সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

قَدْ سَمِعَ اللّٰهُ قَوْلَ الَّتِيْ تُجَادِلُكَ فِيْ زَوْجِهَا وَتَشْتَكِيْۤ اِلَي اللّٰهِ ۖ وَاللّٰهُ يَسْمَعُ تَحَاوُرَكُمَا ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَمِيْعٌۢ بَصِيْرٌ

আল্লাহ নিশ্চয়ই সেই নারীর কথা শুনেছেন, যে তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সাথে মতবিনিময় করছে। আর আল্লাহর কাছে অভিযোগ করছে। আল্লাহ তোমাদের দু'জনার কথাবার্তা শুনছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন,সবকিছু দেখেন।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اَلَّذِيْنَ يُظٰهِرُوْنَ مِنْكُمْ مِّنْ نِّسَآئِهِمْ مَّا هُنَّ اُمَّهٰتِهِمْ ؕ اِنْ اُمَّهٰتُهُمْ اِلَّا الّٰٓيِٴْ وَلَدْنَهُمْ ؕ وَاِنَّهُمْ لَيَقُوْلُوْنَ مُنْكَرًا مِّنَ الْقَوْلِ وَزُوْرًا ؕ وَاِنَّ اللّٰهَ لَعَفُوٌّ غَفُوْرٌ

তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদের স্ত্রীদের কাউকে জিহার করে তথা মা বলে বসে, অথচ এতেই তারা তাদের মা হয়ে যায় না। তাদের মা শুধু তারাই, যারা তাদেরকে জন্ম দিয়েছে। অবশ্যই তারা অসঙ্গত ও মিথ্যা কথাই বলে। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ‌ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল।

*58(2) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 33(4)...।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

وَالَّذِيْنَ يُظٰهِرُوْنَ مِنْ نِّسَآئِهِمْ ثُمَّ يَعُوْدُوْنَ لِمَا قَالُوْا فَتَحْرِيْرُ رَقَبَةٍ مِّنْ قَبْلِ اَنْ يَّتَمَآسَّا ؕ ذٰلِكُمْ تُوْعَظُوْنَ بِهٖ ؕ وَاللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ

যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে জিহার করে বসে, এরপর তারা যা বলেছে তা হতে ফিরে আসতে চায়, তা'হলে তাদের কর্তব্য হলো কোনো একজন অসহায় দাসকে মুক্ত করে দেওয়া, পরস্পরকে স্পর্শ করার পূর্বেই। এসব তোমাদেরকে উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। আর আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব খবর রাখছেন, তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

فَمَنْ لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ مِنْ قَبْلِ اَنْ يَّتَمَآسَّا ۚ فَمَنْ لَّمْ يَسْتَطِعْ فَاِطْعَامُ سِتِّيْنَ مِسْكِيْنًا ؕ ذٰلِكَ لِتُؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ ؕ وَتِلْكَ حُدُوْدُ اللّٰهِ ؕ وَلِلْكٰفِرِيْنَ عَذَابٌ اَلِيْمٌ

অতঃপর যে তা পাবে না, তবে তাকে এক টানা দু'মাস সিয়াম পালন করতে হবে পরস্পরে স্পর্শ করার পূর্বেই। তবে যার তেমন শক্তি-সামর্থ্য নেই, সে ষাট জন নিঃস্বকে খানা খাওয়াবে। এটা এজন্যে, যেনো তোমরা আল্লাহর ও আর তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনো। এই হচ্ছে আল্লাহর নির্ধারিত সীমাসমূহ। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اِنَّ الَّذِيْنَ يُحَآدُّوْنَ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ كُبِتُوْا كَمَا كُبِتَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَقَدْ اَنْزَلْنَاۤ اٰيٰتٍۭ بَيِّنٰتٍ ؕ وَلِلْكٰفِرِيْنَ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ ۚ

যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করছে, তাদেরকে লাঞ্ছিত করা হবে, যেমন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিলো। নিশ্চয়ই আমি আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে অবতীর্ণ করেছি। আসলে কাফিরদের জন্য রয়েছে চরম অপমানকর শাস্তি।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

يَوْمَ يَبْعَثُهُمُ اللّٰهُ جَمِيْعًا فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوْا ؕ اَحْصٰهُ اللّٰهُ وَنَسُوْهُ ؕ وَاللّٰهُ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدٌ

যেদিন আল্লাহ সকলকেই আবার জীবিত করবেন, সেদিন তাদেরকে তা জানিয়ে দিবেন, যা কিছু তারা করেছে। আল্লাহ তা গুণে সযত্নে রেখে দিয়েছেন, অথচ তারা তা ভুলে গেছে। আসলে আল্লাহ সব কিছুর উপর সাক্ষী রয়েছেন।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ يَعْلَمُ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ؕ مَا يَكُوْنُ مِنْ نَّجْوٰي ثَلٰثَةٍ اِلَّا هُوَ رَابِعُهُمْ وَلَا خَمْسَةٍ اِلَّا هُوَ سَادِسُهُمْ وَلَاۤ اَدْنٰي مِنْ ذٰلِكَ وَلَاۤ اَكْثَرَ اِلَّا هُوَ مَعَهُمْ اَيْنَ مَا كَانُوْا ۚ ثُمَّ يُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوْا يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ

তুমি কি জানো না যে, আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে আল্লাহ তা জানেন? তিন জনের কোন গোপন পরামর্শ হয় না যাতে চতুর্থজন হিসেবে তিনি থাকেন না, আর পাঁচ জনেরও হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি থাকেন না। সংখ্যায় এর চেয়ে কম হোক আর বেশি হোক, তিনি তো তাদের সাথেই আছেন, তারা যেখানেই থাকুক না কেনো। এরপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে ঐ বিষয়ে জানিয়ে দিবেন, যে সব কাজ-কর্ম তারা করেছে। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর সম্পর্কে খুব জানেন।

*58(7),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,10(61),50(16),56(85),57(4)...।


সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اَلَمْ تَرَ اِلَي الَّذِيْنَ نُهُوْا عَنِ النَّجْوٰي ثُمَّ يَعُوْدُوْنَ لِمَا نُهُوْا عَنْهُ وَيَتَنٰجَوْنَ بِالْاِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَمَعْصِيَتِ الرَّسُوْلِ ۫ وَاِذَا جَآءُوْكَ حَيَّوْكَ بِمَا لَمْ يُحَيِّكَ بِهِ اللّٰهُ ۙ وَيَقُوْلُوْنَ فِيْۤ اَنْفُسِهِمْ لَوْلَا يُعَذِّبُنَا اللّٰهُ بِمَا نَقُوْلُ ؕ حَسْبُهُمْ جَهَنَّمُ ۚ يَصْلَوْنَهَا ۚ فَبِئْسَ الْمَصِيْرُ

তুমি কি তাদেরকে দেখোনি, যাদেরকে গোপনে পরামর্শ করতে নিষেধ করা হয়েছে, এরপরও তারা পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে, যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তারা তো পাপের কাজ, বাড়াবাড়ি এবং রাসূলের বিরোধিতার জন্যে গোপনে র্পরামর্শ করে যাচ্ছে। তারা যখন তোমার কাছে আসে তখন তারা তোমাকে এমনভাবে অভিবাদন করে, যেভাবে আল্লাহ তোমাকে অভিবাদন করে নি। আর তারা তাদের নিজেদের মধ্যে মনে মনে একথা বলতে থাকে, আমরা যা বলছি, সেজন্য আল্লাহ আমাদেরকে কেনো শাস্তি দিচ্ছেন না ? তাদের জন্যে জাহান্নামই যথেষ্ট, তাতে তারা প্রবেশ করবে। আর আবাসস্থল হিসাবে তা অতি নিকৃষ্ট !

*58(8),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 43(80)...।


সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا تَنَاجَيْتُمْ فَلَا تَتَنَاجَوْا بِالْاِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَمَعْصِيَتِ الرَّسُوْلِ وَتَنَاجَوْا بِالْبِرِّ وَالتَّقْوٰي ؕ وَاتَّقُوا اللّٰهَ الَّذِيْۤ اِلَيْهِ تُحْشَرُوْنَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যখন গোপনে পরামর্শ করবে, তখন পাপের বিষয়ে ও বাড়াবাড়ি এবং রাসূলের অবাধ্যতার ব্যাপারে গোপনে পরামর্শ করবে না। তোমরা অবশ্যই কল্যাণকর কাজকর্ম ও তাকওয়ার বিষয় নিয়ে গোপনে পরামর্শ করবে। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর , যার কাছে তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اِنَّمَا النَّجْوٰي مِنَ الشَّيْطٰنِ لِيَحْزُنَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَلَيْسَ بِضَآرِّهِمْ شَيْئًا اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰهِ ؕ وَعَلَي اللّٰهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُوْنَ

মূলত এ ধরনের গোপন পরামর্শ শয়তানের পক্ষ থেকেই হয়, তাদেরকে দূঃখ দেওয়ার জন্যে যারা ইমান এনেছে। আসলে আল্লাহর অনুমতি ছাড়া তাদের কোনো ক্ষতি কেউ করতে পারে না। মু'মিনদের কর্তব্য হচ্ছে, শুধু আল্লাহর উপরেই ভরসা করা।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا قِيْلَ لَكُمْ تَفَسَّحُوْا فِي الْمَجٰلِسِ فَافْسَحُوْا يَفْسَحِ اللّٰهُ لَكُمْ ۚ وَاِذَا قِيْلَ انْشُزُوْا فَانْشُزُوْا يَرْفَعِ اللّٰهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْ ۙ وَالَّذِيْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ دَرَجٰتٍ ؕ وَاللّٰهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ

হে যারা ঈমান এনেছ ! যখন তোমাদেরকে বলা হয়, তোমরা বৈঠকের জায়গা করে দাও, তখন তোমরা জায়গা করে দিবে। আল্লাহ তোমাদেরকে অবশ্যই প্রসারতা দান করবেন। আবার যখন বলা হবে, তোমরা উঠে দাঁড়াও, তখন তোমরা উঠে দাঁড়িয়ে পড়বে। আল্লাহ এজন্য তোমাদের মধ্য হতে যারা ঈমান এনেছে, আর যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদের মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দিবেন। তোমরা যা কিছু কাজকর্ম করো, আল্লাহ সে সবের খবর রাখেন।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُوْلَ فَقَدِّمُوْا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوٰىكُمْ صَدَقَةً ؕ ذٰلِكَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَاَطْهَرُ ؕ فَاِنْ لَّمْ تَجِدُوْا فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যখন কোনো বিষয়ে রাসূলের সাথে একান্তে গোপনে কথা বলবে, তখন তোমরা একান্তে কথা বলার পূর্বে খুশীমনে দান পেশ করবে। তোমাদের জন্য এতেই কল্যাণ রয়েছে, আর এটাই তো হচ্ছে পবিত্রতার পন্থা। আর যদি তোমরা কিছুই না পাও তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

ءَاَشْفَقْتُمْ اَنْ تُقَدِّمُوْا بَيْنَ يَدَيْ نَجْوٰىكُمْ صَدَقٰتٍ ؕ فَاِذْ لَمْ تَفْعَلُوْا وَتَابَ اللّٰهُ عَلَيْكُمْ فَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَاَطِيْعُوا اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ ؕ وَاللّٰهُ خَبِيْرٌۢ بِمَا تَعْمَلُوْنَ

একান্তে কথা বলার পূর্বে খুশীমনে দান প্রদান করার কথা শুনে তোমরা কি ভয় পেয়ে গেলে? অতঃপর যদি তোমরা তা করতে না পার, আর আল্লাহ তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে অনুগ্রহ করেন, তাহলে তোমরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন কর, আর সাহায্য প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। আর আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব খবর রাখেন, তোমরা যা কাজকর্ম করো।

*58(13) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(92)...।


সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اَلَمْ تَرَ اِلَي الَّذِيْنَ تَوَلَّوْا قَوْمًا غَضِبَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ ؕ مَا هُمْ مِّنْكُمْ وَلَا مِنْهُمْ ۙ وَيَحْلِفُوْنَ عَلَي الْكَذِبِ وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ

তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করো নি? যারা এমন সম্প্রদায়কে বন্ধু বানিয়ে নিয়েছে, যাদের উপর আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন। এরা না তোমাদের অন্তর্ভুক্ত, আর না তারা তাদের অন্তর্ভুক্ত। আর তারা কেবল মিথ্যার উপরেই শপথ করে, অথচ তারা জানেও।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اَعَدَّ اللّٰهُ لَهُمْ عَذَابًا شَدِيْدًا ؕ اِنَّهُمْ سَآءَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

আল্লাহ তাদের জন্যে কঠোর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। নিশ্চয়ই তারা অতি মন্দ কাজ করে যাচ্ছে।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اِتَّخَذُوْۤا اَيْمَانَهُمْ جُنَّةً فَصَدُّوْا عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ فَلَهُمْ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ

তারা তাদের শপথগুলোকে ঢালস্বরূপ বানিয়ে নিয়েছে। অতঃপর তারা লোকজনকে আল্লাহর কোরআনের পথে বাধা দেয়। অতএব তাদের জন্যে রয়েছে অপমানকর শাস্তি।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

لَنْ تُغْنِيَ عَنْهُمْ اَمْوَالُهُمْ وَلَاۤ اَوْلَادُهُمْ مِّنَ اللّٰهِ شَيْئًا ؕ اُولٰٓئِكَ اَصْحٰبُ النَّارِ ؕ هُمْ فِيْهَا خٰلِدُوْنَ

কখনই তাদের ধনসম্পদ, সন্তানাদি আল্লাহর কবল হতে বাঁচার জন্যে কিছুমাত্র কাজে লাগবে না। এরাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

يَوْمَ يَبْعَثُهُمُ اللّٰهُ جَمِيْعًا فَيَحْلِفُوْنَ لَهٗ كَمَا يَحْلِفُوْنَ لَكُمْ وَيَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ عَلٰي شَيْءٍ ؕ اَلَاۤ اِنَّهُمْ هُمُ الْكٰذِبُوْنَ

যেদিন আল্লাহ তাদের সকলকেই পুনরায় উঠাবেন, সেদিনও তারা আল্লাহর‌ সামনে তেমনি শপথ খেতে থাকবে, ঠিক যেমন তোমাদের সামনে শপথ খেয়ে যাচ্ছে। আর তারা মনে করে যে, তারা কোনো কিছুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। সাবধান, নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اِسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطٰنُ فَاَنْسٰهُمْ ذِكْرَ اللّٰهِ ؕ اُولٰٓئِكَ حِزْبُ الشَّيْطٰنِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ حِزْبَ الشَّيْطٰنِ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ

তাদের উপরে শয়তান পুরোপুরি প্রভুত্ব বিস্তার করেছে। তাই শয়তান তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ (কোরআন) ভুলিয়ে দিয়েছে। এরাই শয়তানের দল। সাবধান, নিশ্চয়ই শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

اِنَّ الَّذِيْنَ يُحَآدُّوْنَ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗۤ اُولٰٓئِكَ فِي الْاَذَلِّيْنَ

নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করছে তারা চরম অপমানিতদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

كَتَبَ اللّٰهُ لَاَغْلِبَنَّ اَنَا وَرُسُلِيْ ؕ اِنَّ اللّٰهَ قَوِيٌّ عَزِيْزٌ

আল্লাহ একথা লিখে দিয়েছেন ! আমি আর আমার রাসূলরা অবশ্যই বিজয়ী হবো। নিশ্চয় আল্লাহ পরম শক্তিধর, মহা-সম্মানী।

সূরা : সূরা আল মুজাদালাহ

لَا تَجِدُ قَوْمًا يُّؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ يُوَآدُّوْنَ مَنْ حَآدَّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ وَلَوْ كَانُوْۤا اٰبَآءَهُمْ اَوْ اَبْنَآءَهُمْ اَوْ اِخْوَانَهُمْ اَوْ عَشِيْرَتَهُمْ ؕ اُولٰٓئِكَ كَتَبَ فِيْ قُلُوْبِهِمُ الْاِيْمَانَ وَاَيَّدَهُمْ بِرُوْحٍ مِّنْهُ ؕ وَيُدْخِلُهُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا ؕ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ ؕ اُولٰٓئِكَ حِزْبُ اللّٰهِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ حِزْبَ اللّٰهِ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ

যে সম্প্রদায় আল্লাহর উপর এবং শেষ দিনের উপর বিশ্বাস করে, তুমি তাদেরকে এমন অবস্থায় মোটেই দেখতে পাবে না, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করে যাচ্ছে তাদের সাথে এরা বন্ধুত্ব বহাল রেখেছে। যদিও তারা তাদের বাপ-দাদা ও সন্তান-সন্ততি, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন হোক না কেনো ? এরাই, যাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমানকে স্থায়ীভাবে লিখে দিয়েছেন। আর তাদেরকে তাঁর পক্ষ হতে রূহ দিয়ে শক্তিশালী করেছেন। আর তিনি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার নীচ থেকে ঝর্ণাধারা সমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের উপরে সন্তুষ্ট থাকেন, আর তারাও আল্লাহর উপরে সন্তুষ্ট হয়ে থাকে। এরাই আল্লাহর দলের অন্তর্ভুক্ত। তোমরা জেনে রাখো, নিশ্চয় আল্লাহর দলই সফলকাম।

*58(22) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(16), 3(28),4(144),5(78-81),9(23-25,54,55)...।