সূরা : সুরা কাহাফ

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْۤ اَنْزَلَ عَلٰي عَبْدِهِ الْكِتٰبَ وَلَمْ يَجْعَلْ لَّهٗ عِوَجًا


সকল প্রশংসা শুধু আল্লাহর জন্যই। যিনি তাঁর দাসের উপর আল কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। আর তাতে কোনো বক্রতা রাখেননি। 

সূরা : সুরা কাহাফ

قَيِّمًا لِّيُنْذِرَ بَاْسًا شَدِيْدًا مِّنْ لَّدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِيْنَ الَّذِيْنَ يَعْمَلُوْنَ الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَهُمْ اَجْرًا حَسَنًا


এটা চিরস্থায়ী গ্রন্থ। যেনো সে তাঁর পক্ষ থেকে কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়। আর মু'মিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, যারা সংশোধনের কাজ করছে, তাদের জন্যই রয়েছে উত্তম পুরস্কার।

সূরা : সুরা কাহাফ

مَّاكِثِيْنَ فِيْهِ اَبَدًا


তার মধ্যে তারা চিরকাল বসবাস করবে। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَّيُنْذِرَ الَّذِيْنَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًا


আর তাদেরকেও যেনো সতর্ক করে দেয়, যারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন ! 

সূরা : সুরা কাহাফ

مَا لَهُمْ بِهٖ مِنْ عِلْمٍ وَّلَا لِاٰبَآئِهِمْ ؕ كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ اَفْوَاهِهِمْ ؕ اِنْ يَّقُوْلُوْنَ اِلَّا كَذِبًا


অথচ এ সম্পর্কে তাদের কোনো কিছুই জ্ঞান নেই। তাদের বাপ-দাদাদের কাছেও না। বড়ই সাংঘাতিক কথা, যা তাদের মুখগুলো থেকে বের হচ্ছে। মিথ্যা ছাড়া তারা কিছুই বলছে না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ عَلٰۤي اٰثَارِهِمْ اِنْ لَّمْ يُؤْمِنُوْا بِهٰذَا الْحَدِيْثِ اَسَفًا


সম্ভবতঃ তুমি তাদের পেছনে থেকে থেকে দুঃখে তোমার নিজের প্রাণ বিনাশ করে দেবে, যদি তারা এই (কোরআনের) হাদিসের উপর ঈমান না আনে। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَي الْاَرْضِ زِيْنَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ اَيُّهُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا


নিশ্চয়ই আমি জমিনের উপর যা বানিয়েছি তা শোভার জন্যে। যাতে আমি তাদেরকে পরীক্ষা করতে পারি। তাদের মধ্যে কাজে কে বেশী উত্তম? 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاِنَّا لَجٰعِلُوْنَ مَا عَلَيْهَا صَعِيْدًا جُرُزًا ؕ


তার উপর যা কিছু রয়েছে, নিশ্চয়ই সে সব আমি বিরান ভূমিতে পরিণত করবো। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اَمْ حَسِبْتَ اَنَّ اَصْحٰبَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيْمِ ۙ كَانُوْا مِنْ اٰيٰتِنَا عَجَبًا


তুমি মনে করেছো নাকি যে, গুহা ও রাকীমের (চিহ্নিত) অধিবাসীরা আমার নিদর্শনগুলোর মধ্যে আশ্চর্যজনক?

সূরা : সুরা কাহাফ

اِذْ اَوَي الْفِتْيَةُ اِلَي الْكَهْفِ فَقَالُوْا رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّيٴْ لَنَا مِنْ اَمْرِنَا رَشَدًا

যখন সেই যুবকগণ গুহার মধ্যে প্রবেশ করে, তখন যুবকরা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদেরকে আপনি আপনার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দান করুন। আর আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সহজ সাধ্য করে দিন।

সূরা : সুরা কাহাফ

فَضَرَبْنَا عَلٰۤي اٰذَانِهِمْ فِي الْكَهْفِ سِنِيْنَ عَدَدًا ۙ


অতঃপর আমি গুহার মধ্যে তাদের কানগুলোর উপর ঘুমের পর্দা দিয়ে দিই কয়েক বছর। 

সূরা : সুরা কাহাফ

ثُمَّ بَعَثْنٰهُمْ لِنَعْلَمَ اَيُّ الْحِزْبَيْنِ اَحْصٰي لِمَا لَبِثُوْۤا اَمَدًا


এরপর আবার আমি তাদেরকে জাগিয়ে তুলি। যেনো জানিয়ে দিতে পারি কতো দিন তারা গুহার মধ্যে অবস্থান করেছিল। দু'দলের মধ্যে তার গণনা সঠিকভাবে কাদের স্মরণ রয়েছে। 

সূরা : সুরা কাহাফ

نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ نَبَاَهُمْ بِالْحَقِّ ؕ اِنَّهُمْ فِتْيَةٌ اٰمَنُوْا بِرَبِّهِمْ وَزِدْنٰهُمْ هُدًي ۖ


আমি তোমার কাছে তাদের খবর সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। তারা ছিলো কয়েকজন যুবক, নিশ্চয়ই তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান আনে। আর আমি তাদের পথের দিশা বাড়িয়ে দিয়েছি।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَّرَبَطْنَا عَلٰي قُلُوْبِهِمْ اِذْ قَامُوْا فَقَالُوْا رَبُّنَا رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ لَنْ نَّدْعُوَا۠ مِنْ دُوْنِهٖۤ اِلٰـهًا لَّقَدْ قُلْنَاۤ اِذًا شَطَطًا


তাদের অন্তরগুলো দৃঢ় করে দিয়েছি। তারা যখন দাঁড়িয়ে উঠে তখন তারা বলতে লাগে, আমাদের প্রতিপালকই তো আকাশসমূহ ও পৃথিবীর প্রতিপালক। আমরা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বিধান দাতা হিসেবে কখনও ডাকবো না। আর যদি ডাকি তাহ'লে নিশ্চয়ই আমরা গর্হিত কথা বলবো। 

সূরা : সুরা কাহাফ

هٰۤؤُلَآءِ قَوْمُنَا اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِهٖۤ اٰلِهَةً ؕ لَوْلَا يَاْتُوْنَ عَلَيْهِمْ بِسُلْطٰنٍۭ بَيِّنٍ ؕ فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰي عَلَي اللّٰهِ كَذِبًا

এসব আমাদের স্বজাতির লোক, যারা তাঁকে বাদ দিয়ে বহু আইন দাতা গ্রহণ করেছে, কেনো তারা তাদের ব্যাপারে কোনও সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসে না? অতএব যে আল্লাহর উপরে মিথ্যা আরোপ করে, তার চেয়ে অধিক সীমালঙ্ঘনকারী আর কে? 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاِذِ اعْتَزَلْتُمُوْهُمْ وَمَا يَعْبُدُوْنَ اِلَّا اللّٰهَ فَاْوٗۤا اِلَي الْكَهْفِ يَنْشُرْ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِّنْ رَّحْمَتِهٖ وَيُهَيِّيٴْ لَكُمْ مِّنْ اَمْرِكُمْ مِّرْفَقًا


তোমরা যখন সেই (সীমালঙ্ঘনকারী মুশরিক) দল আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যাদের দাসত্ব করে তাদের থেকে তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়েছো, তখন তোমরা কোনো পাহাড়ের গুহার মধ্যে আশ্রয় নাও। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে তাঁর অনুগ্রহ বাড়িয়ে দিবেন। আর তোমাদের বন্ধুসূলভ কাজকর্ম সহজ করে দিবেন। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَتَرَي الشَّمْسَ اِذَا طَلَعَتْ تَّزٰوَرُ عَنْ كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِيْنِ وَاِذَا غَرَبَتْ تَّقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ وَهُمْ فِيْ فَجْوَةٍ مِّنْهُ ؕ ذٰلِكَ مِنْ اٰيٰتِ اللّٰهِ ؕ مَنْ يَّهْدِ اللّٰهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ ۚ وَمَنْ يُّضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَهٗ وَلِيًّا مُّرْشِدًا


তুমি সূর্যকে দেখবে যখন উদয় হয়, তখন তা তাদের গুহা থেকে ডান পাশ (দক্ষিণ) দিয়ে সরে যায়। আবার যখন অস্ত যায়, তখন তাদের বাম (উত্তর) পাশ দিয়ে অতিক্রম করে। অথচ তারা  গুহার প্রশস্তচত্বরে শায়িত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাদির মধ্য থেকে। যে কেউ আল্লাহর দেখানো পথে চলে, সেই সঠিক পথ পায়। আর যে পথভ্রষ্ট হয়, তখন কখনও তুমি তার জন্যে কোন পথ প্রদর্শক অলি পাবে না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَتَحْسَبُهُمْ اَيْقَاظًا وَّهُمْ رُقُوْدٌ ۖ وَّنُقَلِّبُهُمْ ذَاتَ الْيَمِيْنِ وَذَاتَ الشِّمَالِ ۖ وَكَلْبُهُمْ بَاسِطٌ ذِرَاعَيْهِ بِالْوَصِيْدِ ؕ لَوِ اطَّلَعْتَ عَلَيْهِمْ لَوَلَّيْتَ مِنْهُمْ فِرَارًا وَّلَمُلِئْتَ مِنْهُمْ رُعْبًا

তুমি তাদের মনে করবে জাগ্রত, অথচ তারা ঘুমন্ত। আমি তাদের ডানে ও বামে পাশ ফিরিয়ে দিই। তাদের কুকুর তার সামনের দু'পা (দু'হাত) গর্তের মুখের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে বসে থাকে। তুমি যদি তাদের দিকে উঁকি মেরে দেখতে, তা'হলে অবশ্যই তুমি তাদের দিকে পিঠ ফিরিয়ে পালিয়ে আসতে, আর অবশ্যই তাদের সম্পর্কে ভয় পেতে।*

*18(18),নং আয়াতের আরবী ذراعيه/" জিরা আইহী" শব্দের ব্যাখ্যায় 69(32),29(33),11(77)...।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَكَذٰلِكَ بَعَثْنٰهُمْ لِيَتَسَآءَلُوْا بَيْنَهُمْ ؕ قَالَ قَآئِلٌ مِّنْهُمْ كَمْ لَبِثْتُمْ ؕ قَالُوْا لَبِثْنَا يَوْمًا اَوْ بَعْضَ يَوْمٍ ؕ قَالُوْا رَبُّكُمْ اَعْلَمُ بِمَا لَبِثْتُمْ ؕ فَابْعَثُوْۤا اَحَدَكُمْ بِوَرِقِكُمْ هٰذِهٖۤ اِلَي الْمَدِيْنَةِ فَلْيَنْظُرْ اَيُّهَاۤ اَزْكٰي طَعَامًا فَلْيَاْتِكُمْ بِرِزْقٍ مِّنْهُ وَلْـيَؔ‍‍‍تَلَطَّفْ وَلَا يُشْعِرَنَّ بِكُمْ اَحَدًا

এভাবেই আমি তাদেরকে জাগিয়ে তুলি। যেন তারা তাদের মাঝে পরস্পরে জিজ্ঞাসা করে। তাদের মধ্য থেকে একজন কথক বলে, তোমরা এখানে কতকাল অবস্থান করেছো ? তারা বলে, আমরা অবস্থান করেছি একদিন কিংবা একদিনের কিছু অংশ। আবার তারা বলে, তোমাদের প্রতিপালকই এ সম্বন্ধে খুব ভালো জানেন, তোমরা কতকাল অবস্থান করেছো। এখন তোমরা তোমাদের একজনকে তোমাদের মুদ্রা দিয়ে এই মদিনা শহরটির দিকে পাঠিয়ে দাও। তবে সে যেন দেখে কোনটি পবিত্রতম খাদ্য, অতঃপর তোমাদের কাছে তা থেকে খাদ্য নিয়ে আসবে। আর সে যেন সতর্ক হয়, তোমাদের সম্বন্ধে কাউকে যেন টের পেতে না দেয়।

সূরা : সুরা কাহাফ

اِنَّهُمْ اِنْ يَّظْهَرُوْا عَلَيْكُمْ يَرْجُمُوْكُمْ اَوْ يُعِيْدُوْكُمْ فِيْ مِلَّتِهِمْ وَلَنْ تُفْلِحُوْۤا اِذًا اَبَدًا

নিশ্চয়ই তারা যদি তোমাদের সম্পর্কে টের পেয়ে যায়, তাহলে তারা তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করবে। অথবা তারা তোমাদেরকে তাদের পথপন্থায় ফিরিয়ে নিবে। তা'হলে তোমরা আর কখনও সফল হবে না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَكَذٰلِكَ اَعْثَرْنَا عَلَيْهِمْ لِيَعْلَمُوْۤا اَنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّاَنَّ السَّاعَةَ لَا رَيْبَ فِيْهَا ۚ اِذْ يَتَنَازَعُوْنَ بَيْنَهُمْ اَمْرَهُمْ فَقَالُوا ابْنُوْا عَلَيْهِمْ بُنْيَانًا ؕ رَبُّهُمْ اَعْلَمُ بِهِمْ ؕ قَالَ الَّذِيْنَ غَلَبُوْا عَلٰۤي اَمْرِهِمْ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَيْهِمْ مَّسْجِدًا

এভাবেই আমি তাদের সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি, যেন তারা জানতে পারে যে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর এও যে, বিশেষ সময় (কিয়ামত) আসবেই তাতে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা তাদের কাজে নিজেদের মাঝে পরস্পরে বিতর্ক শুরু করে, তখন তারা বলে, তোমরা তাদের উপরে সৌধ নির্মাণ করো। তাদের প্রতিপালকই তাদের সম্বন্ধে ভালো জানেন। যারা তাদের মতের উপর প্রবল হয়,তারা বলে, আমরা অবশ্যই তাদের উপর মাসজিদ নির্মাণ করবো।

সূরা : সুরা কাহাফ

سَيَقُوْلُوْنَ ثَلٰثَةٌ رَّابِعُهُمْ كَلْبُهُمْ ۚ وَيَقُوْلُوْنَ خَمْسَةٌ سَادِسُهُمْ كَلْبُهُمْ رَجْمًۢا بِالْغَيْبِ ۚ وَيَقُوْلُوْنَ سَبْعَةٌ وَّثَامِنُهُمْ كَلْبُهُمْ ؕ قُلْ رَّبِّيْۤ اَعْلَمُ بِعِدَّتِهِمْ مَّا يَعْلَمُهُمْ اِلَّا قَلِيْلٌ ۟ فَلَا تُمَارِ فِيْهِمْ اِلَّا مِرَآءً ظَاهِرًا ۪ وَّلَا تَسْتَفْتِ فِيْهِمْ مِّنْهُمْ اَحَدًا


সীঘ্রয় কিছু লোক বলবে, তারা ছিলো তিন জন, আর চতুর্থটি ছিলো তাদের কুকুর। আবার কিছু লোক আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ে একথাও বলবে, তারা ছিলো পাঁচজন, আর তাদের কুকুর নিয়ে তারা মোট ছয়জন। কিছু লোক একথাও বলবে, তারা ছিলো সাতজন, তাদের কুকুরটিকে নিয়ে আটজন। তুমি বলে দাও ! আমার প্রতিপালকই তাদের সংখ্যা সম্পর্কে ভালো জানেন। তাদেরকে অল্প সংখ্যক লোক ছাড়া জানে না। অতএব তুমি তাদের বিষয়ে মামুলি আলোচনা ছাড়া বিতর্ক করো না। আর তাদের বিষয়ে মানুষের মধ্যে থেকে কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করবে না।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَلَا تَقُوْلَنَّ لِشَايْءٍ اِنِّيْ فَاعِلٌ ذٰلِكَ غَدًا


আর তুমি কোনো কিছুর ব্যাপারে কখনও বলবে না যে,  নিশ্চয়ই আমি তা আগামীকাল করবো। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اِلَّاۤ اَنْ يَّشَآءَ اللّٰهُ ۫ وَاذْكُرْ رَّبَّكَ اِذَا نَسِيْتَ وَقُلْ عَسٰۤي اَنْ يَّهْدِيَنِ رَبِّيْ لِاَقْرَبَ مِنْ هٰذَا رَشَدًا


তবে আল্লাহ যদি ইচ্ছে করেন (সেটা ভিন্ন কথা)। যদি তুমি ভুলে যাও তাহলে তোমার প্রতিপালককে স্মরণ করবে। এবং বলবে, আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে এর চেয়ে নিকটবর্তী সত্যের পথ দেখাবেন।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَلَبِثُوْا فِيْ كَهْفِهِمْ ثَلٰثَ مِائَةٍ سِنِيْنَ وَازْدَادُوْا تِسْعًا


তা'হলে তারা তাদের গুহার মধ্যে তিন'শ বছর অবস্থান করার পরে তারা আরোও নয় (বছর) বেশি ছিলো?

সূরা : সুরা কাহাফ

قُلِ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا لَبِثُوْا ۚ لَهٗ غَيْبُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ اَبْصِرْ بِهٖ وَاَسْمِعْ ؕ مَا لَهُمْ مِّنْ دُوْنِهٖ مِنْ وَّلِيٍّ ۫ وَّلَا يُشْرِكُ فِيْ حُكْمِهٖۤ اَحَدًا


তুমি বলো ! আল্লাহই ভালো জানেন, তারা সেখানে কত কাল অবস্থান করেছিলো। আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর যাবতীয় অদৃশ্যের জ্ঞান শুধু তাঁরই রয়েছে। তিনি‌ কত সুন্দরভাবে তা দেখেন ও কত সুন্দর শুনেন। তিনি ছাড়া তাদের জন্যে অন্য কোন অলি নেই। আর তিনি তাঁর হুকুমের মধ্যে অন্য কাউকে শরীক করেন না।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاتْلُ مَاۤ اُوْحِيَ اِلَيْكَ مِنْ كِتَابِ رَبِّكَ ۚؕ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمٰتِهٖ ۚ۟ وَلَنْ تَجِدَ مِنْ دُوْنِهٖ مُلْتَحَدًا

তুমি আবৃত্তি করো, যা কিছু তোমার প্রতিপালকের কিতাব থেকে তোমার প্রতি ওহী করা হয়েছে। তাঁর কথাগুলোর পরিবর্তনকারী নেই। তিনি ছাড়া কখনও তুমি কোন আশ্রয়স্থান পাবে না। *

*ওহীর ব্যাপারে 19(11),28(7),35(31),29(45)...

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدٰوةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَهٗ وَلَا تَعْدُ عَيْنٰكَ عَنْهُمْ ۚ تُرِيْدُ زِيْنَةَ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ۚ وَلَا تُطِعْ مَنْ اَغْفَلْنَا قَلْبَهٗ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوٰىهُ وَكَانَ اَمْرُهٗ فُرُطًا

আর তুমি তোমার নিজেকে স্থিতিশীল রাখবে তাদের সাথে, যারা তাদের প্রতিপালককে সকাল ও সন্ধ্যা বেলায় ডাকে, তারা তাঁর সন্তুষ্টি চায়। আর তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তোমার দু'চোখ তাদের থেকে ফিরিয়ে নিবে না। আর তুমি তাকে অনুসরণ করবে না, যে তার অন্তরকে আমার বিশেষ স্মরণ (কোরআন) থেকে অমনোযোগী করে রেখেছে। আর সে তার নিজের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করছে। আর তার কাজকর্মও সীমা ছাড়িয়ে গেছে।*

*18(28) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(271-273),48(8-10,18-20),59(8)...।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّكُمْ ۟ فَمَنْ شَآءَ فَلْيُؤْمِنْ وَّمَنْ شَآءَ فَلْيَكْفُرْ ۙ اِنَّاۤ اَعْتَدْنَا لِلظّٰلِمِيْنَ نَارًا ۙ اَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا ؕ وَاِنْ يَّسْتَغِيْثُوْا يُغَاثُوْا بِمَآءٍ كَالْمُهْلِ يَشْوِي الْوُجُوْهَ ؕ بِئْسَ الشَّرَابُ ؕ وَسَآءَتْ مُرْتَفَقًا

তুমি বলে দাও ! তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হ'তেই এই সত্য এসেছে। অতএব যার খুশি সে ঈমান আনবে, আর যার খুশি সে অস্বীকার করবে। নিশ্চয়ই আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্যে আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি। তার শিখা তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখবে। তারা যখন পানি পান করতে চাইবে, তখন তাদেরকে এমন পানি দেয়া হবে, যা তেলের গাদের মতো যেনো তা গলানো ধাতু। তাদের মুখসমূহ ঝলসে দিবে। কত নিকৃষ্ট পানীয় ! আর কতো খারাপ আশ্রয়স্থল। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ اِنَّا لَا نُضِيْعُ اَجْرَ مَنْ اَحْسَنَ عَمَلًا


নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে আর সংশোধনের কাজ করেছে, আমি তাদের পুরস্কার বিনষ্ট করবো না, যারা ভালোকরে কাজ করেছে,।

সূরা : সুরা কাহাফ

اُولٰٓئِكَ لَهُمْ جَنّٰتُ عَدْنٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهِمُ الْاَنْهٰرُ يُحَلَّوْنَ فِيْهَا مِنْ اَسَاوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَّيَلْبَسُوْنَ ثِيَابًا خُضْرًا مِّنْ سُنْدُسٍ وَّاِسْتَبْرَقٍ مُّتَّكِئِيْنَ فِيْهَا عَلَي الْاَرَآئِكِ ؕ نِعْمَ الثَّوَابُ ؕ وَحَسُنَتْ مُرْتَفَقًا


তারাই ঐসব লোক, যাদের জন্যে রয়েছে চিরস্থায়ী জান্নাত সমূহ। যার নীচ থেকে ঝর্ণাধারা সমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে সোনার তৈরী কঙ্কন দিয়ে, আর তাদের পরানো হবে মিহি রেশমের তৈরী সবুজ পোষাক ও মোটা রেশমের। সেখানে তারা উঁচু আসনের (পালংকের) উপর হেলান দিয়ে বসবে, এটা কতো সুন্দর প্রতিদান এবং কতো উত্তম আশ্রয়স্থল।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاضْرِبْ لَهُمْ مَّثَلًا رَّجُلَيْنِ جَعَلْنَا لِاَحَدِهِمَا جَنَّتَيْنِ مِنْ اَعْنَابٍ وَّحَفَفْنٰهُمَا بِنَخْلٍ وَّجَعَلْنَا بَيْنَهُمَا زَرْعًا ؕ


তুমি মানুষের জন্যে দু'ব্যক্তির (মুত্তাকী ও জালিম কারূনের) একটি দৃষ্টান্ত পেশ কর। আমি তাদের দু'জনের একজনকে দু'টি আংগুরের জান্নাত (বাগিচা) দান করেছি। আর সেই বাগিচার চারপাশে খেজুর গাছ লাগিয়ে দিয়েছি। আর সেগুলোর মাঝখানে শস্যক্ষেত তৈরী করে দিয়েছি।

সূরা : সুরা কাহাফ

كِلْتَا الْجَنَّتَيْنِ اٰتَتْ اُكُلَهَا وَلَمْ تَظْلِمْ مِّنْهُ شَيْئًا ۙ وَّفَجَّرْنَا خِلٰلَهُمَا نَهَرًا ۙ


উভয় বাগান তার ফল দিতো আর তাতে কোন কিছুই কম হতো না। উভয় বাগিচার ফাঁকে ফাঁকে আমি ঝর্ণা চালু করে রেখেছি। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَّكَانَ لَهٗ ثَمَرٌ ۚ فَقَالَ لِصَاحِبِهٖ وَهُوَ يُحَاوِرُهٗۤ اَنَا اَكْثَرُ مِنْكَ مَالًا وَّاَعَزُّ نَفَرًا


আর (এতে) তার জন্যে প্রচুর ফল-মূল হয়। অতঃপর সেই লোকটি তার বন্ধুর সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে বলে, আমি ধন-সম্পদে তোমার চেয়ে অধিকতর। আর জনশক্তিতেও অধিক সম্মানিত। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَدَخَلَ جَنَّتَهٗ وَهُوَ ظَالِمٌ لِّنَفْسِهٖ ۚ قَالَ مَاۤ اَظُنُّ اَنْ تَبِيْدَ هٰذِهٖۤ اَبَدًا ۙ


এভাবে সেই লোকটি তার নিজের উপরে সীমালঙ্ঘনকারী অবস্থায় তার বাগিচায় প্রবেশ করে। আর বলে, আমি তো মনে করি না যে, এই সম্পদ কখনো ধ্বংস হবে। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَّمَاۤ اَظُنُّ السَّاعَةَ قَآئِمَةً ۙ وَّلَئِنْ رُّدِدْتُّ اِلٰي رَبِّيْ لَاَجِدَنَّ خَيْرًا مِّنْهَا مُنْقَلَبًا


আর আমি তো মনে করি না যে, বিশেষ সময় সংঘটিত হবে। আর অবশ্যই যদি আমি আমার প্রতিপালকের দিকে প্রত্যাবর্তিত হই, তা'হলে অবশ্যই আমি সেখানেও এই দু'টির চেয়ে উত্তম জায়গা পাব।

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ لَهٗ صَاحِبُهٗ وَهُوَ يُحَاوِرُهٗۤ اَكَفَرْتَ بِالَّذِيْ خَلَقَكَ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُّطْفَةٍ ثُمَّ سَوّٰىكَ رَجُلًا ؕ

যে লোকটি তার সাথে আলোচনা করছিলো, তার সেই বন্ধুটি তখন তাকে বলে, তুমি কি তাকেই অস্বীকার করছো ? যিনি তোমাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। এরপর শুক্র থেকে, এরপর তোমাকে মানুষরূপে সম্পূর্ণ করেছেন।

সূরা : সুরা কাহাফ

لٰكِنَّا۠ هُوَ اللّٰهُ رَبِّيْ وَلَاۤ اُشْرِكُ بِرَبِّيْۤ اَحَدًا


আমি কিন্তু বলছি, তিনি আল্লাহ আমার প্রতিপালক। আর আমি তো আমার প্রতিপালকের সাথে কাউকে শরীক করছি না।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَلَوْلَاۤ اِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَآءَ اللّٰهُ ۙ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللّٰهِ ۚ اِنْ تَرَنِ اَنَا اَقَلَّ مِنْكَ مَالًا وَّوَلَدًا ۚ

আর তুমি যখন তোমার নিজের বাগানে (জান্নাতে) প্রবেশ করলে তখন কেন বললে না ? মাশা-আল্লাহ (আল্লাহ যা চেয়েছেন তাই হয়েছে)'! আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি নেই। যদিও তুমি আমাকে ধনসম্পদ ও সন্তানের দিক থেকে তোমার চেয়ে সল্পতর দেখ। 

সূরা : সুরা কাহাফ

فَعَسٰي رَبِّيْۤ اَنْ يُّؤْتِيَنِ خَيْرًا مِّنْ جَنَّتِكَ وَيُرْسِلَ عَلَيْهَا حُسْبَانًا مِّنَ السَّمَآءِ فَتُصْبِحَ صَعِيْدًا زَلَقًا ۙ

তবে আশা করা যায় যে, আমার প্রতিপালক আমাকে তোমার বাগান থেকে উত্তম জিনিস দান করবেন। আর তার (তোমার বাগিচার) উপরে আকাশ থেকে কোনো বিপর্যয় প্রেরণ করবেন। অতঃপর তা হয়ে যাবে উদ্ভিদশূণ্য মাটি। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اَوْ يُصْبِحَ مَآؤُهَا غَوْرًا فَلَنْ تَسْتَطِيْعَ لَهٗ طَلَبًا


অথবা সেখানের পানি শুকিয়ে যাবে। অতঃপর তুমি কখনও তা খোঁজে বের করতে সক্ষম হবে না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاُحِيْطَ بِثَمَرِهٖ فَاَصْبَحَ يُقَلِّبُ كَفَّيْهِ عَلٰي مَاۤ اَنْفَقَ فِيْهَا وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلٰي عُرُوْشِهَا وَيَقُوْلُ يٰلَيْتَنِيْ لَمْ اُشْرِكْ بِرَبِّيْۤ اَحَدًا


অবশেষে বিপর্যয় এসে তার ফল-ফসল ঘিরে ফেলে। আর তা মাচানের উপরে পড়ে থাকে। তখন সে যা কিছু খরচ করেছে সেজন্য তার দু'হাত মুচড়াতে থাকে। আর সে বলতে থাকে, হায় ! আমি যদি আমার প্রতিপালকের সাথে অন্য কাউকে শরীক না করতাম !

সূরা : সুরা কাহাফ

وَلَمْ تَكُنْ لَّهٗ فِئَةٌ يَّنْصُرُوْنَهٗ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَمَا كَانَ مُنْتَصِرًا ؕ


আল্লাহ ছাড়া এমন কোন দল ছিলো না যারা তাকে সাহায্য করবে। আর কোনো প্রতিরোধকারীও ছিলো না।

সূরা : সুরা কাহাফ

هُنَالِكَ الْوَلَايَةُ لِلّٰهِ الْحَقِّ ؕ هُوَ خَيْرٌ ثَوَابًا وَّخَيْرٌ عُقْبًا


এ ক্ষেত্রে (জানতে পারলো) সত্য কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহরই জন্যে। তিনিই পুরস্কারদানে উত্তম এবং পরিণামেও তিনিই উত্তম।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاضْرِبْ لَهُمْ مَّثَلَ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا كَمَآءٍ اَنْزَلْنٰهُ مِنَ السَّمَآءِ فَاخْتَلَطَ بِهٖ نَبَاتُ الْاَرْضِ فَاَصْبَحَ هَشِيْمًا تَذْرُوْهُ الرِّيٰحُ ؕ وَكَانَ اللّٰهُ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ مُّقْتَدِرًا

তাদের জন্যে পার্থিব জীবনের একটি দৃষ্টান্ত পেশ করো। যেমন আকাশ থেকে আমি পানি বর্ষণ করি। আর সাথে সাথে তা দিয়ে মাটির উদ্ভিদ ঘন হয়ে উঠে। অতঃপর তা ভুষি হয়ে যায়। যা হাওয়া এসে উড়িয়ে নিয়ে যায়। আসলে আল্লাহই সব কিছুর উপর কর্তৃত্বের অধিকারী। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اَلْمَالُ وَالْبَنُوْنَ زِيْنَةُ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ۚ وَالْبٰقِيٰتُ الصّٰلِحٰتُ خَيْرٌ عِنْدَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَّخَيْرٌ اَمَلًا


ধনসম্পদ আর সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা। কিন্তু তোমার প্রতিপালকের কাছে পুরুস্কার ও আকাঙ্ক্ষা হিসেবে সংশোধনের কাজসমূহ স্থায়ী ও উত্তম।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَيَوْمَ نُسَيِّرُ الْجِبَالَ وَتَرَي الْاَرْضَ بَارِزَةً ۙ وَّحَشَرْنٰهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنْهُمْ اَحَدًا ۚ


আর যেদিন আমি পর্বতসমূহকে চলমান করবো, সেই দিন তুমি এই পৃথিবীকে খোলা মাঠ রূপেই দেখতে পাবে। আর তাদের সবাইকে একত্রিত করবো। তাদের মধ্য হতে কাউকে ছাড়বো না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَعُرِضُوْا عَلٰي رَبِّكَ صَفًّا ؕ لَقَدْ جِئْتُمُوْنَا كَمَا خَلَقْنٰكُمْ اَوَّلَ مَرَّةٍۭ ۫ بَلْ زَعَمْتُمْ اَلَّنْ نَّجْعَلَ لَكُمْ مَّوْعِدًا


আর তাদের সবাইকে তোমার প্রতিপালকের কাছে সারিবদ্ধভাবে পেশ করা হবে। (বলা হবে) নিশ্চয়ই তোমরা ঠিক সেই অবস্থায় আমার কাছে এসেছো, যেমন আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম। বরং তোমরা তো ভেবেছিলে যে, কখনও আমি তোমাদের জন্যে কোন প্রতিশ্রুত সময় রাখিনি।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَوُضِعَ الْكِتٰبُ فَتَرَي الْمُجْرِمِيْنَ مُشْفِقِيْنَ مِمَّا فِيْهِ وَيَقُوْلُوْنَ يٰوَيْلَتَنَا مَالِ هٰذَا الْكِتٰبِ لَا يُغَادِرُ صَغِيْرَةً وَّلَا كَبِيْرَةً اِلَّاۤ اَحْصٰهَا ۚ وَوَجَدُوْا مَا عَمِلُوْا حَاضِرًا ؕ وَلَا يَظْلِمُ رَبُّكَ اَحَدًا


আর (হিসাবের জন্যে) আল কিতাব সামনে রাখা হবে। অতঃপর তুমি অপরাধীদেরকে দেখতে পাবে আতঙ্কগ্রস্ত, তার মধ্যে যা রয়েছে তার কারণে। তখন তারা বলবে, 'হায় আমাদের দুর্ভাগ্য ! এ আবার কেমন কিতাব ! ছোট বড় কিছুই ছাড়ে না। সব কিছুই এতে রয়েছে। তারা যা কাজ করেছে সবই তাতে মওজুদ দেখতে পাবে। তোমার প্রতিপালক কাউকে জুলুম করবেন না।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاِذْ قُلْنَا لِلْمَلٰٓئِكَةِ اسْجُدُوْا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوْۤا اِلَّاۤ اِبْلِيْسَ ؕ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ اَمْرِ رَبِّهٖ ؕ اَفَتَتَّخِذُوْنَهٗ وَذُرِّيَّتَهٗۤ اَوْلِيَآءَ مِنْ دُوْنِيْ وَهُمْ لَكُمْ عَدُوٌّ ؕ بِئْسَ لِلظّٰلِمِيْنَ بَدَلًا

আমি যখন মালা-ইকাদেরকে আদমের জন্যে আনুগত্য করতে বলি। তখন তারা সবাই আনুগত্য করে। কিন্তু একমাত্র ইবলীশ ব্যতীত। সে জীনদের (অশুভ শক্তির) অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়। তাই সে তার প্রতিপালকের নির্দেশ অমান্য করে। তোমরা কি আমাকে বাদ দিয়ে তাকে ও তার বংশধরকে আউলিয়ারূপে গ্রহণ করবে ? অথচ তারাই তোমাদের জন্যে শত্রু, সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্যে বিনিময় হিসেবে বড়ই খারাপ।*

*18(50),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(34)...।

সূরা : সুরা কাহাফ

مَاۤ اَشْهَدْتُّهُمْ خَلْقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَلَا خَلْقَ اَنْفُسِهِمْ ۪ وَمَا كُنْتُ مُتَّخِذَ الْمُضِلِّيْنَ عَضُدًا


আমি তো আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে তাদের কাউকে সাক্ষী রাখিনি। এমনকি তাদের নিজেদের সৃষ্টিতেও। আর আমি বিভ্রান্তকারীদেরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করি না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَيَوْمَ يَقُوْلُ نَادُوْا شُرَكَآءِيَ الَّذِيْنَ زَعَمْتُمْ فَدَعَوْهُمْ فَلَمْ يَسْتَجِيْبُوْا لَهُمْ وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ مَّوْبِقًا

আর যেদিন তিনি বলবেন আমার শরীকদেরকে তোমরা ডাকো, যাদের সম্পর্কে ধারণা পোষন করতে। সুতরাং তারা (দেব-দেবতা ও বুজুর্গো পীরদেরকে) ডাকবে। কিন্তু তারা ডাকে সাড়া দিবে না। আর আমি তাদের মাঝে ধ্বংসের স্থান রেখে দিব। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَرَاَ الْمُجْرِمُوْنَ النَّارَ فَظَنُّوْۤا اَنَّهُمْ مُّوَاقِعُوْهَا وَلَمْ يَجِدُوْا عَنْهَا مَصْرِفًا


অপরাধীরা যখন আগুন দেখতে পাবে, তখনই তারা ভাববে যে, তারাই তাতে নিক্ষিপ্ত হবে। আর তারা তা থেকে ফেরার কোন পথ খুঁজে পাবে না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِيْ هٰذَا الْقُرْاٰنِ لِلنَّاسِ مِنْ كُلِّ مَثَلٍ ؕ وَكَانَ الْاِنْسَانُ اَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا


নিশ্চয়ই আমি এই কোরআনের মধ্যে মানুষের জন্যে যাবতীয় প্রয়োজনীয় দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি। অথচ মানুষ সব ব্যাপারেই তো আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করতে অভ্যস্ত।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَمَا مَنَعَ النَّاسَ اَنْ يُّؤْمِنُوْۤا اِذْ جَآءَهُمُ الْهُدٰي وَيَسْتَغْفِرُوْا رَبَّهُمْ اِلَّاۤ اَنْ تَاْتِيَهُمْ سُنَّةُ الْاَوَّلِيْنَ اَوْ يَاْتِيَهُمُ الْعَذَابُ قُبُلًا


যখন মানুষের কাছে পথনির্দেশ এসেছে, তখন তাদেরকে ঈমান আনতে আর তাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাইতে কিসে বাদা দেয়? তারা তো অপেক্ষায় থাকে যে, তাদের সাথেও পূর্বেকার লোকদের মতোই ব্যবহার করা হোক অথবা শাস্তি তাদের কাছে সামনাসামনি এসে উপস্থিত হোক। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِيْنَ اِلَّا مُبَشِّرِيْنَ وَمُنْذِرِيْنَ ۚ وَيُجَادِلُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوْا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوْۤا اٰيٰتِيْ وَمَاۤ اُنْذِرُوْا هُزُوًا


আমি রাসূলদেরকে আর কোনও উদ্দেশ্যে প্রেরণ করিনা, শুধু সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে ছাড়া। আর যারা অস্বীকার করেছে তারা তো মিথ্যা (বানোয়াট হাদিস) দিয়ে বিতর্ক করে, যেনো তারা তা
 দিয়ে সত্য (কোরআনকে) ব্যর্থ করে দিতে পারে। তারা আমার আয়াতগুলোকে আর যে সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তা তারা বিদ্রূপরূপে গ্রহণ করে।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِاٰيٰتِ رَبِّهٖ فَاَعْرَضَ عَنْهَا وَنَسِيَ مَا قَدَّمَتْ يَدٰهُ ؕ اِنَّا جَعَلْنَا عَلٰي قُلُوْبِهِمْ اَكِنَّةً اَنْ يَّفْقَهُوْهُ وَفِيْۤ اٰذَانِهِمْ وَقْرًا ؕ وَاِنْ تَدْعُهُمْ اِلَي الْهُدٰي فَلَنْ يَّهْتَدُوْۤا اِذًا اَبَدًا

আর তার চেয়ে অধিক সীমালঙ্ঘনকারী আর কে হতে পারে, যাকে তার প্রতিপালকের আয়াত দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। তবুও সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর আগে যা কিছু তার দু'হাত পাঠিয়েছে, সে সব ভুলে যায়? নিশ্চয়ই আমি তাদের অন্তরগুলোর উপর আবরণ রেখে দিবো। যেনো তারা বুঝতেই না পারে সেই আয়াতের কথা। তাদের কান ভারী করে দিবো। তুমি যদি তাদেরকে সঠিক পথে আসার জন্য ডাকতে থাকো, তবুও তারা কোনো দিন সঠিক পথে আসবে না।*

*18(56) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 25(73), 32(15,22)...।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَرَبُّكَ الْغَفُوْرُ ذُو الرَّحْمَةِ ؕ لَوْ يُؤَاخِذُهُمْ بِمَا كَسَبُوْا لَعَجَّلَ لَهُمُ الْعَذَابَ ؕ بَلْ لَّهُمْ مَّوْعِدٌ لَّنْ يَّجِدُوْا مِنْ دُوْنِهٖ مَوْئِلًا


আর তোমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহের অধিকারী। কিন্তু তিনি যদি তাদেরকে পাকড়াও করেন, তাদের নিজেদের পাপকর্মের কারণে প্রতিপালকের শাস্তির জন্যে তারা অপেক্ষা করে। সে শাস্তি হঠাৎ এসে যাবে। তবে তাদের জন্যে এক প্রতিশ্রুত মূহুর্ত নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর তারা তাঁকে ছাড়া অন্য কারোর কাছেই পালানোর জায়গা পাবে না।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَتِلْكَ الْقُرٰۤي اَهْلَكْنٰهُمْ لَمَّا ظَلَمُوْا وَجَعَلْنَا لِمَهْلِكِهِمْ مَّوْعِدًا


আর এসব জনপদগুলো আমি ধ্বংস করেছি, যখন তারা সীমালঙ্ঘন করেছে। আর আমি তাদের ধ্বংসের জন্যে একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে রেখেছি।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاِذْ قَالَ مُوْسٰي لِفَتٰىهُ لَاۤ اَبْرَحُ حَتّٰۤي اَبْلُغَ مَجْمَعَ الْبَحْرَيْنِ اَوْ اَمْضِيَ حُقُبًا



মূসা যখন তার যুবক (সেবক)-কে বলে যতক্ষন আমরা দুই সাগরের সংগমস্থলে না পৌঁছাবো, ততক্ষন আমরা থামব না। কিংবা যোগ যোগ ধরেও চলতে থাকবো।

সূরা : সুরা কাহাফ

فَلَمَّا بَلَغَا مَجْمَعَ بَيْنِهِمَا نَسِيَا حُوْتَهُمَا فَاتَّخَذَ سَبِيْلَهٗ فِي الْبَحْرِ سَرَبًا


অতঃপর যখন তারা দুই (সাগরের) মাঝের সংগমস্থলে পৌঁছালো, তখন তারা দু'জনে তাদের মাছের কথা ভুলে যায়। অতঃপর মাছটি সমুদ্রের মধ্যে সুড়ঙ্গের মতো তার পথ তৈরী করে চলে যায়। 

সূরা : সুরা কাহাফ

فَلَمَّا جَاوَزَا قَالَ لِفَتٰىهُ اٰتِنَا غَدَآءَنَا ۫ لَقَدْ لَقِيْنَا مِنْ سَفَرِنَا هٰذَا نَصَبًا


সেখান থেকে অগ্রসরের পরে সে তার যুবক সেবককে বলে, আমাদের জন্য (নাশতা) খাবার আনো। আমাদের এই ভ্রমণ থেকে আমরা অত্যন্ত ক্লান্তি পেয়েছি।

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ اَرَءَيْتَ اِذْ اَوَيْنَاۤ اِلَي الصَّخْرَةِ فَاِنِّيْ نَسِيْتُ الْحُوْتَ ۫ وَمَاۤ اَنْسٰنِيْهُ اِلَّا الشَّيْطٰنُ اَنْ اَذْكُرَهٗ ۚ وَاتَّخَذَ سَبِيْلَهٗ فِي الْبَحْرِ ۖ عَجَبًا

সে বলে, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন পাথরের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলাম, তখন আমি মাছকে ভুলে গিয়েছিলাম। আপনার কাছে তা বলতে শয়তান আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছে। আর সেই মাছ আশ্চর্যভাবে তার পথ তৈরি করে সাগরের মধ্যে চলে যায়। 

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ ذٰلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِ ۖ فَارْتَدَّا عَلٰۤي اٰثَارِهِمَا قَصَصًا


সে বলে, এই তো সেই জায়গা আমরা যার খোঁজে বেরিয়েছি। অতঃপর তারা তাদের নিজেদের পায়ের চিহ্ন ধরে পিছনের দিকে ফিরে চলে।

সূরা : সুরা কাহাফ

فَوَجَدَا عَبْدًا مِّنْ عِبَادِنَاۤ اٰتَيْنٰهُ رَحْمَةً مِّنْ عِنْدِنَا وَعَلَّمْنٰهُ مِنْ لَّدُنَّا عِلْمًا


সেখানে এসে তারা আমারই দাসদের মধ্য হ'তে এক দাসকে পায়, যাকে আমি আমার নিকট থেকে অনুগ্রহ দান করেছি। আমার কাছ থেকে তাকে বিশেষ জ্ঞান শিখেয়েছি।

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ لَهٗ مُوْسٰي هَلْ اَتَّبِعُكَ عَلٰۤي اَنْ تُعَلِّمَنِ مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا


মুসা তাকে বলে, আমি কি আপনাকে একথার উপর অনুসরণ করবো যে, আপনি আমাকে শিখাবেন তা হতে, যে সত্য জ্ঞান আপনাকে শিখানো হয়েছে? 

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ اِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيْعَ مَعِيَ صَبْرًا


সে বলে, আপনি কখনও আমার সাথে ধৈর্য ধরে থাকতে পারবেন না।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلٰي مَا لَمْ تُحِطْ بِهٖ خُبْرًا


আপনি কিভাবে ধৈর্য ধরবেন? যে সম্পর্কে আপনি কোনো অভিজ্ঞতায় আয়ত্ব করেন নি। 

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ سَتَجِدُنِيْۤ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ صَابِرًا وَّلَاۤ اَعْصِيْ لَكَ اَمْرًا


মূসা বলে, ইনশা-আল্লাহ (যদি আল্লাহ চান) তো অচিরেই আপনি আমাকে ধৈর্যধারণকারীরূপে পাবেন। আর আমি আপনার কোনো নির্দেশের অবাধ্যতা করবো না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ فَاِنِ اتَّبَعْتَنِيْ فَلَا تَسْـَٔلْنِيْ عَنْ شَيْءٍ حَتّٰۤي اُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا


সে বলে, তা'হলে আপনি যদি আমার অনুসরণ করেন, তবে কোন কিছু সম্বন্ধে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষন আমি নিজে আপনাকে সে সম্পর্কে কিছু না বলবো।

সূরা : সুরা কাহাফ

فَانْطَلَقَا ٝ حَتّٰۤي اِذَا رَكِبَا فِي السَّفِيْنَةِ خَرَقَهَا ؕ قَالَ اَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ اَهْلَهَا ۚ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا اِمْرًا

অতঃপর তারা দু'জন এগিয়ে যায়। অবশেষে তারা যখন একটি নৌকায় চড়ে বসে, তখন সে নৌকাটিকে ফুটো করে দেয়। তা দেখে মূসা বলে, আপনি কি তার আরোহীদেরকে ডুবানোর জন্যই নৌকা ফুটো করে দিলেন? নিশ্চয়ই আপনি গুরুতর কাজ করলেন। 

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ اَلَمْ اَقُلْ اِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيْعَ مَعِيَ صَبْرًا


সে বলে, আমি কি বলিনি যে, আপনি কখনও আমার সাথে ধৈর্য ধরে থাকতে পারবেন না?

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ لَا تُؤَاخِذْنِيْ بِمَا نَسِيْتُ وَلَا تُرْهِقْنِيْ مِنْ اَمْرِيْ عُسْرًا


মূসা বলে, আমাকে ধরবেন না, যে ভুল আমি করেছি এ কারণে, আর আমার ব্যাপারে অত্যধিক কঠোরতা করবেন না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

فَانْطَلَقَا ٝ حَتّٰۤي اِذَا لَقِيَا غُلٰمًا فَقَتَلَهٗ ۙ قَالَ اَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةًۢ بِغَيْرِ نَفْسٍ ؕ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُّكْرًا

অতঃপর তারা দু'জন আবার চলতে লাগে। অবশেষে একটি বালকের সাক্ষাত পায়। সে সেই বালককে হত্যা করে ফেলে। তখন মূসা তাকে বলে, আপনি হত্যার অপরাধ ছাড়া একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করলেন? নিশ্চয়ই আপনি গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন !

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ اَلَمْ اَقُلْ لَّكَ اِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيْعَ مَعِيَ صَبْرًا


সে বলে, আমি কি আপনাকে বলিনি যে,  আপনি আমার সাথে কখনও ধৈর্য ধরে থাকতে পারবেন না?

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ اِنْ سَاَلْتُكَ عَنْ شَيْءٍۭ بَعْدَهَا فَلَا تُصٰحِبْنِيْ ۚ قَدْ بَلَغْتَ مِنْ لَّدُنِّيْ عُذْرًا


মূসা বলে। এরপর যদি আমি কোন কিছু সম্বন্ধে আপনাকে প্রশ্ন করি, তাহলে আমাকে আপনি সঙ্গে রাখবেন না। নিশ্চয় আপনি আমার পক্ষ থেকে অজুহাতের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছেন।

সূরা : সুরা কাহাফ

فَانْطَلَقَا ٝ حَتّٰۤي اِذَاۤ اَتَيَاۤ اَهْلَ قَرْيَةِ اسْتَطْعَمَاۤ اَهْلَهَا فَاَبَوْا اَنْ يُّضَيِّفُوْهُمَا فَوَجَدَا فِيْهَا جِدَارًا يُّرِيْدُ اَنْ يَّنْقَضَّ فَاَقَامَهٗ ؕ قَالَ لَوْ شِئْتَ لَتَّخَذْتَ عَلَيْهِ اَجْرًا

অতঃপর তারা দু'জন এগিয়ে যেতে লাগে। অবশেষে তারা এক জনপদের অধিবাসীর কাছে পৌঁছে। সেখানকার অধিবাসীদের কাছে তারা খাদ্য চায়। কিন্তু তারা এদেরকে মেহমান হিসেবে রাখতে অস্বীকার করে। পরে এরা দু'জন সেখানে একটি দেয়াল দেখতে পায়। যা ভেঙ্গে পড়বার মতো অবস্থায় থাকে। সেটাকে তারা ঠিক করে দেয়। তখন মূসা বলে, আপনি যদি চাইতেন অবশ্যই আপনি এর বিনিময়ে প্রারিশ্রমিক নিতে পারতেন। 

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ هٰذَا فِرَاقُ بَيْنِيْ وَبَيْنِكَ ۚ سَاُنَبِّئُكَ بِتَاْوِيْلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَّلَيْهِ صَبْرًا


সে বলে, এখানেই আপনার ও আমার মাঝে বিচ্ছেদ ঘটলো (যাত্রা শেষ)। অচিরেই আমি আপনাকে তার তাৎপর্য সম্পর্কে জানিয়ে দিবো, যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اَمَّا السَّفِيْنَةُ فَكَانَتْ لِمَسٰكِيْنَ يَعْمَلُوْنَ فِي الْبَحْرِ فَاَرَدْتُّ اَنْ اَعِيْبَهَا وَكَانَ وَرَآءَهُمْ مَّلِكٌ يَّاْخُذُ كُلَّ سَفِيْنَةٍ غَصْبًا

নৌকাটির ব্যাপার হলো, সেটা ছিলো ক'জন গরীব ব্যক্তির, যারা এই সমুদ্রের মধ্যে পরিশ্রম করতো। তাই আমি তাতে ত্রুটি সৃষ্টি করে দিতে চাইলাম। কারণ তাদের পিছনে এমন এক রাজা ছিলো, যে জোর করে সব ভালো নৌকা কেড়ে নিচ্ছিলো।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاَمَّا الْغُلٰمُ فَكَانَ اَبَوٰهُ مُؤْمِنَيْنِ فَخَشِيْنَاۤ اَنْ يُّرْهِقَهُمَا طُغْيَانًا وَّكُفْرًا ۚ


আর ছেলেটির ব্যাপার হলো, তার পিতা-মাতা দু'জনই মু'মিন ছিলো। আমি আশঙ্কা করলাম যে, সে অবাধ্যতা করে ও অবিশ্বাসের পথে চলে তাদেরকে কষ্ট দিবে। 

সূরা : সুরা কাহাফ

فَاَرَدْنَاۤ اَنْ يُّبْدِلَهُمَا رَبُّهُمَا خَيْرًا مِّنْهُ زَكٰوةً وَّاَقْرَبَ رُحْمًا

সুতরাং আমি চাইলাম যে, তাদের প্রতিপালক যেনো তাদের দু'জনকে তার পরিবর্তে এমন কিছু দান করেন, যা হবে পবিত্রতায় তার চেয়ে উত্তম এবং
দয়ার দিক দিক থেকে ঘনিষ্ঠতর।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاَمَّا الْجِدَارُ فَكَانَ لِغُلٰمَيْنِ يَتِيْمَيْنِ فِي الْمَدِيْنَةِ وَكَانَ تَحْتَهٗ كَنْزٌ لَّهُمَا وَكَانَ اَبُوْهُمَا صَالِحًا ۚ فَاَرَادَ رَبُّكَ اَنْ يَّبْلُغَاۤ اَشُدَّهُمَا وَيَسْتَخْرِجَا كَنْزَهُمَا ۖ رَحْمَةً مِّنْ رَّبِّكَ ۚ وَمَا فَعَلْتُهٗ عَنْ اَمْرِيْ ؕ ذٰلِكَ تَاْوِيْلُ مَا لَمْ تَسْطِعْ عَّلَيْهِ صَبْرًا ؕ

আর সেই দেয়ালটির ব্যপার হলো এই যে, সেটা ছিলো মদিনার দু'টি এতীম ছেলের। তার নীচে ছিলো তাদের দু'জনের জন্যে গুপ্তধন। আর তাদের পিতা-মাতা দু'জনই ছিলো সংশোধনকারী। সুতরাং আপনার প্রতিপালক চাইলেন যে, তারা তাদের নিজেদের যৌবনে উপনীত হোক, আর তারা তাদের  নিজেদের গুপ্তধন বের করে নিক, আপনার প্রতিপালকের অনুগ্রহে। আমি তা নিজের ইচ্ছা থেকে করিনি। এটাই তার ব্যখ্যা, যে বিষয়ে আপনি  ধৈর্য ধরতে পারেননি।

সূরা : সুরা কাহাফ

وَيَسْـَٔلُوْنَكَ عَنْ ذِي الْقَرْنَيْنِ ؕ قُلْ سَاَتْلُوْا عَلَيْكُمْ مِّنْهُ ذِكْرًا ؕ


আর তারা তোমার কাছে দিগ্বিজয়ী বাদশা জুলকারনাইন এর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে, তুমি বলে দিবে, অচিরেই তার কিছু বৃত্তান্ত তোমাদেরকে পাঠ করে শুনাচ্ছি।

সূরা : সুরা কাহাফ

اِنَّا مَكَّنَّا لَهٗ فِي الْاَرْضِ وَاٰتَيْنٰهُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ سَبَبًا ۙ


নিশ্চয়ই আমি তাকে এই পৃথিবীর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছি। আর তাকে দিয়েছি প্রত্যেক বস্তু থেকে সুযোগ শুবিধা।

সূরা : সুরা কাহাফ

فَاَتْبَعَ سَبَبًا


অতঃপর সে একটি বিষয়ের পিছনে উঠে পড়ে লাগে। 

সূরা : সুরা কাহাফ

حَتّٰۤي اِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِيْ عَيْنٍ حَمِئَةٍ وَّوَجَدَ عِنْدَهَا قَوْمًا ؕ قُلْنَا يٰذَا الْقَرْنَيْنِ اِمَّاۤ اَنْ تُعَذِّبَ وَاِمَّاۤ اَنْ تَتَّخِذَ فِيْهِمْ حُسْنًا


শেষ পর্যন্ত সে যখন সূর্যাস্তের জায়গায় পৌঁছায়। তখন সে দেখতে পায় সূর্য্য একটি পঙ্কিল জলাশয়ের মধ্যে অস্ত যাচ্ছে। আর সেখানে একটি সম্প্রদায়কে দেখতে পায়। আমি বলি, হে জুলকারনাইন ! তুমি তাদেরকে শাস্তিও দিতে পারো, অথবা তাদের জন্যে সদ্ব্যবহারও অবলম্বন করতে পারো। 

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ اَمَّا مَنْ ظَلَمَ فَسَوْفَ نُعَذِّبُهٗ ثُمَّ يُرَدُّ اِلٰي رَبِّهٖ فَيُعَذِّبُهٗ عَذَابًا نُّكْرًا


সে বলে, তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে তাকে আমি শীঘ্রই শাস্তি দিবো। এরপর তাকে তারই প্রতিপালকের দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। অতঃপর তিনি তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَاَمَّا مَنْ اٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَهٗ جَزَآءَۨ الْحُسْنٰي ۚ وَسَنَقُوْلُ لَهٗ مِنْ اَمْرِنَا يُسْرًا ؕ


আর যে কেউ ঈমান আনবে আর সংশোধনের কাজ করবে, তার জন্যে উত্তম পুরস্কার রয়েছে। আর অচিরেই আমি তাকে বলে দিবো, আমার নির্দেশের মধ্য হ'তে যা সহজ। 

সূরা : সুরা কাহাফ

ثُمَّ اَتْبَعَ سَبَبًا


এরপর সে আরও এক পথ অনুসরণ করতে লাগে।

সূরা : সুরা কাহাফ

حَتّٰۤي اِذَا بَلَغَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَطْلُعُ عَلٰي قَوْمٍ لَّمْ نَجْعَلْ لَّهُمْ مِّنْ دُوْنِهَا سِتْرًا


শেষ পর্যন্ত সে যখন সূর্যোদয়ের স্থানে পৌঁছায়, তখন সে দেখতে পায়, এমন একটি জাতি সেখানে রয়েছে যাদের উপর সূর্য উদিত হচ্ছে, যাদের জন্যে আমি সূর্য্যের বিপরীতে কোনও আড়াল সৃষ্টি করি নি।

সূরা : সুরা কাহাফ

كَذٰلِكَ ؕ وَقَدْ اَحَطْنَا بِمَا لَدَيْهِ خُبْرًا


এরূপই ছিলো। নিশ্চয়ই আমি ঐ বিষয়ে পূর্ণ অবগত আছি, যেসব বিবরণ তার কাছে ছিলো।

সূরা : সুরা কাহাফ

ثُمَّ اَتْبَعَ سَبَبًا


এরপর সে আরও এক পথ অনুসরণ করতে লাগে।

সূরা : সুরা কাহাফ

حَتّٰۤي اِذَا بَلَغَ بَيْنَ السَّدَّيْنِ وَجَدَ مِنْ دُوْنِهِمَا قَوْمًا ۙ لَّا يَكَادُوْنَ يَفْقَهُوْنَ قَوْلًا


অবশেষে সে দুই প্রচীরের মাঝখানে পৌঁছায়। সেখান থেকে কিছুটা দুরেই এমন এক জাতিকে দেখতে পায়। যারা তার একটি কথাও বুঝতে পারে না।

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالُوْا يٰذَا الْقَرْنَيْنِ اِنَّ يَاْجُوْجَ وَمَاْجُوْجَ مُفْسِدُوْنَ فِي الْاَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَكَ خَرْجًا عَلٰۤي اَنْ تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ سَدًّا

তারা বলে, হে জুলকারনাইন! নিশ্চয়ই ইয়া'জূজ ও মা'জূজ পৃথিবীর মধ্যে (এ অঙ্গনে) অশান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। তবে কি আমরা তোমাকে এই শর্তে কিছু খরচপত্র বের করে দিবো, যাতে তুমি আমাদের ও তাদের মাঝে একটি প্রাচীর বানিয়ে দিতে পারবে?

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ مَا مَكَّنِّيْ فِيْهِ رَبِّيْ خَيْرٌ فَاَعِيْنُوْنِيْ بِقُوَّةٍ اَجْعَلْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ رَدْمًا ۙ


সে বলে, আমার প্রতিপালক আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন তাই উৎকৃষ্ট। তোমরা আমাকে শ্রম-শক্তি দিয়ে সাহায্য করো। আমি তোমাদের ও তাদের মাঝে একটি শক্ত দেয়াল বানিয়ে দিবো। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اٰتُوْنِيْ زُبَرَ الْحَدِيْدِ ؕ حَتّٰۤي اِذَا سَاوٰي بَيْنَ الصَّدَفَيْنِ قَالَ انْفُخُوْا ؕ حَتّٰۤي اِذَا جَعَلَهٗ نَارًا ۙ قَالَ اٰتُوْنِيْۤ اُفْرِغْ عَلَيْهِ قِطْرًا


তোমরা আমাকে লোহার পাতসমূহ এনে দাও। অবশেষে যখন দুই পাহাড়ের মাঝে ফাঁকা জায়গা  সে সমান করে দেয়। তখন সে বলে, তোমরা আগুনে বাতাস দিতে থাকো, যেনো তা জ্বলে উঠে। অবশেষে যখন তা আগুনে পরিণত করলো তখন সে বলে, তোমরা আমাকে গলানো ধাতু এনে দাও, আমি তার উপর ঢেলে দেই। 

সূরা : সুরা কাহাফ

فَمَا اسْطَاعُوْۤا اَنْ يَّظْهَرُوْهُ وَمَا اسْتَطَاعُوْا لَهٗ نَقْبًا


এরপর তারা সক্ষম হয় না যে, তারা তা অতিক্রম করবে। আর তারা তাতে চিদ্র করতেও সক্ষম হয় না।

সূরা : সুরা কাহাফ

قَالَ هٰذَا رَحْمَةٌ مِّنْ رَّبِّيْ ۚ فَاِذَا جَآءَ وَعْدُ رَبِّيْ جَعَلَهٗ دَكَّآءَ ۚ وَكَانَ وَعْدُ رَبِّيْ حَقًّا ؕ


সে বলে, এটি আমার প্রতিপালকের পক্ষ হ'তে অনুগ্রহ। অতঃপর যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সময় আসবে, তখনই তিনি এটাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিবেন। আর আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَتَرَكْنَا بَعْضَهُمْ يَوْمَئِذٍ يَّمُوْجُ فِيْ بَعْضٍ وَّنُفِخَ فِي الصُّوْرِ فَجَمَعْنٰهُمْ جَمْعًا ۙ


আর আমি সেদিন সৃষ্টি জগৎকে একটার সাথে আরেকটা মিশে যেতে দিবো। আর আকৃতিকে পূর্ণগঠন করবো। অতঃপর আমি তাদের সকলকে একসঙ্গে একত্র করবো। 

সূরা : সুরা কাহাফ

وَّعَرَضْنَا جَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ لِّلْكٰفِرِيْنَ عَرْضَۨا


আর সেদিন কাফিরদের সামনেই জাহান্নাম উপস্থিত করা হবে,

সূরা : সুরা কাহাফ

الَّذِيْنَ كَانَتْ اَعْيُنُهُمْ فِيْ غِطَـآءٍ عَنْ ذِكْرِيْ وَكَانُوْا لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ سَمْعًا


আমার স্মরণ (কোরআন) থেকে যাদের চোখগুলো ছিল পর্দায় ঢাকা এবং যারা শুনতেও সক্ষম ছিলো না।

সূরা : সুরা কাহাফ

اَفَحَسِبَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْۤا اَنْ يَّتَّخِذُوْا عِبَادِيْ مِنْ دُوْنِيْۤ اَوْلِيَآءَ ؕ اِنَّـاۤ اَعْتَدْنَا جَهَنَّمَ لِلْكٰفِرِيْنَ نُزُلًا

যারা অস্বীকার করেছে, তারা কি মনে করেছে যে, তারা আমার পরিবর্তে আমারই দাসদের মধ্যে থেকে কাউকে আউলিয়া হিসেবে গ্রহণ করবে? নিশ্চয়ই আমি কাফিরদের মেহমানদারীর জন্যে জাহান্নাম প্রস্তুত করে রেখেছি। 

সূরা : সুরা কাহাফ

قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْاَخْسَرِيْنَ اَعْمَالًا ؕ


তুমি বলে দাও ! আমি কি তোমাদেরকে তাদের সংবাদ দিবো, যাদের কাজকর্ম বরবাদ হয়ে গেছে ?

সূরা : সুরা কাহাফ

اَلَّذِيْنَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ يُحْسِنُوْنَ صُنْعًا


এই পার্থিব জীবনকে কেন্দ্র করে যাদের প্রচেষ্টা পন্ড হয়েছে, অথচ তারা মনে করে যে, তারা উত্তম কর্ম করছে। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اُولٰٓئِكَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِاٰيٰتِ رَبِّهِمْ وَلِقَآئِهٖ فَحَبِطَتْ اَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِيْمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ وَزْنًا

তারাই ঐসব লোক, যারা তাদের প্রতিপালকের আয়াতসমূহ আর তাঁর সাথে যে সাক্ষাত হবে, সেকথা অস্বীকার করেছে। তাই তাদের কাজগুলো নিষ্ফল হয়ে গেছে। সুতরাং কিয়ামতের দিন তাদের জন্যে কোনো ওজনের ব্যবস্থা করবো না।

সূরা : সুরা কাহাফ

ذٰلِكَ جَزَآؤُهُمْ جَهَنَّمُ بِمَا كَفَرُوْا وَاتَّخَذُوْۤا اٰيٰتِيْ وَرُسُلِيْ هُزُوًا


এ জন্যই তাদের প্রতিফল জাহান্নাম, কারণ তারা অস্বীকার করেছে। তারা তো আমার আয়াতগুলো এবং আমার রাসূলদেরকেও বিদ্রুপরূপে গ্রহণ করেছে। 

সূরা : সুরা কাহাফ

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنّٰتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا ۙ


নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে, আর সংশোধনের কাজ করেছে, তাদের জন্যই জান্নাতুল ফিরদৌস আপ্যায়নরূপে প্রস্তুত রয়েছে।

সূরা : সুরা কাহাফ

خٰلِدِيْنَ فِيْهَا لَا يَبْغُوْنَ عَنْهَا حِوَلًا


তাতে তারা চিরস্থায়ী হবে। আর তারাও তা থেকে স্থানান্তরিত হতে চাইবে না। 

সূরা : সুরা কাহাফ

قُلْ لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمٰتِ رَبِّيْ لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ اَنْ تَنْفَدَ كَلِمٰتُ رَبِّيْ وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهٖ مَدَدًا

তুমি বলে দাও, ‘আমার প্রতিপালকের কথাসমূহ লেখার জন্যে সমুদ্র যদি কালি হয়ে যায় তবে সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে আমার প্রতিপালকের কথা শেষ হওয়ার পূর্বেই। যদিও এর সাহায্যার্থে অনুরূপ আরো সমুদ্র নিয়ে আসি’।

সূরা : সুরা কাহাফ

قُلْ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوْحٰۤي اِلَيَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ فَمَنْ كَانَ يَرْجُوْا لِقَآءَ رَبِّهٖ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَّلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهٖۤ اَحَدًا


তুমি বলে দাও, আমি শুধুমাত্র তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার প্রতি ওহী করা হয় যে, তোমাদের সবারই বিধান দাতা হলেন একই বিধান দাতা। সুতরাং যে কেউ তার প্রতিপালকের সাক্ষাত কামনা করে, সে যেনো সংশোধনের কাজ করে। আর তার প্রতিপালকের দাসত্বের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে যেনো শরীক না করে।