সূরা : সুরা সাবা

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ وَلَهُ الْحَمْدُ فِي الْاٰخِرَةِ ؕ وَهُوَ الْحَكِيْمُ الْخَبِيْرُ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যেই, যিনি আকাশমন্ডলীতে যা কিছু রয়েছে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে তার মালিক। পরকালেও সকল প্রশংসা তাঁরই। আর তিনিই মহা বৈজ্ঞানিক, সকল বিষয়ে খবর রাখেন।

সূরা : সুরা সাবা

يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْاَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَآءِ وَمَا يَعْرُجُ فِيْهَا ؕ وَهُوَ الرَّحِيْمُ الْغَفُوْرُ

তিনি‌ জানেন, যা কিছু পৃথিবীতে প্রবেশ করে, আর যা কিছু তা থেকে বেরিয়ে আসে, আর আকাশ থেকে যা কিছু অবতীর্ণ হয় আর তাতে যা কিছু উঠে থাকে । আর তিনিই পরম দয়ালু, ক্ষমাশীল।

সূরা : সুরা সাবা

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَا تَاْتِيْنَا السَّاعَةُ ؕ قُلْ بَلٰي وَرَبِّيْ لَتَاْتِيَنَّكُمْ ۙ عٰلِمِ الْغَيْبِ ۚ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمٰوٰتِ وَلَا فِي الْاَرْضِ وَلَاۤ اَصْغَرُ مِنْ ذٰلِكَ وَلَاۤ اَكْبَرُ اِلَّا فِيْ كِتٰبٍ مُّبِيْنٍ ۙ

আর কাফিররা বলে, আমাদের উপরে তো আর বিশেষ সময় (কিয়ামত) আসবে না ! তুমি বলো ! কেনো আসবে না? আমার প্রতিপালকের শপথ, যিনি অদৃশ্য বিষয় সমূহে পরিপূর্ণ ওয়াকিফহাল। নিশ্চয়ই তোমাদের উপরে তা আসবেই। তার কাছে তো একটি অনু পরিমাণ বস্তু আকাশসমূহের ও পৃথিবীর মধ্যে কোথাও অদৃশ্য অবস্থায় নেই। এর চাইতে ছোট কিংবা বড় এমন কোনো দরকারী জিনিস নেই, যার উল্লেখ সুস্পষ্ট এই কিতাবে নেই।

সূরা : সুরা সাবা

لِّيَجْزِيَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ؕ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّرِزْقٌ كَرِيْمٌ

যেনো তাদেরকে পুরস্কার দান করা যায়, যারা ঈমান এনেছে, আর সংশোধনের কাজ করেছে। এরাই তো সেই দল, যাদের জন্যে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা রয়েছে।

সূরা : সুরা সাবা

وَالَّذِيْنَ سَعَوْ فِيْۤ اٰيٰتِنَا مُعٰجِزِيْنَ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مِّنْ رِّجْزٍ اَلِيْمٌ

আর যারা আমার আয়াতগুলোকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চেষ্টা করে, যাতে (বানোয়াট হাদিস দিয়ে কোরআনকে) হারিয়ে দিতে পারে, তারাই তো ঐসব লোক যাদের জন্যে রয়েছে ভয়ংকর নির্মম ধরনের শাস্তি।

সূরা : সুরা সাবা

وَيَرَي الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ الَّذِيْۤ اُنْزِلَ اِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ هُوَ الْحَقَّ ۙ وَيَهْدِيْۤ اِلٰي صِرَاطِ الْعَزِيْزِ الْحَمِيْدِ যা

দেরকে (কুরআনের) জ্ঞান দান করা হয়েছে, তারা তো দেখতেই পাচ্ছে, তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হ'তে তোমার কাছে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা সত্য এবং তা মহা-সন্মানী ও প্রশংসিত সত্তার পথের দিকে পথ দেখিয়ে দেয়।

সূরা : সুরা সাবা

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا هَلْ نَدُلُّكُمْ عَلٰي رَجُلٍ يُّنَبِّئُكُمْ اِذَا مُزِّقْتُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ ۙ اِنَّكُمْ لَفِيْ خَلْقٍ جَدِيْدٍ ۚ

আর যারা কাফির, তারা বলে, আমরা কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দিবো, যে তোমাদেরকে সংবাদ দিবে যে, তোমরা যখন মরার পরে পুরোপুরিভাবে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, তখন নিশ্চয়ই তোমরা নতুনভাবে আবার সৃষ্টি হবে?

সূরা : সুরা সাবা

اَفْتَرٰي عَلَي اللّٰهِ كَذِبًا اَمْ بِهٖ جِنَّةٌ ؕ بَلِ الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ فِي الْعَذَابِ وَالضَّلٰلِ الْبَعِيْدِ

সে লোকটি আল্লাহর উপরে হয় মিথ্যা রচনা করে যাচ্ছে, নয় তো সে এক রকম পাগল হয়ে গেছে। বরং যারা আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস করে না, তারাই তো শাস্তি ও চরম বিভ্রান্তির পথে অনেক দূরে সরে গেছে।

সূরা : সুরা সাবা

اَفَلَمْ يَرَوْا اِلٰي مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ ؕ اِنْ نَّشَاْ نَخْسِفْ بِهِمُ الْاَرْضَ اَوْ نُسْقِطْ عَلَيْهِمْ كِسَفًا مِّنَ السَّمَآءِ ؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لِّكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيْبٍ

তবে কি মানুষেরা দেখে না? তাদের সামনে ও পিছনে আকাশ এবং পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে। আমি যদি চাই তবে তাদের সহ পৃথিবীকে ধ্বসিয়ে দিতে পারি, অথবা তাদের উপরে আকাশ থেকে কিছু খণ্ড নিক্ষেপ করতে পারি। নিশ্চয়ই এর মধ্যে রয়েছে নিদর্শন প্রত্যেকটি আল্লাহমূখী দাসের জন্যে।

সূরা : সুরা সাবা

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا دَاوٗدَ مِنَّا فَضْلًا ؕ يٰجِبَالُ اَوِّبِيْ مَعَهٗ وَالطَّيْرَ ۚ وَاَلَنَّا لَهُ الْحَدِيْدَ ۙ

আর নিশ্চয়ই আমি দাউদকে আমার পক্ষ থেকে সাহায্য সামগ্রী দান করেছি। এই যে পাহাড়ী খনিজ সম্পদ ও পাখীরাও তারই বিশেষ বিভাগ হিসেবে থাকে। আর তাকে লোহার প্রযুক্তি (টেকনোলজি) দান করেছি।

সূরা : সুরা সাবা

اَنِ اعْمَلْ سٰبِغٰتٍ وَّقَدِّرْ فِي السَّرْدِ وَاعْمَلُوْا صَالِحًا ؕ اِنِّيْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ

যেনো তা দিয়ে জরুরী সরঞ্জাম তৈরী করতে পারো। আর তার টুকরাগুলোকে যেনো জুড়তে পারো। আর তোমরা সবাই সংশোধনের কাজ করবে। আমি তো তোমাদের সব কাজই দেখছি।

সূরা : সুরা সাবা

وَلِسُلَيْمٰنَ الرِّيْحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَّرَوَاحُهَا شَهْرٌ ۚ وَاَسَلْنَا لَهٗ عَيْنَ الْقِطْرِ ؕ وَمِنَ الْجِنِّ مَنْ يَّعْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ بِاِذْنِ رَبِّهٖ ؕ وَمَنْ يَّزِغْ مِنْهُمْ عَنْ اَمْرِنَا نُذِقْهُ مِنْ عَذَابِ السَّعِيْرِ

আর সুলাইমানের জন্যে বাতাসকে নিয়ন্ত্রিত করে দিয়েছি। সকালে এক মাস ব্যবধানের পথ সম্পন্ন হয়। আর সন্ধ্যাও তার এক মাস ব্যবধানের পথ সম্পন্ন হয়। আমি তার জন্যে তামার খনীকে নিয়ন্ত্রণ করে দিই। আর দানব জিনদের মধ্যে কেউ এমনও যারা তার সামনে কাজ করতো তারই প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। তাদের মধ্যে যে কেউ আমার নির্দেশ অমান্য করবে, তাকে আমি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাবো।

সূরা : সুরা সাবা

يَعْمَلُوْنَ لَهٗ مَا يَشَآءُ مِنْ مَّحَارِيْبَ وَتَمَاثِيْلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُوْرٍ رّٰسِيٰتٍ ؕ اِعْمَلُوْۤا اٰلَ دَاوٗدَ شُكْرًا ؕ وَقَلِيْلٌ مِّنْ عِبَادِيَ الشَّكُوْرُ

তারা খুব সুন্দরভাবে বড় বড় বিল্ডিং তৈরী করে যাচ্ছিলো, যা সে পছন্দ করতো। আর ভাস্কর্য ও দীঘি খনন। আর একই জায়গায় জমাট বাধানো ডেগসমূহ। হে দাউদের বংশধররা, তোমরা কৃতজ্ঞতা সহকারে কাজ করে যাও। আমার দাসদের মধ্যে কৃতজ্ঞতা খুব কম লোকই প্রকাশ করে।

সূরা : সুরা সাবা

فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ الْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلٰي مَوْتِهٖۤ اِلَّا دَآبَّةُ الْاَرْضِ تَاْكُلُ مِنْسَاَتَهٗ ۚ فَلَمَّا خَرَّ تَبَيَّنَتِ الْجِنُّ اَنْ لَّوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ الْغَيْبَ مَا لَبِثُوْا فِي الْعَذَابِ الْمُهِيْنِ ؕ

অতঃপর আমি যখন তার উপর মৃত্যুর সিদ্ধান্ত করলাম, আসলে মৃত্যু আসার কথা তো কেউ জানে না। তবে মাটির পোকার মতো আস্তে আস্তে তা গ্রাস করে। অতঃপর তার শেষ মূহুর্তকে যখন দানব জিনরা পরিস্কারভাবে জানতে পারে, তখন বুঝতে পারে যে, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান কারোর পক্ষে জানা সম্ভব না। তাহলে অপমানকর শাস্তি থেকে বাঁচার কোনো উপায় করে নেওয়া যেতো।

সূরা : সুরা সাবা

لَقَدْ كَانَ لِسَبَاٍ فِيْ مَسْكَنِهِمْ اٰيَةٌ ۚ جَنَّتٰنِ عَنْ يَّمِيْنٍ وَّشِمَالٍ ؕ كُلُوْا مِنْ رِّزْقِ رَبِّكُمْ وَاشْكُرُوْا لَهٗ ؕ بَلْدَةٌ طَيِّبَةٌ وَّرَبٌّ غَفُوْرٌ

নিশ্চয়ই প্লাবনে যারা ভেসে গেছে, তাদের বাসভূমিও একটি নিদর্শন। তাদের ডানে বামে দুটি উদ্যান (জান্নাত) ছিলো। তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের দেওয়া জীবিকা থেকে খাও আর তাঁরই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। উত্তম শহর (মক্কা) আর প্রতিপালক হলেন ক্ষমাশীল।

সূরা : সুরা সাবা

فَاَعْرَضُوْا فَاَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ سَيْلَ الْعَرِمِ وَبَدَّلْنٰهُمْ بِجَنَّتَيْهِمْ جَنَّتَيْنِ ذَوَاتَيْ اُكُلٍ خَمْطٍ وَّاَثْلٍ وَّشَيْءٍ مِّنْ سِدْرٍ قَلِيْلٍ

তারপরেও তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। তাই আমি তাদের উপরে বাঁধ ভাঙ্গা বন্যা পাঠিয়ে দিই। আর তাদের দুই সারি জান্নাতের (বাগিচার) বদলে মাত্র দুটো জান্নাত রেখে দিই। যাতে বিস্বাদ ফল, ঝাউ গাছ আর সামান্য পরিমাণ কুল (বরই) বাকী থাকে।

সূরা : সুরা সাবা

ذٰلِكَ جَزَيْنٰهُمْ بِمَا كَفَرُوْا ؕ وَهَلْ نُجٰزِيْۤ اِلَّا الْكَفُوْرَ

তারা যেভাবে অবাধ্য হয়েছে, এটি তারই পরিনাম, যা আমি তাদেরকে দিয়েছি। এমনতর শাস্তি আমি অকৃতজ্ঞ ছাড়া আর কাউকে দিই না।

সূরা : সুরা সাবা

وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْقُرَي الَّتِيْ بٰرَكْنَا فِيْهَا قُرًي ظَاهِرَةً وَّقَدَّرْنَا فِيْهَا السَّيْرَ ؕ سِيْرُوْا فِيْهَا لَيَالِيَ وَاَيَّامًا اٰمِنِيْنَ

আর আমি বানিয়েছি মানুষের জন্যে বিশেষ একটি গ্রাম (মক্কা), যার মধ্যে আমি কল্যাণ রেখে দিয়েছি, যা সকল গ্রামের অধিবাসীদের অনেকেই দেখতে যায়। আর সেখানে ভ্রমণ করার ব্যবস্তা নির্ধারণ করে দিয়েছি। যেনো তোমরা সেখানে রাতে দিনে নির্ভয়ে ভ্রমণ করতে পারো।

সূরা : সুরা সাবা

فَقَالُوْا رَبَّنَا بٰعِدْ بَيْنَ اَسْفَارِنَا وَظَلَمُوْۤا اَنْفُسَهُمْ فَجَعَلْنٰهُمْ اَحَادِيْثَ وَمَزَّقْنٰهُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ ؕ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍ

তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক ! আপনি আমাদের ভ্রমণ পথ সুদীর্ঘ করে দিন। আর তারা তো তাদের নিজেদের উপরেই জুলুম করেছিলো, তাই আমি তাদেরকে হাদিস সমূহের কাহিনীতে পরিণত করে দিয়েছি। আর তাদেরকে একেবারে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছি। নিশ্চয়ই এর মধ্যে প্রত্যেকটি ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ লোকদের জন্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে।

সূরা : সুরা সাবা

وَلَقَدْ صَدَّقَ عَلَيْهِمْ اِبْلِيْسُ ظَنَّهٗ فَاتَّبَعُوْهُ اِلَّا فَرِيْقًا مِّنَ الْمُؤْمِنِيْنَ

আর সত্যই তো তাদের ব্যাপারে (কুরআনচ্যুত) ইবলীশের ধারণাই সঠিক সাব্যস্ত হয়। তারা সবাই তারই পথ অনুসরণ করে। তবে কি একদল মুমিন লোক ব্যতীত।

সূরা : সুরা সাবা

وَمَا كَانَ لَهٗ عَلَيْهِمْ مِّنْ سُلْطٰنٍ اِلَّا لِنَعْلَمَ مَنْ يُّؤْمِنُ بِالْاٰخِرَةِ مِمَّنْ هُوَ مِنْهَا فِيْ شَكٍّ ؕ وَرَبُّكَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ حَفِيْظٌ

অথচ তাদের উপরে ইবলীশের আধিপত্য এছাড়া আর কোনো কারণে নয় যে, তাদেরকে আমার বাস্তবে জানতে হবে, কে আখিরাতের প্রতি বিস্বাস করে আর কেই বা সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করছে। আসলে তোমার প্রতিপালকই তো সব কিছুর উপর তত্বাবধায়ক।

সূরা : সুরা সাবা

قُلِ ادْعُوا الَّذِيْنَ زَعَمْتُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۚ لَا يَمْلِكُوْنَ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ فِي السَّمٰوٰتِ وَلَا فِي الْاَرْضِ وَمَا لَهُمْ فِيْهِمَا مِنْ شِرْكٍ وَّمَا لَهٗ مِنْهُمْ مِّنْ ظَهِيْرٍ

তুমি বলো, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে (ইলাহ) মনে করেছো তাদেরকে ডাকো ! তারা তো আকাশসমূহ ও পৃথিবীর মধ্যে একটি অণুর পরিমাণও ক্ষমতার অধিকারী নয়। আর এ দু'য়ের মধ্যে তাদের কোনো অ়ংশীদারিত্ব নেই । আর তাদের মধ্য হতে কেউ তাঁর সাহায্যকারীও নয়।

সূরা : সুরা সাবা

وَلَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا لِمَنْ اَذِنَ لَهٗ ؕ حَتّٰۤي اِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوْبِهِمْ قَالُوْا مَاذَا ۙ قَالَ رَبُّكُمْ ؕ قَالُوا الْحَقَّ ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيْرُ

তাঁর নিকট কারোর সুপারিশ কিছুমাত্র উপকারে আসবে না, তবে যাকে এজন্যে অনুমতি দিবেন তার কথা আলাদা। এমন কি তাদের অন্তর হতে ভয় ভীতি দূর হওয়ার পরে একে অন্যের কাছে জিজ্ঞাসা করবে যে, তোমাদের প্রতিপালক কি হুকুম দিয়েছিলেন? তারা বলবে, সত্য সঠিক নির্দেশ দান করেছিলেন। আর তিনি হলেন সুউচ্চ,সুমহান ।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ مَنْ يَّرْزُقُكُمْ مِّنَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ؕ قُلِ اللّٰهُ ۙ وَاِنَّاۤ اَوْ اِيَّاكُمْ لَعَلٰي هُدًي اَوْ فِيْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍ

তুমি জিজ্ঞাসা করো ! আকাশ ও পৃথিবী হ'তে কে তোমাদেরকে জীবিকা দান করেন ? তুমি বলো, আল্লাহ। আর নিশ্চয়ই আমি অথবা তোমরা নিশ্চয়ই সঠিক পথের উপর অথবা স্পষ্ট গোমরাহির মধ্যেই রয়েছি।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ لَّا تُسْـَٔلُوْنَ عَمَّاۤ اَجْرَمْنَا وَلَا نُسْـَٔلُ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ

তুমি বলে দাও ! আমাদের অপরাধের কারণে তোমাদের কিছুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। আর তোমাদের কাজ কর্মের জন্যে আমাদেরকেও কোনো প্রশ্ন করা হবে না।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ يَجْمَعُ بَيْنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ يَفْتَحُ بَيْنَنَا بِالْحَقِّ ؕ وَهُوَ الْفَتَّاحُ الْعَلِيْمُ

তুমি বলে দাও ! আমাদের প্রতিপালক তো আমাদের সবাইকে একত্র করবেন, এরপরে আমাদের মধ্যে সঠিকভাবেই ফায়সালা করবেন। আর তিনি হলেন উত্তম ফায়সালাকারী ও মহাজ্ঞানী।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ اَرُوْنِيَ الَّذِيْنَ اَلْحَقْتُمْ بِهٖ شُرَكَآءَ كَلَّا ؕ بَلْ هُوَ اللّٰهُ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ

তুমি বলো, তোমরা আমাকে দেখাও তো, যাদেরকে তোমরা তাঁর কোরআনের সাথে সংযোগ করছো। না, তা কখনো পারবে না। বরং আল্লাহ হলেন মহা-সম্মানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক।

সূরা : সুরা সাবা

وَمَاۤ اَرْسَلْنٰكَ اِلَّا كَآفَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيْرًا وَّنَذِيْرًا وَّلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ

আমি তোমাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে পরিপূর্ণ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী ব্যতীত আর কোনো কাজের জন্যে পাঠাইনি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষেরাই জানে না।

সূরা : সুরা সাবা

وَيَقُوْلُوْنَ مَتٰي هٰذَا الْوَعْدُ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ

আর তারা বলছে, এই প্রতিশ্রুতি কবে পূরণ করা হবে? যদি তোমরা সত্যবাদী হয়েই থাকো।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ لَّكُمْ مِّيْعَادُ يَوْمٍ لَّا تَسْتَاْخِرُوْنَ عَنْهُ سَاعَةً وَّلَا تَسْتَقْدِمُوْنَ

তুমি বলে দাও, তোমাদের জন্যে এমন একটি দিনের মেয়াদ পর্যন্ত ওয়াদা করা হয়েছে, যা থেকে তোমরা মুহূর্তকাল পিছিয়ে দিতে পারবে না, আর এগিয়ে আনতেও পারবে না।

সূরা : সুরা সাবা

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ بِهٰذَا الْقُرْاٰنِ وَلَا بِالَّذِيْ بَيْنَ يَدَيْهِ ؕ وَلَوْ تَرٰۤي اِذِ الظّٰلِمُوْنَ مَوْقُوْفُوْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْ ۚۖ يَرْجِعُ بَعْضُهُمْ اِلٰي بَعْضِ الْقَوْلَ ۚ يَقُوْلُ الَّذِيْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِلَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْا لَوْلَاۤ اَنْتُمْ لَكُنَّا مُؤْمِنِيْنَ

আর যারা অস্বীকার করেছে, তারা বলছে, আমরা কখনও এই কোরআনের উপর বিশ্বাস করবো না। যা আমাদের সামনে রয়েছে। তুমি যদি দেখতে সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে যখন তাদের প্রতিপালকের সামনে দাঁড় করানো হবে। তখন তারা একে অন্যের উপরে কথা চাপাতে চাইবে। যাদেরকে দূর্বল মনে করা হতো (সাধারণ কর্মী ও মুরিদরা) তারা তখন অহংকারী দাম্ভিক লোকগুলোকে (নেতাদেরকে ও পীরদেরকে) বলবে, তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যই (কোরআনের প্রতি) ঈমানদার হতাম।

সূরা : সুরা সাবা

قَالَ الَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْا لِلَّذِيْنَ اسْتُضْعِفُوْۤا اَنَحْنُ صَدَدْنٰكُمْ عَنِ الْهُدٰي بَعْدَ اِذْ جَآءَكُمْ بَلْ كُنْتُمْ مُّجْرِمِيْنَ

যারা গর্ব করতো, তারা দূর্বল বলে গণ্য লোকদেরকে বলবে, আমরাই কি তোমাদেরকে কোরআনের সঠিক পথে এগোতে বাঁধা দিয়েছি ? তোমাদের কাছে তা পৌঁছানোর পরে। বরং তোমরাই অপরাধে লিপ্ত ছিলে।

সূরা : সুরা সাবা

وَقَالَ الَّذِيْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِلَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْا بَلْ مَكْرُ الَّيْلِ وَالنَّهَارِ اِذْ تَاْمُرُوْنَنَاۤ اَنْ نَّكْفُرَ بِاللّٰهِ وَنَجْعَلَ لَهٗۤ اَنْدَادًا ؕ وَاَسَرُّوا النَّدَامَةَ لَمَّا رَاَوُا الْعَذَابَ ؕ وَجَعَلْنَا الْاَغْلٰلَ فِيْۤ اَعْنَاقِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ؕ هَلْ يُجْزَوْنَ اِلَّا مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

আর যাদেরকে দূর্বল মনে করা হতো, তারা অহংকারী লোকগুলোকে বলবে, বরং তোমরা দিন-রাত কেবল চক্রান্তের মাধ্যমে এই নির্দেশ জারী করতে, যেনো আমরা আল্লাহর (আইনকে) অমান্য করে চলি, আর আল্লাহর সাথে আর কাউকে সমান মর্যাদা দান করি। তারা সবাই লুকিয়ে লুকিয়ে পস্তাতে থাকবে। যখন তারা শাস্তি দেখতে পাবে। আর আমি তাদের গলায় শিকল পরিয়ে দিবো, যারা অবিস্বাস করেছে। তাদেরকে অবশ্যই প্রতিফল দেয়া হবে, যা তারা করেছে, তারই জন্যে।

সূরা : সুরা সাবা

وَمَاۤ اَرْسَلْنَا فِيْ قَرْيَةٍ مِّنْ نَّذِيْرٍ اِلَّا قَالَ مُتْرَفُوْهَاۤ ۙ اِنَّا بِمَاۤ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ كٰفِرُوْنَ

এমন কোনো জনপদ নেই যেখানে আমি সতর্ককারী পাঠিয়েছি আর সেখানকার বিত্তশালী লোকগুলো একথা বলেনি যে, তোমাদেরকে যা নিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তা অস্বীকার করেছি।

সূরা : সুরা সাবা

وَقَالُوْا نَحْنُ اَكْثَرُ اَمْوَالًا وَّاَوْلَادًا ۙ وَّمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِيْنَ

তারা বলতে লাগে, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির দিক থেকে আমরাই তো অধিক সমৃদ্ধশালী, আর আমাদের উপরে কোনো শাস্তি আসবে না।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ اِنَّ رَبِّيْ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَآءُ وَيَقْدِرُ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ

তুমি বলে দাও, আমার প্রতিপালকই তো উপযুক্তদের জীবিকায় প্রসস্ততা দান করেন, আবার নিয়ন্ত্রণও করেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষেরাই কিছুই জানে না।

সূরা : সুরা সাবা

وَمَاۤ اَمْوَالُكُمْ وَلَاۤ اَوْلَادُكُمْ بِالَّتِيْ تُقَرِّبُكُمْ عِنْدَنَا زُلْفٰۤي اِلَّا مَنْ اٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ۫ فَاُولٰٓئِكَ لَهُمْ جَزَآءُ الضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوْا وَهُمْ فِي الْغُرُفٰتِ اٰمِنُوْنَ

তোমাদের ধন-সম্পদ আর সন্তান-সন্ততি এমন কিছু নয় যা দিয়ে তোমরা মর্যাদার দিক থেকে আমার ঘনিষ্ঠ হতে পারবে। তবে যে কেউ ঈমান এনেছে, আর সংশোধনের কাজ করেছে, তারাই তো সেই দল যাদের জন্যে দ্বিগুন প্রতিফল রয়েছে, যা তারা করেছে সেজন্যে। আর তারাই তো প্রাসাদসমূহের মধ্যে নিরাপদে থাকবে।

সূরা : সুরা সাবা

وَالَّذِيْنَ يَسْعَوْنَ فِيْۤ اٰيٰتِنَا مُعٰجِزِيْنَ اُولٰٓئِكَ فِي الْعَذَابِ مُحْضَرُوْنَ

আর যারা আমার আয়াতসমূহকে পরাজিত করার জন্যে (বানোয়াট হাদিস, ফেক্কার মাধ্যমে) চেষ্টা করেছে, তাদেরকে শাস্তির মধ্যে উপস্থিত করা হবে।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ اِنَّ رَبِّيْ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَآءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَيَقْدِرُ لَهٗ ؕ وَمَاۤ اَنْفَقْتُمْ مِّنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهٗ ۚ وَهُوَ خَيْرُ الرّٰزِقِيْنَ

তুমি বলে দাও, আমার প্রতিপালক তাঁর দাসদের মধ্য থেকে যে উপযুক্ত তার জন্যে জীবিকায় প্রসস্ততা দান করেন, আবার নিয়ন্ত্রণও করেন। আর তোমরা যা কিছু খরচ করবে তার বিনিময় তিনি অবশ্যই দিবেন। আর তিনি হলেন সর্বোত্তম জীবিকাদাতা।

সূরা : সুরা সাবা

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا ثُمَّ يَقُوْلُ لِلْمَلٰٓئِكَةِ اَهٰۤؤُلَآءِ اِيَّاكُمْ كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ

যেদিন তাদের সকলকে একত্র করা হবে, এরপর ভূপৃষ্ঠের শক্তিধর মালা-ইকাদেরকে বলা হবে, এরাই কি সেই দল, যারা তোমাদেরই দাসত্ব করতো?

সূরা : সুরা সাবা

قَالُوْا سُبْحٰنَكَ اَنْتَ وَلِيُّنَا مِنْ دُوْنِهِمْ ۚ بَلْ كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ الْجِنَّ ۚ اَكْثَرُهُمْ بِهِمْ مُّؤْمِنُوْنَ

তারা বলবে, আপনি পবিত্র মহান। আপনিই ছিলেন আমাদের অলি, তারা নয়। বরং তারা জিনদের (অশুভ শক্তির) দাসত্ব করতো। তাদের অধিকাংশই তাদের সাথে বিস্বাস রাখতো।

সূরা : সুরা সাবা

فَالْيَوْمَ لَا يَمْلِكُ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ نَّفْعًا وَّلَا ضَرًّا ؕ وَنَقُوْلُ لِلَّذِيْنَ ظَلَمُوْا ذُوْقُوْا عَذَابَ النَّارِ الَّتِيْ كُنْتُمْ بِهَا تُكَذِّبُوْنَ

সুতরাং আজকে তোমাদের কেউ কারোর উপকার কিংবা অপকার করার জন্যে ক্ষমতা হবে না। আর আমি সেই সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে বলবো, তোমরা সেই আগুনের শাস্তি আস্বাদন করো, যা তোমরা মিথ্যা জানতে।

সূরা : সুরা সাবা

وَاِذَا تُتْلٰي عَلَيْهِمْ اٰيٰتُنَا بَيِّنٰتٍ قَالُوْا مَا هٰذَاۤ اِلَّا رَجُلٌ يُّرِيْدُ اَنْ يَّصُدَّكُمْ عَمَّا كَانَ يَعْبُدُ اٰبَآؤُكُمْ ۚ وَقَالُوْا مَا هٰذَاۤ اِلَّاۤ اِفْكٌ مُّفْتَرًي ؕ وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ ۙ اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّبِيْنٌ

আর যখনই তাদের কাছে আমার স্পষ্ট আয়াতসমূহ পড়ে শোনানো হয়, তখনই তারা বলে, এ তো আর কিছু নয় একটা লোক চায়, তোমাদের বাপ-দাদারা যে সব পূজা অর্চনা করতো তা থেকে ফিরিয়ে রাখতে। আর তারা এ কথাও বলে, এই (কোরআন) মনগড়া,মিথ্যা রচনা বৈ-তো-নয় ! আর যারা অবাধ্য কাফির তারা কিন্তু সঠিক নির্দেশ তাদের কাছে পৌঁছানোর পরেও বলে, এটা স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়।

সূরা : সুরা সাবা

وَمَاۤ اٰتَيْنٰهُمْ مِّنْ كُتُبٍ يَّدْرُسُوْنَهَا وَمَاۤ اَرْسَلْنَاۤ اِلَيْهِمْ قَبْلَكَ مِنْ نَّذِيْرٍ ؕ

আর আমি তাদেরকে এমন কোনো কিতাব দেইনি, যা তারা পড়বে। আর আমি প্রেরণ করিনি তাদের কাছে তোমার পূর্বে কোনো সতর্ককারী হিসেবে।

*34(44),নং আয়াতের  "نذير " /"নাজির" শব্দের ব্যাখ্যায়  41(3,4)21(45),6(19),7(2),14(52),19(97),53(56)...।

এই আয়াতে যাদের কাছে পূর্বে কোনো সতর্ককারী যায়নি ,তাদের নিকট যাওয়ার কথা বলা হয়েছে 28(46),32(3),36(6)...।

সতর্ককারী রাসুলদের সম্পর্কে 4(165),6(48),18(56),57(25)...।

সতর্ককারী নবীদের সম্পর্কে 2(213),33(45)...।

এই আয়াতে আল্লাহ নিজেই সতর্ককারী হিসেবে পরিচয় দিলেন 44(3)...।

সতর্কবাণী সম্পর্কে 54(5,16,18,30,36,37,39,41)67(17)...।

সূরা : সুরা সাবা

وَكَذَّبَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ ۙ وَمَا بَلَغُوْا مِعْشَارَ مَاۤ اٰتَيْنٰهُمْ فَكَذَّبُوْا رُسُلِيْ ۟ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيْرِ

তারাও তো মিথ্যারোপ করেছে, তাদের পূর্বে যারা ছিলো। অথচ এরা (তাদের) দশভাগের একভাগেও তো পৌঁছায় নি, যা আমি তাদেরকে দিয়েছি। তবুও তারা আমার রাসূলদেরকে মিথ্যারোপ করেছে। (ভেবে দেখো) আমার শাস্তি কেমন হবে?

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ اِنَّمَاۤ اَعِظُكُمْ بِوَاحِدَةٍ ۚ اَنْ تَقُوْمُوْا لِلّٰهِ مَثْنٰي وَفُرَادٰي ثُمَّ تَتَفَكَّرُوْا ۟ مَا بِصَاحِبِكُمْ مِّنْ جِنَّةٍ ؕ اِنْ هُوَ اِلَّا نَذِيْرٌ لَّكُمْ بَيْنَ يَدَيْ عَذَابٍ شَدِيْدٍ

তুমি বলে দাও, আমি তোমাদেরকে একটি মাত্র উপদেশের ওয়াজ করছি, তোমরা আল্লাহর নামে দু'জন করে কিংবা একা একাই (শুধু কুরআন প্রচারে) দাঁড়িয়ে যাও। এরপর চিন্তা করে দেখো, তোমাদের সাথী (রাসুলের) মধ্যে তো কোনো পাগলামীর লেশমাত্রও নেই। সে তো তোমাদের জন্যে সতর্ককারী বৈ কিছু নয়, আসন্ন এক কঠোর শাস্তি মাঝখানে।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ مَا سَاَلْتُكُمْ مِّنْ اَجْرٍ فَهُوَ لَكُمْ ؕ اِنْ اَجْرِيَ اِلَّا عَلَي اللّٰهِ ۚ وَهُوَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدٌ

তুমি বলে দাও, আমি যদি তোমাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চেয়েই থাকি, তাহলে তা তোমাদের (পবিত্র ও পরিশুদ্ধির) জন্যেই। আমার পুরুস্কার তো শুধু আল্লাহর নিকটেই রয়েছে। আর তিনি সব কিছুর উপর প্রত‌্যক্ষ সাক্ষী।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ اِنَّ رَبِّيْ يَقْذِفُ بِالْحَقِّ ۚ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ

তুমি বলে দাও ! আমার প্রতিপালক নিক্ষেপ করেন (মিথ্যার উপর) সত্য দিয়ে, তিনিই হলেন অদৃশ্য বিষয়ে একমাত্র মহাজ্ঞানী।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ جَآءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيْدُ

তুমি বলে দাও, সত্য এসে গেছে। আর মিথ্যা, সে তো কিছুই যেমন সৃষ্টি করে না, তেমনি পুনরাবৃত্তি ঘটাতেও পারে না।

সূরা : সুরা সাবা

قُلْ اِنْ ضَلَلْتُ فَاِنَّمَاۤ اَضِلُّ عَلٰي نَفْسِيْ ۚ وَاِنِ اهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوْحِيْۤ اِلَيَّ رَبِّيْ ؕ اِنَّهٗ سَمِيْعٌ قَرِيْبٌ

তুমি বলো, আমি যদি পথভ্রষ্ট হয়ে থাকি, তাহলে আমি কেবল আমার নিজের ক্ষয় ক্ষতির জন্যই পথভ্রষ্ট হবো। আর যদি আমি সঠিক পথ পেয়ে থাকি, তাহলে তার কারণ হলো আমার প্রতিপালক আমার কাছে যে ওহি প্রেরণ করেন, তাই। নিশ্চয়ই তিনি খুব শোনেন, আর খুব নিকটেই আছেন।

সূরা : সুরা সাবা

وَلَوْ تَرٰۤي اِذْ فَزِعُوْا فَلَا فَوْتَ وَاُخِذُوْا مِنْ مَّكَانٍ قَرِيْبٍ ۙ

তুমি যদি তাদেরকে দেখো, যখন এরা ভয় পেয়ে পালানোর চেষ্টা করবে, আর খুব কাছ থেকেই তাদেরকে পাকড়াও করে আনা হবে।

সূরা : সুরা সাবা

وَّقَالُوْۤا اٰمَنَّا بِهٖ ۚ وَاَنّٰي لَهُمُ التَّنَاوُشُ مِنْ مَّكَانٍۭ بَعِيْدٍ ۚۖ

আর তারা বলতে থাকবে, আমরা এই কুরআনের প্রতি ঈমান এনেছি। কিন্তু় কিভাবে তাদের জন্যে দূরবর্তী স্থান থেকে ঈমানের নাগাল পাওয়া সম্ভব হবে?

সূরা : সুরা সাবা

وَّقَدْ كَفَرُوْا بِهٖ مِنْ قَبْلُ ۚ وَيَقْذِفُوْنَ بِالْغَيْبِ مِنْ مَّكَانٍۭ بَعِيْدٍ

পূর্ব থেকেই তো তারা তাকে (রাসূলকে) অমান্য করেছে। আর তারা তো তখন অনেক দূর থেকে নিশানা না দেখেই আন্দাজে ঢিল ছুঁড়তে ছিলো।

সূরা : সুরা সাবা

وَحِيْلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُوْنَ كَمَا فُعِلَ بِاَشْيَاعِهِمْ مِّنْ قَبْلُ ؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا فِيْ شَكٍّ مُّرِيْبٍ

তাদের আশা আকাংখাও তাদের নিজেদের মধ্যে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তাদের মতবাদে বিশ্বাসী পূর্বেকার লোকগুলোর সাথে যেমন হয়েছিলো। নিশ্চয়ই তারা বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যেই ছিলো।