সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَوْفُوا۟ بِٱلْعُقُودِۚ أُحِلَّتْ لَكُم بَهِيمَةُ ٱلْأَنْعَٰمِ إِلَّا مَا يُتْلَىٰ عَلَيْكُمْ غَيْرَ مُحِلِّى ٱلصَّيْدِ وَأَنتُمْ حُرُمٌۗ إِنَّ ٱللَّهَ يَحْكُمُ مَا يُرِيدُ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা অঙ্গীকারসমূহকে পূর্ণ করবে। তোমাদের জন্য চতুষ্পদ তৃণভোজী জাবর কাটা পশু হালাল করা হয়েছে। তবে তোমাদের নিকট যা বর্ণিত হয়েছে তাছাড়া। কিন্তু তোমরা যখন ইহরাম অবস্থায় থাকবে, তখন শিকার করা হালাল ভেবো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ আদেশ করেন, যা তিনি চান।*

*5(1) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 39(6),6(142-146)...।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تُحِلُّوا۟ شَعَٰٓئِرَ ٱللَّهِ وَلَا ٱلشَّهْرَ ٱلْحَرَامَ وَلَا ٱلْهَدْىَ وَلَا ٱلْقَلَٰٓئِدَ وَلَآ ءَآمِّينَ ٱلْبَيْتَ ٱلْحَرَامَ يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّن رَّبِّهِمْ وَرِضْوَٰنًاۚ وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَٱصْطَادُوا۟ۚ وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَـَٔانُ قَوْمٍ أَن صَدُّوكُمْ عَنِ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ أَن تَعْتَدُواۘ وَتَعَاوَنُوا۟ عَلَى ٱلْبِرِّ وَٱلتَّقْوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُوا۟ عَلَى ٱلْإِثْمِ وَٱلْعُدْوَٰنِۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে অসম্মান করবে না। সম্মানিত মাসকে, হাদিয়া দেওয়াকে, কাবা'র গোলাকার এবং পবিত্র নিরাপদ ঘরের যাত্রীদেরকে, যারা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি সন্ধান করছে। আর তোমরা যখন ইহরাম মুক্ত হবে, তখন তোমরা শিকার করতে পারবে। কোন সম্প্রদায়ের সাথে বিদ্বেষের ফলে, তোমাদেরকে যেন  মাসজিদে হারাম হতে বাধা না দেয়। এজন্য যেন তোমরা সীমালংঘন করে না বসো। তোমরা সৎকর্মের ও বিধি-বিধান পালনের ব্যাপারে একে অন্যের সহযোগিতা করবে। পাপের কাজ ও সীমালংঘনের ব্যাপারে কোনও রকম সহযোগিতা করবে না। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তিদানে কঠোর।*

*5(2),নং আয়াতের امين/আম্মি-ন শব্দের ব্যাখ্যায় 12(99),48(27),22(25),3(97),আয়াত.. .।
এবং শিকারের ব্যাপারে 5(94,95,96)...।

সূরা : আল মায়েদা

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةُ وَٱلدَّمُ وَلَحْمُ ٱلْخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ لِغَيْرِ ٱللَّهِ بِهِۦ وَٱلْمُنْخَنِقَةُ وَٱلْمَوْقُوذَةُ وَٱلْمُتَرَدِّيَةُ وَٱلنَّطِيحَةُ وَمَآ أَكَلَ ٱلسَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى ٱلنُّصُبِ وَأَن تَسْتَقْسِمُوا۟ بِٱلْأَزْلَٰمِۚ ذَٰلِكُمْ فِسْقٌۗ ٱلْيَوْمَ يَئِسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِن دِينِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَٱخْشَوْنِۚ ٱلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلْإِسْلَٰمَ دِينًاۚ فَمَنِ ٱضْطُرَّ فِى مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍۙ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে স্বইচ্ছায় মৃত পশু পাখী, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে মানত করা হয়েছে; শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, আঘাতে মৃত জন্তু, উপর থেকে নিচে পড়ে মরা জন্তু, অন্য পশুর শিঙের আঘাতে মৃত জন্তু এবং যে জন্তুকে হিংস্র পশু খেয়েছে- তবে যা তোমরা মরার আগেই যবাই করে পবিত্র করবে তা ছাড়া, আর যা পূজার বেদীসমূহ ও দরগা মাজারের জন্য জবাই করবে (তা সব হারাম)। আর এও হারাম যে, যা তোমরা জুয়ার তীরগুলো দিয়ে নির্ধারণ করবে, এসব ফাসিক্বদের কাজ। আজ অবিশ্বাসীরা তোমাদের জীবন ব্যবস্থা হতে নিরাশ হয়ে পড়েছে। অতএব তোমরা তাদেরকে ভয় করবে না। আমাকেই ভয় করবে। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের জীবন ব্যবস্থাকে পূর্ণ করেছি। আর আমার নিয়ামত তোমাদের উপর সম্পূর্ণ করে দিয়েছি। তোমাদের জীবন ব্যবস্থা হিসাবে ইসলাম/শান্তিকেই পছন্দ করেছি। অতঃপর যে কেউ ক্ষুধার কারণে খেতে বাধ্য হবে, ইচ্ছাকৃতভাবে পাপের প্রতি ঝুকে নয়। তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।*

*5(3),নং আয়াতের نعمت/"নিয়ামত" শব্দের ব্যাখ্যায় 12(6),16(81)6(154),48(2),93(11)...।

সূরা : আল মায়েদা

يَسْـَٔلُونَكَ مَاذَآ أُحِلَّ لَهُمْۖ قُلْ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُۙ وَمَا عَلَّمْتُم مِّنَ ٱلْجَوَارِحِ مُكَلِّبِينَ تُعَلِّمُونَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَكُمُ ٱللَّهُۖ فَكُلُوا۟ مِمَّآ أَمْسَكْنَ عَلَيْكُمْ وَٱذْكُرُوا۟ ٱسْمَ ٱللَّهِ عَلَيْهِۖ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَرِيعُ ٱلْحِسَابِ

তোমার কাছে তারা প্রশ্ন করে-কি কি জিনিস তাদের জন্যে হালাল করা হয়েছে? তুমি বলে দাও, সমস্ত পবিত্র জিনিস তোমাদের জন্যে হালাল করা হয়েছে। আর তোমাদের পোষা শিকারী কুকুর সেগুলোকে তোমরা যেভাবে শিখিয়েছ, আল্লাহ তাদেরকে সেভাবে শিখিয়েছেন, যে শিকার ধরে আনবে তোমাদের জন্য, তা তোমরা খেতে পারবে। তবে শিকারী জন্তুকে ছাড়বার সময়ে আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। আর তোমরা সবাই আল্লাহকে ভয় করে চল। নিশ্চয়ই আল্লাহ শীঘ্রই হিসাব নিবেন।

সূরা : আল মায়েদা

ٱلْيَوْمَ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُۖ وَطَعَامُ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ حِلٌّ لَّكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَّهُمْۖ وَٱلْمُحْصَنَٰتُ مِنَ ٱلْمُؤْمِنَٰتِ وَٱلْمُحْصَنَٰتُ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَآ ءَاتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَٰفِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِىٓ أَخْدَانٍۗ وَمَن يَكْفُرْ بِٱلْإِيمَٰنِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُۥ وَهُوَ فِى ٱلْءَاخِرَةِ مِنَ ٱلْخَٰسِرِينَ

আজ তোমাদের জন্যে পবিত্র জিনিস সমূহ হালাল করা হয়েছে। আর যাদেরকে আল কিতাব দেয়া হয়েছে ,তাদের খাবারও তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। আর তোমাদের খাদ্য দ্রব্যও তাদের জন্য হালাল। আর সুচরিত্রা নারী, যাদেরকে তোমাদের থেকে পূর্বেই আল কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদেরকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তবে যখন তোমরা তাদের ধার্যকৃত মোহরগুলো আদায় করবে। ঘর সংসার করার উদ্দেশ্যে-শুধু দেহের ক্ষুধা মেটানোর জন্য প্রকাশ্য অপকর্ম কিংবা গোপন অভিসারের জন্য নয়। যে কেউ ঈমানের (বিষয়াবলীর) প্রতি অবিস্বাস করবে, তা'হলে নিশ্চয়ই তার কাজকর্ম নষ্ট হয়ে যাবে এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغْسِلُوا۟ وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى ٱلْمَرَافِقِ وَٱمْسَحُوا۟ بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى ٱلْكَعْبَيْنِۚ وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَٱطَّهَّرُوا۟ۚ وَإِن كُنتُم مَّرْضَىٰٓ أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوْ جَآءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ ٱلْغَآئِطِ أَوْ لَٰمَسْتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوا۟ مَآءً فَتَيَمَّمُوا۟ صَعِيدًا طَيِّبًا فَٱمْسَحُوا۟ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُۚ مَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُۥ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! যখন তোমরা দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হবে,তখন তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত জোড়াই পর্যন্ত ধুয়ে নিবে (অর্থাৎ হাতের জীবাণু ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করে নিবে) এবং তোমাদের মাথা বিন্নস্ত করে নিবে এবং উচ্ছ মর্যাদাসম্পন্ন স্থানদয়ের প্রতি মনোনিবেশ করবে। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক তবে বিশেষ ভাবে পবিত্র হবে। আর তোমরা যদি অসুস্থ কিংবা সফরে থাক, কিংবা তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পায়খানা করে আসে কিংবা স্ত্রীদের স্পর্শ করো, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা তায়াম্মুম তথা কোন পবিত্র জিনিস দিয়ে মুছে নিবে। তাই তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত দুটি তা দ্বারা মুছে নিবে। আল্লাহ তেমন ইচ্ছা করেন না, যাতে তোমাদের কোন অসুবিধা হতে পারে। তবে তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান। তোমাদের উপর তাঁর নিয়ামত পূর্ণরূপে দান করতে চান। যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।*

*5(6)নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 52(48),74(1-5)...।
পায়ের গোড়ালির ব্যাপারে 2(143),3(144,149),6(71),8(48),23(66), 27(44),38(33),75(29)...।
এবং পায়ের ব্যাপারে 2(250),3(147),8(11),10(2),16(94),41(29),47(7),55(41)।
এবং আরবী "قم" শব্দের ব্যাখ্যায় 13(33),74(2),...।

সূরা : আল মায়েদা

وَٱذْكُرُوا۟ نِعْمَةَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمِيثَٰقَهُ ٱلَّذِى وَاثَقَكُم بِهِۦٓ إِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَاۖ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ


আর স্মরণ কর, তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তাঁর সেই অংগীকারের সম্পর্কে, যা তিনি তোমাদের থেকে নিয়েছেন। যখন তোমরা বললে, ‘আমরা শুনেছি এবং আনুগত্য করেছি’ আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অন্তরসমূহের অবস্থা সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন। 

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُونُوا۟ قَوَّٰمِينَ لِلَّهِ شُهَدَآءَ بِٱلْقِسْطِۖ وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَـَٔانُ قَوْمٍ عَلَىٰٓ أَلَّا تَعْدِلُوا۟ۚ ٱعْدِلُوا۟ هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰۖ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرٌۢ بِمَا تَعْمَلُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা সবাই আল্লাহর জন্য  ন্যায়ের সাথে সাক্ষদানকারী হিসেবে সদা প্রস্তুত থাকবে। আর কোনো জাতির সাথে শত্রুতার কারণে সুবিচার বর্জন করবে না। তোমরা অবশ্যই সুবিচার করবে, তা তাকওয়ার জন্যে নিকটতর। এবং তোমরা সবাই আল্লাহকে ভয় করে চল। আল্লাহ খুব ভালো করেই জানেন তোমরা যা কিছু করছ।

সূরা : আল মায়েদা

وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِۙ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ عَظِيمٌ


আল্লাহ তাদের সাথে ওয়াদা করেছেন-যারা ঈমান এনেছে, সংশোধনের কাজ করেছে, তাদের জন্যে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার রয়েছে।

সূরা : আল মায়েদা

وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَكَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَآ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلْجَحِيمِ


আর যারা অবিশ্বাস করবে এবং আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা সাব্যস্ত করবে, তারাই (জাহান্নামের) সংকীর্ণ জায়গার অধিবাসী।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ هَمَّ قَوْمٌ أَن يَبْسُطُوٓا۟ إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ فَكَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنكُمْۖ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَۚ وَعَلَى ٱللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ ٱلْمُؤْمِنُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহসমূহের স্মরণ কর, যখন একটি সম্প্রদায় সংকল্প করে যে, তোমাদের দিকে তাদের হাতগুলো সম্প্রসারিত করবে। তখন আল্লাহ তাদের হাতগুলো তোমাদের থেকে ঠেকিয়ে দেন। তাই তোমরা সবাই আল্লাহকে ভয় কর। আর আল্লাহর উপরে মু'মিনদের নির্ভর করা উচিত।

সূরা : আল মায়েদা

وَلَقَدْ أَخَذَ ٱللَّهُ مِيثَٰقَ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ وَبَعَثْنَا مِنْهُمُ ٱثْنَىْ عَشَرَ نَقِيبًاۖ وَقَالَ ٱللَّهُ إِنِّى مَعَكُمْۖ لَئِنْ أَقَمْتُمُ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَيْتُمُ ٱلزَّكَوٰةَ وَءَامَنتُم بِرُسُلِى وَعَزَّرْتُمُوهُمْ وَأَقْرَضْتُمُ ٱللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا لَّأُكَفِّرَنَّ عَنكُمْ سَيِّـَٔاتِكُمْ وَلَأُدْخِلَنَّكُمْ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُۚ فَمَن كَفَرَ بَعْدَ ذَٰلِكَ مِنكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَآءَ ٱلسَّبِيلِ

আর নিশ্চয়ই আল্লাহ ইসরাঈল সন্তানদের হতে অঙ্গীকার নিয়েছেন আর তাদের মধ্য হতে বার জন দলনেতা নিযুক্ত করা হয়েছে এবং আল্লাহ বললেন ! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সাথে আছি। অবশ্যই যদি তোমরা যথাযথভাবে দায়িত্ব প্ৰতিষ্ঠা কর, সাহায্য প্রদান কর, আমার রাসূলদের উপরে ঈমান আন, তাদেরকে যদি তোমরা সহযোগিতা কর,আর তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও, তাহলে অবশ্যই আমি তোমাদের থেকে তোমাদের পাপসমূহ মোচন করব। আর অবশ্যই তোমাদের প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে। অতঃপর যে কেউ তোমাদের মধ্য হতে অস্বীকার করবে, ফলে নিশ্চয়ই সে হারিয়ে ফেলবে সরল সোজা পথ।*

*5(12) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 4(31),3(195),57(28),64(16,17),9(75-77)...।
এবং রাসূলের সাথে নাফরমানী করার ব্যাপারে 4(14,42,46),11(59),33(36),60(12),66(6),69(10),71(21),72(23),73(16),79(21),49(7),58(8,9)...।

সূরা : আল মায়েদা

فَبِمَا نَقْضِهِم مِّيثَٰقَهُمْ لَعَنَّٰهُمْ وَجَعَلْنَا قُلُوبَهُمْ قَٰسِيَةًۖ يُحَرِّفُونَ ٱلْكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦۙ وَنَسُوا۟ حَظًّا مِّمَّا ذُكِّرُوا۟ بِهِۦۚ وَلَا تَزَالُ تَطَّلِعُ عَلَىٰ خَآئِنَةٍ مِّنْهُمْ إِلَّا قَلِيلًا مِّنْهُمْۖ فَٱعْفُ عَنْهُمْ وَٱصْفَحْۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُحْسِنِينَ

অতএব তাদের অঙ্গীকার ভংগের কারণেই আমি তাদেরকে অভিশাপ দিয়েছি। তাদের অন্তরগুলোকে কঠিন করে দিয়েছি। ওরা তো শব্দগুলির আসল অর্থ বিকৃত করে। এছাড়া তারা তো সেই উপদেশের একটি অংশ ভুলেই থাকে, যা তাদেরকে দান করা হয়েছে। মাত্র অল্প কয়েকজন লোক ছাড়া তাদের মধ্যকার অনেকের সম্পর্কেই তো এমন খবর পাবে যে, তারা খিয়ানত করেছে। সুতরাং তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর,এবং তাদের এড়িয়ে যাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদেরকে খুব ভালোবাসেন।

সূরা : আল মায়েদা

وَمِنَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّا نَصَٰرَىٰٓ أَخَذْنَا مِيثَٰقَهُمْ فَنَسُوا۟ حَظًّا مِّمَّا ذُكِّرُوا۟ بِهِۦ فَأَغْرَيْنَا بَيْنَهُمُ ٱلْعَدَاوَةَ وَٱلْبَغْضَآءَ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِۚ وَسَوْفَ يُنَبِّئُهُمُ ٱللَّهُ بِمَا كَانُوا۟ يَصْنَعُونَ


যারা বলে বেড়ায় আমরা তো সাহায্যকারী নাসারা। তাদের কাছ থেকেও অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা সেই উপদেশের এক অংশ ভুলেই থাকে, যা তাদেরকে দান করা হয়েছে। সুতরাং আমি তাদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা ও বিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছি। আর শীঘ্রই আল্লাহ তাদেরকে ঐ বিষয়ে জানিয়ে দিবেন, যা তারা বানাতে।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ قَدْ جَآءَكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ كَثِيرًا مِّمَّا كُنتُمْ تُخْفُونَ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَيَعْفُوا۟ عَن كَثِيرٍۚ قَدْ جَآءَكُم مِّنَ ٱللَّهِ نُورٌ وَكِتَٰبٌ مُّبِينٌ

হে আল কিতাবধারীগণ ! নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে আমার রাসূল এসেছে, সে তো তোমাদের কাছে অনেক বিষয় প্রকাশ করে দিচ্ছে, আল কিতাবের মধ্য হতে যা কিছু তোমরা গোপন করতে। সে তো তোমাদের অনেক দোষ-ত্রুটি প্রায়ই ক্ষমা করে থাকে। অবশ্যই তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো যা স্পষ্ট একটি লিখিত কিতাবরূপে এসেছে।*

*5(15),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(101),57(28)...।
নুর সম্পর্কে 4(147),6(91,122),42(52),57(28)...।

আল কিতাব যে রাসূল পৃথিবীতে আসার আগের থেকেই ছিলো এব্যাপারে 10(94),3(184),4(26,136),21(24)...।

সূরা : আল মায়েদা

يَهْدِى بِهِ ٱللَّهُ مَنِ ٱتَّبَعَ رِضْوَٰنَهُۥ سُبُلَ ٱلسَّلَٰمِ وَيُخْرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذْنِهِۦ وَيَهْدِيهِمْ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ

আল্লাহ এ (কিতাব) দিয়ে তাদেরকে পরিচালিত করেন যে তাঁর সন্তুষ্টি ও শান্তির পথ অনুসরণ করে। (রাসূল) তাঁর অনুমতিক্রমে তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করেন। আর তাদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত পথের দিকে পরিচালিত করেন।*
*
5(16) নং  আয়াতের ব্যাখ্যায় 14(1),65(11)...।

সূরা : আল মায়েদা

لَّقَدْ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ مَرْيَمَۚ قُلْ فَمَن يَمْلِكُ مِنَ ٱللَّهِ شَيْـًٔا إِنْ أَرَادَ أَن يُهْلِكَ ٱلْمَسِيحَ ٱبْنَ مَرْيَمَ وَأُمَّهُۥ وَمَن فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًاۗ وَلِلَّهِ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَاۚ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ


নিশ্চয় তারাও অবিশ্বাস করেছে যারা বলছে, নিশ্চয়ই মারইয়ামের পুত্র মাসিহই আল্লাহ । তুমি বলো, তাহলে কে আল্লাহ হতে (বাঁচানোর ব্যাপারে) কিছুমাত্র ক্ষমতা রাখে, যদি তিনি চান যে ধ্বংস করে দিবেন মারইয়ামের পুত্র মাসিহ এবং তার মাকে, আর এই পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা সব কিছুকেও। আল্লাহর জন্যই তো আকাশসমূহের ও পৃথিবীর আধিপত্য, আর এ দু'য়ের মাঝখানে যা কিছু রয়েছে সে সবের মালিকানাও একমাত্র আল্লাহর। তিনি যা ইচ্ছা তা সৃষ্টি করেন। আর আল্লাহ তো সকল বিষয়ের উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : আল মায়েদা

وَقَالَتِ ٱلْيَهُودُ وَٱلنَّصَٰرَىٰ نَحْنُ أَبْنَٰٓؤُا۟ ٱللَّهِ وَأَحِبَّٰٓؤُهُۥۚ قُلْ فَلِمَ يُعَذِّبُكُم بِذُنُوبِكُمۖ بَلْ أَنتُم بَشَرٌ مِّمَّنْ خَلَقَۚ يَغْفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۚ وَلِلَّهِ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَاۖ وَإِلَيْهِ ٱلْمَصِيرُ


আর ইয়াহুদী ও নাসারা (সাহায্যকারী খ্রিষ্টান) দল বলে, আমরা তো আল্লাহরই পুত্র ও আল্লাহর খুবই প্রিয়জন। তুমি বলে দাও, তাহলে আল্লাহ কেন তোমাদের পাপের জন্যেই তোমাদেরকে শাস্তি দিবেন ? বরং তোমরা তো বাশার মানুষ যা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাকেই ক্ষমা করবেন যে ক্ষমার উপযুক্ত হবে। আর শাস্তির উপযুক্তকে শাস্তি দিবেন। আল্লাহর জন্যেই তো আসমান যমীনে যা কিছু রয়েছে সে সবের আধিপত্য। আর এ দু'য়ের মাঝখানে যা কিছু রয়েছে সে সবেরও। আল্লাহর দিকে তোমাদের সবাইকে ফিরে যেতে হবে।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ قَدْ جَآءَكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ عَلَىٰ فَتْرَةٍ مِّنَ ٱلرُّسُلِ أَن تَقُولُوا۟ مَا جَآءَنَا مِنۢ بَشِيرٍ وَلَا نَذِيرٍۖ فَقَدْ جَآءَكُم بَشِيرٌ وَنَذِيرٌۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

হে আল কিতাবধারীগণ ! নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে আমার রাসূল এসেছে, এখন তো সে তোমাদেরকে বুঝিয়ে বলছে। রাসূলদের আগমনের ধারায় একটি বিরতির পরে, যেন তোমরা বলতে না পার যে, আমাদের কাছে তো কোন সুসংবাদ দাতা আসেনি। আর কোন সতর্ককারীও আসেনি। তাই এখন তো তোমাদের কাছে সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী এসে পড়েছে। আসলে আল্লাহ সব কিছুরই উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।

সূরা : আল মায়েদা

وَإِذْ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوْمِهِۦ يَٰقَوْمِ ٱذْكُرُوا۟ نِعْمَةَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَعَلَ فِيكُمْ أَنۢبِيَآءَ وَجَعَلَكُم مُّلُوكًا وَءَاتَىٰكُم مَّا لَمْ يُؤْتِ أَحَدًا مِّنَ ٱلْعَٰلَمِينَ


মূসা যখন তার জাতির উদ্দেশ্যে বলে, হে আমার জাতি। স্মরণ কর আল্লাহর অনুগ্রহ, যা তোমাদের উপরে করা হয়েছে। আল্লাহ তোমাদের মধ্যে থেকেই নবীগণকে বানিয়ে থাকেন, আর তোমাদের মধ্যে হতে রাজাও বানিয়ে থাকেন। আল্লাহ তোমাদেরকে এমন অনেক কিছু দিয়েছেন, যা এ বিশ্বজগতে মধ্যে আর কাউকে দেন নি।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰقَوْمِ ٱدْخُلُوا۟ ٱلْأَرْضَ ٱلْمُقَدَّسَةَ ٱلَّتِى كَتَبَ ٱللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَرْتَدُّوا۟ عَلَىٰٓ أَدْبَارِكُمْ فَتَنقَلِبُوا۟ خَٰسِرِينَ

হে আমার জাতি, তোমরা সবাই পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর। যা তোমাদের জন্য আল্লাহ নির্দিষ্ট করে লিখে দিয়েছেন। তোমরা তোমাদের পিছনের দিকে ফিরে যেয়ো না। তা'হলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে।

সূরা : আল মায়েদা

قَالُوا۟ يَٰمُوسَىٰٓ إِنَّ فِيهَا قَوْمًا جَبَّارِينَ وَإِنَّا لَن نَّدْخُلَهَا حَتَّىٰ يَخْرُجُوا۟ مِنْهَا فَإِن يَخْرُجُوا۟ مِنْهَا فَإِنَّا دَٰخِلُونَ

তারা বলে, হে মূসা ! নিশ্চয়ই সেখানে তো এক দুর্দান্ত শক্তিধর জাতি রয়েছে। আমরা কখনও সেখানে প্রবেশ করবো না, যতক্ষন না তারা সেখান থেকে বের হবে। অতঃপর যদি তারা সেখান থেকে বের হয়, তবে নিশ্চয়ই আমরা প্রবেশ করব।

সূরা : আল মায়েদা

قَالَ رَجُلَانِ مِنَ ٱلَّذِينَ يَخَافُونَ أَنْعَمَ ٱللَّهُ عَلَيْهِمَا ٱدْخُلُوا۟ عَلَيْهِمُ ٱلْبَابَ فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَٰلِبُونَۚ وَعَلَى ٱللَّهِ فَتَوَكَّلُوٓا۟ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

যারা আল্লাহকে ভয় করে, তাদের মধ্যে হতে দু'ব্যক্তি যাদের উপরে আল্লাহর অনুগ্রহ রয়েছে, তারা বলে ! তোমরা ওখানে দরজা তথা সন্মুখদিয়ে প্রবেশ করে তাদের সাথে মুকাবিলা করো। অতঃপর যখন তাতে তোমরা প্রবেশ করবে, তখন নিশ্চয়ই তোমারা বিজয়ী হবে। তাই তোমরা আল্লাহর উপরে নির্ভর করো-যদি তোমরা মুমিন হয়েই থাক।

সূরা : আল মায়েদা

قَالُوا۟ يَٰمُوسَىٰٓ إِنَّا لَن نَّدْخُلَهَآ أَبَدًا مَّا دَامُوا۟ فِيهَاۖ فَٱذْهَبْ أَنتَ وَرَبُّكَ فَقَٰتِلَآ إِنَّا هَٰهُنَا قَٰعِدُونَ

তারা বলে, হে মূসা ! নিশ্চয়ই আমরা কখনও তাতে প্রবেশ করবো না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকবে। অতএব তুমি আর তোমার প্রতিপালক যাও, আর তোমরা উভয়ে কতলের মাধ্যমে মুকাবিলা কর, নিশ্চয়ই আমরা এখানেই বসে থাকবো।

সূরা : আল মায়েদা

قَالَ رَبِّ إِنِّى لَآ أَمْلِكُ إِلَّا نَفْسِى وَأَخِىۖ فَٱفْرُقْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ ٱلْقَوْمِ ٱلْفَٰسِقِينَ


সে বলে, হে আমার প্রতিপালক ! নিশ্চয়ই আমি আমার নিজের আর আমার ভাইয়ের ছাড়া অন্য কারোর উপর ক্ষমতা রাখি না। তাই আমাদের মাঝে ও অমান্যকারী-ফাসিক সম্প্রদায়ের মাঝে পৃথক করে দিন।

সূরা : আল মায়েদা

قَالَ فَإِنَّهَا مُحَرَّمَةٌ عَلَيْهِمْۛ أَرْبَعِينَ سَنَةًۛ يَتِيهُونَ فِى ٱلْأَرْضِۚ فَلَا تَأْسَ عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْفَٰسِقِينَ


তিনি বলেন, সেই দেশ ওদের জন্য চল্লিশ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হল। পৃথিবীতে ওরা উদ্ভ্রান্ত হয়েই ঘুরতে থাকবে। অতএব তুমি অমান্যকারী-ফাসিক সম্প্রদায়ের অবস্থা দেখে দুঃখ করবে না।

সূরা : আল মায়েদা

وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ٱبْنَىْ ءَادَمَ بِٱلْحَقِّ إِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ ٱلْءَاخَرِ قَالَ لَأَقْتُلَنَّكَۖ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ ٱللَّهُ مِنَ ٱلْمُتَّقِينَ

আর তুমি তাদের কাছে আদমের দু'ছেলের সংবাদ যথাযথভাবে তিলাওয়াত করে শোনাও। তারা দু'জন যখন নিজেদের কোরবানী পেশ করে, আর তাদের মধ্যে একজনের কোরবানী গ্রহণ করা হয়, আর অপর জনের গ্রহণ করা হয় না। তখন সে বলে, আমি তোমাকে হত্যা করব। অন্যজন বলে, আল্লাহ কেবল মহৎব্যক্তিদের থেকেই গ্রহন করেন।

সূরা : আল মায়েদা

لَئِنۢ بَسَطتَ إِلَىَّ يَدَكَ لِتَقْتُلَنِى مَآ أَنَا۠ بِبَاسِطٍ يَدِىَ إِلَيْكَ لِأَقْتُلَكَۖ إِنِّىٓ أَخَافُ ٱللَّهَ رَبَّ ٱلْعَٰلَمِينَ

তুমি যদি তোমার হাত আমার দিকে বাড়াও আমাকে হত্যা করার জন্য, তবুও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্যে আমার হাত তোমার দিকে বাড়াতে যাচ্ছি না। নিশ্চয়ই আমি জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।

সূরা : আল মায়েদা

إِنِّىٓ أُرِيدُ أَن تَبُوٓأَ بِإِثْمِى وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلنَّارِۚ وَذَٰلِكَ جَزَٰٓؤُا۟ ٱلظَّٰلِمِينَ


‘নিশ্চয় আমি চাই যে, তুমি আমার ও তোমার পাপ নিয়ে ফিরে যাও, অতএব তুমি আগুনের অধিবাসী হবে। আর সেটিই হচ্ছে সীমালঙ্ঘনকারীদের প্রতিফল’।

সূরা : আল মায়েদা

فَطَوَّعَتْ لَهُۥ نَفْسُهُۥ قَتْلَ أَخِيهِ فَقَتَلَهُۥ فَأَصْبَحَ مِنَ ٱلْخَٰسِرِينَ


অতঃপর তার নাফস্-কুপ্রবৃত্তি তাকে নিজের ভাইকে হত্যা করার জন্যে উত্তেজিত করে। সে তাকে হত্যা করে বসে। ফলে সে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।

সূরা : আল মায়েদা

فَبَعَثَ ٱللَّهُ غُرَابًا يَبْحَثُ فِى ٱلْأَرْضِ لِيُرِيَهُۥ كَيْفَ يُوَٰرِى سَوْءَةَ أَخِيهِۚ قَالَ يَٰوَيْلَتَىٰٓ أَعَجَزْتُ أَنْ أَكُونَ مِثْلَ هَٰذَا ٱلْغُرَابِ فَأُوَٰرِىَ سَوْءَةَ أَخِىۖ فَأَصْبَحَ مِنَ ٱلنَّٰدِمِينَ

অতঃপর আল্লাহ একজন খোঁজ খবরকারীকে পাঠান। সে দেশে তদন্ত করে সবকিছু প্রকাশ করে দেয়। যা কিছু নির্মমতা সে তার ভাইয়ের সাথে করে। সে বলে হায় ! আমি তো এই খোঁজ খবরকারীর মতোও হতে পারলাম না। তদন্তকারী তো আমার ভাইয়ের সাথে কৃত সব কিছুকেই প্রকাশ করে দিল। অবশেষে সে অনুতাপকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।

সূরা : আল মায়েদা

مِنْ أَجْلِ ذَٰلِكَ كَتَبْنَا عَلَىٰ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ أَنَّهُۥ مَن قَتَلَ نَفْسًۢا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِى ٱلْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ ٱلنَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَآ أَحْيَا ٱلنَّاسَ جَمِيعًاۚ وَلَقَدْ جَآءَتْهُمْ رُسُلُنَا بِٱلْبَيِّنَٰتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم بَعْدَ ذَٰلِكَ فِى ٱلْأَرْضِ لَمُسْرِفُونَ

সেই সময় থেকে আমি ইসরাঈল সন্তানদের উপর লিখে দিয়েছি এই যে, যে কেউ কোন ব্যক্তিকে হত্যা করবে কোন ব্যক্তির হত্যার বিনিময় হিসেবে ছাড়া, কিংবা দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে, তাহ'লে সে যেনো সমস্ত মানুষকেই হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাবে, তাহ'লে সে যেনো সমস্ত মানুষকেই বাঁচালো। আর নিশ্চয়ই আমার রাসূলরা তাদের কাছে সুষ্পষ্ট প্রমাণ সহ এসেছে। তবুও তাদের মধ্য হতে অনেকেই এর পরেও পৃথিবীতে সীমাতিক্রমকারী হয়।

সূরা : আল মায়েদা

إِنَّمَا جَزَٰٓؤُا۟ ٱلَّذِينَ يُحَارِبُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَسْعَوْنَ فِى ٱلْأَرْضِ فَسَادًا أَن يُقَتَّلُوٓا۟ أَوْ يُصَلَّبُوٓا۟ أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُم مِّنْ خِلَٰفٍ أَوْ يُنفَوْا۟ مِنَ ٱلْأَرْضِۚ ذَٰلِكَ لَهُمْ خِزْىٌ فِى ٱلدُّنْيَاۖ وَلَهُمْ فِى ٱلْءَاخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

মূলতঃ যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, আর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টায় মেতে উঠবে, তাদের শাস্তি কেবল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে, কিংবা তাদেরকে ক্রুশ বিদ্ধ করা হবে। অথবা তাদের হাত ও পা গুলোর বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে (বেড়ী পরানোর মাধ্যমে)। কিংবা তাদের আপন দেশ থেকে নির্বাচিত করা হবে। এসব হচ্ছে তাদের জন্যে দুনিয়ার অপমান। আর তাদের জন্য রয়েছে পরকালেও কঠোর শাস্তি।*

5(33) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(278,279),9(107,108),58(5,20),9(63)...।

সূরা : আল মায়েদা

إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُوا۟ مِن قَبْلِ أَن تَقْدِرُوا۟ عَلَيْهِمْۖ فَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


তবে যারা তাওবার মাধ্যমে ফিরে আসবে, তাদের উপরে তোমাদের আমল দখল প্রতিষ্ঠার আগে। তাহলে জানবে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱبْتَغُوٓا۟ إِلَيْهِ ٱلْوَسِيلَةَ وَجَٰهِدُوا۟ فِى سَبِيلِهِۦ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা সবাই আল্লাহকে ভয় কর। আর আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য  উপায়ের খোঁজ নিতে থাক। এবং তাঁর কোরআনের পথে তোমরা উৎকৃষ্টতমকর্ম কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।*

*5(35),নাং আয়াতের ব্যাখ্যায 76(26),96(19)5(27),2(177),46(28),17(57)...।

সূরা : আল মায়েদা

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْ أَنَّ لَهُم مَّا فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا وَمِثْلَهُۥ مَعَهُۥ لِيَفْتَدُوا۟ بِهِۦ مِنْ عَذَابِ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْهُمْۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


নিশ্চয়ই যারা কুফুরী করেছে, তাদের কাছে যদি পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা সমস্তই, আর তার সাথে যদি তার সমতুল্য আরও কিছু থাকে, আর কিয়ামতের দিন যদি তারা এসবের বিনিময়ে শাস্তি থেকে বাঁচার জন্যে মুক্তিপণ হিসেবে দান করে, তবুও তাদের থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে নিদারুণ শাস্তি।

সূরা : আল মায়েদা

يُرِيدُونَ أَن يَخْرُجُوا۟ مِنَ ٱلنَّارِ وَمَا هُم بِخَٰرِجِينَ مِنْهَاۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ مُّقِيمٌ

তারা চাইবে যে, তারা (জাহান্নামের) আগুন হতে বের হবে, কিন্তু তারা তা থেকে বের হতে পারবে না।
তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শাস্তি। 

সূরা : আল মায়েদা

وَٱلسَّارِقُ وَٱلسَّارِقَةُ فَٱقْطَعُوٓا۟ أَيْدِيَهُمَا جَزَآءًۢ بِمَا كَسَبَا نَكَٰلًا مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

এবং পুরুষ চোর (হউক) বা নারী চোর তোমরা তাদের প্রতিফলস্বরূপ উভয়ের ক্ষমতা (চুরি করার কলা-কৌশল) চিন্নভিন্ন করে দিবে, এ কারণে যা তারা উভয়ে অর্জন করেছে, আল্লাহর পক্ষ হতে শিক্ষামূলক দন্ড হিসেবে। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও মহা বৈজ্ঞানিক।*

*5(38),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 12(70,73,77,81)...।
আর হাত কাটার ব্যপারে 12(31)...।

সূরা : আল মায়েদা

فَمَن تَابَ مِنۢ بَعْدِ ظُلْمِهِۦ وَأَصْلَحَ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَتُوبُ عَلَيْهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


তবে যে ব্যক্তি তার অন্যায়ের পর থেকে তাওবা করে ফিরে আসবে এবং নিজেকে শুধরে নিবে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।

সূরা : আল মায়েদা

أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ يُعَذِّبُ مَن يَشَآءُ وَيَغْفِرُ لِمَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

তুমি কি জান না? যে আকাশসমূহের ও পৃথিবীর আধিপত্য একমাত্র আল্লাহর। আল্লাহ তাকেই শাস্তি দিয়ে থাকেন যে শাস্তির উপযুক্ত। আর ক্ষমার উপযুক্তকে ক্ষমা করেন। আর আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন। 

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلرَّسُولُ لَا يَحْزُنكَ ٱلَّذِينَ يُسَٰرِعُونَ فِى ٱلْكُفْرِ مِنَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا بِأَفْوَٰهِهِمْ وَلَمْ تُؤْمِن قُلُوبُهُمْۛ وَمِنَ ٱلَّذِينَ هَادُوا۟ۛ سَمَّٰعُونَ لِلْكَذِبِ سَمَّٰعُونَ لِقَوْمٍ ءَاخَرِينَ لَمْ يَأْتُوكَۖ يُحَرِّفُونَ ٱلْكَلِمَ مِنۢ بَعْدِ مَوَاضِعِهِۦۖ يَقُولُونَ إِنْ أُوتِيتُمْ هَٰذَا فَخُذُوهُ وَإِن لَّمْ تُؤْتَوْهُ فَٱحْذَرُوا۟ۚ وَمَن يُرِدِ ٱللَّهُ فِتْنَتَهُۥ فَلَن تَمْلِكَ لَهُۥ مِنَ ٱللَّهِ شَيْـًٔاۚ أُو۟لَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ لَمْ يُرِدِ ٱللَّهُ أَن يُطَهِّرَ قُلُوبَهُمْۚ لَهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا خِزْىٌۖ وَلَهُمْ فِى ٱلْءَاخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

হে রাসূল ! তাদেরকে নিয়ে তুমি দুঃখিত হবে না।যারা কুফরীর মধ্যে দ্রুত ধাবিত হয়। তাদের মধ্য হতে যারা তাদের মুখ দিয়ে বলে আমরা ঈমান এনেছি। কিন্তু তারা তাদের অন্তর দিয়ে ঈমান আনে নি। তাদের মধ্যে যারা হিদায়াতের দাবীদার ইয়াহুদী, তারা তো মিথ্যা প্রচারের জন্যই গুপ্তচর সেজে থাকে। যারা এখনো তোমার কাছে আসে নি - তাদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যই। (আল্লাহর) কথাগুলোকে বিকৃত করে দেয়, সেগুলোর প্রশঙ্গস্থান নির্দারণের পরেও। আর তারা বলে, তোমাদেরকে যদি এসব কথা বলা হয়-তবে তাই তোমরা গ্রহণ করে নিও। যদি তোমরা এমনটি না পাও, তাহলে সে সব বর্জন কর। আল্লাহ থেকে যে পরিক্ষার মাধ্যমে বিভ্রান্ত হতে চায়, তার ব্যাপারে তুমি আল্লাহর কাছ থেকে কোনো কিছুর এখতিয়ার পাবে না। এরাই তো সেই দল যাদের অন্তরকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাইতো তাদের জন্যে দুনিয়াতে অপমান রয়েছে, আর তাদের জন্যে পরকালেও মহা শাস্তি রয়েছে।

সূরা : আল মায়েদা

سَمَّٰعُونَ لِلْكَذِبِ أَكَّٰلُونَ لِلسُّحْتِۚ فَإِن جَآءُوكَ فَٱحْكُم بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْۖ وَإِن تُعْرِضْ عَنْهُمْ فَلَن يَضُرُّوكَ شَيْـًٔاۖ وَإِنْ حَكَمْتَ فَٱحْكُم بَيْنَهُم بِٱلْقِسْطِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلْمُقْسِطِينَ

কিছু লোক মিথ্যা প্রচারের জন্যে গুপ্তচর সেজে বসে। তারা অবৈধ মাল খাওয়ার ব্যাপারে খুবই তৎপর। এরা যদি তোমার কাছে আসে, তাহলে তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিবে কিংবা এড়িয়ে চলবে তাদেরকে। অথবা তাদেরকে যদি এড়িয়ে চল, তাহলে তারা তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এবং তুমি যদি বিচার করো তবে তাদের মাঝে ন্যায়ের সাথে বিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায় বিচারকারীদেরকে খুব ভালোবাসেন।

সূরা : আল মায়েদা

وَكَيْفَ يُحَكِّمُونَكَ وَعِندَهُمُ ٱلتَّوْرَىٰةُ فِيهَا حُكْمُ ٱللَّهِ ثُمَّ يَتَوَلَّوْنَ مِنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَۚ وَمَآ أُو۟لَٰٓئِكَ بِٱلْمُؤْمِنِينَ

আর কিরূপে তারা তোমাকে বিচারক মানবে? যখন তাদের কাছে বিশেষ আইন বিদ্যমান রয়েছে। তার মধ্যে আল্লাহর নির্দেশ (বিচারের ফায়সালা লিখা) রয়েছে। অথচ এর পরেও তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আসলে ঐসব লোক মু'মিন না।

সূরা : আল মায়েদা

إِنَّآ أَنزَلْنَا ٱلتَّوْرَىٰةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌۚ يَحْكُمُ بِهَا ٱلنَّبِيُّونَ ٱلَّذِينَ أَسْلَمُوا۟ لِلَّذِينَ هَادُوا۟ وَٱلرَّبَّٰنِيُّونَ وَٱلْأَحْبَارُ بِمَا ٱسْتُحْفِظُوا۟ مِن كِتَٰبِ ٱللَّهِ وَكَانُوا۟ عَلَيْهِ شُهَدَآءَۚ فَلَا تَخْشَوُا۟ ٱلنَّاسَ وَٱخْشَوْنِ وَلَا تَشْتَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِى ثَمَنًا قَلِيلًاۚ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْكَٰفِرُونَ

নিশ্চয়ই আমিই বিশেষ আইন অবতীর্ণ করেছি। তার মধ্যে রয়েছে সঠিক পথনির্দেশ ও আলো। বিশেষ আইন অনুসারে সকল নবীগণ, যারা আল্লাহর অনুগত-মুসলিম তারাও ফায়সালা দিবে হিদায়াতের দাবীদার ইয়াহুদীদেরকে, আর যারা রব্বানীয়ুন (যারা নিজেদেরকে রবওয়ালা দাবী করে) এবং আহ্'বারদেরকে (যারা ধর্ম গুরু সাজে) কারণ, তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের হিফাজতকারী (হাফিজ) রূপে নিযুক্ত করা হয়েছে এবং তারা তার সত্যতা প্রমাণকারী সাক্ষী হিসেবেই রয়েছে। সুতরাং তোমরা মানুষকে ভয় করবে না, আর শুধু আমাকেই ভয় করবে। আর আমার আয়াতসমূহের বিনিময়ে সামান্য মূল্য তোমরা গ্রহণ করবে না। আর আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা দিয়ে যারা বিচার ফায়সালা করে না, তারাই কাফির।

সূরা : আল মায়েদা

وَكَتَبْنَا عَلَيْهِمْ فِيهَآ أَنَّ ٱلنَّفْسَ بِٱلنَّفْسِ وَٱلْعَيْنَ بِٱلْعَيْنِ وَٱلْأَنفَ بِٱلْأَنفِ وَٱلْأُذُنَ بِٱلْأُذُنِ وَٱلسِّنَّ بِٱلسِّنِّ وَٱلْجُرُوحَ قِصَاصٌۚ فَمَن تَصَدَّقَ بِهِۦ فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَّهُۥۚ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ

আর আমি এতে তাদের জন্যে নির্দেশ লিখে দিয়েছি প্রানের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, দাঁতের বদলে দাঁত আর সব রকমের জখমের কিসাস তথা বদলা ঠিক এই হিসেবে। কিন্তু যদি কেউ তা সাদাকা/ক্ষমা করে দেয়, তবে সেটা তো তার জন্যে কাফফারা (পাপ মোচন) হিসেবে গণ্য হবে। আর আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তা দিয়ে যারা বিচার ফায়সালা করে না, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। *

*5(45),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(178),4(92)।

সূরা : আল মায়েদা

وَقَفَّيْنَا عَلٰۤي اٰثَارِهِمْ بِعِيْسَي ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرٰىةِ ۪ وَاٰتَيْنٰهُ الْاِنْجِيْلَ فِيْهِ هُدًي وَّنُوْرٌ ۙ وَّمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرٰىةِ وَهُدًي وَّمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِيْنَ ؕ


আর আমি মারইয়ামের পুত্র ঈসাকে তাদের পদচিহ্নের উপর পাঠিয়েছি তার হাতের মাঝে থাকা বিশেষ আইনগ্রন্থ থেকে সত্যায়নকারীরূপে এবং তাকে দিয়েছি সুসংবাদ, তার মধ্যে রয়েছে পথনির্দেশ ও আলো এবং তার হাতের মাঝে থাকা বিষেশ আইনগ্রন্থ থেকে সত্যায়ন করে, পথনির্দেশ ও মহৎব্যক্তিদের জন্য উপদেশ হিসেবে।

সূরা : আল মায়েদা

وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ ٱلْإِنجِيلِ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فِيهِۚ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَٰسِقُونَ

আর বিশেষ সুসংবাদের অনুসারীরা যেনো সেই অনুসারে বিচার ফায়সালা করে যা আল্লাহ তার মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন। আর আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা দিয়ে যারা বিচার ফায়সালা করে না,
তারাই তো অমান্যকারী-ফাসিক।

সূরা : আল মায়েদা

وَأَنزَلْنَآ إِلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِۖ فَٱحْكُم بَيْنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُۖ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَآءَهُمْ عَمَّا جَآءَكَ مِنَ ٱلْحَقِّۚ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًاۚ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَٰحِدَةً وَلَٰكِن لِّيَبْلُوَكُمْ فِى مَآ ءَاتَىٰكُمْۖ فَٱسْتَبِقُوا۟ ٱلْخَيْرَٰتِۚ إِلَى ٱللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ

আর আমিই তো তোমার প্রতি সত্য সহকারে আল কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যা সত্যায়ন করবে তার হাতের মাঝে থাকা সেই আল কিতাব থেকে। আর তার মধ্যে যা কিছু আছে সে সব বিষয়ে সংরক্ষককারী হিসেবে। অতএব আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, সে অনুসারেই তাদের মাঝে বিচার ফায়সালা করবে। তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করবে না - তোমার কাছে যে মহাসত্য (আল কোরআন) এসেছে তা বাদ দিয়ে। আমি তোমাদের সবার জন্যে একটি মাত্র শরীয়তের মিনহাজ তথা যে জীবন ব্যবস্থা মেনে গন্তব্যে পৌঁছা সম্ভব, তা আমি নির্ধারণ করে দিয়েছি। আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন তাহলে তোমাদের সবাইকে একটি জাতি বানিয়ে দিতেন। কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান, যা কিছু আল্লাহ তোমাদেরকে দান করেছেন তা দিয়ে। তাই তোমরা কল্যাণমূলক কাজে প্রতিযোগিতা করো। তখন তিনি তোমাদেরকে ঐ বিষয়ে জানিয়ে দিবেন, যা নিয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে। 

সূরা : আল মায়েদা

وَأَنِ ٱحْكُم بَيْنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَآءَهُمْ وَٱحْذَرْهُمْ أَن يَفْتِنُوكَ عَنۢ بَعْضِ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ إِلَيْكَۖ فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَٱعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُصِيبَهُم بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْۗ وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ ٱلنَّاسِ لَفَٰسِقُونَ

আর এও নির্দেশ যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তুমি তা দিয়ে তাদের মাঝে বিচার ফায়সালা করবে। আর তুমি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবে না। তুমি তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকবে, যেন তারা কিছু অংশ হতে তোমাকে বিচ্যুত করে না দেয়, যা তোমার প্রতি আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন। অতএব যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তুমি জানবে, মূলতঃ আল্লাহ চাচ্ছেন যে, তাদেরই পাপসমূহের কিছু অংশের কারণে তাদেরকে শাস্তি পৌছাবেন। আসলে মানুষের মধ্যে অনেকেই তো অমান্যকারী-ফাসিক রয়েছে।*

*5(49) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 17(71-77)

সূরা : আল মায়েদা

أَفَحُكْمَ ٱلْجَٰهِلِيَّةِ يَبْغُونَۚ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ ٱللَّهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ يُوقِنُونَ


মানুষেরা কি অজ্ঞতার বর্বর যুগের বিধি ব্যবস্থা মেনে চলার জন্য চেষ্টা করছে ? অথচ দৃঢ় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্যে আল্লাহর চেয়ে আর কেই বা সর্বোত্তম নিখুঁত বিধানের ব্যবস্থাপক হতে পারে ?

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوا۟ ٱلْيَهُودَ وَٱلنَّصَٰرَىٰٓ أَوْلِيَآءَۘ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَإِنَّهُۥ مِنْهُمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِينَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা ইয়াহুদী ও নাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা তো তাদের একে অপরের পরস্পরের বন্ধু। এবং তোমাদের মধ্য হতে যে কেউ তাদেরকে বন্ধু বানাবে, তবে নিশ্চয়ই সে তাদেরই মধ্যকার গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।

সূরা : আল মায়েদা

فَتَرَى ٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ يُسَٰرِعُونَ فِيهِمْ يَقُولُونَ نَخْشَىٰٓ أَن تُصِيبَنَا دَآئِرَةٌۚ فَعَسَى ٱللَّهُ أَن يَأْتِىَ بِٱلْفَتْحِ أَوْ أَمْرٍ مِّنْ عِندِهِۦ فَيُصْبِحُوا۟ عَلَىٰ مَآ أَسَرُّوا۟ فِىٓ أَنفُسِهِمْ نَٰدِمِينَ

তাই তুমি দেখতে পাবে যাদের অন্তরগুলোর মধ্যে (মুনাফিকীর) রোগ রয়েছে, তারা তাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য বহাল রাখতে খুবই তৎপর। তারা বলে, আমরা ভয় করি যে, আমাদের উপর কোনো বিপদ এসে পড়বে। অতঃপর আল্লাহ শীঘ্রই হয়তো (মুসলিমদের) বিজয় দান করবেন ! কিংবা তাঁর নিজের পক্ষ থেকে এমন কোনও ব্যবস্থা করে দিবেন, তখন তারা যা তাদের নিজেদের মনের মধ্যে গোপন করতো, তাই নিয়ে অনুতাপ করতে থাকবে।

সূরা : আল মায়েদা

وَيَقُولُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَهَٰٓؤُلَآءِ ٱلَّذِينَ أَقْسَمُوا۟ بِٱللَّهِ جَهْدَ أَيْمَٰنِهِمْۙ إِنَّهُمْ لَمَعَكُمْۚ حَبِطَتْ أَعْمَٰلُهُمْ فَأَصْبَحُوا۟ خَٰسِرِينَ

আর যারা বিশ্বাসী-মুমিন, তারা তখন বলবে, এরাই কি সেই লোকগুলো, যারা আল্লাহর নামে কঠিন রকমের শপথ করতো -আমরা তো তোমাদের সাথেই রয়েছি। তাদের কাজকর্ম বরবাদ হয়ে যাবে। আর তারা ক্ষতিগ্রস্থদের দলে শামিল হয়ে যাবে।*

*5(53),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় কাফেরদের শপথের ব্যাপারে 2(14)24(53),6(62),9(96),58(14)68(10)।
এবং মোমিনের শপথের ব্যাপারে,2(224,225)5(89),9(102-105)।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِۦ فَسَوْفَ يَأْتِى ٱللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُۥٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ يُجَٰهِدُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَآئِمٍۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ ٱللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমাদের মধ্যে যদি কেউ নিজেদের জীবন ব্যবস্থা হতে ফিরে যায় (মুরতাদ হয়ে যায়), তাহলে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় নিয়ে আসবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন, আর তারাও তাঁকে ভালোবাসবে। আর মু'মিনদের প্রতি তারা বড়ই সদয় ও কাফিরদের প্রতি তারা কঠোর হবে। তারা তো আল্লাহর পথে  উৎকৃষ্টতমকর্ম করবে। আর কোনো ঠাট্টা বিদ্রুপকারীদের উপহাসে তারা ভয় পাবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যে কেউ চায় আল্লাহ তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ বিশাল ব্যপ্তির অধিকারী, সব কিছুই জানেন।*

*5(54) আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(74)...।
এবং কাফেরদের প্রতি ককঠোরতার ব্যপারে 9(123),48(29)...।

সূরা : আল মায়েদা

إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱلَّذِينَ يُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤْتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَهُمْ رَٰكِعُونَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমাদের মধ্যে যদি কেউ নিজেদের জীবন ব্যবস্থা হতে ফিরে যায় (মুরতাদ হয়ে যায়), তাহলে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় নিয়ে আসবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন, আর তারাও তাঁকে ভালোবাসবে। আর মু'মিনদের প্রতি তারা বড়ই সদয় ও কাফিরদের প্রতি তারা কঠোর হবে। তারা তো আল্লাহর পথে  উৎকৃষ্টতমকর্ম করবে। আর কোনো ঠাট্টা বিদ্রুপকারীদের উপহাসে তারা ভয় পাবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যে কেউ চায় আল্লাহ তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ বিশাল ব্যপ্তির অধিকারী, সব কিছুই জানেন।*

*5(54) আয়াতের ব্যাখ্যায় 9(74)...।
এবং কাফেরদের প্রতি ককঠোরতার ব্যপারে 9(123),48(29)...।

সূরা : আল মায়েদা

وَمَن يَتَوَلَّ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ فَإِنَّ حِزْبَ ٱللَّهِ هُمُ ٱلْغَٰلِبُونَ

এবং যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলকে বন্ধু  বানাবে, আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকেও, তবে নিশ্চয়ই সেই দল আল্লাহর, তারাই বিজয়ী হবে।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَتَّخِذُوا۟ ٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُوا۟ دِينَكُمْ هُزُوًا وَلَعِبًا مِّنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ مِن قَبْلِكُمْ وَٱلْكُفَّارَ أَوْلِيَآءَۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! যারা তোমাদের জীবন ব্যবস্থাকে বিদ্রুপরূপে ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করছে, যাদেরকে আল কিতাব দেয়া হয়েছিলো তোমাদের পূর্বে, তাদের মধ্যে যারা এমন করবে - আর কাফিরদেরকেও তোমরা তোমাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে না। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যদি তোমরা মু'মিন হয়ে থাকো।

সূরা : আল মায়েদা

وَإِذَا نَادَيْتُمْ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ ٱتَّخَذُوهَا هُزُوًا وَلَعِبًاۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَعْقِلُونَ


আর যখন তোমরা দায়িত্ব পালনের দিকে ডাকো, তখন তারা তা বিদ্রুপরূপে ও খেলা হিসেবে গ্রহণ করে। এটা একারণে যে তারা এমন সম্প্রদায় যারা বিচার বিবেচনা করে না 

সূরা : আল মায়েদা

قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ هَلْ تَنقِمُونَ مِنَّآ إِلَّآ أَنْ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلُ وَأَنَّ أَكْثَرَكُمْ فَٰسِقُونَ


তুমি বলে দাও, হে আল কিতাবধারীগণ ! তোমরা কি কেবল একারণে আমাদের থেকে প্রতিশোধ নিচ্ছো? যে আমরা আল্লাহর উপরে ঈমান এনেছি। আমাদের প্রতি আল্লাহ তাই অবতীর্ণ করেছেন, যা পূর্ব থেকেই অবতীর্ণ হয়ে আসছে। আর মূল কথা হলো যে তোমাদের অধিকাংশ অমান্যকারী-ফাসিক।'

সূরা : আল মায়েদা

قُلْ هَلْ أُنَبِّئُكُم بِشَرٍّ مِّن ذَٰلِكَ مَثُوبَةً عِندَ ٱللَّهِۚ مَن لَّعَنَهُ ٱللَّهُ وَغَضِبَ عَلَيْهِ وَجَعَلَ مِنْهُمُ ٱلْقِرَدَةَ وَٱلْخَنَازِيرَ وَعَبَدَ ٱلطَّٰغُوتَۚ أُو۟لَٰٓئِكَ شَرٌّ مَّكَانًا وَأَضَلُّ عَن سَوَآءِ ٱلسَّبِيلِ

তুমি বলে দাও, আমি কি তোমাদেরকে আল্লাহর কাছে পরিণতির দিক দিয়ে এর চেয়েও নিকৃ্ষ্টের ব্যপারে সংবাদ দিবো ? তারা তো সেই দল, যাদেরকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন এবং যাদের উপরে তিনি রাগ হয়েছেন? আর তাদের মধ্য হতে কাউকে বানিয়েছেন বানর ও শূকর। আর তারা তাগুতের (কোরআন বহির্ভূত আইনের) দাস হয়েছে। আর ঐসব লোক মর্যাদায় নিকৃষ্ট ও অধিক পথভ্রষ্ট সরল সোজা পথ হতে। 

সূরা : আল মায়েদা

وَإِذَا جَآءُوكُمْ قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَقَد دَّخَلُوا۟ بِٱلْكُفْرِ وَهُمْ قَدْ خَرَجُوا۟ بِهِۦۚ وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا۟ يَكْتُمُون

এবং তারা যখন তোমাদের কাছে আসে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আসলে তারা অবিশ্বাস  নিয়েই প্রবেশ করে থাকে। আর তা-ই নিয়ে তারা বেরিয়ে যায়।  আর আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুব জানেন, যা তারা মনের মধ্যে গোপন করছে। 

সূরা : আল মায়েদা

وَتَرٰي كَثِيْرًا مِّنْهُمْ يُسَارِعُوْنَ فِي الْاِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاَكْلِهِمُ السُّحْتَ ؕ لَبِئْسَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ


আর তুমি দেখবে তাদের মধ্য থেকে অনেক লোককে, যে তারা পাপে, সীমালঙ্ঘনে এবং অবৈধভাবে জিনিস ভক্ষণে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে। তারা যা করছে, অবশ্যই তা কতইনা নিকৃষ্ট !

সূরা : আল মায়েদা

لَوْلَا يَنْهَىٰهُمُ ٱلرَّبَّٰنِيُّونَ وَٱلْأَحْبَارُ عَن قَوْلِهِمُ ٱلْإِثْمَ وَأَكْلِهِمُ ٱلسُّحْتَۚ لَبِئْسَ مَا كَانُوا۟ يَصْنَعُونَ

কেন যে তাদের রব্বানীয়ুন (যারা নিজেদেরকে রবওয়ালা দাবী করে) এবং আহ্'বাররা (যারা ধর্ম গুরু সাজে) ওদেরকে পাপের কাজ ও অবৈধভাবে জিনিস বক্ষন করা থেকে নিষেধ করছে না ? তারা যা রচনা করছে, অবশ্যই তা কতইনা নিকৃষ্ট।

সূরা : আল মায়েদা

وَقَالَتِ ٱلْيَهُودُ يَدُ ٱللَّهِ مَغْلُولَةٌۚ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ وَلُعِنُوا۟ بِمَا قَالُواۘ بَلْ يَدَاهُ مَبْسُوطَتَانِ يُنفِقُ كَيْفَ يَشَآءُۚ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّآ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَٰنًا وَكُفْرًاۚ وَأَلْقَيْنَا بَيْنَهُمُ ٱلْعَدَٰوَةَ وَٱلْبَغْضَآءَ إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَٰمَةِۚ كُلَّمَآ أَوْقَدُوا۟ نَارًا لِّلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا ٱللَّهُۚ وَيَسْعَوْنَ فِى ٱلْأَرْضِ فَسَادًاۚ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلْمُفْسِدِينَ

আর ইয়াহুদীরা বলে, আল্লাহর (ক্ষমতার) হাত বন্ধ হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের হাতগুলো অবরুদ্ধ হয়েছে। আর এমন কথা বলার কারণে তারা অভিশপ্ত হয়েছে। বরং তাঁর (ক্ষমতার) হাত তো প্রশস্তই রয়েছে। যেভাবে ইচ্ছা তিনি ব্যয় করেন। আসলে তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তাতে তাদের মধ্যে অনেকেরই সীমালঙ্ঘন ও অবিশ্বাস বেড়েই যায়। আমি তাদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা হিংসা বিদ্বেষ কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী দেখতে পাচ্ছি। এরা (ইহুদীরা) যখনই যুদ্ধের জন্যে আগুন জ্বালায়, আল্লাহ তা নিভিয়ে দেন। তারা তো পৃথিবীর মধ্যে বিপর্যয়ের জন্যই চেষ্টা করে । আল্লাহ তো বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে মোটেই ভালোবাসেন  না।

সূরা : আল মায়েদা

وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ ءَامَنُوا۟ وَٱتَّقَوْا۟ لَكَفَّرْنَا عَنْهُمْ سَيِّـَٔاتِهِمْ وَلَأَدْخَلْنَٰهُمْ جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ


আল কিতাবধারীরা যদি ঈমান আনে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে। তাহলে আমি অবশ্যই তাদের দোষগুলো মুছে দিবো, আর অবশ্যই আমি তাদেরকে সুখকর জান্নাতে প্রবেশ করাব।

সূরা : আল মায়েদা

وَلَوْ أَنَّهُمْ أَقَامُوا۟ ٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِم مِّن رَّبِّهِمْ لَأَكَلُوا۟ مِن فَوْقِهِمْ وَمِن تَحْتِ أَرْجُلِهِمۚ مِّنْهُمْ أُمَّةٌ مُّقْتَصِدَةٌۖ وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ سَآءَ مَا يَعْمَلُونَ


তারা যদি বিশেষ আইন ও বিশেষ সুসংবাদ এবং তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা কিছু তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে অবশ্যই তারা খাবার পাবে তাদের উপর থেকে ও তাদের পায়ের নীচ থেকে। তাদের মধ্য থেকে রয়েছে একদল সত্যপন্থী। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে অধিকাংশরাই এমন, যাদের কাজ-কর্ম খুবই নিকৃষ্ট।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلرَّسُولُ بَلِّغْ مَآ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَۖ وَإِن لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُۥۚ وَٱللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ ٱلنَّاسِۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْكَٰفِرِينَ

হে রাসূল ! তুমি প্রচার করো, যা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে। এবং তুমি যদি না কর, তবে তুমি তাঁর বার্তা প্রচার করলে না। আল্লাহ মানুষের থেকে তোমাকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।

সূরা : আল মায়েদা

قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ لَسْتُمْ عَلَىٰ شَىْءٍ حَتَّىٰ تُقِيمُوا۟ ٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْۗ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّآ أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَٰنًا وَكُفْرًاۖ فَلَا تَأْسَ عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ

তুমি বলে দাও, হে আল কিতাবধারীগণ ! তোমরা কোনো কিছুর উপর দন্ডায়মান নও, যতক্ষন না তোমরা বিশেষ আইন ও বিশেষ সুসংবাদ আর তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমাদের কাছে যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রতিষ্ঠিত না করবে। তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমাদের কাছে যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা তাদের মধ্য হতে অনেক লোকের সীমালঙ্ঘন ও অবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে। অতএব তুমি কাফির সম্প্রদায়ের জন্য দুঃখ করবে না।

সূরা : আল মায়েদা

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَٱلَّذِينَ هَادُوا۟ وَٱلصَّٰبِـُٔونَ وَٱلنَّصَٰرَىٰ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনার দাবীদার-মুসলমান, আর যারা হিদায়াতের দাবীদার-ইয়াহুদী এবং মূর্তি পূজক সাবেকী (হিন্দু) ও সাহায্য করার দাবীদার-নাসারা এদের মধ্য থেকে যে কেউ আল্লাহ ও পরকালের দিনের উপর ঈমান আনবে ও সংশোধনের কাজ করবে তাদের জন্যে কোন ভয় নেই, আর তারা দুঃচিন্তা করবে না।

সূরা : আল মায়েদা

لَقَدْ أَخَذْنَا مِيثَٰقَ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ وَأَرْسَلْنَآ إِلَيْهِمْ رُسُلًاۖ كُلَّمَا جَآءَهُمْ رَسُولٌۢ بِمَا لَا تَهْوَىٰٓ أَنفُسُهُمْ فَرِيقًا كَذَّبُوا۟ وَفَرِيقًا يَقْتُلُونَ

নিশ্চয়ই আমি ইসরাঈল সন্তানদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছি, তাদের কাছে আমি অনেক রাসূলদেরকে পাঠিয়েছি। কিন্তু যখনই তাদের কাছে কোনো রাসূল এমন কিছু নিয়ে এসেছে, যা তাদের মন কামনা করে না, তখন তারা তাদের একদলকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করেছে। আর তাদের একদলকে তারা কতলের মাধ্যমে অপমান করেছে।*

*5(70) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 2(61)...

সূরা : আল মায়েদা

وَحَسِبُوٓا۟ أَلَّا تَكُونَ فِتْنَةٌ فَعَمُوا۟ وَصَمُّوا۟ ثُمَّ تَابَ ٱللَّهُ عَلَيْهِمْ ثُمَّ عَمُوا۟ وَصَمُّوا۟ كَثِيرٌ مِّنْهُمْۚ وَٱللَّهُ بَصِيرٌۢ بِمَا يَعْمَلُونَ

তারা ধারণা করেছিলো, এভাবে তাদের উপরে অপবাদের পরীক্ষা আসবে না। এমন করেই তো তারা অন্ধ, বধির হয়ে গেছে। এরপরে আল্লাহ তাদের উপর ক্ষমাশীল হলেন। কিন্তু এরপরেও তাদের মধ্য হতে অনেক লোক অন্ধ ও বধির হয়ে যায়। আল্লাহ দেখছেন তারা যা কিছু করছে।

সূরা : আল মায়েদা

لَقَدْ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ مَرْيَمَۖ وَقَالَ ٱلْمَسِيحُ يَٰبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٱعْبُدُوا۟ ٱللَّهَ رَبِّى وَرَبَّكُمْۖ إِنَّهُۥ مَن يُشْرِكْ بِٱللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيْهِ ٱلْجَنَّةَ وَمَأْوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ

নিশ্চয়ই তারা অবিশ্বাস করেছে, যারা বলেছে নিশ্চয়ই আল্লাহ হচ্ছেন মারইয়ামের পুত্র মাসীহ। অথচ মাসীহ বলছে, হে ইসরাঈল সন্তানগণ ! তোমরা আল্লাহর দাসত্ব করো। যে আল্লাহ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। নিশ্চয় যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করবে, তার জন্যে আল্লাহ জান্নাত নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। আর তার ঠিকানা হচ্ছে আগুন। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্যে কোনো সাহায্যকারী নেই।

সূরা : আল মায়েদা

لَّقَدْ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ ثَالِثُ ثَلَٰثَةٍۘ وَمَا مِنْ إِلَٰهٍ إِلَّآ إِلَٰهٌ وَٰحِدٌۚ وَإِن لَّمْ يَنتَهُوا۟ عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


নিশ্চয়ই তারা (খ্রিষ্টানদের একাংশ) অবিশ্বাস করেছে। যারা বলে, আল্লাহ তো তিন জনের তৃতীয় জন। অথচ এক আইনদা ছাড়া কোনো সত্যিকারের আইনদাতা নেই। আর তারা যদি নিবৃত্ত না হয়, তা হতে যা তারা বলছে। সে জন্য তাদের মধ্য হতে যারা অবিশ্বাস করেছে, তাদেরকে অবশ্যই নিদারুণ শাস্তি ধরবে।

সূরা : আল মায়েদা

أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى ٱللَّهِ وَيَسْتَغْفِرُونَهُۥۚ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


তবে কি তারা আল্লাহর দিকে তাওবার মাধ্যমে ফেরত আসবে না ? আর তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবে না ? আর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : আল মায়েদা

مَّا ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ مَرْيَمَ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ ٱلرُّسُلُ وَأُمُّهُۥ صِدِّيقَةٌۖ كَانَا يَأْكُلَانِ ٱلطَّعَامَۗ ٱنظُرْ كَيْفَ نُبَيِّنُ لَهُمُ ٱلْءَايَٰتِ ثُمَّ ٱنظُرْ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ


মারইয়ামের পুত্র মাসীহ একজন রাসূল ছাড়া আর কিছুই নয়। নিশ্চয়ই তার থেকে পূর্বে অনেক রাসূল অতীত হয়ে গেছে। তার মা হলো সত্যবাদীনী। তারা দু'জনেই তো খাদ্য আহার করতো। দেখো তো তাদের জন্যে কিরূপে বিস্তারিতভাবে আয়াতগুলো বর্ণনা করেছি। এরপরেও দেখো দিশা হারিয়ে তারা উল্টা কোন দিকে ফিরে যাচ্ছে।

সূরা : আল মায়েদা

قُلْ أَتَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَمْلِكُ لَكُمْ ضَرًّا وَلَا نَفْعًاۚ وَٱللَّهُ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ


তুমি বলে দাও, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন জিনিসের দাসত্ব কেনো করছো ? যা তোমাদের জন্যে কোনো ক্ষতি ও উপকারের ক্ষমতা রাখে না। অথচ আল্লাহ, তিনিই সবকিছু শোনেন ও জানেন।

সূরা : আল মায়েদা

قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ لَا تَغْلُوا۟ فِى دِينِكُمْ غَيْرَ ٱلْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعُوٓا۟ أَهْوَآءَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّوا۟ مِن قَبْلُ وَأَضَلُّوا۟ كَثِيرًا وَضَلُّوا۟ عَن سَوَآءِ ٱلسَّبِيلِ


তুমি বলে দাও, হে আল কিতাবের অধিকারীরা ! তোমরা তোমাদের জীবন ব্যবস্থার ব্যাপারে সত্য প্রমাণ ছাড়া বাড়াবাড়ি করো না। আর তোমরা পূর্বেকার পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়ের লোকদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করো না। তারা তো অনেক লোককে পথভ্রষ্ট করেছে। আর তারা নিজেরাও সরল সোজা পথ হতে ভ্রষ্ট হয়েছে।

সূরা : আল মায়েদা

لُعِنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنۢ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ عَلَىٰ لِسَانِ دَاوُۥدَ وَعِيسَى ٱبْنِ مَرْيَمَۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَوا۟ وَّكَانُوا۟ يَعْتَدُونَ


ইসরাঈল সন্তানদের মধ্য হতে যারা অবিশ্বাস করেছে, তাদেরকে দাউদ ও মারইয়ামের পুত্র ঈসার ভাষায় অভিশাপ দেয়া হয়েছে। এটা শুধু এ কারণে যে, তারা অবাধ্য এবং সীমালঙ্ঘন করতো।

সূরা : আল মায়েদা

كَانُوا۟ لَا يَتَنَاهَوْنَ عَن مُّنكَرٍ فَعَلُوهُۚ لَبِئْسَ مَا كَانُوا۟ يَفْعَلُونَ


তারা এমন যে, তারা পরস্পরকে অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করে না, তা তারা নিজেরাই করে। তারা যা কাজকর্ম করে তা অবশ্যই নিকৃষ্ট।

সূরা : আল মায়েদা

تَرَىٰ كَثِيرًا مِّنْهُمْ يَتَوَلَّوْنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ۚ لَبِئْسَ مَا قَدَّمَتْ لَهُمْ أَنفُسُهُمْ أَن سَخِطَ ٱللَّهُ عَلَيْهِمْ وَفِى ٱلْعَذَابِ هُمْ خَٰلِدُونَ


তুমি তাদের মধ্য হতে অনেককেই দেখতে পাবে, যারা কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে। তারা তাদের নিজেদের জন্যে আগে যা কিছু পাঠায়, তা অবশ্যই নিকৃষ্ট। তা এজন্য যে, আল্লাহ তাদের উপরে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তারা তো চিরকাল শাস্তির মধ্যেই কাটাবে।

সূরা : আল মায়েদা

وَلَوْ كَانُوا۟ يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلنَّبِىِّ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مَا ٱتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَآءَ وَلَٰكِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُمْ فَٰسِقُونَ

আর তারা যদি আল্লাহ ও বিশেষ নবীর উপরে ঈমান আনে, আর যা তার কাছে অবতীর্ণ করা হয়, এ সবে যদি তারা বিশ্বাসী থাকে, তাহলে তারা ওদেরকে বন্ধু হিসেবে মোটেই গ্রহণ করবে না। কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশরাই অমান্যকারী-ফাসিক।

সূরা : আল মায়েদা

لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ ٱلنَّاسِ عَدَٰوَةً لِّلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱلْيَهُودَ وَٱلَّذِينَ أَشْرَكُوا۟ۖ وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُم مَّوَدَّةً لِّلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا۟ إِنَّا نَصَٰرَىٰۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُونَ

অবশ্যই তুমি দেখতে পাবে, যারা ঈমান এনেছে তাদের সাথে শত্রুতায় সর্বাধিক উগ্র ঐ মানুষগুলো যারা ইয়াহুদী আর অংশীবাদী মুশরিক। আর তাদের (ইয়াহুদী ও মুশরিকদের) সাথে বন্ধুত্বের ব্যাপারে তাদেরকেই খুব নিকটবর্তী পাবে, যারা বলে আমরা ঈমান এনেছি (মুসলমান) আর যারা বলে আমরা সাহায্যকারী (খ্রিষ্টান), এরা ঐ সমস্ত লোক যাদের মধ্যে রয়েছে 'কিসসিসীন' (বিদ্বান, শায়েখ, পীর, মুরব্বি) এবং 'রুহবান' (যুদ্ধের উস্কানি দাতা জঙ্গিবাদ)। আর তারা মোটেই অহংকার করে না।

সূরা : আল মায়েদা

وَإِذَا سَمِعُوا۟ مَآ أُنزِلَ إِلَى ٱلرَّسُولِ تَرَىٰٓ أَعْيُنَهُمْ تَفِيضُ مِنَ ٱلدَّمْعِ مِمَّا عَرَفُوا۟ مِنَ ٱلْحَقِّۖ يَقُولُونَ رَبَّنَآ ءَامَنَّا فَٱكْتُبْنَا مَعَ ٱلشَّٰهِدِينَ


আর তারা যখন শোনে, রাসূলের কাছে যা অবতীর্ণ  হয়েছে, তখন দেখতে পাবে, তাদের চোখ থেকে পানি ঝরবে। কারণ, তারা যে সত্য কথা জানতে পেরেছে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আমরা ঈমান এনেছি। আমাদেরকে আপনি প্রত্যক্ষ সাক্ষীদাতাদের সাথে তালিকাভুক্ত করুন।

সূরা : আল মায়েদা

وَمَا لَنَا لَا نُؤْمِنُ بِٱللَّهِ وَمَا جَآءَنَا مِنَ ٱلْحَقِّ وَنَطْمَعُ أَن يُدْخِلَنَا رَبُّنَا مَعَ ٱلْقَوْمِ ٱلصَّٰلِحِينَ

আর আমাদের কি হয়েছে ? যে আমরা আল্লাহর উপরে, আর যে মহাসত্যের বিষয়ে আমাদের কাছে এসেছে তার উপরে ঈমান আনব না ? আমরা প্রত্যাশা করি যে, আমাদের প্রতিপালক সংশোধনকারী সম্প্রদায়ের সাথেই আমাদেরকে প্রবেশ করাবেন।

সূরা : আল মায়েদা

فَأَثَٰبَهُمُ ٱللَّهُ بِمَا قَالُوا۟ جَنَّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ وَذَٰلِكَ جَزَآءُ ٱلْمُحْسِنِينَ


তাই তাদের এই কথার কারণে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিদান হিসাবে জান্নাত দান করবেন। যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হচ্ছে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এটা হচ্ছে সৎকর্মপরায়ণদের প্রতিদান।

সূরা : আল মায়েদা

وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَكَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَآ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلْجَحِيمِ


কিন্তু যারা কুফুরী করে, আর আমার আয়াতগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করে, তারাই তো সংকীর্ণ জায়গার যাতনার অধিবাসী।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تُحَرِّمُوا۟ طَيِّبَٰتِ مَآ أَحَلَّ ٱللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوٓا۟ۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلْمُعْتَدِينَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা পবিত্র জিনিসগমূহকে নিষিদ্ধ করো না, আল্লাহ যা তোমাদের জন্য বৈধ করে দিয়েছেন। আর তোমরা সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদেরকে মোটেই ভালোবাসেন না।

সূরা : আল মায়েদা

وَكُلُوا۟ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ حَلَٰلًا طَيِّبًاۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ٱلَّذِىٓ أَنتُم بِهِۦ مُؤْمِنُونَ


আল্লাহ তোমাদেরকে যা কিছু হালাল ও পবিত্র জীবিকা দান করেছেন, তাই তোমরা খাও দাও। আর আল্লাহকে ভয় করো, কেননা তোমরা এই কোরআনের উপরে ঈমান এনেছো।

সূরা : আল মায়েদা

لَا يُؤَاخِذُكُمُ ٱللَّهُ بِٱللَّغْوِ فِىٓ أَيْمَٰنِكُمْ وَلَٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ ٱلْأَيْمَٰنَۖ فَكَفَّٰرَتُهُۥٓ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَٰكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍۖ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَٰثَةِ أَيَّامٍۚ ذَٰلِكَ كَفَّٰرَةُ أَيْمَٰنِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْۚ وَٱحْفَظُوٓا۟ أَيْمَٰنَكُمْۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمْ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আল্লাহ বেহুদা শপথের জন্য তোমাদেরকে গ্রহণ করেন না। কিন্তু, পাকা পোক্ত শপথের জন্য অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে গ্রহণ করেন। সুতরাং এর কাফ্ফারা/প্রমাণ হচ্ছে দশ জন দরিদ্র ব্যক্তিকে মাঝামাঝি ধরনের খাদ্য একবেলা খাওয়ানো। যা তোমরা তোমাদের পরিবারের লোকদেরকে খাইয়ে থাকো। কিংবা তাদের জামা-কাপড় দাও। নতুবা একটি বন্দি দশাকে মুক্তি দাও। যদি সামর্থ্য না থাকে, তবে সে তিন দিন সিয়াম পালন করবে। এ হচ্ছে তোমাদের শপথের কাফ্ফারা (অর্থাৎ শপথের সত্যতার প্রমাণ) যখন তোমরা শপথ করবে। আর তোমরা নিজেদের শপথগুলো রক্ষা কর। আল্লাহ তো এভাবেই তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতগুলী সুস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন, যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।*

*5(89) নং আয়াতের ব্যাখ্যায়,5(41),29(2),47(31), 23(1-5) 74(43-45),16(92)'58(14-22)...।
এবং আইমান/"ايمن" শব্দের ব্যাখ্যায় 4(33)...।
এবং অঙ্গীকার ও সপথ সম্পর্কে 3(77),2(,93),5(53,108),6(109),9(12,13),16(38,91,92,94,95),24(53,54),66(2)...।
শপথকে ডাল স্বরূপ ব্যবহার করার ব্যাপারে, 58(16),63(2),9(62)...।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِنَّمَا ٱلْخَمْرُ وَٱلْمَيْسِرُ وَٱلْأَنصَابُ وَٱلْأَزْلَٰمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ ٱلشَّيْطَٰنِ فَٱجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! মূলতঃ নেশার বস্তু, মেহনত ছাড়া অর্জনকৃত মাল, পূজার বেদীগুলো ও ভাগ্য নির্ধারক তীরগুলো বা লটারী এগুলো শয়তানের এক ধরণের অপবিত্র কাজ। তাই তোমরা এসব থেকে বেঁচে থাকো, যেন তোমরা সফলকাম হতে পার।

সূরা : আল মায়েদা

إِنَّمَا يُرِيدُ ٱلشَّيْطَٰنُ أَن يُوقِعَ بَيْنَكُمُ ٱلْعَدَٰوَةَ وَٱلْبَغْضَآءَ فِى ٱلْخَمْرِ وَٱلْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَن ذِكْرِ ٱللَّهِ وَعَنِ ٱلصَّلَوٰةِۖ فَهَلْ أَنتُم مُّنتَهُونَ

মূলতঃ শয়তান চায়, যেন তোমাদের মাঝে নেশাকর বস্তু ও সহজলভ্য অর্থের মাধ্যমে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হতে থাকে। আর তারা তোমাদেরকে যেনো আল্লাহর স্মরণ ও দায়িত্ব পালন থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারে, তবুও কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না?

সূরা : আল মায়েদা

وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُوا۟ ٱلرَّسُولَ وَٱحْذَرُوا۟ۚ فَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّمَا عَلَىٰ رَسُولِنَا ٱلْبَلَٰغُ ٱلْمُبِينُ

আর তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং বিশেষ রাসূলের আনুগত্য কর, আর সতর্ক হও। অতঃপর তোমরা যদি মূখ ফিরিয়ে নাও , তবে তোমরা জেনে রেখ, আমার রাসূলের উপর দায়িত্ব কেবল সুস্পষ্টভাবে প্রচার করা।

সূরা : আল মায়েদা

لَيْسَ عَلَى ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوٓا۟ إِذَا مَا ٱتَّقَوا۟ وَّءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ ثُمَّ ٱتَّقَوا۟ وَّءَامَنُوا۟ ثُمَّ ٱتَّقَوا۟ وَّأَحْسَنُوا۟ۗ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلْمُحْسِنِينَ


যারা ঈমান এনেছে আর সংশোধনের কাজ করেছে তাদের উপর কোনো দোষ নেই, পূর্বে তারা যা খেয়েছে তাতে তাদের কোনো দোষ হবে না। তবে বেছে চলার অভ্যাস করতে হবে, ঈমান আনার সাথে সাথে সংশোধনের কাজও করতে হবে। পুনরায় বাঁচার জন্যে সাবধান থাকতে হবে, ঈমান রাখতে হবে। আবার বাঁচতে হবে ও ভালো কাজ করে যেতে হবে। আল্লাহ তো উত্তম কর্মশীলদেরকে ভালোবাসেন।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَيَبْلُوَنَّكُمُ ٱللَّهُ بِشَىْءٍ مِّنَ ٱلصَّيْدِ تَنَالُهُۥٓ أَيْدِيكُمْ وَرِمَاحُكُمْ لِيَعْلَمَ ٱللَّهُ مَن يَخَافُهُۥ بِٱلْغَيْبِۚ فَمَنِ ٱعْتَدَىٰ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَلَهُۥ عَذَابٌ أَلِيمٌ

হে যারা ঈমান এনেছ ! আল্লাহ তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন - কিছুটা শিকারের ব্যাপারেও, যা তোমরা নিজেদের হাতে ও বিভিন্ন সরঞ্জাম দ্বারা করে থাক। আল্লাহ যাতে জানতে পারেন, কে আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতঃপর এর পরেও যদি কেউ সীমালঙ্ঘন করে, তবে তার জন্য রয়েছে নিদারুণ শাস্তি।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَقْتُلُوا۟ ٱلصَّيْدَ وَأَنتُمْ حُرُمٌۚ وَمَن قَتَلَهُۥ مِنكُم مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآءٌ مِّثْلُ مَا قَتَلَ مِنَ ٱلنَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِۦ ذَوَا عَدْلٍ مِّنكُمْ هَدْيًۢا بَٰلِغَ ٱلْكَعْبَةِ أَوْ كَفَّٰرَةٌ طَعَامُ مَسَٰكِينَ أَوْ عَدْلُ ذَٰلِكَ صِيَامًا لِّيَذُوقَ وَبَالَ أَمْرِهِۦۗ عَفَا ٱللَّهُ عَمَّا سَلَفَۚ وَمَنْ عَادَ فَيَنتَقِمُ ٱللَّهُ مِنْهُۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ ذُو ٱنتِقَامٍ

হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমরা ইহরামের অবস্থায় শিকারের জন্তুকে হত্যা করবে না এবং তোমাদের মধ্য হতে যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে তা হত্যা করবে, তার ক্ষতিপুরণ আদায় করতে হবে। ঠিক তেমনি যেমন সে কোনো চারপেয়ে জন্তুকে হত্যা করেছে। এই সম্পর্কে তোমাদের মধ্যকার দু'জন ন্যায় সম্পন্ন লোক মীমাংসা করে দিবে, হাদিয়াস্বরূপ তা কাবায় পৌঁছাতে হবে। অথবা প্রয়শ্চিত্ত হিসেবে দরিদ্রকে খাদ্য খাওয়াবে। কিংবা এর সমতুল্য সিয়াম পালন করবে। যেন সে তার নিজের কাজের প্রতিফলের স্বাদ চেখে নেয়। অবশ্য এর আগে যা হয়েছে, আল্লাহ তা ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু যে পুনরাবৃত্তি করবে, তখন আল্লাহ প্রতিশোধ নিবেন। আল্লাহ মহা সম্মানী ও প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম।

সূরা : আল মায়েদা

أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ ٱلْبَحْرِ وَطَعَامُهُۥ مَتَٰعًا لَّكُمْ وَلِلسَّيَّارَةِۖ وَحُرِّمَ عَلَيْكُمْ صَيْدُ ٱلْبَرِّ مَا دُمْتُمْ حُرُمًاۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ ٱلَّذِىٓ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ


তোমাদের জন্য সাগরের শিকার করা আর তা খাওয়া বৈধ করা হয়েছে। তোমাদের জন্য সম্বল হিসেবে আর ভ্রমণকারীদের সুবিধার জন্য। কিন্তু তোমাদের উপর নিষিদ্ধ করা হয়েছে - স্থলভাগের শিকার, যতক্ষন তোমরা ইহরাম বাঁধা অবস্থায় থাক। আর তোমরা সবাই আল্লাহকে ভয় কর- যিনি (এমন সত্ত্বা যে) তাঁরই দিকে তোমাদের একত্র করা হবে।

সূরা : আল মায়েদা

جَعَلَ ٱللَّهُ ٱلْكَعْبَةَ ٱلْبَيْتَ ٱلْحَرَامَ قِيَٰمًا لِّلنَّاسِ وَٱلشَّهْرَ ٱلْحَرَامَ وَٱلْهَدْىَ وَٱلْقَلَٰٓئِدَۚ ذَٰلِكَ لِتَعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلْأَرْضِ وَأَنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ


আল্লাহ কাবাকে বিশেষ সন্মানিত ঘর হিসেবে বানিয়েছেন। প্রত্যেকটা মানুষকে দাঁড় করানোর জন্য। এবং বানিয়েছেন সম্মানিত মাসকে, হাদিয়া ও কাবা'র গোলাকারকে। এটা এজন্য যে, তোমরা যেন জানতে পার। আল্লাহ জানেন আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে। আর এও যে, আল্লাহ সব কিছুর সম্পর্কে খুব অবহিত।

সূরা : আল মায়েদা

ٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ وَأَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

তোমরা জেনে রাখবে, আল্লাহ বড় কঠিন শাস্তি দানকারী, আর (এও)যে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরা : আল মায়েদা

مَّا عَلَى ٱلرَّسُولِ إِلَّا ٱلْبَلَٰغُۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا تَكْتُمُونَ


বিশেষ রাসূলের উপরে আর কোনও দায়িত্ব নেই, শুধু (আল-কিতাবের  আয়াত) পৌঁছে দেয়া ছাড়া। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কিছু প্রকাশ করো ও যা কিছু গোপন করো।

সূরা : আল মায়েদা

قُل لَّا يَسْتَوِى ٱلْخَبِيثُ وَٱلطَّيِّبُ وَلَوْ أَعْجَبَكَ كَثْرَةُ ٱلْخَبِيثِۚ فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ يَٰٓأُو۟لِى ٱلْأَلْبَٰبِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

তুমি বলে দাও ! অপবিত্র ও পবিত্র জিনিস সমান হতে পারে না। যদিও অপবিত্র বস্তুর প্রাচুর্য্য তোমাকে বিষ্মিত করে থাকে ! হে বিবেক বুদ্ধির অধিকারী লোকেরা ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَسْـَٔلُوا۟ عَنْ أَشْيَآءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْـَٔلُوا۟ عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ ٱلْقُرْءَانُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا ٱللَّهُ عَنْهَاۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ


হে যারা ঈমান এনেছ ! এমন সব বিষয়ে তোমরা প্রশ্ন করবে না, সে সব বিষয়ের প্রকৃত রহস্য যদি প্রকাশ করা হয়, তবে তোমাদের কাছে তা খারাপ লাগবে। আর তোমরা যদি কোরআন নাজিলের সময়ে সে সব নিয়ে প্রশ্ন কর তাহলে তোমাদের কাছে তা প্রকাশ করা হবে। আল্লাহ ক্ষমা করেছেন সে সব - আসলে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, সহনশীল।

সূরা : আল মায়েদা

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا۟ بِهَا كَٰفِرِينَ


নিশ্চয়ই এ সব প্রশ্ন - তোমাদের পূর্বের সম্প্রদায়ও করেছে। এরপর যখন তা প্রকাশ করা হয়েছে, তখনই তারা তা অস্বীকার করেছে।

সূরা : আল মায়েদা

مَا جَعَلَ ٱللَّهُ مِنۢ بَحِيرَةٍ وَلَا سَآئِبَةٍ وَلَا وَصِيلَةٍ وَلَا حَامٍۙ وَلَٰكِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ يَفْتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلْكَذِبَۖ وَأَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ

বদনসীব, নীচুজাত, বৈরাগী ও খাচ বা বিশেষ সম্পর্ক এ সবের কোনটাই আল্লাহ বানাননি। বরং যারা অবিশ্বাস করেছে তারাই আল্লাহর উপরে মিথ্যা রচনা করে। আর তাদের অধিকাংশই জ্ঞানবুদ্ধি রাখে না।

সূরা : আল মায়েদা

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا۟ إِلَىٰ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَإِلَى ٱلرَّسُولِ قَالُوا۟ حَسْبُنَا مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ ءَابَآءَنَآۚ أَوَلَوْ كَانَ ءَابَآؤُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ شَيْـًٔا وَلَا يَهْتَدُونَ



আর তাদেরকে যখন বলা হয়, তোমরা এসো ! আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তার দিকে আর রাসূলের দিকে। তারা তখন বলে, আমাদের বাপ-দাদাদেরকে যে পথে পেয়েছি, তা-ই আমাদের জন্য যথেষ্ট। যদিও তাদের বাপ-দাদারা কিছুই জানতো না। আর তারা সঠিক পথের অনুসারীও ছিল না তবুও।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا ٱهْتَدَيْتُمْۚ إِلَى ٱللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ


হে যারা ঈমান এনেছ ! তোমাদের উপর তোমাদের নিজদের দায়িত্ব। যদি তোমরা সঠিক পথে থাক তাহলে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহর দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন হবে; তখন তিনি তোমাদেরকে ঐ বিষয়ে জানিয়ে দিবেন যে সব কাজ-কর্ম তোমরা করছো।

সূরা : আল মায়েদা

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ شَهَٰدَةُ بَيْنِكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ ٱلْمَوْتُ حِينَ ٱلْوَصِيَّةِ ٱثْنَانِ ذَوَا عَدْلٍ مِّنكُمْ أَوْ ءَاخَرَانِ مِنْ غَيْرِكُمْ إِنْ أَنتُمْ ضَرَبْتُمْ فِى ٱلْأَرْضِ فَأَصَٰبَتْكُم مُّصِيبَةُ ٱلْمَوْتِۚ تَحْبِسُونَهُمَا مِنۢ بَعْدِ ٱلصَّلَوٰةِ فَيُقْسِمَانِ بِٱللَّهِ إِنِ ٱرْتَبْتُمْ لَا نَشْتَرِى بِهِۦ ثَمَنًا وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَىٰۙ وَلَا نَكْتُمُ شَهَٰدَةَ ٱللَّهِ إِنَّآ إِذًا لَّمِنَ ٱلْءَاثِمِينَ

হে যারা ঈমান এনেছ ! যখন তোমাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হয়, ওসীয়ত তথা জোর উপদেশের সময় তোমাদের মধ্য হতে দু'জন ন্যায় সম্পন্ন লোককে সাক্ষী রাখবে। কিংবা আরো দু'জন লোক অন্যদের মধ্য হতে। আর যদি প্রবাসকালে তোমাদের উপরে মৃত্যুর বিপদ এসে পড়ে, তখনও সাক্ষী ঠিক করে নিবে। সাক্ষীদের ব্যাপারে তোমরা যদি সন্দেহ করো, তবে দায়িত্ব সম্পাদনের (অর্থাৎ মৃত দেহ কাফন-দাফনের) পরে তাদের উভয়কে অপেক্ষমাণ রাখবে। অতঃপর তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, আমরা এর বিনিময়ে কোনও মূল্য নিব না। যদিও সে নৈকট্য সম্পন্ন হয়। আর আল্লাহর সাক্ষ্য আমরা গোপন করব না। এমন কাজ করলে নিশ্চয়ই আমরা পাপীদের অন্তর্ভুক্ত হব।

সূরা : আল মায়েদা

فَإِنْ عُثِرَ عَلَىٰٓ أَنَّهُمَا ٱسْتَحَقَّآ إِثْمًا فَـَٔاخَرَانِ يَقُومَانِ مَقَامَهُمَا مِنَ ٱلَّذِينَ ٱسْتَحَقَّ عَلَيْهِمُ ٱلْأَوْلَيَٰنِ فَيُقْسِمَانِ بِٱللَّهِ لَشَهَٰدَتُنَآ أَحَقُّ مِن شَهَٰدَتِهِمَا وَمَا ٱعْتَدَيْنَآ إِنَّآ إِذًا لَّمِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ

অতঃপর যদি প্রকাশ পায় যে, তারা দু'জনেই এ ক্ষেত্রে অপরাধে লিপ্ত হয়েছে, তবে অন্য দু'জন তাদের দু'জনের জায়গায় দাঁড়াবে, ঐলোকদের মধ্য  থেকে যারা তাদের উপর উপযুক্ত হবে। অতঃপর তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, অবশ্যই আমাদের সাক্ষ্য তাদের দু'জনের সাক্ষ্যের চেয়ে অধিক সত্য। আমরা কোন রকম সীমালঙ্ঘন করছি না। যদি আমরা তেমন করি, তাহলে অবশ্যই আমরা সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।

সূরা : আল মায়েদা

ذَٰلِكَ أَدْنَىٰٓ أَن يَأْتُوا۟ بِٱلشَّهَٰدَةِ عَلَىٰ وَجْهِهَآ أَوْ يَخَافُوٓا۟ أَن تُرَدَّ أَيْمَٰنٌۢ بَعْدَ أَيْمَٰنِهِمْۗ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱسْمَعُوا۟ۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلْفَٰسِقِينَ

এভাবে হয়তো এ সব লোক সঠিকভাবেই সাক্ষ্য দিবে। অথবা তারা ভয় করবে যে, তাদের শপথগুলোর পরে পুণরায় শপথগুলো করানো হবে। তোমরা সবাই আল্লাহকে ভয় কর, আর শুনো, আল্লাহ অমান্যকারী-ফাসিক সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।

সূরা : আল মায়েদা

يَوْمَ يَجْمَعُ ٱللَّهُ ٱلرُّسُلَ فَيَقُولُ مَاذَآ أُجِبْتُمْۖ قَالُوا۟ لَا عِلْمَ لَنَآۖ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّٰمُ ٱلْغُيُوبِ


আল্লাহ যেদিন রাসূলদেরকে একত্র করবেন, আর তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন, তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে ? তারা বলবে, আমাদের কাছে কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনিই অদৃশ্যসমূহের মহাজ্ঞানী।

সূরা : আল মায়েদা

إِذْ قَالَ ٱللَّهُ يَٰعِيسَى ٱبْنَ مَرْيَمَ ٱذْكُرْ نِعْمَتِى عَلَيْكَ وَعَلَىٰ وَٰلِدَتِكَ إِذْ أَيَّدتُّكَ بِرُوحِ ٱلْقُدُسِ تُكَلِّمُ ٱلنَّاسَ فِى ٱلْمَهْدِ وَكَهْلًاۖ وَإِذْ عَلَّمْتُكَ ٱلْكِتَٰبَ وَٱلْحِكْمَةَ وَٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَۖ وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ ٱلطِّينِ كَهَيْـَٔةِ ٱلطَّيْرِ بِإِذْنِى فَتَنفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًۢا بِإِذْنِىۖ وَتُبْرِئُ ٱلْأَكْمَهَ وَٱلْأَبْرَصَ بِإِذْنِىۖ وَإِذْ تُخْرِجُ ٱلْمَوْتَىٰ بِإِذْنِىۖ وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ عَنكَ إِذْ جِئْتَهُم بِٱلْبَيِّنَٰتِ فَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِنْهُمْ إِنْ هَٰذَآ إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ

আল্লাহ যখন জিজ্ঞাসা করবেন; হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা ! আমি তোমাকে আর তোমার মাকে যে সব নিয়ামত দান করেছি, তা স্মরণ কর। আমি তো তোমাকে ’রুহুল কুদ্দুস’ পবিত্র শক্তি দিয়ে সাহায্য করেছি। তুমি তো দোলনায় ও পরিনত বয়সে লোকজনের সাথে কথা বলেছ। যখন আমি তোমাকে আল কিতাব, হিকমা, জ্ঞান-কৌশল, আইন-কানুন ও সুসংবাদ শিখেয়েছি। আমার আদেশে বিভিন্ন ম্যাটিরিয়াল দিয়ে পাখির মত আকৃতি গঠন করে তা ষ্টার্ট দিতে, অতঃপর তা উড়ন্ত হয়ে আমার নিয়ম মতে উড়তে থাকত। আর আমারই অনুমতিক্রমে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে নিরাময় করতে পারতে। এবং আমারই হুকুমের দ্বারা মৃতব্যক্তিকে নতুন জীবন দিতে পারতে। আর আমি তো ইসরাঈল সন্তানদের (হাত) তোমার থেকে ফিরিয়ে রেখেছিলাম, তুমি যখন তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে গিয়েছ। তখন তাদের মধ্যকার কাফিরগুলো বলেছে, এটা সুস্পষ্ট যাদু।*

*5(110),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(48-51)।

সূরা : আল মায়েদা

وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى ٱلْحَوَارِيِّۦنَ أَنْ ءَامِنُوا۟ بِى وَبِرَسُولِى قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَٱشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ


আমি যখন তোমার সঙ্গী-সাথীদের (হাওয়ারীদের) মনে একথা ওহীর মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দিই, তোমরা আমার উপরে আর আমার রাসূলের উপরে ঈমান আনো। তারা বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আর আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা আত্মসমর্পণকারী-মুসলিম হয়েছি।

সূরা : আল মায়েদা

إِذْ قَالَ ٱلْحَوَارِيُّونَ يَٰعِيسَى ٱبْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيعُ رَبُّكَ أَن يُنَزِّلَ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ ٱلسَّمَآءِۖ قَالَ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

সঙ্গী সাথীরা যখন বলে, হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা ! এটা কি হতে পারে, আপনার প্রতিপালক তিনি আমাদের উপর আকাশ থেকে সাহায্যের খাদ্য সামগ্রী পাঠাবেন। সে বলে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা মু'মিন হয়ে থাক।

সূরা : আল মায়েদা

قَالُوا۟ نُرِيدُ أَن نَّأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ قُلُوبُنَا وَنَعْلَمَ أَن قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُونَ عَلَيْهَا مِنَ ٱلشَّٰهِدِينَ

তারা বলে, আমরা চাই যে আমরা তা থেকে খাদ্য খাবো। আর তাতে আমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে’। আর আমরা জানবো যে, তুমি আমাদেরকে সত্য কথাই বলছো। আর আমরাও তার ব্যাপারে শাক্ষীদাতাদের অন্তর্ভুক্ত হবো।

সূরা : আল মায়েদা

قَالَ عِيسَى ٱبْنُ مَرْيَمَ ٱللَّهُمَّ رَبَّنَآ أَنزِلْ عَلَيْنَا مَآئِدَةً مِّنَ ٱلسَّمَآءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِّأَوَّلِنَا وَءَاخِرِنَا وَءَايَةً مِّنكَۖ وَٱرْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ ٱلرَّٰزِقِينَ

মারইয়ামের পুত্র ঈসা বলে, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের প্রতিপালক , আকাশ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যের খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে দিন ; যা হবে আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্যে (আপনার দিকে) ফিরে আসার উপলক্ষ্যে ও আপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান করুন, আর আপনিই তো উত্তম জীবিকাদাতা’।*

* 5(114) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 13(36),48(10,18),5(12),9(111)...।

সূরা : আল মায়েদা

قَالَ ٱللَّهُ إِنِّى مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْۖ فَمَن يَكْفُرْ بَعْدُ مِنكُمْ فَإِنِّىٓ أُعَذِّبُهُۥ عَذَابًا لَّآ أُعَذِّبُهُۥٓ أَحَدًا مِّنَ ٱلْعَٰلَمِينَ

আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্যে তা অবতীর্ণ করবো। তবে এরপরেও তোমাদের মধ্য হতে যে কেউ অবিশ্বাস করবে তখন নিশ্চয়ই আমি শাস্তি দিবো, এমন শাস্তি, যে শাস্তি আমি বিশ্বজগতের মধ্যে আর কাউকে দিই নাই।

সূরা : আল মায়েদা

وَإِذْ قَالَ ٱللَّهُ يَٰعِيسَى ٱبْنَ مَرْيَمَ ءَأَنتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ ٱتَّخِذُونِى وَأُمِّىَ إِلَٰهَيْنِ مِن دُونِ ٱللَّهِۖ قَالَ سُبْحَٰنَكَ مَا يَكُونُ لِىٓ أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِى بِحَقٍّۚ إِن كُنتُ قُلْتُهُۥ فَقَدْ عَلِمْتَهُۥۚ تَعْلَمُ مَا فِى نَفْسِى وَلَآ أَعْلَمُ مَا فِى نَفْسِكَۚ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّٰمُ ٱلْغُيُوبِ


আর আল্লাহ যখন বলবেন, 'হে মারইয়ামের পুত্র  ঈসা ! তুমি কি লোকজনকে বলেছ যে, আল্লাহ ছাড়া তোমরা আমাকে আর আমার মাকে বিধানদাতা হিসেবে গ্রহন কর ? সে বলবে পরম পবিত্রতা শুধু আপনারই। আমার পক্ষ থেকে একথা মোটেই শোভা পেতো না, যে কথা বলার কোনও অধিকার আমার ছিল না তা-ই আমি বলব। আমি যদি বলেই থাকি, তবে নিশ্চয়ই আপনি তা জানতেন। আমার মনে যা কিছু আছে, তাও আপনি জানেন। কিন্তু আমি তা জানি না, যা কিছু আপনার মনের মধ্যে রয়েছে। নিশ্চয়ই আপনি অদৃশ্য সম্বন্ধে সবকিছু খুব ভালো করেই জানেন।

সূরা : আল মায়েদা

مَا قُلْتُ لَهُمْ إِلَّا مَآ أَمَرْتَنِى بِهِۦٓ أَنِ ٱعْبُدُوا۟ ٱللَّهَ رَبِّى وَرَبَّكُمْۚ وَكُنتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَّا دُمْتُ فِيهِمْۖ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِى كُنتَ أَنتَ ٱلرَّقِيبَ عَلَيْهِمْۚ وَأَنتَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ شَهِيدٌ

আমি তাদের এমন কোনও কথা বলিনি, যে কথা বলার জন্যে আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছিল- তা ছাড়া। তোমরা আল্লাহর দাসত্ব কর। যিনি আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক। যতদিন আমি  তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলাম ততদিন আমি তাদের উপর সাক্ষী ছিলাম । অতঃপর আপনি যখন আমার কাল পূর্ণ করে আমাকে উঠিয়ে নিলেন তখন তো আপনিই তাদের নিয়ন্ত্রণ করেছেন। আর আপনিই তো সব কিছুরই উপর সাক্ষী।

সূরা : আল মায়েদা

إِن تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَۖ وَإِن تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنتَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ


এখন আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবুও নিশ্চয়ই তারা আপনারই দাস। আর আপনি যদি তাদেরকে ক্ষমা করেন, তবুও নিশ্চয়ই আপনিই মহা সম্মানী ও মহা বৈজ্ঞানিক। 

সূরা : আল মায়েদা

قَالَ ٱللَّهُ هَٰذَا يَوْمُ يَنفَعُ ٱلصَّٰدِقِينَ صِدْقُهُمْۚ لَهُمْ جَنَّٰتٌ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا ٱلْأَنْهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًاۚ رَّضِىَ ٱللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا۟ عَنْهُۚ ذَٰلِكَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ


তখন আল্লাহ বলবেন, আজ হলো সেই দিন, যেদিন সত্যবাদীদের সত্যতাই তাদের উপকারে আসবে। তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাতের বাগিচাসমূহ, যে সবের নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে। তার মধ্যে তারা চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করবে। আল্লাহ তাদের উপরে সন্তুষ্ট আর তারাও আল্লাহর উপরে সন্তুষ্ট। এটাই মহা সাফল্য।

সূরা : আল মায়েদা

لِلَّهِ مُلْكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا فِيهِنَّۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌۢ


আল্লাহর জন্যেই তো সব কিছুর রাজত্ব, আকাশসমূহে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে। তিনিই তো সব কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।