সূরা : সূরা আল কিয়ামাহ
لَاۤ اُقْسِمُ بِيَوْمِ الْقِيٰمَةِ ۙ
আমি শপথ খাচ্ছি কিয়ামতের দিনের।
وَلَاۤ اُقْسِمُ بِالنَّفْسِ اللَّوَّامَةِ ؕ
এবং আরোও কসম করছি তিরস্কারকারী আত্মার।
اَيَحْسَبُ الْاِنْسَانُ اَلَّنْ نَّجْمَعَ عِظَامَهٗ ؕ
মানুষ কি মনে করছে, আমি তার অস্তিগুলোকে আর কখনই একত্রিত করব না ?
بَلٰي قٰدِرِيْنَ عَلٰۤي اَنْ نُّسَوِّيَ بَنَانَهٗ
হ্যাঁ, আমি তার আংগুলের অগ্রভাগসমূহও (ফিংগার) পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।
بَلْ يُرِيْدُ الْاِنْسَانُ لِيَفْجُرَ اَمَامَهٗ ۚ
বরং কিছু মানুষ চায়, তার ভবিষ্যতেও কুকর্ম করতে !
يَسْـَٔلُ اَيَّانَ يَوْمُ الْقِيٰمَةِ ؕ
তাই তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করছে, কিয়ামতের দিন কবে আসবে ?
يَقُوْلُ الْاِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ اَيْنَ الْمَفَرُّ ۚ
সেদিন মানুষ বলবে, এখন পালাবার জায়গা কোথায়?
اِلٰي رَبِّكَ يَوْمَئِذِ الْمُسْتَقَرُّ ؕ
সেদিন অবস্থানহল শুধু তোমার প্রতিপালকের দিকে।
يُنَبَّؤُا الْاِنْسَانُ يَوْمَئِذٍۭ بِمَا قَدَّمَ وَاَخَّرَ ؕ
সেদিন মানুষকে ওই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে, যা সে আগে পাঠিয়েছে ও পিছনে ছেড়েছে।
بَلِ الْاِنْسَانُ عَلٰي نَفْسِهٖ بَصِيْرَةٌ ۙ
বরং মানুষ নিজের অবস্থা সম্পর্কে নিজেই তো খুব অবগত রয়েছে।
لَا تُحَرِّكْ بِهٖ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهٖ ؕ
কোরআন তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করার উদ্দেশ্যে তুমি তোমার জিহবাকে দ্রুত আন্দোলিত করবে না।
*75(16),নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 76(23-25),20(114),25(32),73(4),98(2),2(151),55(1-4),3(164)...।
اِنَّ عَلَيْنَا جَمْعَهٗ وَقُرْاٰنَهٗ ۚۖ
নিশ্চয় তার সংকলন এবং তা পাঠ করানোর কাজ আমারই দায়িত্বে রয়েছে।
فَاِذَا قَرَاْنٰهُ فَاتَّبِعْ قُرْاٰنَهٗ ۚ
অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন তুমি তার পাঠের অনুসরণ কর।
ثُمَّ اِنَّ عَلَيْنَا بَيَانَهٗ ؕ
অতঃপর নিশ্চয়ই তার ব্যাখা দেওয়ার দায়িত্ব আমারই।
*75(19) নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 3(138),55(4)...।
كَلَّا بَلْ تُحِبُّوْنَ الْعَاجِلَةَ ۙ
কক্ষন না, বরং তোমরা পার্থিব জীবনকেই পছন্দ করে থাক।
وَوُجُوْهٌ يَّوْمَئِذٍۭ بَاسِرَةٌ ۙ আর কিছু মুখ সেদিন স্লান হয়ে যাবে।
আর কিছু মুখ সেদিন স্লান হয়ে যাবে।
تَظُنُّ اَنْ يُّفْعَلَ بِهَا فَاقِرَةٌ ؕ
তারা ধারণা করবে যে, তাদের সাথে কোমর ভাঙ্গ-চূর্ণ আচরণ করা হবে।
كَلَّاۤ اِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِيَ ۙ
কক্ষনো না। যখন প্রাণবায়ু কন্ঠ দেশে পৌঁছে যাবে।
وَقِيْلَ مَنْ رَاقٍ ۙ
আর বলা হবে, ঝাড়ফুককারী (কোন ডাক্তার- কবিরাজ) কেউ আছে কি ?
وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ ۙ
(পায়ের) এক গোছা আরেকটি গোছার সাথে জড়িয়ে যাবে।
اِلٰي رَبِّكَ يَوْمَئِذِ الْمَسَاقُ ؕ
সেদিন তোমার প্রতিপালকের দিকেই যেতে হবে।
فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلّٰي ۙ
সুতরাং যেমন সে সত্যতা সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়নি, ঠিক তেমনি দায়িত্বও পালন করেনি।
ثُمَّ ذَهَبَ اِلٰۤي اَهْلِهٖ يَتَمَطّٰي ؕ
পরে সে সদম্ভে তার পরিবারের দিকে চলে গিয়েছে।
ثُمَّ اَوْلٰي لَكَ فَاَوْلٰي ؕ
এরপর তোমার দূর্ভাগ্যে আরো অনেক দূর্ভোগ রয়েছে।
اَيَحْسَبُ الْاِنْسَانُ اَنْ يُّتْرَكَ سُدًي ؕ
মানুষ কি মনে করছে যে, তাদেরকে এমনি ছেড়ে দেওয়া হবে ?
اَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِّنْ مَّنِيٍّ يُّمْنٰي ۙ
সে কি একফুটা শুক্র ছিল না, যা স্খলিত হয়েছে।
ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوّٰي ۙ
পরে সে রক্তপিন্ডে পরিণত হয়েছে, তারপরেই সৃষ্টি হয়েছে, অতঃপর সুঠাম করা হয়েছে।
فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْاُنْثٰي ؕ
অতঃপর তা থেকে দুই জোড়া বানানো হয়েছে। পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ।
اَلَيْسَ ذٰلِكَ بِقٰدِرٍ عَلٰۤي اَنْ يُّحْيِۦَ الْمَوْتٰي
তিনি কি সে ক্ষমতা রাখেন না, যে মৃতদেরকে আবার জীবিত করতে পারবেন ?