সূরা : সূরা কাফ
قٓ ۟ۚ وَالْقُرْاٰنِ الْمَجِيْدِ ۚ ক্বা'ফ, সম্মানিত এই কোরআনের শপথ।
ক্বা'ফ, সম্মানিত এই কোরআনের শপথ।
قٓ ۟ۚ وَالْقُرْاٰنِ الْمَجِيْدِ ۚ ক্বা'ফ, সম্মানিত এই কোরআনের শপথ।
ক্বা'ফ, সম্মানিত এই কোরআনের শপথ।
بَلْ عَجِبُوْۤا اَنْ جَآءَهُمْ مُّنْذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْكٰفِرُوْنَ هٰذَا شَيْءٌ عَجِيْبٌ ۚ
বরং তারা এতেই অবাক হয়েছে যে, তাদেরই মধ্য হতে একজন সতর্ককারী তাদের কাছে এসেছে। তাই অস্বীকারকারীরা বলে, এটা বড়ই আজব ব্যাপার।
ءَاِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا ۚ ذٰلِكَ رَجْعٌۢ بَعِيْدٌ
আমরা যখন মারা যাবো, আর মাটিতে মিশে যাবো, (তখনও কি পূনরোথিত হবো)? 'সেই প্রত্যাবর্তন অনেক দূরের ব্যাপার।
قَدْ عَلِمْنَا مَا تَنْقُصُ الْاَرْضُ مِنْهُمْ ۚ وَعِنْدَنَا كِتٰبٌ حَفِيْظٌ
নিশ্চয়ই আমি জানি, তাদের (অঙ্গের) যে অংশ মাটি ক্ষয় করে দেয়। আর আমার কাছে তো সবকিছু সংরক্ষণকারী একটি কিতাব রয়েছে।
بَلْ كَذَّبُوْا بِالْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ فَهُمْ فِيْۤ اَمْرٍ مَّرِيْجٍ ব
রং মানুষেরা তো মহাসত্য কোরআনকে অস্বীকার করে, তা যখন তাদের কাছে আসে। অতএব তারা এবিষয়ে সংশয়ে দূদোল্যমান রয়েছে।
اَفَلَمْ يَنْظُرُوْۤا اِلَي السَّمَآءِ فَوْقَهُمْ كَيْفَ بَنَيْنٰهَا وَزَيَّنّٰهَا وَمَا لَهَا مِنْ فُرُوْجٍ
তবে কি মানুষেরা তাদের উপরে আকাশের দিকে লক্ষ্য করে না, আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি, কেমন সুন্দর করে তা সাজিয়ে রেখেছি। আর তাতে কোনো ফাটল নেই।
وَالْاَرْضَ مَدَدْنٰهَا وَاَلْقَيْنَا فِيْهَا رَوَاسِيَ وَاَنْۢبَتْنَا فِيْهَا مِنْ كُلِّ زَوْجٍۭ بَهِيْجٍ ۙ
আর ভূমিকে আমি বিস্তৃত করেছি, আর তাতে পর্বতমালা স্হাপন করেছি, আর তাতে আমি প্রত্যেক ধরণের নয়নজোড়ানো উদ্ভিদ জোড়া জোড়া উৎপন্ন করেছি।
تَبْصِرَةً وَّذِكْرٰي لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيْبٍ
(এ সব কিছু) দৃষ্টিপ্রসারণকারী ও শিক্ষাপ্রদ আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী প্রত্যেকটি দাসের জন্যে।
وَنَزَّلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً مُّبٰرَكًا فَاَنْۢبَتْنَا بِهٖ جَنّٰتٍ وَّحَبَّ الْحَصِيْدِ ۙ
আমিই তো আকাশ থেকে বরকতময় উপকারী পানি বর্ষণ করে থাকি। এরপর আমি তা দিয়ে বাগ-বাগিচা (জান্নাত) ও কৃষিজাত শস্যাদি উৎপন্ন করি।
وَالنَّخْلَ بٰسِقٰتٍ لَّهَا طَلْعٌ نَّضِيْدٌ ۙ
আর উঁচু খেজুর গাছসমূহ যার আছে থরে থরে সাজানো খেজুর গুচ্ছ।
رِّزْقًا لِّلْعِبَادِ ۙ وَاَحْيَيْنَا بِهٖ بَلْدَةً مَّيْتًا ؕ كَذٰلِكَ الْخُرُوْجُ
দাসদের জন্যে জীবিকা হিসেবে। আর তা দিয়ে আমি মৃত ভূমিকে জীবিত করি। এভাবেই বের করার কাজ সম্পন্ন হবে।
كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوْحٍ وَّاَصْحٰبُ الرَّسِّ وَثَمُوْدُ ۙ
তাদের পূর্বেও তো নূহের জাতি, রাস্ এর অধিবাসী ও ছামূদ, এসব জাতি মিথ্যা বলে অস্বীকার করেছে।
وَّاَصْحٰبُ الْاَيْكَةِ وَقَوْمُ تُبَّعٍ ؕ كُلٌّ كَذَّبَ الرُّسُلَ فَحَقَّ وَعِيْدِ
আইকার অধিবাসী ও ক্বওমে তুব্বা তথা কোরআন বহির্ভূত যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায় উপকরণের অনুসারী জাতি, প্রত্যেকেই রাসূলদেরকে মিথ্যা বলে অমান্য করেছে। ফলে আমার ভীতিপ্রদর্শন সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
اَفَعَيِيْنَا بِالْخَلْقِ الْاَوَّلِ ؕ بَلْ هُمْ فِيْ لَبْسٍ مِّنْ خَلْقٍ جَدِيْدٍ
আমি কি প্রথম বার সৃষ্টি করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি ? বরং তারা পুণরায় নতুন সৃষ্টি সম্পর্কে সন্দেহের মধ্যে রয়েছে।
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ وَنَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهٖ نَفْسُهٗ ۚۖ وَنَحْنُ اَقْرَبُ اِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيْدِ
আর নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি, আর আমি তার সম্পর্কে খুব জানি, তার নফস্/কুপ্রবৃত্তি যা তাঁকে কুমন্ত্রণা দেয়। আর আমি তার ঘাড়ের ধমনী/শিরার চেয়েও অধিক নিকটে থাকি।
اِذْ يَتَلَقَّي الْمُتَلَقِّيٰنِ عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيْدٌ
আর যখন দু'জন গ্রহণকারী (লেখক) ডান দিক থেকে ও বাম দিক থেকে বসে গ্রহণ করে থাকে।
مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ اِلَّا لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ
সে যে কোন কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।
وَجَآءَتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ؕ ذٰلِكَ مَا كُنْتَ مِنْهُ تَحِيْدُ 19
নিশ্চয়ই মৃত্যু যন্ত্রনা যথাযথই আসবে। (বলা হবে) এটি তো তাই যা হতে তুমি পালিয়ে থাকতে।
وَنُفِخَ فِي الصُّوْرِ ؕ ذٰلِكَ يَوْمُ الْوَعِيْدِ
আর পুনরায় যেদিন আকৃতি দেওয়া হবে, এটাই হবে সেই প্রতিশ্রুত দিন।
وَجَآءَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّعَهَا سَآئِقٌ وَّشَهِيْدٌ
আর প্রত্যেক ব্যক্তিই আমার সামনে আসবে। আর তার সাথে থাকবে একজন চালক আর একজন সাক্ষী।
لَقَدْ كُنْتَ فِيْ غَفْلَةٍ مِّنْ هٰذَا فَكَشَفْنَا عَنْكَ غِطَآءَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيْدٌ
নিশ্চয়ই তুমি এই দিনটি সম্পর্কে অবহেলাই করতে। এখন আমি তোমার উপর থেকে তোমার পর্দা সরিয়ে নিলাম, ফলে আজ তোমার দৃষ্টি খুব প্রখর হলো।
وَقَالَ قَرِيْنُهٗ هٰذَا مَا لَدَيَّ عَتِيْدٌ ؕ
তার সঙ্গী বলবে, এই তো আমার কাছে (প্রমাণ পত্র) রয়েছে।
اَلْقِيَا فِيْ جَهَنَّمَ كُلَّ كَفَّارٍ عَنِيْدٍ ۙ
(বলা হবে) প্রত্যেকটি ঔদ্ধত কট্রর কাফিরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করো।
مَّنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ مُّرِيْبِ ۙ
কল্যাণ কাজে বাধাদানকারী, সীমা লংঘনকারী ও সন্দেহপোষণকারী।
الَّذِيْ جَعَلَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَاَلْقِيٰهُ فِي الْعَذَابِ الشَّدِيْدِ
যে আল্লাহর সাথে অন্যকেও বিধানদাতা বানিয়েছে। তাই তাকে কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ করো।
قَالَ قَرِيْنُهٗ رَبَّنَا مَاۤ اَطْغَيْتُهٗ وَلٰكِنْ كَانَ فِيْ ضَلٰلٍۭ بَعِيْدٍ قَالَ قَرِيْنُهٗ رَبَّنَا مَاۤ اَطْغَيْتُهٗ وَلٰكِنْ كَانَ فِيْ ضَلٰلٍۭ بَعِيْدٍ
তার সঙ্গী বলবে, হে আমার প্রতিপালক ! আমি তাকে (কোরআন মানতে) অবাধ্য করিনি, কিন্তু সে নিজেই অনেক ঘোর বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলো।
قَالَ لَا تَخْتَصِمُوْا لَدَيَّ وَقَدْ قَدَّمْتُ اِلَيْكُمْ بِالْوَعِيْدِ
আল্লাহ বলবেন ! তোমরা আমার কাছে তর্কাতর্কি করো না। আমি তো আগেই তোমাদের কাছে সতর্ককারী পাঠিয়েছি।
مَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ وَمَاۤ اَنَا بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيْدِ
আমার কাছে কথার পরিবর্তন হয় না। আর আমিও দাসদের উপরে অবিচার করি না।
يَوْمَ نَقُوْلُ لِجَهَنَّمَ هَلِ امْتَلَاْتِ وَتَقُوْلُ هَلْ مِنْ مَّزِيْدٍ
সেদিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞাসা করবো, তুমি কি পরিপূর্ণ হয়েছ? এবং সে বলবে, আরো বেশি কিছু আছে কি ?
وَاُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِيْنَ غَيْرَ بَعِيْدٍ
আর জান্নাত মহৎব্যক্তিদের জন্যে নিকটে আনা হবে, দুরত্বে থাকবে না।
هٰذَا مَا تُوْعَدُوْنَ لِكُلِّ اَوَّابٍ حَفِيْظٍ ۚ
(বলা হবে) এটা তাই, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদের সাথে দেওয়া হয়েছিল, প্রত্যেকটি আল্লাহ অভিমুখী ও সীমার সংরক্ষণকারীদের জন্যে।
مَنْ خَشِيَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَيْبِ وَجَآءَ بِقَلْبٍ مُّنِيْبِ ۙ
যে দয়াময়কে না দেখে ভয় করে চলেছে, আর বিনীত অন্তরসহ উপস্থিত হয়েছে।
ادْخُلُوْهَا بِسَلٰمٍ ؕ ذٰلِكَ يَوْمُ الْخُلُوْدِ
এতে তোমরা সবাই শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে প্রবেশ কর, কেননা এটাই সেই চিরন্তন জীবনের দিন।
لَهُمْ مَّا يَشَآءُوْنَ فِيْهَا وَلَدَيْنَا مَزِيْدٌ
জান্নাতীরা যা কিছু চাইবে, সেখানে তাদের জন্যে তা সবই রয়েছে। আর আমার কাছে আরো অনেক কিছুই রয়েছে।
وَكَمْ اَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْنٍ هُمْ اَشَدُّ مِنْهُمْ بَطْشًا فَنَقَّبُوْا فِي الْبِلَادِ ؕ هَلْ مِنْ مَّحِيْصٍ
আর তোমাদের পূর্বেকার শতাব্দীতে আমি কতো জনগোষ্ঠী ধ্বংস করে দিয়েছি, যারা এদের চেয়েও শক্তিতে অধিক প্রবল ছিলো। আর তারা দেশ বিদেশে ভ্রমন করতো। কোথাও কি পালানোর জায়গা পেয়েছে ?
اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَذِكْرٰي لِمَنْ كَانَ لَهٗ قَلْبٌ اَوْ اَلْقَي السَّمْعَ وَهُوَ شَهِيْدٌ
যে ব্যক্তি মনোযোগের সাথে শুনবে আর যার সজীব অন্তর থাকবে, তার জন্যে এতে অবশ্যই উপদেশ নিহিত রয়েছে।
وَلَقَدْ خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِيْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ۖ وَّمَا مَسَّنَا مِنْ لُّغُوْبٍ
আর নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীকে এবং যা কিছু উভয়ের মাঝে রয়েছে সে সবকে ছয়টি পর্যায়কালে সৃষ্টি করেছি। আর তাতে আমাকে কোনো ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।
فَاصْبِرْ عَلٰي مَا يَقُوْلُوْنَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوْبِ ۚ
অতএব মানুষেরা যা কিছু বলছে, তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ করো, আর তুমি সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের প্রশংসার সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করবে
وَمِنَ الَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَاَدْبَارَ السُّجُوْدِ
এবং রাতের একাংশেও তুমি তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করবে এবং পরম আনুগত্য প্রকাশ করার পরেও।
وَاسْتَمِعْ يَوْمَ يُنَادِ الْمُنَادِ مِنْ مَّكَانٍ قَرِيْبٍ ۙ
শুনে রাখো, যেদিন একজন ঘোষণাকারী কাছে এসে ডাক দিবে।
يَّوْمَ يَسْمَعُوْنَ الصَّيْحَةَ بِالْحَقِّ ؕ ذٰلِكَ يَوْمُ الْخُرُوْجِ
সেদিন তারা সেই মহাগর্জন যথাযথভাবে শুনতে পারবে, সেটিই হবে বেরিয়ে আসার দিন।
اِنَّا نَحْنُ نُحْيٖ وَنُمِيْتُ وَاِلَيْنَا الْمَصِيْرُ ۙ
নিশ্চয়ই আমি জীবন দান করি, আর আমিই মৃত্যু দিই। আর আমার দিকেই তো ফিরে আসতে হবে।
يَوْمَ تَشَقَّقُ الْاَرْضُ عَنْهُمْ سِرَاعًا ؕ ذٰلِكَ حَشْرٌ عَلَيْنَا يَسِيْرٌ
যেদিন তাদের কাছ থেকে পৃথিবী বিদীর্ণ হয়ে যাবে, আর যখন তারা দৌঁড়াতে থাকবে। এই সমবেত করার কাজ আমার কাছে খুবই সহজ।
حْنُ اَعْلَمُ بِمَا يَقُوْلُوْنَ وَمَاۤ اَنْتَ عَلَيْهِمْ بِجَبَّارٍ ۟ فَذَكِّرْ بِالْقُرْاٰنِ مَنْ يَّخَافُ وَعِيْدِ
আমি ঐ বিষয়ে খুব জানি মানুষেরা যা কিছু বলছে। আর তুমি তাদের উপরে কোনো জোর-জবরদস্তিকারী নও। সুতরাং তুমি শুধু কুরআনের সাহায্যে তাদেরকে উপদেশ দিবে, যারা আমার সতর্কীকরণকে ভয় করে চলে।