সূরা : সুরা নাহল

َتَىٰٓ أَمْرُ ٱللَّهِ فَلَا تَسْتَعْجِلُوهُۚ سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ


আল্লাহর আদেশ এসে গেছে, সুতরাং তোমরা তা করতে চেয়ে তাড়াহুড়া করো না ! মানুষেরা যা কিছু শরীক করছে, তিনি তা থেকে পবিত্র এবং বহু উর্ধ্বে।

সূরা : সুরা নাহল

يُنَزِّلُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ بِٱلرُّوحِ مِنْ أَمْرِهِۦ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦٓ أَنْ أَنذِرُوٓا۟ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱتَّقُونِ

তিনি‌ মালা-ইকাদেরকে তাঁর দাসদের মধ্যে উপযুক্তদের উপর তাঁর নির্দেশের থেকে রূহ দিয়ে অবতীর্ণ করেন। যেনো তোমরা সতর্ক করো এই মর্মে যে, আমি ছাড়া কোনো সত্যিকারের বিধানদাতা নেই। সুতরাং তোমরা আমাকেই ভয় করো।

সূরা : সুরা নাহল

خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ بِٱلْحَقِّۚ تَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ


তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন। মানুষেরা যা কিছু শরীক করছে, তিনি তা থেকে বহু উর্ধ্বে।

সূরা : সুরা নাহল

خَلَقَ ٱلْإِنسَٰنَ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُّبِينٌ


তিনি মানুষকে শুক্র থেকে সৃষ্টি করেছেন। তবুও সে হয় প্রকাশ্যে ঝগড়াটে।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱلْأَنْعَٰمَ خَلَقَهَاۗ لَكُمْ فِيهَا دِفْءٌ وَمَنَٰفِعُ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ


আর চারপেয়ে জন্তুদেরকে তোমাদের জন্যই তো সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে শীত নিবারক উপকরণ ও উপকারিতাসমূহ রয়েছে। সেগুলোর থেকে তোমরা খেয়েও থাকো।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَكُمْ فِيهَا جَمَالٌ حِينَ تُرِيحُونَ وَحِينَ تَسْرَحُونَ


আর তার মধ্যে তোমাদের জন্যে সৌন্দর্য নিহিত রয়েছে। যখন তোমরা সেগুলোকে সন্ধ্যাবেলায় চারণভূমি থেকে ফিরিয়ে আনো। আবার সকাল বেলা যখন চারণভূমিতে চরাতে নিয়ে যাও।

সূরা : সুরা নাহল

وَتَحْمِلُ أَثْقَالَكُمْ إِلَىٰ بَلَدٍ لَّمْ تَكُونُوا۟ بَٰلِغِيهِ إِلَّا بِشِقِّ ٱلْأَنفُسِۚ إِنَّ رَبَّكُمْ لَرَءُوفٌ رَّحِيمٌ


আর এগুলো তোমাদের ভার বহন করে এমন শহরে নিয়ে যায়। যেখানে তোমরা প্রানান্ত কষ্ট ছাড়া পৌঁছাতে সক্ষম হতে না। নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক বড়ই স্নেহশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱلْخَيْلَ وَٱلْبِغَالَ وَٱلْحَمِيرَ لِتَرْكَبُوهَا وَزِينَةًۚ وَيَخْلُقُ مَا لَا تَعْلَمُونَ


আর তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা সৃষ্টি করেছেন। তোমাদের চড়ার জন্যে ও শুভাস্বরূপ। এবং তিনি এমন কিছু সৃষ্টি করেন, যা তোমরা জানো না।

সূরা : সুরা নাহল

وَعَلَى ٱللَّهِ قَصْدُ ٱلسَّبِيلِ وَمِنْهَا جَآئِرٌۚ وَلَوْ شَآءَ لَهَدَىٰكُمْ أَجْمَعِينَ


সঠিক পথ প্রদর্শন করা আল্লাহর উপর দায়িত্ব। কিন্তু পথের মধ্যে বাঁকা পথও রয়েছে। তিনি যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে অবশ্যই তোমাদের সকলকেই সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারতেন। 

সূরা : সুরা নাহল

هُوَ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءًۖ لَّكُم مِّنْهُ شَرَابٌ وَمِنْهُ شَجَرٌ فِيهِ تُسِيمُونَ


তিনিই (প্রতিপালক) যিনি আকাশ থেকে তোমাদের জন্যে পানি বর্ষণ করেন, তার কিছু পানীয় পেয়ে থাকো। আর তা থেকে গাছপালা জন্মে, আর তোমরা তার মধ্যে পশু চরিয়ে থাকো।

সূরা : সুরা নাহল

يُنۢبِتُ لَكُم بِهِ ٱلزَّرْعَ وَٱلزَّيْتُونَ وَٱلنَّخِيلَ وَٱلْأَعْنَٰبَ وَمِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ


তা দিয়ে তিনি তোমাদের জন্যে শস্য, জলপাই, খেজুর, আংগুর, সব রকমের ফলসমূহ উদগত করেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্যে যারা চিন্তা ভাবনা করে।

সূরা : সুরা নাহল

وَسَخَّرَ لَكُمُ ٱلَّيْلَ وَٱلنَّهَارَ وَٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَۖ وَٱلنُّجُومُ مُسَخَّرَٰتٌۢ بِأَمْرِهِۦٓۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ

আর তিনি‌ তো তোমাদের জন্যে নিয়ন্ত্রণ করছেন রাত-দিন, সূর্য ও চাঁদকে, আর তারকাগুলোও কাজে নিয়োজিত হয়েছে তাঁর নির্দেশে। নিশ্চয়ই এর মধ্যেও নিদর্শন রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্যে যারা জ্ঞান রাখে।

সূরা : সুরা নাহল

وَمَا ذَرَأَ لَكُمْ فِى ٱلْأَرْضِ مُخْتَلِفًا أَلْوَٰنُهُۥٓۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لِّقَوْمٍ يَذَّكَّرُونَ


তিনিই তো তোমাদের জন্যে পৃথিবীর মধ্যে কতই না বিভিন্ন রঙের জিনিস সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যেও  নিদর্শন রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্যে যারা শিক্ষা গ্রহণ করে।

সূরা : সুরা নাহল

وَهُوَ ٱلَّذِى سَخَّرَ ٱلْبَحْرَ لِتَأْكُلُوا۟ مِنْهُ لَحْمًا طَرِيًّا وَتَسْتَخْرِجُوا۟ مِنْهُ حِلْيَةً تَلْبَسُونَهَا وَتَرَى ٱلْفُلْكَ مَوَاخِرَ فِيهِ وَلِتَبْتَغُوا۟ مِن فَضْلِهِۦ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ


আর তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি সমুদ্রকে নিয়োজিত করে রেখেছেন, যেন তোমরা তা থেকে তাজা গোশ্ত খেতে পার এবং তা থেকে বের করতে পার সৌন্দর্য শোভা মনি-মুক্তা, যা তোমরা পরিধান কর। আর তুমি তার মধ্যে নৌযানসমূহকে দেখবে তা পানি চিরে চলছে,আর তোমরা যেন তার অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

সূরা : সুরা নাহল

وَأَلْقَىٰ فِى ٱلْأَرْضِ رَوَٰسِىَ أَن تَمِيدَ بِكُمْ وَأَنْهَٰرًا وَسُبُلًا لَّعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ


আর তিনি পৃথিবীতে পর্বতসমূহকে স্থাপন করেছেন , যেনো তোমাদেরকে নিয়ে কোনো দিকে হেলে না যায়। আর নদী ও রাস্তাসমূহ, যাতে তোমরা সহজে যাতায়াত করতে পারো !

সূরা : সুরা নাহল

وَعَلَٰمَٰتٍۚ وَبِٱلنَّجْمِ هُمْ يَهْتَدُونَ


আর পথনির্ণায়ক চিহ্নসমূহ এবং নক্ষত্রসমূহ যেনো এসবের সাহায্যে মানুষেরা পথ চলতে পারে।

সূরা : সুরা নাহল

أَفَمَن يَخْلُقُ كَمَن لَّا يَخْلُقُۗ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ


তবে কি যিনি এতো সব সৃষ্টি করেছেন, সে কি তার সমান, যে কোন কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না। তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না?

সূরা : সুরা নাহল

وَإِن تَعُدُّوا۟ نِعْمَةَ ٱللَّهِ لَا تُحْصُوهَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ


তোমরা যদি আল্লাহর অনুগ্রহকে গণনা করো, তাহলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُسِرُّونَ وَمَا تُعْلِنُونَ


আল্লাহ খুব জানেন, তোমরা যা কিছু গোপন রাখো এবং যা কিছু প্রকাশ করো।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱلَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ لَا يَخْلُقُونَ شَيْـًٔا وَهُمْ يُخْلَقُونَ


তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডেকে থাকে, তারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না। বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে।

সূরা : সুরা নাহল

أَمْوَٰتٌ غَيْرُ أَحْيَآءٍۖ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ


তারা (কবর /মাজারবাসীরা) মৃত, জীবিত নয়। তারা তো এও জানে না যে কবে তাদেরকে উঠানো হবে।

সূরা : সুরা নাহল

إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَٰحِدٌۚ فَٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ قُلُوبُهُم مُّنكِرَةٌ وَهُم مُّسْتَكْبِرُونَ


তোমাদের আইনদাতা একই আইনদাতা। তবে যারা পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তরসমূহ সত্যবিমুখ। আর তারাই তো অহংকার করে থাকে।

সূরা : সুরা নাহল

لَا جَرَمَ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلْمُسْتَكْبِرِينَ


কোনো সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ খুব জানেন, যা কিছু তারা গোপন রাখে এবং যা কিছু তারা প্রকাশ করে। নিশ্চয়ই তিনি‌ অহংকারীদেরকে ভালোবাসেন না।

সূরা : সুরা নাহল

وَإِذَا قِيلَ لَهُم مَّاذَآ أَنزَلَ رَبُّكُمْۙ قَالُوٓا۟ أَسَٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ


আর যখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তোমাদের প্রতিপালক কি অবতীর্ণ করেছেন ? তারা বলে, এসব পূর্ববর্তী লোকদের উপকথা।

সূরা : সুরা নাহল

لِيَحْمِلُوٓا۟ أَوْزَارَهُمْ كَامِلَةً يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۙ وَمِنْ أَوْزَارِ ٱلَّذِينَ يُضِلُّونَهُم بِغَيْرِ عِلْمٍۗ أَلَا سَآءَ مَا يَزِرُونَ


এরা তো কিয়ামতের দিন তাদের পাপের বোঝা পুরোটাই বহন করবে। আর কিছু না জেনে শুনে যাদেরকে এরা পথভ্রষ্ট করেছে তাদের বোঝাও। তোমরা জেনে রাখো, তারা যা বহন করবে, তা কতোই না নিকৃষ্ট!

সূরা : সুরা নাহল

قَدْ مَكَرَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَأَتَى ٱللَّهُ بُنْيَٰنَهُم مِّنَ ٱلْقَوَاعِدِ فَخَرَّ عَلَيْهِمُ ٱلسَّقْفُ مِن فَوْقِهِمْ وَأَتَىٰهُمُ ٱلْعَذَابُ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ

তাদের পূর্বে যারা ছিলো তারাও তো অনেক চক্রান্ত করেছে। সুতরাং আল্লাহর বিধান দ্বারা তাদের চক্রান্তের ভিত্তিমূলে আঘাত করা হলে, তাদের মাথার মধ্যে চক্রান্তের যে ছাদ থাকে তা ধপাস করে পড়ে যায়। আর তাদের প্রতি এমন দিক থেকে শাস্তি আসে যা তারা ধারণা করে না।

সূরা : সুরা নাহল

ثُمَّ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ يُخْزِيهِمْ وَيَقُولُ أَيْنَ شُرَكَآءِىَ ٱلَّذِينَ كُنتُمْ تُشَٰٓقُّونَ فِيهِمْۚ قَالَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْعِلْمَ إِنَّ ٱلْخِزْىَ ٱلْيَوْمَ وَٱلسُّوٓءَ عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ

এরপর কিয়ামতের দিনও তাদেরকে লাঞ্ছিত করা হবে, আর বলা হবে, আমার সেই শরীকরা কোথায় ? যাদেরকে নিয়ে তোমরা তর্কাতর্কি করতে। যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছিল, তারা বলবে, নিশ্চয়ই আজকের এই দিনে লাঞ্ছনা ও অমঙ্গল কাফিরদের উপর।

সূরা : সুরা নাহল

ٱلَّذِينَ تَتَوَفَّىٰهُمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ ظَالِمِىٓ أَنفُسِهِمْۖ فَأَلْقَوُا۟ ٱلسَّلَمَ مَا كُنَّا نَعْمَلُ مِن سُوٓءٍۭۚ بَلَىٰٓ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

নিজদের উপর যুলমকারী থাকা অবস্থায় মালা-ইকারা যাদের মৃত্যু ঘটায়। তখন কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ করে বলে, আমরা তেমন কোন মন্দ কাজ করিনি। হ্যাঁ, একথা ঠিকই যে তোমরা যা কিছু করতে, আল্লাহ সে সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন।*

*16(28) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 45(21)...।

সূরা : সুরা নাহল

فَٱدْخُلُوٓا۟ أَبْوَٰبَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَاۖ فَلَبِئْسَ مَثْوَى ٱلْمُتَكَبِّرِينَ


সুতরাং এক্ষুনি তোমরা জাহান্নামের দরজাসমূহে প্রবেশ কর, তার মধ্যে চিরকাল থাকার জন্য। অতএব অহংকারীদের আবাস্থল অবশ্যই নিকৃষ্ট।

সূরা : সুরা নাহল

وَقِيلَ لِلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ مَاذَآ أَنزَلَ رَبُّكُمْۚ قَالُوا۟ خَيْرًاۗ لِّلَّذِينَ أَحْسَنُوا۟ فِى هَٰذِهِ ٱلدُّنْيَا حَسَنَةٌۚ وَلَدَارُ ٱلْءَاخِرَةِ خَيْرٌۚ وَلَنِعْمَ دَارُ ٱلْمُتَّقِينَ


আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদেরকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তোমাদের প্রতিপালক কি অবতীর্ণ করেছেন? তারা বলে মহাকল্যাণ। তাদের জন্যই, যারা সৎকাজ করে। এই দুনিয়ায় মধ্যে তাদের জন্যে রয়েছে কল্যাণ। আর অবশ্যই পরকালের ঘর আরও উত্তম। আর অবশ্যই মহৎব্যক্তিদের ঘর খুবই চমৎকার।

সূরা : সুরা নাহল

جَنَّٰتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُۖ لَهُمْ فِيهَا مَا يَشَآءُونَۚ كَذَٰلِكَ يَجْزِى ٱللَّهُ ٱلْمُتَّقِينَ


চিরস্থায়ী জান্নাত, যেখানে তারা প্রবেশ করবে। যার নীচ থেকে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। তারা যা কিছু চাইবে, সেখানে তাই রয়েছে। এভাবেই আল্লাহ মহৎব্যক্তিদেরকে পুরুস্কৃত করেন।

সূরা : সুরা নাহল

ٱلَّذِينَ تَتَوَفَّىٰهُمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ طَيِّبِينَۙ يَقُولُونَ سَلَٰمٌ عَلَيْكُمُ ٱدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ

তাদের জান কবজ করার জন্য মালা-ইকারা যখন আসবে, যারা পবিত্র অবস্থায় থাকবে। তারা এদেরকে বলবে, সালামুন আলাইকুম (তোমাদের উপর শান্তি)। তোমরা যে কাজ করতে তারই বিনিময়ে এখন জান্নাতে প্রবেশ কর।

সূরা : সুরা নাহল

هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّآ أَن تَأْتِيَهُمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ أَوْ يَأْتِىَ أَمْرُ رَبِّكَۚ كَذَٰلِكَ فَعَلَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْۚ وَمَا ظَلَمَهُمُ ٱللَّهُ وَلَٰكِن كَانُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ


তবে তারা কি এই জন্যই অপেক্ষা করছে ? যে তাদের কাছে হয় মালা-ইকারা আসবে, কিংবা তোমার প্রতিপালকের নির্দেশ এসে পড়বে ! তাদের পূর্বে যারা ছিলো তারাও এমনই করতো। আল্লাহ কিন্তু তাদের উপরে অত্যাচার করেন নি। আসলে তারা নিজেদের উপর নিজেরাই অত্যাচার করেছে।

সূরা : সুরা নাহল

فَأَصَابَهُمْ سَيِّـَٔاتُ مَا عَمِلُوا۟ وَحَاقَ بِهِم مَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ


অতঃপর তাদের কাজকর্মের চরম জঘন্য পরিণাম তাদের কাছে পৌঁছে গেছে। আর তারা যা নিয়ে ঠ্রাট্রাবিদ্রুপ করতো, তাই এসে তাদেরকে ঘিরে ধরবে।

সূরা : সুরা নাহল

وَقَالَ ٱلَّذِينَ أَشْرَكُوا۟ لَوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَا عَبَدْنَا مِن دُونِهِۦ مِن شَىْءٍ نَّحْنُ وَلَآ ءَابَآؤُنَا وَلَا حَرَّمْنَا مِن دُونِهِۦ مِن شَىْءٍۚ كَذَٰلِكَ فَعَلَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْۚ فَهَلْ عَلَى ٱلرُّسُلِ إِلَّا ٱلْبَلَٰغُ ٱلْمُبِينُ


আর যারা শরীক করতো তারা বলবে, আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে আমরা আল্লাহ‌ ছাড়া আর কারোও দাসত্ব করতাম না। আর আমাদের বাপ-দাদারা তেমন করতো না। আর আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোনো জিনিসকে (গো মাংসকে) আমরা নিষিদ্ধ করতাম না। তাদের পূর্বে যারা ছিলো, তারাও তো এমনি করেছে। আসলে রাসূলদের উপর দায়িত্ব শুধু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِى كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولًا أَنِ ٱعْبُدُوا۟ ٱللَّهَ وَٱجْتَنِبُوا۟ ٱلطَّٰغُوتَۖ فَمِنْهُم مَّنْ هَدَى ٱللَّهُ وَمِنْهُم مَّنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ ٱلضَّلَٰلَةُۚ فَسِيرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ فَٱنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلْمُكَذِّبِينَ


নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেকটি জাতির মধ্যে রাসূল পাঠিয়েছি! যেনো তোমরা আল্লাহর দাসত্ব করতে পার এবং তাগুত (কোরআন বহির্ভূত আইন) হ'তে দূরে থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে এমন অনেক রয়েছে, আল্লাহ যাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছন। আবার এমনও অনেক রয়েছে, যাদের উপরে বিভ্রান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ! সুতরাং তোমরা পৃথিবীর মধ্যে ভ্রমণ করো আর দেখো, মিথ্যাবাদীদের পরিণাম কেমন হয়েছে।

সূরা : সুরা নাহল

إِن تَحْرِصْ عَلَىٰ هُدَىٰهُمْ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى مَن يُضِلُّۖ وَمَا لَهُم مِّن نَّٰصِرِينَ

তুমি যদি তাদের পথ প্রদর্শনের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকো, তবুও নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন না, যারা নিজেরা বিভ্রান্তির মধ্যে থাকতে চায়। আর তাদের জন্য কোনও সাহায্যকারীও নেই।

সূরা : সুরা নাহল

وَأَقْسَمُوا۟ بِٱللَّهِ جَهْدَ أَيْمَٰنِهِمْۙ لَا يَبْعَثُ ٱللَّهُ مَن يَمُوتُۚ بَلَىٰ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ


তারা আল্লাহর নামে শক্ত শপথ খেয়ে বলে, যারা মারা গেছে, আল্লাহ তাদেরকে আবার উঠাবেন না। হ্যাঁ, তার নিজের উপরে করা প্রতিশ্রুতির সত্যরূপ তিনি দিবেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কিছুই জানে না। 

সূরা : সুরা নাহল

لِيُبَيِّنَ لَهُمُ ٱلَّذِى يَخْتَلِفُونَ فِيهِ وَلِيَعْلَمَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ أَنَّهُمْ كَانُوا۟ كَٰذِبِينَ


(এ ওয়াদা নিয়ে) যারা মতানৈক্য করছে, তাদের জন্যে কোরআনে বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। যেনো তারা জানতে পারে, যারা অস্বীকার করেছে, তারাই চরম মিথ্যাবাদী।

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّمَا قَوْلُنَا لِشَىْءٍ إِذَآ أَرَدْنَٰهُ أَن نَّقُولَ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ


আমি যখন কোনও জিনিসের জন্যে ইচ্ছা করি, তখন আমার কথা শুধু এই টুকুই থাকে যে, হয়ে যাও, আর তা হতে চলে যায়।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱلَّذِينَ هَاجَرُوا۟ فِى ٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ مَا ظُلِمُوا۟ لَنُبَوِّئَنَّهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا حَسَنَةًۖ وَلَأَجْرُ ٱلْءَاخِرَةِ أَكْبَرُۚ لَوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ


যারা আল্লাহর জন্যে নির্যাতিত হওয়ার পরে স্থানান্তর হয়, তাদেরকে অবশ্যই আমি দুনিয়াতে উত্তম আবাস দান করবো। আর আখিরাতের পুরস্কার তা তো অনেক বড়, তারা যদি জানতেই পারতো !

সূরা : সুরা নাহল

ٱلَّذِينَ صَبَرُوا۟ وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ


যারা ধৈর্য ধারণ করে, আর তাদের প্রতিপালকের উপরে নির্ভর করে চলে।

সূরা : সুরা নাহল

وَمَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ اِلَّا رِجَالًا نُّوْحِيْۤ اِلَيْهِمْ فَسْـَٔلُوْۤا اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ

আর আমি তোমার থেকে পূর্বে কেবল (জ্ঞানের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী) মানুষদেরকেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি, যাদের প্রতি আমি ওহী করেছি। অতএব তোমরা কোরআনের জ্ঞান সম্পন্নদের জিজ্ঞেস করো। যদি তোমরা না জানো।*

*16(43) নং আয়াতের ব্যাখ্যায়, রাসূল যে একজন মানুষ তার সুস্পষ্ট প্রমাণ 22(75),23(45-48), 25(7,8,20),5(75),12(109),13(38),14(10,11),17(94,95),18(110),21(3,7,8),23(24,33),26(154,186),36(15),41(6),64(6)...।

সূরা : সুরা নাহল

بِٱلْبَيِّنَٰتِ وَٱلزُّبُرِۗ وَأَنزَلْنَآ إِلَيْكَ ٱلذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ

সুস্পষ্ট প্রমাণ ও বিশেষ (6236 টি আয়াতের) টুকরা সমূহ সহ, আর তোমার কাছেও তো উপদেশবাণী অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি মানুষের জন্যে স্পষ্ট করে দিতে পারো, যা কিছু তাদের জন্যে অবতীর্ণ  করা হয়েছে, যেনো তারা চিন্তা-ভাবনা করে।

সূরা : সুরা নাহল

أَفَأَمِنَ ٱلَّذِينَ مَكَرُوا۟ ٱلسَّيِّـَٔاتِ أَن يَخْسِفَ ٱللَّهُ بِهِمُ ٱلْأَرْضَ أَوْ يَأْتِيَهُمُ ٱلْعَذَابُ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ

যারা কেবল কুকর্মের চক্রান্ত করে, তারা কি এমন অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়েছে? যে আল্লাহ তাদের সহ মাটিকে ধ্বসিয়ে দিবেন, কিংবা এমনভাবে শাস্তি তাদেরকে ঘিরে ধরবে যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না।

সূরা : সুরা নাহল

أَوْ يَأْخُذَهُمْ فِى تَقَلُّبِهِمْ فَمَا هُم بِمُعْجِزِينَ


অথবা তাদেরকে চলমান অবস্থায় পাকড়াও করবেন। তারা তো আল্লাহকে অক্ষম করতে পারবেনা। 

সূরা : সুরা নাহল

أَوْ يَأْخُذَهُمْ عَلَىٰ تَخَوُّفٍ فَإِنَّ رَبَّكُمْ لَرَءُوفٌ رَّحِيمٌ


অথবা (শাস্তি সম্পর্কে) তারা যখন ভীত হয়ে পড়বে, তখন তাদেরকে পাকড়াও করা হবে। তবে নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক দয়াপরবশ, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নাহল

أَوَلَمْ يَرَوْا۟ إِلَىٰ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ مِن شَىْءٍ يَتَفَيَّؤُا۟ ظِلَٰلُهُۥ عَنِ ٱلْيَمِينِ وَٱلشَّمَآئِلِ سُجَّدًا لِّلَّهِ وَهُمْ دَٰخِرُونَ


তারা কি সে সবের প্রতি দেখে না ? আল্লাহ যা কিছু বস্তু সৃষ্টি করেছেন, যার ছায়া ডান দিক থেকে বাম দিকে, আবার বাম দিক থেকে ডানে আল্লাহর জন্যে আনুগত্য করতে করতে তারা বিনয় প্রকাশ করে।

সূরা : সুরা নাহল

وَلِلَّهِ يَسْجُدُ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ مِن دَآبَّةٍ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُونَ


আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, চলমান জীবজন্তু ও মালা-ইকাদের সবাই আল্লাহর জন্যে পরম আনুগত্য প্রকাশ করে। আর তারা অহংকার করে না 

সূরা : সুরা নাহল

يَخَافُونَ رَبَّهُم مِّن فَوْقِهِمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ۩


তারা তাদের উপর অবস্থানরত প্রতিপালককে ভয় করে। আর তাদেরকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা তাই করে।

সূরা : সুরা নাহল

وَقَالَ ٱللَّهُ لَا تَتَّخِذُوٓا۟ إِلَٰهَيْنِ ٱثْنَيْنِۖ إِنَّمَا هُوَ إِلَٰهٌ وَٰحِدٌۖ فَإِيَّٰىَ فَٱرْهَبُونِ


আল্লাহ বলেন, তোমরা দুই আইনদাতা গ্রহণ করো না। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ‌ হলেন একমাত্র সত্যিকারের আইন দাতা। সুতরাং আমিই ভয়ের যোগ্য, তাই তোমরা আমাকেই ভয় করে চলো।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَلَهُ ٱلدِّينُ وَاصِبًاۚ أَفَغَيْرَ ٱللَّهِ تَتَّقُونَ


আর আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, তা তাঁরই জন্যে এবং সার্বক্ষণিক আনুগত্য তাঁরই জন্যে। তবে কি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অপরকে ভয় করবে?

সূরা : সুরা নাহল

وَمَا بِكُم مِّن نِّعْمَةٍ فَمِنَ ٱللَّهِۖ ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ ٱلضُّرُّ فَإِلَيْهِ تَجْـَٔرُونَ


অথচ তোমরাদের সাথে যেসব নিয়ামত আছে। তা আল্লাহর পক্ষ হতেই আসে। এরপর যখন তোমাদের কোনো দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে, তখন তোমরা তাঁকেই নম্র হয়ে ডাকো।

সূরা : সুরা নাহল

ثُمَّ إِذَا كَشَفَ ٱلضُّرَّ عَنكُمْ إِذَا فَرِيقٌ مِّنكُم بِرَبِّهِمْ يُشْرِكُونَ


এরপর আল্লাহ‌ যখন তোমাদের থেকে দুঃখ-দৈন্য দূর করে দেন, তখন কিন্তু তোমাদের মধ্য হতে একদল তাদের প্রতিপালকের সাথে অন্যদেরকে শরীক বানিয়ে নেয়।

সূরা : সুরা নাহল

لِيَكْفُرُوا۟ بِمَآ ءَاتَيْنَٰهُمْۚ فَتَمَتَّعُوا۟ۖ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ


এভাবে আমি তাদেরকে যা কিছু দান করেছি, সেসব অস্বীকার করে। তাই কিছু দিন তোমরা সুখ ভোগ করে নাও। অতঃপর শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে।

সূরা : সুরা নাহল

وَيَجْعَلُونَ لِمَا لَا يَعْلَمُونَ نَصِيبًا مِّمَّا رَزَقْنَٰهُمْۗ تَٱللَّهِ لَتُسْـَٔلُنَّ عَمَّا كُنتُمْ تَفْتَرُونَ


যা তারা মোটেই জানে না, তারই জন্য আমার দেওয়া জীবিকা থেকে একটা অংশ নির্ধারণ করে নেয়। আল্লাহর শপথ ! অবশ্যই তোমাদেরকে ঐসব বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হবে, যা তোমরা রচনা করে যাচ্ছো।

সূরা : সুরা নাহল

وَيَجْعَلُونَ لِلَّهِ ٱلْبَنَٰتِ سُبْحَٰنَهُۥۙ وَلَهُم مَّا يَشْتَهُونَ


আর তারা আল্লাহর জন্যে কন্যা-সন্তানসমূহ নির্ধারণ করে। তিনি পবিত্র ও মহান। তারা কিন্তু নিজেদের জন্যে তা (কন্যা সন্তান) কামনা করে না।

সূরা : সুরা নাহল

وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِٱلْأُنثَىٰ ظَلَّ وَجْهُهُۥ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ


অথচ যখন তাদের কাউকে কন্যা-সন্তানের ব্যাপারে 
সুখবর দেয়া হয়, তখন তার মুখ কালো হয়ে যায়। এবং সে হয় উত্তেজনা প্রশমনকারী।

সূরা : সুরা নাহল

يَتَوَٰرَىٰ مِنَ ٱلْقَوْمِ مِن سُوٓءِ مَا بُشِّرَ بِهِۦٓۚ أَيُمْسِكُهُۥ عَلَىٰ هُونٍ أَمْ يَدُسُّهُۥ فِى ٱلتُّرَابِۗ أَلَا سَآءَ مَا يَحْكُمُونَ

লোকদের থেকে লজ্জার কারণে আত্মগোপন করে, যা সুসংবাদ দেয়া হয় সে সম্পর্কে। (আর ভাবতে লাগে) হীনতা-লাঞ্ছনা সহ্য করেও কি তাকে রেখে দিবে, নাকি মাটির মধ্যে পূঁতে ফেলবে?  লক্ষ্য কর ! কত নিকৃষ্ট যা তারা সিদ্ধান্ত নেয়। 

*16(59),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 81(8,9)...।

সূরা : সুরা নাহল

لِلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ مَثَلُ ٱلسَّوْءِۖ وَلِلَّهِ ٱلْمَثَلُ ٱلْأَعْلَىٰۚ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ


যারা পরকালের উপর বিশ্বাস করে না, তাদের জন্যে বড় নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। আর আল্লাহর জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত (গুণাবলী)। আর তিনিই মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَوْ يُؤَاخِذُ ٱللَّهُ ٱلنَّاسَ بِظُلْمِهِم مَّا تَرَكَ عَلَيْهَا مِن دَآبَّةٍ وَلَٰكِن يُؤَخِّرُهُمْ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّىۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَـْٔخِرُونَ سَاعَةًۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ


আল্লাহ যদি মানুষদেরকে তাদের বাড়াবাড়ির জন্যে  ধরেন, তাহলে (যমীনের) উপর একটি প্রাণীও বাদ থাকবে না। কিন্তু তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত অবকাশ দেওয়া হয়েছে। অতঃপর যখন তাদের সময় এসে পড়ে, তখন তারা একটি মুহূর্তও পিছিয়ে থাকতে পারে না, আবার এগিয়েও আসতে পারে না।

সূরা : সুরা নাহল

وَيَجْعَلُونَ لِلَّهِ مَا يَكْرَهُونَ وَتَصِفُ أَلْسِنَتُهُمُ ٱلْكَذِبَ أَنَّ لَهُمُ ٱلْحُسْنَىٰۖ لَا جَرَمَ أَنَّ لَهُمُ ٱلنَّارَ وَأَنَّهُم مُّفْرَطُونَ


তারা আল্লাহর জন্যে এমন সব জিনিসও সাব্যস্ত করে, যা তারা নিজেরা অপছন্দ করে। অথচ তাদের জিহ্বাগুলো কেবল মিথ্যাই বর্ণনা করে যাচ্ছে যে, তাদেরই জন্যে কল্যাণ রয়েছে। সন্দেহ নেই যে, তাদের জন্যে রয়েছে আগুন এবং এও যে, তারা সবার আগে নিক্ষিপ্ত হবে।

সূরা : সুরা নাহল

تَٱللَّهِ لَقَدْ أَرْسَلْنَآ إِلَىٰٓ أُمَمٍ مِّن قَبْلِكَ فَزَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ أَعْمَٰلَهُمْ فَهُوَ وَلِيُّهُمُ ٱلْيَوْمَ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

আল্লাহর শপথ ! নিশ্চয়ই তোমার পূর্বেকার জাতিসমূহের প্রতিও আমি রাসূল পাঠিয়েছি। অতঃপর শয়তান তাদের কাজগুলোকে খুব সুশোভিত করে তুলে ধরেছে। সুতরাং আজ শয়তানই তাদের অলি। আর তাদের জন্যে রয়েছে নিদারুণ শাস্তি।

সূরা : সুরা নাহল

وَمَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتٰبَ اِلَّا لِتُبَيِّنَ لَهُمُ الَّذِي اخْتَلَفُوْا فِيْهِ ۙ وَهُدًي وَّرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ

আর আমি তোমার উপর আল কিতাব অবতীর্ণ  করেছি, শুধু এ জন্য যে, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করছে, তা তাদের জন্যে তুমি স্পষ্ট করে দেবে এবং (এটি) পথনির্দেশ ও দয়াস্বরূপ সেই লোকদের জন্যে যারা বিশ্বাস করে।*

*16(44,64),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(187)...।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱللَّهُ أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَأَحْيَا بِهِ ٱلْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَآۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لِّقَوْمٍ يَسْمَعُونَ


আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দিয়ে জমিকে তার মৃত্যুর পর প্রাণ দেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে এমন লোকদের জন্যে যারা মনোযোগ দিয়ে শুনে।

সূরা : সুরা নাহল

وَإِنَّ لَكُمْ فِى ٱلْأَنْعَٰمِ لَعِبْرَةًۖ نُّسْقِيكُم مِّمَّا فِى بُطُونِهِۦ مِنۢ بَيْنِ فَرْثٍ وَدَمٍ لَّبَنًا خَالِصًا سَآئِغًا لِّلشَّٰرِبِينَ

আর নিশ্চয়ই তোমাদের জন্যে রয়েছে গবাদিপশুর মধ্যে শিক্ষা। তার পেটের ভেতরের গোবর ও রক্তের মধ্য থেকে যা আমি তোমাদেরকে পান করিয়ে থাকি, তা হলো বিশুদ্ধ দুধ এবং পানকারীদের জন্যে স্বাচ্ছ্যন্দকর।

সূরা : সুরা নাহল

وَمِن ثَمَرَٰتِ ٱلنَّخِيلِ وَٱلْأَعْنَٰبِ تَتَّخِذُونَ مِنْهُ سَكَرًا وَرِزْقًا حَسَنًاۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ



খেজুর আংগুর এ সব ফল-মূল দিয়ে তোমরা মিষ্টান্ন জিনিস ও উত্তম জীবিকা তৈরী করে থাকো। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে এমন লোকদের জন্যে যারা জ্ঞান রাখে।

সূরা : সুরা নাহল

وَأَوْحَىٰ رَبُّكَ إِلَى ٱلنَّحْلِ أَنِ ٱتَّخِذِى مِنَ ٱلْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ ٱلشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُونَ


তোমার প্রতিপালক মৌমাছির প্রতি ওহী করেন যে, তোমরা পাহাড়ে ঘর (চাক) বানাবে। গাছপালা ও উঁচু করে যে দালান বা মাচান পাতা হয়, তাতেও তোমরা চাক বানাবে।

সূরা : সুরা নাহল

ثُمَّ كُلِى مِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ فَٱسْلُكِى سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًاۚ يَخْرُجُ مِنۢ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَٰنُهُۥ فِيهِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَةً لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

এরপর সব রকমের ফলসমূহ থেকে খাবে। অতঃপর তোমার প্রতিপালকের সহজ পথগুলিতে চলবে। তাদের পেটসমূহ থেকে নানা রঙের পানীয় বের হয়, আর তার মধ্যে মানুষের জন্যে আরোগ্য রয়েছে।  নিশ্চয়ই এর মধ্যেও নিদর্শন রয়েছে সেই লোকদের জন্যে যারা চিন্তা ভাবনা করে।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱللَّهُ خَلَقَكُمْ ثُمَّ يَتَوَفَّىٰكُمْۚ وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَىٰٓ أَرْذَلِ ٱلْعُمُرِ لِكَىْ لَا يَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَيْـًٔاۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ قَدِيرٌ

আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তোমাদেরকে মৃত্যু দিবেন। আর তোমাদের মধ্য থেকে কাউকে নিকৃষ্টতার বয়সের দিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, যেন সে সবকিছু জানার পরেও অজানা হয়ে যায়। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন মহাজ্ঞানী এবং পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱللَّهُ فَضَّلَ بَعْضَكُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ فِى ٱلرِّزْقِۚ فَمَا ٱلَّذِينَ فُضِّلُوا۟ بِرَآدِّى رِزْقِهِمْ عَلَىٰ مَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُهُمْ فَهُمْ فِيهِ سَوَآءٌۚ أَفَبِنِعْمَةِ ٱللَّهِ يَجْحَدُونَ


আল্লাহ জীবন উপকরণের বেলায় তোমাদের কাউকে কারও উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। সুতরাং যাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে, তারা কেনো তা থেকে ঐ সকল মানুষদেরকে দেয় না? যারা তাদের নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করে। কারণ তারা তাদের সমান হয়ে যাবে? তবে তারা কি আল্লাহর অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে ?

সূরা : সুরা নাহল

وَٱللَّهُ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَٰجًا وَجَعَلَ لَكُم مِّنْ أَزْوَٰجِكُم بَنِينَ وَحَفَدَةً وَرَزَقَكُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِۚ أَفَبِٱلْبَٰطِلِ يُؤْمِنُونَ وَبِنِعْمَتِ ٱللَّهِ هُمْ يَكْفُرُونَ


আল্লাহই তোমাদের জন্যে তোমাদের স্বজাতীয়দের মধ্য হ'তে জোড়াসমূহ সৃষ্টি করেছেন। আর তোমাদের যোগলগুলো থেকে পুত্র ও পৌত্রসমূহ সৃষ্টি করেছেন। তিনিই তো তোমাদেরকে পবিত্র বস্তু থেকে জীবিকা দিয়েছেন। তবে কি তারা বাতিলের উপরেই ঈমান আনবে, আর আল্লাহর অনুগ্রহসমূহকে তারা অস্বীকার করবে ?

সূরা : সুরা নাহল

وَيَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَمْلِكُ لَهُمْ رِزْقًا مِّنَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ شَيْـًٔا وَلَا يَسْتَطِيعُونَ


তারা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর দাসত্ব করবে? যা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী থেকে তাদেরকে জীবিকা দান করার কিছুমাত্র ক্ষমতাও রাখে না। আর তারা কোন কিছুই করতে সক্ষম না !

সূরা : সুরা নাহল

فَلَا تَضْرِبُوا۟ لِلَّهِ ٱلْأَمْثَالَۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ


সুতরাং তোমরা আল্লাহর জন্যে কোনও সদৃশ বর্ণনা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু জানেন। আর তোমরা জানো না।

সূরা : সুরা নাহল

ضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلًا عَبْدًا مَّمْلُوكًا لَّا يَقْدِرُ عَلَىٰ شَىْءٍ وَمَن رَّزَقْنَٰهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ يُنفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَجَهْرًاۖ هَلْ يَسْتَوُۥنَۚ ٱلْحَمْدُ لِلَّهِۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ


উপমা হিসেবে আল্লাহ এমন একটি অধিকারভুক্ত দাসের কথা বর্ণনা করছেন, কোনো বিষয়ে শক্তির অধিকার বলতে যার কিছুই নেই। আরেকটি লোক যাকে আমি উত্তম জীবিকা দান করেছি। সুতরাং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যায় করছে। এরা দু'জন কি সমান হতে পারে ? প্রসংশা মাত্রই আল্লাহর জন্যে। বরং তাদের অধিকাংশই জানে না। 

সূরা : সুরা নাহল

وَضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلًا رَّجُلَيْنِ أَحَدُهُمَآ أَبْكَمُ لَا يَقْدِرُ عَلَىٰ شَىْءٍ وَهُوَ كَلٌّ عَلَىٰ مَوْلَىٰهُ أَيْنَمَا يُوَجِّههُّ لَا يَأْتِ بِخَيْرٍۖ هَلْ يَسْتَوِى هُوَ وَمَن يَأْمُرُ بِٱلْعَدْلِۙ وَهُوَ عَلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ


আল্লাহ আরো দু'ব্যক্তির উপমা বর্ণনা করছেন। তাদের দুজনের একজন হচ্ছে বোবা, যে কোনো কিছুর উপর ক্ষমতা রাখে না এবং সে তার নিজ প্রভূর উপরে বোঝায় পরিণত হয়েছে। যেদিকেই তাকে পাঠানো হয়, সে ভালো কিছুই নিয়ে আসতে পারে না। তাহলে কি এই লোকটি সেই লোকের সমান বলে গণ্য হতে পারবে ? যে ন্যায়ের সাথে নির্দেশ দেয়। আর সে নিজেও সুপ্রতিষ্ঠিত পথের উপর কায়েম রয়েছে।

সূরা : সুরা নাহল

وَلِلَّهِ غَيْبُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۚ وَمَآ أَمْرُ ٱلسَّاعَةِ إِلَّا كَلَمْحِ ٱلْبَصَرِ أَوْ هُوَ أَقْرَبُۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

আকাশমন্ডলীর ও পৃথিবীর অদৃশ্যর বিষয়ের জ্ঞান আল্লাহরই রয়েছে। আর বিশেষ সময়ের (কিয়ামতের) ব্যাপার, তা তো শুধু চোখের পলকরে মতো, কিংবা তার চেয়েও নিকটতর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছুরই উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। 

সূরা : সুরা নাহল

وَٱللَّهُ أَخْرَجَكُم مِّنۢ بُطُونِ أُمَّهَٰتِكُمْ لَا تَعْلَمُونَ شَيْـًٔا وَجَعَلَ لَكُمُ ٱلسَّمْعَ وَٱلْأَبْصَٰرَ وَٱلْأَفْـِٔدَةَۙ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আল্লাহ তোমাদেরকে বের করেছেন তোমাদের মায়েদের পেট থেকে। তখন কিন্তু তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদের জন্যে শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও হৃদয়সমূহ সৃষ্টি করেছেন যেনো তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো।

সূরা : সুরা নাহল

أَلَمْ يَرَوْا۟ إِلَى ٱلطَّيْرِ مُسَخَّرَٰتٍ فِى جَوِّ ٱلسَّمَآءِ مَا يُمْسِكُهُنَّ إِلَّا ٱللَّهُۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ

তারা কি সেই উড়ন্ত পাখিগুলোর প্রতি লক্ষ্য করে না, যা শূন্যগর্ভে উড়ন্ত অবস্থায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে? আল্লাহ ছাড়া কেউ তাদেরকে ধরে রাখছে না ! নিশ্চয়ই এর মধ্যে সেই লোকদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে যারা ঈমান আনে

সূরা : সুরা নাহল

وَٱللَّهُ جَعَلَ لَكُم مِّنۢ بُيُوتِكُمْ سَكَنًا وَجَعَلَ لَكُم مِّن جُلُودِ ٱلْأَنْعَٰمِ بُيُوتًا تَسْتَخِفُّونَهَا يَوْمَ ظَعْنِكُمْ وَيَوْمَ إِقَامَتِكُمْۙ وَمِنْ أَصْوَافِهَا وَأَوْبَارِهَا وَأَشْعَارِهَآ أَثَٰثًا وَمَتَٰعًا إِلَىٰ حِينٍ


আল্লাহ তোমাদের জন্যে তোমাদের ঘরগুলোকে আবাস্থল বানিয়েছেন, আর চারপেয়ে জন্তুর চামড়াগুলো দিয়ে তোমাদের জন্যে এমন ধরনের তাবুর (ঘরের) ব্যবস্থা করেছেন, যা তোমাদের কাছে খুব হাল্কা বোধ হয়। তাই তোমরা বাড়ীতে ও ভ্রমণে অবস্থানকালে ব্যবহার করে থাকো। আর সেগুলোর লোম, পশম ও চুলগুলো দিয়ে ব্যবহারী অনেক জিনিস তৈরী করে বেশ কিছু দিন কাজে লাগিয়ে থাকো।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱللَّهُ جَعَلَ لَكُم مِّمَّا خَلَقَ ظِلَٰلًا وَجَعَلَ لَكُم مِّنَ ٱلْجِبَالِ أَكْنَٰنًا وَجَعَلَ لَكُمْ سَرَٰبِيلَ تَقِيكُمُ ٱلْحَرَّ وَسَرَٰبِيلَ تَقِيكُم بَأْسَكُمْۚ كَذَٰلِكَ يُتِمُّ نِعْمَتَهُۥ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْلِمُونَ


আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, তা হতে তোমাদের জন্যে ছায়ার ব্যবস্থা করেছেন। পাহাড়সমূহ থেকে তোমাদের জন্যে আশ্রয়স্থল বানিয়েছেন। তোমাদের জন্যে এমন পোশাকসমূহের ব্যবস্থা করেছেন, যাতে তোমরা গরমের কবল হতে রক্ষা পেতে পারো। আর এমন পোশাকরে ব্যবস্থা করেছেন যা তোমাদেরকে কষ্টের সময় রক্ষা করতে পারে। এভাবেই তিনি তাঁর অনুগ্রহ তোমাদের উপর পুর্ণ করেছেন, যেনো তোমরা আত্মসমর্পণ করতে পারো।

সূরা : সুরা নাহল

فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ ٱلْبَلَٰغُ ٱلْمُبِينُ


অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে কেবল তোমার উপর দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্টভাবে (কোরআনের আয়াত) পৌঁছানো। 

সূরা : সুরা নাহল

يَعْرِفُونَ نِعْمَتَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُنكِرُونَهَا وَأَكْثَرُهُمُ ٱلْكَٰفِرُونَ


তারা আল্লাহর অনুগ্রহসমূহকে অবশ্যই চিনে ! এরপরেও তারা তা অস্বীকার করেছে। তাদের অধিকাংশই তো কাফির।

সূরা : সুরা নাহল

وَيَوْمَ نَبْعَثُ مِن كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيدًا ثُمَّ لَا يُؤْذَنُ لِلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُونَ

যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্য হতে একজন করে প্রত্যক্ষ সাক্ষী দাঁড় করাবো। এরপর যারা অস্বীকার করেছে, তাদেরকে কোনও কথা বলার অনুমতি দেওয়া হবে না। তাদের কোনও ওজর আপত্তি গ্রহণ করা হবে না।

সূরা : সুরা নাহল

وَإِذَا رَءَا ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ ٱلْعَذَابَ فَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمْ وَلَا هُمْ يُنظَرُونَ


সীমালঙ্ঘনকারীরা যখন শাস্তি দেখতে পাবে, তখন তাদের থেকে শাস্তি হালকা করা হবে না। আর তাদেরকে অবকাশও দেওয়া হবে না।

সূরা : সুরা নাহল

وَإِذَا رَءَا ٱلَّذِينَ أَشْرَكُوا۟ شُرَكَآءَهُمْ قَالُوا۟ رَبَّنَا هَٰٓؤُلَآءِ شُرَكَآؤُنَا ٱلَّذِينَ كُنَّا نَدْعُوا۟ مِن دُونِكَۖ فَأَلْقَوْا۟ إِلَيْهِمُ ٱلْقَوْلَ إِنَّكُمْ لَكَٰذِبُونَ

আর মুশরিকরা যখন তাদের শরীকদেরকে দেখতে পাবে, তখন বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক ! এরাই তো আমাদের সেই শরীকদল, যাদেরকে আমরা ডেকেছি আপনাকে বাদ দিয়ে। তখন তাদের (বাতিল) কথা তাদের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আসলে তোমরাই তো মিথ্যাবাদী।

সূরা : সুরা নাহল

وَأَلْقَوْا۟ إِلَى ٱللَّهِ يَوْمَئِذٍ ٱلسَّلَمَۖ وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَفْتَرُونَ


সেদিন আল্লাহর কাছে বশ্যতা স্বীকার করে নিজেদেরক সমর্পণ করবে। আর তারা যেসব উদ্ভাবন করতো তাদের কাছ থেকে সেসব হারিয়ে যাবে।

সূরা : সুরা নাহল

ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَصَدُّوا۟ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ زِدْنَٰهُمْ عَذَابًا فَوْقَ ٱلْعَذَابِ بِمَا كَانُوا۟ يُفْسِدُونَ


যারা অস্বীকার করবে আর আল্লাহর কোরআনের পথে বাঁধা দিবে, তাদের শাস্তির উপর শাস্তি বাড়াতে থাকবো। এ কারণে যে, তারা অশান্তি সৃষ্টি করে।

সূরা : সুরা নাহল

وَيَوْمَ نَبْعَثُ فِى كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيدًا عَلَيْهِم مِّنْ أَنفُسِهِمْۖ وَجِئْنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِۚ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ تِبْيَٰنًا لِّكُلِّ شَىْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَىٰ لِلْمُسْلِمِينَ

যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্য হতে তাদের জন্যে একজন করে প্রত্যক্ষ সাক্ষী দাঁড় করাবো। আর তোমাকে তাদের সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করবো। আর আমি তোমার উপর এই আল কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে প্রত্যেকটি দরকারী বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আত্মসমর্পণকারী-মুসলিমদের জন্যে এটি পথ নির্দেশ ও অনুগ্রহ এবং সুসংবাদ স্বরূপ।*

*16(89) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(143)...।

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّ ٱللَّهَ يَأْمُرُ بِٱلْعَدْلِ وَٱلْإِحْسَٰنِ وَإِيتَآئِ ذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَيَنْهَىٰ عَنِ ٱلْفَحْشَآءِ وَٱلْمُنكَرِ وَٱلْبَغْىِۚ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায় ও সদাচরণ, আর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দেরকে দান করার ব্যাপারে নির্দেশ দিচ্ছেন। আর আল্লাহ‌ অশ্লীল, অসৎ ও বিদ্রোহমূলক কাজকর্ম থেকে নিষেধ করেছেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, যেনো তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারো।

সূরা : সুরা নাহল

وَأَوْفُوا۟ بِعَهْدِ ٱللَّهِ إِذَا عَٰهَدتُّمْ وَلَا تَنقُضُوا۟ ٱلْأَيْمَٰنَ بَعْدَ تَوْكِيدِهَا وَقَدْ جَعَلْتُمُ ٱللَّهَ عَلَيْكُمْ كَفِيلًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ


আল্লাহর নেওয়া অঙ্গীকার তোমরা পূরা করো। যখন তোমরা কোনো অঙ্গীকার করবে পাকা পোক্তভাবে, কোনো অঙ্গীকার করার পরে তোমরা তা ভঙ্গ করবে না। কারণ, তোমরা তোমাদের নিজেদের উপর আল্লাহকে অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছো। নিশ্চয়ই আল্লাহ জানেন, তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّتِى نَقَضَتْ غَزْلَهَا مِنۢ بَعْدِ قُوَّةٍ أَنكَٰثًا تَتَّخِذُونَ أَيْمَٰنَكُمْ دَخَلًۢا بَيْنَكُمْ أَن تَكُونَ أُمَّةٌ هِىَ أَرْبَىٰ مِنْ أُمَّةٍۚ إِنَّمَا يَبْلُوكُمُ ٱللَّهُ بِهِۦۚ وَلَيُبَيِّنَنَّ لَكُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ مَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ


তোমরা সেই মহিলার মতো হয়ো না, যে তার সুতা শক্ত করার পর কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে, তোমরা তোমাদের শপথগুলোকে একদলের উপরে অন্য দল বেশী লাভবান হওয়ার জন্যই ব্যবহার করছ? প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তোমাদেরকে এ দিয়ে পরীক্ষা করছেন। অবশ্যই তিনি তোমাদের জন্যে কিয়ামতের দিনে স্পষ্ট করে দিবেন, তোমরা যেসব বিষয়ের মধ্যে মত-বিরোধ করছো

সূরা : সুরা নাহল

وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَٰحِدَةً وَلَٰكِن يُضِلُّ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِى مَن يَشَآءُۚ وَلَتُسْـَٔلُنَّ عَمَّا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ


আল্লাহ যদি ইচ্ছে করতেন, অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে একই জাতিতে পরিণত করতেন। কিন্তু যে পথভ্রষ্টতার উপযুক্ত তাকে আল্লাহ‌ পথভ্রষ্ট করেন, আর যে উপযুক্ত তাকে সত্য সঠিক পথে পরিচালিত করেন। যেসব কাজ তোমরা করে যাচ্ছো, অবশ্যই সে সব বিষয়ে তোমাদের প্রশ্ন করা হবে।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَا تَتَّخِذُوٓا۟ أَيْمَٰنَكُمْ دَخَلًۢا بَيْنَكُمْ فَتَزِلَّ قَدَمٌۢ بَعْدَ ثُبُوتِهَا وَتَذُوقُوا۟ ٱلسُّوٓءَ بِمَا صَدَدتُّمْ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۖ وَلَكُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ


আর তোমরা তোমাদের শপথগুলোকে তোমাদের মাঝে প্রবঞ্চনার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করো না। তা'হলে পা স্থির হওয়ার পর পিছলে যাবে এবং তোমরা শাস্তি আস্বাদন করবে। কারণ তোমরা আল্লাহর কোরআনের পথে বাধা দিয়েছো। আর তোমাদের জন্যে রয়েছে মহাকঠিন শাস্তি।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَا تَشْتَرُوا۟ بِعَهْدِ ٱللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًاۚ إِنَّمَا عِندَ ٱللَّهِ هُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ


তোমরা আল্লাহর সাথে করা প্রতিশ্রুতি বিক্রি করো না। আর তার বিনিময়ে সামান্য মূল্য নিও না। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা-ই তোমাদের জন্যে উত্তম। যদি তোমরা জানতে।

সূরা : সুরা নাহল

مَا عِندَكُمْ يَنفَدُۖ وَمَا عِندَ ٱللَّهِ بَاقٍۗ وَلَنَجْزِيَنَّ ٱلَّذِينَ صَبَرُوٓا۟ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

তোমাদের কাছে যা কিছু রয়েছে তা শেষ হয়ে যাবে, আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে তা স্থায়ী। যারা ধৈর্য ধারণ করেছে, তাদেরকে আমি অবশ্যই প্রতিফল দিবো। তাদের জন্যে অতি উত্তম পুরস্কার রয়েছে, তারা যেসব কাজ করেছে, তারই জন্যে। 

সূরা : সুরা নাহল

مَنْ عَمِلَ صَٰلِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةً طَيِّبَةًۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

যে কেউ সংশোধনের কাজ করবে পুরুষ কিংবা নারীদের মধ্যে, আর সে মু'মিনও বটে। তখন অবশ্যই আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করবো। আর অবশ্যই আমি তাদেরকে অতি উত্তম পুরস্কার দিবো, তারা যেসব কাজ করেছে, তারই জন্য।

সূরা : সুরা নাহল

فَإِذَا قَرَأْتَ ٱلْقُرْءَانَ فَٱسْتَعِذْ بِٱللَّهِ مِنَ ٱلشَّيْطَٰنِ ٱلرَّجِيمِ

তুমি যখন কোরআন পড়তে চাইবে, তখন বিতাড়িত শয়তানের কবল থেকে (বাঁচার জন্যে) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে।*

*16(98),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 22(52,53),23(97,98)...।

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّهُۥ لَيْسَ لَهُۥ سُلْطَٰنٌ عَلَى ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ


নিশ্চয়ই শয়তান এমন যে,  তার জন্যে তাদের উপর কোন আধিপত্য নেই, যারা ঈমান আনে আর তাদের প্রতিপালকের উপরে নির্ভর করে চলে।

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّمَا سُلْطَٰنُهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ يَتَوَلَّوْنَهُۥ وَٱلَّذِينَ هُم بِهِۦ مُشْرِكُونَ


মূলতঃ তার আধিপত্য তাদের উপরে, যারা তাকে অভিভাবক বানায়। আর যারা তাঁর কোরআনের সাথে শিরিক করে চলে। 

সূরা : সুরা নাহল

وَإِذَا بَدَّلْنَآ ءَايَةً مَّكَانَ ءَايَةٍۙ وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُنَزِّلُ قَالُوٓا۟ إِنَّمَآ أَنتَ مُفْتَرٍۭۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

আর যখন আমি আয়াতের জায়গায় আয়াত বদল করতে থাকি, আসলে আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব ভালো করে জানেন, যা তিনি অবতীর্ণ করে থাকেন। তখন তারা বলে, মূলতঃ তুমিই (কোরআন) রচনা করছো। বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।*

*16(101),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(106)...।

সূরা : সুরা নাহল

قُلْ نَزَّلَهُۥ رُوحُ ٱلْقُدُسِ مِن رَّبِّكَ بِٱلْحَقِّ لِيُثَبِّتَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهُدًى وَبُشْرَىٰ لِلْمُسْلِمِينَ


তুমি বলে দাও ! পবিত্র রূহ তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে তা অবতীর্ণ করে থাকে।
যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে এবং তা পথ নির্দেশ ও আত্মসমর্পণকারীদের জন্যে সুসংবাদস্বরূপ।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَقَدْ نَعْلَمُ أَنَّهُمْ يَقُولُونَ إِنَّمَا يُعَلِّمُهُۥ بَشَرٌۗ لِّسَانُ ٱلَّذِى يُلْحِدُونَ إِلَيْهِ أَعْجَمِىٌّ وَهَٰذَا لِسَانٌ عَرَبِىٌّ مُّبِينٌ


আর নিশ্চয়ই আমি একথা জানি, তারা যে কথা বলছে, প্রকৃতপক্ষে কোনো একজন মানুষ তাকে শিখিয়ে দিয়ে যায়। কিন্তু যার সম্পর্কে তোমরা ইঙ্গিত করছো, তার ভাষা হচ্ছে আজমি (অনারবী-অস্পষ্ট)। আর এই কোরআন তো সুস্পষ্ট বোধগম্য আরবী ভাষায়।

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ لَا يَهْدِيهِمُ ٱللَّهُ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيم


নিশ্চয় যারা আল্লাহর আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনে না। তাদেরকে আল্লাহ সঠিক পথ দেখান না। আর তাদের জন্য রয়েছে নিদারুণ শাস্তি।

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّمَا يَفْتَرِى ٱلْكَذِبَ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْكَٰذِبُونَ


প্রকৃতপক্ষে যারা মিথ্যা রচনা করে যাচ্ছে, তারাই আল্লাহর আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে না। আর  তারাই মিথ্যাবাদী। 

সূরা : সুরা নাহল

مَن كَفَرَ بِٱللَّهِ مِنۢ بَعْدِ إِيمَٰنِهِۦٓ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُۥ مُطْمَئِنٌّۢ بِٱلْإِيمَٰنِ وَلَٰكِن مَّن شَرَحَ بِٱلْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ


যে ব্যক্তি ঈমান আনার পর আল্লাহর সাথে কুফুরী করেছে, তবে যাদেরকে এজন্য (জুর যুলুম করে) বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু যাদের মন ঈমানের উপর অটল রয়েছে, তাদের কথা ভিন্ন। বরং যে ব্যক্তি খোলা মনে কুফরী করে যাচ্ছে, এসব লোকের জন্যে রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব, আর তাদের জন্যে রয়েছে মহা শাস্তি। 

সূরা : সুরা নাহল

ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمُ ٱسْتَحَبُّوا۟ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا عَلَى ٱلْءَاخِرَةِ وَأَنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْكَٰفِرِينَ


এটা এজন্য যে, তারা পার্থিব জীবনকে পরকালের উপর প্রাধান্য দেয়। এবং এও যে আল্লাহ‌ কাফির সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।

সূরা : সুরা নাহল

أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ طَبَعَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ وَسَمْعِهِمْ وَأَبْصَٰرِهِمْۖ وَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْغَٰفِلُونَ


এরাই তো সেই দল আল্লাহ যাদের অন্তরসমূহ, শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তিসমূহের উপরে সীল মেরে দিয়েছেন। আসলে তারাই তো উদাসীন।

সূরা : সুরা নাহল

لَا جَرَمَ أَنَّهُمْ فِى ٱلْءَاخِرَةِ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ

সন্দেহ নেই, তারাই যে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

সূরা : সুরা নাহল

ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ هَاجَرُوا۟ مِنۢ بَعْدِ مَا فُتِنُوا۟ ثُمَّ جَٰهَدُوا۟ وَصَبَرُوٓا۟ إِنَّ رَبَّكَ مِنۢ بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ

এরপর নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক তাদের জন্যে, যারা নির্যাতিত হওয়ার পরে হিজরত করবে, অতঃপর যারা উৎকৃষ্টতমকর্ম করবে আর ধৈর্য ধরে থাকবে। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক এরপর তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নাহল

يَوْمَ تَأْتِى كُلُّ نَفْسٍ تُجَٰدِلُ عَن نَّفْسِهَا وَتُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ


যেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের সম্পর্কে যুক্তি-তর্ক নিয়ে আসবে। প্রত্যেককে তার কাজ মোতাবিক পুরাপুরি দান করা হবে। তাদের প্রতি অত্যাচার করা হবে না।

সূরা : সুরা নাহল

وَضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلًا قَرْيَةً كَانَتْ ءَامِنَةً مُّطْمَئِنَّةً يَأْتِيهَا رِزْقُهَا رَغَدًا مِّن كُلِّ مَكَانٍ فَكَفَرَتْ بِأَنْعُمِ ٱللَّهِ فَأَذَٰقَهَا ٱللَّهُ لِبَاسَ ٱلْجُوعِ وَٱلْخَوْفِ بِمَا كَانُوا۟ يَصْنَعُونَ


আল্লাহ একটি জনপদের দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন। যে জনপদটি এক সময় সুখ - শান্তিতে সমৃদ্ধ ছিলো। চার দিক থেকেই প্রচুর জীবিকা সেখানে আসতো।কিন্তু সেখানকার লোকজন আল্লাহর অনুগ্রহের ব্যপারে অস্বীকার করে। ফলে আল্লাহ তাদের কাজকর্মের কারণে তাদেরকে ভয় ও ক্ষুধার পোশাক পরিয়ে দেন।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَقَدْ جَآءَهُمْ رَسُولٌ مِّنْهُمْ فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمُ ٱلْعَذَابُ وَهُمْ ظَٰلِمُونَ


আর নিশ্চয়ই তাদের কাছে তাদের মধ্য হতে একজন রাসূল আসে। অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করতে চায়। ফলে তাদেরকে শাস্তি এসে পাকড়াও করে। তারা তো সীমালঙ্ঘনকারী হয়ে যায়।

সূরা : সুরা নাহল

فَكُلُوا۟ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ حَلَٰلًا طَيِّبًا وَٱشْكُرُوا۟ نِعْمَتَ ٱللَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ


সুতরাং তোমরা খাও তা হ'তে যা আল্লাহ তোমাদেরকে হালাল পবিত্র জীবিকা দান করেছেন, আর তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহসমূহের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তোমরা শুধু তাঁরই দাসত্ব করে থাকো। 

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةَ وَٱلدَّمَ وَلَحْمَ ٱلْخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ لِغَيْرِ ٱللَّهِ بِهِۦۖ فَمَنِ ٱضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


আল্লাহ‌ মূলতঃ তোমাদের উপর মৃত জন্তু, রক্ত ও শুকরের গোশত আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে যা কিছু উৎসর্গ করা হয়, এসব হারাম করেছেন। তবে যদি কেউ বিদ্রোহী হওয়া ছাড়া নিরুপায় হয়ে খায়, আর সীমালংঘনকারী না হয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নাহল

وَلَا تَقُولُوا۟ لِمَا تَصِفُ أَلْسِنَتُكُمُ ٱلْكَذِبَ هَٰذَا حَلَٰلٌ وَهَٰذَا حَرَامٌ لِّتَفْتَرُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ

এমনি তোমাদের মুখে যেসব মিথ্যা কথা এসে যায়, সে সব বলো না যে, এটা হালাল, ওটা হারাম। এসব বলে আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করতে চেষ্টা করো না। নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করবে তারা কিছুতেই সফলকাম হবে না।

সূরা : সুরা নাহল

مَتَٰعٌ قَلِيلٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


(দুনিয়ার) সুখ সম্ভোগ তো সামান্যই পাবে, আর তাদের জন্যে রয়েছে নিদারুণ শাস্তি।

সূরা : সুরা নাহল

وَعَلَى ٱلَّذِينَ هَادُوا۟ حَرَّمْنَا مَا قَصَصْنَا عَلَيْكَ مِن قَبْلُۖ وَمَا ظَلَمْنَٰهُمْ وَلَٰكِن كَانُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ

যারা হিদায়াতের দাবীদার (ইহুদী), তাদের জন্যও তো এর পূর্বে যেসব জিনিসের কথা উল্লেখ করেছি, তা নিষিদ্ধ করেছি। আমি তাদের উপরে অত্যাচার করিনি। কিন্তু তারাই যে নিজেদের উপর নিজেরাই অত্যাচার করেছে।

সূরা : সুরা নাহল

ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ عَمِلُوا۟ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٍ ثُمَّ تَابُوا۟ مِنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَ وَأَصْلَحُوٓا۟ إِنَّ رَبَّكَ مِنۢ بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ

এরপর নিশ্চয়ই (স্মরণ রাখবে) তোমার প্রতিপালককে, যারা অজ্ঞতা বশতঃ মন্দকাজ করে, এরপর তারা সঙ্গে সঙ্গে সেজন্য তাওবাহ করে, আর আত্ম সংশোধন করে, নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক এ সবের পর ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّ إِبْرَٰهِيمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتًا لِّلَّهِ حَنِيفًا وَلَمْ يَكُ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ


নিশ্চয়ই ইবরাহীম একাই হলো এক সম্প্রদায় (প্রতীক), আল্লাহর জন্যে অনুগত ও একনিষ্ঠ। আর ইবরাহীম মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়। 

সূরা : সুরা নাহল

شَاكِرًا لِّأَنْعُمِهِۚ ٱجْتَبَىٰهُ وَهَدَىٰهُ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ


ইবরাহীম তাঁর অনুগ্রহসমূহের জন্যে কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছেন ও সুপ্রতিষ্ঠিত পথের দিকে পরিচালিত করেছেন।

সূরা : সুরা নাহল

وَءَاتَيْنَٰهُ فِى ٱلدُّنْيَا حَسَنَةًۖ وَإِنَّهُۥ فِى ٱلْءَاخِرَةِ لَمِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ


আর আমিই তাকে দুনিয়ার মধ্যে কল্যাণ দিয়েছি। আর নিশ্চয়ই সে পরকালেও সংশোধনকারীদের অন্তর্ভূক্ত থাকবে।

সূরা : সুরা নাহল

ثُمَّ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ أَنِ ٱتَّبِعْ مِلَّةَ إِبْرَٰهِيمَ حَنِيفًاۖ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ


এরপর আমিই তোমার প্রতি ওহী করেছি যে, তুমি একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীমের পথপন্থার অনুসরণ করো। আর সে মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত না।

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّمَا جُعِلَ ٱلسَّبْتُ عَلَى ٱلَّذِينَ ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِۚ وَإِنَّ رَبَّكَ لَيَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ فِيمَا كَانُوا۟ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ

প্রকৃতপক্ষে সত্য হলো যে, আরামের দিন পালন করার প্রথা আমি নির্দিষ্ট করিনি। যারা এ ব্যাপারে মতবিরোধ করে, নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক তাদের মধ্যে কিয়ামতের দিন ফয়সালা করে দিবেন, যে ব্যপারে তারা মতবিরোধ করছে।

সূরা : সুরা নাহল

ٱدْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلْحِكْمَةِ وَٱلْمَوْعِظَةِ ٱلْحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلْهُم بِٱلَّتِى هِىَ أَحْسَنُۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِٱلْمُهْتَدِينَ


তুমি তোমার প্রতিপালকের কোরআনের পথের দিকে বিজ্ঞান ও উত্তম উপদেশ দ্বারা আহ্বান করো এবং এমন উপায়ে তাদের যুক্তি দাও যা অতি উত্তম। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালকই খুব জানেন, কে তাঁর কোরআনের পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে ! আর তিনি সঠিক পথ প্রাপ্তদের সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন।

সূরা : সুরা নাহল

وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا۟ بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُم بِهِۦۖ وَلَئِن صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِّلصَّٰبِرِينَ


আর তোমরা যদি তাদের প্রতিশোধ নিতে চাও, তাহলে ঠিক ততটুকুই নিবে, যতখানি ক্ষয় ক্ষতি ও কষ্ট তোমাদের পৌঁছেছে। কিন্তু যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, তা অবশ্যই ধৈর্যশীলদের জন্যে উত্তম।

সূরা : সুরা নাহল

وَٱصْبِرْ وَمَا صَبْرُكَ إِلَّا بِٱللَّهِۚ وَلَا تَحْزَنْ عَلَيْهِمْ وَلَا تَكُ فِى ضَيْقٍ مِّمَّا يَمْكُرُونَ


তুমি ধৈর্য ধারণ করো। তোমার ধৈর্যধারণ ছাড়া আল্লাহর সাহায্য সম্ভব নয়। তাদের কারণে দুঃখ করবে না। আর তারা যে সব ষড়যন্ত্র করছে, তাতেও তুমি সংকীর্ণমনা হয়ো না।

সূরা : সুরা নাহল

إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوا۟ وَّٱلَّذِينَ هُم مُّحْسِنُونَ


নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সাথেই রয়েছেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মপরায়ণ।