সূরা : সূরা আত তাহরীম

يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَاۤ اَحَلَّ اللّٰهُ لَكَ ۚ تَبْتَغِيْ مَرْضَاتَ اَزْوَاجِكَ ؕ وَاللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

হে নবী ! তুমি কেন হারাম ঘোষণা করছো? যা আল্লাহ তোমার জন্যে হালাল করে দিয়েছেন, তুমি কি তোমার সাথীদের সন্তুষ্টি চাও! আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, মেহেরবান।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

قَدْ فَرَضَ اللّٰهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ اَيْمَانِكُمْ ۚ وَاللّٰهُ مَوْلٰىكُمْ ۚ وَهُوَ الْعَلِيْمُ الْحَكِيْمُ

নিশ্চিয় আল্লাহ তোমাদের জন্যে তোমাদের শপথগুলোর মুক্তির ব্যবস্থা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। আল্লাহই তোমাদের অভিভাবক। আর তিনি‌ই মহাজ্ঞানী, মহা-বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

وَاِذْ اَسَرَّ النَّبِيُّ اِلٰي بَعْضِ اَزْوَاجِهٖ حَدِيْثًا ۚ فَلَمَّا نَبَّاَتْ بِهٖ وَاَظْهَرَهُ اللّٰهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَهٗ وَاَعْرَضَ عَنْۢ بَعْضٍ ۚ فَلَمَّا نَبَّاَهَا بِهٖ قَالَتْ مَنْ اَنْۢبَاَكَ هٰذَا ؕ قَالَ نَبَّاَنِيَ الْعَلِيْمُ الْخَبِيْرُ

নবী যখন তার কোনো সাথীর সাথে গোপনে একটি কথা বলে, অতঃপর সে কথাটি যখন সে অন্যকে বলে দেয়। তখন আল্লাহ তার নিকট সেই সম্পর্কে প্রকাশ করে দেন। তখন নবী সে কথার কিছুটা অংশ ব্যক্ত করে, আর কিছুটা এড়িয়ে যায়। অতঃপর নবী যখন সেই সাথীকে সে কথা বলে, তখন সেই সাথী বলে, এ খবর আপনাকে কে দিয়েছে ? নবী বলে, মহাজ্ঞানী খবরদাতা আমাকে খবর দিয়েছেন

*66(3) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(14),7(201),47(30)...।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

اِنْ تَتُوْبَاۤ اِلَي اللّٰهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوْبُكُمَا ۚ وَاِنْ تَظٰهَرَا عَلَيْهِ فَاِنَّ اللّٰهَ هُوَ مَوْلٰىهُ وَجِبْرِيْلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِيْنَ ۚ وَالْمَلٰٓئِكَةُ بَعْدَ ذٰلِكَ ظَهِيْرٌ

যদি তোমরা দু'জনে তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, সেটাই ভালো হবে। কেনোনা, নিশ্চয়ই তোমাদের দু'জনের অন্তর বাঁকা হয়ে গেছে। আর তোমরা দু'জন যদি তার বিরুদ্ধে পরস্পরকে সাহায্য করতে লেগে যাও, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহই তার বন্ধু, আর জিবরীল এবং সংশোধনকারী মুমিনরাও। এছাড়া শক্তিধর মালা-ইকারাও সাহায্যকারী হিসেবে রয়েছে।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

عَسٰي رَبُّهٗۤ اِنْ طَلَّقَكُنَّ اَنْ يُّبْدِلَهٗۤ اَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنْكُنَّ مُسْلِمٰتٍ مُّؤْمِنٰتٍ قٰنِتٰتٍ تٰٓئِبٰتٍ عٰبِدٰتٍ سٰٓئِحٰتٍ ثَيِّبٰتٍ وَّاَبْكَارًا

সে যদি তোমাদেরকে বিচ্ছেদের মাধ্যমে পরিত্যাগ করে, তাহলে তার প্রতিপালক শীঘ্রই তোমাদের বদলে এমন সাথীদেরকে দান করবেন, যারা তোমাদের চেয়েও উত্তম আত্মসমর্পণকারিণী, মুমিনা, আনুগত্যশীলা, তাওবাকারিনী, দাসত্বকারিনী, সিরাম পালনকারী, বিধবা আর কুমারী হবে।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَاَهْلِيْكُمْ نَارًا وَّقُوْدُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلٰٓئِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا يَعْصُوْنَ اللّٰهَ مَاۤ اَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ

ওহে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা তোমাদের নিজেদের ও তোমাদের পরিবারবর্গকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর। যেখানে নির্দয় ও কঠোর শক্তিধর মালা-ইকারা রয়েছে। তারা আল্লাহর কোনো নির্দেশের অমান্য করে না, আর তারা তা-ই পালন করে, তাদেরকে যা নির্দেশ দেয়া হয়।

*66(6) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 11(46)...।


সূরা : সূরা আত তাহরীম

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَا تَعْتَذِرُوا الْيَوْمَ ؕ اِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ

ওহে যারা কুফুরী করেছ ! আজকে তোমরা কোনো ওজর পেশ করো না। প্রকৃতপক্ষে তোমাদেরকে তারই প্রতিফল দেয়া হবে, যে সব কাজকর্ম তোমরা করেছো।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا تُوْبُوْۤا اِلَي اللّٰهِ تَوْبَةً نَّصُوْحًا ؕ عَسٰي رَبُّكُمْ اَنْ يُّكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّاٰتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ ۙ يَوْمَ لَا يُخْزِي اللّٰهُ النَّبِيَّ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ ۚ نُوْرُهُمْ يَسْعٰي بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَبِاَيْمَانِهِمْ يَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَاغْفِرْ لَنَا ۚ اِنَّكَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

ওহে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর, খাঁটি তাওবা; আশা করা যায় তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের দোষগুলো মোচন করে দিবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশ থেকে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে, সেদিন আল্লাহ নবীকে আর তার সাথে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন না। তাদের আলো তাদের দুই হাতের সামনে এবং ডানে-বামে দৌড়াতে থাকবে, তখন তারা এভাবে বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের জন্য আমাদের এই আলো পূর্ণ করে দিন , আর আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

يٰۤاَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنٰفِقِيْنَ وَاغْلُظْ عَلَيْهِمْ ؕ وَمَاْوٰىهُمْ جَهَنَّمُ ؕ وَبِئْسَ الْمَصِيْرُ

হে নবী ! তুমি অবিশ্বাসী ও কপট লোকদের বিরুদ্ধে উৎকৃষ্টতমকর্ম করো, তাদের প্রতি কঠোর হও। আসলে তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। আর তা কতো নিকৃষ্ট ঠিকানা।

*66(9)নং আয়াতে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ তথা  উৎকৃষ্টতমকর্ম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,

অর্থাৎ যেখানে কাফিররা মন্দকর্ম /মন্দ কথা প্রকাশ প্রচার করবে। ঠিক সেখানেই মুমিনরা আল-কোরআনের সাহায্যে ভালো কাজকর্ম প্রকাশ/প্রচার করবে। এব্যাপারে কোরআনের, 25(52),28(54),41(34), 22(41),29(45), 48(29)...।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

ضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوا امْرَاَتَ نُوْحٍ وَّامْرَاَتَ لُوْطٍ ؕ كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ فَخَانَتٰهُمَا فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللّٰهِ شَيْئًا وَّقِيْلَ ادْخُلَا النَّارَ مَعَ الدّٰخِلِيْنَ

যারা কুফুরী করে, আল্লাহ তাদের জন্য নূহ এবং লূতের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। তারা দু'জনই আমার দু'জন সংশোধনকারী দাসের অধীনে ছিল। কিন্তু তারা দু'জনই তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। আসলে আল্লাহর মোকাবিলায় তারা দু'জন তাদের কোনো কাজেই আসল না। বলা হয় ! তোমরা দু'জনেই আগুনে প্রবেশকারীদের সাথে প্রবেশ কর।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

وَضَرَبَ اللّٰهُ مَثَلًا لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوا امْرَاَتَ فِرْعَوْنَ ۘ اِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِيْ عِنْدَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِيْ مِنْ فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهٖ وَنَجِّنِيْ مِنَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِيْنَ ۙ

আর মুমিনদের জন্যে দৃষ্টান্ত হিসেবে ফিরআউনের স্ত্রীর উদাহরণ পেশ করেন। সে যখন বলে, হে আমার প্রতিপালক ! আমার জন্যে আপনার কাছে জান্নাতের মধ্যে একটি ঘর বানিয়ে দিন। আর ফিরআউন ও তার কাজকর্মের দায় থেকে আমাকে উদ্ধার করুন। আর আমাকে উদ্ধার করুন যালিম লোকদের হতে।

সূরা : সূরা আত তাহরীম

وَمَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرٰنَ الَّتِيْۤ اَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيْهِ مِنْ رُّوْحِنَا وَصَدَّقَتْ بِكَلِمٰتِ رَبِّهَا وَكُتُبِهٖ وَكَانَتْ مِنَ الْقٰنِتِيْنَ

ইমরানের কন্যা মারইয়াম, সে তার নিজের লজ্জাস্থানের পবিত্রতা রক্ষা করে। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ হতে রূহ প্রবেশ করে দেই। আর সে তার প্রতিপালকের বাক্যগুলো আর (114 টি লিখিত) অধ্যায়গুলোর সত্যতা স্বীকার করে। আর সে হয় অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।*

*66(12)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(119),2(85)...।