِيْعُوا اللّٰهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ ۚ فَاِنْ تَوَلَّوْا فَاِنَّمَا عَلَيْهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيْكُمْ مَّا حُمِّلْتُمْ ؕ وَاِنْ تُطِيْعُوْهُ تَهْتَدُوْا ؕ وَمَا عَلَي الرَّسُوْلِ اِلَّا الْبَلٰغُ الْمُبِيْنُ

তুমি বলো, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, আর রাসূলেরও আনুগত্য করো। তবে তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহলে, যে দায়িত্বের বোঝা রাসূলের উপর রয়েছে, তার জন্যে রাসূল দায়ি থাকবে। আর তোমাদের উপরে যে দায়িত্বের বোঝা চাপানো হয়েছে, সেজন্য তোমরা দায়ি থাকবে। কিন্তু তোমরা যদি শুধু কোরআনকেই মেনে চলো, তবেই তোমরা সঠিক পথ পাবে। আসলে রাসূলের উপরে, সুস্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে নির্দেশ পৌঁছানোর দায়িত্ব ছাড়া আর তো কিছুই ন্যস্ত করা হয়নি।

সূরা : সুরা নুর

وَعَدَ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْاَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ۪ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِيْنَهُمُ الَّذِي ارْتَضٰي لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِّنْۢ بَعْدِ خَوْفِهِمْ اَمْنًا ؕ يَعْبُدُوْنَنِيْ لَا يُشْرِكُوْنَ بِيْ شَيْئًا ؕ وَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذٰلِكَ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ

আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদেরকে, তোমাদের মধ্যে হ'তে যারা ঈমান এনে সংশোধনের কাজ করেছে, তাহলে তাদেরকে আমি অবশ্যই পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব প্রদান করব, যেমন তাদের পূর্বেকার লোকদেরকে প্রতিনিধিত্ব দান করেছি। আর তাদের জন্যে জীবন ব্যবস্থাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে দিবো , যা তাদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের ভয় ভীতি ও আশংকার পরে সে সবের বিনিময়ে নিরাপত্তা দান করব। তারা আমারই দাসত্ব করবে, আর আমার সাথে কোন কিছুই তারা শরীক করবে না। কিন্তু যে কেউ এর পরে অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই তো অমান্যকারী-ফাসিক্ব বলে গণ্য হবে।

সূরা : সুরা নুর

وَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ

তোমরা যথাযথভাবে দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা কর এবং সাহায্য প্রদান কর, আর রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হতে পার।

সূরা : সুরা নুর

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لِيَسْتَاْذِنْكُمُ الَّذِيْنَ مَلَكَتْ اَيْمَانُكُمْ وَالَّذِيْنَ لَمْ يَبْلُغُوا الْحُلُمَ مِنْكُمْ ثَلٰثَ مَرّٰتٍ ؕ مِنْ قَبْلِ صَلٰوةِ الْفَجْرِ وَحِيْنَ تَضَعُوْنَ ثِيَابَكُمْ مِّنَ الظَّهِيْرَةِ وَمِنْۢ بَعْدِ صَلٰوةِ الْعِشَآءِ ۟ؕ ثَلٰثُ عَوْرٰتٍ لَّكُمْ ؕ لَيْسَ عَلَيْكُمْ وَلَا عَلَيْهِمْ جُنَاحٌۢ بَعْدَهُنَّ ؕ طَوّٰفُوْنَ عَلَيْكُمْ بَعْضُكُمْ عَلٰي بَعْضٍ ؕ كَذٰلِكَ يُبَيِّنُ اللّٰهُ لَكُمُ الْاٰيٰتِ ؕ وَاللّٰهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তারা তোমাদের কাছে অনুমতি নিয়েই আসবে, যারা তোমাদের আমল দখলে রয়েছে, আর যারা এখনো সাবালক হয়নি, তিনটি সময়ে, ফজরের দায়িত্ব পালনের পূর্বে আর দুপুর বেলা যখন তোমরা নিজেদের কাপড় খুলে রেখে দাও, আর সন্ধ্যার দায়িত্ব সম্পাদনের পরে, এই তিনটি সময় হচ্ছে তোমাদের জন্য গোপনীয়তার (যৌন চাহিদা পুরণ করার) সময়। এর পরে তোমাদের জন্য আর তাদের জন্য কোনো বাধা বাধ্যকতা নেই। তোমরা তো নিজেদের মধ্যে একে অপরের কাছে তাওয়াফ তথা যাতায়াত করেই থাকো। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্যে আয়াতসমূহ সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেছেন। আসলে আল্লাহ হলেন মহা-জ্ঞানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা নুর

وَاِذَا بَلَغَ الْاَطْفَالُ مِنْكُمُ الْحُلُمَ فَلْيَسْتَاْذِنُوْا كَمَا اسْتَاْذَنَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ؕ كَذٰلِكَ يُبَيِّنُ اللّٰهُ لَكُمْ اٰيٰتِهٖ ؕ وَاللّٰهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ

তোমাদের মধ্যে যারা শিশু রয়েছে তারা যখন সাবালক হবে, তখন তাদেরকেও ঠিক তেমনি অনুমতি নিতে হবে, ঠিক যেমন তাদের পূর্বেকার তরুণ যুবকেরা অনুমতি নিয়েছে। এভাবেই আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ তোমাদের জন্যে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেছেন। আসলে আল্লাহ হলেন মহা-জ্ঞানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা নুর

وَالْقَوَاعِدُ مِنَ النِّسَآءِ الّٰتِيْ لَا يَرْجُوْنَ نِكَاحًا فَلَيْسَ عَلَيْهِنَّ جُنَاحٌ اَنْ يَّضَعْنَ ثِيَابَهُنَّ غَيْرَ مُتَبَرِّجٰتٍۭ بِزِيْنَةٍ ؕ وَاَنْ يَّسْتَعْفِفْنَ خَيْرٌ لَّهُنَّ ؕ وَاللّٰهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ

আর স্ত্রীলোকদের মধ্য হ'তে যারা বৃদ্ধা হয়েছে, বিয়ের কোনো আশাও যাদের নেই, তারা যদি নিজেদের শরীরে হালকা কাপড় রাখে, রূপসৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তাহলে তাতে কোনও দোষ হবেনা। তবে তারা যদি এ ব্যাপারে সংযমী হয়, তাহলে এতে তাদেরই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আসলে আল্লাহ হলেন সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।

সূরা : সুরা নুর

لَيْسَ عَلَي الْاَعْمٰي حَرَجٌ وَّلَا عَلَي الْاَعْرَجِ حَرَجٌ وَّلَا عَلَي الْمَرِيْضِ حَرَجٌ وَّلَا عَلٰۤي اَنْفُسِكُمْ اَنْ تَاْكُلُوْا مِنْۢ بُيُوْتِكُمْ اَوْ بُيُوْتِ اٰبَآئِكُمْ اَوْ بُيُوْتِ اُمَّهٰتِكُمْ اَوْ بُيُوْتِ اِخْوَانِكُمْ اَوْ بُيُوْتِ اَخَوٰتِكُمْ اَوْ بُيُوْتِ اَعْمَامِكُمْ اَوْ بُيُوْتِ عَمّٰتِكُمْ اَوْ بُيُوْتِ اَخْوَالِكُمْ اَوْ بُيُوْتِ خٰلٰتِكُمْ اَوْ مَا مَلَكْتُمْ مَّفَاتِحَهٗۤ اَوْ صَدِيْقِكُمْ ؕ لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ اَنْ تَاْكُلُوْا جَمِيْعًا اَوْ اَشْتَاتًا ؕ فَاِذَا دَخَلْتُمْ بُيُوْتًا فَسَلِّمُوْا عَلٰۤي اَنْفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِنْدِ اللّٰهِ مُبٰرَكَةً طَيِّبَةً ؕ كَذٰلِكَ يُبَيِّنُ اللّٰهُ لَكُمُ الْاٰيٰتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُوْنَ

অন্ধ, পঙ্গু (হিজড়া) ও প্রতিবন্ধী রোগী হওয়ার কারণে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। আর নিজেদের মধ্যে তোমাদের উপরেও কোনোরূপ দোষারোপ করা হবে না, যদি তোমরা একে অন্যের ঘর থেকে কিছু খেয়ে নাও, তোমাদের বাপ দাদাদের ঘর, কিংবা তোমাদের মা-নানীদের ঘর, কিংবা তোমাদের ভাইদের ঘর, কিংবা তোমাদের বোনদের ঘর, কিংবা তোমাদের চাচাদের ঘর, অথবা ফুফুদের ঘর, কিংবা তোমাদের মামাদের ঘর, অথবা তোমাদের খালাদের ঘর কিংবা যে সব ঘরের চাবি তোমাদের কাছে থাকে, অথবা নিজেদের বন্ধুদের ঘর থেকে। তোমরা যদি একসাথে কিংবা একা খেয়ে নাও, তাহলে কোনো রকম দোষারোপ করা হবে না। তবে তোমরা যখন ঘর গুলোতে প্রবেশ করবে তখন তোমরা নিজেদের উপর সালাম করবে। আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র জীবন স্বরূপ । আল্লাহ এভাবেই তোমাদের জন্য নিজের আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন, যেন তোমরা বুঝতে পার।

সূরা : সুরা নুর

اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ وَاِذَا كَانُوْا مَعَهٗ عَلٰۤي اَمْرٍ جَامِعٍ لَّمْ يَذْهَبُوْا حَتّٰي يَسْتَاْذِنُوْهُ ؕ اِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَاْذِنُوْنَكَ اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ يُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ ۚ فَاِذَا اسْتَاْذَنُوْكَ لِبَعْضِ شَاْنِهِمْ فَاْذَنْ لِّمَنْ شِئْتَ مِنْهُمْ وَاسْتَغْفِرْ لَهُمُ اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

অবশ্যই মুমিন তারাই, যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর উপরে এবং তাঁর রাসূলের উপরেও। আর তারা যখন কোনো সমষ্টিগত কাজ উপলক্ষ্যে রাসূলের সাথে একত্রিত হয়ে থাকে, তখন তারা রাসূলের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে সেখান থেকে চলে যায় না। যারা তোমার কাছে অনুমতি নিয়ে আসে তারাই তো সেই দল, যারা আল্লাহর উপরে আর তাঁর রাসূলের উপরে ঈমান আনে। অবশ্য যদি কেউ নিজের কোনো কাজ উপলক্ষ্যে তোমার অনুমতি চাইতে আসে, তাহলে তাদের মধ্যে উপযুক্তদেরকে তুমি অনুমতি দিবে। তাদের জন্য তুমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

*24(62),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(44,45,93-96),62(11),4(61-65),3(172),33(13)...।

আর যাদের প্রতি অভিযোগ থাকবে 9(93)...।

সূরা : সুরা নুর

لَا تَجْعَلُوْا دُعَآءَ الرَّسُوْلِ بَيْنَكُمْ كَدُعَآءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا ؕ قَدْ يَعْلَمُ اللّٰهُ الَّذِيْنَ يَتَسَلَّلُوْنَ مِنْكُمْ لِوَاذًا ۚ فَلْيَحْذَرِ الَّذِيْنَ يُخَالِفُوْنَ عَنْ اَمْرِهٖۤ اَنْ تُصِيْبَهُمْ فِتْنَةٌ اَوْ يُصِيْبَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ

রাসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরের প্রতি আহবানের মতো গণ্য করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে জানেন, তোমাদের মধ্যে যারা আড়ালে (চুপিচুপি) সরে পড়ে। অবশ্য তাদের ভীত সন্ত্রস্ত হওয়া উচিত, যারা তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধচারণ করে, এবং তারা সতর্ক হোক যে, তাদের উপরে কোন বিপর্যয় এসে পড়বে, অথবা নিদারুণ শাস্তি তাদের উপরে এসে পড়বে।

সূরা : সুরা নুর

اَلَاۤ اِنَّ لِلّٰهِ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ قَدْ يَعْلَمُ مَاۤ اَنْتُمْ عَلَيْهِ ؕ وَيَوْمَ يُرْجَعُوْنَ اِلَيْهِ فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوْا ؕ وَاللّٰهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ

জেনে রেখো ,নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহরই জন্যে। নিশ্চয়ই তিনি জানেন তোমরা যে অবস্থার উপরে আছো। আর যেদিন তোমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। সেদিন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিবেন, ঐ বিষয়ে যা কিছু তারা করেছে। আর আল্লাহ সব কিছু সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন।