সূরা : সূরা আত-তূর

وَالطُّوْرِ ۙ

এবং তূর (সবচেয়ে উঁচু) হিমালয় পর্বতও একটি প্রমাণ।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَكِتٰبٍ مَّسْطُوْرٍ ۙ وَكِتٰبٍ مَّسْطُوْرٍ ۙ

এবং একটি কিতাব, যা লিখিত আছে

সূরা : সূরা আত-তূর

فِيْ رَقٍّ مَّنْشُوْرٍ ۙ

উন্মুক্ত কাগজসমূহের মধ্যে।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَّالْبَيْتِ الْمَعْمُوْرِ ۙ

এবং সমাজ পরিচালনা করার সেই বিশেষ ঘরটি প্রমাণ করে

সূরা : সূরা আত-তূর

وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوْعِ ۙ

আর সেই সুউচ্চো ছাদও একটি প্রমাণ।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَالْبَحْرِ الْمَسْجُوْرِ ۙ وَالْبَحْرِ الْمَسْجُوْرِ ۙ

আর সেই অশান্ত সমুদ্রও।

সূরা : সূরা আত-তূর

اِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ ۙ

তোমার প্রতিপালকের শাস্তি অবশ্যই আসবে।

সূরা : সূরা আত-তূর

مَّا لَهٗ مِنْ دَافِعٍ ۙ

তার জন্যে কোন প্রতিরোধকারী নেই

সূরা : সূরা আত-তূর

يَّوْمَ تَمُوْرُ السَّمَآءُ مَوْرًا ۙ

আর যেদিন আকাশ প্রবল কম্পনে কাঁপতে থাকবে।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَّتَسِيْرُ الْجِبَالُ سَيْرًا ؕ

আর পাহাড়গুলো দ্রুত চলার মতোই চলবে।

সূরা : সূরা আত-তূর

فَوَيْلٌ يَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِيْنَ ۙ

অতঃপর সেদিন মিথ্যারোপকারীরা ধ্বংস হবে

সূরা : সূরা আত-তূর

الَّذِيْنَ هُمْ فِيْ خَوْضٍ يَّلْعَبُوْنَ ۘ

যারা অর্থহীন যুক্তি প্রদানের মধ্য দিয়ে খেলাধুলায় মেতে আছে।

সূরা : সূরা আত-তূর

يَوْمَ يُدَعُّوْنَ اِلٰي نَارِ جَهَنَّمَ دَعًّا ؕ

সেদিন তাদেরকে জাহান্নামের আগুনের দিকে জোরে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

সূরা : সূরা আত-তূর

هٰذِهِ النَّارُ الَّتِيْ كُنْتُمْ بِهَا تُكَذِّبُوْنَ

(বলা হবে) এটি সেই আগুন, যে বিষয়ে তোমরা মিথ্যা মনে করতে।

সূরা : সূরা আত-তূর

اَفَسِحْرٌ هٰذَاۤ اَمْ اَنْتُمْ لَا تُبْصِرُوْنَ ۚ

তবে কি এটা যাদু ? নাকি তোমরা দেখতে পাচ্ছো না !

সূরা : সূরা আত-তূর

اِصْلَوْهَا فَاصْبِرُوْۤا اَوْ لَا تَصْبِرُوْا ۚ سَوَآءٌ عَلَيْكُمْ ؕ اِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

তোমরা তাতে প্রবেশ কর, আর সহ্য কর, অথবা সহ্য নাই কর তোমাদের জন্যে সবই সমান। তোমরা যা কিছু কাজ করেছিলে সে সবের প্রতিফল তোমাদেরকে দেওয়া হচ্ছে।

সূরা : সূরা আত-তূর

اِنَّ الْمُتَّقِيْنَ فِيْ جَنّٰتٍ وَّنَعِيْمٍ ۙ

নিশ্চয়ই মহৎব্যক্তিরা জান্নাতের মধ্যে আরাম আয়েশে থাকবে।

সূরা : সূরা আত-তূর

فٰكِهِيْنَ بِمَاۤ اٰتٰهُمْ رَبُّهُمْ ۚ وَوَقٰهُمْ رَبُّهُمْ عَذَابَ الْجَحِيْمِ

তাদের প্রতিপালক ফল-মূল থেকে যা কিছু তাদেরকে দান করবেন, তা তারা সানন্দে ভোগ করবে। আর তাদের প্রতিপালক (জাহান্নামের) সংকীর্ণ জায়গার শাস্তি থেকে তাদেরকে রক্ষা করবেন।

সূরা : সূরা আত-তূর

كُلُوْا وَاشْرَبُوْا هَنِيْٓـًٔۢا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ۙ

বলা হবে) তোমরা যা কিছু করেছিলে, তারই বিনিময়ে তোমরা তৃপ্তিসহকারে খাও।

সূরা : সূরা আত-তূর

مُتَّكِئِيْنَ عَلٰي سُرُرٍ مَّصْفُوْفَةٍ ۚ وَزَوَّجْنٰهُمْ بِحُوْرٍ عِيْنٍ

তারা আসনসমূহের উপর সারিবদ্ধভাবে হেলান দিয়ে বসবে। আর আমি বিপরীত লিঙ্গের চোখ জুড়ানো হুরদেরকে তাদের জোড়া বানিয়ে দিব বিবাহ দিয়ে।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُمْ بِاِيْمَانٍ اَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَاۤ اَلَتْنٰهُمْ مِّنْ عَمَلِهِمْ مِّنْ شَيْءٍ ؕ كُلُّ امْرِيًٴۢ بِمَا كَسَبَ رَهِيْنٌ

আর যারা ঈমান আনে, আর তাদের সন্তানরাও যদি ঈমানসহ তাদেরকে অনুসরণ করে। আমি তাদের সন্তানদেরকেও তাদের সাথে মিলিত করবো। তাদের কাজকর্ম কিছুমাত্র নষ্ট করা হবে না। প্রত্যেক ব্যক্তি ঐ বিষয়ে দায়ী থাকবে যা সে অর্জন করবে।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَاَمْدَدْنٰهُمْ بِفَاكِهَةٍ وَّلَحْمٍ مِّمَّا يَشْتَهُوْنَ

যে ধরনের ফল মূল ও গোশত তারা পছন্দ করবে, তাদেরকে আমি তাই দিব।

সূরা : সূরা আত-তূর

يَتَنَازَعُوْنَ فِيْهَا كَاْسًا لَّا لَغْوٌ فِيْهَا وَلَا تَاْثِيْمٌ

তারা পরস্পরের মধ্যে পানপাত্র বিনিময় করবে; সেখানে থাকবে না কোন বেহুদা কথাবার্তা এবং কোন পাপকাজ।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَيَطُوْفُ عَلَيْهِمْ غِلْمَانٌ لَّهُمْ كَاَنَّهُمْ لُؤْلُؤٌ مَّكْنُوْنٌ

আর তাদের সেবা করার জন্যে তরুণ কিশোরেরা তাদের কাছে আশা-যাওয়া করতে থাকবে, (তারা এতো সুন্দর হবে) যেনো লুকিয়ে রাখা মুক্তা।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰي بَعْضٍ يَّتَسَآءَلُوْنَ

এবং তারা একে অপরের কাছে সামনা সামনি হয়ে (অতীত সম্পর্কে) জিজ্ঞাবাদ করবে।

সূরা : সূরা আত-তূর

قَالُوْۤا اِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِيْۤ اَهْلِنَا مُشْفِقِيْنَ

তারা বলবে, ‘নিশ্চয়ই পূর্বে আমরা আমাদের পরিবারের মধ্যে শঙ্কিত অবস্থায় ছিলাম।’

সূরা : সূরা আত-তূর

فَمَنَّ اللّٰهُ عَلَيْنَا وَوَقٰىنَا عَذَابَ السَّمُوْمِ

অবশেষে আল্লাহ আমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। আর দগ্ধকারী হাওয়ার শাস্তি থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন।

সূরা : সূরা আত-তূর

اِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلُ نَدْعُوْهُ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِيْمُ

নিশ্চয়ই এর পূর্বে আমরা তাঁকে ডাকতাম। নিশ্চয়ই তিনি বড়ই অনুগ্রহকারী ও পরম দয়ালু।

সূরা : সূরা আত-তূর

فَذَكِّرْ فَمَاۤ اَنْتَ بِنِعْمَتِ رَبِّكَ بِكَاهِنٍ وَّلَا مَجْنُوْنٍ ؕ

তাই তুমি উপদেশ দিতে থাকো। তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কারণে তুমি কোনো গণক নও এবং পাগলও নও।

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ يَقُوْلُوْنَ شَاعِرٌ نَّتَرَبَّصُ بِهٖ رَيْبَ الْمَنُوْنِ

তারা কি এ কথাও বলে, সে একজন কবি ! আমরা তার ব্যাপারে সন্দেহের জন্যই শেষ বিপর্যয়ের অপেক্ষা করছি।

সূরা : সূরা আত-তূর

قُلْ تَرَبَّصُوْا فَاِنِّيْ مَعَكُمْ مِّنَ الْمُتَرَبِّصِيْنَ ؕ

তুমি বলে দাও, তোমরা সবাই অপেক্ষা করে যাও। আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষাকারীদের অন্তর্ভুক্ত রইলাম

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ تَاْمُرُهُمْ اَحْلَامُهُمْ بِهٰذَاۤ اَمْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُوْنَ ۚ

তবে কি তাদের বিবেক এটা সম্বন্ধে নির্দেশ দেয়, না কি প্রকৃতপক্ষে তারা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি?

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ يَقُوْلُوْنَ تَقَوَّلَهٗ ۚ بَلْ لَّا يُؤْمِنُوْنَ ۚ

তারা কি একথাও বলছে, সে তা নিজেই রচনা করে নিয়েছে? আসল কথা হলো তারা ঈমান আনতে চায় না

সূরা : সূরা আত-তূর

فَلْيَاْتُوْا بِحَدِيْثٍ مِّثْلِهٖۤ اِنْ كَانُوْا صٰدِقِيْنَ ؕ

তাহলে তারা কুরআনের মতো এমন ধরনের একটি হাদিস রচনা করে আনুক, যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে !

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ خُلِقُوْا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ اَمْ هُمُ الْخٰلِقُوْنَ ؕ

তারা কি কোন স্রষ্টা ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছে, নাকি তারাই তাদের নিজেদের সৃষ্টিকারী?

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ بَلْ لَّا يُوْقِنُوْنَ ؕ

তাহলে তারা কি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে ? বরং তারা (তোমার কোনো কথায়) বিশ্বাস করে না।

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ عِنْدَهُمْ خَزَآئِنُ رَبِّكَ اَمْ هُمُ الْمُصَۜيْطِرُوْنَ ؕ

তাদের কাছে কি তোমার প্রতিপালকের কোন ধন-ভাণ্ডার রয়েছে ? নাকি তারা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকারী হয়ে আছে ?

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ لَهُمْ سُلَّمٌ يَّسْتَمِعُوْنَ فِيْهِ ۚ فَلْيَاْتِ مُسْتَمِعُهُمْ بِسُلْطٰنٍ مُّبِيْنٍ ؕ

তাদের কাছে কি এমন কোনো সিঁড়ি রয়েছে, যা চড়ে তারা সেখানকার (গোপন) কথা শুনে আসে ? এভাবে যদি তারা কিছু শুনে থাকে, তাহলে তারা সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসুক !

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ لَهُ الْبَنٰتُ وَلَكُمُ الْبَنُوْنَ ؕ

তবে কি কন্যাসন্তান তাঁর জন্যে ; আর পুত্রসন্তান তোমাদের ?

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ تَسْـَٔلُهُمْ اَجْرًا فَهُمْ مِّنْ مَّغْرَمٍ مُّثْقَلُوْنَ ؕ

তবে তুমি কি তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছ, যাতে তাদের উপরে ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপানোর মতো অবস্থা দেখা দিয়েছে ?

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ عِنْدَهُمُ الْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُوْنَ ؕ

তাদের কাছে কি কোন অদৃশ্যের জ্ঞান রয়েছে, যা তারা লিখে নিচ্ছে ?

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ يُرِيْدُوْنَ كَيْدًا ؕ فَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا هُمُ الْمَكِيْدُوْنَ ؕ

তারা কি কোনো রকম ষড়যন্ত্র করতে চাচ্ছে ? তাহলে যারা অস্বীকার করেছে তারাই ষড়যন্ত্রের শিকার হবে।

সূরা : সূরা আত-তূর

اَمْ لَهُمْ اِلٰهٌ غَيْرُ اللّٰهِ ؕ سُبْحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ

নাকি তাদের জন্যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো বিধানদাতা রয়েছে ? তারা যা কিছু শরীক করেছে, সে সবের তুলনায় আল্লাহ পবিত্র মহান।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَاِنْ يَّرَوْا كِسْفًا مِّنَ السَّمَآءِ سَاقِطًا يَّقُوْلُوْا سَحَابٌ مَّرْكُوْمٌ

আর এরা যদি আকাশ থেকে কোনো শাস্তি আসতে দেখে, তবুও তারা বলবে, এটি এক পুঞ্জিভূত মেঘ।

সূরা : সূরা আত-তূর

فَذَرْهُمْ حَتّٰي يُلٰقُوْا يَوْمَهُمُ الَّذِيْ فِيْهِ يُصْعَقُوْنَ ۙ

অতএব তুমি তাদেরকে ছেড়ে দাও। যতক্ষন না তারা সেই দিনের সাক্ষাৎ করবে, যেদিন তাদেরকে বেহুশকারী শাস্তির মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে।

সূরা : সূরা আত-তূর

يَوْمَ لَا يُغْنِيْ عَنْهُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا وَّلَا هُمْ يُنْصَرُوْنَ ؕ

সেদিন তাদের কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। আর তারা কোনো জায়গা থেকে কিছুমাত্র সাহায্য পাবে না।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَاِنَّ لِلَّذِيْنَ ظَلَمُوْا عَذَابًا دُوْنَ ذٰلِكَ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ

নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্যে এছাড়া আরো অনেক শাস্তি রয়েছে। কিন্তু মানুষের অধিকাংশই জানে না।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَاِنَّكَ بِاَعْيُنِنَا وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ حِيْنَ تَقُوْمُ ۙ

এবং তুমি তোমার প্রতিপালকের সিদ্ধান্তের জন্যে ধৈর্যধারণ কর; কারণ তুমি আমার চোখের সামনেই আছ, তুমি যখন (শয্যা ত্যাগ করে দায়িত্ব পালনের জন্যে) প্রস্তুত হবে, তখন তোমার প্রতিপালকের প্রশংসার সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করবে।

*52(48) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 5(6)...।

সূরা : সূরা আত-তূর

وَمِنَ الَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَاِدْبَارَ النُّجُوْمِ

আর রাতের কিছু অংশে এবং তারকাগুলো ডুবে যাওয়ার পরেও তুমি তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করবে।