সূরা : আল জাসিয়াহ
حٰمٓ ۚ
হা-মীম।
تَنْزِيْلُ الْكِتٰبِ مِنَ اللّٰهِ الْعَزِيْزِ الْحَكِيْمِ
মহা-সম্মানিত ও মহা-বৈজ্ঞানিক আল্লাহর পক্ষ হতেই এই আল কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে।
اِنَّ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ لَاٰيٰتٍ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ ؕ
নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মধ্যে মু'মিনদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
وَفِيْ خَلْقِكُمْ وَمَا يَبُثُّ مِنْ دَآبَّةٍ اٰيٰتٌ لِّقَوْمٍ يُّوْقِنُوْنَ ۙ
আর তোমাদের সৃষ্টির মধ্যেও এবং যা কিছু তিনি প্রাণীদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন, এসব সৃষ্টির মূলে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই লোকদের জন্যে যারা বিশ্বাস করে।
وَاخْتِلَافِ الَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ مِنَ السَّمَآءِ مِنْ رِّزْقٍ فَاَحْيَا بِهِ الْاَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَتَصْرِيْفِ الرِّيٰحِ اٰيٰتٌ لِّقَوْمٍ يَّعْقِلُوْنَ
আর রাতের ও দিনের পরিবর্তনে, আর যা কিছু আল্লাহ আকাশ থেকে আহার্য পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দিয়ে পৃথিবীকে তার মৃত্যুর পর জীবন্ত করেন, আর বায়ুর/মওসুমের পরিবর্তনে সেই লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে, যারা বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগায়।
تِلْكَ اٰيٰتُ اللّٰهِ نَتْلُوْهَا عَلَيْكَ بِالْحَقِّ ۚ فَبِاَيِّ حَدِيْثٍۭ بَعْدَ اللّٰهِ وَاٰيٰتِهٖ يُؤْمِنُوْنَ
এসব আল্লাহর আয়াত যা আমি তোমার কাছে যথাযথভাবে আবৃত্তি করছি। সুতরাং তারা আল্লাহ ও তাঁর আয়াতগুলোর পরে আর কোন হাদিসের উপর বিশ্বাস করবে ?
يَّسْمَعُ اٰيٰتِ اللّٰهِ تُتْلٰي عَلَيْهِ ثُمَّ يُصِرُّ مُسْتَكْبِرًا كَاَنْ لَّمْ يَسْمَعْهَا ۚ فَبَشِّرْهُ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍ
যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহ শুনছে, যা তার কাছে পাঠ করে শোনানো হচ্ছে, এরপর সে ঔদ্ধত্যের সাথে অটল থাকে , যেনো সে তা শুনতে পায়নি, তাই তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও।
وَاِذَا عَلِمَ مِنْ اٰيٰتِنَا شَيْئَۨا اتَّخَذَهَا هُزُوًا ؕ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ ؕ
আর সে যখন আমার আয়াত সমূহের মধ্য হতে কোনো কিছু জানতে পায়, তখন সে তা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে লেগে যায়। এরাই তো সেই দল, যাদের জন্যে রয়েছে অপমানকর শাস্তি।
مِنْ وَّرَآئِهِمْ جَهَنَّمُ ۚ وَلَا يُغْنِيْ عَنْهُمْ مَّا كَسَبُوْا شَيْئًا وَّلَا مَا اتَّخَذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْلِيَآءَ ۚ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ ؕ
তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম। আর তারা যা কিছু অর্জন করেছে, তার কোনো কিছুই তাদের কোনো কাজে আসবে না। আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যাদেরকে আউলিয়া হিসেবে গ্রহণ করেছে, তারাও কোনো কাজে আসবে না। তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।
هٰذَا هُدًي ۚ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِاٰيٰتِ رَبِّهِمْ لَهُمْ عَذَابٌ مِّنْ رِّجْزٍ اَلِيْمٌ
আর এই (কুরআন) তো হচ্ছে হুদা-সৎপথের দিশারি। আর যারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে বড় কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
اَللّٰهُ الَّذِيْ سَخَّرَ لَكُمُ الْبَحْرَ لِتَجْرِيَ الْفُلْكُ فِيْهِ بِاَمْرِهٖ وَلِتَبْتَغُوْا مِنْ فَضْلِهٖ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ ۚ
আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্যে সমুদ্রকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। যেনো তাঁরই নির্দেশের মাধ্যমে তার মধ্যে নৌযানসমূহ চলাচল করতে থাকে। আর তোমরাও যেন তাঁর সাহায্য সামগ্রীর সন্ধান করতে পারো। যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।
وَسَخَّرَ لَكُمْ مَّا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ جَمِيْعًا مِّنْهُ ؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّقَوْمٍ يَّتَفَكَّرُوْنَ
আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু রয়েছে সব কিছুকেই তিনি তোমাদের জন্যে নিয়ন্ত্রিত করে রেখেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে এমন লোকদের জন্যে যারা চিন্তাভাবনা করে।
قُلْ لِّلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا يَغْفِرُوْا لِلَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ اَيَّامَ اللّٰهِ لِيَجْزِيَ قَوْمًۢا بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ
তুমি তাদেরকে বলে দাও, যারা ঈমান এনেছে, তারা যেনো তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়, যারা আল্লাহর হিসাব নিকাশের প্রত্যাশা করে না, যেন আল্লাহ লোকদেরকে তাদের প্রতিদান দিতে পারেন, যা তারা অর্জন করে যাচ্ছে।
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهٖ ۚ وَمَنْ اَسَآءَ فَعَلَيْهَا ۫ ثُمَّ اِلٰي رَبِّكُمْ تُرْجَعُوْنَ
যে কেউ সংশোধনের কাজ করবে, তা তার নিজের জন্যেই করবে। আর যে মন্দকর্ম করবে, তা তার নিজের উপরেই এসে পড়বে। এরপর তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিপালকের দিকেই ফিরিয়ে আনা হবে।
وَلَقَدْ اٰتَيْنَا بَنِيْۤ اِسْرَآءِيْلَ الْكِتٰبَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ وَرَزَقْنٰهُمْ مِّنَ الطَّيِّبٰتِ وَفَضَّلْنٰهُمْ عَلَي الْعٰلَمِيْنَ ۚ
নিশ্চয়ই আমি ইসরাঈলের সন্তানদেরকে আল কিতাব, শাসন ব্যবস্থা ও নবুওয়াত দান করেছি। আর তাদেরকে উত্তম বস্তু থেকে জীবিকা দান করেছি। আর আমি তাদেরকে সারা দুনিয়ার মানুষের উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।
وَاٰتَيْنٰهُمْ بَيِّنٰتٍ مِّنَ الْاَمْرِ ۚ فَمَا اخْتَلَفُوْۤا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ ۙ بَغْيًۢا بَيْنَهُمْ ؕ اِنَّ رَبَّكَ يَقْضِيْ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ فِيْمَا كَانُوْا فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ
আমি তাদেরকে নির্দেশ সম্পর্কে সুস্পষ্ট প্রমাণ দান করেছি, তবুও তারা নির্ভূল জ্ঞান তাদের কাছে আসার পরেও নিজেদের মধ্যে বাড়াবাড়ি করে পরস্পর মতবিরোধে লিপ্ত হয়। নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিবেন, যা নিয়ে তারা পরস্পর মতবিরোধ করছে।
ثُمَّ جَعَلْنٰكَ عَلٰي شَرِيْعَةٍ مِّنَ الْاَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلَا تَتَّبِعْ اَهْوَآءَ الَّذِيْنَ لَا يَعْلَمُوْنَ
এরপরে আমি তোমাকে নির্দেশ সম্পর্কিত চিরস্থায়ী বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। তাই তুমি তারই অনুসরণ করে চলো। আর তুমি তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করে চলবে না যারা (কোরআন সম্পর্কে) কিছুই জানে না।
اِنَّهُمْ لَنْ يُّغْنُوْا عَنْكَ مِنَ اللّٰهِ شَيْئًا ؕ وَاِنَّ الظّٰلِمِيْنَ بَعْضُهُمْ اَوْلِيَآءُ بَعْضٍ ۚ وَاللّٰهُ وَلِيُّ الْمُتَّقِيْنَ
তারা কখনও আল্লাহর মোকাবিলায় তোমার জন্যে কোনো কাজে আসবে না। নিশ্চয়ই সীমালঙ্ঘনকারীরা তাদের একে অপরের বন্ধু এবং আল্লাহ মহৎব্যক্তিদের বন্ধু।
هٰذَا بَصَآئِرُ لِلنَّاسِ وَهُدًي وَّرَحْمَةٌ لِّقَوْمٍ يُّوْقِنُوْنَ
এই জ্ঞান-চক্ষু (কোরআন) সব মানুষের জন্যে। আর পথনির্দেশ ও অনুগ্রহ এমন লোকদের জন্যে যারা দৃঢ় বিশ্বাস করে।
اَمْ حَسِبَ الَّذِيْنَ اجْتَرَحُوا السَّيِّاٰتِ اَنْ نَّجْعَلَهُمْ كَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ سَوَآءً مَّحْيَاهُمْ وَمَمَاتُهُمْ ؕ سَآءَ مَا يَحْكُمُوْنَ
তারা মনে করেছে নাকি যে, যারা মন্দকাজে লিপ্ত রয়েছে, আমি তাদেরকে তাদের মতো গণ্য করবো যারা ঈমান এনেছে এবং সংশোধনের কাজ করেছে। আর তাদের জীবন ও তাদের মৃত্যু কি একই রকম হবে? কতোইনা মন্দ যা তারা বিচার করছে।
*45(21) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 16(28-32)...।
وَخَلَقَ اللّٰهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ بِالْحَقِّ وَلِتُجْزٰي كُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُوْنَ
আর আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবী যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন। যেন প্রত্যেক ব্যক্তিকে ঐ বিষয়ে প্রতিদান দেওয়া হয় যা সে অর্জন করেছে। আর তাদের উপরে অবিচার করা হবে না।
اَفَرَءَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰـهَهٗ هَوٰىهُ وَاَضَلَّهُ اللّٰهُ عَلٰي عِلْمٍ وَّخَتَمَ عَلٰي سَمْعِهٖ وَقَلْبِهٖ وَجَعَلَ عَلٰي بَصَرِهٖ غِشٰوَةً ؕ فَمَنْ يَّهْدِيْهِ مِنْۢ بَعْدِ اللّٰهِ ؕ اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَ
তাহলে তুমি কি ভেবে দেখেছো, যে তার নিজের প্রবৃত্তিকেই আইনদাতা বানিয়ে নিয়েছে, আর আল্লাহ তাকে জ্ঞান থাকা স্বত্বেও পথভ্রষ্ট করেছেন, আর তার কানে ও তার অন্তরের উপর সীল মেরে দিয়েছেন। আর তার জ্ঞান চোখের উপর পর্দা রেখে দিয়েছেন। সুতরাং এমন লোককে আল্লাহ ছাড়া কে সঠিকপথ দেখাতে পারবে ? তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না ?
وَقَالُوْا مَا هِيَ اِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوْتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَاۤ اِلَّا الدَّهْرُ ۚ وَمَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۚ اِنْ هُمْ اِلَّا يَظُنُّوْنَ
আর তারা বলে, এই পার্থিব জীবন ছাড়া আর কোনো জীবন আমাদের নেই। এখানেই আমরা মরি-বাঁচি। আমাদের ধ্বংস করে, কালের নিয়মে। অথচ তাদের কাছে এ সম্বন্ধে কোনো জ্ঞান নেই। শুধু তারা কল্পনাই করে যাচ্ছে।
وَاِذَا تُتْلٰي عَلَيْهِمْ اٰيٰتُنَا بَيِّنٰتٍ مَّا كَانَ حُجَّتَهُمْ اِلَّاۤ اَنْ قَالُوا ائْتُوْا بِاٰبَآئِنَاۤ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ
আর যখন তাদের সামনে সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পড়ে শোনানো হয়, তখন কিন্তু এছাড়া তাদের কাছে আর কোনো যুক্তি থাকে না, তারা শুধু বলে, আমাদের বাপ-দাদাদেরকে জীবিত করে নিয়ে এসো, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাকো।
قُلِ اللّٰهُ يُحْيِيْكُمْ ثُمَّ يُمِيْتُكُمْ ثُمَّ يَجْمَعُكُمْ اِلٰي يَوْمِ الْقِيٰمَةِ لَا رَيْبَ فِيْهِ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ
তুমি বলে দাও, আল্লাহ তোমাদেরকে জীবন দেন এরপর তোমাদেরকে মৃত্যু দেন। এরপর কিয়ামতের দিন তোমাদের সবাইকে একত্র করবেন, যার মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই জানে না।
وَلِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ وَيَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ يَوْمَئِذٍ يَّخْسَرُ الْمُبْطِلُوْنَ
আর আকাশ ও পৃথিবীর মালিকানা তো আল্লাহরই জন্য, আর যেদিন বিশেষ সময় (কিয়ামত) সংঘটিত হবে, সেদিন মিথ্যাচারী বাতিল পন্থিরাই তো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
وَتَرٰي كُلَّ اُمَّةٍ جَاثِيَةً ۟ كُلُّ اُمَّةٍ تُدْعٰۤي اِلٰي كِتٰبِهَا ؕ اَلْيَوْمَ تُجْزَوْنَ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ
আর তুমি দেখতে পাবে, প্রত্যেকটি দল নতজানু হয়ে ভয়ে থাকবে। প্রত্যেকটি দলকে তাদের কিতাবের দিকেই আহ্বান করা হবে, (আর বলা হবে) 'আজ তোমাদেরকে প্রতিফল দেওয়া হবে, যা কিছু তোমরা করেছো।
هٰذَا كِتٰبُنَا يَنْطِقُ عَلَيْكُمْ بِالْحَقِّ ؕ اِنَّا كُنَّا نَسْتَنْسِخُ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ
এই আমার লিখিত (আমলনামার) কিতাব যা তোমাদের সম্পর্কে যথাযথভাবে কথা বলছে। নিশ্চয়ই আমি সব কিছুই সংরক্ষণ করেছি, যা তোমরা করতে।
فَاَمَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَيُدْخِلُهُمْ رَبُّهُمْ فِيْ رَحْمَتِهٖ ؕ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْمُبِيْنُ
সুতরাং যারা ঈমান এনেছে ও সংশোধনের কাজ করেছে, তাদেরকেই তো তাদের প্রতিপালক তাঁর রহমতের মধ্যে প্রবেশ করাবেন। এটাই তো সেই সুস্পষ্ট সাফল্য।
وَاَمَّا الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ۟ اَفَلَمْ تَكُنْ اٰيٰتِيْ تُتْلٰي عَلَيْكُمْ فَاسْتَكْبَرْتُمْ وَكُنْتُمْ قَوْمًا مُّجْرِمِيْنَ
আর যারা কুফুরী করেছে, (তাদেরকে বলা হবে) তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতগুলো পাঠ করা হয়নি ? কিন্তু তোমরা তো অহংকার করেছিলে। আসলে তোমরা ছিলে অপরাধী সম্প্রদায়।
وَاِذَا قِيْلَ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّالسَّاعَةُ لَا رَيْبَ فِيْهَا قُلْتُمْ مَّا نَدْرِيْ مَا السَّاعَةُ ۙ اِنْ نَّظُنُّ اِلَّا ظَنًّا وَّمَا نَحْنُ بِمُسْتَيْقِنِيْنَ
আর যখনই বলা হতো যে, নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর বিশেষ সময় (কিয়ামত) সম্পর্কেও কোনো সন্দেহ নেই। তখন তোমরা বলতে, আমরা জানি না, বিশেষ সময় কি জিনিস ! তবে একটা কল্পনা বলে আমাদের ধারণা হচ্ছে। আর আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী নই।
وَبَدَا لَهُمْ سَيِّاٰتُ مَا عَمِلُوْا وَحَاقَ بِهِمْ مَّا كَانُوْا بِهٖ يَسْتَهْزِءُوْنَ
আর তাদের সব মন্দ কাজগুলো প্রকাশিত হবে, যাকিছু তারা করেছে। আর তাই এসে তাদের ঘিরে ধরবে যা নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রুপ করতো।
وَقِيْلَ الْيَوْمَ نَنْسٰكُمْ كَمَا نَسِيْتُمْ لِقَآءَ يَوْمِكُمْ هٰذَا وَمَاْوٰىكُمُ النَّارُ وَمَا لَكُمْ مِّنْ نّٰصِرِيْنَ
আর বলা হবে, আজ আমি তোমাদেরকে ভুলে যাবো। যেমন তোমরা আজকের এই দিনের সাক্ষাতের কথা ভুলে গিয়েছিলে। আর তোমাদের আশ্রয়স্হল হবে আগুন। আর তোমাদের জন্যে কোনো সাহায্যকারীও থাকবে না।
ذٰلِكُمْ بِاَنَّكُمُ اتَّخَذْتُمْ اٰيٰتِ اللّٰهِ هُزُوًا وَّغَرَّتْكُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا ۚ فَالْيَوْمَ لَا يُخْرَجُوْنَ مِنْهَا وَلَا هُمْ يُسْتَعْتَبُوْنَ
এটা এ কারণে যে, তোমরা আল্লাহর আয়াতগুলীকে বিদ্রুপরূপে গ্রহণ করেছিলে এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করে রেখেছিলো। সুতরাং আজ তারা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না। আর তাদেরকে সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ দেওয়া হবে না।
فَلِلّٰهِ الْحَمْدُ رَبِّ السَّمٰوٰتِ وَرَبِّ الْاَرْضِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ
সুতরাং আল্লাহর জন্যেই সকল প্রশংসা, যিনি আকাশের প্রতিপালক, পৃথিবীর প্রতিপালক এবং বিশ্বজগতের প্রতিপালক ।
وَلَهُ الْكِبْرِيَآءُ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۪ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ
আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে সকল গৌরব-গরিমা শুধু তাঁরই জন্যে, আর তিনিই মহা-সম্মানিত, মহা-বৈজ্ঞানিক।