সূরা : সুরা আস সাফ্ফাত
وَالصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ۙ
সারিবদ্ধভাবে যারা দাঁড়ায় তা একটি প্রমাণ।
رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَرَبُّ الْمَشَارِقِ ؕ
তিনি হলেন আকাশমন্ডল ও পৃথিবী আর এ দু'য়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে সে সবের প্রতিপালক। আর সকল উদয়স্থলেরও।
اِنَّا زَيَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْيَا بِزِيْنَةِ الْكَوَاكِبِ ۙ
নিশ্চয়ই আমি কাছের আকাশকে তারকাদের চাকচিক্য দ্বারা সুশোভিত করেছি।
وَحِفْظًا مِّنْ كُلِّ شَيْطٰنٍ مَّارِدٍ ۚ
প্রত্যেকটি অবাধ্য শয়তান মানুষদের হ'তে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।
لَا يَسَّمَّعُوْنَ اِلَي الْمَلَاِ الْاَعْلٰي وَيُقْذَفُوْنَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ ۖ
ওপরের জগতের কিছু তারা শুনতে চাইলে প্রত্যেক দিক থেকে তাদের দিকে (উল্কাপিণ্ড) নিক্ষিপ্ত করা হয়।
دُحُوْرًا وَّلَهُمْ عَذَابٌ وَّاصِبٌ ۙ
তাড়ানোর জন্যে, আর তাদের জন্যে রয়েছে অবিরাম শাস্তি।
اِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَاَتْبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ
তবে যদি কেউ হঠাৎ করে শুনে নেয়, তখন তাকে অনুসরন করে জ্বলন্ত উল্কা।
فَاسْتَفْتِهِمْ اَهُمْ اَشَدُّ خَلْقًا اَمْ مَّنْ خَلَقْنَا ؕ اِنَّا خَلَقْنٰهُمْ مِّنْ طِيْنٍ لَّازِبٍ
অতঃপর তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো, সৃষ্টি হিসাবে তারা কি বেশী কঠিন ! না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি ? নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে এঁটেল মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি।
وَاِذَا ذُكِّرُوْا لَا يَذْكُرُوْنَ
۪আর যখন তাদেরকে উপদেশ দেওয়া হয়, তখন তারা উপদেশ গ্রহণ করে না।
وَاِذَا رَاَوْا اٰيَةً يَّسْتَسْخِرُوْنَ ۪
আবার যখন তারা কোনো নিদর্শন দেখতে পায়, তখন তারা ঠাট্টা উপহাস করতে থাকে।
وَقَالُوْۤا اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّبِيْنٌ ۚۖ
আর তারা বলে, এটা সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত কিছুই নয় !
ءَاِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَّعِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَ ۙ
বলে আমরা যখন মরে যাবো, মাটিতে পরিণত হবো, আর হাড়গুলোই পড়ে থাকবে তখন কি আবার আমাদেরকে জীবিত করে উঠানো হবে ?
قُلْ نَعَمْ وَاَنْتُمْ دَاخِرُوْنَ ۚ
তুমি বলে দাও,জি হ্যাঁ ! আর তোমরাই অপমানিত হবে।
فَاِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَّاحِدَةٌ فَاِذَا هُمْ يَنْظُرُوْنَ
তা তো শুধু একটি মাত্র বিকট কম্পন শব্দ। অতঃপর তখন তারা তা দেখতে পাবে।
وَقَالُوْا يٰوَيْلَنَا هٰذَا يَوْمُ الدِّيْنِ
তারা বলবে, দূর্ভাগ্য আমাদের ! এটাই তো বিচারের দিন।
هٰذَا يَوْمُ الْفَصْلِ الَّذِيْ كُنْتُمْ بِهٖ تُكَذِّبُوْنَ
এটাই তো সেই ফায়সালার দিন, যার সম্পর্কে তোমরা মিথ্যা বলতে।
اُحْشُرُوا الَّذِيْنَ ظَلَمُوْا وَاَزْوَاجَهُمْ وَمَا كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ ۙ
(বলা হবে) যারা সীমালঙ্ঘন করেছিল, তাদেরকে আর তাদের সংগী সাথীদেরকে একত্র করে আনো। আর যাদের দাসত্ব তারা করতো তাদেরকেও।
مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَاهْدُوْهُمْ اِلٰي صِرَاطِ الْجَحِيْمِ ٙ
আল্লাহকে বাদ দিয়ে। তাই তাদের সবাইকে সংকীর্ণ জায়গার যাতনার পথের দিকে পরিচালিত করো।
وَقِفُوْهُمْ اِنَّهُمْ مَّسْئُوْلُوْنَ ۙ
আর তাদেরকে একটু থামাও। নিশ্চয়ই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُوْنَ
তোমাদের হলো কি ? তোমরা যে একে অন্যকে কোনো সাহায্যই করছো না।
بَلْ هُمُ الْيَوْمَ مُسْتَسْلِمُوْنَ
বরং আজ তারা আত্মসমর্পকারী হয়ে ধরা দিচ্ছে।
وَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰي بَعْضٍ يَّتَسَآءَلُوْنَ
আর তারা তাদের একে অপরের দিকে মুখোমুখি হয়ে পরস্পরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
قَالُوْۤا اِنَّكُمْ كُنْتُمْ تَاْتُوْنَنَا عَنِ الْيَمِيْنِ
(অনুসারীরা বলবে) তোমরাই তো এমন ছিলে, যারা ডান দিক থেকে (ধর্ম নিয়ে) আসতে !
قَالُوْا بَلْ لَّمْ تَكُوْنُوْا مُؤْمِنِيْنَ ۚ
জবাবে তারা (মুল্লারা) বলবে, বরং তোমরা তো মু'মিন ছিলে না।
وَمَا كَانَ لَنَا عَلَيْكُمْ مِّنْ سُلْطٰنٍ ۚ بَلْ كُنْتُمْ قَوْمًا طٰغِيْنَ
আর তোমাদের উপরে আমাদের তো কোনো কর্তৃত্ব ছিলো না। বরং তোমরাই তো অবাধ্য সম্প্রদায় ছিলে।
فَحَقَّ عَلَيْنَا قَوْلُ رَبِّنَاۤ ۖ اِنَّا لَذَآئِقُوْنَ
সুতরাং আমাদের প্রতিপালকের কথাই আমাদের উপর সত্য প্রমাণিত হলো। নিশ্চয়ই এখন আমাদেরকে (শাস্তির) স্বাদ ভোগ করতে হবে।
فَاَغْوَيْنٰكُمْ اِنَّا كُنَّا غٰوِيْنَ
কারণ আমরাই তোমাদেরকে (আমাদের বানোয়াট মতবাদ ও পুস্তকাদী দিয়ে) বিভ্রান্ত করেছি, নিশ্চয়ই আমরা ছিলাম বিভ্রান্ত'।
فَاِنَّهُمْ يَوْمَئِذٍ فِي الْعَذَابِ مُشْتَرِكُوْنَ
অতঃপর নিশ্চয়ই তারা সবাই সেদিন শাস্তির মধ্যে সম অংশীদার হবে।
اِنَّا كَذٰلِكَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِيْنَ
নিশ্চয়ই আমি অপরাধীদের সাথে এরূপই করে থাকি।
اِنَّهُمْ كَانُوْۤا اِذَا قِيْلَ لَهُمْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ ۙ يَسْتَكْبِرُوْنَ ۙ
নিশ্চয়ই তারা তো এমনই ছিলো, যখনই তাদেরকে বলা হতো, (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু) আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকারের বিধানদাতা নেই। তখন তারা অহংকার করতো।
وَيَقُوْلُوْنَ اَئِنَّا لَتَارِكُوْۤا اٰلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُوْنٍ ؕ
তারা আরও বলতো, আমরা কি আমাদের বিধানদাতাদেরকে (মোল্লাদেরকে) পরিত্যাগ করবো একজন কবির জন্যে, যে পাগল?
بَلْ جَآءَ بِالْحَقِّ وَصَدَّقَ الْمُرْسَلِيْنَ
বরং এই রাসুল তো সত্য নিয়ে এসেছে। আর সে রাসুলদের সত্য বলে স্বীকার করেছে।
اِنَّكُمْ لَذَآئِقُوا الْعَذَابِ الْاَلِيْمِ ۚ
নিশ্চয়ই তোমাদেরকে নিদারুণ শাস্তি ভোগ করতে হবে।
وَمَا تُجْزَوْنَ اِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ۙ
আর তোমাদেরকে প্রতিফল দেওয়া হবে না, এছাড়া যে সব কাজ তোমরা করতে।
اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِيْنَ
তবে যারা আল্লাহর নিষ্ঠাবান দাসরূপে গণ্য হয়েছে তাদের কথা আলাদা।
اُولٰٓئِكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُوْمٌ ۙ
তাদের জন্যে এমন জীবিকা রয়েছে, যা খুবই পরিচিত।
يُطَافُ عَلَيْهِمْ بِكَاْسٍ مِّنْ مَّعِيْنٍۭ ۙ
তাদের কাছে এমন পেয়ালা নিয়ে আসা হবে, যা হবে চমকদার, তাই পরিবেশন করা হবে।
بَيْضَآءَ لَذَّةٍ لِّلشّٰرِبِيْنَ ۚۖ
সাদা আর পানকারীদের জন্যে খুবই সুস্বাদু।
لَا فِيْهَا غَوْلٌ وَّلَا هُمْ عَنْهَا يُنْزَفُوْنَ
তার মধ্যে কোনো মানসিক বিকৃতি থাকবে না, আর তা হ'তে তারা মাতালও হবে না।
فَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰي بَعْضٍ يَّتَسَآءَلُوْنَ
অতঃপর তারা একে অপরের সামনা-সামনি হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
قَالَ قَآئِلٌ مِّنْهُمْ اِنِّيْ كَانَ لِيْ قَرِيْنٌ ۙ
জান্নাতিদের মধ্যে একজন বক্তা একথা বলবে, আমার একজন সাথী ছিলো।
يَّقُوْلُ اَئِنَّكَ لَمِنَ الْمُصَدِّقِيْنَ
সে বলতো, তুমি কি (পুনরুত্থানের) সত্যতা স্বীকারকারীদের অন্তর্ভূক্ত ?
ءَاِذَا مِتْنَا وَكُنَّا تُرَابًا وَّعِظَامًا ءَاِنَّا لَمَدِيْنُوْنَ
যখন আমরা মরে যাবো, আর আমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হবো তখনও কি আমাদেরকে প্রতিফল দেওয়া হবে ?
فَاطَّلَعَ فَرَاٰهُ فِيْ سَوَآءِ الْجَحِيْمِ
তখন সে ব্যক্তি উঁকি মেরে দেখবে, তখন সে তাকে (জাহান্নামের) সংকীর্ণ জায়গার শাস্তির মধ্যে দেখতে পাবে !
قَالَ تَاللّٰهِ اِنْ كِدْتَّ لَتُرْدِيْنِ ۙ
জান্নাতী ব্যক্তি বলবে, আল্লাহর শপথ ! তুমি তো প্রায় আমাকে ধ্বংসই করে ফেলেছিলে।
وَلَوْلَا نِعْمَةُ رَبِّيْ لَكُنْتُ مِنَ الْمُحْضَرِيْنَ
আর আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ যদি নাই থাকতো, তাহলে যারা পাকড়াও হয়ে এসেছে, আমিও তো তাদেরই অন্তর্ভূক্ত হতাম।
اِلَّا مَوْتَتَنَا الْاُوْلٰي وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِيْنَ
প্রথমবারের মৃত্যু ছাড়া। আর আমাদেরকে কোনো শাস্তি ভুগতে হবে না।
لِمِثْلِ هٰذَا فَلْيَعْمَلِ الْعٰمِلُوْنَ
এর অনুরূপ সাফল্যের জন্যই তো পরিশ্রমীদের সাধনা করা উচিৎ।
اَذٰلِكَ خَيْرٌ نُّزُلًا اَمْ شَجَرَةُ الزَّقُّوْمِ
এই আপ্যায়ন কি উত্তম ! না জাক্কুমের গাছ ?
اِنَّا جَعَلْنٰهَا فِتْنَةً لِّلظّٰلِمِيْنَ
নিশ্চয়ই আমি সেই গাছকে সীমালঙ্ঘনকারীদের পরীক্ষা করার জন্যেই সৃষ্টি করেছি।
اِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِيْۤ اَصْلِ الْجَحِيْمِ ۙ
নিশ্চয়ই সেই গাছটি (জাহান্নামের) সংকীর্ণ জায়গার তলদেশ থেকে বের হয়।
طَلْعُهَا كَاَنَّهٗ رُءُوْسُ الشَّيٰطِيْنِ
সে গাছের ফল ঠিক ‘শয়তানদের মাথাগুলোর মতো।
فَاِنَّهُمْ لَاٰكِلُوْنَ مِنْهَا فَمَالِـُٔوْنَ مِنْهَا الْبُطُوْنَ ؕ
অতঃপর নিশ্চয়ই তারা সেই ফল খেতে বাধ্য হবে, আর তাই দিয়ে তাদের পেট ভরে ফেলবে।
ثُمَّ اِنَّ لَهُمْ عَلَيْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِيْمٍ ۚ
এরপরে তাদের জন্যে ফুটন্ত পানি এনে দেওয়া হবে।
ثُمَّ اِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَا۠اِلَي الْجَحِيْمِ
এরপর নিশ্চয়ই তাদের (জাহান্নামের) সংকীর্ণ জায়গার দিকেই প্রত্যাবর্তন হবে।
اِنَّهُمْ اَلْفَوْا اٰبَآءَهُمْ ضَآلِّيْنَ ۙ
নিশ্চয়ই তারা তাদের বাপ-দাদাদেরকে বিপথগামী অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলো।
فَهُمْ عَلٰۤي اٰثٰرِهِمْ يُهْرَعُوْنَ
অতঃপর তারাও তাদের পদাংক অনুসরণে ছুটে চলছিলো।
وَلَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ اَكْثَرُ الْاَوَّلِيْنَ ۙ
আর নিশ্চয় তাদের পূর্বে প্রাথমিক যুগের মানুষের বেশীরভাগই পথভ্রষ্ট হয়েছিল।
وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا فِيْهِمْ مُّنْذِرِيْنَ
আর নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছেও সতর্ককারী পাঠিয়েছিলাম।
فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنْذَرِيْنَ ۙ
সুতরাং দেখো, তাদের পরিনাম কেমন দাঁড়ালো ? যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিলো !
وَلَقَدْ نَادٰىنَا نُوْحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِيْبُوْنَ ۫ۖ
আর নূহ আমাকে ডাকে। আর আমি সাড়া দানকারী হিসেবে কতই না উত্তম !
وَنَجَّيْنٰهُ وَاَهْلَهٗ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيْمِ ۫ۖ
আমি তাকে, আর তার পরিবার পরিজনকে মহা সংকট হ'তে উদ্ধার করি।
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ ۫ۖ
আর আমি তারই উদ্দেশ্যে, পরে যারা আসবে তাদের জন্যে একথা চিরস্থায়ী করে দিয়েছি।
سَلٰمٌ عَلٰي نُوْحٍ فِي الْعٰلَمِيْنَ
শান্তি বর্ষিত হয়েছে নুহের উপর, সমগ্র বিশ্বের মধ্যে।
اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ
নিশ্চয়ই আমি এভাবেই তো সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরুস্কার দান করে থাকি।
اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ
নিশ্চয়ই সে আমার মু'মিন দাসদের অন্তর্ভূক্ত।
وَاِنَّ مِنْ شِيْعَتِهٖ لَاِبْرٰهِيْمَ ۘ
নিশ্চয়ই তার মতো অনুসারীদের মধ্যে ইবরাহীমও একজন।
اِذْ جَآءَ رَبَّهٗ بِقَلْبٍ سَلِيْمٍ
ইবরাহীম যখন বিশুদ্ব অন্তর নিয়ে তার প্রতিপালকের কাছে উপস্হিত হয়।
اِذْ قَالَ لِاَبِيْهِ وَقَوْمِهٖ مَاذَا تَعْبُدُوْنَ ۚ
যখন সে তার পিতা ও তার জাতিকে বলে, তোমরা কিসের দাসত্ব করছো?
اَئِفْكًا اٰلِهَةً دُوْنَ اللّٰهِ تُرِيْدُوْنَ ؕ
তোমরা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে মিথ্যা দেব-দেবীর কাছে (সাহায্য) চাও?
فَمَا ظَنُّكُمْ بِرَبِّ الْعٰلَمِيْنَ
তা'হলে বিশ্বজগতের প্রতিপালক সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা কি?
فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُوْمِ ۙ
অতঃপর সে তারকাগুলোর দিকে একবার লক্ষ্য করে।
فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِيْنَ
ফলে সেই লোকগুলো তার থেকে পিঠ ফিরিয়ে চলে যায়।
فَرَاغَ اِلٰۤي اٰلِهَتِهِمْ فَقَالَ اَلَا تَاْكُلُوْنَ ۚ
তারপরে সে তাদের দেবতাগুলোর নিকট চুপিসারে যায়, অতঃপর বলে, তোমরা খাচ্ছো না কেনো?
فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًۢا بِالْيَمِيْنِ
অতঃপর ইবরাহীম তাদের সামনে সঠিক উদাহরণ পেশ করে।
فَاَقْبَلُوْۤا اِلَيْهِ يَزِفُّوْنَ
অতঃপর সেই লোকগুলো ইবরাহীমের কাছে ছুটে আসে।
قَالَ اَتَعْبُدُوْنَ مَا تَنْحِتُوْنَ ۙ
ইবরাহীম বলে, তোমরা কি এগুলোকেই পূজা-অর্চনা করো ? যা তোমরা নিজেদের হাতে খোদাই করে তৈরী করে থাকো !
وَاللّٰهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُوْنَ
অথচ আল্লাহই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাদেরকেও যা তোমরা তৈরী করে থাকো।
قَالُوا ابْنُوْا لَهٗ بُنْيَانًا فَاَلْقُوْهُ فِي الْجَحِيْمِ
তারা বলে, তার জন্যে তোমরা একটি প্রাচীর বেষ্টনী অগ্নিকুন্ড তৈরী করো, অতঃপর ইবরাহীমকে সেই জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করো।
فَاَرَادُوْا بِهٖ كَيْدًا فَجَعَلْنٰهُمُ الْاَسْفَلِيْنَ
অতঃপর তারা ইবরাহীমের বীরুদ্বে একটি ষড়যন্ত্রের সংকল্প করে, তখন আমিই তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করি।
وَقَالَ اِنِّيْ ذَاهِبٌ اِلٰي رَبِّيْ سَيَهْدِيْنِ
সে বলে, নিশ্চয়ই আমি আমার প্রতিপালকের দিকেই চলছি। শীঘ্রই তিনি আমাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ
হে আমার প্রতিপালক ! আপনি আমাকে সংশোধনকারীদের অন্তর্ভুক্ত একটি পুত্র সন্তান দান করুন।
فَبَشَّرْنٰهُ بِغُلٰمٍ حَلِيْمٍ
ফলে আমি তাকে একটি ধীরস্থীর বুদ্ধি সম্পন্ন পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিই।
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يٰبُنَيَّ اِنِّيْۤ اَرٰي فِي الْمَنَامِ اَنِّيْۤ اَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرٰي ؕ قَالَ يٰۤاَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ ۫ سَتَجِدُنِيْۤ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِيْنَ
অতঃপর যখন সেই ছেলেটি তার সাথে চলাফেরা করতে লাগে, তখন সে বলে, হে আমার পুত্র। আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম, আমি তোমাকে জবেহের মাধ্যমে আলাদা করছি। এখন তুমি ভেবে দেখো তোমার কি মত হয় ! ছেলেটি বলে, হে আমার পিতা, আপনাকে যা আদেশ দেওয়া হয়েছে তাই করুন। ইনশা-আল্লাহ অচিরেই আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।
فَلَمَّاۤ اَسْلَمَا وَتَلَّهٗ لِلْجَبِيْنِ ۚ
অতঃপর তারা দু'জনই যখন আত্মসমর্পণ করে মেনে নেয়, তখন ইবরাহীম তাকে সামনের জন্যে শায়িত করে।
قَدْ صَدَّقْتَ الرُّءْيَا ۚ اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ
তুমি তো নিজের স্বপ্নকে খুব উত্তমরূপেই সত্য বলে প্রমাণ করলে ! নিশ্চয়ই আমি এভাবেই সৎকর্মপরায়ণদেরকে প্রতিফল দান করে থাকি।
وَفَدَيْنٰهُ بِذِبْحٍ عَظِيْمٍ
আর আমি তাকে এক বিরাট প্রতিদান দিই জবেহের মাধ্যমে পৃথক করার কারণে।
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ ۖ
তারপরে যারা পরবর্তীতে আসবে তাদের জন্যে এই কথাটি কায়েম রাখি।
كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ
এভাবেই তো সৎকর্মপরায়ণদেরকে আমি প্রতিফল দান করি।
اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ
নিশ্চয়ই সে আমার মু'মিন দাসদের অন্তর্ভূক্ত।
وَبَشَّرْنٰهُ بِاِسْحٰقَ نَبِيًّا مِّنَ الصّٰلِحِيْنَ
আর আমি তাকে ইসহাকের সম্পর্কে সুসংবাদ দান করি যে,( ইসহাকও) সংশোধনকারীদের অন্তর্ভুক্ত নবী হবে।
وَبٰرَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلٰۤي اِسْحٰقَ ؕ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَّظَالِمٌ لِّنَفْسِهٖ مُبِيْنٌ
আর আমি ইবরাহীম ও ইসহাকের উপরে বরকত দান করেছি। আর তাদের দু'জনের বংশধরদের মধ্য হ'তে কেউ হয় সৎকর্মপরায়ণ এবং কেউ হয় তার নিজের উপর সুস্পষ্ট সীমালঙ্ঘনকারী।
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلٰي مُوْسٰي وَهٰرُوْنَ ۚ
আর নিশ্চয়ই আমি মূসা ও হারূণের উপর অনুগ্রহ করেছি।
وَنَجَّيْنٰهُمَا وَقَوْمَهُمَا مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيْمِ ۚ
আর আমিই তো তাদের উভয়কে আর তাদের উভয়ের জাতিকে মহা সংকট হ'তে উদ্ধার করেছি।
وَنَصَرْنٰهُمْ فَكَانُوْا هُمُ الْغٰلِبِيْنَ ۚ
আমিই তো তাদেরকে সাহায্য করেছি। তাই তো তারা জয়লাভে সক্ষম হয়েছে।
وَاٰتَيْنٰهُمَا الْكِتٰبَ الْمُسْتَبِيْنَ ۚ
আমি তাদের উভয়কে সুস্পষ্ট আল কিতাব দান করেছি।
وَهَدَيْنٰهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ ۚ
আর আমিই তাদের উভয়কে সুপ্রতিষ্ঠিত পথে পরিচালিত করেছি
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِي الْاٰخِرِيْنَ ۙ
আর আমি তাদের উভয়ের সম্বন্ধে পরবর্তীদের মধ্যে সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি।
اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ
নিশ্চয়ই এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে প্রতিফল দান করে থাকি।
اِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ
নিশ্চয়ই তারা দু'জনও আমার মু'মিন দাসদের অন্তর্ভুক্ত ।
وَاِنَّ اِلْيَاسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِيْنَ ؕ
আর নিশ্চয়ই ইলিয়াছও রাসূলদের অন্যতম।
اِذْ قَالَ لِقَوْمِهٖۤ اَلَا تَتَّقُوْنَ
ইলিয়াছ যখন তার জাতিকে বলে, তোমরা কি সাবধান হবে না ?
اَتَدْعُوْنَ بَعْلًا وَّتَذَرُوْنَ اَحْسَنَ الْخَالِقِيْنَ ۙ
তোমরা বা'লান তথা স্বামীদেরকে ডাকছো, যাদের কোনো মূল্য নেই। আর সর্বত্তোম স্রষ্টাকে ছেড়ে দিয়েছো ?
اللّٰهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ اٰبَآئِكُمُ الْاَوَّلِيْنَ
যে আল্লাহ তোমাদের প্রতিপালক, আর তোমাদের পূর্বের বাপ-দাদাদেরও।
فَكَذَّبُوْهُ فَاِنَّهُمْ لَمُحْضَرُوْنَ ۙ
সুতরাং তারা তাকে মিথ্যা জানে। তাই তো তাদেরকে পাকড়াও করে আনা হবে।
اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِيْنَ
তবে আল্লাহর একনিষ্ঠ দাসদেরকে বাদ দিয়ে।
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ ۙ
আমি তার উদ্দেশ্যে, পরে যারা আসবে তাদের জন্যে একথাটি কায়েম রাখি।
اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ
নিশ্চয়ই আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিফল দান করে থাকি।
اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ
নিশ্চয়ই সে আমার মু'মিন দাসদের অন্তর্ভুক্ত।
اِذْ نَجَّيْنٰهُ وَاَهْلَهٗۤ اَجْمَعِيْنَ ۙ
আমি যখন লূতকে আর তার পরিবারের লোকজনকে একত্রে উদ্ধার করি।
اِلَّا عَجُوْزًا فِي الْغٰبِرِيْنَ
তবে এক বৃদ্বাকে (অর্থাৎ তার স্ত্রীকে) বাদ দিয়ে, যে পিছনে অবস্থানকারী লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
وَاِنَّكُمْ لَتَمُرُّوْنَ عَلَيْهِمْ مُّصْبِحِيْنَ
আর তোমরা তো তাদের উপর দিয়ে সকালবেলা যাতায়াত করে থাকো।
وَبِالَّيْلِ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ
আর রাতের বেলাও। তবুও কি তোমরা জ্ঞান কাজে লাগাবে না ?
اِذْ اَبَقَ اِلَي الْفُلْكِ الْمَشْحُوْنِ ۙ
সে যখন পালিয়ে বোঝাই নৌকার দিকে যায়।
فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ الْمُدْحَضِيْنَ ۚ
অতঃপর সে জঘন্য ঢেউয়ের মধ্যে ঘিরে যায়, আর ধরা পড়ে।
فَالْتَقَمَهُ الْحُوْتُ وَهُوَ مُلِيْمٌ
তারপর বড় মাছ তাকে গিলে ফেলল। আর সে (নিজেকে) ধিক্কার দিচ্ছিলো।
فَلَوْلَاۤ اَنَّهٗ كَانَ مِنَ الْمُسَبِّحِيْنَ ۙ
তখন সে যদি (আল্লাহর) পবিত্র মহিমা ঘোষণাকারীদের অন্তর্ভুক্ত না হতো।
لَلَبِثَ فِيْ بَطْنِهٖۤ اِلٰي يَوْمِ يُبْعَثُوْنَ ۚؒ
তাহলে সে তারই পেটের মধ্যে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত থেকে যেতো।
فَنَبَذْنٰهُ بِالْعَرَآءِ وَهُوَ سَقِيْمٌ ۚ
এরপরে আমি তাকে একটি তৃণলতাহীন-ময়দানে নিক্ষেপ করলাম। তখন সে বড়ই ক্লান্ত-অসুস্থ অবস্থায় ছিলো।
وَاَنْۢبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِّنْ يَّقْطِيْنٍ ۚ
আর আমি তার জন্যে একটি ইয়াকতীন* গাছ উৎপন্ন করি।
وَاَرْسَلْنٰهُ اِلٰي مِائَةِ اَلْفٍ اَوْ يَزِيْدُوْنَ ۚ
আর আমি ইউনুসকে একশত হাজার (অর্থাৎ এক লক্ষ) বা আরও বেশি লোকদের কাছে রাসূল হিসেবে পাঠাই।
فَاٰمَنُوْا فَمَتَّعْنٰهُمْ اِلٰي حِيْنٍ ؕ
অতঃপর তারা ঈমান আনে, আর আমিও তাদেরকে একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সুখ, সম্পদ ও আরাম দান করি।
فَاسْتَفْتِهِمْ اَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَلَهُمُ الْبَنُوْنَ ۙ
অতঃপর তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো, তোমাদের প্রতিপালকের জন্যে কি কন্যাসমূহ, আর তোমাদের নিজেদের জন্যে পুত্রসমূহ থাকবে ?
اَمْ خَلَقْنَا الْمَلٰٓئِكَةَ اِنَاثًا وَّهُمْ شٰهِدُوْنَ
আমি কি শক্তিধর মালা-ইকাদেরকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছি ? আর তারা কি তা দেখেছে ?
اَلَاۤ اِنَّهُمْ مِّنْ اِفْكِهِمْ لَيَقُوْلُوْنَ ۙ
জেনে রাখো, নিশ্চয়ই তারা তাদের মনগড়া কথা বলছে যে,
وَلَدَ اللّٰهُ ۙ وَاِنَّهُمْ لَكٰذِبُوْنَ
আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন ! আর তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।
اَصْطَفَي الْبَنَاتِ عَلَي الْبَنِيْنَ ؕ
তিনি কি পুত্রসন্তানদের পরিবর্তে কন্যাদেরকে পছন্দ করেছেন?
اَمْ لَكُمْ سُلْطٰنٌ مُّبِيْنٌ ۙ
না কি তোমাদের কাছে কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে ?
فَاْتُوْا بِكِتٰبِكُمْ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ
তাহ'লে তোমরা তোমাদের কিতাব নিয়ে আসো, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাকো !
وَجَعَلُوْا بَيْنَهٗ وَبَيْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا ؕ وَلَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ اِنَّهُمْ لَمُحْضَرُوْنَ ۙ
তারা আল্লাহর সাথে জিন্নাত তথা অদেখাদেরকে নিয়ে আত্মীয়তা আবিষ্কার করেছে ! অথচ জীন-অদেখারা জানে যে তাদেরকেও উপস্থিত করা হবে।
سُبْحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يَصِفُوْنَ ۙ
তিনি হলেন পবিত্র মহান। তারা (পীর মৌলভীরা) যা কিছু বলছে তার তুলনায়।
اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِيْنَ
তবে আল্লাহর একনিষ্ঠ দাস যারা রয়েছে, তাদের কথা আলাদা।
مَاۤ اَنْتُمْ عَلَيْهِ بِفٰتِنِيْنَ ۙ
তোমরা আল্লাহ সম্বন্ধে কাউকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
اِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِيْمِ
তবে শুধু যে নিজেই (জাহান্নামের) সংকীর্ণ জায়গায় পৌঁছাবে তাকে ছাড়া।
وَمَا مِنَّاۤ اِلَّا لَهٗ مَقَامٌ مَّعْلُوْمٌ ۙ
আর আমাদের মধ্যে প্রত্যেকের জন্যই তো দাঁড়ানোর নির্দিষ্ট সুপরিচিত মর্যাদা রয়েছে।
لَوْ اَنَّ عِنْدَنَا ذِكْرًا مِّنَ الْاَوَّلِيْنَ ۙ
আমাদের কাছে যদি বিশেষ স্মরণ (কুরআন) আগেকার লোকদের মতোই আসতো !
لَكُنَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِيْنَ
তাহলে আমরা অবশ্যই আল্লাহর বিশেষ দাসরূপে গণ্য হতে পারতাম।
فَكَفَرُوْا بِهٖ فَسَوْفَ يَعْلَمُوْنَ
অতঃপর তারা এই কুরআনের সাথে অস্বীকার করে। তাই তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِيْنَ ۚۖ
নিশ্চয়ই আমার প্রেরিত রাসূল দাসদের জন্যে এই কথা আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
وَّاَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ يُبْصِرُوْنَ
আর তুমি তাদেরকে দেখতে থাকো। অতঃপর তারা শীঘ্রই (এর পরিণাম) দেখতে পাবে।
اَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُوْنَ
তবে কি তারা আমার শাস্তি সম্পর্কে তাড়াহুড়া করছে?
فَاِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَآءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِيْنَ
অতঃপর যখন তা তাদের আঙ্গিনায় নেমে আসবে, তখন সতর্কীকৃতদের প্রভাত কতই না মন্দ হবে।
وَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتّٰي حِيْنٍ ۙ
তুমি আর কিছুকাল পর্যন্ত তাদেরকে এড়িয়ে চলো।
وَّاَبْصِرْ فَسَوْفَ يُبْصِرُوْنَ
আর তুমি তাদেরকে দেখতে থাকো। শীঘ্রই তারাও দেখতে পাবে।
سُبْحٰنَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ ۚ
তোমার প্রতিপালক পবিত্র মহান। প্রতিপালক হলেন মহা-সম্মানের অধিকারী, তারা যাকিছু আরোপ করছে সে সবের তুলনায়।
وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ
আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে, যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।