সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُوا۟ رَبَّكُمُ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَٰحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَآءًۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ٱلَّذِى تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلْأَرْحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَان عَلَيْكُمْ رَقِيبًا


হে মানব জাতি ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। যিনি তোমাদেরকে একটি মাত্র নফস তথা জীবন-কোষ থেকে সৃষ্টি করেছেন। তা হতেই তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন, এবং সেই দুটি থেকে অসংখ্য পুরুষ ও নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন। তোমরা সেই আল্লাহকে ভয় কর, যার দোহাই দিয়ে পরস্পরে (হক) দাবী কর। আর আত্মীয়তার বন্ধন সম্পর্কে সতর্ক থাকো। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন। 

সূরা : আন-নিসা

وَءَاتُوا۟ ٱلْيَتَٰمَىٰٓ أَمْوَٰلَهُمْۖ وَلَا تَتَبَدَّلُوا۟ ٱلْخَبِيثَ بِٱلطَّيِّبِۖ وَلَا تَأْكُلُوٓا۟ أَمْوَٰلَهُمْ إِلَىٰٓ أَمْوَٰلِكُمْۚ إِنَّهُۥ كَانَ حُوبًا كَبِيرًا

ইয়াতীমদেরকে তাদের মাল সম্পদ সমূহ ফেরত  দিয়ে দাও। খারাপ মালকে ভালো মালের সাথে বদল করবে না। তাদের মাল সমূহকে তোমাদের মাল সমূহের সাথে মিশিয়ে খাবে না। নিশ্চয়ই তা হচ্ছে বড়ই পাপের কাজ।

সূরা : আন-নিসা

وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا۟ فِى ٱلْيَتَٰمَىٰ فَٱنكِحُوا۟ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ مَثْنَىٰ وَثُلَٰثَ وَرُبَٰعَۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا۟ فَوَٰحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُمْۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰٓ أَلَّا تَعُولُوا۟

আর তোমরা যদি ভয় কর যে, ইয়াতীমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে (অন্য স্বাধীনা) নারীদের মধ্য হতে যা তোমাদের জন্য পছন্দনীয়-দুই বা তিন কিংবা চারটি পর্যন্ত বিয়ে করতে পার। কিন্তু যদি ভয় কর যে, তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তবে মাত্র একজন, যে তোমাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে চুক্তিসূত্রে -এটাই অধিক নিকটতর যে, তোমরা অবিচার করবে না।*

*4(3)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 4(127-129)...।

সূরা : আন-নিসা

وَءَاتُوا۟ ٱلنِّسَآءَ صَدُقَٰتِهِنَّ نِحْلَةًۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَىْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيٓـًٔا مَّرِيٓـًٔا


তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের সাদাকা তথা মোহরগুলো খুশি মনে দিয়ে দাও। তবে তারা যদি নিজেই তোমাদের জন্যে কোন কিছু ছেড়ে দেয় , তবে তোমরা তা তৃপ্তিসহকারে সানন্দে খেতে পারবে।

সূরা : আন-নিসা

وَلَا تُؤْتُوا۟ ٱلسُّفَهَآءَ أَمْوَٰلَكُمُ ٱلَّتِى جَعَلَ ٱللَّهُ لَكُمْ قِيَٰمًا وَٱرْزُقُوهُمْ فِيهَا وَٱكْسُوهُمْ وَقُولُوا۟ لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوفًا

অবোধদের হাতে তোমাদের ধনসম্পদগুলো দিও না, যাকে আল্লাহ বানিয়েছেন তোমাদের জন্যে জীবিকার মাধ্যম, তা থেকে তোমরা তাদের খাওয়া পরা ও ভরণপোষনের ব্যবস্থা কর। আর তাদের সাথে সুপরিচিত (কিতাবের) কথাই বলবে।

সূরা : আন-নিসা

وَٱبْتَلُوا۟ ٱلْيَتَٰمَىٰ حَتَّىٰٓ إِذَا بَلَغُوا۟ ٱلنِّكَاحَ فَإِنْ ءَانَسْتُم مِّنْهُمْ رُشْدًا فَٱدْفَعُوٓا۟ إِلَيْهِمْ أَمْوَٰلَهُمْۖ وَلَا تَأْكُلُوهَآ إِسْرَافًا وَبِدَارًا أَن يَكْبَرُوا۟ۚ وَمَن كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْۖ وَمَن كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِٱلْمَعْرُوفِۚ فَإِذَا دَفَعْتُمْ إِلَيْهِمْ أَمْوَٰلَهُمْ فَأَشْهِدُوا۟ عَلَيْهِمْۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ حَسِيبًا

আর তোমরা ইয়াতীমদেরকে বিবাহের বয়সের যোগ্য না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা করতে থাকবে। অতঃপর যদি তোমরা তাদের মধ্যে বিচারের জ্ঞান দেখতে পাও, তখন তোমরা তাদের কাছে তাদের ধন মাল অর্পণ করবে। আর তোমরা সীমালঙ্ঘন করে তাদের ধনসম্পদ তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। শুধু এই ভয়ে যে তারা বড় হয়ে যাবে। আর যে অভাবমুক্ত সেক্ষেত্রে সে  (তার মাল খাওয়া থেকে)  নিবৃত্ত থাকবে, আর যে অভাবী হবে সেক্ষেত্রে সে ন্যায় সঙ্গতভাবে খাবে। তবে যখন তাদের কাছে তাদের ধনসম্পদ সমর্পণ করবে, তখন তোমরা এ ব্যাপারে তাদের উপর সাক্ষী রাখবে। আর হিসাবগ্রহণকারী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।*

*4(6)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(282)।
আর "বালাগূন নিকাহ"/"بلغ النكاح" ব্যাখ্যায় 12(22),24(59),28(14),46(15)...।

সূরা : আন-নিসা

لِّلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِّمَّا تَرَكَ ٱلْوَٰلِدَانِ وَٱلْأَقْرَبُونَ وَلِلنِّسَآءِ نَصِيبٌ مِّمَّا تَرَكَ ٱلْوَٰلِدَانِ وَٱلْأَقْرَبُونَ مِمَّا قَلَّ مِنْهُ أَوْ كَثُرَۚ نَصِيبًا مَّفْرُوضًا

পুরুষদের জন্য ন্যায্য অংশ রয়েছে, যা তাদের পিতা-মাতা ও ঘনিষ্ঠ আত্বীয়রা রেখে গেছে। এবং মেয়েদের জন্যও অংশ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয়রা যা রেখে গেছে, কম বেশী যাই হোক না কেন, তাতে অংশ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। 

সূরা : আন-নিসা

وَإِذَا حَضَرَ ٱلْقِسْمَةَ أُو۟لُوا۟ ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينُ فَٱرْزُقُوهُم مِّنْهُ وَقُولُوا۟ لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوفًا

আর যদি বন্টন কালে নিকট আত্মীয়স্বজন এবং এয়াতিম ও গৃহহীনরা কেউ এসে উপস্থিত হয়, সেক্ষেত্রে তাদেরকে তা'হতে কিছুটা দান করবে। আর তাদের সাথে তোমরা ‍সুপরিচিত বিধি মোতাবেক কথাই বলবে। 

সূরা : আন-নিসা

وَلْيَخْشَ ٱلَّذِينَ لَوْ تَرَكُوا۟ مِنْ خَلْفِهِمْ ذُرِّيَّةً ضِعَٰفًا خَافُوا۟ عَلَيْهِمْ فَلْيَتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَلْيَقُولُوا۟ قَوْلًا سَدِيدًا


আর তাদের ভয় করা উচিৎ যে, যদি তারা তাদের পেছনে অসহায় অবস্থায় সন্তান রেখে যেত, তাহলে তারা তাদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হত। সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং তারা যেন সঠিক কথা বলে। 

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَٰلَ ٱلْيَتَٰمَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِى بُطُونِهِمْ نَارًاۖ وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا


নিশ্চয়ই যারা এয়াতিমদের মালসমূহ অন্যায়ভাবে খেয়ে থাকে, তারা মূলত তাদের পেটের মধ্যে আগুনই ভর্তি করে যাচ্ছে। তারা শীঘ্রই প্রজ্বলিত আগুনে প্রবেশ করবে।

সূরা : আন-নিসা

يُوصِيكُمُ ٱللَّهُ فِىٓ أَوْلَٰدِكُمْۖ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ ٱلْأُنثَيَيْنِۚ فَإِن كُنَّ نِسَآءً فَوْقَ ٱثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَۖ وَإِن كَانَتْ وَٰحِدَةً فَلَهَا ٱلنِّصْفُۚ وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَٰحِدٍ مِّنْهُمَا ٱلسُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُۥ وَلَدٌۚ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُۥ وَلَدٌ وَوَرِثَهُۥٓ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ ٱلثُّلُثُۚ فَإِن كَانَ لَهُۥٓ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ ٱلسُّدُسُۚ مِنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِى بِهَآ أَوْ دَيْنٍۗ ءَابَآؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ لَا تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًاۚ فَرِيضَةً مِّنَ ٱللَّهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, তোমাদের  সন্তানদের ব্যাপারে, একজন পুরুষের অংশ হচ্ছে দু'জন মেয়েলোকের অংশের সমান। যদি শুধু মেয়ে থাকে, দু'জনের বেশী, তাহলে তাদের জন্যে মোট সম্পত্তির তিন ভাগের দু'ভাগ, একটি মেয়ে থাকলে যা কিছু রেখে গেছে তার অর্ধেক। আর পিতা-মাতা থাকলে যা রেখে গেছে প্রত্যেকের জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকে। যদি সন্তান না থাকে, তাহলে তার মায়ের অংশ হচ্ছে, তিন ভাগের এক ভাগ। মৃত ব্যক্তির যদি কয়েকজন ভাই থাকে, তবে মায়ের অংশ হচ্ছে ছয় ভাগের এক ভাগ; যা ওছিয়াত করে গেছে তা বাদে, আর যদি কোনো ৠণ থাকে, তবে তা পরিশোধ করার পরে। তোমাদের মা-বাপ ও সন্তান-সন্ততি এদের মধ্যে কে বেশী তোমাদের উপকারে আসবে - তোমরা তা জানো না। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই অংশ ঠিক করা ফরজ। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুই জানেন, আল্লাহ হলেন মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : আন-নিসা

وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَٰجُكُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٌۚ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمُ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَۚ مِنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِينَ بِهَآ أَوْ دَيْنٍۚ وَلَهُنَّ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِن لَّمْ يَكُن لَّكُمْ وَلَدٌۚ فَإِن كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ ٱلثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُمۚ مِّنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَآ أَوْ دَيْنٍۗ وَإِن كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلَٰلَةً أَوِ ٱمْرَأَةٌ وَلَهُۥٓ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَٰحِدٍ مِّنْهُمَا ٱلسُّدُسُۚ فَإِن كَانُوٓا۟ أَكْثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمْ شُرَكَآءُ فِى ٱلثُّلُثِۚ مِنۢ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَىٰ بِهَآ أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَآرٍّۚ وَصِيَّةً مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٌ


তোমাদের স্ত্রীরা যা কিছু ছেড়ে যাবে, তাতে তোমাদের জন্য অর্ধেক অংশ রয়েছে, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি সন্তান থাকে, তাহলে তারা যা রেখে গেছে, তার চার ভাগের এক ভাগ হচ্ছে তোমাদের অংশ, আর তারা যদি ওছিয়াত করে থাকে, কিংবা ৠণ রেখে যায়, তা পরিশোধ করার পরে। আর তাদের জন্যেও চার ভাগের এক ভাগ, যদি তোমরা কোন সন্তান না রেখে মারা যাও। যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তাহলে তাদের অংশ হচ্ছে, আট ভাগের এক ভাগ, তোমরা যা রেখে যাবে তা থেকে। তোমরা যে ওছিয়াত করবে, কিংবা ৠণ রেখে যাবে তা পরিশোধ করার পরে। যদি কোন পুরুষের উত্তরাধিকারী হিসেবে পিতা পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে, বরং সেই মৃত ব্যক্তির ওয়ারিস হিসেবে এক ভাই কিংবা বোন থাকে, তাহলে তাদের প্রত্যেকের অংশ হচ্ছে, ছয় ভাগের এক ভাগ। যদি তারা সংখ্যায় বেশী থাকে তাহলে তিন ভাগের এক ভাগে তারা সমান শরীক হবে। ওছিয়াত কিংবা ৠণ থাকলে তা পরিশোধ করার পরে, অন্যের কোন ক্ষতি না করে। এ নির্দেশ আল্লাহর পক্ষ হতে। আসলে আল্লাহ সব জানেন, তিনি বড়ই সহনশীল। 

সূরা : আন-নিসা

تِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِۚ وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ يُدْخِلْهُ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ وَذَٰلِكَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ

এইসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমাসমূহ, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে সে-ই তো জান্নাতে প্রবেশ করবে। যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এটাই তো বিরাট সাফল্য। 

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يَعْصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُۥ يُدْخِلْهُ نَارًا خَٰلِدًا فِيهَا وَلَهُۥ عَذَابٌ مُّهِينٌ


যে কেউ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের অবাধ্য হবে, এবং তাঁর নির্ধারিত সীমাসমূহের লংঘন করবে, তাকে তিনি আগুনে প্রবেশ করাবেন, সেখানে সে স্থায়ী হবে, আর তার জন্যে রয়েছে অপমানকর শাস্তি।

সূরা : আন-নিসা

وَٱلَّٰتِى يَأْتِينَ ٱلْفَٰحِشَةَ مِن نِّسَآئِكُمْ فَٱسْتَشْهِدُوا۟ عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِّنكُمْۖ فَإِن شَهِدُوا۟ فَأَمْسِكُوهُنَّ فِى ٱلْبُيُوتِ حَتَّىٰ يَتَوَفَّىٰهُنَّ ٱلْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ ٱللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا

তোমাদের স্ত্রীদের মধ্য থেকে যদি কোন মহিলা অশ্লীলকর্ম করে বসে, তবে তোমাদের মধ্য থেকে চারজন সাক্ষী আনবে। অতঃপর তারা যদি সাক্ষী দেয়, তবে তাদেরকে (তাদের) ঘরগুলোর মধ্যে আবদ্ধ করে রাখবে, যতক্ষণ মৃত্যু এসে তাদেরকে উঠিয় না নেয়, অথবা তাদের জন্যে আল্লাহ অন্য কোন পথ না করে দেন।

সূরা : আন-নিসা

وَٱلَّذَانِ يَأْتِيَٰنِهَا مِنكُمْ فَـَٔاذُوهُمَاۖ فَإِن تَابَا وَأَصْلَحَا فَأَعْرِضُوا۟ عَنْهُمَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ تَوَّابًا رَّحِيمًا

তোমাদের মধ্য হতে দু'জন যদি অপকর্ম করে, তবে তাদেরকে শাস্তি দিবে। অতঃপর যদি তারা দুজনে তওবা করে সংশোধন হয়ে যায়, তবে তোমরা তাদের দুজনকে ছেড়ে (মাফ করে) দিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, মেহেরবান। 

সূরা : আন-নিসা

إِنَّمَا ٱلتَّوْبَةُ عَلَى ٱللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٍ فَأُو۟لَٰٓئِكَ يَتُوبُ ٱللَّهُ عَلَيْهِمْۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيما حكيما

তাওবা মূলতঃ আল্লাহর কাছে তাদের জন্য, যারা অজ্ঞতার কারণে মন্দ কাজ করে। এরপর তারা অবিলম্বে তাওবা করে। অতঃপর আল্লাহ ঐসব লোকদের উপর ক্ষমাশীল হন এবং আল্লাহ সব কিছুই জানেন, আর আল্লাহ হলেন মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : আন-নিসা

وَلَيْسَتِ ٱلتَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ ٱلسَّيِّـَٔاتِ حَتَّىٰٓ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ ٱلْمَوْتُ قَالَ إِنِّى تُبْتُ ٱلْـَٰٔنَ وَلَا ٱلَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌۚ أُو۟لَٰٓئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا

আর ঐ সমস্ত লোকদের কোনো তাওবা নেই যারা (আজীবন) সমানে মন্দকর্ম করতে থাকে, এমনকি মৃত্যু যখন ঘনিয়ে আসে তখনই বলে, এইতো এখন আমি তাওবা করছি। অথচ তারা কাফির অবস্থায় মারা যায়। তাদের জন্যেই তো বড়ই যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি তৈরী করে রেখেছি।*

*4(18),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(80,85), 3(90,91),4(48,116,137,168),31(13)...।

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَرِثُوا۟ ٱلنِّسَآءَ كَرْهًاۖ وَلَا تَعْضُلُوهُنَّ لِتَذْهَبُوا۟ بِبَعْضِ مَآ ءَاتَيْتُمُوهُنَّ إِلَّآ أَن يَأْتِينَ بِفَٰحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍۚ وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلْمَعْرُوفِۚ فَإِن كَرِهْتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰٓ أَن تَكْرَهُوا۟ شَيْـًٔا وَيَجْعَلَ ٱللَّهُ فِيهِ خَيْرًا كَثِيرًا


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমাদের জন্য এ হালাল নয় যে, তোমরা জোরপূর্বক যে কোন স্ত্রীলোকদের উত্তরাধিকারী সেজে বসবে, কিংবা বল প্রয়োগের সাথে কোন মেয়েদেরকে আটক করে রাখবে, যাতে তোমরা ফিরিয়ে নিতে পারবে, যা কিছু তোমরা তাদেরকে দিয়েছ। তবে তারা যদি প্রকাশ্যে অশ্লিলতায় লিপ্ত হয়, সে কথা ভিন্ন। তাদের সাথে সুপরিচিত বিধি মতে বসবাস করবে। অতঃপর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমন হতে পারে যে, তোমরা এক জিনিস অপছন্দ করছ কিন্তু আল্লাহ তার মধ্যেই অনেক কল্যাণ রেখেছেন। 

সূরা : আন-নিসা

وَإِنْ أَرَدتُّمُ ٱسْتِبْدَالَ زَوْجٍ مَّكَانَ زَوْجٍ وَءَاتَيْتُمْ إِحْدَىٰهُنَّ قِنطَارًا فَلَا تَأْخُذُوا۟ مِنْهُ شَيْـًٔاۚ أَتَأْخُذُونَهُۥ بُهْتَٰنًا وَإِثْمًا مُّبِينًا

তোমরা যদি এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করতে চাও, আর তাদের মধ্যে কাউকে যদি অগাধ সম্পদ দিয়ে থাক তবুও তা থেকে কোন কিছু তোমরা ফিরিয়ে নিবে না। তোমরা কি দোষারোপ করে তা নিতে চাও। এ তো প্রকাশ্য পাপের কাজ।

সূরা : আন-নিসা

وَكَيْفَ تَأْخُذُونَهُۥ وَقَدْ أَفْضَىٰ بَعْضُكُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ وَأَخَذْنَ مِنكُم مِّيثَٰقًا غَلِيظًا


কিরূপে তা তোমরা নিবে? অথচ নিশ্চয় তোমরা একে অপরের সাথে একান্তে মিলিত হয়েছ, আর তারা তোমাদের থেকে নিয়েছিল দৃঢ় প্রতিশ্রুতি । 

সূরা : আন-নিসা

وَلَا تَنكِحُوا۟ مَا نَكَحَ ءَابَآؤُكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَۚ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةً وَمَقْتًا وَسَآءَ سَبِيلًا

তোমাদের বাপ-দাদারা স্ত্রীলোকদের মধ্য থেকে যাদেরকে বিবাহ করেছে, তোমরা তাদেরকে বিবাহ করবে না, তবে যা বিগত হয়েছে (সেটা ধর্তব্য নয়)। নিশ্চয়ই তা হলো অশ্লীল কাজ, বড়ই অপছন্দনীয় এবং নিকৃষ্ট পথ।

সূরা : আন-নিসা

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَٰتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَٰتُكُمْ وَعَمَّٰتُكُمْ وَخَٰلَٰتُكُمْ وَبَنَاتُ ٱلْأَخِ وَبَنَاتُ ٱلْأُخْتِ وَأُمَّهَٰتُكُمُ ٱلَّٰتِىٓ أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَٰتُكُم مِّنَ ٱلرَّضَٰعَةِ وَأُمَّهَٰتُ نِسَآئِكُمْ وَرَبَٰٓئِبُكُمُ ٱلَّٰتِى فِى حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ ٱلَّٰتِى دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا۟ دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَٰٓئِلُ أَبْنَآئِكُمُ ٱلَّذِينَ مِنْ أَصْلَٰبِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا۟ بَيْنَ ٱلْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا

তোমাদের জন্য (বিবাহ) নিষিদ্ধ করা হয়েছে তোমাদের মাতাদেরকে, তোমাদের মেয়েদেরকে, তোমাদের বোনদেরকে, তোমাদের ফুফুদেরকে, তোমাদের খালাদেরকে, ভাইয়ের কন্যাদেরকে, বোনের কন্যাদেরকে, তোমাদের সেই সব মাতাদেরকে যারা তোমাদেরকে দুধপান করিয়েছেন, তোমাদের দুধ পান করানো সম্পর্কিত বোনদেরকে, তোমাদের স্ত্রীদের মাতাদেরকে, তোমাদের স্ব-পত্নীদের কন্যাদেরকে, যারা তোমাদের ঘরের মধ্যে লালিতা-পালিতা হয়েছে, তোমাদের স্ত্রীদের থেকে যাদের সাথে তোমরা সহবাস করেছ, তবে যদি তোমরা তাদের সাথে সহবাস করে না থাকো তাহলে তাদের কন্যা বিবাহ করাতে তোমাদের কোন দোষ নেই এবং তোমাদের ঔরসজাত ছেলেদের স্ত্রীদেরকে (বিবাহ করা নিষিদ্ধ) এবং এও নিষিদ্ধ যে, দুই বোনকে একত্রিত বিবাহ করবে না। কিন্তু যা অতীত হয়েছে তা ধর্তব্য নয়। নিশ্চয় আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল, মেহেরবান।

সূরা : আন-নিসা

وَٱلْمُحْصَنَٰتُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُمْۖ كِتَٰبَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْۚ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَآءَ ذَٰلِكُمْ أَن تَبْتَغُوا۟ بِأَمْوَٰلِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَٰفِحِينَۚ فَمَا ٱسْتَمْتَعْتُم بِهِۦ مِنْهُنَّ فَـَٔاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةًۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَٰضَيْتُم بِهِۦ مِنۢ بَعْدِ ٱلْفَرِيضَةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

নারীদের মধ্যে সবাই স্বয়ংসম্পূর্ন ও সম্মানের অধিকারী। তবে বিশেষ বন্ধনে যারা তোমাদের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হবে তাদের কথা ভিন্ন। এ হচ্ছে আল্লাহর বিধান তোমাদের জন্য। এ ছাড়া অন্য নারীকেও বিয়ে করা হালাল। তবে নিজেদের টাকা পয়সা খরচ করে, ঘর সংসার করার জন্য; শুধু দেহের ক্ষুধা মেটানোই যেন তোমাদের উদ্দেশ্য না হয়। সুতরাং তোমরা যেভাবে তাদেরকে উপভোগ করেছ ! ঠিক তেমনি নির্ধারিত মোহর তাদেরকে দিয়ে দিবে। একবার ধার্যকৃত মোহর ঠিক করার পরে তোমরা যদি নিজেদের খুশি মত কোনো পরিমাণ ঠিক করে নাও, তাতে তোমাদের কোনো পাপ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন মহাজ্ঞানী, মহাবৈজ্ঞানিক।

সূরা : আন-নিসা

وَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنكُمْ طَوْلًا أَن يَنكِحَ ٱلْمُحْصَنَٰتِ ٱلْمُؤْمِنَٰتِ فَمِن مَّا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُم مِّن فَتَيَٰتِكُمُ ٱلْمُؤْمِنَٰتِۚ وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَٰنِكُمۚ بَعْضُكُم مِّنۢ بَعْضٍۚ فَٱنكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَءَاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِٱلْمَعْرُوفِ مُحْصَنَٰتٍ غَيْرَ مُسَٰفِحَٰتٍ وَلَا مُتَّخِذَٰتِ أَخْدَانٍۚ فَإِذَآ أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَٰحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى ٱلْمُحْصَنَٰتِ مِنَ ٱلْعَذَابِۚ ذَٰلِكَ لِمَنْ خَشِىَ ٱلْعَنَتَ مِنكُمْۚ وَأَن تَصْبِرُوا۟ خَيْرٌ لَّكُمْۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

তোমাদের মধ্যে যারা পুরো সামর্থ্য রাখে না, যা দিয়ে স্বাধীন-মু'মিনা নারীকে বিবাহ করবে, তারা তাদের নিজেদের অধিকারভুক্ত মু'মিনা কৃতদাসীদেরকে বিবাহ করতে পারবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমানের অবস্থা পুরোপুরি জানেন। নিজেদের মধ্যে তোমরা একে অপরের অংশ। তাদের অভিভাবকদের অনুমতি নিয়েই তাদেরকে বিবাহ করবে। তাদেরকে ধার্যকৃত মোহর দিয়ে দিবে ন্যায় সংগতভাবে। যেন স্ত্রী হিসেবে বসবাসকারিনী হয়। প্রকাশ্য ব্যভিচারীনি কিংবা গোপন অভিসারিনী (অর্থাৎ এমন বিবাহ যা সমাজের মানুষেরা জানেনা)। এর পরেও যদি তারা কোনও রকম গুরুতর অপকর্মে লিপ্ত হয়, তাহলে সম্ভ্রান্ত/স্বাধীন মহিলাদের জন্য নির্ধারিত দন্ডের অর্ধেক পরিমাণ শাস্তি তাদের দিতে হবে। তোমাদের মধ্যে যার গুরুতর অপরাধে লিপ্ত হওয়ার থেকে ভয় হয়, এ ব্যবস্থা তারই জন্য। তবে তোমরা যদি সংযমী হও, তাতেই তোমাদের মঙ্গল হবে। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, মেহেরান।

সূরা : আন-নিসা

يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمْ وَيَهْدِيَكُمْ سُنَنَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ وَيَتُوبَ عَلَيْكُمْۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

\


আল্লাহ চান তোমাদেরকে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা দিতে, তোমাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদের বিবরণ তোমাদের সামনে তুলে ধরতে, এভাবে তোমাদেরকে পথ দেখাতে আর তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চান। আর আল্লাহ সবই জানেন, মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : আন-নিসা

وَٱللَّهُ يُرِيدُ أَن يَتُوبَ عَلَيْكُمْ وَيُرِيدُ ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلشَّهَوَٰتِ أَن تَمِيلُوا۟ مَيْلًا عَظِيمًا



আল্লাহ চান তোমাদেরকে ক্ষমা করতে। তবে যারা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে (অর্থাৎ যৌন বিকারগ্রস্থ কামাতুর), তারা চায় যে তোমরা যেন (পথভ্রষ্টতার দিকে) ভিষণভাবে ঝুঁকে পড়। 

সূরা : আন-নিসা

يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُخَفِّفَ عَنكُمْۚ وَخُلِقَ ٱلْإِنسَٰنُ ضَعِيفًا


আল্লাহ চান তোমাদের থেকে বোঝা হালকা করতে। আর মানুষকে সৃষ্টি হয়েছে দুর্বলভাবে।

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَأْكُلُوٓا۟ أَمْوَٰلَكُم بَيْنَكُم بِٱلْبَٰطِلِ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْۚ وَلَا تَقْتُلُوٓا۟ أَنفُسَكُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা নিজেদের একে অন্যের মাল-সম্পত্তি অন্যায়ভাবে খাবে না। তবে ব্যবসার উপলক্ষে নিজেদের সম্মতি অনুসারে খরচ পত্রের কথা ভিন্ন। আর তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন তোমাদের উপর মেহেরবান।

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ عُدْوَٰنًا وَظُلْمًا فَسَوْفَ نُصْلِيهِ نَارًاۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرًا


আর যে কেউ এমনকাজ করবে বাড়াবাড়ি জুলুম হিসাবে, তাহলে শীঘ্রই আমি তাকে আগুনে পৌঁছে দিব। এ কাজটি আল্লাহর জন্য খুবই সহজ। 

সূরা : আন-নিসা

إِن تَجْتَنِبُوا۟ كَبَآئِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّـَٔاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا

তোমরা যদি বড় বড় পাপ থেকে বেঁচে চল -যে সব কাজ করতে তোমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তাহলে আমি তোমাদের থেকে তোমাদের ছোট পাপগুলো মোচে দিব। আমি তোমাদেরকে সম্মানজনক প্রবেশস্থলে প্রবেশ করাব। 

সূরা : আন-নিসা

وَلَا تَتَمَنَّوْا۟ مَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بِهِۦ بَعْضَكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍۚ لِّلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِّمَّا ٱكْتَسَبُوا۟ۖ وَلِلنِّسَآءِ نَصِيبٌ مِّمَّا ٱكْتَسَبْنَۚ وَسْـَٔلُوا۟ ٱللَّهَ مِن فَضْلِهِۦٓۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمًا


তোমরা এমন কোনও বিষয়ের লোভ করো না, আল্লাহ যে ব্যাপারে তোমাদের কাউকে কারও উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষদের জন্য তাদের উপার্জনের অংশ নির্দিষ্ট রয়েছে, আর নারীদের জন্যেও উপার্জনের ন্যায্য অংশ নির্দিষ্ট রয়েছে, যা তারা অর্জন করবে। আর তোমরা আল্লাহর কাছেই তাঁর দান সাহায্য সামগ্রী চাইবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর সম্বন্ধে ভাল করেই জানেন। 

সূরা : আন-নিসা

وَلِكُلٍّ جَعَلْنَا مَوَٰلِىَ مِمَّا تَرَكَ ٱلْوَٰلِدَانِ وَٱلْأَقْرَبُونَۚ وَٱلَّذِينَ عَقَدَتْ أَيْمَٰنُكُمْ فَـَٔاتُوهُمْ نَصِيبَهُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ شَهِيدًا

আর আমি যাদেরকে উত্তরাধিকারী করেছি, পিতা-মাতা আর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা, বিষয় সম্পত্তি যা রেখে যাবে, যাদের সাথে তোমাদের অঙ্গীকার রয়েছে, তাদেরকে নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে দিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুর উপর সাক্ষী রয়েছেন।

সূরা : আন-নিসা

ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ وَبِمَآ أَنفَقُوا۟ مِنْ أَمْوَٰلِهِمْۚ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ وَٱلَّٰتِى تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهْجُرُوهُنَّ فِى ٱلْمَضَاجِعِ وَٱضْرِبُوهُنَّۖ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا۟ عَلَيْهِنَّ سَبِيلًاۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا

নারীদের দাঁড় করানোর জন্য পরিচালক হচ্ছে পুরুষরাই। এজন্য যে, আল্লাহ তাদের মধ্যে একে অন্যের উপর বিশিষ্টতা দান করেছেন। আর পুরুষরাই তাদের মাল সম্পদ থেকে খরচ করবে। অতএব সংশোধনকারিনী মহিলাই আনুগত্য পরায়না হয়ে থাকে, যারা লোক চক্ষুর অন্তরালে ঐ বিষয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করে, যা আল্লাহ রক্ষা করতে বলেছেন। আর যে স্ত্রীদের থেকে তোমরা অবাধ্যতার ভয় করবে, তখন তোমরা তাদেরকে সদুপদেশ দিবে, তাদেরকে শয্যার মধ্যে (একাকী) ত্যাগ করবে, আর তোমরা তাদের কাছে (আল্লাহর) বিধান পেশ করবে। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তাহলে আর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পথ তালাশ করবে না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপরে মহান মর্যাদার অধিকারী।

সূরা : আন-নিসা

وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَٱبْعَثُوا۟ حَكَمًا مِّنْ أَهْلِهِۦ وَحَكَمًا مِّنْ أَهْلِهَآ إِن يُرِيدَآ إِصْلَٰحًا يُوَفِّقِ ٱللَّهُ بَيْنَهُمَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرًا


তোমরা যদি তাদের দুজনের মাঝে বিচ্ছেদের আশংকা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন সালিশ, আর স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিশ নিযুক্ত করবে। তারা দুজনে যদি সংশোধন চায়, তাহলে আল্লাহ তাদের দুজনের মাঝে সম্প্রীতি দান করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন মহাজ্ঞানী, খুব অবহিত। 

সূরা : আন-নিসা

وَٱعْبُدُوا۟ ٱللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا۟ بِهِۦ شَيْـًٔاۖ وَبِٱلْوَٰلِدَيْنِ إِحْسَٰنًا وَبِذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَٱلْجَارِ ذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْجَارِ ٱلْجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلْجَنۢبِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُكُمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا

আর তোমরা আল্লাহর দাসত্ব কর। তাঁর কোরআনের সাথে তোমরা কিছুই শরীক করবে না। পিতা-মাতার সাথে ভাল ব্যবহার কর, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সাথে, ইয়াতীম অভাবগ্রস্তদের সাথেও, পড়শীদের মধ্যে যারা খুব কাছে তাদের সাথে, আর যারা দূরের পড়শী তাদের সাথেও, ভ্রমনের সাথী যারা তাদের সাথেও, আর সত্য সন্ধানী ও যারা তোমাদের অধিকারভুক্ত কাজের মানুষ রয়েছে তাদের সাথেও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে পছন্দ করেন না, যে হয় দাম্ভিক গর্বকারী। 

সূরা : আন-নিসা

ٱلَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ ٱلنَّاسَ بِٱلْبُخْلِ وَيَكْتُمُونَ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦۗ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا


যারা কার্পণ্য করে, আর লোকজনকে কৃপণতা শেখায় আর আল্লাহ নিজের ধন সম্পদ হতে যা কিছু দান করেছেন তা যারা গোপন করে; এ সব কাফিরদের জন্য চরম অপমানকর শাস্তি তৈরী করে রেখেছি। 

সূরা : আন-নিসা

وَٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمْ رِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِۗ وَمَن يَكُنِ ٱلشَّيْطَٰنُ لَهُۥ قَرِينًا فَسَآءَ قَرِينًا


যারা তাদের নিজেদের সম্পদগুলো লোকদেরকে দেখানোর জন্য খরচ করে, আর আল্লাহর উপরে ঈমান আনে না, আর পরকালকের উপরেও। আর শয়তান যার সঙ্গী হবে, তাহলে তার অতি খারাপ সঙ্গী 

সূরা : আন-নিসা

وَمَاذَا عَلَيْهِمْ لَوْ ءَامَنُوا۟ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَأَنفَقُوا۟ مِمَّا رَزَقَهُمُ ٱللَّهُۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِهِمْ عَلِيمًا


মানুষের এমন কি ক্ষতি হত ! যদি তারা আল্লাহর ও পরকালের উপর বিশ্বাস করত, আল্লাহ তাদেরকে যা কিছু জীবিকা দান করেছেন, তা থেকে খরচ করত ! আর আল্লাহ তাদের সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍۖ وَإِن تَكُ حَسَنَةً يُضَٰعِفْهَا وَيُؤْتِ مِن لَّدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا


নিশ্চয় আল্লাহ একটি অনু পরিমাণ কারও উপর জুলুম করেন না। যদি কারও একটি ভালো কাজ  হয়, তা তিনি তার জন্য দ্বিগুণ করে দিবেন। আর তাঁর নিজের পক্ষ থেকেই বিরাট পুরস্কার দান করবেন।

সূরা : আন-নিসা

فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِن كُلِّ أُمَّةٍۭ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِ شَهِيدًا


নিশ্চয় আল্লাহ একটি অনু পরিমাণ কারও উপর জুলুম করেন না। যদি কারও একটি ভালো কাজ  হয়, তা তিনি তার জন্য দ্বিগুণ করে দিবেন। আর তাঁর নিজের পক্ষ থেকেই বিরাট পুরস্কার দান করবেন।

সূরা : আন-নিসা

يَوْمَئِذٍ يَوَدُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَعَصَوُا۟ ٱلرَّسُولَ لَوْ تُسَوَّىٰ بِهِمُ ٱلْأَرْضُ وَلَا يَكْتُمُونَ ٱللَّهَ حَدِيثًا


যারা কুফুরী করেছে ও রাসূলের অবাধ্যতা করেছে, তারা সেদিন কামনা করবে ! যদি তাদেরকে জমিনে মিশেয়ে দেয়া হত। আর তারা আল্লাহ থেকে কোন-কথা /হাদিস গোপন করতে পারবে না।

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَقْرَبُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنتُمْ سُكَٰرَىٰ حَتَّىٰ تَعْلَمُوا۟ مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِى سَبِيلٍ حَتَّىٰ تَغْتَسِلُوا۟ۚ وَإِن كُنتُم مَّرْضَىٰٓ أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوْ جَآءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ ٱلْغَآئِطِ أَوْ لَٰمَسْتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوا۟ مَآءً فَتَيَمَّمُوا۟ صَعِيدًا طَيِّبًا فَٱمْسَحُوا۟ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا


হে যারা ঈমান এনেছ ! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দায়িত্ব সম্পাদনের কাছে যাবে না,  যতক্ষন তোমরা বুঝতে না পারবে যা তোমরা বলছ। আর অপবিত্র অবস্থায়ও। তবে যে ব্যক্তি পবিত্র হয়ে উপদেশ নেওয়ার পথে থাকবে তার কথা ভিন্ন। আর তোমরা যদি অসুস্থ কিংবা ভ্রমণে থাক, অথবা তোমাদের মধ্যে হতে কেউ পায়খানা করে আসে, অথবা তোমরা স্ত্রীদের স্পর্শ করো, তখন যদি পানি না পাও, তাহলে পবিত্র কোন কিছুর দ্বারা পরিষ্কার করে নিবে, এছাড়া নিজেদের মুখমন্ডল ও হাত দুটো মুছে নিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন মাফকারী ক্ষমাশীল।

সূরা : আন-নিসা

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ نَصِيبًا مِّنَ ٱلْكِتَٰبِ يَشْتَرُونَ ٱلضَّلَٰلَةَ وَيُرِيدُونَ أَن تَضِلُّوا۟ ٱلسَّبِيلَ

তুমি কি তাদেরকে দেখেছ, যাদেরকে আল কিতাবের (জ্ঞানের) থেকে কিছু অংশ দেয়া হয়েছে। তারাই তো পথ-ভ্রষ্টতা ক্রয় করছে। তারা কামনা করে যে, তোমরাও সঠিক পথ হারিয়ে ফেলো।*

*4(44) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(85)...।

সূরা : আন-নিসা

وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِأَعْدَآئِكُمْۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَلِيًّا وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ نَصِيرًا


আল্লাহ খুব ভালো জানেন তোমাদের শত্রুদের সম্পর্কে। আর অলি হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী হিসেবেও আল্লাহই যথেষ্ট। 

সূরা : আন-নিসা

مِّنَ ٱلَّذِينَ هَادُوا۟ يُحَرِّفُونَ ٱلْكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦ وَيَقُولُونَ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَٱسْمَعْ غَيْرَ مُسْمَعٍ وَرَٰعِنَا لَيًّۢا بِأَلْسِنَتِهِمْ وَطَعْنًا فِى ٱلدِّينِۚ وَلَوْ أَنَّهُمْ قَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَٱسْمَعْ وَٱنظُرْنَا لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ وَأَقْوَمَ وَلَٰكِن لَّعَنَهُمُ ٱللَّهُ بِكُفْرِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُونَ إِلَّا قَلِيلًا

হেদায়েতের দাবীদারদের (ইহুদীদের) মধ্যে কিছু লোক আছে যারা শব্দগুলোকে তার জায়গা থেকে পরিবর্তন করে ফেলে আর বলে, আমরা শুনেছি কিন্তু অমান্য করব। আর তুমি না শুনার মত ভান করে শুনবে। আর (বলে) আমাদের জন্য কিছু কম করা হোক। এসব কথা নিজেদের জিহ্বা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলে, জীবন ব্যাবস্থা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপের উদ্দেশ্য। তারা যদি বাস্তবিক বলত, আমরা শুনেছি, আমরা মেনেও চলব। আর তুমিও শুনে আমাদের প্রতি একটু দৃষ্টি দেও। তাহলে এতে তাদেরই জন্য কল্যাণ ও সংগত হবে । কিন্তু তাদের অবাধ্যতার কারণেই আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন, তাই তারা ঈমান আনবে না। মাত্র সামান্য কিছু লোক ছাড়া।

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ ءَامِنُوا۟ بِمَا نَزَّلْنَا مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُم مِّن قَبْلِ أَن نَّطْمِسَ وُجُوهًا فَنَرُدَّهَا عَلَىٰٓ أَدْبَارِهَآ أَوْ نَلْعَنَهُمْ كَمَا لَعَنَّآ أَصْحَٰبَ ٱلسَّبْتِۚ وَكَانَ أَمْرُ ٱللَّهِ مَفْعُولًا


ওহে যাদেরকে আল কিতাব দেয়া হয়েছে , তোমরা ঈমান আন, তার প্রতি যা আমি অবতীর্ণ করেছি তোমাদের সাথে যা আছে তার সত্যায়নকারী হিসেবে। চেহারা মিটিয়ে দেয়ার পূর্বেই। তাদেরকে পিঠের দিকে ঘুরিয়ে দেয়ার পূর্বেই। কিংবা আমি তাদেরকে অভিশাপ দিব, আরামপ্রিয়দের যেভাবে আমি অভিশাপ দিয়েছি। আর আল্লাহর আদেশ কার্যকরী হয়েই থাকে। 

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِۦ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشْرِكْ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱفْتَرَىٰٓ إِثْمًا عَظِيمًا

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর কিতাবের সাথে কোনো কিছু শিরক করাকে মাফ করেন না। কিন্তু তিনি এটা (শিরক) ছাড়া যা আছে যে উপযুক্ত তাকে মাফ করবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে তবে নিশ্চয়ই সে বিরাট বড় পাপ রচনা করে।

সূরা : আন-নিসা

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنفُسَهُمۚ بَلِ ٱللَّهُ يُزَكِّى مَن يَشَآءُ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلًا


তুমি তাদেরকে দেখনি ? যারা নিজেদেরকে বড়ই পবিত্র বলে প্রকাশ করছে ? বরং যে কেউ পবিত্র হতে চায় আল্লাহ তাকে পবিত্র করেন। আর সুতা পরিমাণও (কারও প্রতি) জুলুম-অত্যাচার করা হবে না।

সূরা : আন-নিসা

ٱنظُرْ كَيْفَ يَفْتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَۖ وَكَفَىٰ بِهِۦٓ إِثْمًا مُّبِينًا


লক্ষ্য করো তো ! কিভাবে তারা আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করে যাচ্ছে, প্রকাশ্য পাপ হিসাবে এটিই তো যথেষ্ট। 

সূরা : আন-নিসা

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ نَصِيبًا مِّنَ ٱلْكِتَٰبِ يُؤْمِنُونَ بِٱلْجِبْتِ وَٱلطَّٰغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ هَٰٓؤُلَآءِ أَهْدَىٰ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ سَبِيلًا

তুমি কি দেখনি ? যাদেরকে আল কিতাবের (জ্ঞানের) থেকে কিছু অংশ দেয়া হয়েছে, তারাও জিবত* ও তাগুতী (অর্থাৎ আল-কোরআন বহির্ভূত যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায় উপকরণের) উপরে ঈমান আনে। আর তারা কাফিরদের সম্পর্কে বলে ওরাই নাকি মুমিনদের চেয়ে অধিক সঠিকপথপ্রাপ্ত। 

* জিবত الجبتঅর্থ: যাদুকর, ভেলকিবাজ,তন্ত্র মন্ত্রের মাধ্যমে ঝার-ফুকে বিস্বাসী ইত্যাদি.......
এর ব্যাখ্যায় 2(102)।

সূরা : আন-নিসা

أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ لَعَنَهُمُ ٱللَّهُۖ وَمَن يَلْعَنِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ نَصِيرًا


এরাই তো সেই দল-আ‌ল্লাহ যাদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন। আর আল্লাহ যাকে অভিশাপ দেন, তার সাহায্যকারী হিসেবে কাউকে তুমি পাবে না। 

সূরা : আন-নিসা

أَمْ لَهُمْ نَصِيبٌ مِّنَ ٱلْمُلْكِ فَإِذًا لَّا يُؤْتُونَ ٱلنَّاسَ نَقِيرًا


তবে কি তাদের কাছে রাজত্বের কোন অংশ রয়েছে ? যদি তাই হতো তাহলে লোকজনকে তিলমাত্র কিছুই দিত না। 

সূরা : আন-নিসা

أَمْ يَحْسُدُونَ ٱلنَّاسَ عَلَىٰ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضْلِهِۦۖ فَقَدْ ءَاتَيْنَآ ءَالَ إِبْرَٰهِيمَ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَءَاتَيْنَٰهُم مُّلْكًا عَظِيمًا

কিংবা ওরা কি লোকজনের সাথে হিংসা করছে, আল্লাহ তাদেরকে তাঁর সাহায্য সামগ্রী থেকে যা কিছু দান করেছেন তার কারণে? আমি তো ইবরাহীমের বংশধরদেরকে আল কিতাব ও বিজ্ঞানের জ্ঞান-কৌশল দান করেছি। তাদেরকে আমি বিশাল সাম্রাজ্য দান করেছি। 

সূরা : আন-নিসা

فَمِنْهُم مَّنْ ءَامَنَ بِهِۦ وَمِنْهُم مَّن صَدَّ عَنْهُۚ وَكَفَىٰ بِجَهَنَّمَ سَعِيرا


অতঃপর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ তাঁর (কোরআনের) উপর ঈমান আনে আবার তাদের মধ্যে অনেকে এর থেকে সরে যায়। জাহান্নামের অগ্নিশিখাই তাদের জন্য যথেষ্ট।

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنَٰهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا۟ ٱلْعَذَابَۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا

নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করেছে, শীঘ্রই আমি তাদেরকে আগুনে পৌঁছে দিবো। যখন তাদের চামড়াগুলো জ্বলে যাবে, তখন তার বদলে তাদেরকে আরেকটা চামড়া দিব, যেন তারা শাস্তির স্বাদ নেয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : আন-নিসা

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًاۖ لَّهُمْ فِيهَآ أَزْوَٰجٌ مُّطَهَّرَةٌۖ وَنُدْخِلُهُمْ ظِلًّا ظَلِيلًا


আর যারা ঈমান এনেছে ও সংশোধনের কাজ করেছে, তাদেরকে আমি শীঘ্রই জান্নাতে প্রবেশ করাব। যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। তাদের জন্য সেখানে বিপরীত লিঙ্গের পবিত্র সাথীরা রয়েছে। তাদেরকে আমি ঘন ছায়ায় প্রবেশ করাবো।

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَن تُؤَدُّوا۟ ٱلْأَمَٰنَٰتِ إِلَىٰٓ أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُم بَيْنَ ٱلنَّاسِ أَن تَحْكُمُوا۟ بِٱلْعَدْلِۚ إِنَّ ٱللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِۦٓۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ سَمِيعًۢا بَصِيرًا

নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানত গুলোকে তার উপযোগী লোকদের কাছে সমর্পণ করবে। আর যখন তোমরা  লোকদের মাঝে ফায়সালা করবে, তখন ইনসাফের সাথে ফায়সালা দিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ যে সম্পর্কে তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, তা কতোইনা উত্তম! নিশ্চয় আল্লাহ হলেন এমন যে, তিনি সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন। *

*4(58),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 6(115)।

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُوا۟ ٱلرَّسُولَ وَأُو۟لِى ٱلْأَمْرِ مِنكُمْۖ فَإِن تَنَٰزَعْتُمْ فِى شَىْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِۚ ذَٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসুলের এবং তোমাদের মধ্য হতে নির্দেশের অধিকারীর (অর্থাৎ দায়িত্বশীলদের)। অতঃপর যদি তোমরা কোন কিছুর  ব্যাপারে মতভেদ করো, তবে তা আল্লাহ ও রাসূলের কাছে প্রত্যার্পণ করবে। যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাকো আল্লাহ ও আখেরাতের দিনের উপর। এই কাজটি খুবই উত্তম ও পরিণতিতে উৎকৃষ্টতর।*

*4(59) আয়াতের ব্যাখ্যায় 4(79-86),49(9)

সূরা : আন-নিসা

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ ءَامَنُوا۟ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُوٓا۟ إِلَى ٱلطَّٰغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوٓا۟ أَن يَكْفُرُوا۟ بِهِۦ وَيُرِيدُ ٱلشَّيْطَٰنُ أَن يُضِلَّهُمْ ضَلَٰلًۢا بَعِيدًا

তুমি কি তাদেরকে দেখনি ? যারা দাবী করছে, তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে আর তোমার পূর্ব থেকে যা অবতীর্ণ হয়ে আসছে, এসবে তারা ঈমান এনেছে। অথচ তারা নিজেদের সমস্যাদি নিয়ে তাগুতের (কোরআন বিরোধী আইনের) কাছেই যায়, সমাধানের জন্য। অথচ তা অমান্য করার জন্যেই এই কোরআন দ্বারা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসলে শয়তান চায় যে তাদেরকে বিভ্রান্ত করে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে।

সূরা : আন-নিসা

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا۟ إِلَىٰ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَإِلَى ٱلرَّسُولِ رَأَيْتَ ٱلْمُنَٰفِقِينَ يَصُدُّونَ عَنكَ صُدُودًا

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ  করেছেন, তোমরা সেদিকেই আসো এবং আল্লাহর বিশেষ রাসূলের দিকে। তখন তুমি মুনাফিক্ব-কপটদেরকে দেখবে, তারা তোমার থেকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে।

সূরা : আন-নিসা

فَكَيْفَ إِذَآ أَصَٰبَتْهُم مُّصِيبَةٌۢ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ ثُمَّ جَآءُوكَ يَحْلِفُونَ بِٱللَّهِ إِنْ أَرَدْنَآ إِلَّآ إِحْسَٰنًا وَتَوْفِيقًا

অতঃপর তখন কেমন হবে, যখন তাদের কাছে কোন বিপদ পৌঁছে। এ কারণে যা তাদের হাতগুলো আগে পাঠিয়েছে, এরপর তারা আল্লাহর নামে শপথ করতে করতে তোমার কাছে আসে,আর বলে, আমরা কল্যাণ ও সম্প্রীতি ছাড়া অন্য কিছু চাইনি।

সূরা : আন-নিসা

أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَعْلَمُ ٱللَّهُ مَا فِى قُلُوبِهِمْ فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ وَعِظْهُمْ وَقُل لَّهُمْ فِىٓ أَنفُسِهِمْ قَوْلًۢا بَلِيغًا

এরা তো সেই দল, তাদের অন্তরগুলোর মধ্যে যা কিছু রয়েছে আল্লাহ সবই জানেন। অতএব তুমি তাদের থেকে মূখ ফিরিয়ে নাও। তাদেরকে ওয়াজ করতে থাক। বিশেষ করে তাদের সম্পর্কে যে কথা বলবে তা যেন তাদের নিজেদের মধ্যে পৌঁছে যায়। 

সূরা : আন-নিসা

وَمَآ أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذْنِ ٱللَّهِۚ وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذ ظَّلَمُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ جَآءُوكَ فَٱسْتَغْفَرُوا۟ ٱللَّهَ وَٱسْتَغْفَرَ لَهُمُ ٱلرَّسُولُ لَوَجَدُوا۟ ٱللَّهَ تَوَّابًا رَّحِيمًا

আর আমি রাসূলদের কাউকে আল্লাহর
নির্দেশ অনুযায়ী ছাড়া অন্য কোন জিনিসের আনুগত্য করার জন্য প্রেরণ করিনা। মানুষেরা যখন নিজেদের উপর জুলুম করে বসে, তখন যদি তারা তোমার কাছে হাজির হয়, তার পরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে, আর রাসূলও তাদেরকে ক্ষমা  করার জন্য প্রার্থনা করে, তাহলে তারা আল্লাহকে তাওবাহ গ্রহণকারী দয়াময়রূপেই পাবে। *

*4(64),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 16(44),42(51),25(33,70,71),11(3)...।
এবং ক্ষমা প্রার্থনার ব্যাপারে 3(31,159),5(15), 9(79,80,103,104),47(19),63(5,6),2(219)...।
মুশরিকদের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনার ব্যাপারে 9(80,81,96,113,114,115),11(46),2(99),5(47)...।
তাওবাকারীর তাওবা করার পূর্বের জীবনের পাপ সম্পর্কে 5(93), 8(38),39(53,54)...।

সূরা : আন-নিসা

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا۟ فِىٓ أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا۟ تَسْلِيمًا

অতএব তোমার প্রতিপালকের শপথ, তারা মু'মিন হতে পারবে না ! যতক্ষন না তারা তোমাকে বিচারক মানবে সে ক্ষেত্রে, যে বিষয়ে তারা তাদের নিজেদের মাঝে মতভেদ তথা ঝগড়া করে। এরপর তুমি যে সিদ্ধান্ত দিবে, সে ব্যাপারে তারা নিজেদের মনের মধ্যে কোনও রকম কুণ্ঠাবোধ করবে না, আর তারা পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করবে।*

*24(51),49(15),33(36),3(31),4(80)...।

সূরা : আন-নিসা

وَلَوْ أَنَّا كَتَبْنَا عَلَيْهِمْ أَنِ ٱقْتُلُوٓا۟ أَنفُسَكُمْ أَوِ ٱخْرُجُوا۟ مِن دِيَٰرِكُم مَّا فَعَلُوهُ إِلَّا قَلِيلٌ مِّنْهُمْۖ وَلَوْ أَنَّهُمْ فَعَلُوا۟ مَا يُوعَظُونَ بِهِۦ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ وَأَشَدَّ تَثْبِيتًا


আর আমি যদি তাদের উপর লিখে দিতাম যে, তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো, কিংবা নিজেদের ঘরগুলো থেকে বের হয়ে যাও, তাহলে মানুষের মধ্যে হতে অল্প কিছু সংখ্যক লোক তা বাস্তবায়ন করত। মানুষেরা যদি বাস্তবায়ন করত, যে উপদেশ মানুষকে কোরআনের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে, তাহলে উপকার তো তাদেরই হত। এ কাজটি তাদের (ঈমান) মজবুত করত।

সূরা : আন-নিসা

وَإِذًا لَّءَاتَيْنَٰهُم مِّن لَّدُنَّآ أَجْرًا عَظِيمًا


আর তখন আমার নিজের কাছ থেকেই বিরাট প্রতিফল দান করতাম। 

সূরা : আন-নিসা

وَلَهَدَيْنَٰهُمْ صِرَٰطًا مُّسْتَقِيمًا


আর অবশ্যই আমি তাদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত পথে পরিচালিত করতাম।

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ فَأُو۟لَٰٓئِكَ مَعَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمَ ٱللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ ٱلنَّبِيِّۦنَ وَٱلصِّدِّيقِينَ وَٱلشُّهَدَآءِ وَٱلصَّٰلِحِينَۚ وَحَسُنَ أُو۟لَٰٓئِكَ رَفِيقًا

যে কেউ আল্লাহ এবং বিশেষ রাসূলের আনুগত্য করবে, তারাই তো এমন লোকের সাথী হবে, যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত (কোরআন) দান করেছেন। নবীদের,  সত্যবাদীদের, সাক্ষীদাতাদের, সংশোধনকারীদের। আর বন্ধু হিসেবে এরাই তো উত্তম।*

*4(69) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 49(15)...।

সূরা : আন-নিসা

ذَٰلِكَ ٱلْفَضْلُ مِنَ ٱللَّهِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ عَلِيمًا


এটা অনুগ্রহ আল্লাহর পক্ষ থেকে। সব কিছু জানতে আল্লাহই তো যথেষ্ট।

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ خُذُوا۟ حِذْرَكُمْ فَٱنفِرُوا۟ ثُبَاتٍ أَوِ ٱنفِرُوا۟ جَمِيعًا


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা তোমাদের সতর্কতা অবলম্বন করবে। অতঃপর তোমরা একত্রিত হয়ে দৃঢ়তার সাথে প্রতিরোধ করবে।

সূরা : আন-নিসা

وَإِنَّ مِنكُمْ لَمَن لَّيُبَطِّئَنَّ فَإِنْ أَصَٰبَتْكُم مُّصِيبَةٌ قَالَ قَدْ أَنْعَمَ ٱللَّهُ عَلَىَّ إِذْ لَمْ أَكُن مَّعَهُمْ شَهِيدًا

তোমাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে, যে পশ্চাদপদ হবেই, যদি তোমাদের উপরে কোন বিপদ পৌঁছে। তখন বলবে আল্লাহ আমার উপরে বড়ই অনুগ্রহ করেছেন যে; আমি সেখানে তাদের সাথে উপস্থিত ছিলাম না।

সূরা : আন-নিসা

وَلَئِنْ أَصَٰبَكُمْ فَضْلٌ مِّنَ ٱللَّهِ لَيَقُولَنَّ كَأَن لَّمْ تَكُنۢ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُۥ مَوَدَّةٌ يَٰلَيْتَنِى كُنتُ مَعَهُمْ فَأَفُوزَ فَوْزًا عَظِيمًا

কিন্তু যখনই আল্লাহর কাছ থেকে তোমাদের উপরে অনুগ্রহ করা হবে, তখন তারা এভাবেই বলবে, যেন এ ব্যাপারে তোমাদের সাথে তার কোনও বন্ধুত্বের সম্পর্কই ছিল না। হায় ! আমিও যদি তাদের সাথে থাকতাম, তাহলে আমি বিরাট সাফল্য লাভ করতাম। 

সূরা : আন-নিসা

فَلْيُقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يَشْرُونَ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا بِٱلْءَاخِرَةِۚ وَمَن يُقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيُقْتَلْ أَوْ يَغْلِبْ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا


সুতরাং যারা পরকালের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন বিক্রয় করে তারা যেন আল্লাহর পথে (কতলের মাধ্যমে কোরআনের বিদ্যা অর্জন করে ব্যক্তিত্বের কু-রিপুকে) হত্যা করে। আর যে আল্লাহর পথে কতলের মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের কু-রিপুকে হত্যা করবে অতঃপর সে অপমানিত হোক কিংবা বিজয়ী, অচিরেই আমি তাকে দেব মহা পুরস্কার।

সূরা : আন-নিসা

وَمَا لَكُمْ لَا تُقَٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلْوِلْدَٰنِ ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ ٱلْقَرْيَةِ ٱلظَّالِمِ أَهْلُهَا وَٱجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَٱجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا

আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর পথে কতলের মাধ্যমে প্রতিরোধ করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা অত্যাচারী-যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অলি নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।’*

*4(75), নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(91-101),4(98,99)...।

সূরা : আন-নিসা

ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ يُقَٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ يُقَٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱلطَّٰغُوتِ فَقَٰتِلُوٓا۟ أَوْلِيَآءَ ٱلشَّيْطَٰنِۖ إِنَّ كَيْدَ ٱلشَّيْطَٰنِ كَانَ ضَعِيفًا

যারা ঈমান এনেছে তারাই তো আল্লাহর কোরআনের পথে কতল করে (কোরআনের সঠিক বিদ্যা অর্জন করে নিজ ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিয়ে)। আর যারা কুফুরী করেছে তারা তাগুতের পথে কতল করে (কোরআন বিরোধী যাবতীয় শয়তানী বিদ্যা অর্জন করে নিজ ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিয়ে)। অতএব তোমরা শয়তানের বন্ধুদের কতলের মাধ্যমে অপমান করো। নিশ্চয় শয়তানের চালবাজি তো বড়ই দুর্বল হয়ে থাকে।

সূরা : আন-নিসা

أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ قِيلَ لَهُمْ كُفُّوٓا۟ أَيْدِيَكُمْ وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيْهِمُ ٱلْقِتَالُ إِذَا فَرِيقٌ مِّنْهُمْ يَخْشَوْنَ ٱلنَّاسَ كَخَشْيَةِ ٱللَّهِ أَوْ أَشَدَّ خَشْيَةًۚ وَقَالُوا۟ رَبَّنَا لِمَ كَتَبْتَ عَلَيْنَا ٱلْقِتَالَ لَوْلَآ أَخَّرْتَنَآ إِلَىٰٓ أَجَلٍ قَرِيبٍۗ قُلْ مَتَٰعُ ٱلدُّنْيَا قَلِيلٌ وَٱلْءَاخِرَةُ خَيْرٌ لِّمَنِ ٱتَّقَىٰ وَلَا تُظْلَمُونَ فَتِيلًا

তুমি কি দেখনি - যাদেরকে বলা হয়েছিল, তোমরা নিজেদের হাত সংযত রাখ, আর দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা কর ও সাহায্য প্রদান কর। অতঃপর  যখন তাদের জন্যে কিতাল লিখে দেওয়া হলো, তখন তাদের মধ্যে একদল তো মানুষকেই ভয় করতে লাগল। ঠিক যেমন কেউ আল্লাহকেই ভয় করে; বরং তার চেয়েও বেশী। তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদের উপরে কেন কিতাল  লিখে দিলেন ? যদি জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আরও একটু অবকাশ দিতেন। তুমি বলে দাও এই দুনিয়ার ভোগ সম্পদ তা তো সামান্যই। আর পরকাল সব চেয়ে উত্তম, যে ব্যক্তি (আল্লাহকে) ভয় করে তার জন্য। তোমাদের উপরে একবিন্দুও জুলুম করা হবে না।*

*4(77) নং আয়াতের আরবী كفو/ "কুফ্ফু" শব্দটির ব্যাখ্যায় 4(91) নং আয়াতে,যেখানে বলা হয়েছে, যারা নিজদের হাত গুটিয়ে না নেয়, তাহলে তাদেরকে পাকড়াও করবে এবং হত্যা করবে যেখানেই তাদের নাগাল পাবে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে যে, যারা হাত গুটানো মানে প্রচলিত নামাজে দাড়িয়ে বুকে দু’হাত বেধে রাখা মনে করেন,আর যারা বুকে দু’হাত বেধে নিবে না, অর্থাৎ যারা প্রচলিত সালাত/নামাজ কায়েম করবেনা তাদেরকে আমরা কি হত্যা করবো? 

সূরা : আন-নিসা

أَيْنَمَا تَكُونُوا۟ يُدْرِككُّمُ ٱلْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِى بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍۗ وَإِن تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا۟ هَٰذِهِۦ مِنْ عِندِ ٱللَّهِۖ وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا۟ هَٰذِهِۦ مِنْ عِندِكَۚ قُلْ كُلٌّ مِّنْ عِندِ ٱللَّهِۖ فَمَالِ هَٰٓؤُلَآءِ ٱلْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًا

যেখানেই তোমরা থাক - মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই। যদিও তোমরা সুদৃঢ় কেল্লার মধ্যে থাক না কেন ! যদি তাদের কোন ভালাই হয়, তখন বলে, এটি আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছে। আবার যদি তাদের কোনও অমঙ্গল ঘটে, তখন তারা বলে, এটি তোমার কারনেই ঘটল। তুমি বলে দাও, 'সব কিছুই আল্লাহর নিকট হ'তেই (আইন মতে ঘটে থাকে)। অতঃপর এসব লোকদের কি হল ? তারা একেবারেই কোন হাদিস বুঝতে চায় না।

সূরা : আন-নিসা

مَّآ أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ ٱللَّهِۖ وَمَآ أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٍ فَمِن نَّفْسِكَۚ وَأَرْسَلْنَٰكَ لِلنَّاسِ رَسُولًاۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدًا

তোমার যা কিছু কল্যাণ হয়, তা আসে শুধু আল্লাহর কাছ থেকে। আর যা অমঙ্গল ঘটে, তা তোমার নিজের কৃতকর্মের কারণেই ঘটে। আর আমি তো তোমাকে মানুষের জন্যে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছি। আর (এর) সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। 

সূরা : আন-নিসা

مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرْسَلْنَٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا


যে কেউ রাসূলের আনুগত্য করে, তবে নিশ্চয়ই সে আল্লাহর আনুগত্য করল। এবং যে মুখ ফিরালো (তাতে কোন দুঃখ নেই) কারণ আমি তোমাকে তাদের উপর রক্ষক হিসেবে পাঠাইনি।

সূরা : আন-নিসা

وَيَقُولُونَ طَاعَةٌ فَإِذَا بَرَزُوا۟ مِنْ عِندِكَ بَيَّتَ طَآئِفَةٌ مِّنْهُمْ غَيْرَ ٱلَّذِى تَقُولُۖ وَٱللَّهُ يَكْتُبُ مَا يُبَيِّتُونَۖ فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ وَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلًا

তারা বলে, আমরা আনুগত্য করি। অতঃপর তারা যখন তোমার নিকট হতে বের হয়, তখন তাদেরই মধ্য হতে একটি দল রাতে পরামর্শ করে, সে কথার বিপরীত যা তারা তোমার কাছে নিজেদের মুখেই বলেছে। আল্লাহ তা লিখে রাখছেন, যা তারা রাতে শলা পরামর্শ করেছে। অতএব তুমি তাদের থেকে  মূখ ফিরিয়ে নাও। আর তুমি ভরসা কর আল্লাহর উপর। ভরসা স্থল হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। 

সূরা : আন-নিসা

أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلْقُرْءَانَۚ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُوا۟ فِيهِ ٱخْتِلَٰفًا كَثِيرًا


অতঃপর তারা কি কোরআন সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করে না ? আর এই কোরআন যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট থেকে হতো, তবে তারা অবশ্যই এর মধ্যে বহু অসঙ্গতি পেত। 

সূরা : আন-নিসা

وَإِذَا جَآءَهُمْ أَمْرٌ مِّنَ ٱلْأَمْنِ أَوِ ٱلْخَوْفِ أَذَاعُوا۟ بِهِۦۖ وَلَوْ رَدُّوهُ إِلَى ٱلرَّسُولِ وَإِلَىٰٓ أُو۟لِى ٱلْأَمْرِ مِنْهُمْ لَعَلِمَهُ ٱلَّذِينَ يَسْتَنۢبِطُونَهُۥ مِنْهُمْۗ وَلَوْلَا فَضْلُ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُۥ لَٱتَّبَعْتُمُ ٱلشَّيْطَٰنَ إِلَّا قَلِيلًا

তাদের কাছে যখন শান্তির কিংবা আশংকাজনক কোন খবর পৌঁছায়, তখন তারা সে খবর ছড়িয়ে বেড়ায়। তারা যদি রাসূলের কাছে তা পৌঁছাতো আর তাদের মধ্যে যারা দায়িত্বশীল তাদের কাছে পৌঁছাতো তাহলে তারাই বুঝতে পারত, যারা তাদের মধ্যে অনুসন্ধানকারী রয়েছে। আল্লাহর ফজল (সাহায্য) যদি না-ই হত, ও তাঁর  কাছ থেকে যদি অনুগ্রহ না-ই আসতো, তাহলে অল্প কয়েকজন ছাড়া তোমাদের সবাই শয়তানের অনুগামী হয়ে পড়তে। 

সূরা : আন-নিসা

فَقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفْسَكَۚ وَحَرِّضِ ٱلْمُؤْمِنِينَۖ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأْسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ۚ وَٱللَّهُ أَشَدُّ بَأْسًا وَأَشَدُّ تَنكِيلًا


অতএব তুমি আল্লাহর কোরআনের পথে কিতাল কর। তোমার নিজের দায়িত্ব ছাড়া আর অন্য কোন ব্যপারে তোমাকে দায়ী করা হবে না। মুমিনদেরকে তুমি উৎসাহ দাও। আশা করা যায় আল্লাহ কাফিরদের শক্তিকে সংযত/প্রতিহত করে দিবেন। কষ্ট ও শাস্তি দানের ব্যাপারে আল্লাহ বড়ই কঠোর। 

সূরা : আন-নিসা

مَّن يَشْفَعْ شَفَٰعَةً حَسَنَةً يَكُن لَّهُۥ نَصِيبٌ مِّنْهَاۖ وَمَن يَشْفَعْ شَفَٰعَةً سَيِّئَةً يَكُن لَّهُۥ كِفْلٌ مِّنْهَاۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ مُّقِيتًا

যে কেউ উত্তম কাজের সুপারিশ করবে, তার জন্য তা থেকে একটি অংশ থাকবে। আবার যে কেউ কোনো মন্দ কাজের সুপারিশ করবে, তার জন্যেও তার থেকে একটি অংশ থাকবে। আল্লাহ সব কিছুরই উপর ক্ষমতা রাখেন। 

সূরা : আন-নিসা

وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا۟ بِأَحْسَنَ مِنْهَآ أَوْ رُدُّوهَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ حَسِيبًا


তোমাদেরকে যখন কেউ পবিত্র কোন কিছু উপঢৌকন দিবে, তখন তার চাইতে উত্তম কিছু তাদেরকে দিবে, কিংবা তোমরা ঠিক তেমনই কিছু ফেরৎ দিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব বিষয়ে হিসাব নিবেন।

সূরা : আন-নিসা

ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ لَيَجْمَعَنَّكُمْ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِ لَا رَيْبَ فِيهِۗ وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ ٱللَّهِ حَدِيثًا

আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন সত্যিকারের আইন দাতা  নেই। তিনি নিশ্চয়ই তোমাদেরকে কিয়ামতের দিনের দিকে একত্রিত করবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্য হাদিস বলার মত আর কেই বা থাকতে পারে ?

সূরা : আন-নিসা

فَمَا لَكُمْ فِى ٱلْمُنَٰفِقِينَ فِئَتَيْنِ وَٱللَّهُ أَرْكَسَهُم بِمَا كَسَبُوٓا۟ۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَهْدُوا۟ مَنْ أَضَلَّ ٱللَّهُۖ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ سَبِيلًا



অতঃপর তোমাদের কি হয়েছে? মুনাফিক-কপট লোকদের ব্যাপারে তোমরা দু'দলে ভাগ হয়ে যাও, অথচ আল্লাহই তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের কারণে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিতে থাকেন। তোমরা কি চাও যে তোমরা তাদেরকে হিদায়াত দিবে? আল্লাহ থেকে যে বিভ্রান্ত হয়েছে। আর যে আল্লাহ থেকে বিভ্রান্ত হয়, তার জন্যে কোনও পথ তোমরা পাবে না। 

সূরা : আন-নিসা

وَدُّوا۟ لَوْ تَكْفُرُونَ كَمَا كَفَرُوا۟ فَتَكُونُونَ سَوَآءًۖ فَلَا تَتَّخِذُوا۟ مِنْهُمْ أَوْلِيَآءَ حَتَّىٰ يُهَاجِرُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِۚ فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَخُذُوهُمْ وَٱقْتُلُوهُمْ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْۖ وَلَا تَتَّخِذُوا۟ مِنْهُمْ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا


তারা কামনা করছে যে, তোমরাও কাফির হয়ে যাও, যেমন তারা কাফির হয়েছে। তবে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাবে। সুতরাং তোমরা তাদের মধ্য থেকে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে না, যতক্ষন না তারা আল্লাহর কোরআনের পথে হিজরত করবে।  অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় (অর্থাৎ তোমাদেরকে আক্রমণ করে), তবে তোমরাও তাদেরকে ধরবে। যেখানে পাবে তাদেরকে কতলের মাধ্যমে অপমান করবে। তাদের মধ্য হতে কাউকে তোমরা বন্ধু ও সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করবে না।

সূরা : আন-নিসা

إِلَّا ٱلَّذِينَ يَصِلُونَ إِلَىٰ قَوْمٍۭ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُم مِّيثَٰقٌ أَوْ جَآءُوكُمْ حَصِرَتْ صُدُورُهُمْ أَن يُقَٰتِلُوكُمْ أَوْ يُقَٰتِلُوا۟ قَوْمَهُمْۚ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَسَلَّطَهُمْ عَلَيْكُمْ فَلَقَٰتَلُوكُمْۚ فَإِنِ ٱعْتَزَلُوكُمْ فَلَمْ يُقَٰتِلُوكُمْ وَأَلْقَوْا۟ إِلَيْكُمُ ٱلسَّلَمَ فَمَا جَعَلَ ٱللَّهُ لَكُمْ عَلَيْهِمْ سَبِيلا


তবে যারা এমন জাতির প্রতি (নিরাপত্তার) দায়িত্ব পালন করছে, যাদের ও তোমাদের মাঝে চুক্তি রয়েছে। অথবা তারা তোমাদের কাছে এমনভাবে আসে যে, তোমাদের অপমান করতে অথবা তাদের নিজেদের সম্প্রদায়ের অপমান করতে তাদের অন্তর অনিচ্ছুক। আর যদি আল্লাহ চাইতেন অবশ্যই তোমাদের উপর তাদেরকে ক্ষমতা দিতে পারতেন। তখন তারা তোমাদেরকে অপমান করতই। সুতরাং তারা যদি তোমাদের থেকে সরে দাঁড়ায় অতঃপর তোমাদেরকে অপমান না করে এবং তোমাদের কাছে শান্তির প্রস্তাব দেয়, তবে আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জন্যে কোন পথ রাখেন না। 

সূরা : আন-নিসা

سَتَجِدُونَ ءَاخَرِينَ يُرِيدُونَ أَن يَأْمَنُوكُمْ وَيَأْمَنُوا۟ قَوْمَهُمْ كُلَّ مَا رُدُّوٓا۟ إِلَى ٱلْفِتْنَةِ أُرْكِسُوا۟ فِيهَاۚ فَإِن لَّمْ يَعْتَزِلُوكُمْ وَيُلْقُوٓا۟ إِلَيْكُمُ ٱلسَّلَمَ وَيَكُفُّوٓا۟ أَيْدِيَهُمْ فَخُذُوهُمْ وَٱقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْۚ وَأُو۟لَٰٓئِكُمْ جَعَلْنَا لَكُمْ عَلَيْهِمْ سُلْطَٰنًا مُّبِينًا


এমন আরও একদল পাবে তোমরা-যারা তোমাদের থেকে নিরাপত্তা পেতে চায়। আর নিরাপত্তা পেতে চায় তাদের নিজেদের জাতি হতেও। কিন্তু যখনই তাদেরকে ফিতনার দিকে ফিরানো হয়, তখন তারা তার মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অতএব তারা যদি তোমাদের থেকে সরে না যায় এবং তোমাদের কাছে যদি তারা শান্তি চুক্তির প্রস্তাব না রাখে, তাদের হাতগুলো যদি বিরত না রাখে, তবে তোমরা তাদেরকে পাকড়াও করবে, তাদেরকে কতল/অপমান করবে, যেখানেই তোমরা তাদেরকে পাবে। তাদের উপর তোমাদেরকে স্পষ্ট অধিকার দেওয়া হয়েছে।

সূরা : আন-নিসা

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ أَن يَقْتُلَ مُؤْمِنًا إِلَّا خَطَـًٔاۚ وَمَن قَتَلَ مُؤْمِنًا خَطَـًٔا فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍ وَدِيَةٌ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهْلِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَصَّدَّقُوا۟ۚ فَإِن كَانَ مِن قَوْمٍ عَدُوٍّ لَّكُمْ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍۖ وَإِن كَانَ مِن قَوْمٍۭ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُم مِّيثَٰقٌ فَدِيَةٌ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهْلِهِۦ وَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مُّؤْمِنَةٍۖ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ تَوْبَةً مِّنَ ٱللَّهِۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا

ভূল বশতঃ ছাড়া কোনো মুমিন লোকের পক্ষে শোভা পায় না যে, সে অন্য একজন মুমিনকে হত্যা করবে, তবে ভূল বশতঃ করলে তার উচিত একটি বন্দি মানুষকে মুক্ত করে দেয়া, আর ক্ষতিপূরণ আদায় করা। যা তার পরিবারদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তবে তারা যদি ক্ষমা করে দেয়, সে কথা ভিন্ন। আর নিহত ব্যক্তি যদি তোমাদের শত্রু পক্ষের হয়, কিন্তু সে নিজে মুমিন ছিল, তাহলে একটি মুমিন বন্দী লোককে মুক্তি দিতে হবে। নিহত ব্যক্তি যদি এমন কওমের লোক হয় যাদের সাথে তোমাদের চুক্তি বহাল রয়েছে, তাহলে নিহত ব্যক্তির পরিবার পরিজনকে ক্ষতিপুরণ বাবদ পাওনা পৌঁছে দিতে হবে। আর একটি মুমিন বন্দী লোককে মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু কেউ যদি তা না পারে, তাহলে বরাবর দু'মাস ধরে তাকে সিয়াম পালন করতে হবে। তাওবার এ নিয়মটি আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত। আর আল্লাহ মহান জ্ঞানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।*

*4(92),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,2(178),5(45)।

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُهُۥ جَهَنَّمُ خَٰلِدًا فِيهَا وَغَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُۥ وَأَعَدَّ لَهُۥ عَذَابًا عَظِيمًا

আর যে কেউ কোন মু'মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে (জেনে-বুঝে) হত্যা করবে, তার শাস্তি হলো জাহান্নাম। সেখানেই তাকে চিরকাল থাকতে হবে, আল্লাহ তার উপর ক্রুদ্ধ হবেন এবং তাকে লা'নত করবেন। আর তার জন্যে বিরাট শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। 

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا ضَرَبْتُمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَتَبَيَّنُوا۟ وَلَا تَقُولُوا۟ لِمَنْ أَلْقَىٰٓ إِلَيْكُمُ ٱلسَّلَٰمَ لَسْتَ مُؤْمِنًا تَبْتَغُونَ عَرَضَ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا فَعِندَ ٱللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٌۚ كَذَٰلِكَ كُنتُم مِّن قَبْلُ فَمَنَّ ٱللَّهُ عَلَيْكُمْ فَتَبَيَّنُوٓا۟ۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা যখন আল্লাহর পথে (কোরআনের কাজে) বের হবে, তখন তোমরা যাচাই করবে। যে ব্যক্তি তোমাদের কাছে আনুগত্য প্রকাশ করবে তাকে এমন কথা বলবেনা যে, তুমি মুমিন নও। সে তো পার্থিব সুযোগ সুবিধার আশা রাখে। কারণ আল্লাহর কাছে লাভের মাল প্রচুর পরিমাণ মওজুদ রয়েছে। আর তোমরাও তো ইতিপূর্বে এরূপই ছিলে। আল্লাহ তোমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। সুতরাং তোমরা যাচাই করে নিবে। নিশ্চয় আল্লাহ ঐ বিষয়ে সব খবর রাখছেন, তোমরা যা কাজ করে যাচ্ছো।*

*4(94) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 48(15,16)...।

সূরা : আন-নিসা

لَّا يَسْتَوِى ٱلْقَٰعِدُونَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُو۟لِى ٱلضَّرَرِ وَٱلْمُجَٰهِدُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْۚ فَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلْمُجَٰهِدِينَ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ عَلَى ٱلْقَٰعِدِينَ دَرَجَةًۚ وَكُلًّا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلْحُسْنَىٰۚ وَفَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلْمُجَٰهِدِينَ عَلَى ٱلْقَٰعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا

মুমিনদের মধ্যে যারা কোনও রকম অসুবিধা না থাকা স্বত্বেও ঘরে বসে থাকে, আর যারা নিজেদের মাল-সম্পদ ও জান দিয়ে আল্লাহর কোরআনের পথে উৎকৃষ্টতমকর্ম করে থাকে, এরা মোটেই সমান হতে পারে না। আল্লাহ উৎকৃষ্টতমকর্ম কারীদেরকে তাদের মাল সম্পদ ও জানের ব্যাপারে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, যারা ঘরের মধ্যে বসে থাকে তাদের তুলনায়। আর সবার সাথেই তো আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন। কিন্তু আল্লাহ বসে থাকাদের উপর উৎকৃষ্টতম কর্মকারীদেরকে মহা পুরস্কারের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন । 

সূরা : আন-নিসা

دَرَجٰتٍ مِّنْهُ وَمَغْفِرَةً وَّرَحْمَةً ؕ وَكَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا


তাঁর পক্ষ থেকে অনেক মর্যাদা, ক্ষমা ও রহমত রয়েছে। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল, মেহেরবান।  

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱلَّذِينَ تَوَفَّىٰهُمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ ظَالِمِىٓ أَنفُسِهِمْ قَالُوا۟ فِيمَ كُنتُمْۖ قَالُوا۟ كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِى ٱلْأَرْضِۚ قَالُوٓا۟ أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ ٱللَّهِ وَٰسِعَةً فَتُهَاجِرُوا۟ فِيهَاۚ فَأُو۟لَٰٓئِكَ مَأْوَىٰهُمْ جَهَنَّمُۖ وَسَآءَتْ مَصِيرًا

অবশ্যই যারা নিজেদের প্রতি জুলুমকারী ছিল, তাদের জান বের করার জন্যে যখন মালা-ইকারা হাজির হয়, তখন তারা জিজ্ঞাসা করে তোমরা নিজ দেশে কেমন ছিলে ? উত্তরে তারা বলে, আমরা তো আমাদের দেশে বড়ই দুর্বল ছিলাম। তখন আল্লাহর মালা-ইকারা বলে আল্লাহর জমিন কি প্রশস্ত ছিল না ! তোমাদের উচিত ছিল দেশ ত্যাগ করে কোথাও চলে যাওয়া। অতএব ঐসব তারাই, যাদের বাসস্থল জাহান্নাম। আর তা অতি খারাপ গন্তব্যস্থান। 

সূরা : আন-নিসা

إِلَّا ٱلْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلْوِلْدَٰنِ لَا يَسْتَطِيعُونَ حِيلَةً وَلَا يَهْتَدُونَ سَبِيلًا


তবে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে যারা দূর্বল, আর শিশুদের কথা ভিন্ন। যারা কোনো উপায় অবলম্বন করতে সক্ষম হয় না, আর সঠিক খুজে পায় না। 

সূরা : আন-নিসা

فَأُو۟لَٰٓئِكَ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَعْفُوَ عَنْهُمْۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَفُوًّا غَفُورًا


তবে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে যারা দূর্বল, আর শিশুদের কথা ভিন্ন। যারা কোনো উপায় অবলম্বন করতে সক্ষম হয় না, আর সঠিক খুজে পায় না। 

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يُهَاجِرْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ يَجِدْ فِى ٱلْأَرْضِ مُرَٰغَمًا كَثِيرًا وَسَعَةًۚ وَمَن يَخْرُجْ مِنۢ بَيْتِهِۦ مُهَاجِرًا إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ يُدْرِكْهُ ٱلْمَوْتُ فَقَدْ وَقَعَ أَجْرُهُۥ عَلَى ٱللَّهِۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًا رَّحِيما


যে ব্যক্তি আল্লাহর কোরআনের পথে হিজরত করবে, সে তো দুনিয়াতে বহু আশ্রয়স্থল ও প্রাচুর্য লাভের জায়গা পাবে, সুযোগ সুবিধা পাবে। যে কেউ নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলের দিকে চলে আসবে, পরে যদি তার মৃত্যু এসে যায়, তবে নিশ্চয়ই তার পুরস্কারের দায়িত্বভার আল্লাহর উপর থাকবে। আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, মেহেরবান।

সূরা : আন-নিসা

وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِى ٱلْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَقْصُرُوا۟ مِنَ ٱلصَّلَوٰةِ إِنْ خِفْتُمْ أَن يَفْتِنَكُمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ۚ إِنَّ ٱلْكَٰفِرِينَ كَانُوا۟ لَكُمْ عَدُوًّا مُّبِينًا


আর যখন তোমরা দেশে ভ্রমনে থাকবে, তখন তোমাদের দায়িত্ব পালন সংক্ষিপ্ত করলে কোনো দোষ নেই। যদি ভয় কর যে, কাফিররা তোমাদেরকে বিপদে ফেলবে। নিশ্চয় কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্যে শত্রু। 

সূরা : আন-নিসা

وَإِذَا كُنتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ ٱلصَّلَوٰةَ فَلْتَقُمْ طَآئِفَةٌ مِّنْهُم مَّعَكَ وَلْيَأْخُذُوٓا۟ أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا۟ فَلْيَكُونُوا۟ مِن وَرَآئِكُمْ وَلْتَأْتِ طَآئِفَةٌ أُخْرَىٰ لَمْ يُصَلُّوا۟ فَلْيُصَلُّوا۟ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا۟ حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْۗ وَدَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُم مَّيْلَةً وَٰحِدَةًۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن كَانَ بِكُمْ أَذًى مِّن مَّطَرٍ أَوْ كُنتُم مَّرْضَىٰٓ أَن تَضَعُوٓا۟ أَسْلِحَتَكُمْۖ وَخُذُوا۟ حِذْرَكُمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ أَعَدَّ لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا

এবং তুমি যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে ও তাদের জন্যে দায়িত্ব পালন করবে, তখন যেন তাদের মধ্য হ'তে একদল তোমার সঙ্গে (দায়িত্ব পালনে) দাড়ায় আর তারা যেন তাদের অস্ত্র (কোরআন) কাছে রাখে। অতঃপর তাদের পরম আনুগত্য করা হলে, তখন তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে, আর অন্য একদল যারা দায়িত্ব পালন করে নাই তারা যেন তোমার সাথে এসে দায়িত্ব পালন করে এবং তারাও যেনো তাদের সতর্কতা অবলম্বন করে ও অস্ত্র কাছে রাখে। কাফিররা কামনা করে যেনো তোমরা তোমাদের অস্ত্র ও সাজ সরঞ্জাম সম্বন্ধে গাফিল হও যাতে তারা তোমাদের উপর একসাথেই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। কিন্তু তোমাদের কোনো দোষ নেই যদি বৃষ্টির জন্য তোমাদের কষ্ট হয় অথবা তোমাদের অসুখ হয় আর তোমরা অস্ত্র (কোরআন) রেখে দাও, কিন্তু তোমরা তোমাদের সতর্কতা অবলম্বন করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের জন্য লাঞ্চনাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।*

*4(102) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 8(60-62),5(105)...।

সূরা : আন-নিসা

فَإِذَا قَضَيْتُمُ ٱلصَّلَوٰةَ فَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ قِيَٰمًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمْۚ فَإِذَا ٱطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَۚ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتْ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ كِتَٰبًا مَّوْقُوتًا

অতঃপর যখন তোমরা দায়িত্ব পালন সমাপ্ত করবে, তখন আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকবে দাঁড়িয়ে, বসে ও শোয়া অবস্থায়। পরে যখন তোমরা নিরাপদ হবে, তখন নিয়ম মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবে। নিশ্চয়ই মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে দায়িত্ব পালন করা লিখে দেওয়া হয়েছে। 

সূরা : আন-নিসা

وَلَا تَهِنُوا۟ فِى ٱبْتِغَآءِ ٱلْقَوْمِۖ إِن تَكُونُوا۟ تَأْلَمُونَ فَإِنَّهُمْ يَأْلَمُونَ كَمَا تَأْلَمُونَۖ وَتَرْجُونَ مِنَ ٱللَّهِ مَا لَا يَرْجُونَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا

তোমরা শত্রু জাতির পিছনে ধাওয়া করতে সাহস হারিয়ো না। যদি তোমরা যন্ত্রণা পেয়ে থাকো, তবে নিশ্চয়ই তারাও তো তোমাদের মত যন্ত্রণা পায়, যেভাবে তোমরা যন্ত্রণা পাও। তোমরা আল্লাহর পক্ষ হতে  (পুরস্কারের) আশা করছো, তারা তা আশা করে না। আল্লাহ হলেন মহাজ্ঞানী ও মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : আন-নিসা

إِنَّآ أَنزَلْنَآ إِلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ ٱلنَّاسِ بِمَآ أَرَىٰكَ ٱللَّهُۚ وَلَا تَكُن لِّلْخَآئِنِينَ خَصِيمًا

নিশ্চয়ই আমি তোমার প্রতি আল কিতাব সত্য সহকারে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তুমি লোকদের মাঝে ঠিক সেই অনুসারে বিচার করে দিতে পারো। আল্লাহ যা কিছু তোমাকে দেখিছেন। তুমি খিয়ানতকারীদের জন্য বিতর্ককারী হবে না। 

সূরা : আন-নিসা

وَٱسْتَغْفِرِ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا


আল্লাহর কাছে তুমি ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান ! 

সূরা : আন-নিসা

وَلَا تُجَٰدِلْ عَنِ ٱلَّذِينَ يَخْتَانُونَ أَنفُسَهُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ خَوَّانًا أَثِيمًا


আর তুমি তাদের জন্য বিতর্ক করবে না, যারা তাদের নিজেদের উপর খিয়ানত করছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে পছন্দ করেন না, যে হয় খিয়ানতকারী, পাপিষ্ঠ।

সূরা : আন-নিসা

يَسْتَخْفُونَ مِنَ ٱلنَّاسِ وَلَا يَسْتَخْفُونَ مِنَ ٱللَّهِ وَهُوَ مَعَهُمْ إِذْ يُبَيِّتُونَ مَا لَا يَرْضَىٰ مِنَ ٱلْقَوْلِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطًا


যারা মানুষের কাছে লজ্জা পায় আর আল্লাহর কাছে পায় না; অথচ আল্লাহ তাদের কাছেই থাকেন, বিশেষ বাণী থেকে যখন আল্লাহর খেলাফ তারা অন্ধকার মতবাদের ব্যাপারে সলা-পরামর্শে ব্যস্ত থাকে। আল্লাহ ঐ বিষয়ে পরিবেষ্টন করে আছেন, যা কাজ-কর্ম তারা করছে ।

সূরা : আন-নিসা

هَٰٓأَنتُمْ هَٰٓؤُلَآءِ جَٰدَلْتُمْ عَنْهُمْ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا فَمَن يُجَٰدِلُ ٱللَّهَ عَنْهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ أَم مَّن يَكُونُ عَلَيْهِمْ وَكِيلًا


হ্যাঁ, তোমরাই ঐসব লোক, তোমরা পার্থিব জীবনে তাদের পক্ষে বিতর্ক করছ। অতঃপর কে আল্লাহর সাথে কিয়ামতের দিন তাদের পক্ষে বিতর্ক করবে? অথবা কে হবে তাদের পক্ষে উকিল ? 

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يَعْمَلْ سُوٓءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُۥ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا


আর যে কেউ মন্দ কাজ করবে, কিংবা নিজের উপরে জুলুম করবে, এরপর সে যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে সে আল্লাহ'কে ক্ষমাশীল, মেহেরবান হিসাবে পাবে।

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يَكْسِبْ إِثْمًا فَإِنَّمَا يَكْسِبُهُۥ عَلَىٰ نَفْسِهِۦۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا


এবং যে কেউ পাপ অর্জন করবে তাহলে মূলত তার ফলাফল সে নিজেই ভুগবে ! আল্লাহ সবই তো জানেন। তিনি মহা জ্ঞানী ও মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يَكْسِبْ خَطِيٓـَٔةً أَوْ إِثْمًا ثُمَّ يَرْمِ بِهِۦ بَرِيٓـًٔا فَقَدِ ٱحْتَمَلَ بُهْتَٰنًا وَإِثْمًا مُّبِينًا


আর যে নিজে কোন অপরাধ করে, কিংবা গুরুতর কোনো পাপ কাজ করে, এরপর তা কোন নির্দোষ ব্যক্তির উপর দোষ চাপিয়ে দেয়, তবে নিশ্চয়ই সে মিথ্যা অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করল।

সূরা : আন-নিসা

وَلَوْلَا فَضْلُ ٱللَّهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهُۥ لَهَمَّت طَّآئِفَةٌ مِّنْهُمْ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمْۖ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَىْءٍۚ وَأَنزَلَ ٱللَّهُ عَلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُن تَعْلَمُۚ وَكَانَ فَضْلُ ٱللَّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا


আল্লাহর সাহায্য ও দয়া যদি তোমার উপরে না-ই থাকে, তাহলে একদল তো তোমাকে বিভ্রান্ত করার সংকল্প  করেছে, তারা তো কাউকে পথভ্রষ্ট করতে পারবে না, নিজেদেরকে ছাড়া। তারা তো তোমার কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ তোমার উপর আল কিতাব ও বিজ্ঞানের জ্ঞান কৌশল অবতীর্ণ করেছেন। এবং তোমাকে তাই শিখিয়েছেন যা তুমি জানতে না। তোমার উপরে তো আল্লাহর বিরাট অনুগ্রহ রয়েছে।

সূরা : আন-নিসা

لَّا خَيْرَ فِى كَثِيرٍ مِّن نَّجْوَىٰهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَٰحٍۭ بَيْنَ ٱلنَّاسِۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ ٱبْتِغَآءَ مَرْضَاتِ ٱللَّهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا


লোকদের খুব বেশী গোপন সলাপরামর্শে কোনও কল্যাণ হয় না। তবে যারা খুশিমনে নির্দেশ মতে দান-খয়রাত করে, কিংবা সুপরিচিত বিধি মোতাবেক কাজ করে ও লোকদের মাঝে সংশোধন আর উন্নতির জন্য চেষ্টা করে, যে কেউ এ সব কাজ করবে, শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য-তাকে আমি শীঘ্রই বিরাট প্রতিফল দান করব।

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يُشَاقِقِ ٱلرَّسُولَ مِنۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ ٱلْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ ٱلْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِۦ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصْلِهِۦ جَهَنَّمَۖ وَسَآءَتْ مَصِيرًا

এবং যে কেউ রাসূলের বিরোধিতা করবে, তাকে সত্য সঠিক কর্তব্য পরিস্কার ভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পরেও, মুমিনদের পথ ছাড়া যে কেউ অন্য পথ অনুসরণ করবে, তাহলে সে যা চায় তাকে আমি তাই করতে দিবো, তাকে আমি জাহান্নামে পৌঁছে দিবো। আর তা কতো নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থল।*

*4(115),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,8(13),9(61-63),33(58,59),47(25,32),59(4)...।

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِۦ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشْرِكْ بِٱللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَٰلًۢا بَعِيدًا

নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমা করেন না, যদি তাঁর কিতাবের সাথে কোন কিছু শরীক করা হয়। এছাড়া আর যা কিছু নিজের মর্জি অনুসারে ক্ষমা করেন। যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করবে, নিশ্চয় সে বিভ্রান্ত হয়ে  অনেক দূরেই সরে যাবে।

সূরা : আন-নিসা

إِن يَدْعُونَ مِن دُونِهِۦٓ إِلَّآ إِنَٰثًا وَإِن يَدْعُونَ إِلَّا شَيْطَٰنًا مَّرِيدًا

আল্লাহ ছাড়া তারা শুধু নারীদের ডাকে এবং কেবল* বিদ্রোহী শয়তানকে ডাকে।

সূরা : আন-নিসা

لَّعَنَهُ ٱللَّهُۘ وَقَالَ لَأَتَّخِذَنَّ مِنْ عِبَادِكَ نَصِيبًا مَّفْرُوضًا


যাকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন, সে বলে আমি নিশ্চয়ই তোমার দাসদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আনুগত্য আদায় করে ছাড়বো। 

সূরা : আন-নিসা

وَلَأُضِلَّنَّهُمْ وَلَأُمَنِّيَنَّهُمْ وَلَءَامُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ ءَاذَانَ ٱلْأَنْعَٰمِ وَلَءَامُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ ٱللَّهِۚ وَمَن يَتَّخِذِ ٱلشَّيْطَٰنَ وَلِيًّا مِّن دُونِ ٱللَّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِينًا

আর অবশ্যই আমি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবো, আর অবশ্যই আমি তাদেরকে মিথ্যা আশা আকাঙ্ক্ষা দিবো, আর অবশ্যই আমি তাদেরকে নির্দেশ দিব, ফলে তারা অবশ্যই গবাদি পশুর মতো নির্দেশ পালন করবে। আর আমি অবশ্যই তাদেরকে নির্দেশ দিব, ফলে তারা অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে, আর যে কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে অলি রূপে গ্রহণ করে, তবে নিশ্চয়ই সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।*

*4(119) নং আয়াতে "اذان"/ "আযান" শব্দটির ব্যাখ্যায় 84(2,5)...।

সূরা : আন-নিসা

يَعِدُهُمْ وَيُمَنِّيهِمْۖ وَمَا يَعِدُهُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ إِلَّا غُرُورًا


সে তাদেরকে ওয়াদা দেয় এবং তাদেরকে আশা দেয়, আসলে শয়তানের যত ওয়াদা, প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।

সূরা : আন-নিসা

أُو۟لَٰٓئِكَ مَأْوَىٰهُمْ جَهَنَّمُ وَلَا يَجِدُونَ عَنْهَا مَحِيصًا

তাদের ঠিকান হচ্ছে জাহান্নাম; তা থেকে পালানোর কোন জায়গা তারা পাবে না।

সূরা : আন-নিসা

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًاۖ وَعْدَ ٱللَّهِ حَقًّاۚ وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ ٱللَّهِ قِيلًا

যারা ঈমান আনবে ও সংশোধনের কাজ করবে,  তাদেরকে আমি শীঘ্রই জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে তারা অনন্তকাল ধরে থাকবে। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর কথায় আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী কে ?

সূরা : আন-নিসা

لَّيْسَ بِأَمَانِيِّكُمْ وَلَآ أَمَانِىِّ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِۗ مَن يَعْمَلْ سُوٓءًا يُجْزَ بِهِۦ وَلَا يَجِدْ لَهُۥ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا

কোনো কাজ তোমাদের ইচ্ছায় হবে না। আর আল কিতাবধারীদের কামনায়ও তেমন কিছু হবার নয়। যে কেউ খারাপ কাজ করবে, তার বিনিময় সে পাবেই, সে তো আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে অলি কিংবা সাহায্যকারী পাবে না। 

সূরা : আন-নিসা

وَمَن يَعْمَلْ مِنَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُو۟لَٰٓئِكَ يَدْخُلُونَ ٱلْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا


যে ব্যক্তি সংশোধনের কাজ করবে, চাই সে পুরুষ অথবা নারী হোক, এমতাবস্থায় সে মুমিন হলে, এরাই তো জান্নাতে প্রবেশ করবে। এদের উপরে সামান্য পরিমাণও জুলুম করা হবে না। 

সূরা : আন-নিসা

وَمَنْ أَحْسَنُ دِينًا مِّمَّنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُۥ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ وَٱتَّبَعَ مِلَّةَ إِبْرَٰهِيمَ حَنِيفًاۗ وَٱتَّخَذَ ٱللَّهُ إِبْرَٰهِيمَ خَلِيلًا

তার চেয়ে উত্তম শান্তির জীবন ব্যবস্থার পন্থা আর কার হতে পারে ? যে আল্লাহর কাছে  নিজেকে পূর্ণভাবে সমর্পিত করে দিয়েছে, আর সে নিষ্ঠাবানও বটে। আর তুমি স্বতন্ত্রভাবে ইবরাহীমের পথ-পন্থার অনুসরণ কর। আর আল্লাহ ইবরাহীমকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছেন। 

সূরা : আন-নিসা

وَلِلّٰهِ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَيْءٍ مُّحِيْطًا


আর যা কিছু আসমানসমূহে মধ্যে আছে এবং যা কিছু পৃথিবীর মধ্যে আছে সব আল্লাহর জন্যই। আর আল্লাহ সব কিছুকেই পরিবেষ্টনকারী।

সূরা : আন-নিসা

وَيَسْتَفْتُونَكَ فِى ٱلنِّسَآءِۖ قُلِ ٱللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ فِى ٱلْكِتَٰبِ فِى يَتَٰمَى ٱلنِّسَآءِ ٱلَّٰتِى لَا تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَن تَنكِحُوهُنَّ وَٱلْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ ٱلْوِلْدَٰنِ وَأَن تَقُومُوا۟ لِلْيَتَٰمَىٰ بِٱلْقِسْطِۚ وَمَا تَفْعَلُوا۟ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِهِۦ عَلِيمًا

লোকজন তোমার কাছে নারীদের সম্পর্কে ফাতুওয়া জানতে চাইলে তুমি বলে দিবে, আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের ব্যাপারে ফাতুওয়া/সমাধান দিচ্ছেন। আর বিশেষ আল কিতাবের মধ্য থেকে (সেই আয়াতগুলো) পড়ে শুনানো হচ্ছে, এতীম মেয়েদের সম্পর্কে। যাদেরকে তোমরা ন্যায্য পাওনা দিচ্ছ না, তাদের জন্য যা নির্দিষ্ট করে লিখে দেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে বিবাহ করতে আগ্রহ পোষন করছ না ! আর দূর্বল শিশুদের ব্যাপারে, আর এতীম অনাথদের ব্যাপারেও তোমরা ন্যায় সংগত কাজই করতে থাকবে। তোমরা যা কল্যাণ কাজ কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা ভালো করেই জানেন। *

*4(127),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 4(3-6)।

সূরা : আন-নিসা

وَإِنِ ٱمْرَأَةٌ خَافَتْ مِنۢ بَعْلِهَا نُشُوزًا أَوْ إِعْرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَآ أَن يُصْلِحَا بَيْنَهُمَا صُلْحًاۚ وَٱلصُّلْحُ خَيْرٌۗ وَأُحْضِرَتِ ٱلْأَنفُسُ ٱلشُّحَّۚ وَإِن تُحْسِنُوا۟ وَتَتَّقُوا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا

যখন কোনো স্ত্রীর মনে এমন আশংকা দেখা দিবে যে, তার (প্রভূ চরিত্রের) স্বামী খারাপ ব্যবহার কিংবা অবহেলা করবে। তবে তাদের দু'জনের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করায় কোন দোষ নেই। মীমাংসা করে ফেলাই তো ভালো। মানুষের মধ্যে (নফসগুলোতে) সংকীর্ণতা বিদ্যমান রয়েছে। আর তোমরা যদি ভালো ব্যবহার কর এবং ভয় কর (আল্লাহকে), তাহলে আল্লাহ নিশ্চয়ই তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে সব খবরই রাখেন।

সূরা : আন-নিসা

وَلَن تَسْتَطِيعُوٓا۟ أَن تَعْدِلُوا۟ بَيْنَ ٱلنِّسَآءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْۖ فَلَا تَمِيلُوا۟ كُلَّ ٱلْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَٱلْمُعَلَّقَةِۚ وَإِن تُصْلِحُوا۟ وَتَتَّقُوا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا


তোমরা কক্ষনো একাধিক স্ত্রীদের মাঝে সমতা পূর্ণ করতে পারবে না। মন তোমাদের যা-ই চায় না কেনো, কোনো দিকে তোমরা একবারে ঝুঁকে পড়ো না। যাতে কাউকে এমন অবস্থায় ফেলে রাখবে - যেন সে এক দিকে ঝুলে রয়েছে। তোমরা যদি সংশোধিত হও, আর (আল্লাহকে) ভয় করো, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, মেহেরবান।

সূরা : আন-নিসা

وَإِن يَتَفَرَّقَا يُغْنِ ٱللَّهُ كُلًّا مِّن سَعَتِهِۦۚ وَكَانَ ٱللَّهُ وَٰسِعًا حَكِيمًا


যদি স্বামী-স্ত্রী দু'জনই আলাদা হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ নিজের অসীম ভান্ডার থেকে আত্মনির্ভরশীল করে দিবেন। আল্লাহ‌তো বিশাল ব্যাপ্তির অধিকারী ও মহা বৈজ্ঞানিক !

সূরা : আন-নিসা

وَلِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۗ وَلَقَدْ وَصَّيْنَا ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ مِن قَبْلِكُمْ وَإِيَّاكُمْ أَنِ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۚ وَإِن تَكْفُرُوا۟ فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَنِيًّا حَمِيدًا

আর সব কিছুই আল্লাহর জন্য, আসমানসমূহে ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে। আর যাদেরকে আমি ওছিয়াত করে দিয়েছি, তোমাদের পূর্বে যাদেরকে আল কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদেরকে ও তোমাদেরকে ৷ (নির্দেশ হলো)  অবশ্যই যেন তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। যদি তোমরা অবাধ্য হও, তবুও আকাশ ও পৃথিবীর সব কিছুই আল্লাহর জন্য। আসলে আল্লাহই মহান ধনী ও পরম প্রশংসিত। 

সূরা : আন-নিসা

وَلِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلًا


আকাশসমূহে ও যমীনের মধ্যে যা কিছু রয়েছে, সবই আল্লাহর জন্যে। আর উকিল হিসেবে আল্লাহই তো যথেষ্ট। 

সূরা : আন-নিসা

إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ أَيُّهَا ٱلنَّاسُ وَيَأْتِ بِـَٔاخَرِينَۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ ذَٰلِكَ قَدِيرًا


তিনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে তোমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারেন। শোন হে মানব জাতি ! তিনি তোমাদের বদলে অন্যদেরকে নিয়ে আসবেন - আল্লাহ হলেন এর উপর ক্ষমতাবান ! 

সূরা : আন-নিসা

مَّن كَانَ يُرِيدُ ثَوَابَ ٱلدُّنْيَا فَعِندَ ٱللَّهِ ثَوَابُ ٱلدُّنْيَا وَٱلْءَاخِرَةِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ سَمِيعًۢا بَصِيرًا

যে ব্যক্তি শুধু পার্থিব জীবনের পূরুস্কার
 চায়, অথচ আল্লাহর কাছেই তো দুনিয়া ও পরকালের পুরস্কার রয়েছে। আল্লাহ (হলেন এমন যে), সব কিছুই শুনেন, সব কিছু দেখেন। 

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُونُوا۟ قَوَّٰمِينَ بِٱلْقِسْطِ شُهَدَآءَ لِلَّهِ وَلَوْ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمْ أَوِ ٱلْوَٰلِدَيْنِ وَٱلْأَقْرَبِينَۚ إِن يَكُنْ غَنِيًّا أَوْ فَقِيرًا فَٱللَّهُ أَوْلَىٰ بِهِمَاۖ فَلَا تَتَّبِعُوا۟ ٱلْهَوَىٰٓ أَن تَعْدِلُوا۟ۚ وَإِن تَلْوُۥٓا۟ أَوْ تُعْرِضُوا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرًا

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা সবাই ন্যায় বিচারের উপরেই সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহর জন্য সাক্ষ্যদাতা হিসেবে। যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতার এবং আত্বীয়স্বজনদের বিরুদ্ধেও যায়।  যদি সে হয় ধনী কিংবা গরীব, তবে আল্লাহ তাদের দু'জনের তোমাদের চেয়ে বেশী শুভাকাঙ্ক্ষী। অতএব ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে তোমরা খেয়াল খুশির অনুসরণ করবে না। তোমরা যদি মন রাখা কথা বল, কিংবা সত্য এড়িয়ে যাও, তবে আল্লাহ ঐ বিষয়ে খবর রাখছেন, তোমরা যা কিছু করছ।

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ ءَامِنُوا۟ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَٱلْكِتَٰبِ ٱلَّذِى نَزَّلَ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ وَٱلْكِتَٰبِ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ مِن قَبْلُۚ وَمَن يَكْفُرْ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَٰلًۢا بَعِيدً

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা ঈমান আনো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি, আর আল কিতাব যেটি তাঁর রাসূলের উপরে অবতীর্ণ করা হয়েছে , আর সেই আল কিতাব ইতিপূর্বে থেকেই অবতীর্ণ হয়ে আসছে,। আর যে কেউ অস্বীকার করবে আল্লাহ‌কে এবং তাঁর মালা-ইকাদের, আর তাঁর (114,টি লিখিত) অধ্যায়গুলোকে, ও তাঁর রাসূলদেরকে আর পরকালের দিনকেও অস্বীকার করবে, তবে নিশ্চয়ই সে বিভ্রান্তির পথে বহু দূরে এগিয়ে যাবে।*

*4(136),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়5(59), 2(85),3(119),66(12),98(2,3)।

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ثُمَّ كَفَرُوا۟ ثُمَّ ءَامَنُوا۟ ثُمَّ كَفَرُوا۟ ثُمَّ ٱزْدَادُوا۟ كُفْرًا لَّمْ يَكُنِ ٱللَّهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ سَبِيلًۢا

নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনবে এরপর কাফির হবে, আবার ঈমান আনবে, আবার কাফির হবে, এরপর কুফরীর দিকে ধেয়ে যাবে, আল্লাহ এদেরকে মোটেই ক্ষমা করবেন না, আর সঠিক পথে পরিচালিতও করবেন না। 

সূরা : আন-নিসা

بَشِّرِ ٱلْمُنَٰفِقِينَ بِأَنَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا

মুনাফিক-কপটদেরকে সুসংবাদ দাও ! তাদের জন্যে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি ।

সূরা : আন-নিসা

ٱلَّذِينَ يَتَّخِذُونَ ٱلْكَٰفِرِينَ أَوْلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلْمُؤْمِنِينَۚ أَيَبْتَغُونَ عِندَهُمُ ٱلْعِزَّةَ فَإِنَّ ٱلْعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا


যারা কাফিরগণকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে, মুমিনদেরকে বাদ দিয়ে, তোমরা কি তাদের কাছেই সম্মান পেতে চাও ? অথচ সকল মান ইজ্জত শুধু আল্লাহর জন্য। 

সূরা : আন-নিসা

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِى ٱلْكِتَٰبِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلَا تَقْعُدُوا۟ مَعَهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا۟ فِى حَدِيثٍ غَيْرِهِۦٓۚ إِنَّكُمْ إِذًا مِّثْلُهُمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ جَامِعُ ٱلْمُنَٰفِقِينَ وَٱلْكَٰفِرِينَ فِى جَهَنَّمَ جَمِيعًا

আর তিনিই তো আল কিতাবের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি নির্দেশ দিচ্ছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতগুলোকে অস্বীকার করা হচ্ছে ও সেগুলোকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা হচ্ছে, তবে তোমরা তাদের সাথে সেখানে বসে থাকবে না ! যতক্ষন না তারা অন্য কোনো কথায় লিপ্ত হয়। তা না হলে তোমরাও তাদের মতই হয়ে যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল মুনাফিক-কপট ও কাফির মানুষদেরকে জাহান্নামের মধ্যে একত্র করবেন। 

সূরা : আন-নিসা

ٱلَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِن كَانَ لَكُمْ فَتْحٌ مِّنَ ٱللَّهِ قَالُوٓا۟ أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ وَإِن كَانَ لِلْكَٰفِرِينَ نَصِيبٌ قَالُوٓا۟ أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُم مِّنَ ٱلْمُؤْمِنِينَۚ فَٱللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۗ وَلَن يَجْعَلَ ٱللَّهُ لِلْكَٰفِرِينَ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا


তারা তোমাদের (খারাপ মুহূর্তের) জন্যই অপেক্ষা করে। পরে যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের বিজয় এসে যায়, তখন তারা বলতে লাগে, আমরা কি আর তোমাদের সংগী সাথী ছিলাম না ? আবার যদি কাফিরদের অংশে কিছু এসে যায়, তখন তারা বলে, আমরা কি তোমাদের হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রবল ছিলাম না ? আমরা কি মুমিনদের হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করিনি ? তাই আল্লাহই কিয়ামতের দিনে তোমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিবেন। আল্লাহ কখনো কাফিরদের জন্যে মুমিনদের বিরুদ্ধে  (বিজয়ের) কোনো পথ রাখবেন না। 

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱلْمُنَٰفِقِينَ يُخَٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَهُوَ خَٰدِعُهُمْ وَإِذَا قَامُوٓا۟ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ قَامُوا۟ كُسَالَىٰ يُرَآءُونَ ٱلنَّاسَ وَلَا يَذْكُرُونَ ٱللَّهَ إِلَّا قَلِيلًا

নিশ্চয়ই মুনাফিক-কপট ব্যক্তিরা আল্লাহর সাথেই ধোকাবাজী করে, অথচ এই ধোকাবাজী তাদের নিজেদের বিরুদ্ধেই করে। আর তারা যখন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হয় তখন একেবারে সৈথিল্যভাবে প্রস্তুত হয়, শুধু লোকদেরকে দেখানোর জন্য। তারা আল্লাহকে স্মরণ করে না, খুবই সামান্য পরিমাণ ছাড়া।*

*4(142) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 62(9-11)...।

সূরা : আন-নিসা

مُّذَبْذَبِينَ بَيْنَ ذَٰلِكَ لَآ إِلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِ وَلَآ إِلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِۚ وَمَن يُضْلِلِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ سَبِيلًا


তারা এর মাঝে দোদুল্যমান, না এদের দিকে আর না ওদের দিকে। আর যে আল্লাহ থেকে পথভ্রষ্ট হয়, তার জন্যে কোনো পথ তুমি খুঁজে পাবে না। 

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوا۟ ٱلْكَٰفِرِينَ أَوْلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلْمُؤْمِنِينَۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَجْعَلُوا۟ لِلَّهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَٰنًا مُّبِينًا


হে যারা ঈমান এনেছ ! কখনো তোমরা কাফিরগুলোকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে না মুমিনদেরকে বাদ দিয়ে। তোমরা কি এভাবে নিজেদের উপর আল্লাহর সুস্পষ্ট ও চুড়ান্ত অভিযোগ/দলিল সাব্যস্ত করতে চাও ?

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱلْمُنَٰفِقِينَ فِى ٱلدَّرْكِ ٱلْأَسْفَلِ مِنَ ٱلنَّارِ وَلَن تَجِدَ لَهُمْ نَصِيرًا


নিশ্চয়ই মুনাফিক-কপটরা আগুনের বেষ্টনীর একেবারে নীচের ভাগেই থাকবে, তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী তুমি খুঁজে পাবে না। 

সূরা : আন-নিসা

إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُوا۟ وَأَصْلَحُوا۟ وَٱعْتَصَمُوا۟ بِٱللَّهِ وَأَخْلَصُوا۟ دِينَهُمْ لِلَّهِ فَأُو۟لَٰٓئِكَ مَعَ ٱلْمُؤْمِنِينَۖ وَسَوْفَ يُؤْتِ ٱللَّهُ ٱلْمُؤْمِنِينَ أَجْرًا عَظِيمًا

তবে যারা তাওবা করবে ও নিজেদেরকে শুধরে নিবে, আল্লাহর (রজ্জুকে) দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে,আর নিজেদের দ্বীন/ফায়সালাকে আল্লাহর জন্যেই নির্দিষ্ট করবে, তারাই তো মুমিনদের সঙ্গী সাথী হবে। মুমিনদেরকে আল্লাহ শীঘ্রই মহা প্রতিফল দিবেন। 

সূরা : আন-নিসা

مَّا يَفْعَلُ ٱللَّهُ بِعَذَابِكُمْ إِن شَكَرْتُمْ وَءَامَنتُمْۚ وَكَانَ ٱللَّهُ شَاكِرًا عَلِيمًا


আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দিয়ে কি করবেন? যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর, আর ঈমান আনো, তাহলে আল্লাহ মূল্যদানকারী, সবকিছু সম্পর্কে পূর্ণজ্ঞানী। 

সূরা : আন-নিসা

لَّا يُحِبُّ ٱللَّهُ ٱلْجَهْرَ بِٱلسُّوٓءِ مِنَ ٱلْقَوْلِ إِلَّا مَن ظُلِمَۚ وَكَانَ ٱللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا


আল্লাহ মোটেই পছন্দ করেন না, কথা থেকে মন্দ দিক প্রকাশ করাকে। তবে যাকে জুলুম করা হয়েছে, তার কথা ভিন্ন। আল্লাহ সবই শোনেন ও জানেন । 

সূরা : আন-নিসা

إِن تُبْدُوا۟ خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا۟ عَن سُوٓءٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَفُوًّا قَدِيرًا


তোমরা যদি ভালো কাজ প্রকাশ্য কর, কিংবা তা যদি গোপন রাখ, অথবা যাবতীয় অনিষ্ঠ যদি ক্ষমা করে দাও, তাহলে আল্লাহ নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল ও ক্ষমতাবান।

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُوا۟ بَيْنَ ٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيَقُولُونَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُوا۟ بَيْنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا

নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদেরকে অমান্য করে; আর যদি চায় যে আল্লাহ ও তাঁর সকল রাসূলগণের শিক্ষার/বিধানের মধ্যে পার্থক্য হোক, আর যদি বলে কাউকে আমরা মেনে চলব, আর কাউকে আমরা অমান্য করব। আর যারা এ দুয়ের মাঝখানে কোনো পথ বের করে নিতে চায়। 

সূরা : আন-নিসা

أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْكَٰفِرُونَ حَقًّاۚ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا


প্রকৃতপক্ষে এরাই কাফির। আমি কাফিরদের জন্যেই তো চরম লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। 

সূরা : আন-নিসা

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَلَمْ يُفَرِّقُوا۟ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ أُو۟لَٰٓئِكَ سَوْفَ يُؤْتِيهِمْ أُجُورَهُمْۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের উপর ঈমান আনে, আর তারা তাদের মধ্য হতে কারোও মাঝে (শিক্ষা/বিধানের ক্ষেত্রে) পার্থক্য করে না, ঐসব লোকদেরকে শীঘ্রই তিনি তাদের পুরস্কারগুলো দান করবেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল, মেহেরবান।

সূরা : আন-নিসা

يَسْـَٔلُكَ أَهْلُ ٱلْكِتَٰبِ أَن تُنَزِّلَ عَلَيْهِمْ كِتَٰبًا مِّنَ ٱلسَّمَآءِۚ فَقَدْ سَأَلُوا۟ مُوسَىٰٓ أَكْبَرَ مِن ذَٰلِكَ فَقَالُوٓا۟ أَرِنَا ٱللَّهَ جَهْرَةً فَأَخَذَتْهُمُ ٱلصَّٰعِقَةُ بِظُلْمِهِمْۚ ثُمَّ ٱتَّخَذُوا۟ ٱلْعِجْلَ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُ فَعَفَوْنَا عَن ذَٰلِكَۚ وَءَاتَيْنَا مُوسَىٰ سُلْطَٰنًا مُّبِينًا

আল কিতাবধারীগণ তোমার কাছে দাবী করবে, যেন তাদের জন্য একটি লিখিত কিতাব আকাশ থেকে অবতীর্ণ করে দেখাও। বস্তুতঃ (এটা নতুন কিছু নয়) তারা মূসার কাছে এর চেয়েও যে অনেক গুরুতর বিষয়ে দাবী করেছে। তারা বলে আল্লাহ‌কে প্রকাশ্যে আমাদেরকে দেখাও। অতঃপর বজ্র তাদেরকে ঘিরে ধরে, তাদেরই জুলুমের কারণে। এরপর তারা পরকাল ছেড়ে ইহকালকে ধরে বসে। তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শন আসার পরেও। কিন্তু তবুও আমি ক্ষমা করেছি। আর মূসাকে আমি সুস্পষ্ট দলিল-প্রমাণ দান করেছি।*

*4(153) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 6(6-8)...।

সূরা : আন-নিসা

وَرَفَعْنَا فَوْقَهُمُ ٱلطُّورَ بِمِيثَٰقِهِمْ وَقُلْنَا لَهُمُ ٱدْخُلُوا۟ ٱلْبَابَ سُجَّدًا وَقُلْنَا لَهُمْ لَا تَعْدُوا۟ فِى ٱلسَّبْتِ وَأَخَذْنَا مِنْهُم مِّيثَٰقًا غَلِيظًا

তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য তাদের আচার আচরণকে আমি উঁচু করে থাকি। আর তাদেরকে আমি বলেছি তোমরা আনুগত্য সহকারে দ্বারে প্রবেশ করবে। তাদেরকে একথাও বলেছি, তোমরা আরামের মধ্যে দিয়ে বাড়া বাড়ি/সীমালংঘন করবে না। এভাবে আমি তাদের থেকে সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করি।*

*4(154),নং আয়াতের السبت শব্দের ব্যাখ্যায় 25(47),78(9)।

সূরা : আন-নিসা

فَبِمَا نَقْضِهِم مِّيثَٰقَهُمْ وَكُفْرِهِم بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَقَتْلِهِمُ ٱلْأَنۢبِيَآءَ بِغَيْرِ حَقٍّ وَقَوْلِهِمْ قُلُوبُنَا غُلْفٌۢۚ بَلْ طَبَعَ ٱللَّهُ عَلَيْهَا بِكُفْرِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُونَ إِلَّا قَلِيلًا

অতঃপর তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করা, আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা, আল্লাহর নবীদেরকে অন্যায় ভাবে অপমান করা। আর তাদের একথার কারণে যে, আমাদের অন্তরগুলো আচ্ছাদিত হয়ে আছে, বরং তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ তাদের (অন্তরের) উপর সীলমোহর মেরে দিয়েছেন। সুতরাং তারা ঈমান আনবে না ! মাত্র অল্পসংখ্যক মানুষ ছাড়া।

সূরা : আন-নিসা

وَبِكُفْرِهِمْ وَقَوْلِهِمْ عَلَىٰ مَرْيَمَ بُهْتَٰنًا عَظِيمًا


এবং তাদের (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের) কুফরির সাথে অবাধ্যতা ও মারইয়ামের উপর গুরুতর অপবাদের কথা রটানো হল।

সূরা : আন-নিসা

وَقَوْلِهِمْ إِنَّا قَتَلْنَا ٱلْمَسِيحَ عِيسَى ٱبْنَ مَرْيَمَ رَسُولَ ٱللَّهِ وَمَا قَتَلُوهُ وَمَا صَلَبُوهُ وَلَٰكِن شُبِّهَ لَهُمْۚ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِ لَفِى شَكٍّ مِّنْهُۚ مَا لَهُم بِهِۦ مِنْ عِلْمٍ إِلَّا ٱتِّبَاعَ ٱلظَّنِّۚ وَمَا قَتَلُوهُ يَقِينًۢا


তাদের এই কথা, আমরা নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল মারইয়াম পুত্র ঈসা মসিহকে হত্যা করেছি। কিন্তু (আল্লাহ বলছেন) তারা তাকে হত্যা করেনি এবং শূলেও চড়ায়নি। বরং তারা সেইরূপ বিভ্রম হয়ে আছে। যারা এ নিয়ে বিরোধে লিপ্ত হয়, তারা কিন্তু তার ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করে। আসলে তারা কিন্তু অনুমানের অনুসরণ ছাড়া এ বিষয়ে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। নিঃসন্দেহে তারা তাকে হত্যা করেনি । 

সূরা : আন-নিসা

بَل رَّفَعَهُ ٱللَّهُ إِلَيْهِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا


বরং আল্লাহ তাঁর কাছে তাকে (ঈসাকে) মর্যাদায় উচু করেছেন। আল্লাহ হলেন মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : আন-নিসা

وَإِن مِّنْ أَهْلِ ٱلْكِتَٰبِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِۦ قَبْلَ مَوْتِهِۦۖ وَيَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ يَكُونُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا

আল কিতাবধারীদের মধ্য থেকে এমন কেউ নেই যে, তার মৃত্যুর পূর্বে তার উপরে ঈমান আনবে না। সে তো তাদের ব্যাপারেও কিয়ামতের দিন সাক্ষী হবে। *

*4(159),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 43(61),5(116)।

সূরা : আন-নিসা

فَبِظُلْمٍ مِّنَ ٱلَّذِينَ هَادُوا۟ حَرَّمْنَا عَلَيْهِمْ طَيِّبَٰتٍ أُحِلَّتْ لَهُمْ وَبِصَدِّهِمْ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ كَثِيرًا

সুতরাং ইয়াহুদীদের জুলুম-বাড়াবাড়ির কারণেই আমি অনেক পবিত্র বস্তুগলোকে তাদের জন্য হারাম পেয়ে থাকি, যা তাদের জন্য হালাল করেছি। আর এ কারণেও যে তারা আল্লাহর (কোরআনের) পথে অনেক বাঁধা সৃষ্টি করে। 

সূরা : আন-নিসা

وَأَخْذِهِمُ ٱلرِّبَوٰا۟ وَقَدْ نُهُوا۟ عَنْهُ وَأَكْلِهِمْ أَمْوَٰلَ ٱلنَّاسِ بِٱلْبَٰطِلِۚ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَٰفِرِينَ مِنْهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا

আর তারা রিবা তথা বিশেষ বাড়তি (মালের অংশ) গ্রহণ করে, যে বিষয়ে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরেও, অন্যায়ভাবে মানুষের মালসমূহ তারা ভোগ করে। আর আমি প্রস্তুত করে রেখেছি তাদের মধ্যকার কাফিরদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি।*

*4(161),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 8(69),51(19),30(38),70(23-25),6(118-121),

সূরা : আন-নিসা

لَّٰكِنِ ٱلرَّٰسِخُونَ فِى ٱلْعِلْمِ مِنْهُمْ وَٱلْمُؤْمِنُونَ يُؤْمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلِكَۚ وَٱلْمُقِيمِينَ ٱلصَّلَوٰةَۚ وَٱلْمُؤْتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱلْمُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ أُو۟لَٰٓئِكَ سَنُؤْتِيهِمْ أَجْرًا عَظِيمًا

কিন্তু মানুষের মধ্য হতে জ্ঞানের মধ্যে সুগভীর ব্যক্তিরা আর মু'মিনরা-তারা তোমার উপরে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, আর যা তোমার পূর্ব হতে অবতীর্ণ হয়ে আসছে, তাতে তারা ঈমান আনে। আর তারা দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা করে, সাহায্য প্রদান করে, আল্লাহ ও পরকালের দিনের উপর তারা ঈমানদার। এরাই তো ঐসব লোক যাদেরকে আমি শীঘ্রই বিরাট প্রতিফল দান করব। 

সূরা : আন-নিসা

إِنَّآ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ كَمَآ أَوْحَيْنَآ إِلَىٰ نُوحٍ وَٱلنَّبِيِّۦنَ مِنۢ بَعْدِهِۦۚ وَأَوْحَيْنَآ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِيمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَعِيسَىٰ وَأَيُّوبَ وَيُونُسَ وَهَٰرُونَ وَسُلَيْمَٰنَۚ وَءَاتَيْنَا دَاوُۥدَ زَبُورًا

নিশ্চয়ই আমি তোমার প্রতি ওহী পাঠিয়েছি, ঠিক যেমন নূহের প্রতি ওহী পাঠিয়েছি। আর তারপর থেকে সকল নবীদের প্রতি। ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরদের প্রতি। ঈসা, আইয়ুব,ইউনুস, হারুন, সুলাইমান এদের প্রতি ওহী করেছি। আর দাউদকে আমি বিশেষ অংশ (যবুর) দিয়েছি।*

*4(163) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 6(19)...।

সূরা : আন-নিসা

وَرُسُلًا قَدْ قَصَصْنَٰهُمْ عَلَيْكَ مِن قَبْلُ وَرُسُلًا لَّمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَيْكَۚ وَكَلَّمَ ٱللَّهُ مُوسَىٰ تَكْلِيمًا

এবং তোমার নিকট ইতিপূর্বে যে সব রাসূলের বিবরণ উল্লেখ করেছি, আর এমন সব রাসূল যাদের বিবরণ তোমার কাছে উল্লেখ করিনি, তাদের কাছেও। আর আল্লাহ মুসার (সাথে সুস্পষ্টভাবে) কথা বলেছেন।*

*(164) নং আয়াতে যে সব রাসুলদের নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে , এখানে পরবর্তী যোগের চলমান রাসুলদের কথা বুঝানো হয়েছে।

সূরা : আন-নিসা

رُّسُلًا مُّبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى ٱللَّهِ حُجَّةٌۢ بَعْدَ ٱلرُّسُلِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا

সকল রাসূলগণ তো সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী। যেন রাসূলদের আসার পরে আর মানুষেরা আল্লাহর উপরে অভিযোগ তোলার সুযোগ না পায়। আর আল্লাহ হলেন মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।*

4(165) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 20(134),28(47,59),40(34)...।

সূরা : আন-নিসা

لَّٰكِنِ ٱللَّهُ يَشْهَدُ بِمَآ أَنزَلَ إِلَيْكَۖ أَنزَلَهُۥ بِعِلْمِهِۦۖ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَشْهَدُونَۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدًا


কিন্তু আল্লাহ নিজেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন, যা আল্লাহ তোমার কাছে অবতীর্ণ করেছেন, তা নিজের জ্ঞান ভান্ডার থেকেই তো অবতীর্ন করেছেন। আর মালা-ইকারাও সাক্ষ্য দিচ্ছে। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَصَدُّوا۟ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ قَدْ ضَلُّوا۟ ضَلَٰلًۢا بَعِيدًا


নিশ্চয়ই যারা কুফুরী করে ও আল্লাহর পথে (কোরআনের কাজে) বাধা সৃষ্টি করে,  তারা তো বিভ্রান্তির পথে অনেক দূরে সরে যায় বিভ্রান্ত হয়ে। 

সূরা : আন-নিসা

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَظَلَمُوا۟ لَمْ يَكُنِ ٱللَّهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيَهُمْ طَرِيقًا


যারা কুফুরী করে এবং দুর্নীতি করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। তাদেরকে সঠিক পথও দেখাবেন না। 

সূরা : আন-নিসা

إِلَّا طَرِيقَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًاۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرًا


হ্যাঁ, শুধু জাহান্নামের পথ ছাড়া - তার মধ্যে তারা চিরকাল থাকবে। এ কাজ তো আল্লাহর জন্য খুবই সহজ।

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدْ جَآءَكُمُ ٱلرَّسُولُ بِٱلْحَقِّ مِن رَّبِّكُمْ فَـَٔامِنُوا۟ خَيْرًا لَّكُمْۚ وَإِن تَكْفُرُوا۟ فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا


হে মানবজাতি ! নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে সত্য সহকারে একজন রাসূল এসেছে, তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতেই। অতএব তোমরা সবাই ঈমান আনো, এটাই তোমাদের উত্তম হবে। আর যদি তোমরা অস্বীকার কর, তবে নিশ্চয়ই আকাশসমূহের মধ্যে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সবই আল্লাহর জন্য। আর আল্লাহ হলেন মহা জ্ঞানী মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ لَا تَغْلُوا۟ فِى دِينِكُمْ وَلَا تَقُولُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ إِلَّا ٱلْحَقَّۚ إِنَّمَا ٱلْمَسِيحُ عِيسَى ٱبْنُ مَرْيَمَ رَسُولُ ٱللَّهِ وَكَلِمَتُهُۥٓ أَلْقَىٰهَآ إِلَىٰ مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِّنْهُۖ فَـَٔامِنُوا۟ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦۖ وَلَا تَقُولُوا۟ ثَلَٰثَةٌۚ ٱنتَهُوا۟ خَيْرًا لَّكُمْۚ إِنَّمَا ٱللَّهُ إِلَٰهٌ وَٰحِدٌۖ سُبْحَٰنَهُۥٓ أَن يَكُونَ لَهُۥ وَلَدٌۘ لَّهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۗ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلًا

হে আল কিতাবধারীগণ! তোমরা তোমাদের জীবন ব্যবস্থার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না। এবং আল্লাহ সম্পর্কে সত্য ছাড়া কিছুই বলবে না। মারইয়ামের পুত্র ঈসা মসীহ কেবল আল্লাহর রাসূল ও তাঁর কালিমা, যা মারইয়ামের কাছে পাঠানো হয়েছে, আল্লাহর পক্ষ থেকে রূহ হিসেবে। অতএব তোমরা সবাই ঈমান আনো আল্লাহর উপরে ও তাঁর সকল রাসূলদের উপরেও। তোমরা একথা মোটেই বলবে না তিন (ত্রিত্ববাদ সত্য), এ থেকে বিরত হও। এতেই তোমাদের জন্য উত্তম হবে। মূলতঃ আল্লাহই একমাত্র আইনদাতা। আল্লাহ তো পবিত্র মহান এসব থেকে। আল্লাহর জন্যে সন্তান থাকবে ? অথচ আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর জন্যে। আর উকিল হিসেবে আল্লাহই তো যথেষ্ট। *

*4(171),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 17(111)।

সূরা : আন-নিসা

لَّن يَسْتَنكِفَ ٱلْمَسِيحُ أَن يَكُونَ عَبْدًا لِّلَّهِ وَلَا ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ ٱلْمُقَرَّبُونَۚ وَمَن يَسْتَنكِفْ عَنْ عِبَادَتِهِۦ وَيَسْتَكْبِرْ فَسَيَحْشُرُهُمْ إِلَيْهِ جَمِيعًا

মাসীহ তো একথায় কক্ষনো কুন্ঠাবোধ করত না যে, সে আল্লাহর দাস হিসেবে এসেছে। আর ঘনিষ্ঠ মালা-ইকাদের মধ্যেও তো তেমন কেউ নেই। যে কেউ আল্লাহর দাসত্ব করার ব্যাপারে কুন্ঠাবোধ করবে আর অহংকার করবে, তবে শীঘ্রই তাদের সকলকে তাঁরই নিকট একত্র করবেন।*

*(4(172),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(79),5(75,116),19(30)।


সূরা : আন-নিসা

فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَيُوَفِّيهِمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِۦۖ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ ٱسْتَنكَفُوا۟ وَٱسْتَكْبَرُوا۟ فَيُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَلَا يَجِدُونَ لَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا


অতঃপর যারা ঈমান আনবে, সংশোধনের কাজ করবে, তাদের কর্মফল তিনি পরিপূর্ণ দিবেন। আর তাঁর অনুগ্রহ থেকে বেশীও দিবেন। আর যারা হেয় জ্ঞান করবে ও অহংকার করবে, তাহলে তিনি তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিবেন। আর তারা তাদের জন্য আল্লাহ ছাড়া কোনো অলি ও সাহায্যকারী পাবে না। 

সূরা : আন-নিসা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدْ جَآءَكُم بُرْهَٰنٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَأَنزَلْنَآ إِلَيْكُمْ نُورًا مُّبِينًا


হে মানবজাতি ! তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট দলিল প্রমাণ এসেছে, তোমাদেরই প্রতিপালকের পক্ষ হতে। আর আমিই তো তোমাদের প্রতি সুস্পষ্ট আলো অবতীর্ণ করেছি। 

সূরা : আন-নিসা

فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ بِٱللَّهِ وَٱعْتَصَمُوا۟ بِهِۦ فَسَيُدْخِلُهُمْ فِى رَحْمَةٍ مِّنْهُ وَفَضْلٍ وَيَهْدِيهِمْ إِلَيْهِ صِرَٰطًا مُّسْتَقِيمًا

অতএব যারা আল্লাহর উপরে ঈমান আনবে আর তা মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে, তাদেরকে তো শীঘ্রই আল্লাহর অনুগ্রহে ও দয়ায় প্রবেশ করানো হবে। আর তাদেরকে তাঁর দিকে পৌঁছানোর জন্য সুদৃঢ় পথ দেখাবেন। 

সূরা : আন-নিসা

يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ ٱللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِى ٱلْكَلَٰلَةِۚ إِنِ ٱمْرُؤٌا۟ هَلَكَ لَيْسَ لَهُۥ وَلَدٌ وَلَهُۥٓ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَۚ وَهُوَ يَرِثُهَآ إِن لَّمْ يَكُن لَّهَا وَلَدٌۚ فَإِن كَانَتَا ٱثْنَتَيْنِ فَلَهُمَا ٱلثُّلُثَانِ مِمَّا تَرَكَۚ وَإِن كَانُوٓا۟ إِخْوَةً رِّجَالًا وَنِسَآءً فَلِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ ٱلْأُنثَيَيْنِۗ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمْ أَن تَضِلُّوا۟ۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌۢ

মানুষেরা তোমার কাছে পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তিদের ব্যাপারে জানতে চাইলে, তুমি বলে দিবে আল্লাহ সে সস্পর্কে সমাধান তথা ফাতওয়া দিচ্ছেন, যদি কেউ নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যায়, কিন্তু তার যদি বোন থাকে, তাহলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির সে অর্ধেক পাবে। যদি বোন নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যায়, তাহলে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির একমাত্র ওয়ারিশ হবে তার ভাই। আর যদি মৃত ব্যক্তির দুই বোন থাকে, তাহলে দু'জনই পাবে তিন ভাগের দু'ভাগ। আর যদি ওয়ারিসদের মধ্যে ভাই বোন থাকে, তাহলে পুরুষ ওয়ারিস পাবে দুই জন নারীর প্রাপ্য অংশের সমান। আল্লাহ বিস্তারিতভাবেই সব বুঝিয়ে দিচ্ছেন, যাতে তোমরা বিভ্রান্ত না হও। আর আল্লাহ প্রত্যেকটি জিনিসের ব্যাপারে মহা জ্ঞানী।* 

*যাদের পিতা-মাতা নেই এবং যারা সন্তানহীন তাদেরকে কালালা বলে।