সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اِقْتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَابُهُمْ وَهُمْ فِيْ غَفْلَةٍ مُّعْرِضُوْنَ ۚ

মানুষের জন্যে তাদের হিসাব নেয়ার সময় নিকটে এসেছে, অথচ তারা উদাসীনতার মধ্যে বিমুখ হয়ে পড়ে আছে !

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

مَا يَاْتِيْهِمْ مِّنْ ذِكْرٍ مِّنْ رَّبِّهِمْ مُّحْدَثٍ اِلَّا اسْتَمَعُوْهُ وَهُمْ يَلْعَبُوْنَ ۙ

তাদের কাছে তাদেরই প্রতিপালকের পক্ষ হ'তে কোনো নতুন উপদেশ আসেনি। তারা তা শোনে, এমতাবস্থায় যে তারা খেলায় মেতে থাকে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَاهِيَةً قُلُوْبُهُمْ ؕ وَاَسَرُّوا النَّجْوَي ۖ الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا ۖ هَلْ هٰذَاۤ اِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ ۚ اَفَتَاْتُوْنَ السِّحْرَ وَاَنْتُمْ تُبْصِرُوْنَ

তাদের অন্তরগুলো অমনোযোগী থাকে। আর সীমালঙ্ঘনকারীরা গোপনে পরামর্শ করে। তারা বলে এই ব্যক্তি তোমাদেরই মতো একজন মানুষ নয় কি ! তবে কি তোমরা দেখে-শুনে জাদুর খপ্পরে এসে পড়বে?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قٰلَ رَبِّيْ يَعْلَمُ الْقَوْلَ فِي السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ ۫ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ

সে বলে, আমার প্রতিপালক জানেন সেই সব কথা যা হয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মধ্যে। আর তিনিই সবকিছু শুনেন, সবকিছু জানেন"।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

بَلْ قَالُوْۤا اَضْغَاثُ اَحْلَامٍۭ بَلِ افْتَرٰىهُ بَلْ هُوَ شَاعِرٌ ۚۖ فَلْيَاْتِنَا بِاٰيَةٍ كَمَاۤ اُرْسِلَ الْاَوَّلُوْنَ

বরং তারা বলে, এসব অলীক স্বপ্নসমূহ, বরং সে তা উদ্ভাবন করেছে, অথবা সে একজন কবি ! তাহ'লে সে আমাদের কাছে কোন নিদর্শন নিয়ে আসুক, যেমন পূর্ববর্তীগণকে নিদর্শনসহ পাঠানো হয়েছিলো।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

مَاۤ اٰمَنَتْ قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْيَةٍ اَهْلَكْنٰهَا ۚ اَفَهُمْ يُؤْمِنُوْنَ

তাদের পূর্বেকার কোন জনবসতি সে কথায় ঈমান আনে নি, যাদেরকে আমি ধ্বংস করেছি। তবে কি এরা ঈমান আনবে?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَمَاۤ اَرْسَلْنَا قَبْلَكَ اِلَّا رِجَالًا نُّوْحِيْۤ اِلَيْهِمْ فَسْـَٔلُوْۤا اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ

আর তোমার পূর্বে কোনো (জ্ঞানের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী) মানুষ ছাড়া তাদের কাছে ওহী করিনি। অতএব জিজ্ঞেস করো কোরআনের জ্ঞানের অধিকারীদের যদি তোমরা না জান।*

*2(247),26(18-21),28(15,33-35)...।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَمَا جَعَلْنٰهُمْ جَسَدًا لَّا يَاْكُلُوْنَ الطَّعَامَ وَمَا كَانُوْا خٰلِدِيْنَ

আর আমি তাদের এমন দেহ বিশিষ্ট বানাইনি, যাতে তারা পানাহার করবে না, কিংবা তারা চিরস্থায়ী হবে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

ثُمَّ صَدَقْنٰهُمُ الْوَعْدَ فَاَنْجَيْنٰهُمْ وَمَنْ نَّشَآءُ وَاَهْلَكْنَا الْمُسْرِفِيْنَ

এরপর তাদের প্রতিশ্রুতি আমি সত্য প্রমাণিত করেছি। অতঃপর আমি তাদেরকে রক্ষা করেছি, যারা রক্ষা পাওয়ার উপযুক্ত। আর সীমালংঘন কারীদেরকে আমি ধ্বংস করে থাকি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَقَدْ اَنْزَلْنَاۤ اِلَيْكُمْ كِتٰبًا فِيْهِ ذِكْرُكُمْ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ

নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যার মধ্যে শুধু তোমাদেরই বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে ! তবে কি তোমরা বুঝবে না?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَكَمْ قَصَمْنَا مِنْ قَرْيَةٍ كَانَتْ ظَالِمَةً وَّاَنْشَاْنَا بَعْدَهَا قَوْمًا اٰخَرِيْنَ

আমি কতো জনবসতিকে ধ্বংস করেছি, যারা ছিলো সীমালঙ্ঘনকারী। আর তাদের পরে আমি অন্য জাতি সৃষ্টি করেছি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَلَمَّاۤ اَحَسُّوْا بَاْسَنَاۤ اِذَا هُمْ مِّنْهَا يَرْكُضُوْنَ ؕ

অতঃপর তারা যখন আমার শাস্তি অনুভব করে ! তখন তারা তা থেকে পালাতে লাগে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَا تَرْكُضُوْا وَارْجِعُوْۤا اِلٰي مَاۤ اُتْرِفْتُمْ فِيْهِ وَمَسٰكِنِكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْـَٔلُوْنَ

(বলা হলো) না, তোমরা পালাবে না, বরং তোমরা তার দিকে ফিরে যাও, যার মধ্যে তোমাদের সম্ভোগ দেয়া হয়েছিলো এবং তোমাদের ঘরবাড়িগুলোতে। যাতে তোমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالُوْا يٰوَيْلَنَاۤ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِيْنَ

তারা বলে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! নিশ্চয়ই আমরা ছিলাম অত্যাচারী।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَمَا زَالَتْ تِّلْكَ دَعْوٰىهُمْ حَتّٰي جَعَلْنٰهُمْ حَصِيْدًا خٰمِدِيْنَ

অতঃপর তাদের এই আর্তনাদ চলতে থাকে, তাদেরকে কাটা ফসলের মতো স্তুপ করে ফেলে দিই, আর (যুদ্ধের) আগুন নিভে যায়।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَمَا خَلَقْنَا السَّمَآءَ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لٰعِبِيْنَ

আকাশসমূহ ও পৃথিবী আর এ দু'য়ের মাঝাখানে যা কিছু রয়েছে সে সব তো আর খেলাধুলার জন্য সৃষ্টি করিনি !

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَوْ اَرَدْنَاۤ اَنْ نَّتَّخِذَ لَهْوًا لَّاتَّخَذْنٰهُ مِنْ لَّدُنَّاۤ ۖ اِنْ كُنَّا فٰعِلِيْنَ

আমি যদি খেলাধুলার ইচ্ছা করতামই, তাহলে তা আমি সৃষ্টি করতাম ! কেনো আমি তা সব করতে যাবো ?Q

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَي الْبَاطِلِ فَيَدْمَغُهٗ فَاِذَا هُوَ زَاهِقٌ ؕ وَلَكُمُ الْوَيْلُ مِمَّا تَصِفُوْنَ

বরং আমি সত্যকে মিথ্যার উপরে ছুঁড়ে দিই। আর সে তাকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়, অতঃপর সেটা নিচিহ্ন হয়ে যায়। আর তোমরা তা নিয়ে নিপাত হও, যে সব তোমরা রচনা করে যাচ্ছো।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَلَهٗ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ وَمَنْ عِنْدَهٗ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِهٖ وَلَا يَسْتَحْسِرُوْنَ ۚ

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মধ্যে যে কেউ রয়েছে সে তো তাঁরই জন্যে। আর তাঁর কাছে যারা রয়েছে তারা অহংকার বশে তাঁর দাসত্ব থেকে মোটেই বিরত থাকে না। আর সে অলসতাও করে না।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

يُسَبِّحُوْنَ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ لَا يَفْتُرُوْنَ

দিন রাত তারা (স্রষ্টার বিধান মেনে) চলছে। তাতে তারা মোটেও থামে না।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اَمِ اتَّخَذُوْۤا اٰلِهَةً مِّنَ الْاَرْضِ هُمْ يُنْشِرُوْنَ

তারা কি পৃথিবী থেকেই অন্যান্যদেরকে আইনদাতা হিসেবে গ্রহণ করেছে ? অথচ তাদের সবাইকে সমবেত করা হবে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَوْ كَانَ فِيْهِمَاۤ اٰلِهَةٌ اِلَّا اللّٰهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبْحٰنَ اللّٰهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُوْنَ

এ দু'য়ের মধ্যে কোথাও যদি আল্লাহ ছাড়া আরও বিধানদাতা থাকত, তাহলে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। সুতরাং তারা যা বর্ণনা করছে, বিশেষ সংসদের প্রতিপালক আল্লাহ তা'হতে পবিত্র।*

*21(22) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 16(51),17(42),23(91),39(29),5(72,73)...।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَا يُسْـَٔلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْـَٔلُوْنَ

তিনি যা করেন ঐ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হবে না; বরং তারাই জিজ্ঞাসিত হবে।(যা কিছু তারা করে যাচ্ছে ঐ বিষয়ে)।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اَمِ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اٰلِهَةً ؕ قُلْ هَاتُوْا بُرْهَانَكُمْ ۚ هٰذَا ذِكْرُ مَنْ مَّعِيَ وَذِكْرُ مَنْ قَبْلِيْ ؕ بَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ ۙ الْحَقَّ فَهُمْ مُّعْرِضُوْنَ

তারা কি তাঁকে ছাড়া অনেক আইনদাতা গ্রহণ করেছে? তুমি বলে দাও, ‘তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আসো। আমার সাথে যারা আছে এটি তাদের জন্য সংবিধান এবং আমার পূর্বে যারা ছিল তাদের জন্যও এটাই ছিল সংবিধান।’ বরং তাদের অধিকাংশই প্রকৃত সত্যকে জানে না। ফলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَمَاۤ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا نُوْحِيْۤ اِلَيْهِ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنَا فَاعْبُدُوْنِ

তোমার পূর্বে রাসূলদের মধ্যে এমন কাউকে পাঠানো হয়নি, যার কাছে আমি এই ওহী করি নাই যে, আমি ছাড়া আর কোনো (সত্যিকারের) আইনদাতা নেই। সুতরাং তোমরা আমারই দাসত্ব করো।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمٰنُ وَلَدًا سُبْحٰنَهٗ ؕ بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُوْنَ ۙ

আর তারা (খ্রিষ্টানরা) বলে, দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন, তিনি হলেন পবিত্র মহান। বরং তারা তো দয়াময়ের সম্মানিত দাস।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَا يَسْبِقُوْنَهٗ بِالْقَوْلِ وَهُمْ بِاَمْرِهٖ يَعْمَلُوْنَ

তারা তাঁর চাইতে আগ বাড়িয়ে কোনো কথাই বলে না। তারা তো তাঁর হুকুম অনুসারে কাজ করে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُوْنَ ۙ اِلَّا لِمَنِ ارْتَضٰي وَهُمْ مِّنْ خَشْيَتِهٖ مُشْفِقُوْنَ

দয়াময় জানেন, যা কিছু তাদের সামনে ও পিছনে রয়েছে। আর তারা কারোর জন্যই সুপারিশ করে না। তবে যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকেন। আর তারা তাঁর ভয়ের কারণে ভীত সন্ত্রস্ত রয়েছ।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَمَنْ يَّقُلْ مِنْهُمْ اِنِّيْۤ اِلٰهٌ مِّنْ دُوْنِهٖ فَذٰلِكَ نَجْزِيْهِ جَهَنَّمَ ؕ كَذٰلِكَ نَجْزِي الظّٰلِمِيْنَ

তাদের মধ্যে কেউ যদি এমন কথা বলে, তিনি ছাড়া আমিও একজন আইনদাতা। তবে এর কারণে তাকে আমি জাহান্নামে শাস্তি দিবো। এরূপেই তো আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের প্রতিফল দিয়ে থাকি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اَوَلَمْ يَرَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْۤا اَنَّ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنٰهُمَا ؕ وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَآءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ؕ اَفَلَا يُؤْمِنُوْنَ

যারা অস্বীকার করেছে তারা কি ভেবে দেখেনি যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী উভয়েই মিলিত অবস্থায় ছিলো। অতঃপর আমিই তো উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর আমি তো পানি থেকে প্রত্যেক জীবন্ত বস্তু বানিয়েছি। তবুও কি তারা বিশ্বাস করে না?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَجَعَلْنَا فِي الْاَرْضِ رَوَاسِيَ اَنْ تَمِيْدَ بِهِمْ ۪ وَجَعَلْنَا فِيْهَا فِجَاجًا سُبُلًا لَّعَلَّهُمْ يَهْتَدُوْنَ

আর আমি পৃথিবীর মধ্যে বানিয়েছি সুদৃঢ় পর্বত, যেন তা তাদের নিয়ে একদিকে ঢলে না পড়ে*, আর আমি তার মধ্যে বানিয়েছি প্রশস্ত রাস্তাসমূহ, যেন তারা পথ পেতে পারে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَجَعَلْنَا السَّمَآءَ سَقْفًا مَّحْفُوْظًا ۚۖ وَّهُمْ عَنْ اٰيٰتِهَا مُعْرِضُوْنَ

আমি আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ হিসেবে রেখে দিয়েছি। আর তাতে সে সব নিদর্শন মওজুদ রয়েছে, তারা তো সে সব উপেক্ষাই করে যাচ্ছে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَهُوَ الَّذِيْ خَلَقَ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ ؕ كُلٌّ فِيْ فَلَكٍ يَّسْبَحُوْنَ

তিনিই তো সেই মহান, যিনি‌ রাত, দিন, সূর্য ও চাঁদকে সৃষ্টি করেছেন', সবই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করছে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَ ؕ اَفَا۠ئِنْ مِّتَّ فَهُمُ الْخٰلِدُوْنَ

তোমার পূর্বেও তো কোনো মানুষকে আমি চিরস্থায়ী জীবন দান করিনি। সুতরাং তুমি যদি মারা যাও, তাহলে তারা কি চিরজীবি থাকবে?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ الْمَوْتِ ؕ وَنَبْلُوْكُمْ بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً ؕ وَاِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ

প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর আমিও তোমাদেরকে ভালো ও মন্দ দিয়ে পরীক্ষা করে থাকি। আমার দিকেই তো তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَاِذَا رَاٰكَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْۤا اِنْ يَّتَّخِذُوْنَكَ اِلَّا هُزُوًا ؕ اَهٰذَا الَّذِيْ يَذْكُرُ اٰلِهَتَكُمْ ۚ وَهُمْ بِذِكْرِ الرَّحْمٰنِ هُمْ كٰفِرُوْنَ

কাফিরগুলো যখনই তোমাকে দেখতে পায়, তখন শুধু তোমাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা ব্যতীত তাদের আর কোনো কাজ থাকে না। তারা বলে এই লোকটি নাকি তোমাদেরই দেবদেবীগুলির সমালোচনা করে থাকে। আসলে তারাই তো দয়াময়ের জিকির (কোরআন) মানতে অস্বীকার করে যাচ্ছে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

خُلِقَ الْاِنْسَانُ مِنْ عَجَلٍ ؕ سَاُورِيْكُمْ اٰيٰتِيْ فَلَا تَسْتَعْجِلُوْنِ

মানুষকে তো বড়ই ব্যস্ত স্বভাব দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। শীঘ্রই আমার নিদর্শন তোমাদেরকে দেখাবো। সুতরাং তোমরা আমার কাছে তাড়াহুড়া করো না।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَيَقُوْلُوْنَ مَتٰي هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ

তারা বলে, এই হুমকির প্রতিশ্রুতি কখন পূর্ণ হবে ? যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাক।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَوْ يَعْلَمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا حِيْنَ لَا يَكُفُّوْنَ عَنْ وُّجُوْهِهِمُ النَّارَ وَلَا عَنْ ظُهُوْرِهِمْ وَلَا هُمْ يُنْصَرُوْنَ

যদি এসব অমান্যকারীরা সে সময়টি জানতেও পারে, তবুও তারা চেহারা ও পিঠ কিছুতেই আগুন থেকে বাঁচাতে পারবে না। আর তাদেরকে কোন সাহায্য করা হবে না।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

بَلْ تَاْتِيْهِمْ بَغْتَةً فَتَبْهَتُهُمْ فَلَا يَسْتَطِيْعُوْنَ رَدَّهَا وَلَا هُمْ يُنْظَرُوْنَ

বরং তাদের উপর তা হঠাৎ করেই এসে পড়বে। তারা দিশাহারা হয়ে পড়বে। আর তা ফিরিয়েও রাখতে পারবে না। আর তাদেরকে অবকাশও দেওয়া হবে না।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَلَقَدِ اسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّنْ قَبْلِكَ فَحَاقَ بِالَّذِيْنَ سَخِرُوْا مِنْهُمْ مَّا كَانُوْا بِهٖ يَسْتَهْزِءُوْنَ

আর নিশ্চয়ই তোমার পূর্বেকার রাসূলদের সাথেও ঠাট্টা বিদ্রুপ করা হয়েছে। কিন্তু সে সব উল্টো তাদের উপরেই এসে পড়েছে, তাদের মধ্যে যারা তাদেরকে উপহাস করতো, আর যা নিয়ে ঠাট্টা করতো।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قُلْ مَنْ يَّكْلَؤُكُمْ بِالَّيْلِ وَالنَّهَارِ مِنَ الرَّحْمٰنِ ؕ بَلْ هُمْ عَنْ ذِكْرِ رَبِّهِمْ مُّعْرِضُوْنَ

তুমি জিজ্ঞাসা করো। রাতের বেলায় বা দিনে দয়াময় থেকে কে তোমাদেরকে রক্ষা করবে। বরং তারাই তাদের প্রতিপালকের স্বরণ (কোরআন) থেকে বিমুখ হয়ে আছে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اَمْ لَهُمْ اٰلِهَةٌ تَمْنَعُهُمْ مِّنْ دُوْنِنَا ؕ لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ نَصْرَ اَنْفُسِهِمْ وَلَا هُمْ مِّنَّا يُصْحَبُوْنَ

তাদের জন্য কি আরো আলিহাহ্‌ (বানোয়াট দেব দেবতা/পীর আউলিয়া) রয়েছে ? আমি ব্যতীত তারাই কি তাদেরকে রক্ষা করছে ? তারা তো নিজেদেরও কোনো সাহায্য করতে সক্ষম নয়। আমার বিরুদ্ধে কারোর পক্ষ থেকে তাদের কোন সাথীও থাকবেনা।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

بَلْ مَتَّعْنَا هٰۤؤُلَآءِ وَاٰبَآءَهُمْ حَتّٰي طَالَ عَلَيْهِمُ الْعُمُرُ ؕ اَفَلَا يَرَوْنَ اَنَّا نَاْتِي الْاَرْضَ نَنْقُصُهَا مِنْ اَطْرَافِهَا ؕ اَفَهُمُ الْغٰلِبُوْنَ

বরং আমিই তো তাদেরকে ও তাদের বাপ-দাদাদেরকে ভোগ সামগ্রী দান করেছি । এমন কি তাদের উপর দিয়ে দীর্ঘ আয়ু /সময় কেটে যায়। তারা কি দেখতে পায় না ? যে আমি তাদের দেশকে তার চার দিক হ'তে কমিয়ে আনছি। এখনও তারা কি জয়লাভ করবে?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قُلْ اِنَّمَاۤ اُنْذِرُكُمْ بِالْوَحْيِ ۫ۖ وَلَا يَسْمَعُ الصُّمُّ الدُّعَآءَ اِذَا مَا يُنْذَرُوْنَ

তুমি বলো, আমি কেবল ওহী দ্বারা তোমাদেরকে সতর্ক করছি। বধিরগুলো তো কোনো ডাকই শুনে না, যখন কেউ তাদেরকে সতর্কবাণী শুনাতে চায়।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَلَئِنْ مَّسَّتْهُمْ نَفْحَةٌ مِّنْ عَذَابِ رَبِّكَ لَيَقُوْلُنَّ يٰوَيْلَنَاۤ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِيْنَ

আর যদি তাদেরকে তোমার প্রতিপালকের শাস্তি থেকে একটা ঝাপটাও স্পর্শ করে, তারা অবশ্যই বলবে, হায়, আমাদের দুর্ভোগ ! নিশ্চয়ই আমরা সীমালঙ্ঘনকারী ছিলাম।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَنَضَعُ الْمَوَازِيْنَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيٰمَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا ؕ وَاِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ اَتَيْنَا بِهَا ؕ وَكَفٰي بِنَا حٰسِبِيْنَ

আমিই তো কিয়ামতের দিন মানদন্ডসমূহ স্থাপন করবো। কারোর উপরে কিছুমাত্র অবিচার করা হবে না। যদি সরিষার একদানা পরিমাণও হয়, তাকেও আমি তার সামনে নিয়ে আসবো । হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই তো যথেষ্ট।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسٰي وَهٰرُوْنَ الْفُرْقَانَ وَضِيَآءً وَّذِكْرًا لِّلْمُتَّقِيْنَ ۙ

এবং নিশ্চয়ই আমি মূসা ও হারুনকে সত্য ও মিথ্যার মাঝে ফায়সালাকারী আল ফুরকান দিয়েছি, আর তাতে মহৎব্যক্তিদের জন্যে (পথ চলার) আলো ও উপদেশ রয়েছে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

الَّذِيْنَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ وَهُمْ مِّنَ السَّاعَةِ مُشْفِقُوْنَ

যারা তাদের প্রতিপালককে অদৃশ্য অবস্থায় ভয় করে চলে। আর তারাই বিশেষ সময় সম্পর্কে ভীতসন্ত্রস্ত থাকে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَهٰذَا ذِكْرٌ مُّبٰرَكٌ اَنْزَلْنٰهُ ؕ اَفَاَنْتُمْ لَهٗ مُنْكِرُوْنَ

আর এটা কল্যাণময় সংবিধান ,যা আমিই অবতীর্ণ করেছি। তবুও কি তোমরা এর অস্বীকারকারী হবে?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَلَقَدْ اٰتَيْنَاۤ اِبْرٰهِيْمَ رُشْدَهٗ مِنْ قَبْلُ وَكُنَّا بِهٖ عٰلِمِيْنَ ۚ

আর নিশ্চয়ই আমি ইতিপূর্বে ইবরাহীমকে দিয়েছি তার সৎপথের বুদ্ধি জ্ঞান। আর আমি তার সম্পর্কে ছিলাম খুব অবহিত।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اِذْ قَالَ لِاَبِيْهِ وَقَوْمِهٖ مَا هٰذِهِ التَّمَاثِيْلُ الَّتِيْۤ اَنْتُمْ لَهَا عٰكِفُوْنَ

যখন সে তার পিতা ও তার জাতিকে বলে, এই প্রতিচ্ছবি মূর্তি গুলি কেমন? যাদের জন্য তোমরা ভ্রাহ্মন সেজে বসেছো ?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالُوْا وَجَدْنَاۤ اٰبَآءَنَا لَهَا عٰبِدِيْنَ

তারা বলে, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের তো এ সবের পূঁজা অর্চনা করতে দেখেছি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالَ لَقَدْ كُنْتُمْ اَنْتُمْ وَاٰبَآؤُكُمْ فِيْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍ

সে বলে, নিশ্চয়ই তোমরা আর তোমাদের বাপ-দাদারা সবাই সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতার মধ্যেই রয়েছো।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالُوْۤا اَجِئْتَنَا بِالْحَقِّ اَمْ اَنْتَ مِنَ اللّٰعِبِيْنَ

তারা যখন বলে, তুমি কি আমাদের কাছে প্রকৃত সত্য নিয়েই এসেছো ? না তুমি কৌতুককারীদের অন্তর্ভুক্ত?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالَ بَلْ رَّبُّكُمْ رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ الَّذِيْ فَطَرَهُنَّ ۫ۖ وَاَنَا عَلٰي ذٰلِكُمْ مِّنَ الشّٰهِدِيْنَ

সে বলে,বরং তিনিই তোমাদের প্রতিপালক, যিনি আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর প্রতিপালক। যিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আর এসবের উপর আমি অন্যতম সাক্ষী।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَتَاللّٰهِ لَاَكِيْدَنَّ اَصْنَامَكُمْ بَعْدَ اَنْ تُوَلُّوْا مُدْبِرِيْنَ

আর আল্লাহর শপথ, অবশ্যই আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর একটা ব্যবস্হা নিবো। তোমাদের পিঠ ফিরিয়ে চলে যাওয়ার পরে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَجَعَلَهُمْ جُذٰذًا اِلَّا كَبِيْرًا لَّهُمْ لَعَلَّهُمْ اِلَيْهِ يَرْجِعُوْنَ

অতঃপর সে সেই কল্পিত মূর্তিগুলোকে টুকরো টুকরো করে ফেলে একমাত্র তাদের সকলের বড়টা ছাড়া। যাতে তারা তাঁর দিকে ফিরে আসে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالُوْا مَنْ فَعَلَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَاۤ اِنَّهٗ لَمِنَ الظّٰلِمِيْنَ

তারা বলতে লাগে, আমাদের দেবতাগুলোর সাথে কে এমন করলো ? নিশ্চয়ই সে সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভূক্ত।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالُوْا سَمِعْنَا فَتًي يَّذْكُرُهُمْ يُقَالُ لَهٗۤ اِبْرٰهِيْمُ ؕ

তারা বলতে লাগে, আমরা শুনেছি ইবরাহীম নামে একটি যুবক আছে। সে নাকি দেবতাগুলোর ব্যাপারে সমালোচনা করছিলো।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالُوْا فَاْتُوْا بِهٖ عَلٰۤي اَعْيُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُوْنَ

তারা বলে, তা'হলে তাকে লোকদের চোখের সামনে ধরে নিয়ে আসো। যাতে তারা সাক্ষ্য দিতে পারে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالُوْۤا ءَاَنْتَ فَعَلْتَ هٰذَا بِاٰلِهَتِنَا يٰۤـاِبْرٰهِيْمُ ؕ

তারা বলে, হে ইবরাহীম ! তুমি কি তাহলে আমাদের ইলাহগুলোর সাথে এই ব্যবহার করেছো ?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالَ بَلْ فَعَلَهٗ ۖ كَبِيْرُهُمْ هٰذَا فَسْـَٔلُوْهُمْ اِنْ كَانُوْا يَنْطِقُوْنَ

সে বলে, বরং যিনি এদের সকলের বড়, তিনিই একাজ করেছেন। তাই আপনারা এদেরকে একটু জিজ্ঞাসা করুন ! যদি তারা প্রমাণের সহিত বলে দিতে পারে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَرَجَعُوْۤا اِلٰۤي اَنْفُسِهِمْ فَقَالُوْۤا اِنَّكُمْ اَنْتُمُ الظّٰلِمُوْنَ ۙ

তখন তারা তাদের মনের প্রতি ফেরত যেয়ে ভাবতে লাগে। অতঃপর তারা বলে উঠে, নিশ্চয়ই তোমরাই সীমালংঘনকারী।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

ثُمَّ نُكِسُوْا عَلٰي رُءُوْسِهِمْ ۚ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هٰۤؤُلَآءِ يَنْطِقُوْنَ

অতঃপর তারা মাথা নীচু করে বসে বলে, নিশ্চয়ই তুমি তো জানোই যে, এরা লজিকেলী কথা বলতে পারে না।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالَ اَفَتَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا يَنْفَعُكُمْ شَيْئًا وَّلَا يَضُرُّكُمْ ؕ

ইবরাহীম বলতে লাগে, তাহলে কি তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাল্পনিক বস্তুর দাসত্ব করে যাচ্ছো ? যারা তোমাদের কিছুমাত্র উপকার এবং ক্ষতি করতে পারে না।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اُفٍّ لَّكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ

আফসোস ! তোমাদের জন্য, আর তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের দাসত্ব করছো তাদের জন্যেও ! তবুও কি তোমরা কিছুই বুঝবে না ?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قَالُوْا حَرِّقُوْهُ وَانْصُرُوْۤا اٰلِهَتَكُمْ اِنْ كُنْتُمْ فٰعِلِيْنَ

তারা বলে, ইবরাহীমকে তোমরা পুড়িয়ে ফেলো, আর তোমরা তোমাদের দেবতাগুলোকে সাহায্য করো। যদি তোমরা কিছু করতে চাও।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قُلْنَا يٰنَارُ كُوْنِيْ بَرْدًا وَّسَلٰمًا عَلٰۤي اِبْرٰهِيْمَ ۙ

আমি বলি, হে আগুন, তুমি শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ইবরাহীমের জন্য'।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَاَرَادُوْا بِهٖ كَيْدًا فَجَعَلْنٰهُمُ الْاَخْسَرِيْنَ ۚ

তারা চাইলো যাতে তার অনিষ্ট হয়। কিন্তু আমিই তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ দলে পরিণত করে দিই।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَنَجَّيْنٰهُ وَلُوْطًا اِلَي الْاَرْضِ الَّتِيْ بٰرَكْنَا فِيْهَا لِلْعٰلَمِيْنَ

আমি ইবরাহীমকে আর লূতকে উদ্ধার করে নিয়ে যাই সেই দেশের দিকে,যেখানে আমি বিশ্ববাসীর জন্যে বরকতময় করে রেখে দিয়েছি (মাসজিদুল হারামে)। *

*21(71),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,3(96),7(137),11(73),17(1),21(81),23(28,29),34(18)...।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَوَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ ؕ وَيَعْقُوْبَ نَافِلَةً ؕ وَكُلًّا جَعَلْنَا صٰلِحِيْنَ

আর ইবরাহীমকে আমি ইসহাক (পুত্ররূপে) দান করেছি। আর ইয়াকুবকে দিয়েছি অতিরিক্ত হিসেবে (পৌত্ররূপে)। আর সবাইকে আমি সংশোধনকারী বানিয়েছি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَجَعَلْنٰهُمْ اَئِمَّةً يَّهْدُوْنَ بِاَمْرِنَا وَاَوْحَيْنَاۤ اِلَيْهِمْ فِعْلَ الْخَيْرٰتِ وَاِقَامَ الصَّلٰوةِ وَاِيْتَآءَ الزَّكٰوةِ ۚ وَكَانُوْا لَنَا عٰبِدِيْنَ ۚۙ

সকল নবীদেরকে আমি নেতা বানিয়ে থাকি, আমারই নির্দেশ মতে তারা মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়ে থাকে। আর আমি তাদের প্রতি ভালো ভালো কাজ করতে ও দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা এবং সাহায্য প্রদান করতে ওহী করেছি। তারা সবাই আমার জন্যে দাসত্ব করে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَلُوْطًا اٰتَيْنٰهُ حُكْمًا وَّعِلْمًا وَّنَجَّيْنٰهُ مِنَ الْقَرْيَةِ الَّتِيْ كَانَتْ تَّعْمَلُ الْخَبٰٓئِثَ ؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا قَوْمَ سَوْءٍ فٰسِقِيْنَ ۙ

আর আমি লূতকে বিচারের ফায়সালার প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দান করেছি। আর তাকে এমন জনপদ থেকে উদ্ধার করেছি, যারা অশ্লীল কর্মসমূহে লিপ্ত ছিলো। নিশ্চয়ই তারা সত্যত্যাগী খারাপ জাতি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَاَدْخَلْنٰهُ فِيْ رَحْمَتِنَا ؕ اِنَّهٗ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ

আর আমি তাকে আমারই অনুগ্রহে প্রবেশ করাই। নিশ্চয়ই সেও সংশোধনকারীদের অন্তর্ভূক্ত।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَنُوْحًا اِذْ نَادٰي مِنْ قَبْلُ فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ فَنَجَّيْنٰهُ وَاَهْلَهٗ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيْمِ ۚ

আর নূহকেও ! ইতিপূর্বে সে যখন আমাকে ডাক দেয়, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দেই। অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিবারকে মহা সংকট হতে উদ্ধার করি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَنَصَرْنٰهُ مِنَ الْقَوْمِ الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَا ؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا قَوْمَ سَوْءٍ فَاَغْرَقْنٰهُمْ اَجْمَعِيْنَ

আর আমি তাকে সাহায্য করি এমন লোকদের মোকাবিলায়, যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে। নিশ্চয়ই তারা বড়ই খারাপ লোক। তাই আমি তাদের সবাইকে ডুবিয়ে দিই।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَدَاوٗدَ وَسُلَيْمٰنَ اِذْ يَحْكُمٰنِ فِي الْحَرْثِ اِذْ نَفَشَتْ فِيْهِ غَنَمُ الْقَوْمِ ۚ وَكُنَّا لِحُكْمِهِمْ شٰهِدِيْنَ ۙ

আরো স্মরণ করো দাউদ ও সুলাইমানকে, যখন তারা উভয়ে এক ক্ষেত সম্পর্কে বিচার করছিলো। যখন কিছু লোকের মেষ তার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিলো। তখন আমি ছিলাম তাদের বিচারের জন্যে পর্যবেক্ষক।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَفَهَّمْنٰهَا سُلَيْمٰنَ ۚ وَكُلًّا اٰتَيْنَا حُكْمًا وَّعِلْمًا ۫ وَّسَخَّرْنَا مَعَ دَاوٗدَ الْجِبَالَ يُسَبِّحْنَ وَالطَّيْرَ ؕ وَكُنَّا فٰعِلِيْنَ

অতঃপর সেই ফায়সালার তাৎপর্য আমি সুলাইমানকে ঠিকমত বুঝিয়ে দিই। তাদের দু'জনকেই আমি নেতৃত্বের বিশেষ জ্ঞান দান করি। আর আমিই পাহাড়গুলোর সম্পদকে দাউদের নিয়ন্ত্রণে এনে দিই। এছাড়া পাখীদের উপরেও তার নিয়ন্ত্রণ থাকে। এসবের আমিই সম্পাদনকারী

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَعَلَّمْنٰهُ صَنْعَةَ لَبُوْسٍ لَّكُمْ لِتُحْصِنَكُمْ مِّنْۢ بَاْسِكُمْ ۚ فَهَلْ اَنْتُمْ شٰكِرُوْنَ

আমি তাকে এক রকম পোশাক তৈরী করতে শিখিয়ে দিয়েছি তোমাদের সকলের জন্যই, যেনো তোমরা নিজেদের কষ্টের সময়ে আত্মরক্ষা করতে পারো। তোমরা কি কিছুমাত্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছো?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَلِسُلَيْمٰنَ الرِّيْحَ عَاصِفَةً تَجْرِيْ بِاَمْرِهٖۤ اِلَي الْاَرْضِ الَّتِيْ بٰرَكْنَا فِيْهَا ؕ وَكُنَّا بِكُلِّ شَيْءٍ عٰلِمِيْنَ

আর সুলাইমানের জন্যে তীব্র প্রবাহমান বায়ুকে অনুগত করে দিই। যা তার নির্দেশ অনুসারে সেই ভূমির (মাসজিদুল হারামের) দিকে প্রবাহিত হতো। যেখানে আমি অনেক কল্যাণ রেখে দিয়েছি। সব বিষয়েই তো আমি খুব জানি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَمِنَ الشَّيٰطِيْنِ مَنْ يَّغُوْصُوْنَ لَهٗ وَيَعْمَلُوْنَ عَمَلًا دُوْنَ ذٰلِكَ ۚ وَكُنَّا لَهُمْ حٰفِظِيْنَ ۙ

আর সুলাইমানের জন্যে শয়তানদের মধ্য হ'তে কতগুলোকে অনুগত করে দিই। যারা তার জন্য ডুবুরীর কাজ করতো। এছাড়া তারা তার জন্যে আরো অনেক কাজ করতো। আমি ওদেরকে নিয়ন্ত্রণ করেছি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَاَيُّوْبَ اِذْ نَادٰي رَبَّهٗۤ اَنِّيْ مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَاَنْتَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِيْنَ ۚۖ

আর আইয়ুবকেও স্মরণ করো, সে যখন তার প্রতিপালককে ডাকে, হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে যে বড়ই দুঃখ কষ্টে (অসুখে) স্পর্শ করেছে , আর আপনিই তো সব দয়ালুদের সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ فَكَشَفْنَا مَا بِهٖ مِنْ ضُرٍّ وَّاٰتَيْنٰهُ اَهْلَهٗ وَمِثْلَهُمْ مَّعَهُمْ رَحْمَةً مِّنْ عِنْدِنَا وَذِكْرٰي لِلْعٰبِدِيْنَ

সুতরাং আমি তার ডাকে সাড়া দিই। তার যত দুঃখ কষ্ট থাকে আমি তা দূর করে দিই। আমি তাকে তার পরিবার পরিজনকে আর তাদের মতোই যারা তাদের সাথে থাকে, সবাইকে আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহ দান করি। এ তাদের জন্যে উপদেশ যারা দাসত্ব করে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَاِسْمٰعِيْلَ وَاِدْرِيْسَ وَذَا الْكِفْلِ ؕ كُلٌّ مِّنَ الصّٰبِرِيْنَ ۚۖ

আর ইসমাঈল, ইদরীস ও জুলকিফল, এরা সবাই তো ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَاَدْخَلْنٰهُمْ فِيْ رَحْمَتِنَا ؕ اِنَّهُمْ مِّنَ الصّٰلِحِيْنَ

এবং আমি তাদের সবাইকে আমার অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ করাই। নিশ্চয়ই তারা সবাই সংশোধনকারীদের অন্তর্ভুক্ত। z

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَذَا النُّوْنِ اِذْ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ اَنْ لَّنْ نَّقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادٰي فِي الظُّلُمٰتِ اَنْ لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنْتَ سُبْحٰنَكَ ۖ اِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظّٰلِمِيْنَ ۚۖ

আর জান্নু-ন (মাছ ওয়ালা) সাহেব সে যখন রাগ করে চলে যায়, অতঃপর মনে করে, আমি হয়তো তাকে ধর-পাকড়াও করতে পারবো না। অতঃপর সে অন্ধকার থেকে ডেকে বলে, আপনি ছাড়া আর কোন (সত্যিকারের) বিধানদাতা নেই, আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয়ই আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ ۙ وَنَجَّيْنٰهُ مِنَ الْغَمِّ ؕ وَكَذٰلِكَ نُــْۨجِي الْمُؤْمِنِيْنَ

তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। আর আমি তাকে দুশ্চিন্তা হ'তে উদ্ধার করি। এরূপেই আমি মু'মিনদেরকে উদ্ধার করে থাকি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَزَكَرِيَّاۤ اِذْ نَادٰي رَبَّهٗ رَبِّ لَا تَذَرْنِيْ فَرْدًا وَّاَنْتَ خَيْرُ الْوٰرِثِيْنَ ۚۖ

আর জাকারিয়্যাকেও, সে যখন তার প্রতিপালককে ডাকে, হে আমার প্রতিপালক ! আপনি আমাকে একাকী বংশহীন অবস্থায় ফেলে রাখবেন না। আপনিই তো উত্তম উত্তারাধিকারী।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ ۫ وَوَهَبْنَا لَهٗ يَحْيٰي وَاَصْلَحْنَا لَهٗ زَوْجَهٗ ؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا يُسٰرِعُوْنَ فِي الْخَيْرٰتِ وَيَدْعُوْنَنَا رَغَبًا وَّرَهَبًا ؕ وَ كَانُوْا لَنَا خٰشِعِيْنَ

সুতরাং আমি তার ডাকে সাড়া দিই। আর তাকে ইয়াহইয়াকে দান করি। তার জন্যে তার স্ত্রীর সমস্যার সমাধান করে দিই। নিশ্চয়ই তারা কল্যাণকর কাজে প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকে। আর তারা আশা ও ভয় নিয়ে আমারই দাসত্ব করে। তারা আমার সামনে বড়ই ভীত ও বিনম্র থাকে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَالَّتِيْۤ اَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيْهَا مِنْ رُّوْحِنَا وَجَعَلْنٰهَا وَابْنَهَاۤ اٰيَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ

আর সেই স্ত্রী লোকটি (মারইয়াম), যে তার নিজের সতীত্বকে রক্ষা করে। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ হতে রুহ ফুঁকে দিই। আর তাকে ও তার সন্তানকে আমি বিশ্ববাসীর জন্যে একটি নিদর্শন বানাই।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اِنَّ هٰذِهٖۤ اُمَّتُكُمْ اُمَّةً وَّاحِدَةً ۫ۖ وَّاَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوْنِ

নিশ্চয়ই তোমাদের এ জাতি, প্রকৃতপক্ষে একই জাতি। আর আমিই তো তোমাদের প্রতিপালক। সুতরাং তোমরা আমারই দাসত্ব করো।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَتَقَطَّعُوْۤا اَمْرَهُمْ بَيْنَهُمْ ؕ كُلٌّ اِلَيْنَا رٰجِعُوْنَ

কিন্তু তারা তাদের কার্যকলাপ (দ্বীনকে) তাদের নিজেদের মাঝে ভাগ ভাগ করে ফেলেছে। প্রত্যককে আমার দিকেই ফিরে আসতে হবে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَمَنْ يَّعْمَلْ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا كُفْرَانَ لِسَعْيِهٖ ۚ وَاِنَّا لَهٗ كٰتِبُوْنَ

তবে যে কেউ সংশোধনের কাজ করবে, আর এ অবস্থায় সে ব্যক্তি মু'মিনও বটে, তখন তার প্রচেষ্টাকে অগ্রাহ্য করা হবে না। আমি নিশ্চয়ই তার জন্যে সে সব লিখে রাখছি।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَحَرٰمٌ عَلٰي قَرْيَةٍ اَهْلَكْنٰهَاۤ اَنَّهُمْ لَا يَرْجِعُوْنَ

আমি যেসব জনপদ ধ্বংস করেছি সে সবের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তারা যে আর কিছুতেই ফিরে আসতে পারবে না।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

حَتّٰۤي اِذَا فُتِحَتْ يَاْجُوْجُ وَمَاْجُوْجُ وَهُمْ مِّنْ كُلِّ حَدَبٍ يَّنْسِلُوْنَ

এমনকি যখন ইয়াজুজ মাজুজ (শক্তিধর ও লুটপাটকারীরা) এসে মানুষের প্রতি হামলা করে তাদের সর্বদিকে খালি করে ছেড়ে দেয়।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَاقْتَرَبَ الْوَعْدُ الْحَقُّ فَاِذَا هِيَ شَاخِصَةٌ اَبْصَارُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ؕ يٰوَيْلَنَا قَدْ كُنَّا فِيْ غَفْلَةٍ مِّنْ هٰذَا بَلْ كُنَّا ظٰلِمِيْنَ

আর সত্য প্রতিশ্রুতি নিকটবর্তী হবে ! অতঃপর যখন তাদের চোখগুলো উপর দিকে বিস্ফোরিত হবে। যারা অস্বীকার করেছে (তারা বলবে) হায়, আমাদের দুর্ভোগ ! আমরা তো এ সম্পর্কে উদাসীনতার মধ্যে ছিলাম। বরং আমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী ছিলাম !

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ ؕ اَنْتُمْ لَهَا وٰرِدُوْنَ

নিশ্চয়ই তোমরা এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদের দাসত্ব করে থাকো, তা সবই তো জাহান্নামের ইন্ধনরূপে গণ্য হবে। তোমাদের সবাইকে এতে প্রবেশ করতে হবে !

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَوْ كَانَ هٰۤؤُلَآءِ اٰلِهَةً مَّا وَرَدُوْهَا ؕ وَكُلٌّ فِيْهَا خٰلِدُوْنَ

যদি এসব সত্যিকার ইলাহ হতো, তাহলে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করতো না। প্রত্যেকেই সেখানে স্থায়ী হয়ে থাকবে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَهُمْ فِيْهَا زَفِيْرٌ وَّهُمْ فِيْهَا لَا يَسْمَعُوْنَ

সেখানে তাদের জন্য শুধু চিৎকার আর্তনাদ রয়েছে। আর তারা সেখানে কিছুই শুনতে পাবে না।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اِنَّ الَّذِيْنَ سَبَقَتْ لَهُمْ مِّنَّا الْحُسْنٰۤي ۙ اُولٰٓئِكَ عَنْهَا مُبْعَدُوْنَ ۙ

যাদের জন্য আমার নিকট হতে কল্যাণ নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তারা তা হতে দূরেই থাকবে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَا يَسْمَعُوْنَ حَسِيْسَهَا ۚ وَهُمْ فِيْ مَا اشْتَهَتْ اَنْفُسُهُمْ خٰلِدُوْنَ ۚ

তারা সেখানে এ সবের কোনো সাড়া শব্দই শুনতে পাবে না। আর তারা তাদের মনের ইচ্ছা অনুযায়ী অনন্তকাল আনন্দ করতে থাকবে।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

لَا يَحْزُنُهُمُ الْفَزَعُ الْاَكْبَرُ وَتَتَلَقّٰهُمُ الْمَلٰٓئِكَةُ ؕ هٰذَا يَوْمُكُمُ الَّذِيْ كُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ

মহা ভয় তাদের চিন্তিত করবে না। আর শক্তিধর মালা-ইকারা তাদের সাথে মোলাকাত করে বলবে। এটাই তোমাদের সেই দিন, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছিল।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

يَوْمَ نَطْوِي السَّمَآءَ كَطَيِّ السِّجِلِّ لِلْكُتُبِ ؕ كَمَا بَدَاْنَاۤ اَوَّلَ خَلْقٍ نُّعِيْدُهٗ ؕ وَعْدًا عَلَيْنَا ؕ اِنَّا كُنَّا فٰعِلِيْنَ

যেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে নেব, ঠিক যেভাবে গুটিয়ে রাখা হয় লিখিত খাতা। যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম সেভাবেই পুনরায় সৃষ্টি করব। প্রতিশ্রুতি পালন করা আমার দায়িত্ব। নিশ্চয়ই আমি তা পালন করবই।*

*21(48),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,14(48),39(67)...।

11(104,105)...।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُوْرِ مِنْۢ بَعْدِ الذِّكْرِ اَنَّ الْاَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصّٰلِحُوْنَ

আর আমি বিশেষ টুকরাতে (যবুরে) উপদেশ বর্নণার পর থেকেই লিখে দিয়েছি যে, পৃথিবীর একমাত্র তারাই উত্তারাধিকারী হবে, যারা আমার দাসদের মধ্যে সংশোধনকারী।*

*21(105),নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,39(71-75)..।

আর যবুর শব্দটির ব্যাখ্যায় 54(52,53)...।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اِنَّ فِيْ هٰذَا لَبَلٰغًا لِّقَوْمٍ عٰبِدِيْنَ ؕ

নিশ্চয়ই এর মধ্যে রয়েছে দাসত্বকারী লোকদের জন্যে বার্তা।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعٰلَمِيْنَ

আর আমি তোমাকে যাকিছু দিয়ে পাঠিয়েছি তা বিশ্বজগতের জন্যে রহমত হিসেবে।*

*21(107),নং,নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,34(28)...।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قُلْ اِنَّمَا يُوْحٰۤي اِلَيَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ فَهَلْ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ

তুমি বলো, আমার প্রতি ওহী করা হয়েছে যে, তোমাদের আইনদাতা তো কেবল একই আইনদাতা । তা'হলে কি তোমরা আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম হবে?

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ اٰذَنْتُكُمْ عَلٰي سَوَآءٍ ؕ وَاِنْ اَدْرِيْۤ اَقَرِيْبٌ اَمْ بَعِيْدٌ مَّا تُوْعَدُوْنَ

তবে যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তা'হলে তুমি বল, আমি তো তোমাদেরকে সমান ভাবে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছি। কিন্তু আমি জানি না, তোমাদের সাথে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা কি নিকটবর্তী? না, দূরবর্তী !

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

اِنَّهٗ يَعْلَمُ الْجَهْرَ مِنَ الْقَوْلِ وَيَعْلَمُ مَا تَكْتُمُوْنَ

নিশ্চয়ই তিনি জানেন, বিশেষ বানী থেকে যা তোমরা প্রকাশ কর, আর যা কিছু তোমরা গোপন করে যাচ্ছ।

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

وَاِنْ اَدْرِيْ لَعَلَّهٗ فِتْنَةٌ لَّكُمْ وَمَتَاعٌ اِلٰي حِيْنٍ

আর আমি একথা জানি না, তোমাদের জন্য পরীক্ষা আর সাময়িক সুখ ভোগের সুযোগ দেওয়ার জন্যই বিলম্ব করা হচ্ছে কিনা !

সূরা : সূরা আল আম্বিয়া

قٰلَ رَبِّ احْكُمْ بِالْحَقِّ ؕ وَرَبُّنَا الرَّحْمٰنُ الْمُسْتَعَانُ عَلٰي مَا تَصِفُوْنَ

(শেষ পর্যন্ত) রাসূল বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক , আপনি ন্যায় ভাবে বিচার করে দিন’। আর আমাদের প্রতিপালক তো দয়াময়। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে তিনিই একমাত্র সহায়স্থল।