সূরা : সূরা আল মাআরিজ
سَاَلَ سَآئِلٌۢ بِعَذَابٍ وَّاقِعٍ ۙ
এক প্রশ্নকারী জিজ্ঞাসা করে এমন শাস্তি সম্পর্কে, যা আপতিত হবে।
سَاَلَ سَآئِلٌۢ بِعَذَابٍ وَّاقِعٍ ۙ
এক প্রশ্নকারী জিজ্ঞাসা করে এমন শাস্তি সম্পর্কে, যা আপতিত হবে।
لِّلْكٰفِرِيْنَ لَيْسَ لَهٗ دَافِعٌ ۙ
কাফিরদের জন্যই, যার কোনো প্রতিরোধকারী নেই।
مِّنَ اللّٰهِ ذِي الْمَعَارِجِ ؕ
তা ঊর্ধ্বারোহণের সোপানসমূহের অধিকারী আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসবে।
تَعْرُجُ الْمَلٰٓئِكَةُ وَالرُّوْحُ اِلَيْهِ فِيْ يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهٗ خَمْسِيْنَ اَلْفَ سَنَةٍ ۚ
মালা-ইকারা ও বিশেষ রূহ এমন একদিনের মধ্যে আল্লাহর দিকে চড়ে থাকে, যার পরিমাপ হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার বছর।
يَوْمَ تَكُوْنُ السَّمَآءُ كَالْمُهْلِ ۙ
আর সেদিন আকাশ গলিত ধাতুর মতো হয়ে যাবে।
وَلَا يَسْـَٔلُ حَمِيْمٌ حَمِيْمًا ۚۖ
আর এক অন্তরঙ্গ বন্ধু আরেক বন্ধুকে কোনো কথাই জিজ্ঞাসা করবে না।
يُّبَصَّرُوْنَهُمْ ؕ يَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِيْ مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍۭ بِبَنِيْهِ
অথচ তারা একে অন্যের সামনেই উপস্থিত থাকবে। অপরাধীরা আশা করবে, যদি কোনো মতে সেদিনকার শাস্তির বদলে তার সন্তানদেরকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে পারতো।
وَفَصِيْلَتِهِ الَّتِيْ تُــْٔوِيْهِ ۙ
আর তার জ্ঞাতি-গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত।
وَمَنْ فِي الْاَرْضِ جَمِيْعًا ۙ ثُمَّ يُنْجِيْهِ ۙ
আর যমীনের মধ্যে যাকিছু রয়েছে, সবকিছুরই বিনিময়ে সে নিজেকে শাস্তি থেকে মুক্ত করতে চাইবে।
تَدْعُوْا مَنْ اَدْبَرَ وَتَوَلّٰي ۙ
(জাহান্নামের আগুনের শিখা) তাদেরকে ডাকতে থাকবে যারা (কোরআন থেকে) পিঠ প্রদর্শন করে ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো।
اِنَّ الْاِنْسَانَ خُلِقَ هَلُوْعًا ۙ
নিশ্চয়ই মানুষ বড়ই দুর্বল সাহস নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে।
اِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ جَزُوْعًا ۙ
যখনই তাকে মন্দ কিছু স্পর্শ করে, তখনই সে ঘাবড়ে যায়।
وَّاِذَا مَسَّهُ الْخَيْرُ مَنُوْعًا ۙ
আর যখন তাকে কল্যাণ তথা ধন-সম্পদ ধরা দেয়, তখনই সে কৃপণ হয়ে যায়।
الَّذِيْنَ هُمْ عَلٰي صَلَاتِهِمْ دَآئِمُوْنَ ۪ۙ
যারা দায়িত্ব পালন নিয়মিতভাবে সব সময় করে থাকে।
وَالَّذِيْنَ فِيْۤ اَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَّعْلُوْمٌ ۪ۙ
আর যাদের ধন-সম্পদে অধিকার সুনির্দিষ্ট রয়েছে।
وَالَّذِيْنَ يُصَدِّقُوْنَ بِيَوْمِ الدِّيْنِ ۪ۙ
আর যারা ফায়সালার দিনকে সত্য বলে জানে ও মানে।
وَالَّذِيْنَ هُمْ مِّنْ عَذَابِ رَبِّهِمْ مُّشْفِقُوْنَ ۚ
আর যারা তাদের প্রতিপালকের শাস্তির সম্পর্কে ভীত রয়েছে।
اِنَّ عَذَابَ رَبِّهِمْ غَيْرُ مَاْمُوْنٍ
নিশ্চয়ই তাদের প্রতিপালকের শাস্তি এমন নয় যে, সে বিষয়ে নির্ভয় হওয়া যায়।
وَالَّذِيْنَ هُمْ لِفُرُوْجِهِمْ حٰفِظُوْنَ ۙ
আর যারা নিজেদের গোপন অংগের হেফাজত করে থাকে।
اِلَّا عَلٰۤي اَزْوَاجِهِمْ اَوْ مَا مَلَكَتْ اَيْمَانُهُمْ فَاِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُوْمِيْنَ ۚ
তবে নিজেদের জোড়া (স্বামী কিংবা স্ত্রী), যারা অঙ্গীকার সূত্রে তাদের অধিকারভুক্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের উপরে কিছুমাত্র দোষারোপ করা হবে না।
فَمَنِ ابْتَغٰي وَرَآءَ ذٰلِكَ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الْعٰدُوْنَ ۚ
কিন্তু যে কেউ এই নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করবে, তারাই সীমালংঘনকারী।
وَالَّذِيْنَ هُمْ لِاَمٰنٰتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رٰعُوْنَ ۪ۙ
আর যারা নিজেদের কাছে গচ্ছিত আমানত ও নিজেদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে সতর্ক রয়েছে।
وَالَّذِيْنَ هُمْ بِشَهٰدٰتِهِمْ قَآئِمُوْنَ ۪ۙ
আর যারা নিজেদের সাক্ষীর উপর অটল থাকে।
وَالَّذِيْنَ هُمْ عَلٰي صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُوْنَ ؕ
আর যারা, তাদের নিজেদের দায়িত্ব পালনের উপর যত্নবান থাকে।
اُولٰٓئِكَ فِيْ جَنّٰتٍ مُّكْرَمُوْنَ ؕ
এরাই তো ঐসব লোক, যারা জান্নাতের মধ্যে বিশেষ সম্মানের অধিকারী হবে।
فَمَالِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا قِبَلَكَ مُهْطِعِيْنَ ۙ
অতএব সেই কাফিরদের অবস্থা কি দাঁড়াবে ? যারা তোমার সামনে দৌড়ে আসছে।
عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ عِزِيْنَ
ডান ও বাম দিক থেকে দলে দলে সমবেত হচ্ছে।
اَيَطْمَعُ كُلُّ امْرِيًٴ مِّنْهُمْ اَنْ يُّدْخَلَ جَنَّةَ نَعِيْمٍ ۙ
তাদের মধ্যে সবাই কি এমন আশা পোষণ করছে যে নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে ?
كَلَّا ؕ اِنَّا خَلَقْنٰهُمْ مِّمَّا يَعْلَمُوْنَ
না, তা কখনই নয়। আমি তাদেরকে যা থেকে সৃষ্টি করেছি, তারা তা জানে !
فَلَاۤ اُقْسِمُ بِرَبِّ الْمَشٰرِقِ وَالْمَغٰرِبِ اِنَّا لَقٰدِرُوْنَ ۙ
পূর্ব-দিকগুলো আর পশ্চিম-দিকগুলোর প্রতিপালকের শপথ ! নিশ্চয়ই আমি মহা-শক্তির মালিক।
عَلٰۤي اَنْ نُّبَدِّلَ خَيْرًا مِّنْهُمْ ۙ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوْقِيْنَ
তাদের বদলে আমি তাদের চেয়ে ভালো মানুষ নিয়ে আসবো। আর আমি তো দুর্বলও নই।
فَذَرْهُمْ يَخُوْضُوْا وَيَلْعَبُوْا حَتّٰي يُلٰقُوْا يَوْمَهُمُ الَّذِيْ يُوْعَدُوْنَ ۙ
সুতরাং তাদেরকে তুমি ছেড়ে দাও, তারা বেহুদা কথায় আর খেল-তামাশায় মত্ত থাকুক। যতক্ষণ না তারা সেদিনের দেখা পায়, যার ওয়াদা তাদের সাথে করা হয়েছে।
يَوْمَ يَخْرُجُوْنَ مِنَ الْاَجْدَاثِ سِرَاعًا كَاَنَّهُمْ اِلٰي نُصُبٍ يُّوْفِضُوْنَ ۙ
সেদিন তারা আজদাছ (পুরাতন দেহ) থেকে বেরিয়ে দৌঁড়াতে থাকবে, যেমন আপন লক্ষ্যের দিকে কেউ ধেয়ে যায়।
خَاشِعَةً اَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ ؕ ذٰلِكَ الْيَوْمُ الَّذِيْ كَانُوْا يُوْعَدُوْنَ
তাদের চোখগুলো নুয়ে থাকবে, লাঞ্ছনা তাদেরকে আছন্ন করবে। এটা সেই দিন। যার ওয়াদা তাদেরকে দেওয়া হয়েছিল।