সূরা : সূরা আশ শুরা
حٰمٓ ۚ
হা-মী-ম।
كَذٰلِكَ يُوْحِيْۤ اِلَيْكَ وَاِلَي الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكَ ۙ اللّٰهُ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
এভাবেই তোমার প্রতি, আর তোমার থেকে পূর্বে যারা ছিলো, তাদের প্রতি মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক আল্লাহ ওহী পাঠিয়েছেন।
لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ؕ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ
আকাশের ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে সব তাঁরই। আর তিনিই সমুন্নত, সুমহান।
تَكَادُ السَّمٰوٰتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْ فَوْقِهِنَّ وَالْمَلٰٓئِكَةُ يُسَبِّحُوْنَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيَسْتَغْفِرُوْنَ لِمَنْ فِي الْاَرْضِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
(তাঁর সাথে শরিক করায়) তাদের উপর থেকে আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। আর শক্তিধর মালা-ইকারা তাদের প্রতিপালকের প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছে, আর পৃথিবীর মধ্যে যারা আছে তাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছে। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ, তিনিই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
وَالَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِيَآءَ اللّٰهُ حَفِيْظٌ عَلَيْهِمْ ۫ۖ وَمَاۤ اَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيْلٍ
আর যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে আউলিয়ারূপে গ্রহণ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে দেখছেন। আর তুমি তাদের উপর কোনো উকিল নও।
وَكَذٰلِكَ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ قُرْاٰنًا عَرَبِيًّا لِّتُنْذِرَ اُمَّ الْقُرٰي وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنْذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيْهِ ؕ فَرِيْقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيْقٌ فِي السَّعِيْرِ
আর এভাবেই আমি তোমার প্রতি এই কোরআনকে সুস্পষ্ট আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করেছি, যেনো তুমি জনপদসমূহের মা (উম্মাল কূরা-মক্কা) ও তার চারপাশে (সারা পৃথিবীতে) যারা রয়েছে তাদেরকে সতর্ক করতে পারো, আর সেই সমবেত হওয়ার দিন সম্পর্কেও সতর্ক করতে পারো, যার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। এক দল মানুষ থাকবে জান্নাতে আর এক দল থাকবে জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে।
وَلَوْ شَآءَ اللّٰهُ لَجَعَلَهُمْ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّلٰكِنْ يُّدْخِلُ مَنْ يَّشَآءُ فِيْ رَحْمَتِهٖ ؕ وَالظّٰلِمُوْنَ مَا لَهُمْ مِّنْ وَّلِيٍّ وَّلَا نَصِيْرٍ
আর আল্লাহ তো মানুষের ব্যাপারে ইচ্ছা রাখেন, যেন তারা একটিই উম্মত/দল হিসেবে থাকতে পারে। কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহের মধ্যে সেই প্রবেশ করবে, যে উপযুক্ত। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের অবস্থা হলো এমনই, যাদের কোনো অলি কিংবা সাহায্যকারী নেই।
اَمِ اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اَوْلِيَآءَ ۚ فَاللّٰهُ هُوَ الْوَلِيُّ وَهُوَ يُحْيِ الْمَوْتٰي ۫ وَهُوَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
তবে কি তারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যান্যদেরকে আউলিয়ারূপে গ্রহণ করছে ? অথচ আল্লাহ, তিনিই হলেন প্রকৃত অলি, তিনিই মৃতদেরকে জীবিত করবেন। আর তিনি সব কিছুরই উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।
وَمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيْهِ مِنْ شَيْءٍ فَحُكْمُهٗۤ اِلَي اللّٰهِ ؕ ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبِّيْ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَاِلَيْهِ اُنِيْبُ
আর যে সব বিষয় নিয়ে তোমরা মতভেদ সৃষ্টি করেছো, সে সবের ফায়সালা তো আল্লাহর কাছেই হবে। তিনিই আল্লাহ আমার প্রতিপালক, যার উপরে আমি নির্ভর করছি আর তাঁরই দিকে আমি মূখ ফিরিয়েছি।
فَاطِرُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ جَعَلَ لَكُمْ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ اَزْوَاجًا وَّمِنَ الْاَنْعَامِ اَزْوَاجًا ۚ يَذْرَؤُكُمْ فِيْهِ ؕ لَيْسَ كَمِثْلِهٖ شَيْءٌ ۚ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْبَصِيْرُ
(আল্লাহ-ই) আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, তিনিই তো তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। আর চতুষ্পদ জন্তুদেরকেও জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন, এভাবেই তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। তাঁর মতো কোনো কিছুই নেই। তিনি সবকিছু শুনেন ও সবকিছুই দেখেন।
لَهٗ مَقَالِيْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۚ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَآءُ وَيَقْدِرُ ؕ اِنَّهٗ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ
আকাশ ও পৃথিবীর চাবিসমূহ তাঁরই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি উপযুক্তদের জন্যে জীবন উপকরণ প্রশস্ত করে দেন এবং নিয়ন্ত্রণ করেন। নিশ্চয় তিনি সব কিছুর সম্পর্কে মহাজ্ঞানী।
شَرَعَ لَكُمْ مِّنَ الدِّيْنِ مَا وَصّٰي بِهٖ نُوْحًا وَّالَّذِيْۤ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهٖۤ اِبْرٰهِيْمَ وَمُوْسٰي وَعِيْسٰۤي اَنْ اَقِيْمُوا الدِّيْنَ وَلَا تَتَفَرَّقُوْا فِيْهِ ؕ كَبُرَ عَلَي الْمُشْرِكِيْنَ مَا تَدْعُوْهُمْ اِلَيْهِ ؕ اَللّٰهُ يَجْتَبِيْۤ اِلَيْهِ مَنْ يَّشَآءُ وَيَهْدِيْۤ اِلَيْهِ مَنْ يُّنِيْبُ
তিনি তোমাদের জন্যে সেই জীবন ব্যবস্থাই নির্ধারণ করেছেন, যে সম্পর্কে তিনি নূহকে আদেশ দিয়ছিলেন। আর যা কিছু তোমার প্রতি ওহী করেছি। আর যা কিছু আমি ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে আদেশ দিয়েছি (এ তাগিদসহ) যে তোমরা সেই জীবন ব্যবস্থাকেই প্রতিষ্ঠিত করবে। আর তার মধ্যে কোনো মতবিরোধ (ফের্কা ও মাযহাব) সৃষ্টি করবে না। অংশীবাদী মুশরিকদের কাছে সে কথা বড়ই কঠিন লাগে, যে দিকে তুমি তাদেরকে আহ্বান করছো। আল্লাহ উপযুক্ত ব্যক্তিকে তাঁর দিকে বেছে নেন, আর যে ব্যক্তি তাঁর দিকে মূখ ফিরায়, তাকেই তিনি সঠিক পথ দেখান।*
*42(11) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 98(4,5)...।
وَمَا تَفَرَّقُوْۤا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْ ؕ وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّكَ اِلٰۤي اَجَلٍ مُّسَمًّي لَّقُضِيَ بَيْنَهُمْ ؕ وَاِنَّ الَّذِيْنَ اُوْرِثُوا الْكِتٰبَ مِنْۢ بَعْدِهِمْ لَفِيْ شَكٍّ مِّنْهُ مُرِيْبٍ
তাদের কাছে জ্ঞান তথ্য আসার পরে তারা বিদ্বেষ বশতঃ তাদের নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ করে থাকে। অথচ তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অবকাশের কথা যদি পূর্বে সিদ্ধান্ত করা না হতো, তাহলে তাদের মধ্যে ফায়সালা তো কবেই করা হতো। আর নিশ্চয়ই তাদের পরে যাদেরকে আল কিতাবের উত্তারাধিকারী করা হয়েছে, এ সম্পর্কে তারা অবশ্যই বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যেই পড়ে রয়েছে।
فَلِذٰلِكَ فَادْعُ ۚ وَاسْتَقِمْ كَمَاۤ اُمِرْتَ ۚ وَلَا تَتَّبِعْ اَهْوَآءَهُمْ ۚ وَقُلْ اٰمَنْتُ بِمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ مِنْ كِتٰبٍ ۚ وَاُمِرْتُ لِاَعْدِلَ بَيْنَكُمْ ؕ اَللّٰهُ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ ؕ لَنَاۤ اَعْمَالُنَا وَلَكُمْ اَعْمَالُكُمْ ؕ لَا حُجَّةَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ ؕ اَللّٰهُ يَجْمَعُ بَيْنَنَا ۚ وَاِلَيْهِ الْمَصِيْرُ ؕ
তাই তুমি তাদেরকে সেদিকেই ডাকতে থাকো এবং তুমি নিজেও (তার উপর) অবিচল থাকো যেমন তোমাকে আদেশ করা হয়েছে। তুমি তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে চলবে না। আর তুমি বলো, আমি ঈমান এনেছি ঐ বিষয়ে আল্লাহ যাকিছু একটি কিতাব থেকে অবতীর্ণ করেছেন। আর আমাকে আদেশ করা হয়েছে, যেনো আমি তোমাদের মাঝে ন্যায়বিচার করি। আল্লাহ আমাদের প্রতিপালক, আর তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কাজসমূহ আমাদের জন্যেই, আর তোমাদের কাজসমূহ তোমাদের জন্যেই। আমাদের ও তোমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া বিবাদ নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে একত্র করবেন। আর তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন হবে সবার।
وَالَّذِيْنَ يُحَآجُّوْنَ فِي اللّٰهِ مِنْۢ بَعْدِ مَا اسْتُجِيْبَ لَهٗ حُجَّتُهُمْ دَاحِضَةٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ وَّلَهُمْ عَذَابٌ شَدِيْدٌ
যারা আল্লাহর সম্পর্কে বিতর্ক করে, তাঁকে সাড়া দেওয়ার পরেও (দ্বীন গ্রহণের পরেও)। তাদের এই যুক্তিতর্ক তাদের প্রতিপালকের কাছে একবারেই নিরর্থক। আর তাদের উপরে অভিশাপ রয়েছে, আর তাদের জন্যে কঠোর শাস্তি রয়েছে।
اَللّٰهُ الَّذِيْۤ اَنْزَلَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ وَالْمِيْزَانَ ؕ وَمَا يُدْرِيْكَ لَعَلَّ السَّاعَةَ قَرِيْبٌ
তিনিই আল্লাহ, যিনি সত্যসহ এই আল কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যা ন্যায় বিচারের মানদন্ড। তুমি তো জানো না, হয়তো বিশেষ সময় (কিয়ামত) খুবই নিকটে !
يَسْتَعْجِلُ بِهَا الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِهَا ۚ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مُشْفِقُوْنَ مِنْهَا ۙ وَيَعْلَمُوْنَ اَنَّهَا الْحَقُّ ؕ اَلَاۤ اِنَّ الَّذِيْنَ يُمَارُوْنَ فِي السَّاعَةِ لَفِيْ ضَلٰلٍۭ بَعِيْدٍ
এ (কিয়ামত) নিয়ে তারাই তাড়াহুড়া করছে, যারা এই সম্পর্কে বিশ্বাস করে না। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা কিন্তু তাতে ভীত সন্ত্রস্ত রয়েছে। আর তারা জানে যে, তা মহাসত্য। একথা তোমরা জেনে রাখবে, নিশ্চয়ই যারা কিয়ামতের সম্পর্কে কুতর্ক করছে তারা অবশ্যই বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্য দিয়ে বহু দূরে চলে গেছে।
اَللّٰهُ لَطِيْفٌۢ بِعِبَادِهٖ يَرْزُقُ مَنْ يَّشَآءُ ۚ وَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيْزُ
আল্লাহ তাঁর দাসদের উপরে অতি দয়ালু। তিনি উপযুক্ত ব্যক্তিকে জীবিকা (বিশেষ জ্ঞান) দান করেন। তিনি হলেন প্রবল শক্তিশালী ও মহা-সম্মানী।
مَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الْاٰخِرَةِ نَزِدْ لَهٗ فِيْ حَرْثِهٖ ۚ وَمَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الدُّنْيَا نُؤْتِهٖ مِنْهَا وَمَا لَهٗ فِي الْاٰخِرَةِ مِنْ نَّصِيْبٍ
যে কেউ পরকালের ফসল কামনা করবে, আমি তার জন্যে তার ফসলের মধ্যে উন্নতি বাড়িয়ে দিব। আর যে কেউ পার্থিব জীবনের ফসল কামনা করবে, আমি তাকে এই দুনিয়ার কিছুটা সুযোগ সুবিধা দান করব। আর পরকালে তার জন্যে কোনো অংশ থাকবে না।
اَمْ لَهُمْ شُرَكٰٓؤُا شَرَعُوْا لَهُمْ مِّنَ الدِّيْنِ مَا لَمْ يَاْذَنْۢ بِهِ اللّٰهُ ؕ وَلَوْلَا كَلِمَةُ الْفَصْلِ لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ ؕ وَاِنَّ الظّٰلِمِيْنَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ
তবে কি তাদের জন্যে এমন শরীকদল রয়েছে, যারা তাদের জন্যে কোনো শরিয়াতের ফায়সালা স্থির করে দিয়েছে, অথচ আল্লাহ সে সম্পর্কে (মাযহাব ও তরীকা বানানোর) অনুমতি দেন নি। আর যদি একটি কথা সুস্থির করা না হতো, তাহলে তাদের মাঝে কবে ফায়সালা হয়ে যেতো। নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
تَرَي الظّٰلِمِيْنَ مُشْفِقِيْنَ مِمَّا كَسَبُوْا وَهُوَ وَاقِعٌۢ بِهِمْ ؕ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فِيْ رَوْضٰتِ الْجَنّٰتِ ۚ لَهُمْ مَّا يَشَآءُوْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ ؕ ذٰلِكَ هُوَ الْفَضْلُ الْكَبِيْرُ
তুমি সীমালঙ্ঘনকারীদের ঐ বিষয়ে ভীত অবস্হায় দেখতে পাবে, যা তারা কামাই করেছে। আর তা তাদের উপর পতিত হবেই। আর যারা ঈমান এনেছে ও সংশোধনের কাজ করেছে, তারা কিন্তু জান্নাতের মনোরম বাগিচায় মধ্যেই থাকবে। তারা যা কিছু চাইবে সে সব তারা তাদের প্রতিপালকের কাছেই পাবে। এটাই সেই মহা অনুগ্রহ।
ذٰلِكَ الَّذِيْ يُبَشِّرُ اللّٰهُ عِبَادَهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ قُلْ لَّاۤ اَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبٰي ؕ وَمَنْ يَّقْتَرِفْ حَسَنَةً نَّزِدْ لَهٗ فِيْهَا حُسْنًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ
এটা তাই, যার সুসংবাদ আল্লাহ তাঁর দাসদেরকে দিচ্ছেন, যারা ঈমান এনেছে ও সংশোধনের কাজ করে চলেছে। তুমি বলে দাও, আমি তোমাদের কাছে এর উপর কোনো পারিশ্রমিক চাই না, শুধু আত্মীয়তার ভালোবাসা ছাড়া। আর যে কেউ ভালো কাজ অর্জন করবে, আমি তার জন্যে তার মধ্যে আরোও কল্যাণ বাড়িয়ে দিবো। নিশ্চয়ই আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।
اَمْ يَقُوْلُوْنَ افْتَرٰي عَلَي اللّٰهِ كَذِبًا ۚ فَاِنْ يَّشَاِ اللّٰهُ يَخْتِمْ عَلٰي قَلْبِكَ ؕ وَيَمْحُ اللّٰهُ الْبَاطِلَ وَيُحِقُّ الْحَقَّ بِكَلِمٰتِهٖ ؕ اِنَّهٗ عَلِيْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ
তবে কি তারা এই কথা বলে যে, সে নিজেই আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করেছে? তবে যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তাহলে তোমার অন্তরের উপর সীল মেরে দিবেন। আর আল্লাহ অসত্যকে মুছে দেন। আর সত্যকে তাঁর নিজ বাণী দিয়ে প্রতিষ্ঠত করেন। নিশ্চয়ই তিনি অন্তরসমূহের অবস্থা সম্পর্কে খুব জানেন।
وَهُوَ الَّذِيْ يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهٖ وَيَعْفُوْا عَنِ السَّيِّاٰتِ وَيَعْلَمُ مَا تَفْعَلُوْنَ ۙ
আর তিনিই (আল্লাহ) যিনি তাঁর দাসদের থেকে তাওবা গ্রহণ করে থাকেন, আর দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করেন। আর তোমরা যা কিছু করছো, তিনি তা খুব জানেন।
وَيَسْتَجِيْبُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَيَزِيْدُهُمْ مِّنْ فَضْلِهٖ ؕ وَالْكٰفِرُوْنَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيْدٌ
আর তিনি তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন, যারা ঈমান আনে ও সংশোধনের কাজ করে। আর তাদেরকে তাঁর কাছ থেকে সাহায্য সামগ্রী বাড়িয়ে দেন। আর কাফিরগুলোর জন্যে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
وَلَوْ بَسَطَ اللّٰهُ الرِّزْقَ لِعِبَادِهٖ لَبَغَوْا فِي الْاَرْضِ وَلٰكِنْ يُّنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَّا يَشَآءُ ؕ اِنَّهٗ بِعِبَادِهٖ خَبِيْرٌۢ بَصِيْرٌ
আল্লাহ যদি তাঁর দাসদের সবাইকে প্রচুর পরিমাণে জীবিকা দান করেন, তাহলে অবশ্যই তারা পৃথিবীর মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে থাকবে। কিন্তু উপযুক্তদেরকে একটি পরিমাণ মতোই দান করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর দাসদের সম্পর্কে খুব জানেন ও সবকিছুই দেখেন।
وَهُوَ الَّذِيْ يُنَزِّلُ الْغَيْثَ مِنْۢ بَعْدِ مَا قَنَطُوْا وَيَنْشُرُ رَحْمَتَهٗ ؕ وَهُوَ الْوَلِيُّ الْحَمِيْدُ
আর তিনিই হলেন আল্লাহ, যিনি লোকজনের হতাশার পরে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর তাঁর করুণা বিস্তার করেন। আর তিনিই প্রকৃত অলি, প্রশংসিত।
وَمِنْ اٰيٰتِهٖ خَلْقُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيْهِمَا مِنْ دَآبَّةٍ ؕ وَهُوَ عَلٰي جَمْعِهِمْ اِذَا يَشَآءُ قَدِيْرٌ
আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি তো তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম, তিনি এই দু'টোর মধ্যে যে সব জীবজন্তু ছড়িয়ে রেখেছেন, তাও। তিনি তাঁর ইচ্ছা মতো সে সবের সমাবেশ ঘটাতে সক্ষম।
وَمَاۤ اَصَابَكُمْ مِّنْ مُّصِيْبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ اَيْدِيْكُمْ وَيَعْفُوْا عَنْ كَثِيْرٍ ؕ
আর তোমাদের উপরে যে কোনো বিপদ এসে পৌঁছে, তা তো একারণেই যা তোমাদের হাতগুলো কামাই করেছে। আর তিনি তো নিজের থেকেই অনেক কিছু ক্ষমা করে দেন।
وَمَاۤ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِيْنَ فِي الْاَرْضِ ۚۖ وَمَا لَكُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلَا نَصِيْرٍ
তোমরা এই পৃথিবীর মধ্যে (আল্লাহর পরিকল্পনাকে) অক্ষম করতে পারবে না। আর তোমাদের জন্যে আল্লাহ ছাড়া কোনো অলি ও সাহায্যকারী নেই।
وَمِنْ اٰيٰتِهِ الْجَوَارِ فِي الْبَحْرِ كَالْاَعْلَامِ ؕ
তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাগরের মধ্যে ভাসমান পাহাড়ের মতো উঁচু জাহাজসমূহ।
اِنْ يَّشَاْ يُسْكِنِ الرِّيْحَ فَيَظْلَلْنَ رَوَاكِدَ عَلٰي ظَهْرِهٖ ؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ ۙ
তিনি যদি ইচ্ছা করেন, তাহলে বাতাসকে থামিয়ে দিবেন, ফলে সেই জাহাজগুলো সাগরের উপরে নিশ্চল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে প্রত্যেকটি ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী লোকদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
اَوْ يُوْبِقْهُنَّ بِمَا كَسَبُوْا وَيَعْفُ عَنْ كَثِيْرٍ ۫
অথবা তাদের কাজকর্মের কারণে সেই জাহাজগুলোকে ডুবিয়ে ধ্বংস করে দিতে পারেন। আর এ অবস্হায় তিনি নিজের থেকে অনেক কিছুই মাফ করেও দেন।
وَّيَعْلَمَ الَّذِيْنَ يُجَادِلُوْنَ فِيْۤ اٰيٰتِنَا ؕ مَا لَهُمْ مِّنْ مَّحِيْصٍ
আর তারা যেনো জানতে পারে, যারা আমার আয়াতসমূহ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে, তাদের জন্যে কোন আশ্রয়স্থল নেই।
فَمَاۤ اُوْتِيْتُمْ مِّنْ شَيْءٍ فَمَتَاعُ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ۚ وَمَا عِنْدَ اللّٰهِ خَيْرٌ وَّاَبْقٰي لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَلٰي رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ ۚ
বস্তুতঃ তোমাদেরকে যা কিছু দেওয়া হয়েছে, তা পার্থিব জীবনের ভোগ্য সামগ্রী মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা কিছু রয়েছে তাই তো উত্তম ও চিরস্থায়ী তাদেরই জন্যে, যারা ঈমান আনে আর তাদের প্রতিপালকের উপরে নির্ভর করে চলে।
وَالَّذِيْنَ يَجْتَنِبُوْنَ كَبٰٓئِرَ الْاِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ وَاِذَا مَا غَضِبُوْا هُمْ يَغْفِرُوْنَ ۚ
আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্যসমূহ হতে বেঁচে থাকে, আর তারা যখন রাগান্বিত হয় তখন মাফ করে দেয়।
وَالَّذِيْنَ اسْتَجَابُوْا لِرَبِّهِمْ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ ۪ وَاَمْرُهُمْ شُوْرٰي بَيْنَهُمْ ۪ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ يُنْفِقُوْنَ ۚ
আর যারা তাদের প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দেয়, আর দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করে,এবং তাদের কাজ তাদের নিজেদের মাঝে পরামর্শের মাধ্যমেই করে থাকে। আর আমি যে জীবিকা দান করি তা থেকে তারা ব্যয় করে।
وَالَّذِيْنَ اِذَاۤ اَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنْتَصِرُوْنَ
আর তারা এমন যে, যখন তাদের উপর নির্যাতন/ বাড়াবাড়ি পৌঁছে ,তখন তারা প্রতিশোধ নিয়ে থাকে।
وَجَزٰٓؤُا سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِّثْلُهَا ۚ فَمَنْ عَفَا وَاَصْلَحَ فَاَجْرُهٗ عَلَي اللّٰهِ ؕ اِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الظّٰلِمِيْنَ
অন্যায়ের প্রতিশোধ ঠিক ততটুকুই। কিন্তু যে কেউ ক্ষমা করে দিবে, আপোষ করবে, তার পুরস্কার তো আল্লাহর কাছেই রয়েছে। নিশ্চয়ই তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে ভালো বাসেন না।
وَلَمَنِ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهٖ فَاُولٰٓئِكَ مَا عَلَيْهِمْ مِّنْ سَبِيْلٍ ؕ
আর যে ব্যক্তি নির্যাতিত হওয়ার পরে সঠিকভাবে প্রতিশোধ নিবে, তারাই তো সেই দল, যাদের বিরুদ্ধে কোন রকম অভিযোগ নেই।
اِنَّمَا السَّبِيْلُ عَلَي الَّذِيْنَ يَظْلِمُوْنَ النَّاسَ وَيَبْغُوْنَ فِي الْاَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ ؕ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ
কেবল তাদের বীরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের উপরে অত্যাচার করে,আর অহেতুক পৃথিবীর মধ্যে বিদ্রোহ করে বেড়ায়,তারাই তো ঐসব লোক যাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।*
*42(40-42) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 16(126-128),22(60)...।
وَلَمَنْ صَبَرَ وَغَفَرَ اِنَّ ذٰلِكَ لَمِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ
আর যে ব্যাক্তি ধৈর্য ধারণ করে, আর ক্ষমা করে দেয়। নিশ্চয়ই এটা দৃঢ়সংকল্পের কাজসমূহের অন্তর্ভূক্ত।
وَمَنْ يُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ وَّلِيٍّ مِّنْۢ بَعْدِهٖ ؕ وَتَرَي الظّٰلِمِيْنَ لَمَّا رَاَوُا الْعَذَابَ يَقُوْلُوْنَ هَلْ اِلٰي مَرَدٍّ مِّنْ سَبِيْلٍ ۚ
আর যে আল্লাহর (পথ) থেকে নিজেকে বিভ্রান্ত করে়, তারপর তার জন্যে কোনো অলি নেই। আর তুমি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে দেখবে, যখন তারা শাস্তি দেখবে তখন বলবে, ফিরে যাবার মতো কোনো উপায় আছে কি ?
وَتَرٰىهُمْ يُعْرَضُوْنَ عَلَيْهَا خٰشِعِيْنَ مِنَ الذُّلِّ يَنْظُرُوْنَ مِنْ طَرْفٍ خَفِيٍّ ؕ وَقَالَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّ الْخٰسِرِيْنَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْۤا اَنْفُسَهُمْ وَاَهْلِيْهِمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ الظّٰلِمِيْنَ فِيْ عَذَابٍ مُّقِيْمٍ
তুমি তাদেরকে দেখতে পাবে, তাদেরকে যখন জাহান্নামের কাছে উপস্থিত করা হবে, তখন তারা অপমানের ভয়ে একান্ত বেহাল অবনত অবস্থায় চেয়ে থাকবে। আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলতে থাকবে, নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন তারাই ক্ষতিগ্রস্থ, যারা নিজেদের ও তাদের পরিবারকে (সঙ্গী-সাথীদেরকে) ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। তোমরা জেনে রাখো, নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারীরা চিরস্থায়ী শাস্তির মধ্যে থাকবে।
وَمَا كَانَ لَهُمْ مِّنْ اَوْلِيَآءَ يَنْصُرُوْنَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ ؕ وَمَنْ يُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ سَبِيْلٍ ؕ
আর তাদের জন্যে এমন কোনো আউলিয়া থাকবে না, যে আল্লাহকে ছাড়া তাদেরকে কিছুমাত্র সাহায্য করতে পারবে। আর আল্লাহ থেকে যে বিভ্রান্ত হয়, তখন তার জন্যে কোনো পথ নেই।
اِسْتَجِيْبُوْا لِرَبِّكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ يَّاْتِيَ يَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهٗ مِنَ اللّٰهِ ؕ مَا لَكُمْ مِّنْ مَّلْجَاٍ يَّوْمَئِذٍ وَّمَا لَكُمْ مِّنْ نَّكِيْرٍ
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দাও, সেই দিনটি আসার পূর্বেই যা আল্লাহর পক্ষ থেকে ফিরিয়ে রাখা হবে না। তোমাদের জন্যে সেদিন কোনো আশ্রয়স্থল থাকবে না। আর তোমাদের জন্যে কোনো প্রতিরোধকারীও থাকবে না।
فَاِنْ اَعْرَضُوْا فَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيْظًا ؕ اِنْ عَلَيْكَ اِلَّا الْبَلٰغُ ؕ وَاِنَّاۤ اِذَاۤ اَذَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنَّا رَحْمَةً فَرِحَ بِهَا ۚ وَاِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌۢ بِمَا قَدَّمَتْ اَيْدِيْهِمْ فَاِنَّ الْاِنْسَانَ كَفُوْرٌ
এর পরেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আমি তো তোমাকে তাদের উপর রক্ষক হিসাবে পাঠাইনি। বাণী পৌঁছে দেওয়া ব্যতীত তোমার উপর কোনো দায়িত্ব নেই। আর নিশ্চয়ই আমি যখন মানুষকে আমার কাছ থেকে অনুগ্রহের স্বাদ আস্বাদন করাই, তখন তা দিয়ে সে খুব আমোদ ফুর্তি করতে লেগে যায়। আর যদি কোনো বিপদ তাদের নিজ হাতের কাজ কর্মের কারণে তাদের উপর পৌঁছে, তখন নিশ্চয়ই মানুষ অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়।
لِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ ؕ يَهَبُ لِمَنْ يَّشَآءُ اِنَاثًا وَّيَهَبُ لِمَنْ يَّشَآءُ الذُّكُوْرَ ۙ
আকাশের ও পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহরই জন্যে। তিনি নিজ খুশীমতো সৃষ্টি করেন। যাকে খুশী কন্যা দান করেন, আবার যাকে খুশী পুত্র সন্তান দান করেন।
اَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَّاِنَاثًا ۚ وَيَجْعَلُ مَنْ يَّشَآءُ عَقِيْمًا ؕ اِنَّهٗ عَلِيْمٌ قَدِيْرٌ
অথবা তাদের জন্যে ছেলে ও মেয়ে উভয়ই দেন। আর যাকে খুশী বন্ধ্যা অবস্থায় রেখে দেন। নিশ্চয় তিনি মহাজ্ঞানী ও বিপুল শক্তির অধিকারী।
وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ اَنْ يُّكَلِّمَهُ اللّٰهُ اِلَّا وَحْيًا اَوْ مِنْ وَّرَآئِ حِجَابٍ اَوْ يُرْسِلَ رَسُوْلًا فَيُوْحِيَ بِاِذْنِهٖ مَا يَشَآءُ ؕ اِنَّهٗ عَلِيٌّ حَكِيْمٌ
আর কোনো মানুষের জন্যে এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে সরাসরি নিজে কথা বলবেন। তবে ওহীর মাধ্যম ছাড়া কিংবা পর্দার আড়াল থেকে অথবা কোনো রাসূল পাঠিয়ে। অতঃপর (রাসূল) তাঁর অনুমতিক্রমে তাই ওহী করেন তিনি যা চান। নিশ্চয় তিনি হলেন সুমহান মর্যাদাসম্পন্ন ও মহা-বৈজ্ঞানিক।
وَكَذٰلِكَ اَوْحَيْنَاۤ اِلَيْكَ رُوْحًا مِّنْ اَمْرِنَا ؕ مَا كُنْتَ تَدْرِيْ مَا الْكِتٰبُ وَلَا الْاِيْمَانُ وَلٰكِنْ جَعَلْنٰهُ نُوْرًا نَّهْدِيْ بِهٖ مَنْ نَّشَآءُ مِنْ عِبَادِنَا ؕ وَاِنَّكَ لَتَهْدِيْۤ اِلٰي صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ ۙ
এভাবেই আমি তোমার প্রতি আমার নির্দেশ থেকে ‘রূহ’কে ওহী যোগে পাঠিয়েছি। তুমি জানতে না কিতাব কী এবং ঈমান কী? কিন্তু আমি একে আলো বানিয়েছি, এ দিয়ে আমি আমার দাসদের মধ্য হতে যে কেউ চায় পথ দেখিয়ে দিই। আর অবশ্যই তুমি সুপ্রতিষ্ঠিত পথ দেখিয়ে যাচ্ছো।
صِرَاطِ اللّٰهِ الَّذِيْ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ؕ اَلَاۤ اِلَي اللّٰهِ تَصِيْرُ الْاُمُوْرُ
সেই আল্লাহর পথ, যার জন্যে আকাশ ও পৃথিবীর সব কিছুই। জেনে রাখবে, আল্লাহর দিকে সকল বিষয় ফিরে যায়।