সূরা : সুরা আন্আ'ম

ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَجَعَلَ ٱلظُّلُمَٰتِ وَٱلنُّورَۖ ثُمَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِرَبِّهِمْ يَعْدِلُونَ

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যেই যিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশসমূহ ও পৃথিবী এবং বানিয়েছেন অন্ধকার ও আলো। এরপরও যারা তাদের প্রতিপালকের প্রতি অবিস্বাস করে, তারা তাঁর সমকক্ষ অন্যান্যদেরকে দাড় করায় !

সূরা : সুরা আন্আ'ম

هُوَ ٱلَّذِى خَلَقَكُم مِّن طِينٍ ثُمَّ قَضَىٰٓ أَجَلًاۖ وَأَجَلٌ مُّسَمًّى عِندَهُۥۖ ثُمَّ أَنتُمْ تَمْتَرُونَ


তিনিই আল্লাহ, যিনি তোমাদেরকে মাটি হতে সৃষ্টি করেছেন, এরপর একটি মেয়াদ (জীবন কাল) নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এবং (এছাড়াও) একটি মেয়াদ তাঁর কাছে নির্ধারিত আছে। এরপরও তোমরা সন্দেহ করছ !

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱللَّهُ فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَفِى ٱلْأَرْضِۖ يَعْلَمُ سِرَّكُمْ وَجَهْرَكُمْ وَيَعْلَمُ مَا تَكْسِبُونَ


আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মধ্যে তিনিই আল্লাহ। তিনিই তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য সব বিষয়ে জানেন। আর তোমরা যা কিছু অর্জন করছ তাও জানেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمَا تَأْتِيهِم مِّنْ ءَايَةٍ مِّنْ ءَايَٰتِ رَبِّهِمْ إِلَّا كَانُوا۟ عَنْهَا مُعْرِضِينَ



আর মানুষের কাছে তাদের প্রতিপালকের আয়াতগুলোর মধ্য হতে কোন আয়াত আসলেই, তারা তা হতে বিমুখ হয়ে চলে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَقَدْ كَذَّبُوا۟ بِٱلْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْۖ فَسَوْفَ يَأْتِيهِمْ أَنۢبَٰٓؤُا۟ مَا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ


সুতরাং নিশ্চয়ই তারা সত্যের (কোরআনের) প্রতি মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, যখনই তা তাদের কাছে আসে।  সুতরাং যে সব সংবাদ নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রুপ করে, শীঘ্রই সে সব তাদের কাছে আসবে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

أَلَمْ يَرَوْا۟ كَمْ أَهْلَكْنَا مِن قَبْلِهِم مِّن قَرْنٍ مَّكَّنَّٰهُمْ فِى ٱلْأَرْضِ مَا لَمْ نُمَكِّن لَّكُمْ وَأَرْسَلْنَا ٱلسَّمَآءَ عَلَيْهِم مِّدْرَارًا وَجَعَلْنَا ٱلْأَنْهَٰرَ تَجْرِى مِن تَحْتِهِمْ فَأَهْلَكْنَٰهُم بِذُنُوبِهِمْ وَأَنشَأْنَا مِنۢ بَعْدِهِمْ قَرْنًا ءَاخَرِينَ

তারা কি দেখে না ? তাদের পূর্বের শতাব্দীতে কত মানব-গোষ্ঠিকে আমি ধ্বংস করেছি। যাদেরকে এই পৃথিবীর মধ্যে এতখানি মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, যতখানি সমৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠা তোমাদেরকেও দান করিনি। তাদের উপরে আকাশ থেকে ক্রমাগত বৃষ্টি ধারা ঝরিয়েছি। তাদের নীচ থেকে নদীসমূহ প্রবাহিত করেছি। অতঃপর আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি তাদেরই পাপ কর্মের কারণে এবং তাদের পরের শতাব্দীতে অন্যান্য জাতিকে সৃষ্টি করেছি।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَوْ نَزَّلْنَا عَلَيْكَ كِتَٰبًا فِى قِرْطَاسٍ فَلَمَسُوهُ بِأَيْدِيهِمْ لَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ هَٰذَآ إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ

আর যদি আমি তোমার কাছে কাগজে লিখিত কিতাব অবতীর্ণ করি, অতঃপর তারা যদি সেই লিখিত কেতাব হাতে ছুঁয়েও নেয়, তবুও কাফিররা বলবে, এটা সুস্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছু নয়।*

6(7),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 17(92-94),4(153)...।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَقَالُوا۟ لَوْلَآ أُنزِلَ عَلَيْهِ مَلَكٌۖ وَلَوْ أَنزَلْنَا مَلَكًا لَّقُضِىَ ٱلْأَمْرُ ثُمَّ لَا يُنظَرُونَ

আর মানুষেরা এ কথাও বলে যে, তার কাছে বিশেষ সর্দার (মালাকুন) কেন অবতীর্ণ হয় না ? যদি তার কাছে চুড়ান্ত শক্তি (মালাকান) অবতীর্ণ করতাম, তাহলে সব বিষয়েই মীমাংসা হয়ে যেত। এরপর তাদেরকে মোটেই অবকাশ দেয়া হতো না।*

*6(8) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 23(23,24,33-35)...।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَوْ جَعَلْنَٰهُ مَلَكًا لَّجَعَلْنَٰهُ رَجُلًا وَلَلَبَسْنَا عَلَيْهِم مَّا يَلْبِسُونَ


আর যদি কোনো শক্তিকে (মালাকান) পাঠাতাম, তাহলে তাকে মানুষের আকার আকৃতি দান করতাম। আর তখনও তারা ঠিক এখনকার মতই সন্দেহ পোষন করত।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَقَدِ ٱسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّن قَبْلِكَ فَحَاقَ بِٱلَّذِينَ سَخِرُوا۟ مِنْهُم مَّا كَانُوا۟ بِهِۦ يَسْتَهْزِءُونَ


তোমার পূর্বেও তো রাসূলদের সাথে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা হয়েছে। তারা যা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করেছে তাদেরকে এই উপহাসের শাস্তি এসে ঘিরেও ধরেছে !

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ سِيرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ ثُمَّ ٱنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلْمُكَذِّبِينَ


তুমি বলে দাও, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, এরপর তোমরা দেখ, মিথ্যাবাদীদের পরিণাম কেমন হয়েছে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُل لِّمَن مَّا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۖ قُل لِّلَّهِۚ كَتَبَ عَلَىٰ نَفْسِهِ ٱلرَّحْمَةَۚ لَيَجْمَعَنَّكُمْ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِ لَا رَيْبَ فِيهِۚ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ



তুমি জিজ্ঞাসা কর, আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সে সব কার জন্য ? তুমি বলে দাও, আল্লাহর জন্যেই। তিনি তাঁর নিজের উপর দয়া করার দায়িত্ব লিখে নিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে কিয়ামতের দিন একত্র করবেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই। যারা তাদের নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে তারা ঈমান আনবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَهُۥ مَا سَكَنَ فِى ٱلَّيْلِ وَٱلنَّهَارِۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ


আর তাঁরই জন্যে যাকিছু রাতে ও দিনে তাতে বসবাস করে থাকে। তিনি সবকিছু শুনেন ও সবকিছু জানেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ أَغَيْرَ ٱللَّهِ أَتَّخِذُ وَلِيًّا فَاطِرِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَهُوَ يُطْعِمُ وَلَا يُطْعَمُۗ قُلْ إِنِّىٓ أُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ أَوَّلَ مَنْ أَسْلَمَۖ وَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ


তুমি বলে দাও, আমি কি আকাশসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে অলি হিসাবে গ্রহণ করবো? তিনিই খাবার খাওয়ান, কিন্তু তাকে খাবার দেয়া হয় না। তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই আমাকে এই আদেশ দেয়া হয়েছে যে, যারা আত্মসমর্পণ করেছেন আমি যেনো তাদের প্রথম হই। আর তুমি কিছুতেই মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ إِنِّىٓ أَخَافُ إِنْ عَصَيْتُ رَبِّى عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ


তুমি বলে দাও, আমি যদি আমার প্রতিপালকের অবাধ্য হই, তবে নিশ্চয়ই আমি ভয় করি সেই ভয়াবহ দিনের শাস্তিকে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

مَّن يُصْرَفْ عَنْهُ يَوْمَئِذٍ فَقَدْ رَحِمَهُۥۚ وَذَٰلِكَ ٱلْفَوْزُ ٱلْمُبِينُ


সেদিন শাস্তি থেকে যাকে বাঁচানো হবে, তার উপরেই তো দয়া করা হবে। আর এটাই সুস্পষ্ট সফলতা।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَإِن يَمْسَسْكَ ٱللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُۥٓ إِلَّا هُوَۖ وَإِن يَمْسَسْكَ بِخَيْرٍ فَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

আল্লাহ যদি তোমাকে কোনও রকম অনিষ্ট দিয়ে স্পর্শ করেন, তবে তা দূর করার মত কেউ নেই, একমাত্র তিনি ছাড়া। আর যদি তোমাকে কল্যাণ দিয়ে স্পর্শ করেন, তবে তিনিই তো সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱلْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهِۦۚ وَهُوَ ٱلْحَكِيمُ ٱلْخَبِيرُ


আর তিনিই তো তাঁর দাসদের উপর পরাক্রমশালী। আর তিনি মহা বৈজ্ঞানিক এবং সব কিছুর পূর্ণ খরর রাখেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ أَىُّ شَىْءٍ أَكْبَرُ شَهَٰدَةًۖ قُلِ ٱللَّهُۖ شَهِيدٌۢ بَيْنِى وَبَيْنَكُمْۚ وَأُوحِىَ إِلَىَّ هَٰذَا ٱلْقُرْءَانُ لِأُنذِرَكُم بِهِۦ وَمَنۢ بَلَغَۚ أَئِنَّكُمْ لَتَشْهَدُونَ أَنَّ مَعَ ٱللَّهِ ءَالِهَةً أُخْرَىٰۚ قُل لَّآ أَشْهَدُۚ قُلْ إِنَّمَا هُوَ إِلَٰهٌ وَٰحِدٌ وَإِنَّنِى بَرِىٓءٌ مِّمَّا تُشْرِكُونَ


তুমি বলে দাও, সাক্ষ্য দাতা হিসেবে গুরুত্ব সবচেয়ে কার বেশি ? বলো, আল্লাহ হলেন আমার ও তোমাদের মাঝে একমাত্র সাক্ষী। আর এই কোরআন আমার কাছে ওহী করা হয়। যেন আমি এই কোরআনের সাহায্যে তোমাদেরকে আর যার কাছে পৌঁছানো যায়, তাকে সতর্ক করি। তাহলে তোমরা কি এ কথার সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আল্লাহর  সাথে আরও অন্যান্য আইনদাতা রয়েছে ? তুমি বলে দাও, আমি তো তেমন সাক্ষ্য মোটেই দিচ্ছি না। তুমি বলে দাও, প্রকৃতপক্ষে তিনিই হলেন একক আইনদাতা। আর নিশ্চয়ই আমি তা হ'তে দায়িত্বমুক্ত তোমরা যা শরীক করছো।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَٰهُمُ ٱلْكِتَٰبَ يَعْرِفُونَهُۥ كَمَا يَعْرِفُونَ أَبْنَآءَهُمُۘ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ

যাদেরকে আল কিতাব দান করেছি, তারা তাকে চিনে, ঠিক যেমন নিজেদের সন্তানদেরকে তারা চিনে। যারা নিজেদের ব্যক্তিত্বকে ক্ষতিগ্রস্থ করে রেখেছে, তারা কখনো ঈমান আনবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِـَٔايَٰتِهِۦٓۗ إِنَّهُۥ لَا يُفْلِحُ ٱلظَّٰلِمُونَ

তার চেয়ে অধিক সীমালঙ্ঘনকারী আর কেই বা হতে পারে ? যে আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করে, অথবা তাঁর আয়াতসমূহের প্রতি মিথ্যারোপ করে। নিশ্চয়ই তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের সফলকাম হতে দিবেন না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَيَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا ثُمَّ نَقُولُ لِلَّذِينَ أَشْرَكُوٓا۟ أَيْنَ شُرَكَآؤُكُمُ ٱلَّذِينَ كُنتُمْ تَزْعُمُونَ


আমি যে দিন সবাইকে একত্রিত করব, এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসা করব যারা অংশীবাদী মুশরিক ছিল, কোথায় তোমাদের সেই শরীক দল ? যাদেরকে নিয়ে তোমরা জোর দাবী করতে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ثُمَّ لَمْ تَكُن فِتْنَتُهُمْ إِلَّآ أَن قَالُوا۟ وَٱللَّهِ رَبِّنَا مَا كُنَّا مُشْرِكِينَ

এরপরে (ফিৎনা কারীরা) কৈফিয়ৎ দেওয়ার মতো তাদের কাছে কিছুই যে থাকবে না। তারা শুধু এ কথাই বলবে, আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি, আল্লাহ হলেন আমাদের প্রতিপালক ! আমরা তো কাউকে শরীক করিনি।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ٱنظُرْ كَيْفَ كَذَبُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْۚ وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَفْتَرُونَ


দেখো তো ! কিভাবে তারা তাদের নিজেদের উপরে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, যা কিছু তারা রচনা করতো তা থেকে তারা সরে যাচ্ছে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمِنْهُم مَّن يَسْتَمِعُ إِلَيْكَۖ وَجَعَلْنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ أَكِنَّةً أَن يَفْقَهُوهُ وَفِىٓ ءَاذَانِهِمْ وَقْرًاۚ وَإِن يَرَوْا۟ كُلَّ ءَايَةٍ لَّا يُؤْمِنُوا۟ بِهَاۚ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُوكَ يُجَٰدِلُونَكَ يَقُولُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِنْ هَٰذَآ إِلَّآ أَسَٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ

তাদের মধ্যে হতে কেউ কেউ তোমার দিকে কান পেতে রাখে। অথচ আমি তো তাদের অন্তরসমূহের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি, তারা যেন বুঝতেই না পারে। আর তাদের কানগুলো মধ্যে বধিরতা দিয়ে রেখেছি। তারা যদি সব আয়াতের নিদর্শন দেখেও নেয়, তবুও তারা তার প্রতি ঈমান আনবে না। এমনকি তারা যখন তোমার কাছে আসে তখন তারা বিতর্ক করে আর কাফিররা বলে, এটা পূর্ববর্তী লোকদের উপকথাসমূহ ছাড়া অন্য কিছুই নয় ।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُمْ يَنْهَوْنَ عَنْهُ وَيَنْـَٔوْنَ عَنْهُۖ وَإِن يُهْلِكُونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ


তারা লোকজনকে এ( কোরআন) থেকে দুরেই রাখে, আর নিজেরাও সরে থাকে। এভাবে তারা তাদের নিজেদের ধ্বংস তো নিজেরাই করেছে, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَوْ تَرَىٰٓ إِذْ وُقِفُوا۟ عَلَى ٱلنَّارِ فَقَالُوا۟ يَٰلَيْتَنَا نُرَدُّ وَلَا نُكَذِّبَ بِـَٔايَٰتِ رَبِّنَا وَنَكُونَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ

তুমি যদি তাদেরকে দেখ, যখন তাদেরকে (দোজখের) আগুনের কাছে দাঁড় করান হবে, তখন তারা বলবে, হায় ! আমাদেরকে আবার যদি (দুনিয়াতে) ফেরৎ পাঠানো হতো, তাহলে আর আমাদের প্রতিপালকের আয়াতগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করবো না। আর আমরা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত থাকবো।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

بَلْ بَدَا لَهُم مَّا كَانُوا۟ يُخْفُونَ مِن قَبْلُۖ وَلَوْ رُدُّوا۟ لَعَادُوا۟ لِمَا نُهُوا۟ عَنْهُ وَإِنَّهُمْ لَكَٰذِبُونَ

বরং তারা এর পূর্বে যা কিছু গোপন করেছিলো, আজকে তা তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে গেল। আবার যদি তাদেরকে ফেরৎ পাঠানো হয়, তাহলে আবার তারা সেসব কাজই শুরু করবে, যা তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَقَالُوٓا۟ إِنْ هِىَ إِلَّا حَيَاتُنَا ٱلدُّنْيَا وَمَا نَحْنُ بِمَبْعُوثِينَ


তারা (নাস্তিকরা) বলে, আমাদের এই পার্থিব জীবন ছাড়া আর তো কিছুই নেই। আমরা তো আর কখনো পুনরুত্থিত্ব হবো না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَوْ تَرَىٰٓ إِذْ وُقِفُوا۟ عَلَىٰ رَبِّهِمْۚ قَالَ أَلَيْسَ هَٰذَا بِٱلْحَقِّۚ قَالُوا۟ بَلَىٰ وَرَبِّنَاۚ قَالَ فَذُوقُوا۟ ٱلْعَذَابَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ

তাদেরকে যখন তাদের প্রতিপালকের নিকট দাঁড় করানো হবে, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করবেন, এ (উত্থান) কি সত্য নয় ? তারা বলবে হ্যাঁ সত্য, আমাদের প্রতিপালকের শপথ! তিনি বলবেন, তাহলে এখন তার শাস্তি ভোগ কর যা তোমরা অবিশ্বাস করতে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قَدْ خَسِرَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِلِقَآءِ ٱللَّهِۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَتْهُمُ ٱلسَّاعَةُ بَغْتَةً قَالُوا۟ يَٰحَسْرَتَنَا عَلَىٰ مَا فَرَّطْنَا فِيهَا وَهُمْ يَحْمِلُونَ أَوْزَارَهُمْ عَلَىٰ ظُهُورِهِمْۚ أَلَا سَآءَ مَا يَزِرُونَ


নিশ্চয়ই তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে, যারা আল্লাহর সাক্ষাতের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে। এমন কি যখন হঠাৎ তাদের কাছে বিশেষ সময় এসে যাবে, তখন তারা বলবে, হায় আফসোস ! এর উপর যা আমরা অবজ্ঞা করেছি। তারা তাদের বোঝাসমূহ নিজেদের পিঠেই বহন করবে। সতর্ক হও! তারা যা বহন করবে তা কতো নিকৃষ্ট!

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمَا ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَآ إِلَّا لَعِبٌ وَلَهْوٌۖ وَلَلدَّارُ ٱلْءَاخِرَةُ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ يَتَّقُونَۗ أَفَلَا تَعْقِلُونَ


(কিছু মানুষ বলে) পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক ছাড়া কিছু নয়। আসলে পরকালের ঘর তাদের জন্যই উত্তম, যারা আত্মরক্ষা রক্ষা করে চলে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না ?

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قَدْ نَعْلَمُ إِنَّهُۥ لَيَحْزُنُكَ ٱلَّذِى يَقُولُونَۖ فَإِنَّهُمْ لَا يُكَذِّبُونَكَ وَلَٰكِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ يَجْحَدُونَ


নিশ্চয়ই আমি জানি যে, তারা যা বলে তা অবশ্যই তোমাকে দূঃখ দেয়। তবে নিশ্চয়ই তারা তোমাকে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারবে না। কিন্তু সীমালঙ্ঘনকারীরা আল্লাহর আয়াত সমূহকে নিয়ে বিতর্ক করে থাকে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِّن قَبْلِكَ فَصَبَرُوا۟ عَلَىٰ مَا كُذِّبُوا۟ وَأُوذُوا۟ حَتَّىٰٓ أَتَىٰهُمْ نَصْرُنَاۚ وَلَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَٰتِ ٱللَّهِۚ وَلَقَدْ جَآءَكَ مِن نَّبَإِى۟ ٱلْمُرْسَلِينَ


আর নিশ্চয়ই তোমার পূর্বেও রাসূলদেরকে মিথ্যারোপ করা হয়েছে, তবে তারা তাদেরকে অস্বীকার করা ও কষ্ট দেয়ার ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ করেছে, যতক্ষণ না আমার সাহায্য তাদের কাছে এসেছে। আর আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই এবং নিশ্চয়ই তোমার কাছে কিছু রাসূলদের খবর এসেছে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَإِن كَانَ كَبُرَ عَلَيْكَ إِعْرَاضُهُمْ فَإِنِ ٱسْتَطَعْتَ أَن تَبْتَغِىَ نَفَقًا فِى ٱلْأَرْضِ أَوْ سُلَّمًا فِى ٱلسَّمَآءِ فَتَأْتِيَهُم بِـَٔايَةٍۚ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَمَعَهُمْ عَلَى ٱلْهُدَىٰۚ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلْجَٰهِلِينَ


আর যদি তাদের উপেক্ষা করা তোমার কাছে কষ্টকর মনে হয়, তবে শক্তি থাকে তো মাটিতে সুড়ংগ খুঁড়ে নাও কিংবা সিঁড়ি বেয়ে আসমানে উঠে যেয়ে ওদের জন্য কোনও বিশেষ নিদর্শন নিয়ে এসো। আল্লাহ যদি চাইতেন, তাহলে সঠিক পথের উপর তাদের সবাইকে একত্রিত করতেন। সুতরাং তুমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

إِنَّمَا يَسْتَجِيبُ ٱلَّذِينَ يَسْمَعُونَۘ وَٱلْمَوْتَىٰ يَبْعَثُهُمُ ٱللَّهُ ثُمَّ إِلَيْهِ يُرْجَعُونَ


প্রকৃতপক্ষে তারাই সাড়া দেয়, যারা (প্রতিপালকের কথা) শুনে। আর মৃতদেরকে তো আল্লাহই জীবিত করবেন, এরপর তাঁরই দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَقَالُوا۟ لَوْلَا نُزِّلَ عَلَيْهِ ءَايَةٌ مِّن رَّبِّهِۦۚ قُلْ إِنَّ ٱللَّهَ قَادِرٌ عَلَىٰٓ أَن يُنَزِّلَ ءَايَةً وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

আর মানুষেরা বলছে, কেন তার উপর তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কোনও আয়াত অবতীর্ণ করা হয় না ? তুমি বলে দাও ! আয়াত পাঠানোর মত শক্তি কেবল মাত্র আল্লাহই রাখেন। কিন্তু মানুষের মধ্যে অধিকাংশরাই কিছুই জানে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمَا مِن دَآبَّةٍ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَا طَٰٓئِرٍ يَطِيرُ بِجَنَاحَيْهِ إِلَّآ أُمَمٌ أَمْثَالُكُمۚ مَّا فَرَّطْنَا فِى ٱلْكِتَٰبِ مِن شَىْءٍۚ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّهِمْ يُحْشَرُونَ


আর পৃথিবীতে যত প্রাণী রয়েছে এবং যে সব পাখী দুটো পাখায় ভর করে উড়ছে, সে সবের মধ্যে এমন কিছুই নেই, তোমাদের মত যাদের একটি জাতি (প্রজাতি) নেই। আল কিতাবের মধ্যে (মানব দরকারী) কোনও জিনিসের বিবরণ বাদ পড়েনি। এরপর তাদেরকে অবশ্যই তাদের প্রতিপালকের কাছে একত্র করা হবে। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا صُمٌّ وَبُكْمٌ فِى ٱلظُّلُمَٰتِۗ مَن يَشَإِ ٱللَّهُ يُضْلِلْهُ وَمَن يَشَأْ يَجْعَلْهُ عَلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ


যারা আমার আয়াতগুলোর প্রতি মমিথ্যারোপ করবে, তারা তো বধির ও বোবা। তারা অন্ধকারের মধ্যেই রয়েছে। যে ব্যক্তির ইচ্ছা আল্লাহ থেকে পথভ্রষ্ট থাকুক, আর যে খুশী সুপ্রতিষ্ঠিত পথে চলুক। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ أَرَءَيْتَكُمْ إِنْ أَتَىٰكُمْ عَذَابُ ٱللَّهِ أَوْ أَتَتْكُمُ ٱلسَّاعَةُ أَغَيْرَ ٱللَّهِ تَدْعُونَ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

তুমি বলো, 'তোমরা কি ভেবে দেখেছো, যদি আল্লাহর শাস্তি তোমাদের কাছে এসে যায়, কিংবা যদি বিশেষ সময় এসে যায়, তাহলে তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ডাকবে নাকি? যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাকো।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

بَلْ إِيَّاهُ تَدْعُونَ فَيَكْشِفُ مَا تَدْعُونَ إِلَيْهِ إِن شَآءَ وَتَنسَوْنَ مَا تُشْرِكُون


َবরং তোমরা তো তাঁকেই ডেকে থাক। অতঃপর তিনি তা দূর করে দেন যে জন্য তোমরা তাঁর কাছে দোয়া করে থাকো, যদি উপযুক্ত হয়, আর যাকে শিরক করে থাকো তখন তোমরা তাকে ভুলে যাও। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَآ إِلَىٰٓ أُمَمٍ مِّن قَبْلِكَ فَأَخَذْنَٰهُم بِٱلْبَأْسَآءِ وَٱلضَّرَّآءِ لَعَلَّهُمْ يَتَضَرَّعُونَ


এবং নিশ্চয়ই আমি তোমার পূর্বেও সকল জাতির কাছে (নবী রাসূলদের মাধ্যমে কোরআনের বার্তা) পাঠিয়েছি। তারপরে তাদেরকে দুঃখ কষ্ট ও বিপর্যয়ের মধ্যে আটক করেছি, যাতে তারা বিনীত হয়।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَلَوْلَآ إِذْ جَآءَهُم بَأْسُنَا تَضَرَّعُوا۟ وَلَٰكِن قَسَتْ قُلُوبُهُمْ وَزَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ


কিন্তু যখন আমার শাস্তি তাদেরকে ঘিরে ধরেছে, তখন তারা কোনো মিনতি জানায় নি। আসলে ওদের অন্তরই যে কঠিন হয়ে পড়েছিল। আর তারা যে কাজই করত, শয়তান সেগুলোকে খুব সুশোভিত করেছিলো।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَلَمَّا نَسُوا۟ مَا ذُكِّرُوا۟ بِهِۦ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ أَبْوَٰبَ كُلِّ شَىْءٍ حَتَّىٰٓ إِذَا فَرِحُوا۟ بِمَآ أُوتُوٓا۟ أَخَذْنَٰهُم بَغْتَةً فَإِذَا هُم مُّبْلِسُونَ


অতঃপর যখন তারা ভুলে যায়, তাদেরকে যা উপদেশ দেয়া হয় এই কোরআনের মাধ্যমে। তখন আমি তাদের উপর সব কিছুর স্বচ্ছলতার দ্বার খুলে দিই। ফলে তারা খুব বেশি উল্লাসিত হয়, আমি যা কিছু তাদেরকে দিয়েছি তা নিয়ে। তারপরে আমি তাদেরকে হঠাৎ পাকড়াও করি। ফলে তখন তারা নিরাশ হয়ে পড়ে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَقُطِعَ دَابِرُ ٱلْقَوْمِ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ۚ وَٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ


অতঃপর সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়ের মূল কেটে ফেলা হয়। আর (জেনে রাখ) সব প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ أَرَءَيْتُمْ إِنْ أَخَذَ ٱللَّهُ سَمْعَكُمْ وَأَبْصَٰرَكُمْ وَخَتَمَ عَلَىٰ قُلُوبِكُم مَّنْ إِلَٰهٌ غَيْرُ ٱللَّهِ يَأْتِيكُم بِهِۗ ٱنظُرْ كَيْفَ نُصَرِّفُ ٱلْءَايَٰتِ ثُمَّ هُمْ يَصْدِفُونَ


তুমি বলে দাও ! তোমরা কি দেখ না। আল্লাহ যদি তোমাদের শ্রবণ শক্তি ও দৃষ্টি শক্তি নিয়ে যান, আর তোমাদের অন্তরের উপর যদি সীল লাগিয়ে দেন, তাহলে আল্লাহ ছাড়া আর কেই বা এমন শক্তিধর আইনদাতা আছে, যে তোমাদেররকে এ সব ফিরিয়ে দিতে পারবেন ? দেখ তো ! কেমনভাবে আমি আয়াতসমূহ বার বার বর্ণনা করি। এরপরও তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ أَرَءَيْتَكُمْ إِنْ أَتَىٰكُمْ عَذَابُ ٱللَّهِ بَغْتَةً أَوْ جَهْرَةً هَلْ يُهْلَكُ إِلَّا ٱلْقَوْمُ ٱلظَّٰلِمُونَ


তুমি বলে দাও ! তোমরা কি দেখ না। মানুষের উপর যদি আল্লাহর শাস্তি হঠাৎ অথবা প্রকাশ্যে এসে পড়ে, তাহলে সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায় ছাড়া আর কেউ ধ্বংস হবে কি ?

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمَا نُرْسِلُ ٱلْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَۖ فَمَنْ ءَامَنَ وَأَصْلَحَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

আমি তো সকল রাসূলগণকে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি, এ ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য নয়, সুতরাং যে কেউ ঈমান আনবে (কোরআন মতে) এবং সংশোধন করে নিবে তাদের জন্যে কোনো ভয় নেই, তারা দুঃখিত হবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا يَمَسُّهُمُ ٱلْعَذَابُ بِمَا كَانُوا۟ يَفْسُقُونَ


আর যারা আমার আয়াতগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করেছে, তাদেরকে শাস্তি স্পর্শ করবে, এ কারণে যে, তারা অমান্যকারী-ফাসিক।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُل لَّآ أَقُولُ لَكُمْ عِندِى خَزَآئِنُ ٱللَّهِ وَلَآ أَعْلَمُ ٱلْغَيْبَ وَلَآ أَقُولُ لَكُمْ إِنِّى مَلَكٌۖ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰٓ إِلَىَّۚ قُلْ هَلْ يَسْتَوِى ٱلْأَعْمَىٰ وَٱلْبَصِيرُۚ أَفَلَا تَتَفَكَّرُونَ


তুমি ঘোষণা করে দাও! আমি তো আর তোমাদেরকে এ কথা বলছি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডারসমূহ রয়েছে। কিংবা আমি গায়েব কিছু জানি। আর এ কথাও তো বলছি না যে, আমি বিশেষ ক্ষমতার মালিক। আমি শুধু তারই অনুসরণ করছি, যা আমার কাছে (কোরআনের মাধ্যমে) ওহীযোগে পৌঁছে থাকে। তুমি বলে দাও ! অন্ধ আর চক্ষুষ্মান ব্যক্তি কি সমান ? তবে তোমরা কি চিন্তা করবে না ?

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَأَنذِرْ بِهِ ٱلَّذِينَ يَخَافُونَ أَن يُحْشَرُوٓا۟ إِلَىٰ رَبِّهِمْۙ لَيْسَ لَهُم مِّن دُونِهِۦ وَلِىٌّ وَلَا شَفِيعٌ لَّعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

তুমি তাদেরকে এ কোরআন দ্বারা সতর্ক কর, যারা ভয় করে যে, তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদেরকে একত্র করা হবে, (এমতাবস্থায় যে,) তাঁকে ছাড়া তাদের জন্যে কোনো অলি ও সুপারিশকারী থাকবে না, যাতে তারা সতর্কতা অবলম্বন করে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَا تَطْرُدِ ٱلَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِٱلْغَدَوٰةِ وَٱلْعَشِىِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُۥۖ مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِم مِّن شَىْءٍ وَمَا مِنْ حِسَابِكَ عَلَيْهِم مِّن شَىْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَكُونَ مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ


আর তাদেরকে তুমি তাড়িয়ে দিয়ো না, যারা তাদের প্রতিপালককে সকাল ও সন্ধ্যা বেলায় ডেকে থাকে, আর তারা তাঁর সন্তুষ্টি চায়। তোমার উপরে তাদের ব্যাপারে কোনো হিসাব দেয়ার দায়িত্ব নেই, আর তাদেরকেও তো তোমার কোনও ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হবে না। অতঃপর তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দিলে, তবে তুমি সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَذَٰلِكَ فَتَنَّا بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لِّيَقُولُوٓا۟ أَهَٰٓؤُلَآءِ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَيْهِم مِّنۢ بَيْنِنَآۗ أَلَيْسَ ٱللَّهُ بِأَعْلَمَ بِٱلشَّٰكِرِينَ

এবং এইভাবে আমি এক দলকে দিয়ে আরেক দলকে পরীক্ষা করি। তারা বলে, এরাই কি সেই দল ? তোমাদের মধ্য হতে আল্লাহ যাদের উপরে অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহ কি কৃতজ্ঞ লোকদের ভালো করে জানেন না ?

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَإِذَا جَآءَكَ ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِـَٔايَٰتِنَا فَقُلْ سَلَٰمٌ عَلَيْكُمْۖ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَىٰ نَفْسِهِ ٱلرَّحْمَةَۖ أَنَّهُۥ مَنْ عَمِلَ مِنكُمْ سُوٓءًۢا بِجَهَٰلَةٍ ثُمَّ تَابَ مِنۢ بَعْدِهِۦ وَأَصْلَحَ فَأَنَّهُۥ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


এবং তোমার কাছে যখন তারা আসবে, যারা আমার আয়াতসমূহের উপর আনে, তখন বলবে, সালামুন আলাইকুম (তোমাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক)। তোমাদের প্রতিপালক তাঁর নিজের উপর দয়া করার দায়িত্ব লিখে নিয়েছেন। তোমাদের মধ্যে থেকে কেউ যদি অজ্ঞতার কারণে মন্দ কাজ করে বসে, এরপর যদি সে তাওবা করে ফিরে আসে ও তারপর সংশোধিত হয়, তবে বাস্তবিকই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلْءَايَٰتِ وَلِتَسْتَبِينَ سَبِيلُ ٱلْمُجْرِمِينَ


আর এভাবেই তো আমি আমার আয়াতগুলোকে বিস্তারিত বর্ণনা করি, যেন অপরাধীদের পথ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ হয়।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ إِنِّى نُهِيتُ أَنْ أَعْبُدَ ٱلَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِۚ قُل لَّآ أَتَّبِعُ أَهْوَآءَكُمْۙ قَدْ ضَلَلْتُ إِذًا وَمَآ أَنَا۠ مِنَ ٱلْمُهْتَدِينَ


তুমি বলে দাও ! নিশ্চয়ই আমি আমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণের উপরেই প্রতিষ্ঠিত রয়েছি। অথচ তোমরা তাঁর প্রতি মিথ্যারোপ করে যাচ্ছো। তোমরা যে বিষয় শীঘ্র চাচ্ছ, তা আমার কাছে নেই। আল্লাহ ব্যতীত আর কারোর নির্দেশ কার্যকরী হতে পারে না। তিনি সত্যকে বর্ণনা করছেন। আর  তিনিই উত্তম ফায়সালাকারী।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ إِنِّى عَلَىٰ بَيِّنَةٍ مِّن رَّبِّى وَكَذَّبْتُم بِهِۦۚ مَا عِندِى مَا تَسْتَعْجِلُونَ بِهِۦٓۚ إِنِ ٱلْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِۖ يَقُصُّ ٱلْحَقَّۖ وَهُوَ خَيْرُ ٱلْفَٰصِلِينَ

তুমি বলে দাও ! নিশ্চয়ই আমি আমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণের উপরেই প্রতিষ্ঠিত রয়েছি। অথচ তোমরা তাঁর প্রতি মিথ্যারোপ করে যাচ্ছো। তোমরা যে বিষয় শীঘ্র চাচ্ছ, তা আমার কাছে নেই। আল্লাহ ব্যতীত আর কারোর নির্দেশ কার্যকরী হতে পারে না। তিনি সত্যকে বর্ণনা করছেন। আর  তিনিই উত্তম ফায়সালাকারী।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُل لَّوْ أَنَّ عِندِى مَا تَسْتَعْجِلُونَ بِهِۦ لَقُضِىَ ٱلْأَمْرُ بَيْنِى وَبَيْنَكُمْۗ وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِٱلظَّٰلِمِينَ

তুমি বলে দাও ! যদি আমার কাছে তা নিশ্চিত থাকতো, তোমরা যে জিনিস শীঘ্র চাচ্চ, তাহলে অবশ্যই আমার ও তোমাদের মাঝে ব্যপারটির চুড়ান্ত মীমাংসা হয়ে যেতো। আসলে আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের সম্বন্ধে খুব ভালো করেই জানেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَعِندَهُۥ مَفَاتِحُ ٱلْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَآ إِلَّا هُوَۚ وَيَعْلَمُ مَا فِى ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِۚ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعْلَمُهَا وَلَا حَبَّةٍ فِى ظُلُمَٰتِ ٱلْأَرْضِ وَلَا رَطْبٍ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِى كِتَٰبٍ مُّبِينٍ


তাঁর কাছে অদৃশ্য সবকিছুর চাবিকাঠি রয়েছে, যা তিনি ছাড়া আর কেউ জানে না। আর তিনি জানেন, স্থলভাগের মধ্যে আর জলভাগে যা কিছু রয়েছে। আল্লাহর অজান্তে পাতাগুলো থেকে একটিও ঝরে পড়ে না। অন্ধকার মাটির ভিতরে যে শস্যকণা রয়েছে, আদ্র ও শুষ্ক এমন কোনও জিনিষ নেই, সুষ্পষ্টভাবে একটি লিখিত কিতাবের মধ্যে যার উল্লেখ নেই।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱلَّذِى يَتَوَفَّىٰكُم بِٱلَّيْلِ وَيَعْلَمُ مَا جَرَحْتُم بِٱلنَّهَارِ ثُمَّ يَبْعَثُكُمْ فِيهِ لِيُقْضَىٰٓ أَجَلٌ مُّسَمًّىۖ ثُمَّ إِلَيْهِ مَرْجِعُكُمْ ثُمَّ يُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ



আর তিনিই (আল্লাহ), যিনি রাতের বেলায় তোমাদেরকে পূর্ণ করেন (মৃত্যু দেন) এবং তিনি জানেন তোমরা যা কিছু অর্জন করো দিনের বেলায়। এরপর তিনি তোমাদেরকে দিনের বেলায় জাগিয়ে তোলেন, যেনো পূর্ণ হয় একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ (জীবন কাল)। এরপর তাঁরই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে। এরপর তিনি তোমাদেরকে ঐ সব বিষয়ে জানিয়ে দিবেন, যে সব কাজ-কর্ম তোমরা করেছ।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱلْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهِۦۖ وَيُرْسِلُ عَلَيْكُمْ حَفَظَةً حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَ أَحَدَكُمُ ٱلْمَوْتُ تَوَفَّتْهُ رُسُلُنَا وَهُمْ لَا يُفَرِّطُونَ


এবং তিনিই তো তাঁর দাসদের উপর পরাক্রমশালী। আল্লাহই তোমাদের জন্যে হেফাজতকারী নিয়োগ করে রেখেছেন। যখন তোমাদের মধ্যে কারোর মৃত্যু ঘনিয়ে আসে, ওফাত দেয় আমার প্রেরিতরা, (মওতের কাজে নিযুক্ত মালায়িকা রাসূলগণ) তারা কোনো রকম ত্রুটি মোটেই করে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ثُمَّ رُدُّوٓا۟ إِلَى ٱللَّهِ مَوْلَىٰهُمُ ٱلْحَقِّۚ أَلَا لَهُ ٱلْحُكْمُ وَهُوَ أَسْرَعُ ٱلْحَٰسِبِينَ


এরপর প্রকৃত মালিক আল্লাহর দিকেই তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে। জেনে রাখ ! হুকুম কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহরই চলবে। আর আল্লাহ তো খুব তাড়াতাড়ি হিসাব নিবেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ مَن يُنَجِّيكُم مِّن ظُلُمَٰتِ ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِ تَدْعُونَهُۥ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً لَّئِنْ أَنجَىٰنَا مِنْ هَٰذِهِۦ لَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلشَّٰكِرِينَ


তুমি বলো ! জলভাগের ও স্থল ভাগের অন্ধকারসমূহ থেকে কে তোমাদেরকে উদ্ধার করেন ? তখন তোমরা তো তাঁকেই ডেকে থাক কাতরভাবে, আর গোপনে বলে থাকো, অবশ্যই যদি আমাদেরকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, তবে অবশ্যই আমরা কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হবো। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلِ ٱللَّهُ يُنَجِّيكُم مِّنْهَا وَمِن كُلِّ كَرْبٍ ثُمَّ أَنتُمْ تُشْرِكُونَ


তুমি বলে দাও ! আল্লাহ তোমাদেরকে তা হ'তে আর সব রকমের দুঃখ বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। এরপরও তোমরা শিরক্ করে যাও।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ هُوَ ٱلْقَادِرُ عَلَىٰٓ أَن يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِّن فَوْقِكُمْ أَوْ مِن تَحْتِ أَرْجُلِكُمْ أَوْ يَلْبِسَكُمْ شِيَعًا وَيُذِيقَ بَعْضَكُم بَأْسَ بَعْضٍۗ ٱنظُرْ كَيْفَ نُصَرِّفُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّهُمْ يَفْقَهُونَ



তুমি বলে দাও ! তিনিই তো এর উপর ক্ষমতা রাখেন যে, তোমাদের উপর শাস্তি পাঠাবেন তোমাদের উপর থেকে  কিংবা পায়ের নিচ থেকে। কিংবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে ফেলবেন। আর তোমাদের কাউকে দিয়ে অন্য কাউকে সংঘর্ষের (কুফল) আস্বাদন করাবেন। দেখ কিভাবে আমি আমার আয়াতগুলী বারবার বর্ণনা করছি, সম্ভবত তারা (নিগুঢ় তথ্য) বুঝে নিবে। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَذَّبَ بِهِۦ قَوْمُكَ وَهُوَ ٱلْحَقُّۚ قُل لَّسْتُ عَلَيْكُم بِوَكِيلٍ


তোমার জাতি তো এই কোরআনকে অস্বীকার করেছে। অথচ তা সত্য। তুমি বলে দাও ! আমি তো তোমাদের জন্য উকিল নই।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

لِّكُلِّ نَبَإٍ مُّسْتَقَرٌّۚ وَسَوْفَ تَعْلَمُونَ


প্রত্যেকটি সংবাদ প্রকাশের জন্যই তো সময় নির্দিষ্ট রয়েছে; শীঘ্রই তোমরা তা জানতে পারবে !

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَإِذَا رَأَيْتَ ٱلَّذِينَ يَخُوضُونَ فِىٓ ءَايَٰتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا۟ فِى حَدِيثٍ غَيْرِهِۦۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ ٱلشَّيْطَٰنُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ ٱلذِّكْرَىٰ مَعَ ٱلْقَوْمِ ٱلظَّٰلِمِينَ


আর যখন তুমি তাদেরকে দেখতে পাবে, যারা আমার আয়াতগুলো সম্বন্ধে উপহাস মূলক আলোচনা করছে তখন তাদের থেকে সরে থাকো, যতক্ষণ না তারা অন্য হাদিসের সম্বন্ধে আলোচনা শুরু করে। ব্যক্তিত্বের চাহিদা শয়তান যদি একথা তোমাকে ভুলিয়ে দেয়, তবে সে কথা মনে পড়ার সংগে সংগেই সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়ের সাথে আর বসে থাকবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمَا عَلَى ٱلَّذِينَ يَتَّقُونَ مِنْ حِسَابِهِم مِّن شَىْءٍ وَلَٰكِن ذِكْرَىٰ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

যারা সততা অবলম্বন করে, তাদেরকে ওদের (যালিমদের) হিসাব নিকাশের ব্যাপারে কোনও জবাবদিহি করতে হবে না। কিন্তু উপদেশ অবশ্যই দিতে হবে। যাতে তারা (আয়াত সম্বন্ধে বাজে বকা থেকে) বিরত থাকে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَذَرِ ٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُوا۟ دِينَهُمْ لَعِبًا وَلَهْوًا وَغَرَّتْهُمُ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَاۚ وَذَكِّرْ بِهِۦٓ أَن تُبْسَلَ نَفْسٌۢ بِمَا كَسَبَتْ لَيْسَ لَهَا مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلِىٌّ وَلَا شَفِيعٌ وَإِن تَعْدِلْ كُلَّ عَدْلٍ لَّا يُؤْخَذْ مِنْهَآۗ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ أُبْسِلُوا۟ بِمَا كَسَبُوا۟ۖ لَهُمْ شَرَابٌ مِّنْ حَمِيمٍ وَعَذَابٌ أَلِيمٌۢ بِمَا كَانُوا۟ يَكْفُرُونَ


তাদেরকে ছেড়ে দাও, যারা নিজেদের জীবন ব্যবস্থাকে খেল তামাশা রূপে গ্রহণ করেছে। আর পার্থিব জীবন যাদেরকে প্রতারিত করেছে। আর তুমি তাদেরকে এই কোরআন দিয়ে উপদেশ দিতে থাক। যাতে কেউ নিজের কাজের জন্য ধ্বংসে নিক্ষিপ্ত না হয়। তার জন্যে আল্লাহ ছাড়া কোনো অলি ও সুপারিশকারী নেই। আর সে যদি বিনিময়ে সব কিছু দিতে চায়, তবুও তার কাছ থেকে কিছুই গ্রহণ করা হবে না। এরাই তো সেই দল, যারা নিজেদের কাজ কর্মের দরুন ধ্বংস হয়েছে। তাদের জন্য রয়েছে পানীয় হতে ফুটন্ত পানি, আর রয়েছে নিদারুণ শাস্তি, এ কারণে যে তারা অস্বীকার করতো।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ أَنَدْعُوا۟ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُنَا وَلَا يَضُرُّنَا وَنُرَدُّ عَلَىٰٓ أَعْقَابِنَا بَعْدَ إِذْ هَدَىٰنَا ٱللَّهُ كَٱلَّذِى ٱسْتَهْوَتْهُ ٱلشَّيَٰطِينُ فِى ٱلْأَرْضِ حَيْرَانَ لَهُۥٓ أَصْحَٰبٌ يَدْعُونَهُۥٓ إِلَى ٱلْهُدَى ٱئْتِنَاۗ قُلْ إِنَّ هُدَى ٱللَّهِ هُوَ ٱلْهُدَىٰۖ وَأُمِرْنَا لِنُسْلِمَ لِرَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ

তুমি বলে দাও ! আমরা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকব ? যা আমাদের কোনও উপকার কিংবা ক্ষতি কিছুই করতে পারে না। আর আমরা কি আমাদের গোড়ালির উপর (অর্থৎ পিছন দিকে) ফিরে যাব ? আল্লাহ যখন আমাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। ঠিক তেমন লোকের মতই  শয়তান যাকে পৃথিবীর (ঘন জংগলের) মধ্যে পথ ভুলিয়ে হয়রান করেছে, অথচ তার কিছু সাথী এমনও রয়েছে, যারা তাকে ডেকে বলছে, সঠিক পথে আমাদের কাছে এসো ! তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহর সঠিক পথই হচ্ছে একমাত্র সঠিক পথ। আর আমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে, যেন আমরা জগতসমূহের প্রতিপালকের কাছে আত্মসমর্পণ করি।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَأَنْ أَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَٱتَّقُوهُۚ وَهُوَ ٱلَّذِىٓ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ


আর এ নির্দেশও যে, তোমরা যথাযথভাবে দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা কর আর তোমরা তাঁকে ভয় কর। তিনিই (আল্লাহ) যার কাছে তোমাদের সবাইকে একত্র করা হবে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ بِٱلْحَقِّۖ وَيَوْمَ يَقُولُ كُن فَيَكُونُۚ قَوْلُهُ ٱلْحَقُّۚ وَلَهُ ٱلْمُلْكُ يَوْمَ يُنفَخُ فِى ٱلصُّورِۚ عَٰلِمُ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَٰدَةِۚ وَهُوَ ٱلْحَكِيمُ ٱلْخَبِيرُ


এবং তিনিই (আল্লাহ) , যিনি আকাশমন্ডল ও পৃথিবীকে যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন। আর যেদিন তিনি বলবেন (কিয়ামত) হও, ঠিক সে দিনই তা সংঘঠিত হবে। তাঁরই কথা সত্য। আর যেদিন নতুন আকৃতি দান করা হবে, সে দিন তো (নিরঙ্কুশভাবে) তাঁরই আধিপত্য চলবে। যিনি অদৃশ্যের ও প্রকাশ্যের সব বিষয়েই জানেন। এবং তিনি হলেন মহা বৈজ্ঞানিক ও সব কিছুর খবর রাখেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِيمُ لِأَبِيهِ ءَازَرَ أَتَتَّخِذُ أَصْنَامًا ءَالِهَةًۖ إِنِّىٓ أَرَىٰكَ وَقَوْمَكَ فِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ


আর ইবরাহীম যখন তার পিতা আজরকে বলে, তুমি কি মূর্তিগুলোকেই ইলা-হ হিসেবে মেনে নিয়েছ ? আমি তো দেখছি তুমি আর তোমার সম্প্রদায় সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতার মধ্যেই রয়েছ।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَذَٰلِكَ نُرِىٓ إِبْرَٰهِيمَ مَلَكُوتَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنَ ٱلْمُوقِنِينَ


এভাবেই আমি ইবরাহীমকে আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর পরিচালনার ব্যবস্থা দেখিয়েছি, যেন সে দৃঢ় বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَلَمَّا جَنَّ عَلَيْهِ ٱلَّيْلُ رَءَا كَوْكَبًاۖ قَالَ هَٰذَا رَبِّىۖ فَلَمَّآ أَفَلَ قَالَ لَآ أُحِبُّ ٱلْءَافِلِينَ

অতঃপর রাত যখন তার উপর আচ্ছন্ন হয়, তখন সে একটি উজ্জ্বল তারা দেখতে পেয়ে বলে, এই তো আমার প্রতিপালক ! অতঃপর তা যখন অস্তমিত হলো তখন সে বলে, না! আমি অস্তগামীদেরকে ভালোবাসি না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَلَمَّا رَءَا ٱلْقَمَرَ بَازِغًا قَالَ هَٰذَا رَبِّىۖ فَلَمَّآ أَفَلَ قَالَ لَئِن لَّمْ يَهْدِنِى رَبِّى لَأَكُونَنَّ مِنَ ٱلْقَوْمِ ٱلضَّآلِّينَ

অতঃপর যখন সে উদীয়মান উজ্জ্বল চাঁদকে দেখে, তখন সে বলে, এই আমার প্রতিপালক ! অতঃপর যখন চাঁদ অস্তমিত হয়, তখন সে বলে, আমার প্রতিপালক যদি আমাকে সঠিক পথ না দেখান, তাহলে আমি পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَلَمَّا رَءَا ٱلشَّمْسَ بَازِغَةً قَالَ هَٰذَا رَبِّى هَٰذَآ أَكْبَرُۖ فَلَمَّآ أَفَلَتْ قَالَ يَٰقَوْمِ إِنِّى بَرِىٓءٌ مِّمَّا تُشْرِكُونَ

অতঃপর যখন সে উদীয়মান উজ্জ্বল সূর্যকে দেখে ! তখন সে বলে, এই আমার প্রতিপালক ! এটাই তো সব চেয়ে বড়। কিন্তু তাও যখন ডুবে যায়, তখন সে বলে, হে আমার জাতি ! তোমরা যা কিছু শিরক করছ, নিশ্চয়ই আমি তা হতে সম্পর্কহীন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

إِنِّى وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِى فَطَرَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ حَنِيفًاۖ وَمَآ أَنَا۠ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ


নিশ্চয় আমি একনিষ্ঠভাবে সেই মহান সত্তার দিকে  আমার মুখ ফিরাচ্ছি, যিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَحَآجَّهُۥ قَوْمُهُۥۚ قَالَ أَتُحَٰٓجُّوٓنِّى فِى ٱللَّهِ وَقَدْ هَدَىٰنِۚ وَلَآ أَخَافُ مَا تُشْرِكُونَ بِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَشَآءَ رَبِّى شَيْـًٔاۗ وَسِعَ رَبِّى كُلَّ شَىْءٍ عِلْمًاۗ أَفَلَا تَتَذَكّرون

আর তার জাতি তার সাথে বিতর্ক শুরু করে দেয়। সে বলে, তোমরা কি আল্লাহর সম্বন্ধেই আমার সাথে বিতর্ক করবে ? তিনি তো আমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। তোমরা তাঁর কোরআনের সাথে যা কিছু শিরক করছ, সে সব আমি মোটেই ভয় করি না। তবে কি আমার প্রতিপালক যদি কিছু ইচ্ছা করেন সেকথা ভিন্ন। আমার প্রতিপালক সব কিছুকে জ্ঞান দ্বারা পরিব্যাপ্ত করে আছেন। তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না ?

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَيْفَ أَخَافُ مَآ أَشْرَكْتُمْ وَلَا تَخَافُونَ أَنَّكُمْ أَشْرَكْتُم بِٱللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِۦ عَلَيْكُمْ سُلْطَٰنًاۚ فَأَىُّ ٱلْفَرِيقَيْنِ أَحَقُّ بِٱلْأَمْنِۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ


কিরূপে আমি তার ভয় করবো ? যা কিছু তোমরা শিরক করছ। অথচ তোমরা ভয় করছো না যে, তোমরা শিরক করেছো আল্লাহর সাথে এমন কিছু, 
যে সম্বন্ধে তোমাদের উপর কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করা হয়নি। এখন দু'দলের মধ্যে কারা সত্যিকারের শান্তি লাভের যোগ্য (তা বুঝবে অবশ্যই)। তবে তোমাদের জ্ঞান থাকলে তো।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَلَمْ يَلْبِسُوٓا۟ إِيمَٰنَهُم بِظُلْمٍ أُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلْأَمْنُ وَهُم مُّهْتَدُونَ


যারা ঈমান এনেছে, আর তাদের নিজেদের ঈমান সীমালঙ্ঘনের সাথে মিশ্রন করেনি, তারাই তো সেই দল, যাদের জন্য নিরাপত্তা রয়েছে আর তারাই তো সঠিক পথের অনুসারী।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَتِلْكَ حُجَّتُنَآ ءَاتَيْنَٰهَآ إِبْرَٰهِيمَ عَلَىٰ قَوْمِهِۦۚ نَرْفَعُ دَرَجَٰتٍ مَّن نَّشَآءُۗ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٌ


এই হলো আমার যুক্তি প্রমাণ, যা আমি ইবরাহীমকে দিয়েছি - তার জাতির সাথে মোকাবিলা করার জন্য। আমি তাকেই মর্যাদায় উন্নীত করি যে উপযুক্ত। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক মহা বৈজ্ঞানিক ও মহা জ্ঞানী।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَوَهَبْنَا لَهُۥٓ إِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَۚ كُلًّا هَدَيْنَاۚ وَنُوحًا هَدَيْنَا مِن قَبْلُۖ وَمِن ذُرِّيَّتِهِۦ دَاوُۥدَ وَسُلَيْمَٰنَ وَأَيُّوبَ وَيُوسُفَ وَمُوسَىٰ وَهَٰرُونَۚ وَكَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلْمُحْسِنِينَ



আর আমি তাকে (ইবরাহীমকে) ইসহাক ও ইয়াকুবকে দান করেছি। আর সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছি। পূর্ব থেকে নূহকেও সঠিক পথে পরিচালিত করেছি। তারই (নূহের) বংশধরদের মধ্য হতে দাউদ, সুলায়মান, আইয়ুব, ইউসুফ, মূসা ও হারুনকেও। আর এভাবেই আমি  সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কার দিয়ে থাকি।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَزَكَرِيَّا وَيَحْيَىٰ وَعِيسَىٰ وَإِلْيَاسَۖ كُلٌّ مِّنَ ٱلصَّٰلِحِينَ


আর জাকারিয়্যা, ইয়াহইয়া, ঈসা ও ইলিয়াস - এরা সবাই হলো সংশোধনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَإِسْمَٰعِيلَ وَٱلْيَسَعَ وَيُونُسَ وَلُوطًاۚ وَكُلًّا فَضَّلْنَا عَلَى ٱلْعَٰلَمِينَ


আর ইসমায়ীল, আল ইয়াছাআ, ইউনুস ও লূত- প্রত্যেককে বিশ্বজগতের লোকদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمِنْ ءَابَآئِهِمْ وَذُرِّيَّٰتِهِمْ وَإِخْوَٰنِهِمْۖ وَٱجْتَبَيْنَٰهُمْ وَهَدَيْنَٰهُمْ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ


তাদের বাপ-দাদাদের কতককে এবং তাদের বংশধর ও তাদের ভ্রাতাদেরও মধ্য হতে তাদেরকে মনোনীত করেছি। আর আমি তাদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত পথের দিকে পথ দেখিয়েছি।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ذَٰلِكَ هُدَى ٱللَّهِ يَهْدِى بِهِۦ مَن يَشَآءُ مِنْ عِبَادِهِۦۚ وَلَوْ أَشْرَكُوا۟ لَحَبِطَ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

এটাই তো আল্লাহর হেদায়েত। তিনি তাঁর দাসদের মধ্যে থেকে তাকেই এই কোরআন দ্বারা পরিচালিত করেন যে তার উপযুক্ত। যদি তারা শিরক করত তাহলে তারা যে সব কাজ করেছে, সে সব অবশ্যই নষ্ট হয়ে যেত।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَٰهُمُ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحُكْمَ وَٱلنُّبُوَّةَۚ فَإِن يَكْفُرْ بِهَا هَٰٓؤُلَآءِ فَقَدْ وَكَّلْنَا بِهَا قَوْمًا لَّيْسُوا۟ بِهَا بِكَٰفِرِينَ

ঐসব লোক তারাই, যাদেরকে আমি দান করেছি আল কিতাব, হুকুম ও নবুওয়াত। তারপর যদি তারা এর প্রতি অস্বীকার করে, তবে নিশ্চয়ই আমি তার ভার অর্পণ করব এমন সম্প্রদায়ের উপর , যারা এর প্রতি অস্বীকারকারী নয়।*

*6(89)নং 29(27),45(16),57(26),3(79),3(68)...।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ هَدَى ٱللَّهُۖ فَبِهُدَىٰهُمُ ٱقْتَدِهْۗ قُل لَّآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًاۖ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرَىٰ لِلْعَٰلَمِينَ

এরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ সঠিক পথের অনুসারী করেছেন। সুতরাং তুমিও তাদের সঠিক পথের একতেদাহ (অনুসরণ) করো। তুমি বলে দাও ! আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চাই না। এটা বিশ্বজগতের জন্যই একমাত্র উপদেশ।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمَا قَدَرُوا۟ ٱللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِۦٓ إِذْ قَالُوا۟ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ عَلَىٰ بَشَرٍ مِّن شَىْءٍۗ قُلْ مَنْ أَنزَلَ ٱلْكِتَٰبَ ٱلَّذِى جَآءَ بِهِۦ مُوسَىٰ نُورًا وَهُدًى لِّلنَّاسِۖ تَجْعَلُونَهُۥ قَرَاطِيسَ تُبْدُونَهَا وَتُخْفُونَ كَثِيرًاۖ وَعُلِّمْتُم مَّا لَمْ تَعْلَمُوٓا۟ أَنتُمْ وَلَآ ءَابَآؤُكُمْۖ قُلِ ٱللَّهُۖ ثُمَّ ذَرْهُمْ فِى خَوْضِهِمْ يَلْعَبُونَ

মানুষেরা আল্লাহকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় না, যতখানি মর্যাদা তাঁকে দেওয়া দরকার। যখন তারা বলে, আল্লাহ কোনো মানুষের উপর কোনো কিছুই অবতীর্ণ করেননি। তুমি বল ! তাহলে কে সেই আল কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যা মূসা নিয়ে এসেছে? যার মধ্যে রয়েছে মানুষের জন্যে আলো ও পথের সন্ধান। যা তোমরা বিভিন্ন কাগজে লিখে তার কিছু প্রকাশ করছ, আর তার বেশির ভাগই তোমরা গোপন করছো। তোমাদেরকে তাই শিক্ষা দেয়া হয়, যা তোমরা আর তোমাদের বাপ-দাদারা জানতে না। তুমি বল ! আল্লাহই (অবতীর্ণ করেছেন)। এরপর তাদেরকে তাদের অর্থহীন আলোচনার মধ্যে ছেড়ে দাও, তারা খেলতে থাকুক।*

*6(91) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 22(74),39(67)...।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهَٰذَا كِتَٰبٌ أَنزَلْنَٰهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ ٱلَّذِى بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ ٱلْقُرَىٰ وَمَنْ حَوْلَهَاۚ وَٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِۦۖ وَهُمْ عَلَىٰ صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ


আর এই কিতাব যা আমি অবতীর্ণ করেছি, তা বড়ই কল্যাণময়, যা তাদের হাতের মাঝে রয়েছে তার সত্যায়নকারী হিসেবে। যেন তুমি জনপদসমূহের মা (মক্কা) ও তার চার পাশের লোকজনকে সতর্ক করতে পার। আর যারা পরকাল এবং এই কিতাবের উপরে ঈমান আনে ও যারা তাদের দায়িত্ব পালনের প্রতি যত্নবান তাদেরকেও।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَوْ قَالَ أُوحِىَ إِلَىَّ وَلَمْ يُوحَ إِلَيْهِ شَىْءٌ وَمَن قَالَ سَأُنزِلُ مِثْلَ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُۗ وَلَوْ تَرَىٰٓ إِذِ ٱلظَّٰلِمُونَ فِى غَمَرَٰتِ ٱلْمَوْتِ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ بَاسِطُوٓا۟ أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُوٓا۟ أَنفُسَكُمُۖ ٱلْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ ٱلْهُونِ بِمَا كُنتُمْ تَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ غَيْرَ ٱلْحَقِّ وَكُنتُمْ عَنْ ءَايَٰتِهِۦ تَسْتَكْبِرُونَ

আর কে তার চেয়ে বড় সীমালঙ্ঘনকারী? যে আল্লাহর উপর মিথ্যা রচনা করে। অথবা বলে, আমার প্রতি ওহী হয়। অথচ তার প্রতি কিছুই ওহী করা হয়নি। আর যে বলে অচিরেই আমিও অনুরূপ অবতীর্ণ করবো, যেমন আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন। হায় ! তুমি যদি দেখতে, যখন সীমালঙ্ঘনকারীরা মৃত্যুর যন্ত্রনার মধ্যে থাকবে ! এবং ভ-ূপৃষ্ঠের শক্তিসমূহ তথা মালা-ইকারা তাদের হাতগুলো প্রসারিত করে বলবে, তোমরা তোমাদের প্রাণগুলো বের করো। আজ তোমাদেরকে পুরস্কার দেওয়া হবে অপমানকর শাস্তি। এ কারণে, যা তোমরা আল্লাহর উপর বলে এসেছো তা সত্য (কোরআন) নয়। আর তোমরাই তাঁর আয়াতগুলো হতে অহঙ্কার করতে। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَقَدْ جِئْتُمُونَا فُرَٰدَىٰ كَمَا خَلَقْنَٰكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَتَرَكْتُم مَّا خَوَّلْنَٰكُمْ وَرَآءَ ظُهُورِكُمْۖ وَمَا نَرَىٰ مَعَكُمْ شُفَعَآءَكُمُ ٱلَّذِينَ زَعَمْتُمْ أَنَّهُمْ فِيكُمْ شُرَكَٰٓؤُا۟ۚ لَقَد تَّقَطَّعَ بَيْنَكُمْ وَضَلَّ عَنكُم مَّا كُنتُمْ تَزْعُمُونَ

আর প্রথমবারে আমি যেভাবে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, ঠিক তেমনি আজ একাই এসেছ আমার কাছে। আর আমি যে সব তোমাদেরকে দান করেছি, সে সব তোমরা পিছনেই ফেলে এসেছ। আর তোমাদের জন্য কোনো সুপারিশকারীকেও তো আমি তোমাদের সাথে দেখছি না, যাদেরকে তোমরা তোমাদের সুপারিশকারী ও আমার শরীক বলে ভাবতে। আজকে তোমাদের মধ্যেকার সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল। আর তোমরা যে সব ধারণা করতে তাও তোমাদের থেকে হারিয়ে গিয়েছে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

إِنَّ ٱللَّهَ فَالِقُ ٱلْحَبِّ وَٱلنَّوَىٰۖ يُخْرِجُ ٱلْحَىَّ مِنَ ٱلْمَيِّتِ وَمُخْرِجُ ٱلْمَيِّتِ مِنَ ٱلْحَىِّۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُۖ فَأَنَّىٰ تُؤْفَكُونَ

নিশ্চয়ই আল্লাহই শস্য-বীজ ও আঁটি বিদীর্ণ করেন। প্রাণহীন বস্তুর মধ্য হতে জীবন্ত বস্তুর বিকাশ ঘটান। আর জীবন্ত বস্তুর মধ্য হতে নিষ্প্রাণ বস্তু আলাদা করে ফেলেন। ইনিই তো হচ্ছেন তোমাদের আল্লাহ। অতএব তোমাদেরকে কোথায় ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে ?

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَالِقُ ٱلْإِصْبَاحِ وَجَعَلَ ٱلَّيْلَ سَكَنًا وَٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَ حُسْبَانًاۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ ٱلْعَزِيزِ ٱلْعَلِيمِ

তিনিই তো প্রভাতের জন্যে অন্ধকারের আবরণ বিদীর্ণ করেন। আর তিনি রাতকে বানিয়েছেন বিশ্রামের জন্য। সূর্য্য ও চাঁদকে আল্লাহ নির্ধারিত করেছেন হিসাব-গণনার জন্যে। এটা মহা সম্মানী ও সুমহান জ্ঞানীর সুনির্ধারীত পরিমাণ।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلنُّجُومَ لِتَهْتَدُوا۟ بِهَا فِى ظُلُمَٰتِ ٱلْبَرِّ وَٱلْبَحْرِۗ قَدْ فَصَّلْنَا ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

তিনিই তোমাদের জন্য নক্ষত্রগুলো সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা স্থলে এবং সাগরের অন্ধকার সমূহের মধ্যে সঠিকপথ ঠিক করতে পার। জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যই আমার আয়াতগুলো বিস্তারিতভাবেই বর্ণনা করেছি।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱلَّذِىٓ أَنشَأَكُم مِّن نَّفْسٍ وَٰحِدَةٍ فَمُسْتَقَرٌّ وَمُسْتَوْدَعٌۗ قَدْ فَصَّلْنَا ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يَفْقَهُونَ

এবং তিনিই (আল্লাহ), যিনি তোমাদেরকে একটি নফস্ থেকে সৃষ্টি করেছেন। তারপরে দীর্ঘ ও স্বল্পকালীন বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয়ই আমি নিদর্শনগুলোকে বিশদ বর্ণনা করেছি, এমন সম্প্রদায়ের জন্যে যারা অনুধাবন করে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَأَخْرَجْنَا بِهِۦ نَبَاتَ كُلِّ شَىْءٍ فَأَخْرَجْنَا مِنْهُ خَضِرًا نُّخْرِجُ مِنْهُ حَبًّا مُّتَرَاكِبًا وَمِنَ ٱلنَّخْلِ مِن طَلْعِهَا قِنْوَانٌ دَانِيَةٌ وَجَنَّٰتٍ مِّنْ أَعْنَابٍ وَٱلزَّيْتُونَ وَٱلرُّمَّانَ مُشْتَبِهًا وَغَيْرَ مُتَشَٰبِهٍۗ ٱنظُرُوٓا۟ إِلَىٰ ثَمَرِهِۦٓ إِذَآ أَثْمَرَ وَيَنْعِهِۦٓۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكُمْ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ


এবং তিনিই (আল্লাহ), যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে থাকেন। অতঃপর তা দিয়ে সব রকমের উদ্ভিদ উৎপন্ন করেন। আর তাতে সবুজ শ্যামল পাতা বের করেন। তা থেকে একটার সাথে আরেকটা জড়ানো অবস্থায় ফল বের করেন। খেজুরের ফল ভারে নুয়ে পড়া গোছা, আংগুরের বাগিচা, জলপাই ও আনার, যার একটার সাথে আরেকটা মিল আছে, আর নেইও। এত সব বিচিত্র জিনিস যখন ফলন ধরে তখন এসব ফল পাকড়া, আর কেমন করে সেগুলো পাকলো, তাও তোমরা দেখ। নিশ্চয়ই এসবের মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই সম্প্রদায়ের জন্য যারা ঈমান আনে। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَجَعَلُوا۟ لِلَّهِ شُرَكَآءَ ٱلْجِنَّ وَخَلَقَهُمْۖ وَخَرَقُوا۟ لَهُۥ بَنِينَ وَبَنَٰتٍۭ بِغَيْرِ عِلْمٍۚ سُبْحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يَصِفُونَ

তারা তো অদেখাকে (জ্বীনকে) আল্লাহর অংশীদার বানিয়েছে ! অথচ তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আর তারা কোনো জ্ঞান ছাড়া মূর্খতাবশত তাঁর জন্য পুত্র ও কন্যা সন্তান আছে বলে রচনা করেছে ! পবিত্র মহান তিনি এবং সমুন্নত তা হতে যা কিছু তারা রচনা করছে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

بَدِيعُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۖ أَنَّىٰ يَكُونُ لَهُۥ وَلَدٌ وَلَمْ تَكُن لَّهُۥ صَٰحِبَةٌۖ وَخَلَقَ كُلَّ شَىْءٍۖ وَهُوَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ

তিনি আকাশসমূহের ও পৃথিবীর উদ্ভাবক! কিরূপে তাঁর জন্যে সন্তান হবে, অথচ তাঁর জন্যে কোনো সমকক্ষ সঙ্গিনী হতে পারে না। তিনি তো সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন। আর তিনিই তো সব কিছু সম্পর্কে খুব জানেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمْۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ خَٰلِقُ كُلِّ شَىْءٍ فَٱعْبُدُوهُۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ وَكِيلٌ


এই হচ্ছেন তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের আইন দাতা নেই, তিনি সব কিছুরই স্রষ্টা। সুতরাং তোমরা তাঁরই দাসত্ব কর। আর তিনিই সবকিছুর উপর তত্ত্বাবধায়ক-উকিল।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

لَّا تُدْرِكُهُ ٱلْأَبْصَٰرُ وَهُوَ يُدْرِكُ ٱلْأَبْصَٰرَۖ وَهُوَ ٱللَّطِيفُ ٱلْخَبِيرُ


তোমাদের দৃষ্টিশক্তিসমূহ তাঁকে ধরতে পারে না। কিন্তু তিনি দৃষ্টিশক্তিসমূহকে অধিকার করে আছেন। আর তিনি তো সূক্ষ্মদর্শী, সব খবর রাখেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قَدْ جَآءَكُم بَصَآئِرُ مِن رَّبِّكُمْۖ فَمَنْ أَبْصَرَ فَلِنَفْسِهِۦۖ وَمَنْ عَمِىَ فَعَلَيْهَاۚ وَمَآ أَنَا۠ عَلَيْكُم بِحَفِيظٍ


অবশ্যই তোমাদের কাছে জ্ঞান চক্ষুরূপে এই বাসায়ের তথা কোরআন তোমাদেরই প্রতিপালকের পক্ষ হতে এসেছে। অতএব যে কোরআন দিয়ে দেখবে সে তো নিজের ভালাই করবে। আর যে ব্যক্তি অন্ধ সাজবে, সে তো নিজেরই অনিষ্ট করবে। (তুমি বলে দাও), আমি তো আর তোমাদের জন্য কোনো রক্ষক নই।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

حَقِيقٌ عَلَىٰٓ أَن لَّآ أَقُولَ عَلَى ٱللَّهِ إِلَّا ٱلْحَقَّۚ قَدْ جِئْتُكُم بِبَيِّنَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ فَأَرْسِلْ مَعِىَ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ


আর এভাবেই আমি আয়াতগুলোকে বিস্তারিতভাবে বারবার বর্ণনা করছি। তারা যেনো বলে, তুমি অধ্যায়ণ করেছো। যেনো আমি তা সেসব সম্প্রদায়ের জন্য স্পট বর্ণনা করতে পারি, যারা জ্ঞান রাখে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَذَٰلِكَ نُصَرِّفُ ٱلْءَايَٰتِ وَلِيَقُولُوا۟ دَرَسْتَ وَلِنُبَيِّنَهُۥ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ

আর এমনি করেই তো আমার আয়াতসমূহ বারবার বিস্তারিতভাবেই বর্ণনা করছি। যাতে তারা এ কথা বলতে না পারে, যে তুমি (কারো কাছে) শিখে নিয়ে এসব কথা বলছ। যাতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের কাছে সে বিষয়ের বর্ণনা সুস্পষ্ট করতে পারি।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ٱتَّبِعْ مَآ أُوحِىَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ وَأَعْرِضْ عَنِ ٱلْمُشْرِكِينَ


তুমি অনুসরণ কর যা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমার প্রতি ওহী করা হয়েছে। তিনি ছাড়া কোনো সত্যিকারের আইন দাতা নেই, আর তুমি মুশরিকদের হতে মুখ ফিরিয়ে নাও।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَآ أَشْرَكُوا۟ۗ وَمَا جَعَلْنَٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًاۖ وَمَآ أَنتَ عَلَيْهِم بِوَكِيلٍ


আল্লাহ যদি চাইতেন, তারা শিরক্ করতো না। আমি তো আর তোমাকে মানুষের উপরে রক্ষকরূপে নিযুক্ত করিনি, আর তুমি তাদের জন্য ওকীলও নও।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَا تَسُبُّوا۟ ٱلَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ فَيَسُبُّوا۟ ٱللَّهَ عَدْوًۢا بِغَيْرِ عِلْمٍۗ كَذَٰلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمْ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّهِم مَّرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষেরা যাদেরকে ডাকে, তাদেরকে তোমরা গালি দিও না। নইলে ওরাও যে শত্রুতার কারণেই না জেনে আল্লাহকে গালি দিয়ে বসবে। এমনি করে প্রত্যেকটি জাতির কাজকর্ম সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছি। এরপর তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের দিকেই ফিরতে হবে। অতঃপর তিনি তাদেরকে সে সম্বন্ধে জানিয়ে দিবেন, যে সব কাজকর্ম তারা করেছে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَأَقْسَمُوا۟ بِٱللَّهِ جَهْدَ أَيْمَٰنِهِمْ لَئِن جَآءَتْهُمْ ءَايَةٌ لَّيُؤْمِنُنَّ بِهَاۚ قُلْ إِنَّمَا ٱلْءَايَٰتُ عِندَ ٱللَّهِۖ وَمَا يُشْعِرُكُمْ أَنَّهَآ إِذَا جَآءَتْ لَا يُؤْمِنُونَ


এরা তো আল্লাহর নামে বড় কঠিন শপথ করে বলে, এদের কাছে যদি কোনও নিদর্শন পৌঁছায়, তবে তারা অবশ্যই তাতে ঈমান আনবে। তুমি বলে দাও ! মূলতঃ সমস্ত নিদর্শন তো আল্লাহর কাছে রয়েছে। তোমাদের তো শোধ-বোধ নেই। তাদের কাছে যদি নিদর্শন আসেও তবুও তারা ঈমান আনবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَنُقَلِّبُ أَفْـِٔدَتَهُمْ وَأَبْصَٰرَهُمْ كَمَا لَمْ يُؤْمِنُوا۟ بِهِۦٓ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَنَذَرُهُمْ فِى طُغْيَٰنِهِمْ يَعْمَهُونَ

আর আমি তাদের অন্তর ও দৃষ্টিগুলোকে ফিরিয়ে দিব, ঠিক যেমন তারা এই কোরআনের উপরে প্রথম বার ঈমান আনে নি। আর আমি তাদেরকে তাদের  অবাধ্যতার মধ্যে ছেড়ে দিব, তারা উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَوْ أَنَّنَا نَزَّلْنَآ إِلَيْهِمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةَ وَكَلَّمَهُمُ ٱلْمَوْتَىٰ وَحَشَرْنَا عَلَيْهِمْ كُلَّ شَىْءٍ قُبُلًا مَّا كَانُوا۟ لِيُؤْمِنُوٓا۟ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ يَجْهَلُونَ

আর আমি যদি তাদের প্রতি মালা-ইকাদেরকে পাঠাই, আর মৃত ব্যক্তিরা যদি তাদের সাথে কথা বলে, আর সব জিনিস যদি তাদের সামনে একত্র করা হয়, তবুও তারা ঈমান আনবে না। তবে আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন, সে কথা ভিন্ন। কিন্তু তাদের অধিকাংশরাই তো মূর্খতা করে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِىٍّ عَدُوًّا شَيَٰطِينَ ٱلْإِنسِ وَٱلْجِنِّ يُوحِى بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ زُخْرُفَ ٱلْقَوْلِ غُرُورًاۚ وَلَوْ شَآءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوهُۖ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُونَ


এভাবেই তো আমি প্রত্যেক নবীর বিরুদ্ধে শয়তানরূপে মানুষ ও জ্বিনগুলোকে (বানোয়াট ধর্মের নেতা কর্মীদেরকে) শত্রুরূপে পাই। ধোঁকা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তারা একে অন্যকে চাকচিক্যপূর্ণ কথার দ্বারা ওহী করতে থাকে। তোমার প্রতিপালক যদি ইচ্ছে করতেন, তাহলে তারা তা করতে পারতো না। অতএব তাদেরকে তাদের অবস্থায় ছেড়ে দাও, যা তারা রচনা করছে (তা নিয়েই থাকুক)।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلِتَصْغَىٰٓ إِلَيْهِ أَفْـِٔدَةُ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ وَلِيَرْضَوْهُ وَلِيَقْتَرِفُوا۟ مَا هُم مُّقْتَرِفُونَ

এবং তারা তা এজন্যে করে, যারা আখিরাতের উপর ঈমান আনে না তাদের অন্তর যেনো তার (চাকচিক্যের) প্রতি ঝুঁকে এবং তারা যেনো তাতে পরিতুষ্ট হয়। আর তারাও যেনো অপকর্ম করতে লেগে যায়, যেসব অপকর্ম তারা করছে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

أَفَغَيْرَ ٱللَّهِ أَبْتَغِى حَكَمًا وَهُوَ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ إِلَيْكُمُ ٱلْكِتَٰبَ مُفَصَّلًاۚ وَٱلَّذِينَ ءَاتَيْنَٰهُمُ ٱلْكِتَٰبَ يَعْلَمُونَ أَنَّهُۥ مُنَزَّلٌ مِّن رَّبِّكَ بِٱلْحَقِّۖ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلْمُمْتَرِينَ


তবে কি আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে হাকিম তথা বিচারক হিসেবে খুঁজবো? অথচ তিনিই (বিচারক) যিনি নিজেই তোমাদের প্রতি বিস্তারিত আল কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। আর যাদেরকে আল কিতাব দান করা হয়েছে, তারা জানে যে এই কিতাব সত্য সহকারে তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকেই অবতীর্ণ করা হয়েছে। অতএব তুমি সন্দেহকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَتَمَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًاۚ لَّا مُبَدِّلَ لِكَلِمَٰتِهِۦۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ


আর তোমার প্রতিপালকের কথাগুলো সত্যতায় ও ন্যায় পরায়ণতায় পরিপূর্ণ। তাঁর কথাগুলোকে পরিবর্তন করার মতো কেউ নেই। আর তিনি তো সবকিছুই শুনেন ও জানেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَإِن تُطِعْ أَكْثَرَ مَن فِى ٱلْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ

এবং যদি তুমি তাদের অধিকাংশের আনুগত্য করো, যারা পৃথিবীর মধ্যে আছে তবে তারা তোমাকে আল্লাহর কোরআনের পথ হতে বিভ্রান্ত করবে। তারা অনুমান ছাড়া আর কিছুই অনুসরণ করে না এবং তারা শুধু অনুমানের উপরেই চলে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ مَن يَضِلُّ عَن سَبِيلِهِۦۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِٱلْمُهْتَدِينَ

নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক তিনি খুব ভালো করেই জানেন, তাঁর পথ (কোরআন) হতে কে বিভ্রান্ত হয়েছে এবং তাদেরকেও তিনি খুব ভালো জানেন যারা সঠিক পথ প্রাপ্তদের সাথে রয়েছে।*

*6(15-17) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(4,5)...।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَكُلُوا۟ مِمَّا ذُكِرَ ٱسْمُ ٱللَّهِ عَلَيْهِ إِن كُنتُم بِـَٔايَٰتِهِۦ مُؤْمِنِينَ


সুতরাং যে জিনিসে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়েছে, সে সব তোমরা খাবে। যদি তোমরা তাঁর আয়াতসমূহে প্রতি বিশ্বাসী হয়েই থাকো।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمَا لَكُمْ أَلَّا تَأْكُلُوا۟ مِمَّا ذُكِرَ ٱسْمُ ٱللَّهِ عَلَيْهِ وَقَدْ فَصَّلَ لَكُم مَّا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ إِلَّا مَا ٱضْطُرِرْتُمْ إِلَيْهِۗ وَإِنَّ كَثِيرًا لَّيُضِلُّونَ بِأَهْوَآئِهِم بِغَيْرِ عِلْمٍۗ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِٱلْمُعْتَدِينَ

কি জন্যে তোমরা তা হতে খাবে না, যার উপর আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়েছে। অথচ নিশ্চয়ই তিনি তোমাদের জন্য বিস্তারিত বিবৃত করেছেন যা আল্লাহ তোমাদের উপর নিষিদ্ধ করেছেন। তবে তোমরা যদি নিরুপায় হয়ে তার প্রতি ঝুকে যাও, সেটা ভিন্ন কথা। আর নিশ্চয়ই অনেকেই তাদের নিজেদের খেয়াল খুশী দ্বারা কিছু না জেনেই অন্যকে পথভ্রষ্ঠ করে। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক সীমা লংঘনকারীদেরকে খুব ভালোভাবেই জানেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَذَرُوا۟ ظَٰهِرَ ٱلْإِثْمِ وَبَاطِنَهُۥٓۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْسِبُونَ ٱلْإِثْمَ سَيُجْزَوْنَ بِمَا كَانُوا۟ يَقْتَرِفُونَ


তাই তোমরা সবাই প্রকাশ্য ও গোপন পাপের কাজ ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই যারা পাপ অর্জন করছে, অচিরেই তাদের প্রতিফল দেয়া হবে তারা যা কুকর্ম করছে তার বিনিময়ে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَا تَأْكُلُوا۟ مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ ٱسْمُ ٱللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُۥ لَفِسْقٌۗ وَإِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰٓ أَوْلِيَآئِهِمْ لِيُجَٰدِلُوكُمْۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ

যে জিনিসে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়নি,(অর্থাৎ যে মাল পরিশুদ্ধ করা হয় হয় নি) তা তোমরা মোটেই খাবেনা। কারণ নিশ্চয়ই তা অমান্যকারী-ফাসিক লোকদের কাজ। শয়তানদের দল অবশ্য তাদের বন্ধুদেরকে ওহীর মাধ্যমে উসকানী দিচ্ছে, যেন তোমাদের সাথে ঝগড়া বাধায়। তোমরা যদি তাদের কথা মেনে চলো, তাহলে তোমরাও মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।*

*6(121) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(52-54)...।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

أَوَمَن كَانَ مَيْتًا فَأَحْيَيْنَٰهُ وَجَعَلْنَا لَهُۥ نُورًا يَمْشِى بِهِۦ فِى ٱلنَّاسِ كَمَن مَّثَلُهُۥ فِى ٱلظُّلُمَٰتِ لَيْسَ بِخَارِجٍ مِّنْهَاۚ كَذَٰلِكَ زُيِّنَ لِلْكَٰفِرِينَ مَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ


তাই তো যে ব্যক্তি আধ্যাত্মিকভাবে মৃত থাকে, তাকে জগতে জীবিত থেকে চলার জন্যে আমিই আলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যা নিয়ে সে লোকজনের মধ্যে চলাফেরা করতে পারে। সে কি তেমন লোকের মতই হতে পারে ? যে নাকি ঘন ঘোর অন্ধকারের মধ্যেই পড়ে থাকে। যেখান থেকে সে আর বেরিয়ে আসতে পারেনা। ঠিক তেমনি কাফিররা যে সব কাজ করে, সেগুলো তাদের কাছে তো খুব ভালোই লাগে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَا فِى كُلِّ قَرْيَةٍ أَكَٰبِرَ مُجْرِمِيهَا لِيَمْكُرُوا۟ فِيهَاۖ وَمَا يَمْكُرُونَ إِلَّا بِأَنفُسِهِمْ وَمَا يَشْعُرُونَ

এভাবে প্রত্যেক জনপদের মধ্যে আমি বড় বড় অপরাধী লোক পেয়ে থাকি। তারা সেখানে বসে চক্রান্ত করে। তারা যে সব চক্রান্ত করে, সে সবের ক্ষয়ক্ষতি তাদের নিজেদের ছাড়া আর তো কারোর হবে না। অথচ তারা অনুভব করে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَإِذَا جَآءَتْهُمْ ءَايَةٌ قَالُوا۟ لَن نُّؤْمِنَ حَتَّىٰ نُؤْتَىٰ مِثْلَ مَآ أُوتِىَ رُسُلُ ٱللَّهِۘ ٱللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُۥۗ سَيُصِيبُ ٱلَّذِينَ أَجْرَمُوا۟ صَغَارٌ عِندَ ٱللَّهِ وَعَذَابٌ شَدِيدٌۢ بِمَا كَانُوا۟ يَمْكُرُونَ

তাদের কাছে যখন কোনও আয়াত এসে পৌঁছায়, তখন তারা বলে, আমরা কখনও ঈমান আনবো না, যতক্ষন না আমাদেরকে তেমনই দেয়া হবে, যা কিছু দেয়া হয়েছে আল্লাহর রাসুলদেরকে। আল্লাহ খুব জানেন তাঁর রিসালাতের দায়িত্বভার যেখানে অর্পণ করবেন। যারা অপরাধ করেছে শীঘ্রই তাদের উপর আল্লাহর নিকট হতে অপমান ও কঠিন শাস্তি পৌঁছবে। কারণ তারা চক্রান্ত করতো।*

*6(124) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 61(6,7),2(246,247), 72(26-28)...।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَمَن يُرِدِ ٱللَّهُ أَن يَهْدِيَهُۥ يَشْرَحْ صَدْرَهُۥ لِلْإِسْلَٰمِۖ وَمَن يُرِدْ أَن يُضِلَّهُۥ يَجْعَلْ صَدْرَهُۥ ضَيِّقًا حَرَجًا كَأَنَّمَا يَصَّعَّدُ فِى ٱلسَّمَآءِۚ كَذَٰلِكَ يَجْعَلُ ٱللَّهُ ٱلرِّجْسَ عَلَى ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ


অতঃপর যার ইচ্ছাতে আল্লাহ রয়েছে আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন। আর ইসলাম তথা আত্মসমর্পণের জন্য তার হৃদয় প্রশস্ত করে দেন। কিন্তু যার ইচ্ছাতে বিপথগামী থাকা রয়েছে, তার হৃদয় ছোট্ট-সংকুচিত করে দেন। যদিও সে আকাশে চড়তে চায়। এমন করেই তো আল্লাহ অবিশ্বাসীদের উপরে আবর্জনার শাস্তি পৌঁছে দেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهَٰذَا صِرَٰطُ رَبِّكَ مُسْتَقِيمًاۗ قَدْ فَصَّلْنَا ٱلْءَايَٰتِ لِقَوْمٍ يَذَّكَّرُونَ


আর এই (কোরআন) হচ্ছে তোমার প্রতিপালকের সুপ্রতিষ্ঠিত পথ, আমি আয়াতগুলোকে বিষদ বর্ণনা করেছি এমন সম্প্রদায়ের জন্যে, যারা উপদেশ গ্রহণ করে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

لَهُمْ دَارُ ٱلسَّلَٰمِ عِندَ رَبِّهِمْۖ وَهُوَ وَلِيُّهُم بِمَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ

তাদের জন্য শান্তিপূর্ণ বাস ঘর রয়েছে, তাদেরই প্রতিপালকের কাছে। আসলে তাদের কাজকর্মে তিনিই অলি।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا يَٰمَعْشَرَ ٱلْجِنِّ قَدِ ٱسْتَكْثَرْتُم مِّنَ ٱلْإِنسِۖ وَقَالَ أَوْلِيَآؤُهُم مِّنَ ٱلْإِنسِ رَبَّنَا ٱسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَبَلَغْنَآ أَجَلَنَا ٱلَّذِىٓ أَجَّلْتَ لَنَاۚ قَالَ ٱلنَّارُ مَثْوَىٰكُمْ خَٰلِدِينَ فِيهَآ إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُۗ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٌ

যেদিন আল্লাহ তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন, সেদিন বলা হবে, (জিন ও ইনস্) হে নেতাদল (জিন) ! তোমরা তো জনতাদের (ইনস্ দের) মধ্যে অনেকেরই নিজেদের কাজে লাগিয়েছ। তখন জনতাদের (ইনস্ দের) মধ্যে যারা তাদের কর্মী ছিল তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা একে অন্যের কাছ থেকে উপকার লাভ করেছি। আর এভাবেই আমরা শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত এসেছি। যা আপনি আমাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলবেন তোমাদের ঠিকানা হচ্ছে বিশেষ আগুন। সেখানেই চিরকাল থাকতে হবে। তবে আল্লাহ যদি কোনও ইচ্ছা করেন, সে কথা ভিন্ন। তোমার প্রতিপালক নিশ্চয়ই মহা বৈজ্ঞানিক ও মহাজ্ঞানী। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَذَٰلِكَ نُوَلِّى بَعْضَ ٱلظَّٰلِمِينَ بَعْضًۢا بِمَا كَانُوا۟ يَكْسِبُونَ


এভাবেই আমি এক দল সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে  আরেক দল সীমালঙ্ঘনকারীদের বন্ধু বানিয়ে দেই, তাদের কাজকর্মের কারণে। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

يَٰمَعْشَرَ ٱلْجِنِّ وَٱلْإِنسِ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنكُمْ يَقُصُّونَ عَلَيْكُمْ ءَايَٰتِى وَيُنذِرُونَكُمْ لِقَآءَ يَوْمِكُمْ هَٰذَاۚ قَالُوا۟ شَهِدْنَا عَلَىٰٓ أَنفُسِنَاۖ وَغَرَّتْهُمُ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا وَشَهِدُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ أَنَّهُمْ كَانُوا۟ كَٰفِرِينَ


হে নেতাদল ও কর্মী জনতা (জিন ও ইনস্) ! তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য হতেই রাসূলগণ আসে নি ? যারা আমার আয়াতসমূহ তোমাদের কাছে বর্ণনা করতো এবং আজকের এই সাক্ষাতকার সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করতো ? তারা বলবে, নিজেদের অপরাধ আমরা স্বীকার করছি। আসলে পার্থিব জীবন আমাদেরকে ধোকার মধ্যেই ফেলে রেখেছিল। এখন নিজেরাই তো সাক্ষ্য দিচ্ছে যে তারা ছিলো কাফির।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ذَٰلِكَ أَن لَّمْ يَكُن رَّبُّكَ مُهْلِكَ ٱلْقُرَىٰ بِظُلْمٍ وَأَهْلُهَا غَٰفِلُونَ


এটা এ কারণে যে, তোমার প্রতিপালক কোন জনপদকে অন্যায় ভাবে ধ্বংস করেন না, তার অধিবাসীদের (পরিণতি সম্পর্কে) অনবহিত অবস্থায়।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلِكُلٍّ دَرَجَٰتٌ مِّمَّا عَمِلُوا۟ۚ وَمَا رَبُّكَ بِغَٰفِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ


প্রত্যেকের জন্যই কাজকর্ম অনুসারে পদমর্যাদা রয়েছে। তোমার প্রতিপালক তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে মোটেই বেখবর নন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَرَبُّكَ ٱلْغَنِىُّ ذُو ٱلرَّحْمَةِۚ إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ وَيَسْتَخْلِفْ مِنۢ بَعْدِكُم مَّا يَشَآءُ كَمَآ أَنشَأَكُم مِّن ذُرِّيَّةِ قَوْمٍ ءَاخَرِينَ

তোমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত ও দয়ার অধিকারী। আর তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে সরিয়ে দিয়ে তোমাদের পরে যাদেরকে খুশী তোমাদের জায়গায় বসিয়ে দিবেন। ঠিক যেমন তোমাদেরকে অন্য সম্প্রদায়ের বংশধরদের থেকে সৃষ্টি করেছেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

اِنَّ مَا تُوْعَدُوْنَ لَاٰتٍ ۙ وَّمَاۤ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِيْنَ


নিশ্চয় তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে, তা অবশ্যই আসবে এবং (এ ব্যাপারে তাঁকে) তোমরা অক্ষম করতে পারবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ يَٰقَوْمِ ٱعْمَلُوا۟ عَلَىٰ مَكَانَتِكُمْ إِنِّى عَامِلٌۖ فَسَوْفَ تَعْلَمُونَ مَن تَكُونُ لَهُۥ عَٰقِبَةُ ٱلدَّارِۗ إِنَّهُۥ لَا يُفْلِحُ ٱلظَّٰلِمُونَ

তুমি বলে দাও ! হে আমার জাতি ! তোমরা নিজেদের জায়গায় বসে কাজ করে যাও। আর আমিও কাজ করে যাচ্ছি। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে পরকালের ঘর কার জন্য রয়েছে। নিশ্চয়ই তিনি সীমালঙ্ঘকারীদের সফলকাম হতে দিবেন না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَجَعَلُوا۟ لِلَّهِ مِمَّا ذَرَأَ مِنَ ٱلْحَرْثِ وَٱلْأَنْعَٰمِ نَصِيبًا فَقَالُوا۟ هَٰذَا لِلَّهِ بِزَعْمِهِمْ وَهَٰذَا لِشُرَكَآئِنَاۖ فَمَا كَانَ لِشُرَكَآئِهِمْ فَلَا يَصِلُ إِلَى ٱللَّهِۖ وَمَا كَانَ لِلَّهِ فَهُوَ يَصِلُ إِلَىٰ شُرَكَآئِهِمْۗ سَآءَ مَا يَحْكُمُونَ

আর তারা তো আল্লাহর জন্য আল্লাহর সৃষ্টি ফসলের ক্ষেত ও গবাদি পশুদের হতে একটা অংশ নির্দিষ্ট করে, অতঃপর তারা তাদের ধারণা অনুযায়ী বলে, এটা হচ্ছে আল্লাহর জন্যে, আর এই অংশ হচ্ছে আমাদের শরিকদের জন্যে। অতঃপর যা তাদের শরিকদের জন্য নির্দিষ্ট করে তা কিন্তু আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না। অথচ যা কিছু আল্লাহর জন্যে নির্দিষ্ট করে, পরে তা তাদের শরীকদের কাছে পৌঁছে যায়। তাদের এই ফায়সালা কতই না নিকৃষ্ট !

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَكَذَٰلِكَ زَيَّنَ لِكَثِيرٍ مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ قَتْلَ أَوْلَٰدِهِمْ شُرَكَآؤُهُمْ لِيُرْدُوهُمْ وَلِيَلْبِسُوا۟ عَلَيْهِمْ دِينَهُمْۖ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَا فَعَلُوهُۖ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُونَ


এভাবেই তো মুশরিকদেরকে নিজেদের সন্তান (ধর্ম যুদ্ধে) বলি দেওয়ার মতো কাজটাকে তাদের ধর্ম নেতারা কতই না সুন্দর করে সাজিয়ে দেখাচ্ছে - যাতে তারা ধ্বংস হয়ে যায়। আর তাদের জীবন ব্যবস্থাকে যেন দুর্বোধ্য করতে পারে। আল্লাহ যদি ইচ্ছা না করতেন, তাহলে তারা এমন করতে পারতো না। অতএব তাদেরকে তাদের অবস্থায় ছেড়ে দাও। তারা যা কিছু রচনা করছে (তা নিয়ে পড়ে থাকুক)।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَقَالُوا۟ هَٰذِهِۦٓ أَنْعَٰمٌ وَحَرْثٌ حِجْرٌ لَّا يَطْعَمُهَآ إِلَّا مَن نَّشَآءُ بِزَعْمِهِمْ وَأَنْعَٰمٌ حُرِّمَتْ ظُهُورُهَا وَأَنْعَٰمٌ لَّا يَذْكُرُونَ ٱسْمَ ٱللَّهِ عَلَيْهَا ٱفْتِرَآءً عَلَيْهِۚ سَيَجْزِيهِم بِمَا كَانُوا۟ يَفْتَرُونَ


তারা তাদের ধারণা অনুযায়ী বলে, এই গবাদিপশুগুলো ও ক্ষেত ফসল সুরক্ষিত। আমরা যাকে ইচ্ছা করবো সে ছাড়া তা কেউ খেতে পারবে না। কিছু গবাদিপশু তাদের পিঠে কিছু উঠাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, আবার কোনো জন্তু জবাই করার সময়ে তার উপর আল্লাহর নাম স্মরণ করে না। তারা আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করে। তারা যা মিথ্যা রচনা করছে, এ কারণে শীঘ্রই তিনি তাদেরকে উপযুক্ত প্রতিফল দিবেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَقَالُوا۟ مَا فِى بُطُونِ هَٰذِهِ ٱلْأَنْعَٰمِ خَالِصَةٌ لِّذُكُورِنَا وَمُحَرَّمٌ عَلَىٰٓ أَزْوَٰجِنَاۖ وَإِن يَكُن مَّيْتَةً فَهُمْ فِيهِ شُرَكَآءُۚ سَيَجْزِيهِمْ وَصْفَهُمْۚ إِنَّهُۥ حَكِيمٌ عَلِيمٌ


তারা একথাও বলে, এই গবাদিপশুগুলোর পেটের মধ্যে যা রয়েছে, তা বিষেশভাবে আমাদের পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট আর আমাদের স্ত্রীলোকদের জন্য নিষিদ্ধ। আর যদি তা মৃত হয়, তবে তার মধ্যে (নারী-পুরুষ) উভয়েই অংশীদার হবে। শীঘ্রই তিনি তাদের এরূপ বিশ্লেষণের উপযুক্ত প্রতিফল দিবেন। নিশ্চয়ই তিনি হলেন মহা বৈজ্ঞানিক ও মহাজ্ঞানী।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قَدْ خَسِرَ ٱلَّذِينَ قَتَلُوٓا۟ أَوْلَٰدَهُمْ سَفَهًۢا بِغَيْرِ عِلْمٍ وَحَرَّمُوا۟ مَا رَزَقَهُمُ ٱللَّهُ ٱفْتِرَآءً عَلَى ٱللَّهِۚ قَدْ ضَلُّوا۟ وَمَا كَانُوا۟ مُهْتَدِينَ


নিশ্চয়ই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা নির্বুদ্ধিতার কারণে তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করেছে (কোরআনের) কোনো শিক্ষা না দিয়ে। আর আল্লাহ যা তাদের জীবিকা দিয়েছেন, তা যারা নিষিদ্ধ করে আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করে যায়, নিশ্চিয়ই তারা পথভ্রষ্ট। আর তারা সঠিক পথের অনুগামীও নয়।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱلَّذِىٓ أَنشَأَ جَنَّٰتٍ مَّعْرُوشَٰتٍ وَغَيْرَ مَعْرُوشَٰتٍ وَٱلنَّخْلَ وَٱلزَّرْعَ مُخْتَلِفًا أُكُلُهُۥ وَٱلزَّيْتُونَ وَٱلرُّمَّانَ مُتَشَٰبِهًا وَغَيْرَ مُتَشَٰبِهٍۚ كُلُوا۟ مِن ثَمَرِهِۦٓ إِذَآ أَثْمَرَ وَءَاتُوا۟ حَقَّهُۥ يَوْمَ حَصَادِهِۦۖ وَلَا تُسْرِفُوٓا۟ۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلْمُسْرِفِينَ

তিনিই তো মাচানওয়ালা ও মাচান ছাড়া সব রকমের জান্নাত-বাগান (দুনিয়াতে) সৃষ্টি করে রেখেছেন। খেজুর আর ফসল ক্ষেত, যাতে বিভিন্ন রকম ফলমূল হয়। জলপাই ও আনার, একই রকমের ও বিভিন্ন ধরনের। যখন ফসল তৈরী হবে, তখন তোমরা এ সব ফলমূল থেকে খাবে। আর তাঁর জন্য নির্দিষ্ট অংশ (লাভের পাচ ভাগের একভাগ) তা থেকে ফসল কাটার সময়েই দিয়ে দিবে। তোমরা অপব্যয় করবে না (অর্থাৎ ভুল জায়গায় দান করবেনা)। নিশ্চয়ই তিনি অপব্যয়কারীদেরকে ভালোবাসেন না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمِنَ ٱلْأَنْعَٰمِ حَمُولَةً وَفَرْشًاۚ كُلُوا۟ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعُوا۟ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيْطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ


আর চার পেয়ে জন্তুর মধ্য হতে বোঝা বহন করতে পারে এমনও রয়েছে। আর মাটির সাথে মিশে থাকে এমনও সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে জীবিকা দিয়েছেন তোমরা তা থেকে খাবে। তোমরা শয়তানের পদাঙ্কসমূহের অনুসরণ করবে না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ثَمَٰنِيَةَ أَزْوَٰجٍۖ مِّنَ ٱلضَّأْنِ ٱثْنَيْنِ وَمِنَ ٱلْمَعْزِ ٱثْنَيْنِۗ قُلْ ءَآلذَّكَرَيْنِ حَرَّمَ أَمِ ٱلْأُنثَيَيْنِ أَمَّا ٱشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ أَرْحَامُ ٱلْأُنثَيَيْنِۖ نَبِّـُٔونِى بِعِلْمٍ إِن كُنتُمْ صَٰدِقِينَ

(এসব পশুর) মোট আটটি শ্রেণী রয়েছে। ভেড়াগুলোর দু'টি শ্রেণী আর ছাগলগুলোর দু'টি শ্রেণী রয়েছে। তুমি জিজ্ঞাসা কর। নর দু'টিকে হারাম করা হয়েছে ? না মাদী দু'টিকে ? না ওদের পেটে যে বাচ্চা শামিল রয়েছে তা ? তোমরা জেনে শুনে আমাকে জানাও। যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাকো।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَمِنَ ٱلْإِبِلِ ٱثْنَيْنِ وَمِنَ ٱلْبَقَرِ ٱثْنَيْنِۗ قُلْ ءَآلذَّكَرَيْنِ حَرَّمَ أَمِ ٱلْأُنثَيَيْنِ أَمَّا ٱشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ أَرْحَامُ ٱلْأُنثَيَيْنِۖ أَمْ كُنتُمْ شُهَدَآءَ إِذْ وَصَّىٰكُمُ ٱللَّهُ بِهَٰذَاۚ فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا لِّيُضِلَّ ٱلنَّاسَ بِغَيْرِ عِلْمٍۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِينَ

আর উটের মধ্যে দু'টি এবং গরুর মধ্যেও দু'টি শ্রেণী রয়েছে। তুমি জিজ্ঞাসা কর, নর দু'টি হারাম করা হয়েছে ? না মাদী দু'টিকে ? অথবা যে বাচ্চা এখনও পেটের মধ্যে রয়েছে, তাও ? তখন কি তোমরা সেখানে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলে ? যে ওছিয়াত আল্লাহ এই (কোরআনের) মাধ্যমে তোমাদেরকে করেছেন। অতএব তার চেয়ে কে আর বড় সীমালঙ্ঘনকারী হতে পারে, যে না জেনে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যে আল্লাহর উপরে মিথ্যা অপবাদ দেয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُل لَّآ أَجِدُ فِى مَآ أُوحِىَ إِلَىَّ مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٍ يَطْعَمُهُۥٓ إِلَّآ أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُۥ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ ٱللَّهِ بِهِۦۚ فَمَنِ ٱضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

তুমি বলে দাও , ‘আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর উপর কোন হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের মাংস হয়- কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র কিংবা এমন অবৈধ যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য যবেহ করা হয়েছে। তবে যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে তা গ্রহণে বাধ্য হয়েছে, তাহলে নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَعَلَى ٱلَّذِينَ هَادُوا۟ حَرَّمْنَا كُلَّ ذِى ظُفُرٍۖ وَمِنَ ٱلْبَقَرِ وَٱلْغَنَمِ حَرَّمْنَا عَلَيْهِمْ شُحُومَهُمَآ إِلَّا مَا حَمَلَتْ ظُهُورُهُمَآ أَوِ ٱلْحَوَايَآ أَوْ مَا ٱخْتَلَطَ بِعَظْمٍۚ ذَٰلِكَ جَزَيْنَٰهُم بِبَغْيِهِمْۖ وَإِنَّا لَصَٰدِقُونَ


যারা হেদায়েতের দাবীদার (ইহুদী) ‘তাদের উপর নখবিশিষ্ট সব জন্তু হারাম করেছি। এবং গরু ও ছাগলের মধ্য হতে উভয়ের চর্বিগুলো তাদের উপর হারাম করেছি। তবে পিঠ, বা আঁত, অথবা হাড়ের সাথে যা মিলিত হয়ে থাকে, সেটা ভিন্ন কথা। এ প্রতিফল আমি তাদেরকে দিয়েছি তাদেরই অবাধ্যতার কারণে। নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

فَإِن كَذَّبُوكَ فَقُل رَّبُّكُمْ ذُو رَحْمَةٍ وَٰسِعَةٍ وَلَا يُرَدُّ بَأْسُهُۥ عَنِ ٱلْقَوْمِ ٱلْمُجْرِمِينَ


অতঃপর তারা যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে তুমি বলে দাও, তোমাদের প্রতিপালক তো সুপ্রশস্ত ও ব্যাপক দয়ার অধিকারী। আর তাঁর শাস্তি অপরাধী সম্প্রদায়ের থেকে ফিরানো হবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

سَيَقُولُ ٱلَّذِينَ أَشْرَكُوا۟ لَوْ شَآءَ ٱللَّهُ مَآ أَشْرَكْنَا وَلَآ ءَابَآؤُنَا وَلَا حَرَّمْنَا مِن شَىْءٍۚ كَذَٰلِكَ كَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ حَتَّىٰ ذَاقُوا۟ بَأْسَنَاۗ قُلْ هَلْ عِندَكُم مِّنْ عِلْمٍ فَتُخْرِجُوهُ لَنَآۖ إِن تَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَإِنْ أَنتُمْ إِلَّا تَخْرُصُونَ

যারা শিরক্ করেছে, তারা শীঘ্রই বলবে, আল্লাহ যদি ইচ্ছে না করতেন, তাহলে আর আমরা শিরক্ করতাম না। আমাদের বাপ-দাদারাও তেমন করতো না। আর কোনও জিনিসকে আমরা হারাম করতাম না। এভাবেই তো ওদের থেকে পূর্বে যারা ছিল, তারাও তো মিথ্যা বলেছে আমার শাস্তির স্বাদ  না পাওয়া পর্যন্ত। তুমি বলে দাও, তোমাদের কাছে কোনো তথ্য-জ্ঞান আছে কি ? থাকলে তা বের করে আন আমাদের সামনে। তোমরা তো শুধু মিথ্যা রচনা করে যাচ্ছ। তোমরা তো আন্দাজের উপরেই তীর চালিয়ে যাচ্ছ, এছাড়া আর কি ?

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ فَلِلَّهِ ٱلْحُجَّةُ ٱلْبَٰلِغَةُۖ فَلَوْ شَآءَ لَهَدَىٰكُمْ أَجْمَعِينَ


তুমি বলে দাও ! পরিপূর্ণ ও চূড়ান্ত যুক্তিপ্রমাণ তো কেবল আল্লাহরই জন্যে ! অতঃপর তোমরা যদি আল্লাহর ইচ্ছাকে মেনে নাও, তাহলে আল্লাহ তোমাদের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ هَلُمَّ شُهَدَآءَكُمُ ٱلَّذِينَ يَشْهَدُونَ أَنَّ ٱللَّهَ حَرَّمَ هَٰذَاۖ فَإِن شَهِدُوا۟ فَلَا تَشْهَدْ مَعَهُمْۚ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَآءَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا وَٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱلْءَاخِرَةِ وَهُم بِرَبِّهِمْ يَعْدِلُونَ


তুমি বলে দাও ! তোমরা তোমাদের সাক্ষীদেরকে উপস্থিত করো। যারা সাক্ষী হিসেবে বলবে, আল্লাহ এসব নিষেধ করেছেন। তারা যদি সাক্ষ্য দেয়, তাহলে তুমি তাদের সাথে মোটেই সাক্ষ্য দিবে না। যারা আমার আয়াতগুলোর প্রতি মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তাদেরকে মোটেই অনুসরণ করবে না। আর যারা আখিরাতে বিশ্বাসী নয়, তারাই তো তাদের প্রতিপালকের সাথে অন্যান্যকেও সমতুল্য করে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ تَعَالَوْا۟ أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْۖ أَلَّا تُشْرِكُوا۟ بِهِۦ شَيْـًٔاۖ وَبِٱلْوَٰلِدَيْنِ إِحْسَٰنًاۖ وَلَا تَقْتُلُوٓا۟ أَوْلَٰدَكُم مِّنْ إِمْلَٰقٍۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْۖ وَلَا تَقْرَبُوا۟ ٱلْفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَۖ وَلَا تَقْتُلُوا۟ ٱلنَّفْسَ ٱلَّتِى حَرَّمَ ٱللَّهُ إِلَّا بِٱلْحَقِّۚ ذَٰلِكُمْ وَصَّىٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ

তুমি বলে দাও ! আসো তোমরা। আমি তিলাওয়াত করি, যা তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের উপর নিষেধ করেছেন। যেন তোমরা তাঁর (কোরআনের) সাথে কোনো কিছুকে শরীক না কর এবং পিতা-মাতার সাথে তোমরা সদ্ব্যবহার অবশ্যই করবে। অভাবের ভয়ে তোমাদের সন্তান সন্ততিকে (কোরআনের সত্য বিদ্যা না শিখিয়ে) হত্যা (কতল) করবে না। কারণ, আমিই তো তোমাদেরকে জীবিকা দান করে থাকি আর তাদেরকেও। তোমরা প্রকাশ্য কিংবা গোপন অশ্লীলতার কাছেও যাবে না। তোমরা এমন কাউকে হত্যা করবে না, আল্লাহ যাকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। তবে ন্যায় বিচারের কথা ভিন্ন। এসবের ব্যাপারে তিনি তোমাদেরকে জোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তোমরা অনুধাবন কর।*

*6(151) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 27(92)...।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَلَا تَقْرَبُوا۟ مَالَ ٱلْيَتِيمِ إِلَّا بِٱلَّتِى هِىَ أَحْسَنُ حَتَّىٰ يَبْلُغَ أَشُدَّهُۥۖ وَأَوْفُوا۟ ٱلْكَيْلَ وَٱلْمِيزَانَ بِٱلْقِسْطِۖ لَا نُكَلِّفُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَاۖ وَإِذَا قُلْتُمْ فَٱعْدِلُوا۟ وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَىٰۖ وَبِعَهْدِ ٱللَّهِ أَوْفُوا۟ۚ ذَٰلِكُمْ وَصَّىٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

আর তোমরা অনাথদের সম্পদের নিকটেও যাবে না। তবে এমনভাবে যা অতি উত্তম। তারা বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত। পরিমাপ ও ওজনে মাল ঠিক রেখেই লেনদেন পুরাপুরি ঠিক রাখবে। আমি কাউকে তার সাধ্য শক্তির তুলনায় বেশি কিছু দায়িত্ব ন্যস্ত করি না। যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ন্যায় বিচার কায়েম রাখবে। হোক না সে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। আল্লাহর সাথে যে প্রতিজ্ঞা রয়েছে, তা পুরণ করবে। তোমাদেরকে এসব ব্যাপারেই জোর নির্দেশ দিচ্ছেন। সম্ভবতঃ তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَأَنَّ هَٰذَا صِرَٰطِى مُسْتَقِيمًا فَٱتَّبِعُوهُۖ وَلَا تَتَّبِعُوا۟ ٱلسُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَن سَبِيلِهِۦۚ ذَٰلِكُمْ وَصَّىٰكُم بِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

আর এই কোরআনই হচ্ছে আমার সুপ্রতিষ্ঠিত পথ, অতএব তোমরা এরই অনুসরণ কর। তোমরা বহু পথের অনুসরণ করবে না। তাহলে (শয়তান) তোমাদেরকে তাঁর একটি পথ হতে বিছিন্ন করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে এসব ব্যাপারে জোর নির্দেশ দেন, সম্ভবতঃ তোমরা সংযত হবে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

ثُمَّ ءَاتَيْنَا مُوسَى ٱلْكِتَٰبَ تَمَامًا عَلَى ٱلَّذِىٓ أَحْسَنَ وَتَفْصِيلًا لِّكُلِّ شَىْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لَّعَلَّهُم بِلِقَآءِ رَبِّهِمْ يُؤْمِنُونَ

এরপর আমিই তো মূসাকে সম্পূর্ণ আল কিতাব দান করেছি। যারা সৎকাজ করে তাদের জন্যই। তাতে রয়েছে প্রত্যেকটি জরুরী জিনিসের বিস্তারিত বিবরণ, সঠিক পথ-নির্দেশ ও দয়া। যাতে তারা তাদের প্রতিপালকের প্রতি সাক্ষাতের ব্যাপারে বিশ্বাস করতে পারে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهَٰذَا كِتَٰبٌ أَنزَلْنَٰهُ مُبَارَكٌ فَٱتَّبِعُوهُ وَٱتَّقُوا۟ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ


আর এই কিতাবটি আমি অবতীর্ণ করেছি, যা কল্যাণময়। অতএব তোমরা তার অনুসরণ কর এবং সাবধান হয়ে যাও, সম্ভবতঃ তোমাদের (প্রতি) দয়া প্রদর্শন করা হবে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

أَن تَقُولُوٓا۟ إِنَّمَآ أُنزِلَ ٱلْكِتَٰبُ عَلَىٰ طَآئِفَتَيْنِ مِن قَبْلِنَا وَإِن كُنَّا عَن دِرَاسَتِهِمْ لَغَٰفِلِينَ


যেন তোমরা এ কথা না বলতে পার, আমাদের পূর্বের দু'টি দলের উপরেই তো আল কিতাব অবতীর্ণ করা হয়েছে। আর নিশ্চয়ই আমরা তাদের অধ্যায়ন সম্বন্ধে ছিলাম অনবহিত। 

সূরা : সুরা আন্আ'ম

أَوْ تَقُولُوا۟ لَوْ أَنَّآ أُنزِلَ عَلَيْنَا ٱلْكِتَٰبُ لَكُنَّآ أَهْدَىٰ مِنْهُمْۚ فَقَدْ جَآءَكُم بَيِّنَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَهُدًى وَرَحْمَةٌۚ فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّن كَذَّبَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَصَدَفَ عَنْهَاۗ سَنَجْزِى ٱلَّذِينَ يَصْدِفُونَ عَنْ ءَايَٰتِنَا سُوٓءَ ٱلْعَذَابِ بِمَا كَانُوا۟ يَصْدِفُونَ


কিংবা তোমরা যেন এ কথা না বলতে পার যে, আমাদের উপর যদি একটি কিতাব অবতীর্ণ করা হতো তবে নিশ্চয়ই আমরা তাদের অপেক্ষা অধিক সৎপথপ্রাপ্ত হতাম। নিশ্চয়ই এখন তোমাদের কাছে এসেছে সুস্পষ্ট প্রমাণ যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সঠিক পথ নির্দেশনা ও দয়া। অতএব তার চেয়ে বড় সীমালঙ্ঘনকারী কে হতে পারে ? যে আল্লাহর আয়াতসমূহের প্রতি মিথ্যারোপ করে আর তা থেকে মূখ ফিরিয়ে নেয়- শীঘ্রই আমি তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দিয়ে প্রতিফল দিব। যারা আমার নিদর্শনাবলী থেকে মূখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণেই।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّآ أَن تَأْتِيَهُمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ أَوْ يَأْتِىَ رَبُّكَ أَوْ يَأْتِىَ بَعْضُ ءَايَٰتِ رَبِّكَۗ يَوْمَ يَأْتِى بَعْضُ ءَايَٰتِ رَبِّكَ لَا يَنفَعُ نَفْسًا إِيمَٰنُهَا لَمْ تَكُنْ ءَامَنَتْ مِن قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِىٓ إِيمَٰنِهَا خَيْرًاۗ قُلِ ٱنتَظِرُوٓا۟ إِنَّا مُنتَظِرُونَ

এছাড়া আর কিসের জন্য তারা অপেক্ষা করছে যে তাদের কাছে মালা-ইকারা আসবে, কিংবা তোমার প্রতিপালক নিজেই আসবেন, অথবা তোমার প্রতিপালকের কিছু নির্দেশ এসে পৌঁছাবে। সে দিন প্রতিপালকের কোন নির্দেশ যদি এসেই যায়, তখন (সে সব দেখে) তো আর কারো ঈমান গ্রহণে কোনও উপকার দিবে না। যদি তার পূর্বে ঈমান না এনে থাকে কিংবা ঈমানদার অবস্থায় ভালো কিছু অর্জন করে না থাকে। তুমি বলে দাও ! তোমরা সবাই অপেক্ষা করো, আমরাও প্রতীক্ষায় রইলাম।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

إِنَّ ٱلَّذِينَ فَرَّقُوا۟ دِينَهُمْ وَكَانُوا۟ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِى شَىْءٍۚ إِنَّمَآ أَمْرُهُمْ إِلَى ٱللَّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُوا۟ يَفْعَلُونَ


নিশ্চয় যারা নিজেদের জীবন ব্যবস্থা হিসেবে নানান মাযহাব আবিষ্কার করেছে, আর নানান মাযহাবে ভাগ হয়ে গেছে, তাদের ব্যাপারে তোমার কোনও দায়িত্ব নেই। মূলতঃ তাদের কাজকর্ম আল্লাহর উপরেই ন্যাস্ত রয়েছে। এরপর তিনি তাদেরকে ঐ বিষয়ে জানিয়ে দিবেন, যে সব কাজকর্ম তারা করেছে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

مَن جَآءَ بِٱلْحَسَنَةِ فَلَهُۥ عَشْرُ أَمْثَالِهَاۖ وَمَن جَآءَ بِٱلسَّيِّئَةِ فَلَا يُجْزَىٰٓ إِلَّا مِثْلَهَا وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ

যে কেউ সৎকর্ম নিয়ে (আল্লাহর কাছে)  আসবে, তবে তার জন্যে তার পরিমাণের দশগুণ রয়েছে। আর যে কেউ অসৎকর্ম নিয়ে আসবে, তবে তাকে তার সমপরিমাণ প্রতিদান ছাড়া দেয়া হবে না। আর তাদের সাথে মোটেই অবিচার করা হবে না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ إِنَّنِى هَدَىٰنِى رَبِّىٓ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ دِينًا قِيَمًا مِّلَّةَ إِبْرَٰهِيمَ حَنِيفًاۚ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ

তুমি বলে দাও ! আমাকে তো আমার প্রতিপালক সুদৃঢ় পথই দেখিয়েছেন, চিরস্থায়ী জীবন ব্যবস্থা ইবরাহীমের পথপন্থা, যা স্বতন্ত্র। ইবরাহীম তো আর মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত না।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ إِنَّ صَلَاتِى وَنُسُكِى وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِى لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ

তুমি বলে দাও ! আমার দায়িত্ব পালন, আমার দাসত্ব, আমার জীবন, আমার মরণ বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

لَا شَرِيكَ لَهُۥۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا۠ أَوَّلُ ٱلْمُسْلِمين

তাঁর কোন শরীক নেই। আমাকে তো এই নির্দেশ দান করা হয়েছে। আর আমিই আত্মসমর্পণকারী-মুসলিমদের মধ্যে প্রথম ।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

قُلْ أَغَيْرَ ٱللَّهِ أَبْغِى رَبًّا وَهُوَ رَبُّ كُلِّ شَىْءٍۚ وَلَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ إِلَّا عَلَيْهَاۚ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰۚ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّكُم مَّرْجِعُكُمْ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ

তুমি বলে দাও ! আমি আল্লাহ ছাড়া প্রতিপালক হিসেবে অন্য কাউকে খুঁজতে যাব নাকি ! অথচ আল্লাহ হলেন সব কিছুর প্রতিপালক ! আর যে যতটুকু অর্জন করে ততটুকুই সে পাবে। আর কোনো বোঝা বহনকারী অন্য কারোর বোঝা বহন করবে না। এরপর তোমাদের প্রতিপালকের দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন, ঐ বিষয়ে যার মধ্যে তোমরা মতবিরোধ করতে।

সূরা : সুরা আন্আ'ম

وَهُوَ ٱلَّذِى جَعَلَكُمْ خَلَٰٓئِفَ ٱلْأَرْضِ وَرَفَعَ بَعْضَكُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَٰتٍ لِّيَبْلُوَكُمْ فِى مَآ ءَاتَىٰكُمْۗ إِنَّ رَبَّكَ سَرِيعُ ٱلْعِقَابِ وَإِنَّهُۥ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌۢ

আর তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে (একের পর এক আনয়নের মাধ্যমে) প্রতিনিধি করেছেন। এবং একে অন্যের উপর মর্যাদা দান করেছেন যাতে, এ বিষয়ে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন, যা তোমাদেরকে দিয়েছেন। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক দ্রুত প্রতিদান প্রদানকারী এবং নিশ্চয় তিনি হলেন অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।