সূরা : সুরা ইউনুস

الٓرۚ تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱلْكِتَٰبِ ٱلْحَكِيمِ

আলিফ-লা'ম-রা, এগুলো বিজ্ঞানময় আল কিতাবের আয়াতসমূহ।

সূরা : সুরা ইউনুস

أَكَانَ لِلنَّاسِ عَجَبًا أَنْ أَوْحَيْنَآ إِلَىٰ رَجُلٍ مِّنْهُمْ أَنْ أَنذِرِ ٱلنَّاسَ وَبَشِّرِ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَنَّ لَهُمْ قَدَمَ صِدْقٍ عِندَ رَبِّهِمْۗ قَالَ ٱلْكَٰفِرُونَ إِنَّ هَٰذَا لَسَٰحِرٌ مُّبِينٌ


এটা কি মানুষের জন্যে আশ্চর্যজনক বিষয় যে, আমি তাদেরই মধ্য হতে একজন ব্যক্তির প্রতি ওহী পাঠিয়েছি যে, তুমি মানুষকে সতর্ক করো। যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্যে তাদেরই প্রতিপালকের কাছে সত্যিকারের পদ মর্যাদা রয়েছে। কাফিররা বলে নিশ্চয়ই এ ব্যক্তি সুস্পষ্ট যাদুকর।

সূরা : সুরা ইউনুস

إِنَّ رَبَّكُمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ فِى سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِۖ يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَۖ مَا مِن شَفِيعٍ إِلَّا مِنۢ بَعْدِ إِذْنِهِۦۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُۚ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ


নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, যিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবী ছয়টি পর্যায়কালে সৃষ্টি করেছেন। এরপর সে সবকে একটি কেন্দ্রের সাথে জুড়ে দিয়ে তিনি সকল বিষয়ের পরিচালনা করেন।  তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশকারী কেউ নেই। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক। অতএব তোমরা তাঁরই দাসত্ব করো। তবুও কি তোমরা চিন্তা করবে না ?

সূরা : সুরা ইউনুস

إِلَيْهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًاۖ وَعْدَ ٱللَّهِ حَقًّاۚ إِنَّهُۥ يَبْدَؤُا۟ ٱلْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُۥ لِيَجْزِىَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ بِٱلْقِسْطِۚ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَهُمْ شَرَابٌ مِّنْ حَمِيمٍ وَعَذَابٌ أَلِيمٌۢ بِمَا كَانُوا۟ يَكْفُرُونَ


তাঁরই দিকে তোমাদের সকলেরই প্রত্যাবর্তন। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। নিশ্চয় তিনি সৃষ্টিকে প্রথম অস্তিত্বে আনেন,অতঃপর তার পুনরাবর্তন করবেন। যারা ঈমান এনেছে আর সংশোধনের কাজ করেছে তাদেরকে যেন ন্যায় বিচারের সাথে যথোপযুক্ত প্রতিফল দিতে পারেন। আর যারা অস্বীকার করেছে, তাদের জন্য রয়েছে ফুটন্ত পানি হতে পানীয় ও নিদারুণ শাস্তি,এ কারণে যে তারা অস্বীকার করত।

সূরা : সুরা ইউনুস

هُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ ٱلشَّمْسَ ضِيَآءً وَٱلْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُۥ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوا۟ عَدَدَ ٱلسِّنِينَ وَٱلْحِسَابَۚ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ ذَٰلِكَ إِلَّا بِٱلْحَقِّۚ يُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ


আল্লাহ সূর্য্যকে উজ্জ্বল কিরণময় করেছেন। চাঁদকে প্রতিফলিত আলোকময় করেছেন। আর চাঁদের বিভিন্ন স্তর ঠিক করে দিয়েছেন, যেনো বছরের সংখ্যা ও হিসাব তোমরা জানতে পারো। আল্লাহ এসব যথাযথভাবেই সৃষ্টি করেছেন। জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে আয়াতগুলোকে তিনি বিশদ বিবৃত করেছেন।

সূরা : সুরা ইউনুস

إِنَّ فِى ٱخْتِلَٰفِ ٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِ وَمَا خَلَقَ ٱللَّهُ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَتَّقُونَ


নিশ্চয়ই রাতের ও দিনের পরিবর্তনের মধ্যে এবং  আকাশমন্ডল ও পৃথিবীতে আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, তাতে তাকওয়া অবলম্বনকারী সম্প্রদায়ের জন্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে।

সূরা : সুরা ইউনুস

إِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَآءَنَا وَرَضُوا۟ بِٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَٱطْمَأَنُّوا۟ بِهَا وَٱلَّذِينَ هُمْ عَنْ ءَايَٰتِنَا غَٰفِلُونَ


নিশ্চয়ই যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, তারাই পার্থিব জীবন নিয়ে পরিতৃপ্ত হয়েছে, আর তা নিয়েই তারা নিশ্চিন্ত থাকে। আর এমন ধরনের মানুষ যারা, তারাই আমার নিদর্শনগুলো হতে উদাসীন।

সূরা : সুরা ইউনুস

أُو۟لَٰٓئِكَ مَأْوَىٰهُمُ ٱلنَّارُ بِمَا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ


ঐসব লোক তারাই, যাদের বাসস্থান হবে আগুন, যা কিছু তারা কামাই করেছে তারই বিনিময়ে।

সূরা : সুরা ইউনুস

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ يَهْدِيهِمْ رَبُّهُم بِإِيمَٰنِهِمْۖ تَجْرِى مِن تَحْتِهِمُ ٱلْأَنْهَٰرُ فِى جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ

নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং সংশোধনের কাজ করেছে, তাদের প্রতিপালক তাদের ঈমানের কারণেই তাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়ে থাকেন। যেখানে তাদের নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে, সুখকর জান্নাতসমূহের।

সূরা : সুরা ইউনুস

دَعْوَىٰهُمْ فِيهَا سُبْحَٰنَكَ ٱللَّهُمَّ وَتَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلَٰمٌۚ وَءَاخِرُ دَعْوَىٰهُمْ أَنِ ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ


সেখানে তাদের ধ্বনি হবে এই, হে আল্লাহ আপনি পবিত্র মহান ! এবং সেখানে তাদের জীবন হবে শান্তিময়। আর তাদের শেষ ধ্বনি হবে এই যে, সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই  জন্যে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلَوْ يُعَجِّلُ ٱللَّهُ لِلنَّاسِ ٱلشَّرَّ ٱسْتِعْجَالَهُم بِٱلْخَيْرِ لَقُضِىَ إِلَيْهِمْ أَجَلُهُمْۖ فَنَذَرُ ٱلَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَآءَنَا فِى طُغْيَٰنِهِمْ يَعْمَهُونَ


আল্লাহ যদি মানুষের অকল্যাণের জন্যে তাড়াতাড়ি করতেন, যেমন তারা নিজেদের (দুনিয়ার) কল্যাণের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি চায়, তাহলে অবশ্যই তাদের প্রতি তাদের মেয়াদ অনেক আগেই পুরা হয়ে যেতো। অতএব যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের অবাধ্যতার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি,তারা উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَإِذَا مَسَّ ٱلْإِنسَٰنَ ٱلضُّرُّ دَعَانَا لِجَنۢبِهِۦٓ أَوْ قَاعِدًا أَوْ قَآئِمًا فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُ ضُرَّهُۥ مَرَّ كَأَن لَّمْ يَدْعُنَآ إِلَىٰ ضُرٍّ مَّسَّهُۥۚ كَذَٰلِكَ زُيِّنَ لِلْمُسْرِفِينَ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ


আর যখন মানুষকে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে তখন শুয়ে, বসে, দাঁড়িয়ে কেবল আমাকেই ডাকতে থাকে। অতঃপর যখন আমি তার থেকে দুঃখ-দৈন্য দূর করে দিই, তখন সে এমনভাবে চলতে থাকে মনে হয় যেনো তাকে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার কারণে সে আমাকে ডাকেনি। এভাবেই তো সীমালঙ্গনকারীদের জন্যে সুশোভিত করা হয় যেসব কাজ তারা করে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلَقَدْ أَهْلَكْنَا ٱلْقُرُونَ مِن قَبْلِكُمْ لَمَّا ظَلَمُوا۟ۙ وَجَآءَتْهُمْ رُسُلُهُم بِٱلْبَيِّنَٰتِ وَمَا كَانُوا۟ لِيُؤْمِنُوا۟ۚ كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْقَوْمَ ٱلْمُجْرِمِينَ


তোমাদের পূর্বে প্রত্যেক শতাব্দীগুলোতে আমি অনেক সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা  অবিচার করেছিল। আর তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তাদের রাসূলগণ এসেছিল। কিন্তু তারা তো এমন ছিলো না যে তারা ঈমান আনবে। এভাবেই তো আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে প্রতিফল দিয়ে থাকি।*

*10(13),আয়াতের القرون /"আলক্বুরুন" শব্দের ব্যাখ্যায় 20(51),25(38)...।

সূরা : সুরা ইউনুস

ثُمَّ جَعَلْنَٰكُمْ خَلَٰٓئِفَ فِى ٱلْأَرْضِ مِنۢ بَعْدِهِمْ لِنَنظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ


এরপর আমি তোমাদেরকে তাদের পরে এই পৃথিবীতে প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করলাম। যেনো দেখতে পারি, তোমরা কেমন কাজ করো।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ ءَايَاتُنَا بَيِّنَٰتٍۙ قَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَآءَنَا ٱئْتِ بِقُرْءَانٍ غَيْرِ هَٰذَآ أَوْ بَدِّلْهُۚ قُلْ مَا يَكُونُ لِىٓ أَنْ أُبَدِّلَهُۥ مِن تِلْقَآئِ نَفْسِىٓۖ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰٓ إِلَىَّۖ إِنِّىٓ أَخَافُ إِنْ عَصَيْتُ رَبِّى عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ

আর যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতগুলোকে তেলাওয়াত করা হয়, যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, তারাই তখন বলে, তুমি এই কোরআন ছাড়া (অন্য একটি কিতাব) নিয়ে আসো। অথবা এটাকে রদবদল করে দাও। তুমি বলো ! আমার সেই ক্ষমতা নেই যে, নিজের পক্ষ হতে এতে কোনও রদবদল করবো। আমি তো সেই ওহী অনুসরণ করে থাকি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। নিশ্চয়ই আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করি তাহলে ভয় করি সেই মহা দিনের শাস্তির।

সূরা : সুরা ইউনুস

قُل لَّوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَا تَلَوْتُهُۥ عَلَيْكُمْ وَلَآ أَدْرَىٰكُم بِهِۦۖ فَقَدْ لَبِثْتُ فِيكُمْ عُمُرًا مِّن قَبْلِهِۦٓۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ


তুমি বলো, আল্লাহ যদি চাইতেন, তাহলে তো আর আমি তোমাদের কাছে তা তেলাওয়াত করতাম না। আর আল্লাহও তোমাদেরকে এই কোরআন সম্বন্ধে জানতে দিতেন না। তার পূর্বেও তো আমি তোমাদের মধ্যে বয়সের একটা অংশ কাটিয়ে দিয়েছি। তবুও কি তোমরা বুঝবে না ?

সূরা : সুরা ইউনুস

فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِـَٔايَٰتِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ لَا يُفْلِحُ ٱلْمُجْرِمُونَ


অতএব তার চেয়ে অধিক সীমালঙ্ঘনকারী আর কে হতে পারে ? যে আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করে। কিংবা তাঁর আয়াতগুলোর সম্পর্কে মিথ্যারোপ করে। নিশ্চয়ই তাতে অপরাধীরা কিছুতেই সফল হবে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَيَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَٰٓؤُلَآءِ شُفَعَٰٓؤُنَا عِندَ ٱللَّهِۚ قُلْ أَتُنَبِّـُٔونَ ٱللَّهَ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِى ٱلْأَرْضِۚ سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ

এরাই তো আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর দাসত্ব করে, যা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না এবং তাদের উপকারও করতে পারে না। আর তারা বলে, এরাই তো আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করবে। তুমি বলে দাও ! তোমরা কি আল্লাহকে আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মধ্যে থাকা এমন কিছুর সম্বন্ধে সংবাদ দিচ্ছো, যা তিনি জানেন না'? তিনি পবিত্র মহান. তারা যা কিছু শরীক করছে সে সবের তুলনায় তিনি বহু উর্ধ্বে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَمَا كَانَ ٱلنَّاسُ إِلَّآ أُمَّةً وَٰحِدَةً فَٱخْتَلَفُوا۟ۚ وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِن رَّبِّكَ لَقُضِىَ بَيْنَهُمْ فِيمَا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ

মানুষেরা একই উম্মত কেনো হতে পারে না ? কারণ তারা মতবিরোধ করে বিধায়। যদি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটা কথা স্থির করা না হতো, তাহলে যা নিয়ে তারা নিজেদের মাঝে বিরোধ ঘটায়। তাদের ফায়সালা করে দেওয়া হতো।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَيَقُولُونَ لَوْلَآ أُنزِلَ عَلَيْهِ ءَايَةٌ مِّن رَّبِّهِۦۖ فَقُلْ إِنَّمَا ٱلْغَيْبُ لِلَّهِ فَٱنتَظِرُوٓا۟ إِنِّى مَعَكُم مِّنَ ٱلْمُنتَظِرِينَ

আর মানুষেরা বলে, তার উপর কেনো তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কোনো আয়াত অবতীর্ণ করা হয় না? তা'হলে তুমি বলে দাও, অদৃশ্যের জ্ঞান তো শুধু আল্লাহর জন্যই। অতএব তোমরা অপেক্ষা করো। আমিও তোমাদের সাথেই অপেক্ষা করছি।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَإِذَآ أَذَقْنَا ٱلنَّاسَ رَحْمَةً مِّنۢ بَعْدِ ضَرَّآءَ مَسَّتْهُمْ إِذَا لَهُم مَّكْرٌ فِىٓ ءَايَاتِنَاۚ قُلِ ٱللَّهُ أَسْرَعُ مَكْرًاۚ إِنَّ رُسُلَنَا يَكْتُبُونَ مَا تَمْكُرُونَ


আর আমি যখন মানুষকে অনুগ্রহ আস্বাদন করতে দিই, তাদের দুঃখদৈন্য স্পর্শ করার পরে, তখনই তারা আমার আয়াতগুলো ব্যপারে চক্রান্ত শুরু করে। তুমি বলে দাও ! আল্লাহ শীঘ্রই কৌশল অবলম্বন করবেন। নিশ্চয়ই আমার রাসূলেরা সব কিছু লিখছে। তোমরা যেসব ষড়যন্ত্র করছো।

সূরা : সুরা ইউনুস

هُوَ ٱلَّذِى يُسَيِّرُكُمْ فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِۖ حَتَّىٰٓ إِذَا كُنتُمْ فِى ٱلْفُلْكِ وَجَرَيْنَ بِهِم بِرِيحٍ طَيِّبَةٍ وَفَرِحُوا۟ بِهَا جَآءَتْهَا رِيحٌ عَاصِفٌ وَجَآءَهُمُ ٱلْمَوْجُ مِن كُلِّ مَكَانٍ وَظَنُّوٓا۟ أَنَّهُمْ أُحِيطَ بِهِمْۙ دَعَوُا۟ ٱللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ لَئِنْ أَنجَيْتَنَا مِنْ هَٰذِهِۦ لَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلشَّٰكِرِينَ

তিনিই তো (আল্লাহ) যিনি তোমাদেরকে স্থলভাগে ও জলভাগে ভ্রমণ করিয়ে থাকেন। এমনকি তোমরা যখন নৌযানের মধ্যে আরোহণ করে থাকো, তখন সেগুলো তাদের নিয়ে উত্তম বাতাসের সাথে চলতে থাকে, আর তোমরা সে কারণে আনন্দিত হও। কিন্তু এরপর যখনই তার উপর ঝড়ো বাতাস আসতে শুরু করে, আর সব জায়গা থেকে তাদের উপর ঢেউ আসতে থাকে, তখন তারা ভাবতে থাকে এবার তারা ঘিরে পড়েছে। তাই তারা একান্ত মনে নিষ্ঠার সাথে আল্লাহকে ডাকে, আর তাঁর জন্য দ্বীন একনিষ্ঠ করে থাকে। আর বলে, হে আল্লাহ ! অবশ্যই আপনি যদি আমাদেরকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, তাহলে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হবো।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَلَمَّآ أَنجَىٰهُمْ إِذَا هُمْ يَبْغُونَ فِى ٱلْأَرْضِ بِغَيْرِ ٱلْحَقِّۗ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّمَا بَغْيُكُمْ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۖ مَّتَٰعَ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَاۖ ثُمَّ إِلَيْنَا مَرْجِعُكُمْ فَنُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ


অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, তখন তারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে থাকে। শোনো হে মানুষ ! প্রকৃতপক্ষে তোমাদের বিদ্রোহের পরিণাম উল্টো তোমাদের উপরেই বর্তাবে। পার্থিব জীবনের সম্পদ তোমরা ভোগ করে নাও। এরপর আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে। তখন আমি তোমাদেরকে ঐ সম্বন্ধে জানিয়ে দিবো, তোমরা যা কিছু কাজ-কর্ম করতে।

সূরা : সুরা ইউনুস

إِنَّمَا مَثَلُ ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا كَمَآءٍ أَنزَلْنَٰهُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ فَٱخْتَلَطَ بِهِۦ نَبَاتُ ٱلْأَرْضِ مِمَّا يَأْكُلُ ٱلنَّاسُ وَٱلْأَنْعَٰمُ حَتَّىٰٓ إِذَآ أَخَذَتِ ٱلْأَرْضُ زُخْرُفَهَا وَٱزَّيَّنَتْ وَظَنَّ أَهْلُهَآ أَنَّهُمْ قَٰدِرُونَ عَلَيْهَآ أَتَىٰهَآ أَمْرُنَا لَيْلًا أَوْ نَهَارًا فَجَعَلْنَٰهَا حَصِيدًا كَأَن لَّمْ تَغْنَ بِٱلْأَمْسِۚ كَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ


প্রকৃতপক্ষে পার্থিব জীবনের দৃষ্টান্ত সেই পানির মতোই, যা আমি আকাশ হতে বর্ষন করে থাকি। তার পরে মাটিতে লতা-পাতা, গাছ-পালা তার দ্বারা জন্মায়। যা মানুষ আর জীব-জন্তু গুলো আহার করে। এমন কি জমির বুক তাতে সুন্দর সুশোভিত হয়ে উঠে। আর দুনিয়ার অধিবাসীরা ভাবতে লাগে, তারাই তো এসবের মালিক। এসবের উপরে তাদেরই কর্তৃত্ব রয়েছে। কিন্তু আমার নির্দেশ যখন দিনে কিংবা রাতে এসে পড়ে, তখন এমন অবস্থা সৃষ্টি হয় যে সে জায়গা দেখে কেউ বলতে পারবে না যে, গতকাল এখানে কিছু ছিলো। এভাবেই আমি চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনগুলোকে বিশদ বর্ণনা করি।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَٱللَّهُ يَدْعُوٓا۟ إِلَىٰ دَارِ ٱلسَّلَٰمِ وَيَهْدِى مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ


আর আল্লাহই শান্তির আবাসের ঘরের দিকে ডাকছেন। আর যে উপযুক্ত তাকে তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত পথের দিকে পথ দেখিয়ে দেন।

সূরা : সুরা ইউনুস

لِّلَّذِينَ أَحْسَنُوا۟ ٱلْحُسْنَىٰ وَزِيَادَةٌۖ وَلَا يَرْهَقُ وُجُوهَهُمْ قَتَرٌ وَلَا ذِلَّةٌۚ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلْجَنَّةِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ


যারা ভালো কাজ করে তাদের জন্যই তো রয়েছে উত্তম ফল এবং আরোও বেশি (অনুগ্রহ)। তাদের মুখমন্ডলসমূহকে কালিমা আচ্ছন্ন করবে না ও অপমান গ্লানির চিহ্ন থাকবে না। তারাই তো জান্নাতের অধিবাসী, সেখানেই তারা চিরকাল বাস করবে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَٱلَّذِينَ كَسَبُوا۟ ٱلسَّيِّـَٔاتِ جَزَآءُ سَيِّئَةٍۭ بِمِثْلِهَا وَتَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌۖ مَّا لَهُم مِّنَ ٱللَّهِ مِنْ عَاصِمٍۖ كَأَنَّمَآ أُغْشِيَتْ وُجُوهُهُمْ قِطَعًا مِّنَ ٱلَّيْلِ مُظْلِمًاۚ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ


আর যারা মন্দকাজ অৰ্জন করেছে, তারা তাদের মন্দকাজের অনুরূপ প্রতিফল পাবে', লাঞ্ছনা তাদের আচ্ছন্ন করবে। আল্লাহর কবল হতে তাদেরকে রক্ষা করার মতো কেউ থাকবে না। তাদের মুখমন্ডলগুলো যেনো অন্ধকার রাতের এক টুকরা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তারাই হবে আগুনের অধিবাসী। সেখানেই তারা চিরকাল বাস করবে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَيَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا ثُمَّ نَقُولُ لِلَّذِينَ أَشْرَكُوا۟ مَكَانَكُمْ أَنتُمْ وَشُرَكَآؤُكُمْۚ فَزَيَّلْنَا بَيْنَهُمْۖ وَقَالَ شُرَكَآؤُهُم مَّا كُنتُمْ إِيَّانَا تَعْبُدُونَ


আর যেদিন আমি তাদের সকলকে (আমার আদালতে) একত্র করবো, এরপর আমি তাদেরকে বলবো, তোমরা যারা শিরিক করতে আর যাদেরকে শরীক করেছিলে, সবাই নিজ নিজ জায়গায় স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকো। অতঃপর আমি তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করবো। আর তারা যাদেরকে শরীক করেছে, তারা তাদেরকে বলবে, তোমরা তো আর আমাদের দাসত্ব করোনি।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدًۢا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ إِن كُنَّا عَنْ عِبَادَتِكُمْ لَغَٰفِلِينَ


অতএব আমাদের ও তোমাদের মাঝে আল্লাহই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। আমরা তোমাদের দাসত্ব সম্পর্কে অবশ্যই একেবারে উদাসীন ছিলাম।

সূরা : সুরা ইউনুস

هُنَالِكَ تَبْلُوا۟ كُلُّ نَفْسٍ مَّآ أَسْلَفَتْۚ وَرُدُّوٓا۟ إِلَى ٱللَّهِ مَوْلَىٰهُمُ ٱلْحَقِّۖ وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَفْتَرُونَ

সেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি যাচাই করে নিতে পারবে, সে যা কিছু অতীতে করেছে। আর তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে তাদের প্রকৃত অভিভাবক আল্লাহর দিকে। আর যা কিছু তারা রচনা করেছে (মানব রচিত হাদীস, ধর্ম গ্রন্থ ও ধর্ম গুরু) সে সব তাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাবে।

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلْ مَن يَرْزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلْأَرْضِ أَمَّن يَمْلِكُ ٱلسَّمْعَ وَٱلْأَبْصَٰرَ وَمَن يُخْرِجُ ٱلْحَىَّ مِنَ ٱلْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ ٱلْمَيِّتَ مِنَ ٱلْحَىِّ وَمَن يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَۚ فَسَيَقُولُونَ ٱللَّهُۚ فَقُلْ أَفَلَا تَتَّقُونَ

তুমি বলো ! কে তোমাদের জীবিকা দান করেন আকাশ ও পৃথিবী থেকে ? অথবা কে শ্রবণশক্তির ও দৃষ্টিসমূহের কর্তৃত্ব রাখেন?  আর কেই বা মৃতদের মধ্য হতে জীবিতদেরকে, আবার জীবিতদের মধ্য হতে মৃতদেরকে বের করে আনেন ? আর কেই বা (বিশ্ব ব্যবস্থার পরিচালনা করার) সকল কাজের ব্যবস্থা করেন ? তখন অচিরেই তারা বলবে, আল্লাহ'। তাহলে তুমি বল, তবুও কি (সত্য বিরোধীতায়) তোমরা বিরত থাকবে না?

সূরা : সুরা ইউনুস

فَذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمُ ٱلْحَقُّۖ فَمَاذَا بَعْدَ ٱلْحَقِّ إِلَّا ٱلضَّلَٰلُۖ فَأَنَّىٰ تُصْرَفُونَ


অতএব এই আল্লাহই হচ্ছেন তোমাদের প্রতিপালক, তা'হলে মহাসত্যের (কোরআনের) পরে বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিই বা থাকতে পারে? অতএব তোমরা কোথায় চালিত হচ্ছো?

সূরা : সুরা ইউনুস

كَذَٰلِكَ حَقَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ عَلَى ٱلَّذِينَ فَسَقُوٓا۟ أَنَّهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ


এভাবেই তোমার প্রতিপালকের বাণী তাদের সম্পর্কে সত্য বলে প্রমাণিত হয়, যারা অমান্যকারী -ফাসিক, তারা যে ঈমান আনবে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلْ هَلْ مِن شُرَكَآئِكُم مَّن يَبْدَؤُا۟ ٱلْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُۥۚ قُلِ ٱللَّهُ يَبْدَؤُا۟ ٱلْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُۥۖ فَأَنَّىٰ تُؤْفَكُونَ

তুমি বলে দাও ! তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি ? যার পক্ষে সৃষ্টির সুচনা ও পুনরাবৃত্তি ঘটানো সম্ভব? তুমি বলে দাও ! আল্লাহই তো সৃষ্টির সূচনা ও পুনরাবৃত্তি ঘটান। অতএব তোমরা বিভ্রান্ত হয়ে কোথায় ফিরে যাচ্ছো?

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلْ هَلْ مِن شُرَكَآئِكُم مَّن يَهْدِىٓ إِلَى ٱلْحَقِّۚ قُلِ ٱللَّهُ يَهْدِى لِلْحَقِّۗ أَفَمَن يَهْدِىٓ إِلَى ٱلْحَقِّ أَحَقُّ أَن يُتَّبَعَ أَمَّن لَّا يَهِدِّىٓ إِلَّآ أَن يُهْدَىٰۖ فَمَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ

তুমি বলে দাও ! তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি ? যে সঠিক পথ দেখিয়ে দিতে সক্ষম ? তুমি বলো, একমাত্র আল্লাহই সত্যের দিকে পথ দেখিয়ে থাকেন। তবে কি যে তোমাদেরকে সত্যের দিকে পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন, সেই আল্লাহর অনুসরণ করতে হবে, নাকি যে নিজে কোনো পথ কাউকে দেখায় না বরং তাকেই পথ দেখাতে হয়, এমন কাউকে মানতে হবে ? তোমাদের হলো কি ? কিভাবে যে তোমরা বিচার করছো ?

সূরা : সুরা ইউনুস

وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلَّا ظَنًّاۚ إِنَّ ٱلظَّنَّ لَا يُغْنِى مِنَ ٱلْحَقِّ شَيْـًٔاۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِمَا يَفْعَلُونَ


আর মানুষের মধ্যে অধিকাংশরাই তো শুধু কল্পনার অনুসরণ করছে। অথচ বাস্তব সত্যের মোকাবিলায় কল্পনা কোনো কাজ দেয় না। নিশ্চয়ই আল্লাহ খুব  জানেন, মানুষেরা যা কিছু করে যাচ্ছে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَمَا كَانَ هَٰذَا ٱلْقُرْءَانُ أَن يُفْتَرَىٰ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَٰكِن تَصْدِيقَ ٱلَّذِى بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ ٱلْكِتَٰبِ لَا رَيْبَ فِيهِ مِن رَّبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ

আর এই কোরআন তো এমন হাওয়ার নয় যে, আল্লাহকে বাদ দিয়ে এটি রচনা করা যেতে পারে ; বরং এটি যা তার হাতের মাঝে রয়েছে, তার সত্যায়ন করে এবং আল কিতাবের বিস্তারিত বর্ণনা, যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই, যা জগতসমূহের প্রতিপালকের পক্ষ থেকেই এসেছে।*

*আল কোরআন ও আল কিতাব শব্দদ্বয়ের মাঝে পার্থক্য বুঝার ব্যপারে, 10(94)...।

সূরা : সুরা ইউনুস

أَمْ يَقُولُونَ ٱفْتَرَىٰهُۖ قُلْ فَأْتُوا۟ بِسُورَةٍ مِّثْلِهِۦ وَٱدْعُوا۟ مَنِ ٱسْتَطَعْتُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

তারা কি এ কথাও বলছে যে, সে নিজেই এটি রচনা করে এনেছে ? তুমি বলে দাও ! তাহলে তোমরা এর মতো একটি সূরা রচনা করে নিয়ে আসো। আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাকে পারো তোমরা তাকে ডেকে আনো, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাকো।

সূরা : সুরা ইউনুস

بَلْ كَذَّبُوا۟ بِمَا لَمْ يُحِيطُوا۟ بِعِلْمِهِۦ وَلَمَّا يَأْتِهِمْ تَأْوِيلُهُۥۚ كَذَٰلِكَ كَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْۖ فَٱنظُرْ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلظَّٰلِمِينَ

বরং যে সব বিষয়ে তারা জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি, আর যে সব বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ এখনো তাদের কাছে পৌঁছায়নি, সে সব বিষয়কে তারা মিথ্যা মনে করে। অতএব দেখো, সীমালঙ্ঘনকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছে ?

সূরা : সুরা ইউনুস

وَمِنْهُم مَّن يُؤْمِنُ بِهِۦ وَمِنْهُم مَّن لَّا يُؤْمِنُ بِهِۦۚ وَرَبُّكَ أَعْلَمُ بِٱلْمُفْسِدِينَ

আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমনও রয়েছে, যারা কোরআনের উপর ঈমান এনে থাকে। আবার মানুষের মধ্যে এমনও কিছু লোক রয়েছে, যারা কোরআনের উপর (পরিপূর্ণরূপে) ঈমান আনতে চায় না। আর তোমার প্রতিপালক বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَإِن كَذَّبُوكَ فَقُل لِّى عَمَلِى وَلَكُمْ عَمَلُكُمْۖ أَنتُم بَرِيٓـُٔونَ مِمَّآ أَعْمَلُ وَأَنَا۠ بَرِىٓءٌ مِّمَّا تَعْمَلُونَ


তারা যদি তোমাকে মিথ্যাবাদী বলে, তাহলে তুমি বলো, আমার জন্যই তো আমার কাজের পরিণতি রয়েছে। আর তোমাদের জন্য তোমাদেরই কাজের পরিণতি রয়েছে। আমি যা কাজ করেছি সে সবের দায় থেকে তোমরা দায়িত্বমুক্ত। আর আমিও তোমাদের কাজকর্মের দায় থেকে দায়িত্বমুক্ত রয়েছি।


সূরা : সুরা ইউনুস

وَمِنْهُم مَّن يَسْتَمِعُونَ إِلَيْكَۚ أَفَأَنتَ تُسْمِعُ ٱلصُّمَّ وَلَوْ كَانُوا۟ لَا يَعْقِلُونَ


তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে, যারা তোমার দিকে কান পেতে বসে। তুমি কি বধিরগুলোকেই শোনাবে ? যদি তারা কিছুই বুঝতে না পারে ?

সূরা : সুরা ইউনুস

وَمِنْهُم مَّن يَنظُرُ إِلَيْكَۚ أَفَأَنتَ تَهْدِى ٱلْعُمْىَ وَلَوْ كَانُوا۟ لَا يُبْصِرُونَ


আর তাদের মধ্যে এমন অনেক লোক রয়েছে, যারা তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তুমি কি অন্ধদেরকেই পথ দেখাবে ? যদি তারা দৃষ্টিশক্তি মোটেই কাজে না লাগায় ?

সূরা : সুরা ইউনুস

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظْلِمُ ٱلنَّاسَ شَيْـًٔا وَلَٰكِنَّ ٱلنَّاسَ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ


নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের উপরে কিছুমাত্রও অবিচার করেন না। কিন্তু মানুষ নিজেরাই নিজেদের উপর অবিচার করে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ كَأَن لَّمْ يَلْبَثُوٓا۟ إِلَّا سَاعَةً مِّنَ ٱلنَّهَارِ يَتَعَارَفُونَ بَيْنَهُمْۚ قَدْ خَسِرَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِلِقَآءِ ٱللَّهِ وَمَا كَانُوا۟ مُهْتَدِينَ


আর আল্লাহ যেদিন সবাইকে সমবেত করবেন, তখন তারা মনে করবে এই পৃথিবীতে একটি দিনের মাত্র এক ঘন্টার বেশী সময় এখানে কাটায় নি। সেদিন তারা নিজেদের মধ্যে একে অন্যকে খুব ভালো করেই চিনতে পারবে। তারাই তো ক্ষতিগ্রস্থ হবে যারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাতকার সম্পর্কে মিথ্যা জেনেছে। আর তারাই তো সঠিক পথের সন্ধান পেলো না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَإِمَّا نُرِيَنَّكَ بَعْضَ ٱلَّذِى نَعِدُهُمْ أَوْ نَتَوَفَّيَنَّكَ فَإِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ ثُمَّ ٱللَّهُ شَهِيدٌ عَلَىٰ مَا يَفْعَلُونَ


আমি যদি তোমাকে কিছুটা দেখিয়ে দিই, তাতে তাদের সাথে আমার যে সব প্রতিশ্রুতি রয়েছে তারই মধ্য হতে। কিংবা তোমার ওফাতের মাধ্যমে হায়াত যদি পুরা করে দিই, তবুও তাদেরকে ফিরে আসতে হবে আমার দিকে। এরপর আল্লাহ তো নিজেই শাক্ষী রয়েছেন ঐসব বিষয়ের উপর, তারা যা কিছু করেছে,।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلِكُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولٌۖ فَإِذَا جَآءَ رَسُولُهُمْ قُضِىَ بَيْنَهُم بِٱلْقِسْطِ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ


প্রত্যেক জাতির জন্যই রাসূল রয়েছে। অতঃপর যখন তাদের রাসূল তাদের কাছে আসে, তখন তাদের মাঝে ন্যায় বিচারের সাথে মীমাংসা করা হয়। তাদের উপরে অবিচার করা হয় না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا ٱلْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

অথচ এরা বলে, কখন এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ীত হবে ? যদি তুমি সত্যবাদী হয়েই থাক !

সূরা : সুরা ইউনুস

قُل لَّآ أَمْلِكُ لِنَفْسِى ضَرًّا وَلَا نَفْعًا إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُۗ لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌۚ إِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ فَلَا يَسْتَـْٔخِرُونَ سَاعَةًۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ


তুমি বলে দাও ! আমি তো নিজের জন্যেও কোনো অপকার কিংবা উপকার করার মতো ক্ষমতা রাখি না। তবে আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তাই হয়। প্রত্যেক জাতির জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যখন তাদের নির্দিষ্ট সময় এসে যাবে, তখন আর একটি মুহুর্তকালও তারা পিছাতে পারবে না এবং আর এগিয়ে নিতেও পারবে না। 

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلْ أَرَءَيْتُمْ إِنْ أَتَىٰكُمْ عَذَابُهُۥ بَيَٰتًا أَوْ نَهَارًا مَّاذَا يَسْتَعْجِلُ مِنْهُ ٱلْمُجْرِمُونَ


তুমি বলে দাও ! তোমরা কি দেখতে পাচ্ছো না ? যে তোমাদের উপরে যখন আল্লাহর শাস্তি এসে পড়বে, রাতের বেলা কিংবা দিনে, তখন আর অপরাধী দল কি নিয়ে তাড়াহুড়া করবে ?

সূরা : সুরা ইউনুস

أَثُمَّ إِذَا مَا وَقَعَ ءَامَنتُم بِهِۦٓۚ ءَآلْـَٰٔنَ وَقَدْ كُنتُم بِهِۦ تَسْتَعْجِلُونَ


যখন তা ঘটে যাবে, তোমরা কি তখনই তার উপর ঈমান আনবে? (বলা হবে) তোমরা কি এখনই ঈমান আনলে? অথচ এর জন্য তোমরা তাড়াহুড়া করতে।

সূরা : সুরা ইউনুস

ثُمَّ قِيلَ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ ذُوقُوا۟ عَذَابَ ٱلْخُلْدِ هَلْ تُجْزَوْنَ إِلَّا بِمَا كُنتُمْ تَكْسِبُونَ


এরপর তাদেরকে বলা হবে, যারা সীমালঙ্ঘন করেছিল, এখন তোমরা চিরস্থায়ী শাস্তি ভুগতে থাকো। তোমরা এখন প্রতিফল পাবে, তবে কি তোমরা যা অর্জন করেছো, তারই প্রতিফল হিসেবে। 

সূরা : সুরা ইউনুস

وَيَسْتَنۢبِـُٔونَكَ أَحَقٌّ هُوَۖ قُلْ إِى وَرَبِّىٓ إِنَّهُۥ لَحَقٌّۖ وَمَآ أَنتُم بِمُعْجِزِينَ


আর তারা তোমার কাছে জানতে চায় ! তা কি আসলে সত্য'? বলো, হ্যাঁ, আমার প্রতিপালকের শপথ, নিশ্চয়ই তা সত্য। আর তোমরা প্রতিপালককে ব্যর্থ করতে পারবে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلَوْ أَنَّ لِكُلِّ نَفْسٍ ظَلَمَتْ مَا فِى ٱلْأَرْضِ لَٱفْتَدَتْ بِهِۦۗ وَأَسَرُّوا۟ ٱلنَّدَامَةَ لَمَّا رَأَوُا۟ ٱلْعَذَابَۖ وَقُضِىَ بَيْنَهُم بِٱلْقِسْطِۚ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ


যদি প্রত্যেকটি অত্যাচারী-যালিম ব্যাক্তির দখলে গোটা দুনিয়ার সব জিনিস থাকে, আর তারই বদলে রেহাই পেতে চায়, আর যখন তারা শাস্তি দেখতে পাবে তখন নিজেদের অনুতাপ গোপন রাখতে চাইবে। তাদের মাঝে ন্যায় বিচারের সাথে ফায়সালা করা হবে। তাদের উপরেকিছুমাত্র অবিচার করা হবে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

أَلَآ إِنَّ لِلَّهِ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۗ أَلَآ إِنَّ وَعْدَ ٱللَّهِ حَقٌّ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ


সাবধান, শুনে রাখো ! নিশ্চয়ই আকাশসমূহে ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, তা আল্লাহরই জন্যে। তোমরা শুনে রাখো, আল্লাহর প্রতিশ্রুতিই সত্য। কিন্তু তাদের অধিকাংশই কিছুই জানে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

هُوَ يُحْىِۦ وَيُمِيتُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ


আল্লাহ জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। আর আল্লাহর দিকে তোমাদের সবাইকে ফিরে আসতে হবে।

সূরা : সুরা ইউনুস

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِى ٱلصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ


হে মানব সমাজ ! নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে এসেছে উপদেশ এবং অন্তরসমূহের মধ্যে যা রয়েছে তার জন্যে আরোগ্য, আর মুমিনদের জন্য পথ নির্দেশ ও দয়া।

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلْ بِفَضْلِ ٱللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِۦ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا۟ هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ


তুমি বলে দাও ! আল্লাহর দান সামগ্রীর মাধ্যমে ও তাঁর দয়ার মাধ্যমে পাঠিয়েছেন , অতএব এ নিয়ে তাদের খুব আনন্দ করা উচিত। এটা তা হতে উত্তম যা কিছু তারা জমা করছে !*

*10(58) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(111) ...।

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلْ أَرَءَيْتُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُم مِّنْهُ حَرَامًا وَحَلَٰلًا قُلْ ءَآللَّهُ أَذِنَ لَكُمْۖ أَمْ عَلَى ٱللَّهِ تَفْتَرُونَ


তুমি বলে দাও ! তোমরা কি ভেবে দেখছো? আল্লাহ তোমাদের জন্যে জীবিকা হতে যাকিছু অবতীর্ণ করেছেন, অতঃপর তোমরাই তার কিছু বানিয়েছো হারাম আর কিছু হালাল! তুমি বলে দাও ! আল্লাহ কি তোমাদেরকে এজন্য অনুমতি দিয়েছেন? নাকি তোমরাই আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করছো ?

সূরা : সুরা ইউনুস

وَمَا ظَنُّ ٱلَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى ٱلنَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَشْكُرُونَ


যারা আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করে যাচ্ছে, কিয়ামতের দিন সম্বন্ধে তারা কি ধারণা করছে? নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের উপর অনুগ্রহসম্পন্ন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَمَا تَكُونُ فِى شَأْنٍ وَمَا تَتْلُوا۟ مِنْهُ مِن قُرْءَانٍ وَلَا تَعْمَلُونَ مِنْ عَمَلٍ إِلَّا كُنَّا عَلَيْكُمْ شُهُودًا إِذْ تُفِيضُونَ فِيهِۚ وَمَا يَعْزُبُ عَن رَّبِّكَ مِن مِّثْقَالِ ذَرَّةٍ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَا فِى ٱلسَّمَآءِ وَلَآ أَصْغَرَ مِن ذَٰلِكَ وَلَآ أَكْبَرَ إِلَّا فِى كِتَٰبٍ مُّبِينٍ


তোমরা যে অবস্থাতেই থাকো না কেনো ? কিংবা কোরআনের কিছু অংশ যখন তোমরা পড়তে থাকো, অথবা আর কোনো কাজ নিয়ে তোমরা যখন ব্যস্ত থাকো, আমি তোমাদের সামনেই থাকি। তোমার প্রতিপালকের থেকে অণুপরিমাণ কোনো জিনিসও অগোচরে থাকে না, পৃথিবীতে আর না  আকাশে, ছোট কিংবা বড় এমন কোনো বিষয় নেই, এই সুস্পষ্ট কিতাবে যার উল্লেখ নেই।

সূরা : সুরা ইউনুস

أَلَآ إِنَّ أَوْلِيَآءَ ٱللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ


সাবধান (জেনে রাখো) ! নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের জন্য কোনো ভয় নেই। আর তারা দুঃখিত হবে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَكَانُوا۟ يَتَّقُونَ

যারা ঈমান এনেছে আর তাকওয়া অবলম্বন করেছে।

সূরা : সুরা ইউনুস

لَهُمُ ٱلْبُشْرَىٰ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَفِى ٱلْءَاخِرَةِۚ لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَٰتِ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ


এমন লোকদের জন্য সুসংবাদ, পার্থিব জীবনে আর পরকালেও। আল্লাহর বাণীগুলোর কোনও পরিবর্তন ঘটবে না। এই তো হচ্ছে মহা সাফল্য।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلَا يَحْزُنكَ قَوْلُهُمْۘ إِنَّ ٱلْعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًاۚ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ


আর তাদের কথায় যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়। নিশ্চয়ই সব সন্মান আল্লাহরই জন্যে। তিনি সবকিছু শুনেন, সবকিছু জানেন।

সূরা : সুরা ইউনুস

أَلَآ إِنَّ لِلَّهِ مَن فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَن فِى ٱلْأَرْضِۗ وَمَا يَتَّبِعُ ٱلَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ شُرَكَآءَۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ


সাবধান (জেনে রাখো) !  নিশ্চয়ই আকাশসমূহে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে সবই তো আল্লাহরই জন্যে। অথচ যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনও শরীক বানিয়ে নিয়ে ডাকছে, তারা শুধু কল্পনা ব্যতীত আর তো কিছুর অনুসরণ করছে না। তারা শুধু নিজেদের অনুমানের পিছনেই ধেয়ে বেড়ায়।

সূরা : সুরা ইউনুস

هُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيْلَ لِتَسْكُنُوا۟ فِيهِ وَٱلنَّهَارَ مُبْصِرًاۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَسْمَعُونَ

তিনিই (আল্লাহ) যিনি তোমাদের জন্য রাতকে বানিয়েছেন, যেন তোমরা তার মধ্যে বিশ্রাম নাও এবং দিনকে বানিয়েছেন দেখার জন্যে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে অনেক নিদর্শনাবলী রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্যে যারা উন্মুক্ত কানে শুনে

সূরা : সুরা ইউনুস

قَالُوا۟ ٱتَّخَذَ ٱللَّهُ وَلَدًاۗ سُبْحَٰنَهُۥۖ هُوَ ٱلْغَنِىُّۖ لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِۚ إِنْ عِندَكُم مِّن سُلْطَٰنٍۭ بِهَٰذَآۚ أَتَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ


তারা (খ্রিষ্টানেরা) বলছে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি পবিত্র মহান। তিনি অভাবমুক্ত। আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে সব কিছুই  তাঁরই জন্য। তোমাদের কাছে এই সম্বন্ধে কোনো অকাট্য প্রমাণ নেই। তোমরা কি আল্লাহর উপর এমন কিছু বলে যাচ্ছো, যা তোমরা  জানো না?

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلْ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَفْتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَ لَا يُفْلِحُونَ


তুমি বলে দাও ! যারা আল্লাহর উপরে মিথ্যা আরোপ করছে, তারা কিছুতেই সফলকাম হবে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

مَتَٰعٌ فِى ٱلدُّنْيَا ثُمَّ إِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ ثُمَّ نُذِيقُهُمُ ٱلْعَذَابَ ٱلشَّدِيدَ بِمَا كَانُوا۟ يَكْفُرُونَ


পৃথিবীর মধ্যে সাময়িক ভোগ সম্পদ (নিয়ে ব্যস্ত থাকুক) এরপর আমারই দিকে তাদেরকে ফিরে আসতে হবে। এরপর তাদেরকে আমি কঠোর শাস্তি  আস্বাদন করাবো। যা তারা অবিশ্বাস করছে তারই জন্যে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ نُوحٍ إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِۦ يَٰقَوْمِ إِن كَانَ كَبُرَ عَلَيْكُم مَّقَامِى وَتَذْكِيرِى بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ فَعَلَى ٱللَّهِ تَوَكَّلْتُ فَأَجْمِعُوٓا۟ أَمْرَكُمْ وَشُرَكَآءَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُنْ أَمْرُكُمْ عَلَيْكُمْ غُمَّةً ثُمَّ ٱقْضُوٓا۟ إِلَىَّ وَلَا تُنظِرُونِ


তুমি তাদের কাছে নূহের সংবাদ তিলাওয়াত করে শুনাও। সে যখন তার জাতিকে বলে, হে আমার জাতি ! আমার অবস্থান এবং তোমাদেরকে আল্লাহর আয়াত দ্বারা যে উপদেশ দিচ্ছি তা যদি তোমাদের কাছে দুঃসহ মনে হয়, তাহলে আমি তো একমাত্র আল্লাহর উপরেই নির্ভর করছি। আর তোমরা সবাই মিলে একটা কাজ করার সিদ্ধান্ত করে নাও, তোমাদের বানানো শরীকদেরকেও সাথে নাও। সে কাজটি সম্পর্কে কেউ যেনো তোমাদের মধ্যে অজ্ঞাত অবস্থায় না থাকে। এরপর তোমরা সবাই আমার ব্যাপারে সেই কাজটি করে ফেলো। এমনকি আমাকে কোনও অবকাশ তোমরা দিও না।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَمَا سَأَلْتُكُم مِّنْ أَجْرٍۖ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَى ٱللَّهِۖ وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ

এরপরও যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও , তবে আমি তো আর তোমাদের কাছে পারিশ্রমিক চাই না। আমার প্রতিদান আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর কাছে নেই। আমাকে তো এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেনো আমি আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَكَذَّبُوهُ فَنَجَّيْنَٰهُ وَمَن مَّعَهُۥ فِى ٱلْفُلْكِ وَجَعَلْنَٰهُمْ خَلَٰٓئِفَ وَأَغْرَقْنَا ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَاۖ فَٱنظُرْ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلْمُنذَرِينَ


অতঃপর তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলে। তখন আমি তাকে আর তার সাথে নৌকার মধ্যে যারা ছিলো, তাদেরকে উদ্ধার করি। আর আমি তাদেরকে খলিফা হিসেবে নিযুক্ত করি। আর যারা আমার আয়াতসমূহের প্রতি মিথ্যারোপ করে, আমি তাদেরকে ডুবিয়ে দিই। সুতরাং দেখে নাও তোমরা তাদের পরিণাম কেমন, যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিলো।

সূরা : সুরা ইউনুস

ثُمَّ بَعَثْنَا مِنۢ بَعْدِهِۦ رُسُلًا إِلَىٰ قَوْمِهِمْ فَجَآءُوهُم بِٱلْبَيِّنَٰتِ فَمَا كَانُوا۟ لِيُؤْمِنُوا۟ بِمَا كَذَّبُوا۟ بِهِۦ مِن قَبْلُۚ كَذَٰلِكَ نَطْبَعُ عَلَىٰ قُلُوبِ ٱلْمُعْتَدِينَ


এরপর আমি আবার তার পর থেকে রাসূলদেরকে তাদের নিজ নিজ জাতির প্রতি পাঠিয়েছি। তাদের কাছে তারা সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছে। কিন্তু তারা তো আর এমন ছিলো না, যে বিষয়ে তারা পূর্ব থেকে মিথ্যারোপ করে আসছে তাতে ঈমান আনবে। এভাবেই তো আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তরগুলোর উপর সীলমোহর করে দিই।

সূরা : সুরা ইউনুস

ثُمَّ بَعَثْنَا مِنۢ بَعْدِهِم مُّوسَىٰ وَهَٰرُونَ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ وَمَلَإِي۟هِۦ بِـَٔايَٰتِنَا فَٱسْتَكْبَرُوا۟ وَكَانُوا۟ قَوْمًا مُّجْرِمِينَ


এরপর আমি তাদের পরে মূসা ও হারুনকে ফিরাউন ও তার পরিষদবর্গের (মৌলভী হুজুরদের) প্রতি আমার নিদর্শনাবলীসহ পাঠাই। কিন্তু তারা অহংকার করে বসে। আর তারা অপরাধী জাতি হিসেবেই থাকে।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَلَمَّا جَآءَهُمُ ٱلْحَقُّ مِنْ عِندِنَا قَالُوٓا۟ إِنَّ هَٰذَا لَسِحْرٌ مُّبِين


অতঃপর যখন তাদের কাছে আমার পক্ষ হতে প্রকৃতসত্য আসে, তখন তারা বলতে লাগে, নিশ্চয়ই এটা সুস্পষ্ট যাদু !

সূরা : সুরা ইউনুস

قَالَ مُوسَىٰٓ أَتَقُولُونَ لِلْحَقِّ لَمَّا جَآءَكُمْۖ أَسِحْرٌ هَٰذَا وَلَا يُفْلِحُ ٱلسَّٰحِرُونَ


মূসা বলে, তোমরা কি সত্য বিধান সম্পর্কেই এসব কথা বলছো, যখন তোমাদের কাছে তা এসেছে ? এটা কি যাদু ? আর যাদুকররা সফলকাম হয় না।

সূরা : সুরা ইউনুস

قَالُوٓا۟ أَجِئْتَنَا لِتَلْفِتَنَا عَمَّا وَجَدْنَا عَلَيْهِ ءَابَآءَنَا وَتَكُونَ لَكُمَا ٱلْكِبْرِيَآءُ فِى ٱلْأَرْضِ وَمَا نَحْنُ لَكُمَا بِمُؤْمِنِينَ

তারা বলে, তোমরা কি এজন্যই এসেছো ? যে পথে আমাদের বাপ দাদাদেরকে চলতে দেখেছি, সেই পথ থেকে আমাদেরকে ফিরিয়ে রাখবে আর তোমরা দু'জন এই দেশে প্রধান বলে গণ্য হবে ? আমরা তোমাদের দু'জনার প্রতি বিশ্বাসী নই। 

সূরা : সুরা ইউনুস

وَقَالَ فِرْعَوْنُ ٱئْتُونِى بِكُلِّ سَٰحِرٍ عَلِيمٍ


আর ফিরাউন বলে, যত সুদক্ষ-যাদুকর আলেম রয়েছে, তাদের সবাইকে আমার কাছে নিয়ে আসো।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَلَمَّا جَآءَ ٱلسَّحَرَةُ قَالَ لَهُم مُّوسَىٰٓ أَلْقُوا۟ مَآ أَنتُم مُّلْقُونَ


অতঃপর যখন যাদুকররা সমবেত হয়, তখন মূসা বলে, তোমাদের কাছে যা কিছু পেশ করার মতো রয়েছে, এবার তা পেশ করো।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَلَمَّآ أَلْقَوْا۟ قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ ٱلسِّحْرُۖ إِنَّ ٱللَّهَ سَيُبْطِلُهُۥٓۖ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ ٱلْمُفْسِدِينَ


তারা যখন সব পেশ করে, মূসা তখন বলে, তোমরা যা কিছু নিয়ে এসেছো, তা যাদু। নিশ্চয়ই আল্লাহ শীঘ্রই তা ব্যর্থ করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের কাজকে সংশোধন করেন না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَيُحِقُّ ٱللَّهُ ٱلْحَقَّ بِكَلِمَٰتِهِۦ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُجْرِمُونَ


আল্লাহই তাঁর বাণী গুলোর মাধ্যমে সত্যকে সত্যে পরিণত করেন, আর যদিও তা অপরাধীরা অপছন্দ করে।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَمَآ ءَامَنَ لِمُوسَىٰٓ إِلَّا ذُرِّيَّةٌ مِّن قَوْمِهِۦ عَلَىٰ خَوْفٍ مِّن فِرْعَوْنَ وَمَلَإِي۟هِمْ أَن يَفْتِنَهُمْۚ وَإِنَّ فِرْعَوْنَ لَعَالٍ فِى ٱلْأَرْضِ وَإِنَّهُۥ لَمِنَ ٱلْمُسْرِفِينَ


এরপরও মূসার উপরে কেউ ঈমান আনলো না। তার জাতির বংশধরের কিছু যুবক ছাড়া। ফিরাউন এবং তাদের প্রধান (মৌলভী হুজুরদের) ভয়ে যে, তারা তাদেরকে নির্যাতন করবে। কারণ, ফিরাউনের দলের লোকজন দেশের কর্তৃত্বের অধিকারী। আর নিশ্চয়ই সে সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَقَالَ مُوسَىٰ يَٰقَوْمِ إِن كُنتُمْ ءَامَنتُم بِٱللَّهِ فَعَلَيْهِ تَوَكَّلُوٓا۟ إِن كُنتُم مُّسْلِمِينَ


আর মূসা বলে, হে আমার জাতি ! তোমরা যদি আল্লাহর উপরে ঈমান এনেই থাকো, তবে তাঁরই উপর তোমরা নির্ভর কর। যদি তোমরা আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম হয়ে থাকো !

সূরা : সুরা ইউনুস

فَقَالُوا۟ عَلَى ٱللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ ٱلظَّٰلِمِينَ


তারা আরো বলে, আমরা তো আল্লাহর উপরেই নির্ভর করছি। হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদেরকে সীমালঙ্ঘনকারী জাতির জন্যে উৎপীড়নের পাত্র বানাবেন না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ

আর আপনি আমাদেরকে রক্ষা করুন,আপনার অনুগ্রহদ্বারা কাফির জাতি হতে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَأَوْحَيْنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰ وَأَخِيهِ أَن تَبَوَّءَا لِقَوْمِكُمَا بِمِصْرَ بُيُوتًا وَٱجْعَلُوا۟ بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ


এবং আমি ওহী করি মূসার প্রতি আর তার ভাইয়ের প্রতি, যে তোমরা তোমাদের দু'জনের জাতির জন্যে মিশরে (রাজধানী শহরে) কিছু ঘর বানাও এবং তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে ক্বিবলা/কেন্দ্র বানাও। আর তোমরা দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা করো। আর মু'মিনদেরকে সুসংবাদ দাও।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَقَالَ مُوسَىٰ رَبَّنَآ إِنَّكَ ءَاتَيْتَ فِرْعَوْنَ وَمَلَأَهُۥ زِينَةً وَأَمْوَٰلًا فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا رَبَّنَا لِيُضِلُّوا۟ عَن سَبِيلِكَۖ رَبَّنَا ٱطْمِسْ عَلَىٰٓ أَمْوَٰلِهِمْ وَٱشْدُدْ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُوا۟ حَتَّىٰ يَرَوُا۟ ٱلْعَذَابَ ٱلْأَلِيمَ

আর মূসা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক ! নিশ্চয়ই আপনি ফিরাউন ও তার পরিবারবর্গকে পার্থিব জীবনের মধ্যে শোভা ও ধনসম্পদ দিয়েছেন। হে আমাদের প্রতিপালক ! তারা যেন আপনার (কোরআনের) পথ হতে লোকদেরকে পথভ্রষ্ট করতে পারে। হে আমাদের প্রতিপালক ! তাদের ধন সম্পদগুলোর ব্যাপারকে বিনষ্ট করে দিন। আর তাদের অন্তরগুলো কঠোর করে দিন। ফলে তারা যেন ঈমান না আনে, যতক্ষণ না তারা নিদারুণ শাস্তি দেখবে'।

সূরা : সুরা ইউনুস

قَالَ قَدْ أُجِيبَت دَّعْوَتُكُمَا فَٱسْتَقِيمَا وَلَا تَتَّبِعَآنِّ سَبِيلَ ٱلَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ


তিনি বললেন, নিশ্চয়ই তোমাদের দু'জনের প্রার্থনা গৃহীত হলো। অতএব তোমরা দু'জন দৃঢ়-মজবুত থাকো। আর নির্বোধ মুর্খদের পথ তোমরা অনুসরণ করো না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَجَٰوَزْنَا بِبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٱلْبَحْرَ فَأَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ وَجُنُودُهُۥ بَغْيًا وَعَدْوًاۖ حَتَّىٰٓ إِذَآ أَدْرَكَهُ ٱلْغَرَقُ قَالَ ءَامَنتُ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا ٱلَّذِىٓ ءَامَنَتْ بِهِۦ بَنُوٓا۟ إِسْرَٰٓءِيلَ وَأَنَا۠ مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ


আমিই ইসরাঈল সন্তানদেরকে সমুদ্র পার করে দিই। অতঃপর ফিরাউন এবং তার সৈন্যবাহিনী, বিদ্রোহ আর অহংকারের সাথে তাদের পেছনে ধাওয়া করে। অবশেষে যখন বুঝতে পারে সে ডুবে যাচ্ছে, তখনই সে বলে, আমিও ঈমান এনেছি, সে সত্বা ছাড়া আর কোনো সত্যিকারের বিধানদাতা নেই,যার উপর ইসরাঈলের সন্তানরা ঈমান এনেছে। আর আমিও আত্মসমর্পণকারী-মুসলিমদের অন্তর্ভূক্ত।

সূরা : সুরা ইউনুস

ءَآلْـَٰٔنَ وَقَدْ عَصَيْتَ قَبْلُ وَكُنتَ مِنَ ٱلْمُفْسِدِينَ


কি এখন (ঈমান আনলে)!, নিশ্চয়ই তুমি এর আগে অমান্য করেছো। আর তুমি ছিলে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের অন্তর্ভূক্ত।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَٱلْيَوْمَ نُنَجِّيكَ بِبَدَنِكَ لِتَكُونَ لِمَنْ خَلْفَكَ ءَايَةًۚ وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ ٱلنَّاسِ عَنْ ءَايَٰتِنَا لَغَٰفِلُونَ


সুতরাং আজ আমি তোমাকে রক্ষা করবো তোমার শরীর দ্বারা। তুমি যেন তোমার পিছনে আসা লোকদের জন্যে নিদর্শন হও। আর নিশ্চয়ই মানুষের মধ্য হতে অনেকে আমার আয়াত সম্বন্ধে উদাসীন।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلَقَدْ بَوَّأْنَا بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ مُبَوَّأَ صِدْقٍ وَرَزَقْنَٰهُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِ فَمَا ٱخْتَلَفُوا۟ حَتَّىٰ جَآءَهُمُ ٱلْعِلْمُۚ إِنَّ رَبَّكَ يَقْضِى بَيْنَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ فِيمَا كَانُوا۟ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ


এবং নিশ্চয়ই আমি ইসরাঈলের সন্তানদেরকে উত্তম আবাসভূমিতে জায়গা দিয়েছি। এবং পবিত্র জিনিসগুলো থেকে আমি তাদেরকে জীবিকা দিয়েছি। অতঃপর তারা মতবিরোধে লিপ্ত হয়। এমনকি তাদের কাছে সত্যিকারের জ্ঞান আসার পরেও। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক ক্বিয়ামতের দিন তাদের মাঝে সে সবের বিষয়ে মীমাংসা করে দিবেন, যা নিয়ে তারা বিভেদ করেছে।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَإِن كُنتَ فِى شَكٍّ مِّمَّآ أَنزَلْنَآ إِلَيْكَ فَسْـَٔلِ ٱلَّذِينَ يَقْرَءُونَ ٱلْكِتَٰبَ مِن قَبْلِكَۚ لَقَدْ جَآءَكَ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلْمُمْتَرِينَ


অতঃপর তুমি যদি সন্দেহের মধ্যে থাকো, তা হতে (আল কিতাব হতে) আমি যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি। তবে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো, যারা তোমার থেকে পূর্বে আল কিতাব পাঠ করছে। নিশ্চয়ই তোমার কাছে প্রতিপালকের পক্ষ হতে প্রকৃত সত্য এসেছে। অতএব তুমি সন্দিহানদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ فَتَكُونَ مِنَ ٱلْخَٰسِرِينَ


আর তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। যারা আল্লাহর আয়াতগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করে। তাহলে তুমি ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে।

সূরা : সুরা ইউনুস

إِنَّ ٱلَّذِينَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ


যাদের উপর তোমার প্রতিপালকের বাণীগুলো সত্য প্রমাণিত হয়েছে, তারা ঈমান আনবে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلَوْ جَآءَتْهُمْ كُلُّ ءَايَةٍ حَتَّىٰ يَرَوُا۟ ٱلْعَذَابَ ٱلْأَلِيمَ


যদিও তাদের কাছে সব নিদর্শন এসে যায়, তবুও তারা নিদারুণ শাস্তি না দেখা পর্যন্ত (ঈমান আনবে না)।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَلَوْلَا كَانَتْ قَرْيَةٌ ءَامَنَتْ فَنَفَعَهَآ إِيمَٰنُهَآ إِلَّا قَوْمَ يُونُسَ لَمَّآ ءَامَنُوا۟ كَشَفْنَا عَنْهُمْ عَذَابَ ٱلْخِزْىِ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَمَتَّعْنَٰهُمْ إِلَىٰ حِينٍ


অতঃপর এমন কোনো জনপদ কেনো হলো না যে, তারা ঈমান আনতো, আর তাদের ঈমান তাদেরকে কোনো উপকার দিতো। তবে ইউনুসের জাতি ছাড়া। তারা যখন ঈমান এনেছে, আমিও তখন তাদের থেকে পার্থিব জীবনের অপমানজনক শাস্তি-দুর্দশা সরিয়ে দিয়েছি। আর আমি তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভোগের সুযোগ দিয়েছি।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلَوْ شَآءَ رَبُّكَ لَءَامَنَ مَن فِى ٱلْأَرْضِ كُلُّهُمْ جَمِيعًاۚ أَفَأَنتَ تُكْرِهُ ٱلنَّاسَ حَتَّىٰ يَكُونُوا۟ مُؤْمِنِينَ


তোমার প্রতিপালক যদি ইচ্ছা করতেন, তবে পৃথিবীতে যারা রয়েছে তাদের সবাই একসাথে ঈমান আনতো। তবে কি তুমি মানুষদেরকে জোর জবরদস্তি করবে যতক্ষণ না তারা মু'মিন হবে ?

সূরা : সুরা ইউনুস

وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تُؤْمِنَ إِلَّا بِإِذْنِ ٱللَّهِۚ وَيَجْعَلُ ٱلرِّجْسَ عَلَى ٱلَّذِينَ لَا يَعْقِلُونَ


আর কোনো ব্যক্তির পক্ষে এ সম্ভব নয় যে, সে আল্লাহর অনুমতি ছাড়া ঈমান আনবে। যারা বিবেক বুদ্ধি খাটায় না, তাদের উপরে তিনি অপবিত্রতাই চাপিয়ে রাখেন।

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلِ ٱنظُرُوا۟ مَاذَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۚ وَمَا تُغْنِى ٱلْءَايَٰتُ وَٱلنُّذُرُ عَن قَوْمٍ لَّا يُؤْمِنُونَ


তুমি বল। তোমরা লক্ষ্য কর ! আকাশমন্ডল ও পৃথিবীতে কতো কিছু মওজুদ রয়েছে ! কিন্তু যারা ঈমান আনে না, তাদের জন্য নিদর্শনসমূহ ও সতর্কবাণী কোনো উপকারে আসে না।

সূরা : সুরা ইউনুস

فَهَلْ يَنتَظِرُونَ إِلَّا مِثْلَ أَيَّامِ ٱلَّذِينَ خَلَوْا۟ مِن قَبْلِهِمْۚ قُلْ فَٱنتَظِرُوٓا۟ إِنِّى مَعَكُم مِّنَ ٱلْمُنتَظِرِينَ


তবে কি তারা অপেক্ষা করছে ? তাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদের মতোই দিনগুলোর জন্য। তুমি বলে দাও ! তাহলে তোমরা অপেক্ষা করতে থাকো। আর নিশ্চয়ই আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষা করছি।

সূরা : সুরা ইউনুস

ثُمَّ نُنَجِّى رُسُلَنَا وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ۚ كَذَٰلِكَ حَقًّا عَلَيْنَا نُنجِ ٱلْمُؤْمِنِينَ


এরপর আমি আমার রাসূলদেরকে উদ্ধার করি এবং তাদেরকেও যারা এভাবে ঈমান আনে। মু'মিনদেরকে উদ্ধার করা এটা আমার দায়িত্ব।

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلْ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِن كُنتُمْ فِى شَكٍّ مِّن دِينِى فَلَآ أَعْبُدُ ٱلَّذِينَ تَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَٰكِنْ أَعْبُدُ ٱللَّهَ ٱلَّذِى يَتَوَفَّىٰكُمْۖ وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ


তুমি বলো ! হে মানুষ ! আমার জীবন ব্যবস্থায় যদি তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে আমি তো আর সেগুলোর দাসত্ব করি না, আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদের (কাল্পনিক দেবদেবী ও বানোয়াট পীর-বুজুর্গোদের) দাসত্ব করছো, বরং আমি তো সেই আল্লাহর দাসত্ব করি, যিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটান। আর আমি আদিষ্ট হয়েছি যে, আমি যেনো মু'মিনদের অন্তর্ভুক্ত হই

সূরা : সুরা ইউনুস

وَأَنْ أَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا وَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ


আর এও যে, ‘তুমি তোমার লক্ষ্যকে শান্তির জীবন ব্যবস্থার জন্যে প্রতিষ্ঠিত করো একনিষ্ঠভাবে এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَلَا تَدْعُ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَۖ فَإِن فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِّنَ ٱلظَّٰلِمِينَ


আল্লাহকে বাদ দিয়ে আর কাউকে তুমি ডেকো না। যারা তোমার কোনো উপকার করতে পারবে না। আর তোমার কোনো ক্ষতিও করতে পারবে না। তুমি যদি তাই করো, তবে নিশ্চয়ই তুমিও সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَإِن يَمْسَسْكَ ٱللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُۥٓ إِلَّا هُوَۖ وَإِن يُرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَآدَّ لِفَضْلِهِۦۚ يُصِيبُ بِهِۦ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦۚ وَهُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ


আল্লাহ যদি তোমাকে কোনো কষ্ট দিয়ে স্পর্শ করেন, তাহলে তিনি ছাড়া আর তো কেউ এমন নেই, যে তা দূর করতে পারবে। আর আল্লাহ যদি তোমার জন্যে কোনো কল্যাণের বিষয় চান, তাহলে এমন কেউ নেই যে, তাঁর দান সামগ্রী থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারবে। আল্লাহ তাঁর দাসদের মধ্য হ'তে উপযুক্তদেরকে তা পৌঁছে দেন। আর তিনি ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা ইউনুস

قُلْ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدْ جَآءَكُمُ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكُمْۖ فَمَنِ ٱهْتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهْتَدِى لِنَفْسِهِۦۖ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَاۖ وَمَآ أَنَا۠ عَلَيْكُم بِوَكِيلٍ


তুমি ঘোষণা করে দাও, হে মানুষ ! নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমাদের কাছে প্রকৃত সত্য এসে গেছে। অতএব যে কেউ সঠিক পথে এলো, তবে প্রকৃতপক্ষে সেই তো সঠিক পথ পেলো। তাতে তার নিজের মঙ্গল হবে। আর যে কেউ বিভ্রান্ত থাকবে, (কোরআন থেকে) তাতে তার নিজেরই ক্ষতি হবে। আর আমি তো তোমাদের জন্যে উকিল নই।

সূরা : সুরা ইউনুস

وَٱتَّبِعْ مَا يُوحَىٰٓ إِلَيْكَ وَٱصْبِرْ حَتَّىٰ يَحْكُمَ ٱللَّهُۚ وَهُوَ خَيْرُ ٱلْحَٰكِمِينَ


আর তুমি তাই অনুসরণ করে, যাকিছু তোমার প্রতি ওহী করা হয়। আর ধৈর্য ধারণ করো, যতক্ষন না আল্লাহ ফায়সালা করে দেন। আর তিনিই একমাত্র উত্তম ফায়সালাকারী।