সূরা : সূরা ফুসসিলাত
حٰمٓ ۚ
হা-মীম।
تَنْزِيْلٌ مِّنَ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ۚ
(এ কিতাব) পরম করুণাময়, অসীম দয়ালুর পক্ষ হ'তে অবতীর্ণ করা হয়েছে।
كِتٰبٌ فُصِّلَتْ اٰيٰتُهٗ قُرْاٰنًا عَرَبِيًّا لِّقَوْمٍ يَّعْلَمُوْنَ ۙ
এ কিতাব এমন যে, যার আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত করা হয়েছে,পাঠ্যরূপে আরবী ভাষায়, এমন সম্প্রদায়ের জন্যে যারা জ্ঞান রাখে।
بَشِيْرًا وَّنَذِيْرًا ۚ فَاَعْرَضَ اَكْثَرُهُمْ فَهُمْ لَا يَسْمَعُوْنَ
সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী হিসেবে। কিন্ত তাদের অধিকাংশই বিমুখ হয়েছে, সুতরাং তারা শুনবে না।*
*41(1-4)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 6(19),21(45),2(213)/7(2,63,69)/10(2),74(2)/14(44,52),18(56),19(97),6(130)/9(122),16(2),40(15)...।
বিঃদ্রঃ সকল সতর্ককারী মানেই রাসূল নয়, এব্যাপারে 44(3),যেখানে আল্লাহ নিজেই নিজেকে সতর্ককারী হিসেবে প্রকাশ করেছেন,
তার মানে এই নয় যে, আল্লাহ একজন রাসূল, মাআ-যাল্লাহ।
وَقَالُوْا قُلُوْبُنَا فِيْۤ اَكِنَّةٍ مِّمَّا تَدْعُوْنَاۤ اِلَيْهِ وَفِيْۤ اٰذَانِنَا وَقْرٌ وَّمِنْۢ بَيْنِنَا وَبَيْنِكَ حِجَابٌ فَاعْمَلْ اِنَّنَا عٰمِلُوْنَ ؓ
আর তারা বলে, তুমি আমাদেরকে যে দিকে ডাকছো, তা থেকে আমাদের অন্তরগুলো যে পর্দার আড়ালেই রয়েছে। আর আমাদের কানে বধিরতা রয়েছে। আর আমাদের ও তোমার মাঝখানে একটি পর্দা রয়েছে। তাই তুমি তোমার কাজ করো, নিশ্চয়ই আমরাও আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।
قُلْ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوْحٰۤي اِلَيَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَاسْتَقِيْمُوْۤا اِلَيْهِ وَاسْتَغْفِرُوْهُ ؕ وَوَيْلٌ لِّلْمُشْرِكِيْنَ ۙ
তুমি বলে দাও ! আমি তোমাদের মতোই একজন মানুষ। আমার কাছে ওহী আসে যে, তোমাদের আইনদাতা হলেন একই আইনদাতা। সুতরাং তোমরা তাঁর দিকেই দৃঢ় মজবুত হয়ে থাকো। আর তোমরা তাঁর কাছে ক্ষমা চাও। আর ধংস রয়েছে মুশরিকদের জন্যে।
الَّذِيْنَ لَا يُؤْتُوْنَ الزَّكٰوةَ وَهُمْ بِالْاٰخِرَةِ هُمْ كٰفِرُوْنَ
যারা যাকাত-সাহায্য প্রদান করে না, তারাই তো পরকালকে অস্বীকার করে।*
*41(6,7) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 64(6,7)...।
اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ اَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُوْنٍ
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সংসোধনের কাজ করেছে তাদের জন্যে রয়েছে অফুরন্ত পুরুস্কার।
قُلْ اَئِنَّكُمْ لَتَكْفُرُوْنَ بِالَّذِيْ خَلَقَ الْاَرْضَ فِيْ يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُوْنَ لَهٗۤ اَنْدَادًا ؕ ذٰلِكَ رَبُّ الْعٰلَمِيْنَ ۚ
তুমি বলে দাও, তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করছো ? যিনি এই পৃথিবীকে দুইটি পর্যায়কালে সৃষ্টি করেছেন, আর তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ বানাতে চাচ্ছো ? তিনিই তো বিশ্বজগতের প্রতিপালক।
وَجَعَلَ فِيْهَا رَوَاسِيَ مِنْ فَوْقِهَا وَبٰرَكَ فِيْهَا وَقَدَّرَ فِيْهَاۤ اَقْوَاتَهَا فِيْۤ اَرْبَعَةِ اَيَّامٍ ؕ سَوَآءً لِّلسَّآئِلِيْنَ
আর পৃথিবীর উপরভাগে তিনি পর্বতমালা স্হাপন করেছেন, আর তার মধ্যে অনেক কল্যাণময় জিনিস রেখে দিয়েছেন মাত্র চারটি পর্যায়কালে। তার মধ্যে সে সবের প্রাণ শক্তি ও খাদ্যাদি স্থির করে দিয়েছেন, যারা জানতে চায় তাদের জন্যে এটাই হচ্ছে পূর্ণ তথ্য।
ثُمَّ اسْتَوٰۤي اِلَي السَّمَآءِ وَهِيَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْاَرْضِ ائْتِيَا طَوْعًا اَوْ كَرْهًا ؕ قَالَتَاۤ اَتَيْنَا طَآئِعِيْنَ
এরপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন, আর তা গ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। অতঃপর তাকে ও পৃথিবীকে বলা হয়, তোমরা উভয়ে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় আসো ? আকাশ-পৃথিবী উভয়ে বলে, আমরা স্বেচ্ছায় অনুগত হয়ে আসলাম।
فَقَضٰهُنَّ سَبْعَ سَمٰوَاتٍ فِيْ يَوْمَيْنِ وَاَوْحٰي فِيْ كُلِّ سَمَآءٍ اَمْرَهَا ؕ وَزَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيْحَ ۖ وَحِفْظًا ؕ ذٰلِكَ تَقْدِيْرُ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِ
অতঃপর তাদেরকে দুইটি পর্যায়কালের মধ্যে সাত আকাশে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেকটি আকাশকে তাঁর বিধিবিধান ওহী করলেন। আর দুনিয়ার কাছে যে আকাশটি রয়েছে, সেটাকে প্রদীপমালা দ্বারা সুন্দর করে সাজিয়ে দেন। আর তার সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্যবস্থাপনা মহা সম্মানীর পক্ষ হ,তেই করা হয়েছে, যিনি সবকিছু জানেন।
فَاِنْ اَعْرَضُوْا فَقُلْ اَنْذَرْتُكُمْ صٰعِقَةً مِّثْلَ صٰعِقَةِ عَادٍ وَّثَمُوْدَ ؕ
এখন যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তুমি বলে দাও ! আমি তোমাদেরকে এমন একটা দূর্যোগ সম্পর্কে সতর্ক করছি, ঠিক যেমন বজ্রধ্বনি আ'দ ও সামুদের উপরে এসেছিলো।
اِذْ جَآءَتْهُمُ الرُّسُلُ مِنْۢ بَيْنِ اَيْدِيْهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّا اللّٰهَ ؕ قَالُوْا لَوْ شَآءَ رَبُّنَا لَاَنْزَلَ مَلٰٓئِكَةً فَاِنَّا بِمَاۤ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ كٰفِرُوْنَ
তাদের কাছে তাদের সামনে ও তাদের পিছন থেকে রাসূলরা যখন এসে বলে, তোমরা এক আল্লাহ ছাড়া আর কারোর দাসত্ব করোনা। তারা বলে, আমাদের প্রতিপালক যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে মালা-ইকাদেরকে অবশ্যই পাঠাতেন। সুতরাং যা নিয়ে তোমাদের পাঠানো হয়েছে, তার প্রতি আমরা অস্বীকার করছি।
فَاَمَّا عَادٌ فَاسْتَكْبَرُوْا فِي الْاَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَقَالُوْا مَنْ اَشَدُّ مِنَّا قُوَّةً ؕ اَوَلَمْ يَرَوْا اَنَّ اللّٰهَ الَّذِيْ خَلَقَهُمْ هُوَ اَشَدُّ مِنْهُمْ قُوَّةً ؕ وَكَانُوْا بِاٰيٰتِنَا يَجْحَدُوْنَ
আর সেই যে আ'দ জাতি, তারা তো পৃথিবী মধ্যে অযথাই অহংকার করে বেড়ায়, আর বলে, আমাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী আর কেই বা আছে ? তারা কি ভেবে দেখে নি যে, আল্লাহ যিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তো তাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী। আসলে তারা আমার আয়াতগুলোকে অস্বীকার করছে।
فَاَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيْحًا صَرْصَرًا فِيْۤ اَيَّامٍ نَّحِسَاتٍ لِّنُذِيْقَهُمْ عَذَابَ الْخِزْيِ فِي الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ؕ وَلَعَذَابُ الْاٰخِرَةِ اَخْزٰي وَهُمْ لَا يُنْصَرُوْنَ
তাই আমি তাদের উপর এক ঝড়ো বাতাস পাঠিয়ে দিই দূর্যোগপূর্ণ দিনে, যেন আমি তাদেরকে এই পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনার শাস্তি ভোগ করাতে পারি। আর পরকালের শাস্তি তা তো অধিক অপমানকর। আর তাদের সাহায্য করা হবে না।
وَاَمَّا ثَمُوْدُ فَهَدَيْنٰهُمْ فَاسْتَحَبُّوا الْعَمٰي عَلَي الْهُدٰي فَاَخَذَتْهُمْ صٰعِقَةُ الْعَذَابِ الْهُوْنِ بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ ۚ
আর সেই যে সামুদ, তাদেরকে আমি সঠিক পথ দেখিয়ে দিই। কিন্তু তারা সঠিক পথের পরিবর্তে অন্ধ পথই পছন্দ করে বেছে নেয়। তখন অপমানকর বজ্রধ্বনির শাস্তি তাদেরকে পাকড়াও করে। যা কিছু তারা কামাই করে, তারই ফল হিসেবে।
وَنَجَّيْنَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ
আর আমি তাদেরকে উদ্ধার করি। যারা ঈমান আনে আর অন্ধতা হ'তে বেঁচে থাকে।*
*41(17,18) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 7(203),17(71-73),20(124-127)...।
وَيَوْمَ يُحْشَرُ اَعْدَآءُ اللّٰهِ اِلَي النَّارِ فَهُمْ يُوْزَعُوْنَ
আর যেদিন আল্লাহর শত্রুদেরকে সমবেত করা হবে আগুনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে, তখন তাদেরকে নানা দলে ভাগ করা হবে।
حَتّٰۤي اِذَا مَا جَآءُوْهَا شَهِدَ عَلَيْهِمْ سَمْعُهُمْ وَاَبْصَارُهُمْ وَجُلُوْدُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ
অবশেষে তারা যখন জাহান্নামের কাছে এসে পৌঁছে যাবে, তখন তাদের ব্যাপারে তাদের কান, তাদের চক্ষু ও তাদের চামড়া সাক্ষী দিবে, তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে।
وَقَالُوْا لِجُلُوْدِهِمْ لِمَ شَهِدْتُّمْ عَلَيْنَا ؕ قَالُوْۤا اَنْطَقَنَا اللّٰهُ الَّذِيْۤ اَنْطَقَ كُلَّ شَيْءٍ وَّهُوَ خَلَقَكُمْ اَوَّلَ مَرَّةٍ وَّاِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ
যখন তারা নিজেদের চামড়াগুলোকে বলবে, তোমরা কেনো আমাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছো ? তারা বলবে, আল্লাহ-ই আমাদেরকে বাকশক্তি দান করেছেন, যিনি সব কিছুকেই বাকশক্তি দিয়েছেন। আর তিনিই তো প্রথমবারে সৃষ্টি করেছেন। আর তাঁর দিকেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُوْنَ اَنْ يَّشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلَاۤ اَبْصَارُكُمْ وَلَا جُلُوْدُكُمْ وَلٰكِنْ ظَنَنْتُمْ اَنَّ اللّٰهَ لَا يَعْلَمُ كَثِيْرًا مِّمَّا تَعْمَلُوْنَ
আসলে তোমরা কিছুতেই তা লুকাতে পারতে না যে, তোমাদের কান, তোমাদের চোখগুলো আর চামড়াসমূহ তোমাদের বিরুদ্ধেই তো সাক্ষ্য দিচ্ছে। আসলে তোমরা তো ভাবতে যে আল্লাহ তোমাদের অনেক কাজকর্মের কিছুই জানেন না।
وَذٰلِكُمْ ظَنُّكُمُ الَّذِيْ ظَنَنْتُمْ بِرَبِّكُمْ اَرْدٰىكُمْ فَاَصْبَحْتُمْ مِّنَ الْخٰسِرِيْنَ
তোমাদের এসব উদ্ভট ধারণা, যা তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সম্পর্কে ধারণা করেছিলে, এটাই তোমাদেরকে ধ্বংস করেছে, এখন তোমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়েছো।
فَاِنْ يَّصْبِرُوْا فَالنَّارُ مَثْوًي لَّهُمْ ۚ وَاِنْ يَّسْتَعْتِبُوْا فَمَا هُمْ مِّنَ الْمُعْتَبِيْنَ
সুতরাং তারা যদি ধৈর্য অবলম্বন করে তবুও তাদের জন্যে ঠিকানা হবে আগুন এবং যদি তারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চায়ও, তবুও তারা আল্লাহর সন্তোষপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
وَقَيَّضْنَا لَهُمْ قُرَنَآءَ فَزَيَّنُوْا لَهُمْ مَّا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَحَقَّ عَلَيْهِمُ الْقَوْلُ فِيْۤ اُمَمٍ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ ۚ اِنَّهُمْ كَانُوْا خٰسِرِيْنَ
আমি তাদের জন্যে পথভ্রষ্টদেরকে সঙ্গী হিসেবে নির্ধারণ করেছি, আর তারা তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু রয়েছে তা তাদেরকে সুন্দর করে সাজিয়ে‑গুছিয়ে দেখায়। আর তাদের ব্যাপারেও সেসব লোকের সাথে বিশেষ বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে। যা তাদের পূর্বের জিন (বিদ্রোহী নেতা) ও ইনস্ (সাধারণ কর্মীদের) উপরও হয়েছিল। নিশ্চয় তারা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত দল।
وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَا تَسْمَعُوْا لِهٰذَا الْقُرْاٰنِ وَالْغَوْا فِيْهِ لَعَلَّكُمْ تَغْلِبُوْنَ
আর কাফিররা বলে, ‘তোমরা এ কুরআনের নির্দেশ শুনবে না এবং এর আবৃত্তি কালে গোলমাল সৃষ্টি করবে, যেনো তোমরা জয়ী হতে পারো।’
فَلَنُذِيْقَنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا عَذَابًا شَدِيْدًا ۙ وَّلَنَجْزِيَنَّهُمْ اَسْوَاَ الَّذِيْ كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ
সুতরাং আমি এসব কাফিরদেরকে কঠিন শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাবোই। আর তাদেরকে অবশ্যই তাদের নিকৃষ্ট কাজের প্রতিফল দিবো।
ذٰلِكَ جَزَآءُ اَعْدَآءِ اللّٰهِ النَّارُ ۚ لَهُمْ فِيْهَا دَارُ الْخُلْدِ ؕ جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوْا بِاٰيٰتِنَا يَجْحَدُوْنَ
এই আগুনই তো হচ্ছে আল্লাহর শত্রুদের প্রতিফল। সেখানেই তাদের জন্যে রয়েছে চিরস্থায়ী বাসঘর। এটি সেই কাজের প্রতিফলস্বরূপ, তারা যেভাবে আমার আয়াতসমূহের বিরোধীতা করতো।
وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا رَبَّنَاۤ اَرِنَا الَّذَيْنِ اَضَلّٰنَا مِنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ نَجْعَلْهُمَا تَحْتَ اَقْدَامِنَا لِيَكُوْنَا مِنَ الْاَسْفَلِيْنَ
আর সেই কাফিররা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদেরকে সেই দু'টো জিন ও ইনস্ (বিদ্রোহী সর্দার ও কর্মীদেরকে) দেখিয়ে দিন, যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ঠ করেছে। আমরা সেই নেতাদেরকে পায়ের তলায় পিষে ফেলবো, তারা যেন সর্বনিম্নের অপমানিতদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
اِنَّ الَّذِيْنَ قَالُوْا رَبُّنَا اللّٰهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوْا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلٰٓئِكَةُ اَلَّا تَخَافُوْا وَلَا تَحْزَنُوْا وَاَبْشِرُوْا بِالْجَنَّةِ الَّتِيْ كُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ
নিশ্চয়ই যারা বলবে, আল্লাহই আমাদের প্রতিপালক। অতঃপর দৃঢ়ভাবে তাতে অবিচল থাকবে, তাদের কাছে মালা-ইকারা অবতীর্ণ হবে, তারা বলবে তোমরা ভয় করো না, আর চিন্তা করো না, আর তোমরা সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশী হও, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছে।
نَحْنُ اَوْلِيٰٓؤُكُمْ فِي الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِي الْاٰخِرَةِ ۚ وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَشْتَهِيْۤ اَنْفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَدَّعُوْنَ ؕ
আমরাই তো তোমাদের বন্ধু, পার্থিব জীবনে আর পরকালেও। আর তোমাদের জন্যেই তো সেখানে ঐ সব জিনিস রয়েছে, যা কিছু তোমাদের মন চাইবে। আরও যা কিছুর জন্যে তোমরা আবেদন জানাবে।
نُزُلًا مِّنْ غَفُوْرٍ رَّحِيْمٍ
আল্লাহর পক্ষ থেকে আপ্যায়নস্বরূপ, যিনি ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।
وَمَنْ اَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّنْ دَعَاۤ اِلَي اللّٰهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَّقَالَ اِنَّنِيْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ
তার চেয়ে আর কার কথাই বা উত্তম হতে পারে ? যে আল্লাহর দিকে ডাকে আর সংশোধনের কাজ করে। আর সে বলে, আমি অবশ্যই আত্মসমর্পণকারী-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।
وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ؕ اِدْفَعْ بِالَّتِيْ هِيَ اَحْسَنُ فَاِذَا الَّذِيْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهٗ عَدَاوَةٌ كَاَنَّهٗ وَلِيٌّ حَمِيْمٌ
ভালো ও মন্দ কিছুতেই সমান হয় না। তুমি সেই (জ্ঞান) দ্বারা প্রতিহত করে চলো, যা সর্বোত্তম। ফলে তখন দেখবে তোমার ও যার মধ্যে শত্রুতা রয়েছে, সে ব্যক্তি তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যাবে।
وَمَا يُلَقّٰهَاۤ اِلَّا الَّذِيْنَ صَبَرُوْا ۚ وَمَا يُلَقّٰهَاۤ اِلَّا ذُوْ حَظٍّ عَظِيْمٍ
এ কাজ তো তাদের ভাগ্যেই জুটে, যারা খুব ধৈর্য্য ধারণ করে। আর এটির অধিকারী কেবল তারাই যারা মহাভাগ্যবান।
وَاِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطٰنِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
আর যখনই তোমার মনে শয়তানের পক্ষ থেকে কোনো রকম প্ররোচনা অনুভব করবে, তখনই আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে, নিশ্চয়ই তিনি সবকিছু শুনেন,সবকিছু জানেন।
وَمِنْ اٰيٰتِهِ الَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ ؕ لَا تَسْجُدُوْا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوْا لِلّٰهِ الَّذِيْ خَلَقَهُنَّ اِنْ كُنْتُمْ اِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ
আর তাঁর নিদর্শণসমূহের মধ্যে রাত, দিন, সূর্য ও চন্দ্র রয়েছে। তোমরা সূর্য ও চন্দ্রকে ভক্তি করো না। বরং তোমরা সেই আল্লাহকে ভক্তি করো, যিনি এসব সৃষ্টি করেছেন। যদি তোমরা শুধু তাঁরই দাসত্ব করতে চাও।
فَاِنِ اسْتَكْبَرُوْا فَالَّذِيْنَ عِنْدَ رَبِّكَ يُسَبِّحُوْنَ لَهٗ بِالَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَهُمْ لَا يَسْـَٔمُوْنَ ٛ
অতঃপর তারা যদি অহংকার করতে থাকে তাহলে যারা তোমার প্রতিপালকের নিকটে রয়েছে, তারা দিন-রাত তাঁরই মহিমা ঘোষণা করছে। আর তারা এতে ক্লান্ত হয়না।
وَمِنْ اٰيٰتِهٖۤ اَنَّكَ تَرَي الْاَرْضَ خَاشِعَةً فَاِذَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَآءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ ؕ اِنَّ الَّذِيْۤ اَحْيَاهَا لَمُحْيِ الْمَوْتٰي ؕ اِنَّهٗ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
আর তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে তুমি দেখতে পাচ্ছো যে জমিন শুষ্ক হয়ে ফেটে রয়েছে। অতঃপর যখন তার উপর পানি বর্ষণ করা হয়, তখন তা উথলিয়ে উঠে ও স্ফীত হয় (আর শস্য জন্মে)। নিশ্চয় যিনি এই জমিনকে জীবিত করেন, তিনিই তো মৃতদেরকে জীবন দান করবেন। নিশ্চয়ই তিনি সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।
اِنَّ الَّذِيْنَ يُلْحِدُوْنَ فِيْۤ اٰيٰتِنَا لَا يَخْفَوْنَ عَلَيْنَا ؕ اَفَمَنْ يُّلْقٰي فِي النَّارِ خَيْرٌ اَمْ مَّنْ يَّاْتِيْۤ اٰمِنًا يَّوْمَ الْقِيٰمَةِ ؕ اِعْمَلُوْا مَا شِئْتُمْ ۙ اِنَّهٗ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ
নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতগুলোর বিকৃত অর্থ করে, তারা আমার কাছে অগোচরে নয়। তবে কি যে ব্যক্তিকে আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে সেই কি উত্তম ? নাকি যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন নিরাপদ অবস্থায় আসবে। তোমাদের মন যা চায়, তোমরা তাই করতে পারো। নিশ্চয়ই তিনি সব কিছু দেখছেন, তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো।
اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِالذِّكْرِ لَمَّا جَآءَهُمْ ۚ وَاِنَّهٗ لَكِتٰبٌ عَزِيْزٌ ۙ
যারা এই বিশেষ স্মরণ (কুরআনকে) অস্বীকার করছে, যখন তাদের কাছে তা এসে গেছে। আর অবশ্যই এটি এক সন্মানিত কিতাব।
لَّا يَاْتِيْهِ الْبَاطِلُ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهٖ ؕ تَنْزِيْلٌ مِّنْ حَكِيْمٍ حَمِيْدٍ
আর কোনো অসত্য বিষয় তার সামনের বা পিছনের দিক থেকে আসতে পারে না, এই কোরআন মহা-বৈজ্ঞানিক ও পরম প্রশংসিত সুমহানের নিকট থেকেই অবতীর্ণ করা হয়েছে।
مَا يُقَالُ لَكَ اِلَّا مَا قَدْ قِيْلَ لِلرُّسُلِ مِنْ قَبْلِكَ ؕ اِنَّ رَبَّكَ لَذُوْ مَغْفِرَةٍ وَّذُوْ عِقَابٍ اَلِيْمٍ
তোমাকে তো সে সব কথাই বলা হবে, যা তোমার পূর্বে সকল রাসূলদেরকে বলা হয়েছে। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক যেমন ক্ষমাশীল, আবার তেমন কষ্টদায়ক শাস্তি দাতা।
وَلَوْ جَعَلْنٰهُ قُرْاٰنًا اَعْجَمِيًّا لَّقَالُوْا لَوْلَا فُصِّلَتْ اٰيٰتُهٗ ؕ ءَؔاَعْجَمِيٌّ وَّعَرَبِيٌّ ؕ قُلْ هُوَ لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا هُدًي وَّشِفَآءٌ ؕ وَالَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ فِيْۤ اٰذَانِهِمْ وَقْرٌ وَّهُوَ عَلَيْهِمْ عَمًي ؕ اُولٰٓئِكَ يُنَادَوْنَ مِنْ مَّكَانٍۭ بَعِيْدٍ
আর আমি যদি এই পঠিত কুরআনকে কোনো অনারবী ভাষায় বানিয়ে দিতাম, তাহলে অবশ্যই তারা বলতো, এর আয়াতগুলো কেনো বিশদভাষায় বর্ণনা করা হয়নি ? অনারবী ও আরবী নিয়ে তর্ক কিসের ? তুমি বলে দাও ! যারা ঈমান আনবে তাদের জন্যে (এই কুরআন) পথনির্দেশনা ও ব্যাধির প্রতিকার। আর যারা ঈমান আনে না, তাদের কানগুলোর মধ্যে বধিরতা রয়েছে। এটি তাদের জন্যে অন্ধত্বই। যেনো তাদেরকে অনেক দূরবর্তী স্হান থেকেই ডাকা হচ্ছে।
وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسَي الْكِتٰبَ فَاخْتُلِفَ فِيْهِ ؕ وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّكَ لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ ؕ وَاِنَّهُمْ لَفِيْ شَكٍّ مِّنْهُ مُرِيْبٍ
নিশ্চয়ই আমি মূসাকে আল কিতাব দান করেছি। অতঃপর তার মধ্যেও মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তবে যদি একটি বাণী তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হ'তে পূর্ব নির্ধারিত করে দেওয়া না হতো, তাহলে তাদের মধ্যে ফায়সালা হয়ে যেতো। নিশ্চয়ই তারা সে সম্বন্ধে বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যে লিপ্ত রয়েছে।
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهٖ وَمَنْ اَسَآءَ فَعَلَيْهَا ؕ وَمَا رَبُّكَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيْدِ
যে কেউ সংশোধনের কাজ করবে, সে তা নিজের জন্যেই করবে। আর যে ব্যক্তি মন্দকর্ম করবে,তা তো তার উপরেই পড়বে। আসলে তোমার প্রতিপালক তাঁর দাসদের উপর অত্যাচারী নন।
اِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ ؕ وَمَا تَخْرُجُ مِنْ ثَمَرٰتٍ مِّنْ اَكْمَامِهَا وَمَا تَحْمِلُ مِنْ اُنْثٰي وَلَا تَضَعُ اِلَّا بِعِلْمِهٖ ؕ وَيَوْمَ يُنَادِيْهِمْ اَيْنَ شُرَكَآءِيْ ۙ قَالُوْۤا اٰذَنّٰكَ ۙ مَا مِنَّا مِنْ شَهِيْدٍ ۚ
বিশেষ সময়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে ন্যস্ত রয়েছে (অর্থাৎ তিনিই জানেন তা কখন হবে)। কোনো ফলই তো তার আবরণ থেকে বের হয় না, আর কোনো নারী গর্ভধারণ করে না, আর সে প্রসবও করে না তাঁর জানা ব্যাতীত। আর সেদিন যখন তিনি তাদেরকে ডাক দিয়ে বলবেন, কোথায় আমার সেই শরীকরা ? তারা বলবে, আপনার কাছে আমরা এই নিবেদন করছি, আমাদের মধ্যে শরিকদের পক্ষে কোনো সাক্ষী নেই।
وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَدْعُوْنَ مِنْ قَبْلُ وَظَنُّوْا مَا لَهُمْ مِّنْ مَّحِيْصٍ
যাদেরকে তারা এর পূর্বে ডাকতো তারা সবাই হারিয়ে যাবে। আর তারা বুঝতে পারবে, নিষ্কৃতি পাওয়ার মতো কোনো উপায় নেই।
لَا يَسْـَٔمُ الْاِنْسَانُ مِنْ دُعَآءِ الْخَيْرِ ۫ وَاِنْ مَّسَّهُ الشَّرُّ فَيَـُٔوْسٌ قَنُوْطٌ
মানুষ ধন-সম্পদ কামনার দুআ থেকে ক্লান্ত হয় না। কিন্তু যখনই তাকে কোনো দুঃখদৈন্য স্পর্শ করে তখনই সে হতাশ, নিরাশ হয়ে পড়ে।
وَلَئِنْ اَذَقْنٰهُ رَحْمَةً مِّنَّا مِنْۢ بَعْدِ ضَرَّآءَ مَسَّتْهُ لَيَقُوْلَنَّ هٰذَا لِيْ ۙ وَمَاۤ اَظُنُّ السَّاعَةَ قَآئِمَةً ۙ وَّلَئِنْ رُّجِعْتُ اِلٰي رَبِّيْۤ اِنَّ لِيْ عِنْدَهٗ لَلْحُسْنٰي ۚ فَلَنُنَبِّئَنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِمَا عَمِلُوْا ۫ وَلَنُذِيْقَنَّهُمْ مِّنْ عَذَابٍ غَلِيْظٍ
আর আমি যদি তাকে আমার পক্ষ হতে কোনো রকম অনুগ্রহের স্বাদ আস্বাদন করাই কোনো বিপদাপদ স্পর্শ করার পরে, তাহলে সে বলে এটি আমার জন্যে হওয়া উচিত ছিলো। আর আমি তো মনে করি না যে কিয়ামত ঘটবে। আর আমি যদি আমার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিত হইও, তবে তাঁর কাছে আমার জন্যে শুধু কল্যাণই থাকবে। সুতরাং যারা কাফির, আমি তাদেরকে সব কাজের বিবরণ অবশ্যই জানাবো। আর তাদেরকে আমি কঠোর শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাবোই।
وَاِذَاۤ اَنْعَمْنَا عَلَي الْاِنْسَانِ اَعْرَضَ وَنَاٰ بِجَانِبِهٖ ۚ وَاِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ فَذُوْ دُعَآءٍ عَرِيْضٍ
আর আমি যখন মানুষের উপর অনুগ্রহ করি, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং এড়িয়ে চলে। আর যখন তাকে দুঃখদৈন্য স্পর্শ করে, তখন সে খুব দীর্ঘ প্রার্থনা করতে থাকে।
قُلْ اَرَءَيْتُمْ اِنْ كَانَ مِنْ عِنْدِ اللّٰهِ ثُمَّ كَفَرْتُمْ بِهٖ مَنْ اَضَلُّ مِمَّنْ هُوَ فِيْ شِقَاقٍۭ بَعِيْدٍ
তুমি বলে দাও ! তোমরা ভেবে দেখেছো কি, যদি এই কুরআন আল্লাহর নিকট হতেই এসে থাকে, এরপর যদি তোমরা তা অস্বীকার করতে থাকো তাহলে তার চেয়ে অধিক বিভ্রান্ত আর কে হতে পারে, যে ঘোর বিরোধীতার মধ্যে চলে গেছে।
سَنُرِيْهِمْ اٰيٰتِنَا فِي الْاٰفَاقِ وَفِيْۤ اَنْفُسِهِمْ حَتّٰي يَتَبَيَّنَ لَهُمْ اَنَّهُ الْحَقُّ ؕ اَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ اَنَّهٗ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدٌ
আমি শীঘ্রই আমার নিদর্শনসমূহ অবশ্যই তোমাদেরকে দেখিয়ে দিবো, পৃথিবীর দিগন্তে ও তাদের নিজেদের ব্যক্তিত্বের মধ্যেও। যতক্ষণ না তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, এই কথা বাস্তবিকই সত্য। তোমার প্রতিপালকের এ কথাই কি যথেষ্ট নয় যে, তিনি সব কিছুর উপর সাক্ষী।*
*41(53) আয়াতের ব্যাখ্যায় 27(93),2(145),6(25),7(146),12(105)...।
আর আরবী "الافاق"/"আফাক্ব" শব্দটির ব্যাখ্যায় 53(7),81(23)...।
اَلَاۤ اِنَّهُمْ فِيْ مِرْيَةٍ مِّنْ لِّقَآءِ رَبِّهِمْ ؕ اَلَاۤ اِنَّهٗ بِكُلِّ شَيْءٍ مُّحِيْطٌ
জেনে রাখো, নিশ্চয়ই তারা তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাতের ব্যাপারে সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই তিনি সব কিছুকেই ঘিরে রেখেছেন।